পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى (لَقَدْ رَضِيَ اللهُ عَنِ الْمُؤْمِنِيْنَ إِذْ يُبَايِعُوْنَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ).
মহান আল্লাহর বাণীঃ মু’মিনগণ যখন গাছের তলে আপনার নিকট বাই‘আত গ্রহণ করল তখন আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন ........। (সূরাহ ফাত্হ ৪৮/১৮)
৪১৪৭. যায়দ ইবনু খালিদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুদাইবিয়াহর বছর আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বের হলাম। এক রাতে খুব বৃষ্টি হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করলেন। এরপরে আমাদের দিকে ফিরে বললেন, তোমরা জান কি তোমাদের রব কী বলেছেন? আমরা বললাম, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলই অধিক জানেন। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন (বৃষ্টির কারণে) আমার কতিপয় বান্দা আমার প্রতি ঈমান এনেছে, আর কেউ কেউ আমাকে অমান্য করেছে। যারা বলেছে, আল্লাহর রহমত, আল্লাহর দয়া এবং আল্লাহর ফযলে আমাদের প্রতি বৃষ্টি হয়েছে, তারা আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী মু’মিন এবং তারা নক্ষত্রের প্রভাব অস্বীকারকারী। আর যারা বলেছে যে অমুক তারকার কারণে বৃষ্টি হয়েছে[1], তারা তারকার প্রতি ঈমান এনেছে এবং আমাকে অস্বীকারকারী কাফির। [৮৪৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৩৮)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَصَابَنَا مَطَرٌ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَصَلَّى لَنَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الصُّبْحَ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَقَالَ أَتَدْرُوْنَ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قُلْنَا اللهُ وَرَسُوْلُهُ أَعْلَمُ فَقَالَ قَالَ اللهُ أَصْبَحَ مِنْ عِبَادِيْ مُؤْمِنٌ بِيْ وَكَافِرٌ بِيْ فَأَمَّا مَنْ قَالَ مُطِرْنَا بِرَحْمَةِ اللهِ وَبِرِزْقِ اللهِ وَبِفَضْلِ اللهِ فَهُوَ مُؤْمِنٌ بِيْ كَافِرٌ بِالْكَوْكَبِ وَأَمَّا مَنْ قَالَ مُطِرْنَا بِنَجْمِ كَذَا فَهُوَ مُؤْمِنٌ بِالْكَوْكَبِ كَافِرٌ بِي.
Narrated Zaid bin Khalid:
We went out with Allah's Messenger (ﷺ) in the year of Al-Hudaibiya. One night it rained and Allah's Messenger (ﷺ) led us in the Fajr prayer and (after finishing it), turned to us and said, "Do you know what your Lord has said?" We replied, "Allah and His Apostle know it better." He said, "Allah said:-- "(Some of) My slaves got up believing in Me, And (some of them) disbelieving in Me. The one who said: We have been given Rain through Allah's Mercy and Allah's Blessing and Allah's Bounty, then he is a believer in Me, and is a disbeliever in the star. And whoever said: We have been given rain because of such and- such star, then he is a believer in the star, and is a disbeliever in Me."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৪৮. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারটি ‘উমরাহ পালন করেছেন। তিনি হাজ্জের সঙ্গে যে ‘উমরাহ্টি পালন করেন সেটি ব্যতীত সবকটিই যুলকাদাহ্ মাসে। হুদাইবিয়াহর ‘উমরাহ্টি ছিল যুলকাদাহ্ মাসে। হুদাইবিয়াহর পরের বছরের ‘উমরাহ্টি ছিল যুলকাদাহ্ মাসে এবং হুনাইনের প্রাপ্ত গানীমাত যে জিঈরানা নামক স্থানে বণ্টন করেছিলেন, সেখানের ‘উমরাহ্টিও ছিল যুলকাদাহ্ মাসে, আর তিনি হাজ্জের সঙ্গে একটি ‘উমরাহ্ পালন করেন। [১৭৭৮, ১৭৭৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৩৯)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ أَنَّ أَنَسًا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَخْبَرَهُ قَالَ اعْتَمَرَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعَ عُمَرٍ كُلَّهُنَّ فِيْ ذِي الْقَعْدَةِ إِلَّا الَّتِيْ كَانَتْ مَعَ حَجَّتِهِ عُمْرَةً مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ فِيْ ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةً مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ فِيْ ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةً مِنَ الْجِعْرَانَةِ حَيْثُ قَسَمَ غَنَائِمَ حُنَيْنٍ فِيْ ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةً مَعَ حَجَّتِهِ.
Narrated Anas:
Allah's Messenger (ﷺ) performed four `Umras, all in the month of Dhul-Qa'da, except the one which he performed with his Hajj (i.e. in Dhul-Hijja). He performed one `Umra from Al-Hudaibiya in Dhul- Qa'da, another `Umra in the following year in Dhul Qa'da a third from Al-Jirana where he distributed the war booty of Hunain, in Dhul Qa'da, and the fourth `Umra he performed was with his Hajj.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৪৯. আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুদাইবিয়াহর যুদ্ধের বছর আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে রওয়ানা করেছিলাম। তখন তাঁর সাহাবীগণ ইহরাম বেঁধেছিলেন কিন্তু আমি ইহরাম বাঁধিনি। [১৮২১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪০)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
سَعِيْدُ بْنُ الرَّبِيْعِ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يَحْيَى عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ قَتَادَةَ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ قَالَ انْطَلَقْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ أُحْرِمْ.
Narrated Abu Qatada:
We set out with the Prophet (ﷺ) in the year of Al-Hudaibiya, and all his companions assumed the state of Ihram but I did not.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৫০. বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা্ বিজয়কে তোমরা বিজয় মনে করছ। মক্কা বিজয়ও একটি বিজয়। কিন্তু হুদাইবিয়াহর দিনের বাইআতে রিদওয়ানকে আমরা প্রকৃত বিজয় মনে করি। সে সময় আমরা চৌদ্দ’শ সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। হুদাইবিয়াহ একটি কূপ। আমরা তা’ থেকে পানি উঠাতে উঠাতে তাতে এক বিন্দুও বাকী রাখিনি। এ সংবাদ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পৌঁছলে তিনি এসে সে কূপের পাড়ে বসলেন। তারপর এক পাত্র পানি আনিয়ে অযু করলেন এবং কুল্লি করলেন। শেষে দু‘আ করে অবশিষ্ট পানি কূপের মধ্যে ফেলে দিলেন। আমরা অল্প সময় কূপের পানি উঠানো বন্ধ রাখলাম। এরপর আমরা আমাদের নিজেদের ও আরোহী পশুর জন্য ইচ্ছে মত পানি কূপ থেকে উঠালাম। [৩৫৭৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪১)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوْسَى عَنْ إِسْرَائِيْلَ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ تَعُدُّوْنَ أَنْتُمْ الْفَتْحَ فَتْحَ مَكَّةَ وَقَدْ كَانَ فَتْحُ مَكَّةَ فَتْحًا وَنَحْنُ نَعُدُّ الْفَتْحَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً وَالْحُدَيْبِيَةُ بِئْرٌ فَنَزَحْنَاهَا فَلَمْ نَتْرُكْ فِيْهَا قَطْرَةً فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَتَاهَا فَجَلَسَ عَلَى شَفِيْرِهَا ثُمَّ دَعَا بِإِنَاءٍ مِنْ مَاءٍ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ مَضْمَضَ وَدَعَا ثُمَّ صَبَّهُ فِيْهَا فَتَرَكْنَاهَا غَيْرَ بَعِيْدٍ ثُمَّ إِنَّهَا أَصْدَرَتْنَا مَا شِئْنَا نَحْنُ وَرِكَابَنَا.
Narrated Al-Bara:
Do you (people) consider the conquest of Mecca, the Victory (referred to in the Qur'an 48:1). Was the conquest of Mecca a victory? We really consider that the actual Victory was the Ar-Ridwan Pledge of allegiance which we gave on the day of Al-Hudaibiya (to the Prophet) . On the day of Al-Hudaibiya we were fourteen hundred men along with the Prophet (ﷺ) Al-Hudaibiya was a well, the water of which we used up leaving not a single drop of water in it. When the Prophet (ﷺ) was informed of that, he came and sat on its edge. Then he asked for a utensil of water, performed ablution from it, rinsed (his mouth), invoked (Allah), and poured the remaining water into the well. We stayed there for a while and then the well brought forth what we required of water for ourselves and our riding animals.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৫১. আবূ ইসহাক (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে বারাআ ইবনু ‘আযিব (রাঃ) সংবাদ দিয়েছেন যে, হুদাইবিয়াহর যুদ্ধের দিন তাঁরা চৌদ্দ’শ কিংবা তার চেয়েও অধিক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলেন। তারা একটি কূপের পার্শ্বে অবতরণ করেন এবং তা থেকে পানি উত্তোলন করতে থাকেন। (পানি নিঃশেষ হয়ে গেলে) তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে তা জানালেন। তখন তিনি কূপটির নিকট এসে ওটার পাড়ে বসলেন। এরপর বললেন, আমার কাছে ওটা থেকে এক বালতি পানি নিয়ে আস। তখন তা নিয়ে আসা হলো। তিনি এতে থুথু ফেললেন এবং দু‘আ করলেন। এরপর তিনি বললেন, কিছুক্ষণের জন্য তোমরা এ থেকে পানি উঠানো বন্ধ রাখ। এরপর সকলেই নিজেদের ও আরোহী জন্তুগুলোর তৃষ্ণা নিবারণ করে যাত্রা করলেন। [৩৫৭৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪২)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
فَضْلُ بْنُ يَعْقُوْبَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَعْيَنَ أَبُوْ عَلِيٍّ الْحَرَّانِيُّ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا أَبُوْ إِسْحَاقَ قَالَ أَنْبَأَنَا الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُمْ كَانُوْا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ أَلْفًا وَأَرْبَعَ مِائَةٍ أَوْ أَكْثَرَ فَنَزَلُوْا عَلَى بِئْرٍ فَنَزَحُوْهَا فَأَتَوْا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَى الْبِئْرَ وَقَعَدَ عَلَى شَفِيْرِهَا ثُمَّ قَالَ ائْتُوْنِيْ بِدَلْوٍ مِنْ مَائِهَا فَأُتِيَ بِهِ فَبَصَقَ فَدَعَا ثُمَّ قَالَ دَعُوْهَا سَاعَةً فَأَرْوَوْا أَنْفُسَهُمْ وَرِكَابَهُمْ حَتَّى ارْتَحَلُوْا.
Narrated Al-Bara bin Azib:
That they were in the company of Allah's Messenger (ﷺ) on the day of Al-Hudaibiya and their number was 1400 or more. They camped at a well and drew its water till it was dried. When they informed Allah's Apostle of that, he came and sat over its edge and said, "Bring me a bucket of its water." When it was brought, he spat and invoked (Allah) and said, "Leave it for a while." Then they quenched their thirst and watered their riding animals (from that well) till they departed.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৫২. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুদাইবিয়াহর দিন লোকেরা পিপাসার্ত হয়ে পড়লেন। এ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একটি চামড়ার পাত্র ভর্তি পানি ছিল। তিনি তা দিয়ে ওযু করলেন। তখন লোকেরা তাঁর দিকে এগিয়ে আসলে তিনি তাদেরকে বললেন, কী হয়েছে তোমাদের? তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার চর্মপাত্রের পানি বাদে আমাদের কাছে এমন কোন পানি নেই যা দিয়ে আমরা ওযু করতে এবং পান করতে পারি। বর্ণনাকারী জাবির (রাঃ) বলেন, এরপর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত ঐ চর্মপাত্রে রাখলেন। অমনি তার আঙ্গুলগুলো থেকে ঝরণার মতো পানি উথলে উঠতে লাগল। জাবির (রাঃ) বলেন, আমরা সে পানি পান করলাম এবং ওযু করলাম। [সালিম (রহ.) বলেন] আমি জাবির (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা সেদিন কতজন ছিলেন? তিনি বললেন, আমরা যদি একলাখও হতাম তবু এ পানিই আমাদের জন্য যথেষ্ট হত। আমরা ছিলাম পনের’শ। [৩৫৭৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪৩)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
يُوْسُفُ بْنُ عِيْسَى حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ عَنْ سَالِمٍ عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ عَطِشَ النَّاسُ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ وَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ يَدَيْهِ رَكْوَةٌ فَتَوَضَّأَ مِنْهَا ثُمَّ أَقْبَلَ النَّاسُ نَحْوَهُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَكُمْ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ لَيْسَ عِنْدَنَا مَاءٌ نَتَوَضَّأُ بِهِ وَلَا نَشْرَبُ إِلَّا مَا فِيْ رَكْوَتِكَ قَالَ فَوَضَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ فِي الرَّكْوَةِ فَجَعَلَ الْمَاءُ يَفُوْرُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ كَأَمْثَالِ الْعُيُوْنِ قَالَ فَشَرِبْنَا وَتَوَضَّأْنَا فَقُلْتُ لِجَابِرٍ كَمْ كُنْتُمْ يَوْمَئِذٍ قَالَ لَوْ كُنَّا مِائَةَ أَلْفٍ لَكَفَانَا كُنَّا خَمْسَ عَشْرَةَ مِائَةً.
Narrated Salim:
Jabir said "On the day of Al-Hudaibiya, the people felt thirsty and Allah's Messenger (ﷺ) had a utensil containing water. He performer ablution from it and then the people came towards him. Allah's Apostle said, 'What is wrong with you?' The people said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! We haven't got any water to perform ablution with or to drink, except what you have in your utensil.' So the Prophet (ﷺ) put his hand in the utensil and the water started spouting out between his fingers like springs. So we drank and performed ablution." I said to Jabir, "What was your number on that day?" He replied, "Even if we had been one hundred thousand, that water would have been sufficient for us. Anyhow, we were 1500.'
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৫৩. ক্বাতাদাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সা‘ঈদ ইবনু মুসায়্যিব (রহ.)-কে বললাম, আমি শুনতে পেয়েছি যে, জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলতেন, তাঁরা (হুদাইবিয়াহ্য়) চৌদ্দশ’ ছিলেন। সা‘ঈদ (রাঃ) আমাকে বললেন, জাবির (রাঃ) আমাকে বর্ণনা করেছেন যে, হুদাইবিয়াহর দিন যাঁরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেছিলেন, তাদের সংখ্যা ছিল পনের শত। আবূ দাউদ কুররা (রাঃ)-এর মাধ্যমে ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে একই রকম বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্শার (রহ.)-ও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবূ দাউদ (রহ.) (অন্য সানাদে) শু’বাহ (রহ.) থেকেও একই রকম বর্ণনা করেছেন। [৩৫৭৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪৪)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا يَزِيْدُ بْنُ زُرَيْعٍ عَنْ سَعِيْدٍ عَنْ قَتَادَةَ قُلْتُ لِسَعِيْدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ بَلَغَنِيْ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ كَانَ يَقُوْلُ كَانُوْا أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً فَقَالَ لِيْ سَعِيْدٌ حَدَّثَنِيْ جَابِرٌ كَانُوْا خَمْسَ عَشْرَةَ مِائَةً الَّذِيْنَ بَايَعُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ تَابَعَهُ أَبُوْ دَاوُدَ حَدَّثَنَا قُرَّةُ عَنْ قَتَادَةَ. تَابَعَهُ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا أَبُوْ دَاوُدَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ.
Narrated Qatada:
I said to Sa`id bin Al-Musaiyab, "I have been informed that Jabir bin `Abdullah said that the number (of Al-Hudaibiya Muslim warriors) was 1400." Sa`id said to me, "Jabir narrated to me that they were 1500 who gave the Pledge of allegiance to the Prophet (ﷺ) on the day of Al-Hudaibiya.'
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৫৪. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদাইবিয়াহর যুদ্ধের দিন আমাদেরকে বলেছেন, পৃথিবীবাসীদের মধ্যে তোমরাই সর্বোত্তম। সেদিন আমরা ছিলাম চৌদ্দশ। আজ আমি যদি দেখতাম, তাহলে আমি তোমাদেরকে সে গাছের জায়গাটি দেখিয়ে দিতাম। [৩৫৭৬; মুসলিম ৩৩/১৮, হাঃ ১৮৫৬; আহমাদ ১৪৩১৭]
‘আমাশ (রহ.) হাদীসটি সালিম (রহ.)-এর মাধ্যমে জাবির (রাঃ)-এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন চৌদ্দশ। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪৫)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
عَلِيٌّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ عَمْرٌو سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ لَنَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ أَنْتُمْ خَيْرُ أَهْلِ الْأَرْضِ وَكُنَّا أَلْفًا وَأَرْبَعَ مِائَةٍ وَلَوْ كُنْتُ أُبْصِرُ الْيَوْمَ لَأَرَيْتُكُمْ مَكَانَ الشَّجَرَةِ تَابَعَهُ الْأَعْمَشُ سَمِعَ سَالِمًا سَمِعَ جَابِرًا أَلْفًا وَأَرْبَعَ مِائَةٍ
Narrated Jabir bin `Abdullah:
On the day of Al-Hudaibiya, Allah's Messenger (ﷺ) said to us' "You are the best people on the earth!" We were 1400 then. If I could see now, I would have shown you the place of the Tree (beneath which we gave the Pledge of Allegiance)." Salim said, "Our number was 1400."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৫৫. ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আউফা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, গাছের নীচে বাই‘আত গ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল তেরশ। আসলাম গোত্রীয়রা ছিলেন মুহাজিরগণের মোট সংখ্যার এক-অষ্টমাংশ। [মুসলিম ৩৩/১৮, হাঃ ১৮৫৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪৫)
মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্শার (রহ.) তাঁর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবূ দাউদ (রহ.) ও শু’বাহ (রহ.) আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
وَقَالَ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُعَاذٍ حَدَّثَنَا أَبِيْ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ حَدَّثَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِيْ أَوْفَى رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَ أَصْحَابُ الشَّجَرَةِ أَلْفًا وَثَلَاثَ مِائَةٍ وَكَانَتْ أَسْلَمُ ثُمْنَ الْمُهَاجِرِيْنَ
`Abdullah bin Abi `Aufa said, "The people (who gave the Pledge of allegiance) under the Tree numbered 1300 and the number of Bani Aslam was 1/8 of the Emigrants."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৫৬. কায়েস (রহ.) হতে বর্ণিত যে, তিনি হুদাইবিয়াহর সন্ধির দিন বৃক্ষতলের সাহাবী মিরদাস আসলামীকে বলতে শুনেছেন যে, নেককার লোকদেরকে একের পর এক উঠিয়ে নেয়া হবে। এরপর বাকী থাকবে খেজুর ও যবের খোসার মতো খোসাগুলো আল্লাহ যাদের কোন তোয়াক্কা করবেন না। [৬৪৩৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪৬)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
إِبْرَاهِيْمُ بْنُ مُوْسَى أَخْبَرَنَا عِيْسَى عَنْ إِسْمَاعِيْلَ عَنْ قَيْسٍ أَنَّهُ سَمِعَ مِرْدَاسًا الْأَسْلَمِيَّ يَقُوْلُ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ يُقْبَضُ الصَّالِحُوْنَ الْأَوَّلُ فَالأَوَّلُ وَتَبْقَى حُفَالَةٌ كَحُفَالَةِ التَّمْرِ وَالشَّعِيْرِ لَا يَعْبَأُ اللهُ بِهِمْ شَيْئًا.
Narrated Mirdas Al-Aslami:
Who was among those (who had given the Pledge of allegiance) under the Tree: Pious people will die in succession, and there will remain the dregs of society who will be like the useless residues of dates and barley and Allah will pay no attention to them.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৫৭-৪১৫৮. মারওয়ান এবং মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ই বলেছেন যে, হুদাইবিয়াহর বছর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সহস্রাধিক সাহাবীকে সঙ্গে নিয়ে মদিনা থেকে বের হলেন। যুল-হুলাইফাহ্[1]তে পৌঁছে তিনি কুরবানীর পশুর গলায় কিলাদা বাঁধলেন, পশুর কুজ কাটলেন এবং সেখান থেকে ইহরাম বাঁধলেন। (বর্ণনাকারী) বলেন, এ হাদীস সুফ্ইয়ান থেকে কয় দফা শুনেছি তার সংখ্যা আমি গণনা করতে পারছি না। পরিশেষে তাঁকে বলতে শুনেছি, যুহরী থেকে কুরবানীর পশুর গলায় কিলাদা বাঁধা এবং ইশআর করার কথা আমার স্মরণ নেই। রাবী ‘আলী ইবনু ‘আবদুল্লাহ বলেন, সুফ্ইয়ান এ কথা বলে কী বোঝাতে চেয়েছেন তা আমি জানি না। তিনি কি এ কথা বলতে চেয়েছেন যে, যুহরী থেকে ইশআর ও কিলাদা করার কথা তাঁর স্মরণ নেই, নাকি সম্পূর্ণ হাদীসটি স্মরণ না থাকার কথা বলতে চেয়েছেন? [১৬৯৪, ১৬৯৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪৭)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ مَرْوَانَ وَالْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ قَالَا خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فِيْ بِضْعَ عَشْرَةَ مِائَةً مِنْ أَصْحَابِهِ فَلَمَّا كَانَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الْهَدْيَ وَأَشْعَرَ وَأَحْرَمَ مِنْهَا لَا أُحْصِيْ كَمْ سَمِعْتُهُ مِنْ سُفْيَانَ حَتَّى سَمِعْتُهُ يَقُوْلُ لَا أَحْفَظُ مِنْ الزُّهْرِيِّ الإِشْعَارَ وَالتَّقْلِيْدَ فَلَا أَدْرِيْ يَعْنِيْ مَوْضِعَ الإِشْعَارِ وَالتَّقْلِيْدِ أَوِ الْحَدِيْثَ كُلَّهُ.
Narrated Marwan and Al-Miswar bin Makhrama:
The Prophet (ﷺ) went out in the company of 1300 to 1500 of his companions in the year of Al-Hudaibiya, and when they reached Dhul-Hulaifa, he garlanded and marked his Hadi and assumed the state of Ihram.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৫৭-৪১৫৮. মারওয়ান এবং মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ই বলেছেন যে, হুদাইবিয়াহর বছর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সহস্রাধিক সাহাবীকে সঙ্গে নিয়ে মদিনা থেকে বের হলেন। যুল-হুলাইফাহ্[1]তে পৌঁছে তিনি কুরবানীর পশুর গলায় কিলাদা বাঁধলেন, পশুর কুজ কাটলেন এবং সেখান থেকে ইহরাম বাঁধলেন। (বর্ণনাকারী) বলেন, এ হাদীস সুফ্ইয়ান থেকে কয় দফা শুনেছি তার সংখ্যা আমি গণনা করতে পারছি না। পরিশেষে তাঁকে বলতে শুনেছি, যুহরী থেকে কুরবানীর পশুর গলায় কিলাদা বাঁধা এবং ইশআর করার কথা আমার স্মরণ নেই। রাবী ‘আলী ইবনু ‘আবদুল্লাহ বলেন, সুফ্ইয়ান এ কথা বলে কী বোঝাতে চেয়েছেন তা আমি জানি না। তিনি কি এ কথা বলতে চেয়েছেন যে, যুহরী থেকে ইশআর ও কিলাদা করার কথা তাঁর স্মরণ নেই, নাকি সম্পূর্ণ হাদীসটি স্মরণ না থাকার কথা বলতে চেয়েছেন? [১৬৯৪, ১৬৯৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪৭)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ مَرْوَانَ وَالْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ قَالَا خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فِيْ بِضْعَ عَشْرَةَ مِائَةً مِنْ أَصْحَابِهِ فَلَمَّا كَانَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الْهَدْيَ وَأَشْعَرَ وَأَحْرَمَ مِنْهَا لَا أُحْصِيْ كَمْ سَمِعْتُهُ مِنْ سُفْيَانَ حَتَّى سَمِعْتُهُ يَقُوْلُ لَا أَحْفَظُ مِنْ الزُّهْرِيِّ الإِشْعَارَ وَالتَّقْلِيْدَ فَلَا أَدْرِيْ يَعْنِيْ مَوْضِعَ الإِشْعَارِ وَالتَّقْلِيْدِ أَوِ الْحَدِيْثَ كُلَّهُ.
Narrated Marwan and Al-Miswar bin Makhrama:
The Prophet (ﷺ) went out in the company of 1300 to 1500 of his companions in the year of Al-Hudaibiya, and when they reached Dhul-Hulaifa, he garlanded and marked his Hadi and assumed the state of Ihram.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৫৯. কা‘ব ইবনু উজরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে এমন অবস্থায় দেখলেন যে, উকুন তার মুখমণ্ডল ে ঝরে পড়ছে। তখন তিনি বললেন, কীটগুলো কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মাথা মুন্ডিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ দেন যখন তিনি হুদাইবিয়াহ্তে অবস্থান করছিলেন। তখন সাহাবীগণ মক্কা প্রবেশ করার জন্য খুবই আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন। হুদাইবিয়াহ্তেই তাদেরকে হালাল হতে হবে এ কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে বর্ণনা করেননি। তাই আল্লাহ ফিদইয়ার বিধান অবতীর্ণ করলেন। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ছয়জন মিসকীনকে এক ফারাক (প্রায় বারো সের) খাদ্য খাওয়ানোর অথবা একটি বাকরী কুরবানী করার অথবা তিন দিন সওম পালনের নির্দেশ দিলেন। [১৮১৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪৮)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
الْحَسَنُ بْنُ خَلَفٍ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوْسُفَ عَنْ أَبِيْ بِشْرٍ وَرْقَاءَ عَنْ ابْنِ أَبِيْ نَجِيْحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِيْ لَيْلَى عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَآهُ وَقَمْلُهُ يَسْقُطُ عَلَى وَجْهِهِ فَقَالَ أَيُؤْذِيْكَ هَوَامُّكَ قَالَ نَعَمْ فَأَمَرَهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَحْلِقَ وَهُوَ بِالْحُدَيْبِيَةِ لَمْ يُبَيِّنْ لَهُمْ أَنَّهُمْ يَحِلُّوْنَ بِهَا وَهُمْ عَلَى طَمَعٍ أَنْ يَدْخُلُوْا مَكَّةَ فَأَنْزَلَ اللهُ الْفِدْيَةَ فَأَمَرَهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُطْعِمَ فَرَقًا بَيْنَ سِتَّةِ مَسَاكِيْنَ أَوْ يُهْدِيَ شَاةً أَوْ يَصُوْمَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ.
Narrated Ka`b bin Ujra:
That Allah's Messenger (ﷺ) saw him with the lice falling (from his head) on his face. Allah's Messenger (ﷺ) said, "Are your lice troubling you? Ka`b said, "Yes." Allah's Messenger (ﷺ) thus ordered him to shave his head while he was at Al-Hudaibiya. Up to then there was no indication that all of them would finish their state of Ihram and they hoped that they would enter Mecca. Then the order of Al-Fidya was revealed, so Allah's Messenger (ﷺ) ordered Ka`b to feed six poor persons with one Faraq of food or slaughter a sheep or fast for three days.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৬০-৪১৬১. আসলাম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-এর সঙ্গে বাজারে বের হলাম। সেখানে একজন যুবতী মহিলা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার স্বামী ছোট ছোট বাচ্চা রেখে মারা গেছেন। আল্লাহর কসম! তাদের খাওয়ার জন্য পাকানোর মতো কোন বাকরীর খুরও নেই এবং নেই কোন ফসলের ব্যবস্থা ও দুধেল উট, বাকরী। আমার আশঙ্কা হচ্ছে পোকা তাদেরকে খেয়ে ফেলবে অথচ আমি হলাম খুফাফ ইবনু আইমা গিফারীর কন্যা। আমার পিতা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে হুদাইবিয়াহ্য় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ কথা শুনে ‘উমার (রাঃ) তাকে অতিক্রম না করে পার্শ্বে দাঁড়ালেন। এরপর বললেন, তোমার গোত্রকে মোবারাকবাদ। তাঁরা তো আমার খুব নিকটের মানুষ। এরপর তিনি ফিরে এসে আস্তাবলে বাঁধা উটের থেকে একটি মোটা তাজা উট এনে দুই বস্তা খাদ্য এবং এর মধ্যে কিছু নগদ অর্থ ও বস্ত্র রেখে এগুলো উটের পিঠে তুলে দিয়ে মহিলার হাতে এর লাগাম দিয়ে বললেন, তুমি এটি টেনে নিয়ে যাও। এগুলো শেষ হওয়ার আগেই হয়তো আল্লাহ তোমাদের জন্য এর চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন। তখন এক ব্যক্তি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি তাকে খুব অধিক দিলেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক।[১] আল্লাহর কসম! আমি দেখেছি এ মহিলার আববা ও ভাই দীর্ঘদিন পর্যন্ত একটি দূর্গ অবরোধ করে রেখেছিলেন এবং পরে তা জয় করেছিলেন। এরপর ঐ দূর্গ থেকে প্রাপ্ত তাদের অংশ থেকে আমরাও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের দাবী করি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪৯)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
إِسْمَاعِيْلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِيْ مَالِكٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِلَى السُّوْقِ فَلَحِقَتْ عُمَرَ امْرَأَةٌ شَابَّةٌ فَقَالَتْ يَا أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ هَلَكَ زَوْجِيْ وَتَرَكَ صِبْيَةً صِغَارًا وَاللهِ مَا يُنْضِجُوْنَ كُرَاعًا وَلَا لَهُمْ زَرْعٌ وَلَا ضَرْعٌ وَخَشِيْتُ أَنْ تَأْكُلَهُمْ الضَّبُعُ وَأَنَا بِنْتُ خُفَافِ بْنِ إِيْمَاءَ الْغِفَارِيِّ وَقَدْ شَهِدَ أَبِي الْحُدَيْبِيَةَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَوَقَفَ مَعَهَا عُمَرُ وَلَمْ يَمْضِ ثُمَّ قَالَ مَرْحَبًا بِنَسَبٍ قَرِيْبٍ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى بَعِيْرٍ ظَهِيْرٍ كَانَ مَرْبُوْطًا فِي الدَّارِ فَحَمَلَ عَلَيْهِ غِرَارَتَيْنِ مَلَأَهُمَا طَعَامًا وَحَمَلَ بَيْنَهُمَا نَفَقَةً وَثِيَابًا ثُمَّ نَاوَلَهَا بِخِطَامِهِ ثُمَّ قَالَ اقْتَادِيْهِ فَلَنْ يَفْنَى حَتَّى يَأْتِيَكُمْ اللهُ بِخَيْرٍ فَقَالَ رَجُلٌ يَا أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ أَكْثَرْتَ لَهَا قَالَ عُمَرُ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ وَاللهِ إِنِّيْ لَأَرَى أَبَا هَذِهِ وَأَخَاهَا قَدْ حَاصَرَا حِصْنًا زَمَانًا فَافْتَتَحَاهُ ثُمَّ أَصْبَحْنَا نَسْتَفِيْءُ سُهْمَانَهُمَا فِيْهِ.
Narrated Aslam:
Once I went with `Umar bin Al-Khattab to the market. A young woman followed `Umar and said, "O chief of the believers! My husband has died, leaving little children. By Allah, they have not even a sheep's trotter to cook; they have no farms or animals. I am afraid that they may die because of hunger, and I am the daughter of Khufaf bin Ima Al-Ghafari, and my father witnessed the Pledge of allegiance) of Al-Hudaibiya with the Prophet.' `Umar stopped and did not proceed, and said, "I welcome my near relative." Then he went towards a strong camel which was tied in the house, and carried on to it, two sacks he had loaded with food grains and put between them money and clothes and gave her its rope to hold and said, "Lead it, and this provision will not finish till Allah gives you a good supply." A man said, "O chief of the believers! You have given her too much." "`Umar said disapprovingly. "May your mother be bereaved of you! By Allah, I have seen her father and brother besieging a fort for a long time and conquering it, and then we were discussing what their shares they would have from that war booty."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৬০-৪১৬১. আসলাম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ)-এর সঙ্গে বাজারে বের হলাম। সেখানে একজন যুবতী মহিলা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার স্বামী ছোট ছোট বাচ্চা রেখে মারা গেছেন। আল্লাহর কসম! তাদের খাওয়ার জন্য পাকানোর মতো কোন বাকরীর খুরও নেই এবং নেই কোন ফসলের ব্যবস্থা ও দুধেল উট, বাকরী। আমার আশঙ্কা হচ্ছে পোকা তাদেরকে খেয়ে ফেলবে অথচ আমি হলাম খুফাফ ইবনু আইমা গিফারীর কন্যা। আমার পিতা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে হুদাইবিয়াহ্য় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ কথা শুনে ‘উমার (রাঃ) তাকে অতিক্রম না করে পার্শ্বে দাঁড়ালেন। এরপর বললেন, তোমার গোত্রকে মোবারাকবাদ। তাঁরা তো আমার খুব নিকটের মানুষ। এরপর তিনি ফিরে এসে আস্তাবলে বাঁধা উটের থেকে একটি মোটা তাজা উট এনে দুই বস্তা খাদ্য এবং এর মধ্যে কিছু নগদ অর্থ ও বস্ত্র রেখে এগুলো উটের পিঠে তুলে দিয়ে মহিলার হাতে এর লাগাম দিয়ে বললেন, তুমি এটি টেনে নিয়ে যাও। এগুলো শেষ হওয়ার আগেই হয়তো আল্লাহ তোমাদের জন্য এর চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন। তখন এক ব্যক্তি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি তাকে খুব অধিক দিলেন। ‘উমার (রাঃ) বললেন, তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক।[১] আল্লাহর কসম! আমি দেখেছি এ মহিলার আববা ও ভাই দীর্ঘদিন পর্যন্ত একটি দূর্গ অবরোধ করে রেখেছিলেন এবং পরে তা জয় করেছিলেন। এরপর ঐ দূর্গ থেকে প্রাপ্ত তাদের অংশ থেকে আমরাও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের দাবী করি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪৯)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
إِسْمَاعِيْلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِيْ مَالِكٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِلَى السُّوْقِ فَلَحِقَتْ عُمَرَ امْرَأَةٌ شَابَّةٌ فَقَالَتْ يَا أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ هَلَكَ زَوْجِيْ وَتَرَكَ صِبْيَةً صِغَارًا وَاللهِ مَا يُنْضِجُوْنَ كُرَاعًا وَلَا لَهُمْ زَرْعٌ وَلَا ضَرْعٌ وَخَشِيْتُ أَنْ تَأْكُلَهُمْ الضَّبُعُ وَأَنَا بِنْتُ خُفَافِ بْنِ إِيْمَاءَ الْغِفَارِيِّ وَقَدْ شَهِدَ أَبِي الْحُدَيْبِيَةَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَوَقَفَ مَعَهَا عُمَرُ وَلَمْ يَمْضِ ثُمَّ قَالَ مَرْحَبًا بِنَسَبٍ قَرِيْبٍ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى بَعِيْرٍ ظَهِيْرٍ كَانَ مَرْبُوْطًا فِي الدَّارِ فَحَمَلَ عَلَيْهِ غِرَارَتَيْنِ مَلَأَهُمَا طَعَامًا وَحَمَلَ بَيْنَهُمَا نَفَقَةً وَثِيَابًا ثُمَّ نَاوَلَهَا بِخِطَامِهِ ثُمَّ قَالَ اقْتَادِيْهِ فَلَنْ يَفْنَى حَتَّى يَأْتِيَكُمْ اللهُ بِخَيْرٍ فَقَالَ رَجُلٌ يَا أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ أَكْثَرْتَ لَهَا قَالَ عُمَرُ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ وَاللهِ إِنِّيْ لَأَرَى أَبَا هَذِهِ وَأَخَاهَا قَدْ حَاصَرَا حِصْنًا زَمَانًا فَافْتَتَحَاهُ ثُمَّ أَصْبَحْنَا نَسْتَفِيْءُ سُهْمَانَهُمَا فِيْهِ.
Narrated Aslam:
Once I went with `Umar bin Al-Khattab to the market. A young woman followed `Umar and said, "O chief of the believers! My husband has died, leaving little children. By Allah, they have not even a sheep's trotter to cook; they have no farms or animals. I am afraid that they may die because of hunger, and I am the daughter of Khufaf bin Ima Al-Ghafari, and my father witnessed the Pledge of allegiance) of Al-Hudaibiya with the Prophet.' `Umar stopped and did not proceed, and said, "I welcome my near relative." Then he went towards a strong camel which was tied in the house, and carried on to it, two sacks he had loaded with food grains and put between them money and clothes and gave her its rope to hold and said, "Lead it, and this provision will not finish till Allah gives you a good supply." A man said, "O chief of the believers! You have given her too much." "`Umar said disapprovingly. "May your mother be bereaved of you! By Allah, I have seen her father and brother besieging a fort for a long time and conquering it, and then we were discussing what their shares they would have from that war booty."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৬২. মুসাইয়্যাব (ইবনু হুযন) (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (যেটির নীচে বাই‘আত করা হয়েছিল) আমি সে গাছটি দেখেছিলাম। কিন্তু পরে যখন ওখানে আসলাম তখন আর সেটা চিনতে পারলাম না। মাহমুদ (রহ.) বলেন, (মুসাইয়্যাব ইবনু হুয্ণ বলেছেন) পরে ওটা আমাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। [৪১৬৩, ৪১৬৪, ৪১৬৫; মুসলিম ৩৩/১৮, হাঃ ১৮৫৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৫০)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ أَبُوْ عَمْرٍو الْفَزَارِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ الشَّجَرَةَ ثُمَّ أَتَيْتُهَا بَعْدُ فَلَمْ أَعْرِفْهَا. قَالَ مَحْمُوْدٌ : ثم أنسيتها بعد
Narrated Sa`id bin Al-Musaiyab:
That his father said, "I saw the Tree (of the Ar-Ridwan Pledge of allegiance and when I returned to it later, I was not able to recognize it. (The sub--narrator MahmiJd said, Al-Musaiyab said, 'Then; forgot it (i.e., the Tree).)"
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৬৩. তারিক ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হাজ্জে রওয়ানা হয়েছিলাম। পথে সালাতরত এক কাওমের নিকট দিয়ে পথ অতিক্রমকালে তাদেরকে বললাম, এটা কেমন সালাতের স্থান? তাঁরা বললেন, এটা হল সেই গাছ যেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাই‘আতে রিদওয়ান গ্রহণ করেছিলেন। তখন আমি সা‘ঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহ.)-এর কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে তাঁকে জানালাম। তখন সা‘ঈদ (ইবনু মুসাইয়্যাব) (রহ.) বললেন, আমার পিতা আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, গাছটির নীচে যাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেছিলেন তিনি ছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন। মুসাইয়্যাব (রাঃ) বলেছেন, পরের বছর আমরা যখন সেখানে গেলাম তখন আমাদেরকে ওটা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছিল যার ফলে তা নির্দিষ্ট করতে পারলাম না। সা‘ঈদ (রহ.) বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ ওটা চিনতে পারলেন না আর তোমরা তা চিনে ফেললে? তাহলে তোমরাই দেখছি অধিক জান! [৪১৬২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৫১)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
مَحْمُوْدٌ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ عَنْ إِسْرَائِيْلَ عَنْ طَارِقِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ انْطَلَقْتُ حَاجًّا فَمَرَرْتُ بِقَوْمٍ يُصَلُّوْنَ قُلْتُ مَا هَذَا الْمَسْجِدُ قَالُوْا هَذِهِ الشَّجَرَةُ حَيْثُ بَايَعَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ فَأَتَيْتُ سَعِيْدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ سَعِيْدٌ حَدَّثَنِيْ أَبِيْ أَنَّهُ كَانَ فِيْمَنْ بَايَعَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَحْتَ الشَّجَرَةِ قَالَ فَلَمَّا خَرَجْنَا مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ نَسِيْنَاهَا فَلَمْ نَقْدِرْ عَلَيْهَا فَقَالَ سَعِيْدٌ إِنَّ أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَعْلَمُوْهَا وَعَلِمْتُمُوْهَا أَنْتُمْ فَأَنْتُمْ أَعْلَمُ.
Narrated Tariq bin `Abdur-Rahman:
When I set out for Hajj, I passed by some people offering a prayer, I asked, "What is this mosque?" They said, "This is the Tree where Allah's Messenger (ﷺ) took the Ar-Ridwan Pledge of allegiance. Then I went to Sa`id bin Musaiyab and informed him about it. Sa`id said, "My father said that he was amongst those who had given the Pledge of allegiance to Allah's Messenger (ﷺ) beneath the Tree. He (i.e. my father) said, "When we set out the following year, we forgot the Tree and were unable to recognize it. "Then Sa`id said (perhaps ironically) "The companions of the Prophet (ﷺ) could not recognize it; nevertheless, you do recognize it; therefore you have a better knowledge."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৬৪. মুসাইয়্যাব (রহ.) হতে বর্ণিত। গাছের তলে যাঁরা বাই‘আত নিয়েছিলেন তিনি ছিলেন তাঁদের একজন। (তিনি বলেন) পরের বছর আমরা আবার সে গাছের কাছে গেলে আমরা গাছটিকে চিনতে পারলাম না। এ ব্যাপারে আমাদেরকে ভ্রান্তিতে নিপতিত করা হয়েছে। [৪১৬২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৫২)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
مُوْسَى حَدَّثَنَا أَبُوْ عَوَانَةَ حَدَّثَنَا طَارِقٌ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّهُ كَانَ مِمَّنْ بَايَعَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَرَجَعْنَا إِلَيْهَا الْعَامَ الْمُقْبِلَ فَعَمِيَتْ عَلَيْنَا.
Narrated Sa`id bin Al-Musaiyab:
That his father was amongst those who had given the Pledge of allegiance (to the Prophet (ﷺ) ) beneath the Tree, and the next year when they went towards the Tree, they were not able to recognize it.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৬৫. তারিক (রহ.) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, সা‘ঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রাঃ)-এর কাছে সে গাছটির কথা উল্লেখ করা হলে তিনি হেসে বললেন, আমার পিতা আমাকে জানিয়েছেন যে, তিনি সেখানের বায়আতে উপস্থিত ছিলেন। [৪১৬২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৫৩)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
قَبِيْصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ طَارِقٍ قَالَ ذُكِرَتْ عِنْدَ سَعِيْدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ الشَّجَرَةُ فَضَحِكَ فَقَالَ أَخْبَرَنِيْ أَبِيْ وَكَانَ شَهِدَهَا.
Narrated Tariq:
(The tree where the Ridwan Pledge of allegiance was taken by the Prophet) was mentioned before Sa`id bin Al-Musaiyab. On that he smiled and said, "My father informed me (about it) and he had witnessed it (i.e. the Pledge) ."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৬৬. ‘আমর ইবনু মুররা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বৃক্ষতলে বাই‘আতকারী সাহাবী ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আউফাকে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, কোন কাওম নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে সাদাকার অর্থ নিয়ে আসলে তিনি তাদের জন্যে বলতেন, ‘‘হে আল্লাহ! আপনি তাদের উপর রহম করুন’’। এ সময় আমার পিতা তাঁর কাছে সাদাকার অর্থ নিয়ে আসলে তিনি বললেন, ‘‘হে আল্লাহ! আপনি আবূ আউফার পরিবারবর্গের উপর রহম করুন’’। [১৪৯৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৫৪)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
آدَمُ بْنُ أَبِيْ إِيَاسٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ أَبِيْ أَوْفَى وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَاهُ قَوْمٌ بِصَدَقَةٍ قَالَ اللهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِمْ فَأَتَاهُ أَبِيْ بِصَدَقَتِهِ فَقَالَ اللهُمَّ صَلِّ عَلَى آلِ أَبِيْ أَوْفَى.
Narrated `Abdullah bin Abi `Aufa:
(Who was one of those who had given the Pledge of allegiance to the Prophet (ﷺ) beneath the Tree) When the people brought Sadaqa (i.e. rak`at) to the Prophet (ﷺ) he used to say, "O Allah! Bless them with your Mercy." Once my father came with his Sadaqa to him whereupon he (i.e. the Prophet) said. "O Allah! Bless the family of Abu `Aufa."