আউফ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ৮৮ টি

পরিচ্ছেদঃ ১৯৭৫. বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে সর্তকবাণী। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ যদি তারা আপনাকে প্রতারিত করতে চায়, তবে আপনার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি আপনাকে স্বীয় সাহায্য ও মুসলিমদের দ্বারা শক্তিশালী করেছেন ...... (আয়াতের শেষ পর্যন্ত) (৮ঃ ৬২)

২৯৫২। হুমাইদী (রহঃ) ... আউফ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি তাবুক যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম। তিনি তখন একটি চর্ম নির্মিত তাবুতে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কিয়ামতের পূর্বের ছয়টি আলামত গণনা করে রাখো। আমার মৃত্যু, তারপর বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয়, তারপরও তোমাদের মাঝে ঘটবে মহামারী, বকরীর পালের মহামারীর মত, সম্পদের প্রাচুর্য, এমনকি এক ব্যাক্তিকে একশ’ দ্বীনার দেওয়া সত্ত্বেও সে অসন্তুষ্ট থাকবে। তারপর এমন এক ফিতনা আসবে যা আরবের প্রতি ঘরে প্রবেশ করবে। তারপর যুদ্ধ বিরতির চুক্তি-যা তোমাদের ও রোমকদের (খৃষ্টানদের) মধ্যে সম্পাদিত হবে। এরপর তারা বিশ্বাসঘাতকতা করবে এবং আশিটি পতাকা উত্তোলন করে তোমাদের মোকাবিলায় আসবে; প্রত্যেক পতাকা তলে বার হাজার সৈন্য দল থাকবে।

بَابُ مَا يُحْذَرُ مِنَ الْغَدْرِ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَإِنْ يُرِيدُوا أَنْ يَخْدَعُوكَ فَإِنَّ حَسْبَكَ اللَّهُ} الآيَةَ

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَلاَءِ بْنِ زَبْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ بُسْرَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا إِدْرِيسَ، قَالَ سَمِعْتُ عَوْفَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ، وَهْوَ فِي قُبَّةٍ مِنْ أَدَمٍ فَقَالَ ‏ "‏ اعْدُدْ سِتًّا بَيْنَ يَدَىِ السَّاعَةِ، مَوْتِي، ثُمَّ فَتْحُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، ثُمَّ مُوتَانٌ يَأْخُذُ فِيكُمْ كَقُعَاصِ الْغَنَمِ، ثُمَّ اسْتِفَاضَةُ الْمَالِ حَتَّى يُعْطَى الرَّجُلُ مِائَةَ دِينَارٍ فَيَظَلُّ سَاخِطًا، ثُمَّ فِتْنَةٌ لاَ يَبْقَى بَيْتٌ مِنَ الْعَرَبِ إِلاَّ دَخَلَتْهُ، ثُمَّ هُدْنَةٌ تَكُونُ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ بَنِي الأَصْفَرِ فَيَغْدِرُونَ، فَيَأْتُونَكُمْ تَحْتَ ثَمَانِينَ غَايَةً، تَحْتَ كُلِّ غَايَةٍ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا ‏"‏‏.‏


Narrated `Auf bin Mali: I went to the Prophet (ﷺ) during the Ghazwa of Tabuk while he was sitting in a leather tent. He said, "Count six signs that indicate the approach of the Hour: my death, the conquest of Jerusalem, a plague that will afflict you (and kill you in great numbers) as the plague that afflicts sheep, the increase of wealth to such an extent that even if one is given one hundred Dinars, he will not be satisfied; then an affliction which no Arab house will escape, and then a truce between you and Bani Al-Asfar (i.e. the Byzantines) who will betray you and attack you under eighty flags. Under each flag will be twelve thousand soldiers.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৪৯৪. সম্পর্ক ত্যাগ এবং এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) এর বাণীঃ কোন লোকের জন্য তার ভাইয়ের সাথে তিনদিনের বেশি কথাবার্তা পরিত্যাগ করা জায়িয নহে

৫৬৪৬। আবুল ইয়ামান (রহঃ) ... আওফ ইবনু মালিক ইবনু তুফায়ল (রাঃ) আয়িশা (রাঃ) এর বৈপিত্রেয় ভ্রাতুষ্পূত্র থেকে বর্ণিত। আয়িশা (রাঃ) কে অবহিত করা হল যে, তাঁর কোন বিক্রির কিংবা দান করার ব্যাপারে আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র বলেছেনঃ আল্লাহর কসম! আয়িশা (রাঃ) অবশ্যই বিরত থাকবেন, নতুবা আমি নিশ্চয়ই তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবো। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ সত্যই কি তিনি এ কথা বলেছেন? তারা বললেন হ্যাঁ। তখন আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি আমার উপর মানত (শপথ) করে নিলাম যে আমি ইবনু যুবায়রের সাথে আর কখনও কথা বলবো না। যখন এ বর্জনকাল দীর্ঘ হল, তখন ইবনু যুবায়র (রাঃ) আয়িশা (রাঃ) এর নিকট সুপারিশ পাঠালেন। তখন তিনি বললেন না! আল্লাহর কসম! এ ব্যাপারে আমি কখনো কোন সুপারিশ গ্রহণ করব না। আর আমার মানতও ভঙ্গ করব না। এভাবে যখন ব্যপারটা ইবনু যুবায়র (রাঃ) এর জন্য দীর্ঘ হতে লাগলো, তখন তিনি যহুরা গোত্রের দু’ব্যাক্তি মিসওয়ার ইবনু মাখরামা ও আবদুর রহমান ইবনু আসওয়াদ ইবনু আবদ ইয়াগুসের সাথে আলোচনা করলেন।

তিনি তাদের দু’জনকে বললেনঃ আমি তোমাদের আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি যে, তোমরা দু’জন (যে প্রকারে হোক) আমাকে আয়িশা (রাঃ) এর কাছে নিয়ে যাও। কারন আমার সাথে তার বিচ্ছিন্ন থাকার মানত জায়িয নয়। তখন মিসওয়ার (রাঃ) ও আবদুর (রাঃ) উভয়ে চাদর দিয়ে ইবনু যুবায়রকে জড়িয়ে নিয়ে এলেন এবং উভয়ে আয়িশা (রাঃ) এর কাছে অনুমতি চেয়ে বললেনঃ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওবাবারাকাতুহু আমরা কি ভেতরে আসতে পারি? আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ আপনারা ভেতরে আসুন। তারা বললেনঃ আমরা সবাই? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তোমরা সবাই প্রবেশ কর। তিনি জানতেন না যে তাদের সঙ্গে ইবনু যুবায়র রয়েছেন। তাই যখন তাঁরা ভেতরে প্রবেশ করলেন তখন ইবনু যুবায়র পর্দার ভেতর ডুকে গেলেন এবং আয়িশা (রাঃ) কে জড়িয়ে ধরে, তাকে আল্লাহর কসম দিতে লাগলেন এবং কাঁদতে আরম্ভ করলেন।

তখন মিসওয়ার (রাঃ) ও আবদুর রহমান (রাঃ)-ও তাকে আল্লাহর কসম দিতে আরম্ভ করলেন। তখন আয়োশা (রাঃ) ইবনু যুবায়ের (রাঃ) এর সাথে কথা বলেন এবং তার ওযর কবুল করে নেন। আর তাঁরা বলতে লাগলেনঃ আপনি তো নিশ্চয়ই জানেন যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্ক বর্জন করতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেনঃ কোন মুসলিমের জন্য তার ভাইয়ের সাথে তিন দিনের অধিক সম্পর্ক ছিন্ন রাখা হারাম।

যখন তারা আয়িশা (রাঃ) কে বেশী বেশী বুঝাতে চাপ দিতে লাগলেন, তখন তিনিও তাদের বুঝাতে ও কাঁদতে লাগলেন এবং বললেনঃ আমি ’মানত’ করে ফেলেছি। আর মানত তো শক্ত ব্যাপার। কিন্তু তারা একাধারে চাপ দিতেই থাকলেন অবশেষে তিনি ইবনু যুবায়র (রাঃ) এর সাথে কথা বলে ফেললেন এবং তার নযরের জন্য (কাফফারা স্বরুপ) চল্লিশ জন গোলাম আযাদ করে দিলেন। এর পরে, যখনই তিনি তার মানতের স্মরণ করতেন তখন তিনি এত বেশী কাঁদতেন যে, তার চোখের পানিতে তার ওড়না ভিজে যেত।

হাদিস নং - ৬০৭৩, ৬০৭৪, ৬০৭৫

باب الْهِجْرَةِ وَقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ يَحِلُّ لِرَجُلٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثٍ

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَوْفُ بْنُ مَالِكِ بْنِ الطُّفَيْلِ ـ هُوَ ابْنُ الْحَارِثِ وَهْوَ ابْنُ أَخِي عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لأُمِّهَا ـ أَنَّ عَائِشَةَ حُدِّثَتْ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ قَالَ فِي بَيْعٍ أَوْ عَطَاءٍ أَعْطَتْهُ عَائِشَةُ وَاللَّهِ لَتَنْتَهِيَنَّ عَائِشَةُ، أَوْ لأَحْجُرَنَّ عَلَيْهَا‏.‏ فَقَالَتْ أَهُوَ قَالَ هَذَا قَالُوا نَعَمْ‏.‏ قَالَتْ هُوَ لِلَّهِ عَلَىَّ نَذْرٌ، أَنْ لاَ أُكَلِّمَ ابْنَ الزُّبَيْرِ أَبَدًا‏.‏ فَاسْتَشْفَعَ ابْنُ الزُّبَيْرِ إِلَيْهَا، حِينَ طَالَتِ الْهِجْرَةُ فَقَالَتْ لاَ وَاللَّهِ لاَ أُشَفِّعُ فِيهِ أَبَدًا، وَلاَ أَتَحَنَّثُ إِلَى نَذْرِي‏.‏ فَلَمَّا طَالَ ذَلِكَ عَلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ كَلَّمَ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ، وَهُمَا مِنْ بَنِي زُهْرَةَ، وَقَالَ لَهُمَا أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ لَمَّا أَدْخَلْتُمَانِي عَلَى عَائِشَةَ، فَإِنَّهَا لاَ يَحِلُّ لَهَا أَنْ تَنْذُرَ قَطِيعَتِي‏.‏ فَأَقْبَلَ بِهِ الْمِسْوَرُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ مُشْتَمِلَيْنِ بِأَرْدِيَتِهِمَا حَتَّى اسْتَأْذَنَا عَلَى عَائِشَةَ فَقَالاَ السَّلاَمُ عَلَيْكِ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، أَنَدْخُلُ قَالَتْ عَائِشَةُ ادْخُلُوا‏.‏ قَالُوا كُلُّنَا قَالَتْ نَعَمِ ادْخُلُوا كُلُّكُمْ‏.‏ وَلاَ تَعْلَمُ أَنَّ مَعَهُمَا ابْنَ الزُّبَيْرِ، فَلَمَّا دَخَلُوا دَخَلَ ابْنُ الزُّبَيْرِ الْحِجَابَ، فَاعْتَنَقَ عَائِشَةَ وَطَفِقَ يُنَاشِدُهَا وَيَبْكِي، وَطَفِقَ الْمِسْوَرُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ يُنَاشِدَانِهَا إِلاَّ مَا كَلَّمَتْهُ وَقَبِلَتْ مِنْهُ، وَيَقُولاَنِ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَمَّا قَدْ عَلِمْتِ مِنَ الْهِجْرَةِ، فَإِنَّهُ لاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ‏.‏ فَلَمَّا أَكْثَرُوا عَلَى عَائِشَةَ مِنَ التَّذْكِرَةِ وَالتَّحْرِيجِ طَفِقَتْ تُذَكِّرُهُمَا نَذْرَهَا وَتَبْكِي وَتَقُولُ إِنِّي نَذَرْتُ، وَالنَّذْرُ شَدِيدٌ‏.‏ فَلَمْ يَزَالاَ بِهَا حَتَّى كَلَّمَتِ ابْنَ الزُّبَيْرِ، وَأَعْتَقَتْ فِي نَذْرِهَا ذَلِكَ أَرْبَعِينَ رَقَبَةً‏.‏ وَكَانَتْ تَذْكُرُ نَذْرَهَا بَعْدَ ذَلِكَ فَتَبْكِي، حَتَّى تَبُلَّ دُمُوعُهَا خِمَارَهَا‏.‏


Narrated `Aisha: (the wife of the Prophet) that she was told that `Abdullah bin Az-Zubair (on hearing that she was selling or giving something as a gift) said, "By Allah, if `Aisha does not give up this, I will declare her incompetent to dispose of her wealth." I said, "Did he (`Abdullah bin Az-Zubair) say so?" They (people) said, "Yes." `Aisha said, "I vow to Allah that I will never speak to Ibn Az-Zubair." When this desertion lasted long, `Abdullah bin Az-Zubair sought intercession with her, but she said, "By Allah, I will not accept the intercession of anyone for him, and will not commit a sin by breaking my vow." When this state of affairs was prolonged on Ibn Az-Zubair (he felt it hard on him), he said to Al- Miswar bin Makhrama and `Abdur-Rahman bin Al-Aswad bin 'Abu Yaghuth, who were from the tribe of Bani Zahra, "I beseech you, by Allah, to let me enter upon `Aisha, for it is unlawful for her to vow to cut the relation with me." So Al-Miswar and `Abdur-Rahman, wrapping their sheets around themselves, asked `Aisha's permission saying, "Peace and Allah's Mercy and Blessings be upon you! Shall we come in?" `Aisha said, "Come in." They said, "All of us?" She said, "Yes, come in all of you," not knowing that Ibn Az- Zubair was also with them. So when they entered, Ibn Az-Zubair entered the screened place and got hold of `Aisha and started requesting her to excuse him, and wept. Al-Miswar and `Abdur Rahman also started requesting her to speak to him and to accept his repentance. They said (to her), "The Prophet (ﷺ) forbade what you know of deserting (not speaking to your Muslim Brethren), for it is unlawful for any Muslim not to talk to his brother for more than three nights (days)." So when they increased their reminding her (of the superiority of having good relation with Kith and kin, and of excusing others' sins), and brought her down to a critical situation, she started reminding them, and wept, saying, "I have made a vow, and (the question of) vow is a difficult one." They (Al-Miswar and `Abdur-Rahman) persisted in their appeal till she spoke with `Abdullah bin Az- Zubair and she manumitted forty slaves as an expiation for her vow. Later on, whenever she remembered her vow, she used to weep so much that her veil used to become wet with her tears.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০. জানাযার সালাতে মৃত ব্যক্তির জন্য দু'আ

২১০৩। হারুন ইবনু সাঈদ আল আয়লী (রহঃ) ... আউফ ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক জানাযার সালাত আদায় করলেন, আমি তার (পঠিত) দুআ মুখস্ত করেছিঃ হে আল্লাহ! মৃত ব্যাক্তিকে ক্ষমা কর, দয়া কর, তাকে শান্তিতে রাখ, তাকে মাফ কর, তার অবস্থানকে মর্যাদা দান কর, তার কবরকে প্রশস্ত কর, পানি বরফ এবং শিলাবৃষ্টি দ্বারা তাকে ধৌত কর, অপরাধ থেকে তাকে পবিত্র কর, যেমন সাদা কাপড়কে ময়লামুক্ত করা হয়। হে আল্লাহ! তার দুনিয়ার বাসভবন হতে উত্তম বাসভবন তাকে দান কর, তার পরিবার হতে উত্তম পরিবার, তার স্ত্রী হতে উত্তম স্ত্রী দান কর, তাকে জান্নাতে দাখিল কর এবং রক্ষা কর কবরের আযাব হতে, জাহান্নামের আযাব হতে।

আউফ ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দু’আ শুনে আমি আকাঙ্খা করলাম সেই মৃত ব্যাক্তি যদি আমি হতাম!

باب الدُّعَاءِ لِلْمَيِّتِ فِي الصَّلاَةِ ‏‏

وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، سَمِعَهُ يَقُولُ سَمِعْتُ عَوْفَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى جَنَازَةٍ فَحَفِظْتُ مِنْ دُعَائِهِ وَهُوَ يَقُولُ ‏ "‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ وَأَهْلاً خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ أَوْ مِنْ عَذَابِ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنْ أَكُونَ أَنَا ذَلِكَ الْمَيِّتَ ‏.


Jubair b. Nufair says: I heard it from 'Auf b. Malik that the Prophet (ﷺ) said prayer on the dead body, and I remembered his prayer:" O Allah! forgive him, have mercy upon him, give him peace and absolve him. Receive him with honour and make his grave spacious; wash him with water, snow and hail. Cleanse him from faults as Thou wouldst cleanse a white garment from impurity. Requite him with an abode more excellent than his abode, with a family better than his family, and with a mate better than his mate. Admit him to the Garden, and protect him from the torment of the grave and the torment of the Fire."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০. জানাযার সালাতে মৃত ব্যক্তির জন্য দু'আ

২১০৪। আবদুর রহমান ইবনু জুবায়র (রহঃ) ... আউফ ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

باب الدُّعَاءِ لِلْمَيِّتِ فِي الصَّلاَةِ ‏‏

قَالَ وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرٍ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ هَذَا الْحَدِيثِ أَيْضًا


('Auf bin Malik) said: I earnestly desired that I were this dead body.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০. জানাযার সালাতে মৃত ব্যক্তির জন্য দু'আ

২১০৬। নাসর ইবনু আলী আল-জাহযামী, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, আবূ তাহির ও হারুন ইবনু সাঈদ আল-আয়লী (রহঃ) ... আউফ ইবনু মালিক আল আশজায়ী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জানাযার সালাত আদায় করা অবস্থায় বলতে শুনেছি, তাকে দয়া কর, তাকে শান্তিতে রাখ, তার অবস্থানকে মর্যাদাপূর্ণ কর, তাকে মাফ করে দাও, তার কবরকে প্রশস্ত করে দাও, তাকে পাক-পবিত্র করে দাও, পানি দ্বারা, বরফ দ্বারা, শিলাবৃষ্টির পানি দ্বারা; তাকে গুনাহ হতে এভাবে পরিষ্কার করে দাও, যেমন সাদা কাপড়কে পরিষ্কার-করা হয় ময়লা হতে। তাকে তার ঘর হতে উত্তম ঘর দান কর, তার পরিবার হতে উত্তম পরিবার, তার ন্ত্রী হতে উত্তম স্ত্রী দান কর। তাকে কবরের আযাব হতে ও দোযখের আযাব হতে রক্ষা কর।

আউফ (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এ মৃত ব্যাক্তির জন্য দুআর কারণে আকাঙ্ক্ষা করেছিলাম যদি এ মৃত ব্যাক্তি আমি হতাম।

باب الدُّعَاءِ لِلْمَيِّتِ فِي الصَّلاَةِ ‏‏

وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنْ عِيسَى بْنِ، يُونُسَ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ الْحِمْصِيِّ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَهَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، - وَاللَّفْظُ لأَبِي الطَّاهِرِ - قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَصَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ يَقُولُ ‏ "‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَاعْفُ عَنْهُ وَعَافِهِ وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ وَاغْسِلْهُ بِمَاءٍ وَثَلْجٍ وَبَرَدٍ وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِنْ دَارِهِ وَأَهْلاً خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ وَقِهِ فِتْنَةَ الْقَبْرِ وَعَذَابَ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عَوْفٌ فَتَمَنَّيْتُ أَنْ لَوْ كُنْتُ أَنَا الْمَيِّتَ لِدُعَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى ذَلِكَ الْمَيِّتِ ‏.‏


'Anas b. Malik said: I heard the Prophet (ﷺ) say (while offering prayer on a dead body): O Allah! forgive him, have mercy upon him. Give him peace and absolve him. Receive him with honour and make his grave spacious. Wash him with water, snow and hail, cleanse him from faults as is cleaned a white garment from impurity. Requite him with an abode more excellent than his abode, with a family better than his family, and with a mate better than his mate, and save him from the trial of the grave and torment of Hell. 'Auf b. Malik said: I earnestly desired that I were the dead person to receive the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ) as this dead body had (received).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৮. সাওয়াল করা নিষিদ্ধ হওয়া

২২৭৪। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান দারিমী ও সালামা ইবনু শাবীব (রহঃ) ... আউফ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নয় বা আট কিংবা সাতজন লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি বললেন, তোমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বায়আত গ্রহণ করবে কি? অথচ আমরা কিছু দিন আগে তার হাতে বায়আত গ্রহণ করেছিলাম। তাই আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা তো আপনার নিকট বায়আত গ্রহণ করেছি। তিনি আবার বললেন, তোমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বায়আত গ্রহণ করবে কি? আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা তো বায়আত গ্রহণ করেছি। তিনি আবার বললেন, তোমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বায়আত গ্রহণ করবে কি?

তখন আমরা আমাদের হাত প্রসারিত করে দিলাম এবং বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা তো আপনার নিকট বায়আত গ্রহণ করেছি। এখনি আবার কিসের উপর বায়অোত গ্রহণ করবো? বললেন, (এ কথার উপর বায়আত গ্রহণ করবে যে,) তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে অন্য কাউকে শরীক করবে না। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে। আল্লাহর আনুগত্য করবে। তারপর তিনি ফিসফিস করে একটি কথা বললেন, মানুষের নিকট কোন কিছু সাওয়াল করবে না। আমি দেখেছি, এই কাফিলার কারো পশুর পৃষ্ট থেকে চাবুক পড়ে যাওয়ার পর সে কাউকে তা তুলে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়নি।

باب النَّهْىِ عَنِ الْمَسْأَلَةِ ‏

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، وَسَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، - قَالَ سَلَمَةُ حَدَّثَنَا وَقَالَ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ، وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ الدِّمَشْقِيُّ - حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، - وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ - عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلاَنِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْحَبِيبُ الأَمِينُ، أَمَّا هُوَ فَحَبِيبٌ إِلَىَّ وَأَمَّا هُوَ عِنْدِي فَأَمِينٌ عَوْفُ بْنُ مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تِسْعَةً أَوْ ثَمَانِيَةً أَوْ سَبْعَةً فَقَالَ ‏"‏ أَلاَ تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللَّهِ ‏"‏ وَكُنَّا حَدِيثَ عَهْدٍ بِبَيْعَةٍ فَقُلْنَا قَدْ بَايَعْنَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَلاَ تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْنَا قَدْ بَايَعْنَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَلاَ تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَبَسَطْنَا أَيْدِيَنَا وَقُلْنَا قَدْ بَايَعْنَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَعَلاَمَ نُبَايِعُكَ قَالَ ‏"‏ عَلَى أَنْ تَعْبُدُوا اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَالصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ وَتُطِيعُوا - وَأَسَرَّ كَلِمَةً خَفِيَّةً - وَلاَ تَسْأَلُوا النَّاسَ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏ فَلَقَدْ رَأَيْتُ بَعْضَ أُولَئِكَ النَّفَرِ يَسْقُطُ سَوْطُ أَحَدِهِمْ فَمَا يَسْأَلُ أَحَدًا يُنَاوِلُهُ إِيَّاهُ ‏.‏


Malik al-Ashja'i reported: We, nine, eight or seven men, were in the company of the Messenger of Allah (ﷺ) and he said: Why don't you pledge allegiance to the Messenger of Allah? -while we had recently pledged allegiance. So we said: Messenger of Allah, we have already pledged allegiance to you. He again said: Why don't you pledge allegiance to the Messenger of Allah? And we said: Messenger of Allah, we have already pledged allegiance to you. He again said: Why don't you pledge allegiance to the Messenger of Allah? We stretched our hands and said: Messenger of Allah. we have already pledged allegiance to you. Now tell (on what things) should we pledge allegiance to you. He said I (You must pledge allegiance) that you would worship Allah only and would not associate with Him anything, (and observe) five prayers, and obey- (and he said onething in an undertone) -that you would not beg people of anything. (And as a consequence of that) I saw that some of these people did not ask anyone to pick up the whip for them if it fell down.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩. নিহত শত্রুর ব্যক্তিগত সম্পদ (সালাব) হত্যাকারী মুহাজিরদের প্রাপ্য

৪৪১৮। আবূ তাহির আহমাদ ইবনু আমর ইবনু সারহ (রহঃ) ... আউফ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হিময়ার গোত্রের এক ব্যক্তি শত্রু পক্ষের এক ব্যক্তিকে হত্যা করছেন এবং তার পরিত্যক্ত সম্পদ (সালাব) নিতে চাইছেন। কিন্তু খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) তাকে নিষেধ করলেন। তিনি ছিলেনতাদের সেনাপতি। তারপর আউফ ইবনু মালিক (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলেন এবং ঐ ঘটনার সংবাদ দিলেন। তখন তিনি খালিদ (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি (নিহত ব্যক্তির) সম্পদ তাকে দিলে না কেন? খালিদ (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ আমি তাকে প্রচুর সম্পদ বিবেচনা করেছি। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে তা দিয়ে দাও।

তারপর খালিদ (রাঃ) আউফ (রাঃ) এর কাছ দিয়ে গেলেন এবং তাঁর চাঁদর ধরে টান দিয়ে বললেন, আমি তোমার নামে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নালিশ করার কথা বলেছিলাম তা পূর্ণ করেছি কি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শুনতে পেলেন। এতে তিনি রাগাম্বিত হলেন। এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে খালিদ! তুমি তাকে তা দেবে না। হে খালিদ! তুমি তাকে তা দেবে না। তোমরা কি আমার খাতিরে আমার (সেনাপতি)দের (একটু) ছাড় দিবে না? নিশ্চয়ই তোমাদের এবং তাদের দৃষ্টান্ত এমন, যেমন কোন ব্যক্তি উট কিংবা ছাগল চরাবার জন্য রাখলো। রাখাল মাঠে তা চরালো। তারপর পিপাসার সময় পানি পান করানোর জন্য জনাশয়ে নিয়ে গেল। পরিস্কার পানি পান করতে শুরু করল এবং ঘোলাটে পানি পরিত্যাগ করলো। অর্থাৎ তার পরিস্কার অংশ তোমাদের জন্য এবং অপরিস্কার অংশ (জবাবদিহীতার) তোমাদের নেতাদের উপর।

باب اسْتِحْقَاقِ الْقَاتِلِ سَلَبَ الْقَتِيلِ ‏‏

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَتَلَ رَجُلٌ مِنْ حِمْيَرَ رَجُلاً مِنَ الْعَدُوِّ فَأَرَادَ سَلَبَهُ فَمَنَعَهُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَكَانَ وَالِيًا عَلَيْهِمْ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَوْفُ بْنُ مَالِكٍ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ لِخَالِدٍ ‏"‏ مَا مَنَعَكَ أَنْ تُعْطِيَهُ سَلَبَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ اسْتَكْثَرْتُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ ادْفَعْهُ إِلَيْهِ ‏"‏ ‏.‏ فَمَرَّ خَالِدٌ بِعَوْفٍ فَجَرَّ بِرِدَائِهِ ثُمَّ قَالَ هَلْ أَنْجَزْتُ لَكَ مَا ذَكَرْتُ لَكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتُغْضِبَ فَقَالَ ‏"‏ لاَ تُعْطِهِ يَا خَالِدُ لاَ تُعْطِهِ يَا خَالِدُ هَلْ أَنْتُمْ تَارِكُونَ لِي أُمَرَائِي إِنَّمَا مَثَلُكُمْ وَمَثَلُهُمْ كَمَثَلِ رَجُلٍ اسْتُرْعِيَ إِبِلاً أَوْ غَنَمًا فَرَعَاهَا ثُمَّ تَحَيَّنَ سَقْيَهَا فَأَوْرَدَهَا حَوْضًا فَشَرَعَتْ فِيهِ فَشَرِبَتْ صَفْوَهُ وَتَرَكَتْ كَدَرَهُ فَصَفْوُهُ لَكُمْ وَكَدَرُهُ عَلَيْهِمْ ‏"‏ ‏.‏


Auf b. Malik has narrated that a man from the Himyar tribe killed an enemy and wanted to take the booty. Khalid b. Walid, who was the commander over them, forbade, him. 'Auf b Malik (the narrator) came to the Messenger of Allah (ﷺ) and informed him (to this effect). The latter asked Khalid: What prevented you from giving the booty to him? Khalid said: I thought it was too much. He (the Holy Prophet) said: Hand it over to him. Now when Khalid by Auf, the latter pulled him by his cloak and said (by way of chafing him): Hasn't the same thing happened what I reported to you from the Messenger of Allah (may peace he upon him)? When the Messenger of Allah (ﷺ) heard it. he was angry (and said): Khalid, don't give him, Khalid, don't give him. Are you going to desert the commanders appointed by roe? Your similitude and theirs is like a person who took camels and sheep for grazing. He grazed them and when it was time for them to have a drink, he brought them to a pool. So they drank from it, drinking away its clear water and leaving the turbid water below So the clear water (i. e. the best reward) is for you and the turbid water (i e. blame) is for them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩. নিহত শত্রুর ব্যক্তিগত সম্পদ (সালাব) হত্যাকারী মুহাজিরদের প্রাপ্য

৪৪১৯। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আউফ ইবনু মালিক আশজাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়িদ ইবনু হারেসা (রাঃ) এর সঙ্গে যারা মুতার যুদ্ধে গমন করেছিলেন, তন্মধ্যে আমিও ছিলাম। ইয়ামানের একজন ’সহযোগ্য’ (সৈনিক) আমার সাথী হল। এরপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন। তবে তিনি হাদীসে বলেছেন যে, আউফ (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি বললাম, হে খালিদ! তুমি কি জাননা যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শত্রু থেকে নেওয়া সম্পদ হত্যাকারীর মুজাহিদের প্রাপ্য বলে নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হাঁ, কিন্তু এই সম্পদ আমার কাছে অধিক মনে হল। (তাই আমি নিষেধ করেছিলাম।)

باب اسْتِحْقَاقِ الْقَاتِلِ سَلَبَ الْقَتِيلِ ‏‏

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ، الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ مَنْ خَرَجَ مَعَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ فِي غَزْوَةِ مُؤْتَةَ وَرَافَقَنِي مَدَدِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ بِنَحْوِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فِي الْحَدِيثِ قَالَ عَوْفٌ فَقُلْتُ يَا خَالِدُ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالسَّلَبِ لِلْقَاتِلِ قَالَ بَلَى وَلَكِنِّي اسْتَكْثَرْتُهُ ‏.‏


It has been narrated on the authority of Auf b. Malik al-Ashja'i who said: I joined the expedition that marched under Zaid b. Haritha to Muta, and I received reinformcement from the Yemen. (After this introduction), the narrator narrated the tradition that had gone before except that in his version Auf was reported to have said (to Khalid): Khalid, didn't you know that the Messenger of Allah (way peace be upon him) had decided In favour of giving the booty (sized from an enemy) to one who killed him? He (Khalid) said: Yes. but I thought it was too much.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. উত্তম শাসক ও অধম শাসক

৪৬৫১। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম হানযালী (রহঃ) ... আওফ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের সর্বোত্তম নেতা হচ্ছে তারাই যাদেরকে তোমরা ভালবাস আর তারাও তোমাদেরকে ভালবাসে। তারা তোমাদের জন্য দোয়া করে তোমরাও তাদের জন্য দোয়া কর। আর তোমাদের নিকৃষ্ট নেতা হচ্ছে তারাই যাদেরকে তোমরা ঘৃণা কর আর তারাও তোমাদেরকে ঘৃণা করে। তোমরা তাদেরকে অভিশাপ দাও আর তারাও তোমাদেরকে অভিশাপ দেয়।

বলা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা কি তারেদকে তরবারি দ্বারা প্রতিহত করবো না? তখন তিনি বললেনঃ না যতক্ষন পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে সালাত কায়েম রাখবে। আর যখন তোমাদের শাসকদের মধ্যে কোনরূপ অপছন্দনীয় কাজ প্রত্যক্ষ করবে; তখন তোমরা তাদের সে কাজকে ঘৃণা করবে কিন্তু তাদের আনুগত্য থেকে হাত গুটিয়ে নেবে না।

باب خِيَارِ الأَئِمَّةِ وَشِرَارِهِمْ ‏‏

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ رُزَيْقِ بْنِ حَيَّانَ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ قَرَظَةَ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ خِيَارُ أَئِمَّتِكُمُ الَّذِينَ تُحِبُّونَهُمْ وَيُحِبُّونَكُمْ وَيُصَلُّونَ عَلَيْكُمْ وَتُصَلُّونَ عَلَيْهِمْ وَشِرَارُ أَئِمَّتِكُمُ الَّذِينَ تُبْغِضُونَهُمْ وَيُبْغِضُونَكُمْ وَتَلْعَنُونَهُمْ وَيَلْعَنُونَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ نُنَابِذُهُمْ بِالسَّيْفِ فَقَالَ ‏"‏ لاَ مَا أَقَامُوا فِيكُمُ الصَّلاَةَ وَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْ وُلاَتِكُمْ شَيْئًا تَكْرَهُونَهُ فَاكْرَهُوا عَمَلَهُ وَلاَ تَنْزِعُوا يَدًا مِنْ طَاعَةٍ ‏"‏ ‏.‏


It has been narrated on the authority of 'Auf b. Malik that the Messenger of Allah (ﷺ) said: The best of your rulers are those whom you love and who love you, who invoke God's blessings upon you and you invoke His blessings upon them. And the worst of your rulers are those whom you hate and who hate you and whom you curse and who curse you. It was asked (by those present): Shouldn't we overthrow them with the help of the sword? He said: No, as long as they establish prayer among you. If you then find anything detestable in them. You should hate their administration, but do not withdraw yourselves from their obedience.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. উত্তম শাসক ও অধম শাসক

৪৬৫২। দাঊদ ইবনু রুশায়দ (রহঃ) ... আওফ ইবনু মালিক আশজাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের সর্বোত্তম নেতা হচ্ছে তারা যারা তোমাদেরকে ভালবাসেন এবং তোমরাও তাদেরকে ভালবাসো। তাদের জন্য তোমরা দোয়া কর এবং তারাও তোমাদের জন্য দোয়া করেন। এবং তোমাদের নিকৃষ্টতম নেতা হচ্ছে তারা যাদেরকে তোমরা ঘৃণা কর এবং তারাও তোমাদেরকে ঘৃণা করে এবং তোমরা তাদেরকে অভিশাপ দাও এবং তারাও তোমাদেরকে অভিশাপ দেয়।

তারা (সাহাবীগণ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এ সময় আমরা কি তাদেরকে প্রতিহত করবো না? তিনি বললেনঃ না, যতক্ষণ যাবৎ তারা তোমাদের মধ্যে সালাত কায়েম রাখবে। তবে যার উপর কোন শাসক নিয়োগ করা হবে আর সে তাকে আল্লাহর কোন নাফরমানী করতে দেখবে তখন ঐ শাসক যতক্ষন আল্লাহর নাফরমানীতে থাকবে ততক্ষন তাকে ঘৃণা করতে থাকবে কিন্তু আনুগত্যের হাত গুটিয়ে নেবে না।

এ হাদীসের একজন রাবী ইবনু জারীর (রহঃ) বলেন, আমি আমার কাছে এ হাদীস বর্ণনাকারী কারযাকে এ হাদীস বর্ণনাকালে বললাম, আল্লাহর কসম! হে আবূ মিকদাম! সত্যই কি আপনি মুসলিম ইবনু কারযাকে আওফ ইবনু মালিক (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ হাদিস বলতে শুনেছেন? রাবী বলেন, তখন তিনি তার হাঁটুর উপর ভর করে কিবলামুখী হয়ে গেলেন এবং বললেনঃ সেই আল্লাহর কসম! যিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই আমি নিশ্চয়ই মুসলিম ইবনু কারযাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি আওফ (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি।

باب خِيَارِ الأَئِمَّةِ وَشِرَارِهِمْ ‏‏

حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ، يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ أَخْبَرَنِي مَوْلَى بَنِي فَزَارَةَ، - وَهُوَ رُزَيْقُ بْنُ حَيَّانَ - أَنَّهُ سَمِعَ مُسْلِمَ بْنَ، قَرَظَةَ ابْنَ عَمِّ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ يَقُولُ سَمِعْتُ عَوْفَ بْنَ مَالِكٍ الأَشْجَعِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ خِيَارُ أَئِمَّتِكُمُ الَّذِينَ تُحِبُّونَهُمْ وَيُحِبُّونَكُمْ وَتُصَلُّونَ عَلَيْهِمْ وَيُصَلُّونَ عَلَيْكُمْ وَشِرَارُ أَئِمَّتِكُمُ الَّذِينَ تُبْغِضُونَهُمْ وَيُبْغِضُونَكُمْ وَتَلْعَنُونَهُمْ وَيَلْعَنُونَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ نُنَابِذُهُمْ عِنْدَ ذَلِكَ قَالَ ‏"‏ لاَ مَا أَقَامُوا فِيكُمُ الصَّلاَةَ لاَ مَا أَقَامُوا فِيكُمُ الصَّلاَةَ أَلاَ مَنْ وَلِيَ عَلَيْهِ وَالٍ فَرَآهُ يَأْتِي شَيْئًا مِنْ مَعْصِيَةِ اللَّهِ فَلْيَكْرَهْ مَا يَأْتِي مِنْ مَعْصِيَةِ اللَّهِ وَلاَ يَنْزِعَنَّ يَدًا مِنْ طَاعَةٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ جَابِرٍ فَقُلْتُ - يَعْنِي لِرُزَيْقٍ - حِينَ حَدَّثَنِي بِهَذَا الْحَدِيثِ آللَّهِ يَا أَبَا الْمِقْدَامِ لَحَدَّثَكَ بِهَذَا أَوْ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ مُسْلِمِ بْنِ قَرَظَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ عَوْفًا يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَجَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ فَقَالَ إِي وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ لَسَمِعْتُهُ مِنْ مُسْلِمِ بْنِ قَرَظَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ عَوْفَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏


It has been narrated on the authority of Auf b. Malik al-Ashja'i who said that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: The best of your rulers are those whom you love and who love you, upon whom you invoke God's blessings and who invoke His blessing upon you. And the worst of your rulers are those whom you hate and who hate you, who curse you and whom you curse. (Those present) said: Shouldn't we overthrow them at this? He said: No, as long as they establish prayer among you. No, as long as they establish prayer among you. Mind you! One who has a governor appointed over him and he finds that the governor indulges in an act of disobedience to God, he should condemn the governor's act, in disobedience to God, but should not withdraw himself from his obedience. Ibn Jabir said: Ruzaiq narrated to me this hadith. I asked him: Abu Miqdam, have you heard it from Muslim b. Qaraza or did he describe it to you and he heard it from 'Auf (b. Malik) and he transmitted this tradition of Allah's Messenger (ﷺ)? Upon this Ruzaiq sat upon his knees and facing the Qibla said: By Allah, besides Whom there is no other God, I heard it from Muslim b. Qaraza and he said that te had heard it from Auf (b. Malik) and he said that he had heard it from the Messenger of Allah (ﷺ).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. উত্তম শাসক ও অধম শাসক

৪৬৫৩। ইসহাক ইবনু মূসা আনসারী (রহঃ) ... আওফ ইবনু মালিক (রাঃ) এর সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ননা করেছেন।

باب خِيَارِ الأَئِمَّةِ وَشِرَارِهِمْ ‏‏

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جَابِرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ رُزَيْقٌ مَوْلَى بَنِي فَزَارَةَ ‏.‏ قَالَ مُسْلِمٌ وَرَوَاهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ قَرَظَةَ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ ‏.‏


The above hadith has been narrated through addtional chains of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২২. শিরক (জাতীয় কিছু) না থাকলে মন্ত্রে কোন আপত্তি নেই

৫৫৪৪। আবূ তাহির (রহঃ) ... আওফ ইবনু মালিক আশজাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জাহেলী যুগে (বিভিন্ন) মন্ত্র (দিয়ে ঝাড়-ফুঁক) করতাম। তাই আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আরয করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সে বিষয়ে আপনার কি অভিমত? তিনি বললেন, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমার কাছে পেশ করতে থাকবে, মন্ত্রে কোন আপত্তি নেই যদি না তাতে কোন শিরক (জাতীয় কথা) থাকে।

باب لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ ‏‏

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ فَقَالَ ‏ "‏ اعْرِضُوا عَلَىَّ رُقَاكُمْ لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ ‏"‏ ‏.‏


'Auf b. Malik Ashja'i reported We practised incantation in the pre-Islamic days and we said: Allah's Messenger. what is your opinion about it? He said: Let me know your incantation and said: There is no harm in the incantation which does not smack of polytheism.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৭: অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ

৮/৫৩৪। আবূ আব্দুর রহমান ’আওফ ইবনে মালিক আশজা’ঈ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ৯ জন অথবা ৮ জন অথবা ৭ জন লোক ছিলাম। তিনি বললেন, ’’তোমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বায়’আত করবে না?’’ (হাদীসের বর্ণনাকারী বলেন) অথচ আমরা কিছু সময় পূর্বেই তাঁর হাতে বায়’আত করে ফেলেছি। সুতরাং আমরা বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তো আপনার হাতে বায়’আত করে ফেলেছি।’ পুনরায় তিনি বললেন, ’’তোমরা কি রাসূলুল্লাহর হাতে বায়’আত করবে না?’’

সুতরাং আমরা নিজেদের হাতগুলো বিস্তার করলাম এবং বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার হাতে বায়’আত করেছি। সুতরাং এখন কোন্ কথার উপর আপনার হাতে বায়’আত করব?’ তিনি বললেন, ’’এ কথার উপর যে, তোমরা এক আল্লাহর উপাসনা করবে এবং তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না, পাঁচ ওয়াক্তের নামায পড়বে এবং আল্লাহর আনুগত্য করবে।’’ আর একটি কথা তিনি চুপিসারে বললেন, “তোমরা লোকদের নিকট কোন কিছু চাইবে না।” অতঃপর আমি (বায়’আত গ্রহণকারীদের) মধ্যে কিছু লোককে দেখছি যে, তাঁদের মধ্যে কারো চাবুক যদি যমীনে পড়ে যেত, তাহলে তিনি কাউকে তা উঠিয়ে দিতে বলতেন না। (বরং স্বয়ং সওয়ারী থেকে নেমে তা উঠিয়ে নিতেন।) (মুসলিম) [1]

بَابُ الْقَنَاعَةِ وَالْعَفَافِ وَالْاِقْتِصَادِفِي الْمَعِيْشَةِ إِنْفَاقِ وَذَمِّ السُّؤَالِ مِنْ غَيْرِ ضَرُوْرَةٍ - (57)

وَعَن أَبي عَبدِ الرَّحمَانِ عَوفِ بنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تِسْعَةً أَوْ ثَمَانِيَةً أَوْ سَبْعَةً، فَقَالَ: «ألاَ تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم » وَكُنَّا حَدِيثِي عَهْدٍ بِبَيْعَةٍ، فَقُلْنَا: قَدْ بَايَعْنَاكَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، ثمَّ قَالَ: «ألا تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم » فَبَسَطْنَا أيْدِيَنَا، وَقُلنَا: قدْ بَايَعنَاكَ فَعَلامَ نُبَايِعُكَ ؟ قَالَ: «عَلَى أنْ تَعْبُدُوا اللهَ وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئاً، وَالصَّلَوَاتِ الخَمْسِ وَتُطِيعُوا اللهَ» وأَسَرَّ كَلِمَةً خَفِيفَةً « وَلاَ تَسْألُوا النَّاسَ شَيْئاً ». فَلَقَدْ رَأيْتُ بَعْضَ أُولئِكَ النَّفَرِ يَسْقُطُ سَوطُ أحَدِهِمْ فَمَا يَسأَلُ أحَداً يُنَاوِلُهُ إيّاهُ . رواه مسلم

(57) Chapter: Contentment and Self-esteem and avoidance of unnecessary begging of People


'Auf bin Malik Al-Ashja'i (May Allah be pleased with him) reported: Seven, eight or nine people, including myself, were with Messenger of Allah (ﷺ) on an occasion when he (ﷺ) remarked, "Would you pledge allegiance to Messenger of Allah?" As we had taken oath of allegiance shortly before, we said, "We have already done so, O Messenger of Allah." He again asked, "Would you not pledge allegiance to Messenger of Allah?" So we stretched out our hands and said, "We have already made our pledge with you, O Messenger of Allah, on what should we make a pledge with you?" He said, "To worship Allah and not to associate anything with Him, to perform the five (daily) Salat and to obey." Then he added in a low tone, "And not to ask people for anything." Thereafter, I noticed that some of these people who were present did not ask anyone to pick up even the whip for them if it fell from their hands. [Muslim]. Commentary: Herein we find an approval of renewing the oath of loyalty; besides, there is also a ground for administering such oath in respect of the obedience and worship of Allah, and decent behaviour. What is more, we are also under obligation to observe all that the oath of fealty stands for.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭৯: ন্যায়পরায়ণ শাসকের মাহাত্ম্য

৩/৬৬৬। আওফ ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’তোমাদের সর্বোৎকৃষ্ট শাসকবৃন্দ তারা, যাদেরকে তোমরা ভালবাস এবং তারাও তোমাদেরকে ভালবাসে, তোমরা তাদের জন্য দো’আ কর এবং তারাও তোমাদের জন্য দো’আ করে। আর তোমাদের নিকৃষ্টতম শাসকবৃন্দ তারা, যাদেরকে তোমরা ঘৃণা কর এবং তারাও তোমাদেরকে ঘৃণা করে, তোমরা তাদেরকে অভিশাপ কর এবং তারাও তোমাদেরকে অভিশাপ করে।’’ (বর্ণনাকারী) বলেন, আমরা বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করব না?’ তিনি বললেন, ’’না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে নামায প্রতিষ্ঠা করবে। না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে নামায প্রতিষ্ঠা করবে।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الْوَالِي الْعَادِلِ - (79)

وَعَن عَوفِ بنِ مَالِكٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: خِيَارُ أَئِمَّتِكُمُ الَّذِينَ تُحِبُّونَهُمْ وَيُحِبُّونَكُمْ، وَتُصَلُّونَ عَلَيْهِمْ وَيُصَلُّونَ عَلَيْكُمْ . وشِرَارُ أئِمَّتِكُم الَّذِينَ تُبْغِضُونَهُمْ وَيُبْغِضُونَكُمْ، وَتَلعَنُونَهُمْ وَيَلْعَنُونَكُمْ، قَالَ: قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أفَلاَ نُنَابِذُهُم ؟ قَالَ: لاَ، مَا أقَامُوا فِيْكُمُ الصَّلاَةَ . لاَ، مَا أقَامُوا فِيكُمُ الصَّلاَةَ . رواه مسلم

(79) Chapter: The Just Ruler


'Auf bin Malik (May Allah be pleased with him) reported: Messenger of Allah (ﷺ) said, "The best of your rulers are those whom you love and who love you, and those who supplicate Allah in your favour and you supplicate Allah in their favour. The worst of your rulers are those whom you hate and who hate you; and whom you curse and who curse you." It was asked (by those who were present): "Should not we oppose them?" He said, "No, as long as they establish Salat; as long as they establish Salat in your midst." [Muslim]. Commentary: The Hadith identifies two categories of rulers. First, those rulers who are well-wishers of people and provide them with justice. These are the best rulers for whom people also pray. Second, the worst rulers who areonly concerned with their rule and interests and take no interest in providing justice to people and removing their difficulties. In fact, rulers are advised to adhere to justice, uprightness and equity as this can endear them to Allah as well as to people. Moreover, we are told that rebellion against rulers is disallowed till they commit a flagrant act of disbelief and stop abiding by the duties of Islam, particularly Salat (prayer).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫৭: জানাযার নামাযে যে সব দো‘আ পড়া হয়

জানাযার নামাযে চার তকবীর বলবে। প্রথম তকবীরের পর ’আউযু বিল্লাহ’ পড়ে সূরা ফাতিহা পড়বে। অতঃপর দ্বিতীয় তকবীর বলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি দরূদ পড়বে। বলবে, ’আল্লাহুম্মা স্বাল্লি আলা মুহাম্মাদ, অআলা আ-লি মুহাম্মাদ।’ উত্তম হল ’কামা স্বাল্লাইতা আলা ইবরা-হীমা অ আলা আ-লি ইবরা-হীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ’ পর্যন্ত পুরো পড়া। অধিকাংশ সাধারণ লোকের মত শুধু (সূরা আহযাবের ৫৬নং) এই আয়াতটি ’ইন্নাল্লাহা অমালাইকাতাহু ইউস্বাল্লূনা আলান নবী’ যেন না পড়ে। কারণ, এইটুকু পড়েই যথেষ্ট করলে নামায শুদ্ধ হবে না।

অতঃপর তৃতীয় তকবীর বলে মৃতের এবং সকল মুসলিমের জন্য যে সমস্ত দো’আ পড়বে সে সম্পর্কিত একাধিক হাদীস আমি পরবর্তীতে বর্ণনা করব—ইন-শাআল্লাহু তা’আলা। পুনরায় চতুর্থ তকবীর বলবে এবং দো’আ করবে। এখানে সর্বোত্তম দো’আর মধ্যে এটি একটি, ’আল্লা-হুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহু অলা তাফতিন্না বা’দাহ, অগফির লানা অ লাহ।’

চতুর্থ তকবীরের পর লম্বা দো’আ করা পছন্দনীয়, অথচ অধিকাংশ লোকের এর বিপরীত অভ্যাস রয়েছে। এ ব্যাপারে ইবনে আবী আওফা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে প্রমাণিত আছে, যা পরবর্তীতে উল্লেখ করব---ইন-শাআল্লাহু তা’আলা।

পক্ষান্তরে তৃতীয় তকবীরের পর যে দো’আগুলি প্রমাণিত আছে তার মধ্যে কিছু নিম্নরূপঃ-


১/৯৪০। আবূ আব্দুর রহমান আওফ ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক জানাযায় নামায পড়লেন। আমি তাঁর দো’আ মুখস্থ করে ফেললাম। সে দো’আ হল এইঃ-

’আল্লা-হুম্মাগফির লাহু অরহামহু অ’আ-ফিহী অ’ফু ’আনহু অআকরিম নুযুলাহু অঅসসি’ মুদখালাহু, অগসিলহু বিলমা-ই অসসালজি অল-বারাদ। অনাক্কিহী মিনাল খাত্বায়্যা কামা নাক্কাইতাস সাউবাল আবয়্যাদা মিনাদ দানাস। অ আবদিলহু দা-রান খাইরাম মিন দা-রিহী অ আহলান খাইরাম মিন আহলিহী অযাওজান খাইরাম মিন যাওজিহ। অ আদখিলহুল জান্নাতা অ আ’ইযহু মিন ’আযা-বিল ক্বাবরি অমিন ’আযা-বিন্নার।’

অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি ওকে ক্ষমা করে দাও এবং ওকে রহম কর। ওকে নিরাপত্তা দাও এবং মার্জনা করে দাও, ওর মেহেমানী সম্মানজনক কর এবং ওর প্রবেশস্থল প্রশস্ত কর। ওকে তুমি পানি, বরফ ও শিলাবৃষ্টি দ্বারা ধৌত করে দাও এবং ওকে গোনাহ থেকে এমন পরিষ্কার কর, যেমন তুমি সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করেছ। আর ওকে তুমি ওর ঘর অপেক্ষা উৎকৃষ্ট ঘর, ওর পরিবার অপেক্ষা উত্তম পরিবার, ওর জুড়ী অপেক্ষা উৎকৃষ্ট জুড়ী দান কর। ওকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং কবর ও জাহান্নামের আযাব থেকে রেহাই দাও।

(বর্ণনাকারী সাহাবী আউফ ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যখন এই দো’আ বলতে শুনলাম) তখন আমি এই কামনা করলাম যে, যদি আমি এই মাইয়্যেত হতাম! (মুসলিম) [1]

(157) بَابُ مَا يُقْرَأُ فِيْ صَلاَةِ الْجَنَازَةِ

عَن أَبي عَبدِ الرَّحمَانِ عَوفِ بنِ مَالِكٍ رضي الله عنه، قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَلَى جَنازَةٍ، فَحَفِظْتُ مِنْ دُعَائِهِ، وَهُوَ يَقُولُ: « اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ، وَأكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالبَرَدِ، وَنَقِّهِ مِن الخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَس، وَأَبدِلْهُ دَاراً خَيْراً مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلاً خَيراً مِنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجَاً خَيْراً مِنْ زَوْجِهِ، وَأَدْخِلهُ الجَنَّةَ، وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ النَّارِ ». حَتَّى تَمَنَّيتُ أَنْ أَكُونَ أنَا ذَلِكَ الْمَيِّت . رواه مسلم

(157) Chapter: Supplications in Funeral Prayers


To pronounce four Takbir (saying Allahu Akbar) in the funeral prayer. After the first Takbir, after saying A`udhu billahi minash-Shaitanir-rajim, recite Surat Al-Fatihah. After the second Takbir, send Salam [Allahumma Salli `ala Muhammadin wa `ala ali Muhammadin kama sallaita `ala Ibrahima wa `ala ali Ibrahima, innaka Hamidun Majid. Allahumma barik `ala Muhammadin wa `ala ali Muhammadin, kama barakta `ala Ibrahima, wa `ala ali Ibrahima, innaka Hamidun Majid. Then after the third Takbir, invoke supplication for the deceased and for the Muslims as we will mention later on, in sha' Allah. After the fourth Takbir, supplicate Allah. (Some of the supplications of the Messenger of Allah (PBUH), which are to be recited after the third Takbir are mentioned in the following Ahadith:) Abu 'Abdur-Rahman 'Auf bin Malik (May Allah be pleased with him) reported: The Messenger of Allah (ﷺ) offered a funeral prayer and I memorized his supplication. He (ﷺ) prayed: "Allahummaghfir lahu, warhamhu, wa 'afihi, wa'fu 'anhu, wa akrim nuzulahu, wa wassi' mudkhalahu, waghsilhu bil-ma'i wath-thalji wal-baradi, wa naqqihi minal-khataya, kama naqqaytath-thawbal-abyada minad-danasi, wa abdilhu daran khairan min darihi, wa ahlan khairan min ahlihi, wa zawjan khairan min zawjihi, wa adkhilhul-Jannata, wa a'idh-hu min 'adhabil- qabri, wa min 'adhabin-nar [if the dead person is a woman, one should change the ending of certain words in this supplication from hu to ha] (O Allah! Forgive him, bestow mercy upon him, pardon him, accord him a noble provision and make his grave spacious, wash him with water, snow and hail, purify him from sins as You have purified the white garment from soiling, give him a better abode in place of his present one, and a better family in exchange of his present one, and a better spouse in place of his present wife; admit him to Jannah and protect from the trial in the grave and punishment in the Hell)." (After hearing this supplication of the Messenger of Allah (ﷺ), Abu' Abdur-Rahman 'Auf bin Malik (May Allah be pleased with him) said: I wished I had been that dead man. [Muslim].


পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. নামাযী রুকু ও সিজদায় যা বলবে।

৮৭৩. আহমদ ইবনে সালেহ (রহঃ) ..... আউফ ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে নামাযে দণ্ডায়মান হই। তিনি সূরা বাকারা পাঠকালে যখন রহমতের আয়াতে পৌঁছেন, তখন তিনি (রাসূল সাঃ) তথায় থেমে রহমত কামনা করেন এবং যখন কোন আযাবের আয়াতে পৌঁছেন, তখন তিনি তথায় থেমে আযাব হতে মাগফিরাত কামনা করতেন। অতঃপর তিনি কিয়ামের সমপরিমাণ সময় রুকুতে অতিবাহিত করেন এবং সেখানে তিনি “সুবহানা যিলজাবারূতি ওয়াল মালাকুতি ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল আযমাতি” পাঠ করেন। অতঃপর তিনি কিয়ামের সমপরিমাণ সময় সিজদায় অতিবাহিত করেন এবং সেখানেও উপরোক্ত দোয়া পাঠ করেন, পরে এক একটি সূরা পাঠ করেন।

(নাসাঈ, তিরমিযী)।

باب مَا يَقُولُ الرَّجُلُ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ قُمْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً فَقَامَ فَقَرَأَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ لاَ يَمُرُّ بِآيَةِ رَحْمَةٍ إِلاَّ وَقَفَ فَسَأَلَ وَلاَ يَمُرُّ بِآيَةِ عَذَابٍ إِلاَّ وَقَفَ فَتَعَوَّذَ - قَالَ - ثُمَّ رَكَعَ بِقَدْرِ قِيَامِهِ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ ‏ "‏ سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ وَالْمَلَكُوتِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْعَظَمَةِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ سَجَدَ بِقَدْرِ قِيَامِهِ ثُمَّ قَالَ فِي سُجُودِهِ مِثْلَ ذَلِكَ - ثُمَّ قَامَ فَقَرَأَ بِآلِ عِمْرَانَ ثُمَّ قَرَأَ سُورَةً سُورَةً ‏.‏


Narrated Awf ibn Malik al-Ashja'i: I stood up to pray along with the Messenger of Allah (ﷺ); he got up and recited Surat al-Baqarah (Surah 2). When he came to a verse which spoke of mercy, he stopped and made supplication, and when he came to verse which spoke of punishment, he stopped and sought refuge in Allah, then he bowed and paused as long as he stood (reciting Surah al-Baqarah), and said while bowing, "Glory be to the Possessor of greatness, the Kingdom, grandeur and majesty." :Then he prostrated himself and paused as long as he stood up and recited Surat Aal Imran (Surah 3) and then recited many surahs one after another.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৬. যে ফল যাকাত হিসাবে গ্রহণ করা জায়েয নয়।

১৬০৮. নাস্‌র ইব্‌ন আসিম (রহঃ) .... আওফ ইব্‌ন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম মসজিদে আমাদের নিকট প্রবেশ করেন, তাঁর হাতে ছিল একটি লাঠি। এক ব্যক্তি এক গুচ্ছ হাশাফ (নিকৃষ্ট মানের খেজুর) ঝুলিয়ে রেখেছিল। তিনি ঐ গুচ্ছের উপর লাঠির আঘাত হেনে বলেনঃ এই যাকাত-দাতা ইচ্ছা করলে এর চেয়ে উত্তম মাল যাকাত হিসাবে প্রদান করতে পারত। তিনি আরও বলেনঃ এই যাকাত-দাতাকে কিয়ামতের দিন এই ’হাশাফ’-ই খেতে হবে। (নাসাঈ, ইব্‌ন মাজা)।

باب مَا لاَ يَجُوزُ مِنَ الثَّمَرَةِ فِي الصَّدَقَةِ

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَاصِمٍ الأَنْطَاكِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - يَعْنِي الْقَطَّانَ - عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ أَبِي عَرِيبٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ دَخَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَسْجِدَ وَبِيَدِهِ عَصًا وَقَدْ عَلَّقَ رَجُلٌ مِنَّا قِنًا حَشَفًا فَطَعَنَ بِالْعَصَا فِي ذَلِكَ الْقِنْوِ وَقَالَ ‏"‏ لَوْ شَاءَ رَبُّ هَذِهِ الصَّدَقَةِ تَصَدَّقَ بِأَطْيَبَ مِنْهَا ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ ‏"‏ إِنَّ رَبَّ هَذِهِ الصَّدَقَةِ يَأْكُلُ الْحَشَفَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Awf ibn Malik: The Messenger of Allah (ﷺ) entered upon us in the mosque, and he had a stick in his hand. A man hung there a bunch of hashaf. He struck the bunch with the stick, and said: If the owner of this sadaqah (alms) wishes to give a better one than it, he would give. The owner of this sadaqah will eat hashaf on the Day of Judgment.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৭. ভিক্ষাবৃত্তির নিন্দা।

১৬৪২. হিশাম ইব্‌ন আম্মার (রহঃ) ..... আওফ ইব্‌ন মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের খিদমতে সাতজন বা আটজন অথবা নয়জন উপস্থিত চিলাম। তখন তিনি বলেন, তোমরা কি আল্লাহ্‌র রাসূলের নিকট বায়আত গ্রহণ করবে না? আর আমরা অল্পদিন আগেই বায়আত গ্রহণ করেছিলাম। আমরা বলি, আমরা তো আপনার নিকট বায়আত হয়েছি, (এই উদ্দেশ্যে যে, হয়ত তিনি তা ভুলে গিয়েছেন)। তিনি এইরূপ তিনবার বলেন (যাতে আমরা মনে করি যে, তিনি পুনর্বার বায়আত গ্রহণের জন্য বলেছেন)। তখন আমরা আমাদের হাত সম্প্রসারিত করি এবং তাঁর নিকট বায়আত গ্রহণ করি। (আমাদের) একজন বলেন, ইয়া রাসূলা্ল্লাহ্‌! আমরা তো (পূর্বে) আপনার নিকট বায়আত হয়েছি, এখন কিসের জন্য আপনার নিকট বায়আত গ্রহণ করব? তিনি বলেনঃ (এর উপর যে,) তোমরা আল্লাহ্‌র ইবাদাত করবে এবং তাঁর সাথে কিছুই শরীক করবেন। অতঃপর তিনি অনুচ্চ কন্ঠে বলেঃ তোমরা লোকদের নিকট কিছুই সওয়াল করবে না। রাবী আওফ (রাঃ) বলেনঃ এদের কোন কোন ব্যক্তির (সফরকালে) চাবুক নীচে পড়ে গেলে তা উঠিয়ে দেওয়ার জন্য অন্যকে বলতেন না। (মুসলিম, নাসাঈ, ইব্‌ন মাজা)।

باب كَرَاهِيَةِ الْمَسْأَلَةِ

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ رَبِيعَةَ، - يَعْنِي ابْنَ يَزِيدَ - عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلاَنِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي الْحَبِيبُ الأَمِينُ، أَمَّا هُوَ إِلَىَّ فَحَبِيبٌ وَأَمَّا هُوَ عِنْدِي فَأَمِينٌ عَوْفُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبْعَةً أَوْ ثَمَانِيَةً أَوْ تِسْعَةً فَقَالَ ‏"‏ أَلاَ تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ‏.‏ وَكُنَّا حَدِيثَ عَهْدٍ بِبَيْعَةٍ قُلْنَا قَدْ بَايَعْنَاكَ حَتَّى قَالَهَا ثَلاَثًا فَبَسَطْنَا أَيْدِيَنَا فَبَايَعْنَاهُ فَقَالَ قَائِلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا قَدْ بَايَعْنَاكَ فَعَلاَمَ نُبَايِعُكَ قَالَ ‏"‏ أَنْ تَعْبُدُوا اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَتُصَلُّوا الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ وَتَسْمَعُوا وَتُطِيعُوا ‏"‏ ‏.‏ وَأَسَرَّ كَلِمَةً خُفْيَةً قَالَ ‏"‏ وَلاَ تَسْأَلُوا النَّاسَ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَلَقَدْ كَانَ بَعْضُ أُولَئِكَ النَّفَرِ يَسْقُطُ سَوْطُهُ فَمَا يَسْأَلُ أَحَدًا أَنْ يُنَاوِلَهُ إِيَّاهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدِيثُ هِشَامٍ لَمْ يَرْوِهِ إِلاَّ سَعِيدٌ ‏.‏


Awf b. Malik said : We were with Messenger of Allah (May peace be upon him), seven or eight or nine. He said : Do you take the oath of allegiance to the Messenger of Allah (May peace be upon him), and we shortly took the oath of allegiance. We said: we have already taken the oath of allegiance to you. He repeated the same words three times. We then stretched our hands and took the oath of allegiance to him. A man (or us) said : We took the oath of allegiance to you; now on what should we take the oath of allegiance, Messenger of Allah ? He replied: That you should worship Allah, do not associate anything with Him, offer five times prayer, listen and obey. He uttered a word quietly : And do not beg from the people. When the whip fell on the ground, none of that group asked anyone to pick up the whip for him. Abu Dawud said : The version of Hisham was not narrated by anyone except Sa'id.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪২. নেতা ইচ্ছা করলে নিহত ব্যক্তির মালামাল হত্যাকারীকে নাও দিতে পারেন, ঘোড়া এবং হাতিয়ার মালেরই অন্তর্ভক্ত।

২৭১০. আহমদ ইবন মুহাম্মদ ইবন হাম্বল (রহঃ) ..... ’আওফ ইবন মালিক আশজা’ঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যায়দ ইবন হারিছা (রাঃ) এর সঙ্গে মূতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। এ সময় ইয়ামনে মাদাদী নামক গোত্রের জনৈক ব্যক্তি আমার সাথী হয়, যার কাছে একখানি তরবারি ছাড়া আর কিছুই ছিল না। তখন একজন মুসলিম একটি উট যবাহ্ করে, যা থেকে মাদাদী লোকটি কিছু চামড়া চায় এবং সেও তাকে কিছু চামড়া দেয়। তখন সে তা দিয়ে একটা বিশেষ ধরণের ঢাল তৈরী করে অতঃপর আমরা চলতে থাকি এবং রোমক সৈন্যদের সামনাসামনি হই। তাদের জনৈক যোদ্ধা একটা লাল বর্ণের ঘোড়ার উপর সওয়ার ছিল এবং জিন ছিল সোনালী বর্ণের এবং তার হাতিয়ারও ছিল স্বর্ণখচিত। সে রোমীয় সৈন্যটি মুসলমাদের উপর খুবই আক্রমণ চালাচ্ছিল।

তখন সে মাদাদী লোকটি সে অশ্বারোহীকে তাক করে একটি পাথরের পিছনে অবস্থান নেয়। অতঃপর যখন তার পাশ দিয়ে রোমীয় সৈন্যটি যেতে থাকে, তখন সে তার ঘোড়ার পা কেটে ফেলে, ফলে সে পড়ে যায়। ফলে মাদাদী লোকটি তার বুকের উপর চড়ে বসে এবং তাকে হত্যা করে। আর সে তার ঘোড়া আর হতিয়ার নিয়ে নেয়। অবশেষে মহান আল্লাহ্ মুসলিমদের বিজয় দান করেন। তখন খালিদ ইবন ওয়ালীদ (সেনাপতি) মাদাদী ব্যক্তির নিকট কাউকে পাঠান (এবং সে আসার পর) তার প্রাপ্ত মালামাল থেকে কিছু নিয়ে নেন।

’আওফ (রাঃ) বলেনঃ অতঃপর আমি তাঁর নিকট আসি এবং বলিঃ হে খালিদ! আপনি কি জানেন না যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ নির্দেশ দিয়েছেন যে, নিহত ব্যক্তির মালামাল তার হত্যাকারী পাবে? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। কিন্তু আমি তার প্রাপ্ত মালামালকে অধিক মনে করেছি। আমি বললামঃ আপনি ঐ মালামাল তাকে ফিরিয়ে দিন; অন্যথায় আমি আপনার এ ব্যাপারটি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গোচরীভূত করব। তখন তিনি তা তাকে ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করেন।

’আওফ (রাঃ) বলেনঃ তখন আমি তাকে বলি, হে খালিদ! এখন হলো তো, আমি আপনাকে যা বলেছিলাম? তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করেনঃ সেটা কি? ’আওফ (রাঃ) বলেনঃ তখন আমি তাঁর নিকট সমুদয় বৃত্তান্ত খুলে বলি। এ সময় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত হন এবং বলেনঃ হে খালিদ! তুমি ঐ ব্যক্তির মালামাল ফিরিয়ে দিও না। তোমরা কি চাও যে, আমার নির্বাচিত নেতাদের পরিত্যাগ করবে? তারা যে ভাল কাজ করে, তা দিয়ে তোমরা উপকৃত হবে এবং খারাপ ব্যাপার তাদের উপর ন্যস্ত করবে।

باب فِي الإِمَامِ يَمْنَعُ الْقَاتِلَ السَّلَبَ إِنْ رَأَى وَالْفَرَسُ وَالسِّلاَحُ مِنَ السَّلَبِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ فِي غَزْوَةِ مُؤْتَةَ فَرَافَقَنِي مَدَدِيٌّ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ لَيْسَ مَعَهُ غَيْرُ سَيْفِهِ فَنَحَرَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ جَزُورًا فَسَأَلَهُ الْمَدَدِيُّ طَائِفَةً مِنْ جِلْدِهِ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ فَاتَّخَذَهُ كَهَيْئَةِ الدَّرَقِ وَمَضَيْنَا فَلَقِينَا جُمُوعَ الرُّومِ وَفِيهِمْ رَجُلٌ عَلَى فَرَسٍ لَهُ أَشْقَرَ عَلَيْهِ سَرْجٌ مُذْهَبٌ وَسِلاَحٌ مُذْهَبٌ فَجَعَلَ الرُّومِيُّ يُغْرِي بِالْمُسْلِمِينَ فَقَعَدَ لَهُ الْمَدَدِيُّ خَلْفَ صَخْرَةٍ فَمَرَّ بِهِ الرُّومِيُّ فَعَرْقَبَ فَرَسَهُ فَخَرَّ وَعَلاَهُ فَقَتَلَهُ وَحَازَ فَرَسَهُ وَسِلاَحَهُ فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِلْمُسْلِمِينَ بَعَثَ إِلَيْهِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَأَخَذَ مِنَ السَّلَبِ قَالَ عَوْفٌ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ يَا خَالِدُ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالسَّلَبِ لِلْقَاتِلِ قَالَ بَلَى وَلَكِنِّي اسْتَكْثَرْتُهُ ‏.‏ قُلْتُ لَتَرُدَّنَّهُ عَلَيْهِ أَوْ لأُعَرِّفَنَّكَهَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَبَى أَنْ يَرُدَّ عَلَيْهِ قَالَ عَوْفٌ فَاجْتَمَعْنَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَصَصْتُ عَلَيْهِ قِصَّةَ الْمَدَدِيِّ وَمَا فَعَلَ خَالِدٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَا خَالِدُ مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ ‏"‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتَكْثَرْتُهُ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَا خَالِدُ رُدَّ عَلَيْهِ مَا أَخَذْتَ مِنْهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عَوْفٌ فَقُلْتُ لَهُ دُونَكَ يَا خَالِدُ أَلَمْ أَفِ لَكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَمَا ذَلِكَ ‏"‏ فَأَخْبَرْتُهُ قَالَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ يَا خَالِدُ لاَ تَرُدَّ عَلَيْهِ هَلْ أَنْتُمْ تَارِكُونَ لِي أُمَرَائِي لَكُمْ صِفْوَةُ أَمْرِهِمْ وَعَلَيْهِمْ كَدَرُهُ ‏"‏ ‏.‏


‘Awf bin malik Al Ashja’I said “I went out with Zaid bin Harith in the battle of Mutah. For the reinforcement of the Muslim army a man from the people of Yemen accompanied me. He had only his sword with him. A man from the Muslims slaughtered a Camel. The man for the reinforcement asked him for a part of its skin which he gave him. He made it like the shape of a shield. We went on and met the Byzantine armies. There was a man among them on a reddish horse with a golden saddle and golden weapons. This Byzantinian soldiers began to attack the Muslims desperately. The man for reinforcement sat behind a rock for (attacking) him. He hamstrung his horse and overpowered him and then killed him. He took his horse and weapons. When Allah, Most High, bestowed victory on the Muslims. Khalid bin Al Walid sent for him and took his spoils. ‘Awf said “I came to him and said “Khalid, do you know that the Apostle of Allaah(ﷺ) had decided to give spoils to the killer? He said “Yes, I thought it abundant. I said “You should return it to him, or I shall tell you about it before the Apostle of Allaah(ﷺ). But he refused to return it. ‘Awf said “We then assembled with the Apostle of Allaah(ﷺ). I told him the story of the man of reinforcement and what Khalid had done. The Apostle of Allaah(ﷺ) said “Khalid, what made you do the work you have done?” He said “Apostle of Allaah(ﷺ), I considered it to be abundant. The Apostle of Allaah(ﷺ) said “Khalid, return it to him what you have taken from him.” ‘Awf said “I said to him “here you are, Khalid. Did I not keep my word? The Apostle of Allaah(ﷺ) said “What is that? I then informed him.” He said “The Apostle of Allaah(ﷺ) became angry and said “Khalid, do not return it to him. Are you going to leave my commanders? You may take from them what is best for you and eave to them what is worst.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. নিহত ব্যক্তির মালামাল হত্যাকারী পাবে, তা থেকে এক পঞ্চমাংশ নেওয়া যাবে না।

২৭১২. সা’ঈদ ইবন মানসূর (রহঃ) ..... ’আওফ ইবন আশজাঈ ও খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিহত ব্যক্তির মালামাল হত্যাকারীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সে ধন- সম্পদ হতে এক-পঞ্চমাংশ আলাদা করেননি, (যেমন মালে গণীমত হতে আলাদা করতেন।)

باب فِي السَّلَبِ لاَ يُخَمَّسُ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالسَّلَبِ لِلْقَاتِلِ وَلَمْ يُخَمِّسِ السَّلَبَ ‏.‏


Narrated Awf ibn Malik al-Ashja'i ; Khalid ibn al-Walid: The Messenger of Allah (ﷺ) gave judgement that the killer should have what was taken from the man he killed, and did not make this subject to division into fifths.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 পরের পাতা »