পরিচ্ছেদঃ ১৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৮৩-[১৬] ইবনু জুবায়র (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকালের পর এই যুবক অর্থাৎ- ’উমার ইবনু ’আবদুল ’আযীয ছাড়া আর কারো পেছনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাতের মতো সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করিনি। বর্ণনাকারী বলেন, আনাস (রাঃ) বলেছেন, আমরা তার রুকূ’র সময় অনুমান করেছি দশ তাসবীহের পরিমাণ এবং সাজদার সময়ও অনুমান করেছি দশ তাসবীহ পরিমাণ। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]
وَعَنِ ابْنً جُبَيْرٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: مَا صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَحَدٍ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشْبَهَ صَلَاةً بِصَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ هَذَا الْفَتَى يَعْنِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: قَالَ: فَحَزَرْنَا رُكُوعَهُ عَشْرَ تَسْبِيحَاتٍ وَسُجُودَهُ عَشْرَ تَسْبِيحَاتٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيّ
ব্যাখ্যা: (حَزَرْنَا رُكُوعِه) আমরা অনুমান করেছি। আবূ দাঊদ ও নাসায়ীতে (فِي رُكُوعِه) এসেছে অর্থাৎ- فِي শব্দটি যোগ করা হয়েছে।
এ হাদীস থেকে কেউ কেউ দলীল নিয়েছেন। সর্বোচ্চ দশ এর বেশি তাসবীহ বলা যাবে না এবং তিনের নীচে আসা যাবে না।
ইমাম শাওকানী বলেন, সহীহ কথা হলো একাকী ব্যক্তি যত সংখ্যা ইচ্ছা পড়তে পারবে এবং বেশি সংখ্যা পড়াই উত্তম।
আর সহীহ হাদীস প্রমাণ করে যদি মুসল্লীদের কষ্ট না হয় তাহলে (রুকূ‘-সিজদা্ (সিজদা/সেজদা)) লম্বা করা যাবে। তবে কারো কষ্ট হচ্ছে এমন কোন আলামত বুঝলে ইমাম যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত করবেন।
ইবনু ‘আবদুল বার বলেনঃ প্রত্যেক ইমামের উচিত হালকা করা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ অনুযায়ী যদিও তার পিছনে শক্তিশালী মুক্তাদী থাকে। কেননা সে জানে না মুক্তাদীর ওপর কোন্ সময় বাথরুমের চাপ অন্যকিছুর প্রয়োজন চেপে বসেছে।
আমি (ভাষ্যকার) বলিঃ যদিও মুসল্লীদের কষ্ট না হয় তারপরেও ইমাম রুকূ‘-সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) স্বাভাবিকভাবে হালকা করবে তথা খুব বেশি লম্বা করবে না। কারণ সে জানে না হঠাৎ করে মুসল্লীদের ওপর কি প্রয়োজন চেপে রয়েছে।