পরিচ্ছেদঃ ১৫. কিবলা নির্ধারণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা এবং এ ব্যাপারে অনুমান করা বৈধ
১০৩৪(১). আবু ইউসুফ আল-খাল্লাল (রহঃ) ... ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝখানে কিবলা অবস্থিত।
بَابُ الِاجْتِهَادِ فِي الْقِبْلَةِ وَجَوَازِ التَّحَرِّي فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا أَبُو يُوسُفَ الْخَلَّالُ يَعْقُوبُ بْنُ يُوسُفَ بِالْبَصْرَةِ ، نَا شُعَيْبُ بْنُ أَيُّوبَ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ - يَعْنِي : ابْنَ عُمَرَ - عَنْ نَافِعٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ؛ أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : " مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ قِبْلَةٌ
পরিচ্ছেদঃ ১৫. কিবলা নির্ধারণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা এবং এ ব্যাপারে অনুমান করা বৈধ
১০৩৫(২)। আলী ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুবাশশির (রহঃ) ... ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝখানে হলো কিবলা।
بَابُ الِاجْتِهَادِ فِي الْقِبْلَةِ وَجَوَازِ التَّحَرِّي فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُبَشِّرٍ ، ثَنَا جَابِرُ بْنُ الْكُرْدِيِّ ، نَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْمُجَبِّرِ ، عَنْ نَافِعٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : " مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ قِبْلَةٌ
পরিচ্ছেদঃ ১৫. কিবলা নির্ধারণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা এবং এ ব্যাপারে অনুমান করা বৈধ
১০৩৬(৩). ইসমাঈল ইবনে আলী আবু মুহাম্মাদ (রহঃ) ... জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সামরিক অভিযানে একদল মুজাহিদ পাঠালেন। আমিও তাদের সাথে ছিলাম। আমরা ঘোর অন্ধকারে পতিত হলাম এবং কিবলা ঠিক করা যাচ্ছিল না। অতএব আমাদের একদল বলল, আমরা কিবলা চিনতে পেরেছি। তা এখানে, দক্ষিণ দিকে। অতএব তারা সেদিকে ফিরে নামায পড়লো এবং একটি রেখা টেনে রাখলো। আমাদের কতক বলল, কিবলা এখানে, উত্তর দিকে। তারাও একটি রেখা টেনে রাখলো। সকালবেলা সূর্য উদিত হলে রেখাগুলো কিবলার বিপরীত দিকে দেখা গেল। আমরা সফর থেকে ফিরে এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি নীরব থাকলেন এবং আল্লাহ তায়ালা ওহী নাযিল করলেনঃ “পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই এবং যেদিকেই তোমরা মুখ ফিরাও না কেন, সেদিকই আল্লাহর দিক” (সূরা আল-বাকারা : ১১৫)। অর্থাৎ যেখানেই তোমরা থাকো।
রাবী বলেন, আবদুল মালেক আল-আরযামী-সাঈদ ইবনে জুবায়ের-ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উক্ত আয়াত বিশেষভাবে নফল নামাযের ব্যাপারেই নাযিল হয়েছে—আরোহিত অবস্থায় তোমার উট তোমাকে নিয়ে যেদিকেই থাকে।
بَابُ الِاجْتِهَادِ فِي الْقِبْلَةِ وَجَوَازِ التَّحَرِّي فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَلِيٍّ أَبُو مُحَمَّدٍ ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ شَبِيبٍ ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَسَنِ الْعَنْبَرِيُّ ، قَالَ : وَجَدْتُ فِي كِتَابِ أَبِي : ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ الْعَرْزَمِيُّ ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ، قَالَ : " بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - سَرِيَّةً كُنْتُ فِيهَا ، فَأَصَابَتْنَا ظُلْمَةٌ فَلَمْ نَعْرِفِ الْقِبْلَةَ ، فَقَالَتْ طَائِفَةٌ مِنَّا : قَدْ عَرَفْنَا الْقِبْلَةَ ، هِيَ هَا هُنَا قِبَلَ الشَّمَالِ . فَصَلَّوْا وَخَطُّوا خَطًّا ، وَقَالَ بَعْضُنَا : الْقِبْلَةُ هَا هُنَا قِبَلَ الْجَنُوبِ . وَخَطُّوا خَطًّا ، فَلَمَّا أَصْبَحُوا وَطَلَعَتِ الشَّمْسُ ، أَصْبَحَتْ تِلْكَ الْخُطُوطُ لِغَيْرِ الْقِبْلَةِ ، فَلَمَّا قَفَلْنَا مِنْ سَفَرِنَا ، سَأَلْنَا النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَنْ ذَلِكَ ؟ فَسَكَتَ وَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ : ( وَلِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ ) [ الْبَقَرَةِ :115 ] أَيْ حَيْثُ كُنْتُمْ
قَالَ : وَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ الْعَرْزَمِيُّ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ؛ أَنَّهَا نَزَلَتْ فِي التَّطَوُّعِ خَاصَّةً ، حَيْثُ تَوَجَّهَ بِكَ بَعِيرُكَ
পরিচ্ছেদঃ ১৫. কিবলা নির্ধারণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা এবং এ ব্যাপারে অনুমান করা বৈধ
১০৩৭(৭). আবুল কাসেম আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) ... জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সফরে ছিলাম। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলো এবং আমরা চিন্তা-ভাবনা করলাম এবং কিবলা নির্ধারণের ব্যাপারে আমাদের মধ্যে মতানৈক্য হলো। আমাদের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তি স্বতন্ত্রভাবে নিজ অনুমান মোতাবেক নামায পড়লো এবং আমাদের প্রত্যেকে নিজের সামনে রেখা টেনে রাখলো, যাতে আমরা আমাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারি। অতঃপর আমরা এ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে আলোচনা করলাম। কিন্তু তিনি আমাদের পুনরায় নামায পড়ার নির্দেশ দেননি এবং তিনি বলেনঃ তোমাদের নামায যথেষ্ট হয়েছে।
মুহাম্মাদ ইবনে সালেম (রহঃ) এর সূত্রে রাবী অনুরূপ বলেছেন। অন্যরা মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াযীদ-মুহাম্মাদ ইবনে উবায়দুল্লাহ আল-আরযামী-আতা (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তারা উভয়ে হাদীসশাস্ত্রে দুর্বল।
بَابُ الِاجْتِهَادِ فِي الْقِبْلَةِ وَجَوَازِ التَّحَرِّي فِي ذَلِكَ
قُرِئَ عَلَى أَبِي الْقَاسِمِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ - وَأَنَا أَسْمَعُ - : حَدَّثَكُمْ دَاوُدُ بْنُ عَمْرٍو ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْوَاسِطِيُّ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَالِمٍ ، عَنْ عَطَاءٍ ، عَنْ جَابِرٍ ، قَالَ : كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي مَسِيرٍ أَوْ سَفَرٍ ، فَأَصَابَنَا غَيْمٌ فَتَحَيَّرْنَا فَاخْتَلَفْنَا فِي الْقِبْلَةِ ، فَصَلَّى كُلُّ رَجُلٍ مِنَّا عَلَى حِدَةٍ وَجَعَلَ أَحَدُنَا يَخُطُّ بَيْنَ يَدَيْهِ لِنَعْلَمَ أَمْكِنَتَنَا ، فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَلَمْ يَأْمُرْنَا بِالْإِعَادَةِ ، وَقَالَ " قَدْ أَجْزَأَتْ صَلَاتُكُمْ " . كَذَا قَالَ : " عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَالِمٍ " . وَقَالَ غَيْرُهُ : " عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَزِيدَ " عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ الْعَرْزَمِيِّ ، عَنْ عَطَاءٍ ؛ وَهُمَا ضَعِيفَانِ
পরিচ্ছেদঃ ১৫. কিবলা নির্ধারণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা এবং এ ব্যাপারে অনুমান করা বৈধ
১০৩৮(৫). ইয়াহইয়া ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে সায়েদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনে আমের ইবনে রাবীয়া (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সফরে এক অন্ধকার রাতে নামায পড়েছিলাম। আমরা কিবলার অবস্থান নির্ণয় করতে পারিনি। অতএব প্রত্যেকেই তার বিপরীত দিকে নামায পড়লো। রাবী বলেন, সকালবেলা আমরা বিষয়টি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে আলোচনা করলাম। তখন নাযিল হলো, “তোমরা যেদিকেই মুখ ফিরাও না কেন, সেদিকই আল্লাহর দিক” (সূরা বাকারাঃ ১১৫)।
بَابُ الِاجْتِهَادِ فِي الْقِبْلَةِ وَجَوَازِ التَّحَرِّي فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ صَاعِدٍ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْأَحْمَسِيُّ ، ثَنَا وَكِيعٌ ، ح : وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْحَسَّانِيُّ ، ثَنَا وَكِيعٌ ، ثَنَا أَشْعَثُ السَّمَّانُ ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : كُنَّا نُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي السَّفَرِ فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ ؛ فَلَمْ نَدْرِ كَيْفَ الْقِبْلَةُ ، فَصَلَّى كُلُّ رَجُلٍ مِنَّا عَلَى حِيَالِهِ ، قَالَ : فَلَمَّا أَصْبَحْنَا ذَكَرْنَا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَنَزَلَتْ : فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ
পরিচ্ছেদঃ ১৫. কিবলা নির্ধারণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা এবং এ ব্যাপারে অনুমান করা বৈধ
১০৩৯(৬). ইবনে সায়েদ (রহঃ) ... আশআছ ইবনে সাঈদ আবুর-রবী আস-সাম্মান (রহঃ) এই সূত্রে বর্ণনা করেন। রাবী বলেন, আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের সামনে পাথর রেখে সেদিকে ফিরে নামায পড়ে। ভাের হলে আমরা বুঝতে পারলাম, আমরা কিবলার বিপরীত দিকে ফিরে নামায পড়েছি। আমরা এই ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে আলোচনা করলাম ... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
بَابُ الِاجْتِهَادِ فِي الْقِبْلَةِ وَجَوَازِ التَّحَرِّي فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا ابْنُ صَاعِدٍ ، ثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى ، وَعَلِيُّ بْنُ إِشْكَابٍ ، ح : وَحَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، ثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى ، قَالَا : نَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ ، أَنَا أَشْعَثُ بْنُ سَعِيدٍ أَبُو الرَّبِيعِ السَّمَّانُ ...... بِهَذَا ، وَقَالَ : فَجَعَلَ كُلُّ رَجُلٍ مِنَّا بَيْنَ يَدَيْهِ أَحْجَارًا يُصَلِّي إِلَيْهَا ، فَلَمَّا أَصْبَحْنَا إِذَا نَحْنُ إِلَى غَيْرِ الْقِبْلَةِ ، فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ..... مِثْلَهُ
পরিচ্ছেদঃ ১৫. কিবলা নির্ধারণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা এবং এ ব্যাপারে অনুমান করা বৈধ
১০৪০(৭). আবু হামেদ (রহঃ) ... আশ’আছ ইবনে সাঈদ (রহঃ) থেকে এই সূত্রে ইয়াযীদ ইবনে হারূন (রহঃ) এর বর্ণনার অনুরূপ।
بَابُ الِاجْتِهَادِ فِي الْقِبْلَةِ وَجَوَازِ التَّحَرِّي فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا أَبُو حَامِدٍ ، ثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، ثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ ، ثَنَا أَشْعَثُ بْنُ سَعِيدٍ ..... بِهَذَا ، مِثْلَ قَوْلِ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ