পরিচ্ছেদঃ সাময়িক যিকর ও দু‘আ

(৩৭২২) আমর বিন আবাসা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, শেষ রাতের গভীরে প্রতিপালক নিজ বান্দার সবচেয়ে বেশী নিকটবর্তী হন। সুতরাং তুমি যদি ঐ সময় আল্লাহর যিকরকারীদের দলভুক্ত হতে সক্ষম হও, তাহলে তা হয়ে যাও।

عَنْ عَمْرٍو بْنِ عَبَسَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أقْرَبُ مَا يَكُوْنُ الرَّبُّ مِنَ الْعَبْدِ في جَوْفِ اللَّيْلِ الْآخِرِ فَإِنِ اسْتَطعْتَ أَنْ تَكُوْنَ مِمَّنْ يَذْكُرُ اللهَ فِي تِلْكَ السَّاعَةِ فَكُنْ

عن عمرو بن عبسة رضى الله عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم قال اقرب ما يكون الرب من العبد في جوف الليل الاخر فان استطعت ان تكون ممن يذكر الله في تلك الساعة فكن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবন আবাসা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ সাময়িক যিকর ও দু‘আ

(৩৭২৩) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনবে, তখন আল্লাহর নিকট তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। কারণ সে কোন ফিরিশতা দেখেছে। আর যখন তোমরা গাধার ডাক শুনবে, তখন আল্লাহর নিকট শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা কর। কারণ সে কোন শয়তান দেখেছে।

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ صِيَاحَ الدِّيَكَةِ فَاسْأَلُوا اللهَ مِنْ فَضْلِهِ فَإِنَّهَا رَأَتْ مَلَكًا وَإِذَا سَمِعْتُمْ نَهِيقَ الْحِمَارِ فَتَعَوَّذُوا بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِنَّهَا رَأَتْ شَيْطَانًا

عن ابى هريرة ان النبى ﷺ قال اذا سمعتم صياح الديكة فاسالوا الله من فضله فانها رات ملكا واذا سمعتم نهيق الحمار فتعوذوا بالله من الشيطان فانها رات شيطانا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ সাময়িক যিকর ও দু‘আ

(৩৭২৪) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমরা রাতে কুকুর ও গাধার ডাক শুনবে, তখন আল্লাহর নিকট (শয়তান থেকে) আশ্রয় প্রার্থনা কর। কারণ তারা তা দেখতে পায়, যা তোমরা দেখতে পাও না।

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا سَمِعْتُمْ نُبَاحَ الْكِلاَبِ وَنَهِيقَ الْحُمُرِ بِاللَّيْلِ فَتَعَوَّذُوا بِاللهِ فَإِنَّهُنَّ يَرَيْنَ مَا لاَ تَرَوْنَ

عن جابر بن عبد الله قال قال رسول الله ﷺ اذا سمعتم نباح الكلاب ونهيق الحمر بالليل فتعوذوا بالله فانهن يرين ما لا ترون

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ সাময়িক যিকর ও দু‘আ

(৩৭২৫) উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশ করে (নিম্নের দু’আ) বলে আল্লাহ তার জন্য দশ লক্ষ নেকী লিপিবদ্ধ করেন, দশ লক্ষ গোনাহ মোচন করে দেন, তাকে দশ লক্ষ মর্যাদায় উন্নীত করেন এবং জান্নাত তার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করে দেন।

’লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু, য়্যুহয়ী অয়্যুমীতু, অহুয়া হাইয়্যুল লা য়্যামূতু, বিয়্যাদিহিল খাইরু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।’

অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক তাঁর কোন অংশী নেই, তাঁরই জন্য সারা রাজত্ব ও তাঁরই নিমিত্তে সমুদয় প্রশংসা। তিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু প্রদান করেন। আর তিনি চিরঞ্জীব, তাঁর মৃত্যু নেই। তাঁর হাতেই সর্বপ্রকার মঙ্গল এবং তিনি সর্ব বস্তুর উপর সর্বশক্তিমান।

عَنْ عَمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَالَ حِينَ يَدْخُلُ السُّوقَ : لَا إِلٰـهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ حَيٌّ لاَ يَمُوتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ كُلُّهُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ كَتَبَ اللهُ لَهُ أَلْفَ أَلْفِ حَسَنَةٍ وَمَحَا عَنْهُ أَلْفَ أَلْفِ سَيِّئَةٍ وَبَنَى لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ

عن عمر بن الخطاب قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قال حين يدخل السوق : لا الـه الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد يحيي ويميت وهو حي لا يموت بيده الخير كله وهو على كل شيء قدير كتب الله له الف الف حسنة ومحا عنه الف الف سيىة وبنى له بيتا في الجنة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ সাময়িক যিকর ও দু‘আ

(৩৭২৬) আবু হুরাইরা (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি এমন কোন মজলিসে বসে, যাতে তার শোরগোল বেশী হয়ে থাকে, তবে ঐ মজলিস থেকে উঠার পূর্বে যদি সে (নিম্মরে দু’আ) বলে, তবে উক্ত মজলিসে তার স্বকৃত গোনাহসমূহকে মার্জনা করা হয়। (দু’আটি নিম্মরূপ) ’সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা অবিহামদিকা আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা অআতূবু ইলাইক্।’

অর্থাৎঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কেউ সত্য উপাস্য নেই। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার প্রতি তওবা (অনুশোচনার সাথে প্রত্যাবর্তন) করছি।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ جَلَسَ فِي مَجْلِسٍ كَثُرَ فِيهِ لَغَطُهُ فَقَالَ قَبْلَ أَنْ يَقُومَ : سُبْحَانَكَ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ لَا إِلٰـهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ ثُمَّ أَتُوبُ إِلَيْكَ إِلاَّ غَفَرَ اللهُ لَهُ مَا كَانَ فِي مَجْلِسِهِ ذٰلِكَ

عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من جلس في مجلس كثر فيه لغطه فقال قبل ان يقوم : سبحانك ربنا وبحمدك لا الـه الا انت استغفرك ثم اتوب اليك الا غفر الله له ما كان في مجلسه ذلك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ সাময়িক যিকর ও দু‘আ

(৩৭২৭) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যদি তোমাদের কেউ স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা করে, তখন এই দু’আ পড়ে,

’বিসমিল্লা-হ, আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ শাইত্বা-না অজান্নিবিশ শায়ত্বা-না মা রাযাক্বতানা।’

অর্থাৎ, আমি আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করছি, হে আল্লাহ! তুমি শয়তানকে আমাদের নিকট থেকে দূরে রাখ এবং আমাদেরকে যে (সন্তান) দান করবে তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখ।

তাহলে ওদের ভাগ্যে সন্তান এলে, শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারে না।

وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا أَتَى أَهْلَهُ قَالَ : بِسْمِ الله اَللّٰهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا فَقُضِيَ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ لَمْ يَضُرَّهُ متفق عَلَيْهِ

وعن ابن عباس عن النبي ﷺ قال لو ان احدكم اذا اتى اهله قال : بسم الله اللهم جنبنا الشيطان وجنب الشيطان ما رزقتنا فقضي بينهما ولد لم يضره متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ সাময়িক যিকর ও দু‘আ

(৩৭২৮) ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিপদ ও কষ্টের সময় এই দু’আ পড়তেন, ’লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আযীমুল হালীম, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুল আরশিল আযীম, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুস সামা-ওয়া-তি অরাব্বুল আরযিব অরাব্বুল আরশিল কারীম।’

অর্থ, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মা’বুদ নেই; যিনি সুমহান, সহিষ্ণু। আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই; যিনি সুবৃহৎ আরশের প্রতিপালক। আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য আরাধ্য নেই; যিনি আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী ও সম্মানিত আরশের অধিপতি।

وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ كَانَ يَقُوْلُ عِنْدَ الكَرْبِ لَا إِلٰـهَ إِلاَّ اللهُ العَظِيمُ الحَلِيمُ لَا إِلٰـهَ إِلاَّ اللهُ رَبُّ العَرْشِ العَظيمِ لَا إِلٰـهَ إِلاَّ اللهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ، وَرَبُّ الأَرْضِ، وَرَبُّ العَرْشِ الكَرِيمِ متفق عَلَيْهِ

وعن ابن عباس رضي الله عنهما : ان رسول الله ﷺ كان يقول عند الكرب لا الـه الا الله العظيم الحليم لا الـه الا الله رب العرش العظيم لا الـه الا الله رب السماوات، ورب الارض، ورب العرش الكريم متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ সাময়িক যিকর ও দু‘আ

(৩৭২৯) উসামাহ ইবনে যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তির জন্য কোন উপকার করা হল এবং সে উপকারকারীকে ’জাযাকাল্লাহু খায়রা’ (অর্থাৎ, আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দেন) বলে দু’আ দিল, সে নিঃসন্দেহে (উপকারীর) পূর্ণাঙ্গরূপে প্রশংসা করল।

وَعَنْ أُسَامَةَ بنِ زَيدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ صُنِعَ إِلَيْهِ مَعْرُوفٌ، فَقَالَ لِفاعِلهِ: جَزَاكَ اللهُ خَيراً، فَقَدْ أَبْلَغَ فِي الثَّنَاءِ رواه الترمذي، وقال حديث حسن صحيح

وعن اسامة بن زيد رضي الله عنهما قال : قال رسول الله ﷺ من صنع اليه معروف، فقال لفاعله: جزاك الله خيرا، فقد ابلغ في الثناء رواه الترمذي، وقال حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে