পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তার মর্যাদা
৩৩৫৪. আবীল আহওয়াস হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নিশ্চয়ই এ কুরআন হলো আল্লাহর ভোজসভা, ফলে তোমার সাধ্যমত তা শিক্ষা করো। নিশ্চয়ই এ কুরআন হলো আল্লাহর রশি এবং প্রকাশ্য জ্যোতি, (অন্তরে রোগের) ঔষধ ও উপকারকারী, যে ব্যক্তি একে আঁকড়ে ধরে, তার জন্য এটি পাপমুক্তি-সংরক্ষণ (কারী); আর যে ব্যক্তি এর অনুসরণ করবে, তা তার জন্য নাজাত (মুক্তির কারণ), সে বিচ্যুত বা ভ্রষ্ট হয় না যে তাওবা করার প্রয়োজন পড়বে; তা কখনো বক্র হয় না, যাকে সোজা করার প্রয়োজন হবে; এর বিস্ময়সমূহ কখনো ধ্বংস হবে না; আর পুন: পুন: পাঠের পরেও তা কখনো পুরান ও জীর্ণ হয়ে যাবে না। ফলে তোমরা তা পাঠ করতে থাক, কেননা, এ কুরআনের একটি হরফ পাঠ করার কারণে আল্লাহ তোমাদেরকে দশটি সাওয়াব দেবেন। জেনে রাখ, আমি এ কথা বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম (মিলে একটি হয়ফ); বরং আলিফ, লাম এবং মীম (প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা হরফ, যার প্রত্যেকটির জন্য দশটি করে সাওয়াব রয়েছে)।[1]
بَاب فَضْلِ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ هُوَ الْهَجَرِيُّ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ مَأْدُبَةُ اللَّهِ فَتَعَلَّمُوا مِنْ مَأْدُبَتِهِ مَا اسْتَطَعْتُمْ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ حَبْلُ اللَّهِ وَالنُّورُ الْمُبِينُ وَالشِّفَاءُ النَّافِعُ عِصْمَةٌ لِمَنْ تَمَسَّكَ بِهِ وَنَجَاةٌ لِمَنْ اتَّبَعَهُ لَا يَزِيغُ فَيَسْتَعْتِبُ وَلَا يَعْوَجُّ فَيُقَوَّمُ وَلَا تَنْقَضِي عَجَائِبُهُ وَلَا يَخْلَقُ عَنْ كَثْرَةِ الرَّدِّ فَاتْلُوهُ فَإِنَّ اللَّهَ يَأْجُرُكُمْ عَلَى تِلَاوَتِهِ بِكُلِّ حَرْفٍ عَشْرَ حَسَنَاتٍ أَمَا إِنِّي لَا أَقُولُ الم وَلَكِنْ بِأَلِفٍ وَلَامٍ وَمِيمٍ
তাখরীজ: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ১৯৮৫; আব্দুর রাযযাক ৬০১৭; তাবারাণী, কাবীর ৯/১৩৯ নং ৮৬৪৬; আবু নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ১/১৩০-১৩১; হাকিম, মুসতাদরাক ১/৫৫৫; আবূ উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ: ৪৯-৫০; নাসাঈ, আমলুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ নং ৯৬৩; আবু নুয়াইম, যিকরু আখবারুল আসবাহান ২/২৭৮ মারফু’ হিসেবে।
সাঈদ ইবনু মানসূর ১/৪৩ নং ৭; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ১৯৮৫ এ সনদে।
পূর্ণ ফায়িদাহ দেখুন, বিগত ৩৩৪৬ নং হাদীসটি।