পরিচ্ছেদঃ ৩৪. যা'ফরান ও খালূক
৫১২০. মুহাম্মদ ইবন আবদুল আ’লা (রহঃ) ... ইয়ালা ইবন মুররা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি একবার রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে বের হন, যখন তার গায়ে খালূক লাগানো ছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমার কি স্ত্রী আছে? আমি বললামঃ না। তিনি বললেনঃ যাও, তা ধুয়ে ফেল; আবারও ধুয়ে ফেল এবং আর কখনও লাগাবে না।
التَّزَعْفُرُ وَالْخَلُوقُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَفْصِ بْنَ عَمْرٍو وَقَالَ عَلَى إِثْرِهِ يُحَدِّثُ عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ أَنَّهُ مَرَّ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُتَخَلِّقٌ فَقَالَ لَهُ هَلْ لَكَ امْرَأَةٌ قُلْتُ لَا قَالَ فَاغْسِلْهُ ثُمَّ اغْسِلْهُ ثُمَّ لَا تَعُدْ
It was narrated from Ya'la bin Murrah that:
He passed by the Prophet [SAW] wearing Khaluq. He said to him: "Do you have a wife?" I said: "No." He said: "Wash it off, then wash it off, then do not put it on again."
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. যা'ফরান ও খালূক
৫১২১. মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... ইয়ালা ইবন মুররা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে দেখলেন যার কাপড়ে খালূকের চিহ্ন ছিল। তিনি তাকে বললেনঃ যাও, ধুয়ে ফেল, আবার ধুয়ে ফেল, আর কখনো লাগবে না।
التَّزَعْفُرُ وَالْخَلُوقُ
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَطَاءٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَفْصِ بْنَ عَمْرٍو عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْصَرَ رَجُلًا مُتَخَلِّقًا قَالَ اذْهَبْ فَاغْسِلْهُ ثُمَّ اغْسِلْهُ وَلَا تَعُدْ
It was narrated from Ya'la bin Murrah that:
The Messenger of Allah [SAW] saw a man wearing Khaluq and said: "Go and wash it off, then wash it off, and do not put it on again."
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. যা'ফরান ও খালূক
৫১২২. মুহাম্মাদ ইবন মুসান্না (রহঃ) ... ইয়ালা (রাঃ) থেকে পূর্বের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
التَّزَعْفُرُ وَالْخَلُوقُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَمْرٍو عَنْ رَجُلٍ عَنْ يَعْلَى نَحْوَهُ خَالَفَهُ سُفْيَانُ رَوَاهُ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَفْصٍ عَنْ يَعْلَى
Narrated from Ibn 'Amr:
A similar report was narrated from Ibn 'Amr, from a man, from Ya'la.
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. যা'ফরান ও খালূক
৫১২৩. মুহাম্মদ ইবন নযর ইবন মুসাবির (রহঃ) ... ইয়ালা ইবন মুররা সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এমন অবস্থায় দেখলেন, যখন আমার গায়ে খালূকের চিহ্ন ছিল। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ হে ইয়ালা! তোমার কি স্ত্রী আছে? আমি বললাম, না, তিনি বললেনঃ এটা ধুয়ে ফেল, আর লাগাবে না; আবার ধুয়ে ফেল, আর লাগবে না, আবার ধুয়ে ফেল, পুনরায় লাগাবে না। তিনি বলেনঃ আমি তা ধুয়ে ফেললাম, আর লাগালাম না। আবার ধুয়ে ফেললাম, আর লাগালাম না। আবার ধুয়ে ফেললাম, আর লাগালাম না।
التَّزَعْفُرُ وَالْخَلُوقُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النَّضْرِ بْنِ مُسَاوِرٍ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَفْصٍ عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ الثَّقَفِيِّ قَالَ أَبْصَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِي رَدْعٌ مِنْ خَلُوقٍ قَالَ يَا يَعْلَى لَكَ امْرَأَةٌ قُلْتُ لَا قَالَ اغْسِلْهُ ثُمَّ لَا تَعُدْ ثُمَّ اغْسِلْهُ ثُمَّ لَا تَعُدْ ثُمَّ اغْسِلْهُ ثُمَّ لَا تَعُدْ قَالَ فَغَسَلْتُهُ ثُمَّ لَمْ أَعُدْ ثُمَّ غَسَلْتُهُ ثُمَّ لَمْ أَعُدْ ثُمَّ غَسَلْتُهُ ثُمَّ لَمْ أَعُدْ
It was narrated that Ya'la bin Murrah Ath-Thaqafi said:
"The Messenger of Allah [SAW] saw me wearing a little dab of Khaluq. He said: 'O Ya'la, do you have a wife?' I said: 'No.' He said: 'Wash it off and do not put it on again, then wash it off and do not put it on again, then wash it off and do not put it on again.' I said: 'So I washed it off, and did not put it on again, then I washed it off and did not put it on again, then I washed it off, and did not put it on again."
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. যা'ফরান ও খালূক
৫১২৪. ইসমাঈল ইবন ইয়াকূব সাবহী (রহঃ) ... ইয়ালা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম; তখন আমায় গায়ে ছিল খালূক। তখন তিনি আমাকে বললেনঃ হে ইয়ালা! তোমার স্ত্রী আছে কি? আমি বললাম, না। তিনি বললেনঃ যাও এটা ধুয়ে ফেল, আবার ধুয়ে ফেল, আবার ধুয়ে ফেল, আর লাগাবে না। ইয়ালা (রাঃ) বলেনঃ আমি ফিরে গিয়ে তা ধুয়ে ফেললাম, আবার ধুয়ে ফেললাম, আবার ধুলাম, এরপর আর তা লাগাইনি।
التَّزَعْفُرُ وَالْخَلُوقُ
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ يَعْقُوبَ الصَّبِيحِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ مُوسَى يَعْنِي مُحَمَّدًا قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَفْصٍ عَنْ يَعْلَى قَالَ مَرَرْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا مُتَخَلِّقٌ فَقَالَ أَيْ يَعْلَى هَلْ لَكَ امْرَأَةٌ قُلْتُ لَا قَالَ اذْهَبْ فَاغْسِلْهُ ثُمَّ اغْسِلْهُ ثُمَّ اغْسِلْهُ ثُمَّ لَا تَعُدْ قَالَ فَذَهَبْتُ فَغَسَلْتُهُ ثُمَّ غَسَلْتُهُ ثُمَّ غَسَلْتُهُ ثُمَّ لَمْ أَعُدْ
It was narrated that Ya'la said:
"I passed by the Messenger of Allah [SAW] and I was wearing Khaluq. He said: 'O Ya'la, do you have a wife?' I said: 'No.' He said: 'Go and wash it off, then wash it off, then wash it off, and do not put it on again.' So I went and washed it off, then washed it off, then washed it off, and I did not put it on again."
পরিচ্ছেদঃ ১/২২. পায়খানা-পেশাব করতে দূরে যাওয়া।
৩/৩৩৩। ইয়ালা ইবনু মুররাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে দূরবর্তী স্থানে যেতেন।
بَاب التَّبَاعُدِ لِلْبَرَازِ فِي الْفَضَاءِ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنِ ابْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ إِذَا ذَهَبَ إِلَى الْغَائِطِ أَبْعَدَ .
It was narrated from Ya'la bin Murrah that:
When the Prophet went to relieve himself, he would go far away.
পরিচ্ছেদঃ কাদা ও বৃষ্টিতে সওয়ারীর উপর সালাত।
৪১১. ইয়াহইয়া ইবনু মূসা (রহঃ) ..... ইয়া’লা ইবনু মুররা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তারা একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সফরে ছিলেন। চলতে চলতে তারা একটা সংকীর্ণ স্থানে গিয়ে উপনিত হলেন। সালাতের সময় হয়ে গেল। এমন সময় বৃষ্টি ঝরতে শুরু করে। অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, তাদের উপরে ঝরছিল বৃষ্টি আর নিচে ছিল কাদা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ারীতে আরোহী অবস্থায়ই আযান ও ইকামত দিতে নির্দেশ দিলেন। পরে নিজে আরোহী অবস্থায়ই সামনে এগিয়ে এলন এবং তাদের নিয়ে ইশারায় সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। রুকূ-এর তুলনায় সিজদায় আরো বেশি ঝঁকে আদায় করেছিলেন।
ইমাম আবূ ইসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি গারীব। কেবলমাত্র উমর ইবনু রিমাহ আল-বালখী (রহঃ) এর রিওয়ায়াত করেছেন। আর এই বর্ণনাটি ছাড়া তার আর কোন পরিচিত নেই। তবে একাধিক আলিম এই বিষয়ে রিওয়ায়াত করেছেন। আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও বর্ণিত আছে যে, তিনি কাদা-পানিতে তার বাহনে আরোহী অবস্থায় সালত আদায় করেছেন। আলিমগণ এতদনুসারে আমল করেছেন। ইমাম আহমদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর অভিমতও এ-ই। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪১১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي الصَّلاَةِ عَلَى الدَّابَّةِ فِي الطِّينِ وَالْمَطَرِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ الرَّمَّاحِ الْبَلْخِيُّ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ بْنِ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُمْ كَانُوا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي مَسِيرٍ فَانْتَهَوْا إِلَى مَضِيقٍ وَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَمُطِرُوا السَّمَاءُ مِنْ فَوْقِهِمْ وَالْبِلَّةُ مِنْ أَسْفَلَ مِنْهُمْ فَأَذَّنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى رَاحِلَتِهِ وَأَقَامَ - أَوْ أَقَامَ - فَتَقَدَّمَ عَلَى رَاحِلَتِهِ فَصَلَّى بِهِمْ يُومِئُ إِيمَاءً يَجْعَلُ السُّجُودَ أَخْفَضَ مِنَ الرُّكُوعِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ تَفَرَّدَ بِهِ عُمَرُ بْنُ الرَّمَّاحِ الْبَلْخِيُّ لاَ يُعْرَفُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِهِ . وَقَدْ رَوَى عَنْهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَكَذَلِكَ رُوِيَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ صَلَّى فِي مَاءٍ وَطِينٍ عَلَى دَابَّتِهِ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ .
Amr bin Uthman bin Ya'la bin Murrah narrated from his father, from his grand-father that :
They were with the Prophet (S) on a journey. They wound up in a narrow area when Salat became due. Then it began raining from the sky above them, and it was wet beneath them. So Allah's Messenger (S) called the Adhan while he was on his mount, and then the Iqamah, going forward on his mount. He let them in Salat by making gestures, making his prostrations lower than his bowing.
পরিচ্ছেদঃ যাফরান রঙে রঞ্জন এবং যাফরান ও অন্যান্য সুগন্ধ দ্রব্য মিশ্রিত প্রসাধনীর ব্যবহার পুরুষদের জন্য নিষেধ।
২৮১৬. মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ...... ইয়া’লা ইবন মুররা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তিকে জাফরান মিশ্রিত হলদে-লাল রঙে রঞ্জিত দেখলেন। তিনি তাকে বললেনঃ যাও, এটি ধোও, আবার ধোও এর পূরণরাবৃত্তি কখনও করবে না।
যঈফ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮১৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীসের সনদে আতা ইবন সাইব (রহঃ) থেকে শ্রবণের বিষয়ে হাদীস বিশারদগণের মত পার্থক্য রয়েছে আলী (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) বলেছেনঃ যারা আতা ইবন সাইব (রহঃ) থেকে পূর্বের হাদীস শুনেছেন তাদের এই শ্রবণ সঠিক। আতা ইবন সাইব-যাযান (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত দু’টো হাদীস ছাড়া তার বরাতে শু’বা ও সুফইয়ান (রহঃ) এর হাদীস শ্রবণ সহীহ। শু’বা (রহঃ) বলেনঃ আতা ইবন সাইব-যাযান (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত দু’টো হাদীস আমি আতা (রহঃ)-এর শেষ বয়সে শুনেছি। বলা হয়, শেষ বয়সে আতা ইবন সাইব (রহঃ) এর স্মরণ শক্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়ে আম্মার, আবূ মসা ও আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
بَابُ مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ التَّزَعْفُرِ وَالخَلُوقِ لِلرِّجَالِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَفْصِ بْنَ عُمَرَ، يُحَدِّثُ عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَبْصَرَ رَجُلاً مُتَخَلِّقًا قَالَ " اذْهَبْ فَاغْسِلْهُ ثُمَّ اغْسِلْهُ ثُمَّ لاَ تَعُدْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدِ اخْتَلَفَ بَعْضُهُمْ فِي هَذَا الإِسْنَادِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ . قَالَ عَلِيٌّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ مَنْ سَمِعَ مِنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ قَدِيمًا فَسَمَاعُهُ صَحِيحٌ وَسَمَاعُ شُعْبَةَ وَسُفْيَانَ مِنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ صَحِيحٌ إِلاَّ حَدِيثَيْنِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ زَاذَانَ قَالَ شُعْبَةُ سَمِعْتُهُمَا مِنْهُ بِأَخَرَةٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى يُقَالُ إِنَّ عَطَاءَ بْنَ السَّائِبِ كَانَ فِي آخِرِ أَمْرِهِ قَدْ سَاءَ حِفْظُهُ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمَّارٍ وَأَبِي مُوسَى وَأَنَسٍ وَأَبُو حَفْصٍ هُوَ أَبُو حَفْصِ بْنُ عُمَرَ .
Narrated Ya'la bin Murrah:
"The Prophet (ﷺ) saw a man wearing Khuluq and said: 'Go and wash it, then wash it, then do not use it again.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৪৩/১. আল্লাহর বাণীঃ তারা চীৎকার করে বলবে, হে মালিক! তোমার প্রতিপালক যেন আমাদের নিঃশেষ করে দেন। (সূরাহ যুখরুফ ৪৩/৭৭)
(43) سُوْرَةُ حم الزُّخْرُفِ
সূরাহ (৪৩) : হা-মীম যুখরুফ
وَقَالَ مُجَاهِدٌ (عَلٰى أُمَّةٍ) عَلَى إِمَامٍ (وَقِيْلَه” يَا رَبِّ) تَفْسِيْرُهُ أَيَحْسِبُوْنَ أَنَّا لَا نَسْمَعُ سِرَّهُمْ وَنَجْوَاهُمْ وَلَا نَسْمَعُ قِيْلَهُمْ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ (وَلَوْلَآ أَنْ يَّكُوْنَ النَّاسُ أُمَّةً وَّاحِدَةً) لَوْلَا أَنْ جَعَلَ النَّاسَ كُلَّهُمْ كُفَّارًا لَجَعَلْتُ لِبُيُوْتِ الْكُفَّارِ سَقْفًا مِنْ فِضَّةٍ وَمَعَارِجَ مِنْ فِضَّةٍ وَهِيَ دَرَجٌ وَسُرُرَ فِضَّةٍ (مُقْرِنِيْنَ) مُطِيْقِيْنَ (اٰسَفُوْنَا) أَسْخَطُوْنَا (يَعْشُ) يَعْمَى وَقَالَ مُجَاهِدٌ (أَفَنَضْرِبُ عَنْكُمْ الذِّكْرَ) أَيْ تُكَذِّبُوْنَ بِالْقُرْآنِ ثُمَّ لَا تُعَاقَبُوْنَ عَلَيْهِ (وَمَضٰى مَثَلُ الْأَوَّلِيْنَ) سُنَّةُ الْأَوَّلِيْنَ (وَمَا كُنَّا لَه” مُقْرِنِيْنَ) يَعْنِي الإِبِلَ وَالْخَيْلَ وَالْبِغَالَ وَالْحَمِيْرَ (يَنْشَأُ فِي الْحِلْيَةِ) الْجَوَارِيْ جَعَلْتُمُوْهُنَّ لِلرَّحْمَنِ وَلَدًا (فَكَيْفَ تَحْكُمُوْنَ لَوْ شَآءَ الرَّحْمٰنُ مَا عَبَدْنَاهُمْ) يَعْنُوْنَ الْأَوْثَانَ يَقُوْلُ اللهُ تَعَالَى (مَا لَهُمْ بِذٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ) أَيْ الْأَوْثَانُ إِنَّهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ (فِيْ عَقِبِهِ) وَلَدِهِ (مُقْتَرِنِيْنَ) يَمْشُوْنَ مَعًا (سَلَفًا) قَوْمُ فِرْعَوْنَ سَلَفًا لِكُفَّارِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ e وَمَثَلًا عِبْرَةً (يَصِدُّوْنَ) يَضِجُّوْنَ (مُبْرِمُوْنَ) مُجْمِعُوْنَ (أَوَّلُ الْعَابِدِيْنَ) أَوَّلُ الْمُؤْمِنِيْنَ وَقَالَ غَيْرُهُ (إِنَّنِيْ بَرَآءٌ مِمَّاتَعْبُدُوْنَ) الْعَرَبُ تَقُوْلُ نَحْنُ مِنْكَ الْبَرَاءُ وَالْخَلَاءُ وَالْوَاحِدُ وَالِاثْنَانِ وَالْجَمِيْعُ مِنَ الْمُذَكَّرِ وَالْمُؤَنَّثِ يُقَالُ فِيْهِ بَرَاءٌ لِأَنَّهُ مَصْدَرٌ وَلَوْ قَالَ بَرِيْءٌ لَقِيْلَ فِي الِاثْنَيْنِ بَرِيئَانِ وَفِي الْجَمِيْعِ بَرِيئُوْنَ وَقَرَأَ عَبْدُ اللهِ إِنَّنِيْ بَرِيْءٌ بِالْيَاءِ وَالزُّخْرُفُ الذَّهَبُ (مَلَآئِكَةً) يَخْلُفُوْنَ يَخْلُفُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا.
মুজাহিদ (রহ.) বলেছেন, عَلٰى أُمَّةٍ এক নেতার অনুসারী। وَقِيْلَه يَا رَبِّ এর ব্যাখ্যা এই যে, কাফিররা কি মনে করে, আমি তাদের গোপন বিষয় ও মন্ত্রণার খবর রাখি না এবং আমি তাদের কথাবার্তা শুনি না? ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, وَلَوْلَا أَنْ يَّكُوْنَ النَّاسُ أُمَّةً وَّاحِدَةً যদি সমস্ত মানুষ কাফের হয়ে যাবার আশংকা না থাকত, তাহলে আমি কাফেরদের গৃহের জন্য দিতাম রৌপ্য নির্মিত ছাদ এবং রৌপ্য নির্মিত মা’রিজ অর্থাৎ সিঁড়ি আর রৌপ্য নির্মিত পালঙ্ক। مُقْرِنِيْنَ সামর্থ্যবান লোক। اٰسَفُوْنَا তারা আমাকে রাগান্বিত করল। يَعْشُ অন্ধ হয়ে যায়। মুজাহিদ বলেছেন, أَفَنَضْرِبُ عَنْكُمْ الذِّكْرَ তোমরা কুরআন মাজীদকে মিথ্যা মনে করবে, তারপর এজন্য কি তোমাদের শাস্তি দেয়া হবে না? وَمَضٰى مَثَلُ الْأَوَّلِيْنَ পূর্ববর্তী লোকদের উদাহরণ। وَمَا كُنَّا لَه مُقْرِنِيْنَ উট, ঘোড়া, খচ্চর ও গাধাকে বোঝানো হয়েছে। يَنْشَأُ فِي الْحِلْيَةِ কন্যা সন্তান; এদের তোমরা আল্লাহর সন্তান সাব্যস্ত করছ- এ তোমরা কেমন সিদ্ধান্ত দিচ্ছ ......... لَوْ شَآءَ الرَّحْمٰنُ مَا عَبَدْنَاهُمْ আয়াতাংশে বর্ণিত هم সর্বনাম-এর দ্বারা মূর্তিকে বোঝানো হয়েছে। কেননা, আল্লাহ্ বলেছেন, مَا لَهُمْ بِذَلِكَ مِنْ عِلْمٍ এ সম্বন্ধে প্রতিমাদের কোন জ্ঞান নেই। فِيْ عَقِبِهٰতার সন্তানদের মধ্যে مُقْتَرِنِيْنَ এক সঙ্গে তারা চলে আসছিল। سَلَفًا দ্বারা উদ্দেশ্য ফির’আউন সম্প্রদায়। কেননা, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উম্মাতের কাফেরদের জন্য তারা হচ্ছে অগ্রগামী দল এবং তারা হচ্ছে শিক্ষা গ্রহণের এক নমুনা। يَصِدُّوْنَ তারা চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। مُبْرِمُوْنَ আমিই তো সিদ্ধান্ত দানকারী। أَوَّلُالْعَابِدِيْنَ মু’মিনদের অগ্রণী। إِنَّنِيْ بَرَآءٌ مِّمَّا تَعْبُدُوْنَ আরবরা বলে, نَحْنُ مِنْكَ الْبَرَآءُ وَالْخَلَآءُ আমরা তোমার থেকে পৃথক, পুরুষলিঙ্গ, স্ত্রীলিঙ্গ, বহুবচন, দ্বিবচন ও একবচন সকল ক্ষেত্রে الْبَرَآءُ শব্দটি একইভাবে ব্যবহৃত হয়। কেননা, এ শব্দটি হচ্ছে মাসদার (মূল শব্দ)। যদি بَرِيْءٌ বল, তাহলে দ্বিবচনে بَرِيئَآنِ বলা হবে এবং বহুবচনে বলা হবে بَرِيــٓئُوْنَ। ’আবদুল্লাহ্ إِنَّنِيْبَرِيْٓءٌ (ياদ্বারা) পাঠ করতেন। الزُّخْرُفُ স্বর্ণ। مَلَآئِكَةً তারা পরস্পরের স্থলাভিষিক্ত হতো।
৪৮১৯. ইয়া’লা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরে পড়তে শুনেছি- وَنَادَوْا يَا مَالِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ (তারা চীৎকার করে বলবে, হে মালিক! তোমার প্রতিপালক যেন আমাদের নিঃশেষ করে দেন।) ক্বাতাদাহ বলেন, مَثَلًا لِّلْاٰخِرِيْنَ এর অর্থ পরবর্তী লোকদের জন্য নাসীহাত।
ক্বাতাদাহ (রহ.) ব্যতীত অন্যান্য মুফাস্সির বলেছেন, مُقْرِنِيْنَ নিয়ন্ত্রণকারী। বলা হয় فُلَانٌ مُقْرِنٌ لِفُلَانٍ অর্থাৎ তার নিয়ন্তা। الأَكْوَابُ অর্থ হাতল বিহীন পানপাত্র। ক্বাতাদাহ (রহ.) أُمِّ الْكِتَابِ সম্পর্কে বলেন, তা হচ্ছে মূল কিতাব ও সারাংশ। أَوَّلُ الْعَابِدِيْنَ অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর কোন সন্তান নেই- এ কথা প্রত্যাখ্যানকারী সর্বপ্রথম আমি নিজেই। رَجُلٌ عَابِدٌ وَعَبِدٌ দু’ ধরনের ব্যবহার রয়েছে। ’আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস’উদ (রাঃ)وَقَالَ الرَّسُوْلُ يَا رَبِّ পাঠ করতেন। কোন কোন মুফাস্সির বলেন, أَوَّلُ الْعَابِدِيْنَ-এ বর্ণিত الْعَابِدِيْنَ শব্দটি عَبِدَ يَعْبَد এর ওজনে এসেছে; যার অর্থ অস্বীকারকারী। [৩২৩০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৫৭)
بَاب قَوْلُهُ :{وَنَادَوْا يَا مَالِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ قَالَ إِنَّكُمْ مَاكِثُوْنَ}.
حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عَطَاءٍ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ يَعْلَى عَنْ أَبِيْهِ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ عَلَى الْمِنْبَرِ (وَنَادَوْا يَا مَالِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ) وَقَالَ قَتَادَةُ (مَثَلًا لِّلْاٰخِرِيْنَ) عِظَةً لِمَنْ بَعْدَهُمْ وَقَالَ غَيْرُهُ (مُقْرِنِيْنَ) ضَابِطِيْنَ يُقَالُ فُلَانٌ مُقْرِنٌ لِفُلَانٍ ضَابِطٌ لَهُ. وَالأَكْوَابُ الْأَبَارِيْقُ الَّتِيْ لَا خَرَاطِيْمَ لَهَا. وَقَالَ قَتَادَةُ (فِيْ أُمِّ الْكِتَابِ) جُمْلَةِ الْكِتَابِ أَصْلِ الْكِتَابِ. (أَوَّلُالْعَابِدِيْنَ) أَيْ مَا كَانَ فَأَنَا أَوَّلُ الآنِفِيْنَ وَهُمَا لُغَتَانِ رَجُلٌ عَابِدٌ وَعَبِدٌ وَقَرَأَ عَبْدُ اللهِ وَقَالَ الرَّسُوْلُ يَا رَبِّ وَيُقَالُ أَوَّلُ الْعَابِدِيْنَ الْجَاحِدِيْنَ مِنْ عَبِدَ يَعْبَد
Narrated Ya`la:
I heard the Prophet (ﷺ) reciting when on the pulpit: 'They will cry, "O Malik (Keeper of Hell) Let your Lord make an end of us.' (43.77)
পরিচ্ছেদঃ ৫১. যাফরানী রং এবং যাফরান মিশ্রিত সুগন্ধি ব্যবহার পুরুষের জন্য মাকরূহ
২৮১৬। ইয়ালা ইবনু মুররা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক ব্যক্তিকে দেখলেন যে, সে খালুক (জাফরান মিশানো সুগন্ধি) ব্যবহার করেছে। তিনি বললেনঃ যাও, এটা ধুয়ে ফেল আবার ধুয়ে ফেল, পুনরায় তা লাগিও না।
সনদ দুর্বল
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীসের সনদে আতা ইবনুস সাইব (রাহঃ) হতে বর্ণনার ব্যাপারে কিছু হাদীস বিশারদ মতের অমিল করেছেন। আলী (রাহঃ) বলেনঃ ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ বলেছেন, যারা পূর্বে আতা ইবনুস সাইব এর নিকট হাদীস শুনেছেন তাদের উক্ত শ্রবণ যথার্থ। আতা ইবনুস সাইব যাযান সূত্রে বর্ণিত দুটি হাদীস ব্যতীত তার বরাতে শুবা ও সুফিয়ানের হাদীস শ্রবণের বিষয়টি সঠিক।
শুবা বলেনঃ আতা হতে যাযান সূত্রে বর্ণিত হাদীস দুটো আমি আতার অন্তিম বয়সে শুনেছি। কথিত আছে যে, শেষ বয়সে আতার স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। এ অনুচ্ছেদে আম্মার, আবূ মূসা ও আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
রাবী আবূ হাফস হলেন ইবনু উমার।
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَفْصِ بْنَ عُمَرَ، يُحَدِّثُ عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَبْصَرَ رَجُلاً مُتَخَلِّقًا قَالَ " اذْهَبْ فَاغْسِلْهُ ثُمَّ اغْسِلْهُ ثُمَّ لاَ تَعُدْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدِ اخْتَلَفَ بَعْضُهُمْ فِي هَذَا الإِسْنَادِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ . قَالَ عَلِيٌّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ مَنْ سَمِعَ مِنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ قَدِيمًا فَسَمَاعُهُ صَحِيحٌ وَسَمَاعُ شُعْبَةَ وَسُفْيَانَ مِنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ صَحِيحٌ إِلاَّ حَدِيثَيْنِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ زَاذَانَ قَالَ شُعْبَةُ سَمِعْتُهُمَا مِنْهُ بِأَخَرَةٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى يُقَالُ إِنَّ عَطَاءَ بْنَ السَّائِبِ كَانَ فِي آخِرِ أَمْرِهِ قَدْ سَاءَ حِفْظُهُ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمَّارٍ وَأَبِي مُوسَى وَأَنَسٍ وَأَبُو حَفْصٍ هُوَ أَبُو حَفْصِ بْنُ عُمَرَ .
Narrated Ya'la bin Murrah:
"The Prophet (ﷺ) saw a man wearing Khuluq and said: 'Go and wash it, then wash it, then do not use it again.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩১. আল-হাসান ইবনু ‘আলী এবং আল-হুসাইন ইবনু ‘আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাযিঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৭৫। ইয়া’লা ইবনু মুররাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হুসাইন আমার হতে এবং আমি হুসাইন হতে। যে লোক হুসাইনকে মুহাব্বাত করে, আল্লাহ তাকে মুহাব্বাত করেন। নাতিগণের মাঝে একজন হল হুসাইন।
হাসানঃ ইবনু মাজাহ (১৪৪)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র ’আবদুল্লাহ ইবনু উসমান ইবনু খুসাইমের সূত্রেই জেনেছি। একাধিক বর্ণনাকারী এটি ’আবদুল্লাহ ইবনু উসমান ইবনু খুসাইম হতে বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ رَاشِدٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " حُسَيْنٌ مِنِّي وَأَنَا مِنْ حُسَيْنٍ أَحَبَّ اللَّهُ مَنْ أَحَبَّ حُسَيْنًا حُسَيْنٌ سِبْطٌ مِنَ الأَسْبَاطِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَإِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ .
Narrated Ya'la bin Murrah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Husain is from me, and I am from Husain. Allah loves whoever loves Husain. Husain is a Sibt among the Asbat." [Asbat, plural of Sibt: A great tribe. Meaning, Al-Husain would have many offspring, such that they would become a great tribe. And this has indeed occurred. See Tuhfat Al-Ahwadhi (4/341).]
পরিচ্ছেদঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৫৯-[২] ইয়া’লা ইবনু মুররাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো কোনো জমিন নিয়ে নিয়েছে, তাকে তার মাটি হাশরের মাঠে নিতে বাধ্য করা হবে। (আহমাদ)[1]
وَعَن يعلى بن مرّة قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ أَخَذَ أَرْضًا بِغَيْرِ حَقِّهَا كُلِّفَ أَنْ يَحْمِلَ تُرَابَهَا الْمَحْشَرَ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ
ব্যাখ্যা: ইবনুল মালিক বলেনঃ এটা বলা যাবে না যে, কিয়ামতের দিন দায়িত্ব অর্পণের সময় নয়, কেননা আমরা বলব, এ থেকে উদ্দেশ্য হলো- কষ্টের জন্য অক্ষম করা, কষ্ট প্রদান, প্রতিদানের জন্য। পরীক্ষার জন্য কষ্ট প্রদান নয়, আর এরই অন্তর্ভুক্ত হলো- ছবি অংকনকারীরা যা ছবি অংকন করেছে তাতে আত্মা ফুঁকে দেয়ার জন্য কিয়ামতের দিন বাধ্য করা।
ত্ববারানী এবং যিয়া (রহঃ) হাকাম বিন হারিস (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন এবং তার শব্দ, (مَنْ أَخَذَ مِنْ طَرِيقِ الْمُسْلِمِينَ شَيْئًا جَاءَ بِه يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَحْمِلُه مِنْ سَبْعِ أَرَضِينَ) অর্থাৎ- যে ব্যক্তি মুসলিম ব্যক্তির কোনো পথ গ্রাস করবে, কিয়ামতের দিন সে তা নিয়ে আসবে, সাত জমিনসহ সে তা বহন করবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৬০-[২৩] উক্ত রাবী [ইয়া’লা ইবনু মুররাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে কেউ অন্যায়ভাবে কারো এক বিঘত জমি নিয়ে নেয়, আল্লাহ তাকে তার জমিনের সাত তবকের শেষ পর্যন্ত খুঁড়তে বাধ্য করবেন। অতঃপর তার গলায় তা শিকলরূপে পরিয়ে দেয়া হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না মানুষের (হাশরের) বিচার শেষ করা হয়। (আহমাদ)[1]
وَعَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَيُّمَا رَجُلٍ ظَلَمَ شِبْرًا مِنَ الْأَرْضِ كَلَّفَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يَحْفِرَهُ حَتَّى يَبْلُغَ آخِرَ سَبْعِ أَرَضِينَ ثُمَّ يُطَوَّقَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاس» . رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যা: (إِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ) খুড়তে নির্দেশ করা হবে কবরে যা শেষ হবে কিয়ামত পর্যন্ত।
(حَتّٰى يُقْضٰى بَيْنَ النَّاسِ) উল্লেখিত অংশে অবিরাম শাস্তি ও শাস্তি হতে মুক্তি না পাওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত রয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৪০-[২২] ইয়া’লা ইবনু মুররাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার (শরীরে অথবা কাপড়ের) উপরে খালুক (যা’ফরান দ্বারা তৈরি) সুগন্ধি দেখতে পেলেন। তখন বললেনঃ তোমার কি স্ত্রী আছে? সে বলল : না। তখন তিনি বললেনঃ তা ধুয়ে ফেলো, আবারো ধুয়ে ফেলো, আবারো ধুয়ে ফেলো। অতঃপর আর কখনো তা ব্যবহার করো না। (তিরমিযী ও নাসায়ী)[1]
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদে আছে ‘‘আবূ হাফস্ ইবনু ‘উমার’’, যিনি অপরিচিত। আল জারহু ওয়াত্ তাদীল তাহযীবুল কামাল (৩২/৩০০)।
وَعَن يعلى بن
مرّة أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى عَلَيْهِ خَلُوقًا فَقَالَ: «أَلَكَ امْرَأَةٌ؟» قَالَ: لَا قَالَ: «فَاغْسِلْهُ ثُمَّ اغْسِلْهُ ثُمَّ اغْسِلْهُ ثُمَّ لَا تعد» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
ব্যাখ্যাঃ (خَلُوقًا) এক ধরনের সুগন্ধি যাতে রং রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, এক ধরনের সুগন্ধি যাতে হলুদ রং রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, এটি একটি প্রসিদ্ধ রং যা যা‘ফরান ইত্যাদি থেকে তৈরী হয়ে থাকে।
أَلَكَ امْرَأَةٌ؟ তোমার কি স্ত্রী আছে? হাদীসের এ অংশ থেকে অনেকে বিবাহিত ব্যক্তির জন্য রং যুক্ত সুগন্ধি ব্যবহারের বৈধতা দিয়ে থাকেন। আবার কেউ কেউ এর আলোকে অল্প ব্যবহারের অনুমতি দেন, যা ইতোপূর্বে আলোচনা হয়েছে। তবে পুরুষের জন্য লাল বা যা‘ফরান ব্যাপকভাবে নিষেধের হাদীসের আলোকে যারা সর্বাবস্থায় পুরুষের জন্য এই রং অবৈধ বলে মনে করেন, তাদের মতে হাদীসের ব্যাখ্যা হলো, অর্থাৎ তোমার স্ত্রী থাকে এবং স্ত্রীর শরীর বা কাপড় থেকে তোমার শরীরে বা কাপড়ে তোমার অনিচ্ছায় কিছু রং লেগে যায় তবে এতে তুমি অপারগ। মুল্লা ‘আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) এ ব্যাখ্যা উল্লেখ করে বলেনঃ এটাই হাদীসের বাহ্যত মত। পূর্বের হাদীস ও সামনের হাদীস থেকে এই মতই সঠিক বলে বুঝা যায়।
(فَاغْسِلْهُ ثُمَّ اغْسِلْهُ ثُمَّ اغْسِلْهُ) তিনবার ধোয়ার কথা তাকিদ বা গুরুত্ব বুঝানোর উদ্দেশে বলেছেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনবারের কমে রং না যাওয়াটাই স্বাভাবিক মনে করে এমন নির্দেশ দেয়া হতে পারে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন
৪৬৯২-[১৬] ইয়া’লা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন হাসান ও হুসায়ন (রাঃ) দৌড়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলেন। আর তিনি দু’জনকেই নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে বললেনঃ ’’সন্তানই কৃপণতা ও ভীরুতার কারণ’’। (আহমাদ)[1]
عَن يعلى
قَالَ: إِنَّ حسنا وحُسيناً رَضِي الله عَنْهُم اسْتَبَقَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَمَّهُمَا إِلَيْهِ وَقَالَ: «إِنَّ الْوَلَدَ مَبْخَلَةٌ مجبنَةٌ» . رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যাঃ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ বাক্যের বাচনভঙ্গি মোতাবেক এখানে مَبْخَلَةٌ ও مَبْخَلَةٌ উল্লেখ করার অর্থ হলো ভালোবাসা যা প্রশংসনীয়। কিন্তু এর পূর্বের হাদীসের বাচনভঙ্গি ছিল এর বিপরীত। ‘ইবাদাত বন্দেগীর ক্ষেত্রে যাদের নিকটে আল্লাহর ভালোবাসার ঊর্ধ্বে পূর্ণতা নেই তাদের জন্য এ দু’টো এখানে উল্লেখ করাতে পূর্ণ স্বভাবজাত ভালোবাসা ও স্বাভাবিক আন্তরিকতা স্পষ্ট বুঝা যায়।
কেননা আল্লাহ হলেন আসল প্রিয়জন। তিনি ব্যতীত অন্যগুলো বাড়তি। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা
৫৯২২-[৫৫] ইয়া’লা ইবনু মুররাহ্ আস্ সাকাফী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে তিনটি (অলৌকিক) জিনিস দেখেছি।
১. একবার আমরা তার সাথে ভ্রমণে বের হলাম। চলার পথে আমরা এমন একটি উটের কাছে দিয়ে গমন করছিলাম, যার দ্বারা পানি বহন করার কাজ করানো হয়। উটটি যখন নবী (সা.) -কে দেখল, তখন সে জিরজির আওয়াজ করে নিজের ঘাড়টি মাটিতে রাখল। নবী (সা.) সেখানে থেমে গেলেন এবং বললেন, এ উটটির মালিক কোথায়? সে তার কাছে আসলো। তিনি (সা.) তাকে বললেন, তোমার এ উটটি আমার কাছে বিক্রয় করে দাও। সে বলল, বরং হে আল্লাহর রাসূল! আমি তা আপনাকে দান করলাম! মূলত তা এমন এক পরিবারের লোকেদের উট, যাদের কাছে তা ছাড়া রুযীরোজগারের আর কিছুই নেই। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, অবস্থা যখন এরূপই যা তুমি বলেছ। তবে শুন! তা আমার কাছে এ অভিযোগ করেছে যে, তার দ্বারা অধিক কাজ নেয়া হয় এবং তাকে খাবার অল্প দেয়া হয়। অতএব তোমরা তার সাথে সদাচরণ করবে।
২. অতঃপর আমরা সামনের দিকে রওয়ানা হলাম। অবশেষে এক জায়গায় এসে আমরা অবস্থান করলাম এবং নবী (সা.) সেখানে ঘুমিয়ে পড়লেন। তখন একটি গাছ জমিন ফেড়ে এসে তার উপর ঝুঁকে পড়ল। অতঃপর গাছটি তার পূর্বের স্থানে চলে গেল। রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘুম হতে জেগে উঠলে আমি তাঁকে এ ঘটনাটি বর্ণনা করলাম। তখন তিনি (সা.) বললেন, এ গাছটি আল্লাহর রাসূল (সা.)
-কে সালাম করার জন্য নিজের প্রভুর কাছে অনুমতি চেয়েছিল। অতএব তিনি তাকে অনুমতি দিয়েছিলেন।
৩. বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমরা সেখান থেকে সম্মুখের দিকে যাত্রা করলাম এবং একটি জলাশয়ের নিকট পৌছলাম। তখন একজন মহিলা নবী (সা.) -এর কাছে তার এমন একটি ছেলেকে নিয়ে আসলো, যার মাঝে জিনের আসর ছিল। তখন নবী (সা.) এই ছেলেটির নাকে ধরে বললেন, “তুমি বের হও, আমি আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ।” বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমরা আরো সামনের দিকে সফর করলাম। ফেরার পথে যখন আমরা উক্ত জলাশয়ের কাছে আসলাম, তখন নবী (সা.) ঐ ছেলেটির মাকে তার ছেলেটির অবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। সে বলল, ঐ সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন, আপনার চলে যাওয়ার পর হতে ছেলেটির মধ্যে আমরা অপ্রীতিকর আর কিছু দেখতে পাইনি। (শারহুস সুন্নাহ্)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب فِي المعجزا)
وَعَن يعلى بن مرَّةَ الثَّقفي قَالَ ثَلَاثَةُ أَشْيَاءَ رَأَيْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَا نَحْنُ نَسِيرُ مَعَه إِذ مَرَرْنَا بِبَعِير يُسْنَى عَلَيْهِ فَلَمَّا رَآهُ الْبَعِيرُ جَرْجَرَ فَوَضَعَ جِرَانَهُ فَوَقَفَ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَيْنَ صَاحِبُ هَذَا الْبَعِيرِ فَجَاءَهُ فَقَالَ بِعْنِيهِ فَقَالَ بَلْ نَهَبُهُ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَإِنَّهُ لِأَهْلِ بَيْتٍ مَا لَهُمْ مَعِيشَةٌ غَيْرُهُ قَالَ أَمَا إِذْ ذَكَرْتَ هَذَا مِنْ أَمْرِهِ فَإِنَّهُ شَكَا كَثْرَةَ الْعَمَلِ وَقِلَّةَ العلفِ فَأحْسنُوا إِلَيْهِ قَالَ ثمَّ سرنا فنزلنا مَنْزِلًا فَنَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَاءَتْ شَجَرَةٌ تَشُقُّ الْأَرْضَ حَتَّى غَشِيَتْهُ ثُمَّ رَجَعَتْ إِلَى مَكَانِهَا فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذُكِرَتْ لَهُ فَقَالَ هِيَ شجرةٌ استأذَنَتْ ربّها عز وَجل أَنْ تُسَلِّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَذِنَ لَهَا قَالَ ثُمَّ سِرْنَا فَمَرَرْنَا بِمَاءٍ فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ بِابْنٍ لَهَا بِهِ جِنَّةٌ فَأَخَذَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بمنخره فَقَالَ اخْرُج إِنِّي مُحَمَّد رَسُول الله قَالَ ثمَّ سرنا فَلَمَّا رَجعْنَا من سفرنا مَرَرْنَا بِذَلِكَ الْمَاءِ فَسَأَلَهَا عَنِ الصَّبِيِّ فَقَالَتْ وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ مَا رأَينا مِنْهُ رَيباً بعْدك. رَوَاهُ فِي شرح السّنة
اسنادہ ضعیف ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (13 / 295 ۔ 296 ح 3718) [و احمد (4 / 173 ح 17708) * فیہ عبداللہ بن حفص : مجھول و عطاء بن السائب : اختلط ، رواہ عنہ معمر ولہ شواھد ضعیفۃ عند الحاکم (2 / 617 ۔ 618) و احمد (4 / 170) وغیرھما
ব্যাখ্যা: (ثَلَاثَةُ أَشْيَاءَ) অর্থাৎ তিনটি মু'জিযাহ্।
(رَأَيْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) অর্থাৎ একই সফরে আমি রাসূল (সা.) থেকে তিনটি মু'জিযাহ্ লক্ষ্য করেছি।
(فَلَمَّا رَآهُ الْبَعِيرُ جَرْجَرَ) অর্থাৎ উটটি এমনভাবে আওয়াজ করল যে, তার গলা থেকে আওয়াজ বের হতে থাকল। যেমনটি উল্লেখ করেছেন কাযী ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ)।
গাছ তার জায়গা থেকে সরে নবী (সা.) -এর নিকটে এসে তাকে সালাম জানিয়ে তার নিজের জায়গায় ফেরত গেল। এটা নবী (সা.)-এর বিরাট একটি মু'জিযাহ্ ছিল। যা দ্বারা আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেছিলেন।
তারপর নবী (সা.) - মহিলার পাগল ছেলেটির নাকের ছিদ্র ধরে বললেন, তিনি হয়তো ঐ পাগল ছেলেকে অথবা তার ওপর যে জিন্ ভর করেছিল তাকে বললেন, আমি মুহাম্মাদ, অতএব তুমি বের হয়ে আসো। এরপর থেকে ছেলেটি সুস্থ হয়ে উঠেছিল। এটাও নবী (সা.) -এর একটি বিরাট মু'জিযাহ্ ছিল। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৬৯-[৩৫] ইয়া’লা ইবনু মুররাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: হুসায়ন আমার হতে আর আমি হুসায়ন হতে। যে হুসায়নকে ভালোবাসবে আল্লাহ তা’আলা তাকে ভালোবাসবেন। হুসায়ন বংশসমূহের মাঝে একটি বংশ। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
وَعَن يعلى بن مرَّة قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حُسَيْنٌ مِنِّي وَأَنَا مِنْ حُسَيْنٍ أَحَبَّ اللَّهُ مَنْ أَحَبَّ حُسَيْنًا حُسَيْنٌ سِبَطٌ مِنَ الأسباط» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3775 وقال : حسن)
ব্যাখ্যা: (أَحَبَّ اللَّهُ مَنْ أَحَبَّ حُسَيْنًا) ভালোবাসা ও সম্মান অবশ্যক হওয়ার ক্ষেত্রে যেন মানুষ [নবী (সা.) ও হুসায়ন (রাঃ)]-কে একই হুকুমে রাখে।
উক্ত বিষয়টাকে পরবর্তী বাক্য গুরুত্বারোপ করে তুলে (أَحَبَّ اللَّهُ مَنْ أَحَبَّ حُسَيْنًا) “যে ব্যক্তি হুসায়ন-কে ভালোবাসে আল্লাহ তাকে ভালোবাসবেন”। কেননা হুসায়ন (রাঃ)-কে ভালোবাসা রাসূল (সা.) -কে ভালোবাসার নামান্তর, আর নবী (সা.)-কে ভালোবাসা আল্লাহকে ভালোবাসার নামান্তর।
(سِبَطٌ مِنَ الأسباط) অর্থাৎ- এমন গাছ যার মূল কাণ্ড একটি ও শাখা-প্রশাখা অনেক। অনুরূপভাবে পিতা হলো গাছের কাণ্ডের ন্যায় ও সন্তানেরা হলো গাছের শাখা-প্রশাখার ন্যায়। কেউ কেউ বলেন, হুসায়ন (রাঃ) উম্মতসমূহের মধ্য হতে একটি উম্মত। যারা সকলে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। আল কামূস অভিধান প্রণেতা বলেন, (سِبَطٌ) “সিবাতুন বলতে মেয়ের ছেলেকে বুঝায়।
কেউ কেউ বলেন, (سِبَطٌ) এর অর্থ হলো গোত্র। গোত্র অর্থটি কয়েকভাবে সম্ভব হতে পারে। (১) অনেক শাখা-প্রশাখা হয়ে একটি গোত্র তৈরি হয়ে গেছে। (২) হতে পারে তার বংশে অনেক লোক বৃদ্ধি পাবে। হাদীসে এই দ্বিতীয় বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। কেননা লোক বৃদ্ধির কারণে বংশ স্থায়ী হয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, তিরমিযী হা. ৩৭৭৫)
পরিচ্ছেদঃ দুর্নীতি, অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী
(২২৫১) য়্যা’লা বিন মুর্রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি অর্ধহাত পরিমাণও জমি জবর-দখল (আত্মসাৎ) করবে, সে ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন ঐ জমির সাত তবক পর্যন্ত খুঁড়তে আদেশ করবেন। অতঃপর তা তার গলায় বেড়িস্বরূপ ঝুলিয়ে দেওয়া হবে; যতক্ষণ পর্যন্ত না সমস্ত লোকেদের বিচার-নিষ্পত্তি শেষ হয়েছে (ততক্ষণ পর্যন্ত ঐ সাত তবক আধ হাত জমি তার গলায় লটকানো থাকবে)!
عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يقولَ أَيُّمَا رَجُلٍ ظَلَمَ شِبْـرًا مِنْ الْأَرْضِ كَلَّفَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يَحْفِرَهُ حَتّٰـى يَبْلُغَ آخِرَ سَبْعِ أَرَضِينَ ثُمَّ يُطَوَّقَهُ إِلٰـى يَوْمِ الْقِيَامَةِ حَتّٰـى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ
পরিচ্ছেদঃ জমি জবর-দখল
(২২৫৯)য়্যা’লা বিন মুর্রাহ (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি অর্ধহাত পরিমাণও জমি জবর-দখল (আত্মসাৎ) করবে সে ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন ঐ জমির সাত তবক পর্যন্ত খুঁড়তে আদেশ করবেন। অতঃপর তা তার গলায় বেড়িস্বরূপ ঝুলিয়ে দেওয়া হবে; যতক্ষণ পর্যন্ত না সমস্ত লোকেদের বিচার-নিষ্পত্তি শেষ হয়েছে (ততক্ষণ পর্যন্ত ঐ সাত তবক আধ হাত জমি তার গলায় লটকানো থাকবে)!
عَنْ يَعْلَى بْنِ مُرَّةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ﷺ يَقُوْلُ أَيُّمَا رَجُلٍ ظَلَمَ شِبْرًا مِنْ الْأَرْضِ كَلَّفَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يَحْفِرَهُ حَتّٰـى يَبْلُغَ آخِرَ سَبْعِ أَرَضِينَ ثُمَّ يُطَوَّقَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ حَتّٰـى يُقْضٰى بَيْنَ النَّاسِ