মুয়াত্তা মালিক ৩. নামায (كتاب الصلاة)
১৪৬

পরিচ্ছেদঃ ১. নামাযের প্রতি আহবান

রেওয়ায়ত ১. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) বলিয়াছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুইটি কাঠ তৈয়ার করাইবার মনস্থ করিয়াছিলেন, যেন একটির দ্বারা অপরটির উপর আঘাত করিয়া ধ্বনি সৃষ্টি করিয়া মানুষকে নামাযের জামাতের উদ্দেশ্যে একত্র করা যায়। অতঃপর আবদুল্লাহ ইবন যায়দ আনসারী এবং বনি হারিস ইবন খাযরাযী (রাঃ) স্বপ্নে দুইটি কাঠ দেখিতে পাইয়া বলিলেনঃ এই দুইটি অনুরূপ কাঠই যেরূপ কাঠ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৈয়ার করাইতে চাহিয়াছেন। তারপর তাহাকে বলা হইলঃ তোমরা নামাযের জন্য আযান দাও না কেন? ঘুম হইতে জাগার পর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সমীপে উপস্থিত হইয়া তাহার স্বপ্নের কথা আরয করলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আযানের জন্য হুকুম দিলেন।

بَاب مَا جَاءَ فِي النِّدَاءِ لِلصَّلَاةِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَرَادَ أَنْ يَتَّخِذَ خَشَبَتَيْنِ يُضْرَبُ بِهِمَا لِيَجْتَمِعَ النَّاسُ لِلصَّلَاةِ فَأُرِيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ ثُمَّ مِنْ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ خَشَبَتَيْنِ فِي النَّوْمِ فَقَالَ إِنَّ هَاتَيْنِ لَنَحْوٌ مِمَّا يُرِيدُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقِيلَ أَلَا تُؤَذِّنُونَ لِلصَّلَاةِ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ اسْتَيْقَظَ فَذَكَرَ لَهُ ذَلِكَ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْأَذَانِ

حدثني يحيى عن مالك عن يحيى بن سعيد انه قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم قد اراد ان يتخذ خشبتين يضرب بهما ليجتمع الناس للصلاة فاري عبد الله بن زيد الانصاري ثم من بني الحارث بن الخزرج خشبتين في النوم فقال ان هاتين لنحو مما يريد رسول الله صلى الله عليه وسلم فقيل الا توذنون للصلاة فاتى رسول الله صلى الله عليه وسلم حين استيقظ فذكر له ذلك فامر رسول الله صلى الله عليه وسلم بالاذان


Yahya related to me from Malik that Yahya ibn Said said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, had wanted to take two pieces of wood to strike them together to gather people for the prayer, and Abdullah ibn Zayd al-Ansari, then of the tribe of Harith ibn al-Khazraj, was shown two pieces of wood in his sleep. He said, 'These are close to what the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, wants.' Then it was said, 'Do you not call to the prayer?', so when he woke up he went to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and mentioned the dream to him. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, ordered the adhan."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৪৭

পরিচ্ছেদঃ ১. নামাযের প্রতি আহবান

রেওয়ায়ত ২. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যখন তোমরা আযান শোন তখন মুয়াযযিনের অনুরূপ তোমরাও বল।

بَاب مَا جَاءَ فِي النِّدَاءِ لِلصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ ‏"‏ ‏.‏

وحدثني عن مالك، عن ابن شهاب، عن عطاء بن يزيد الليثي، عن ابي سعيد الخدري، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ اذا سمعتم النداء فقولوا مثل ما يقول الموذن ‏"‏ ‏.‏


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Ata ibn Yazid al-Laythi from Abu Said al-Khudri that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "When you hear the adhan, repeat what the muadhdhin says."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৪৮

পরিচ্ছেদঃ ১. নামাযের প্রতি আহবান

রেওয়ায়ত ৩. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ মানুষ যদি জানিত আযান ও প্রথম কাতারে কী (বরকত ও মঙ্গল) রহিয়াছে, তবে উহা পাইবার জন্য লটারী ছাড়া উপায় না থাকিলে তাহারা উহার জন্য লটারী করিত। আর যদি তাহারা জানিত দ্ধিপ্রহরের নামাযে (যোহর ও জুম’আয়) প্রথম সময়ে গমনে কী রহিয়াছে তবে তাহার দিকে দ্রুতগতিতে ধাবিত হইত। আর তাহারা যদি জানিত ইশা ও ফজরের নামাযে কী রহিয়াছে তাহা হইলে উভয় নামাযের জন্য অবশ্যই আসিত, এমনকি হামাগুড়ি দিয়াও।

بَاب مَا جَاءَ فِي النِّدَاءِ لِلصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الأَوَّلِ ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلاَّ أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوا وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لاَسْتَبَقُوا إِلَيْهِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا ‏"‏ ‏.‏

وحدثني عن مالك، عن سمى، مولى ابي بكر بن عبد الرحمن عن ابي صالح السمان، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ لو يعلم الناس ما في النداء والصف الاول ثم لم يجدوا الا ان يستهموا عليه لاستهموا ولو يعلمون ما في التهجير لاستبقوا اليه ولو يعلمون ما في العتمة والصبح لاتوهما ولو حبوا ‏"‏ ‏.‏


Yahya related to me from Malik from Sumayy, the mawla of Abu Bakr ibn Abd ar-Rahman, from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "If people knew what was in the adhan and the first row of the prayer and could only draw lots for it, they would draw lots. And if they knew what was in doing dhuhr early, they would race each other to it. And if they knew what was in isha and subh, they would go to them even if they had to crawl."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৪৯

পরিচ্ছেদঃ ১. নামাযের প্রতি আহবান

রেওয়ায়ত ৪. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যখন নামাযের ইকামত বলা হয় তখন তাড়াহুড়া না কুরিয়া ধীরে সুস্থে আসিবে। অতঃপর জামাতের সঙ্গে যতখানি পাইবে উহা পড়িয়া অবশিষ্ট নামায নিজে নিজে পূরণ করবে। কেননা তোমাদের কেউ নামাযের উদ্দেশ্যে বাহির হইলে তাহাকে নামাযে গণ্য করা হয়।

بَاب مَا جَاءَ فِي النِّدَاءِ لِلصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ عَنْ أَبِيهِ وَإِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ أَنَّهُمَا سَمِعَا أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا ثُوِّبَ بِالصَّلَاةِ فَلَا تَأْتُوهَا وَأَنْتُمْ تَسْعَوْنَ وَأْتُوهَا وَعَلَيْكُمْ السَّكِينَةُ فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا وَمَا فَاتَكُمْ فَأَتِمُّوا فَإِنَّ أَحَدَكُمْ فِي صَلَاةٍ مَا كَانَ يَعْمِدُ إِلَى الصَّلَاةِ

وحدثني عن مالك عن العلاء بن عبد الرحمن بن يعقوب عن ابيه واسحق بن عبد الله انهما اخبراه انهما سمعا ابا هريرة يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا ثوب بالصلاة فلا تاتوها وانتم تسعون واتوها وعليكم السكينة فما ادركتم فصلوا وما فاتكم فاتموا فان احدكم في صلاة ما كان يعمد الى الصلاة


Yahya related to me from Malik from al-Ala ibn Abd ar-Rahman ibn Yaqub from his father and Ishaq ibn Abdullah that they informed him that they heard Abu Hurayra say, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'When the iqama is called for prayer, do not come to it running, but come with calmness. Pray what you catch and complete what you miss. You are in prayer as long as your aim is the prayer.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৫০

পরিচ্ছেদঃ ১. নামাযের প্রতি আহবান

রেওয়ায়ত ৫. আবদুর রহমান ইবন আবি সাসা’আ’ আনসারী মাযনী (রহঃ) কর্তৃক তাহার পিতা হইতে বর্ণিত, আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) তাহাকে উদ্দেশ্য করিয়া বলিয়াছেনঃ আমি দেখিতেছি তুমি মাঠ ও বকরীকে ভালবাস। তুমি যখন তোমার বকরীর সঙ্গে থাক অথবা মাঠে থাক এবং নামাযের জন্য আযান দাও তবে তারস্বরে আযান দিও। কারণ আযানের স্বর মানুষ, জিন এবং অন্য যে কেউ শুনিতে পায়, সে মুয়াযযিনের জন্য কিয়ামত দিবসে সাক্ষ্য দিবে।

আবূ সাঈদ (রাঃ) বলিয়াছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে অনুরূপ শুনিয়াছি।

بَاب مَا جَاءَ فِي النِّدَاءِ لِلصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ الْأَنْصَارِيِّ ثُمَّ الْمَازِنِيِّ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ لَهُ إِنِّي أَرَاكَ تُحِبُّ الْغَنَمَ وَالْبَادِيَةَ فَإِذَا كُنْتَ فِي غَنَمِكَ أَوْ بَادِيَتِكَ فَأَذَّنْتَ بِالصَّلَاةِ فَارْفَعْ صَوْتَكَ بِالنِّدَاءِ فَإِنَّهُ لَا يَسْمَعُ مَدَى صَوْتِ الْمُؤَذِّنِ جِنٌّ وَلَا إِنْسٌ وَلَا شَيْءٌ إِلَّا شَهِدَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

وحدثني عن مالك عن عبد الرحمن بن عبد الله بن عبد الرحمن بن ابي صعصعة الانصاري ثم المازني عن ابيه انه اخبره ان ابا سعيد الخدري قال له اني اراك تحب الغنم والبادية فاذا كنت في غنمك او باديتك فاذنت بالصلاة فارفع صوتك بالنداء فانه لا يسمع مدى صوت الموذن جن ولا انس ولا شيء الا شهد له يوم القيامة قال ابو سعيد سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم


Yahya related to me from Malik from Abd arRahman ibn Abdullah ibn Abd ar-Rahman ibn Abu Sasaca al-Ansari, and later al-Mazini, that his father told him that Abu Said al-Khudri had said to him, "I see that you love sheep and the desert. When you are among your sheep or in your desert, call the prayer and raise your voice in the adhan, because I heard the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, say, 'No jinn or man or anything within range hears the voice of the muadhdhin except that it bears witness for him on the day of rising.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৫১

পরিচ্ছেদঃ ১. নামাযের প্রতি আহবান

রেওয়ায়ত ৬. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ নামাযের জন্য আযান দেওয়ার সময় শয়তান সশব্দে বায়ু ছাড়িতে ছাড়িতে পালায়, যেন সে আযানের শব্দ না শোনে। আযান শেষ হইলে সে আবার আসে। ইকামত আরম্ভ হইলে আবার পলায়ন করে। ইকামত বলা শেষ হইলে পুনরায় উপস্থিত হয় এবং ওয়াসওয়াসা ঢালিয়া নামাযী ব্যক্তি ও তাহার অভীষ্ট লক্ষ্যের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে; যে সকল বিষয় তাহার স্মরণ ছিল না সেই সবের প্রতি আকৃষ্ট করিয়া সে বলিতে থাকেঃ অমুক বিষয় স্মরণ কর, অমুক বিষয় স্মরণ কর। ফলে সেই ব্যক্তি কত রাকাআত নামায পড়িয়াছে উহা পর্যন্ত ভুলিয়া যায়।

بَاب مَا جَاءَ فِي النِّدَاءِ لِلصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا نُودِيَ لِلصَّلاَةِ أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ لَهُ ضُرَاطٌ حَتَّى لاَ يَسْمَعَ النِّدَاءَ فَإِذَا قُضِيَ النِّدَاءُ أَقْبَلَ حَتَّى إِذَا ثُوِّبَ بِالصَّلاَةِ أَدْبَرَ حَتَّى إِذَا قُضِيَ التَّثْوِيبُ أَقْبَلَ حَتَّى يَخْطِرَ بَيْنَ الْمَرْءِ وَنَفْسِهِ يَقُولُ اذْكُرْ كَذَا اذْكُرْ كَذَا لِمَا لَمْ يَكُنْ يَذْكُرُ حَتَّى يَظَلَّ الرَّجُلُ إِنْ يَدْرِي كَمْ صَلَّى ‏"‏ ‏.‏

وحدثني عن مالك، عن ابي الزناد، عن الاعرج، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ اذا نودي للصلاة ادبر الشيطان له ضراط حتى لا يسمع النداء فاذا قضي النداء اقبل حتى اذا ثوب بالصلاة ادبر حتى اذا قضي التثويب اقبل حتى يخطر بين المرء ونفسه يقول اذكر كذا اذكر كذا لما لم يكن يذكر حتى يظل الرجل ان يدري كم صلى ‏"‏ ‏.‏


Yahya related to me from Malik from Abu'z-Zinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "When the call to prayer is made Shaytan retreats, passing wind, so that he will not hear the adhan. When the adhan is completed he comes back, until, when the iqama is said, he retreats again. When the iqama is completed, he comes back, until he comes between a man and his self and says, 'Think of such and such, think of such and such,' which he was not thinking about before, until the man does not know how much he has prayed."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৫২

পরিচ্ছেদঃ ১. নামাযের প্রতি আহবান

রেওয়ায়ত ৭. সাহল ইবন সা’আদ সায়েদী (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেনঃ দুইটি মুহূর্ত এইরূপ আছে সেই সময় অসমানের দরওয়াজা খোলা হয় এবং সেই মুহূর্তদ্বয়ে প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা কুচিৎ ফেরত দেওয়া হয়; নামাযের আযানের মুহুর্ত এবং আল্লাহর পথে জিহাদের কাতার ঠিক করার মুহুর্ত।

ইয়াহইয়া (রহঃ) বলিয়াছেনঃ মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইলঃ জুম’আর দিন সময়ের পূর্বে আযান দেওয়া যায় কি? তিনি উত্তর দিলেনঃ না, যায় না। সূর্য পশ্চিম দিকে ঝুঁকিবার পরই আযানের সময় হয়।

ইয়াহইয়া (রহঃ) বর্ণনা করিয়াছেন- মালিক (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল আযান ও ইকামত-এর (বাক্যগুলি) দুই দুইবার বলা সম্পর্কে এবং ইকামতের সময় মানুষের কোন সময় দাঁড়াইতে হইবে সেই সম্পর্কে। তিনি উত্তর দিলেনঃ আযান ও ইকামতের বিষয় আমি লোকজনকে যে পর্যায়ে পাইয়াছি উহার চাইতে অধিক কিছু আমার নিকট পৌছে নাই। ইকামত অবশ্য দুই দুইবার বলিতে নাই। আমাদের শহরের (মদীনা) বিজ্ঞ আলিমগণ এই মতই পোষণ করিতেন। ইকামতের সময় দাঁড়াইবার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন সীমা আমি জ্ঞাত নই। তবে আমার মতে উহা অনেকটা লোকের শক্তি-সামর্থ্যের উপর নির্ভর করে। কারণ সব লোক এক রকমের নয়; তাহাদের মধ্যে সবল ও দুর্বল সকল প্রকারের লোকই থাকে।

ইয়াহইয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইলঃ যাহারা প্রবাসী নহে বরং মুকীম (স্বদেশে বা বিদেশে শরীয়তসম্মত স্থায়ী বসবাসকারী) তাহারা ফরয নামায জামাত সহকারে আযান ছাড়া শুধু ইকামত বলিয়া পড়িতে চাহিলে-এই বিষয়ে আপনার মত কি? তিনি বলিলেনঃ কেবল ইকামত বলিলেও চলিবে। কেননা আযান ওয়াজিব হয় সেই সব মসজিদের জন্য যেসব মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয় এবং লোকজনকে নামাযের জন্য আহবান করা হয়।

ইয়াহইয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, মুয়াযযিন কর্তৃক ইমামকে সালাম দেওয়া, নামাযের জন্য তাহাকে আহবান করা এবং সর্বপ্রথম কোন আমীরের প্রতি এইরূপ করা হইয়াছিল- এই বিষয়ে মালিক (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইলে তিনি বলিলেনঃ এইরূপ সালাম দেওয়ার রীতি প্রথম যুগে ছিল বলিয়া আমি অবগত নই।

ইয়াহইয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, মুয়াযযিন আযান দিয়া অপেক্ষা করিল, কিন্তু নামায পড়িতে কেউ আসিল না। অতএব, সে ইকামত বলিয়া একা একাই নামায পড়িল। নামায সমাপ্ত হইলে কিছু লোক আসিল। এক্ষণে সে কি পুনরায় আগন্তুকদের সঙ্গে নামায পড়িবে? মালিক (রহঃ)-এর নিকট এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হইলে তিনি বলিলেনঃ না, পরে যাহারা আসিবে তাহারা পৃথক পৃথকভাবে নামায পড়িবে।

ইয়াহইয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রহঃ) জিজ্ঞাসিত হইলেনঃ মুয়াৰ্যযিন আযান দিবার পর নফল নামায শুরু করিল। লোকজন আসিয়া অন্যের দ্বারা ইকামত বলাইয়া জামাতসহকারে নামায পড়িতে ইচ্ছা করিল, এইরূপ করা চলে কি? তিনি উত্তর দিলেন, যায়, ইহা বৈধ। ইকামত বলার ব্যাপারে মুয়াযযিন এবং অন্য ব্যক্তি এক সমান।

ইয়াহইয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ ফজরের আযান প্রায়ই সুবহে-সাদিক-এর আগে দেওয়া হইত। কিন্তু অন্যসব নামাযের আযান আমাদের মতে সময় হওয়ার পর ছাড়া দেওয়া হইত না।

بَاب مَا جَاءَ فِي النِّدَاءِ لِلصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّهُ قَالَ سَاعَتَانِ يُفْتَحُ لَهُمَا أَبْوَابُ السَّمَاءِ وَقَلَّ دَاعٍ تُرَدُّ عَلَيْهِ دَعْوَتُهُ حَضْرَةُ النِّدَاءِ لِلصَّلَاةِ وَالصَّفُّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
وَسُئِلَ مَالِك عَنْ النِّدَاءِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ هَلْ يَكُونُ قَبْلَ أَنْ يَحِلَّ الْوَقْتُ فَقَالَ لَا يَكُونُ إِلَّا بَعْدَ أَنْ تَزُولَ الشَّمْسُ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ تَثْنِيَةِ الْأَذَانِ وَالْإِقَامَةِ وَمَتَى يَجِبُ الْقِيَامُ عَلَى النَّاسِ حِينَ تُقَامُ الصَّلَاةُ فَقَالَ لَمْ يَبْلُغْنِي فِي النِّدَاءِ وَالْإِقَامَةِ إِلَّا مَا أَدْرَكْتُ النَّاسَ عَلَيْهِ فَأَمَّا الْإِقَامَةُ فَإِنَّهَا لَا تُثَنَّى وَذَلِكَ الَّذِي لَمْ يَزَلْ عَلَيْهِ أَهْلُ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا وَأَمَّا قِيَامُ النَّاسِ حِينَ تُقَامُ الصَّلَاةُ فَإِنِّي لَمْ أَسْمَعْ فِي ذَلِكَ بِحَدٍّ يُقَامُ لَهُ إِلَّا أَنِّي أَرَى ذَلِكَ [ ص: 68 ] عَلَى قَدْرِ طَاقَةِ النَّاسِ فَإِنَّ مِنْهُمْ الثَّقِيلَ وَالْخَفِيفَ وَلَا يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يَكُونُوا كَرَجُلٍ وَاحِدٍ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ قَوْمٍ حُضُورٍ أَرَادُوا أَنْ يَجْمَعُوا الْمَكْتُوبَةَ فَأَرَادُوا أَنْ يُقِيمُوا وَلَا يُؤَذِّنُوا قَالَ مَالِك ذَلِكَ مُجْزِئٌ عَنْهُمْ وَإِنَّمَا يَجِبُ النِّدَاءُ فِي مَسَاجِدِ الْجَمَاعَاتِ الَّتِي تُجْمَعُ فِيهَا الصَّلَاةُ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ تَسْلِيمِ الْمُؤَذِّنِ عَلَى الْإِمَامِ وَدُعَائِهِ إِيَّاهُ لِلصَّلَاةِ وَمَنْ أَوَّلُ مَنْ سُلِّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَمْ يَبْلُغْنِي أَنَّ التَّسْلِيمَ كَانَ فِي الزَّمَانِ الْأَوَّلِ قَالَ يَحْيَى وَسُئِلَ مَالِك عَنْ مُؤَذِّنٍ أَذَّنَ لِقَوْمٍ ثُمَّ انْتَظَرَ هَلْ يَأْتِيهِ أَحَدٌ فَلَمْ يَأْتِهِ أَحَدٌ فَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَصَلَّى وَحْدَهُ ثُمَّ جَاءَ النَّاسُ بَعْدَ أَنْ فَرَغَ أَيُعِيدُ الصَّلَاةَ مَعَهُمْ قَالَ لَا يُعِيدُ الصَّلَاةَ وَمَنْ جَاءَ بَعْدَ انْصِرَافِهِ فَلْيُصَلِّ لِنَفْسِهِ وَحْدَهُ قَالَ يَحْيَى وَسُئِلَ مَالِك عَنْ مُؤَذِّنٍ أَذَّنَ لِقَوْمٍ ثُمَّ تَنَفَّلَ فَأَرَادُوا أَنْ يُصَلُّوا بِإِقَامَةِ غَيْرِهِ فَقَالَ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ إِقَامَتُهُ وَإِقَامَةُ غَيْرِهِ سَوَاءٌ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك لَمْ تَزَلْ الصُّبْحُ يُنَادَى لَهَا قَبْلَ الْفَجْرِ فَأَمَّا غَيْرُهَا مِنْ الصَّلَوَاتِ فَإِنَّا لَمْ نَرَهَا يُنَادَى لَهَا إِلَّا بَعْدَ أَنْ يَحِلَّ وَقْتُهَا

وحدثني عن مالك عن ابي حازم بن دينار عن سهل بن سعد الساعدي انه قال ساعتان يفتح لهما ابواب السماء وقل داع ترد عليه دعوته حضرة النداء للصلاة والصف في سبيل الله وسىل مالك عن النداء يوم الجمعة هل يكون قبل ان يحل الوقت فقال لا يكون الا بعد ان تزول الشمس وسىل مالك عن تثنية الاذان والاقامة ومتى يجب القيام على الناس حين تقام الصلاة فقال لم يبلغني في النداء والاقامة الا ما ادركت الناس عليه فاما الاقامة فانها لا تثنى وذلك الذي لم يزل عليه اهل العلم ببلدنا واما قيام الناس حين تقام الصلاة فاني لم اسمع في ذلك بحد يقام له الا اني ارى ذلك [ ص: 68 ] على قدر طاقة الناس فان منهم الثقيل والخفيف ولا يستطيعون ان يكونوا كرجل واحد وسىل مالك عن قوم حضور ارادوا ان يجمعوا المكتوبة فارادوا ان يقيموا ولا يوذنوا قال مالك ذلك مجزى عنهم وانما يجب النداء في مساجد الجماعات التي تجمع فيها الصلاة وسىل مالك عن تسليم الموذن على الامام ودعاىه اياه للصلاة ومن اول من سلم عليه فقال لم يبلغني ان التسليم كان في الزمان الاول قال يحيى وسىل مالك عن موذن اذن لقوم ثم انتظر هل ياتيه احد فلم ياته احد فاقام الصلاة وصلى وحده ثم جاء الناس بعد ان فرغ ايعيد الصلاة معهم قال لا يعيد الصلاة ومن جاء بعد انصرافه فليصل لنفسه وحده قال يحيى وسىل مالك عن موذن اذن لقوم ثم تنفل فارادوا ان يصلوا باقامة غيره فقال لا باس بذلك اقامته واقامة غيره سواء قال يحيى قال مالك لم تزل الصبح ينادى لها قبل الفجر فاما غيرها من الصلوات فانا لم نرها ينادى لها الا بعد ان يحل وقتها


Yahya related to me from Malik from Abu Hazim ibn Dinar that Sahl ibn Sad as-Saidi said, "There are two times when the gates of heaven are opened, and few who make supplication have it returned to them unanswered. They are at the timeof the adhan, and in a rank of people fighting in the way of Allah."

Malik was asked whether the adhan on the day of jumua was called before the time had come for the prayer and he said, "It is not called until after the sun has passed the meridian."

Malik was asked about doubling the adhan and the iqama, and at what point people had to stand when the iqama for the prayer was called. He said, "I have heard nothing about the adhan and iqama except what I have seen people do. As for the iqama, it is not doubled. That is what the people of knowledge in our region continue to do. As for people standing up when the iqama for the prayer is called, I have not heard of any definite point at which it is begun, and I consider it rather to be according to people's (individual) capacity, for some people are heavy and some are light, and they are not able to be as one man ."

Malik was asked about a gathering of people who wished to do the prescribed prayer calling the iqama and not the adhan, and he said, "lt is enough for them. The adhan is only obligatory in mosques where the prayer is said in congregation."

Malik was asked about the muadhdhin saying "Peace be upon you" to the imam and calling him to the prayer, and he was asked who was the first person to whom such a greeting was made. He replied, "I have not heard that this greeting occurred in the first community."

Yahya said that Malik was asked whether a muadhdhin who called the people to prayer and then waited to see if anyone would come and no one did, so he said the iqama and did the prayer by himself and then people came after he had finished, should repeat the prayer with them. Malik said, "He does not repeat the prayer, and whoever comes after he has finished should do the prayer by himself."

Yahya said that Malik was asked about a muadhdhin who called the adhan for a group of people, did voluntary prayers, and then the group of people wanted to do the prayer with some one else saying the iqama. He said, "There is no harm in that. His iqama or somebody else's are the same."

Yahya said that Malik said, "The subh prayer is still called before dawn. As for the other prayers, we believe that they should only be called after the time has started."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৫৩

পরিচ্ছেদঃ ১. নামাযের প্রতি আহবান

রেওয়ায়ত ৮. মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন, তাহার নিকট সংবাদ পৌছিয়াছে যে, ফজরের নামাযের সংবাদ দেওয়ার জন্য মুয়াযযিন উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট আসিলেন এবং তাহাকে নিদ্রিত পাইয়া বলিলেন-

(يا امير المؤمنين) الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ

উমর (রাঃ) শুনিয়া বাক্যটিকে ফজরের আযানের অন্তর্ভুক্ত করিবার নির্দেশ দিলেন।

মালিক (রহঃ)-এর চাচা আবু সুহায়ল ইবন মালিক (রহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি বলিয়াছেনঃ লোকদিগকে (পূর্বযুগে) যেইরূপ পাইয়াছি, এখন নামাযের আযান ব্যতীত আর অন্য কিছুই সেইরূপ দেখিতেছি না।

بَاب مَا جَاءَ فِي النِّدَاءِ لِلصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ الْمُؤَذِّنَ جَاءَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يُؤْذِنُهُ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ فَوَجَدَهُ نَائِمًا فَقَالَ الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنْ النَّوْمِ فَأَمَرَهُ عُمَرُ أَنْ يَجْعَلَهَا فِي نِدَاءِ الصُّبْحِ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَمِّهِ أَبِي سُهَيْلِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ مَا أَعْرِفُ شَيْئًا مِمَّا أَدْرَكْتُ عَلَيْهِ النَّاسَ إِلاَّ النِّدَاءَ بِالصَّلاَةِ ‏.‏

وحدثني عن مالك انه بلغه ان الموذن جاء الى عمر بن الخطاب يوذنه لصلاة الصبح فوجده ناىما فقال الصلاة خير من النوم فامره عمر ان يجعلها في نداء الصبح وحدثني يحيى، عن مالك، عن عمه ابي سهيل بن مالك، عن ابيه، انه قال ما اعرف شيىا مما ادركت عليه الناس الا النداء بالصلاة ‏.‏


Yahya related to me from Malik that he had heard that the muadhdhin came to Umar ibn al-Khattab to call him to the subh prayer and found him sleeping, so he said, "Prayer is better than sleep," and Umar ordered him to put that in the adhan for subh .

Yahya related to me from Malik from his paternal uncle Abu Suhayl ibn Malik that his uncle's father said, "I recognise nothing nowadays of what I saw the people (i.e. the companions of the Messenger, may Allah bless him and grant him peace ) doing except the call to prayer."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৫৪

পরিচ্ছেদঃ ১. নামাযের প্রতি আহবান

রেওয়ায়ত ৯. নাফি (রহঃ) বর্ণনা করিয়াছেন- আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) ইকামত শুনিয়া ’বকী’ নামক স্থান হইতে মসজিদের দিকে ত্বরিত ধাবিত হইয়াছিলেন।

بَاب مَا جَاءَ فِي النِّدَاءِ لِلصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، سَمِعَ الإِقَامَةَ، وَهُوَ بِالْبَقِيعِ فَأَسْرَعَ الْمَشْىَ إِلَى الْمَسْجِدِ ‏.‏

وحدثني عن مالك، عن نافع، ان عبد الله بن عمر، سمع الاقامة، وهو بالبقيع فاسرع المشى الى المسجد ‏.‏


Yahya related to me from Malik that Abdullah ibn Umar heard the iqama while he was in Baqi, so he increased his pace of walking to the mosque.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৫৫

পরিচ্ছেদঃ ২. সফরে আযান দেওয়া এবং ওযু ছাড়া আযান দেওয়া

রেওয়ায়ত ১০. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, এক শীতল রজনীতে আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) আযান দিতে নির্দেশ দিলেন। আযানের পর বললেনঃ (أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ)-তোমরা নিজ নিজ আবাসে নামায পড়। তারপর তিনি বলিলেনঃ শীতল ও বর্ষনশীলা রজনীতে (أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ) বলিবার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়াযযিনকে নির্দেশ দিতেন।

بَاب النِّدَاءِ فِي السَّفَرِ وَعَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ أَذَّنَ بِالصَّلَاةِ فِي لَيْلَةٍ ذَاتِ بَرْدٍ وَرِيحٍ فَقَالَ أَلَا صَلُّوا فِي الرِّحَالِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَأْمُرُ الْمُؤَذِّنَ إِذَا كَانَتْ لَيْلَةٌ بَارِدَةٌ ذَاتُ مَطَرٍ يَقُولُ أَلَا صَلُّوا فِي الرِّحَالِ

حدثني يحيى عن مالك عن نافع ان عبد الله بن عمر اذن بالصلاة في ليلة ذات برد وريح فقال الا صلوا في الرحال ثم قال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يامر الموذن اذا كانت ليلة باردة ذات مطر يقول الا صلوا في الرحال


Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar called the adhan on a cold and windy night and included the phrase, "Do the prayer in shelter." Then he said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to orderthe muadhdhin to say, 'Do the prayerin shelter' when it was a cold, rainy night "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৫৬

পরিচ্ছেদঃ ২. সফরে আযান দেওয়া এবং ওযু ছাড়া আযান দেওয়া

রেওয়ায়ত ১১. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) সফরে শুধু ইকামত বলিতেন। অবশ্য ফজরের সময় আযান ও ইকামত উভয়ের ব্যবস্থা করা হইত। তিনি বলিতেনঃ আযান বলিতে হয় সেই ইমামের বেলায় যাহার সহিত নামায পড়িবার উদ্দেশ্যে লোকজন একত্রিত হয়।

بَاب النِّدَاءِ فِي السَّفَرِ وَعَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ لَا يَزِيدُ عَلَى الْإِقَامَةِ فِي السَّفَرِ إِلَّا فِي الصُّبْحِ فَإِنَّهُ كَانَ يُنَادِي فِيهَا وَيُقِيمُ وَكَانَ يَقُولُ إِنَّمَا الْأَذَانُ لِلْإِمَامِ الَّذِي يَجْتَمِعُ النَّاسُ إِلَيْهِ

وحدثني عن مالك عن نافع ان عبد الله بن عمر كان لا يزيد على الاقامة في السفر الا في الصبح فانه كان ينادي فيها ويقيم وكان يقول انما الاذان للامام الذي يجتمع الناس اليه


Yahya related to me from Malik from Nafi that on a journey Abdullah ibn Umar did no more than the iqama, except for subh, when he called both the adhan and the iqama. Abdullah ibn Umar used to say, "The adhan is for an imam whom people join ."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৫৭

পরিচ্ছেদঃ ২. সফরে আযান দেওয়া এবং ওযু ছাড়া আযান দেওয়া

রেওয়ায়ত ১২. হিশাম ইবন উরওয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তাহার পিতা বলিয়াছেনঃ তুমি সফরে থাকিলে ইচ্ছা করিলে আযান ও ইকামত দুইটিই বলিতে পার, আর যদি চাও, আযান না দিয়া কেবল ইকামতও বলিতে পার।

ইয়াহইয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আমি মালিক (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, আরোহী’ আযান দিলে কোন দোষ নাই।

بَاب النِّدَاءِ فِي السَّفَرِ وَعَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ

وَحَدَّثَنِي يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، قَالَ لَهُ إِذَا كُنْتَ فِي سَفَرٍ فَإِنْ شِئْتَ أَنْ تُؤَذِّنَ وَتُقِيمَ فَعَلْتَ وَإِنْ شِئْتَ فَأَقِمْ وَلاَ تُؤَذِّنْ ‏.‏ قَالَ يَحْيَى سَمِعْتُ مَالِكًا يَقُولُ لاَ بَأْسَ أَنْ يُؤَذِّنَ الرَّجُلُ وَهُوَ رَاكِبٌ ‏.‏

وحدثني يحيى، عن مالك، عن هشام بن عروة، ان اباه، قال له اذا كنت في سفر فان شىت ان توذن وتقيم فعلت وان شىت فاقم ولا توذن ‏.‏ قال يحيى سمعت مالكا يقول لا باس ان يوذن الرجل وهو راكب ‏.‏


Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa that his father said to him, "When you are on a journey you can, if you wish, call the adhan and the iqama, or, if you wish, the iqama and not the adhan."

Yahya said that he heard Malik say, "There is no harm in a man calling the adhan while riding."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৫৮

পরিচ্ছেদঃ ২. সফরে আযান দেওয়া এবং ওযু ছাড়া আযান দেওয়া

রেওয়ায়ত ১৩. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি মাঠে নামায পড়ে তাহার ডাইনে একজন ও বামে একজন ফেরেশতা নামাযে দাঁড়ান। আর যদি সে আযান ও ইকামত দিয়া নামায পড়ে তবে তাহার পিছনে পাহাড় পরিমাণ (বহু) ফেরেশতা নামাযে শামিল হন।

بَاب النِّدَاءِ فِي السَّفَرِ وَعَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ مَنْ صَلَّى بِأَرْضٍ فَلَاةٍ صَلَّى عَنْ يَمِينِهِ مَلَكٌ وَعَنْ شِمَالِهِ مَلَكٌ فَإِذَا أَذَّنَ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ أَوْ أَقَامَ صَلَّى وَرَاءَهُ مِنْ الْمَلَائِكَةِ أَمْثَالُ الْجِبَالِ

وحدثني عن مالك عن يحيى بن سعيد عن سعيد بن المسيب انه كان يقول من صلى بارض فلاة صلى عن يمينه ملك وعن شماله ملك فاذا اذن واقام الصلاة او اقام صلى وراءه من الملاىكة امثال الجبال


Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that Said ibn al-Musayyab used to say, "Whoever prays on waterless, desolate land - an angel prays on his right and an angel prays on his left. When he calls both the adhan and the iqama for the prayer, or calls out the iqama, angels like mountains pray behind him."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৩. আযানের পর সাহরী খাওয়া

রেওয়ায়ত ১৪. আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ বিলাল রাত্রি থাকিতে আযান দেয়। অতএব ইবন উম্মি-মাকতুম আযান না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার করিতে পার।

بَاب قَدْرِ السُّحُورِ مِنْ النِّدَاءِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ بِلَالًا يُنَادِي بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ

حدثني يحيى عن مالك عن عبد الله بن دينار عن عبد الله بن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان بلالا ينادي بليل فكلوا واشربوا حتى ينادي ابن ام مكتوم


Yahya related to me from Malik from Abdullah ibn Dinar from Abdullah ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Bilal calls the adhan whilst it is still night so eat and drink until Ibn Umm Maktum calls the adhan."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৬০

পরিচ্ছেদঃ ৩. আযানের পর সাহরী খাওয়া

রেওয়ায়ত ১৫. সালিম ইবন আবদুল্লাহ্ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ বিলাল রাত (অবশিষ্ট থাকিতে) আযান দেয়। অতঃপর তোমরা পানাহার করিতে থাক যতক্ষণ ইবন উম্মি মাকতুম আযান না দেয়।

তিনি (রেওয়ায়ত বর্ণনাকারী) বলিয়াছেনঃ ইবন উম্মি মাকতুম ছিলেন অন্ধ ব্যক্তি। তাহার উদ্দেশ্যে أَصْبَحْتَ أَصْبَحْتَ (ভোর হইয়াছে, তোর হইয়াছে) না বলা পর্যন্ত তিনি আযান দিতেন না।

بَاب قَدْرِ السُّحُورِ مِنْ النِّدَاءِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ بِلَالًا يُنَادِي بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ قَالَ وَكَانَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ رَجُلًا أَعْمَى لَا يُنَادِي حَتَّى يُقَالَ لَهُ أَصْبَحْتَ أَصْبَحْتَ

وحدثني عن مالك عن ابن شهاب عن سالم بن عبد الله ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان بلالا ينادي بليل فكلوا واشربوا حتى ينادي ابن ام مكتوم قال وكان ابن ام مكتوم رجلا اعمى لا ينادي حتى يقال له اصبحت اصبحت


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Salim ibn Abdullah that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Bilal calls the adhan in the night, so eat and drink until Ibn Umm Maktum calls the adhan." Ibn Umm Maktum was a blind man who did not call the adhan until someone said to him, "The morning has come. The morning has come."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৬১

পরিচ্ছেদঃ ৪. নামাযের আরম্ভ

রেওয়ায়ত ১৬. আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায আরম্ভ করার সময় উভয় হাত কাঁধ বরাবর তুলিতেন এবং যখন রুকু হইতে মাথা তুলিতেন তখনও দুই হাত অনুরূপভাবে তুলিতেন এবং বলতেন (سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ) অবশ্য সিজদার সময় তিনি হাত উঠাইতেন না।

بَاب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ

حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ الرُّكُوعِ رَفَعَهُمَا كَذَلِكَ أَيْضًا وَقَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ وَكَانَ لَا يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي السُّجُودِ

حدثني يحيى عن مالك عن ابن شهاب عن سالم بن عبد الله عن عبد الله بن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان اذا افتتح الصلاة رفع يديه حذو منكبيه واذا رفع راسه من الركوع رفعهما كذلك ايضا وقال سمع الله لمن حمده ربنا ولك الحمد وكان لا يفعل ذلك في السجود


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Salim ibn Abdullah from Abdullah ibn Umar that the Messengerof Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to raise his hands to the level of his shoulders when he began the prayer and when he raised his head from the ruku he raised them in the same way, saying, "Allah hears whoever praises him, our Lord and praise belongs to You." He did not raise them in the sujud.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৬২

পরিচ্ছেদঃ ৪. নামাযের আরম্ভ

রেওয়ায়ত ১৭. আলী ইবন হুসায়ন আলী ইবন আবি তালিব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের মধ্যে যখন নিচের দিক ঝুঁকিতেন ও মাথা উপরে তুলিতেন তখন তকবীর (আল্লাহু আকবার) বলতেন। তিনি আল্লাহর সহিত মিলিত হওয়া পর্যন্ত এইভাবে নামায পড়িয়াছেন।

بَاب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ

وحدثني عن مالك عن ابن شهاب عن علي بن حسين بن علي بن أبي طالب أنه قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يكبر في الصلاة كلما خفض ورفع فلم تزل تلك صلاته حتى لقي الله

وحدثني عن مالك عن ابن شهاب عن علي بن حسين بن علي بن ابي طالب انه قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يكبر في الصلاة كلما خفض ورفع فلم تزل تلك صلاته حتى لقي الله


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that AIi ibn Husayn ibn Ali ibn Abi Talib said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to say, 'Allah is greater' whenever he lowered himself and raised himself, and he continued to pray like that until he met Al lah ."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৬৩

পরিচ্ছেদঃ ৪. নামাযের আরম্ভ

রেওয়ায়ত ১৮. সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযে দুই হাত উপরে উঠাইতেন।

بَاب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي الصَّلَاةِ

وحدثني عن مالك عن يحيى بن سعيد عن سليمان بن يسار ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يرفع يديه في الصلاة


Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Sa'id from Sulayman ibn Yasar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to raise his hands in the prayer.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৪. নামাযের আরম্ভ

রেওয়ায়ত ১৯. আবি সালমা ইবন আবদুর রহমান ইবন আওফ (রহঃ) বর্ণনা করিয়াছেন, আবু হুরায়রা (রাঃ) তাহাদের (শিক্ষাদানের) উদ্দেশ্যে নামায পড়িতেন এবং তিনি যতবার নিচের দিকে ঝুঁকিতেন ও মাথা উপরে তুলিতেন ততবার তকবীর (আল্লাহু আকবার) বলতেন। নামায শেষ করার পর তিনি বলিতেনঃ তোমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামাযের সঙ্গে আমি অধিকতর সামঞ্জস্য-রক্ষাকরী।

بَاب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يُصَلِّي لَهُمْ فَيُكَبِّرُ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ فَإِذَا انْصَرَفَ قَالَ وَاللَّهِ إِنِّي لَأَشْبَهُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

وحدثني عن مالك عن ابن شهاب عن ابي سلمة بن عبد الرحمن بن عوف ان ابا هريرة كان يصلي لهم فيكبر كلما خفض ورفع فاذا انصرف قال والله اني لاشبهكم بصلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Abu Salama ibn Abdar-Rahman ibn Awf that Abu Hurayra used to lead them in prayer and would say "Allah is greater" whenever he lowered himself and raised himself. When he had finished he would say, "By Allah, I am the person whose prayer most resembles the prayer of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ সালামাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
১৬৫

পরিচ্ছেদঃ ৪. নামাযের আরম্ভ

রেওয়ায়ত ২০. সলিম ইবন আবদুল্লাহ্ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) যখন নিচের দিকে ঝুঁকিতেন ও মাথা উপরে তুলিতেন তখন তকবীর বলিতেন।

নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) নামায আরম্ভ করার সময় উভয় হাত কাঁধ বরাবর তুলিতেন। আর যখন রুকৃ হইতে মাথা তুলিতেন তখন দুই হাত কাঁধের একটু নিচ পর্যন্ত তুলিতেন।

بَاب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ يُكَبِّرُ فِي الصَّلاَةِ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ رَفَعَهُمَا دُونَ ذَلِكَ

وحدثني عن مالك، عن ابن شهاب، عن سالم بن عبد الله، ان عبد الله بن عمر، كان يكبر في الصلاة كلما خفض ورفع وحدثني يحيى، عن مالك، عن نافع، ان عبد الله بن عمر، كان اذا افتتح الصلاة رفع يديه حذو منكبيه واذا رفع راسه من الركوع رفعهما دون ذلك


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Salim ibn Abdullah that Abdullah ibn Umar used to say "Allah is greater" in the prayer whenever he lowered himself and raised himself.

Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar used to raise his hands to the level of his shoulders when he began the prayer and when he raised his head from the ruku he would raise them less than that.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. নামায (كتاب الصلاة) 3/ Prayer
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 পরের পাতা »