পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে

৩১২১-[২৪] উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট ছিলেন এবং আমার ঘরে এক নপুংসকও উপস্থিত ছিল। এমন সময়ে সে আমার সহোদর ভাই-কে (’আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ উমাইয়্যাহ্-কে) বলল, হে ’আব্দুল্লাহ! আগামীতে আল্লাহ তা’আলা যদি ত্বায়িফবাসীকে বিজয়ী করেন, তাহলে আমি তোমাকে গয়লান-এর কন্যাকে দেখাব, সে তো চার-এর সাথে আসে এবং আট-এর সাথে যায়। এটা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সাবধান! এরা যেন কক্ষনো তোমাদের কাছে আসতে না পারে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ عِنْدَهَا وَفِي الْبَيْتِ مُخَنَّثٌ فَقَالَ: لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ أَخِي أُمِّ سَلَمَةَ: يَا عَبْدَ اللَّهِ إِنْ فَتَحَ اللَّهُ لَكُمْ غَدًا الطَّائِفَ فَإِنِّي أَدُلُّكَ عَلَى ابْنَةِ غَيْلَانَ فَإِنَّهَا تُقْبِلُ بِأَرْبَعٍ وَتُدْبِرُ بِثَمَانٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يدخلن هَؤُلَاءِ عَلَيْكُم»

عن ام سلمة: ان النبي صلى الله عليه وسلم كان عندها وفي البيت مخنث فقال: لعبد الله بن ابي امية اخي ام سلمة: يا عبد الله ان فتح الله لكم غدا الطاىف فاني ادلك على ابنة غيلان فانها تقبل باربع وتدبر بثمان فقال النبي صلى الله عليه وسلم: «لا يدخلن هولاء عليكم»

ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা খত্ত্বাবী (রহঃ) বলেনঃ এখানে উদ্দেশ্য হলো, নিশ্চয় তার (বিনতু গয়লান-মুখান্নাস) তার পেটে চারটি ভাঁজ ছিল যখন সে সামনের দিকে আসতো তার এ চারটি ভাঁজ স্পষ্ট দেখা যেত। যখন পিছনে ফিরত তখন এ চারটি ভাঁজের প্রান্ত দেখা যেত যা পেটের দুই প্রান্তের সমন্বয়ে আটটি ভাঁজে রূপান্তরিত হয়। আর এসব গুণাবলী সাধারণত বলিষ্ঠ দেহধারী নারীদের হয়ে থাকে। স্বাস্থ্যবতী নারী ছাড়া এমন গুণাবলী পাওয়া যাবে না। আর অধিকাংশ মানুষের স্বভাব হলো তারা এমন গুণ বিশিষ্ট নারীর প্রতি বেশী আকৃষ্ট হয়।

অন্য বর্ণনায় সা‘দ হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন সে সামনের দিকে আসে তখন সে ছয়টি নিয়ে আসে এবং যখন পিছনে ফেরে তখন চারটি নিয়ে ফিরে। অর্থাৎ- দুই হাত দুই পা ও পেটের দু’ প্রান্তের ভাঁজ সমষ্টি। আর পিছনে ফিরলে তা কমে চারটি হয়ে যাওয়ার কারণ হলো, পিছনে ফিরলে তার দুই বুক ঢেকে যায় যা দেখা যায় না। আর যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন গুণাবলীর কথা শুনলেন যা পুরুষকে আকৃষ্ট করে তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এদেরকে তার স্ত্রীদের (উম্মুল মু’মিনীনের) উপর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন। কারণ মানুষের কাছে তাঁদের (উম্মুল মু’মিনীনদের) দৈহিক গুণাগুন বর্ণনা করবে, এর ফলে পর্দার উদ্দেশ্যই ব্যাহত হয়ে যাবে। (ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫২৩৫)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে

৩১২২-[২৫] মিস্ওয়ার ইবনু মাখরামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (শৈশবে) এক ভারী পাথর বহন করে চলছিলাম। এমতাবস্থায় আমার পরিধেয় কাপড় খুলে পড়ে গেল এবং আমি তা পরতে পারছিলাম না। এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখে বললেনঃ কাপড় পরে নাও, উলঙ্গ হয়ে চলাফেরা করো না। (মুসলিম)[1]

وَعَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ قَالَ حَمَلْتُ حَجَرًا ثقيلاً فَبينا أَنَا أَمْشِي سَقَطَ عَنِّي ثَوْبِي فَلَمْ أَسْتَطِعْ أَخْذَهُ فَرَآنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِي: «خُذْ عَلَيْكَ ثَوْبَكَ وَلَا تَمْشُوا عُرَاة» . رَوَاهُ مُسلم

وعن المسور بن مخرمة قال حملت حجرا ثقيلا فبينا انا امشي سقط عني ثوبي فلم استطع اخذه فراني رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال لي: «خذ عليك ثوبك ولا تمشوا عراة» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা (خُذْ عَلَيْكَ ثَوْبَكَ) অর্থাৎ- কাপড় উঠিয়ে তা পরিধান কর। এটি একক ব্যক্তিকে সম্বোধন করা হয়েছে, কারণ পরনের কাপড় খুলে পরে যাওয়াটা উক্ত ব্যক্তির সাথে (মিসওয়াব বিন মাখরাহ্ ) খাস ছিল। এর পরবর্তী বাক্য (لَا تَمْشُوْا عُرَاةً) অর্থাৎ- তোমরা উলঙ্গ হয়ে পথ চলো না, এটা সকল উম্মাতের জন্য প্রযোজ্য। (শারহে মুসলিম ১৩/১৪ খন্ড, হাঃ ৩৪১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে

৩১২৩-[২৬] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কক্ষনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করিনি। (ইবনু মজাহ)[1]

وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: مَا نَظَرْتُ أَوْ مَا رَأَيْتُ فَرْجَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم قطّ. رَوَاهُ ابْن مَاجَه

وعن عاىشة قالت: ما نظرت او ما رايت فرج رسول الله صلى الله عليه وسلم قط. رواه ابن ماجه

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে

৩১২৪-[২৭] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মু’মিনের যদি মাহরাম নারীর প্রতি প্রথম দৃষ্টি পড়ে, আর সাথে সাথে সে দৃষ্টি নীচু করে দেয়, আল্লাহ তা’আলা তার বিনিময়ে তাকে এমন এক ’ইবাদাতের সুযোগ সৃষ্টি করেন, যার স্বাদ সে অন্তরে অনুভব করে। (আহমাদ)[1]

وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَنْظُرُ إِلَى مَحَاسِنِ امْرَأَةٍ أَوَّلَ مَرَّةٍ ثُمَّ يَغُضُّ بَصَرَهُ إِلَّا أَحْدَثَ اللَّهُ لَهُ عِبَادَةً يَجِدُ حلاوتها» . رَوَاهُ أَحْمد

وعن ابي امامة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «ما من مسلم ينظر الى محاسن امراة اول مرة ثم يغض بصره الا احدث الله له عبادة يجد حلاوتها» . رواه احمد

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (বিবাহের প্রস্থাবিত) পাত্রী দেখা ও সতর (পর্দা) প্রসঙ্গে

৩১২৫-[২৮] হাসান বসরী (রহঃ) হতে মুরসালরূপে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্বেচ্ছায় নারীকে দর্শনকারী পুরুষ ও স্বেচ্ছায় প্রদর্শনকারিণী নারী উভয়ের ওপর আল্লাহ তা’আলার লা’নাত (অভিশাপ)। (বায়হাক্বী শু’আবুল ঈমানে)[1]

وَعَنِ الْحَسَنِ مُرْسَلًا قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَعَنَ اللَّهُ النَّاظِرَ وَالْمَنْظُورَ إِلَيْهِ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ

وعن الحسن مرسلا قال: بلغني ان رسول صلى الله عليه وسلم قال: «لعن الله الناظر والمنظور اليه» . رواه البيهقي في شعب الايمان

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ হাসান বাসরী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح) 13. Marriage
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে