পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭০০) আবূ মালিক আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পবিত্রতা অর্ধেক ঈমান। আর ’আলহামদু লিল্লাহ’ (কিয়ামতে নেকীর) দাঁড়িপাল্লাকে ভরে দেবে এবং ’সুবহানাল্লাহ’ ও ’আলহামদু লিল্লাহ’ আসমান ও যমীনের মধ্যস্থিত শূন্যতা পূর্ণ ক’রে দেয়।
وَعَنْ أَبي مَالِكٍ الأَشعَرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ الطُّهُورُ شَطْرُ الإِيْمَانِ، وَالحَمْدُ للهِ تَمْلأُ المِيزَانَ، وَسُبْحَانَ اللهِ وَالحَمْدُ للهِ تَمْلآنِ أَوْ تَمْلأُ مَا بَيْنَ السَّمَاوَاتِ وَالأرْضِ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭০১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার এই বাক্যমালা ’সুবহানাল্লাহি অলহামদুলিল্লাহি অলা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অল্লাহু আকবার’ (অর্থাৎ, আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আল্লাহর যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ ছাড়া (সত্যিকার) কোন ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সব চাইতে মহান) পাঠ করা সেই সমস্ত বস্তু অপেক্ষা অধিক প্রিয়, যার উপর সূর্যোদয় হয়।
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لأَنْ أَقُولَ : سُبْحَانَ اللهِ وَالحَمْدُ للهِ وَلَا إِلٰـهَ إِلاَّ اللهُ وَاللهُ أكْبَرُ أَحَبُّ إلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭০২) একদা আবূ হুরাইরা (রাঃ) একটি বৃক্ষ রোপন করছিলেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেদিকে পার হলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ’হে আবূ হুরাইরা! তুমি কী রোপন করছ? আবূ হুরাইরা (রাঃ) বললেন, ’একটি বৃক্ষ।’ তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে এর চাইতে উত্তম বৃক্ষ রোপনের কথা বলে দেব না?’’ আমি বললাম, অবশ্যই বলে দিন হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ’, ’আলহামদু লিল্লাহ’, ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ’আল্লাহু আকবার’। এর প্রত্যেকটির বিনিময়ে বেহেশতে তোমার জন্য একটি ক’রে বৃক্ষ রোপন করা হবে।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِهِ وَهُوَ يَغْرِسُ غَرْسًا فَقَالَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ مَا الَّذِي تَغْرِسُ قُلْتُ : غِرَاسًا لِي قَالَ أَلاَ أَدُلُّكُ عَلَى غِرَاسٍ خَيْرٍ لَكَ مِنْ هٰذَا قَالَ : بَلَى يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ قُلْ : سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَلَا إِلٰـهَ إِلاَّ اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ يُغْرَسْ لَكَ بِكُلِّ وَاحِدَةٍ شَجَرَةٌ فِي الْجَنَّةِ
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭০৩) আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় ’সুবহানাল্লাহ’, ’আলহামদু লিল্লাহ’, ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ’আল্লাহু আকবার’ গোনাহসমূহকে ঝরিয়ে দেয়, যেমন গাছ তার পাতাসমূহকে ঝরিয়ে দেয়।
عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺإِنَّ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ تَنْفُضُ الْخَطَايَا كَمَا تَنْفُضُ الشَّجَرَةُ وَرَقَهَا
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭০৪) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) বলেন, (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,) নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের মাঝে তোমাদের চরিত্র বন্টন ক’রে দিয়েছেন, যেমন তিনি তোমাদের মাঝে তোমাদের রুযী বন্টন ক’রে দিয়েছেন। নিশ্চয় তিনি তাকে দুনিয়া দান করেন, যাকে তিনি ভালোবাসেন এবং যাকে তিনি ভালোবাসেন না। কিন্তু তিনি ঈমান দান করেন কেবল তাকে, যাকে তিনি ভালোবাসেন। সুতরাং যে ব্যক্তি ধন ব্যয় করতে কার্পণ্য করে, শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ করতে ভয় করে এবং রাত্রি জেগে ইবাদত করতে ভয় করে, তার উচিত বেশি বেশি ’সুবহানাল্লাহ’, ’আলহামদু লিল্লাহ’, ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ’আল্লাহু আকবার’ বলা।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ قَسَمَ بَيْنَكُمْ أَخْلَاقَكُمْ كَمَا قَسَمَ بَيْنَكُمْ أَرْزَاقَكُمْ وَإِنَّ اللهَ يُؤْتِي الْمَالَ مَنْ يُحِبُّ وَمَنْ لَّا يُحِبُّ وَلَا يُؤْتِى الْإِيْمَانَ إِلَّا مَنْ أَحَبَّ فَإِذَا أَحَبَّ اللهُ عَبْدًا أَعْطَاهُ الْإِيْمَانَ فَمَنْ ضَنَّ بِالْمَالِ أَنْ يُّنْفِقَهُ وَهَابَ الْعَدُوَّ أَنْ يُجَاهِدَهُ وَالْلَيْلُ أَنْ يُكَابِدَهُ فَلْيُكْثِرْ مِنْ قَوْلٍ لَا إِلَـهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ وَالْحَمْدُ للهِ وَسُبْحَانَ اللهِ
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭০৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তোমাদের ঢাল সংগ্রহ কর। তাঁরা বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! কোন শত্রু উপস্থিত হল কি?’ তিনি বললেন, না। বরং জাহান্নাম থেকে বাঁচার ঢাল। তোমরা ’সুবহানাল্লাহ’, ’আলহামদু লিল্লাহ’, ’লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ’আল্লাহু আকবার’ বল। যেহেতু এগুলি কিয়ামতের দিন অগ্রণী হয়ে, আযাব রোধক হয়ে, ক্রমাগতভাবে শুভ-পরিণাম হয়ে উপস্থিত হবে। আর এগুলিই হল স্থায়ী সৎকর্ম।
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُذُوا جُنَّتَكُمْ قَالُوا : يَا رَسُوْلَ اللهِ أَمِنْ عَدُوٍّ قَدْ حَضَرَ ؟ قَالَ : لا وَلَكِنْ جُنَّتُكُمْ مِنَ النَّارِ قَوْلُ : سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَلا إِلٰهَ إِلا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ فَإِنَّهُنَّ يَأْتِينَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مُجَنِّبَاتٍ وَمُعَقِّبَاتٍ وَهُنَّ الْبَاقِيَاتُ الصَّالِحَاتُ
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭০৬) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ চারটি বাক্য নির্বাচিত করেছেনঃ ’সুবহানাল্লাহ’, ’আলহামদু লিল্লাহ’, ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ’আল্লাহু আকবার’। সুতরাং যে ব্যক্তি ’সুবহানাল্লাহ’ বলবে, তার জন্য ২০টি নেকি লেখা হবে এবং ২০টি গোনাহ মোচন করা হবে। যে ব্যক্তি ’আল্লাহু আকবার’ বলবে, তারও অনুরূপ উপকার হবে। যে ব্যক্তি ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে, তারও অনুরূপ উপকার হবে। আর যে ব্যক্তি নিজের পক্ষ থেকে ’আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’ বলবে, তার জন্য ৩০টি নেকি লেখা হবে এবং ৩০টি গোনাহ মোচন করা হবে।
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ إِنَّ اللهَ اصْطَفَى مِنْ الْكَلَامِ أَرْبَعًا سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ فَمَنْ قَالَ سُبْحَانَ اللهِ كُتِبَ لَهُ عِشْرُونَ حَسَنَةً وَحُطَّ عَنْهُ عِشْرُونَ سَيِّئَةً وَمَنْ قَالَ اللهُ أَكْبَرُ فَمِثْلُ ذٰلِكَ وَمَنْ قَالَ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ فَمِثْلُ ذٰلِكَ وَمَنْ قَالَ الْحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ مِنْ قِبَلِ نَفْسِهِ كُتِبَ لَهُ بِهَا ثَلَاثُونَ حَسَنَةً أَوْ حُطَّ عَنْهُ ثَلَاثُونَ سَيِّئَةً
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭০৭) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পশুরক্ষক আবী সালমা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বাঃ! বাঃ! পাঁচটি জিনিস মীযানে কতই না ভারী! ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, ’আল্লাহু আকবার’, ’সুবহানাল্লাহ’ ও ’আলহামদু লিল্লাহ’। আর নেক সন্তান, যে মারা গেলে মুসলিম (মা-বাপ) তাতে সওয়াব কামনা করে।
عَنْ أَبِيْ سَلْمَى رَاعِي رَسُوْلِ اللهِ ﷺ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُولُ:بَخٍ بَخٍ لِخَمْسٍ مَا أَثْقَلَهُنَّ فِي الْمِيزَانِ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ وَسُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ للهِ، وَالْوَلَدُ الصَّالِحُ يُتَوَفَّى لِلْمَرْءِ الْمُسْلِمِ فَيَحْتَسِبُهُ
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭০৮) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মি’রাজের রাতে ইব্রাহীম (আঃ)-এর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ ঘটে। তিনি বললেন, ’হে মুহাম্মাদ! তুমি তোমার উম্মতকে আমার সালাম পেশ করবে এবং তাদেরকে বলে দেবে যে, জান্নাতের মাটি পবিত্র ও উৎকৃষ্ট, তার পানি মিষ্ট। আর তা একটি বৃক্ষহীন সমতলভূমি। আর ’সুবহানাল্লাহ’, ’আলহামদু লিল্লাহ’ ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ’আল্লাহু আকবার’ হল তার রোপিত বৃক্ষ।
وَعَنِ ابنِ مَسعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لَقِيْتُ إِبْرَاهِيْمَ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِيْ فَقَالَ : يَا مُحَمّدُ أَقْرِئْ أُمَّتَكَ مِنِّي السَّلاَمَ وَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ الجَنَّةَ طَيَّبَةُ التُّرْبَةِ عَذْبَةُ الْمَاءِ وَأَنَّهَا قِيْعَانٌ وَأَنَّ غِرَاسَهَا: سُبْحَانَ اللهِ وَالحَمْدُ للهِ، وَلَا إِلٰـهَ إِلاَّ اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ رواه الترمذي وقال حديث حسن
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭০৯) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, সর্বশ্রেষ্ঠ যিকর হচ্ছে ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُولُ أَفْضَلُ الذِّكْرِ : لَاۤ إِلٰـهَ إِلاَّ اللهُ رواه الترمذي وقال حديث حسن
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭১০) সা’দ ইবনে আবূ অক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি বললেন, তোমাদের কোন ব্যক্তি প্রত্যহ এক হাজার নেকী অর্জন করতে অপারগ হবে কি? তাঁর সাথে উপবিষ্ট ব্যক্তিদের একজন জিজ্ঞাসা করল, ’কিভাবে এক হাজার নেকী অর্জন করবে?’ তিনি বললেন, একশ’বার তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) পড়বে। ফলে তার জন্য এক হাজার নেকী লেখা হবে অথবা এক হাজার গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে। (মুসলিম ৭০২৭)
وَعَنْ سَعدِ بنِ أَبي وَقَّاصٍ قَالَ : كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللهِ ﷺ فَقَالَ أَيَعجِزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَكْسِبَ فِي كُلِّ يَومٍ أَلْفَ حَسَنَةٍ فَسَأَلَهُ سَائِلٌ مِنْ جُلَسائِهِ : كَيْفَ يَكْسِبُ أَلفَ حَسَنَةٍ ؟ قَالَ يُسَبِّحُ مِئَةَ تَسْبِيحَةٍ فَيُكْتَبُ لَهُ أَلْفُ حَسَنَةٍ أَوْ يُحَطُّ عَنْهُ أَلفُ خَطِيئَةٍ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭১১) আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের মধ্যে প্রত্যেকের প্রত্যেক (হাড়ের) জোড়ের পক্ষ থেকে প্রাত্যহিক (প্রদেয়) সাদকাহ রয়েছে। সুতরাং প্রত্যেক তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ বলা) সাদকাহ, প্রত্যেক তাহমীদ (আলহামদু লিল্লাহ বলা) সাদকাহ, প্রত্যেক তাহলীল (লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা) সাদকাহ, প্রত্যেক তাকবীর (আল্লাহু আকবার বলা) সাদকাহ এবং ভাল কাজের আদেশ প্রদান ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা সাদকাহ। এ সব কাজের পরিবর্তে চাশতের দু’রাক্আত নামায যথেষ্ট হবে।
وَعَنْ أَبي ذَرٍّ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ يُصْبِحُ عَلَى كُلِّ سُلاَمَى مِنْ أَحَدِكُمْ صَدَقةٌ : فَكُلُّ تَسْبيحَةٍ صَدَقةٌ وَكُلُّ تَحْميدَةٍ صَدَقَةٌ وَكُلُّ تَهْلِيلةٍ صَدَقَةٌ وَكُلُّ تَكْبِيرَةٍ صَدَقَةٌ وأَمْرٌ بِالمَعْرُوفِ صَدَقَةٌ وَنَهْيٌ عَنِ المُنْكَرِ صَدَقَةٌ وَيُجْزِئُ مِنْ ذٰلِكَ رَكْعَتَانِ يَرْكَعُهُمَا مِنَ الضُّحَى رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭১২)মু’মিন জননী জুয়াইরিয়াহ বিনতে হারেস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকাল ভোরে ফজরের নামায সমাপ্ত করে তাঁর নিকট থেকে বাইরে গেলেন। আর তিনি (জুয়াইরিয়াহ) স্বীয় জায়নামাযে বসেই রইলেন। তারপর চাশতের সময় তিনি যখন ফিরে এলেন, তখনও তিনি সেখানেই বসেছিলেন। এ দেখে তিনি তাঁকে বললেন, আমি যে অবস্থায় তোমাকে ছেড়ে বাইরে গেলাম, সে অবস্থাতেই তুমি রয়েছ? তিনি বললেন, ’হ্যাঁ।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার নিকট থেকে যাবার পর আমি চারটি বাক্য তিনবার পড়েছি। যদি সেগুলিকে তোমার সকাল থেকে (এ যাবৎ) পঠিত দু’আর মুকাবেলায় ওজন করা যায়, তাহলে তা ওজনে সমান হয়ে যাবে। আর তা হচ্ছে এই যে,
’সুবহা-নাল্লা-হি অবিহামদিহী আদাদা খালক্বিহী, অরিযা নাফসিহী, অযিনাতা আরশিহী, অমিদা-দা কালিমা-তিহ্।’ অর্থাৎ, আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করি; তাঁর সৃষ্টির সমান সংখ্যক, তাঁর নিজ মর্জি অনুযায়ী, তাঁর আরশের ওজন বরাবর ও তাঁর বাণীসমূহের সমান সংখ্যক প্রশংসা। (মুসলিম ৭০৮৮-৭০৮৯)
মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, ’সুবহা-নাল্লা-হি আদাদা খালক্বিহ, সুবহা-নাল্লা-হি রিযা নাফসিহ, সুবহা-নাল্লা-হি যিনাতা আরশিহ, সুবহা-নাল্লা-হি মিদা-দা কালিমা-তিহ।’
আর তিরমিযীর বর্ণনায় আছে, (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন,) আমি কি তোমাকে এমন বাক্যাবলী শিখিয়ে দেব না, যা তুমি বলতে থাকবে? তা হচ্ছে এই যে, ’সুবহানাল্লাহি আদাদা খালকিহী। (প্রত্যেক বাক্য তিনবার করে।) (তিরমিযী ৩৫৫৫)
وَعَنْ أُمِّ المُؤمِنِينَ جُوَيْرِيَةَ بِنتِ الحَارِثِ رَضِيَ اللهُ عَنهَا: أَنَّ النَّبيَّ ﷺ خَرَجَ مِنْ عِنْدِهَا بُكْرَةً حِيْنَ صَلَّى الصُّبْحَ وَهِيَ فِي مَسْجِدِهَا ثُمَّ رَجَعَ بَعدَ أَنْ أَضْحَى وَهِيَ جَالِسَةٌ فَقَالَ مَا زِلْتِ عَلَى الحَالِ الَّتي فَارَقَتُكِ عَلَيْهَا ؟ قَالَتْ : نَعَمْ فَقَالَ النَّبيُّ ﷺ لَقَدْ قُلْتُ بَعْدَكِ أَرْبَعَ كَلِمَاتٍ ثَلاثَ مَرَّاتٍ لَوْ وُزِنَتْ بِمَا قُلْتِ مُنْذُ اليَوْمِ لَوَزَنَتْهُنَّ : سُبْحَانَ الله وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ رواه مسلم
وفي روايةٍ لَهُ سُبْحانَ الله عَدَدَ خَلْقِهِ سُبْحَانَ الله رِضَا نَفْسِهِ سُبْحَانَ اللهِ زِنَةَ عَرْشِهِ سُبْحَانَ الله مِدَادَ كَلِمَاتِهِ وفي رواية الترمذي أَلاَ أُعَلِّمُكِ كَلِمَاتٍ تَقُولِينَهَا؟ سُبحَانَ الله عَدَدَ خَلْقِهِ؛ سُبحَانَ الله عَدَدَ خَلْقِهِ سُبحَانَ الله عَدَدَ خَلْقِهِ سُبْحَانَ اللهِ رِضَا نَفْسِهِ سُبْحَانَ اللهِ رِضَا نَفْسِهِ سُبْحَانَ الله رِضَا نَفْسِهِ سُبْحَانَ الله زِنَةَ عَرْشِهِ سُبْحَانَ اللهِ زِنَةَ عَرْشِهِ سُبْحَانَ الله زِنَةَ عَرْشِهِ سُبْحَانَ اللهِ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ سُبْحَانَ الله مِدَادَ كَلِمَاتِهِ سُبْحَانَ الله مِدَادَ كَلِمَاتِهِ
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭১৩) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দু’টি কালিমা (বাক্য) রয়েছে, যে দু’টি দয়াময় আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়, জবানে (উচ্চারণে) খুবই সহজ, আমলের পাল্লায় অত্যন্ত ভারী। তা হচ্ছে, ’সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহী, সুবহানাল্লাহিল আযীম।’ অর্থাৎ, আমরা আল্লাহ তাআলার প্রশংসা সহকারে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করেছি, মহান আল্লাহ অতীব পবিত্র।
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ كَلِمَتَانِ خَفِيفَتَانِ عَلَى اللِّسَانِ ثَقِيْلَتَانِ فِي الْمِيْزَانِ حَبِيبَتَانِ إِلَى الرَّحْمَانِ : سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللهِ العظيمِ متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭১৪) উক্ত রাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।’
অর্থাৎ, এক অদ্বিতীয় আল্লাহ ব্যতীত আর কোন সত্য উপাস্য নেই। তাঁর কোন শরীক নেই। (বিশাল) রাজ্যের তিনিই সার্বভৌম অধিপতি। তাঁরই যাবতীয় স্ত্ততিমালা এবং সমস্ত বস্তুর উপর তিনি ক্ষমতাবান।
যে ব্যক্তি এই দু’আটি দিনে একশবার পড়বে, তার দশটি গোলাম আযাদ করার সমান নেকী অর্জিত হবে, একশ’টি নেকী লিপিবদ্ধ করা হবে, তার একশ’টি গুনাহ মোচন করা হবে, উক্ত দিনের সন্ধ্যা অবধি তা তার জন্য শয়তান থেকে বাঁচার রক্ষামন্ত্র হবে এবং তার চেয়ে সেদিন কেউ উত্তম কাজ করতে পারবে না। কিন্তু যদি কেউ তার চেয়ে বেশী আমল করে তবে।’’ (বুখারী ৬৪০৩, মুসলিম ৭০১৯)
তিনি আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি দিনে একশবার ’সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহ’ পড়বে তার গুনাহসমূহ মোচন করা হবে; যদিও তা সমুদ্রের ফেনা বরাবর হয়। (বুখারী ৬৪০৫, মুসলিম ৭০১৮)
وَعَنهُ : أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ مَنْ قَالَ لَا إِلٰـهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَريكَ لَهُ لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ فِي يَوْمٍ مِئَةَ مَرَّةٍ كَانَتْ لَهُ عَدْلَ عَشْرِ رِقَابٍ وكُتِبَتْ لَهُ مِئَةُ حَسَنَةٍ وَمُحِيَتْ عَنْهُ مِئَةُ سَيِّئَةٍ وَكَانَتْ لَهُ حِرْزاً مِنَ الشَّيْطَانِ يَوْمَهُ ذٰلِكَ حَتّٰـى يُمْسِي وَلَمْ يَأتِ أَحَدٌ بِأَفْضَلَ مِمَّا جَاءَ بِهِ إِلاَّ رَجُلٌ عَمِلَ أَكْثَرَ مِنْهُ وَقَالَ مَنْ قَالَ سُبْحَانَ الله وَبِحَمْدِهِ فِي يَوْمٍ مِئَةَ مَرَّةٍ حُطَّتْ خَطَايَاهُ وَإنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭১৫) আবু যার্র (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় কথা তোমাকে জানাব না কি? আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় কথা হল, ’সুবহানাল্লা-হি অবিহামদিহ’ (অর্থাৎ, আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি।)
وَعَنْ أَبي ذَرٍّ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَلاَ أُخْبِرُكَ بِأَحَبِّ الْكَلاَمِ إِلَى اللهِ ؟ إِنَّ أَحَبَّ الْكَلاَمِ إِلَى اللهِ : سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭১৬)উক্ত বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসিত হলেন, ’কোন্ যিকর সর্বশ্রেষ্ঠ?’ এর উত্তরে তিনি বললেন, যা তিনি নিজ ফিরিশতামণ্ডলী অথবা নিজ বান্দাগণের জন্য নির্বাচিত করেছেনঃ ’সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহ।
عَنْ أَبِى ذَرٍّ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ سُئِلَ أَىُّ الْكَلاَمِ أَفْضَلُ قَالَ مَا اصْطَفَى اللهُ لِمَلَائِكَتِهِ أَوْ لِعِبَادِهِ سُبْحَانَ اللهِ وَبِـحَمْدِهِ
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭১৭) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ’সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহ’ পড়ে, তার জন্য জান্নাতের মধ্যে একটি খেজুর বৃক্ষ রোপন করা হয়।
وَعَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَنْ قَالَ : سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمدِهِ غُرِسَتْ لَهُ نَخْلَةٌ فِي الجَنَّةِ رواه الترمذي، وقال حديث حسن
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭১৮) আবূ আইয়ূব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর’ দিনে দশবার পাঠ করবে, সে ব্যক্তি ইসমাঈলের বংশধরের চারজন দাস মুক্ত করার সমান সওয়াব লাভ করবে।
وَعَنْ أَبي أَيُّوبَ الأَنصَارِيِّ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَنْ قَالَ لَا إِلٰـهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ ؛ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ عَشْرَ مَرَّاتٍ كَانَ كَمَنْ أَعْتَقَ أَرْبَعَةَ أَنْفُسٍ منْ وَلَدِ إسْمَاعِيلَ متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ কতিপয় যিকরের বিশেষ মাহাত্ম্য
(৩৭১৯) আমর বিন শুআইব, তিনি তাঁর পিতা হতে এবং তাঁর পিতা তাঁর (আমরের) পিতামহ হতে এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, ’’যে ব্যক্তি সূর্যের উদয় ও অসেত্মর পূর্বে ১০০ বার ’সুবহা-নাল্লাহ’ বলবে, তার জন্য তা ১০০টি (মক্কায় কুরবানীযোগ্য) উষ্ট্রী অপেক্ষা অধিক শ্রেষ্ঠ। যে ব্যক্তি সূর্যের উদয় ও অসেত্মর পূর্বে ১০০বার ’আলহামদু লিল্লাহ’ বলবে তার জন্য তা আল্লাহর পথে (জিহাদের) জন্য সওয়ারী ১০০টি ঘোড়া অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর। যে ব্যক্তি সূর্যের উদয় ও অসেত্মর পূর্বে ১০০ বার ’আল্লাহ আকবার’ বলবে, তার জন্য তা ১০০টি ক্রীতদাস স্বাধীন করা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর। আর যে ব্যক্তি সূর্যের উদয় ও অসেত্মর পূর্বে ১০০বার ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু, অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর’ বলবে সে ব্যক্তির আমল অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আমল নিয়ে কিয়ামতে আর অন্য কেউ উপস্থিত হতে পারবে না। অবশ্য যদি কেউ তারই অনুরূপ অথবা তার চেয়ে অধিকবার ঐ যিকর বলে থাকে তবে সে পারবে।
عَنْ شُعَيْبٍ عَنْ جَدِّهِ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَالَ : سُبْحَانَ اللهِ مِئَةَ مَرَّةٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا كَانَ أَفْضَلَ مِنْ مِئَةِ بَدَنَةٍ وَمَنْ قَالَ : الْحَمْدُ للهِ مِئَةَ مَرَّةٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا كَانَ أَفْضَلَ مِنْ مِئَةِ فَرَسٍ يَحْمِلُ عَلَيْهَا وَمَنْ قَالَ : اللهُ أكْبَرُ مِئَةَ مَرَّةٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا كَانَ أَفْضَلَ مِنْ عِتْقِ مِئَةِ رَقَبَةٍ وَمَنْ قَالَ : لَا إِلٰـهَ إلاَّ اللهُ وَحْدَة لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ مِئَةَ مَرَّةٍ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا لَمْ يَجِىءْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَحَدٌ بِعَمَلٍ أَفْضَلَ مِنْ عَمَلِهِ إِلاَّ مَنْ قَالَ قَوْلَهُ أَوْ زَاد