পরিচ্ছেদঃ ১. রাত্রে নফল নামায পড়া
রেওয়ায়ত ১. আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে কোন নফল নামায পড়িতে অভ্যস্ত কিন্তু তাহার উপর ঘুমের প্রভাববশত সে নামায আদায় করিতে পারে নাই, তবে আল্লাহ্ তা’আলা তাহাকে তাহার নামাযের সওয়াব প্রদান করিবেন, আর নিদ্রা হইবে তাহার জন্য সদকা (অর্থাৎ নামাযের জন্য তাহাকে হিসাব দিতে হইবে না, উপরন্তু নিয়ত করার সওয়াবও পাইবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ رَجُلٍ عِنْدَهُ رِضًا أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ امْرِئٍ تَكُونُ لَهُ صَلَاةٌ بِلَيْلٍ يَغْلِبُهُ عَلَيْهَا نَوْمٌ إِلَّا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَجْرَ صَلَاتِهِ وَكَانَ نَوْمُهُ عَلَيْهِ صَدَقَةً
Yahya related to me from Malik from Muhammad ibn al-Munkadir from Said ibn al-Jubayr that a man who has approval (as a relater of hadith), told him that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "If a man prays in the night and sleep overcomes him during it, Allah writes for him the reward of his prayer, and his sleep is sadaqa for him."
পরিচ্ছেদঃ ১. রাত্রে নফল নামায পড়া
রেওয়ায়ত ২. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে ঘুমাইয়া থাকিতাম, আমার দুই পা তাহার কিবলার স্থলে থাকিত। (অবস্থা এই ছিল) তিনি যখন সিজদায় যাইতেন আমাকে চাপ দিতেন, তখন আমি আমার পা দুইটিকে গুটাইয়া লইতাম; যখন তিনি দাঁড়াইতেন আমার পা দুইটিকে আবার লম্বা করিয়া দিতাম। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] বলেন, সেইকালে ঘরগুলিতে বাতি ছিল না।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ أَنَامُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَايَ فِي قِبْلَتِهِ فَإِذَا سَجَدَ غَمَزَنِي فَقَبَضْتُ رِجْلَيَّ فَإِذَا قَامَ بَسَطْتُهُمَا قَالَتْ وَالْبُيُوتُ يَوْمَئِذٍ لَيْسَ فِيهَا مَصَابِيحُ
Yahya related to me from Malik from Abu'nNadr, the mawla of Umar ibn 'Ubaydullah, from Abu Salama ibn Abd ar-Rahman that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "I was sleeping in front of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and my feet were in his qibla. When he prostrated, he nudged me and I pulled up my feet,and when he stood up I spread them out." She added, "There were no lamps in the house at that time."
পরিচ্ছেদঃ ১. রাত্রে নফল নামায পড়া
রেওয়ায়ত ৩. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ তোমাদের কেউ নামাযে তন্দ্রাচ্ছন্ন হইয়া পড়িলে সে যেন বসিয়া পড়ে, যতক্ষণ তন্দ্রা ছুটিয়া না যায়। কেননা তোমাদের কেউ তন্দ্রাবস্থায় নামায পড়িলে, বলা যায় না, হয়তো সে ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করিতে গিয়া নিজের নফসকে মন্দ বলিয়া ফেলিবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا نَعَسَ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ فَلْيَرْقُدْ حَتَّى يَذْهَبَ عَنْهُ النَّوْمُ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا صَلَّى وَهُوَ نَاعِسٌ لَا يَدْرِي لَعَلَّهُ يَذْهَبُ يَسْتَغْفِرُ فَيَسُبَّ نَفْسَهُ
Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa from his father from A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "If you are drowsy in prayer, sleep until sleep leaves you, because if you pray while you are drowsy, you do not know whether you may intend to ask for forgiveness but (in fact) ask for harm."
পরিচ্ছেদঃ ১. রাত্রে নফল নামায পড়া
রেওয়ায়ত ৪. ইসমাইল ইবন আবি হাকিম (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাহার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈকা স্ত্রীলোককে রাত্রিবেলা নামায পড়িতে শুনিলেন। তিনি বলিলেনঃ ইনি (স্ত্রীলোকটি) কে? (উত্তরে) তাহাকে বলা হইলঃ স্ত্রীলোকটি হাওলা বিনতে তুয়াইত। সে সারারাত্রি ঘুমায় না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহাতে অসন্তুষ্ট হইলেন, এমন কি তাহার চেহারা (মুবারক)-এর উপর নারাজি ভাব প্রকাশ পাইল। অতঃপর তিনি ফরমাইলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা পরিশ্রান্ত হন না, যতক্ষণ তোমরা পরিশ্রাত্ত না হও। ততটুকু আমলই কর যতটুকু করার সামর্থ্য রাখ।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ
وحدثني عن مالك عن إسمعيل بن أبي حكيم أنه بلغه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم سمع امرأة من الليل تصلي فقال من هذه فقيل له هذه الحولاء بنت تويت لا تنام الليل فكره ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى عرفت الكراهية في وجهه ثم قال إن الله تبارك وتعالى لا يمل حتى تملوا اكلفوا من العمل ما لكم به طاقة
Yahya related to me from Malik from Ismail from Ibn Abi Hakim that he had heard that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, heard a woman praying at night. He said, "Who is that?" and someone said to him,"It is al-Hawla bint Tuwayt, she does not sleep in the night." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, disapproved of that and his disapproval showed in his face. Then he said, "Allah, the Blessed and Exalted, does not become weary, but you become weary. Take on whatever is within your capability."
পরিচ্ছেদঃ ১. রাত্রে নফল নামায পড়া
রেওয়ায়ত ৫. আসলাম (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) রাত্রে যতক্ষণ আল্লাহ তাওফীক দিতেন নামায পড়িতেন। অতঃপর যখন প্রত্যুষের সময় হইত তিনি ঘরের লোকজনকে জাগাইয়া দিতেন। তাহাদের উদ্দেশ্যে বলিতেন, আস-সালাত, আস-সালাত (নামায, নামায)। অতঃপর কুরআন মজীদের এই আয়াতটি তিলাওয়াত করিতেনঃ
(وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا لَا نَسْأَلُكَ رِزْقًا نَّحْنُ نَرْزُقُكَ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَىٰ)
এবং তোমার পরিবারবর্গকে সালাতের আদেশ দাও ও উহাতে অবিচলিত থাক, আমি তোমার নিকট কোন জীবনোপকরণ চাহি না; আমিই তোমাকে জীবনোপকরণ দেই এবং শুভ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্য। (সূরা ত্ব-হাঃ ১৩২)
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ يُصَلِّي مِنْ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللَّهُ حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ أَيْقَظَ أَهْلَهُ لِلصَّلَاةِ يَقُولُ لَهُمْ الصَّلَاةَ الصَّلَاةَ ثُمَّ يَتْلُو هَذِهِ الْآيَةَ وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا لَا نَسْأَلُكَ رِزْقًا نَحْنُ نَرْزُقُكَ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَى
Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam from his father that Umar ibn al-Khattab used to pray as much as Allah willed in the night until at the end of the night he would wake his family for the prayer. He used to say to them, "The prayer, the prayer." Then he would recite the ayat, "Enjoin prayer on your family and be constant in it. We do not ask you for your provision. We provide for you. And the end result is for taqwa." (Sura 20 ayat 132)
পরিচ্ছেদঃ ১. রাত্রে নফল নামায পড়া
রেওয়ায়ত ৬. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিটক রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) বলিতেনঃ ইশা (নামায)-এর পূর্বে নিদ্রা এবং পরে আলাপ করা মাকরূহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، كَانَ يَقُولُ يُكْرَهُ النَّوْمُ قَبْلَ الْعِشَاءِ وَالْحَدِيثُ بَعْدَهَا
Yahya related to me from Malik that he had heard that Said ibn al-Musayyab used to say, "Sleep is disapproved of before isha and conversation after it."
পরিচ্ছেদঃ ১. রাত্রে নফল নামায পড়া
রেওয়ায়ত ৭. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলিতেনঃ দিনের কি রাত্রির (নফল) নামায দুই-দুই রাকাআতই। প্রতি দুই রাকাআত পর সালাম ফিরাইবে। ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ এই বিষয়ে আমার সিদ্ধান্তও অনুরূপ।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ صَلَاةُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ مَثْنَى مَثْنَى يُسَلِّمُ مِنْ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ قَالَ مَالِك وَهُوَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا
Yahya related to me from Malik that he had heard that Abdullah ibn Umar used to say, "(Voluntary) prayer in both the day and night is two at a time with a taslim after every 2 raka'ahs."
Malik said, "That is the custom among us."
পরিচ্ছেদঃ ২. নবী (ﷺ)-এর বিতরের নামাযের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৮. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রে এগার রাকাআত নামায পড়িতেন, তন্মধ্যে এক রাকাআত বিতর আদায় করিতেন, নামায শেষ করিলে তিনি ডান কাতে শয়ন করিয়া বিশ্রাম করিতেন।
بَاب صَلَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْوِتْرِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي مِنْ اللَّيْلِ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُوتِرُ مِنْهَا بِوَاحِدَةٍ فَإِذَا فَرَغَ اضْطَجَعَ عَلَى شِقِّهِ الْأَيْمَنِ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Urwa ibn az- Zubayr from A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to pray eleven rakas in the night, making them odd by a single one, and when he had finished he lay down on his right side.
পরিচ্ছেদঃ ২. নবী (ﷺ)-এর বিতরের নামাযের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৯. আবূ সালমা ইবন আবদুর রহমান ইবন আউফ (রহঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করিয়াছেনঃ রমযানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামায কেমন হইত? (উত্তরে) তিনি বলিলেনঃ রমযান কি গাইর-রমযান রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (রাত্রির নামায) এগার রাকাআতের উপর বর্ধিত করিতেন না। তিনি চারি রাকাআত পড়িতেন, তুমি উহার দৈর্ঘ ও সৌন্দর্য সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করিও না। অতঃপর চারি রাকাআত পড়িতেন, তুমি উহার দৈর্ঘ ও সৌন্দর্য সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করিও না। অতঃপর তিন রাকাআত পড়িতেন।
আয়েশা (রাঃ) বলিলেনঃ অতঃপর আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, হে আল্লাহ্র রাসূল, আপনি যে বিতরের পূর্বে ঘুমান? (উত্তরে) তিনি ফরমাইলেনঃ হে আয়েশা, (মনে রাখিও) আমর চক্ষুদ্ৰয় ঘুমায় বটে কিন্তু আমার অন্তর ঘুমায় না।
بَاب صَلَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْوِتْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ كَانَتْ صَلَاةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ فَقَالَتْ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلَا فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلَا تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعًا فَلَا تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّي ثَلَاثًا فَقَالَتْ عَائِشَةُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ فَقَالَ يَا عَائِشَةُ إِنَّ عَيْنَيَّ تَنَامَانِ وَلَا يَنَامُ قَلْبِي
Yahya related to me from Malik from Said ibn Abi Said al-Maqburi from Abu Salama ibn Abd ar-Rahman ibn Awf that he asked A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, what the prayer of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, was like during Ramadan. She said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, did not go above eleven rakas in Ramadan or at any other time. He prayed four - do not ask me about their beauty or length. Then he prayed another four - do not ask me about their beauty and length. Then he prayed three."
A'isha continued, "I said, 'Messenger of Allah, are you sleeping before you do the witr?' He said, A'isha, my eyes sleep but my heart does not sleep.' "
পরিচ্ছেদঃ ২. নবী (ﷺ)-এর বিতরের নামাযের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১০. উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রিবেলা তের রাকাআত নামায পড়িতেন। অতঃপর যখন ফজরের আযান শুনিতেন, তখন হালকা দুই রাকাআত নামায পড়িতেন।
بَاب صَلَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْوِتْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي بِاللَّيْلِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً ثُمَّ يُصَلِّي إِذَا سَمِعَ النِّدَاءَ بِالصُّبْحِ رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ
Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa from his father that A'isha, umm al-muminin said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to pray thirteen rakas in the night and then would pray two rakas when he heard the adhan for the subh prayer."
পরিচ্ছেদঃ ২. নবী (ﷺ)-এর বিতরের নামাযের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১১. আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি তাঁহার খালা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী মায়মুনা (রাঃ)-এর নিকট রাত্রি যাপন করিতেছিলেন। তিনি বলিয়াছেনঃ আমি বিছানার প্রস্থে শুইয়াছিলাম আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাহার পরিবার শুইয়াছিলেন বিছানার দৈর্ঘে। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমাইয়া পড়িলেন। তারপর অর্ধ রাত্রি অতিবাহিত হওয়ার কিছু পূর্বে অথবা পরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাগ্রত হইলেন এবং বসিলেন, তারপর চেহারা (মুবারক)-এ হাত সঞ্চালন করিয়া ঘুমের আমেজ দূর করিলেন। অতঃপর সূরা আল-ইমরানের শেষের দশটি আয়াত তিলাওয়াত করিলেন। পরে একটি ঝুলানো পুরাতন মশক বা পাত্রের দিকে দণ্ডায়মান হইলেন, সেখান থেকে পানি লইয়া ওযু করিলেন। এবং উত্তমরূপে ওযু করিলেন, অতঃপর নামায পড়িতে দাঁড়াইলেন। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ (ইহা দেখিয়া) আমিও দাঁড়াইলাম এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে মত ওযু করিয়াছিলেন সেই মত ওযু করিলাম। অতঃপর তাহার পার্শ্বে দাঁড়াইলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার ডান হাত আমার মাথার উপর রাখিলেন এবং আমার ডান কান ধরিয়া উহাকে মলিতে আরম্ভ করিলেন, অতঃপর তিনি দুই রাকাআত পড়িলেন, তারপর দুই রাকাআত, আবার দুই রাকাআত, আবার দুই রাকাআত, আবার দুই রাকাআত, আবার দুই রাকাআত পড়িলেন। তারপর বিতর পড়িয়া বিশ্রাম করিলেন মুয়াযযিন আসা পর্যন্ত। (মুয়াযযিন আযান দিলেন) তিনি সংক্ষিপ্ত দুই রাকাআত (নামায) পড়িলেন, তারপর বাহির হইয়া ফজরের নামায পড়িলেন।
بَاب صَلَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْوِتْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ عَنْ كُرَيْبٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ بَاتَ لَيْلَةً عِنْدَ مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ خَالَتُهُ قَالَ فَاضْطَجَعْتُ فِي عَرْضِ الْوِسَادَةِ وَاضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَهْلُهُ فِي طُولِهَا فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا انْتَصَفَ اللَّيْلُ أَوْ قَبْلَهُ بِقَلِيلٍ أَوْ بَعْدَهُ بِقَلِيلٍ اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَلَسَ يَمْسَحُ النَّوْمَ عَنْ وَجْهِهِ بِيَدِهِ ثُمَّ قَرَأَ الْعَشْرَ الْآيَاتِ الْخَوَاتِمَ مِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ ثُمَّ قَامَ إِلَى شَنٍّ مُعَلَّقٍ فَتَوَضَّأَ مِنْهُ فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقُمْتُ فَصَنَعْتُ مِثْلَ مَا صَنَعَ ثُمَّ ذَهَبْتُ فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رَأْسِي وَأَخَذَ بِأُذُنِي الْيُمْنَى يَفْتِلُهَا فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَوْتَرَ ثُمَّ اضْطَجَعَ حَتَّى أَتَاهُ الْمُؤَذِّنُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الصُّبْحَ
Yahya related to me from Malik from Makhrama ibn Sulayman from Kurayb, the mawla of Ibn Abbas, that Abdullah ibn Abbas told him that he had spent a night at the house of Maimuna, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, who was also Ibn Abbas' mother's sister. Ibn Abbas said, "I lay down with my head on the breadth of the cushion, and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and his wife lay down with their heads on its length. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, slept, until, halfway through the night or a little before or after it, he awoke and sat up and wiped the sleep away from his face with his hand. Then he recited the last ten ayats of sura Ali Imran (Sura3). Then he got up and went over to a water-skin which was hanging up and did wudu from it, doing his wudu thoroughly, and then he stood in prayer."
Ibn Abbas continued, "I stood up and did the same and then went and stood by his side. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, put his right hand on my head and took my right ear and tweaked it. He prayed two rakas, then two rakas, then two rakas, then two rakas, then two rakas, then two rakas, and then prayed an odd raka. Then he lay down until the muadhdhin came to him, and then prayed two quick rakas, and went out and prayed subh ."
পরিচ্ছেদঃ ২. নবী (ﷺ)-এর বিতরের নামাযের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১২. যায়দ ইবন খালিদ জুহানি (রাঃ) বলিয়াছেনঃ (একবার মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করিলাম) অবশ্যই রাসূলুল্লাহ দুই রাকাআত এর নামায কিরূপ হয় অদ্য রাত্রে আমি তাহা অবলোকন করিব। (এই মনস্থ করিয়া) আমি তাহার দরজায় অথবা তাঁবুতে ঠেস দিয়া বসিয়া রহিলাম; অতঃপর রাসূলুল্লাহ দুই রাকাআত দাঁড়াইলেন, আর দীর্ঘ- অনেক দীর্ঘ দুই রাকাআত নামায পড়িলেন, তারপর পূর্বের দুই রাকাআতের তুলনায় সংক্ষিপ্ত দুই রাকাআত পড়িলেন। তারপর দুই রাকাআত পড়িলেন পূর্বের দুই রাকাআত হইতে সংক্ষিপ্ত, তারপর দুই রাকাআত পড়িলেন, এই দুই রাকাআত পূর্বের দুই রাকাআত অপেক্ষা সংক্ষিপ্ত। তারপর পূর্বের দুই রাকাআতের তুলনায় সংক্ষিপ্ত দুই রাকাআত পড়িলেন। সর্বশেষ বিতর পড়িলেন-এই হইল তের রাকাআত।
بَاب صَلَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْوِتْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ أَخْبَرَهُ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ أَنَّهُ قَالَ لَأَرْمُقَنَّ اللَّيْلَةَ صَلَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فَتَوَسَّدْتُ عَتَبَتَهُ أَوْ فُسْطَاطَهُ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ طَوِيلَتَيْنِ طَوِيلَتَيْنِ طَوِيلَتَيْنِ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُمَا دُونَ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُمَا دُونَ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُمَا دُونَ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُمَا دُونَ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُمَا دُونَ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا ثُمَّ أَوْتَرَ فَتِلْكَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً
Yahya related to me from Malik from Abdullah ibn Abi Bakr from his father that Abdullah ibn Qays ibn Makhrama told him that Zayd ibn Khalid al-Juhani said one night that he was going to observe the prayer of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace. He said, "I rested my head on his threshold. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, got up and prayed two long, long, long rakas. Then he prayed two rakas which were slightly less long than the two before them. Then he prayed two rakas which were slightly less long than the two before them. Then he prayed two rakas which were slightly less long than the two before them. Then he prayed two rakas which were slightly less long than the two before them. Then he prayed two rakas which were slightly less long than the two before them. Then he prayed an odd raka, making thirteen rakas in all."
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিতর (নামায)-এর নির্দেশ
রেওয়ায়ত ১৩. আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে সালাতুল লায়ল (তাহাজ্জুদের নামায) সম্বন্ধে প্রশ্ন করিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ফরমাইলেনঃ সালাতুল-লায়ল’ দুই-দুই রাকাআত। অতঃপর যদি প্রভাত হওয়ার আশংকা হয় তবে এক রাকাআত পড়িবে, ইহা আদায়কৃত নামাযগুলিকে তাহার জন্য বিতর-এ (বিজোড়) পরিণত করবে।
بَاب الْأَمْرِ بِالْوِتْرِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَلَاةِ اللَّيْلِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى فَإِذَا خَشِيَ أَحَدُكُمْ الصُّبْحَ صَلَّى رَكْعَةً وَاحِدَةً تُوتِرُ لَهُ مَا قَدْ صَلَّى
Yahya related to me from Malik from Nafi and Abdullah ibn Umar that a man asked the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, about night prayers. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Night prayers are two by two, and when you are afraid that dawn is approaching, pray one raka to make what you have prayed odd."
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিতর (নামায)-এর নির্দেশ
রেওয়ায়ত ১৪. আবদুল্লাহ ইবন মুহায়রীয (রহঃ) হইতে বর্ণিত, কেনানা গোত্রের এক ব্যক্তি, যাহাকে মুখদাজী বলা হইত, তিনি শাম দেশের এক ব্যক্তিকে (যাহার উপনাম আবু মুহাম্মদ) বলিতে শুনিয়াছেন যে, বিতর-এর নামায ওয়াজিব। মুখদাজী বলিলেনঃ আমি উবাদা ইবন সামিত (রাঃ)-এর নিকট গেলাম, তিনি তখন মসজিদে গমন করিতেছিলেন। আমি তাহার পথ আটকাইয়া দাঁড়াইলাম। অতঃপর আবু মুহাম্মদ যাহা বলিয়াছেন তাহাকে উহার খবর দিলাম। উবাদা (রাঃ) বলিলেনঃ আবু মুহাম্মদ অসত্য বলিয়াছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছিঃ আল্লাহ তা’আলা বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করিয়াছেন। যে ব্যক্তি উহা আদায় করিবে এবং তুচ্ছ ধারণা করিয়া উহার কোন প্রকার হক নষ্ট করিবে না, তাহার জন্য আল্লাহর নিকট এই প্রতিজ্ঞা রহিল যে, তিনি তাহাকে বেহেশতে প্রবেশ করাইবেন। আর যে উহা আদায় করিবে না, তাহার প্রতি আল্লাহর কোন অঙ্গীকার থাকিবে না। তিনি ইচ্ছা করিলে তাহাকে শাস্তি দিবেন এবং ইচ্ছা করিলে তাহাকে জান্নাতেও দাখিল করিতে পারেন।
بَاب الْأَمْرِ بِالْوِتْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ أَنَّ رَجُلًا مِنْ بَنِي كِنَانَةَ يُدْعَى الْمُخْدَجِيَّ سَمِعَ رَجُلًا بِالشَّامِ يُكَنَّى أَبَا مُحَمَّدٍ يَقُولُ إِنَّ الْوِتْرَ وَاجِبٌ فَقَالَ الْمُخْدَجِيُّ فَرُحْتُ إِلَى عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ فَاعْتَرَضْتُ لَهُ وَهُوَ رَائِحٌ إِلَى الْمَسْجِدِ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي قَالَ أَبُو مُحَمَّدٍ فَقَالَ عُبَادَةُ كَذَبَ أَبُو مُحَمَّدٍ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ خَمْسُ صَلَوَاتٍ كَتَبَهُنَّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى الْعِبَادِ فَمَنْ جَاءَ بِهِنَّ لَمْ يُضَيِّعْ مِنْهُنَّ شَيْئًا اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهِنَّ كَانَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ وَمَنْ لَمْ يَأْتِ بِهِنَّ فَلَيْسَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ وَإِنْ شَاءَ أَدْخَلَهُ الْجَنَّةَ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said from Muhammad ibn Yahya ibn Habban from Ibn Muhayriz that a man from the Kinana tribe called al-Mukhdaji heard a man in Syria known as Abu Muhammad saying, "The witr is obligatory (fard)." Al-Mukhdaji said, "I went to Ubada ibn as-Samit and presented myself to him as he was going to the mosque, and told him what Abu Muhammad had said. Ubada said that Abu Muhammad had lied and that he had heard the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, say, 'Allah the Majestic and Mighty has written five prayers for mankind, and whoever does them and does not waste anything of them by making light of what is due to them, there is a pact for him with Allah that He will admit him into the Garden.Whoever does not do them, there is no pact for him with Allah. If He wishes, He punishes him, and if He wishes, He admits him into the Garden.' "
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিতর (নামায)-এর নির্দেশ
রেওয়ায়ত ১৫. সাঈদ ইবন ইয়াসার (রহঃ) বলিয়াছেনঃ আমি আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-এর সঙ্গে মক্কার পথে ভ্রমণ করিতেছিলাম। সাঈদ (রহঃ) বর্ণনা করিলেনঃ যখন প্রভাত হওয়ার আশংকা করিলাম, তখন বিতর পড়িলাম এবং (তাড়াতাড়ি) আসিয়া তাহার সাথে একত্র হইলাম। আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তুমি (এতক্ষণ) কোথায় ছিলে ? আমি (উত্তরে) তাহাকে বলিলামঃ ভোর হইতেছে আশংকা করিয়া নিচে নামিয়া বিতর পড়িয়ছি। ইহা (শুনিয়া) আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বললেনঃ তোমার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (কাজের মধ্যে) আদর্শ নাই কি ? আমি বলিলামঃ আল্লাহর কসম, হ্যাঁ আছে। তিনি বলিলেনঃ (মনে রাখ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উটের উপর বিতর পড়িতেন।
بَاب الْأَمْرِ بِالْوِتْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عُمَرَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ قَالَ كُنْتُ أَسِيرُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بِطَرِيقِ مَكَّةَ قَالَ سَعِيدٌ فَلَمَّا خَشِيتُ الصُّبْحَ نَزَلْتُ فَأَوْتَرْتُ ثُمَّ أَدْرَكْتُهُ فَقَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أَيْنَ كُنْتَ فَقُلْتُ لَهُ خَشِيتُ الصُّبْحَ فَنَزَلْتُ فَأَوْتَرْتُ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ أَلَيْسَ لَكَ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ فَقُلْتُ بَلَى وَاللَّهِ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُوتِرُ عَلَى الْبَعِيرِ
Yahya related to me from Malik from Abu Bakr ibn Umar that Said ibn Yasar said, ''I was travelling with Abdullah ibn Umar on the road to Makka, and fearing that it was nearly dawn. I dismounted and prayed witr. Abdullah said, 'Is there not a model for you in the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace?' I said, 'Of course, by Allah!' He said, 'The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to pray witr on his camel.' "
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিতর (নামায)-এর নির্দেশ
রেওয়ায়ত ১৬. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) বর্ণনা করিয়াছেন- আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) শয্যা গ্রহণের ইচ্ছা করিলে বিতর পড়িয়া লইতেন। আর উমর (রাঃ) শেষ রাত্রে বিতর পড়িতেন। সাঈদ ইবন মুসায়্যাব বলেন, (আমার অভ্যাস হইল এই) আমি যখন শয্যা গ্রহণ করিতে আসি তখন বিতর পড়িয়া লই।
بَاب الْأَمْرِ بِالْوِتْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ كَانَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْتِيَ فِرَاشَهُ أَوْتَرَ وَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يُوتِرُ آخِرَ اللَّيْلِ قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ فَأَمَّا أَنَا فَإِذَا جِئْتُ فِرَاشِي أَوْتَرْتُ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that Said ibn al-Musayyab said, "Abu Bakr as-Siddiq used to pray witr when he wished to go to bed, and Umar ibn al-Khattab used to pray witr at the end of the night. As for me, I pray witr when I go to bed."
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিতর (নামায)-এর নির্দেশ
রেওয়ায়ত ১৭. মালিক (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তাহার নিকট বর্ণনা পৌঁছিয়াছে যে, এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ)-কে বিতর (নামায) ওয়াজিব কিনা জিজ্ঞাসা করিলেন। (উত্তরে) তিনি বলিলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর পড়িয়াছেন এবং মুসলিমগণও বিতর পড়িয়াছেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ (প্রশ্নকারী) সেই ব্যক্তিটি বারবার তাহাকে জিজ্ঞাসা করিতেছিলেনঃ বিতর ওয়াজিব কি না? (উত্তরে) আবদুল্লাহ (রাঃ) বারবার ইহাই বলিয়াছেন।
بَاب الْأَمْرِ بِالْوِتْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ عَنْ الْوِتْرِ أَوَاجِبٌ هُوَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ قَدْ أَوْتَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَوْتَرَ الْمُسْلِمُونَ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يُرَدِّدُ عَلَيْهِ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَقُولُ أَوْتَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَوْتَرَ الْمُسْلِمُونَ
Yahya related to me from Malik that he had heard that a man asked Abdullah ibn Umar whether the witr was obligatory and Abdullah ibn Umar said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, prayed witr, and the muslims prayed witr." The man began repeating his question, and Abdullah ibn Umar kept saying, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, prayed witr, and the muslims prayed witr."
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিতর (নামায)-এর নির্দেশ
রেওয়ায়ত ১৮. মালিক (রহঃ) হইতে বর্ণিত- তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) বলিয়াছেনঃ যাহার এই আশংকা থাকে যে, সে ভোর হওয়া পর্যন্ত ঘুমাইবে, তবে সে ঘুমের পূর্বেই বিতর পড়িয়া লইবে। আর যে ব্যক্তি শেষ রাত্রে জাগিবার ভরসা রাখে সে বিতর পরে (শেষ রাত্রে) পড়িবে।
بَاب الْأَمْرِ بِالْوِتْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ تَقُولُ مَنْ خَشِيَ أَنْ يَنَامَ حَتَّى يُصْبِحَ فَلْيُوتِرْ قَبْلَ أَنْ يَنَامَ وَمَنْ رَجَا أَنْ يَسْتَيْقِظَ آخِرَ اللَّيْلِ فَلْيُؤَخِّرْ وِتْرَهُ
Yahya related to me from Malik that he had heard that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, used to say, "If someone fears that he will sleep through till the morning, let him pray the witr before he sleeps, and if some one hopes to wake for the last part of the night, let him delay his witr."
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিতর (নামায)-এর নির্দেশ
রেওয়ায়ত ১৯. মালিক (রহঃ) হইতে বর্ণিত, নাফি (রহঃ) বলিয়াছেনঃ তিনি মক্কার পথে আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলেন। তখন আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। তাই আবদুল্লাহ (ইবন উমর) (রাঃ) ভোর হওয়ার আশংকা করিলেন এবং এক রাকাআত বিতর পড়িয়া লইলেন। অতঃপর মেঘ দূরীভূত হইলে তিনি দেখিলেন এখনও রাত্রি কিছু অবশিষ্ট আছে। তখন তিনি আর এক রাকাআত দ্বারা জোড় (নামায) করিয়া নিলেন। অতঃপর দুই-দুই রাকাআত করিয়া আরও নামায পড়িলেন। যখন প্রভাত নিকটবর্তী মনে করিলেন তখন এক রাকাআত বিতর পড়িয়া লইলেন।
بَاب الْأَمْرِ بِالْوِتْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّهُ قَالَ كُنْتُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بِمَكَّةَ وَالسَّمَاءُ مُغِيمَةٌ فَخَشِيَ عَبْدُ اللَّهِ الصُّبْحَ فَأَوْتَرَ بِوَاحِدَةٍ ثُمَّ انْكَشَفَ الْغَيْمُ فَرَأَى أَنَّ عَلَيْهِ لَيْلًا فَشَفَعَ بِوَاحِدَةٍ ثُمَّ صَلَّى بَعْدَ ذَلِكَ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فَلَمَّا خَشِيَ الصُّبْحَ أَوْتَرَ بِوَاحِدَةٍ
Yahya related to me from Malik that Nafi said, "I was with Abdullah ibn Umar in Makka. The sky was clouded over and Abdullah feared that dawn was approaching so he prayed one raka for witr. Then the clouds cleared and he saw that it was still night, so he made his prayers even with one raka. Then he continued to pray two rakas at a time, until when he feared the approach of dawn, he prayed one raka for witr."
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিতর (নামায)-এর নির্দেশ
রেওয়ায়ত ২০. নাফি (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বিতর-এর এক রাকাআত এবং তৎপূর্বের দুই রাকাআতের মাঝখানে সালাম ফিরাইতেন। এমন কি তাহার প্রয়োজনীয় বিষয়ে নির্দেশও প্রদান করিতেন।
بَاب الْأَمْرِ بِالْوِتْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ يُسَلِّمُ بَيْنَ الرَّكْعَتَيْنِ وَالرَّكْعَةِ فِي الْوِتْرِ حَتَّى يَأْمُرَ بِبَعْضِ حَاجَتِهِ
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar used to say the taslim between the two rakas and the one raka of witr so that he could order something he needed.