পরিচ্ছেদঃ ১৫৪/ নাপাক ব্যক্তি স্বীয় দু'হাত ধোয়ার পর শরীর থেকে ময়লা দুর করা
২৪৬। মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ... আতা ইবনু সায়িব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আবূ সালামাহ (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, তিনি আয়িশা (রাঃ) এর নিকট গিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জানাবাতের গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। উত্তরে তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পানির পাত্র আনা হলে নিজ হাত তিনবার পানি ঢেলে ধৌত করেন। তারপর তিনি ডান হাত দ্বারা বাম হাতে পানি ঢালতেন। সে পানি দ্বারা উভয় উরু ধৌত করতেন। পরে উভয় হাত ধৌত করতেন, কুলি করতেন এবং নাক পরিষ্কার করতেন। এরপর মাথায় তিনবার পানি ঢালতেন। এরপর সমস্ত শরীরে পানি ঢালতেন।
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، أَنْبَأَنَا النَّضْرُ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ - رضى الله عنها - فَسَأَلَهَا عَنْ غُسْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْجَنَابَةِ فَقَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُؤْتَى بِالإِنَاءِ فَيَصُبُّ عَلَى يَدَيْهِ ثَلاَثًا فَيَغْسِلُهُمَا ثُمَّ يَصُبُّ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ فَيَغْسِلُ مَا عَلَى فَخِذَيْهِ ثُمَّ يَغْسِلُ يَدَيْهِ وَيَتَمَضْمَضُ وَيَسْتَنْشِقُ وَيَصُبُّ عَلَى رَأْسِهِ ثَلاَثًا ثُمَّ يُفِيضُ عَلَى سَائِرِ جَسَدِهِ .
Abu Salamah (narrated) that he entered upon 'Aishah and asked her about the Ghusl of the Messenger of Allah (ﷺ) from Janabah. She said:
"A vessel would be brought to the prophet (ﷺ) then he would pour water on his hand three times and wash them, then he would pour water with his right hand onto his left and wash off whatever was on his thighs. Then he would wash his hands, rinse his mouth and nose, pour water on his head three times, then pour water over the rest of his body."
পরিচ্ছেদঃ ৬২ / আর এক প্রকার দুয়া।
১৩০৮। ইয়াইয়া ইবনু হাবীব (রহঃ) ... আতা ইবনু সায়িব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) একবার আমাদের সাথে সালাত আদায় করলেন এবং সালাত সংক্ষিপ্ত করে ফেললেন। তখন কেউ কেউ তাঁকে বললেন, আপনি সালাত সংক্ষিপ্ত করে ফেলেছেন। তিনি বললেন, কিন্তু এতদসত্তেও তো আমি ঐ সমস্ত দোয়া পাঠ করে ফেলেছি যা আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি। তারপর যখন তিনি (চলে যাওয়ার জন্য) উঠে দাঁড়ালেন, লোকদের মধ্য হতে একজন তার অনুসরণ করতে লাগলেন। [আতা বলেন] তিনি ছিলেন আমার পিতা কিন্তু তিনি তাঁর নাম বলেননি। তিনি তাঁকে ঐ দোয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন এবং এসে সবাইকে ঐ দোয়ার সংবাদ দিলেন। সেই দোয়াটি ছিলঃ
اللَّهُمَّ بِعِلْمِكَ الْغَيْبَ وَقُدْرَتِكَ عَلَى الْخَلْقِ أَحْيِنِي مَا عَلِمْتَ الْحَيَاةَ خَيْرًا لِي وَتَوَفَّنِي إِذَا عَلِمْتَ الْوَفَاةَ خَيْرًا لِي اللَّهُمَّ وَأَسْأَلُكَ خَشْيَتَكَ فِي الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ وَأَسْأَلُكَ كَلِمَةَ الْحَقِّ فِي الرِّضَا وَالْغَضَبِ وَأَسْأَلُكَ الْقَصْدَ فِي الْفَقْرِ وَالْغِنَى وَأَسْأَلُكَ نَعِيمًا لاَ يَنْفَدُ وَأَسْأَلُكَ قُرَّةَ عَيْنٍ لاَ تَنْقَطِعُ وَأَسْأَلُكَ الرِّضَاءَ بَعْدَ الْقَضَاءِ وَأَسْأَلُكَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَأَسْأَلُكَ لَذَّةَ النَّظَرِ إِلَى وَجْهِكَ وَالشَّوْقَ إِلَى لِقَائِكَ فِي غَيْرِ ضَرَّاءَ مُضِرَّةٍ وَلاَ فِتْنَةٍ مُضِلَّةٍ اللَّهُمَّ زَيِّنَّا بِزِينَةِ الإِيمَانِ وَاجْعَلْنَا هُدَاةً مُهْتَدِينَ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّى بِنَا عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ صَلاَةً فَأَوْجَزَ فِيهَا فَقَالَ لَهُ بَعْضُ الْقَوْمِ لَقَدْ خَفَّفْتَ أَوْ أَوْجَزْتَ الصَّلاَةَ . فَقَالَ أَمَّا عَلَى ذَلِكَ فَقَدْ دَعَوْتُ فِيهَا بِدَعَوَاتٍ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا قَامَ تَبِعَهُ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ هُوَ أَبِي غَيْرَ أَنَّهُ كَنَى عَنْ نَفْسِهِ فَسَأَلَهُ عَنِ الدُّعَاءِ ثُمَّ جَاءَ فَأَخْبَرَ بِهِ الْقَوْمَ " اللَّهُمَّ بِعِلْمِكَ الْغَيْبَ وَقُدْرَتِكَ عَلَى الْخَلْقِ أَحْيِنِي مَا عَلِمْتَ الْحَيَاةَ خَيْرًا لِي وَتَوَفَّنِي إِذَا عَلِمْتَ الْوَفَاةَ خَيْرًا لِي اللَّهُمَّ وَأَسْأَلُكَ خَشْيَتَكَ فِي الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ وَأَسْأَلُكَ كَلِمَةَ الْحَقِّ فِي الرِّضَا وَالْغَضَبِ وَأَسْأَلُكَ الْقَصْدَ فِي الْفَقْرِ وَالْغِنَى وَأَسْأَلُكَ نَعِيمًا لاَ يَنْفَدُ وَأَسْأَلُكَ قُرَّةَ عَيْنٍ لاَ تَنْقَطِعُ وَأَسْأَلُكَ الرِّضَاءَ بَعْدَ الْقَضَاءِ وَأَسْأَلُكَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَأَسْأَلُكَ لَذَّةَ النَّظَرِ إِلَى وَجْهِكَ وَالشَّوْقَ إِلَى لِقَائِكَ فِي غَيْرِ ضَرَّاءَ مُضِرَّةٍ وَلاَ فِتْنَةٍ مُضِلَّةٍ اللَّهُمَّ زَيِّنَّا بِزِينَةِ الإِيمَانِ وَاجْعَلْنَا هُدَاةً مُهْتَدِينَ " .
Ata bn As-Sa'ib narrated that his father said:
"Ammar bin Yasir led us in prayer and he made it brief. Some of the people said to him: 'You made the prayer sort (or brief).' He said: 'Nevertheless I still recited supplications that I heard from the Messenger of Allah (ﷺ).' When he got up and left, a man- he was my father but he did not name himself- followed him and asked him about that supplication, then he came and told the people. "Allahumma bi 'ilmikal-ghaiba wa qudratika 'alal-khalqi ahini ma 'alimtal-hayata khairan li, wa tawaffani idha 'alimtal-wafata khairan li. Allahumma as'aluka khashyataka fil-ghaibi wash-shahadati wa as'aluka kalimatul-aqua fir-rida'i wal ghadab, wa as'alukal-qasda fil faqr wal-ghina, wa as'aluka na'iman la yanfadu wa as'aluka qurrata ainan la tanqati'u wa as'alukar-rida'i ba'dal-qada'i wa as'aluka bardal 'aishi ba'dal-mawti, wa as'aluka ladhatan-nazari ila wajhika wash-shawqa ila liqa'ika fi fitnatin mudillatin, Allahumma zayyina dizinatil-imani waj'alna hudatan muhtadin (O Alah, by Your knowledge of the unseen and Your power over creation, keep me alive so long as You know that living is good for me and cause me to die when You know that death is better for me. O Allah, cause me to fear You in secret and in public. I ask You to make me true in speech in times of pleasure and of anger. I ask You to make me moderate in times of wealth and poverty. And I ask You for everlasting delight and joy that will never cease. I ask You to make me pleased with that which You have decreed and for an easy life after death. I askYou for the sweetness of looking upon Your face and a longing to meet You in a manner that does not entail a calamity that will bring about harm or a trial that will cause deviation. O Allah, beautify us with the adornment of faith and make us among those who guide and are rightly guided."
পরিচ্ছেদঃ ৮৬. যিনি বলেন: ইসতিহাযাগ্রস্ত মহিলার স্বামী তার সাথে মিলিত হতে পারবে
৮৪৭. আতা ইবনু সাইব আতা রাহি. হতে বর্ণনা করেন। তিনি ’ইসতিহাযা’গ্রস্ত মহিলা সম্পর্কে বলেন: তার স্বামী তার সাথে সহবাস করতে পারবে। আর সে তার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলিতে সালাত পরিত্যাগ করবে। পরে যখন (হায়েযের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার ফলে) তার জন্য সালাত আদায় করা বৈধ হবে, তখন তার স্বামীও তার সাথে সহবাস করতে পারবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৪/২৭৯; দেখুন পুর্ববর্তী ৮৪০ (অনুবাদের ক্রম ৮৩৬) নং ও পরবর্তী ৮৫৩ (অনুবাদের ক্রম ৮৪৯) নং হাদীস দু’টি দেখুন।
بَابُ مَنْ قَالَ: الْمُسْتَحَاضَةُ يُجَامِعُهَا زَوْجُهَا
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ عَطَاءٍ قَالَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ يُجَامِعُهَا زَوْجُهَا تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ حَيْضِهَا فَإِذَا حَلَّتْ لَهَا الصَّلَاةُ فَلْيَطَأْهَا
إسناده ضعيف خالد بن عبد الله متأخر السماع من عطاء
পরিচ্ছেদঃ ১০২. হায়িয (অতিক্রান্ত) হলে মহিলারা সিয়াম কাযা আদায় করবে কিন্তু সালাতের কাযা আদায় করবে না
১০১৬. আতা ইবনু সায়িব হতে বর্ণিত, আমির রাহি. বলেন, যদি হায়িযগ্রস্ত মহিলা সিজদা শুনতে পায়, তবুও সে সিজদা (আত-তিলাওয়াত আদায়) করবে না।[1]
তাখরীজ: (মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ দেননি।-অনুবাদক)
بَابٌ فِي الْحَائِضِ تَقْضِي الصَّوْمَ وَلَا تَقْضِي الصَّلَاةَ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ عَامِرٍ قَالَ إِذَا سَمِعَتْ الْحَائِضُ السَّجْدَةَ فَلَا تَسْجُدْ
إسناده ضعيف خالد بن عبد الله متأخر السماع من عطاء
পরিচ্ছেদঃ ১০৬. ‘জুনুবী’ (অপবিত্র) ব্যক্তি ও হায়িযগ্রস্ত মহিলার ঘাম সম্পর্কে
১০৫৮. আতা ইবনু সায়িব হতে বর্ণিত, শা’বী রাহি.ও একে আপত্তিকর মনে করতেন না।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/১৯১।
بَاب فِي عَرَقِ الْجُنُبِ وَالْحَائِضِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ الشَّعْبِيِّ أَنَّهُ كَانَ لَا يَرَى بِهِ بَأْسًا
পরিচ্ছেদঃ ৬৮. রুকূতে যা করতে হয়
১৩৪০. আতা ইবনু সায়িব বলেন, যিনি আমার নিকট আমার আপন সত্তার চেয়েও অধিক নির্ভরযোগ্য সেই সালিম আল বাররাদ বলেন, আবী মাসউদ আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমাদেরকে বললেন, আমি কি তোমাদের নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাতের ন্যায় সালাত আদায় করবো না? তিনি (রাবী) বলেন, এরপর তিনি তাকবীর দিলেন ও (কিরা’আত শেষে) রুকূতে গেলেন এবং তিনি তার উভয় হাত দু’হাটুর উপর স্থাপন করলেন, আর তার আঙ্গুল সমূহের মাঝে ফাঁক করে রাখলেন, এমনকি সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্থির হয়ে গেলো।[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৪/১১৯, ১২০; আবু দাউদ ৮৬৩; তার সূত্রে বাইহাকী ২/১২৭; সহীহ ইবনু খুযাইমাহ নং ৫৯৮; হাকিম ১/২২৪; নাসাঈ ২/১৮৬ সহীহ সনদে।
بَاب الْعَمَلِ فِي الرُّكُوعِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ عَنْ سَالِمٍ الْبَرَّادِ قَالَ وَكَانَ أَوْثَقَ عِنْدِي مِنْ نَفْسِي قَالَ قَالَ لَنَا أَبُو مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيُّ أَلَا أُصَلِّي بِكُمْ صَلَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فَكَبَّرَ وَرَكَعَ وَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَفَرَّجَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ حَتَّى اسْتَقَرَّ كُلُّ شَيْءٍ مِنْهُ
পরিচ্ছেদঃ ১৫৪: নাপাক ব্যক্তি স্বীয় দু’হাত ধোয়ার পর শরীর থেকে ময়লা দূর করা
২৪৫. মাহমূদ ইবনু গয়লান (রহ.) ... ’আত্বা ইবনুস্ সায়িব (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সালামাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, তিনি ’আয়িশাহ্ (রা) -এর নিকট গিয়ে তাঁকে রাসূলুল্লাহ (সা.) - এর অপবিত্রতার গোসল সম্পর্কে প্রশ্ন করেন, উত্তরে তিনি বলেন, নবী (সা.)-এর নিকট পানির পাত্র আনা হলে তিনি নিজ হাতে তিনবার পানি ঢেলে উভয় হাত ধৌত করতেন। তারপর তিনি ডান হাত দ্বারা বাম হাতে পানি ঢালতেন। সে পানি দিয়ে উভয় উরু ধৌত করতেন। পরে উভয় হাত ধৌত করতেন এবং কুলি করতেন এবং নাক পরিষ্কার করতেন। তারপর মাথায় তিনবার পানি ঢালতেন। তারপর সমস্ত শরীরে পানি ঢালতেন।
إِزَالَةُ الْجُنُبِ الْأَذَى عَنْ جَسَدِهِ بَعْدَ غَسْلِ يَدَيْهِ
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، أَنْبَأَنَا النَّضْرُ، قال: أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، قال: أَنْبَأَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، قال: سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَسَأَلَهَا عَنْ غُسْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَقَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُؤْتَى بِالْإِنَاءِ فَيَصُبُّ عَلَى يَدَيْهِ ثَلَاثًا فَيَغْسِلُهُمَا، ثُمَّ يَصُبُّ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ فَيَغْسِلُ مَا عَلَى فَخِذَيْهِ، ثُمَّ يَغْسِلُ يَدَيْهِ وَيَتَمَضْمَضُ وَيَسْتَنْشِقُ، وَيَصُبُّ عَلَى رَأْسِهِ ثَلَاثًا، ثُمَّ يُفِيضُ عَلَى سَائِرِ جَسَدِهِ .
تخریج دارالدعوہ: انظر حدیث رقم: ۲۴۴، (تحفة الأشراف: ۱۷۷۳۷) (صحیح الإسناد)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 246 - صحيح الإسناد
154 The Junub Person Removing The Filth From His Body After Washing His Hands
Abu Salamah (narrated) that he entered upon 'Aishah and asked her about the Ghusl of the Messenger of Allah (ﷺ) from Janabah. She said: A vessel would be brought to the prophet (ﷺ) then he would pour water on his hand three times and wash them, then he would pour water with his right hand onto his left and wash off whatever was on his thighs. Then he would wash his hands, rinse his mouth and nose, pour water on his head three times, then pour water over the rest of his body.
পরিচ্ছেদঃ ৬২: আর এক প্রকার দু'আ
১৩০৫. ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব ইবনু ’আরাবী (রহ.) ..... ’আতা ইবনু সায়িব সূত্রে তার পিতা সায়িব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) একবার আমাদের সাথে সালাত আদায় করলেন এবং সালাত সংক্ষিপ্ত করে ফেললেন। তখন কেউ কেউ তাকে বললেন, আপনি সালাত সংক্ষিপ্ত করে ফেলেছেন। তিনি বললেন, কিন্তু এতদসত্তেও তো আমি ঐ সকল দু’আ পাঠ করেছি যা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে শুনেছি। এরপর যখন তিনি উঠে দাঁড়ালেন, লোকেদের মধ্য হতে একজন তার অনুসরণ করতে লাগলেন। [আত্বা (রাঃ) বলেন] তিনি ছিলেন উবাই তিনি তার নাম বলেননি। তিনি তাঁকে ঐ দু’আ সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন এবং এসে সবাইকে ঐ দু’আর খবর দিলেন –
“আল্ল-হুম্মা বি’ ইলমিকাল গয়বা ওয়া কুদরতিকা ’আলাল খলকি আহয়িনী মা- ’আলিমতাল হায়া-তা খয়রল্লী ওয়াতা ওয়াফফানী ইযা- ’আলিমতাল ওয়াফা-তা খয়রল্লী আল্ল-হুম্মা ওয়া আসআলুকা খশইয়াতাকা ফিল গয়বি ওয়াশ শাহা-দাতি ওয়া আসআলুকা কালিমাতাল হাক্কি ফির রিযা- ওয়াল গযাবি ওয়া আসআলুকাল কসদা ফিল ফাকরি ওয়াল গিনা- ওয়া আসআলুকা নাঈমাল লা- ইয়ানফাদু ওয়া আস্আলুকা কুররতা ’আয়নিল লা- তানকত্বি’উ ওয়া আসআলুকার রিযা-আ বা’দাল কযা-য়ি ওয়া আসআলুকা বারদাল ’আয়শি বা’দাল মাওতি ওয়া আসআলুকা লাযযাতান নাযারি ইলা- ওয়াজহিকা ওয়াশ শাওকা ইলা- লিকা-য়িকা ফী গয়রি যররা-আ মুযিরাতিন্ ওয়ালা- ফিতনাতিন মুযিল্লাতিন আল্ল-হুম্মা যাইয়িন্না- বিযীনাতিল ঈমা-নি ওয়াজ আলনা- হুদা-তাম মুহতাদীন।”
(হে আল্লাহ! তোমার নিকটেই আছে গায়েবের জ্ঞান, তুমি সকল সৃষ্টি ওপর ক্ষমতাবান, তুমি যদি জান [মনে করো] আমার বেঁচে থাকা আমার জন্য কল্যাণকর তবে আমাকে বাঁচিয়ে রাখ। আর তুমি যদি মনে করো মৃত্যু আমার কল্যাণকর তাহলে আমার মৃত্যু ঘটাও। আমি প্রকাশ্যে ও গোপনে তোমাকে ভয় করার তাওফীক চাই, আমি খুশি ও রাগের সময়ে সত্য কথা বলার তাওফীক চাই, আমি মধ্যপন্থা তথা অভাবী ও ধনীর মাঝামাঝি জীবন যাপন করতে চাই। আমি তোমার কাছে এমন নি’আমাত (অনুগ্রহ) চাই যা শেষ হয়ে যাবে না। আমি তোমার কাছে চাই এমন চক্ষু শীতলকারী (বস্তু) যা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে না। মৃত্যুর পর আমি তোমার সন্তুষ্টি চাই। আমি তোমার নিকটে মৃত্যুর পরে আরাম-আয়েশের শীতলতা চাই। আমি তোমার চেহারার দিকে দষ্টির প্রশান্তি স্বরূপ চেয়ে থাকতে চাই। তোমার সাথে সাক্ষাতের বাসনা কোন ভ্রান্তিকর ফিতনাহ যেন বিনষ্ট করতে না পারে আমি সেই প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে ঈমানের সাজে সজ্জিত করা আর আমাদেরকে হিদায়াতপ্রাপ্তদের পথের পথিক করো।)।
نَوْعٌ آخَرُ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: صَلَّى بِنَا عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ صَلَاةً فَأَوْجَزَ فِيهَا، فَقَالَ لَهُ بَعْضُ الْقَوْمِ: لَقَدْ خَفَّفْتَ أَوْ أَوْجَزْتَ الصَّلَاةَ، فَقَالَ: أَمَّا عَلَى ذَلِكَ، فَقَدْ دَعَوْتُ فِيهَا بِدَعَوَاتٍ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا قَامَ تَبِعَهُ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ هُوَ أُبَيٌّ غَيْرَ أَنَّهُ كَنَى عَنْ نَفْسِهِ فَسَأَلَهُ عَنِ الدُّعَاءِ، ثُمَّ جَاءَ فَأَخْبَرَ بِهِ الْقَوْمَ: اللَّهُمَّ بِعِلْمِكَ الْغَيْبَ وَقُدْرَتِكَ عَلَى الْخَلْقِ أَحْيِنِي مَا عَلِمْتَ الْحَيَاةَ خَيْرًا لِي، وَتَوَفَّنِي إِذَا عَلِمْتَ الْوَفَاةَ خَيْرًا لِي، اللَّهُمَّ وَأَسْأَلُكَ خَشْيَتَكَ فِي الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، وَأَسْأَلُكَ كَلِمَةَ الْحَقِّ فِي الرِّضَا وَالْغَضَبِ، وَأَسْأَلُكَ الْقَصْدَ فِي الْفَقْرِ وَالْغِنَى، وَأَسْأَلُكَ نَعِيمًا لَا يَنْفَدُ، وَأَسْأَلُكَ قُرَّةَ عَيْنٍ لَا تَنْقَطِعُ، وَأَسْأَلُكَ الرِّضَاءَ بَعْدَ الْقَضَاءِ، وَأَسْأَلُكَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ، وَأَسْأَلُكَ لَذَّةَ النَّظَرِ إِلَى وَجْهِكَ وَالشَّوْقَ إِلَى لِقَائِكَ فِي غَيْرِ ضَرَّاءَ مُضِرَّةٍ وَلَا فِتْنَةٍ مُضِلَّةٍ، اللَّهُمَّ زَيِّنَّا بِزِينَةِ الْإِيمَانِ وَاجْعَلْنَا هُدَاةً مُهْتَدِينَ .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي، مسند احمد ۴/۲۶۴، (تحفة الأشراف: ۱۰۳۴۹) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1306 - صحيح
62. Another Kind
Ata bn As-Sa'ib narrated that his father said: Ammar bin Yasir led us in prayer and he made it brief. Some of the people said to him: 'You made the prayer sort (or brief).' He said: 'Nevertheless I still recited supplications that I heard from the Messenger of Allah (ﷺ).' When he got up and left, a man- he was my father but he did not name himself- followed him and asked him about that supplication, then he came and told the people.
Allahumma bi 'ilmikal-ghaiba wa qudratika 'alal-khalqi ahini ma 'alimtal-hayata khairan li, wa tawaffani idha 'alimtal-wafata khairan li. Allahumma as'aluka khashyataka fil-ghaibi wash-shahadati wa as'aluka kalimatul-aqua fir-rida'i wal ghadab, wa as'alukal-qasda fil faqr wal-ghina, wa as'aluka na'iman la yanfadu wa as'aluka qurrata ainan la tanqati'u wa as'alukar-rida'i ba'dal-qada'i wa as'aluka bardal 'aishi ba'dal-mawti, wa as'aluka ladhatan-nazari ila wajhika wash-shawqa ila liqa'ika fi fitnatin mudillatin, Allahumma zayyina dizinatil-imani waj'alna hudatan muhtadin
(O Alah, by Your knowledge of the unseen and Your power over creation, keep me alive so long as You know that living is good for me and cause me to die when You know that death is better for me. O Allah, cause me to fear You in secret and in public. I ask You to make me true in speech in times of pleasure and of anger. I ask You to make me moderate in times of wealth and poverty. And I ask You for everlasting delight and joy that will never cease. I ask You to make me pleased with that which You have decreed and for an easy life after death. I askYou for the sweetness of looking upon Your face and a longing to meet You in a manner that does not entail a calamity that will bring about harm or a trial that will cause deviation. O Allah, beautify us with the adornment of faith and make us among those who guide and are rightly guided.