পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৪৫. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যার অভ্যন্তরে কুরআনের কোন অংশই নেই, সে বিরান ঘরের মত।”[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ قَابُوسَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الرَّجُلَ الَّذِي لَيْسَ فِي جَوْفِهِ مِنْ الْقُرْآنِ شَيْءٌ كَالْبَيْتِ الْخَرِبِ

حدثنا عمرو بن زرارة حدثنا جرير عن قابوس عن ابيه عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الرجل الذي ليس في جوفه من القران شيء كالبيت الخرب

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৪৬. আবীল আহওয়াস হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এ কুরআন হলো আল্লাহর ভোজসভা, ফলে তোমার সাধ্যমত তা থেকে গ্রহণ করো। কেননা, আমার জানামতে সর্বাধিক ধন-সম্পদ শুন্য ঘর হলো সেই ঘর যার মধ্যে আল্লাহর কিতাবের কোনো অংশই নেই। অনুরূপ যে অন্তরের মধ্যে আল্লাহর কিতাবের কোনো অংশই নেই, তা সেইরূপ ধ্বংসপ্রাপ্ত, যেরূপ বিরাণ ঘর, যেখানে কোনো লোক বসবাস করে না।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَالِدِ بْنِ حَازِمٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا أَبُو سِنَانٍ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ مَأْدُبَةُ اللَّهِ فَخُذُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ فَإِنِّي لَا أَعْلَمُ شَيْئًا أَصْفَرَ مِنْ خَيْرٍ مِنْ بَيْتٍ لَيْسَ فِيهِ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ شَيْءٌ وَإِنَّ الْقَلْبَ الَّذِي لَيْسَ فِيهِ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ شَيْءٌ خَرِبٌ كَخَرَابِ الْبَيْتِ الَّذِي لَا سَاكِنَ لَهُ

اخبرنا عبد الله بن خالد بن حازم حدثنا محمد بن سلمة حدثنا ابو سنان عن ابي اسحق عن ابي الاحوص عن عبد الله قال ان هذا القران مادبة الله فخذوا منه ما استطعتم فاني لا اعلم شيىا اصفر من خير من بيت ليس فيه من كتاب الله شيء وان القلب الذي ليس فيه من كتاب الله شيء خرب كخراب البيت الذي لا ساكن له

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুল আহওয়াস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৪৭. আবূল আহওয়াস (রহঃ) হতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: ’তোমরা এ কুরআন শিক্ষা কর, কেননা, কুরআনের একটি হরফ পাঠ করার কারণে তোমাদেরকে দশটি সাওয়াব দেওয়া হবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম মিলে একটি হয়ফ; বরং আলিফ, লাম এবং মীম প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা হরফ, যার প্রত্যেকটির জন্য দশটি করে সাওয়াব রয়েছে।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ قَبِيصَةُ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ تَعَلَّمُوا هَذَا الْقُرْآنَ فَإِنَّكُمْ تُؤْجَرُونَ بِتِلَاوَتِهِ بِكُلِّ حَرْفٍ عَشْرَ حَسَنَاتٍ أَمَا إِنِّي لَا أَقُولُ بْ الم وَلَكِنْ بِأَلِفٍ وَلَامٍ وَمِيمٍ بِكُلِّ حَرْفٍ عَشْرُ حَسَنَاتٍ

حدثنا ابو عامر قبيصة اخبرنا سفيان عن عطاء بن الساىب عن ابي الاحوص عن عبد الله قال تعلموا هذا القران فانكم توجرون بتلاوته بكل حرف عشر حسنات اما اني لا اقول ب الم ولكن بالف ولام وميم بكل حرف عشر حسنات

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুল আহওয়াস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৪৮. হাফস ইবনু ইনান আল হানাফী থেকে বর্ণিত, আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলতেন: যে ঘরে কুরআন পাঠ করা হয়, সেই ঘর তার বাসিন্দাদের উপর প্রশস্ত হয়ে যায়, সেখানে ফেরেশতাগণ উপস্থিত হয়, শয়তানরা সেই ঘর থেকে দূরে থাকে, এবং তার ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়। আর যে ঘরে কুরআন পাঠ করা হয় না, তা তার বাসিন্দাদের উপর সংকীর্ণ হয়ে যায়, সেখান থেকে ফেরেশতাগণ দূরে থাকে, শয়তানরা সেই ঘরে উপস্থিত হয় এবং তার ধন-সম্পদ কমে যায়।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هَانِئٍ حَدَّثَنَا حَرْبُ بْنُ شَدَّادٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى هُوَ ابْنُ أَبِي كَثِيرٍ حَدَّثَنِي حَفْصُ بْنُ عِنَانٍ الْحَنَفِيُّ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يَقُولُ إِنَّ الْبَيْتَ لَيَتَّسِعُ عَلَى أَهْلِهِ وَتَحْضُرُهُ الْمَلَائِكَةُ وَتَهْجُرُهُ الشَّيَاطِينُ وَيَكْثُرُ خَيْرُهُ أَنْ يُقْرَأَ فِيهِ الْقُرْآنُ وَإِنَّ الْبَيْتَ لَيَضِيقُ عَلَى أَهْلِهِ وَتَهْجُرُهُ الْمَلَائِكَةُ وَتَحْضُرُهُ الشَّيَاطِينُ وَيَقِلُّ خَيْرُهُ أَنْ لَا يُقْرَأَ فِيهِ الْقُرْآنُ

حدثنا معاذ بن هانى حدثنا حرب بن شداد حدثنا يحيى هو ابن ابي كثير حدثني حفص بن عنان الحنفي ان ابا هريرة كان يقول ان البيت ليتسع على اهله وتحضره الملاىكة وتهجره الشياطين ويكثر خيره ان يقرا فيه القران وان البيت ليضيق على اهله وتهجره الملاىكة وتحضره الشياطين ويقل خيره ان لا يقرا فيه القران

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৪৯. উকবাহ ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কুরআনকে চামড়ার ভেতরে রেখে তা যদি আগুণেও নিক্ষেপ করা হয়, তবুও তা পুড়বে না।”[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مِشْرَحِ بْنِ هَاعَانَ قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَوْ جُعِلَ الْقُرْآنُ فِي إِهَابٍ ثُمَّ أُلْقِيَ فِي النَّارِ مَا احْتَرَقَ

حدثنا عبد الله بن يزيد حدثنا ابن لهيعة عن مشرح بن هاعان قال سمعت عقبة بن عامر يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لو جعل القران في اهاب ثم القي في النار ما احترق

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫০. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: তোমরা কুরআন পাঠ কর, কেননা, কুরআন কিয়ামতের দিবসে কতই না উত্তম সুপারিশকারী! কিয়ামত দিবসে কুরআন এসে বলবে: হে রব! তাকে মর্যাদার অলংকারে অলংকৃত করুন। তখন তাকে মর্যাদার অলংকারে অলংকৃত করা হবে। (সে আবার বলবে:) হে রব! তাকে মর্যাদার পোশাক পরিধান করান। তখন তাকে মর্যাদার পোষাক পরানো হবে। (সে আবার বলবে:) হে রব! তাকে মর্যাদার মুকুট পরিধান করান। তখন তাকে মর্যাদার মুকুট পরিধান করানো হবে। (এরপর সে বলবে:) ইয়া রব! আপনি তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান। কেননা, আপনার সন্তুষ্টির পরে আর কিছু নেই।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ نِعْمَ الشَّفِيعُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّهُ يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَا رَبِّ حَلِّهِ حِلْيَةَ الْكَرَامَةِ فَيُحَلَّى حِلْيَةَ الْكَرَامَةِ يَا رَبِّ اكْسُهُ كِسْوَةَ الْكَرَامَةِ فَيُكْسَى كِسْوَةَ الْكَرَامَةِ يَا رَبِّ أَلْبِسْهُ تَاجَ الْكَرَامَةِ يَا رَبِّ ارْضَ عَنْهُ فَلَيْسَ بَعْدَ رِضَاكَ شَيْءٌ

حدثنا عبد الله بن جعفر الرقي عن عبيد الله بن عمرو عن زيد بن ابي انيسة عن عاصم عن ابي صالح قال سمعت ابا هريرة يقول اقرءوا القران فانه نعم الشفيع يوم القيامة انه يقول يوم القيامة يا رب حله حلية الكرامة فيحلى حلية الكرامة يا رب اكسه كسوة الكرامة فيكسى كسوة الكرامة يا رب البسه تاج الكرامة يا رب ارض عنه فليس بعد رضاك شيء

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫১. মুজাহিদ (রহঃ) হতে বর্ণিত, ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, কুরআন (কিয়ামত দিবসে) তার সাথীর (পাঠকারীর) জন্য সুপারিশকারী হিসেবে উপস্থিত হবে। সে বলবে: হে রব! প্রত্যেক কর্মকারীর তার কর্মের পুরস্কার বা বিনিময় পেয়ে থাকে। আর আমি তাকে ভোগ-আনন্দ ও ঘুম হতে বিরত রেখেছিলাম। তাই আপনি তাকে সম্মানিত করুন।তখন তাকে বলা হবে: তোমার ডান হাত প্রশস্ত কর। (সে প্রশস্ত করলে) তা আল্লাহর সন্তুষ্টি দ্বারা ভরপুর করে দেয়া হবে। এরপর তাকে বলা হবে: তোমার বাম হাত প্রশস্ত কর। (সে প্রশস্ত করলে) তা আল্লাহর সন্তুষ্টি দ্বারা ভরপুর করে দেয়া হবে। এবং তাকে মর্যাদার পোষাক পরানো হবে, তাকে মর্যাদার অলংকারে অলংকৃত করা হবে এবং তাকে মর্যাদার মুকুট পরিধান করানো হবে।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَزَارِيُّ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ يَجِيءُ الْقُرْآنُ يَشْفَعُ لِصَاحِبِهِ يَقُولُ يَا رَبِّ لِكُلِّ عَامِلٍ عُمَالَةٌ مِنْ عَمَلِهِ وَإِنِّي كُنْتُ أَمْنَعُهُ اللَّذَّةَ وَالنَّوْمَ فَأَكْرِمْهُ فَيُقَالُ ابْسُطْ يَمِينَكَ فَتُمْلَأُ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ ثُمَّ يُقَالُ ابْسُطْ شِمَالَكَ فَتُمْلَأُ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ وَيُكْسَى كِسْوَةَ الْكَرَامَةِ وَيُحَلَّى بِحِلْيَةِ الْكَرَامَةِ وَيُلْبَسُ تَاجَ الْكَرَامَةِ

حدثنا موسى بن خالد حدثنا ابراهيم بن محمد الفزاري عن سفيان عن عاصم عن مجاهد عن ابن عمر قال يجيء القران يشفع لصاحبه يقول يا رب لكل عامل عمالة من عمله واني كنت امنعه اللذة والنوم فاكرمه فيقال ابسط يمينك فتملا من رضوان الله ثم يقال ابسط شمالك فتملا من رضوان الله ويكسى كسوة الكرامة ويحلى بحلية الكرامة ويلبس تاج الكرامة

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মুজাহিদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫২. মুসাইয়্যেব ইবনু রাফি’ঈ হতে বর্ণিত, আবী সালিহ (রহঃ) বলেন, কুরআন (কিয়ামত দিবসে) তার সাথীর (পাঠকারীর) জন্য সুপারিশ করবে। ফলে তাকে মর্যাদার পোষাক পরানো হবে। তখন কুরআন বলবে, হে রব! তার জন্য আরও বাড়িয়ে দিন। তখন তাকে মর্যাদার মুকুট পরিধান করানো হবে।

তিনি বলেন, তারপর সে বলবে: হে রব! তার জন্য আরও বাড়িয়ে দিন, আর তাকে দান করুন এবং তাকে আরও দান করুন … তিনি বলেন, (অবশেষে) তিনি (আল্লাহ তা’আলা) বলবেন: আমার সন্তুষ্টি (তাকে দান করলাম)।[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, উহাইব ইবনু ওয়ারদ বলেন, তোমার কুরআন পাঠ কর ইলমের উদ্দেশ্যে, তা পাঠকে শুধু (গতানুগতিক কোন) কাজ হিসেবে গণ্য করো না।

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَزَارِيُّ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ قَالَ الْقُرْآنُ يَشْفَعُ لِصَاحِبِهِ فَيُكْسَى حُلَّةَ الْكَرَامَةِ ثُمَّ يَقُولُ رَبِّ زِدْهُ فَيُكْسَى تَاجَ الْكَرَامَةِ قَالَ فَيَقُولُ رَبِّ زِدْهُ فَإِنَّهُ فَإِنَّهُ فَيَقُولُ رِضَائِي قَالَ أَبُو مُحَمَّد قَالَ وُهَيْبُ بْنُ الْوَرْدِ اجْعَلْ قِرَاءَتَكَ الْقُرْآنَ عِلْمًا وَلَا تَجْعَلْهُ عَمَلًا

اخبرنا موسى بن خالد حدثنا ابراهيم بن محمد الفزاري عن الحسن بن عبيد الله عن المسيب بن رافع عن ابي صالح قال القران يشفع لصاحبه فيكسى حلة الكرامة ثم يقول رب زده فيكسى تاج الكرامة قال فيقول رب زده فانه فانه فيقول رضاىي قال ابو محمد قال وهيب بن الورد اجعل قراءتك القران علما ولا تجعله عملا

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫৩. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেনঃ “তোমাদের কেউ কি তার ঘরে ফিরে এসে সেখানে তিনটি হৃষ্টপুষ্ট গর্ভবতী উষ্ট্রী পেতে পছন্দ করে?” আমরা বললাম, হাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বলেনঃ “তোমাদের কারো তিনটি আয়াত পাঠ করা তার জন্য তিনটি হৃষ্টপুষ্ট গর্ভবতী উষ্ট্রীর চেয়েও উত্তম।”[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ الْفَزَارِيُّ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ إِذَا أَتَى أَهْلَهُ أَنْ يَجِدَ ثَلَاثَ خَلِفَاتٍ سِمَانٍ قَالُوا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ فَثَلَاثُ آيَاتٍ يَقْرَؤُهُنَّ أَحَدُكُمْ خَيْرٌ لَهُ مِنْهُنَّ

حدثنا موسى بن خالد حدثنا ابراهيم الفزاري عن الاعمش عن ابي صالح عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ايحب احدكم اذا اتى اهله ان يجد ثلاث خلفات سمان قالوا نعم يا رسول الله قال فثلاث ايات يقروهن احدكم خير له منهن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫৪. আবীল আহওয়াস হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নিশ্চয়ই এ কুরআন হলো আল্লাহর ভোজসভা, ফলে তোমার সাধ্যমত তা শিক্ষা করো। নিশ্চয়ই এ কুরআন হলো আল্লাহর রশি এবং প্রকাশ্য জ্যোতি, (অন্তরে রোগের) ঔষধ ও উপকারকারী, যে ব্যক্তি একে আঁকড়ে ধরে, তার জন্য এটি পাপমুক্তি-সংরক্ষণ (কারী); আর যে ব্যক্তি এর অনুসরণ করবে, তা তার জন্য নাজাত (মুক্তির কারণ), সে বিচ্যুত বা ভ্রষ্ট হয় না যে তাওবা করার প্রয়োজন পড়বে; তা কখনো বক্র হয় না, যাকে সোজা করার প্রয়োজন হবে; এর বিস্ময়সমূহ কখনো ধ্বংস হবে না; আর পুন: পুন: পাঠের পরেও তা কখনো পুরান ও জীর্ণ হয়ে যাবে না। ফলে তোমরা তা পাঠ করতে থাক, কেননা, এ কুরআনের একটি হরফ পাঠ করার কারণে আল্লাহ তোমাদেরকে দশটি সাওয়াব দেবেন। জেনে রাখ, আমি এ কথা বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম (মিলে একটি হয়ফ); বরং আলিফ, লাম এবং মীম (প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা হরফ, যার প্রত্যেকটির জন্য দশটি করে সাওয়াব রয়েছে)।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ هُوَ الْهَجَرِيُّ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ مَأْدُبَةُ اللَّهِ فَتَعَلَّمُوا مِنْ مَأْدُبَتِهِ مَا اسْتَطَعْتُمْ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ حَبْلُ اللَّهِ وَالنُّورُ الْمُبِينُ وَالشِّفَاءُ النَّافِعُ عِصْمَةٌ لِمَنْ تَمَسَّكَ بِهِ وَنَجَاةٌ لِمَنْ اتَّبَعَهُ لَا يَزِيغُ فَيَسْتَعْتِبُ وَلَا يَعْوَجُّ فَيُقَوَّمُ وَلَا تَنْقَضِي عَجَائِبُهُ وَلَا يَخْلَقُ عَنْ كَثْرَةِ الرَّدِّ فَاتْلُوهُ فَإِنَّ اللَّهَ يَأْجُرُكُمْ عَلَى تِلَاوَتِهِ بِكُلِّ حَرْفٍ عَشْرَ حَسَنَاتٍ أَمَا إِنِّي لَا أَقُولُ الم وَلَكِنْ بِأَلِفٍ وَلَامٍ وَمِيمٍ

حدثنا جعفر بن عون حدثنا ابراهيم هو الهجري عن ابي الاحوص عن عبد الله قال ان هذا القران مادبة الله فتعلموا من مادبته ما استطعتم ان هذا القران حبل الله والنور المبين والشفاء النافع عصمة لمن تمسك به ونجاة لمن اتبعه لا يزيغ فيستعتب ولا يعوج فيقوم ولا تنقضي عجاىبه ولا يخلق عن كثرة الرد فاتلوه فان الله ياجركم على تلاوته بكل حرف عشر حسنات اما اني لا اقول الم ولكن بالف ولام وميم

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবুল আহওয়াস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫৫. যাইদ ইবনু আরকাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের মাঝে দণ্ডায়মান হলেন। এরপর তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন এবং তাঁর ছানা (গুণগান) বর্ণনা করে বললেন: “হে মানবমণ্ডলী! নিশ্চয় আমি এক জন মানুষ মাত্র। হয়তো অচিরেই আমার রবের দূত আমার নিকট এসে যাবে এবং আমি তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাব। কিন্তু আমি তোমাদের মাঝে দু’টো ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি। প্রথমটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব যাতে রয়েছে হেদায়েত (পথনির্দেশনা) ও নূর। ফলে তোমরা আল্লাহর কিতাব আঁকড়ে থাঁকবে এবং তা অনুসরণ করবে।” এরপর তিনি এ ব্যাপারে অনুপ্রাণীত করলেন এবং উত্সাহ দিলেন। এরপর তিনি বললেন: “এবং আমার আহলে বাইত- আমার পরিবার। আমার আহলে বাইতের ব্যাপারে তোমাদেরকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি- তিনবার।”[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ حَيَّانَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا خَطِيبًا فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَنِي رَسُولُ رَبِّي فَأُجِيبَهُ وَإِنِّي تَارِكٌ فِيكُمْ الثَّقَلَيْنِ أَوَّلُهُمَا كِتَابُ اللَّهِ فِيهِ الْهُدَى وَالنُّورُ فَتَمَسَّكُوا بِكِتَابِ اللَّهِ وَخُذُوا بِهِ فَحَثَّ عَلَيْهِ وَرَغَّبَ فِيهِ ثُمَّ قَالَ وَأَهْلَ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمْ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

حدثنا جعفر بن عون حدثنا ابو حيان عن يزيد بن حيان عن زيد بن ارقم قال قام رسول الله صلى الله عليه وسلم يوما خطيبا فحمد الله واثنى عليه ثم قال يا ايها الناس انما انا بشر يوشك ان ياتيني رسول ربي فاجيبه واني تارك فيكم الثقلين اولهما كتاب الله فيه الهدى والنور فتمسكوا بكتاب الله وخذوا به فحث عليه ورغب فيه ثم قال واهل بيتي اذكركم الله في اهل بيتي ثلاث مرات

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫৬. আবী ওয়াইল হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নিশ্চয়ই এ রাস্তা হলো সমাবেশ স্থল। আর সেখানে শয়তানেরা সমবেত হয়ে আহ্বান জানাতে থাকে, ’হে আল্লাহর বান্দারা! এ (ভ্রান্ত) পথই হলো (সঠিক) পথ।’ (আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার উদ্দেশ্যেই সে এরূপ আহ্বান জানাতে থাকে)। সুতরাং তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরো। আর আল্লাহর রজ্জু হলো কুরআন।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ إِنَّ هَذَا الصِّرَاطَ مُحْتَضَرٌ تَحْضُرُهُ الشَّيَاطِينُ يُنَادُونَ يَا عَبْدَ اللَّهِ هَذَا الطَّرِيقُ فَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ فَإِنَّ حَبْلَ اللَّهِ الْقُرْآنُ

حدثنا جعفر بن عون اخبرنا الاعمش عن ابي واىل قال قال عبد الله ان هذا الصراط محتضر تحضره الشياطين ينادون يا عبد الله هذا الطريق فاعتصموا بحبل الله فان حبل الله القران

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ওয়াইল (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫৭. খালিদ ইবনু মা’দান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো একটি সুরা শেষ না করা পর্যন্ত কুরআনের পাঠক ও শিক্ষাকারীর উপর ফিরিশতাগণ সালাত প্রেরণ (রহমতের দু’আ) করতে থাকেন। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন কুরআনের কোনো সূরা পাঠ করায় বা শিক্ষা দেয়, সে যেন তা শেষ না করে তার দু’টো আয়াত দিনের শেষে পাঠ করে তা সমাপ্ত করার জন্য রেখে দেয়, যাতে ফিরিশতাগণ পাঠকারী ও শিক্ষাকারীর উপর দিনের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত সালাত প্রেরণ (রহমতের দু’আ) করতে থাকে।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ قَالَ إِنَّ قَارِئَ الْقُرْآنِ وَالْمُتَعَلِّمَ تُصَلِّي عَلَيْهِمْ الْمَلَائِكَةُ حَتَّى يَخْتِمُوا السُّورَةَ فَإِذَا أَقْرَأَ أَحَدُكُمْ السُّورَةَ فَلْيُؤَخِّرْ مِنْهَا آيَتَيْنِ حَتَّى يَخْتِمَهَا مِنْ آخِرِ النَّهَارِ كَيْ مَا تُصَلِّي الْمَلَائِكَةُ عَلَى الْقَارِئِ وَالْمُقْرِئِ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ إِلَى آخِرِهِ

اخبرنا ابو المغيرة حدثنا عبدة عن خالد بن معدان قال ان قارى القران والمتعلم تصلي عليهم الملاىكة حتى يختموا السورة فاذا اقرا احدكم السورة فليوخر منها ايتين حتى يختمها من اخر النهار كي ما تصلي الملاىكة على القارى والمقرى من اول النهار الى اخره

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫৮. শুরাহবিল বিন মুসলিম (রহঃ) হতে বর্ণিত, আবূ উমামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তোমরা কুরআন পাঠ করতে থাকো। আর এ লটকানো কবিতাগুলি যেন তোমাদেরকে (কুরআন পাঠ থেকে) ধোকায় না ফেলে দেয়। অথচ যে অন্তর কুরআন সংরক্ষণ করেছে, আল্লাহ কখনোই তাকে শাস্তি দেবেন না।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا حَرِيزٌ عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ وَلَا يَغُرَّنَّكُمْ هَذِهِ الْمَصَاحِفُ الْمُعَلَّقَةُ فَإِنَّ اللَّهَ لَنْ يُعَذِّبَ قَلْبًا وَعَى الْقُرْآنَ

اخبرنا الحكم بن نافع اخبرنا حريز عن شرحبيل بن مسلم الخولاني عن ابي امامة انه كان يقول اقرءوا القران ولا يغرنكم هذه المصاحف المعلقة فان الله لن يعذب قلبا وعى القران

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৫৯. সুলাইম ইবনু আমির (রহঃ) হতে বর্ণিত, আবূ উমামাহ বাহিলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তোমরা কুরআন পাঠ করতে থাকো। আর তোমাদেরকে যেন (কবিতার মতো) এ কুরআন (পাঠ) ধোকায় না ফেলে দেয়। কারণ যে অন্তর কুরআন সংরক্ষণ করেছে, আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন না।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ سُلَيْمِ بْنِ عَامِرٍ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ قَالَ اقْرَءُوا الْقُرْآنَ وَلَا يَغُرَّنَّكُمْ هَذِهِ الْمَصَاحِفُ الْمُعَلَّقَةُ فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُعَذِّبُ قَلْبًا وَعَى الْقُرْآنَ

حدثنا عبد الله بن صالح حدثني معاوية بن صالح عن سليم بن عامر عن ابي امامة الباهلي قال اقرءوا القران ولا يغرنكم هذه المصاحف المعلقة فان الله لا يعذب قلبا وعى القران

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৬০. আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সকল নিমন্ত্রিত ব্যক্তিই চায়, তাকে যথাযোগ্য আপ্যায়ন করা হোক। আর কুরআন হলো আল্লাহর (ভোজের) নিমন্ত্রণ।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ عَنْ مَعْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ لَيْسَ مِنْ مُؤَدِّبٍ إِلَّا وَهُوَ يُحِبُّ أَنْ يُؤْتَى أَدَبُهُ وَإِنَّ أَدَبَ اللَّهِ الْقُرْآنُ

اخبرنا محمد بن يوسف حدثنا مسعر عن معن بن عبد الرحمن عن ابن مسعود قال ليس من مودب الا وهو يحب ان يوتى ادبه وان ادب الله القران

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৬১. আবূল আহওয়াস (রহঃ) হতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: এ কুরআন হলো আল্লাহর ভোজসভা। ফলে সেখানে যে ব্যক্তিই প্রবেশ করলো, সে নিরাপত্তা লাভ করলো।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ قَالَ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَقُولُ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ مَأْدُبَةُ اللَّهِ فَمَنْ دَخَلَ فِيهِ فَهُوَ آمِنٌ

حدثنا سهل بن حماد حدثنا شعبة عن عبد الملك بن ميسرة عن ابي الاحوص قال كان عبد الله يقول ان هذا القران مادبة الله فمن دخل فيه فهو امن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুল আহওয়াস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৬২. আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি কুরআনকে ভালবাসে সে যেন আনন্দিত হয়।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ مَنْ أَحَبَّ الْقُرْآنَ فَلْيُبْشِرْ

اخبرنا يحيى بن حماد حدثنا ابو عوانة عن الاعمش عن ابراهيم عن عبد الرحمن بن يزيد عن عبد الله قال من احب القران فليبشر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৬৩. (অপর সনদে) আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি কুরআনকে ভালবাসে সে যেন আনন্দিত হয়।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ مَنْ أَحَبَّ الْقُرْآنَ فَلْيُبْشِرْ

حدثنا يعلى حدثنا الاعمش عن ابراهيم عن عبد الرحمن بن يزيد عن عبد الله قال من احب القران فليبشر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা

৩৩৬৪. শা’বী হতে বর্ণিত, ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলতেন, কিয়ামতের দিন কুরআন এসে তার সাথী (পাঠক)-এর জন্য শাফা’আত করবে এবং তাকে জান্নাতের দিকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে। আবার তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে এবং তাকে জাহান্নামের দিকে চালিয়ে নিয়ে যাবে।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ

حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النُّجُودِ عَنْ الشَّعْبِيِّ أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ كَانَ يَقُولُ يَجِيءُ الْقُرْآنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَشْفَعُ لِصَاحِبِهِ فَيَكُونُ لَهُ قَائِدًا إِلَى الْجَنَّةِ وَيَشْهَدُ عَلَيْهِ وَيَكُونُ لَهُ سَائِقًا إِلَى النَّارِ

حدثنا يزيد بن هارون اخبرنا همام عن عاصم بن ابي النجود عن الشعبي ان ابن مسعود كان يقول يجيء القران يوم القيامة فيشفع لصاحبه فيكون له قاىدا الى الجنة ويشهد عليه ويكون له ساىقا الى النار

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ শা‘বী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় (كتاب فضائل القرآن)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »