১০৩৬

পরিচ্ছেদঃ ১৫. কিবলা নির্ধারণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা এবং এ ব্যাপারে অনুমান করা বৈধ

১০৩৬(৩). ইসমাঈল ইবনে আলী আবু মুহাম্মাদ (রহঃ) ... জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সামরিক অভিযানে একদল মুজাহিদ পাঠালেন। আমিও তাদের সাথে ছিলাম। আমরা ঘোর অন্ধকারে পতিত হলাম এবং কিবলা ঠিক করা যাচ্ছিল না। অতএব আমাদের একদল বলল, আমরা কিবলা চিনতে পেরেছি। তা এখানে, দক্ষিণ দিকে। অতএব তারা সেদিকে ফিরে নামায পড়লো এবং একটি রেখা টেনে রাখলো। আমাদের কতক বলল, কিবলা এখানে, উত্তর দিকে। তারাও একটি রেখা টেনে রাখলো। সকালবেলা সূর্য উদিত হলে রেখাগুলো কিবলার বিপরীত দিকে দেখা গেল। আমরা সফর থেকে ফিরে এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি নীরব থাকলেন এবং আল্লাহ তায়ালা ওহী নাযিল করলেনঃ “পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই এবং যেদিকেই তোমরা মুখ ফিরাও না কেন, সেদিকই আল্লাহর দিক” (সূরা আল-বাকারা : ১১৫)। অর্থাৎ যেখানেই তোমরা থাকো।

রাবী বলেন, আবদুল মালেক আল-আরযামী-সাঈদ ইবনে জুবায়ের-ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উক্ত আয়াত বিশেষভাবে নফল নামাযের ব্যাপারেই নাযিল হয়েছে—আরোহিত অবস্থায় তোমার উট তোমাকে নিয়ে যেদিকেই থাকে।

بَابُ الِاجْتِهَادِ فِي الْقِبْلَةِ وَجَوَازِ التَّحَرِّي فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَلِيٍّ أَبُو مُحَمَّدٍ ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ شَبِيبٍ ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَسَنِ الْعَنْبَرِيُّ ، قَالَ : وَجَدْتُ فِي كِتَابِ أَبِي : ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ الْعَرْزَمِيُّ ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ، قَالَ : " بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - سَرِيَّةً كُنْتُ فِيهَا ، فَأَصَابَتْنَا ظُلْمَةٌ فَلَمْ نَعْرِفِ الْقِبْلَةَ ، فَقَالَتْ طَائِفَةٌ مِنَّا : قَدْ عَرَفْنَا الْقِبْلَةَ ، هِيَ هَا هُنَا قِبَلَ الشَّمَالِ . فَصَلَّوْا وَخَطُّوا خَطًّا ، وَقَالَ بَعْضُنَا : الْقِبْلَةُ هَا هُنَا قِبَلَ الْجَنُوبِ . وَخَطُّوا خَطًّا ، فَلَمَّا أَصْبَحُوا وَطَلَعَتِ الشَّمْسُ ، أَصْبَحَتْ تِلْكَ الْخُطُوطُ لِغَيْرِ الْقِبْلَةِ ، فَلَمَّا قَفَلْنَا مِنْ سَفَرِنَا ، سَأَلْنَا النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَنْ ذَلِكَ ؟ فَسَكَتَ وَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ : ( وَلِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ ) [ الْبَقَرَةِ :115 ] أَيْ حَيْثُ كُنْتُمْ
قَالَ : وَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ الْعَرْزَمِيُّ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ؛ أَنَّهَا نَزَلَتْ فِي التَّطَوُّعِ خَاصَّةً ، حَيْثُ تَوَجَّهَ بِكَ بَعِيرُكَ

حدثنا اسماعيل بن علي ابو محمد ، ثنا الحسن بن علي بن شبيب ، ثنا احمد بن عبيد الله بن الحسن العنبري ، قال : وجدت في كتاب ابي : ثنا عبد الملك العرزمي ، عن عطاء بن ابي رباح ، عن جابر بن عبد الله ، قال : " بعث رسول الله - صلى الله عليه وسلم - سرية كنت فيها ، فاصابتنا ظلمة فلم نعرف القبلة ، فقالت طاىفة منا : قد عرفنا القبلة ، هي ها هنا قبل الشمال . فصلوا وخطوا خطا ، وقال بعضنا : القبلة ها هنا قبل الجنوب . وخطوا خطا ، فلما اصبحوا وطلعت الشمس ، اصبحت تلك الخطوط لغير القبلة ، فلما قفلنا من سفرنا ، سالنا النبي - صلى الله عليه وسلم - عن ذلك ؟ فسكت وانزل الله عز وجل : ( ولله المشرق والمغرب فاينما تولوا فثم وجه الله ان الله ) [ البقرة :115 ] اي حيث كنتم قال : ونا عبد الملك العرزمي ، عن سعيد بن جبير ، عن ابن عمر ؛ انها نزلت في التطوع خاصة ، حيث توجه بك بعيرك

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)