সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৭৩

পরিচ্ছেদঃ ১. ওযু ও সালাত ফরয হওয়া সম্পর্কে

৬৭৩. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আগবাড়িয়ে (প্রশ্ন করা) থেকে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিলো, তখন কোনো মরুবাসী ও বুদ্ধিমান বেদুঈন এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করলে তাতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হতাম। (একদিন) আমরা তাঁর নিকট বসে ছিলাম, এমতাবস্থায় তেমনি একটি ঘটনা ঘটলো। এক বেদু’ঈন এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো। তারপর সে বললো: হে মুহাম্মদ, আপনার দূত আমাদের নিকট এসে দাবী করেছিলো যে, আপনার নাকি বলেন, আল্লাহ আপনাকে (রাসূল) হিসেবে পাঠিয়েছেন?

তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “সে সত্যই বলেছে”। বেদুঈন লোকটি বললো: সেই সত্তার কসম, যিনি আসমানকে সুউচ্চ করেছেন এবং ভূমিকে বিস্তৃত করেছেন এবং পাহাড়সমূহকে প্রোথিত করেছেন! আল্লাহই কি আপনাকে পাঠিয়েছেন? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “হাঁ।”

সে বললো: আপনার দূত আমাদের নিকট এসে দাবী করেছিলো যে, আপনার নাকি বলেন: আমাদের উপর নাকি দিনে ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হয়েছে? তখন উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “সে সত্যই বলেছে।”

সে বললো: সেই সত্তার কসম (দিয়ে আপনাকে জিজ্ঞেস করছি), যিনি আপনাকে পাঠিয়েছেন! আল্লাহই কি আপনাকে এ আদেশ করেছেন? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “হাঁ।”

সে বললো: আপনার দূত আমাদের নিকট এসে দাবী করেছিলো যে, আপনার নাকি বলেন: বছরে একমাস সিয়াম পালন করা নাকি আমাদের উপর ফরয করা হয়েছে? তখন উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “সে সত্যই বলেছে।”

সে বললো: সেই সত্তার কসম (দিয়ে আপনাকে জিজ্ঞেস করছি), যিনি আপনাকে পাঠিয়েছেন! আল্লাহই কি আপনাকে এর আদেশ দিয়েছেন? তখন তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: “হাঁ।”

সে বললো: আপনার দূত আমাদের নিকট এসে দাবী করেছিলো যে, আপনার নাকি বলেন: আমাদের মাল-সম্পদ থেকে যাকাত দেওয়া নাকি আমাদের উপর ফরয করা হয়েছে? তখন উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “সে সত্যই বলেছে।”

সে বললো: সেই সত্তার কসম (দিয়ে আপনাকে জিজ্ঞেস করছি), যিনি আপনাকে পাঠিয়েছেন! আল্লাহই কি আপনাকে এর আদেশ দিয়েছেন? তখন তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: “হাঁ।”

সে বললো: আপনার দূত আমাদের নিকট এসে দাবী করেছিলো যে, আপনি নাকি বলেন: আমাদের মধ্যে থেকে বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছাতে সামর্থবানদের উপর বায়তুল্লাহ’র হাজ্জ্ব পালন করা নাকি ফরয করা হয়েছে? তখন উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “সে সত্যই বলেছে।”

সে বললো: সেই সত্তার কসম (দিয়ে আপনাকে জিজ্ঞেস করছি), যিনি আপনাকে পাঠিয়েছেন! আল্লাহই কি আপনাকে এর আদেশ দিয়েছেন? তখন তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: “হাঁ।”

সে বললো: তাহলে সেই সত্তার কসম যিনি আপনাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন! আমি এর থেকে কোনো কিছু ছেড়েও দিব না, আবার এর থেকে কোনো কিছু অতিরিক্তও করব না।” তিনি (আনাস রা:) বলেন: এরপর বেদুঈন লোকটি লাফাতে লাফাতে দৌড় দিলো। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন: “বেদুঈন লোকটি যদি সত্য বলে থাকে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”[1]

بَاب فَرْضِ الْوُضُوءِ وَالصَّلَاةِ

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ لَمَّا نُهِينَا أَنْ نَبْتَدِئَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعْجِبُنَا أَنْ يَقْدُمَ الْبَدَوِيُّ وَالْأَعْرَابِيُّ الْعَاقِلُ فَيَسْأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ عِنْدَهُ فَبَيْنَا نَحْنُ كَذَلِكَ إِذْ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ فَجَثَا بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّ رَسُولَكَ أَتَانَا فَزَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ قَالَ فَبِالَّذِي رَفَعَ السَّمَاءَ وَبَسَطَ الْأَرْضَ وَنَصَبَ الْجِبَالَ آللَّهُ أَرْسَلَكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا صَوْمَ شَهْرٍ فِي السَّنَةِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا قَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا فِي أَمْوَالِنَا الزَّكَاةَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا الْحَجَّ إِلَى الْبَيْتِ مَنْ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ قَالَ فَوَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَدَعُ مِنْهُنَّ شَيْئًا وَلَا أُجَاوِزُهُنَّ قَالَ ثُمَّ وَثَبَ الْأَعْرَابِيُّ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ صَدَقَ الْأَعْرَابِيُّ دَخَلَ الْجَنَّةَ

إسناده صحيح والحديث متفق عليه

اخبرنا علي بن عبد الحميد حدثنا سليمان بن المغيرة عن ثابت عن انس بن مالك قال لما نهينا ان نبتدى النبي صلى الله عليه وسلم كان يعجبنا ان يقدم البدوي والاعرابي العاقل فيسال النبي صلى الله عليه وسلم ونحن عنده فبينا نحن كذلك اذ جاء اعرابي فجثا بين يدي رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا محمد ان رسولك اتانا فزعم لنا انك تزعم ان الله ارسلك فقال النبي صلى الله عليه وسلم صدق قال فبالذي رفع السماء وبسط الارض ونصب الجبال الله ارسلك فقال النبي صلى الله عليه وسلم نعم قال فان رسولك زعم لنا انك تزعم ان علينا خمس صلوات في اليوم والليلة فقال النبي صلى الله عليه وسلم صدق قال فبالذي ارسلك الله امرك بهذا فقال النبي صلى الله عليه وسلم نعم قال فان رسولك زعم لنا انك تزعم ان علينا صوم شهر في السنة فقال النبي صلى الله عليه وسلم صدق قال فبالذي ارسلك الله امرك بهذا قال نعم قال فان رسولك زعم لنا انك تزعم ان علينا في اموالنا الزكاة فقال النبي صلى الله عليه وسلم صدق قال فبالذي ارسلك الله امرك بهذا فقال النبي صلى الله عليه وسلم نعم قال فان رسولك زعم لنا انك تزعم ان علينا الحج الى البيت من استطاع اليه سبيلا فقال النبي صلى الله عليه وسلم صدق قال فبالذي ارسلك الله امرك بهذا قال النبي صلى الله عليه وسلم نعم قال فوالذي بعثك بالحق لا ادع منهن شيىا ولا اجاوزهن قال ثم وثب الاعرابي فقال النبي صلى الله عليه وسلم ان صدق الاعرابي دخل الجنة اسناده صحيح والحديث متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৭৪

পরিচ্ছেদঃ ১. ওযু ও সালাত ফরয হওয়া সম্পর্কে

৬৭৪. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: (একদা) এক বেদু’ঈন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বললো: হে বনী আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র! ’আস-সালামু আলাইকা’ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)। তখন তিনি বললেন: “ওয়া আলাইকা (তোমার উপরও)।”

লোকটি বললো: আমি আপনার মাতুল বংশ বনী সা’দ ইবনু বাকর গোত্রের এক ব্যক্তি। আর আমি আমার গোত্রের দূত ও প্রতিনিধি হিসেবে আপনার নিকট এসেছি। আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করব এবং সে প্রশ্ন করার ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করবো এবং আমি কসম দিয়ে আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করবো এবং আমার এ কসম দিয়ে জিজ্ঞাসার ব্যাপারে আমি আপনার প্রতিই কঠোরতা অবলম্বন করবো। তিনি বললেন: “হে বনী সা’দ গোত্রের ভাই! তুমি তোমার প্রশ্ন করা শুরু কর।”

সে লোকটি বললো, আপনাকে কে সৃষ্টি করেছেন এবং আপনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী লোকদেরকেই বা কে সৃষ্টি করেছেন? তিনি বললেন: “আল্লাহ।”

লোকটি বলল, আমি আপনাকে তাঁর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, তিনিই কি আপনাকে রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেন: “হাঁ।”

সে বললো, সাত আসমান ও সাত জমিনকে কে সৃষ্টি করেছেন এবং এদের মাঝে রিযিকের ব্যবস্থা করেছেন কে? তিনি বললেন: “আল্লাহ।”

লোকটি বলল, আমি আপনাকে তাঁরই কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, তিনিই কি আপনাকে রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেন: “হাঁ।”

সে বলল, আমরা আপনার (প্রেরিত) পত্রে পেয়েছি এবং আপনার দূত আমাদেরকে আদেশ করেছে যে, আমরা যেন দিনে ও রাতে নির্দিষ্ট সময়মত পাঁচবার সালাত আদায় করি। আমি আপনাকে তাঁর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, তিনিই কি আপনাকে (এর) আদেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন: “হাঁ।”

অতঃপর সে বলল, আমরা আপনার (প্রেরিত) পত্রে পেয়েছি এবং আপনার দূত আমাদেরকে আদেশ করেছে যে, আমরা যেন আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের নিকট থেকে সম্পদ (এর কিছু অংশ) সংগ্রহ করি এবং আমাদের দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করি। আমি আপনাকে তাঁর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, তিনিই কি আপনাকে (এর) আদেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন: “হাঁ।”

অতঃপর সে বলল, পঞ্চম (প্রশ্ন)টি আমি আর জিজ্ঞেস করছি না। এবং এর কোনো প্রয়োজনও আমার নেই। তারপর সে বললো, আমি এবং আমার কওমের যারা আমার অনুসরণ করবে, আমরা সকলে অবশ্যই এর উপর আমল করব।’ এরপর সে ফিরে গেল। ফলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হেঁসে ফেললেন, এমনকি তাঁর দাঁত পর্যন্ত প্রকাশিত হয়ে পড়লো। অতঃপর তিনি বললেন: “যে সত্তার হাতের মুঠোয় আমার প্রাণ, সেই সত্তার কসম! যদি সে সত্য বলে থাকে, তবে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”[1]

بَاب فَرْضِ الْوُضُوءِ وَالصَّلَاةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا غُلَامَ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ وَعَلَيْكَ وَقَالَ إِنِّي رَجُلٌ مِنْ أَخْوَالِكَ مِنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ وَأَنَا رَسُولُ قَوْمِي إِلَيْكَ وَوَافِدُهُمْ وَإِنِّي سَائِلُكَ فَمُشَدِّدٌ مَسْأَلَتِي إِلَيْكَ وَمُنَاشِدُكَ فَمُشَدِّدٌ مُنَاشَدَتِي إِيَّاكَ قَالَ خُذْ عَنْكَ يَا أَخَا بَنِي سَعْدٍ قَالَ مَنْ خَلَقَكَ وَخَلَقَ مَنْ قَبْلَكَ وَمَنْ هُوَ خَالِقُ مَنْ بَعْدَكَ قَالَ اللَّهُ قَالَ فَنَشَدْتُكَ بِذَلِكَ أَهُوَ أَرْسَلَكَ قَالَ نَعَمْ قَالَ مَنْ خَلَقَ السَّمَوَاتِ السَّبْعَ وَالْأَرَضِينَ السَّبْعَ وَأَجْرَى بَيْنَهُنَّ الرِّزْقَ قَالَ اللَّهُ قَالَ فَنَشَدْتُكَ بِذَلِكَ أَهُوَ أَرْسَلَكَ قَالَ نَعَمْ قَالَ إِنَّا وَجَدْنَا فِي كِتَابِكَ وَأَمَرَتْنَا رُسُلُكَ أَنْ نُصَلِّيَ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ لِمَوَاقِيتِهَا فَنَشَدْتُكَ بِذَلِكَ أَهُوَ أَمَرَكَ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّا وَجَدْنَا فِي كِتَابِكَ وَأَمَرَتْنَا رُسُلُكَ أَنْ نَأْخُذَ مِنْ حَوَاشِي أَمْوَالِنَا فَنَرُدَّهَا عَلَى فُقَرَائِنَا فَنَشَدْتُكَ بِذَلِكَ أَهُوَ أَمَرَكَ بِذَلِكَ قَالَ نَعَمْ ثُمَّ قَالَ أَمَّا الْخَامِسَةُ فَلَسْتُ بِسَائِلِكَ عَنْهَا وَلَا أَرَبَ لِي فِيهَا ثُمَّ قَالَ أَمَا وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَأَعْمَلَنَّ بِهَا وَمَنْ أَطَاعَنِي مِنْ قَوْمِي ثُمَّ رَجَعَ فَضَحِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ ثُمَّ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَئِنْ صَدَقَ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ

إسناده ضعيف محمد بن فضيل متأخر السماع من عطاء

اخبرنا محمد بن يزيد حدثنا ابن فضيل حدثنا عطاء بن الساىب عن سالم بن ابي الجعد عن ابن عباس قال جاء اعرابي الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال السلام عليك يا غلام بني عبد المطلب فقال وعليك وقال اني رجل من اخوالك من بني سعد بن بكر وانا رسول قومي اليك ووافدهم واني ساىلك فمشدد مسالتي اليك ومناشدك فمشدد مناشدتي اياك قال خذ عنك يا اخا بني سعد قال من خلقك وخلق من قبلك ومن هو خالق من بعدك قال الله قال فنشدتك بذلك اهو ارسلك قال نعم قال من خلق السموات السبع والارضين السبع واجرى بينهن الرزق قال الله قال فنشدتك بذلك اهو ارسلك قال نعم قال انا وجدنا في كتابك وامرتنا رسلك ان نصلي في اليوم والليلة خمس صلوات لمواقيتها فنشدتك بذلك اهو امرك قال نعم قال فانا وجدنا في كتابك وامرتنا رسلك ان ناخذ من حواشي اموالنا فنردها على فقراىنا فنشدتك بذلك اهو امرك بذلك قال نعم ثم قال اما الخامسة فلست بساىلك عنها ولا ارب لي فيها ثم قال اما والذي بعثك بالحق لاعملن بها ومن اطاعني من قومي ثم رجع فضحك النبي صلى الله عليه وسلم حتى بدت نواجذه ثم قال والذي نفسي بيده لىن صدق ليدخلن الجنة اسناده ضعيف محمد بن فضيل متاخر السماع من عطاء

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৭৫

পরিচ্ছেদঃ ১. ওযু ও সালাত ফরয হওয়া সম্পর্কে

৬৭৫. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনু সা’দ ইবনু বাকর, যিমাম ইবনু ছা’লাবা রাদ্বিযাল্লাহু আনহুকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট পাঠিয়েছিলো। এরপর সে এসে তাঁর নিকট উপস্থিত হলো। এরপর সে তার উটটিকে মসজিদের দরজার সামনে বসিয়ে বেঁধে রাখলো এবং সে মসিজেদ প্রবেশ করলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবীগণের মাঝে বসে ছিলেন। আর যিমাম ছিল শক্তিশালী এক পুরুষ, যার লম্বা চুলগুলোতে দুটি বেনী করা ছিলো। সে সোজা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে এসে থামলো। অতঃপর সে বললো: তোমাদের মধ্যে আব্দুল মুত্তালিবের (বংশের) পুত্র কে?

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: আমি হলাম আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র।

সে জিজ্ঞেস করলো: (আপনি কি) মুহাম্মাদ? তিনি বললেন: “হাঁ।”

সে বললো: হে আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র! আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো এবং আমি সে প্রশ্নের ব্যাপারে রূঢ়তা দেখাবো। কিন্তু আপনি আমার উপর অসন্তুষ্ট হবেন না।

তিনি বললেন: “তোমার যা মনে চায় জিজ্ঞেস কর, আমি অসন্তুষ্ট হবো না।

আমি আপনাকে স্বীয় ইলাহ ও আপনার পূর্ববর্তীদের এবং আপনার পরবর্তীতে সৃষ্ট সকল সৃষ্টির ইলাহ, আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, আল্লাহই কি আপনাকে আমাদের নিকট রাসূলরূপে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেন: “আল্লাহুম্মা (তথা আল্লাহ সাক্ষী), হাঁ।”

আমি আপনাকে স্বীয় ইলাহ ও আপনার পূর্ববর্তীদের এবং আপনার পরবর্তীতে সৃষ্ট সকল সৃষ্টির ইলাহ, আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, আল্লাহই কি আপনাকে আদেশ করেছেন যে, আমরা যেন একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি, তাঁর সাথে কোনোকিছুকে যেন শরীক না করি? আরে আমাদের পূর্ব পূরুষরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে সকল শরীকদের ইবাদত করতো, আমরা তাদেরকে পরিত্যাগ করি? তিনি বললেন: “আল্লাহুম্মা (তথা আল্লাহ সাক্ষী), হাঁ।”

আমি আপনাকে স্বীয় ইলাহ ও আপনার পূর্ববর্তীদের এবং আপনার পরবর্তীতে সৃষ্ট সকল সৃষ্টির ইলাহ, আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, আল্লাহই কি আপনাকে আদেশ করেছেন যে, আমরা যেন এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করি? তিনি বললেন: “আল্লাহুম্মা (তথা আল্লাহ সাক্ষী), হাঁ।”

তিনি (বর্ণনাকারী ইবনু আব্বাস রা:) বলেন: এরপর সে একটি একটি করে ইসলামের ফরযসমূহের প্রত্যেক ফরয যেমন, যাকাত, সিয়াম, হাজ্জ্ব ও ইসলামী বিধানসমূহ উল্লেখ করতে লাগলো। এবং এর প্রত্যেকটি উল্লেখ করার সময় তাঁকে শপথ দিয়ে জিজ্ঞেস করলো যেভাবে সে পূর্বে উল্লেখিত বিষয়গুলিতে তাঁকে শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করল। এরপর যখন সে বিরত হলো, তখন বলল: তাহলে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) মা’বুদ নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। আর আমি অবিলম্বেই এসকল ফরয আদায় করব এবং আপনি আমাকে যেসকল বিষয় থেকে নিষেধ করলেন, আমি সেগুলো পরিহার করবো।

তারপর সে বললো: আমি এতে কিছু বাড়াবোও না, আবার কমাবোও না। তারপর সে তার উটের নিকট ফিরে গেলো। আর যখন সে ফিরে গেলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “দু’বেনীওয়ালা যদি সত্য বলে থাকে, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”

তারপর লোকটি তার উটের নিকট এসে তার বাঁধন খুলে দিলো তারপর চলে গেল। তারপর সে তার কওমের নিকট উপনীত হয়ে তাদেরকে তার নিকট একত্রিত করলো। এরপর সেই প্রথমে কথা বলা শুরু করলো। সে বললো: কত মন্দ লাত ও উযযা!

তারা (কওমের লোকজন) বলল: হে যিমাম, থামো! কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হওয়াকে ভয় করো, পাগল হওয়াকে ভয় করো এবং গোদ রোগকে ভয় করো।

সে বললো: তোমরা ধ্বংস হও! আল্লাহর কসম! এ দুটো তোমাদের কোনোই ক্ষতি করতে পারে না এবং কোনোই উপকার করতে পারে না। তোমরা যে অবস্থায় ছিলে, তা থেকে তোমাদেরকে উদ্ধার করার জন্য আল্লাহ রাসূল প্রেরণ করেছেন এবং তাঁর প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) মা’বুদ নেই, এবং আরও (সাক্ষ্য দিচ্ছি) যে, মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও তাঁর রাসূল। আর তিনি তোমাদেরকে যা করার আদেশ করেছেন এবং যা থেকে নিষেধ করেছেন, সেসব নিয়ে আমি তাঁর নিকট থেকে তোমাদের কাছে এসেছি।

তিনি (ইবনু আব্বাস রা:) বলেন: আল্লাহর কসম! সেদিন সেখানে উপস্থিত পুরুষ ও নারী সকলেই সন্ধ্যা হওয়ার পূর্বেই মুসলিম হয়ে গিয়েছি। বর্ণনাকারী বলেন, ইবনু আব্বাস রা: বলেন: আমরা যিমাম ইবনু ছা’লাবার চেয়ে উত্তম কোনো কওমের প্রতিনিধির কথা শুনিনি।[1]

بَاب فَرْضِ الْوُضُوءِ وَالصَّلَاةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ نُوَيْفِعٍ عَنْ كُرَيْبٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ بَعَثَ بَنُو سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ ضِمَامَ بْنَ ثَعْلَبَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدِمَ عَلَيْهِ فَأَنَاخَ بَعِيرَهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ ثُمَّ عَقَلَهُ ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ فِي أَصْحَابِهِ وَكَانَ ضِمَامٌ رَجُلًا جَلْدًا أَشْعَرَ ذَا غَدِيرَتَيْنِ حَتَّى وَقَفَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَيُّكُمْ ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالَ مُحَمَّدٌ قَالَ نَعَمْ قَالَ يَا ابْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِنِّي سَائِلُكَ وَمُغَلِّظٌ فِي الْمَسْأَلَةِ فَلَا تَجِدَنَّ فِي نَفْسِكَ قَالَ لَا أَجِدُ فِي نَفْسِي فَسَلْ عَمَّا بَدَا لَكَ قَالَ إِنِّي أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ إِلَهِكَ وَإِلَهِ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ وَإِلَهِ مَنْ هُوَ كَائِنٌ بَعْدَكَ آللَّهُ بَعَثَكَ إِلَيْنَا رَسُولًا قَالَ اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكَ بِاللَّهِ إِلَهِكَ وَإِلَهِ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ وَإِلَهِ مَنْ هُوَ كَائِنٌ بَعْدَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ نَعْبُدَهُ وَحْدَهُ لَا نُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَأَنْ نَخْلَعَ هَذِهِ الْأَنْدَادَ الَّتِي كَانَتْ آبَاؤُنَا تَعْبُدُهَا مِنْ دُونِهِ قَالَ اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكَ بِاللَّهِ إِلَهِكَ وَإِلَهِ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ وَإِلَهِ مَنْ هُوَ كَائِنٌ بَعْدَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ نُصَلِّيَ هَذِهِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ قَالَ اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ ثُمَّ جَعَلَ يَذْكُرُ فَرَائِضَ الْإِسْلَامِ فَرِيضَةً فَرِيضَةً الزَّكَاةَ وَالصِّيَامَ وَالْحَجَّ وَشَرَائِعَ الْإِسْلَامِ كُلَّهَا وَيُنَاشِدُهُ عِنْدَ كُلِّ فَرِيضَةٍ كَمَا نَاشَدَهُ فِي الَّتِي قَبْلَهَا حَتَّى إِذَا فَرَغَ قَالَ فَإِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَسَأُؤَدِّي هَذِهِ الْفَرِيضَةَ وَأَجْتَنِبُ مَا نَهَيْتَنِي عَنْهُ ثُمَّ قَالَ لَا أَزِيدُ وَلَا أُنْقِصُ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى بَعِيرِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ وَلَّى إِنْ يَصْدُقْ ذُو الْعَقِيصَتَيْنِ يَدْخُلْ الْجَنَّةَ فَأَتَى إِلَى بَعِيرِهِ فَأَطْلَقَ عِقَالَهُ ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى قَوْمِهِ فَاجْتَمَعُوا إِلَيْهِ فَكَانَ أَوَّلَ مَا تَكَلَّمَ أَنْ قَالَ بِاسْتِ اللَّاتِ وَالْعُزَّى قَالُوا مَهْ يَا ضِمَامُ اتَّقِ الْبَرَصَ وَاتَّقِ الْجُنُونَ وَاتَّقِ الْجُذَامَ قَالَ وَيْلَكُمْ إِنَّهُمَا وَاللَّهِ مَا يَضُرَّانِ وَلَا يَنْفَعَانِ إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَعَثَ رَسُولًا وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ كِتَابًا اسْتَنْقَذَكُمْ بِهِ مِمَّا كُنْتُمْ فِيهِ وَإِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَقَدْ جِئْتُكُمْ مِنْ عِنْدِهِ بِمَا أَمَرَكُمْ بِهِ وَنَهَاكُمْ عَنْهُ قَالَ فَوَاللَّهِ مَا أَمْسَى مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ وَفِي حَاضِرِهِ رَجُلٌ وَلَا امْرَأَةٌ إِلَّا مُسْلِمًا قَالَ يَقُولُ ابْنُ عَبَّاسٍ فَمَا سَمِعْنَا بِوَافِدِ قَوْمٍ كَانَ أَفْضَلَ مِنْ ضِمَامِ بْنِ ثَعْلَبَةَ

إسناده ضعيف ولكن الحديث صحيح

اخبرنا محمد بن حميد حدثنا سلمة حدثني محمد بن اسحق حدثني سلمة بن كهيل ومحمد بن الوليد بن نويفع عن كريب مولى ابن عباس عن ابن عباس قال بعث بنو سعد بن بكر ضمام بن ثعلبة الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقدم عليه فاناخ بعيره على باب المسجد ثم عقله ثم دخل المسجد ورسول الله صلى الله عليه وسلم جالس في اصحابه وكان ضمام رجلا جلدا اشعر ذا غديرتين حتى وقف على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ايكم ابن عبد المطلب فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم انا ابن عبد المطلب قال محمد قال نعم قال يا ابن عبد المطلب اني ساىلك ومغلظ في المسالة فلا تجدن في نفسك قال لا اجد في نفسي فسل عما بدا لك قال اني انشدك بالله الهك واله من كان قبلك واله من هو كاىن بعدك الله بعثك الينا رسولا قال اللهم نعم قال فانشدك بالله الهك واله من كان قبلك واله من هو كاىن بعدك الله امرك ان نعبده وحده لا نشرك به شيىا وان نخلع هذه الانداد التي كانت اباونا تعبدها من دونه قال اللهم نعم قال فانشدك بالله الهك واله من كان قبلك واله من هو كاىن بعدك الله امرك ان نصلي هذه الصلوات الخمس قال اللهم نعم قال ثم جعل يذكر فراىض الاسلام فريضة فريضة الزكاة والصيام والحج وشراىع الاسلام كلها ويناشده عند كل فريضة كما ناشده في التي قبلها حتى اذا فرغ قال فاني اشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمدا عبده ورسوله وساودي هذه الفريضة واجتنب ما نهيتني عنه ثم قال لا ازيد ولا انقص ثم انصرف الى بعيره فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم حين ولى ان يصدق ذو العقيصتين يدخل الجنة فاتى الى بعيره فاطلق عقاله ثم خرج حتى قدم على قومه فاجتمعوا اليه فكان اول ما تكلم ان قال باست اللات والعزى قالوا مه يا ضمام اتق البرص واتق الجنون واتق الجذام قال ويلكم انهما والله ما يضران ولا ينفعان ان الله قد بعث رسولا وانزل عليه كتابا استنقذكم به مما كنتم فيه واني اشهد ان لا اله الا الله وان محمدا عبده ورسوله وقد جىتكم من عنده بما امركم به ونهاكم عنه قال فوالله ما امسى من ذلك اليوم وفي حاضره رجل ولا امراة الا مسلما قال يقول ابن عباس فما سمعنا بوافد قوم كان افضل من ضمام بن ثعلبة اسناده ضعيف ولكن الحديث صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৭৬

পরিচ্ছেদঃ ২. পাক-পবিত্রতা সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে

৬৭৬. আবু মালিক আল আশ’আরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: পবিত্রতা ঈমানের অর্ধাংশ, আর ’আলহামদুলিল্লাহ’ মীযান (ওজনের পাল্লা) পূর্ণ করে দেয়। আর ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার’ আসমান ও জমিন- এতদুভয়ের মধ্যবর্তী শূন্যস্থল পূর্ণ করে দেয়। আর সালাত হচ্ছে নূর, সাদাকা (দান) দলীল এবং ওযু হচ্ছে উজ্জ্বলতা। আর কুরআন তোমার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে প্রমাণ। প্রত্যেক মানুষ প্রতিদিন সকালে নিজ সত্তাকে বিক্রয় করে, ফলে হয় সে নিজেকে (আগুন থেকে) মুক্তিদানকারী হয়, অথবা, সে নিজেকে ধ্বংসকারী হয়।”[1]

بَابُ مَا جَاءَ فِي الطُّهُورِ

أَخْبَرَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا أَبَانُ هُوَ ابْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ زَيْدٍ عَنْ أَبِي سَلَّامٍ عَنْ أَبِي مَالِكٍ الْأَشْعَرِيِّ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الطُّهُورُ شَطْرُ الْإِيمَانِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ يَمْلَأُ الْمِيزَانَ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ يَمْلَآَنِ مَا بَيْنَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَالصَّلَاةُ نُورٌ وَالصَّدَقَةُ بُرْهَانٌ وَالْوُضُوءُ ضِيَاءٌ وَالْقُرْآنُ حُجَّةٌ لَكَ أَوْ عَلَيْكَ وَكُلُّ النَّاسِ يَغْدُو فَبَائِعٌ نَفْسَهُ فَمُعْتِقُهَا أَوْ مُوبِقُهَا

إسناده صحيح

اخبرنا مسلم بن ابراهيم حدثنا ابان هو ابن يزيد حدثنا يحيى بن ابي كثير عن زيد عن ابي سلام عن ابي مالك الاشعري ان نبي الله صلى الله عليه وسلم قال الطهور شطر الايمان والحمد لله يملا الميزان ولا اله الا الله والله اكبر يملان ما بين السماوات والارض والصلاة نور والصدقة برهان والوضوء ضياء والقران حجة لك او عليك وكل الناس يغدو فباىع نفسه فمعتقها او موبقها اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৭৭

পরিচ্ছেদঃ ২. পাক-পবিত্রতা সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে

৬৭৭. বনী সালীম গোত্রের এক ব্যক্তি হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার হাতের মধ্যে তাঁর হাত রেখে (একে) শক্ত করে ধরলেন- অথবা তিনি বলেছেন, তিনি তাঁর হাতে আমার হাত নিয়ে (একে) শক্ত করে ধরলেন- আর তাঁর (অপর) হাত ছিল আমার হাতের মধ্যে (এমতাবস্থায় তিনি বললেন): “সুবহানাল্লাহ মীযানের অর্ধেক (ভরে দেয়), আলহামদুলিল্লাহ’ মীযানকে পরিপূর্ণ ভরে দেয়। আর ’আল্লাহু আকবার’ আসমান ও জমিন- এতদুভয়ের মধ্যবর্তী শূন্যস্থল পূর্ণ করে দেয়। আর ওযু হচ্ছে ঈমানের অর্ধাংশ। আর সিয়াম হচ্ছে সবরের (ধৈর্য্যের) অর্ধাংশ।”[1]

بَابُ مَا جَاءَ فِي الطُّهُورِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ جُرَيٍّ النَّهْدِيِّ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ قَالَ عَقَدَهُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي يَدِي أَوْ قَالَ عَقَدَهُنَّ فِي يَدِهِ وَيَدُهُ فِي يَدِي سُبْحَانَ اللَّهِ نِصْفُ الْإِيمَانِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ يَمْلَأُ الْمِيزَانَ وَاللَّهُ أَكْبَرُ يَمْلَأُ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَالْوُضُوءُ نِصْفُ الْإِيمَانِ وَالصَّوْمُ نِصْفُ الصَّبْرِ

إسناده جيد

حدثنا سعيد بن عامر عن شعبة عن ابي اسحق عن جري النهدي عن رجل من بني سليم قال عقدهن رسول الله صلى الله عليه وسلم في يدي او قال عقدهن في يده ويده في يدي سبحان الله نصف الايمان والحمد لله يملا الميزان والله اكبر يملا ما بين السماء والارض والوضوء نصف الايمان والصوم نصف الصبر اسناده جيد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৭৮

পরিচ্ছেদঃ ২. পাক-পবিত্রতা সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে

৬৭৮. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুক্ত গোলাম সাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা (দ্বীনের বিধি-বিধান পালনে) অটল থাকো, আর তোমরা কখনো (তোমাদের আমলসমূহকে) গুণে গুণে রেখো না। আর তোমরা জেনে রাখো, তোমাদের আমলসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম আমল হলো সালাত।” তিনি অন্যত্র বলেন: “আর তোমাদের আমলসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম আমল হলো সালাত। আর মু’মিন ব্যতীত অন্য কেউই উযু’র যথাযোগ্য হিফাযত করে না।”[1]

بَابُ مَا جَاءَ فِي الطُّهُورِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ وَالْأَعْمَشِ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَقِيمُوا وَلَنْ تُحْصُوا وَاعْلَمُوا أَنَّ خَيْرَ أَعْمَالِكُمْ الصَّلَاةُ وَقَالَ الْآخَرُ إِنَّ مِنْ خَيْرِ أَعْمَالِكُمْ الصَّلَاةَ وَلَنْ يُحَافِظَ عَلَى الْوُضُوءِ إِلَّا مُؤْمِنٌ

إسناده صحيح

حدثنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن منصور والاعمش عن سالم بن ابي الجعد عن ثوبان مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم استقيموا ولن تحصوا واعلموا ان خير اعمالكم الصلاة وقال الاخر ان من خير اعمالكم الصلاة ولن يحافظ على الوضوء الا مومن اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৭৯

পরিচ্ছেদঃ ২. পাক-পবিত্রতা সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে

৬৭৯. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুক্ত গোলাম সাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা ঠিকভাবে (ও মধ্যমপন্থায় আমল) করতে থাকো এবং নৈকট্য লাভ করো। আর তোমাদের আমলসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম আমল হলো সালাত। আর মু’মিন ব্যতীত অন্য কেউই উযু’র যথাযোগ্য হিফাযত করে না।”[1]

بَابُ مَا جَاءَ فِي الطُّهُورِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بِشْرٍ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ ثَوْبَانَ قَالَ حَدَّثَنِي حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ أَنَّ أَبَا كَبْشَةَ السَّلُولِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَدِّدُوا وَقَارِبُوا وَخَيْرُ أَعْمَالِكُمْ الصَّلَاةُ وَلَنْ يُحَافِظَ عَلَى الْوُضُوءِ إِلَّا مُؤْمِنٌ

حدثنا يحيى بن بشر حدثنا الوليد بن مسلم حدثنا ابن ثوبان قال حدثني حسان بن عطية ان ابا كبشة السلولي حدثه انه سمع ثوبان مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم سددوا وقاربوا وخير اعمالكم الصلاة ولن يحافظ على الوضوء الا مومن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৮০

পরিচ্ছেদঃ ৩. আল্লাহর বাণী: যখন তোমরা সালাতে দাঁড়াও, তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ধৌত কর”- আয়াত

৬৮০. ইকরিমাহ থেকে বর্ণিত, সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এক ওযু দিয়েই সব সালাত আদায় করতেন। আর আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু প্রত্যেক সালাতের জন্য (নতুন) ওযু করতেন। তারপর তিনি তিলাওয়াত করলেন: “যখন তোমরা সালাতে দাঁড়াও, তখন তোমাদের মুখমণ্ডল এবং দু’হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত কর।”[1] (সূরা মায়িদাহ: ৬)

بَابُ {إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ، فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ} الْآيَةَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا مَسْعُودُ بْنُ عَلِيٍّ عَنْ عِكْرِمَةَ أَنَّ سَعْدًا كَانَ يُصَلِّي الصَّلَوَاتِ كُلَّهَا بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ وَأَنَّ عَلِيًّا كَانَ يَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَتَلَا هَذِهِ الْآيَةَ إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ الْآيَةَ

رجاله ثقات ولكنه منقطع قال أبو حاتم: عكرمة لم يسمع من سعد بن أبي وقاص

حدثنا عبد الصمد بن عبد الوارث حدثنا شعبة حدثنا مسعود بن علي عن عكرمة ان سعدا كان يصلي الصلوات كلها بوضوء واحد وان عليا كان يتوضا لكل صلاة وتلا هذه الاية اذا قمتم الى الصلاة فاغسلوا وجوهكم وايديكم الاية رجاله ثقات ولكنه منقطع قال ابو حاتم: عكرمة لم يسمع من سعد بن ابي وقاص

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ ইকরিমা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৮১

পরিচ্ছেদঃ ৩. আল্লাহর বাণী: যখন তোমরা সালাতে দাঁড়াও, তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ধৌত কর”- আয়াত

৬৮১. মুহাম্মদ ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু হিব্বান, আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু উমার হতে বর্ণণা করেন, তিনি বলেন, আমি (আব্দুল্লাহকে) বললাম: তুমি কি দেখনি যে, আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা ওযু থাকা বা না থাকা- ‍উভয় অবস্থায় প্রত্যেক সালাতের পূর্বে ওযু করতেন? এর কারণ কী? তিনি জবাবে (একটি হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে) বলেন: তার নিকট আসমা বিনতে যাইদ ইবনুল খাত্তাব হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনু হানযালাহ ইবনু আবী আমির তার (আসমার) নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রতি সালাতের জন্য ওযু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু যখন এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর কষ্টকর হলো, তখন প্রত্যেক সালাতের জন্য মিসওয়াক করার নির্দেশ দেয়া হলো। ইবনু উমার রা: মনে করতেন, তিনি এটি (প্রত্যেক সালাতের জন্য ওযু) করতে সক্ষম ছিলেন; বিধায় তিনি কোনো সালাতের সময়ই ওযু করা পরিত্যাগ করতেন না।”[1]

بَابُ {إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ، فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ} الْآيَةَ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ إِسْحَقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ قُلْتُ أَرَأَيْتَ تَوَضُّؤَ ابْنِ عُمَرَ لِكُلِّ صَلَاةٍ طَاهِرًا أَوْ غَيْرَ طَاهِرٍ عَمَّ ذَلِكَ قَالَ حَدَّثَتْهُ أَسْمَاءُ بِنْتُ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي عَامِرٍ حَدَّثَهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمِرَ بِالْوُضُوءِ لِكُلِّ صَلَاةٍ طَاهِرًا أَوْ غَيْرَ طَاهِرٍ فَلَمَّا شَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ أُمِرَ بِالسِّوَاكِ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَرَى أَنَّ بِهِ عَلَى ذَلِكَ قُوَّةً فَكَانَ لَا يَدَعُ الْوُضُوءَ لِكُلِّ صَلَاةٍ
إسناده صحيح

اخبرنا احمد بن خالد حدثنا محمد هو ابن اسحق عن محمد بن يحيى بن حبان عن عبد الله بن عبد الله بن عمر قال قلت ارايت توضو ابن عمر لكل صلاة طاهرا او غير طاهر عم ذلك قال حدثته اسماء بنت زيد بن الخطاب ان عبد الله بن حنظلة بن ابي عامر حدثها ان رسول الله صلى الله عليه وسلم امر بالوضوء لكل صلاة طاهرا او غير طاهر فلما شق ذلك عليه امر بالسواك لكل صلاة وكان ابن عمر يرى ان به على ذلك قوة فكان لا يدع الوضوء لكل صلاة اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৮২

পরিচ্ছেদঃ ৩. আল্লাহর বাণী: যখন তোমরা সালাতে দাঁড়াও, তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ধৌত কর”- আয়াত

৬৮২. ইবনু বুরাইদাহ তার পিতা (বুরাইদাহ রা:) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক সালাতের জন্য ওযু করতেন। কিন্তু তিনি মক্কা বিজয়ের দিন তিনি এক ওযুতে এবং দু’মোজার উপর মাসেহ করে সকল সালাত আদায় করলেন। এরপর উমার রা: তাঁকে বললেন: আপনাকে এমন কিছু আমি করতে দেখলাম, যা আপনি (ইতিপূর্বে) করেননি। তিনি বললেন: “হে উমার, আমি ইচ্ছাকৃতভাবে ওটা করেছি।”

আবু ‍মুহাম্মদ (দারেমী) বলেন: সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল হচ্ছে এ কথার দলীল যে, আল্লাহ তা’আলার এ বাণী: (“যখন তোমরা সালাতের উদ্দেশ্যে দাঁড়াও, তখন তোমাদের মুখমণ্ডল ধৌত কর”- আল মায়িদাহ: ৬) -এর অর্থ প্রত্যেক ’মুহদিস’ (ওযু ভঙ্গকারী ব্যক্তি) এর জন্য ওযু করতে হবে, ওযু থাকলে তার জন্য এ নির্দেশ প্রযোজ্য নয়। এর মধ্যে রয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “ওযু ভঙ্গকারী লোক ব্যতীত আর কারো জন্য ওযু (জরুরী) নয়।” আল্লাহই সর্বাধিক অবগত।[1]

بَابُ {إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ، فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ} الْآيَةَ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ حَتَّى كَانَ يَوْمُ فَتْحِ مَكَّةَ صَلَّى الصَّلَوَاتِ بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ رَأَيْتُكَ صَنَعْتَ شَيْئًا لَمْ تَكُنْ تَصْنَعُهُ قَالَ إِنِّي عَمْدًا صَنَعْتُ يَا عُمَرُ قَالَ أَبُو مُحَمَّد فَدَلَّ فِعْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ مَعْنَى قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ الْآيَةَ لِكُلِّ مُحْدِثٍ لَيْسَ لِلطَّاهِرِ وَمِنْهُ قَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا وُضُوءَ إِلَّا مِنْ حَدَثٍ وَاللَّهُ أَعْلَمُ

اخبرنا عبيد الله بن موسى عن سفيان عن علقمة بن مرثد عن ابن بريدة عن ابيه قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يتوضا لكل صلاة حتى كان يوم فتح مكة صلى الصلوات بوضوء واحد ومسح على خفيه فقال له عمر رايتك صنعت شيىا لم تكن تصنعه قال اني عمدا صنعت يا عمر قال ابو محمد فدل فعل رسول الله صلى الله عليه وسلم ان معنى قول الله تعالى اذا قمتم الى الصلاة فاغسلوا وجوهكم الاية لكل محدث ليس للطاهر ومنه قول النبي صلى الله عليه وسلم لا وضوء الا من حدث والله اعلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু বুরয়দাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৮৩

পরিচ্ছেদঃ ৪. হাজতের (পেশাব-পায়খানার) জন্য যাওয়া প্রসঙ্গে

৬৮৩. মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কতক সফরে সাথে তাঁর ছিলাম। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন হাজত পূরণে (পায়খানায়) গমন করতেন, তখন তিনি অনেক দূরে চলে যেতেন।[1]

بَابٌ: فِي الذَّهَابِ إِلَى الْحَاجَةِ

أَخْبَرَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا ذَهَبَ إِلَى الْحَاجَةِ أَبْعَدَ
إسناده حسن

اخبرنا يعلى بن عبيد حدثنا محمد بن عمرو عن ابي سلمة عن المغيرة بن شعبة قال كنت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في بعض اسفاره وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا ذهب الى الحاجة ابعد اسناده حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৮৪

পরিচ্ছেদঃ ৪. হাজতের (পেশাব-পায়খানার) জন্য যাওয়া প্রসঙ্গে

৬৮৪. মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মলত্যাগ করতে যেতেন তখন অনেক দূরে চলে যেতেন। আবু মুহাম্মদ বলেন: এটাই এর শিষ্টাচার।[1]

بَابٌ: فِي الذَّهَابِ إِلَى الْحَاجَةِ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ عَمْرِو بْنِ وَهْبٍ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا تَبَرَّزَ تَبَاعَدَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد هُوَ الْأَدَبُ
إسناده صحيح

اخبرنا ابو نعيم حدثنا جرير بن حازم عن ابن سيرين عن عمرو بن وهب عن المغيرة بن شعبة قال كان النبي صلى الله عليه وسلم اذا تبرز تباعد قال ابو محمد هو الادب اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. হাজতের (পেশাব-পায়খানার) সময় আড়ালে যাওয়া প্রসঙ্গে

৬৮৫. আবু হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে সুরমা ব্যবহার করে, সে যেন বেজোড় সংখ্যায় ব্যবহার করে; যে ব্যক্তি এরূপ (বেজোড় সংখ্যায় ব্যবহার) করে, সে উত্তম (কাজ) করে, আর যে এরূপ (বেজোড় সংখ্যায় ব্যবহার) না করে, তাতে কোনো ক্ষতি নেই। যে ব্যক্তি কুলুখ ব্যবহার করে, সে যেনো বেজোড় সংখ্যায় ব্যবহার করে। যে ব্যক্তি এরূপ (বেজোড় সংখ্যায় ব্যবহার) করে, সে উত্তম (কাজ) করে, আর যে এরূপ (বেজোড় সংখ্যায় ব্যবহার) না করে, তাতে কোনো ক্ষতি নেই। যে ব্যক্তি খাওয়ার পর খিলাল দ্বারা দাঁতের ভুক্ত অংশ বের করে সে যেনো তা (মুখ থেকে বাইরে) ফেলে দেয়। আর জিহবার স্পর্শে যা বের হয়, তা যেন যেন খেয়ে ফেলে। যে ব্যক্তি এরূপ করে, সে উত্তম (কাজ) করে, আর যে এরূপ না করে, তাতে কোনো দোষ নেই। যে ব্যক্তি পায়খানায় গমন করে, সে যেন আড়াল করে নেয়। যদি আড়াল করার মতো কিছু না পায়, তবে সে যেন অন্ততঃ বালুর স্তুপ করে তার দিকে পিঠ ফিরিয়ে বসে। কেননা, শয়তান বনী আদমের গুপ্তাঙ্গ (পর্দার স্থান তথা পেশাব-পায়খানার স্থান) নিয়ে খেলা করে। যে ব্যক্তি এরূপ করে, সে উত্তম (কাজ) করে, আর যে এরূপ না করে, তাতে কোনো দোষ নেই।[1]

بَابٌ فِي التَّسَتُّرِ عِنْدَ الْحَاجَةِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ حَدَّثَنَا ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ الْحِمْيَرِيُّ أَخْبَرَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْخَيْرُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اكْتَحَلَ فَلْيُوتِرْ مَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ أَحْسَنَ وَمَنْ لَا فَلَا حَرَجَ مَنْ اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ وَمَنْ لَا فَلَا حَرَجَ مَنْ أَكَلَ فَلْيَتَخَلَّلْ فَمَا تَخَلَّلَ فَلْيَلْفِظْ وَمَا لَاكَ بِلِسَانِهِ فَلْيَبْتَلِعْ مَنْ أَتَى الْغَائِطَ فَلْيَسْتَتِرْ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ إِلَّا كَثِيبَ رَمْلٍ فَلْيَسْتَدْبِرْهُ فَإِنَّ الشَّيَاطِينَ يَتَلَاعَبُونَ بِمَقَاعِدِ بَنِي آدَمَ مَنْ فَعَلَ فَقَدْ أَحْسَنَ وَمَنْ لَا فَلَا حَرَجَ

اخبرنا ابو عاصم حدثنا ثور بن يزيد حدثنا حصين الحميري اخبرنا ابو سعيد الخير عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من اكتحل فليوتر من فعل ذلك فقد احسن ومن لا فلا حرج من استجمر فليوتر من فعل فقد احسن ومن لا فلا حرج من اكل فليتخلل فما تخلل فليلفظ وما لاك بلسانه فليبتلع من اتى الغاىط فليستتر فان لم يجد الا كثيب رمل فليستدبره فان الشياطين يتلاعبون بمقاعد بني ادم من فعل فقد احسن ومن لا فلا حرج

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৮৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. হাজতের (পেশাব-পায়খানার) সময় আড়ালে যাওয়া প্রসঙ্গে

৬৮৬. আব্দুল্লাহ ইবনু জা’ফর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর হাজত পূরণের সময় যা দিয়ে আড়াল করতেন, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয় ছিল টিলা (উচ্চভূমি) এবং একত্রিত খেজুর গাছ।[1]

بَابٌ فِي التَّسَتُّرِ عِنْدَ الْحَاجَةِ

أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا مَهْدِيٌّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ مَوْلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ قَالَ كَانَ أَحَبَّ مَا اسْتَتَرَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحَاجَتِهِ هَدَفٌ أَوْ حَائِشُ نَخْلٍ
إسناده صحيح

اخبرنا حجاج بن منهال حدثنا مهدي حدثنا محمد بن عبد الله بن ابي يعقوب عن الحسن بن سعد مولى الحسن بن علي عن عبد الله بن جعفر قال كان احب ما استتر به النبي صلى الله عليه وسلم لحاجته هدف او حاىش نخل اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. পেশাব কিংবা পায়খানার সময় কিবলাকে পেছনে রাখা নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে

৬৮৭. সাহল ইবনু হুনাইফ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেছেন: “তুমি মক্কাবাসীর প্রতি আমার প্রেরিত দূত। ফলে তুমি তাদেরকে বলো যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদেরকে সালাম জানিয়েছেন এবং আদেশ করেছেন যে, যখন তোমরা (পেশাব-পায়খানার উদ্দেশ্যে) যাও, তখন কিবলাকে সম্মুখে কিংবা পিছনে রেখে বসো না।”[1]

بَابُ النَّهْيِ عَنِ اسْتِقْبَالِ الْقِبْلَةِ لِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ عَنْ الْوَلِيدِ بْنِ مَالِكٍ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ مَوْلَى سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ أَنْتَ رَسُولِي إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ فَقُلْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ عَلَيْكُمْ السَّلَامَ وَيَأْمُرُكُمْ إِذَا خَرَجْتُمْ فَلَا تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ وَلَا تَسْتَدْبِرُوهَا

إسناده ضعيف ولكن الحديث صحيح بشواهده

اخبرنا ابو عاصم عن ابن جريج عن عبد الكريم عن الوليد بن مالك من عبد القيس عن محمد بن قيس مولى سهل بن حنيف عن سهل بن حنيف ان النبي صلى الله عليه وسلم قال له انت رسولي الى اهل مكة فقل ان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقرا عليكم السلام ويامركم اذا خرجتم فلا تستقبلوا القبلة ولا تستدبروها اسناده ضعيف ولكن الحديث صحيح بشواهده

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. পেশাব কিংবা পায়খানার সময় কিবলাকে পেছনে রাখা নিষিদ্ধ হওয়া সম্পর্কে

৬৮৮. আবু আইয়্যুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন তোমরা পায়খানায় যাও, তখন কিবলার দিকে মুখ করে বসো না এবং পিছন করেও বসো না- পায়খানার সময়ও না, পেশাব করতেও না; বরং পূর্বদিকে অথবা পশ্চিম দিকে ফিরে বসো।”[1] আবু আইয়্যুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, অতঃপর আমরা শাম (সিরিয়া) গেলাম। সেখানে আমরা দেখলাম যে, শৌচাগারগুলো কিবলার দিকে মুখ করে নির্মাণ করা হয়েছে। তখন আমরা অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে বসতাম এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতাম।[2]আবু মুহাম্মদ বলেন: এটি আব্দুল কারীমের হাদীসের চেয়ে অধিক সহীহ। আর আব্দুল কারীম ’মাতরুক’ -হওয়ার নিকটবর্তী।

بَابُ النَّهْيِ عَنِ اسْتِقْبَالِ الْقِبْلَةِ لِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا أَتَيْتُمْ الْغَائِطَ فَلَا تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ وَلَا بَوْلٍ وَلَا تَسْتَدْبِرُوهَا قَالَ ثُمَّ قَالَ أَبُو أَيُّوبَ فَقَدِمْنَا الشَّامَ فَوَجَدْنَا مَرَاحِيضَ قَدْ بُنِيَتْ عِنْدَ الْقِبْلَةِ فَنَنْحَرِفُ وَنَسْتَغْفِرُ اللَّهَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْكَرِيمِ وَعَبْدُ الْكَرِيمِ شِبْهُ الْمَتْرُوكِ

إسناده صحيح

اخبرنا ابو نعيم حدثنا ابن عيينة عن الزهري عن عطاء بن يزيد عن ابي ايوب عن النبي صلى الله عليه وسلم قال اذا اتيتم الغاىط فلا تستقبلوا القبلة بغاىط ولا بول ولا تستدبروها قال ثم قال ابو ايوب فقدمنا الشام فوجدنا مراحيض قد بنيت عند القبلة فننحرف ونستغفر الله قال ابو محمد وهذا اصح من حديث عبد الكريم وعبد الكريم شبه المتروك اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৭. পরিচ্ছেদ নাই

৬৮৯. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (পেশাব-পায়খানার সময়) ভূমির নিকটবর্তী না হওয়া পর্যন্ত তাঁর কাপড় উঠাতেন না।[1]

আবু মুহাম্মদ বলেন: এটাই শিষ্টাচার। এটি মুগীরাহ’র হাদীসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

بَابٌ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ عَنْ عَبْدِ السَّلَامِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لَا يَرْفَعُ ثَوْبَهُ حَتَّى يَدْنُوَ مِنْ الْأَرْضِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد هُوَ أَدَبٌ وَهُوَ أَشْبَهُ مِنْ حَدِيثِ الْمُغِيرَةِ

إسناده ضعيف لم يسمعه الأعمش من أنس

حدثنا عمرو بن عون عن عبد السلام بن حرب عن الاعمش عن انس ان النبي صلى الله عليه وسلم كان لا يرفع ثوبه حتى يدنو من الارض قال ابو محمد هو ادب وهو اشبه من حديث المغيرة اسناده ضعيف لم يسمعه الاعمش من انس

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৯০

পরিচ্ছেদঃ ৮. কিবলাকে সম্মুখে রাখার অনুমতি প্রদান প্রসঙ্গে

৬৯০. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: ’একদা আমি আমাদের ঘরের উপরে উঠে দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু’টি ইটের উপর বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বসেছেন।[1]

بَاب الرُّخْصَةِ فِي اسْتِقْبَالِ الْقِبْلَةِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمَّهُ وَاسِعَ بْنَ حَبَّانَ أَخْبَرَهُ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى ظَهْرِ بَيْتِنَا فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا عَلَى لَبِنَتَيْنِ مُسْتَقْبِلَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ

إسناده صحيح

اخبرنا يزيد بن هارون حدثنا يحيى بن سعيد ان محمد بن يحيى بن حبان اخبره ان عمه واسع بن حبان اخبره عن ابن عمر قال رايت النبي صلى الله عليه وسلم على ظهر بيتنا فرايت النبي صلى الله عليه وسلم جالسا على لبنتين مستقبل بيت المقدس اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৯১

পরিচ্ছেদঃ ৯. দাঁড়িয়ে পেশাব করা সম্পর্কে

৬৯১. হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদা এক কওমের ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থানে এসে দাঁড়িয়ে পেশাব করলেন।[1]আবু মুহাম্মদ বলেন: আমি এ ব্যাপারে অপছন্দনীয় কিছু আছে বলে জানি না।

بَاب فِي الْبَوْلِ قَائِمًا

أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى سُبَاطَةِ قَوْمٍ فَبَالَ وَهُوَ قَائِمٌ قَالَ أَبُو مُحَمَّد لَا أَعْلَمُ فِيهِ كَرَاهِيَةً

اخبرنا جعفر بن عون اخبرنا الاعمش عن ابي واىل عن حذيفة قال جاء رسول الله صلى الله عليه وسلم الى سباطة قوم فبال وهو قاىم قال ابو محمد لا اعلم فيه كراهية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
৬৯২

পরিচ্ছেদঃ ১০. পায়খানায় প্রবেশের সময় যা বলতে হয়

৬৯২: আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন পায়খানায় প্রবেশ করতেন, তখন বলতেন: “আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ”- হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র জিনিস ও শয়তান থেকে তোমার আশ্রয় গ্রহণ করছি।”[1]

بَاب مَا يَقُولُ إِذَا دَخَلَ الْمَخْرَجَ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ الْخَلَاءَ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ
إسناده صحيح

اخبرنا ابو النعمان حدثنا حماد بن زيد عن عبد العزيز بن صهيب عن انس بن مالك قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا دخل الخلاء قال اللهم اني اعوذ بك من الخبث والخباىث اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১. পবিত্রতা অধ্যায় (كتاب الطهارة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫৪২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 · · · 25 26 27 28 পরের পাতা »