পরিচ্ছেদঃ ১৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৮২-[১৫] ’আওফ ইবনু মালিক (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে দাঁড়ালাম। তিনি রুকূ’তে গিয়ে সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ তিলাওয়াত করতে যত সময় লাগতো তত সময় রুকূ’তে থাকলেন। রুকূ’তে বলতে থাকলেন, ’’সুবহা-না যিল জাবারূতি ওয়াল মালাকূতি ওয়াল কিবরিয়া-য়ি ওয়াল ’আযামাতি’’ (অর্থাৎ- ক্ষমতা, রাজ্য, বড়ত্ব, মহত্ব ও বিরাটত্বের মালিকের পবিত্রতা ঘোষণা করছি)। (নাসায়ী)[1]
عَن عَوْف بن مَالك قَالَ: قُمْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا رَكَعَ مَكَثَ قَدْرَ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَيَقُولُ فِي رُكُوعِهِ: «سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ والملكوت والكبرياء وَالْعَظَمَة» . رَوَاهُ النَّسَائِيّ
ব্যাখ্যা: রাবী বলেন, আমি সালাত আদায়কারী হিসেবে দাঁড়ালাম তিনি যখন রুকূ‘তে অবস্থান করলেন। অন্যত্রে আবূ দাঊদ-এর বর্ণনায় এসেছে, রাবী বলেনঃ আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে রাতে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছি। তিনি দাঁড়ালেনঃ সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ পড়লেন যখনই কোন রহমাতের আয়াত অতিক্রম করলে থামতেন এবং আল্লাহর কাছে চাইতেন আর যখনই কোন ‘আযাবের আয়াত অতিক্রম করলে থামতেন এবং আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতেন, অতঃপর দাঁড়ানো সমপরিমাণ রুকূ'তে থাকতেন। অনুরূপ নাসায়ীরও বর্ণনা।
আর এ হাদীস প্রমাণ করে রুকূ' সাজদায় দু‘আ করা শারী‘আতসম্মত আর রুকূ' ও সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) দীর্ঘ করতেন ক্বিয়ামের সমপরিমাণ অনুযায়ী। আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কাজটা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে করেছেন। ক্বিরাআত (কিরআত) লম্বা হলে রুকূ‘ ও সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) লম্বা হতো। আর ক্বিরাআত (কিরআত) হালকা হলে রুকূ' ও সাজদাও হালকা হতো।
পরিচ্ছেদঃ ১৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৮৩-[১৬] ইবনু জুবায়র (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকালের পর এই যুবক অর্থাৎ- ’উমার ইবনু ’আবদুল ’আযীয ছাড়া আর কারো পেছনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাতের মতো সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করিনি। বর্ণনাকারী বলেন, আনাস (রাঃ) বলেছেন, আমরা তার রুকূ’র সময় অনুমান করেছি দশ তাসবীহের পরিমাণ এবং সাজদার সময়ও অনুমান করেছি দশ তাসবীহ পরিমাণ। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]
وَعَنِ ابْنً جُبَيْرٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: مَا صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَحَدٍ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشْبَهَ صَلَاةً بِصَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ هَذَا الْفَتَى يَعْنِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: قَالَ: فَحَزَرْنَا رُكُوعَهُ عَشْرَ تَسْبِيحَاتٍ وَسُجُودَهُ عَشْرَ تَسْبِيحَاتٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيّ
ব্যাখ্যা: (حَزَرْنَا رُكُوعِه) আমরা অনুমান করেছি। আবূ দাঊদ ও নাসায়ীতে (فِي رُكُوعِه) এসেছে অর্থাৎ- فِي শব্দটি যোগ করা হয়েছে।
এ হাদীস থেকে কেউ কেউ দলীল নিয়েছেন। সর্বোচ্চ দশ এর বেশি তাসবীহ বলা যাবে না এবং তিনের নীচে আসা যাবে না।
ইমাম শাওকানী বলেন, সহীহ কথা হলো একাকী ব্যক্তি যত সংখ্যা ইচ্ছা পড়তে পারবে এবং বেশি সংখ্যা পড়াই উত্তম।
আর সহীহ হাদীস প্রমাণ করে যদি মুসল্লীদের কষ্ট না হয় তাহলে (রুকূ‘-সিজদা্ (সিজদা/সেজদা)) লম্বা করা যাবে। তবে কারো কষ্ট হচ্ছে এমন কোন আলামত বুঝলে ইমাম যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত করবেন।
ইবনু ‘আবদুল বার বলেনঃ প্রত্যেক ইমামের উচিত হালকা করা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ অনুযায়ী যদিও তার পিছনে শক্তিশালী মুক্তাদী থাকে। কেননা সে জানে না মুক্তাদীর ওপর কোন্ সময় বাথরুমের চাপ অন্যকিছুর প্রয়োজন চেপে বসেছে।
আমি (ভাষ্যকার) বলিঃ যদিও মুসল্লীদের কষ্ট না হয় তারপরেও ইমাম রুকূ‘-সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) স্বাভাবিকভাবে হালকা করবে তথা খুব বেশি লম্বা করবে না। কারণ সে জানে না হঠাৎ করে মুসল্লীদের ওপর কি প্রয়োজন চেপে রয়েছে।
পরিচ্ছেদঃ ১৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৮৪-[১৭] শাক্বীক্ব (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযায়ফাহ্ (রাঃ) এক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে তার রুকূ’-সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) পূর্ণ করছে না। সে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করলে তিনি তাকে ডেকে বললেন, তুমি সালাত আদায় করনি। শাক্বীক্ব বলেন, আমার মনে হয় হুযায়ফাহ্ এ কথাও বলেছেন, যদি তুমি এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ কর, তাহলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যে প্রকৃতির উপর আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টি করেছেন, তুমি তার বাইরে মৃত্যুবরণ করবে। (বুখারী)[1]
وَعَن شَقِيق قَالَ: إِنَّ حُذَيْفَةَ رَأَى رَجُلًا لَا يُتِمُّ رُكُوعَهُ وَلَا سُجُودَهُ فَلَمَّا قَضَى صَلَاتَهُ دَعَاهُ فَقَالَ لَهُ حُذَيْفَةُ: مَا صَلَّيْتَ. قَالَ: وَأَحْسَبُهُ قَالَ: وَلَوْ مِتَّ مِتَّ عَلَى غَيْرِ الْفِطْرَةِ الَّتِي فطر الله مُحَمَّدًا صلى الله عَلَيْهِ وَسلم. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে লোকটির নাম উল্লেখ হয়নি, তবে ইবনু খুযায়মাহ্ ও ইবনু হিব্বানে আছে লোকটির নাম ‘‘কিনদী’’।
হাদীসটির অন্যতম শিক্ষা হলো রুকূ'-সাজদায় ধীরস্থিরতা ও প্রশান্তচিত্ততা অত্যাবশ্যক। আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ে কোন ত্রুটি করলে তা’ বাতিল হয়ে যায়। কেননা হাদীসে হুযায়ফাহ্ (রাঃ)-এর মন্তব্য যে সালাতের রুকন আদায়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি করে সে যেন ইসলামকে অস্বীকার করলো। এ মন্তব্য থেকে আরো একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে উঠে, যে সালাত আদায় করে না সে কাফির। কারণ সালাতের রুকন ঠিকভাবে আদায় না হওয়াতেই যদি ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়, তাহলে তার চেয়ে আরও বড় অপরাধ সালাত আদায় না করা। সুতরাং এখানে কাফিরও বলাটা আরও সহজ। এ কথার উপর ভিত্তি করে ফিত্বরাত অর্থ হলো দীন আর কুফর শব্দটি ব্যবহার হয়েছে যে সালাত আদায় করে না তাকে বুঝাতে। যেমন সহীহ মুসলিমে এ বিষয়ে হাদীস এসেছে। কারও নিকট এটি (সালাত পরিত্যাগ করা) সুস্পষ্ট কুফর।
ইমাম খাত্ত্বাবী বলেন, فِطْرَةِ (ফিত্বরাত) উদ্দেশ্য দীন। দীন ইসলামের উপর মৃত্যুবরণ করবে না বলে তাকে শাসানো হয়েছে তার এ খাবার কাজের জন্য (রুকূ'-সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) পরিপূর্ণ আদায় না করা) তাতে করে ভবিষ্যতে সালাতে এর পুনরাবৃত্তি না করে। এটা দ্বারা দীন ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়া উদ্দেশ্য নয়।
فِطْرَةِ (ফিত্বরাত) দ্বারা কখনো উদ্দেশ্য হয়ে থাকে সুন্নাত। যেমন হাদীসে আসছেঃ (خَمْسُ مِّنَ الْفِطْرَةِ السِّوَاكْ) পাঁচটি বিষয় সুন্নাত মিসওয়াক করা ইত্যাদি হাদীস, আর এটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন ইবনু হাজার আল আসক্বালানী।
পরিচ্ছেদঃ ১৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৮৫-[১৮] আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চুরি হিসেবে সবচেয়ে বড় চোর হলো ঐ ব্যক্তি যে সালাতে (আরকানের) চুরি করলো। সাহাবীগণ আরয করলেন, হে আল্লাহর রসূল! সালাতের চুরি কিভাবে হয়? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সালাতের চুরি হলো রুকূ’-সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) পূর্ণ না করা। (আহমাদ)[1]
وَعَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَسْوَأُ النَّاسِ سَرِقَةً الَّذِي يَسْرِقُ مِنْ صَلَاتِهِ» . قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ يَسْرِقُ مِنْ صَلَاتِهِ؟ قَالَ: لَا يتم ركوعها وَلَا سجودها . رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যা: রাগিব বলেন, চুরি হলো নিজ অধিকারভুক্ত নয় এমন কোন কিছু গোপনে গ্রহণ করা, বিশেষ করে শারী‘আতে চুরি বলা হয় নির্ধারিত স্থান ও পরিমাণ কোন কিছু গ্রহণ করা যা নিজ অধিকারভুক্ত নয়।
সালাতে কিভাবে চুরি হয়? সালাতের চুরি রুকূ‘ ও সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) পূর্ণভাবে না করা অথবা রুকূ‘ সাজদায় পিঠকে সোজা না করা। সালাতে চুরি করাটা বড় ধরনের বা জঘন্যতম চুরি।
সালাতের চুরির মাধ্যমে সে নিজকে প্রতিদান থেকে বঞ্চিত করলো এবং এর পরিবর্তে শাস্তি বেছে নিলো। ফলে সে ক্ষতি এবং শাস্তিরই যোগ্য হলো।
এ হাদীসটিতে রুকূ' ও সাজদায় ধীরস্থিরতা ফরয হিসেবে সাব্যস্ত হলো। আর ঠিকভাবে রুকূ' ও সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) না করাতে নিজকে নিকৃষ্ট চোরের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি প্রমাণিত হলো।
পরিচ্ছেদঃ ১৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৮৬-[১৯] নু’মান ইবনু মুররাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ি কিরামকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ মদ্যপায়ী, ব্যভিচারী ও চোরের ব্যাপারে তোমাদের কি ধারণা? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ প্রশ্নটি এসব অপরাধের শাস্তি বিধানের আয়াত নাযিল হবার আগের। সাহাবীগণ আরয করলেন, এ ব্যাপারে আল্লাহ ও আল্লাহর রসূলই ভালো জানেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তর দিলেন, গুনাহ কাবীরাহ্ (কবিরা), এর সাজাও আছে। আর নিকৃষ্টতম চুরি হলো যা মানুষ তার সালাতে করে থাকে। সাহাবীগণ আরয করলেন, হে আল্লাহর রসূল! মানুষ তার সালাতে কিভাবে চুরি করে থাকে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, মানুষ রুকূ’-সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) পূর্ণভাবে আদায় না করে (এ চুরি করে থাকে)। (মালিক)[1] আহমাদ ও দারিমীতে হাদীসটি পাওয়া যায়নি।
وَعَن النُّعْمَان بن مرّة أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا تَرَوْنَ فِي الشَّارِبِ وَالزَّانِي وَالسَّارِقِ؟ وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ تُنْزَلَ فِيهِمُ الْحُدُودُ قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: «هُنَّ فَوَاحِشُ وَفِيهِنَّ عُقُوبَةٌ وَأَسْوَأُ السَّرِقَةِ الَّذِي يَسْرِقُ مِنْ صَلَاتِهِ» . قَالُوا: وَكَيف يسرق م صَلَاتِهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «لَا يُتِمُّ ركوعها وَلَا سجودها» . رَوَاهُ مَالك وَأحمد وروى الدَّارمِيّ نَحوه
ব্যাখ্যা: (اللّهُ وَرَسُولُهٗ أَعْلَمُ) আল্লাহ তা‘আলা ও তার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই বেশী জানেন। আর এটি শিষ্টাচারে পূর্ণ বৈশিষ্ট্য। সাহাবীগণ (রাঃ)-এর জ্ঞানকে তাঁরা আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের প্রতি সোপর্দ করেছেন।
(وَأَسْوَأُ السَّرِقَةِ) সালাতের চুরি হচ্ছে সবচেয়ে জঘন্যতম চুরি, বিশেষ করে যে রুকূ' ও সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) পূর্ণভাবে করে না। বিশেষ করে রুকূ' ও সাজদাকে খাস করার কারণ হলো রুকূ' ও সাজদায় সবচেয়ে বেশী ত্রুটি-বিচ্যুত ঘটে। আর চুরি এজন্য বলা হয়েছে যে, সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ে যে আমানাত দেয়া হয়েছিল তা রক্ষা করা হয়নি।