পরিচ্ছেদঃ ৯০। কোন কোন মুস্তাহাব কাজ এই আশঙ্কায় ছেড়ে দেওয়া যে,কিছু লোক ভুল বুঝতে পারে এবং তারা এর চাইতে অধিকতর বিভ্রান্তিতে পড়তে পারে
১২৮। উবায়দুল্লাহ ইবনু মূসা (রহঃ) .... আসওয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ইবনু যুবায়র (রাঃ) আমাকে বললেন, ’আয়িশা (রাঃ) তোমাকে অনেক গোপন কথা বলতেন। বল তো কাবা সম্পর্কে তোমাকে কী বলেছেন? আমি বললাম, তিনি আমাকে বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’আয়িশা! তোমাদের কওম যদি (ইসলাম গ্রহণে) নতুন না হত, ইবনু যুবায়র বলেনঃ কুফর থেকে; তবে আমি কাবা ভেঙ্গে ফেলে তার দুটি দরজা বানাতাম। এক দরজা দিয়ে লোক প্রবেশ করত আর এক দরজা দিয়ে বের হত। (পরবর্তীকালে মক্কার আধিপত্য পেলে) তিনি এরূপ করেছিলেন।
بَابُ مَنْ تَرَكَ بَعْضَ الاِخْتِيَارِ مَخَافَةَ أَنْ يَقْصُرَ فَهْمُ بَعْضِ النَّاسِ عَنْهُ فَيَقَعُوا فِي أَشَدَّ مِنْهُ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، قَالَ قَالَ لِي ابْنُ الزُّبَيْرِ كَانَتْ عَائِشَةُ تُسِرُّ إِلَيْكَ كَثِيرًا فَمَا حَدَّثَتْكَ فِي الْكَعْبَةِ قُلْتُ قَالَتْ لِي قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " يَا عَائِشَةُ، لَوْلاَ قَوْمُكِ حَدِيثٌ عَهْدُهُمْ ـ قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ بِكُفْرٍ ـ لَنَقَضْتُ الْكَعْبَةَ فَجَعَلْتُ لَهَا بَابَيْنِ باب يَدْخُلُ النَّاسُ، وَبَابٌ يَخْرُجُونَ ". فَفَعَلَهُ ابْنُ الزُّبَيْرِ.
Whosoever left some optional things simply for the fear that some people may not be able to understand them and may fall into something more difficult
Narrated Aswad: Ibn Az-Zubair said to me, "Aisha used to tell you secretly a number of things. What did she tell you about the Ka`ba?" I replied, "She told me that once the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) said, 'O `Aisha! Had not your people been still close to the pre-Islamic period of ignorance (infidelity)! I would have dismantled the Ka`ba and would have made two doors in it; one for entrance and the other for exit." Later on Ibn Az-Zubair did the same.
পরিচ্ছেদঃ ৪৩১। কি পরিমাণ রোগ থাকা সত্ত্বেও জামা’আতে শামিল হওয়া উচিত।
৬৩১। উমর ইবনু হাফস ইবনু গিয়াস (রহঃ) ... আসওয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা আয়িশা (রাঃ) এর কাছে ছিলাম এবং সালাতের পাবন্দী ও উহার তা’যীম সম্বন্ধে আলোচনা করছিলাম। আয়িশা (রাঃ) বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন অন্তিম রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন, তখন সালাতের সময় হলে আযান দেওয়া হল। তখন তিনি বললেন, আবূ বকরকে লোকদের নিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে বল। তাঁকে বলা হল যে, আবূ বকর (রাঃ) অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের লোক। তিনি যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন তখন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবারো সে কথা বললেন এবং তারা আবারো তা-ই বললেন। তৃতীয়বারও তিনি সে কথা বললেন। তিনি আরো বললেনঃ তোমরা ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সাথী মহিলাদের মত। আবূ বকরকেই বল, যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে নেয়।
আবূ বকর (রাঃ) এগিয়ে গিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় শুরু করলেন। এদিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেকে একটু হালকাবোধ করলেন। দু’জন লোকের কাঁধে ভর দিয়ে বেরিয়ে এলেন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমার চোখে এখনও স্পষ্ট ভাসছে। অসুস্থতার কারণে তাঁর দু’পা মাটির উপর দিয়ে হেঁচড়ে যাচ্ছিল। তখন আবূ বকর (রাঃ) পেছনে সরে আসতে চাইলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে স্বস্থানে থাকার জন্য ইঙ্গিত করলেন।
তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একটু সামনে আনা হল, তিনি আবূ বকর (রাঃ) এর পাশে বসলেন। আ’মাশকে জিজ্ঞাসা করা হলঃ তাহলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমামতি করছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসরণে সালাত আদায় করছিলেন এবং লোকেরা আবূ বকর (রাঃ) এর সালাতের অনুকরন করছিল। আ’মাশ মাথার ইশারায় বললেন, হ্যাঁ।
আবূ দাউদ (রহঃ) শু’বা (রহঃ) সূত্রে আ’মাশ থেকে হাদীসের কতকাংশ উল্লেখ করেছেন। আবূ মু’আবিয়া (রহঃ) অতিরিক্ত বলেছেন, তিনি আবূ বকর (রাঃ) এর বাঁ দিকে বসেছিলেন এবং আবূ বকর (রাঃ) দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করেছিলেন।
باب حَدِّ الْمَرِيضِ أَنْ يَشْهَدَ الْجَمَاعَةَ
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ الأَسْوَدُ قَالَ كُنَّا عِنْدَ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ فَذَكَرْنَا الْمُوَاظَبَةَ عَلَى الصَّلاَةِ وَالتَّعْظِيمَ لَهَا، قَالَتْ لَمَّا مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَضَهُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، فَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَأُذِّنَ، فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ". فَقِيلَ لَهُ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ، إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، وَأَعَادَ فَأَعَادُوا لَهُ، فَأَعَادَ الثَّالِثَةَ فَقَالَ " إِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ، مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ". فَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ فَصَلَّى، فَوَجَدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً، فَخَرَجَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ كَأَنِّي أَنْظُرُ رِجْلَيْهِ تَخُطَّانِ مِنَ الْوَجَعِ، فَأَرَادَ أَبُو بَكْرٍ أَنْ يَتَأَخَّرَ، فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ مَكَانَكَ، ثُمَّ أُتِيَ بِهِ حَتَّى جَلَسَ إِلَى جَنْبِهِ. قِيلَ لِلأَعْمَشِ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي وَأَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِصَلاَتِهِ، وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاَةِ أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ بِرَأْسِهِ نَعَمْ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْ شُعْبَةَ عَنِ الأَعْمَشِ بَعْضَهُ. وَزَادَ أَبُو مُعَاوِيَةَ جَلَسَ عَنْ يَسَارِ أَبِي بَكْرٍ فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي قَائِمًا.
Narrated Al-Aswad:
"We were with `Aisha discussing the regularity of offering the prayer and dignifying it. She said, 'When Allah's Messenger (s) fell sick with the fatal illness and when the time of prayer became due and Adhan was pronounced, he said, 'Tell Abu Bakr to lead the people in prayer.' He was told that Abu Bakr was a softhearted man and would not be able to lead the prayer in his place. The Prophet (s) gave the same order again but he was given the same reply. He gave the order for the third time and said, 'You (women) are the companions of Joseph. Tell Abu Bakr to lead the prayer.' So Abu Bakr came out to lead the prayer. In the meantime the condition of the Prophet (s) improved a bit and he came out with the help of two men one on each side. As if I was observing his legs dragging on the ground owing to the disease. Abu Bakr wanted to retreat but the Prophet (s) beckoned him to remain at his place and the Prophet (s) was brought till he sat beside Abu Bakr." Al-A`mash was asked, "Was the Prophet (s) praying and Abu Bakr following him, and were the people following Abu Bakr in that prayer?" Al- A`mash replied in the affirmative with a nod of his head. Abu Muawiya said, "The Prophet (s) was sitting on the left side of Abu Bakr who was praying while standing."
পরিচ্ছেদঃ ৪৩৬। গার্হস্থ কর্মে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় ইকামত হলে, সালাতের জন্য বের হওয়া।
৬৪২। আদম (রহঃ) ... আসওয়াদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে থাকা অবস্থায় কি করতেন? তিনি বললেন, ঘরের কাজ-কর্মে ব্যস্ত থাকতেন। অর্থাৎ পরিজনের সহায়তা করতেন। আর সালাত (নামায/নামাজ)-এর সময় এতে সালাতে চলে যেতেন।
باب مَنْ كَانَ فِي حَاجَةِ أَهْلِهِ فَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَخَرَجَ
حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا الْحَكَمُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ فِي بَيْتِهِ قَالَتْ كَانَ يَكُونُ فِي مِهْنَةِ أَهْلِهِ ـ تَعْنِي خِدْمَةَ أَهْلِهِ ـ فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ.
Narrated Al-Aswad:
That he asked `Aisha "What did the Prophet (s) use to do in his house?" She replied, "He used to keep himself busy serving his family and when it was the time for prayer he would go for it."
পরিচ্ছেদঃ ২১০৭. আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) এর মর্যাদা
৩৪৯১। মুহাম্মদ ইবনু আলা (রহঃ) ... আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে আমি এবং আমার ভাই ইয়ামান থেকে মদিনায় আগমন করি এবং বেশ কিছুদিন মদিনায় অবস্থান করি। তখন আমরা মনে করতাম যে, আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিবারেরই একজন সদস্য। কেননা আমরা তাঁকে এবং তাঁর মাকে অহরহ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘরে যাতায়াত করতে দেখতাম।
باب مَنَاقِبُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي الأَسْوَدُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مُوسَى الأَشْعَرِيَّ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ قَدِمْتُ أَنَا وَأَخِي مِنَ الْيَمَنِ، فَمَكُثْنَا حِينًا مَا نُرَى إِلاَّ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، لِمَا نَرَى مِنْ دُخُولِهِ وَدُخُولِ أُمِّهِ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
Narrated Abu Musa Al-Ash`ari:
My brother and I came from Yemen, and for some time we continued to consider `Abdullah bin Mas`ud as one of the members of the family of the Prophet (ﷺ) because we used to see him and his mother going in the house of the Prophet (ﷺ) very often.
পরিচ্ছেদঃ ২২৪৭. নাবী (সাঃ) এর রোগ ও তাঁর ওফাত। মহান আল্লাহর বাণীঃ আপনিতো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল। এরপর কিয়ামত দিবসে তোমরা পরস্পর তোমাদের প্রতিপালকের সম্মুখে বাক-বিতন্ডা করবে (৩৯ঃ ৩০,৩১) ইউনুস (রহঃ) যুহরী ও উরওয়া (রহঃ) সুত্রে বলেন, আয়শা (রাঃ) বলেছেন, নবী (সাঃ) যে রোগে ইন্তিকাল করেন সে সময় তিনি বলতেন, হে আয়শা! আমি খায়বারে (বিষযুক্ত) যে খাদ্য ভক্ষন করেছিলাম, আমি সর্বদা তার যন্ত্রনা অনুভব করছি। আর এখন সেই সময় আগত, যখন সে বিষক্রিয়ার আমার প্রাণবায়ু বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে
৪১০৮। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আসওয়াদ (ইবনু ইয়াযীদ) (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আয়িশা (রাঃ) এর কাছে উল্লেখ করা হল যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ)-কে ওসীয়াত করে গেছেন। তখন তিনি বললেন, একথা কে বলেছে? আমার বুকের সাথে হেলান দেওয়া অবস্থায় আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি। তিনি একটি চিলিমচি আনতে বললেন, তাতে থুথু ফেললেন এবং ইন্তেকাল করলেন। অতএব আমি বুঝতে পারছি না তিনি কিভাবে আলী (রাঃ) কে ওসীয়াত করলেন।
بَابُ مَرَضِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ ثُمَّ إِنَّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ رَبِّكُمْ تَخْتَصِمُونَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا أَزْهَرُ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، قَالَ ذُكِرَ عِنْدَ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَوْصَى إِلَى عَلِيٍّ، فَقَالَتْ مَنْ قَالَهُ لَقَدْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَإِنِّي لَمُسْنِدَتُهُ إِلَى صَدْرِي، فَدَعَا بِالطَّسْتِ فَانْخَنَثَ فَمَاتَ، فَمَا شَعَرْتُ، فَكَيْفَ أَوْصَى إِلَى عَلِيٍّ
Narrated Al-Aswad:
It was mentioned in the presence of `Aisha that the Prophet (ﷺ) had appointed `Ali as successor by will. Thereupon she said, "Who said so? I saw the Prophet, while I was supporting him against my chest. He asked for a tray, and then fell on one side and expired, and I did not feel it. So how (do the people say) he appointed `Ali as his successor?"
পরিচ্ছেদঃ ২০৯৯. নিজ পরিবার গৃহকর্তার কাজকর্ম
৪৯৭২। মুহাম্মদ ইবনু আরআরা (রহঃ) ... আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গৃহে কি কাজ করতেন? তিনি বললেনঃ তিনি ঘরের কাজ-কর্মে ব্যস্ত থাকতেন, আর যখন আযান শুনতেন, তখন বেরিয়ে যেতেন।
باب خِدْمَةِ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، سَأَلْتُ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ فِي الْبَيْتِ قَالَتْ كَانَ فِي مِهْنَةِ أَهْلِهِ، فَإِذَا سَمِعَ الأَذَانَ خَرَجَ.
Narrated Al-Aswad bin Yazid:
I asked `Aisha "What did the Prophet (ﷺ) use to do at home?" She said, "He used to work for his family, and when he heard the Adhan (call for the prayer), he would go out."
পরিচ্ছেদঃ ২৭৯৫. কন্যা সন্তানের উত্তরাধিকার
৬২৭৮। মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ... আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) আমাদের নিকট মুআজিম অথবা আমীর হিসাবে ইয়ামানে এলে আমরা তাঁর কাছে এমন এক ব্যাক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, যে লোকটি এক কন্যা ও একটি ভগ্নি রেখে মারা গিয়েছে। তখন তিনি কন্যাটিকে সম্পত্তির অর্ধেক ও বোনকে অর্ধেক প্রদান করলেন।
باب مِيرَاثِ الْبَنَاتِ
حَدَّثَنِي مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، شَيْبَانُ عَنْ أَشْعَثَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ أَتَانَا مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ بِالْيَمَنِ مُعَلِّمًا وَأَمِيرًا، فَسَأَلْنَاهُ عَنْ رَجُلٍ، تُوُفِّيَ وَتَرَكَ ابْنَتَهُ وَأُخْتَهُ، فَأَعْطَى الاِبْنَةَ النِّصْفَ وَالأُخْتَ النِّصْفَ.
Narrated Al-Aswad bin Yazid:
Mu`adh bin Jabal came to us in Yemen as a tutor and a ruler, and we (the people of Yemen) asked him about (the distribution of the property of ) a man who had died leaving a daughter and a sister. Mu`adh gave the daughter one-half of the property and gave the sister the other half.
পরিচ্ছেদঃ ২৮০৯. সায়বার উত্তরাধিকার
৬২৯৮। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়িশা সিদ্দিকা (রাঃ) বারীরা বাদীকে আযাদ করার উদ্দেশ্যে ক্রয় করতে চাইলেন। আর তার মনিব তার ওয়ালার (অভিভাবকত্বের) শর্ত করল (নিজেদের জন্য)। তখন আয়িশা (রাঃ) আরয করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি বারীরাকে আযাদ করার উদ্দেশ্যে ক্রয় করতে চাই। অথচ তার মনিবরা তার ওয়ালার শর্ত করছে। তিনি বললেনঃ তাকে (ক্রয় করে) আযাদ কর। কেননা, অভিভাবকত্ব ঐ ব্যাক্তির জন্যই হয়ে থাকে, যে ব্যাক্তি আযাদ করে। অথবা তিনি বললেনঃ তার মূল্য দিয়ে দাও। তিনি বলেনঃ তখন তিনি তাকে ক্রয় করলেন এবং আযাদ করে দিলেন। তিনি আরও বললেন, তাকে তার (স্বামীর সাথে) যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারে ইখতিয়ার দেওয়া হল। সে নিজেকে ইখতিয়ার করল এবং বলল, আমাকে যদি এরূপ এরূপ কিছু দেওয়াও হয় তবুও আমি তার সাথী হব না। আসওয়াদ (রহঃ) বলেনঃ তার স্বামী আযাদ ছিল। আবূ আবদুল্লাহ বুখারী (রহঃ) বলেনঃ আসওয়াদ এর বক্তব্য বিচ্ছিন্ন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর বক্তব্য ’আমি (বারীরার স্বামীকে) তাকে গোলামরূপে দেখেছি’ বিশুদ্ধতর।
باب مِيرَاثِ السَّائِبَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، أَنَّ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ اشْتَرَتْ بَرِيرَةَ، لِتُعْتِقَهَا، وَاشْتَرَطَ أَهْلُهَا وَلاَءَهَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي اشْتَرَيْتُ بَرِيرَةَ لأُعْتِقَهَا، وَإِنَّ أَهْلَهَا يَشْتَرِطُونَ وَلاَءَهَا. فَقَالَ " أَعْتِقِيهَا فَإِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ ". أَوْ قَالَ " أَعْطَى الثَّمَنَ ". قَالَ فَاشْتَرَتْهَا فَأَعْتَقَتْهَا. قَالَ وَخُيِّرَتْ فَاخْتَارَتْ نَفْسَهَا وَقَالَتْ لَوْ أُعْطِيتُ كَذَا وَكَذَا مَا كُنْتُ مَعَهُ. قَالَ الأَسْوَدُ وَكَانَ زَوْجُهَا حُرًّا. قَوْلُ الأَسْوَدِ مُنْقَطِعٌ، وَقَوْلُ ابْنِ عَبَّاسٍ رَأَيْتُهُ عَبْدًا. أَصَحُّ.
Narrated Al-Aswad:
`Aisha bought Barira in order to manumit her, but her masters stipulated that her Wala' (after her death) would be for them. `Aisha said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I have bought Barira in order to manumit her, but her masters stipulated that her Wala' will be for them." The Prophet (ﷺ) said, "Manumit her as the Wala is for the one who manumits (the slave)," or said, "The one who pays her price." Then `Aisha bought and manumitted her. After that, Barira was given the choice (by the Prophet) (to stay with her husband or leave him). She said, "If he gave me so much and so much (money) I would not stay with him." (Al-Aswad added: Her husband was a free man.) The sub-narrator added: The series of the narrators of Al-Aswad's statement is incomplete. The statement of Ibn `Abbas, i.e., when I saw him he was a slave, is more authentic.
পরিচ্ছেদঃ ৫. যার কাছে ওসিয়্যাতযোগ্য কিছু নেই, তার ওসিয়্যাত না করা
৪০৮৫। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তারা আয়িশা (রাঃ) এর কাছে উল্লেখ করেন যে, আলী (রাঃ) তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসী ছিলেন। তিনি বললেন, কখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ওসিয়াত করেছেন? আমি তো তাকে (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে) আমার বুকে ভর দিয়ে রেখেছিলাম, অথবা বলেছেন, আমার কোলে তখন তিনি একটি রেকাব চাইলেন, এরপর আমার কোলে ঢলে পড়েন। আমি বুঝতেও পারিনি যে, তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তিনি কখন তাকে ওসিয়াত করলেন?
باب تَرْكِ الْوَصِيَّةِ لِمَنْ لَيْسَ لَهُ شَىْءٌ يُوصِي فِيهِ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالَ أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ ذَكَرُوا عِنْدَ عَائِشَةَ أَنَّ عَلِيًّا كَانَ وَصِيًّا فَقَالَتْ مَتَى أَوْصَى إِلَيْهِ فَقَدْ كُنْتُ مُسْنِدَتَهُ إِلَى صَدْرِي - أَوْ قَالَتْ حَجْرِي - فَدَعَا بِالطَّسْتِ فَلَقَدِ انْخَنَثَ فِي حَجْرِي وَمَا شَعَرْتُ أَنَّهُ مَاتَ فَمَتَى أَوْصَى إِلَيْهِ.
Aswad b. Yazid reported:
It was mentioned before A'isha that will had been made (by the Holy Prophet) in favour of 'Ali (as the Prophet's first caliph), whereupon she said: When did he make will in his favour? I had been providing support to him (to the Holy Prophet) with my chest (or with my lap). He asked for a tray, when he fell in my lap (relaxing his body), and I did not realise that he had breathed his last. When did he make any will in his ('Ali's) favour?
পরিচ্ছেদঃ ৭১: মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
৫/৬১১। আসওয়াদ ইবনে ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ’আনহাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে কী কাজ করতেন?’ তিনি বললেন, ’গৃহস্থালি কাজ করতেন; অর্থাৎ স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করতেন। অতঃপর নামাযের (সময়) হলে তিনি নামাযের জন্য বেরিয়ে যেতেন।’ (বুখারী) [1]
* (এই গৃহস্থালি কাজের ব্যাখ্যায় মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন তিনি নিজের জুতা পরিষ্কার করতেন কাপড় সিলাই করতেন দুধ দোহাতেন এবং নিজের খিদমত নিজে করতেন। তাছাড়া এ কথা বিদিত যে তাঁর একাধিক দাস-দাসীও ছিল।)
بَابُ التَّوَاضُعِ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لِلْمُؤْمِنِيْنَ - (71)
وَعَنِ الأَسْوَدِ بنِ يَزيدَ، قَالَ: سُئِلَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنهَا مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ فِي بَيْتِهِ ؟ قَالَت: كَانَ يَكُونُ في مِهْنَةِ أهْلِهِ ـ يَعنِي: خِدمَة أَهلِه ـ فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ، خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ . رواه البخاري
(71) Chapter: Modesty and Courtesy towards the Believers
Al-Aswad bin Yazid (May Allah be pleased with him) reported:
'Aishah (May Allah be pleased with her) was asked: "What did Messenger of Allah (ﷺ) used to do inside his house?" She answered: "He used to keep himself busy helping members of his family, and when it was the time for Salat (the prayer), he would get up for prayer."
[Al-Bukhari].
Commentary: Here too, we are informed about the extreme humbleness of Messenger of Allah (PBUH). Many a man deems his insult and indignity to extend his co-operation to woman in household affairs. This is against the
practice of Messenger of Allah (PBUH). To co-operate with woman in doing domestic things is a Sunnah and man should not feel complex in it. However, an excessive interest in domestic engagements which makes one indifferent to Salat is not desirable. Rather, one is supposed to give up all domestic engagements when it is time to offer Salat and be ready for it.
পরিচ্ছেদঃ ৩২১. রাতের (তাহজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৬৩. মুআম্মাল ইবন হিশাম (রহঃ) ..... আসওয়াদ ইবন ইয়াযীদ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি আয়েশা (রাঃ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে তাঁকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের রাত্রিকালীন নামায পাঠ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি বলেন, তিনি রাত্রিতে তের রাকাত নামায আদায় করতেন। অতঃপর শেষ বয়সে তিনি দুই রাকাত কম করে মোট এগার রাকাত আদায় করতেন এবং তাঁর ইন্তিকালের পূর্বে তিনি নয় রাকাত নামায আদায় করতেন এবং তাঁর রাত্রির শেষ নামায ছিল বিতিরের নামায। (তিরমিযী, নাসাঈ, মুসলিম)।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، : أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ فَسَأَلَهَا عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ . فَقَالَتْ : كَانَ يُصَلِّي ثَلاَثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً مِنَ اللَّيْلِ، ثُمَّ إِنَّهُ صَلَّى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً، وَتَرَكَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قُبِضَ صلى الله عليه وسلم حِينَ قُبِضَ وَهُوَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ تِسْعَ رَكَعَاتٍ، وَكَانَ آخِرُ صَلاَتِهِ مِنَ اللَّيْلِ الْوِتْرَ .
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
Al-Aswad ibn Yazid said that he entered upon Aisha and asked her about the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ) during the night. She said: He used to pray thirteen rak'ahs during the night. Then he began to pray eleven rak'ahs and left two rak'ahs. When he died, he would pray nine rak'ahs during the night. His last prayer during the night was witr.
পরিচ্ছেদঃ ১২৪. সহোদর ভাই-বোনের মিরাস।
২৮৮১. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) .... আসওয়াদ ইবন ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মু’আয ইবন জাবাল (রাঃ) তাঁর উত্তরাধিকার এক বোন ও এক মেয়েকে তাঁর সম্পত্তির অর্ধাংশ করে ভাগ করে দেন এবং এ সময় তিনি ইয়ামনে ছিলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও সে সময় জীবিত ছিলেন।
باب مَا جَاءَ فِي مِيرَاثِ الصُّلْبِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنِي أَبُو حَسَّانَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ، وَرَّثَ أُخْتًا وَابْنَةً فَجَعَلَ لِكُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا النِّصْفَ وَهُوَ بِالْيَمَنِ وَنَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ حَىٌّ .
Narrated Al-Aswad b. Yazid:
Mu'adh b. Jabal gave shares of inheritance to a sister and a daughter. He gave each of them half. He was at Yemen while the Prophet (ﷺ) was alive.
পরিচ্ছেদঃ ৩০/ বিত্রের সালাতের সময়
১৬৮৩। মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) ... আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়িশা (রাঃ) কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, রাত্রের প্রথম ভাগে নিদ্রা যেতেন। তারপর জাগ্রত হয়ে যেতেন এবং যখন সাহারীর সময় হয়ে যেত, তখন তিনি বিতরের সালাত আদায় করতেন। তারপর তার বিছানায় যেতেন। যদি তার বিবির কাছে কোন প্রয়োজন হত তাহলে তিনি বিবির সাথে সহবাস পর্ব সেরে নিতেন। তারপর যখন আযান শুনতে পেতেন দ্রুত দাঁড়িয়ে যেতেন। যদি তার উপর গোসল ফরয হত তাহলে তা সেরে নিতেন, অন্যথায় উযু করে নিতেন এবং সালাতের জন্য বের হয়ে যেতেন।
باب وَقْتِ الْوِتْرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كَانَ يَنَامُ أَوَّلَ اللَّيْلِ ثُمَّ يَقُومُ فَإِذَا كَانَ مِنَ السَّحَرِ أَوْتَرَ ثُمَّ أَتَى فِرَاشَهُ فَإِذَا كَانَ لَهُ حَاجَةٌ أَلَمَّ بِأَهْلِهِ فَإِذَا سَمِعَ الأَذَانَ وَثَبَ فَإِنْ كَانَ جُنُبًا أَفَاضَ عَلَيْهِ مِنَ الْمَاءِ وَإِلاَّ تَوَضَّأَ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ .
It was narrated that Al-Aswad bin Yazid said:
"I asked 'Aishah about the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ). She said: 'He used to sleep during the first part of the night, then get up during the time before dawn and pray witr. Then he would go to his bed and if he needed to be intimate he would go to his wife. Then when he heard the Adhan he would get up, and if he was junub he would pour water over himself, otherwise he would perform wudu, then he would go out to the prayer.'"
পরিচ্ছেদঃ (নির্মাণকালে) কাবা শরীফ ভাঙ্গা।
৮৭৬. মাহমুদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ..... আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু যুবায়র (রাঃ) তাকে বললেন, উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাঃ) তোমাকে গোপনে কি বলেছিলেন, আমার কাছে তুমি তা বর্ণনা কর। আসওয়াদ বললেন, তিনি বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছিলেন, তোমার কাওম যদি জাহিলী যুগের এত কাছাকাছি এবং ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে এত নয়া না হত তবে আমি কাবা ঘরকে ভেঙ্গে (পুনঃনির্মান করে) এর দুটো দরজা বানাতাম। পরে ইবনু জুবায়র যখন ক্ষমতাধিকারী হন তখন সেটিকে ভেঙ্গে এর দুটো দরজা রেখেছিলেন। - ইবনু মাজাহ ৮৭৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮৭৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي كَسْرِ الْكَعْبَةِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ، قَالَ لَهُ حَدِّثْنِي بِمَا، كَانَتْ تُفْضِي إِلَيْكَ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ يَعْنِي عَائِشَةَ فَقَالَ حَدَّثَتْنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهَا " لَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثُو عَهْدٍ بِالْجَاهِلِيَّةِ لَهَدَمْتُ الْكَعْبَةَ وَجَعَلْتُ لَهَا بَابَيْنِ " . قَالَ فَلَمَّا مَلَكَ ابْنُ الزُّبَيْرِ هَدَمَهَا وَجَعَلَ لَهَا بَابَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Al-Aswad bin Yazid narrated that:
Ibn Az-Zubair said to him: "Narrated to me from what the Mother of the Believers used to (secretly) inform you about" - meaning Aishah - so he said: "She narrated to me that the Messenger of Allah said: 'Had your people not been still close to the pre-Islamic period of ignorance, then I would demolish the Ka'bah and rebuild it with two doors.'" He said: "So when Ibn Az-Zubair came to power he demolished it and rebuilt it with two doors."
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।
২৪৯১. হান্নাদ (রহঃ) ... আসওয়াদ ইবন ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললামঃ হে আইশা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘরে আসতেন তখন কি করতেন? তিনি বললেন, পরিজনের কাজে থাকতেন। সালাতের সময় হলে উঠে যেতেন এবং সালাত আদায় করতেন। সহীহ, মুখতাসার শামাইল ২৯৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৪৮৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
بَابٌ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ أَىُّ شَيْءٍ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ إِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ قَالَتْ كَانَ يَكُونُ فِي مِهْنَةِ أَهْلِهِ فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ قَامَ فَصَلَّى . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Aswad bin Yazid narrated:
"I said: 'O 'Aishah! What would the Prophet (s.a.w) do when he entered his house?' She said: 'he would busy himself with serving his family, then when (the time for) Salat was due he would stand (to go) for it.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৪/২৬. ‘‘ নিঃসন্দেহে মুনাফিকরা থাকবে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে।’’ (সূরাহ আন-নিসা ৪/১৪৫)
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : أَسْفَلَ النَّارِ. (نَفَقًا) : سَرَبًا.
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) أَسْفَلَ النَّارِ সম্বন্ধে পদের সঙ্গে পড়েছেন। نَفَقًا-মাটির নীচের সুড়ঙ্গ পথ।
৪৬০২. আসওয়াদ (রহ.) বলেছেন, আমরা ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ)-এর মজলিসে ছিলাম, সেখানে হুযাইফাহ আসলেন এবং আমাদের সম্মুখে দন্ডায়মান হয়ে সালাম দিলেন। এরপর বললেন, তোমাদের চেয়ে উত্তম গোত্রের উপরও মুনাফিকী এসেছিল। আসওয়াদ বললেন, সুবহানাল্লাহ! অথচ আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’’মুনাফিকগণ জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে থাকবে’’। ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) হেসে উঠলেন। হুযাইফাহ (রাঃ) মসজিদের এক কোণে গিয়ে বসলেন, ’আবদুল্লাহ (রাঃ) উঠে গেলে তাঁর শিষ্যবর্গও চলে গেলেন। এরপর হুযাইফাহ (রাঃ) আমার দিকে একটি পাথর টুকরো নিক্ষেপ করে আমাকে ডাকলেন। আমি তার নিকট গেলে তিনি বললেন, আমি তার হাসিতে বিস্মিত হলাম অথচ আমি যা বলেছি তা তিনি বুঝেছেন। এমন এক গোত্র যারা তোমাদের চেয়ে উত্তম তাদের মধ্যেও মুনাফিকী সৃষ্টি করা হয়েছিল। তারপর তারা তওবা করেছে এবং আল্লাহ তা’আলা তাদের তওবা গ্রহণ করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪২৪৪)
بَاب :{إِنَّ الْمُنَافِقِيْنَ فِي اَلدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ}
عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا أَبِيْ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ قَالَ حَدَّثَنِيْ إِبْرَاهِيْمُ عَنِ الْأَسْوَدِ قَالَ كُنَّا فِيْ حَلْقَةِ عَبْدِ اللهِ فَجَاءَ حُذَيْفَةُ حَتَّى قَامَ عَلَيْنَا فَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ لَقَدْ أُنْزِلَ النِّفَاقُ عَلَى قَوْمٍ خَيْرٍ مِنْكُمْ قَالَ الْأَسْوَدُ سُبْحَانَ اللهِ إِنَّ اللهَ يَقُوْلُ : (إِنَّ الْمُنَافِقِيْنَ فِي اَلدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ) فَتَبَسَّمَ عَبْدُ اللهِ وَجَلَسَ حُذَيْفَةُ فِيْ نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ فَقَامَ عَبْدُ اللهِ فَتَفَرَّقَ أَصْحَابُهُ فَرَمَانِيْ بِالْحَصَا فَأَتَيْتُهُ فَقَالَ حُذَيْفَةُ عَجِبْتُ مِنْ ضَحِكِهِ وَقَدْ عَرَفَ مَا قُلْتُ لَقَدْ أُنْزِلَ النِّفَاقُ عَلَى قَوْمٍ كَانُوْا خَيْرًا مِنْكُمْ ثُمَّ تَابُوْا فَتَابَ اللهُ عَلَيْهِمْ.
Narrated Al-Aswad:
While we were sitting in a circle in `Abdullah's gathering, Hudhaifa came and stopped before us, and greeted us and then said, "People better than you became hypocrites." Al-Aswad said: I testify the uniqueness of Allah! Allah says: "Verily! The hypocrites will be in the lowest depths of the Fire." (4.145) On that `Abdullah smiled and Hudhaifa sat somewhere in the Mosque. `Abdullah then got up and his companions (sitting around him) dispersed. Hudhaifa then threw a pebble at me (to attract my attention). I went to him and he said, "I was surprised at `Abdullah's smile though he understood what I said. Verily, people better than you became hypocrite and then repented and Allah forgave them."
পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৬. কন্যাদের মীরাস।
৬৭৩৪. আস্ওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) আমাদের নিকট শিক্ষক অথবা আমীর হিসেবে ইয়ামানে আসলে আমরা তাঁর কাছে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, যে এক কন্যা ও এক বোন রেখে মারা গেছে। তিনি কন্যাটিকে অর্ধেক ও বোনটিকে অর্ধেক দিলেন। [৬৭৪১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭৮)
بَاب مِيرَاثِ الْبَنَاتِ
مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ شَيْبَانُ عَنْ أَشْعَثَ عَنْ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ أَتَانَا مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ بِالْيَمَنِ مُعَلِّمًا وَأَمِيرًا فَسَأَلْنَاهُ عَنْ رَجُلٍ تُوُفِّيَ وَتَرَكَ ابْنَتَهُ وَأُخْتَهُ فَأَعْطَى الِابْنَةَ النِّصْفَ وَالْأُخْتَ النِّصْفَ
Narrated Al-Aswad bin Yazid:
Mu`adh bin Jabal came to us in Yemen as a tutor and a ruler, and we (the people of Yemen) asked him about (the distribution of the property of ) a man who had died leaving a daughter and a sister. Mu`adh gave the daughter one-half of the property and gave the sister the other half.
পরিচ্ছেদঃ ৮৫/১২. কন্যাদের বর্তমানে ভগ্নিরা ওয়ারিশ হবে আসাবা হিসেবে।
৬৭৪১. আল আসওয়াদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে আমাদের মাঝে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন যে, কন্যার জন্য অর্ধেক আর ভগ্নির জন্য অর্ধেক [1]।
অতঃপর (রাবী) সুলায়মান বলেন, তিনি (আল আসওয়াদ) আমাদের এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। তবে ’রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে’ কথাটি উল্লেখ করেননি। [৬৭৩৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৮৫)
উল্লেখ্য ইসলামী শারী‘আতে পিতাকে বিয়ের পূর্ব পর্যন্ত মেয়ের আর বিয়ের পরে স্বামীকে স্ত্রীর যাবতীয় খরচাদির ব্যয়ভার বহন করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। স্ত্রীকে কর্ম করতেই হবে এরূপ নীতি ইসলাম দেয়নি। অতএব একজন স্ত্রী স্ত্রী হিসেবে তার সারা জীবনে যে পরিমাণ স্বামী কর্তৃক উপার্জিত সম্পদ লাভ ও ভোগ করে থাকে তার পরিমাণ স্বামী বা পুরুষের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির পরিমাণের চেয়ে বহুগুণে বেশী হওয়াই স্বাভাবিক। অতএব যারা সমঅধিকারের দাবী তুলছে আসলে ইসলাম সম্পর্কে তাদের জ্ঞান না থাকার কারণেই তারা অবান্তর ও অবাস্তব কিছু দাবী করছে। যার অন্তরালে আসলে কোন সৎ উদ্দেশ্য নেই বরং নারীদেরকে পথে ঘাটে পণ্যের ন্যায় ব্যবহার করে তাদের সম্মান ও মর্যাদাহানীর হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার মন্দ উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে। আর এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে অনৈসলামিক গোষ্ঠীর হীন স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে তাদের সহযোগী তথাকথিত মুসলিম নামধারী কিছু নারী ও পুরুষ নারী স্বাধীনতার বুলি আওড়িয়ে নারী সমাজকে কুলষিত করতে প্রাণপণ চেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছে।
بَاب مِيرَاثُ الأَخَوَاتِ مَعَ الْبَنَاتِ عَصَبَةٌ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، قَالَ قَضَى فِينَا مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النِّصْفُ لِلاِبْنَةِ وَالنِّصْفُ لِلأُخْتِ. ثُمَّ قَالَ سُلَيْمَانُ قَضَى فِينَا. وَلَمْ يَذْكُرْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.
Narrated Al-Aswad:
Mu`adh bin Jabal gave this verdict for us in the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ). One-half of the inheritance is to be given to the daughter and the other half to the sister. Sulaiman said: Mu`adh gave a verdict for us, but he did not mention that it was so in the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ৮৫/২০. সায়বার মীরাস।
৬৭৫৪. আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আয়িশাহ সিদ্দিকা (রাঃ) বারীরাকে আযাদ করার উদ্দেশে ক্রয় করলেন। তখন তার মনিব শর্ত করল যে বারীরার পরিত্যক্ত সম্পদের মালিকানা বিক্রয়কারীর থাকবে। তখন ’আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি বারীরাকে আযাদ করার উদ্দেশে কিনতে চাই। কিন্তু তার মনিবরা তার ওয়ালা তাদের কাছে রাখার শর্ত করছে। তিনি বললেনঃ তাকে (কিনে) আযাদ কর। কারণ, ওয়ালা হল তার যে আযাদ করে। অথবা তিনি বললেনঃ তার মূল্য দিয়ে দাও। রাবী বলেন, তখন তিনি তাকে ক্রয় করলেন এবং আযাদ করে দিলেন। রাবী আরও বললেন, তাকে তার (স্বামীর সঙ্গে) থাকা না থাকার ব্যাপারে যে কোন একটি গ্রহণ করার স্বাধীনতা দেয়া হল। স্বামীর সঙ্গ থেকে নিজের মুক্তিকেই সে গ্রহণ করল এবং বলল, আমাকে যদি এত এত কিছু দেয়াও হয় তবুও আমি তার সাথী হব না।
আসওয়াদ (রহ.) বলেন, তার স্বামী আযাদ ছিল। আবূ ’আবদুল্লাহ্ [বুখারী (রহ.)] বলেন, আসওয়াদ-এর বক্তব্য সূত্র ছিন্ন। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-এর বক্তব্য ’আমি তাকে (বারীরার স্বামীকে) গোলামরূপে দেখেছি’ অধিকতর শুদ্ধ। [৪৫৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৯৮)
بَاب مِيرَاثِ السَّائِبَةِ
مُوسَى حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الأَسْوَدِ أَنَّ عَائِشَةَ اشْتَرَتْ بَرِيرَةَ لِتُعْتِقَهَا وَاشْتَرَطَ أَهْلُهَا وَلاَءَهَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي اشْتَرَيْتُ بَرِيرَةَ لِأُعْتِقَهَا وَإِنَّ أَهْلَهَا يَشْتَرِطُونَ وَلاَءَهَا فَقَالَ أَعْتِقِيهَا فَإِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ أَوْ قَالَ أَعْطَى الثَّمَنَ قَالَ فَاشْتَرَتْهَا فَأَعْتَقَتْهَا قَالَ وَخُيِّرَتْ فَاخْتَارَتْ نَفْسَهَا وَقَالَتْ لَوْ أُعْطِيتُ كَذَا وَكَذَا مَا كُنْتُ مَعَهُ قَالَ الأَسْوَدُ وَكَانَ زَوْجُهَا حُرًّا قَوْلُ الأَسْوَدِ مُنْقَطِعٌ وَقَوْلُ ابْنِ عَبَّاسٍ رَأَيْتُهُ عَبْدًا أَصَحُّ
Narrated Al-Aswad:
`Aisha bought Barira in order to manumit her, but her masters stipulated that her Wala' (after her death) would be for them. `Aisha said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I have bought Barira in order to manumit her, but her masters stipulated that her Wala' will be for them." The Prophet (ﷺ) said, "Manumit her as the Wala is for the one who manumits (the slave)," or said, "The one who pays her price." Then `Aisha bought and manumitted her. After that, Barira was given the choice (by the Prophet) (to stay with her husband or leave him). She said, "If he gave me so much and so much (money) I would not stay with him." (Al-Aswad added: Her husband was a free man.) The sub-narrator added: The series of the narrators of Al-Aswad's statement is incomplete. The statement of Ibn `Abbas, i.e., when I saw him he was a slave, is more authentic.
পরিচ্ছেদঃ ৪৭. (নির্মাণকল্পে) কা'বা ঘর ভাঙ্গা প্রসঙ্গে
৮৭৫। আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, ইবনু যুবাইর (রাঃ) তাকে বললেন, তোমাকে উম্মুল মু’মিনীন আইশা (রাঃ) যে হাদীস বলেছেন, তা আমার নিকটে বর্ণনা কর। আসওয়াদ বলেন, তিনি আমাকে বলেছেন যে, তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেনঃ যদি তোমার সম্প্রদায় জাহিলী যুগের এত নিকটে এবং ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে নবদীক্ষিত না হত তাহলে আমি কা’বা ঘরকে ভেঙ্গে (পুনঃনির্মাণ করে) এর দুটো দরজা বানাতাম।
— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৮৭৫)
বর্ণনাকারী বলেন, পরে যখন ইবনুয যুবাইর (রাঃ) ক্ষমতাধিকারী হন তখন এটিকে ভেঙ্গে (পুনঃনির্মাণ করেন এবং) এর দুইটি দরজা তৈরী করেন।
এই হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي كَسْرِ الْكَعْبَةِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ، قَالَ لَهُ حَدِّثْنِي بِمَا، كَانَتْ تُفْضِي إِلَيْكَ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ يَعْنِي عَائِشَةَ فَقَالَ حَدَّثَتْنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهَا " لَوْلاَ أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثُو عَهْدٍ بِالْجَاهِلِيَّةِ لَهَدَمْتُ الْكَعْبَةَ وَجَعَلْتُ لَهَا بَابَيْنِ " . قَالَ فَلَمَّا مَلَكَ ابْنُ الزُّبَيْرِ هَدَمَهَا وَجَعَلَ لَهَا بَابَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Al-Aswad bin Yazid narrated that:
Ibn Az-Zubair said to him: "Narrated to me from what the Mother of the Believers used to (secretly) inform you about" - meaning Aishah - so he said: "She narrated to me that the Messenger of Allah said: 'Had your people not been still close to the pre-Islamic period of ignorance, then I would demolish the Ka'bah and rebuild it with two doors.'" He said: "So when Ibn Az-Zubair came to power he demolished it and rebuilt it with two doors."