পরিচ্ছেদঃ ১৬০৮. কেউ যদি তার সাথীদের কাছে কোন কিছু চায়। আবূ সাঈদ (রা.) বলেন, নবী (ﷺ) বললেন, তোমাদের সাথে আমার জন্য এক অংশ রেখো।
২৪০০। আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূ কাতাদা সালামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন মক্কার পথে কোন এক মনযিলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কয়েকজন সাহাবীর সঙ্গে বসা ছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অগ্রবর্তী কোন যমীনে অবস্থান করেছিলেন। সবাই ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। আমি শুধু ইহরাম ছাড়া ছিলাম। তাঁরা একটি বন্য গাধা দেখতে পেলেন। আমি তখন আমার জুতা মেরামত করছিলাম। তাঁরা আমাকে সে সম্পর্কে অবহিত করেন নি। অথচ সেটি আমার নযরে পড়ুক তাঁরা তা চাচ্ছিলেন। আমি হঠাৎ সেদিকে তাকালাম, সেটা আমার নযরে পড়লো। তখন আমি উঠি ঘোড়ার দিকে এগিয়ে গেলাম এবং জ্বীন লাগিয়ে তাতে সাওয়ার হলাম। কিন্তু চাবুক ও বর্শা নিতে ভুলে গেলাম। তখন তাঁদের বললাম, চাবুক এবং বর্শাটা আমাকে তুলে দাও। কিন্তু তাঁরা বললেন, আল্লাহর কসম! গাধা শিকার করার ব্যাপারে আমরা তোমাকে কোন সাহায্যই করবো না।
আমি তখন রাগ করে নেমে এলাম এবং সে দু’টি তুলে নিয়ে সাওয়ার হলাম। আর গাধাটা আক্রমণ করে যখম করলাম। এতে সেটি মারা গলে। এরপর সেটাকে নিয়ে আসলাম। (পাকানোর পর) তারা সেই গাধার মাংস খেতে লাগলেন। পরে তাদের মনে ইহরাম অবস্থায় তা খাওয়া নিয়ে সন্দেহ দেখা দিল। কিছু সময় পর আমরা যাত্রা শুরু করলাম এক ফাকে আমি আমার কাছে গাধার একটি হাতা লুকিয়ে রেখেছিলাম। (পথে) আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাত পেযে সেই মাংস সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, তোমাদের সাথে সেটার মাংসের কিছু আছে কি? আমি বললাম, হ্যাঁ আছে। এরপর হাতাখানা তাঁকে দিলে তিনি ইহরাম অবস্থায় তার সবটুকু খেলেন। এ হাদীসটি যায়দ ইবনু আসলাম আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) এর মাধ্যমে আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে আমার কাছে বর্ণনা করেছেন।
باب مَنِ اسْتَوْهَبَ مِنْ أَصْحَابِهِ شَيْئًا وَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ سَهْمًا
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ السَّلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنْتُ يَوْمًا جَالِسًا مَعَ رِجَالٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي مَنْزِلٍ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَازِلٌ أَمَامَنَا وَالْقَوْمُ مُحْرِمُونَ، وَأَنَا غَيْرُ مُحْرِمٍ، فَأَبْصَرُوا حِمَارًا وَحْشِيًّا، وَأَنَا مَشْغُولٌ أَخْصِفُ نَعْلِي، فَلَمْ يُؤْذِنُونِي بِهِ، وَأَحَبُّوا لَوْ أَنِّي أَبْصَرْتُهُ، وَالْتَفَتُّ فَأَبْصَرْتُهُ، فَقُمْتُ إِلَى الْفَرَسِ فَأَسْرَجْتُهُ ثُمَّ رَكِبْتُ وَنَسِيتُ السَّوْطَ وَالرُّمْحَ فَقُلْتُ لَهُمْ نَاوِلُونِي السَّوْطَ وَالرُّمْحَ. فَقَالُوا لاَ وَاللَّهِ، لاَ نُعِينُكَ عَلَيْهِ بِشَىْءٍ. فَغَضِبْتُ فَنَزَلْتُ فَأَخَذْتُهُمَا، ثُمَّ رَكِبْتُ، فَشَدَدْتُ عَلَى الْحِمَارِ فَعَقَرْتُهُ، ثُمَّ جِئْتُ بِهِ وَقَدْ مَاتَ، فَوَقَعُوا فِيهِ يَأْكُلُونَهُ، ثُمَّ إِنَّهُمْ شَكُّوا فِي أَكْلِهِمْ إِيَّاهُ، وَهُمْ حُرُمٌ، فَرُحْنَا وَخَبَأْتُ الْعَضُدَ مَعِي، فَأَدْرَكْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ " مَعَكُمْ مِنْهُ شَىْءٌ ". فَقُلْتُ نَعَمْ. فَنَاوَلْتُهُ الْعَضُدَ فَأَكَلَهَا، حَتَّى نَفَّدَهَا وَهْوَ مُحْرِمٌ. فَحَدَّثَنِي بِهِ زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
Narrated `Abdullah bin Abu Qatada Al-Aslami:
That his father said, "One day I was sitting with some of the Prophet's companions on the way to Mecca. Allah's Messenger (ﷺ) was ahead of us. All of my companions were in the state of Ihram while I was a non-Muhrim. They saw an onager while I was busy repairing my shoes, so they did not tell me about it but they wished I had seen it. By chance I looked up and saw it. So, I turned to the horse, saddled it and rode on it, forgetting to take the spear and the whip. I asked them if they could hand over to me the whip and the spear but they said, 'No, by Allah, we shall not help you in that in any way.' I became angry and got down from the horse, picked up both the things and rode the horse again. I attacked the onager and slaughtered it, and brought it (after it had been dead). They took it (cooked some of it) and started eating it, but they doubted whether it was allowed for them to eat it or not, as they were in the state of Ihram. So, we proceeded and I hid with me one of its fore-legs. When we met Allah's Messenger (ﷺ) and asked him about the case, he asked, 'Do you have a portion of it with you?' I replied in the affirmative and gave him that fleshy foreleg which he ate completely while he was in the state of Ihram .
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৩. যদি কেউ তার সঙ্গী সাথীদের নিকট কিছু চায়।
২৫৭০. আবূ ক্বাতাদাহ সালামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি মক্কার পথে কোন এক মনযিলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কয়েকজন সাহাবীর সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের অগ্রবর্তী কোন স্থানে অবস্থান করছিলেন। সকলেই ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। আমি শুধু ইহরাম ব্যতীত ছিলাম। তাঁরা একটি বন্য গাধা দেখতে পেলেন। আমি তখন আমার জুতা মেরামত করছিলাম। তাঁরা আমাকে সে সম্পর্কে জানাননি। অথচ সেটি আমি যেন দেখতে পাই তাঁরা তা চাচ্ছিলেন। আমি হঠাৎ সেদিকে তাকালেন, সেটা আমার নযরে পড়ল। তখন আমি উঠে ঘোড়ার দিকে এগিয়ে গেলাম এবং জীন লাগিয়ে তাতে সাওয়ার হলাম। কিন্তু চাবুক ও বর্শা নিতে ভুলে গেলাম। তখন তাঁদের বললাম, চাবুক আর বর্শাটা আমাকে তুলে দাও। কিন্তু তাঁরা বললেন, আল্লাহর কসম! গাধা শিকার করার ব্যাপারে আমরা তোমাকে কোন সাহায্যই করব না। আমি তখন রাগ করে নেমে এলাম এবং সে দু’টি তুলে নিয়ে সাওয়ার হলাম। আর গাধাটা আক্রমণ করে আহত করলাম। তাতে সেটি মারা গেল। অতঃপর সেটাকে নিয়ে আসলাম। তারা সেই গাধার মাংস খেতে লাগলেন। পরে তাদের মনে ইহরাম অবস্থায় তা খাওয়া নিয়ে সন্দেহ দেখা দিল। আমরা যাত্রা শুরু করলাম। এক ফাঁকে আমি আমার নিকট গাধার একটি হাতা লুকিয়ে রেখেছিলাম। আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাক্ষাৎ পেয়ে সেই মাংস সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, তোমাদের সঙ্গে সেটার মাংসের কিছু আছে কি? আমি বললাম, হ্যাঁ আছে। অতঃপর হাতাখানা তাঁকে দিলে তিনি ইহরাম অবস্থায় তার সবটুকু খেলেন। এ হাদীসটি যায়দ ইবনু আসলাম (রাঃ) ‘আতা’ ইবনু ইয়াসার (রহ.)-এর মাধ্যমে আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। (১৮২১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪০০)
بَابُ مَنْ اسْتَوْهَبَ مِنْ أَصْحَابِهِ شَيْئًا
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيْزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ قَتَادَةَ السَّلَمِيِّ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ كُنْتُ يَوْمًا جَالِسًا مَعَ رِجَالٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيْ مَنْزِلٍ فِيْ طَرِيْقِ مَكَّةَ وَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَازِلٌ أَمَا مَنَا وَالْقَوْمُ مُحْرِمُوْنَ وَأَنَا غَيْرُ مُحْرِمٍ فَأَبْصَرُوْا حِمَارًا وَحْشِيًّا وَأَنَا مَشْغُوْلٌ أَخْصِفُ نَعْلِيْ فَلَمْ يُؤْذِنُوْنِيْ بِهِ وَأَحَبُّوْا لَوْ أَنِّيْ أَبْصَرْتُهُ وَالْتَفَتُّ فَأَبْصَرْتُهُ فَقُمْتُ إِلَى الْفَرَسِ فَأَسْرَجْتُهُ ثُمَّ رَكِبْتُ وَنَسِيْتُ السَّوْطَ وَالرُّمْحَ فَقُلْتُ لَهُمْ نَاوِلُوْنِي السَّوْطَ وَالرُّمْحَ فَقَالُوْا لَا وَاللهِ لَا نُعِيْنُكَ عَلَيْهِ بِشَيْءٍ فَغَضِبْتُ فَنَزَلْتُ فَأَخَذْتُهُمَا ثُمَّ رَكِبْتُ فَشَدَدْتُ عَلَى الْحِمَارِ فَعَقَرْتُهُ ثُمَّ جِئْتُ بِهِ وَقَدْ مَاتَ فَوَقَعُوْا فِيْهِ يَأْكُلُوْنَهُ ثُمَّ إِنَّهُمْ شَكُّوْا فِيْ أَكْلِهِمْ إِيَّاهُ وَهُمْ حُرُمٌ فَرُحْنَا وَخَبَأْتُ الْعَضُدَ مَعِيْ فَأَدْرَكْنَا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ مَعَكُمْ مِنْهُ شَيْءٌ فَقُلْتُ نَعَمْ فَنَاوَلْتُهُ الْعَضُدَ فَأَكَلَهَا حَتَّى نَفِدَهَا وَهُوَ مُحْرِمٌ فَحَدَّثَنِيْ بِهِ زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِيْ قَتَادَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
Narrated `Abdullah bin Abu Qatada Al-Aslami:
That his father said, "One day I was sitting with some of the Prophet's companions on the way to Mecca. Allah's Messenger (ﷺ) was ahead of us. All of my companions were in the state of Ihram while I was a non-Muhrim. They saw an onager while I was busy repairing my shoes, so they did not tell me about it but they wished I had seen it. By chance I looked up and saw it. So, I turned to the horse, saddled it and rode on it, forgetting to take the spear and the whip. I asked them if they could hand over to me the whip and the spear but they said, 'No, by Allah, we shall not help you in that in any way.' I became angry and got down from the horse, picked up both the things and rode the horse again. I attacked the onager and slaughtered it, and brought it (after it had been dead). They took it (cooked some of it) and started eating it, but they doubted whether it was allowed for them to eat it or not, as they were in the state of Ihram. So, we proceeded and I hid with me one of its fore-legs. When we met Allah's Messenger (ﷺ) and asked him about the case, he asked, 'Do you have a portion of it with you?' I replied in the affirmative and gave him that fleshy foreleg which he ate completely while he was in the state of Ihram .
পরিচ্ছেদঃ ৫৬/৪৬. ঘোড়া ও গাধার নাম রাখা।
২৮৫৪. আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি একদা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গে বের হন। কিন্তু তিনি কয়েকজন সংগী সহ পেছনে পড়ে গেলেন। আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) ব্যতীত তার সঙ্গীরা সকলেই ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) দেখার পূর্বে তার সঙ্গীরা একটি বন্য গাধা দেখতে পান এবং তাকে চলে যেতে দেন; আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) গাধাটি দেখা মাত্রই জারাদা নামক তার ঘোড়ার পিঠে আরোহণ করেন এবং ঘোড়ার চাবুকটি উঠিয়ে দিতে সঙ্গীদের বলেন; কিন্তু সঙ্গীরা অস্বীকার করলে তখন আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) নিজেই চাবুকটি তুলে নেন এবং গাধাটি শিকার করে সঙ্গীদের নিয়ে এর গোশ্ত আহার করেন। এতে তারা লজ্জিত হন। অতঃপর তারা যখন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট পৌঁছলেন তখন তিনি বলেন, গাধাটির কোন অংশ তোমাদের নিকট আছে কি? তারা বললেন, আমাদের সঙ্গে একটি পায়া আছে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা নিয়ে আহার করলেন। (২৮২১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৫৪)
بَابُ اسْمِ الْفَرَسِ وَالْحِمَارِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِيْ بَكْرٍ حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّهُ خَرَجَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَتَخَلَّفَ أَبُوْ قَتَادَةَ مَعَ بَعْضِ أَصْحَابِهِ وَهُمْ مُحْرِمُوْنَ وَهُوَ غَيْرُ مُحْرِمٍ فَرَأَوْا حِمَارًا وَحْشِيًّا قَبْلَ أَنْ يَرَاهُ فَلَمَّا رَأَوْهُ تَرَكُوْهُ حَتَّى رَآهُ أَبُوْ قَتَادَةَ فَرَكِبَ فَرَسًا لَهُ يُقَالُ لَهُ الْجَرَادَةُ فَسَأَلَهُمْ أَنْ يُنَاوِلُوْهُ سَوْطَهُ فَأَبَوْا فَتَنَاوَلَهُ فَحَمَلَ فَعَقَرَهُ ثُمَّ أَكَلَ فَأَكَلُوْا فَنَدِمُوْا فَلَمَّا أَدْرَكُوْهُ قَالَ هَلْ مَعَكُمْ مِنْهُ شَيْءٌ قَالَ مَعَنَا رِجْلُهُ فَأَخَذَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَهَا
Narrated `Abdullah bin Abi Qatada:
(from his father) Abu Qatada went out (on a journey) with Allah's Messenger (ﷺ) but he was left behind with some of his companions who were in the state of Ihram. He himself was not in the state of Ihram. They saw an opener before he could see it. When they saw the opener, they did not speak anything till Abu Qatada saw it. So, he rode over his horse called Al-Jarada and requested them to give him his lash, but they refused. So, he himself took it and then attacked the opener and slaughtered it. He ate of its meat and his companions ate, too, but they regretted their eating. When they met the Prophet (they asked him about it) and he asked, "Have you some of its meat (left) with you?" Abu Qatada replied, "Yes, we have its leg with us." So, the Prophet (ﷺ) took and ate it.
পরিচ্ছেদঃ ৫৬/৮৮. তীর নিক্ষেপ প্রসঙ্গে যা বলা হয়েছে।
وَيُذْكَرُ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم جُعِلَ رِزْقِيْ تَحْتَ ظِلِّ رُمْحِيْ وَجُعِلَ الذِّلَّةُ وَالصَّغَارُ عَلَى مَنْ خَالَفَ أَمْرِي
ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে উল্লেখ রয়েছে যে, তীরের ছায়ার নীচে আমার রিয্ক রাখা হয়েছে। যে ব্যক্তি আমার নির্দেশের বিরোধিতা করে, তার জন্য অপমান ও লাঞ্ছনা নির্ধারিত আছে।
২৯১৪. আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একবার তিনি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গে ছিলেন। মক্কার পথে কোন এক স্থানে পৌঁছার পর আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) কয়েকজন সঙ্গীসহ তাঁর পেছনে রয়ে গেলেন। সঙ্গীরা ছিলেন ইহরাম অবস্থায় আর তিনি ছিলেন ইহরাম বিহীন। এ সময় তিনি একটি বুনো গাধা দেখতে পান এবং তাঁর ঘোড়ার পিঠে আরোহণ করেন। তিনি তাঁর সঙ্গীদের তাঁর চাবুকটি উঠিয়ে দিতে বলেন; কিন্তু তারা তা দিতে অস্বীকার করলেন। আবার তিনি তাঁর বর্শাটি উঠিয়ে দিতে বলেন। তারা তাও দিতে অস্বীকার করলেন। তখন তিনি নিজেই তা উঠিয়ে নিলেন। অতঃপর গাধাটির উপর আক্রমণ চালালেন এবং তাকে হত্যা করলেন। সাথীরা কেউ কেউ এর গোশ্ত খেলেন এবং কেউ কেউ তা খেতে অস্বীকার করলেন। অতঃপর তারা আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে এ সম্পর্কে তাঁর নিকট জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, এটি একটি আহারের বস্তু, যা আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাদের আহারের জন্য দিয়েছেন। যায়িদ ইবনু আসলাম (রহ.) আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে আবূ নাযর (রাঃ)-এর মতই বুনো গাধা সম্পর্কে হাদীস বর্ণনা করেছেন। এতে আছে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের সঙ্গে তার কিছু গোশ্ত আছে কি? (১৮২১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৭১০)
بَابُ مَا قِيْلَ فِي الرِّمَاحِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ نَافِعٍ مَوْلَى أَبِيْ قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ عَنْ أَبِيْ قَتَادَةَ أَنَّهُ كَانَ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كَانَ بِبَعْضِ طَرِيْقِ مَكَّةَ تَخَلَّفَ مَعَ أَصْحَابٍ لَهُ مُحْرِمِيْنَ وَهُوَ غَيْرُ مُحْرِمٍ فَرَأَى حِمَارًا وَحْشِيًّا فَاسْتَوَى عَلَى فَرَسِهِ فَسَأَلَ أَصْحَابَهُ أَنْ يُنَاوِلُوْهُ سَوْطَهُ فَأَبَوْا فَسَأَلَهُمْ رُمْحَهُ فَأَبَوْا فَأَخَذَهُ ثُمَّ شَدَّ عَلَى الْحِمَارِ فَقَتَلَهُ فَأَكَلَ مِنْهُ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَبَى بَعْضٌ فَلَمَّا أَدْرَكُوْا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلُوْهُ عَنْ ذَلِكَ قَالَ إِنَّمَا هِيَ طُعْمَةٌ أَطْعَمَكُمُوْهَا اللهُ وَعَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِيْ قَتَادَةَ فِي الْحِمَارِ الْوَحْشِيِّ مِثْلُ حَدِيْثِ أَبِي النَّضْرِ قَالَ هَلْ مَعَكُمْ مِنْ لَحْمِهِ شَيْءٌ
Narrated Abu Qatada:
That he was in the company of Allah's Messenger (ﷺ) and when they had covered a portion of the road to Mecca, he and some of the companions lagged behind. The latter were in a state of Ihram, while he was not. He saw an onager and rode his horse and requested his companions to give him his lash but they refused. Then he asked them to give him his spear but they refused, so he took it himself, attacked the onager, and killed it. Some of the companions of the Prophet (ﷺ) ate of it while some others refused to eat. When they caught up with Allah's Messenger (ﷺ) they asked him about that, and he said, "That was a meal Allah fed you with." (It is also said that Allah's Messenger (ﷺ) asked, "Have you got something of its meat?")
পরিচ্ছেদঃ ৫৭/১৮. নিহত ব্যক্তি থেকে প্রাপ্ত মালামালের খুমুস বের না করা;
৩১৪২. আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুনাইনের বছর আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বের হলাম। আমরা যখন শত্রুর সম্মুখীন হলাম, তখন মুসলিম দলের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি শুরু হল। এমন সময় আমি মুশরিকদের এক ব্যক্তিকে দেখলাম, সে একজন মুসলিমের উপর চেপে বসেছে। আমি ঘুরে তার পেছনের দিক দিয়ে এসে তরবারী দ্বারা তার ঘাড়ের রগে আঘাত করলাম। তখন সে আমার দিকে এগিয়ে এল এবং আমাকে এমনভাবে জড়িয়ে ধরল যে, আমি তাতে মৃত্যুর আশংকা করলাম। মৃত্যু তাকেই ধরল এবং আমাকে ছেড়ে দিল। অতঃপর আমি ‘উমার (রাঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললাম, লোকদের কী হয়েছে? ‘উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহর হুকুম। অতঃপর লোকজন ফিরে এলো এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসলেন, তখন তিনি বললেন, যে ব্যক্তি কাউকে নিহত করেছে এবং তার নিকট এর সাক্ষ্য রয়েছে, তার নিকট হতে প্রাপ্ত মাল-সামান তারই প্রাপ্য। তখন আমি দাঁড়িয়ে বললাম, কে আছ যে আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে? অতঃপর আমি বসে পড়লাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার বললেন, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করেছে এবং তার নিকট এর সাক্ষ্য রয়েছে, তার নিকট হতে প্রাপ্ত মাল-সামান তারই প্রাপ্য। আমি দাঁড়িয়ে বললাম, কে আছ যে, আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে? অতঃপর আমি বসে পড়লাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৃতীয়বার ঐরূপ বললেন, আমি আবার দাঁড়ালাম, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবূ ক্বাতাদাহ! তোমার কী হয়েছে? আমি তখন পুরো ঘটনা বললাম। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠল, হে আল্লাহর রাসূল! আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) ঠিক বলেছে। সে ব্যক্তি হতে প্রাপ্ত মাল-সামান আমার নিকট আছে। আপনি আমার পক্ষ হতে একে সম্মত করিয়ে দিন। তখন আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) বললেন, কক্ষনো না, আল্লাহর কসম! আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো এমন করবেন না যে, আল্লাহর সিংহদের মধ্যে হতে কোন সিংহ আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষে যুদ্ধ করবে আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিহত ব্যক্তির মাল-সামান তোমাকে দিবেন! তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবূ বকর (রাঃ) ঠিকই বলেছে। ফলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা আমাকে দিলেন। আমি তা হতে একটি বর্ম বিক্রয় করে বানূ সালমায় একটি বাগান কিনি। এটাই ইসলামে প্রবেশের পর আমার প্রথম সম্পত্তি, যা আমি পেয়েছিলাম। (২১০০) (মুসলিম ৩২/১৩ হাঃ ১৭৫১, আহমাদ ২২৬৭০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯১৮)
بَابُ مَنْ لَمْ يُخَمِّسْ الأَسْلَابَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيْدٍ عَنْ ابْنِ أَفْلَحَ عَنْ أَبِيْ مُحَمَّدٍ مَوْلَى أَبِيْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِيْ قَتَادَةَ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ حُنَيْنٍ فَلَمَّا الْتَقَيْنَا كَانَتْ لِلْمُسْلِمِيْنَ جَوْلَةٌ فَرَأَيْتُ رَجُلًا مِنْ الْمُشْرِكِيْنَ عَلَا رَجُلًا مِنْ الْمُسْلِمِيْنَ فَاسْتَدَرْتُ حَتَّى أَتَيْتُهُ مِنْ وَرَائِهِ حَتَّى ضَرَبْتُهُ بِالسَّيْفِ عَلَى حَبْلِ عَاتِقِهِ فَأَقْبَلَ عَلَيَّ فَضَمَّنِيْ ضَمَّةً وَجَدْتُ مِنْهَا رِيْحَ الْمَوْتِ ثُمَّ أَدْرَكَهُ الْمَوْتُ فَأَرْسَلَنِيْ فَلَحِقْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقُلْتُ مَا بَالُ النَّاسِ قَالَ أَمْرُ اللهِ ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ رَجَعُوْا وَجَلَسَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَنْ قَتَلَ قَتِيْلًا لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ فَقُمْتُ فَقُلْتُ مَنْ يَشْهَدُ لِيْ ثُمَّ جَلَسْتُ ثُمَّ قَالَ مَنْ قَتَلَ قَتِيْلًا لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ فَقُمْتُ فَقُلْتُ مَنْ يَشْهَدُ لِيْ ثُمَّ جَلَسْتُ ثُمَّ قَالَ الثَّالِثَةَ مِثْلَهُ فَقُمْتُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَكَ يَا أَبَا قَتَادَةَ فَاقْتَصَصْتُ عَلَيْهِ الْقِصَّةَ فَقَالَ رَجُلٌ صَدَقَ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَسَلَبُهُ عِنْدِيْ فَأَرْضِهِ عَنِّيْ فَقَالَ أَبُوْ بَكْرٍ الصِّدِّيقُ لَاهَا اللهِ إِذًا لَا يَعْمِدُ إِلَى أَسَدٍ مِنْ أُسْدِ اللهِ يُقَاتِلُ عَنْ اللهِ وَرَسُوْلِهِ يُعْطِيكَ سَلَبَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَدَقَ فَأَعْطَاهُ فَبِعْتُ الدِّرْعَ فَابْتَعْتُ بِهِ مَخْرَفًا فِيْ بَنِيْ سَلِمَةَ فَإِنَّهُ لَاوَّلُ مَالٍ تَأَثَّلْتُهُ فِي الإِسْلَامِ
Narrated Abu Qatada:
We set out in the company of Allah's Messenger (ﷺ) on the day (of the battle) of Hunain. When we faced the enemy, the Muslims retreated and I saw a pagan throwing himself over a Muslim. I turned around and came upon him from behind and hit him on the shoulder with the sword He (i.e. the pagan) came towards me and seized me so violently that I felt as if it were death itself, but death overtook him and he released me. I followed `Umar bin Al Khattab and asked (him), "What is wrong with the people (fleeing)?" He replied, "This is the Will of Allah," After the people returned, the Prophet (ﷺ) sat and said, "Anyone who has killed an enemy and has a proof of that, will posses his spoils." I got up and said, "Who will be a witness for me?" and then sat down. The Prophet (ﷺ) again said, "Anyone who has killed an enemy and has proof of that, will possess his spoils." I (again) got up and said, "Who will be a witness for me?" and sat down. Then the Prophet (ﷺ) said the same for the third time. I again got up, and Allah's Messenger (ﷺ) said, "O Abu Qatada! What is your story?" Then I narrated the whole story to him. A man (got up and) said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! He is speaking the truth, and the spoils of the killed man are with me. So please compensate him on my behalf." On that Abu Bakr As-Siddiq said, "No, by Allah, he (i.e. Allah's Messenger (ﷺ) ) will not agree to give you the spoils gained by one of Allah's Lions who fights on the behalf of Allah and His Apostle." The Prophet (ﷺ) said, "Abu Bakr has spoken the truth." So, Allah's Messenger (ﷺ) gave the spoils to me. I sold that armor (i.e. the spoils) and with its price I bought a garden at Bani Salima, and this was my first property which I gained after my conversion to Islam.
পরিচ্ছেদঃ ৫৯/১১. ইবলীস ও তার বাহিনীর বর্ণনা।
৩২৯২. আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সৎ ও ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে হয়ে থাকে। আর মন্দ স্বপ্ন শয়তানের তরফ হতে হয়ে থাকে। কাজেই তোমাদের কেউ যখন ভয়ানক মন্দ স্বপ্ন দেখে তখন সে যেন তার বাম দিকে থুথু ফেলে আর শয়তানের ক্ষতি হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায়। তা হলে এমন স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। (৫৭৪৭, ৬৯৮৪, ৬৯৯৫, ৬৯৯৬, ৭০০৫, ৭০৪৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৫৯)
بَابُ صِفَةِ إِبْلِيْسَ وَجُنُوْدِه
حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيْرَةِ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ قَالَ حَدَّثَنِيْ يَحْيَى عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح و حَدَّثَنِيْ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنَا الْوَلِيْدُ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ قَالَ حَدَّثَنِيْ يَحْيَى بْنُ أَبِيْ كَثِيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِيْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ مِنْ اللهِ وَالْحُلُمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا حَلَمَ أَحَدُكُمْ حُلُمًا يَخَافُهُ فَلْيَبْصُقْ عَنْ يَسَارِهِ وَلْيَتَعَوَّذْ بِاللهِ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لَا تَضُرُّهُ
Narrated Abu Qatada:
The Prophet (ﷺ) said, "A good dream is from Allah, and a bad or evil dream is from Satan; so if anyone of you has a bad dream of which he gets afraid, he should spit on his left side and should seek Refuge with Allah from its evil, for then it will not harm him."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ
৪১৪৯. আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুদাইবিয়াহর যুদ্ধের বছর আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে রওয়ানা করেছিলাম। তখন তাঁর সাহাবীগণ ইহরাম বেঁধেছিলেন কিন্তু আমি ইহরাম বাঁধিনি। [১৮২১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৪০)
بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة
سَعِيْدُ بْنُ الرَّبِيْعِ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يَحْيَى عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ قَتَادَةَ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ قَالَ انْطَلَقْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ أُحْرِمْ.
Narrated Abu Qatada:
We set out with the Prophet (ﷺ) in the year of Al-Hudaibiya, and all his companions assumed the state of Ihram but I did not.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৫৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ
৪৩২১. আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুনাইনের বছর আমরা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। আমরা যখন শত্রুর মুখোমুখী হলাম তখন মুসলিমদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিল। এ সময় আমি মুশরিকদের এক ব্যক্তিকে দেখলাম, সে মুসলিমদের এক ব্যক্তিকে পরাভূত করে ফেলেছে। তাই আমি কাফির লোকটির পশ্চাৎ দিকে গিয়ে তরবারি দিয়ে তার কাঁধ ও ঘাড়ের মাঝে শক্ত শিরার উপর আঘাত হানলাম এবং লোকটির গায়ের লৌহ বর্মটি কেটে ফেললাম। এ সময় সে আমার উপর আক্রমণ করে বসল এবং আমাকে এত জোরে চাপ দিয়ে জড়িয়ে ধরল যে, আমি আমার মৃত্যুর বাতাস অনুভব করলাম। এরপর মৃত্যু লোকটিকে পেয়ে বসল আর আমাকে ছেড়ে দিল। এরপর আমি ‘উমার [ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)]-এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, মুসলিমদের হলটা কী? তিনি বললেন, মহান শক্তিধর আল্লাহর ইচ্ছা। এরপর সবাই (আবার) ফিরে এল (এবং মুশরিকদের উপর হামলা চালিয়ে যুদ্ধে জয়ী হল)। যুদ্ধের পর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসলেন এবং ঘোষণা দিলেন, যে ব্যক্তি কোন মুশরিক যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং তার কাছে এর প্রমাণ রয়েছে তাঁকে তার (নিহত ব্যক্তির) পরিত্যক্ত সকল সম্পদ দেয়া হবে। এ ঘোষণা শুনে আমি দাঁড়িয়ে বললাম, আমার পক্ষে কেউ সাক্ষ্য দিবে কি? আমি বসে পড়লাম। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও অনুরূপ ঘোষণা দিলে আমি দাঁড়ালাম। তিনি সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) তোমার কী হয়েছে? আমি তাঁকে ব্যাপারটি জানালাম। এ সময়ে এক ব্যক্তি বলল, আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) ঠিকই বলেছেন, নিহত ব্যক্তির পরিত্যক্ত বস্ত্রগুলো আমার কাছে আছে। সুতরাং সেগুলো আমার প্রাপ্তির ব্যাপারে আপনি তাঁকে সম্মত করুন। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, না, আল্লাহ শপথ! তা হতে পারে না। আল্লাহর সিংহদের এক সিংহ যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করেছে তার যুদ্ধলব্ধ দ্রব্যাদি তোমাকে দিয়ে দেয়ার ইচ্ছা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম করতে পারেন না। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবূ বকর ঠিকই বলছে। সুতরাং এসব দ্রব্য তুমি তাঁকে (আবূ ক্বাতাদাহ) দিয়ে দাও। [আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ)] বলেন] তখন সে আমাকে দ্রব্যগুলো দিয়ে দিল। এ দ্রব্যগুলোর বিনিময়ে আমি বানী সালামাহর এলাকায় একটি বাগান কিনলাম। আর ইসলাম গ্রহণের পর এটিই হল প্রথম সম্পদ যেটা ছিল আমার আর্থিক বুনিয়াদ। [২১০০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৭৮/৩৯৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৮৩)
بَاب قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيْدٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ كَثِيْرِ بْنِ أَفْلَحَ عَنْ أَبِيْ مُحَمَّدٍ مَوْلَى أَبِيْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِيْ قَتَادَةَ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَامَ حُنَيْنٍ فَلَمَّا الْتَقَيْنَا كَانَتْ لِلْمُسْلِمِيْنَ جَوْلَةٌ فَرَأَيْتُ رَجُلًا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ قَدْ عَلَا رَجُلًا مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ فَضَرَبْتُهُ مِنْ وَرَائِهِ عَلَى حَبْلِ عَاتِقِهِ بِالسَّيْفِ فَقَطَعْتُ الدِّرْعَ وَأَقْبَلَ عَلَيَّ فَضَمَّنِيْ ضَمَّةً وَجَدْتُ مِنْهَا رِيْحَ الْمَوْتِ ثُمَّ أَدْرَكَهُ الْمَوْتُ فَأَرْسَلَنِيْ فَلَحِقْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقُلْتُ مَا بَالُ النَّاسِ قَالَ أَمْرُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ ثُمَّ رَجَعُوْا وَجَلَسَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَنْ قَتَلَ قَتِيْلًا لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ فَقُلْتُ مَنْ يَشْهَدُ لِيْ ثُمَّ جَلَسْتُ قَالَ ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ فَقُمْتُ فَقُلْتُ مَنْ يَشْهَدُ لِيْ ثُمَّ جَلَسْتُ قَالَ ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ فَقُمْتُ فَقَالَ مَا لَكَ يَا أَبَا قَتَادَةَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ رَجُلٌ صَدَقَ وَسَلَبُهُ عِنْدِيْ فَأَرْضِهِ مِنِّيْ فَقَالَ أَبُوْ بَكْرٍ لَاهَا اللهِ إِذًا لَا يَعْمِدُ إِلَى أَسَدٍ مِنْ أُسْدِ اللهِ يُقَاتِلُ عَنْ اللهِ وَرَسُوْلِهِ فَيُعْطِيَكَ سَلَبَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَدَقَ فَأَعْطِهِ فَأَعْطَانِيْهِ فَابْتَعْتُ بِهِ مَخْرَفًا فِيْ بَنِيْ سَلِمَةَ فَإِنَّهُ لَأَوَّلُ مَالٍ تَأَثَّلْتُهُ فِي الإِسْلَامِ.
Narrated Abu Qatada:
We set out along with the Prophet (ﷺ) during the year of (the battle of) Hunain, and when we faced the enemy, the Muslims (with the exception of the Prophet (ﷺ) and some of his companions) retreated (before the enemy). I saw one of the pagans over-powering one of the Muslims, so I struck the pagan from behind his neck causing his armor to be cut off. The pagan headed towards me and pressed me so forcibly that I felt as if I was dying. Then death took him over and he released me. Afterwards I followed `Umar and said to him, "What is wrong with the people?" He said, "It is the Order of Allah." Then the Muslims returned (to the battle after the flight) and (after overcoming the enemy) the Prophet sat and said, "Whoever had killed an Infidel and has an evidence to this issue, will have the Salb (i.e. the belonging of the deceased e.g. clothes, arms, horse, etc)." I (stood up) and said, "Who will be my witness?" and then sat down. Then the Prophet (ﷺ) repeated his question. Then the Prophet (ﷺ) said the same (for the third time). I got up and said, "Who will be my witness?" and then sat down. The Prophet (ﷺ) asked his former question again. So I got up. The Prophet (ﷺ) said, What is the matter, O Abu Qatada?" So I narrated the whole story; A man said, "Abu Qatada has spoken the truth, and the Salb of the deceased is with me, so please compensate Abu Qatada on my behalf." Abu Bakr said, "No! By Allah, it will never happen that the Prophet (ﷺ) will leave a Lion of Allah who fights for the Sake of Allah and His Apostle and give his spoils to you." The Prophet (ﷺ) said, "Abu Bakr has spoken the truth. Give it (the spoils) back to him (O man)!" So he gave it to me and I bought a garden in (the land of) Banu Salama with it (i.e. the spoils) and that was the first property I got after embracing Islam.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৫৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ
৪৩২২. আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুনাইন যুদ্ধের দিন আমি দেখলাম যে, এক মুসলিম এক মুশরিকের সঙ্গে লড়াই করছে। আরেক মুশরিক মুসলিম ব্যক্তিটির পেছন থেকে তাকে হত্যা করার জন্য আক্রমণ করছে। তখন আমি তার হাতের উপর আঘাত ক’রে তা কেটে ফেললাম। সে আমাকে ধরে ভীষণ চাপে চাপ দিল। এমনকি আমি শঙ্কিত হয়ে পড়লাম। এরপর সে আমাকে ছেড়ে দিল ও দুর্বল হয়ে পড়ল। আমি তাকে আক্রমণ করে হত্যা করলাম। মুসলিমগণ পালাতে লাগলে আমিও তাঁদের সঙ্গে পালালাম। হঠাৎ লোকের মাঝে ‘উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে দেখতে পেলাম। তাকে বললাম, লোকজনের অবস্থা কী? তিনি বললেন, আল্লাহর যা ইচ্ছা। এরপর লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ফিরে এলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘যে (মুসলিম) ব্যক্তি কাউকে হত্যা করেছে বলে প্রমাণ পেশ করতে পারবে নিহত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পদ সে-ই পাবে। আমি যাকে হত্যা করেছি তার সম্পর্কে সাক্ষী খোঁজার জন্য আমি দাঁড়ালাম। কিন্তু আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে এমন কাউকে পেলাম না। তখন বসে পড়লাম। এরপর আমার সুযোগমত ঘটনাটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালাম। তখন তাঁর পাশে উপবিষ্ট একজন বললেন- উল্লিখিত নিহত ব্যক্তির হাতিয়ার আমার কাছে আছে, সেগুলো আমাকে দিয়ে দেয়ার জন্য আপনি তাকে সম্মত করুন। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, না, তা হতে পারে না। আল্লাহর সিংহদের এক সিংহ যে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করেছে তাকে না দিয়ে এ কুরাইশী দুর্বল ব্যক্তিকে তিনি [নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম] দিতে পারেন না। রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন এবং আমাকে তা দিয়ে দিলেন। আমি এর দ্বারা একটি বাগান কিনলাম। আর ইসলাম গ্রহণের পর এটিই ছিল প্রথম সম্পদ, যদ্দবারা আমি আমার আর্থিক বুনিয়াদ করেছি। [২১০০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৭৮/৩৯৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৮৩)
بَاب قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِيْ يَحْيَى بْنُ سَعِيْدٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ كَثِيْرِ بْنِ أَفْلَحَ عَنْ أَبِيْ مُحَمَّدٍ مَوْلَى أَبِيْ قَتَادَةَ أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمَ حُنَيْنٍ نَظَرْتُ إِلَى رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ يُقَاتِلُ رَجُلًا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ وَآخَرُ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ يَخْتِلُهُ مِنْ وَرَائِهِ لِيَقْتُلَهُ فَأَسْرَعْتُ إِلَى الَّذِيْ يَخْتِلُهُ فَرَفَعَ يَدَهُ لِيَضْرِبَنِيْ وَأَضْرِبُ يَدَهُ فَقَطَعْتُهَا ثُمَّ أَخَذَنِيْ فَضَمَّنِيْ ضَمًّا شَدِيْدًا حَتَّى تَخَوَّفْتُ ثُمَّ تَرَكَ فَتَحَلَّلَ وَدَفَعْتُهُ ثُمَّ قَتَلْتُهُ وَانْهَزَمَ الْمُسْلِمُوْنَ وَانْهَزَمْتُ مَعَهُمْ فَإِذَا بِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي النَّاسِ فَقُلْتُ لَهُ مَا شَأْنُ النَّاسِ قَالَ أَمْرُ اللهِ ثُمَّ تَرَاجَعَ النَّاسُ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ أَقَامَ بَيِّنَةً عَلَى قَتِيْلٍ قَتَلَهُ فَلَهُ سَلَبُهُ فَقُمْتُ لِأَلْتَمِسَ بَيِّنَةً عَلَى قَتِيْلِيْ فَلَمْ أَرَ أَحَدًا يَشْهَدُ لِيْ فَجَلَسْتُ ثُمَّ بَدَا لِيْ فَذَكَرْتُ أَمْرَهُ لِرَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ جُلَسَائِهِ سِلَاحُ هَذَا الْقَتِيْلِ الَّذِيْ يَذْكُرُ عِنْدِيْ فَأَرْضِهِ مِنْهُ فَقَالَ أَبُوْ بَكْرٍ كَلَّا لَا يُعْطِهِ أُصَيْبِغَ مِنْ قُرَيْشٍ وَيَدَعَ أَسَدًا مِنْ أُسْدِ اللهِ يُقَاتِلُ عَنْ اللهِ وَرَسُوْلِهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَقَامَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَدَّاهُ إِلَيَّ فَاشْتَرَيْتُ مِنْهُ خِرَافًا فَكَانَ أَوَّلَ مَالٍ تَأَثَّلْتُهُ فِي الإِسْلَامِ.
Narrated Abu Qatada:
When it was the day of (the battle of) Hunain, I saw a Muslim man fighting with one of the pagans and another pagan was hiding himself behind the Muslim in order to kill him. So I hurried towards the pagan who was hiding behind the Muslim to kill him, and he raised his hand to hit me but I hit his hand and cut it off. That man got hold of me and pressed me so hard that I was afraid (that I would die), then he knelt down and his grip became loose and I pushed him and killed him. The Muslims (excepting the Prophet (ﷺ) and some of his companions) started fleeing and I too, fled with them. Suddenly I met `Umar bin Al-Khattab amongst the people and I asked him, "What is wrong with the people?" He said, "It is the order of Allah" Then the people returned to Allah's Messenger (ﷺ) (after defeating the enemy). Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whoever produces a proof that he has killed an infidel, will have the spoils of the killed man." So I got up to look for an evidence to prove that I had killed an infidel, but I could not find anyone to bear witness for me, so I sat down. Then it came to my mind (that I should speak of it) and I mentioned the case to Allah's Messenger (ﷺ). A man from the persons who were sitting with him (i.e. the Prophet), said, "The arms of the deceased one whom he ( i.e. Abu Qatada) has mentioned, are with me, so please compensate him for it (i.e. the spoils)," Abu Bakr said, "No, Allah's Messenger (ﷺ) will not give it (i.e. the spoils) to a weak humble person from Quraish and leave one of Allah's Lions who fights on behalf of Allah and His Apostle." Allah's Messenger (ﷺ) then got up and gave that (spoils) to me, and I bought with it, a garden which was the first property I got after embracing Islam.
পরিচ্ছেদঃ পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা পেশাব করার সময় প্রযোজ্য
১৪৩১. আবূ কাতাদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ পেশাব করবে, তখন সে যেন তার পুরুষাঙ্গ ডান হাত দিয়ে স্পর্শ না করে এবং ডান হাত দিয়ে যেন শৌঁচকার্য না করে।”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকাতুল হিসান: ১৪৩১।)
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ هَذَا الْفِعْلَ إِنَّمَا زُجر عَنْهُ عِنْدَ مَسْحِ الرَّجُلِ ذَكَرَهُ إِذَا بَالَ
1431 - أَخْبَرَنَا ابْنُ سَلْمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلَا يَمْسَحْ ذَكَرَهُ بِيَمِينِهِ وَلَا يَسْتَنْجِي بيمينه)
الراوي : أَبُو قَتَادَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1431 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
পরিচ্ছেদঃ কেউ মসজিদে প্রবেশ করে দু’রাকআত নামায পড়ে নিবে
২৭৫) আবু কাতাদা সুলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে সে যেন বসার পূর্বে দু’রাকআত নামায পড়ে নেয়।
টিকাঃ এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত। অপর হাদীছে এসেছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমআর খুতবা চলাকালে এক সাহাবীকে দাঁড় করিয়ে তা পড়ার নির্দেশ দেন এবং সংক্ষেপ করতে বলেন। ফলে বয়ান শুনার দোহাই দিয়ে কিংবা লাল বাতি জ্বালিয়ে এ থেকে কাউকে বারণ করার কোন অধিকার নেই। তবে তা শুরু করার পর জামাআত দাঁড়িয়ে গেলে সুন্নাত ছেড়ে দিয়ে জামাআতে শামিল হবে। কিন্তু এই দুই রাকআতের শেষ রাকআতের রুকূ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়ে থাকলে সুন্নাত শেষ করে জামাআতে শরীক হতে কোন বাধা নেই।
باب إِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ
২৭৫ـ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ السَّلَمِيِّ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَجْلِسَ
If one entered a mosque, one should offer two Rak'a (Tahayyat-al-Masjid) before sitting
Narrated Abu Qatada Al-Aslami:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "If anyone of you enters a mosque, he should pray two rak`at before sitting."