আবূ সালামাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ২৯ টি

পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মাহরের ব্যাপারে ইনসাফ করা

৩৩৫০. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আবু সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ)-কে এব্যাপারে প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাড়ে বার আওকিয়ায় বিবাহ করেছেন, আর এর পরিমাণ পাঁচশ’ দিরহাম।

الْقِسْطُ فِي الْأَصْدِقَةِ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى اثْنَتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً وَنَشٍّ وَذَلِكَ خَمْسُ مِائَةِ دِرْهَمٍ


It was narrated that Abu Salamah said: "I asked 'Aishah about that and she said: 'The Messenger of Allah got married (and married his daughters) for twelve Uqiyah and a Nashsh'" which is five hundred Dirhams.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫/৩. এক সা‘ বা অনুরূপ পাত্রের পানিতে গোসল।

২৫১. আবূ সালামাহ্ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি ও ‘আয়িশাহ (রাযি.)-এর ভাই ‘আয়িশাহ (রাযি.)-এর নিকট গমন করলাম। তাঁর ভাই তাঁকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি প্রায় এক সা‘ (আড়াই কিলোগ্রাম পরিমাণ)-এর সমপরিমাণ এক পাত্র আনলেন। তারপর তিনি গোসল করলেন এবং স্বীয় মাথার উপর পানি ঢাললেন। তখন আমাদের ও তাঁর মাঝে পর্দা ছিল। আবূ ‘আবদুল্লাহ [বুখারী (রহ.)] বলেন যে, ইয়াযীদ ইবনু হারূন (রহ.), বাহয ও জুদ্দী (রহ.) শু‘বাহ (রহ.) হতে نَحْوًا مِنْ صَاعٍ  -এর পরিবর্তে قَدْرِ صَاعٍ (এক সা‘ পরিমাণ)-এর কথা বর্ণনা করেন। (মুসলিম ৩/১০, হাঃ ৩২০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৯)

بَاب الْغُسْلِ بِالصَّاعِ وَنَحْوِهِ

دَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الصَّمَدِ، قَالَ حَدَّثَنِي شُعْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، يَقُولُ دَخَلْتُ أَنَا وَأَخُو، عَائِشَةَ عَلَى عَائِشَةَ فَسَأَلَهَا أَخُوهَا عَنْ غُسْلِ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم فَدَعَتْ بِإِنَاءٍ نَحْوًا مِنْ صَاعٍ، فَاغْتَسَلَتْ وَأَفَاضَتْ عَلَى رَأْسِهَا، وَبَيْنَنَا وَبَيْنَهَا حِجَابٌ‏.‏
قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ قَالَ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ وَبَهْزٌ وَالْجُدِّيُّ عَنْ شُعْبَةَ قَدْرِ صَاعٍ‏.


Narrated Abu Salama: `Aisha's brother and I went to `Aisha and he asked her about the bath of the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) . She brought a pot containing about a Sa` of water and took a bath and poured it over her head and at what time there was a screen between her and us.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫/২৫. অপবিত্র ব্যক্তির গোসলের পূর্বে উযূ করে ঘরে অবস্থান করা।

২৮৬। আবূ সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি ‘আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলামঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি জানাবাতের অবস্থায় ঘুমাতেন? তিনি বললেনঃ হাঁ, তবে তিনি উযূ করে নিতেন।

بَاب كَيْنُونَةِ الْجُنُبِ فِي الْبَيْتِ إِذَا تَوَضَّأَ قَبْلَ أَنْ يَغْتَسِلَ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، وَشَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ أَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَرْقُدُ وَهْوَ جُنُبٌ قَالَتْ نَعَمْ وَيَتَوَضَّأُ‏.


Narrated Abu Salama: I asked `Aisha "Did the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) use to sleep while he was Junub?" She replied, "Yes, but he used to perform ablution (before going to bed).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮/৬৮. মসজিদে কবিতা পাঠ।

৪৫৩. আবূ সালামাহ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রহ.) হতে বর্ণিত। হাসসান ইবনু সাবিত আনসারী (রাযি.) আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.)-কে আল্লাহর কসম দিয়ে এ কথার সাক্ষ্য চেয়ে বলেনঃ আপনি কি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে এ কথা বলতে শুনেছেন, হে হাস্সান! আল্লাহর রাসূল্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পক্ষ হতে (কবিতার মাধ্যমে মুশরিকদের) জবাব দাও। হে আল্লাহ! হাসসানকে রুহুল কুদুস (জিব্রীল) (‘আ.) দ্বারা সাহায্য কর। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) বললেনঃ হাঁ। (৩২১২, ৬১৫২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪০)

بَاب الشِّعْرِ فِي الْمَسْجِدِ

أَبُو الْيَمَانِ الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّهُ سَمِعَ حَسَّانَ بْنَ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيَّ يَسْتَشْهِدُ أَبَا هُرَيْرَةَ أَنْشُدُكَ اللهَ هَلْ سَمِعْتَ النَّبِيَّ يَقُولُ يَا حَسَّانُ أَجِبْ عَنْ رَسُولِ اللهِ اللَّهُمَّ أَيِّدْهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَعَمْ.


Narrated Hassan bin Thabit Al-Ansari: I asked Abu Huraira "By Allah! Tell me the truth whether you heard the Prophet (ﷺ) saying, 'O Hassan! Reply on behalf of Allah's Messenger (ﷺ). O Allah! Help him with the Holy Spirit." Abu Huraira said, "Yes . "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০/৪১. যারা উপস্থিত হয়েছে তাদের নিয়েই কি সালাত আদায় করবে এবং বৃষ্টির দিনে কি জুমু‘আহর খুতবাহ পড়বে?

৬৬৯. আবূ সালামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাযি.)-কে (লাইলাতুল কাদর সম্পর্কে) জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এক খন্ড মেঘ এসে এমনভাবে বর্ষণ শুরু করল যে, যার ফলে (মসজিদে নাববীর) ছাদ দিয়ে পানি পড়া শুরু হল। কেননা, (তখন মসজিদের) ছাদ ছিল খেজুরের ডালের তৈরি। এমন সময় সালাতের ইক্বামাত(ইকামত/একামত) দেয়া হলো, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে পানি ও কাদার উপর সিজদা্ করতে দেখলাম, এমন কি আমি তাঁর কপালেও কাদামাটির চিহ্ন দেখলাম। (৮১৩, ৮৩৬, ২০১৬, ২০১৮, ২০২৭, ২০৩৬, ২০৪০; মুসলিম ১৩/৪০ হাঃ ১১৬৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৩৬)

بَاب هَلْ يُصَلِّي الْإِمَامُ بِمَنْ حَضَرَ وَهَلْ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِي الْمَطَرِ

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ سَأَلْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ فَقَالَ جَاءَتْ سَحَابَةٌ فَمَطَرَتْ حَتَّى سَالَ السَّقْفُ وَكَانَ مِنْ جَرِيدِ النَّخْلِ فَأُقِيمَتْ الصَّلاَةُ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَسْجُدُ فِي الْمَاءِ وَالطِّينِ حَتَّى رَأَيْتُ أَثَرَ الطِّينِ فِي جَبْهَتِهِ.


Narrated Abu Sa`id Al-Khudri: A cloud came and it rained till the roof started leaking and in those days the roof used to be of the branches of date-palms. Iqama was pronounced and I saw Allah's Messenger (ﷺ)s prostrating in water and mud and even I saw the mark of mud on his forehead.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০/১১৫. রুকূ‘তে তাকবীর পূর্ণভাবে বলা।

৭৮৫. আবূ সালামাহ ... আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, তিনি তাদের সঙ্গে সালাত আদায় করতেন এবং প্রতিবার উঠা বসার সময় তাকবীর বলতেন। সালাত শেষ করে তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে আমার সালাতই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাতের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। (৭৮৯, ৭৯৫, ৮০৩ মুসলিম ৪/১০, হাঃ ৩৯২ আহমাদ ৮২২৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪৯)

بَاب إِتْمَامِ التَّكْبِيرِ فِي الرُّكُوعِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي بِهِمْ، فَيُكَبِّرُ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ، فَإِذَا انْصَرَفَ قَالَ إِنِّي لأَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏


Narrated Abu Salama: When Abu Huraira led us in prayer he used to say Takbir on each bowing and rising. On the completion of the prayer he used to say, "My prayer is more similar to the prayer of Allah's Messenger (ﷺ) than that of anyone of you."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০/১৩৫. নাক দ্বারা কাদামাটির উপর সিজদা্ করা।

৮১৩. আবূ সালামাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাযি.)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, আমাদের সঙ্গে খেজুর বাগানে চলুন, (হাদীস সংক্রান্ত) আলাপ আলোচনা করব। তিনি বেরিয়ে আসলেন। আবূ সালামাহ (রাযি.) বলেন, আমি তাকে বললাম, ‘লাইলাতুল কাদর’ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে যা শুনেছেন, তা আমার নিকট বর্ণনা করুন। তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযানের প্রথম দশ দিন ‘ইতিকাফ করলেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে ই’তিকাফ করলাম। জিবরীল (‘আ.) এসে বললেন, আপনি যা তালাশ করছেন, তা আপনার সামনে রয়েছে। অতঃপর তিনি মধ্যবর্তী দশদিন ই‘তিকাফ করলেন, আমরাও তাঁর সঙ্গে ই‘তিকাফ করলাম। পুনরায় জিবরীল (‘আ.) এসে বললেন, আপনি যা তালাশ করছেন, তা আপনার সামনে রয়েছে। অতঃপর রমাযানের বিশ তারিখ সকালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুত্বা দিতে দাঁড়িয়ে বললেন, যারা আল্লাহর নবীর সঙ্গে ই‘তিকাফ করেছেন, তারা যেন ফিরে আসেন (আবার ই‘তিকাফ করেন) কেননা, আমাকে স্বপ্নে লাইলাতুল কাদ্র’ অবগত করানো হয়েছে। তবে আমাকে তা (নির্ধারিত তারিখটি) ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। নিঃসন্দেহে তা শেষ দশ দিনের কোন এক বেজোড় তারিখে। স্বপ্নে দেখলাম যেন আমি কাদা ও পানির উপর সিজদা্ করছি। তখন মসজিদের ছাদ খেজুরের ডাল দ্বারা নির্মিত ছিল। আমরা আকাশে কোন কিছুই (মেঘ) দেখিনি, একখন্ড হালকা মেঘ আসল এবং আমাদের উপর (বৃষ্টি) বর্ষিত হল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। এমন কি আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কপাল ও নাকের অগ্রভাগে পানি ও কাদার চিহ্ন দেখতে পেলাম। এভাবেই তাঁর স্বপ্ন সত্যে রূপ লাভ করল। (৬৬৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৭৬)

بَاب السُّجُودِ عَلَى الْأَنْفِ وَالسُّجُودِ عَلَى الطِّينِ.

حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ انْطَلَقْتُ إِلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فَقُلْتُ أَلاَ تَخْرُجُ بِنَا إِلَى النَّخْلِ نَتَحَدَّثْ فَخَرَجَ‏.‏ فَقَالَ قُلْتُ حَدِّثْنِي مَا، سَمِعْتَ مِنَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ‏.‏ قَالَ اعْتَكَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَشْرَ الأُوَلِ مِنْ رَمَضَانَ، وَاعْتَكَفْنَا مَعَهُ، فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ فَقَالَ إِنَّ الَّذِي تَطْلُبُ أَمَامَكَ‏.‏ فَاعْتَكَفَ الْعَشْرَ الأَوْسَطَ، فَاعْتَكَفْنَا مَعَهُ، فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ فَقَالَ إِنَّ الَّذِي تَطْلُبُ أَمَامَكَ‏.‏ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَطِيبًا صَبِيحَةَ عِشْرِينَ مِنْ رَمَضَانَ فَقَالَ ‏ "‏ مَنْ كَانَ اعْتَكَفَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلْيَرْجِعْ، فَإِنِّي أُرِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ، وَإِنِّي نُسِّيتُهَا، وَإِنَّهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ فِي وِتْرٍ، وَإِنِّي رَأَيْتُ كَأَنِّي أَسْجُدُ فِي طِينٍ وَمَاءٍ ‏"‏‏.‏ وَكَانَ سَقْفُ الْمَسْجِدِ جَرِيدَ النَّخْلِ وَمَا نَرَى فِي السَّمَاءِ شَيْئًا، فَجَاءَتْ قَزْعَةٌ فَأُمْطِرْنَا، فَصَلَّى بِنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى رَأَيْتُ أَثَرَ الطِّينِ وَالْمَاءِ عَلَى جَبْهَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَرْنَبَتِهِ تَصْدِيقَ رُؤْيَاهُ‏.‏


Narrated Abu Salama: Once I went to Abu- Sa`id Al-Khudri and asked him, "Won't you come with us to the date-palm trees to have a talk?" So Abu Sa`id went out and I asked him, "Tell me what you heard from the Prophet (ﷺ) about the Night of Qadr." Abu Sa`id replied, "Once Allah's Messenger (ﷺ) performed I`tikaf (seclusion) on the first ten days of the month of Ramadan and we did the same with him. Gabriel came to him and said, 'The night you are looking for is ahead of you.' So the Prophet (ﷺ) performed the I`tikaf in the middle (second) ten days of the month of Ramadan and we too performed I`tikaf with him. Gabriel came to him and said, 'The night which you are looking for is ahead of you.' In the morning of the 20th of Ramadan the Prophet (ﷺ) delivered a sermon saying, 'Whoever has performed I`tikaf with me should continue it. I have been shown the Night of "Qadr", but have forgotten its date, but it is in the odd nights of the last ten nights. I saw in my dream that I was prostrating in mud and water.' In those days the roof of the mosque was made of branches of date-palm trees. At that time the sky was clear and no cloud was visible, but suddenly a cloud came and it rained. The Prophet (ﷺ) led us in the prayer and I saw the traces of mud on the forehead and on the nose of Allah's Messenger (ﷺ). So it was the confirmation of that dream."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০/১৫১. সালাত সমাপ্ত হওয়া অবধি যিনি কপাল ও নাকের ধূলাবালি মোছেননি।

قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ رَأَيْتُ الْحُمَيْدِيَّ يَحْتَجُّ بِهَذَا الْحَدِيثِ أَنْ لاَ يَمْسَحَ الْجَبْهَةَ فِي الصَّلاَةِ.

আবূ ‘আবদুল্লাহ্ (রহ.) বলেন, আমি হুমাইদী (রহ.)-কে দেখেছি যে, সালাত শেষ হবার পূর্বে কপাল না মুছার ব্যাপারে এ হাদীস দিয়ে দলিল পেশ করতেন।



৮৩৬. আবূ সালামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সায়ীদ খুদরী (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে পানি ও কাদার মধ্যে সিজদা্ করতে দেখেছি। এমন কি তাঁর কপালে কাদামাটির চিহ্ন লেগে থাকতে দেখেছি। (৬৬৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৯৭)

بَاب مَنْ لَمْ يَمْسَحْ جَبْهَتَهُ وَأَنْفَهُ حَتَّى صَلَّى

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ سَأَلْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ فَقَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَسْجُدُ فِي الْمَاءِ وَالطِّينِ حَتَّى رَأَيْتُ أَثَرَ الطِّينِ فِي جَبْهَتِهِ.


Narrated Abu Sa`id Al-Khudri: I saw Allah's Messenger (ﷺ) prostrating in mud and water and saw the mark of mud on his forehead.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭/৭. সূরাহ্ ‘ইযাস্ সামাউন্ শাক্কাত’-এর সিজদা্।

১০৭৪. আবূ সালামাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.)-কে দেখলাম, তিনি إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ সূরাহ্ তিলাওয়াত করলেন এবং সিজদা্ করলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আবূ হুরাইরাহ্! আমি কি আপনাকে সিজদা্ করতে দেখিনি? তিনি বললেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে সিজদা্ করতে না দেখলে সিজদা্ করতাম না। (৭৬৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০১৩)

بَاب سَجْدَةِ إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ

حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، وَمُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، قَالاَ أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ رَأَيْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَرَأَ ‏(‏إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ‏)‏ فَسَجَدَ بِهَا فَقُلْتُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، أَلَمْ أَرَكَ تَسْجُدُ قَالَ لَوْ لَمْ أَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَسْجُدُ لَمْ أَسْجُدْ‏.‏


Narrated Abu Salma: I saw Abu Huraira reciting Idha-Sama' un-Shaqqat and he prostrated during its recitation. I asked Abu Huraira, "Didn't I see you prostrating?" Abu Huraira said, "Had I not seen the Prophet (ﷺ) prostrating, I would not have prostrated."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩/৩. কাফন পরানোর পর মৃত ব্যক্তির নিকট গমন করা

১২৪১-১২৪২. আবূ সালামাহ (রহ.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী ’আয়িশাহ্ (রাযি.) আমাকে বলেছেন, (রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মৃত্যুর খবর পেয়ে) আবূ বকর (রাঃ) ’সুন্হ’-এ অবস্থিত তাঁর বাড়ি হতে ঘোড়ায় চড়ে চলে এলেন এবং নেমে মসজিদে প্রবেশ করলেন। সেখানে লোকজনের সঙ্গে কোন কথা না বলে ’আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর ঘরে প্রবেশ করে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দিকে অগ্রসর হলেন। তখন তিনি একখানি ’হিবারাহ’ ইয়ামানী চাদরে আবৃত ছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মুখমণ্ডল উন্মুক্ত করে তাঁর উপর ঝুকে পড়লেন এবং চুমু খেলেন, অতঃপর ক্রন্দন করতে লাগলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর নবী! আমার পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক! আল্লাহ্ আপনার জন্য দুই মৃত্যু একত্র করবেন না। তবে যে মৃত্যু আপনার জন্য অবধারিত ছিল তা তো আপনি ক্ববূল করেছেন।

قَالَ أَبُو سَلَمَةَ فَأَخْبَرَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ tخَرَجَ وَعُمَرُ tيُكَلِّمُ النَّاسَ فَقَالَ اجْلِسْ فَأَبَى فَقَالَ اجْلِسْ فَأَبَى فَتَشَهَّدَ أَبُو بَكْرٍ tفَمَالَ إِلَيْهِ النَّاسُ وَتَرَكُوا عُمَرَ فَقَالَ أَمَّا بَعْدُ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللهَ فَإِنَّ اللهَ حَيٌّ لاَ يَمُوتُ قَالَ اللهُ تَعَالَى (وَمَا مُحَمَّدٌ إِلاَّ رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ إِلَى الشَّاكِرِينَ) وَاللهِ لَكَأَنَّ النَّاسَ لَمْ يَكُونُوا يَعْلَمُونَ أَنَّ اللهَ أَنْزَلَهَا حَتَّى تَلاَهَا أَبُو بَكْرٍ tفَتَلَقَّاهَا مِنْهُ النَّاسُ فَمَا يُسْمَعُ بَشَرٌ إِلاَّ يَتْلُوهَا

আবূ সালামাহ (রহ.) বলেন, ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) আমাকে খবর দিয়েছেন যে, (তারপর) আবূ বকর (রাঃ) বাহিরে এলেন। তখন ’উমার (রাঃ) লোকজনের সাথে বাক্যালাপ করছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে বললেন, বসে পড়ুন। তিনি তা মানলেন না। আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে বললেন, বসে পড়ুন, তিনি তা মানলেন না। তখন আবূ বকর (রাঃ) কালিমা-ই-শাহাদাতের দ্বারা (বক্তব্য) আরম্ভ করলেন। লোকেরা ’উমার (রাঃ)-কে ছেড়ে তাঁর দিকে আকৃষ্ট হন। আবূ বকর (রাঃ) বললেন.....আম্মা বা’দু, তোমাদের মাঝে যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ইবাদাত করতে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্যই মারা গেছেন। আর যারা মহান আল্লাহ্‌র ইবাদাত করতে, নিশ্চয় আল্লাহ্ চিরঞ্জীব, অমর। মহান আল্লাহ্ ইরশাদ করেনঃ (যার অর্থ) মুহাম্মাদ একজন রাসূল মাত্র আর কিছু নন। তার পূর্বেও অনেক রাসূল চলে গেছেন। অতএব যদি তিনি মারা যান অথবা নিহত হন তাহলে কি তোমরা পায়ের গোড়ালিতে ভর করে পেছনে ফিরে যাবে? আর যদি কেউ সেরূপ পেছনে ফিরেও যায়, তবে সে কখনও আল্লাহর বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ অতি সত্বর কৃতজ্ঞদের পুরস্কার দিবেন- (আলু-’ইমরানঃ ১৪৪)। আল্লাহ্‌র কসম, মনে হচ্ছিল যেন আবূ বকর (রাঃ)-এর তিলাওয়াত করার পূর্বে লোকদের জানাই ছিল না যে, আল্লাহ্ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করেছেন। এখনই যেন লোকেরা আয়াতখানি তার কাছ থেকে পেলেন। প্রতিটি মানুষকেই তখন ঐ আয়াত তিলাওয়াত করতে শোনা গেল। (১২৪১=৩৬৬৮, ৩৬৬৯, ৪৪৫২, ৪৪৫৫, ৫৭১০) (১২৪২-৩৬৬৮, ৩৬৭০, ৪৪৫৩, ৪৪৫৪, ৪৪৫৭, ৫৭১১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৬৯)

بَاب الدُّخُولِ عَلَى الْمَيِّتِ بَعْدَ الْمَوْتِ إِذَا أُدْرِجَ فِي أَكْفَانِهِ

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ قَالَ أَخْبَرَنِي مَعْمَرٌ وَيُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ قَالَتْ أَقْبَلَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى فَرَسِهِ مِنْ مَسْكَنِهِ بِالسُّنْحِ حَتَّى نَزَلَ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ فَلَمْ يُكَلِّمْ النَّاسَ حَتَّى دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ فَتَيَمَّمَ النَّبِيَّ وَهُوَ مُسَجًّى بِبُرْدِ حِبَرَةٍ فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ ثُمَّ أَكَبَّ عَلَيْهِ فَقَبَّلَهُ ثُمَّ بَكَى فَقَالَ بِأَبِي أَنْتَ يَا نَبِيَّ اللهِ لاَ يَجْمَعُ اللهُ عَلَيْكَ مَوْتَتَيْنِ أَمَّا الْمَوْتَةُ الَّتِي صلى الله عليه وسلم كُتِبَتْ عَلَيْكَ فَقَدْ مُتَّهَا


Narrated `Aisha: Abu Bakr came riding his horse from his dwelling place in As-Sunh. He got down from it, entered the Mosque and did not speak with anybody till he came to me and went direct to the Prophet, who was covered with a marked blanket. Abu Bakr uncovered his face. He knelt down and kissed him and then started weeping and said, "My father and my mother be sacrificed for you, O Allah's Prophet! Allah will not combine two deaths on you. You have died the death which was written for you." Narrated Abu Salama from Ibn `Abbas : Abu Bakr came out and `Umar , was addressing the people, and Abu Bakr told him to sit down but `Umar refused. Abu Bakr again told him to sit down but `Umar again refused. Then Abu Bakr recited the Tashah-hud (i.e. none has the right to be worshipped but Allah and Muhammad is Allah's Messenger (ﷺ)) and the people attended to Abu Bakr and left `Umar. Abu Bakr said, "Amma ba'du, whoever amongst you worshipped Muhammad, then Muhammad is dead, but whoever worshipped Allah, Allah is alive and will never die. Allah said: 'Muhammad is no more than an Apostle and indeed (many) Apostles have passed away before him ..(up to the) grateful.' " (3.144) (The narrator added, "By Allah, it was as if the people never knew that Allah had revealed this verse before till Abu Bakr recited it and then whoever heard it, started reciting it.")


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩/৩. কাফন পরানোর পর মৃত ব্যক্তির নিকট গমন করা

১২৪১ নম্বর হাদিস দেখুন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৬/১৩. কোন ব্যক্তি কারো জমির কিছু অংশ ছিনিয়ে নেয় অথবা জুলুম করে নিয়ে নেয় তার গুনাহ।

২৪৫৩. আবূ সালামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন যে, তাঁর এবং কয়েকজন লোকের মধ্যে একটি বিবাদ ছিল। ‘আয়িশাহ (রাযি.)-এর কাছে উল্লেখ করা হলে তিনি বললেন, হে আবূ সালামাহ! জমির ব্যাপারে সতর্ক থাক। কেননা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এক বিঘত জমি অন্যায়ভাবে নিয়ে নেয়, (কিয়ামতের দিন) এর সাত তবক জমি তার গলায় লটকিয়ে দেয়া হবে। (৩১৯৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৯১)

بَاب إِثْمِ مَنْ ظَلَمَ شَيْئًا مِنْ الأَرْضِ

حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ حَدَّثَهُ أَنَّهُ كَانَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أُنَاسٍ خُصُومَةٌ فَذَكَرَ لِعَائِشَةَ فَقَالَتْ يَا أَبَا سَلَمَةَ اجْتَنِبْ الأَرْضَ فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ ظَلَمَ قِيدَ شِبْرٍ مِنْ الأَرْضِ طُوِّقَهُ مِنْ سَبْعِ أَرَضِينَ


Narrated Abu Salama: That there was a dispute between him and some people (about a piece of land). When he told `Aisha about it, she said, "O Abu Salama! Avoid taking the land unjustly, for the Prophet (ﷺ) said, 'Whoever usurps even one span of the land of somebody, his neck will be encircled with it down the seven earths."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. ইলম অন্বেষণের জন্য সফর করা এবং এতে পরিশ্রম-কষ্ট সহ্য করা

৫৮৭. আবু সালামাহ বলেন: আমি যদি ইবনু আব্বাসের সাথী হতে পারতাম, তবে অবশ্যই আমি তার নিকট হতে অনেক ইলম লাভ করতে পারতাম।[1]

بَابُ الرِّحْلَةِ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ، وَاحْتِمَالِ الْعَنَاءِ فِيهِ

أَخْبَرَنَا أَبُو مَعْمَرٍ إِسْمَعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ لَوْ رَفَقْتُ بِابْنِ عَبَّاسٍ لَأَصَبْتُ مِنْهُ عِلْمًا كَثِيرًا
إسناده صحيح


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়

৯৩১. আবু সালামাহ থেকে বর্ণিত, উম্মু হাবীবাহ বিনতে জাহশ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা’র রক্ত প্রবাহিত হতে শুরু করলে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। তখন তিনি তাকে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করতে এবং সালাত আদায় করতে আদেশ করলেন।[1]

بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ وَوَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ عَنْ هِشَامٍ صَاحِبِ الدَّسْتَوَائِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ قَالَ وَهْبٌ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ كَانَتْ تُهَرَاقُ الدَّمَ وَأَنَّهَا سَأَلَتْ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَاكَ فَأَمَرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَتُصَلِّيَ


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পবিত্র স্ত্রীগণের মর্যাদা

৬১৮৭-[৪] আবূ সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, (একদিন) রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেছেন, হে ’আয়িশাহ্! এই যে জিবরীল (আঃ) তোমাকে সালাম বলেছেন। আয়িশাহ্ (রাঃ) (জবাবে) বললেন, তাঁর ওপরও সালাম এবং আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, যা আমি দেখতে পাই না, তিনি [অর্থাৎ আল্লাহর রাসূল (সা.)] তা দেখতে পান। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَابُ مَنَاقِبِ أَزْوَاجِ)

وَعَن أبي سَلمَة أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا عَائِشُ هَذَا جِبْرِيلُ يُقْرِئُكِ السَّلَامَ» . قَالَتْ: وَعَلَيْهِ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ. قَالَتْ: وَهُوَ يَرَى مَا لَا أَرَى مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (3768) و مسلم (90 / 2447)، (6301) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

ব্যাখ্যা: এ হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর চেয়ে খাদীজাহ্ (রাঃ)-এর মর্যাদা বেশি। কেননা খাদীজাহ্ (রাঃ)-কে জিবরীল আলাহিস সালাম জানিয়েছেন তার রবের পক্ষ থেকে। আর ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে সালাম জানিয়েছেন জিবরীল (আঃ) নিজের পক্ষ থেকে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ৭ম খণ্ড, ১২৩ পৃ., হা. ৩৭৬৮)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১১. মুস্তাহাযার প্রতি ওয়াক্ত সালাতের জন্য গোসল করা প্রসঙ্গে

২৯৩। আবূ সালামাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়নাব বিনতু আবূ সালামাহ আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেন, জনৈক মহিলার রক্তস্রাব হত। উক্ত মহিলা ছিলেন ’আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ (রাঃ)-এর স্ত্রী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করে সালাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন। [1]

সহীহ।

وَأَخْبَرَنِي أَنَّ أُمَّ بَكْرٍ أَخْبَرَتْهُ، أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ : إِنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي الْمَرْأَةِ تَرَى مَا يَرِيبُهَا بَعْدَ الطُّهْرِ ‏"‏ إِنَّمَا هِيَ - أَوْ قَالَ : إِنَّمَا هُوَ - عِرْقٌ أَوْ قَالَ : عُرُوقٌ ‏"‏ ‏.‏

- صحيح .

আবূ সালামাহ (রহঃ) বলেন, উম্মু বাকর আমাকে অবহিত করেছেন, ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহিলারা পবিত্র হওয়ার পরও এমন রক্ত দেখে থাকে যা তাকে সন্দেহে ফেলে দেয় (কিন্তু তা হায়িয নয়, বরং) ওটা হচ্ছে শিরা বা শিরাসমূহ থেকে নির্গত রক্ত বিশেষ।

সহীহ।

قَالَ أَبُو دَاوُدَ : وَفِي حَدِيثِ ابْنِ عَقِيلٍ الأَمْرَانِ جَمِيعًا وَقَالَ ‏"‏ إِنْ قَوِيتِ فَاغْتَسِلِي لِكُلِّ صَلَاةٍ وَإِلَّا فَاجْمَعِي ‏"‏ ‏.

- صحيح .

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইবনু ’আক্বীলের বর্ণনায় দু’টি বিষয়ই উল্লে­খ রয়েছে। তিনি বলেছেনঃ (এক) তোমার পক্ষে সম্ভব হলে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করবে। (দুই) অন্যথায় দুই-দুই ওয়াক্তের সালাত একত্রে আদায় করবে।

সহীহ।

كَمَا قَالَ الْقَاسِمُ : فِي حَدِيثِهِ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْقَوْلُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَلِيٍّ، وَابْنِ عَبَّاسٍ رضى الله عنهما ‏.‏

- صحيح .

যেরূপ কাসিম তার হাদীসে বর্ণনা করেছেন। এটা বর্ণিত আছে সাঈদ ইবনু যুবাইর হতে, যা তিনি ’আলী ও ইবনু ’আব্বাস রাযিয়াল্লাহু ’আনহুমা সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

সহীহ।

باب مَنْ رَوَى أَنَّ الْمُسْتَحَاضَةَ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ أَبِي الْحَجَّاجِ أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ أَخْبَرَتْنِي زَيْنَبُ بِنْتُ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ امْرَأَةً، كَانَتْ تُةاقُ الدَّمَ - وَكَانَتْ تَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ - أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَتُصَلِّيَ
- صحيح


Narrated Zaynab daughter of AbuSalamah: AbuSalamah said: Zaynab daughter of AbuSalamah reported to me that a woman had a copious flow of blood. She was the wife of AbdurRahman ibn Awf. The Messenger of Allah (ﷺ) commanded her to take a bath at the time of every prayer, and then to pray. He reported to me that Umm Bakr told him that Aisha said: The Messenger of Allah (ﷺ) said about a woman who was doubtful of her menstruation after purification that it was a vein or veins. Abu Dawud said: The two commands (of which the Prophet gave option) were as follows in the version reported by Ibn 'Aqil: He said: If you are strong enough, then take a bath for every prayer; otherwise combine the (two prayers), as al-Qasim reported in his version. This statement was also narrated by Sa'id b. Jubair from 'Ali and Ibn 'Abbas.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪. নামাযের আরম্ভ

রেওয়ায়ত ১৯. আবি সালমা ইবন আবদুর রহমান ইবন আওফ (রহঃ) বর্ণনা করিয়াছেন, আবু হুরায়রা (রাঃ) তাহাদের (শিক্ষাদানের) উদ্দেশ্যে নামায পড়িতেন এবং তিনি যতবার নিচের দিকে ঝুঁকিতেন ও মাথা উপরে তুলিতেন ততবার তকবীর (আল্লাহু আকবার) বলতেন। নামায শেষ করার পর তিনি বলিতেনঃ তোমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামাযের সঙ্গে আমি অধিকতর সামঞ্জস্য-রক্ষাকরী।

بَاب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يُصَلِّي لَهُمْ فَيُكَبِّرُ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ فَإِذَا انْصَرَفَ قَالَ وَاللَّهِ إِنِّي لَأَشْبَهُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Abu Salama ibn Abdar-Rahman ibn Awf that Abu Hurayra used to lead them in prayer and would say "Allah is greater" whenever he lowered himself and raised himself. When he had finished he would say, "By Allah, I am the person whose prayer most resembles the prayer of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২. নবী (ﷺ)-এর বিতরের নামাযের বর্ণনা

রেওয়ায়ত ৯. আবূ সালমা ইবন আবদুর রহমান ইবন আউফ (রহঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করিয়াছেনঃ রমযানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামায কেমন হইত? (উত্তরে) তিনি বলিলেনঃ রমযান কি গাইর-রমযান রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (রাত্রির নামায) এগার রাকাআতের উপর বর্ধিত করিতেন না। তিনি চারি রাকাআত পড়িতেন, তুমি উহার দৈর্ঘ ও সৌন্দর্য সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করিও না। অতঃপর চারি রাকাআত পড়িতেন, তুমি উহার দৈর্ঘ ও সৌন্দর্য সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করিও না। অতঃপর তিন রাকাআত পড়িতেন।

আয়েশা (রাঃ) বলিলেনঃ অতঃপর আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল, আপনি যে বিতরের পূর্বে ঘুমান? (উত্তরে) তিনি ফরমাইলেনঃ হে আয়েশা, (মনে রাখিও) আমর চক্ষুদ্ৰয় ঘুমায় বটে কিন্তু আমার অন্তর ঘুমায় না।

بَاب صَلَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْوِتْرِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ كَانَتْ صَلَاةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ فَقَالَتْ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلَا فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلَا تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلَا تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي ثَلَاثًا فَقَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ فَقَالَ يَا عَائِشَةُ إِنَّ عَيْنَيَّ تَنَامَانِ وَلَا يَنَامُ قَلْبِي


Yahya related to me from Malik from Said ibn Abi Said al-Maqburi from Abu Salama ibn Abd ar-Rahman ibn Awf that he asked A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, what the prayer of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, was like during Ramadan. She said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, did not go above eleven rakas in Ramadan or at any other time. He prayed four - do not ask me about their beauty or length. Then he prayed another four - do not ask me about their beauty and length. Then he prayed three." A'isha continued, "I said, 'Messenger of Allah, are you sleeping before you do the witr?' He said, A'isha, my eyes sleep but my heart does not sleep.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. ফজরের দুই রাক’আত (সুন্নত নামায)-এর বর্ণনা

রেওয়ায়ত ৩১. আবূ সালমা ইবন আবদুর রহমান ইবন আউফ (রহঃ) বলিয়াছেনঃ এক সম্প্রদায় ইকামত শুনিলেন, (শোনার পর) তাহারা (ফজরের সুন্নত) নামায পড়িতে দাঁড়াইয়া গেলেন। এমন সময়ে তাহাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগমন করিলেন। তিনি (ইহা দেখিয়া) বলিলেনঃ দুই নামায এক সঙ্গে! দুই নামায এক সঙ্গে! ইহা ফজরের নামাযের ঘটনা, ফজরের পূর্বের দুই রাকাআত সম্পর্কে ইহা বলা হইয়াছে।

بَاب مَا جَاءَ فِي رَكْعَتَيْ الْفَجْرِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ قَالَ سَمِعَ قَوْمٌ الْإِقَامَةَ فَقَامُوا يُصَلُّونَ فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَصَلَاتَانِ مَعًا أَصَلَاتَانِ مَعًا وَذَلِكَ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ فِي الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ قَبْلَ الصُّبْحِ


Yahya related to me from Malik from Sharik ibn Abdullah ibn Abi Namir that Abu Salama ibn Abd ar-Rahman said, "Some people heard the iqama and started to pray. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, came out and said, 'Are you doing two prayers at the same time? Are you doing two prayers at the same time?' That was about the subh prayer and the two rakas before subh."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২. পরিবর্তিত পানির হুকুম

৫৮(১৮). আবু বাকরআশ-শাফিঈ (রহঃ) ... আবু সালামা ও ইয়াহইয়া ইবনে আবদুর ইবনে হাতেব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। উমার (রাঃ) ও আমর ইবনুল আস (রাঃ) একটি কূপের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমর (রাঃ) বললেন, হে কূপের মালিক! তোমার কূপে কি এসব হিংস্র পশু পানি পান করে? উমার (রাঃ) বলেন, হে কূপের মালিক! তুমি আমাদেরকে অবহিত করো না। কেননা আমরা কখনো হিংস্র পশুর আগে আসি, আবার কখনো হিংস্র পশু আমাদের আগে আসে।

بَابُ الْمَاءِ الْمُتَغَيِّرِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الشَّافِعِيُّ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ شَاذَانَ ، نَا الْمُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ ، نَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ ، نَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ ، وَيَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ ، أَنَّ عُمَرَ ، وَعَمْرَو بْنَ الْعَاصِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا مَرَّا بِحَوْضٍ ، فَقَالَ عَمْرٌو : يَا صَاحِبَ الْحَوْضِ ، أَتَرِدُ عَلَى حَوْضِكَ هَذَا السِّبَاعُ ، فَقَالَ عُمَرُ : يَا صَاحِبَ الْحَوْضِ ، لَا تُخْبِرْنَا ؛ فَإِنَّا نَرِدُ عَلَى السِّبَاعِ وَتَرِدُ عَلَيْنَا


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »