পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৪৫. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যার অভ্যন্তরে কুরআনের কোন অংশই নেই, সে বিরান ঘরের মত।”[1]
তাখরীজ: সাহমী, তারীখ জুরজান পৃ: ৪১২; আহমাদ ১/২২৩; তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৯১৪; তাবারাণী, কাবীর ১২/১০৯ নং ১২৬১৯; ইবনু কাছীর, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: ২৮৪; ইবনু আদী, আল কামিল ৬/২০৭২; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১১৮৫; হাকিম, মুসতাদরাক ১/৫৫৪; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ৩৩৪৯। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।’
হাকিম বলেন, তারা বর্ণনা না করলেও এর সনদ সহীহ। তবে যাহাবী তার অনুসরণে বলেছেন, আমি বলছি, (এর বর্ণনাকারী) কাবুস দুর্বল।’
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ قَابُوسَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الرَّجُلَ الَّذِي لَيْسَ فِي جَوْفِهِ مِنْ الْقُرْآنِ شَيْءٌ كَالْبَيْتِ الْخَرِبِ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৪৬. আবীল আহওয়াস হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এ কুরআন হলো আল্লাহর ভোজসভা, ফলে তোমার সাধ্যমত তা থেকে গ্রহণ করো। কেননা, আমার জানামতে সর্বাধিক ধন-সম্পদ শুন্য ঘর হলো সেই ঘর যার মধ্যে আল্লাহর কিতাবের কোনো অংশই নেই। অনুরূপ যে অন্তরের মধ্যে আল্লাহর কিতাবের কোনো অংশই নেই, তা সেইরূপ ধ্বংসপ্রাপ্ত, যেরূপ বিরাণ ঘর, যেখানে কোনো লোক বসবাস করে না।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৮৬ নং ১০০৭১ সংক্ষিপ্তাকারে সহীহ সনদে; আব্দুর রাযযাক ৫৯৯৮; তাবারানী, কাবীর ৯/১৩৮ নং ৮৬৪২; পূর্ণ তাখরীজের জন্য দেখুন, পরবর্তী হাদীসটি ও পূর্ববর্তী কিছু হাদীস।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَالِدِ بْنِ حَازِمٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا أَبُو سِنَانٍ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ مَأْدُبَةُ اللَّهِ فَخُذُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ فَإِنِّي لَا أَعْلَمُ شَيْئًا أَصْفَرَ مِنْ خَيْرٍ مِنْ بَيْتٍ لَيْسَ فِيهِ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ شَيْءٌ وَإِنَّ الْقَلْبَ الَّذِي لَيْسَ فِيهِ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ شَيْءٌ خَرِبٌ كَخَرَابِ الْبَيْتِ الَّذِي لَا سَاكِنَ لَهُ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৪৭. আবূল আহওয়াস (রহঃ) হতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: ’তোমরা এ কুরআন শিক্ষা কর, কেননা, কুরআনের একটি হরফ পাঠ করার কারণে তোমাদেরকে দশটি সাওয়াব দেওয়া হবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম মিলে একটি হয়ফ; বরং আলিফ, লাম এবং মীম প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা হরফ, যার প্রত্যেকটির জন্য দশটি করে সাওয়াব রয়েছে।[1]
তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ৮৬৪৮, ৮৬৪৯; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ৬০ মাওকুফ হিসেবে সহীহ; আব্দুর রাযযাক ৫৯৯৩ মুনকাতি সনদে; ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৬১ নং ৯৯৮১, ১০০৭১।
বুখারী, কাবীর ১/২১৬; তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৯১২; মারফু’ হিসেবে যার সনদ সহীহ। তিরমিযী, বলেন, এটি কেউ কেউ ইবনু মাসউদ থেকে মাওকুফ হিসেবে আবার কেউ কেউ মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ, এ সূত্রে গারীব।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ قَبِيصَةُ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ تَعَلَّمُوا هَذَا الْقُرْآنَ فَإِنَّكُمْ تُؤْجَرُونَ بِتِلَاوَتِهِ بِكُلِّ حَرْفٍ عَشْرَ حَسَنَاتٍ أَمَا إِنِّي لَا أَقُولُ بْ الم وَلَكِنْ بِأَلِفٍ وَلَامٍ وَمِيمٍ بِكُلِّ حَرْفٍ عَشْرُ حَسَنَاتٍ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৪৮. হাফস ইবনু ইনান আল হানাফী থেকে বর্ণিত, আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলতেন: যে ঘরে কুরআন পাঠ করা হয়, সেই ঘর তার বাসিন্দাদের উপর প্রশস্ত হয়ে যায়, সেখানে ফেরেশতাগণ উপস্থিত হয়, শয়তানরা সেই ঘর থেকে দূরে থাকে, এবং তার ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়। আর যে ঘরে কুরআন পাঠ করা হয় না, তা তার বাসিন্দাদের উপর সংকীর্ণ হয়ে যায়, সেখান থেকে ফেরেশতাগণ দূরে থাকে, শয়তানরা সেই ঘরে উপস্থিত হয় এবং তার ধন-সম্পদ কমে যায়।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৮৭ নং ১০০৭৬; ইবনুল মুবারক, যুহদ নং ৭৯০; ইবনুল যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১৮৫ মুনকাতি সনদে।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هَانِئٍ حَدَّثَنَا حَرْبُ بْنُ شَدَّادٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى هُوَ ابْنُ أَبِي كَثِيرٍ حَدَّثَنِي حَفْصُ بْنُ عِنَانٍ الْحَنَفِيُّ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يَقُولُ إِنَّ الْبَيْتَ لَيَتَّسِعُ عَلَى أَهْلِهِ وَتَحْضُرُهُ الْمَلَائِكَةُ وَتَهْجُرُهُ الشَّيَاطِينُ وَيَكْثُرُ خَيْرُهُ أَنْ يُقْرَأَ فِيهِ الْقُرْآنُ وَإِنَّ الْبَيْتَ لَيَضِيقُ عَلَى أَهْلِهِ وَتَهْجُرُهُ الْمَلَائِكَةُ وَتَحْضُرُهُ الشَّيَاطِينُ وَيَقِلُّ خَيْرُهُ أَنْ لَا يُقْرَأَ فِيهِ الْقُرْآنُ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৪৯. উকবাহ ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কুরআনকে চামড়ার ভেতরে রেখে তা যদি আগুণেও নিক্ষেপ করা হয়, তবুও তা পুড়বে না।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭৪৫ তে।
সংযোজনী: ফিরইয়াবী, ফাযাইলুল কুরআন নং ২; তাহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার নং ৯০৬; ইবনু কাছীর, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: ৩০৩; আহমাদ ৪/১৫১ ১৫৫; তাবারাণী, কাবীর ১৭/৩০৮ নং ৮৫০; আবীল ফযল রাযী, নং ১২৫; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২৬৯৯; ইবনু আদী, আল কামিল ৬/২৪৬।
আর এর শাহিদ রয়েছে উসামাহ ইবনু মালিক আলখাতমী হতে তাবারাণী, কাবীর ১৭/১৮৬ নং ৪৯৮; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২৭০০; ইবনু আদী, আল কামিল ৬/২০৪১। তবে এতে ফযল ইবনু মুখতার রয়েছে যে মুনকার ও বাতিল হাদীস সমুহ বর্ণনা করে, ফলে তার শাহিদ বর্ণনা একে শক্তিশালী করে না।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مِشْرَحِ بْنِ هَاعَانَ قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَوْ جُعِلَ الْقُرْآنُ فِي إِهَابٍ ثُمَّ أُلْقِيَ فِي النَّارِ مَا احْتَرَقَ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৫০. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: তোমরা কুরআন পাঠ কর, কেননা, কুরআন কিয়ামতের দিবসে কতই না উত্তম সুপারিশকারী! কিয়ামত দিবসে কুরআন এসে বলবে: হে রব! তাকে মর্যাদার অলংকারে অলংকৃত করুন। তখন তাকে মর্যাদার অলংকারে অলংকৃত করা হবে। (সে আবার বলবে:) হে রব! তাকে মর্যাদার পোশাক পরিধান করান। তখন তাকে মর্যাদার পোষাক পরানো হবে। (সে আবার বলবে:) হে রব! তাকে মর্যাদার মুকুট পরিধান করান। তখন তাকে মর্যাদার মুকুট পরিধান করানো হবে। (এরপর সে বলবে:) ইয়া রব! আপনি তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান। কেননা, আপনার সন্তুষ্টির পরে আর কিছু নেই।[1]
তাখরীজ: তিরমিযী, ছাওয়াবুল কুরআন ২৯১৬; হাকিম, মুসতাদরাক ১/৫৫২; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ১৯৯৬, ১৯৯৭।
তিরমিযী বলেন, ‘হাদীসটি হাসান সহীহ।’
হাকিম বলেন, ‘তারা উভয়ে বর্ণনা না করলেও হাদীসটির সনদ সহীহ।’ যাহাবী বলেন, ‘সহীহ। ইবনু খুযাইমা এটি মারফু’ হিসেবে শু’বাহ হতে বর্ণনা করেছেন।’
আমরা বলছি: শু’বাহ হতে এটি মারফু’ ও মাওকুফ দু’ভাবেই বর্ণিত হয়েছে। তবে শু’বাহ’র মারফু’ বর্ণনা মুতাবিয়াত হলো যাইদাহ, মারফু’ হওয়াটা তার দিকেই ফিরে যায়। আল্লাহই ভাল জানেন।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ نِعْمَ الشَّفِيعُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّهُ يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَا رَبِّ حَلِّهِ حِلْيَةَ الْكَرَامَةِ فَيُحَلَّى حِلْيَةَ الْكَرَامَةِ يَا رَبِّ اكْسُهُ كِسْوَةَ الْكَرَامَةِ فَيُكْسَى كِسْوَةَ الْكَرَامَةِ يَا رَبِّ أَلْبِسْهُ تَاجَ الْكَرَامَةِ يَا رَبِّ ارْضَ عَنْهُ فَلَيْسَ بَعْدَ رِضَاكَ شَيْءٌ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৫১. মুজাহিদ (রহঃ) হতে বর্ণিত, ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, কুরআন (কিয়ামত দিবসে) তার সাথীর (পাঠকারীর) জন্য সুপারিশকারী হিসেবে উপস্থিত হবে। সে বলবে: হে রব! প্রত্যেক কর্মকারীর তার কর্মের পুরস্কার বা বিনিময় পেয়ে থাকে। আর আমি তাকে ভোগ-আনন্দ ও ঘুম হতে বিরত রেখেছিলাম। তাই আপনি তাকে সম্মানিত করুন।তখন তাকে বলা হবে: তোমার ডান হাত প্রশস্ত কর। (সে প্রশস্ত করলে) তা আল্লাহর সন্তুষ্টি দ্বারা ভরপুর করে দেয়া হবে। এরপর তাকে বলা হবে: তোমার বাম হাত প্রশস্ত কর। (সে প্রশস্ত করলে) তা আল্লাহর সন্তুষ্টি দ্বারা ভরপুর করে দেয়া হবে। এবং তাকে মর্যাদার পোষাক পরানো হবে, তাকে মর্যাদার অলংকারে অলংকৃত করা হবে এবং তাকে মর্যাদার মুকুট পরিধান করানো হবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৯৬, ৪৯৭ নং ১০০৯৮, ১০০৯৯; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১০২; সাঈদ ইবনু মানসূর ২২।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَزَارِيُّ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ يَجِيءُ الْقُرْآنُ يَشْفَعُ لِصَاحِبِهِ يَقُولُ يَا رَبِّ لِكُلِّ عَامِلٍ عُمَالَةٌ مِنْ عَمَلِهِ وَإِنِّي كُنْتُ أَمْنَعُهُ اللَّذَّةَ وَالنَّوْمَ فَأَكْرِمْهُ فَيُقَالُ ابْسُطْ يَمِينَكَ فَتُمْلَأُ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ ثُمَّ يُقَالُ ابْسُطْ شِمَالَكَ فَتُمْلَأُ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ وَيُكْسَى كِسْوَةَ الْكَرَامَةِ وَيُحَلَّى بِحِلْيَةِ الْكَرَامَةِ وَيُلْبَسُ تَاجَ الْكَرَامَةِ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৫২. মুসাইয়্যেব ইবনু রাফি’ঈ হতে বর্ণিত, আবী সালিহ (রহঃ) বলেন, কুরআন (কিয়ামত দিবসে) তার সাথীর (পাঠকারীর) জন্য সুপারিশ করবে। ফলে তাকে মর্যাদার পোষাক পরানো হবে। তখন কুরআন বলবে, হে রব! তার জন্য আরও বাড়িয়ে দিন। তখন তাকে মর্যাদার মুকুট পরিধান করানো হবে।
তিনি বলেন, তারপর সে বলবে: হে রব! তার জন্য আরও বাড়িয়ে দিন, আর তাকে দান করুন এবং তাকে আরও দান করুন … তিনি বলেন, (অবশেষে) তিনি (আল্লাহ তা’আলা) বলবেন: আমার সন্তুষ্টি (তাকে দান করলাম)।[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, উহাইব ইবনু ওয়ারদ বলেন, তোমার কুরআন পাঠ কর ইলমের উদ্দেশ্যে, তা পাঠকে শুধু (গতানুগতিক কোন) কাজ হিসেবে গণ্য করো না।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৯৫ নং ১০০৯৭; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ১০২।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَزَارِيُّ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ قَالَ الْقُرْآنُ يَشْفَعُ لِصَاحِبِهِ فَيُكْسَى حُلَّةَ الْكَرَامَةِ ثُمَّ يَقُولُ رَبِّ زِدْهُ فَيُكْسَى تَاجَ الْكَرَامَةِ قَالَ فَيَقُولُ رَبِّ زِدْهُ فَإِنَّهُ فَإِنَّهُ فَيَقُولُ رِضَائِي قَالَ أَبُو مُحَمَّد قَالَ وُهَيْبُ بْنُ الْوَرْدِ اجْعَلْ قِرَاءَتَكَ الْقُرْآنَ عِلْمًا وَلَا تَجْعَلْهُ عَمَلًا
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৫৩. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেনঃ “তোমাদের কেউ কি তার ঘরে ফিরে এসে সেখানে তিনটি হৃষ্টপুষ্ট গর্ভবতী উষ্ট্রী পেতে পছন্দ করে?” আমরা বললাম, হাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বলেনঃ “তোমাদের কারো তিনটি আয়াত পাঠ করা তার জন্য তিনটি হৃষ্টপুষ্ট গর্ভবতী উষ্ট্রীর চেয়েও উত্তম।”[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৫০৩ নং ১০১২২; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৮০২; ইবনু মাজাহ, আদাব ৩৭৮২; ফিরইয়াবী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৬৯, ৭০, ৭১; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১১৭৭; আহমাদ ২/৩৯৬-৩৯৭, ৪৬৬, ৪৯৬-৪৯৭; আবূ উবাইদ, ফাযাইল নং ১০২; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২২৪২।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ الْفَزَارِيُّ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ إِذَا أَتَى أَهْلَهُ أَنْ يَجِدَ ثَلَاثَ خَلِفَاتٍ سِمَانٍ قَالُوا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ فَثَلَاثُ آيَاتٍ يَقْرَؤُهُنَّ أَحَدُكُمْ خَيْرٌ لَهُ مِنْهُنَّ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৫৪. আবীল আহওয়াস হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নিশ্চয়ই এ কুরআন হলো আল্লাহর ভোজসভা, ফলে তোমার সাধ্যমত তা শিক্ষা করো। নিশ্চয়ই এ কুরআন হলো আল্লাহর রশি এবং প্রকাশ্য জ্যোতি, (অন্তরে রোগের) ঔষধ ও উপকারকারী, যে ব্যক্তি একে আঁকড়ে ধরে, তার জন্য এটি পাপমুক্তি-সংরক্ষণ (কারী); আর যে ব্যক্তি এর অনুসরণ করবে, তা তার জন্য নাজাত (মুক্তির কারণ), সে বিচ্যুত বা ভ্রষ্ট হয় না যে তাওবা করার প্রয়োজন পড়বে; তা কখনো বক্র হয় না, যাকে সোজা করার প্রয়োজন হবে; এর বিস্ময়সমূহ কখনো ধ্বংস হবে না; আর পুন: পুন: পাঠের পরেও তা কখনো পুরান ও জীর্ণ হয়ে যাবে না। ফলে তোমরা তা পাঠ করতে থাক, কেননা, এ কুরআনের একটি হরফ পাঠ করার কারণে আল্লাহ তোমাদেরকে দশটি সাওয়াব দেবেন। জেনে রাখ, আমি এ কথা বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম (মিলে একটি হয়ফ); বরং আলিফ, লাম এবং মীম (প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা হরফ, যার প্রত্যেকটির জন্য দশটি করে সাওয়াব রয়েছে)।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ১৯৮৫; আব্দুর রাযযাক ৬০১৭; তাবারাণী, কাবীর ৯/১৩৯ নং ৮৬৪৬; আবু নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ১/১৩০-১৩১; হাকিম, মুসতাদরাক ১/৫৫৫; আবূ উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: ৪৯-৫০; নাসাঈ, আমলুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ নং ৯৬৩; আবু নুয়াইম, যিকরু আখবারুল আসবাহান ২/২৭৮ মারফু’ হিসেবে।
সাঈদ ইবনু মানসূর ১/৪৩ নং ৭; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ১৯৮৫ এ সনদে।
পূর্ণ ফায়িদাহ দেখুন, বিগত ৩৩৪৬ নং হাদীসটি।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ هُوَ الْهَجَرِيُّ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ مَأْدُبَةُ اللَّهِ فَتَعَلَّمُوا مِنْ مَأْدُبَتِهِ مَا اسْتَطَعْتُمْ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ حَبْلُ اللَّهِ وَالنُّورُ الْمُبِينُ وَالشِّفَاءُ النَّافِعُ عِصْمَةٌ لِمَنْ تَمَسَّكَ بِهِ وَنَجَاةٌ لِمَنْ اتَّبَعَهُ لَا يَزِيغُ فَيَسْتَعْتِبُ وَلَا يَعْوَجُّ فَيُقَوَّمُ وَلَا تَنْقَضِي عَجَائِبُهُ وَلَا يَخْلَقُ عَنْ كَثْرَةِ الرَّدِّ فَاتْلُوهُ فَإِنَّ اللَّهَ يَأْجُرُكُمْ عَلَى تِلَاوَتِهِ بِكُلِّ حَرْفٍ عَشْرَ حَسَنَاتٍ أَمَا إِنِّي لَا أَقُولُ الم وَلَكِنْ بِأَلِفٍ وَلَامٍ وَمِيمٍ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৫৫. যাইদ ইবনু আরকাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের মাঝে দণ্ডায়মান হলেন। এরপর তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং তাঁর ছানা (গুণগান) বর্ণনা করে বললেন: “হে মানবমণ্ডলী! নিশ্চয় আমি এক জন মানুষ মাত্র। হয়তো অচিরেই আমার রবের দূত আমার নিকট এসে যাবে এবং আমি তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাব। কিন্তু আমি তোমাদের মাঝে দু’টো ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি। প্রথমটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব যাতে রয়েছে হেদায়েত (পথনির্দেশনা) ও নূর। ফলে তোমরা আল্লাহর কিতাব আঁকড়ে থাঁকবে এবং তা অনুসরণ করবে।” এরপর তিনি এ ব্যাপারে অনুপ্রাণীত করলেন এবং উত্সাহ দিলেন। এরপর তিনি বললেন: “এবং আমার আহলে বাইত- আমার পরিবার। আমার আহলে বাইতের ব্যাপারে তোমাদেরকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি- তিনবার।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৪/৩৬৬-৩৬৭; মুসলিম, ফাযাইলুস সাহাবাহ ২৪০৮; ((তিরমিযী, মানাকিব ৩৭৮৮)।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১২৩।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ حَيَّانَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا خَطِيبًا فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَنِي رَسُولُ رَبِّي فَأُجِيبَهُ وَإِنِّي تَارِكٌ فِيكُمْ الثَّقَلَيْنِ أَوَّلُهُمَا كِتَابُ اللَّهِ فِيهِ الْهُدَى وَالنُّورُ فَتَمَسَّكُوا بِكِتَابِ اللَّهِ وَخُذُوا بِهِ فَحَثَّ عَلَيْهِ وَرَغَّبَ فِيهِ ثُمَّ قَالَ وَأَهْلَ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمْ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي ثَلَاثَ مَرَّاتٍ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৫৬. আবী ওয়াইল হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নিশ্চয়ই এ রাস্তা হলো সমাবেশ স্থল। আর সেখানে শয়তানেরা সমবেত হয়ে আহ্বান জানাতে থাকে, ’হে আল্লাহর বান্দারা! এ (ভ্রান্ত) পথই হলো (সঠিক) পথ।’ (আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার উদ্দেশ্যেই সে এরূপ আহ্বান জানাতে থাকে)। সুতরাং তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরো। আর আল্লাহর রজ্জু হলো কুরআন।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২০২৫; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ৭৪; সুয়ূতী, দুররে মানসূর ২/৬০; তাবারাণী, কাবীর ৯/২৪০ নং ৯০৩১, ৯০৩২; সাঈদ ইবনু মানসূর ৩/১০৮৩ নং ৫১৯।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ إِنَّ هَذَا الصِّرَاطَ مُحْتَضَرٌ تَحْضُرُهُ الشَّيَاطِينُ يُنَادُونَ يَا عَبْدَ اللَّهِ هَذَا الطَّرِيقُ فَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ فَإِنَّ حَبْلَ اللَّهِ الْقُرْآنُ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৫৭. খালিদ ইবনু মা’দান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো একটি সুরা শেষ না করা পর্যন্ত কুরআনের পাঠক ও শিক্ষাকারীর উপর ফিরিশতাগণ সালাত প্রেরণ (রহমতের দু’আ) করতে থাকেন। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন কুরআনের কোনো সূরা পাঠ করায় বা শিক্ষা দেয়, সে যেন তা শেষ না করে তার দু’টো আয়াত দিনের শেষে পাঠ করে তা সমাপ্ত করার জন্য রেখে দেয়, যাতে ফিরিশতাগণ পাঠকারী ও শিক্ষাকারীর উপর দিনের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সালাত প্রেরণ (রহমতের দু’আ) করতে থাকে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৫০৫ নং ১০১২৮ আবী উমামার বক্তব্য হিসেবে জাইয়্যেদ সনদে বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও, হিন্দী, কানযুল উম্মালে একে হাকীম তিরমিযী’র প্রতি সম্বন্ধ করেছেন, যা হাকীম তিরমিযীর নাওয়াদিরুল উসূল পৃ: ৩৩৩ তে রয়েছে।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ قَالَ إِنَّ قَارِئَ الْقُرْآنِ وَالْمُتَعَلِّمَ تُصَلِّي عَلَيْهِمْ الْمَلَائِكَةُ حَتَّى يَخْتِمُوا السُّورَةَ فَإِذَا أَقْرَأَ أَحَدُكُمْ السُّورَةَ فَلْيُؤَخِّرْ مِنْهَا آيَتَيْنِ حَتَّى يَخْتِمَهَا مِنْ آخِرِ النَّهَارِ كَيْ مَا تُصَلِّي الْمَلَائِكَةُ عَلَى الْقَارِئِ وَالْمُقْرِئِ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ إِلَى آخِرِهِ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৫৮. শুরাহবিল বিন মুসলিম (রহঃ) হতে বর্ণিত, আবূ উমামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তোমরা কুরআন পাঠ করতে থাকো। আর এ লটকানো কবিতাগুলি যেন তোমাদেরকে (কুরআন পাঠ থেকে) ধোকায় না ফেলে দেয়। অথচ যে অন্তর কুরআন সংরক্ষণ করেছে, আল্লাহ কখনোই তাকে শাস্তি দেবেন না।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৫০৫ নং ১০১২৮।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا حَرِيزٌ عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ وَلَا يَغُرَّنَّكُمْ هَذِهِ الْمَصَاحِفُ الْمُعَلَّقَةُ فَإِنَّ اللَّهَ لَنْ يُعَذِّبَ قَلْبًا وَعَى الْقُرْآنَ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৫৯. সুলাইম ইবনু আমির (রহঃ) হতে বর্ণিত, আবূ উমামাহ বাহিলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তোমরা কুরআন পাঠ করতে থাকো। আর তোমাদেরকে যেন (কবিতার মতো) এ কুরআন (পাঠ) ধোকায় না ফেলে দেয়। কারণ যে অন্তর কুরআন সংরক্ষণ করেছে, আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন না।[1]
তাখরীজ: বুখারী, খালকু আফ’আলীল ইবাদ পৃ: ৮৭। আর এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ سُلَيْمِ بْنِ عَامِرٍ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ قَالَ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ وَلَا يَغُرَّنَّكُمْ هَذِهِ الْمَصَاحِفُ الْمُعَلَّقَةُ فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُعَذِّبُ قَلْبًا وَعَى الْقُرْآنَ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৬০. আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সকল নিমন্ত্রিত ব্যক্তিই চায়, তাকে যথাযোগ্য আপ্যায়ন করা হোক। আর কুরআন হলো আল্লাহর (ভোজের) নিমন্ত্রণ।[1]
তাখরীজ: এটি বিগত ৩৩৪২ নং হাদীসের অংশবিশেষ।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ عَنْ مَعْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ لَيْسَ مِنْ مُؤَدِّبٍ إِلَّا وَهُوَ يُحِبُّ أَنْ يُؤْتَى أَدَبُهُ وَإِنَّ أَدَبَ اللَّهِ الْقُرْآنُ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৬১. আবূল আহওয়াস (রহঃ) হতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: এ কুরআন হলো আল্লাহর ভোজসভা। ফলে সেখানে যে ব্যক্তিই প্রবেশ করলো, সে নিরাপত্তা লাভ করলো।[1]
তাখরীজ: এটিও বিগত ৩৩৪২ নং হাদীসের অংশবিশেষ।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ قَالَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَقُولُ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ مَأْدُبَةُ اللَّهِ فَمَنْ دَخَلَ فِيهِ فَهُوَ آمِنٌ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৬২. আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি কুরআনকে ভালবাসে সে যেন আনন্দিত হয়।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৫০৬ নং ১০১২৯; সাঈদ ইবনু মানসূর ১/১২ নং ৩।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ مَنْ أَحَبَّ الْقُرْآنَ فَلْيُبْشِرْ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৬৩. (অপর সনদে) আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি কুরআনকে ভালবাসে সে যেন আনন্দিত হয়।[1]
তাখরীজ: আর এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ مَنْ أَحَبَّ الْقُرْآنَ فَلْيُبْشِرْ
পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৬৪. শা’বী হতে বর্ণিত, ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলতেন, কিয়ামতের দিন কুরআন এসে তার সাথী (পাঠক)-এর জন্য শাফা’আত করবে এবং তাকে জান্নাতের দিকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে। আবার তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে এবং তাকে জাহান্নামের দিকে চালিয়ে নিয়ে যাবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৯৭ নং ১০১০২; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ৯৬, ১০৮; আবুল ফাযল আর রাযী, নং ১২৪ (কিছুটা ভিন্ন শব্দে।)
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النُّجُودِ عَنْ الشَّعْبِيِّ أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ كَانَ يَقُولُ يَجِيءُ الْقُرْآنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَشْفَعُ لِصَاحِبِهِ فَيَكُونُ لَهُ قَائِدًا إِلَى الْجَنَّةِ وَيَشْهَدُ عَلَيْهِ وَيَكُونُ لَهُ سَائِقًا إِلَى النَّارِ