পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

وَمَا مِنْ دَابَّةٍ في الأرْضِ إِلاَّ عَلَى اللهِ رِزْقُهَا

অর্থাৎ, আর ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী কোন এমন প্রাণী নেই যে, তার রুযী আল্লাহর দায়িত্বে নেই। (সূরা হূদ ৬ আয়াত)। তিনি আরো বলেন,

لِلْفُقَرَاءِ الَّذِينَ أُحْصِرُوا في سَبِيلِ اللهِ لاَ يَسْتَطِيعُونَ ضَرْباً فِي الأَرْضِ يَحْسَبُهُمُ الْجَاهِلُ أَغْنِيَاءَ مِنَ التَّعَفُّفِ تَعْرِفُهُمْ بِسِيمَاهُمْ لاَ يَسْأَلُونَ النَّاسَ إلْحَافاً

অর্থাৎ, (দান) অভাবগ্রস্ত লোকদের প্রাপ্য; যারা আল্লাহর পথে এমনভাবে ব্যাপৃত যে, জীবিকার সন্ধানে ভূপৃষ্ঠে ঘোরা-ফেরা করতে পারে না। তারা কিছু চায় না বলে, অবিবেচক লোকেরা তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। তুমি তাদেরকে তাদের লক্ষণ দেখে চিনতে পারবে; তারা লোকদের কাছে নাছোড় বান্দা হয়ে কিছু চাই না। (সূরা বাক্বারাহ ২৭৩ আয়াত) তিনি অন্যত্র বলেন,

وَالَّذِينَ إِذَا أَنْفَقُوا لَمْ يُسْرِفُوا وَلَمْ يَقْتُرُوا وَكَانَ بَيْنَ ذَلِكَ قَوَاماً

অর্থাৎ, যারা ব্যয় করলে অপচয় করে না, কার্পণ্য ও করে না; বরং তারা এ দুয়ের মধ্যবর্তী পন্থা অবলম্বন করে। (সূরা ফুরকান ৬৭ আয়াত)। তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন,

وَمَا خَلَقْتُ الجِنَّ وَالإِنْسَ إِلاَّ لِيَعْبُدُونِ مَا أُرِيدُ مِنْهُمْ مِنْ رِزْقٍ وَمَا أُرِيدُ أَنْ يُطْعِمُونِ

অর্থাৎ, আমি সৃষ্টি করেছি জ্বিন ও মানুষকে কেবল এ জন্য যে, তারা আমারই ইবাদত করবে। আমি তাদের নিকট হতে জীবিকা চাই না এবং এও চাই না যে তারা আমার আহার্য যোগাবে। (সূরা যারিয়াত ৫৬-৫৭ আয়াত)

এ ব্যাপারে পূর্বের দুই পরিচ্ছেদে অধিকাংশ হাদীস পার হয়েছে। আরো কিছু হাদীস নিম্নরূপ


(২৯৮) আবূ-হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বিষয় সম্পদের আধিক্য ধনবত্তা নয়, প্রকৃত ধনবত্তা হল অন্তরের ধনবত্তা।

عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ لَيْسَ الغِنَى عَن كَثرَةِ العَرَض وَلكِنَّ الغِنَى غِنَى النَّفْسِ متفقٌ عَلَيْهِ

عن ابي هريرة عن النبي ﷺ قال ليس الغنى عن كثرة العرض ولكن الغنى غنى النفس متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(২৯৯) আবূ যার্র (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন হে আবূ যার! তুমি কি বিষয়-সম্পদের আধিক্যকে ধনবত্তা মনে কর? আমি বললাম, ’হ্যাঁ।’ অতঃপর তিনি বললেন, তুমি কি ধন-মালের স্বল্পতাকে দরিদ্রতা মনে কর? আমি বললাম, ’হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, বরং প্রকৃত ধনবত্তা হল অন্তরের ধনবত্তা। আর প্রকৃত দরিদ্রতা হল অন্তরে দরিদ্রতা।

عَنْ أَبيْ ذَرٍّ قَالَ: قَالَ لِيْ رَسُوْلُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا أَبَا ذَرٍّ أَتُرَى كَثْرَةَ المَالِ هُوَ الْغِنَى؟ قلت نعم يَا رَسُول الله قَالَ أَفَتَرَى قِلَّةَ الْماَلِ هُوَ الْفَقْر؟ قُلْتُ نَعَمْ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: إِنَّمَا الْغِنَى غِنَى الْقَلْبِ وَالْفَقْرُ فَقْرُ الْقَلْبِ

عن ابي ذر قال: قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم: يا ابا ذر اترى كثرة المال هو الغنى؟ قلت نعم يا رسول الله قال افترى قلة المال هو الفقر؟ قلت نعم يا رسول الله قال: انما الغنى غنى القلب والفقر فقر القلب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩০০) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ’স (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে ব্যক্তি সফলকাম, যে ইসলাম গ্রহণ করেছে, তাকে পরিমিত রুযী দেওয়া হয়েছে এবং আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তাতে তাকে তুষ্ট করেছেন।

وَعَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أن رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ قَدْ أفْلَحَ مَنْ أسْلَمَ وَكَانَ رِزْقُهُ كَفَافاً وَقَنَّعَهُ اللهُ بِمَا آتَاهُ رواه مسلم

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما : ان رسول الله ﷺ قال قد افلح من اسلم وكان رزقه كفافا وقنعه الله بما اتاه رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩০১) উবাইদুল্লাহ বিন মিহস্বান খাত্বমী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার ঘরে অথবা গোষ্ঠীর মধ্যে নিরাপদে ও সুস্থ শরীরে সকাল করেছে এবং তার কাছে প্রতি দিনের খাবার আছে, তাকে যেন পার্থিব সমস্ত সম্পদ দান করা হয়েছে।

عَن عُبَيْدِ اللهِ بْنِ مِحْصَنٍ الْخَطْمِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ أَصْبَحَ مِنْكُمْ آمِنًا فِي سِرْبِهِ مُعَافًى فِي جَسَدِهِ عَندَهُ قُوتُ يَوْمِهِ فَكَأَنَّمَا حِيزَتْ لَهُ الدُّنْيَا (بحذافيرها)

عن عبيد الله بن محصن الخطمي قال قال رسول الله ﷺ من اصبح منكم امنا في سربه معافى في جسده عنده قوت يومه فكانما حيزت له الدنيا (بحذافيرها)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩০২) হাকীম ইবনে হিযাম (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কিছু চাইলে তিনি আমাকে দিলেন। আবার চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন। আবার চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন। অতঃপর বললেন, হে হাকীম! এ সম্পদ শ্যামল-সুমিষ্ট। যে ব্যক্তি (লোভহীন) প্রশস্ত হৃদয়ে তা গ্রহণ করবে, তার জন্য তাতে বরকত দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তি অন্তরের লোভসহ গ্রহণ করবে, তার জন্য তাতে বরকত দেওয়া হবে না। আর সে হবে এমন ব্যক্তির মত, যে খায় কিন্তু তার ক্ষুধা মেটে না। উপর হাত নিচু হাত হতে উত্তম। (দাতা গ্রহীতা হতে উত্তম।)

হাকীম বলেন, আমি বললাম, যিনি আপনাকে সত্যসহকারে পাঠিয়েছেন, তাঁর কসম! ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনার পর মৃত্যু পর্যন্ত আমি কারো কাছ থেকে কিছু গ্রহণ করব না। তারপর আবূ বকর (রাঃ) হাকীমকে অনুদান গ্রহণের জন্য ডাকতেন, কিন্তু তাঁর নিকট থেকে কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকার করতেন। অতঃপর উমার (রাঃ) তাঁকে কিছু দেওয়ার জন্য ডাকলেন, কিন্তু তিনি তাঁর নিকট থেকেও কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন। উমার (রাঃ) বললেন, হে মুসলিমগণ! হাকীমের ব্যাপারে আমি তোমাদেরকে সাক্ষী বানাচ্ছি যে, আমি তাঁর কাছে ’ফাই’ থেকে তাঁর প্রাপ্য পেশ করছি, কিন্তু সে তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করছে। (সত্য সত্যই) হাকীম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কোন মানুষের নিকট থেকে কিছু গ্রহণ করেননি।

وَعَن حَكِيمِ بنِ حِزَامٍ قَالَ : سألتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ فَأعْطَانِي ثُمَّ سَألْتُهُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَألْتُهُ فَأعْطَانِي ثُمَّ قَالَ يَا حَكِيم إنَّ هَذَا المَالَ خَضِرٌ حُلْوٌ فَمَنْ أخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفسٍ بُورِكَ لَهُ فِيهِ وَمَنْ أخَذَهُ بإشرَافِ نَفسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ وَكَانَ كَالَّذِي يَأكُلُ وَلاَ يَشْبَعُ وَاليَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ اليَدِ السُّفْلَى قَالَ حَكِيم : فَقُلتُ : يَا رَسُولَ اللهِ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالحَقِّ لاَ أرْزَأُ أحَداً بَعْدَكَ شَيْئاً حَتَّى أُفَارِقَ الدُّنْيَا فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَدْعُو حَكيماً لِيُعْطِيَه العَطَاء فَيَأبَى أنْ يَقْبَلَ مِنْهُ شَيْئاً ثُمَّ إنَّ عُمَرَ دَعَاهُ لِيُعْطِيَه فَأَبَى أنْ يَقْبَلَهُ فَقَالَ : يَا مَعْشَرَ المُسْلِمِينَ أُشْهِدُكُمْ عَلَى حَكيمٍ أنّي أعْرِضُ عَلَيْهِ حَقَّهُ الَّذِي قَسَمَهُ اللهُ لَهُ في هَذَا الفَيءِ فَيَأبَى أَنْ يَأخُذَهُ فَلَمْ يَرْزَأْ حَكِيمٌ أحَداً مِنَ النَّاسِ بَعْدَ النَّبِيِّ ﷺ حَتَّى تُوُفِّي متفقٌ عَلَيْهِ

وعن حكيم بن حزام قال : سالت رسول الله ﷺ فاعطاني ثم سالته فاعطاني ثم سالته فاعطاني ثم قال يا حكيم ان هذا المال خضر حلو فمن اخذه بسخاوة نفس بورك له فيه ومن اخذه باشراف نفس لم يبارك له فيه وكان كالذي ياكل ولا يشبع واليد العليا خير من اليد السفلى قال حكيم : فقلت : يا رسول الله والذي بعثك بالحق لا ارزا احدا بعدك شيىا حتى افارق الدنيا فكان ابو بكر يدعو حكيما ليعطيه العطاء فيابى ان يقبل منه شيىا ثم ان عمر دعاه ليعطيه فابى ان يقبله فقال : يا معشر المسلمين اشهدكم على حكيم اني اعرض عليه حقه الذي قسمه الله له في هذا الفيء فيابى ان ياخذه فلم يرزا حكيم احدا من الناس بعد النبي ﷺ حتى توفي متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩০৩) আবূ বুরদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, আবূ মুসা আশআরী (রাঃ) বলেন, কোন যুদ্ধে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে রওনা হলাম। আমরা ছিলাম ছ’জন। আমাদের একটি মাত্র উঁট ছিল। পর্যায়ক্রমে এক এক করে আমরা তার পিঠে আরোহন করলাম। (হেঁটে হেঁটে) আমাদের পা ফেটে গেল। আমার পা দু’খানাও ফেটে গেল, খসে গেল নখগুলো। এ কারণে আমরা আমাদের পায়ে নেকড়া বাঁধলাম। এ জন্য এ যুদ্ধকে ’যাতুর রিকা’ (নেকড়া-ওয়ালা) যুদ্ধ বলা হয়। কেননা, এ যুদ্ধে আমরা আমাদের পায়ে নেকড়া দিয়ে পট্টি বেঁধেছিলাম।

আবূ মূসা (রাঃ) উক্ত ঘটনা বর্ণনা করতেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এ ঘটনা বর্ণনা করাকে পছন্দ করতেন না। তিনি বলেন, আমি এভাবে বর্ণনা করাকে ভাল মনে করি না। সম্ভবতঃ তিনি পছন্দ করতেন না যে, তাঁর কিছু আমল তিনি প্রকাশ করুন।

وَعَنْ أَبيْ بُردَةَ عَنْ أَبيْ مُوسَى الأَشعَرِي قَالَ : خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ في غَزاةٍ وَنَحْنُ سِتَّةُ نَفَرٍ بَيْنَنَا بَعِيرٌ نَعْتَقِبُهُ فَنقِبَت أَقدَامُنَا وَنَقِبَت قَدَمِي وَسَقَطَت أظْفَارِي فَكُنَّا نَلُفُّ عَلَى أرْجُلِنا الخِرَقَ فَسُمِّيَت غَزْوَةَ ذَاتِ الرِّقَاعِ لِمَا كُنَّا نَعْصِبُ عَلَى أرْجُلِنَا مِنَ الخِرَقِ قَالَ أَبُو بُردَةَ: فَحَدَّثَ أَبُو مُوسَى بِهَذَا الحَدِيثِ ثُمَّ كَرِه ذَلِكَ وَقَالَ : مَا كُنْتُ أصْنَعُ بِأنْ أذْكُرَهُ قَالَ : كأنَّهُ كَرِهَ أنْ يَكُونَ شَيْئاً مِنْ عَمَلِهِ أفْشَاهُ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي بردة عن ابي موسى الاشعري قال : خرجنا مع رسول الله ﷺ في غزاة ونحن ستة نفر بيننا بعير نعتقبه فنقبت اقدامنا ونقبت قدمي وسقطت اظفاري فكنا نلف على ارجلنا الخرق فسميت غزوة ذات الرقاع لما كنا نعصب على ارجلنا من الخرق قال ابو بردة: فحدث ابو موسى بهذا الحديث ثم كره ذلك وقال : ما كنت اصنع بان اذكره قال : كانه كره ان يكون شيىا من عمله افشاه متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩০৪) আমর ইবনে তাগলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট মাল অথবা যুদ্ধবন্দী নিয়ে আসা হল। অতঃপর তিনি তা বন্টন করলেন। তিনি কিছু লোককে দিলেন এবং কিছু লোককে ছাড়লেন। তারপর তিনি খবর পেলেন যে, যাদেরকে তিনি দেননি, তারা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। সুতরাং তিনি (ভাষণের প্রারম্ভে) আল্লাহর প্রশংসা ও স্তুতি বর্ণনা করলেন, অতঃপর বললেন, আম্মা বা’দ! আল্লাহর কসম! আমি কাউকে দিই এবং কাউকে ছাড়ি। যাকে ছাড়ি সে আমার নিকট ঐ ব্যক্তি চেয়ে উত্তম, যাকে দিই। কিন্তু আমি কিছু লোককে কেবলমাত্র এই জন্য দিই যে, আমি তাদের অন্তরে অস্থিরতা ও উদ্বেগ লক্ষ্য করি এবং অন্য কিছু লোককে আমি ঐ ধনবত্তা ও কল্যাণের দিকে সঁপে দিই, যা আল্লাহ তাদের অন্তরে নিহিত রেখেছেন। তাদের মধ্যে আমর ইবনে তাগলিব একজন। আমর ইবনে তাগলিব বলেন, ’আল্লাহর কসম! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এ কথার বিনিময়ে লাল উঁট নেওয়াও পছন্দ করি না।

وَعَن عَمرِو بنِ تَغْلِبَ أنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ أُتِيَ بِمَالٍ أَوْ سَبْيٍ فَقَسَّمَهُ فَأعْطَى رِجَالاً وَتَرَكَ رِجَالاً فَبَلغَهُ أنَّ الَّذِينَ تَرَكَ عَتَبُوا فَحَمِدَ اللهَ ثُمَّ أثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ أمَّا بعْدُ فَواللهِ إنِّي لأُعْطِي الرَّجُلَ وَأدَعُ الرَّجُلَ وَالَّذِي أدَعُ أحَبُّ إلَيَّ مِنَ الَّذِي أُعْطِي وَلَكِنِّي إنَّمَا أُعْطِي أقْوَاماً لِمَا أرَى في قُلُوبِهِمْ مِنَ الجَزَعِ وَالهَلَعِ وَأكِلُ أقْوَاماً إِلَى مَا جَعَلَ اللهُ في قُلُوبِهم مِنَ الغِنَى وَالخَيْرِ مِنْهُمْ عَمْرُو بنُ تَغْلِبَ قَالَ عَمْرُو بنُ تَغْلِبَ : فَوَاللهِ مَا أُحِبُّ أنَّ لِي بِكَلِمَةِ رَسُولِ اللهِ ﷺ حُمْرَ النَّعَم رواه البخاري

وعن عمرو بن تغلب ان رسول الله ﷺ اتي بمال او سبي فقسمه فاعطى رجالا وترك رجالا فبلغه ان الذين ترك عتبوا فحمد الله ثم اثنى عليه ثم قال اما بعد فوالله اني لاعطي الرجل وادع الرجل والذي ادع احب الي من الذي اعطي ولكني انما اعطي اقواما لما ارى في قلوبهم من الجزع والهلع واكل اقواما الى ما جعل الله في قلوبهم من الغنى والخير منهم عمرو بن تغلب قال عمرو بن تغلب : فوالله ما احب ان لي بكلمة رسول الله ﷺ حمر النعم رواه البخاري

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩০৫) হাকীম ইবনে হিযাম (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, উপরের (দাতা) হাত নিচের (গ্রহীতা) হাত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্বে আছে তাদেরকে আগে দাও। প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থেকে সাদকাহ করা উত্তম। যে ব্যক্তি (হারাম ও ভিক্ষা করা থেকে) পবিত্র থাকতে চায়, আল্লাহ তাকে পবিত্র রাখেন এবং যে পরমুখাপেক্ষিতা থেকে বেঁচে থাকতে চায়, আল্লাহ তাকে অভাবশূন্য করে দেন।

وَعَن حَكِيمِ بنِ حِزَامٍ أنّ النَّبيَّ ﷺ قَالَ اليَدُ العُلْيَا خَيْرٌ مِنَ اليَدِ السُّفْلَى وَابْدَأ بِمَنْ تَعُولُ وَخَيْرُ الصَّدَقَةِ مَا كَانَ عَن ظَهْرِ غِنىً وَمَنْ يَسْتَعْفِفْ يُعِفَّهُ اللهُ وَمَنْ يَسْتَغْنِ يُغْنِهِ اللهُ متفق عليه وهذا لفظ البخاري ولفظ مسلم أخصر

وعن حكيم بن حزام ان النبي ﷺ قال اليد العليا خير من اليد السفلى وابدا بمن تعول وخير الصدقة ما كان عن ظهر غنى ومن يستعفف يعفه الله ومن يستغن يغنه الله متفق عليه وهذا لفظ البخاري ولفظ مسلم اخصر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩০৬) আবূ আব্দুর রহমান মুআবিয়া ইবনে আবূ সুফয়ান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা নাছোড়বান্দা হয়ে ভিক্ষা করো না। আল্লাহর কসম! তোমাদের মধ্যে যে কেউ আমার নিকট কোন কিছু চাইবে, অতঃপর আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও যদি আমার কাছ থেকে কিছু বের হয় (কাউকে কিছু দিই), তাহলে তাতে বরকত হবে না।

وَعَنْ أَبيْ عَبدِ الرَّحمَانِ مُعَاوِيَةَ بنِ أبي سُفيَانَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لاَ تُلْحِفُوا في الْمَسْأَلَةِ فَوَاللهِ لاَ يَسْأَلُنِي أَحَدٌ مِنْكُمْ شَيْئاً فَتُخْرِجَ لَهُ مَسْأَلَتُهُ مِنِّي شَيْئاً وَأنَا لَهُ كَارِهٌ فَيُبَارَكَ لَهُ فِيمَا أعْطَيْتُهُ رواه مسلم

وعن ابي عبد الرحمان معاوية بن ابي سفيان قال : قال رسول الله ﷺ لا تلحفوا في المسالة فوالله لا يسالني احد منكم شيىا فتخرج له مسالته مني شيىا وانا له كاره فيبارك له فيما اعطيته رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩০৭) আবূ আব্দুর রহমান আওফ ইবনে মালিক আশজাঈ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ৯ জন অথবা ৮ জন অথবা ৭ জন লোক ছিলাম। তিনি বললেন, তোমরা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বায়আত করবে না? (হাদীসের বর্ণনাকারী বলেন) অথচ আমরা কিছু সময় পূর্বেই তাঁর সাথে বায়আত ক’রে ফেলেছি। সুতরাং আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা তো আপনার সাথে বায়আত করে ফেলেছি। পুনরায় তিনি বললেন, তোমরা কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বায়আত করবে না? সুতরাং আমরা নিজেদের হাতগুলো বিস্তার করলাম এবং বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা আপনার সাথে বায়আত করেছি। সুতরাং এখন কোন্ কথার উপর আপনার সাথে বায়আত করব?

তিনি বললেন, এ কথার উপর যে, তোমরা এক আল্লাহর উপাসনা করবে এবং তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না, পাঁচ ওয়াক্তের নামায পড়বে এবং আল্লাহর আনুগত্য করবে। আর একটি কথা তিনি চুপিসারে বললেন, তোমরা লোকদের নিকট কোন কিছু চাইবে না। অতঃপর আমি (বায়আত গ্রহণকারীদের) মধ্যে কিছু লোককে দেখছি যে, তাঁদের মধ্যে কারো চাবুক যদি যমীনে পড়ে যেত, তাহলে তিনি কাউকে তা উঠিয়ে দিতে বলতেন না। (বরং স্বয়ং সওয়ারী থেকে নেমে তা উঠিয়ে নিতেন।)

وَعَنْ أَبيْ عَبدِ الرَّحمَانِ عَوفِ بنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ قَالَ : كُنَّا عَندَ رَسُولِ اللهِ ﷺ تِسْعَةً أَوْ ثَمَانِيَةً أَوْ سَبْعَةً فَقَالَ ألاَ تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللهِ ﷺوَكُنَّا حَدِيثِي عَهْدٍ بِبَيْعَةٍ فَقُلْنَا : قَدْ بَايَعَناكَ يَا رَسُولَ اللهِ ثمَّ قَالَ ألا تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللهِ فَبَسَطْنَا أيْدِيَنَا وَقُلنَا : قدْ بَايَعَناكَ فَعَلامَ نُبَايِعُكَ ؟ قَالَ عَلَى أنْ تَعْبُدُوا اللهَ وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئاً وَالصَّلَوَاتِ الخَمْسِ وَتُطِيعُوا اللهَ وأَسَرَّ كَلِمَةً خَفِيفَةً وَلاَ تَسْألُوا النَّاسَ شَيْئاً فَلَقَدْ رَأيْتُ بَعْضَ أُولئِكَ النَّفَرِ يَسْقُطُ سَوطُ أحَدِهِمْ فَمَا يَسأَلُ أحَداً يُنَاوِلُهُ إيّاهُ رواه مسلم

وعن ابي عبد الرحمان عوف بن مالك الاشجعي قال : كنا عند رسول الله ﷺ تسعة او ثمانية او سبعة فقال الا تبايعون رسول الله ﷺوكنا حديثي عهد ببيعة فقلنا : قد بايعناك يا رسول الله ثم قال الا تبايعون رسول الله فبسطنا ايدينا وقلنا : قد بايعناك فعلام نبايعك ؟ قال على ان تعبدوا الله ولا تشركوا به شيىا والصلوات الخمس وتطيعوا الله واسر كلمة خفيفة ولا تسالوا الناس شيىا فلقد رايت بعض اولىك النفر يسقط سوط احدهم فما يسال احدا يناوله اياه رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩০৮) ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সর্বদা ভিক্ষা করতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করে তো (সে এই অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে,) তার চেহারায় কোন মাংস টুকরা থাকবে না।

وَ عَنْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ النَّبيَّ ﷺ قَالَ لاَ تَزَالُ الْمَسْأَلةُ بأَحَدِكُمْ حَتَّى يَلْقَى اللهَ تَعَالَى وَلَيْسَ فِي وَجْهِهِ مُزْعَةُ لَحْمٍ متفقٌ عَلَيْهِ

و عن ابن عمر رضي الله عنهما : ان النبي ﷺ قال لا تزال المسالة باحدكم حتى يلقى الله تعالى وليس في وجهه مزعة لحم متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩০৯) উক্ত রাবী [ইবনে উমার (রাঃ)] থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারের উপর আরোহণ করে বললেন এবং তিনি সাদকাহ ও ভিক্ষা করা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে আলোচনা করলেন। (এই সুযোগে) তিনি বললেন, উঁচু হাত নিচু হাতের চেয়ে উত্তম, আর দানকারীর হাত হচ্ছে উঁচু হাত এবং ভিক্ষাকারীর হাত হচ্ছে নিচু হাত।

وَعَنْهُ : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ وَهُوَ عَلَى المِنْبَرِ وَذَكَرَ الصَّدَقَةَ وَالتَّعَفُّفَ عَن الْمَسْأَلَةِ اليَدُ العُلْيَا خَيْرٌ مِنَ اليَدِ السُّفْلَى وَاليَدُ العُلْيَا هِيَ المُنْفِقَةُ وَالسُّفْلَى هِيَ السَّائِلَةُ متفقٌ عَلَيْهِ

وعنه : ان رسول الله ﷺ قال وهو على المنبر وذكر الصدقة والتعفف عن المسالة اليد العليا خير من اليد السفلى واليد العليا هي المنفقة والسفلى هي الساىلة متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩১০) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মাল বৃদ্ধি করার জন্য মানুষের নিকট ভিক্ষা করে, সে আসলে আগুনের আঙ্গার ভিক্ষা করে থাকে। ফলে (সে এখন তা) অল্প ভিক্ষা করুক অথবা বেশী।

وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ سَألَ النَّاسَ تَكَثُّراً فإنَّمَا يَسْألُ جَمْراً فَلْيَسْتَقِلَّ أَوْ لِيَسْتَكْثِرْ رواه مسلم

وعن ابي هريرة قال : قال رسول الله ﷺ من سال الناس تكثرا فانما يسال جمرا فليستقل او ليستكثر رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩১১) সামুরাহ ইবনে জুন্দুব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ভিক্ষা করা এক জখম করার কাজ, তা দ্বারা মানুষ নিজ চেহারাকে জখম করে। কিন্তু সে ব্যক্তি যদি বাদশাহর কাছে চায় অথবা নিরুপায় হয়ে চায় (তাহলে তা স্বতন্ত্র)।

وَعَن سَمُرَةَ بنِ جُنْدُبٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إنَّ المَسْأَلَةَ كَدٌّ يَكُدُّ بِهَا الرَّجُلُ وَجْهَهُ إِلاَّ أنْ يَسْأَلَ الرَّجُلُ سُلْطاناً أَوْ في أمْرٍ لاَ بُدَّ مِنْهُ رواه الترمذي و قَالَ حديث حسن صحيح

وعن سمرة بن جندب قال : قال رسول الله ﷺ ان المسالة كد يكد بها الرجل وجهه الا ان يسال الرجل سلطانا او في امر لا بد منه رواه الترمذي و قال حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩১২) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে অভাবগ্রস্ত হয় এবং তার অভাব লোকেদের নিকট প্রকাশ করে, তার অভাব দূর করা হয় না। আর যে ব্যক্তি তা আল্লাহর নিকট প্রকাশ করে, আল্লাহ তাকে শীঘ্র অথবা বিলম্বে জীবিকা প্রদান করেন।

وَعَن ابنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ أصَابَتْهُ فَاقَةٌ فَأنْزَلَهَا بالنَّاسِ لَمْ تُسَدَّ فَاقَتُهُ وَمَنْ أنْزَلَهَا باللهِ فَيُوشِكُ اللهُ لَهُ بِرِزْقٍ عَاجِلٍ أَوْ آجِلٍ رواه أَبُو داود والترمذي و قَالَ حديث حسن

وعن ابن مسعود قال : قال رسول الله ﷺ من اصابته فاقة فانزلها بالناس لم تسد فاقته ومن انزلها بالله فيوشك الله له برزق عاجل او اجل رواه ابو داود والترمذي و قال حديث حسن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩১৩) সাওবান (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি আমার জন্য এ কথার জামিন হবে যে, সে লোকেদের নিকট কোন কিছু চাইবে না, আমি তার জন্য জান্নাতের জামিন হব। আমি বললাম, আমি (এর জামিন)। সুতরাং সাওবান কারো নিকট কোন কিছু চাইতেন না।

وَعَن ثَوبَانَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ تَكَفَّلَ لِي أنْ لاَ يَسْأَلَ النَّاسَ شَيْئاً وَأتَكَفَّلُ لَهُ بِالْجَنَّةِ ؟ فَقُلتُ : أنَا فَكَانَ لاَ يَسْأَلُ أحَداً شَيْئاً رواه أَبُو داود بإسناد صحيح

وعن ثوبان قال : قال رسول الله ﷺ من تكفل لي ان لا يسال الناس شيىا واتكفل له بالجنة ؟ فقلت : انا فكان لا يسال احدا شيىا رواه ابو داود باسناد صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩১৪) আবূ বিশর ক্বাবীস্বাহ ইবনে মুখারেক (রাঃ) বলেন, একবার এক অর্থদণ্ডের দায়িত্ব আমার ঘাড়ে থাকলে আমি সে ব্যাপারে সাহায্য নিতে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম। তিনি বললেন, সাদকার মাল আসা পর্যন্ত তুমি অবস্থান কর। এলে তোমাকে তা দেওয়ার আদেশ করব। অতঃপর তিনি বললেন, হে ক্বাবীসবাহ! তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো জন্য চাওয়া বৈধ নয়; (১) যে ব্যক্তি অর্থদণ্ডে পড়বে (কারো দিয়াত বা জরিমানা দেওয়ার যামিন হবে), তার জন্য চাওয়া হালাল। অতঃপর তা পরিশোধ হয়ে গেলে সে চাওয়া বন্ধ করবে। (২) যে ব্যক্তি দুর্যোগগ্রস্ত হবে এবং তার মাল ধ্বংস হয়ে যাবে, তার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত চাওয়া বৈধ, যতক্ষণ তার সচ্ছল অবস্থা ফিরে না এসেছে। (৩) যে ব্যক্তি অভাবী হয়ে পড়বে এবং তার গোত্রের তিনজন জ্ঞানী লোক এ কথার সাক্ষ্য দেবে যে, অমুক অভাবী, তখন তার জন্য চাওয়া বৈধ। আর এ ছাড়া হে ক্বাবীস্বাহ অন্য লোকের জন্য চেয়ে (মেগে) খাওয়া হারাম। সে মাল খেলে হারাম খাওয়া হবে।

وَعَنْ أَبيْ بِشْرٍ قَبيصَةَ بنِ المُخَارِقِ قَالَ : تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً فَأتَيْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ أسْأَلُهُ فِيهَا فَقَالَ أقِمْ حَتَّى تَأتِيَنَا الصَّدَقَةُ فَنَأمُرَ لَكَ بِهَا ثُمَّ قَالَ يَا قَبيصةُ إنَّ المَسْأَلَةَ لاَ تَحِلُّ إِلاَّ لأَحَدِ ثلاثَةٍ : رَجُلٌ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ المَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَها ثُمَّ يُمْسِكُ وَرَجُلٌ أصَابَتْهُ جَائِحَةٌ اجْتَاحَتْ مَالَهُ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَاماً مِنْ عَيش - أَوْ قَالَ : سِدَاداً مِنْ عَيْشٍ - وَرَجُلٌ أصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتَّى يَقُولَ ثَلاَثَةٌ مِنْ ذَوِي الحِجَى مِنْ قَوْمِه : لَقَدْ أصَابَتْ فُلاناً فَاقَةٌ فَحلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتَّى يُصِيبَ قِوَاماً مِن عَيش أَوْ قَالَ : سِدَاداً مِن عَيشٍ فَمَا سِوَاهُنَّ مِنَ المسألَةِ يَا قَبِيصَةُ سُحْتٌ يَأكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتاً رواه مسلم

وعن ابي بشر قبيصة بن المخارق قال : تحملت حمالة فاتيت رسول الله ﷺ اساله فيها فقال اقم حتى تاتينا الصدقة فنامر لك بها ثم قال يا قبيصة ان المسالة لا تحل الا لاحد ثلاثة : رجل تحمل حمالة فحلت له المسالة حتى يصيبها ثم يمسك ورجل اصابته جاىحة اجتاحت ماله فحلت له المسالة حتى يصيب قواما من عيش - او قال : سدادا من عيش - ورجل اصابته فاقة حتى يقول ثلاثة من ذوي الحجى من قومه : لقد اصابت فلانا فاقة فحلت له المسالة حتى يصيب قواما من عيش او قال : سدادا من عيش فما سواهن من المسالة يا قبيصة سحت ياكلها صاحبها سحتا رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩১৫) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক গ্রাস ও দু’গ্রাস এবং একটি খেজুর ও দু’টি খেজুরের জন্য যে লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায় সে মিসকীন নয়। (আসলে) মিসকীন তো সেই, যার কাছে (অপর থেকে) অমুখাপেক্ষী হওয়ার মত মাল নেই এবং (বাহ্যতঃ) তাকে গরীবও বুঝায় না যে, তাকে সাদকাহ দেওয়া যাবে। আর সে উঠে লোকের কাছে চায়ও না।

وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ لَيْسَ المسكينُ الَّذِي يَطُوفُ عَلَى النَّاسِ تَرُدُّهُ اللُّقْمَةُ وَاللُّقْمَتَانِ وَالتَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ وَلكِنَّ المِسكينَ الَّذِي لاَ يَجِدُ غِنىً يُغْنِيهِ وَلاَ يُفْطَنُ لَهُ فَيُتَصَدَّقُ عَلَيْهِ وَلاَ يَقُومُ فَيَسْألُ النَّاسَ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال ليس المسكين الذي يطوف على الناس ترده اللقمة واللقمتان والتمرة والتمرتان ولكن المسكين الذي لا يجد غنى يغنيه ولا يفطن له فيتصدق عليه ولا يقوم فيسال الناس متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩১৬) মা’কাল বিন ইয়াসার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের প্রতিপালক বলেন, হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতে নিরত হও, আমি তোমার হৃদয়কে ধনবত্তায় এবং উভয় হাতকে রুযীতে ভরে দেব। হে আদম সন্তান! আমার নিকট থেকে দূরে সরে যেয়ো না। নচেৎ তোমার হৃদয়কে অভাব দিয়ে এবং উভয় হাতকে কর্মব্যস্ততা দিয়ে ভরে দেব।

عَنْ مُغَفَّلِ بْنِ يَسَارٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقولُ ربُّكُمْ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: يَا اِبنَ آدَمَ تفَرَّغْ لِعِبَادَتِي أَمْلأ قَلْبَكَ غِنًى وَأَمْلَأ يَدَيْكَ رِزْقًا يَا اِبْنِ آدَمَ لَا تُبَاعِدْ مِنِّي فأمْلأ قَلبَك فقرًا وأملأ يَدَيْكَ شُغْلاً

عن مغفل بن يسار قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ربكم تبارك وتعالى: يا ابن ادم تفرغ لعبادتي املا قلبك غنى واملا يديك رزقا يا ابن ادم لا تباعد مني فاملا قلبك فقرا واملا يديك شغلا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

(৩১৭) যায়দ বিন সাবেত (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তির প্রধান চিন্তা (লক্ষ্য) ইহলৌকিক সুখভোগ (দুনিয়াদারীই) হয়, আল্লাহ তার প্রচেষ্টাকে তার প্রতিকূলে বিক্ষিপ্ত করে দেন, তার দারিদ্রকে তার দুই চক্ষুর সামনে করে দেন, আর দুনিয়ার সুখসামগ্রী তার ততটুকুই লাভ হয় যতটুকু তার ভাগ্যে লিখা থাকে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তির উদ্দেশ্য (ও পরম লক্ষ্য) পারলৌকিক সুখভোগ (আখেরাতই) হয়, আল্লাহ তার প্রচেষ্টাকে তার অনুকূলে ঐকান্তিক করে দেন। তার অন্তরে অমুখাপেক্ষিতা (ধনবত্তা) ভরে দেন। আর অনিচ্ছা সত্ত্বেও দুনিয়ার (সুখসামগ্রী) তার নিকট এসে উপস্থিত হয়।

عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ كَانَتِ الدُّنْيَا هَمَّهُ فَرَّقَ اللَّهُ عَلَيْهِ أَمْرَهُ وَجَعَلَ فَقْرَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ وَلَمْ يَأْتِهِ مِنَ الدُّنْيَا إِلَّا مَا كُتِبَ لَهُ وَمَنْ كَانَتِ الْآخِرَةُ نِيَّتَهُ جَمَعَ اللَّهُ لَهُ أَمْرَهُ وَجَعَلَ غِنَاهُ فِي قَلْبِهِ وَأَتَتْهُ الدُّنْيَا وَهِيَ رَاغِمَةٌ

عن زيد بن ثابت قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «من كانت الدنيا همه فرق الله عليه امره وجعل فقره بين عينيه ولم ياته من الدنيا الا ما كتب له ومن كانت الاخرة نيته جمع الله له امره وجعل غناه في قلبه واتته الدنيا وهي راغمة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »