পরিচ্ছেদঃ উপহার ও দান দেওয়ার ক্ষেত্রে পিতার এক সন্তানকে অন্য সন্তানের উপর প্রাধান্য দেওয়া মাকরূহ
(৩৪৩৭) নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তাঁর পিতা তাঁকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে হাজির হয়ে বললেন, ’আমি আমার এই ছেলেকে একটি গোলাম দান করেছি। (কিন্তু এর মা আপনাকে সাক্ষী রাখতে বলে।)’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সব ছেলেকেই কি তুমি এরূপ দান করেছ?’’ তিনি বললেন, ’না।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তাহলে তুমি তা ফেরৎ নাও।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, তোমার সব ছেলের সঙ্গেই এরূপ ব্যবহার দেখিয়েছ? তিনি বললেন, ’না।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমাদের সন্তানদের মাঝে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা কর। সুতরাং আমার পিতা ফিরে এলেন এবং ঐ সাদকাহ (দান) ফিরিয়ে নিলেন।
আর এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে বাশীর! তোমার কি এ ছাড়া অন্য সন্তান আছে?’’ তিনি বললেন, ’জী হ্যাঁ।’ (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ’’তাদের সকলকে কি এর মত দান দিয়েছ?’’ তিনি বললেন, ’জী না।’ (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ’’তাহলে এ ব্যাপারে আমাকে সাক্ষী মেনো না। কারণ আমি অন্যায় কাজে সাক্ষ্য দেব না।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, আমাকে অন্যায় কাজে সাক্ষী মেনো না।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, এ ব্যাপারে তুমি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে সাক্ষী মানো। অতঃপর তিনি বললেন, ’’তুমি কি এ কথায় খুশী হবে যে, তারা তোমার সেবায় সমান হোক?’’ বাশীর বললেন, ’জী অবশ্যই।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে এরূপ করো না।
عَنِ النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ أبَاهُ أتَى بِهِ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ فَقَالَ : إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي هَذَا غُلاَماً كَانَ لِي فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَكُلَّ وَلَدِكَ نَحَلْتَهُ مِثْلَ هَذَا ؟ فَقَالَ : لاَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَأَرْجِعهُ
وَفي رِوَايةٍ: فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَفَعَلْتَ هذَا بِوَلَدِكَ كُلِّهِمْ ؟ قَالَ : لاَ قَالَ اِتَّقُوا الله وَاعْدِلُوا فِي أَوْلاَدِكُمْ فَرَجَعَ أَبِي فَرَدَّ تِلْكَ الصَّدَقَةَ
وفي روايةٍ : فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَا بَشيرُ أَلَكَ وَلَدٌ سِوَى هَذَا ؟ فَقَالَ : نَعَمْ قَالَ أكُلَّهُمْ وَهَبْتَ لَهُ مِثْلَ هذَا ؟ قَالَ : لاَ قَالَ فَلاَ تُشْهِدْنِي إِذاً فَإِنِّي لاَ أَشْهَدُ عَلَى جَوْرٍ
وفي روايةٍ لاَ تُشْهِدْنِي عَلَى جَوْرٍ
وفي رواية أَشْهِدْ عَلَى هذَا غَيْرِي ثُمَّ قَالَ أَيَسُرُّكَ أَنْ يَكُونُوا إِلَيْكَ فِي البِرِّ سَواءً؟ قَالَ : بَلَى قَالَ فَلا إِذاً متفق عليه