পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭১-[১৩] ’আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো বান্দা হারাম পথে উপার্জিত অর্থ-সম্পদ দান-সাদাকা করলে তা কবূল করা হবে না এবং (ঐ অর্থ-সম্পদ) নিজের কাজে ব্যবহার করলেও তাতে বরকত হবে না। আর ঐ অর্থ-সম্পদ তার উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে গেলে তা তার জন্য জাহান্নামের পুঁজি হবে। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা মন্দের দ্বারা মন্দ মিটিয়ে দেন না, তবে সৎকাজ দ্বারা মন্দকাজ নির্মূল করেন। কেননা অবশ্যই মন্দ মন্দকে মিটাতে পারে না। (আহমাদ ও শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يكْسب عبد مَال حرَام فتيصدق مِنْهُ فَيُقْبَلُ مِنْهُ وَلَا يُنْفِقُ مِنْهُ فَيُبَارَكُ لَهُ فِيهِ وَلَا يَتْرُكُهُ خَلْفَ ظَهْرِهِ إِلَّا كَانَ زَادَهُ إِلَى النَّارِ. إِنَّ اللَّهَ لَا يَمْحُو السَّيِّئَ بِالسَّيِّئِ وَلَكِنْ يَمْحُو السَّيِّئَ بِالْحَسَنِ إِنَّ الْخَبِيثَ لَا يَمْحُو الْخَبِيثَ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَكَذَا فِي شرح السّنة
ব্যাখ্যা: (إِنَّ اللّٰهَ لَا يَمْحُو السَّيِّئَ بِالسَّيِّئِ) ‘‘আল্লাহ তা‘আলা খারাপ দ্বারা খারাপ দূর করেন না।’’ অর্থাৎ হারাম পন্থায় অর্জিত সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করা আরেকটি খারাপ কাজ। আর খারাপ কাজ দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা তার হারাম উপায়ে সম্পদ অর্জনের অপরাধ ক্ষমা করেন না।
(وَلٰكِنْ يَمْحُو السَّيِّئَ بِالْحَسَنِ) ‘‘বরং সৎকার্য দ্বারা অসৎকার্য দূরীভূত করেন।’’ অর্থাৎ হালাল উপায়ে অর্জিত সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করার মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা বান্দার অপরাধ ক্ষমা করেন। হাদীসের এ অংশটুকু আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ‘‘অবশ্যই সৎকর্ম অসৎকর্মকে বিদূরিত করে’’- (সূরা হূদ ১১ : ১১৪) এর দিকে ইঙ্গিত রয়েছে।
(إِنَّ الْخَبِيثَ لَا يَمْحُو الْخَبِيثَ) ‘‘অবশ্যই নাপাক নাপাকীকে বিদূরিত করে না।’’ বরং পবিত্র অপবিত্রতাকে বিদূরিত করে।
হাদীসের শিক্ষাঃ হারাম উপায়ে অর্জিত মাল আল্লাহর পথে ব্যয় করলে তা কবুল হয় না। বরং হারাম উপায়ে অর্জিত মাল আল্লাহর পথে ব্যয় করে সাওয়াব অর্জনের আশা করা কুফরী। (মিরকাতুল মাফাতীহ)