সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض)
৬৭২৩

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/১. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তান-সন্ততির (অংশ) সম্পর্কে নির্দেশ দিচ্ছেন, পুরুষ দুই নারীর অংশের সমান পাবে, তবে সন্তান-সন্ততি যদি শুধু দু’জন নারীর অধিক হয় তাহলে তাঁরা রেখে যাওয়া সম্পত্তির তিন ভাগের দু’ ভাগ পাবে, আর কেবল একটি কন্যা থাকলে সে অর্ধেক পাবে এবং তার পিতা-মাতা উভয়ের প্রত্যেকে রেখে যাওয়া সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ পাবে যদি তার সন্তান থাকে, আর যদি তার সন্তান না থাকে এবং তার ওয়ারিশ মাতা-পিতাই হয়, সে অবস্থায় তার মাতার জন্য এক তৃতীয়াংশ, কিন্তু তার ভাই-বোন থাকলে, তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ, (ঐসব বণ্টন হবে) তার কৃত ওয়াসীয়াত অথবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমরা জান না তোমাদের পিতা এবং সন্তানদের মধ্যে কে তোমাদের পক্ষে উপকারের দিক দিয়ে অধিকতর নিকটবর্তী। (এ বণ্টন) আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে, নিশ্চয় আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাশীল। তোমাদের স্ত্রীদের রেখে যাওয়া সম্পত্তির অর্ধেক তোমাদের জন্য- যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে আর যদি সন্তান থাকে, তবে তোমাদের জন্য তাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তির এক চতুর্থাংশ, তাদের কৃত ওয়াসীয়াত কিংবা ঋণ পরিশোধের পর এবং তারা তোমাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তির সিকি অংশ পাবে যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে, আর তোমাদের সন্তান থাকলে তাদের জন্য তোমাদের সম্পত্তির আট ভাগের একভাগ- তোমাদের কৃত ওয়াসীয়ত কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। যদি পিতা-মাতাহীন ও সন্তানহীন কোন পুরুষ বা নারীর শুধু বৈপিত্রেয় একটি ভাই বা একটি ভগ্নি থাকে, তবে প্রত্যেকের জন্য ছ’ ভাগের এক ভাগ। যদি তারা তার চেয়ে অধিক হয়, তবে সকলেই তৃতীয়াংশে শরীক হবে কৃত ওয়াসীয়াত কিংবা ঋণ পরিশোধের পরে, যদি কারো জন্য ক্ষতিকর না হয়, এ হল আল্লাহর বিধান, আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১১-১২)

৬৭২৩. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি অসুস্থ হলাম। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ) আমার সেবা করলেন। তাঁরা উভয়েই একবার পায়ে হেঁটে আমার কাছে উপস্থিত হলেন। আমি তখন জ্ঞানশূন্য ছিলাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযূ করলেন এবং আমার উপর অযূর পানি ঢেলে দিলেন। আমার জ্ঞান ফিরলে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার সম্পদের ব্যাপারে কী করব। আমার সম্পদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেব? তিনি আমাকে কোন জওয়াব দিলেন না। অবশেষে উত্তরাধিকারের আয়াত অবতীর্ণ হল। [১৯৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৬৮)

بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى {يُوصِيْكُمْ اللهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ فَإِنْ كُنَّ نِسَآءً فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِنْ كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ وَلِأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِنْ كَانَ لَهُ وَلَدٌ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلِأُمِّهِ الثُّلُثُ فَإِنْ كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلِأُمِّهِ السُّدُسُ مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَآ أَوْ دَيْنٍ اٰبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ لاَ تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعًا فَرِيضَةً مِنْ اللهِ إِنَّ اللهَ كَانَ عَلِيْمًا حَكِيْمًا وَلَكُمْ نِصْفُ مَا تَرَكَ أَزْوَاجُكُمْ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُنَّ وَلَدٌ فَإِنْ كَانَ لَهُنَّ وَلَدٌ فَلَكُمْ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْنَ مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِيْنَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ وَلَهُنَّ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَكْتُمْ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَكُمْ وَلَدٌ فَإِنْ كَانَ لَكُمْ وَلَدٌ فَلَهُنَّ الثُّمُنُ مِمَّا تَرَكْتُمْ مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ تُوصُونَ بِهَا أَوْ دَيْنٍ وَإِنْ كَانَ رَجُلٌ يُورَثُ كَلاَلَةً أَوْ امْرَأَةٌ وَلَهُ أَخٌ أَوْ أُخْتٌ فَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا السُّدُسُ فَإِنْ كَانُوا أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ فَهُمْ شُرَكَاءُ فِي الثُّلُثِ مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَى بِهَا أَوْ دَيْنٍ غَيْرَ مُضَارٍّ وَصِيَّةً مِنْ اللهِ وَاللهُ عَلِيْمٌ حَلِيْمٌ}

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يَقُولُ مَرِضْتُ فَعَادَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَهُمَا مَاشِيَانِ فَأَتَانِي وَقَدْ أُغْمِيَ عَلَيَّ فَتَوَضَّأَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَصَبَّ عَلَيَّ وَضُوءَهُ فَأَفَقْتُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ أَصْنَعُ فِي مَالِي كَيْفَ أَقْضِي فِي مَالِي فَلَمْ يُجِبْنِي بِشَيْءٍ حَتَّى نَزَلَتْ آيَةُ الْمَوَارِيثِ

قتيبة بن سعيد حدثنا سفيان عن محمد بن المنكدر سمع جابر بن عبد الله يقول مرضت فعادني رسول الله صلى الله عليه وسلم وابو بكر وهما ماشيان فاتاني وقد اغمي علي فتوضا رسول الله صلى الله عليه وسلم فصب علي وضوءه فافقت فقلت يا رسول الله كيف اصنع في مالي كيف اقضي في مالي فلم يجبني بشيء حتى نزلت اية المواريث


Narrated Jabir bin `Abdullah:

I became sick so Allah's Messenger (ﷺ) and Abu Bakr came on foot to pay me a visit. When they came, I was unconscious. Allah's Messenger (ﷺ) performed ablution and he poured over me the water (of his ablution) and I came to my senses and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! What shall I do regarding my property? How shall I distribute it?" The Prophet (ﷺ) did not reply till the Divine Verses of inheritance were revealed .


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭২৪

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/২. ফারায়েজ বিষয়ক বিদ্যা শিক্ষা দেয়া।

وَقَالَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ تَعَلَّمُوا قَبْلَ الظَّانِّينَ يَعْنِي الَّذِينَ يَتَكَلَّمُونَ بِالظَّنِّ

’উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ) বলেন, যারা আন্দাজে অনুমানে কথা বলে তাদের এমন কথা বলার আগেই তোমরা (ফারায়েজ বিদ্যা) শিখে নাও।


৬৭২৪. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ধারণা করা হতে বেঁচে থাক, কারণ, ধারণা করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় মিথ্যা। কারও দোষ অনুসন্ধান করো না, দোষ বের করার জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করো না, একে অন্যের হিংসা করো না, পরস্পরে সম্পর্কচ্ছেদ করো না। ভ্রাতৃবন্ধনে আবদ্ধ আল্লাহর বান্দাহ হয়ে যাও।[1] [৫১৪৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৬৯)

بَاب تَعْلِيمِ الْفَرَائِضِ

مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيْثِ وَلاَ تَحَسَّسُوا وَلاَ تَجَسَّسُوا وَلاَ تَبَاغَضُوا وَلاَ تَدَابَرُوا وَكُونُوا عِبَادَ اللهِ إِخْوَانًا

موسى بن اسماعيل حدثنا وهيب حدثنا ابن طاوس عن ابيه عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اياكم والظن فان الظن اكذب الحديث ولا تحسسوا ولا تجسسوا ولا تباغضوا ولا تدابروا وكونوا عباد الله اخوانا


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, 'Beware of suspicion, for it is the worst of false tales and don't look for the other's faults and don't spy and don't hate each other, and don't desert (cut your relations with) one another O Allah's slaves, be brothers!"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭২৫

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৩. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণীঃ আমরা যা কিছু (সম্পদ) ছেড়ে যাই, কেউ তার ওয়ারিশ হবে না, সবই সদাকাহ।

৬৭২৫. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একবার ফাতিমাহ ও ’আব্বাস (রাঃ) আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর কাছে আসলেন তাদের ওয়ারিশ চাওয়ার জন্য। তাঁরা তখন তাদের ফাদাকের জমি এবং খায়বারের অংশ দাবি করছিলেন। [৩০৯২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭০)

بَاب قَوْلِ النَّبِيِّ ﷺ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ

عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ فَاطِمَةَ وَالْعَبَّاسَ عَلَيْهِمَا السَّلاَم أَتَيَا أَبَا بَكْرٍ يَلْتَمِسَانِ مِيرَاثَهُمَا مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُمَا حِينَئِذٍ يَطْلُبَانِ أَرْضَيْهِمَا مِنْ فَدَكَ وَسَهْمَهُمَا مِنْ خَيْبَرَ

عبد الله بن محمد حدثنا هشام اخبرنا معمر عن الزهري عن عروة عن عاىشة ان فاطمة والعباس عليهما السلام اتيا ابا بكر يلتمسان ميراثهما من رسول الله صلى الله عليه وسلم وهما حينىذ يطلبان ارضيهما من فدك وسهمهما من خيبر


Narrated `Aisha:

Fatima and Al `Abbas came to Abu Bakr, seeking their share from the property of Allah's Messenger (ﷺ) and at that time, they were asking for their land at Fadak and their share from Khaibar.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭২৬

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৩. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণীঃ আমরা যা কিছু (সম্পদ) ছেড়ে যাই, কেউ তার ওয়ারিশ হবে না, সবই সদাকাহ।

৬৭২৬. তখন আবূ বকর (রাঃ) তাঁদেরকে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি তিনি বলেছেনঃ আমরা যা কিছু (সম্পদ) ছেড়ে যাই কেউ তার ওয়ারিশ হবে না, সবই সাদাকা্। এ মাল থেকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবার ভোগ করবেন। আবূ বকর (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি এতে যেভাবে করতে দেখেছি, তা সেভাবেই করব, কোন ব্যতিক্রম করব না। রাবী বলেন, অতঃপর থেকে ফাতিমাহ (রাঃ) তাঁকে ত্যাগ করেছিলেন, মৃত্যু পর্যন্ত তার সঙ্গে কথা বলেন নি। [৩০৯৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭০)

بَاب قَوْلِ النَّبِيِّ ﷺ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ

فَقَالَ لَهُمَا أَبُو بَكْرٍ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ مِنْ هَذَا الْمَالِ قَالَ أَبُو بَكْرٍ وَاللهِ لاَ أَدَعُ أَمْرًا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُهُ فِيهِ إِلاَّ صَنَعْتُهُ قَالَ فَهَجَرَتْهُ فَاطِمَةُ فَلَمْ تُكَلِّمْهُ حَتَّى مَاتَتْ

فقال لهما ابو بكر سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لا نورث ما تركنا صدقة انما ياكل ال محمد من هذا المال قال ابو بكر والله لا ادع امرا رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم يصنعه فيه الا صنعته قال فهجرته فاطمة فلم تكلمه حتى ماتت


Abu Bakr said to them, " I have heard from Allah's Messenger (ﷺ) saying, 'Our property cannot be inherited, and whatever we leave is to be spent in charity, but the family of Muhammad may take their provisions from this property." Abu Bakr added, "By Allah, I will not leave the procedure I saw Allah's Messenger (ﷺ) following during his lifetime concerning this property." Therefore Fatima left Abu Bakr and did not speak to him till she died.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭২৭

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৩. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণীঃ আমরা যা কিছু (সম্পদ) ছেড়ে যাই, কেউ তার ওয়ারিশ হবে না, সবই সদাকাহ।

৬৭২৭. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা যা কিছু (সম্পদ) রেখে যাই, কেউ তার ওয়ারিশ হয় না, সব সাদাকা। [৪০৩৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭১)

بَاب قَوْلِ النَّبِيِّ ﷺ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ

إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يُونُسَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ

اسماعيل بن ابان اخبرنا ابن المبارك عن يونس عن الزهري عن عروة عن عاىشة ان النبي صلى الله عليه وسلم قال لا نورث ما تركنا صدقة


Narrated `Aisha:

The Prophet (ﷺ) said, "Our (Apostles') property should not be inherited, and whatever we leave, is to be spent in charity."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭২৮

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৩. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণীঃ আমরা যা কিছু (সম্পদ) ছেড়ে যাই, কেউ তার ওয়ারিশ হবে না, সবই সদাকাহ।

৬৭২৮. মালিক ইবনু আউস ইবনু হাদাসান (রাঃ) হতে বর্ণিত। মুহাম্মাদ ইবনু যুবায়র ইবনু মুতঈম আমার কাছে (মালিক ইবনু আউস ইবনু হাদাসান)-এর পক্ষ থেকে একটি ঘটনা বর্ণনা করলেন। তিনি বলেন, আমি মালিক ইবনু আউস (রাঃ)-এর কাছে গেলাম এবং ঘটনাটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি বললেন, আমি ’উমার (রাঃ)-এর নিকট গিয়েছিলাম। এমন সময় তাঁর দারোয়ান ইয়ারফা তাঁর কাছে গিয়ে বলল, আপনি ’উসমান, ’আবদুর রাহমান, যুবায়র ও সা’দ (রাঃ)-কে ভিতরে আসার অনুমতি দিবেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি তাঁদেরকে অনুমতি দিলেন। এরপর সে ’উমার (রাঃ)-এর নিকট এসে বলল, আপনি ’আলী ও ’আব্বাস (রাঃ)-কে ভিতরে আসার অনুমতি দিবেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার এবং এর মাঝে মীমাংসা করে দিন।

’উমার (রাঃ) বললেন, আপনাদেরকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলি-যাঁর হুকুমে আকাশ ও যমীন প্রতিষ্ঠিত আছে- আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, আমরা কাউকে উত্তরাধিকারী করি না, আমরা যা কিছু রেখে যাই সবই সাদাকা। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দ্বারা নিজেকেই উদ্দেশ্য করেছিলেন। দলের লোকেরা বলল, তিনি তাই বলেছেন। এরপর তিনি ’আলী ও ’আব্বাস (রাঃ)-এর দিকে মুখ করে বললেন, আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা বলেছিলেন? তাঁরা উভয়ে জবাব দিলেন, তিনি তা বলেছেন। ’উমার (রাঃ) বললেন, এখন আমি এ সম্পর্কে আপনাদের কাছে বর্ণনা করছি যে, এ ফায় (বিনা যুদ্ধে প্রাপ্ত ধনসম্পদ)-এর ব্যাপারে তাঁর রাসূলকে বিশেষত্ব প্রদান করেছেন, যা আর অন্য কাউকে করেননি। (আল্লাহ্) বলেনঃ (مَا أَفَاءَ اللهُ عَلٰى رَسُوْلِهِ) থেকে (قَدِيْرٌ) পর্যন্ত তিলাওয়াত করে শোনালেন। এবং বললেন, এটা তো ছিল বিশেষ করে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য। আল্লাহর কসম! তিনি আপনাদের ছাড়া অন্য কারও জন্য এ মাল সংরক্ষণ করেননি। আর আপনাদের ছাড়া অন্য কাউকে এতে প্রাধান্য দেননি। এ মাল তো আপনাদেরই তিনি দিয়ে গিয়েছেন এবং আপনাদের মাঝেই বণ্টন করেছেন। শেষে এ মালটুকু বাকী ছিল।

তখন তিনি তাঁর পরিবার-পরিজনের বছরের ভরণ-পোষণের জন্য এ থেকে খরচ করতেন। এরপর যা অবশিষ্ট থাকত তা আল্লাহর মাল হিসেবে (তাঁর রাস্তায়) খরচ করতেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পূর্ণ জীবনকালেই এমন করে গেছেন। আমি আপনাদের আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, এটা কি আপনারা জানেন? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর তিনি ’আলী (রাঃ) ও ’আব্বাস (রাঃ)- কে বললেন, আমি আপনাদের দু’জনকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, আপনারা কি এ কথাগুলো জানেন? তাঁরা উভয়েই বললেন, হ্যাঁ। এরপর আল্লাহ্ তাঁর নবীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-মৃত্যু দিলেন তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওলী। অতঃপর তিনি উক্ত সম্পদ হস্তগত করলেন এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে তা কাজে লাগিয়েছিলেন তিনিও তা সেভাবে কাজে লাগালেন।

এরপর আল্লাহ্ আবূ বকর (রাঃ)-এর মৃত্যু দিলেন। তখন আমি বললাম, আমি আল্লাহর রাসূলের ওলীর ওলী। আমি এ সম্পদ হস্তগত করলাম এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ) এ সম্পদ যেভাবে ব্যবহার করেছিলেন দু’বছর যাবত আমি এ সম্পদ সেভাবেই ব্যবহার করে আসছি। এরপর আপনারা দু’জন আমার কাছে আসলেন আর আপনাদের উভয়ের কথা এক এবং ব্যাপারটিও অনুরূপ। (হে ’আব্বাস (রাঃ) আপনি আপনার ভাতিজার থেকে আপনার প্রাপ্য অংশ আমার কাছে চাচ্ছেন। আর ’আলী (রাঃ) আমার কাছে তাঁর স্ত্রীর অংশ যা তাঁর পিতা থেকে তার প্রাপ্য আমার কাছে চাচ্ছেন। সুতরাং আমি বলছি, আপনারা ইচ্ছে করলে আমি আপনাদেরকে এটা দিয়ে দেব। এরপর কি আপনারা অন্য কোন ফায়সালা আমার কাছে চাইবেন? ঐ আল্লাহর কসম! যাঁর হুকুমে আকাশ ও যমীন প্রতিষ্ঠিত আছে, আমি এ ফায়সালা ছাড়া ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) পর্যন্ত অন্য কোন ফায়সালা দিতে পারব না। আপনারা এ সম্পদের ব্যবস্থাপনায় অক্ষম হলে তা আমার কাছে ফিরিয়ে দিবেন, আপনাদের পক্ষ থেকে এ সম্পদের ব্যবস্থাপনায় আমিই যথেষ্ট। [২৯০৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭২)

بَاب قَوْلِ النَّبِيِّ ﷺ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ

يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ وَكَانَ مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ ذَكَرَ لِي مِنْ حَدِيثِهِ ذَلِكَ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى دَخَلْتُ عَلَيْهِ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ انْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى عُمَرَ فَأَتَاهُ حَاجِبُهُ يَرْفَأُ فَقَالَ هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ وَعَبْدِ الرَّحْمٰنِ وَالزُّبَيْرِ وَسَعْدٍ قَالَ نَعَمْ فَأَذِنَ لَهُمْ ثُمَّ قَالَ هَلْ لَكَ فِي عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ قَالَ نَعَمْ قَالَ عَبَّاسٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا قَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ يُرِيدُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَفْسَهُ فَقَالَ الرَّهْطُ قَدْ قَالَ ذَلِكَ فَأَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ فَقَالَ هَلْ تَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ذَلِكَ قَالاَ قَدْ قَالَ ذَلِكَ قَالَ عُمَرُ فَإِنِّي أُحَدِّثُكُمْ عَنْ هَذَا الأَمْرِ إِنَّ اللهَ قَدْ كَانَ خَصَّ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْفَيْءِ بِشَيْءٍ لَمْ يُعْطِهِ أَحَدًا غَيْرَهُ فَقَالَ عَزَّ وَجَلَّ (مَآ أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهٖ) إِلَى قَوْلِهِ (قَدِيْرٌ) فَكَانَتْ خَالِصَةً لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَاللهِ مَا احْتَازَهَا دُونَكُمْ وَلاَ اسْتَأْثَرَ بِهَا عَلَيْكُمْ لَقَدْ أَعْطَاكُمُوهَا وَبَثَّهَا فِيكُمْ حَتَّى بَقِيَ مِنْهَا هَذَا الْمَالُ فَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ مِنْ هَذَا الْمَالِ نَفَقَةَ سَنَتِهِ ثُمَّ يَأْخُذُ مَا بَقِيَ فَيَجْعَلُهُ مَجْعَلَ مَالِ اللهِ فَعَمِلَ بِذَاكَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَيَاتَهُ أَنْشُدُكُمْ بِاللهِ هَلْ تَعْلَمُونَ ذَلِكَ قَالُوا نَعَمْ ثُمَّ قَالَ لِعَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ أَنْشُدُكُمَا بِاللهِ هَلْ تَعْلَمَانِ ذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ فَتَوَفَّى اللهُ نَبِيَّهُ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَبَضَهَا فَعَمِلَ بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ تَوَفَّى اللهُ أَبَا بَكْرٍ فَقُلْتُ أَنَا وَلِيُّ وَلِيِّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَبَضْتُهَا سَنَتَيْنِ أَعْمَلُ فِيهَا مَا عَمِلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ ثُمَّ جِئْتُمَانِي وَكَلِمَتُكُمَا وَاحِدَةٌ وَأَمْرُكُمَا جَمِيعٌ جِئْتَنِي تَسْأَلُنِي نَصِيبَكَ مِنْ ابْنِ أَخِيكَ وَأَتَانِي هَذَا يَسْأَلُنِي نَصِيبَ امْرَأَتِهِ مِنْ أَبِيهَا فَقُلْتُ إِنْ شِئْتُمَا دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا بِذَلِكَ فَتَلْتَمِسَانِ مِنِّي قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ فَوَاللهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ لاَ أَقْضِي فِيهَا قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ فَإِنْ عَجَزْتُمَا فَادْفَعَاهَا إِلَيَّ فَأَنَا أَكْفِيكُمَاهَا

يحيى بن بكير حدثنا الليث عن عقيل عن ابن شهاب قال اخبرني مالك بن اوس بن الحدثان وكان محمد بن جبير بن مطعم ذكر لي من حديثه ذلك فانطلقت حتى دخلت عليه فسالته فقال انطلقت حتى ادخل على عمر فاتاه حاجبه يرفا فقال هل لك في عثمان وعبد الرحمن والزبير وسعد قال نعم فاذن لهم ثم قال هل لك في علي وعباس قال نعم قال عباس يا امير المومنين اقض بيني وبين هذا قال انشدكم بالله الذي باذنه تقوم السماء والارض هل تعلمون ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا نورث ما تركنا صدقة يريد رسول الله صلى الله عليه وسلم نفسه فقال الرهط قد قال ذلك فاقبل على علي وعباس فقال هل تعلمان ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ذلك قالا قد قال ذلك قال عمر فاني احدثكم عن هذا الامر ان الله قد كان خص رسوله صلى الله عليه وسلم في هذا الفيء بشيء لم يعطه احدا غيره فقال عز وجل (ما افاء الله على رسولهٖ) الى قوله (قدير) فكانت خالصة لرسول الله صلى الله عليه وسلم والله ما احتازها دونكم ولا استاثر بها عليكم لقد اعطاكموها وبثها فيكم حتى بقي منها هذا المال فكان النبي صلى الله عليه وسلم ينفق على اهله من هذا المال نفقة سنته ثم ياخذ ما بقي فيجعله مجعل مال الله فعمل بذاك رسول الله صلى الله عليه وسلم حياته انشدكم بالله هل تعلمون ذلك قالوا نعم ثم قال لعلي وعباس انشدكما بالله هل تعلمان ذلك قالا نعم فتوفى الله نبيه صلى الله عليه وسلم فقال ابو بكر انا ولي رسول الله صلى الله عليه وسلم فقبضها فعمل بما عمل به رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم توفى الله ابا بكر فقلت انا ولي ولي رسول الله صلى الله عليه وسلم فقبضتها سنتين اعمل فيها ما عمل رسول الله صلى الله عليه وسلم وابو بكر ثم جىتماني وكلمتكما واحدة وامركما جميع جىتني تسالني نصيبك من ابن اخيك واتاني هذا يسالني نصيب امراته من ابيها فقلت ان شىتما دفعتها اليكما بذلك فتلتمسان مني قضاء غير ذلك فوالله الذي باذنه تقوم السماء والارض لا اقضي فيها قضاء غير ذلك حتى تقوم الساعة فان عجزتما فادفعاها الي فانا اكفيكماها


Narrated Malik bin Aus:

'I went and entered upon `Umar, his doorman, Yarfa came saying `Uthman, `Abdur-Rahman, Az- Zubair and Sa`d are asking your permission (to see you). May I admit them? `Umar said, 'Yes.' So he admitted them Then he came again and said, 'May I admit `Ali and `Abbas?' He said, 'Yes.' `Abbas said, 'O, chief of the believers! Judge between me and this man (Ali ). `Umar said, 'I beseech you by Allah by Whose permission both the heaven and the earth exist, do you know that Allah's Messenger (ﷺ) said, 'Our (the Apostles') property will not be inherited, and whatever we leave (after our death) is to be spent in charity?' And by that Allah's Messenger (ﷺ) meant himself.' The group said, '(No doubt), he said so.' `Umar then faced `Ali and `Abbas and said, 'Do you both know that Allah's Messenger (ﷺ) said that?' They replied, '(No doubt), he said so.' `Umar said, 'So let me talk to you about this matter. Allah favored His Apostle with something of this Fai' (i.e. booty won by the Muslims at war without fighting) which He did not give to anybody else; Allah said:-- 'And what Allah gave to His Apostle ( Fai' Booty) .........to do all things....(59.6) And so that property was only for Allah's Messenger (ﷺ) . Yet, by Allah, he neither gathered that property for himself nor withheld it from you, but he gave its income to you, and distributed it among you till there remained the present property out of which the Prophet (ﷺ) used to spend the yearly maintenance for his family, and whatever used to remain, he used to spend it where Allah's property is spent (i.e. in charity etc.). Allah's Messenger (ﷺ) followed that throughout his life. Now I beseech you by Allah, do you know all that?' They said, 'Yes.' `Umar then said to `Ali and `Abbas, 'I beseech you by Allah, do you know that?' Both of them said, 'Yes.' `Umar added, 'And when the Prophet (ﷺ) died, Abu Bakr said, ' I am the successor of Allah's Messenger (ﷺ), and took charge of that property and managed it in the same way as Allah's Messenger (ﷺ) did. Then I took charge of this property for two years during which I managed it as Allah's Messenger (ﷺ) and Abu Bakr did. Then you both (`Ali and `Abbas) came to talk to me, bearing the same claim and presenting the same case. (O `Abbas!) You came to me asking for your share from the property of your nephew, and this man (Ali) came to me, asking for the share of h is wife from the property of her father. I said, 'If you both wish, I will give that to you on that condition (i.e. that you would follow the way of the Prophet (ﷺ) and Abu Bakr and as I (`Umar) have done in man aging it).' Now both of you seek of me a verdict other than that? Lo! By Allah, by Whose permission both the heaven and the earth exist, I will not give any verdict other than that till the Hour is established. If you are unable to manage it, then return it to me, and I will be sufficient to manage it on your behalf.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭২৯

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৩. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণীঃ আমরা যা কিছু (সম্পদ) ছেড়ে যাই, কেউ তার ওয়ারিশ হবে না, সবই সদাকাহ।

৬৭২৯. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার রেখে যাওয়া সম্পত্তির দ্বীনার বণ্টিত হবে না। আমার রেখে যাওয়া সম্পত্তি সবই সাদাকা- আমার স্ত্রীদের এবং আমার কর্মচারীদের খরচ বাদ দিয়ে। [২৭৭৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭৩)

بَاب قَوْلِ النَّبِيِّ ﷺ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ

إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَقْتَسِمُ وَرَثَتِي دِينَارًا مَا تَرَكْتُ بَعْدَ نَفَقَةِ نِسَائِي وَمَئُونَةِ عَامِلِي فَهُوَ صَدَقَةٌ

اسماعيل قال حدثني مالك عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا يقتسم ورثتي دينارا ما تركت بعد نفقة نساىي ومىونة عاملي فهو صدقة


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Not even a single Dinar of my property should be distributed (after my deaths to my inheritors, but whatever I leave excluding the provision for my wives and my servants, should be spent in charity."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭৩০

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৩. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণীঃ আমরা যা কিছু (সম্পদ) ছেড়ে যাই, কেউ তার ওয়ারিশ হবে না, সবই সদাকাহ।

৬৭৩০. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীগণ আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর কাছে নিজেদের প্রাপ্য উত্তরাধিকার চাওয়ার জন্য ’উসমান (রাঃ)-কে পাঠানোর ইচ্ছা করলেন। তখন ’আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেননি যে, আমরা কাউকে ওয়ারিশ বানাই না, আমরা যা রেখে যাই সবই সাদাকাহ্। [৪০৩৪; মুসলিম ৩২/১৬, হাঃ ১৭৫৮, আহমাদ ২৫১৭৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭৪)

بَاب قَوْلِ النَّبِيِّ ﷺ لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ

عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَرَدْنَ أَنْ يَبْعَثْنَ عُثْمَانَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ يَسْأَلْنَهُ مِيرَاثَهُنَّ فَقَالَتْ عَائِشَةُ أَلَيْسَ قَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ

عبد الله بن مسلمة عن مالك عن ابن شهاب عن عروة عن عاىشة ان ازواج النبي صلى الله عليه وسلم حين توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم اردن ان يبعثن عثمان الى ابي بكر يسالنه ميراثهن فقالت عاىشة اليس قد قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا نورث ما تركنا صدقة


Narrated `Urwa:

`Aisha said, "When Allah's Messenger (ﷺ) died, his wives intended to send `Uthman to Abu Bakr asking him for their share of the inheritance." Then `Aisha said to them, "Didn't Allah's Messenger (ﷺ) say, 'Our (Apostles') property is not to be inherited, and whatever we leave is to be spent in charity?'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭৩১

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৪. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণীঃ যে ব্যক্তি মাল রেখে যায় তা তার পরিবার-পরিজনের হবে।

৬৭৩১. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি মু’মিনদের নিকট তাদের প্রাণের চেয়েও অধিক প্রিয়। যে ব্যক্তি ঋণের বোঝা নিয়ে মারা যায় আর ঋণ পরিশোধ করার মত সম্পদ রেখে না যায়, তাহলে তা পরিশোধ করার দায়িত্ব আমার। আর যে ব্যক্তি সম্পদ রেখে যায়, তা তার উত্তরাধিকারীদের জন্য।[1] [২২৯৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭৫)

بَاب قَوْلِ النَّبِيِّ ﷺ مَنْ تَرَكَ مَالاً فَلأَهْلِهِ

عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَنَا أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ فَمَنْ مَاتَ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ وَلَمْ يَتْرُكْ وَفَاءً فَعَلَيْنَا قَضَاؤُهُ وَمَنْ تَرَكَ مَالاً فَلِوَرَثَتِهِ

عبدان اخبرنا عبد الله اخبرنا يونس عن ابن شهاب حدثني ابو سلمة عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال انا اولى بالمومنين من انفسهم فمن مات وعليه دين ولم يترك وفاء فعلينا قضاوه ومن ترك مالا فلورثته


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "I am more closer to the believers than their own selves, so whoever (of them) dies while being in debt and leaves nothing for its repayment, then we are to pay his debts on his behalf and whoever (among the believers) dies leaving some property, then that property is for his heirs."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭৩২

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৫. পিতা-মাতা হতে সন্তানের উত্তরাধিকার।

وَقَالَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ إِذَا تَرَكَ رَجُلٌ أَوْ امْرَأَةٌ بِنْتًا فَلَهَا النِّصْفُ وَإِنْ كَانَتَا اثْنَتَيْنِ أَوْ أَكْثَرَ فَلَهُنَّ الثُّلُثَانِ وَإِنْ كَانَ مَعَهُنَّ ذَكَرٌ بُدِئَ بِمَنْ شَرِكَهُمْ فَيُؤْتَى فَرِيضَتَهُ فَمَا بَقِيَ (فَلِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ)

যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) বলেন, কোন পুরুষ বা নারী কন্যা রেখে গেলে সে অর্ধাংশ পাবে। যদি তারা সংখ্যায় দুই বা তার অধিক হয় তারা পাবে দুই-তৃতীয়াংশ। আর তাদের সাথে যদি পুরুষ অংশীদার থাকে তাহলে প্রথমে যাদের অংশ সুনির্দিষ্ট আছে তাদের থেকে শুরু করতে হবে; আর যা অবশিষ্ট থাকবে তা এক পুরুষ দু’ নারীর সমান পাবে ভিত্তিতে বণ্টন করতে হবে।


৬৭৩২. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সুনির্দিষ্ট অংশের হকদারদের মীরাস পৌঁছে দাও। অতঃপর যা বাকী থাকবে তা (মৃতের) নিকটতম পুরুষের জন্য। [৬৭৩৫, ৬৭৩৭, ৬৭৪৬; মুসলিম ২৩/১, হাঃ ১৬১৫, আহমাদ ২৮৬২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭৬)

بَاب مِيرَاثِ الْوَلَدِ مِنْ أَبِيهِ وَأُمِّهِ

مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَلْحِقُوا الْفَرَائِضَ بِأَهْلِهَا فَمَا بَقِيَ فَهُوَ لِأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ

موسى بن اسماعيل حدثنا وهيب حدثنا ابن طاوس عن ابيه عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال الحقوا الفراىض باهلها فما بقي فهو لاولى رجل ذكر


Narrated Ibn `Abbas:

The Prophet (ﷺ) said, "Give the Fara'id (the shares of the inheritance that are prescribed in the Qur'an) to those who are entitled to receive it. Then whatever remains, should be given to the closest male relative of the deceased ."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৬. কন্যাদের মীরাস।

৬৭৩৩. সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি মক্কা্য় এমন অসুস্থ হয়ে পড়লাম যে মরণের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার সেবা শুশ্রূষা করার জন্য আমার কাছে আসলেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার অনেক ধন-সম্পদ আছে। আর আমার এক মেয়ে ব্যতীত আর কোন উত্তরাধিকারী নেই। আমি কি আমার মালের দু’তৃতীয়াংশ দান করে দেব? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তাহলে কি অর্ধেক দান করব? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, এক-তৃতীয়াংশ কি দান করব? তিনি বললেনঃ এক-তৃতীয়াংশ তো অনেক। তুমি তোমার সন্তানকে সচ্ছল অবস্থায় রেখে যাবে সেটাই উত্তম তাকে এমন অভাবগ্রস্ত রেখে যাওয়ার চেয়ে যে অবস্থায় সে মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষে করবে। তুমি (পরিবার-পরিজনের জন্য) যা খরচ করবে তার বিনিময় তোমাকে দেয়া হবে।

এমন কি যে লোকমাটি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দাও তারও বিনিময় দেয়া হবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি আমার হিজরত (এর পুণ্য) থেকে পেছনে পড়ে যাব? তিনি বললেনঃ তুমি কক্ষনো আমার পেছনে পড়ে থাকবে না, তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যে ’আমলই করবে তাতে তোমার মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি হবে। সম্ভবত তুমি আমার পরেও জীবিত থাকবে। এমন কি তোমার দ্বারা অনেক গোত্র উপকৃত হবে এবং অন্যেরা হবে ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু সা’দ ইবনু খাওলা (রাঃ)-এর জন্য আফসোস! মক্কা্তেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। সে কারণে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। সুফ্ইয়ান (রহ.) বলেন, সা’দ ইবনু খাওলা (রাঃ) বনূ আমির ইবনু লুআই সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭৭)

بَاب مِيرَاثِ الْبَنَاتِ

الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ قَالَ أَخْبَرَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ مَرِضْتُ بِمَكَّةَ مَرَضًا فَأَشْفَيْتُ مِنْهُ عَلَى الْمَوْتِ فَأَتَانِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُنِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ لِي مَالاً كَثِيرًا وَلَيْسَ يَرِثُنِي إِلاَّ ابْنَتِي أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَيْ مَالِي قَالَ لاَ قَالَ قُلْتُ فَالشَّطْرُ قَالَ لاَ قُلْتُ الثُّلُثُ قَالَ الثُّلُثُ كَبِيرٌ إِنَّكَ إِنْ تَرَكْتَ وَلَدَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَتْرُكَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ وَإِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً إِلاَّ أُجِرْتَ عَلَيْهَا حَتَّى اللُّقْمَةَ تَرْفَعُهَا إِلَى فِي امْرَأَتِكَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ آأُخَلَّفُ عَنْ هِجْرَتِي فَقَالَ لَنْ تُخَلَّفَ بَعْدِي فَتَعْمَلَ عَمَلاً تُرِيدُ بِهِ وَجْهَ اللهِ إِلاَّ ازْدَدْتَ بِهِ رِفْعَةً وَدَرَجَةً وَلَعَلَّ أَنْ تُخَلَّفَ بَعْدِي حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ أَقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ لَكِنْ الْبَائِسُ سَعْدُ بْنُ خَوْلَةَ يَرْثِي لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ مَاتَ بِمَكَّةَ قَالَ سُفْيَانُ وَسَعْدُ بْنُ خَوْلَةَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ

الحميدي حدثنا سفيان حدثنا الزهري قال اخبرني عامر بن سعد بن ابي وقاص عن ابيه قال مرضت بمكة مرضا فاشفيت منه على الموت فاتاني النبي صلى الله عليه وسلم يعودني فقلت يا رسول الله ان لي مالا كثيرا وليس يرثني الا ابنتي افاتصدق بثلثي مالي قال لا قال قلت فالشطر قال لا قلت الثلث قال الثلث كبير انك ان تركت ولدك اغنياء خير من ان تتركهم عالة يتكففون الناس وانك لن تنفق نفقة الا اجرت عليها حتى اللقمة ترفعها الى في امراتك فقلت يا رسول الله ااخلف عن هجرتي فقال لن تخلف بعدي فتعمل عملا تريد به وجه الله الا ازددت به رفعة ودرجة ولعل ان تخلف بعدي حتى ينتفع بك اقوام ويضر بك اخرون لكن الباىس سعد بن خولة يرثي له رسول الله صلى الله عليه وسلم ان مات بمكة قال سفيان وسعد بن خولة رجل من بني عامر بن لوي


Narrated Sa`d bin Abi Waqqas:

I was stricken by an ailment that led me to the verge of death. The Prophet (ﷺ) came to pay me a visit. I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I have much property and no heir except my single daughter. Shall I give two-thirds of my property in charity?" He said, "No." I said, "Half of it?" He said, "No." I said, "Onethird of it?" He said, "You may do so) though one-third is also to a much, for it is better for you to leave your off-spring wealthy than to leave them poor, asking others for help. And whatever you spend (for Allah's sake) you will be rewarded for it, even for a morsel of food which you may put in the mouth of your wife." I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Will I remain behind and fail to complete my emigration?" The Prophet (ﷺ) said, "If you are left behind after me, whatever good deeds you will do for Allah's sake, that will upgrade you and raise you high. May be you will have long life so that some people may benefit by you and others (the enemies) be harmed by you." But Allah's Messenger (ﷺ) felt sorry for Sa`d bin Khaula as he died in Mecca. (Sufyan, a sub-narrator said that Sa`d bin Khaula was a man from the tribe of Bani 'Amir bin Lu'ai.)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৬. কন্যাদের মীরাস।

৬৭৩৪. আস্ওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) আমাদের নিকট শিক্ষক অথবা আমীর হিসেবে ইয়ামানে আসলে আমরা তাঁর কাছে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, যে এক কন্যা ও এক বোন রেখে মারা গেছে। তিনি কন্যাটিকে অর্ধেক ও বোনটিকে অর্ধেক দিলেন। [৬৭৪১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭৮)

بَاب مِيرَاثِ الْبَنَاتِ

مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ شَيْبَانُ عَنْ أَشْعَثَ عَنْ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ أَتَانَا مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ بِالْيَمَنِ مُعَلِّمًا وَأَمِيرًا فَسَأَلْنَاهُ عَنْ رَجُلٍ تُوُفِّيَ وَتَرَكَ ابْنَتَهُ وَأُخْتَهُ فَأَعْطَى الِابْنَةَ النِّصْفَ وَالْأُخْتَ النِّصْفَ

محمود بن غيلان حدثنا ابو النضر حدثنا ابو معاوية شيبان عن اشعث عن الاسود بن يزيد قال اتانا معاذ بن جبل باليمن معلما واميرا فسالناه عن رجل توفي وترك ابنته واخته فاعطى الابنة النصف والاخت النصف


Narrated Al-Aswad bin Yazid:

Mu`adh bin Jabal came to us in Yemen as a tutor and a ruler, and we (the people of Yemen) asked him about (the distribution of the property of ) a man who had died leaving a daughter and a sister. Mu`adh gave the daughter one-half of the property and gave the sister the other half.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭৩৫

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৭. পুত্রের অবর্তমানে পৌত্রের উত্তরাধিকার।

وَقَالَ زَيْدٌ وَلَدُ الأَبْنَاءِ بِمَنْزِلَةِ الْوَلَدِ إِذَا لَمْ يَكُنْ دُونَهُمْ وَلَدٌ ذَكَرُهُمْ كَذَكَرِهِمْ وَأُنْثَاهُمْ كَأُنْثَاهُمْ يَرِثُونَ كَمَا يَرِثُونَ وَيَحْجُبُونَ كَمَا يَحْجُبُوْنَ وَلاَ يَرِثُ وَلَدُ الِابْنِ مَعَ الِابْنِ

যায়দ (রাঃ) বলেন, পুত্রের সন্তানাদি পুত্রের স্থলবর্তী, যখন তাকে ব্যতীত আর কোন সন্তান না থাকে। পৌত্ররা পুত্রদের মত, আর পৌত্রীরা কন্যাদের মত। পুত্রদের মত পৌত্ররাও ওয়ারিশ হয়, আবার পুত্ররা যেমন অন্যদেরকে বঞ্চিত করে, পৌত্ররাও তেমনি অন্যদেরকে বঞ্চিত করে। আর পৌত্ররা পুত্রদের বর্তমানে ওয়ারিশ হয় না।


৬৭৩৫. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সুনির্দিষ্ট অংশের হকদারদের ওয়ারিশ পৌঁছে দাও। অতঃপর যা বাকী থাকবে তা (মৃতের) নিকটতম পুরুষের জন্য। [৬৭৩২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৭৯)

بَاب مِيرَاثِ ابْنِ الِابْنِ إِذَا لَمْ يَكُنْ ابْنٌ

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَلْحِقُوا الْفَرَائِضَ بِأَهْلِهَا فَمَا بَقِيَ فَهُوَ لِأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ

مسلم بن ابراهيم حدثنا وهيب حدثنا ابن طاوس عن ابيه عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الحقوا الفراىض باهلها فما بقي فهو لاولى رجل ذكر


Narrated Ibn `Abbas:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Give the Fara'id (shares prescribed in the Qur'an) to those who are entitled to receive it; and whatever remains, should be given to the closest male relative of the deceased.'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৮. কন্যাদের মীরাসের বর্ণনা।

৬৭৩৬. হুযায়ল ইবনু শুরাহবীল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আবূ মূসা (রাঃ)-কে কন্যা, পুত্রের কন্যা এবং ভগ্নির (মীরাস) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল। তখন তিনি বললেন, কন্যার জন্য অর্ধেক আর ভগ্নির জন্য অর্ধেক। (তিনি বললেন) তোমরা ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)-এর কাছে যাও, তিনিও হয়ত আমার মতই বলবেন। অতঃপর ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হল এবং আবূ মূসা (রাঃ) যা বলেছেন সে সম্পর্কে তাঁকে জানানো হল। তিনি বললেন, (ও রকম সিদ্ধান্ত দিলে) আমি তো পথভ্রষ্ট হয়ে যাব, হেদায়েতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত থাকব না। আমি এ ব্যাপারে ঐ ফায়সালাই দিচ্ছি, যে ফায়সালা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদান করেছিলেন। কন্যা পাবে অর্ধাংশ আর পৌত্রী পাবে ষষ্ঠাংশ। এভাবে দু’তৃতীয়াংশ পূর্ণ হবে। বাকী এক তৃতীয়াংশ পাবে বোন। এরপর আমরা আবূ মূসা (রাঃ)-এর কাছে আসলাম এবং ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) যা বললেন, তা তাকে জানালাম। তখন তিনি বললেনঃ এ অভিজ্ঞ মনীষী যতদিন তোমাদের মাঝে থাকবে ততদিন আমার কাছে কিছু জিজ্ঞেস করো না। [৬৭৪২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৮০)

بَاب مِيرَاثِ ابْنَةِ الِابْنِ مَعَ بِنْتٍ

آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُو قَيْسٍ سَمِعْتُ هُزَيْلَ بْنَ شُرَحْبِيلَ قَالَ سُئِلَ أَبُو مُوسَى عَنْ بِنْتٍ وَابْنَةِ ابْنٍ وَأُخْتٍ فَقَالَ لِلْبِنْتِ النِّصْفُ وَلِلْأُخْتِ النِّصْفُ وَأْتِ ابْنَ مَسْعُودٍ فَسَيُتَابِعُنِي فَسُئِلَ ابْنُ مَسْعُودٍ وَأُخْبِرَ بِقَوْلِ أَبِي مُوسَى فَقَالَ (لَقَدْ ضَلَلْتُ إِذًا وَمَآ أَنَا مِنْ الْمُهْتَدِيْنَ) أَقْضِي فِيهَا بِمَا قَضَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِلْابْنَةِ النِّصْفُ وَلِابْنَةِ ابْنٍ السُّدُسُ تَكْمِلَةَ الثُّلُثَيْنِ وَمَا بَقِيَ فَلِلْأُخْتِ فَأَتَيْنَا أَبَا مُوسَى فَأَخْبَرْنَاهُ بِقَوْلِ ابْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ لاَ تَسْأَلُونِي مَا دَامَ هَذَا الْحَبْرُ فِيكُمْ

ادم حدثنا شعبة حدثنا ابو قيس سمعت هزيل بن شرحبيل قال سىل ابو موسى عن بنت وابنة ابن واخت فقال للبنت النصف وللاخت النصف وات ابن مسعود فسيتابعني فسىل ابن مسعود واخبر بقول ابي موسى فقال (لقد ضللت اذا وما انا من المهتدين) اقضي فيها بما قضى النبي صلى الله عليه وسلم للابنة النصف ولابنة ابن السدس تكملة الثلثين وما بقي فللاخت فاتينا ابا موسى فاخبرناه بقول ابن مسعود فقال لا تسالوني ما دام هذا الحبر فيكم


Narrated Huzail bin Shirahbil:

Abu Musa was asked regarding (the inheritance of) a daughter, a son's daughter, and a sister. He said, "The daughter will take one-half and the sister will take one-half. If you go to Ibn Mas`ud, he will tell you the same." Ibn Mas`ud was asked and was told of Abu Musa's verdict. Ibn Mas`ud then said, "If I give the same verdict, I would stray and would not be of the rightly-guided. The verdict I will give in this case, will be the same as the Prophet (ﷺ) did, i.e. one-half is for daughter, and one-sixth for the son's daughter, i.e. both shares make two-thirds of the total property; and the rest is for the sister." Afterwards we cams to Abu Musa and informed him of Ibn Mas`ud's verdict, whereupon he said, "So, do not ask me for verdicts, as long as this learned man is among you."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৯. পিতা ও ভ্রাতৃবৃন্দের বর্তমানে দাদার উত্তরাধিকার।

وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَابْنُ عَبَّاسٍ وَابْنُ الزُّبَيْرِ الْجَدُّ أَبٌ وَقَرَأَ ابْنُ عَبَّاسٍ (يَا بَنِي آدَمَ وَاتَّبَعْتُ مِلَّةَ آبَائِي إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ) وَلَمْ يُذْكَرْ أَنَّ أَحَدًا خَالَفَ أَبَا بَكْرٍ فِي زَمَانِهِ وَأَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَوَافِرُونَ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَرِثُنِي ابْنُ ابْنِي دُونَ إِخْوَتِي وَلاَ أَرِثُ أَنَا ابْنَ ابْنِي وَيُذْكَرُ عَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَزَيْدٍ أَقَاوِيلُ مُخْتَلِفَةٌ

আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ), ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) এবং ইবনু যুবায়র (রাঃ) বলেন যে, দাদা পিতার মতই। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) এরূপ পড়েছেন (يَا بَنِي آدَمَ وَاتَّبَعْتُ مِلَّةَ آبَائِي إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ) কেউ উল্লেখ করেন নি যে, আবূ বকর (রাঃ) এর যুগে কেউ তার পড়ার বিরোধিতা করেছে। অথচ সে সময়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনেক সাহাবী বর্তমান ছিল। আর ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমার পৌত্র আমার উত্তরাধিকারী হবে, আমার ভাই নয়। তবে আমি আমার পৌত্রের উত্তরাধিকারী হব না। তবে উমর, ’আলী, ইবনু মাস’ঊদ এবং যায়দ (রাঃ) থেকে এ সম্পর্কে বিভিন্ন মতের উল্লেখ আছে।


৬৭৩৭. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ সুনির্দিষ্ট অংশের হকদারদের মীরাস পৌঁছে দাও। অতঃপর যা বাকী থাকবে তা (মৃতের) নিকটতম পুরুষের জন্য। [৬৭৩২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৮১)

بَاب مِيرَاثِ الْجَدِّ مَعَ الأَبِ وَالإِخْوَةِ

سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَلْحِقُوا الْفَرَائِضَ بِأَهْلِهَا فَمَا بَقِيَ فَلِأَوْلَى رَجُلٍ ذَكَرٍ

سليمان بن حرب حدثنا وهيب عن ابن طاوس عن ابيه عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال الحقوا الفراىض باهلها فما بقي فلاولى رجل ذكر


Narrated Ibn `Abbas:

The Prophet (ﷺ) said, "Give the Fara'id, (the shares prescribed in the Qur'an) to those who are entitled to receive it, and then whatever remains, should be given to the closest male relative of the deceased."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭৩৮

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/৯. পিতা ও ভ্রাতৃবৃন্দের বর্তমানে দাদার উত্তরাধিকার।

৬৭৩৮. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’আমি এ উম্মাতের কাউকে অন্তরঙ্গ হিসেবে গ্রহণ করলে তাকে [আবূ বকর (রাঃ)]-কে গ্রহণ করতাম। কিন্তু ইসলামী বন্ধুত্বই সবচেয়ে উত্তম।’’ أَفْضَلُ শব্দ বলেছেন না কি خَيْرٌ এ ব্যাপারে রাবীর সন্দেহ আছে। তিনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তাঁকে (ইবরাহীম আ. কে) পিতৃ মর্যাদা দিয়েছেন অথবা তাঁকে পিতার আসনে বসিয়েছেন। [৪৬৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৮২)

بَاب مِيرَاثِ الْجَدِّ مَعَ الأَبِ وَالإِخْوَةِ

أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَمَّا الَّذِي قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ خَلِيلاً لاَتَّخَذْتُهُ وَلَكِنْ خُلَّةُ الإِسْلاَمِ أَفْضَلُ أَوْ قَالَ خَيْرٌ فَإِنَّهُ أَنْزَلَهُ أَبًا أَوْ قَالَ قَضَاهُ أَبًا

ابو معمر حدثنا عبد الوارث حدثنا ايوب عن عكرمة عن ابن عباس قال اما الذي قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لو كنت متخذا من هذه الامة خليلا لاتخذته ولكن خلة الاسلام افضل او قال خير فانه انزله ابا او قال قضاه ابا


Narrated Ibn `Abbas:

The person about whom Allah's Messenger (ﷺ) said, "If I were to take a Khalil from this nation (my followers), then I would have taken him (i.e., Abu Bakr), but the Islamic Brotherhood is better (or said: good)," regarded a grandfather as the father himself (in inheritance).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭৩৯

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/১০. সন্তান ও অন্যান্য ওয়ারিশগণের সাথে স্বামীর উত্তরাধিকার।

৬৭৩৯. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (প্রাথমিক অবস্থায় মৃতের ছেড়ে যাওয়া) মাল ছিল সন্তানাদির জন্য আর ওসিয়াত ছিল পিতামাতার জন্য। অতঃপর আল্লাহ্ তাত্থেকে কিছু রহিত করে দিয়ে অধিকতর পছন্দনীয়টি প্রবর্তন করেছেন। পুরুষের জন্য দু’জন নারীর অংশের সমান নির্ধারণ করেছেন। আর পিতা-মাতার প্রত্যেকের জন্য এক-ষষ্ঠাংশ নির্ধারণ করেছেন। স্ত্রীর জন্য নির্ধারণ করেছেন (সন্তানের বর্তমানে) এক-অষ্টমাংশ এবং (সন্তানের অবর্তমানে) এক-চতুর্থাংশ। আর স্বামীর জন্য (সন্তানের অবর্তমানে-) অর্ধেক আর (সন্তানের বর্তমানে) চার ভাগের একভাগ। [২৭৪৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৮৩)

بَاب مِيرَاثِ الزَّوْجِ مَعَ الْوَلَدِ وَغَيْرِهِ

مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ وَرْقَاءَ عَنْ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ الْمَالُ لِلْوَلَدِ وَكَانَتْ الْوَصِيَّةُ لِلْوَالِدَيْنِ فَنَسَخَ اللهُ مِنْ ذَلِكَ مَا أَحَبَّ فَجَعَلَ (لِلذَّكَرِ مِثْلَ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ) وَجَعَلَ لِلْأَبَوَيْنِ (لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا السُّدُسُ) وَجَعَلَ لِلْمَرْأَةِ الثُّمُنَ وَالرُّبُعَ وَلِلزَّوْجِ الشَّطْرَ وَالرُّبُعَ

محمد بن يوسف عن ورقاء عن ابن ابي نجيح عن عطاء عن ابن عباس قال كان المال للولد وكانت الوصية للوالدين فنسخ الله من ذلك ما احب فجعل (للذكر مثل حظ الانثيين) وجعل للابوين (لكل واحد منهما السدس) وجعل للمراة الثمن والربع وللزوج الشطر والربع


Narrated Ibn `Abbas:

(During the early days of Islam), the inheritance used to be given to one's offspring and legacy used to be bequeathed to the parents, then Allah cancelled what He wished from that order and decreed that the male should be given the equivalent of the portion of two females, and for the parents one-sixth for each of them, and for one's wife one-eighth (if the deceased has children) and one-fourth (if he has no children), for one's husband one-half (if the deceased has no children) and one-fourth (if she has children).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭৪০

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/১১. সন্তান ও অন্যান্য ও ওয়ারিশদের সাথে স্ত্রী ও স্বামীর মীরাস

৬৭৪০. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনী লিহ্য়ান গোত্রের এক মহিলার গর্ভটি পতিত হয়েছিল মৃত অবস্থায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি গোলাম বা দাসী প্রদানের নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি যে মহিলাটিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সে মারা গেল। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফায়সালা দিলেন, তার রেখে যাওয়া সম্পদ তার পুত্রগণ ও স্বামীর জন্য। আর দিয়াত পাবে তার নিকটতম আত্মীয়গণ [৫৭৫৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৮৪)

بَاب مِيرَاثِ الْمَرْأَةِ وَالزَّوْجِ مَعَ الْوَلَدِ وَغَيْرِهِ

قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ ابْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ قَضَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي جَنِينِ امْرَأَةٍ مِنْ بَنِي لَحْيَانَ سَقَطَ مَيِّتًا بِغُرَّةٍ عَبْدٍ أَوْ أَمَةٍ ثُمَّ إِنَّ الْمَرْأَةَ الَّتِي قَضَى لَهَا بِالْغُرَّةِ تُوُفِّيَتْ فَقَضَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِأَنَّ مِيرَاثَهَا لِبَنِيهَا وَزَوْجِهَا وَأَنَّ الْعَقْلَ عَلَى عَصَبَتِهَا

قتيبة حدثنا الليث عن ابن شهاب عن ابن المسيب عن ابي هريرة انه قال قضى رسول الله صلى الله عليه وسلم في جنين امراة من بني لحيان سقط ميتا بغرة عبد او امة ثم ان المراة التي قضى لها بالغرة توفيت فقضى رسول الله صلى الله عليه وسلم بان ميراثها لبنيها وزوجها وان العقل على عصبتها


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) gave the judgment that a male or female slave should be given in Qisas for an abortion case of a woman from the tribe of Bani Lihyan (as blood money for the fetus) but the lady on whom the penalty had been imposed died, so the Prophets ordered that her property be inherited by her offspring and her husband and that the penalty be paid by her Asaba.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭৪১

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/১২. কন্যাদের বর্তমানে ভগ্নিরা ওয়ারিশ হবে আসাবা হিসেবে।

৬৭৪১. আল আসওয়াদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে আমাদের মাঝে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন যে, কন্যার জন্য অর্ধেক আর ভগ্নির জন্য অর্ধেক [1]।

অতঃপর (রাবী) সুলায়মান বলেন, তিনি (আল আসওয়াদ) আমাদের এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। তবে ’রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে’ কথাটি উল্লেখ করেননি। [৬৭৩৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৮৫)

بَاب مِيرَاثُ الأَخَوَاتِ مَعَ الْبَنَاتِ عَصَبَةٌ

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، قَالَ قَضَى فِينَا مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النِّصْفُ لِلاِبْنَةِ وَالنِّصْفُ لِلأُخْتِ‏.‏ ثُمَّ قَالَ سُلَيْمَانُ قَضَى فِينَا‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏

حدثنا بشر بن خالد، حدثنا محمد بن جعفر، عن شعبة، عن سليمان، عن ابراهيم، عن الاسود، قال قضى فينا معاذ بن جبل على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم النصف للابنة والنصف للاخت‏.‏ ثم قال سليمان قضى فينا‏.‏ ولم يذكر على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم‏.‏


Narrated Al-Aswad:

Mu`adh bin Jabal gave this verdict for us in the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ). One-half of the inheritance is to be given to the daughter and the other half to the sister. Sulaiman said: Mu`adh gave a verdict for us, but he did not mention that it was so in the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
৬৭৪২

পরিচ্ছেদঃ ৮৫/১২. কন্যাদের বর্তমানে ভগ্নিরা ওয়ারিশ হবে আসাবা হিসেবে।

৬৭৪২. হুযায়ল (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন ’আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) বলেছেন, আমি এতে সেই ফায়সালাই দেব যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়েছিলেন। অথবা তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কন্যার জন্য অর্ধেক আর পৌত্রীর জন্য ষষ্ঠাংশ। অতঃপর যা বাকী থাকবে তা বোনের জন্য। [৬৭৩৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৮৬)

بَاب مِيرَاثُ الأَخَوَاتِ مَعَ الْبَنَاتِ عَصَبَةٌ

عَمْرُو بْنُ عَبَّاسٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي قَيْسٍ عَنْ هُزَيْلٍ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللهِ لأَ×قْضِيَنَّ فِيهَا بِقَضَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَوْ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم للْابْنَةِ النِّصْفُ وَلِابْنَةِ الِابْنِ السُّدُسُ وَمَا بَقِيَ فَلِلْأُخْتِ

عمرو بن عباس حدثنا عبد الرحمن حدثنا سفيان عن ابي قيس عن هزيل قال قال عبد الله لا×قضين فيها بقضاء النبي صلى الله عليه وسلم او قال قال النبي صلى الله عليه وسلم للابنة النصف ولابنة الابن السدس وما بقي فللاخت


Narrated Huzail:

`Abdullah said, "The judgment I will give in this matter will be like the judgment of the Prophet, i.e. one-half is for the daughter and one-sixth for the son's daughter and the rest of the inheritance for the sister."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুযায়ল (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৫/ ফারায়িয (كتاب الفرائض) 85/ Laws of Inheritance (Al-Faraa'id)  
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »