৮৮৬

পরিচ্ছেদঃ ১৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘

৮৮৬-[১৯] নু’মান ইবনু মুররাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ি কিরামকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ মদ্যপায়ী, ব্যভিচারী ও চোরের ব্যাপারে তোমাদের কি ধারণা? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ প্রশ্নটি এসব অপরাধের শাস্তি বিধানের আয়াত নাযিল হবার আগের। সাহাবীগণ আরয করলেন, এ ব্যাপারে আল্লাহ ও আল্লাহর রসূলই ভালো জানেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তর দিলেন, গুনাহ কাবীরাহ্ (কবিরা), এর সাজাও আছে। আর নিকৃষ্টতম চুরি হলো যা মানুষ তার সালাতে করে থাকে। সাহাবীগণ আরয করলেন, হে আল্লাহর রসূল! মানুষ তার সালাতে কিভাবে চুরি করে থাকে? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, মানুষ রুকূ’-সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) পূর্ণভাবে আদায় না করে (এ চুরি করে থাকে)। (মালিক)[1] আহমাদ ও দারিমীতে হাদীসটি পাওয়া যায়নি।

وَعَن النُّعْمَان بن مرّة أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا تَرَوْنَ فِي الشَّارِبِ وَالزَّانِي وَالسَّارِقِ؟ وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ تُنْزَلَ فِيهِمُ الْحُدُودُ قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: «هُنَّ فَوَاحِشُ وَفِيهِنَّ عُقُوبَةٌ وَأَسْوَأُ السَّرِقَةِ الَّذِي يَسْرِقُ مِنْ صَلَاتِهِ» . قَالُوا: وَكَيف يسرق م صَلَاتِهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «لَا يُتِمُّ ركوعها وَلَا سجودها» . رَوَاهُ مَالك وَأحمد وروى الدَّارمِيّ نَحوه

وعن النعمان بن مرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ما ترون في الشارب والزاني والسارق؟ وذلك قبل ان تنزل فيهم الحدود قالوا: الله ورسوله اعلم. قال: «هن فواحش وفيهن عقوبة واسوا السرقة الذي يسرق من صلاته» . قالوا: وكيف يسرق م صلاته يا رسول الله؟ قال: «لا يتم ركوعها ولا سجودها» . رواه مالك واحمد وروى الدارمي نحوه

ব্যাখ্যা: (اللّهُ وَرَسُولُهٗ أَعْلَمُ) আল্লাহ তা‘আলা ও তার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই বেশী জানেন। আর এটি শিষ্টাচারে পূর্ণ বৈশিষ্ট্য। সাহাবীগণ (রাঃ)-এর জ্ঞানকে তাঁরা আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের প্রতি সোপর্দ করেছেন।

(وَأَسْوَأُ السَّرِقَةِ) সালাতের চুরি হচ্ছে সবচেয়ে জঘন্যতম চুরি, বিশেষ করে যে রুকূ' ও সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) পূর্ণভাবে করে না। বিশেষ করে রুকূ' ও সাজদাকে খাস করার কারণ হলো রুকূ' ও সাজদায় সবচেয়ে বেশী ত্রুটি-বিচ্যুত ঘটে। আর চুরি এজন্য বলা হয়েছে যে, সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ে যে আমানাত দেয়া হয়েছিল তা রক্ষা করা হয়নি।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)