পরিচ্ছেদঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৫৮-[২১] সালিম (রহঃ) তাঁর পিতা [’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)] হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে অন্যায়ভাবে কারো কিছু জমিন নিয়েছে, কিয়ামতের দিন তাকে সাত তবক জমিন পর্যন্ত ধসিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী)[1]
عَن سَالم عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَخَذَ مِنَ الْأَرْضِ شَيْئًا بِغَيْرِ حَقِّهِ خُسِفَ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَى سبع أَرضين» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: (يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلٰى سَبْعِ أَرْضِيْنَ) এতে ঘোষণা রয়েছে যে, পরকালেও জমিন সাতটি থাকবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
হাদীস হতে আরও বুঝা যায়, অন্যায়ভাবে কারো জমিন দখল করা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। এ পাপের কারণে পাপী ব্যক্তিকে কিয়ামতের দিন জমিনে ধসিয়ে দেয়া হবে।
পরিচ্ছেদঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৫৯-[২] ইয়া’লা ইবনু মুররাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো কোনো জমিন নিয়ে নিয়েছে, তাকে তার মাটি হাশরের মাঠে নিতে বাধ্য করা হবে। (আহমাদ)[1]
وَعَن يعلى بن مرّة قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ أَخَذَ أَرْضًا بِغَيْرِ حَقِّهَا كُلِّفَ أَنْ يَحْمِلَ تُرَابَهَا الْمَحْشَرَ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ
ব্যাখ্যা: ইবনুল মালিক বলেনঃ এটা বলা যাবে না যে, কিয়ামতের দিন দায়িত্ব অর্পণের সময় নয়, কেননা আমরা বলব, এ থেকে উদ্দেশ্য হলো- কষ্টের জন্য অক্ষম করা, কষ্ট প্রদান, প্রতিদানের জন্য। পরীক্ষার জন্য কষ্ট প্রদান নয়, আর এরই অন্তর্ভুক্ত হলো- ছবি অংকনকারীরা যা ছবি অংকন করেছে তাতে আত্মা ফুঁকে দেয়ার জন্য কিয়ামতের দিন বাধ্য করা।
ত্ববারানী এবং যিয়া (রহঃ) হাকাম বিন হারিস (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন এবং তার শব্দ, (مَنْ أَخَذَ مِنْ طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ شَيْئًا جَاءَ بِه يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَحْمِلُه مِنْ سَبْعِ أَرَضِينَ) অর্থাৎ- যে ব্যক্তি মুসলিম ব্যক্তির কোনো পথ গ্রাস করবে, কিয়ামতের দিন সে তা নিয়ে আসবে, সাত জমিনসহ সে তা বহন করবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৬০-[২৩] উক্ত রাবী [ইয়া’লা ইবনু মুররাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে কেউ অন্যায়ভাবে কারো এক বিঘত জমি নিয়ে নেয়, আল্লাহ তাকে তার জমিনের সাত তবকের শেষ পর্যন্ত খুঁড়তে বাধ্য করবেন। অতঃপর তার গলায় তা শিকলরূপে পরিয়ে দেয়া হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না মানুষের (হাশরের) বিচার শেষ করা হয়। (আহমাদ)[1]
وَعَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَيُّمَا رَجُلٍ ظَلَمَ شِبْرًا مِنَ الْأَرْضِ كَلَّفَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يَحْفِرَهُ حَتَّى يَبْلُغَ آخِرَ سَبْعِ أَرَضِينَ ثُمَّ يُطَوَّقَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاس» . رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যা: (إِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ) খুড়তে নির্দেশ করা হবে কবরে যা শেষ হবে কিয়ামত পর্যন্ত।
(حَتّٰى يُقْضٰى بَيْنَ النَّاسِ) উল্লেখিত অংশে অবিরাম শাস্তি ও শাস্তি হতে মুক্তি না পাওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত রয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)