মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১২২ টি

পরিচ্ছেদঃ ৫৮৩. খুতবায় আল্লাহ্‌র প্রশংসার পর ‘আম্‌মা বা’দু’ বলা।

৮৭৯। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন। এরপর আমি তাঁকে তৌহীদের সাক্ষ্য বাণী পাঠ করার পর বলতে শুনলাম, “আম্‌মা বা’দ”।

بَاب مَنْ قَالَ فِي الْخُطْبَةِ بَعْدَ الثَّنَاءِ أَمَّا بَعْدُ

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعْتُهُ حِينَ تَشَهَّدَ يَقُولُ ‏ "‏ أَمَّا بَعْدُ ‏"‏‏.‏ تَابَعَهُ الزُّبَيْدِيُّ عَنِ الزُّهْرِيِّ‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhrama: Once Allah's Messenger (ﷺ) got up for delivering the Khutba and I heard him after "Tashah-hud" saying "Amma ba'du."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০৬৭. যে ব্যক্তি যুল-হুলায়ফা থেকে (কুরবানীর পশুকে) ইশ’আর এবং কিলাদা করে পরে ইহরাম বাঁধে।

وَقَالَ نَافِعٌ كَانَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا إِذَا أَهْدَى مِنَ الْمَدِينَةِ قَلَّدَهُ وَأَشْعَرَهُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ، يَطْعُنُ فِي شِقِّ سَنَامِهِ الأَيْمَنِ بِالشَّفْرَةِ، وَوَجْهُهَا قِبَلَ الْقِبْلَةِ بَارِكَةً

নাফি (রহঃ) বলেন, ইবন ’উমর (রাঃ) মদীনা থেকে যখন কুরবানীর জানোয়ার সাথে নিয়ে আসতেন তখন যুল-হুলাইফায় তাঁকে কিলাদা পরাতেন এবং ইশ’আর করতেন। ইশ’আর অর্থাৎ উটকে কেবলামুখী করে বসিয়ে বড় ছুরি দিয়ে কুজের ডান পার্শ্বে যখম করতেন।


১৫৮৭। আহমদ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবনু মাখরামা ও মারওয়ান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তাঁরা উভয়ই বলেছেন, হুদায়বিয়ার সন্ধির পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাজারেরও অধিক সাহাবী নিয়ে মদ্বীনা থেকে বের হয়ে যুল-হুলাইফা পৌঁছে কুরবানীর পশুটিকে কিলাদা পরালেন এবং ইশ’আর করলেন। এরপর তিনি ’উমরার ইহরাম বাঁধলেন।

باب مَنْ أَشْعَرَ وَقَلَّدَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ ثُمَّ أَحْرَمَ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، وَمَرْوَانَ، قَالاَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمَدِينَةِ زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي بِضْعَ عَشْرَةَ مِائَةً مِنْ أَصْحَابِهِ، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِذِي الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْهَدْىَ وَأَشْعَرَ وَأَحْرَمَ بِالْعُمْرَةِ‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhrama and Marwan: The Prophet (ﷺ) set out from Medina with over one thousand of his companions (at the time of the Treaty of Hudaibiya) and when they reached Dhul-Hulaifa, the Prophet (ﷺ) garlanded his Hadi and marked it and assumed Ihram for `Umra.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১৩৫. বাধাপ্রাপ্ত হলে মাথা কামানোর আগে কুরবানী করা

১৬৯৫। মাহামুদ (রহঃ) ... মিসওয়ার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা কামানোর আগেই কুরবানী করেন এবং সাহাবাদের অনুরূপ করার নির্দেশ দেন।

باب النَّحْرِ قَبْلَ الْحَلْقِ فِي الْحَصْرِ

حَدَّثَنَا مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَحَرَ قَبْلَ أَنْ يَحْلِقَ، وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ بِذَلِكَ‏.‏


Narrated Al-Miswar: Allah's Messenger (ﷺ) slaughtered (the Hadi) before he had his head shaved and then he ordered his Companions to do the same.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪৩৫. কোন ওয়াকীলকে অথবা কোন সম্প্রদায়ের সুপারিশকারীকে কোন বস্তু হিবা কড়া জায়িয। কেননা নবী (ﷺ) হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দলকে যখন তারা গনীমতের মাল ফেরত চেয়েছিল বলেছিলেন, আমি আমার অংশটা তোমাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি।

২১৫৯। সাঈদ ইবনু উফাইর (রহঃ) ... মারওয়ান ইবনু হাকাম ও মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দল যখন ইসলাম গ্রহণ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এলেন, তখন তিনি উঠে দাঁড়ালেন। প্রতিনিধি দল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তাদের ধন-সম্পদ ও বন্দী ফেরত চাইলেন। তখন তিনি বললেন, আমার নিকট সত্য কথাই অধিকতর পছন্দনীয়। কাজেই তোমরা দু’টোর মধ্যে একটা বেছে নাও- হয় বন্ধী, নয় ধন-সম্পদ। আমি তো এদের আগমনের অপেক্ষায়ই প্রতীক্ষমাণ ছিলাম। (বর্ণনাকারী বলেন) তায়িফ থেকে প্রত্যাবর্তন করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশ রাতেরও বেশী তাদের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।

যখন (প্রতিনিধি দল) বুঝতে পারলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টোর মধ্যে একটি ফেরত দেবেন, তখন তারা বললেন, আমরা আমাদের বন্ধীদেরকে গ্রহণ করছি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমগণের মাঝে দাঁড়িয়ে আল্লাহ পাকের যথাযথ প্রশংসা করে বললেন, তোমাদের এই ভাইয়েরা তাওবা করে আমার কাছে এসেছে এবং আমার অভিপ্রায় এই যে, আমি তাদের বন্দীদের ফেরত দেই। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যাক্তি নিজ খুশিতে স্বেচ্ছা-প্রণোদিত হয়ে ফেরত দিতে চায়, সে দিক। আর তোমাদের মধ্যে যে এর বিনিময় গ্রহণ পছন্দ করে, আমরা সেই গনীমতের মাল থেকে তা দেবো যা আল্লাহ প্রথম আমাদের দান করবেন। সে তা করুক অর্থাৎ বিনিময় নিয়ে ফেরত দিক।

সাহাবীগন বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা সেচ্ছায় তাদেরকে ফেরত দিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের মধ্যে কে কে অনুমতি দিল আর কে কে অনুমতি দিল না, তা আমরা বুঝতে পারছি না। কাজেই তোমরা ফিরে যাও এবং তোমাদের নেতাগন তোমাদের মতামত আমাদের নিকট পেশ করুক। সাহাবীগন ফিরে গেলেন। তাদের নেতা তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে জানালেন যে, সাহাবীগন সন্তুষ্টচিত্তে অনুমতি দিয়েছেন।

باب إِذَا وَهَبَ شَيْئًا لِوَكِيلٍ أَوْ شَفِيعِ قَوْمٍ جَازَ لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِوَفْدِ هَوَازِنَ حِينَ سَأَلُوهُ الْمَغَانِمَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: نَصِيبِي لَكُمْ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ وَزَعَمَ عُرْوَةُ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ حِينَ جَاءَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ مُسْلِمِينَ، فَسَأَلُوهُ أَنْ يَرُدَّ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ وَسَبْيَهُمْ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَحَبُّ الْحَدِيثِ إِلَىَّ أَصْدَقُهُ‏.‏ فَاخْتَارُوا إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ إِمَّا السَّبْىَ، وَإِمَّا الْمَالَ، وَقَدْ كُنْتُ اسْتَأْنَيْتُ بِهِمْ ‏"‏‏.‏ وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْتَظَرَهُمْ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، حِينَ قَفَلَ مِنَ الطَّائِفِ، فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ رَادٍّ إِلَيْهِمْ إِلاَّ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ قَالُوا فَإِنَّا نَخْتَارُ سَبْيَنَا‏.‏ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمُسْلِمِينَ، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ إِخْوَانَكُمْ هَؤُلاَءِ قَدْ جَاءُونَا تَائِبِينَ، وَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّ إِلَيْهِمْ سَبْيَهُمْ، فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يُطَيِّبَ بِذَلِكَ فَلْيَفْعَلْ، وَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَكُونَ عَلَى حَظِّهِ حَتَّى نُعْطِيَهُ إِيَّاهُ مِنْ أَوَّلِ مَا يُفِيءُ اللَّهُ عَلَيْنَا فَلْيَفْعَلْ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ النَّاسُ قَدْ طَيَّبْنَا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّا لاَ نَدْرِي مَنْ أَذِنَ مِنْكُمْ فِي ذَلِكَ مِمَّنْ لَمْ يَأْذَنْ، فَارْجِعُوا حَتَّى يَرْفَعُوا إِلَيْنَا عُرَفَاؤُكُمْ أَمْرَكُمْ ‏"‏‏.‏ فَرَجَعَ النَّاسُ فَكَلَّمَهُمْ عُرَفَاؤُهُمْ، ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرُوهُ أَنَّهُمْ قَدْ طَيَّبُوا وَأَذِنُوا‏.‏


Narrated Marwan bin Al-Hakam and Al-Miswar bin Makhrama: When the delegates of the tribe of Hawazin after embracing Islam, came to Allah's Messenger (ﷺ), he got up. They appealed to him to return their properties and their captives. Allah's Messenger (ﷺ) said to them, "The most beloved statement to me is the true one. So, you have the option of restoring your properties or your captives, for I have delayed distributing them." The narrator added, Allah's Messenger (ﷺ) c had been waiting for them for more than ten days on his return from Taif. When they realized that Allah's Apostle would return to them only one of two things, they said, "We choose our captives." So, Allah's Apostle got up in the gathering of the Muslims, praised Allah as He deserved, and said, "Then after! These brethren of yours have come to you with repentance and I see it proper to return their captives to them. So, whoever amongst you likes to do that as a favor, then he can do it, and whoever of you wants to stick to his share till we pay him from the very first booty which Allah will give us then he can do so." The people replied, "We agree to give up our shares willingly as a favor for Allah's Apostle." Then Allah's Messenger (ﷺ) said, "We don't know who amongst you has agreed and who hasn't. Go back and your chiefs may tell us your opinion." So, all of them returned and their chiefs discussed the matter with them and then they (i.e. their chiefs) came to Allah's Messenger (ﷺ) to tell him that they (i.e. the people) had given up their shares gladly and willingly.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৬১৪. যে বস্তু কাছে নেই, তা হিবা করা যিনি জাইয মনে করেন

২৪১৩। সাঈদ ইবনু আবূ মারয়াম (রহঃ) ... মিসওযার ইবনু মাখরামা (রাঃ) ও মারওয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তারা বলেন, হাওয়াবিন গোত্রের প্রতিনিধি দল যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন। তখন তিনি লোকদের সামনে ভাষন দিতে দাঁড়িয়ে আল্লাহ্ পাকের যথাযোগ্য প্রশংসা করলেন। এরপর বললেন, তোমার ভাইয়েরা আমাদের কাছে তওবা করে (মুসলিম হয়ে) এসেছে। আমি তাদেরকে ফেরত দিয়ে তাদের যুদ্ধবন্দীদের দেওয়া সঙ্গত মনে করছি। কাজেই তোমাদের মধ্যে যারা সন্তুষ্টচিত্তে করতে চায় তারা যেন তা করে। আর যে নিজের অংশ রেখে দিতে চায়, এভাবে প্রথম যে ফায় আল্লাহ্ আমাদের দান করবেন সেখান থেকে তার হিসসা আদায় করে দিব। (সে যেন তা করে) তখন সকলেই বললেন, আমরা আপনার সন্তুষ্টির জন্য তা করলাম।

باب مَنْ رَأَى الْهِبَةَ الْغَائِبَةَ جَائِزَةً

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ ذَكَرَ عُرْوَةُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، رضى الله عنهما وَمَرْوَانَ أَخْبَرَاهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حِينَ جَاءَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ قَامَ فِي النَّاسِ، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ إِخْوَانَكُمْ جَاءُونَا تَائِبِينَ، وَإِنِّي رَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّ إِلَيْهِمْ سَبْيَهُمْ، فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يُطَيِّبَ ذَلِكَ فَلْيَفْعَلْ، وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَكُونَ عَلَى حَظِّهِ حَتَّى نُعْطِيَهُ إِيَّاهُ مِنْ أَوَّلِ مَا يُفِيءُ اللَّهُ عَلَيْنَا ‏"‏‏.‏ فَقَالَ النَّاسُ طَيَّبْنَا لَكَ‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhrama and Marwan: When the delegates of the tribe of Hawazin came to the Prophet (ﷺ) he stood up amongst the people, Glorified and Praised Allah as He deserved, and said, "Then after: Your brethren have come to you with repentance and I see it logical to return to them their captives; so whoever amongst you likes to do that as a favor, then he can do it, and whoever of you like to stick to his share till we give him his right from the very first Fai (war booty) (1) which Allah will bestow on us, then (he can do so)." The people replied, "We do that (to return the captives) willingly as a favor for your sake."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৬২৩. গোলাম বা অন্যান্য সামগ্রী কিভাবে অধিকারে আনা যায়। ইবন উমর (রাঃ) বলেন, আমি এক অবাধ্য উটের উপর সাওয়ার ছিলাম। নবী (ﷺ) সেটি খরিদ করে বললেন, হে আবদুল্লাহ! এটি তোমার।

২৪২৭। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার কিছু কবা’ (পোষাক বিশেষ) বন্টন করলেন। কিন্তু মাখরামাকে তা থেকে একটিও দিলেন না। মাখরামা (রাঃ) তখন (ছেলেকে) বললেন, প্রিয় বৎস! আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে নিয়ে চল। (মিসওয়ার (রাঃ) বলেন) আমি তার সঙ্গে গেলাম, তখন তিনি আমাকে বললেন, যাও ভেতরে গিয়ে তাঁকে আমার জন্য আহ্বান জানাও। (মিসওয়ার (রাঃ) বলেন, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আহ্বান জানালাম। তিনি বেরিয়ে এলেন। তখন তার কাছে একটি কবা (জামা/আলখাল্লা) ছিল। তিনি বললেন, এটা আমি তোমার জন্য হিফাযত করে রেখে দিয়েছিলাম। মাখরামা (রাঃ) সেটি তাকিয়ে দেখলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মাখরামা খুশী হয়ে গেছে।

باب كَيْفَ يُقْبَضُ الْعَبْدُ وَالْمَتَاعُ وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ كُنْتُ عَلَى بَكْرٍ صَعْبٍ فَاشْتَرَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: هُوَ لَكَ يَا عَبْدَ اللَّهِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقْبِيَةً، وَلَمْ يُعْطِ مَخْرَمَةَ مِنْهَا شَيْئًا، فَقَالَ مَخْرَمَةُ يَا بُنَىَّ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏ فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ، فَقَالَ ادْخُلْ فَادْعُهُ لِي‏.‏ قَالَ فَدَعَوْتُهُ لَهُ فَخَرَجَ إِلَيْهِ، وَعَلَيْهِ قَبَاءٌ مِنْهَا، فَقَالَ ‏ "‏ خَبَأْنَا هَذَا لَكَ ‏"‏‏.‏ قَالَ فَنَظَرَ إِلَيْهِ، فَقَالَ رَضِيَ مَخْرَمَةُ‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhrama: Allah's Messenger (ﷺ) distributed some cloaks but did not give anything thereof to Makhrama. Makhrama said (to me), "O son! accompany me to Allah's Messenger (ﷺ)." When I went with him, he said, "Call him to me." I called him (i.e. the Prophet (ﷺ) ) for my father. He came out wearing one of those cloaks and said, "We kept this (cloak) for you, (Makhrama)." Makhrama looked at the cloak and said, "Makhrama is pleased," (or the Prophet (ﷺ) said), "Is Makhrama pleased?"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৬৫২. অন্ধের সাক্ষ্যদান, কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দান, নিজে বিয়ে করা, কাউকে বিয়ে দেওয়া, ক্রয়-বিক্রয় করা, আযান দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে তাকে গ্রহন করা আওয়াজে পরিচয় করা। কাসিম, হাসান, ইবনু সীরীন, যুহরী ও আত্বা (র) অন্ধের সাক্ষ্যদান অনুমোদন করেছেন। ইমাম শাবী (র) বলেন, বুদ্ধিমান হলে তার সাক্ষ্যদান বৈধ। হাকাম (র) বলেন, অনেক বিষয় আছে, যেখানে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য। ইমাম যুহরী (র) বলেন, তুমি কি মনে কর যে, ইবনু আববাস কোন বিষয়ে সাক্ষ্য দিলে তা প্রত্যাখান করতে পারবে? ইবনু আববাস (দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পাওয়ায়) জনৈক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে সূর্য ডুবেছে কিনা জেনে নিয়ে ইফতার করতেন। অনুরূপভাবে ফজরের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন। ফজর হয়েছে বলা হলে তিনি দু‘রাকাআত সলাম আদায় করতেন। সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (র) বলেন, একবার আমি আয়িশাহ এর নিকট সাক্ষাতের অনুমতি চাইলাম। তিনি আমার আওয়াজ চিনতে পেরে বললেন, সুলাইমান না কি, এসো! তোমার সঙ্গে পর্দার প্রয়োজন নেই। (কেননা) যতক্ষণ (মুকাতাবাতের দেয় অর্থের) সামান্য পরিমাণও বাকি থাকবে ততক্ষণ তুমি গোলাম। সামূরাহ ইবনু জুনদুব মুখমণ্ডল
আচ্ছাদিতা নারীর সাক্ষ্যদান অনুমোদন করেছেন।

২৪৮১। যিয়াদ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবনু মাখরাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কিছু ’কাবা’ (পোশাক বিশেষ) আসল। আমার পিতা মাখরামা (রাঃ) তা শুনে আমাকে বললেন, আমাকে তার কাছে নিয়ে চলো। সেখান থেকে তিনি আমাদের কিছু দিতেও পারেন। আমার পিতা দরজার সামনে দাড়িয়ে কথা বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কন্ঠস্বর চিনতে পারলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন একটি ’কাবা’ সাথে করে বেরিয়ে এলেন, তিনি তার সৌন্দর্য বর্ণনা করছিলেন এবং বলছিলেন, আমি এটা তোমার জন্য লুকিয়ে রেখেছিলাম। আমি এটা তোমার জন্য লুকিয়ে রেখে ছিলাম।

بَابُ شَهَادَةِ الأَعْمَى، وَأَمْرِهِ وَنِكَاحِهِ وَإِنْكَاحِهِ وَمُبَايَعَتِهِ وَقَبُولِهِ فِي التَّأْذِينِ وَغَيْرِهِ، وَمَا يُعْرَفُ بِالأَصْوَاتِ وَأَجَازَ شَهَادَتَهُ قَاسِمٌ وَالْحَسَنُ وَابْنُ سِيرِينَ وَالزُّهْرِيُّ وَعَطَاءٌ. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ تَجُوزُ شَهَادَتُهُ إِذَا كَانَ عَاقِلاً. وَقَالَ الْحَكَمُ رُبَّ شَيْءٍ تَجُوزُ فِيهِ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ أَرَأَيْتَ ابْنَ عَبَّاسٍ لَوْ شَهِدَ عَلَى شَهَادَةٍ أَكُنْتَ تَرُدُّهُ. وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَبْعَثُ رَجُلاً إِذَا غَابَتِ الشَّمْسُ أَفْطَرَ، وَيَسْأَلُ عَنِ الْفَجْرِ فَإِذَا قِيلَ لَهُ طَلَعَ. صَلَّى رَكْعَتَيْنِ. وَقَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ اسْتَأْذَنْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَعَرَفَتْ صَوْتِي قَالَتْ سُلَيْمَانُ، ادْخُلْ فَإِنَّكَ مَمْلُوكٌ مَا بَقِيَ عَلَيْكَ شَيْءٌ. وَأَجَازَ سَمُرَةُ بْنُ جُنْدَبٍ شَهَادَةَ امْرَأَةٍ مُنْتَقِبَةٍ

حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ وَرْدَانَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَدِمَتْ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَقْبِيَةٌ فَقَالَ لِي أَبِي مَخْرَمَةُ انْطَلِقْ بِنَا إِلَيْهِ عَسَى أَنْ يُعْطِيَنَا مِنْهَا شَيْئًا‏.‏ فَقَامَ أَبِي عَلَى الْبَابِ فَتَكَلَّمَ، فَعَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَوْتَهُ فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَمَعَهُ قَبَاءٌ وَهُوَ يُرِيهِ مَحَاسِنَهُ وَهُوَ يَقُولَ ‏ "‏ خَبَأْتُ هَذَا لَكَ، خَبَأْتُ هَذَا لَكَ ‏"‏‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhrama: Some outer garments were received the Prophet (ﷺ) and my father (Makhrama) said to me, "Let us go to the Prophet (ﷺ) so that he may give us something from the garments." So, my father stood at the door and spoke. The Prophet (ﷺ) recognized his voice and came out carrying a garment and telling Makhrama the good qualities of that garment, adding, "I have kept this for you, I have sent this for you."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯৬১. যিম্মীদের থেকে জিযিয়া গ্রহণ এবং হারবীদের সাথে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি। আর আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে না, এবং শেষ দিনের উপর বিশ্বাস করে না, আর আল্লাহ তা’আলা ও তার রাসুল যা হারাম করেছেন তা হারাম বলে মানে না, তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ কর ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত। (৯ঃ ২৯) আয়াতে উল্লেখিত مسكين শব্দের মুল হল مسكنة অর্থ হল অভাবগ্রস্ত اسكن من فلان এর অর্থ সে অমুক থেকে অধিক অভাবগ্রস্থ। এ শব্দটি سكون থেকে নিশপন্ন নয়। صاغرون এর অর্থ লাঞ্চিত। ইয়াহুদি, খ্রিস্টান, অগ্নিপুজক ও আজমীদের থেকে জিযিয়া গ্রহন। ইবন উয়াইনা (রহঃ) (আবদুল্লাহ) ইবন নাজীহ (রহঃ) থেকে বলেন, আমি মুজাহিদ (রহঃ) এর নিকট জিজ্ঞেস করলাম, এর কারন কি যে, সিরিয়া বাসীদের উপর চার দীনার এবং ইয়ামান বাসীদের উপর এক দীনার করে জিযিয়া গ্রহন করা হয়। তিনি বললেন, তা স্বচ্ছলতার প্রেক্ষিতে ধার্য করা হয়েছে।

২৯৩৬। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আমর ইবনু আউফ আনসারী (রাঃ) যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমির ইবনু লুয়াইয়ের মিত্র ছিলেন এবং বদর যুদ্ধে শরীক হয়েছিলেন, তিনি তাঁকে বলেছিলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ উবাইদা ইবনু জাররাহ (রাঃ) কে বাহরাইনে জিযিয়া আদায় করার জন্য পাঠালেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহরাইনবাসীদের সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন এবং আলা ইবনু হাযরামী (রাঃ) কে তাদের আমির নিযুক্ত করেছিলেন। আবূ উবাইদা (রাঃ) বাহরাইন থেকে অর্থ সম্পদ নিয়ে এলেন। আনসারগণ আবূ উবাইদার আগমনের সংবাদ শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ফজরের সালাতে সবাই উপস্থিত হন।

যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিয়ে ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে ফিরলেন, তখন তারা তাঁর সামনে উপস্থিত হলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের দেখে মুচকি হাসলেন এবং বললেন, আমার মনে হয় তোমরা শুনেছ, আবূ উবাইদা (রাঃ) কিছু নিয়ে এসেছেন, তারা বলল, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সুসংবাদ গ্রহণ কর এবং যা তোমাদের খুশী করে তা আশা রাখ। আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের ব্যাপারে দারিদ্রের আশঙ্কা করি না। কিন্তু তোমাদের ব্যাপারে এ আশঙ্কা করি যে, তোমাদের উপর দুনিয়া এরূপ প্রসারিত হয়ে পড়বে যেরূপ তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর প্রসারিত হয়েছিল। আর তোমরাও দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে, যেমন তারা আকৃষ্ট হয়েছিল। আর তা তোমাদের ধ্বংস করবে, যেমন তাদের ধ্বংস করেছে।’

باب الْجِزْيَةِ وَالْمُوَادَعَةِ مَعَ أَهْلِ الْحَرْبِ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {قَاتِلُوا الَّذِينَ لاَ يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلاَ بِالْيَوْمِ الآخِرِ وَلاَ يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ} أَذِلاَّءُ. وَمَا جَاءَ فِي أَخْذِ الْجِزْيَةِ مِنَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى وَالْمَجُوسِ وَالْعَجَمِ. وَقَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ قُلْتُ لِمُجَاهِدٍ مَا شَأْنُ أَهْلِ الشَّأْمِ، عَلَيْهِمْ أَرْبَعَةُ دَنَانِيرَ وَأَهْلُ الْيَمَنِ عَلَيْهِمْ دِينَارٌ قَالَ جُعِلَ ذَلِكَ مِنْ قِبَلِ الْيَسَارِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَوْفٍ الأَنْصَارِيَّ وَهْوَ حَلِيفٌ لِبَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأْتِي بِجِزْيَتِهَا، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ صَالَحَ أَهْلَ الْبَحْرَيْنِ وَأَمَّرَ عَلَيْهِمُ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ، فَقَدِمَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ، فَسَمِعَتِ الأَنْصَارُ بِقُدُومِ أَبِي عُبَيْدَةَ فَوَافَتْ صَلاَةَ الصُّبْحِ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَلَمَّا صَلَّى بِهِمِ الْفَجْرَ انْصَرَفَ، فَتَعَرَّضُوا لَهُ، فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ رَآهُمْ وَقَالَ ‏"‏ أَظُنُّكُمْ قَدْ سَمِعْتُمْ أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدْ جَاءَ بِشَىْءٍ ‏"‏‏.‏ قَالُوا أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَأَبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ، فَوَاللَّهِ لاَ الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ، وَلَكِنْ أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُبْسَطَ عَلَيْكُمُ الدُّنْيَا كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ، فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا وَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ ‏"‏‏.‏


Narrated `Amr bin `Auf Al-Ansari: (who was an ally of Bam `Amr bin Lu'ai and one of those who had taken part in (the Ghazwa of) Badr): Allah's Messenger (ﷺ) sent Abu 'Ubaida bin Al-Jarreh to Bahrain to collect the Jizya. Allah's Messenger (ﷺ) had established peace with the people of Bahrain and appointed Al-`Ala' bin Al-Hadrami as their governor. When Abu 'Ubaida came from Bahrain with the money, the Ansar heard of Abu 'Ubaida's arrival which coincided with the time of the morning prayer with the Prophet. When Allah's Messenger (ﷺ) led them in the morning prayer and finished, the Ansar approached him, and he looked at them and smiled on seeing them and said, "I feel that you have heard that Abu. 'Ubaida has brought something?" They said, "Yes, O Allah's Messenger (ﷺ)' He said, "Rejoice and hope for what will please you! By Allah, I am not afraid of your poverty but I am afraid that you will lead a life of luxury as past nations did, whereupon you will compete with each other for it, as they competed for it, and it will destroy you as it destroyed them."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০৮৫. উমর ইবন খাত্তাব আবু হাফস কুরায়শী-আদাবী (রাঃ) এর ফযিলত ও মর্যাদা

৩৪২৭। সালত ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন উমর (রাঃ) (আবূ লুলু গোলামের খঞ্জরের আঘাতে) আহত হলেন, তখন তিনি বেদনা অনুভব করছিলেন। তখন তাঁকে সান্তনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলতে লাগলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন, এ আঘাত জনিত কারণে (আল্লাহ না করুন) যদি আপনার কিছু (মৃত্যু) ঘঠে (তাতে চিন্তা-ভাবনা) বা দুঃখের কোন কারণ নেই। আপনি তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তাঁর সাহচর্যের হক উত্তমরূপে আদায় করেছেন। এরপর (তাঁর থেকে) আপনি এ অবস্থায় পৃথক হয়েছেন, তিনি আপনার প্রতি সন্তুষ্ট। তারপর আপনি আবূ বকর (রাঃ)-এর সাহচর্য লাভ করেন এবং এর হকও উত্তমরূপে আদায় করেন। এরপর (তাঁর থেকে) আপনি এ অবস্থায় পৃথক হয়েছেন যে, তিনি আপনার প্রতি সন্তুষ্ট। তারপর আপনি (খলীফা মনোনীত হয়ে) সাহাবা কেরামের সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তাদের হকও উত্তমরূপে আদায় করেছেন।

যদি আপনি তাদের থেকে পৃথক হয়ে পড়েন তবে আপনি অবশ্যই তাদের থেকে এমন অবস্থায় পৃথক হবেন যে তাঁরাও আপনার প্রতি সন্তুষ্ট। উমর (রাঃ) বললেন, তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্য ও সন্তুষ্টি লাভ সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছ, তাতো আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ, যা তিনি আমার প্রতি করেছেন। এবং আবূ বকর (রাঃ)-এর সাহচর্য ও সন্তুষ্টি লাভের ব্যাপারে যা তুমি উল্লেখ করেছ তাও একমাত্র মহান আল্লাহর অনুগ্রহ যা তিনি আমার উপর করেছেন। আর আমার যে অস্থিরতা তুমি দেখেছ তা তোমার এবং তোমার সাথীদের কারণেই। আল্লাহর কসম, আমার নিকট যদি দুনিয়া ভর্তি স্বর্ণ থাকত তবে আল্লাহর আযাব দেখার পূর্বেই তা হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য ফিদয়া হিসাবে এসব বিলিয়ে দিতাম।

হাম্মাদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমর (রাঃ)-এর কাছে প্রবেশ করলাম ......।

باب مَنَاقِبُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَبِي حَفْصٍ الْقُرَشِيِّ الْعَدَوِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ

حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ لَمَّا طُعِنَ عُمَرُ جَعَلَ يَأْلَمُ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ ـ وَكَأَنَّهُ يُجَزِّعُهُ ـ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَلَئِنْ كَانَ ذَاكَ لَقَدْ صَحِبْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَحْسَنْتَ صُحْبَتَهُ، ثُمَّ فَارَقْتَهُ وَهْوَ عَنْكَ رَاضٍ، ثُمَّ صَحِبْتَ أَبَا بَكْرٍ فَأَحْسَنْتَ صُحْبَتَهُ، ثُمَّ فَارَقْتَهُ وَهْوَ عَنْكَ رَاضٍ، ثُمَّ صَحِبْتَ صَحَبَتَهُمْ فَأَحْسَنْتَ صُحْبَتَهُمْ، وَلَئِنْ فَارَقْتَهُمْ لَتُفَارِقَنَّهُمْ وَهُمْ عَنْكَ رَاضُونَ‏.‏ قَالَ أَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ صُحْبَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرِضَاهُ، فَإِنَّمَا ذَاكَ مَنٌّ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى مَنَّ بِهِ عَلَىَّ، وَأَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ صُحْبَةِ أَبِي بَكْرٍ وَرِضَاهُ، فَإِنَّمَا ذَاكَ مَنٌّ مِنَ اللَّهِ جَلَّ ذِكْرُهُ مَنَّ بِهِ عَلَىَّ، وَأَمَّا مَا تَرَى مِنْ جَزَعِي، فَهْوَ مِنْ أَجْلِكَ وَأَجْلِ أَصْحَابِكَ، وَاللَّهِ لَوْ أَنَّ لِي طِلاَعَ الأَرْضِ ذَهَبًا لاَفْتَدَيْتُ بِهِ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ قَبْلَ أَنْ أَرَاهُ‏.‏ قَالَ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، دَخَلْتُ عَلَى عُمَرَ بِهَذَا‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhrama: When `Umar was stabbed, he showed signs of agony. Ibn `Abbas, as if intending to encourage `Umar, said to him, "O Chief of the believers! Never mind what has happened to you, for you have been in the company of Allah's Messenger (ﷺ) and you kept good relations with him and you parted with him while he was pleased with you. Then you were in the company of Abu Bakr and kept good relations with him and you parted with him (i.e. he died) while he was pleased with you. Then you were in the company of the Muslims, and you kept good relations with them, and if you leave them, you will leave them while they are pleased with you." `Umar said, (to Ibn "Abbas), "As for what you have said about the company of Allah's Messenger (ﷺ) and his being pleased with me, it is a favor, Allah did to me; and as for what you have said about the company of Abu Bakr and his being pleased with me, it is a favor Allah did to me; and concerning my impatience which you see, is because of you and your companions. By Allah! If (at all) I had gold equal to the earth, I would have ransomed myself with it from the Punishment of Allah before I meet Him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০৯১. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট আত্মীয়দের মর্যাদা এবং ফাতিমা (রাঃ) বিনতে নবী (সাঃ) এর মর্যাদা। নবী (সাঃ) বলেছেন, ফাতিমা (রাঃ) জান্নাতবাসী মহিলাগণের সরদার

৩৪৪৮। আবূ ওয়ালিদ (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ফাতিমা আমার (দেহের) টুকরা। যে তাঁকে কষ্ট দিবে, সে যেন আমাকে কষ্ট দিল।

بَابُ مَنَاقِبُ قَرَابَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْقَبَةِ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ بِنْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَاطِمَةُ سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ فَاطِمَةُ بَضْعَةٌ مِنِّي، فَمَنْ أَغْضَبَهَا أَغْضَبَنِي ‏"‏‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhrama: Allah's Messenger (ﷺ) said, "Fatima is a part of me, and he who makes her angry, makes me angry."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০৯৫. নবী করীম (সাঃ) এর জামাতা সম্পর্কে বর্ণনা। আবুল আস ইবন রাবী তাদের একজন

৩৪৬১ আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ জেহেলের কন্যাকে আলী (রাঃ) বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে পাঠালেন। ফাতিমা (রাঃ) এই সংবাদ শুনতে পেরে রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে এসে বলেলন, আপনার গোত্রের লোকজন মনে করে যে, আপনি আপনার মেয়েদের খাতিরে রাগান্বিত হন না। আলী তো আবূ জেহেলের কন্যাকে বিবাহ করতে প্রস্তুত। রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এ কথা শুনে) খুতবা দিতে প্রস্তুত হলেন।

(মিসওয়ার বলেন) যখন তিনি হামদ ও সানা পাঠ করেন, তখন আমি তাঁকে বলতে শুনেছি যে, আমি আবূল আস ইবনু রাবির নিকট আমার মেয়েকে শাদী দিয়েছিলাম। যে আমার সাথে যা বলেছে সত্যই বলেছে। আর (শোন) ফাতিমা আমার (দেহের) টুকরা; তাঁর কোন কষ্ট হোক তা আমি কখনও পছন্দ করি না। আল্লাহর কসম, আল্লাহর রাসূলের মেয়ে এবং আল্লাহর চরম দুশমনের মেয়ে একই ব্যাক্তির কাছে একত্রিত হতে পারে না। (এ কথা শুনে) আলী (রাঃ) তাঁর বিবাহের প্রস্তাব প্রত্যাহার করলেন।

মুহাম্মদ ইবনু আমর ইবনু হালহালা (রহঃ) ... মিস্ওয়ার (রাঃ) থেকে অতিরিক্ত বর্ণনা করে বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বনী আবদে শামস গোত্রে তাঁর এক জামাতা সম্পর্কে অত্যন্ত প্রশংসা করতে শুনেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সে আমাকে যা বলেছে- সত্য বলেছে। যা অঙ্গীকার করেছে, তা পূরণ করেছে।

باب ذِكْرُ أَصْهَارِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو الْعَاصِ بْنُ الرَّبِيعِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، قَالَ إِنَّ عَلِيًّا خَطَبَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ، فَسَمِعَتْ بِذَلِكَ، فَاطِمَةُ، فَأَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَزْعُمُ قَوْمُكَ أَنَّكَ لاَ تَغْضَبُ لِبَنَاتِكَ، هَذَا عَلِيٌّ نَاكِحٌ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَمِعْتُهُ حِينَ تَشَهَّدَ يَقُولُ ‏"‏ أَمَّا بَعْدُ أَنْكَحْتُ أَبَا الْعَاصِ بْنَ الرَّبِيعِ، فَحَدَّثَنِي وَصَدَقَنِي، وَإِنَّ فَاطِمَةَ بَضْعَةٌ مِنِّي، وَإِنِّي أَكْرَهُ أَنْ يَسُوءَهَا، وَاللَّهِ لاَ تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبِنْتُ عَدُوِّ اللَّهِ عِنْدَ رَجُلٍ وَاحِدٍ ‏"‏‏.‏ فَتَرَكَ عَلِيٌّ الْخِطْبَةَ‏.‏ وَزَادَ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَلِيٍّ عَنْ مِسْوَرٍ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَذَكَرَ صِهْرًا لَهُ مِنْ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ فَأَثْنَى عَلَيْهِ فِي مُصَاهَرَتِهِ إِيَّاهُ فَأَحْسَنَ قَالَ ‏"‏ حَدَّثَنِي فَصَدَقَنِي، وَوَعَدَنِي فَوَفَى لِي ‏"‏‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhrama: `Ali demanded the hand of the daughter of Abu Jahl. Fatima heard of this and went to Allah's Messenger (ﷺ) saying, "Your people think that you do not become angry for the sake of your daughters as `Ali is now going to marry the daughter of Abu Jahl. "On that Allah's Messenger (ﷺ) got up and after his recitation of Tashah-hud. I heard him saying, "Then after! I married one of my daughters to Abu Al-`As bin Al- Rabi` (the husband of Zainab, the daughter of the Prophet (ﷺ) ) before Islam and he proved truthful in whatever he said to me. No doubt, Fatima is a part of me, I hate to see her being troubled. By Allah, the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) and the daughter of Allah's Enemy cannot be the wives of one man." So `Ali gave up that engagement. 'Al-Miswar further said: I heard the Prophet (ﷺ) talking and he mentioned a son-in-law of his belonging to the tribe of Bani `Abd-Shams. He highly praised him concerning that relationship and said (whenever) he spoke to me, he spoke the truth, and whenever he promised me, he fulfilled his promise."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২১০৯. ফাতিমা (রাঃ) এর মর্যাদা। নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, ফাতিমা (রাঃ) জান্নাতবাসী মহিলাদের নেত্রী

৩৪৯৫। আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ফাতিমা আমার (দেহের) অংশ। যে তাঁকে অসন্তুষ্ট করল সে আমাকেই অসন্তুষ্ট করল।

باب مَنَاقِبُ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَاطِمَةُ سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ فَاطِمَةُ بَضْعَةٌ مِنِّي، فَمَنْ أَغْضَبَهَا أَغْضَبَنِي ‏"‏‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhrama: Allah's Messenger (ﷺ) said, "Fatima is a part of me, and whoever makes her angry, makes me angry."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ মু’মিনগণ যখন গাছের নিচে আপনার নিকট বায়াত গ্রহণ করল তখন আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন...... (৪৮:১৮)

৩৮৫০। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... মারওয়ান এবং মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) বর্ণিত। তাঁরা উভয়েই বলেছেন যে, হুদায়বিয়ার বছর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাজারের অধিক সাহাবী সঙ্গে নিয়ে মদিনা থেকে যাত্রা শুরু করলেন। যুল-হুলায়ফা নামক স্থানে পৌঁছে তিনি কুরবানীর পশুর গলায় কিলাদা বাঁধালেন, (কুরবানীর পশুর) কুজ কাটলেন এবং সেখান থেকে ইহরাম বাঁধলেন। (বর্ণনাকারী) বলেন, এ হাদীস সুফিয়ান থেকে কতবার শুনেছি তার সংখ্যা আমি নির্ণয় করতে পারছি না। পরিশেষে তাঁকে বলতে শুনেছি, যুহরী থেকে কুরবানীর পশুর গলায় কিলাদা বাঁধা এবং ইশআর করার কথা আমার স্মরণ নেই। রাবী আলী ইবনু আবদুল্লাহ বলেন, সুফিয়ান এ কথা বলে কি বোঝাতে চেয়েছেন তা আমি জানিনা। তিনি কি এ কথা বলতে চেয়েছেন যে, যুহরী থেকে ইশআর ও কিলাদা কথা তাঁর স্মরণ নেই, না পুরা হাদীসটি স্মরণ না থাকার কথা বলতে চেয়েছেন?

باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ مَرْوَانَ، وَالْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالاَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي بِضْعَ عَشْرَةَ مِائَةً مِنْ أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا كَانَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الْهَدْىَ وَأَشْعَرَ وَأَحْرَمَ مِنْهَا‏.‏ لاَ أُحْصِي كَمْ سَمِعْتُهُ مِنْ سُفْيَانَ حَتَّى سَمِعْتُهُ يَقُولُ لاَ أَحْفَظُ مِنَ الزُّهْرِيِّ الإِشْعَارَ وَالتَّقْلِيدَ، فَلاَ أَدْرِي ـ يَعْنِي ـ مَوْضِعَ الإِشْعَارِ وَالتَّقْلِيدِ، أَوِ الْحَدِيثَ كُلَّهُ‏.‏


Narrated Marwan and Al-Miswar bin Makhrama: The Prophet (ﷺ) went out in the company of 1300 to 1500 of his companions in the year of Al-Hudaibiya, and when they reached Dhul-Hulaifa, he garlanded and marked his Hadi and assumed the state of Ihram.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ মু’মিনগণ যখন গাছের নিচে আপনার নিকট বায়াত গ্রহণ করল তখন আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন...... (৪৮:১৮)

৩৮৬৮। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবনু মাখরামা ও মারওয়ান ইবনু হাকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তাঁরা একে অন্যের চেয়ে অধিক বর্ণনা করেছেন। তারা উভয়ে বলেন, হুদায়বিয়ার বছর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাজারের অধিক সাহাবী সঙ্গে নিয়ে বের হলেন। তাঁরা যুল হুলায়ফা পৌঁছে কুরবানীর পশুর গলায় কিলাদা বাঁধলেন, ইশ’আর করলেন।* সেখান থেকে উমরার জন্য ইহরাম বাঁধলেন এবং খুযাআ গোত্রের এক ব্যাক্তিকে গোয়েন্দা হিসেবে পাঠালেন। পরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও সেই দিকে রওয়ানা হলেন। যেতে যেতে গাদীরুল আশতাত নামক স্থানে পৌঁছার পর প্রেরিত গোয়েন্দা এসে তাঁকে বলল, কুরাইশরা বিরাট সৈন্যবাহিনী নিয়ে আপনার বিরুদ্ধে প্রস্তুত হয়ে আছে। তারা আপনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিভিন্ন গোত্র থেকে এসে আশতাত নামক স্থানে জমায়েত হয়েছে। তারা আপনার বিরুদ্ধের লড়াই করবে এবং বায়তুল্লাহ জিয়ারতে বাঁধা দিবে ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।

তখন তিনি বললেন, হে লোক সকল, তোমরা আমাকে পরামর্শ দাও এবং বল, যারা আমাদেরকে বায়তুল্লাহর জিয়ারতে বাঁধা দেয়ার ইচ্ছা করছে, আমি কি তাদের পরিবারবর্গ এবং সন্তান-সন্ততিদের উপর ঝাপিয়ে পড়ব? তারা আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সংকল্প করে থাকলে আল্লাহ আমাদের সাহায্য করবেন, যিনি মুশরিকদের থেকে একজন গোয়েন্দাকে নিরাপদে ফিরিয়ে এনেছেন। আর যদি তাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই না করে তাহলে আমরা তাদের পরিবার এবং অর্থ-সম্পদ থেকে বিরত থাকব এবং তাদেরকে তাদের পরিবার ও অর্থ সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেব। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ আপনি তো বায়তুল্লাহর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে এখানে এসেছেন, কাউকে হত্যা করা এবং কারো সাথে লড়াই করার উদ্দেশ্যে তো এখানে আসেননি। তাই বায়তুল্লাহর দিকে অগ্রসর হোন। যে আমাদেরকে তা থেকে বাঁধা দিবে আমরা তাঁর সাথে লড়াই করবো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (ঠিক আছে) চলো আল্লাহর নামে।

باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ، حِينَ حَدَّثَ هَذَا الْحَدِيثَ،، حَفِظْتُ بَعْضَهُ، وَثَبَّتَنِي مَعْمَرٌ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، يَزِيدُ أَحَدُهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ قَالاَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي بِضْعَ عَشْرَةَ مِائَةً مِنْ أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الْهَدْىَ، وَأَشْعَرَهُ، وَأَحْرَمَ مِنْهَا بِعُمْرَةٍ، وَبَعَثَ عَيْنًا لَهُ مِنْ خُزَاعَةَ، وَسَارَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى كَانَ بِغَدِيرِ الأَشْطَاطِ، أَتَاهُ عَيْنُهُ قَالَ إِنَّ قُرَيْشًا جَمَعُوا لَكَ جُمُوعًا، وَقَدْ جَمَعُوا لَكَ الأَحَابِيشَ، وَهُمْ مُقَاتِلُوكَ وَصَادُّوكَ عَنِ الْبَيْتِ وَمَانِعُوكَ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَشِيرُوا أَيُّهَا النَّاسُ عَلَىَّ، أَتَرَوْنَ أَنْ أَمِيلَ إِلَى عِيَالِهِمْ وَذَرَارِيِّ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ يُرِيدُونَ أَنْ يَصُدُّونَا عَنِ الْبَيْتِ، فَإِنْ يَأْتُونَا كَانَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ قَطَعَ عَيْنًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، وَإِلاَّ تَرَكْنَاهُمْ مَحْرُوبِينَ ‏"‏‏.‏ قَالَ أَبُو بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ، خَرَجْتَ عَامِدًا لِهَذَا الْبَيْتِ، لاَ تُرِيدُ قَتْلَ أَحَدٍ وَلاَ حَرْبَ أَحَدٍ، فَتَوَجَّهْ لَهُ، فَمَنْ صَدَّنَا عَنْهُ قَاتَلْنَاهُ‏.‏ قَالَ ‏"‏ امْضُوا عَلَى اسْمِ اللَّهِ ‏"‏‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhrama and Marwan bin Al-Hakam: (one of them said more than his friend): The Prophet (ﷺ) set out in the company of more than onethousand of his companions in the year of Al-Hudaibiya, and when he reached Dhul-Hulaifa, he garlanded his Hadi (i.e. sacrificing animal), assumed the state of Ihram for `Umra from that place and sent a spy of his from Khuzi'a (tribe). The Prophet (ﷺ) proceeded on till he reached (a village called) Ghadir-al-Ashtat. There his spy came and said, "The Quraish (infidels) have collected a great number of people against you, and they have collected against you the Ethiopians, and they will fight with you, and will stop you from entering the Ka`ba and prevent you." The Prophet (ﷺ) said, "O people! Give me your opinion. Do you recommend that I should destroy the families and offspring of those who want to stop us from the Ka`ba? If they should come to us (for peace) then Allah will destroy a spy from the pagans, or otherwise we will leave them in a miserable state." On that Abu Bakr said, "O Allah Apostle! You have come with the intention of visiting this House (i.e. Ka`ba) and you do not want to kill or fight anybody. So proceed to it, and whoever should stop us from it, we will fight him." On that the Prophet (ﷺ) said, "Proceed on, in the Name of Allah !"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২২১৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং হুনায়নের যুদ্ধের দিন যখন তোমাদেরকে (মুসলিমদিগকে) উৎফুল্ল করেছিল তোমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা, কিন্তু তা তোমাদের কোন কাজে আসেনি এবং বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবী তোমাদের জন্য সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল শেষে তোমরা পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিল। এরপর আল্লাহ তার কাছ থেকে তার রাসুল ও মু’মিনের উপর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং (তাদের সাহায্যার্থে) এমন এক সৈন্যবাহিনী নাযিল করেন যাদেরকে তোমরা দেখতে পাওনি এবং তিনি তাদের দ্বারা কাফেরদিগকে শাস্তি প্রদান করেছেন। এটাই কাফিরদের কর্মফল। এরপরও (মু’মিনদের মধ্যে) যার প্রতি তিনি ইচ্ছা করবেন তার ক্ষেত্রে তিনি ক্ষমাপরায়ণও হতে পারেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৯ঃ ২৫-২৭)

৩৯৮৪। সাঈদ ইবনু উফাইর ও ইসহাক (রহঃ) ... মারওয়ান এবং মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধিগণ যখন ইসলাম কবূল করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে এলো এবং তাদের (যুদ্ধ লুন্ঠিত) সম্পদ ও বন্দীদেরকে ফেরত দেওয়ার প্রার্থনা জানালো তখন তিনি দাঁড়ালেন এবং তাদের বললেন, আমার সঙ্গে যারা আছে (সাহাবাগণ) তাদের অবস্থা তো তোমরা দেখতে পাচ্ছ। সত্য কথাই আমার কাছে বেশি প্রিয়। কাজেই তোমরা যুদ্ধবন্দী অথবা সম্পদের যে কোন একটিকে গ্রহণ করতে পার। আমি তোমাদের জন্য (পথেই) অপেক্ষা করছিলাম। বস্তুত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তায়েফ থেকে প্রত্যাবর্তন করার পথে (জিরানা নামক জায়গায়) দশ রাতেরও অধিক সময় পর্যন্ত তাদের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।

(বর্ণনাকারী বলেন) হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধিদের কাছে যখন এ কথা স্পষ্ট হয়ে গেল যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে এ দু’টির মধ্যে একটির বেশি ফেরত দিতে সম্মত নন তখন তারা বললেন, আমরা আমাদের বন্দীদেরকে গ্রহণ করতে চাই। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমদের সম্মুখে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং আল্লাহর যথাযোগ্য হাম্‌দ ও সানা পাঠ করে বললেন, আম্মা বাদু, তোমাদের (হাওয়াযিন গোত্রের মুসলিম) ভাইয়েরা তওবা করে আমাদের কাছে এসেছে, আমি তাদের বন্দীদেরকে তাদের নিকট ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত করেছি। অতএব তোমাদের মধ্যে যে আমার এ সিদ্ধান্তকে খুশি মনে গ্রহণ করে নেবে সে (তার অংশের বন্দীকে) ফেরত দাও। আর তোমাদের মধ্যে যে তার অংশের অধিকারকে অবশিষ্ট রেখে তা এভাবে ফেরত দিতে চাইবে যে, ফাইয়ের সম্পদ থেকে (আগামীতে) আল্লাহ্ আমাকে সর্বপ্রথম যা দান করবেন তা দিয়ে আমি তার এ বন্দীর মূল্য পরিশোধ করবো, তবে সেও তাই করো। তখন সকল লোক উত্তর করলোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আপনার প্রথম সিদ্ধান্ত খুশিমনে গ্রহণ করলাম।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের মধ্যে এ ব্যপারে কে খুশিমনে অনুমতি দিয়েছে আর কে খুশিমনে অনুমতি দেয়নি আমি তা বুঝতে পারিনি। তাই তোমরা ফিরে যাও এবং তোমাদের মধ্যাকার বিজ্ঞ ব্যাক্তিদের সাথে আলাপ কর। তাঁরা আমার কাছে বিষয়টি পেশ করবে। সবাই ফিরে গেল। পরে তাদের বিজ্ঞ ব্যাক্তিগণ তাদের সাথে (আলাদা আলাদাভাবে) আলাপ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ফিরে এসে জানালো যে, সবাই তাঁর (প্রথম) সিদ্ধান্তকেই খুশি মনে মেনে নিয়েছে এবং (ফেরত দেয়া) অনুমতি দিয়েছে। [ইমাম ইবনু শিহাব যুহরী (রহঃ) বলেন] হাওয়াযিন গোত্রের বন্দীদের বিষয়ে এ হাদীসটিই আমি অবহিত হয়েছি।

بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَيَوْمَ حُنَيْنٍ إِذْ أَعْجَبَتْكُمْ كَثْرَتُكُمْ فَلَمْ تُغْنِ عَنْكُمْ شَيْئًا وَضَاقَتْ عَلَيْكُمُ الأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ ثُمَّ وَلَّيْتُمْ مُدْبِرِينَ ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ} إِلَى قَوْلِهِ: {غَفُورٌ رَحِيمٌ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي لَيْثٌ، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ،‏.‏ وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ،، قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ شِهَابٍ وَزَعَمَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ مَرْوَانَ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ حِينَ جَاءَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ مُسْلِمِينَ، فَسَأَلُوهُ أَنْ يَرُدَّ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ وَسَبْيَهُمْ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَعِي مَنْ تَرَوْنَ، وَأَحَبُّ الْحَدِيثِ إِلَىَّ أَصْدَقُهُ، فَاخْتَارُوا إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ إِمَّا السَّبْىَ، وَإِمَّا الْمَالَ، وَقَدْ كُنْتُ اسْتَأْنَيْتُ بِكُمْ ‏"‏‏.‏ وَكَانَ أَنْظَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، حِينَ قَفَلَ مِنَ الطَّائِفِ، فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ رَادٍّ إِلَيْهِمْ إِلاَّ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ قَالُوا فَإِنَّا نَخْتَارُ سَبْيَنَا‏.‏ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمُسْلِمِينَ، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ إِخْوَانَكُمْ قَدْ جَاءُونَا تَائِبِينَ، وَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّ إِلَيْهِمْ سَبْيَهُمْ، فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يُطَيِّبَ ذَلِكَ فَلْيَفْعَلْ، وَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَكُونَ عَلَى حَظِّهِ، حَتَّى نُعْطِيَهُ إِيَّاهُ مِنْ أَوَّلِ مَا يُفِيءُ اللَّهُ عَلَيْنَا، فَلْيَفْعَلْ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ النَّاسُ قَدْ طَيَّبْنَا ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّا لاَ نَدْرِي مَنْ أَذِنَ مِنْكُمْ فِي ذَلِكَ مِمَّنْ لَمْ يَأْذَنْ فَارْجِعُوا حَتَّى يَرْفَعَ إِلَيْنَا عُرَفَاؤُكُمْ أَمْرَكُمْ ‏"‏‏.‏ فَرَجَعَ النَّاسُ فَكَلَّمَهُمْ عُرَفَاؤُهُمْ ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرُوهُ أَنَّهُمْ قَدْ طَيَّبُوا وَأَذِنُوا‏.‏ هَذَا الَّذِي بَلَغَنِي عَنْ سَبْىِ هَوَازِنَ‏.‏


Narrated Marwan and Al-Miswar bin Makhrama: When the delegate of Hawazin came to Allah's Messenger (ﷺ) declaring their conversion to Islam and asked him to return their properties and captives, Allah's Messenger (ﷺ) got up and said to them, "There Is involved in this matter, the people whom you see with me, and the most beloved talk to me, is the true one. So choose one of two alternatives: Either the captives or the properties. I have been waiting for you (i.e. have not distributed the booty)." Allah's Messenger (ﷺ) had delayed the distribution of their booty over ten nights after his return from Ta'if. So when they came to know that Allah's Messenger (ﷺ) was not going to return to them but one of the two, they said, "We prefer to have our captives." So Allah's Messenger (ﷺ) got up amongst the Muslims, and praising Allah as He deserved, said, "To proceed! Your brothers have come to you with repentance and I see (it logical) to return their captives. So, whoever of you likes to do that as a favor then he can do it. And whoever of you likes to stick to his share till we give him from the very first booty which Allah will give us, then he can do so." The people said, "We do that (i.e. return the captives) willingly as a favor, 'O Allah's Messenger (ﷺ)!" Allah's Messenger (ﷺ) said, "We do not know which of you have agreed to it and which have not; so go back and let your chiefs forward us your decision." They went back and their chief's spoke to them, and they (i.e. the chiefs) returned to Allah's Messenger (ﷺ) and informed him that all of them had agreed (to give up their captives) with pleasure, and had given their permission (i.e. that the captives be returned to their people). (The sub-narrator said, "That is what has reached me about the captives of Hawazin tribe.")


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৫৩৩. কন্যার মধ্যে ঈর্ষা সৃষ্টি হওয়া থেকে বাধা প্রদান এবং ইনসাফমূলক কথা

৪৮৫৪। কুতায়বা (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মিম্বরে বসে বলতে শুনেছি যে, বনি হিশাম ইবনু মুগীরা, আলী ইবনু আবূ তালিবের কাছে তাদের মেয়ে শাদী দেবার জন্য আমার কাছে অনুমতি চেয়েছে; কিন্তু আমি অনুমতি দেব না, আমি অনুমতি দেব না, আমি অনুমতি দেব না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আলী ইবনু আবূ তালিব আমার কন্যাকে তালাক দেয় এবং এর পরেই সে তাদের মেয়েকে শাদী করতে পারে। কেননা, ফাতেমা হচ্ছে আমার কলিজার টুকরা এবং সে যা ঘৃণা করে, আমিও তা ঘৃণা করি এবং তাকে যা কষ্ট দেয়, তা আমাকেও কষ্ট দেয়।

باب ذَبِّ الرَّجُلِ عَنِ ابْنَتِهِ، فِي الْغَيْرَةِ وَالإِنْصَافِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَهْوَ عَلَى الْمِنْبَرِ ‏ "‏ إِنَّ بَنِي هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ اسْتَأْذَنُوا فِي أَنْ يُنْكِحُوا ابْنَتَهُمْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَلاَ آذَنُ، ثُمَّ لاَ آذَنُ، ثُمَّ لاَ آذَنُ، إِلاَّ أَنْ يُرِيدَ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يُطَلِّقَ ابْنَتِي وَيَنْكِحَ ابْنَتَهُمْ، فَإِنَّمَا هِيَ بَضْعَةٌ مِنِّي، يُرِيبُنِي مَا أَرَابَهَا وَيُؤْذِينِي مَا آذَاهَا ‏"‏‏.‏ هَكَذَا قَالَ‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhrama: I heard Allah's Messenger (ﷺ) who was on the pulpit, saying, "Banu Hisham bin Al-Mughira have requested me to allow them to marry their daughter to `Ali bin Abu Talib, but I don't give permission, and will not give permission unless `Ali bin Abi Talib divorces my daughter in order to marry their daughter, because Fatima is a part of my body, and I hate what she hates to see, and what hurts her, hurts me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০৫২. স্বামী-স্ত্রী দ্বন্দ ক্ষতির আশংকায় খুলা’র প্রতি ইঙ্গিত করতে পারে কি ? মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘ যদি তোমরা তাদের উভয়ের মধ্যে বিরোধের আশংকা কর, তবে উভয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে একজন করে সালিশ নিযুক্ত কর। যদি তারা (স্বামী-স্ত্রী) উভয়ে সংশোধন হতে চায়, তবে আল্লাহ তাদের জন্য সে উপায় বের করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে অবহিত এবং তিনি সব কিছুর খবর রাখেন।’’ (৪ঃ৩৫)

৪৮৯৮। আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) ... মিস্ওয়ার ইবনু মাখারামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, ’বনু মুগীরার লোকেরা তাদের মেয়েকে ’আলীর সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য আমার অনুমতি প্রার্থনা করছে, আমি এর অনুমতি দিতে পারি না।

باب الشِّقَاقِ وَهَلْ يُشِيرُ بِالْخُلْعِ عِنْدَ الضَّرُورَةِ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَإِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَابْعَثُوا حَكَمًا مِنْ أَهْلِهِ} إِلَى قَوْلِهِ: خَبِيرًا

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّ بَنِي الْمُغِيرَةِ اسْتَأْذَنُوا فِي أَنْ يَنْكِحَ عَلِيٌّ ابْنَتَهُمْ، فَلاَ آذَنُ ‏"‏‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhrama Az-Zuhri: I heard the Prophet (ﷺ) saying, "Banu Al-Mughira have asked my leave to let `Ali marry their daughter, but I give no leave to this effect."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০৭৮. গর্ভবতী মহিলাদের ইদ্দতের সময়সীমা সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত।

৪৯৩৮। ইয়াহইয়া ইবনু কাযাআ (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, সুবায়’আ আসলামীয়া তার স্বামীর মৃত্যুর কয়েকদিন পর সন্তান প্রসব করে। এরপর সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বিয়ে করার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি তাকে অনুমতি দেন। তখন সে অন্যত্র বিয়ে করে।

بَابُ: {وَأُولاَتُ الأَحْمَالِ أَجَلُهُنَّ أَنْ يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ}

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ قَزَعَةَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، أَنَّ سُبَيْعَةَ الأَسْلَمِيَّةَ، نُفِسَتْ بَعْدَ وَفَاةِ زَوْجِهَا، بِلَيَالٍ فَجَاءَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَأْذَنَتْهُ أَنْ تَنْكِحَ، فَأَذِنَ لَهَا، فَنَكَحَتْ‏.‏


Narrated Al-Miswer bin Makhrama: Subai'a Al-Aslamiya gave birth to a child a few days after the death of her husband. She came to the Prophet and asked permission to remarry, and the Prophet (ﷺ) gave her permission, and she got married.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪১. কাবা ও রেশমী ফাররূজ, আর তাকেও এক প্রকার কাবাই বলা হয়, যে জামার পিচনের দিকে ফাঁক থাকে

৫৩৮৫। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকটি কাবা বণ্টন করেন, কিন্তু মাখরামাকে কিছুই দিলেন না। মাখরামা বললোঃ হে আমার প্রিয় পুত্র চল আমার সঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে। আমি তার সঙ্গে গেলাম। তিনি বললেনঃ ভিতরে যাও এবং আমার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আবেদন জানাও। মিসওয়ার বলেনঃ আমি তার (পিতার) জন্য আবেদন করলে তিনি মাখরামার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আসেন। তখন তার পরিধানে রেশমী কাবা ছিল। তিনি বললেনঃ তোমার জন্য এটি আমি গোপন করে রেখেছিলাম। মিসওয়ার বলেন এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকালেন এবং বললেন মাখরামা এবার রাযী (খুশী) আছে।

باب الْقَبَاءِ وَفَرُّوجِ حَرِيرٍ وَهْوَ الْقَبَاءُ وَيُقَالُ هُوَ الَّذِي لَهُ شَقٌّ مِنْ خَلْفِهِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقْبِيَةً، وَلَمْ يُعْطِ مَخْرَمَةَ شَيْئًا فَقَالَ مَخْرَمَةُ يَا بُنَىَّ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ فَقَالَ ادْخُلْ فَادْعُهُ لِي‏.‏ قَالَ فَدَعَوْتُهُ لَهُ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ وَعَلَيْهِ قَبَاءٌ مِنْهَا فَقَالَ ‏ "‏ خَبَأْتُ هَذَا لَكَ ‏"‏‏.‏ قَالَ فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ رَضِيَ مَخْرَمَةُ‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhrama: Allah's Messenger (ﷺ) distributed some Qaba's but he did not give anything to Makhrama. Makhrama said (to me), "O my son! Let us go to Allah's Messenger (ﷺ)." So I proceeded with him and he said, "Go in and call him 'or me." So I called the Prophet (ﷺ) for him The Prophet (ﷺ) came out to him, wearing one of those Qaba's and said, (to Makhrama), "I have kept this for you " Makhrama looked at it and said, "Makhrama is satisfied now."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩০৪৭. রাষ্ট্রপ্রধান কিভাবে জনগনের কাছ থেকে বায়’আত গ্রহন করবেন

৬৭১৪। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ ইবনু আসমা (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর (রাঃ) যে দলটিকে খলীফা নির্বাচনের ব্যাপারে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তাঁরা একত্রিত হয়ে নিজেদের মধ্যে এ ব্যাপারে পরামর্শ করলেন। আবদুর রহমান (রাঃ) তাদেরকে বললেন, আমি তো এমন ব্যাক্তি নই যে এ ব্যাপারে প্রত্যাশা করব। তবে আপনারা যদি চান তাহলে আপনাদের থেকে একজনকে আমি নির্বাচিত করে দিতে পারি। তাঁরা এ দায়িত্ব আবদুর রহমানের উপর অর্পণ করলেন, যখন তারা এ বিষয়টি আবদুর রহমানের উপর অর্পন করলেন, তখন সকল লোক আবদুর রহমানের প্রতি ঝুঁকে পড়ল। এমনকি আমি একজন লোককেও সেই দলের অনুসরণ করতে কিংবা তাদের পিছনে যেতে দেখলাম না। লোকেরা আবদুর রহমানের প্রতিই ঝুঁকে পড়ল এবং কয়েক রাত তাঁর সাথে পরামর্শ করতে থাকল।

অবশেষে সেই রাত আসল, যে রাতের শেষে আমরা উসমান (রাঃ) এর হাতে বায়আত গ্রহণ করলাম। মিসওয়ার (রাঃ) বলেন, রাতের একাংশ অতিবাহিত হওয়ার পর আবদুর রহমান (রাঃ) আমার কাছে আসলেন এবং দরজা খটখটালেন। ফলে আমি জাগ্রত হয়ে গেলাম। তিনি বললেন, তোমাকে দেখছি ঘুমাচ্ছ আল্লাহর কসম! আমি এ তিন রাতের মাঝে খুব একটা ঘুমাতে পারিনি। যাও, যুবায়র ও সা’দকে ডেকে আন। আমি তাদেরকে তার কাছে ডেকে আনি। তিনি তাদের দু’জনের সাথে পরামর্শ করলেন। তারপর আমাকে আবার ডেকে বললেন, আলীকে আমার কাছে ডেকে আন। আমি তাঁকে ডেকে আনলাম। তিনি তাঁর সাথে অর্ধেক রাত পর্যন্ত চুপিচুপি পরামর্শ করলেন।

তারপর আলী (রাঃ) তার কাছ থেকে উঠে গেলেন। তবে তিনি আশাবাদী ছিলেন। আর আবদুর রহমান (রাঃ) আলী (রাঃ) থেকে কিছু (বিরোধিতার) আশংকা করছিলেন। তারপর তিনি বললেনঃ উসমানকে আমার কাছে ডেকে আন। তিনি তাঁর সাথে চুপিচুপি আলাপ করলেন। ফজরের সময় মু’আযযিন তাদের উভয়কে পৃথক করল অর্থাৎ আযান পর্যন্ত আলাপ করলেন লোকদেরকে যখন ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) পড়িয়ে দেয়া হলো এবং সেই দলটি মিম্বরের কাছে একত্রিত হলো তখন তিনি মুহাজির ও আনসারদের যারা উপস্থিত ছিলেন তাদেরকে ডেকে আনতে পাঠালেন এবং প্রত্যেক সেনা প্রধানকেও ডেকে আনতে পাঠালেন এবং এরা সবাই উমরের সাথে গত হাজ্জে (হজ্জ) অংশগ্রণ করেছিলেন।

যখন সকলে এসে সমবেত হল, তখন আবদুর রহমান (রাঃ) ভাষণ শুরু করলেন। তারপর বললেন, হে আলী! আমি জনমত পরীক্ষা করেছি, তারা উসমানের সমকক্ষ কাউকে মনে করে না। সুতরাং তুমি তোমার জন্য অন্য পথ অবলম্বন করো না। তখন তিনি আলী ও উসমান (রাঃ) কে সন্বোধন করে বললেন, আমি আল্লাহর নির্দেশ ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশিত পরায় ও তারপরবর্তী উভয় খলীফার আদর্শানুযায়ী আপনার নিকট বায়আত গ্রহণ করছি। তারপর আবদুর রহমান (রাঃ) তাঁর কাছে বায়আত গ্রহন করলেন। এরপর মুহাজির, আনসার, সেনাপ্রধান এবং সাধারণ মুসলিম তাঁর কাছে বায়াআত গ্রহণ করলেন।

باب كَيْفَ يُبَايِعُ الإِمَامُ النَّاسَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ حُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَخْبَرَهُ‏.‏ أَنَّ الرَّهْطَ الَّذِينَ وَلاَّهُمْ عُمَرُ اجْتَمَعُوا فَتَشَاوَرُوا، قَالَ لَهُمْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لَسْتُ بِالَّذِي أُنَافِسُكُمْ عَلَى هَذَا الأَمْرِ، وَلَكِنَّكُمْ إِنْ شِئْتُمُ اخْتَرْتُ لَكُمْ مِنْكُمْ‏.‏ فَجَعَلُوا ذَلِكَ إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ، فَلَمَّا وَلَّوْا عَبْدَ الرَّحْمَنِ أَمْرَهُمْ فَمَالَ النَّاسُ عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَتَّى مَا أَرَى أَحَدًا مِنَ النَّاسِ يَتْبَعُ أُولَئِكَ الرَّهْطَ وَلاَ يَطَأُ عَقِبَهُ، وَمَالَ النَّاسُ عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ يُشَاوِرُونَهُ تِلْكَ اللَّيَالِيَ حَتَّى إِذَا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَصْبَحْنَا مِنْهَا، فَبَايَعْنَا عُثْمَانَ قَالَ الْمِسْوَرُ طَرَقَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بَعْدَ هَجْعٍ مِنَ اللَّيْلِ فَضَرَبَ الْبَابَ حَتَّى اسْتَيْقَظْتُ فَقَالَ أَرَاكَ نَائِمًا، فَوَاللَّهِ مَا اكْتَحَلْتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ بِكَبِيرِ نَوْمٍ، انْطَلِقْ فَادْعُ الزُّبَيْرَ وَسَعْدًا، فَدَعَوْتُهُمَا لَهُ فَشَاوَرَهُمَا ثُمَّ دَعَانِي فَقَالَ ادْعُ لِي عَلِيًّا‏.‏ فَدَعَوْتُهُ فَنَاجَاهُ حَتَّى ابْهَارَّ اللَّيْلُ، ثُمَّ قَامَ عَلِيٌّ مِنْ عِنْدِهِ، وَهْوَ عَلَى طَمَعٍ، وَقَدْ كَانَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ يَخْشَى مِنْ عَلِيٍّ شَيْئًا، ثُمَّ قَالَ ادْعُ لِي عُثْمَانَ، فَدَعَوْتُهُ فَنَاجَاهُ حَتَّى فَرَّقَ بَيْنَهُمَا الْمُؤَذِّنُ بِالصُّبْحِ، فَلَمَّا صَلَّى لِلنَّاسِ الصُّبْحَ وَاجْتَمَعَ أُولَئِكَ الرَّهْطُ عِنْدَ الْمِنْبَرِ، فَأَرْسَلَ إِلَى مَنْ كَانَ حَاضِرًا مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ، وَأَرْسَلَ إِلَى أُمَرَاءِ الأَجْنَادِ وَكَانُوا وَافَوْا تِلْكَ الْحَجَّةَ مَعَ عُمَرَ، فَلَمَّا اجْتَمَعُوا تَشَهَّدَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ يَا عَلِيُّ، إِنِّي قَدْ نَظَرْتُ فِي أَمْرِ النَّاسِ فَلَمْ أَرَهُمْ يَعْدِلُونَ بِعُثْمَانَ، فَلاَ تَجْعَلَنَّ عَلَى نَفْسِكَ سَبِيلاً‏.‏ فَقَالَ أُبَايِعُكَ عَلَى سُنَّةِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَالْخَلِيفَتَيْنِ مِنْ بَعْدِهِ‏.‏ فَبَايَعَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَبَايَعَهُ النَّاسُ الْمُهَاجِرُونَ وَالأَنْصَارُ وَأُمَرَاءُ الأَجْنَادِ وَالْمُسْلِمُونَ‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhrama: The group of people whom `Umar had selected as candidates for the Caliphate gathered and consulted each other. `Abdur-Rahman said to them, "I am not going to compete with you in this matter, but if you wish, I would select for you a caliph from among you." So all of them agreed to let `Abdur-Rahman decide the case. So when the candidates placed the case in the hands of `Abdur-Rahman, the people went towards him and nobody followed the rest of the group nor obeyed any after him. So the people followed `Abdur-Rahman and consulted him all those nights till there came the night we gave the oath of allegiance to `Uthman. Al-Miswar (bin Makhrama) added: `Abdur-Rahman called on me after a portion of the night had passed and knocked on my door till I got up, and he said to me, "I see you have been sleeping! By Allah, during the last three nights I have not slept enough. Go and call Az-Zubair and Sa`d.' So I called them for him and he consulted them and then called me saying, 'Call `Ali for me." I called `Ali and he held a private talk with him till very late at night, and then 'Al, got up to leave having had much hope (to be chosen as a Caliph) but `Abdur-Rahman was afraid of something concerning `Ali. `Abdur-Rahman then said to me, "Call `Uthman for me." I called him and he kept on speaking to him privately till the Mu'adh-dhin put an end to their talk by announcing the Adhan for the Fajr prayer. When the people finished their morning prayer and that (six men) group gathered near the pulpit, `Abdur-Rahman sent for all the Muhajirin (emigrants) and the Ansar present there and sent for the army chief who had performed the Hajj with `Umar that year. When all of them had gathered, `Abdur- Rahman said, "None has the right to be worshipped but Allah," and added, "Now then, O `Ali, I have looked at the people's tendencies and noticed that they do not consider anybody equal to `Uthman, so you should not incur blame (by disagreeing)." Then `Abdur-Rahman said (to `Uthman), "I gave the oath of allegiance to you on condition that you will follow Allah's Laws and the traditions of Allah's Apostle and the traditions of the two Caliphs after him." So `Abdur-Rahman gave the oath of allegiance to him, and so did the people including the Muhajirin (emigrants) and the Ansar and the chiefs of the army staff and all the Muslims.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১২২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 7 পরের পাতা »