পরিচ্ছেদঃ মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
মহান আল্লাহ বলেন,
وَاخْفِضْ جَنَاحَكَ لِمَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ
অর্থাৎ, তুমি তোমার অনুসারী বিশ্বাসীদের প্রতি সদয় হও। (সূরা শুআরা ২১৫)
আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا مَنْ يَرْتَدَّ مِنْكُمْ عَنْ دِينْهِ فَسَوْفَ يَأتِي اللهُ بِقَومٍ يُحِبُّهُم وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى المُؤْمِنينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الكَافِرِيْنَ
অর্থাৎ, হে বিশ্বাসিগণ! তোমাদের মধ্যে কেউ ধর্ম হতে ফিরে গেলে আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায় আনয়ন করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন ও যারা তাঁকে ভালবাসবে, তারা হবে বিশ্বাসীদের প্রতি কোমল ও অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোর। (সূরা মাইদাহ ৫৪)
তিনি আরো বলেন,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَّأُنْثٰى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوْباً وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوْا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللهِ أَتْقَاكُمْ
অর্থাৎ, হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে, পরে তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই আল্লাহর নিকট অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে অধিক আল্লাহ-ভীরু। (সূরা হুজুরাত-৪৯: ১৩)
তিনি আরো বলেন,
فَلَا تُزَكُّوا أَنْفُسَكُمْ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنِ اتَّقَى
অর্থাৎ, তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। তিনিই সম্যক জানেন আল্লাহভীরু কে। (সূরা নাজম ৩২)
তিনি অন্য জায়গায় বলেন,
وَنَادٰى أَصْحَابُ الْأَعْرَافِ رِجَالاً يَعْرِفُونَهُمْ بِسِيمَاهُمْ قَالُوا مَا أَغْنٰى عَنْكُم جَمْعُكُمْ وَمَا كُنْتُمْ تَسْتَكْبِرُونَ، أَهؤُلاَءِ الَّذِينَ أَقْسَمْتُمْ لا يَنَالُهُمُ اللهُ بِرَحْمَةٍ ادْخُلُوا الجَنَّةَ لاَ خَوْفٌ عَلَيْكُمْ وَلاَ أَنْتُمْ تَحْزَنُونَ
অর্থাৎ, আ’রাফবাসিগণ কিছু লোককে তাদের লক্ষণ দ্বারা চিনতে পেরে তাদেরকে আহবান ক’রে বলবে, তোমাদের দল ও তোমাদের অহংকার কোন কাজে আসল না। দেখ এদেরই সম্বন্ধে কি তোমরা শপথ ক’রে বলতে যে, আল্লাহ এদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করবেন না। এদেরকেই বলা হবে, তোমরা জান্নাত প্রবেশ কর, তোমাদের কোন ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না। (সূরা আ’রাফ ৪৮-৪৯)
(৩৪৩৮) ইয়ায ইবনে হিমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা আমার নিকট অহী পাঠালেন যে, তোমরা পরস্পরে নম্র ব্যবহার অবলম্বন কর। যাতে কেউ যেন কারো প্রতি গর্ব না করে এবং কেউ যেন কারো প্রতি যুলুম না করে।
وَعَنْ عِيَاضِ بْنِ حِمَارٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إنَّ الله أوْحَى إِلَيَّ أنْ تَوَاضَعُوا حَتّٰـى لاَ يَفْخَرَ أحَدٌ عَلَى أحَدٍ وَلاَ يَبْغِي أحَدٌ عَلَى أحَدٍ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
(৩৪৩৯)আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দান-খয়রাত ধন-সম্পদ কমিয়ে দেয় না। বান্দা (অপরকে) ক্ষমা প্রদর্শন করলে আল্লাহ তার সম্মান বর্ধন করেন। আর আল্লাহর ওয়াসেত্ম যে ব্যক্তি বিনয়াবনত হয় আল্লাহ তাকে সুউন্নত করেন।
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أنَّ رَسُوْلَ الله ﷺ قَالَ مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ، وَمَا زادَ اللهُ عَبْداً بعَفْوٍ إِلاَّ عِزّاً وَمَا تَوَاضَعَ أحَدٌ للهِ إِلاَّ رَفَعَهُ اللهُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
(৩৪৪০) (আবু হুরাইরা (রাঃ) ও) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’প্রত্যেক মানুষের মাথায় লাগামের কড়িয়াল (মর্যাদা) আছে এক ফিরিশতার হাতে। যখন মানুষ বিনয়ী হয়, তখন ফিরিশতাকে বলা হয় যে, তুমি ওর (কড়িয়াল তুলে ধর, অর্থাৎ ওকে নিয়ন্ত্রণে রাখ এবং ওর) মর্যাদা উন্নীত কর। আর যখন সে অহংকারী হয়, তখন তাঁকে বলা হয় যে, ওর (কড়িয়াল ছেড়ে দাও, অর্থাৎ ওকে নিয়ন্ত্রণে রেখ না এবং ওর) মর্যাদা অবনত কর।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ رَسُولِ اللهِ ﷺ قَالَ مَا مِنْ آدَمِيٍّ إِلا فِي رَأْسِهِ حِكْمَةٌ بِيَدِ مَلَكٍ فَإِذَا تَوَاضَعَ قِيلَ لِلْمَلَكِ: ارْفَعْ حِكْمَتَهُ وَإِذَا تَكَبَّرَ قِيلَ لِلْمَلَكِ: ضَعْ حِكْمَتَهُ
পরিচ্ছেদঃ মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
(৩৪৪১)ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মুমিনগণ সরল-বিনম্র হয়। ঠিক লাগাম দেওয়া উটের মত; তাকে টানা হলে চলতে লাগে এবং পাথরের উপরে বসতে ইঙ্গিত করলে বসে যায়।
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ المُؤْمِنُونَ هَيِّنُونَ لَيِّنُونَ كالجَمَلِ الأَنِفِ إِنْ قَيِدَ انْقَادَ وَإِذَا أُنِيخَ عَلَى صَخْرَةٍ اسْتَنَاخَ
পরিচ্ছেদঃ মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
(৩৪৪২) আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি বিনম্র ও সরল-সিধা হবে, আল্লাহ তাকে দোযখের জন্য হারাম করে দেবেন।
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ أَنَّهُ قَالَ مَنْ كَانَ لَيِّنًا هَيِّنًا سَهْلاً حَرَّمَهُ اللهُ عَلَى النَّارِ
পরিচ্ছেদঃ মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
(৩৪৪৩) আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে ব্যক্তি অহংকারী নয়, যার সাথে তার খাদেম আহার করে, বাজারে গাধায় চড়ে এবং ছাগী বেঁধে দোহন করে।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا اسْتَكْبَرَ مَنْ أَكَلَ مَعَهُ خَادِمُهُ وَرَكِبَ الْحِمَارُ بِالأَسْوَاقِ وَاعْتَقَلَ الشَّاةَ فَحَلَبَهَا
পরিচ্ছেদঃ মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
(৩৪৪৪) আনাস (রাঃ) কতিপয় শিশুদের পাশ দিয়ে গেলেন অতঃপর তিনি তাদেরকে সালাম দিলেন এবং বললেন, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রকমই করতেন।’ (বুখারী ৬২৪৭, মুসলিম ৫৭৯১-৫৭৯৩)
وَعَن أَنَسٍ أنَّهُ مَرَّ عَلَى صِبيَانٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ وَقَالَ : كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يَفعَلُه متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
(৩৪৪৫) উক্ত রাবী থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, ’মদীনার ক্রীতদাসীদের মধ্যে এক ক্রীতদাসী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাত ধরে নিত, তারপর সে (নিজের প্রয়োজনে) তার ইচ্ছামত তাঁকে নিয়ে যেত।’ (বুখারী ৬০৭২)
وَعَنهُ قَالَ : إِنْ كَانَتِ الأَمَةُ مِنْ إمَاءِ المَدينَةِ لَتَأْخُذُ بِيَدِ النَّبِيِّ ﷺ فَتَنْطَلِقُ بِهِ حَيْثُ شَاءتْ رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
(৩৪৪৬) আবূ মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি তাঁর সাথে কথা বলার সময় কাঁপতে শুরু করলে তিনি বললেন, প্রকৃতিস্থ হও। আমি কোন রাজা নই। আমি তো কুরাইশের একটি এমন মহিলার সন্তান, যে মহিলা রোদে-বাতাসে শুকানো মাংস খেতো।
عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ قَالَ: أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ فَكَلَّمَهُ فَجَعَلَ تُرْعَدُ فَرَائِصُهُ فَقَالَ لَهُ هَوِّنْ عَلَيْكَ فَإِنِّي لَسْتُ بِمَلِكٍ إِنَّمَا أَنَا ابْنُ امْرَأَةٍ تَأْكُلُ الْقَدِيدَ
পরিচ্ছেদঃ মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
(৩৪৪৭) আসওয়াদ ইবনে ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে কী কাজ করতেন?’ তিনি বললেন, ’গৃহস্থালি কাজ করতেন; অর্থাৎ স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করতেন। অতঃপর নামাযের (সময়) হলে তিনি নামাযের জন্য বেরিয়ে যেতেন।’ (বুখারী ৬৭৬)
وَعَنِ الأَسْوَدِ بنِ يَزيدَ قَالَ : سُئِلَتْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا مَا كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يَصْنَعُ فِي بَيْتِهِ ؟ قَالَت : كَانَ يَكُونُ في مِهْنَةِ أهْلِهِ ـ يَعنِي : خِدمَة أَهلِه ـ فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
(৩৪৪৮) আবূ রিফাআহ তামীম ইবনে উসাইদ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলাম তখন তিনি খুতবা দিচ্ছিলেন। অতঃপর আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রসুল! আমি একজন বিদেশী মানুষ নিজের দ্বীন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে এসেছি, আমি জানি না আমার দ্বীন কী?’ (এ কথা শুনে) আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দিকে ফিরলেন এবং খুতবা দেওয়া বর্জন করলেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত তিনি আমার নিকটে এলেন। অতঃপর একটি চেয়ার আনা হল। তিনি তার উপর বসে আল্লাহ তাআলা তাঁকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তা থেকে আমাকে শিখাতে লাগলেন। অতঃপর তিনি খুতবায় ফিরে এসে তার শেষাংশটুকু পুরা করলেন।
وَعَن أَبي رِفَاعَةَ تَمِيمِ بنِ أُسَيْدٍ قَالَ : انْتَهَيْتُ إِلَى رَسُولِ الله ﷺ وَهُوَ يَخطُبُ فَقُلتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ رَجُلٌ غَرِيبٌ جَاءَ يَسْألُ عَن دِينهِ لاَ يَدْرِي مَا دِينُهُ ؟ فَأقْبَلَ عَليَّ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ وتَرَكَ خُطْبَتَهُ حَتّٰـى انْتَهَى إلَيَّ فَأُتِيَ بِكُرْسيٍّ فَقَعَدَ عَلَيْهِ وَجَعَلَ يُعَلِّمُنِي مِمَّا عَلَّمَهُ اللهُ ثُمَّ أَتَى خُطْبَتَهُ فَأتَمَّ آخِرَهَا رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
(৩৪৪৯) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আহার করতেন, তখন স্বীয় তিনটি আঙ্গুল চেটে খেতেন এবং বলতেন, কারো খাবারের লুকমা নিচে পড়ে গেলে সে যেন তা তুলে পরিষ্কার করে খেয়ে ফেলে এবং শয়তানের জন্য ফেলে না রাখে। আর তিনি আমাদেরকে খাদ্যপাত্র (বা বাসন) ভালভাবে চেটে খেতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, তোমরা জান না যে, তোমাদের কোন্ খাবারে বরকত নিহিত আছে।
وَعَن أَنَسٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ كَانَ إِذَا أكَلَ طَعَاماً لَعِقَ أصَابِعَهُ الثَّلاَثَ قَالَ : وَقَالَ إِذَا سَقَطَتْ لُقْمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيُمِط عَنهَا الأَذَى وَلِيَأكُلْهَا وَلاَ يَدَعْها لِلشَّيْطان وأَمَرَ أن تُسلَتَ القَصْعَةُ، قَالَ فإنَّكُمْ لاَ تَدْرُونَ في أيِّ طَعَامِكُمُ البَرَكَة رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
(৩৪৫০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা এমন কোন নবী প্রেরণ করেননি, যিনি বকরী চরাননি। তাঁর সাহাবীগণ বললেন, আর আপনিও? তিনি বললেন, হ্যাঁ! আমি কয়েক ক্বীরাত্বের বিনিময়ে মক্কাবাসীদের বকরী চরাতাম।
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَا بَعَثَ اللهُ نَبِيّاً إِلاَّ رَعَى الْغَنَمَ فَقَالَ أصْحَابُهُ: وأنْتَ ؟ قَالَ نَعَمْ كُنْتُ أرْعَاهَا عَلَى قَرَارِيطَ لأَهْلِ مَكَّةَ رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
(৩৪৫১) উক্ত রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি আমাকে ছাগলাদির পা অথবা বাহু খাওয়ানোর জন্য দাওয়াত দেওয়া হয়, তাহলে আমি নিশ্চয় তা কবুল করব। আর যদি আমাকে পা অথবা বাহু উপঢৌকন দেওয়া হয়, তাহলে আমি নিশ্চয় তা সাদরে গ্রহণ করব।
وَعَنهُ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ لَوْ دُعِيتُ إِلَى كُراعٍ أَوْ ذِرَاعٍ لأَجَبْتُ وَلَو أُهْدِيَ إِلَيَّ ذِرَاعٌ أَوْ كُرَاعٌ لَقَبِلْتُ رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ মু’মিনদের জন্য বিনয়ী ও বিনম্র হওয়ার গুরুত্ব
(৩৪৫২)আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আযববা নামক উটনীটি প্রতিযোগিতায় কোনদিন হারত না অথবা তাকে অতিক্রম করে কেউ যেতে পারত না। একবার এক বেদুঈন তার একটি সওয়ারী উঁটে সওয়ার হয়ে আসলে সেটি তার আগে চলে গেল। মুসলিমদের কাছে তা কষ্টদায়ক মনে হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা জানতে পারলে বললেন, আল্লাহর বিধান হল, দুনিয়ার কোন জিনিস উন্নত হলে, তিনি তাকে অবনত করেন।
وَعَن أَنَسٍ قَالَ : كَانَتْ نَاقَةُ رَسُولِ اللهِ ﷺ العَضْبَاءُ لاَ تُسْبَقُ أَوْ لاَ تَكَادُ تُسْبَقُ فَجَاءَ أعْرَابيٌّ عَلَى قَعُودٍ لَهُ فَسَبَقَهَا فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ حَتّٰـى عَرَفَهُ فَقَالَ حَقٌّ عَلَى اللهِ أنْ لاَ يَرْتَفِعَ شَيْءٌ مِنَ الدُّنْيَا إِلاَّ وَضَعَهُ رواه البخاري