আমর ইবনু মুররা (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ২১ টি

পরিচ্ছেদঃ ২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ। মহান আল্লাহ্‌র বাণীঃ মু’মিনগণ যখন গাছের নিচে আপনার নিকট বায়াত গ্রহণ করল তখন আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন...... (৪৮:১৮)

৩৮৫৭। আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) ... আমর ইবনু মুররা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি বৃক্ষের নিচে বায়াতকারী সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আউফাকে বলতে শুনেছি যে, তিনি বর্ণনা করেছেন, কোন কওম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সাদকার অর্থ নিয়ে আসলে তিনি তাঁদের জন্য দোয়া করে বলতেন, “হে আল্লাহ আপনি তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন”। এ সময় আমার পিতা তাঁর কাছে সাদকার অর্থ নিয়ে আসলে তিনি বললেন, “হে আল্লাহ! আপনি আবূ আউফার বংশধরদের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন”।

باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى ـ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَاهُ قَوْمٌ بِصَدَقَةٍ قَالَ ‏"‏ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِمْ ‏"‏‏.‏ فَأَتَاهُ أَبِي بِصَدَقَتِهِ فَقَالَ ‏"‏ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى آلِ أَبِي أَوْفَى ‏"‏‏.‏


Narrated `Abdullah bin Abi `Aufa: (Who was one of those who had given the Pledge of allegiance to the Prophet (ﷺ) beneath the Tree) When the people brought Sadaqa (i.e. rak`at) to the Prophet (ﷺ) he used to say, "O Allah! Bless them with your Mercy." Once my father came with his Sadaqa to him whereupon he (i.e. the Prophet) said. "O Allah! Bless the family of Abu `Aufa."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩৩৫. আল্লাহর বাণীঃ যখন প্রত্যেক উম্মত হতে একজন সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকে ওদের বিরুদ্ধে সাক্ষীরূপে উপস্থিত করব তখন কী অবস্থা হবে (৪ ঃ ৪১) الْخَتَّالُ الْمُخْتَالُ একই অর্থে ব্যবহৃত, দাম্ভিক। نَطْمِسَ সমান করে দেব। শেষ পর্যন্ত তাদের গর্দানের পশ্চাৎদিকের মতো হয়ে যাবে। طَمَسَ الْكِتَابَ কিতাবের লেখা মুছে ফেলা। سَعِيْرًا জ্বলন্ত।

৪২২৭। সাদকাহ (রহঃ) ... আমর ইবনু মুররা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, আমার কাছে কুরআন পাঠ কর। আমি বললাম, আমি আপনার কাছে পাঠ করব? অথছ তা আপনার কাছেই অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বললেন, অন্যের মুখে শ্রবণ করাকে আমি পছন্দ করি। এরপর আমি তাঁর নিকট ’সূরা নিসা’ পড়লাম, যখন আমিفَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلاَءِ شَهِيدًا পর্যন্ত পাঠ করলাম, তিনি বললেন, থাম, থাম, তখন তাঁর দুচোখ থেকে টপ টপ করে অশ্রু নির্গত হচ্ছিল।

আল্লাহর বাণীঃوإن كنتم مرضى أو على سفر أو جاء أحد منكم من الغائط আর যদি তোমরা পীড়িত হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ শৌচ স্থান থেকে আসে ’’(৪: ৪৩)।صَعِيْدًا মাটির উপরিভাগ। জাবির (রাঃ) বলেন যে সকল তাগুদের কাছে তারা বিচারের জন্য যেত তাদের একজন ছিল বুহাইনা গোত্রের, একজন আসলাম গোত্রের এবং এভাবে প্রত্যেক গোত্রে এক-একজন করে তাগুত ছিল। তারা হচ্ছে গণক। তাদের কাছে শয়তান আসত।

’উমার (রাঃ) বলেন, الْجِبْتُ জাদু, وَالطَّاغُوْتُ শয়তান। ’ইকরামাহ (রাঃ) বলেন, হাবশী ভাষায় শায়ত্বনকে الْجِبْتُ বলা হয়। আর গণককে طَّاغُوْتُ বলা হয়।

باب فكيف إذا جئنا من كل أمة بشهيد وجئنا بك على هؤلاء شهيدا المختال والختال واحد نطمس وجوها نسويها حتى تعود كأقفائهم طمس الكتاب محاه جهنم سعيرا وقودا

حَدَّثَنَا صَدَقَةُ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ يَحْيَى بَعْضُ الْحَدِيثِ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اقْرَأْ عَلَىَّ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ آقْرَأُ عَلَيْكَ وَعَلَيْكَ أُنْزِلَ قَالَ ‏"‏ فَإِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَسْمَعَهُ مِنْ غَيْرِي ‏"‏‏.‏ فَقَرَأْتُ عَلَيْهِ سُورَةَ النِّسَاءِ حَتَّى بَلَغْتُ ‏(‏فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلاَءِ شَهِيدًا‏)‏ قَالَ ‏"‏ أَمْسِكْ ‏"‏‏.‏ فَإِذَا عَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ‏.‏


Narrated `Abdullah bin Masud: Allah's Messenger (ﷺ) said to me, "Recite (of the Qur'an) for me," I said, "Shall I recite it to you although it had been revealed to you?" He said, "I like to hear (the Qur'an) from others." So I recited Surat-an- Nisa' till I reached: "How (will it be) then when We bring from each nation a witness, and We bring you (O Muhammad) as a witness against these people?" (4.41) Then he said, "Stop!" And behold, his eyes were overflowing with tears."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩৭৭. আল্লাহর বাণীঃ বল, আমার প্রতিপালক নিষিদ্ধ করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা (৭ঃ ৩৩)

সুরা আ’রাফ

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন; وَرِيَاشًا সম্পদ, إِنَّه لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِيْنَ - তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের ভালবাসতেন না, দু’আ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে, عَفَوْا- তারা সংখ্যাধিক্য হয় এবং তাদের সম্পত্তি প্রাচুর্য লাভ করে, الْفَتَّاحُ বিচারক, افْتَحْ بَيْنَنَا আমাদের মাঝে ফয়সালা করে দিন। نَتَقْنَا الْجَبَلَ উপরে তুলেছি পর্বত, انْبَجَسَتْ প্রবাহিত হয়েছে,مُتَبَّرٌ ক্ষতিগ্রস্ত, آسَى আমি আক্ষেপ করি, تَأْسَ- আক্ষেপ করবে, অন্যজন বলেছেন أَنْ لَّا تَسْجُدَ সিজদা করতে, يَخْصِفَانِ তাঁরা উভয়ে সেলাই করে জোড়া লাগাচ্ছিলেন, مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ বেহেশতের পাতা, উভয়ে সংগ্রহ করেছিলেন এবং পাতা একটা অন্যটার সঙ্গে সেলাই করে জোড়া লাগাচ্ছিলেন, سَوْآتِهِمْ তাঁদের যৌনাঙ্গ, وَمَتَاعٌ إِلٰى حِيْنٍ এখন থেকে ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) পর্যন্ত, আরবদের ভাষায় حِيْنُ বলা হয় একটি নির্দিষ্ট সময় থেকে অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত, الرِّيَاشُوَالرِّيْشُ একই অর্থাৎ পোশাকের বহিরাংশ, قَبِيْلُهُ তার দল সে যে দলের অন্তর্ভুক্ত। ادَّارَكُوْا একত্রিত হল। মানুষ এবং অন্যান্য জন্তুর ছিদ্রসমূহকে سُمُوْمٌ বলা হয়, এর একবচন سُمُمٌّ সেগুলো চক্ষুদ্বয়, নাসারন্ধ্র, মুখ, দু’টি কান, বাহ্য পথ স্রাবনালী, غَوَاشٌ আচ্ছাদন, نُشُرًا বিক্ষিপ্ত, نَكِدًا স্বল্প পরিমাণ, يَغْنَوْا জীবন যাপন করেন, حَقِيْقٌ হক ও উপযুক্ত, যোগ্য, اسْتَرْهَبُوْهُمْ তাদেরকে আতংকিত করল, رَهْبَةٌ থেকে উৎপন্ন, تَلَقَّفُ গো গ্রাসে গিলে ফেলা, طَآئِرُهُمْ-তাদের ভাগ্য, বন্যা, طُوْفَانٌ-বন্যা অধিক হারে মৃত্যুকে ও طُوْفَانٌ বলা হয়, الْقُمَّلُ উকুন, عُرُوْشٌ-عَرِيْشٌ অট্টালিকা, سُقِطَ যারা অপমানিত হয় তাদেরকে বলা হয় سُقِطَ فِيْيَدِهِ। أَلَاسْبَاطُ বনী ইসরাঈলের গোত্রসমূহ, يَعْدُوْنَও يَتَعَدَّوْنَ সীমালঙ্ঘন করে; تَعَدَّوْ সীমালঙ্ঘন করেছে, شُرَّعًا প্রকাশ্যভাবে, بَئِيْسٍ কঠোর, أَخْلَدَ বসে থাকল এবং পেছনে পড়ল, سَنَسْتَدْرِجُهُمْ তাদের নিরাপদ স্থান থেকে তাদেরকে এসে ক্রমে বের করে আনবে, যেমন فَأَتَاهُمُاللهُ مِنْ حَيْثُ لَمْ يَحْتَسِبُوْا তাদেরকে আল্লাহ এমন শাস্তি দিলেন যা তারা ধারণা করেনি। مِنْجِنَّةٍ উন্মাদনা, কখন তাদেরকে পুনরায় বের করা হবে? فَمَرَّتْ بِهِ তাঁর গর্ভ অটুটু থাকল এরপর সেটাকে পূর্ণতা দান করলে, يَنْزَغَنَّكَ يَسْتَخِفَّنَّكَ তোমাকে কু-মন্ত্রণা দেয়া, طَيْفٌ আগত সংযোগযোগ্য, طَيْفٌ এবং طَائِفٌ এক রকম, يَمُدُّوْنَهُمْ অলংকৃত করে, خِيْفَةٌ ভয়, خُفْيَةٌ শব্দটি إِخْفَاءٌ থেকে নির্গত অর্থ গোপন করা, وَالْآصَالُ একবচনে أَصِيْلٌ আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়, যেমন আল্লাহর বাণী بُكْرَةً وَّأَصِيْلًا সকাল-সন্ধ্যা।


৪২৮২। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... আমর ইবনু মুররাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ ওয়ায়েলকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি এটা আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ এবং তিনি এটাকে মারফু’ হাদীস হিসাবে বর্ণনা করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অন্যায়কে ঘৃণাকরী আল্লাহর তুলনায় অন্য কেউ নেই, এজন্যই তিনি প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে অশ্লীলতা হারাম করে দিয়েছেন, আবার আল্লাহর চেয়ে প্রশংসা প্রিয় কেউ নেই, এজন্যই তিনি নিজে নিজের প্রশংসা করেছেন।

باب قوله عز وجل قل إنما حرم ربي الفواحش ما ظهر منها وما بطن

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قُلْتُ أَنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ نَعَمْ، وَرَفَعَهُ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ لاَ أَحَدَ أَغْيَرُ مِنَ اللَّهِ، فَلِذَلِكَ حَرَّمَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ، وَلاَ أَحَدَ أَحَبُّ إِلَيْهِ الْمِدْحَةُ مِنَ اللَّهِ، فَلِذَلِكَ مَدَحَ نَفْسَهُ ‏"‏‏.‏


Narrated `Abdullah bin Mas`ud: Allah's Messenger (ﷺ) said, "None has more sense of ghaira than Allah, and for this He has forbidden shameful sins whether committed openly or secretly, and none loves to be praised more than Allah does, and this is why He Praises Himself."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫. ধীরস্থিরতার সাথে কিরা’আত পড়া। অতিদ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং একরাক’আতে দুই ও ততোধিক সূরা পড়ার বৈধতা

১৭৮৬। মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আমর ইবনু মুররা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবূ ওয়াইল (রহঃ) কে বর্ণনা করতে শুনেছেন যে, এক ব্যাক্তি ইবনু মাসউদ (রাঃ) এর কাছে এসে বলল, আজ (গত)রাতে আমি মুফাসসাল (সূরাগুলো) সম্পূর্ণই এক রাক’আতে পড়ে ফেলেছি। তখন আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, কবিতা আবৃতি করার মত তাড়াতাড়ি করে? পরে আবদুল্লাহ (রাঃ) আরো বললেন, আমি তো সে সদৃশ (সূরা) গুলো জানি, যেগুলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিলিয়ে পাঠ করতেন। রাবী বলেন, তিনি তখন মূফাসসালভুক্ত বিশটি সূরার নাম উল্লেখ করলেন (যার) দুই দুই সূরা প্রতি রাক’আতে (পাঠ করা হত)।

باب تَرْتِيلِ الْقِرَاءَةِ وَاجْتِنَابِ الْهَذِّ وَهُوَ الإِفْرَاطُ فِي السُّرْعَةِ وَإِبَاحَةِ سُورَتَيْنِ فَأَكْثَرَ فِي الرَّكْعَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا وَائِلٍ، يُحَدِّثُ أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى ابْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ إِنِّي قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ اللَّيْلَةَ كُلَّهُ فِي رَكْعَةٍ ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَقَدْ عَرَفْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرُنُ بَيْنَهُنَّ - قَالَ - فَذَكَرَ عِشْرِينَ سُورَةً مِنَ الْمُفَصَّلِ سُورَتَيْنِ سُورَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ ‏.‏


Abu Wa'il reported: A person came to 'Abdullah b. Mas'ud and said: I recited all the mufassal surahs in one rak'ah during the night. 'Abdullah said: You must have recited hastily like the recitation of poetry. 'Abdullah said: I remember well the manner in which the Messenger of Allah (ﷺ) used to combine them, and he then mentioned twenty of the mufassal surahs, and (their combinations in) two in every rak'ah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮. শবদেহের জন্য দাঁড়ানো

২০৯৭। কাসিম ইবনু যাকারিয়া (রহঃ) ... আমর ইবনু মুররা (রাঃ) উক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন। এতে রয়েছে যে, তারা দু’জন বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম, তখন আমাদের নিকট দিয়ে একটি জানাযা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

باب الْقِيَامِ لِلْجَنَازَةِ ‏‏

وَحَدَّثَنِيهِ الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِيهِ فَقَالاَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَرَّتْ عَلَيْنَا جَنَازَةٌ ‏.‏


And in the hadith narrated by 'Amr b. Murra with the same chain of transmitters, (the words) are:" There passed a bier before us."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৬৬. নামাযের সালাম শেষে কি দু'আ পড়বে?

১৫১১. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ...... আমর ইবন মুররা (রহঃ) উপরোক্ত হাদীছের সনদ ও অর্থে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি “ওয়া য়াসসিরিল হুদায়া” এর স্থলে “ওয়াসসির হুদা” উল্লেখ করেছেন। (তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন মাজা)।

باب مَا يَقُولُ الرَّجُلُ إِذَا سَلَّمَ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ مُرَّةَ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ قَالَ ‏"‏ وَيَسِّرِ الْهُدَى إِلَىَّ ‏"‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ ‏"‏ هُدَاىَ ‏"‏ ‏.


The aforesaid tradition has also been transmitted by 'Amr b. Murrah through a different chain of narrators to the same effect. This version adds: "And make right guidance easy for me." The narrator did not say: "my right guidance".


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭৫/ এক রাকআতে দু' সূরা পাঠ করা।

১০০৮। ইসমাঈল ইবনু মাসউদ (রহঃ) ... আমর ইবনু মুররা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ ওয়ায়িলকে বলতে শুনেছি, আব্দুল্লাহর নিকট এক ব্যক্তি বলল, আমি এক রাক’আতে মুফাসসাল পড়েছি। তিনি বললেন, কবিতার ন্যায় তাড়াতাড়ি পড়া? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ যে সূরা গুলো মিলিয়ে পাঠ করতেন তা আমি জানি। তারপর তিনি মুফাসসালের বিশটি সূরার উল্লেখ করলেন এক রাকআতে দু’সূরা করে।

أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، يَقُولُ قَالَ رَجُلٌ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ ‏.‏ قَالَ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ لَقَدْ عَرَفْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرُنُ بَيْنَهُنَّ ‏.‏ فَذَكَرَ عِشْرِينَ سُورَةً مِنَ الْمُفَصَّلِ سُورَتَيْنِ سُورَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ ‏.‏


It was narrated that 'Amr bin Murrah said: "I heard Abu Wa'il say: "A man said in the presence of Abdullah: 'I recited Al-Mufassal in one rak'ah.' He said: 'That is like reciting poetry. I know the similar surahs that the Messenger of Allah (ﷺ) used to recite together.' And he mentioned twenty surahs from Al-Mufassal, two by two in each rak'ah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ গরুর যাকাত।

৬২২. মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ...... আমর ইবনু মুররা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ উবায়দা ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি আবদুল্লাহ থেকে কোন বিষয় স্মরণ রাখেন? তিনি বললেন না। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬২৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

باب مَا جَاءَ فِي زَكَاةِ الْبَقَرِ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ قَالَ سَأَلْتُ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ هَلْ تَذْكُرُ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ شَيْئًا قَالَ لاَ ‏.‏


Muhammad bin Bash-shar (Al-Abdi) narrated to us, : Muhammad bin Ja'far narrated to us, from Shu'bah, from Amr bin Murrah who said: "I asked Abu Ubaidah bin Abdullah: 'Did you remember anything from Abdullah?' He said, 'No'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৬. হুদাইবিয়াহর যুদ্ধ

৪১৬৬. ‘আমর ইবনু মুররা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বৃক্ষতলে বাই‘আতকারী সাহাবী ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আউফাকে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, কোন কাওম নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে সাদাকার অর্থ নিয়ে আসলে তিনি তাদের জন্যে বলতেন, ‘‘হে আল্লাহ! আপনি তাদের উপর রহম করুন’’। এ সময় আমার পিতা তাঁর কাছে সাদাকার অর্থ নিয়ে আসলে তিনি বললেন, ‘‘হে আল্লাহ! আপনি আবূ আউফার পরিবারবর্গের উপর রহম করুন’’। [১৪৯৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৫৪)

بَاب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَة

آدَمُ بْنُ أَبِيْ إِيَاسٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ أَبِيْ أَوْفَى وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَاهُ قَوْمٌ بِصَدَقَةٍ قَالَ اللهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِمْ فَأَتَاهُ أَبِيْ بِصَدَقَتِهِ فَقَالَ اللهُمَّ صَلِّ عَلَى آلِ أَبِيْ أَوْفَى.


Narrated `Abdullah bin Abi `Aufa: (Who was one of those who had given the Pledge of allegiance to the Prophet (ﷺ) beneath the Tree) When the people brought Sadaqa (i.e. rak`at) to the Prophet (ﷺ) he used to say, "O Allah! Bless them with your Mercy." Once my father came with his Sadaqa to him whereupon he (i.e. the Prophet) said. "O Allah! Bless the family of Abu `Aufa."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৪/৯. ‘‘আর তখন কী অবস্থা হবে যখন আমি উপস্থিত করব প্রত্যেক উম্মাত থেকে একজন সাক্ষী এবং আপনাকে তাদের উপর উপস্থিত করব সাক্ষী রূপে?’’ (সূরাহ আন-নিসা ৪/৪১)

(الْمُخْتَالُ) وَالْخَتَّالُ وَاحِدٌ : (نَطْمِسَ وُجُوْهًا) : نُسَوِّيَهَا حَتَّى تَعُوْدَ كَأَقْفَائِهِمْ طَمَسَ الْكِتَابَ مَحَاهُ. (بجَهَنَّمَ سَعِيْرًا) : وُقُوْدًا

الْخَتَّالُ الْمُخْتَالُ একই অর্থে ব্যবহৃত, দাম্ভিক। نَطْمِسَ-সমান করে দেব। শেষ পর্যন্ত তাদের গর্দানের পশ্চাৎদিকের মতো হয়ে যাবে। طَمَسَ الْكِتَابَ কিতাবের লেখা মুছে ফেলা। سَعِيْرًا জ্বলন্ত।


৪৫৮২. ’আমর ইবনু মুররা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, আমার কাছে কুরআন পাঠ কর। আমি বললাম, আমি আপনার কাছে পাঠ করব? অথচ আপনার কাছেই তা অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বললেন, অন্যের মুখ থেকে শুনতে আমি পছন্দ করি। এরপর আমি তাঁর নিকট সূরাহ ’নিসা’ পাঠ করলাম, যখন আমি فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍم بِشَهِيْدٍ وَّجِئْنَا بِكَ عَلٰى هٰٓؤُلَآءِ شَهِيْدً পর্যন্ত পাঠ করলাম, তিনি বললেন, থাম, থাম, তখন তাঁর দু’চোখ হতে টপ টপ করে অশ্রু ঝরছিল। [৫০৪৯, ৫০৫০, ৫০৫৫, ৫০৫৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪২২৪)

بَاب :{فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍم بِشَهِيْدٍ وَّجِئْنَا بِكَ عَلٰى هٰٓؤُلَآءِ شَهِيْدًا}

صَدَقَةُ أَخْبَرَنَا يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ عَبِيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ يَحْيَى بَعْضُ الْحَدِيْثِ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ قَالَ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم اقْرَأْ عَلَيَّ قُلْتُ آقْرَأُ عَلَيْكَ وَعَلَيْكَ أُنْزِلَ قَالَ فَإِنِّيْ أُحِبُّ أَنْ أَسْمَعَهُ مِنْ غَيْرِيْ فَقَرَأْتُ عَلَيْهِ سُوْرَةَ النِّسَاءِ حَتَّى بَلَغْتُ (فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍم بِشَهِيْدٍ وَّجِئْنَا بِكَ عَلٰى هٰٓؤُلَآءِ شَهِيْدًا) قَالَ : أَمْسِكْ فَإِذَا عَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ.


Narrated `Abdullah bin Masud: Allah's Messenger (ﷺ) said to me, "Recite (of the Qur'an) for me," I said, "Shall I recite it to you although it had been revealed to you?" He said, "I like to hear (the Qur'an) from others." So I recited Surat-an- Nisa' till I reached: "How (will it be) then when We bring from each nation a witness, and We bring you (O Muhammad) as a witness against these people?" (4.41) Then he said, "Stop!" And behold, his eyes were overflowing with tears."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৭/১. আল্লাহর বাণীঃ বলুনঃ আমার রব হারাম করেছেন যাবতীয় প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অশ্লীলতা। (সূরাহ আল-‘আরাফ ৭/৩৩)

(7) سُوْرَةُ الْأَعْرَاف

সূরাহ (৭) : আল-আ’রাফ

قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ (وَرِيَاشًا) الْمَالُ (إِنَّه” لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِيْنَ) فِي الدُّعَاءِ وَفِيْ غَيْرِهِ (عَفَوْا) كَثُرُوْا وَكَثُرَتْ أَمْوَالُهُمْ (الْفَتَّاحُ) الْقَاضِيْ (افْتَحْ بَيْنَنَا) اقْضِ بَيْنَنَا (نَتَقْنَاالْجَبَلَ) رَفَعْنَا (انْبَجَسَتْ) انْفَجَرَتْ (مُتَبَّرٌ) خُسْرَانٌ (آسَى) أَحْزَنُ تَأْسَ تَحْزَنْ وَقَالَ غَيْرُهُ (مَا مَنَعَكَ أَنْ لَّا تَسْجُدَ) يَقُوْلُ مَا مَنَعَكَ أَنْ تَسْجُدَ (يَخْصِفَانِ) أَخَذَا الْخِصَافَ مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ يُؤَلِّفَانِ الْوَرَقَ يَخْصِفَانِ الْوَرَقَ بَعْضَهُ إِلَى بَعْضٍ (سَوْاٰتِهِمَا) كِنَايَةٌ عَنْ فَرْجَيْهِمَا (وَمَتَاعٌ إِلٰى حِيْنٍ) هُوَ هَا هُنَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَالْحِيْنُ عِنْدَ الْعَرَبِ مِنْ سَاعَةٍ إِلَى مَالَا يُحْصَى عَدَدُهُ الرِّيَاشُ وَالرِّيْشُ وَاحِدٌ وَهْوَ مَا ظَهَرَ مِنْ اللِّبَاسِ (قَبِيْلُهُ) جِيْلُهُ الَّذِيْ هُوَ مِنْهُمْ (ادَّارَكُوْا) اجْتَمَعُوْا وَمَشَاقُّ الإِنْسَانِ وَالدَّابَّةِ كُلُّهَا يُسَمَّى سُمُوْمًا وَاحِدُهَا سَمٌّ وَهِيَ عَيْنَاهُ وَمَنْخِرَاهُ وَفَمُهُ وَأُذُنَاهُ وَدُبُرُهُ وَإِحْلِيْلُهُ (غَوَاشٍ) مَا غُشُّوْا بِهِ (نُشُرًا)مُتَفَرِّقَةً (نَكِدًا) قَلِيْلًا (يَغْنَوْا) يَعِيْشُوْا (حَقِيْقٌ) حَقٌّ (اسْتَرْهَبُوْهُمْ)مِنْ الرَّهْبَةِ (تَلَقَّفُ) تَلْقَمُ (طَآئِرُهُمْ) حَظُّهُمْ (طُوْفَانٌ) مِنْ السَّيْلِ وَيُقَالُ لِلْمَوْتِ الْكَثِيْرِ الطُّوْفَانُ (الْقُمَّلُ) الْحُمْنَانُ يُشْبِهُ صِغَارَ الْحَلَمِ (عُرُوْشٌ) وَعَرِيْشٌ بِنَاءٌ سُقِطَ كُلُّ مَنْ نَدِمَ فَقَدْ (سُقِطَ) فِيْ يَدِهِ الْأَسْبَاطُ قَبَائِلُ بَنِيْ إِسْرَائِيْلَ (يَعْدُوْنَ) فِي السَّبْتِ يَتَعَدَّوْنَ لَهُ يُجَاوِزُوْنَ تَجَاوُزٌ بَعْدَ تَجَاوُزٍ تَعْدُ تُجَاوِزْ (شُرَّعًا) شَوَارِعَ (بَئِيْسٍ) شَدِيْدٍ (أَخْلَدَ إِلَى الْأَرْضِ) قَعَدَ وَتَقَاعَسَ (سَنَسْتَدْرِجُهُمْ)أَيْ نَأْتِيْهِمْ مِنْ مَأْمَنِهِمْ كَقَوْلِهِ تَعَالَى (فَأَتَاهُمُ اللهُ مِنْ حَيْثُ لَمْ يَحْتَسِبُوْا)

(مِنْ جِنَّةٍ) مِنْ جُنُوْنٍ (أَيَّانَ مُرْسَاهَا) مَتَى خُرُوْجُهَا (فَمَرَّتْ) بِهِ اسْتَمَرَّ بِهَا الْحَمْلُ فَأَتَمَّتْهُ (يَنْزَغَنَّكَ) يَسْتَخِفَّنَّكَ طَيْفٌ مُلِمٌّ بِهِ لَمَمٌ وَيُقَالُ (طَائِفٌ) وَهُوَ وَاحِدٌ (يَمُدُّوْنَهُمْ) يُزَيِّنُوْنَ (وَخِيْفَةً) خَوْفًا وَخُفْيَةً مِنَ الإِخْفَاءِ (وَالْآصَالُ) وَاحِدُهَا أَصِيْلٌ وَهُوَ مَا بَيْنَ الْعَصْرِ إِلَى الْمَغْرِبِ كَقَوْلِهِ بُكْرَةً وَأَصِيْلًا.

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন; وَرِيَاشًا- সম্পদ, إِنَّه لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِيْنَ- তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের ভালবাসতেন না, দু’আ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে, عَفَوْا- তারা সংখ্যাধিক্য হয় এবং তাদের সম্পত্তি প্রাচুর্য লাভ করে, الْفَتَّاحُ-বিচারক, افْتَحْ بَيْنَنَا-আমাদের মাঝে ফয়সালা করে দিন। نَتَقْنَا الْجَبَلَ-উপরে তুলেছি পর্বত, انْبَجَسَتْ- প্রবাহিত হয়েছে,مُتَبَّرٌ-ক্ষতিগ্রস্ত, آسَى-আমি আক্ষেপ করি, تَأْسَ- আক্ষেপ করবে, অন্যজন বলেছেন أَنْ لَّا تَسْجُدَ- সিজদা করতে, يَخْصِفَانِ-তাঁরা উভয়ে সেলাই করে জোড়া লাগাচ্ছিলেন, مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ-বেহেশতের পাতা, উভয়ে সংগ্রহ করেছিলেন এবং পাতা একটা অন্যটার সঙ্গে সেলাই করে জোড়া লাগাচ্ছিলেন, سَوْآتِهِمْ-তাঁদের যৌনাঙ্গ, وَمَتَاعٌ إِلٰى حِيْنٍ-এখন থেকে ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) পর্যন্ত, আরবদের ভাষায় حِيْنُবলা হয় একটি নির্দিষ্ট সময় থেকে অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত, الرِّيَاشُوَالرِّيْشُ-একই অর্থাৎ পোশাকের বহিরাংশ, قَبِيْلُهُ- তার দল সে যে দলের অন্তর্ভুক্ত। ادَّارَكُوْاএকত্রিত হল। মানুষ এবং অন্যান্য জন্তুর ছিদ্রসমূহকে سُمُوْمٌবলা হয়, এর একবচন سُمُمٌّসেগুলো চক্ষুদ্বয়, নাসারন্ধ্র, মুখ, দু’টি কান, বাহ্য পথ স্রাবনালী, غَوَاشٌ-আচ্ছাদন, نُشُرًا-বিক্ষিপ্ত, نَكِدًا-স্বল্প পরিমাণ, يَغْنَوْا-জীবন যাপন করেন, حَقِيْقٌহক ও উপযুক্ত, যোগ্য, اسْتَرْهَبُوْهُمْ-তাদেরকে আতংকিত করল, رَهْبَةٌ-থেকে উৎপন্ন, تَلَقَّفُ-গো গ্রাসে গিলে ফেলা, طَآئِرُهُمْ-তাদের ভাগ্য, বন্যা, طُوْفَانٌ-বন্যা অধিক হারে মৃত্যুকে ও طُوْفَانٌবলা হয়, الْقُمَّلُ উকুন, عُرُوْشٌ-عَرِيْشٌ- অট্টালিকা, سُقِطَযারা অপমানিত হয় তাদেরকে বলা হয় سُقِطَ فِيْيَدِهِ। أَلَاسْبَاطُ-নবী ইসরাঈলের গোত্রসমূহ, يَعْدُوْنَও يَتَعَدَّوْنَ-সীমালঙ্ঘন করে; تَعَدَّوْ-সীমালঙ্ঘন করেছে, شُرَّعًا- প্রকাশ্যভাবে, بَئِيْسٍ- কঠোর, أَخْلَدَ-বসে থাকল এবং পেছনে পড়ল, سَنَسْتَدْرِجُهُمْ- তাদের নিরাপদ স্থান থেকে তাদেরকে এসে ক্রমে বের করে আনবে, যেমন فَأَتَاهُمُاللهُ مِنْ حَيْثُ لَمْ يَحْتَسِبُوْا-তাদেরকে আল্লাহ এমন শাস্তি দিলেন যা তারা ধারণা করেনি। مِنْجِنَّةٍ-উন্মাদনা, কখন তাদেরকে পুনরায় বের করা হবে? فَمَرَّتْ بِهِ- তাঁর গর্ভ অটুটু থাকল এরপর সেটাকে পূর্ণতা দান করলে, يَنْزَغَنَّكَ يَسْتَخِفَّنَّكَ-তোমাকে কু-মন্ত্রণা দেয়া, طَيْفٌ-আগত সংযোগযোগ্য, طَيْفٌ এবং طَائِفٌ এক রকম, يَمُدُّوْنَهُمْ-অলংকৃত করে, خِيْفَةٌ- ভয়, خُفْيَةٌ শব্দটি إِخْفَاءٌ থেকে নির্গত অর্থ গোপন করা, وَالْآصَالُ একবচনে أَصِيْلٌ-আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়, যেমন আল্লাহর বাণী بُكْرَةً وَّأَصِيْلًا সকাল-সন্ধ্যা।


৪৬৩৭. ’আমর ইবনু মুররাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ ওয়ায়িলকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি এটা ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ এবং তিনি এটাকে মারফু’ হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অন্যায়কে ঘৃণাকারী আল্লাহর তুলনায় অন্য কেউ নেই, এজন্যেই তিনি প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যাবতীয় অশ্লীলতা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন, আবার আল্লাহর চেয়ে প্রশংসা-প্রীতি অন্য কারো নেই, তাই তিনি নিজে নিজের প্রশংসা করেছেন। [৪৬৩৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪২৭৯)

بَاب قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ :{قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيْ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ}

سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ أَبِيْ وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قُلْتُ أَنْتَ سَمِعْتَ هَذَا مِنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ نَعَمْ وَرَفَعَهُ قَالَ لَا أَحَدَ أَغْيَرُ مِنْ اللهِ فَلِذَلِكَ حَرَّمَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَلَا أَحَدَ أَحَبُّ إِلَيْهِ الْمِدْحَةُ مِنْ اللهِ فَلِذَلِكَ مَدَحَ نَفْسَهُ.


Narrated `Abdullah bin Mas`ud: Allah's Messenger (ﷺ) said, "None has more sense of ghaira than Allah, and for this He has forbidden shameful sins whether committed openly or secretly, and none loves to be praised more than Allah does, and this is why He Praises Himself."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. গরুর যাকাত আদায় প্রসঙ্গে

৬২৪। আমর ইবনু মুররা (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আবু উবাদাকে আমি প্রশ্ন করলাম, আব্দুল্লাহর নিকট হতে তিনি কি কোন কিছু বর্ণনা করেন? তিনি বললেন, না।

– আবূ উবাইদাহ হতে সূত্রটি সহীহ, আর তিনি হলেন আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদের ছেলে।

باب مَا جَاءَ فِي زَكَاةِ الْبَقَرِ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ قَالَ سَأَلْتُ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ هَلْ تَذْكُرُ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ شَيْئًا قَالَ لاَ ‏.‏


Muhammad bin Bash-shar (Al-Abdi) narrated to us, : Muhammad bin Ja'far narrated to us, from Shu'bah, from Amr bin Murrah who said: "I asked Abu Ubaidah bin Abdullah: 'Did you remember anything from Abdullah?' He said, 'No'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. দুব্বা, নাকীর ও হানতামে নাবীয বানানো মাকরূহ

১৮৬৮। আমর ইবনু মুররা (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি যাযানকে বলতে শুনেছি, ইবনু উমার (রাঃ)-কে আমি প্রশ্ন করলাম, কোন কোন ধরণের পাত্র ব্যবহার করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারণ করেছেন এ বিষয়ে আমাকে আপনাদের ভাষায় জানিয়ে দিন এবং তা আমাদের ভাষায় ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিন।

তিনি বললেন, ৱাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’হানতামাহ’ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। এটা মাটি দ্বারা বানানো এক প্রকার সবুজ কলস।

সুব্বা ব্যবহার করতেও তিনি নিষেধ করেছেন। এটা কদুর খোল দ্বারা ৱানানো পাত্রবিশেষ।

তিনি ’নাকীর’-এর ব্যবহারকেও নিষেধ করেছেন। এটা খেজুর গাছের মূল-কাণ্ড খুঁড়ে বানানো কাঠের পাত্রবিশেষ।

তিনি মুযাফফাত ব্যবহার করতেও নিষেধ করেছেন। এটা আলকাতরার প্রলেপযুক্ত পাত্রবিশেষ। তিনি মশকের মধ্যে নবীয বানানোর আদেশ করেছেন।

সহীহ, সহীহা (২৯৫১), মুসলিম

উমার, আলী, ইবনু আব্বাস, আবূ সাঈদ, আবূ হুরাইরা, আবদুর রাহমান ইবনু ইয়ামার, সামুরা, আনাস, আইশা, ইমরান ইবনু হুসাইন, আইয ইবনু আমর, হাকাম আল-গিফারী ও মাইমূনা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ أَنْ يُنْبَذَ فِي الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالنَّقِيرِ ‏

حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ زَاذَانَ، يَقُولُ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ عَمَّا نَهَى عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَوْعِيَةِ أَخْبِرْنَاهُ بِلُغَتِكُمْ وَفَسِّرْهُ لَنَا بِلُغَتِنَا ‏.‏ فَقَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْحَنْتَمَةِ وَهِيَ الْجَرَّةُ وَنَهَى عَنِ الدُّبَّاءِ وَهِيَ الْقَرْعَةُ وَنَهَى عَنِ النَّقِيرِ وَهُوَ أَصْلُ النَّخْلِ يُنْقَرُ نَقْرًا أَوْ يُنْسَحُ نَسْحًا وَنَهَى عَنِ الْمُزَفَّتِ وَهِيَ الْمُقَيَّرُ وَأَمَرَ أَنْ يُنْبَذَ فِي الأَسْقِيَةِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْمُرَ وَسَمُرَةَ وَأَنَسٍ وَعَائِشَةَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَعَائِذِ بْنِ عَمْرٍو وَالْحَكَمِ الْغِفَارِيِّ وَمَيْمُونَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Narrated Zadhan: "I asked Ibn 'Umar about what containers the Messenger of Allah (ﷺ) prohibited. He informed us in your language, and he explained it to us in our language. He said: "The Messenger of Allah (ﷺ) prohibited Al-Hantamah, and it is an earthenware container, and he prohibited Ad-Dubba', and it is gourd, and he prohibited An-Naqir, and it is the trunk of a date-palm that is hollowed out or carved, and he prohibited Al-Muzaffat, and it is coated with pitch. And he ordered that Nabidh be prepared in water-skins." He said: There are narrations on this topic from 'Umar, 'Ali, Ibn 'Abbas, Abu Sa'eed, Abu Hurairah, 'Abdur-Rahman bin Ya'mur, Samurah, Anas, 'Aishah, 'Imran bin Husain, 'A'idh bin 'Amr, Al-Hakam Al-Ghifari, and Maimunah. [Abu 'Eisa said:] This Hadith is Hasan Sahih.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯৬. (আল্লাহ তা’আলা সর্বাধিক আত্মমর্যাদাবোধের অধিকারী)

৩৫৩০। আমর ইবনু মুররাহ (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আবূ ওয়ায়িল (রাহঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি, আমি আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি। আমর বলেন, আবূ ওয়ায়িলকে আমি প্রশ্ন করলাম, আপনি কি সত্যিই এ হাদীস আবদুল্লাহ (রাযিঃ)-এর কাছে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ এবং তিনি তা মারফুরূপে রিওয়ায়াত করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলার চেয়ে বেশি আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন আর কেউ নেই। এ কারণেই তিনি প্রকাশ্য ও লুকায়িত সর্বপ্রকার অশ্লীলতাকে হারাম করেছেন। আল্লাহ তা’আলার চাইতে বেশি প্রশংসাপ্রিয় আর কেউ নেই। এজন্যই নিজের প্রশংসা তিনি নিজেই করেছেন।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ এই সনদ সূত্রে গারীব।

باب

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ قُلْتُ لَهُ أَأَنْتَ سَمِعْتَهُ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَعَمْ ‏.‏ وَرَفَعَهُ أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ لاَ أَحَدَ أَغْيَرُ مِنَ اللَّهِ وَلِذَلِكَ حَرَّمَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَلاَ أَحَدَ أَحَبُّ إِلَيْهِ الْمَدْحُ مِنَ اللَّهِ وَلِذَلِكَ مَدَحَ نَفْسَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏


`Amr bin Murrah said: “I heard Abu Wa’il say: ‘`Abdullah bin Mas`ud said’ and I said to him: ‘Did you hear it from `Abdullah?’ He said: ‘Yes.’ And he narrated it in Marfu` form that he said: ‘There is none with more Ghirah than Allah, and due to this He prohibited the lewd sins, that which is apparent of them and that which is hidden. And there is none to whom praise is more beloved than Allah, and due to this, He praised Himself.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. ধীরস্থিরতার সাথে কিরআত পড়া, অতি দ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং এক রাকাআতে দুই ও ততোধিক সূরাহ সংযোজনের বৈধতা

১৭৯৮-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... ’আমর ইবনু মুররাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) কে বর্ণনা করতে শুনেছেন যে, জনৈক ব্যক্তি ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) এর নিকট এসে বলল, আমি আজ রাতে সমস্ত মুফাসসাল সূরাহ সালাতের এক রাকাআতেই পড়েছি। আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, কবিতা আবৃত্তির ন্যায় দ্রুত গতিতে। আবদুল্লাহ (রাযিঃ) আরো বলেন, আমি অবশ্যই সেসব দৃষ্টান্ত অবহিত আছি, যেসব সূরাহ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একত্রে মিলিয়ে পড়তেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি মুফাসসাল সূরাহগুলো থেকে বিশটি সূরার উল্লেখ করলেন, যার দু’টি করে সূরাহ প্রতি রাকাআতে পড়া হত। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৭৮৩, ইসলামীক সেন্টার ১৭৯০)

باب تَرْتِيلِ الْقِرَاءَةِ وَاجْتِنَابِ الْهَذِّ وَهُوَ الإِفْرَاطُ فِي السُّرْعَةِ وَإِبَاحَةِ سُورَتَيْنِ فَأَكْثَرَ فِي الرَّكْعَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا وَائِلٍ، يُحَدِّثُ أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى ابْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ إِنِّي قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ اللَّيْلَةَ كُلَّهُ فِي رَكْعَةٍ ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَقَدْ عَرَفْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرُنُ بَيْنَهُنَّ - قَالَ - فَذَكَرَ عِشْرِينَ سُورَةً مِنَ الْمُفَصَّلِ سُورَتَيْنِ سُورَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ ‏.‏


Abu Wa'il reported: A person came to 'Abdullah b. Mas'ud and said: I recited all the mufassal surahs in one rak'ah during the night. 'Abdullah said: You must have recited hastily like the recitation of poetry. 'Abdullah said: I remember well the manner in which the Messenger of Allah (ﷺ) used to combine them, and he then mentioned twenty of the mufassal surahs, and (their combinations in) two in every rak'ah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৪. জানাযাহ যেতে দেখে দাঁড়িয়ে যাওয়া

২১১৪-(৮১/৯৬১) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ, মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... আমর ইবনু মুররাহ ইবনু আবূ লায়লার সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, কায়স ইবনু সা’দ ও সাহল ইবনু হুনায়ফ (রাযিঃ) কাদিসিয়্যাতে ছিলেন। তাদের কাছ দিয়ে একটা জানাযাহ অতিক্রম করলে তারা উভয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। তাদেরকে বলা হ’ল, এটা তো অত্র এলাকার (এক অমুসলিমের) লাশ। তারা বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ দিয়ে একটি জানাযাহ অতিক্রম করলে তিনি দাঁড়িয়ে যান। তখন কেউ তাকে বলল, এটা এক ইয়াহুদীর লাশ! তিনি বললেনঃ সেকি একটি প্রাণী নয়? (ইসলামী ফাউন্ডেশন ২০৯৩, ইসলামীক সেন্টার ২০৯৭)

باب الْقِيَامِ لِلْجَنَازَةِ ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، أَنَّ قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ، وَسَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ، كَانَا بِالْقَادِسِيَّةِ فَمَرَّتْ بِهِمَا جَنَازَةٌ فَقَامَا فَقِيلَ لَهُمَا إِنَّهَا مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ ‏.‏ فَقَالاَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّتْ بِهِ جَنَازَةٌ فَقَامَ فَقِيلَ إِنَّهُ يَهُودِيٌّ ‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ أَلَيْسَتْ نَفْسًا ‏"‏


It is narrated on the authority of Ibn Abu Laila that while Qais b. Sa'd and Sahl b. Hunaif were both in Qadislyya a bier passed by them and they both stood up. They were told that it was the bier of one of the people of the land (non-Muslim). They said that a bier passed before the Prophet (ﷺ) and he stood up. He was told that he (the dead man) was a Jew. Upon this he remarked: Was he not a human being or did he not have a soul?


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৪. জানাযাহ যেতে দেখে দাঁড়িয়ে যাওয়া

২১১৫-(.../...) কাসিম ইবনু যাকারিয়্যা (রহঃ) ..... আমর ইবনু মুররাহ (রহঃ) থেকে এ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। অতঃপর তারা বললেন, আমরা একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। এমন সময় আমাদের নিকট দিয়ে একটি লাশ অতিক্রম করল। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ২০৯৪, ইসলামীক সেন্টার ২০৯৮)

باب الْقِيَامِ لِلْجَنَازَةِ ‏‏

وَحَدَّثَنِيهِ الْقَاسِمُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَفِيهِ فَقَالاَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَرَّتْ عَلَيْنَا جَنَازَةٌ


And in the hadith narrated by 'Amr b. Murra with the same chain of transmitters, (the words) are:" There passed a bier before us."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জনগণের প্রতি শাসকের সহনশীলতা প্রদর্শন করা

৩৭২৮-[৭] ’আমর ইবনু মুররাহ্(রহঃ) হতে বর্ণিত। একদিন তিনি মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)-কে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা মুসলিমদের মধ্যে যে ব্যক্তিকে কোনো কাজের দায়িত্বে নিযুক্ত করেন, আর সে তাদের প্রয়োজন, চাহিদা ও অভাব-অভিযোগের প্রতি পরোয়া করে না (গাফিল থাকে); আল্লাহ তা’আলাও তার প্রয়োজন, চাহিদা ও অভাব-অভিযোগ (মিটানো) থেকে আড়ালে থাকেন। অতঃপর মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) মানুষের প্রয়োজন ও অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য একজন লোক নিয়োগ করেন। (আবূ দাঊদ ও তিরমিযী)[1]

তিরমিযী’র অপর এক বর্ণনা ও আহমাদ-এর বর্ণনাতে আছে, আল্লাহ তা’আলা ঐ শ্রেণীর লোকের চাহিদা, প্রয়োজন ও অভাব মোচনের ব্যাপারে আকাশমন্ডলীর সমস্ত দরজা বন্ধ করে দিবেন।

عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ أَنَّهُ قَالَ لِمُعَاوِيَةَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: « (مَنْ وَلَّاهُ اللَّهُ شَيْئًا مِنْ أَمْرِ الْمُسْلِمِينَ فَاحْتَجَبَ دُونَ حَاجَتِهِمْ وَخَلَّتِهِمْ وَفَقْرِهِمُ احْتَجَبَ اللَّهُ دُونَ حَاجَتِهِ وَخَلَّتِهِ وَفَقْرِهِ» . فَجَعَلَ مُعَاوِيَةُ رَجُلًا عَلَى حَوَائِجِ النَّاسِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ وَلِأَحْمَدَ: «أَغْلَقَ اللَّهُ لَهُ أَبْوَابَ السَّمَاءِ دُونَ خَلَّتِهِ وَحَاجَّتِهِ وَمَسْكَنَتِهِ»

ব্যাখ্যা: (احْتَجَبَ اللّٰهُ دُوْنَ حَاجَتِه وَخَلَّتِه وَفَقْرِه) অর্থাৎ যদি কোনো নেতা তার অধিনস্থদের খোঁজখবর না নেয় তাহলে আল্লাহ তা‘আলাও তাকে তার ধর্মীয় এবং পার্থিব চাওয়া-পাওয়া পূর্ণ করবেন না, ফলে সে তার জরুরী প্রয়োজনগুলো পূর্ণ করার কোনো পথ খুঁজে পাবে না। এ বিষয়টির স্বপক্ষে আরো একটি হাদীস রয়েছে যা ইমাম ত্ববারানী ইবনু ‘উমার থেকে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণনা করেছেন, مَنْ وَلِيَ شَيْئًا مِنْ أُمُورِ الْمُسْلِمِينَ لَمْ يَنْظُرِ اللّٰهُ فِي حَاجَتِهِ حَتّٰى يَنْظُرَ فِي حَوَائِجِهِمْ অর্থাৎ যে কেউ মুসলিমদের কোনো বিষয়ের দায়িত্বশীল হবেন আল্লাহ তার প্রয়োজন মিটাবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত সে তাদের প্রয়োজন না মিটায়।

কাযী ‘ইয়ায বলেনঃ ‘নেতা তার অধিনস্থদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে’ এ কথার অর্থ হলো যে গরীব, দুস্থ, নিঃস্বরা তার নিকট তাদের আবেদন নিয়ে আসতে চাইলে সে আসতে দিবে না বরং বাধার সৃষ্টি করবে এবং তাদের আবেদন মঞ্জুর না করে কঠিন করবে। ফলে আল্লাহ তা‘আলা ও তার জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন-এর অর্থ হলো আল্লাহ তার দু‘আ কবুল করবেন না তার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে দিবেন।

হাদীসে উল্লেখিত তিনটি শব্দ الفقر، الخلة، الحاجة এ তিনটি শব্দের অর্থ প্রায় কাছাকাছি একটু সূক্ষ্ম পার্থক্য আর তা হলো حاجة বলা হয় যা প্রয়োজন তবে তা না হলে কোনো কাজই সম্ভব নয় এমন পর্যায়ভুক্ত না, الخلة-ও ঠিক তাই তবে একটু পার্থক্য হলো মাঝে মধ্যে الخلة আবশ্যকীয় ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় অর্থাৎ তা অর্জিত না হলে জীবনধারণই সম্ভব নয়। আর الفقر হচ্ছে যা অতি আবশ্যক অর্থাৎ তা না হলে জীবনধারণই সম্ভব নয়, এ শব্দটি فقاره শব্দ থেকে গৃহীত আর فقار অর্থ হলো মেরুদণ্ডের হাড়। মেরুদণ্ডবিহীন যেমন জীবন চলে না তেমনি فقر হচ্ছে এমন প্রয়োজন যা না হলে জীবন চলে না। এজন্য ফাকীরের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে الَّذِي لَا شَيْءَ لَه أَصْلا অর্থাৎ মূলত যার কিছু নেই। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাকীরত্ব থেকে আশ্রয় চেয়েছেন। তবে এখানে সবচেয়ে স্পষ্ট কথা হলো শব্দ তিনটি «أَلْفَاظٌ مُتَقَارِبَةٌ» তথা পরস্পর নিকটবর্তী অর্থজ্ঞাপক শব্দাবলীর অন্তর্গত। বিষয়টিকে জোড়ালোভাবে তুলে ধরার জন্য এরূপ একই অর্থজ্ঞাপক একাধিক শব্দের প্রয়োগ করা হয়েছে। (‘আওনুল মা‘বুদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৯৪৬; তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৩৩২; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৬. যে লোক আল্লাহর কালেমাকে সমুন্নত করার উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করে

২৫১৮। ’আমর ইবনু মুররাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ ওয়াইলের নিকট এমন একটি হাদীস শুনেছি, যা আমাকে হতবাক করেছে ... অতঃপর বাকী অংশ উপরের হাদীসের অনুরূপ।[1]

بَابُ مَنْ قَاتَلَ لِتَكُونَ كَلِمَةُ اللَّهِ هِيَ الْعُلْيَا

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرٍو، قَالَ: سَمِعْتُ مِنْ أَبِي وَائِلٍ، حَدِيثًا أَعْجَبَنِي فَذَكَرَ مَعْنَاهُ

صحيح


‘Amr said “I heard from Abu Wa’il a tradition which surprised me, he then narrated the tradition to the same effect (as mentioned before).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭৫: এক রাক’আতে দু’ সূরাহ্ পাঠ করা

১০০৫. ইসমাঈল ইবনু মাস’উদ (রহ.) ..... আমর ইবনু মুররাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ ওয়ায়িল-কে বলতে শুনেছি, ’আবদুল্লাহর নিকট এক ব্যক্তি বলল, আমি এক রাক’আতে মুফাসসাল (সূরাসমূহ) পড়েছি। তিনি বললেন, কবিতার ন্যায় তাড়াতাড়ি পড়া? রাসূলুল্লাহ (সা.) পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ যে সূরাগুলো মিলিয়ে পাঠ করতেন তা আমি জানি। এরপর তিনি মুফাস্সালের বিশটি সূরার উল্লেখ করলেন এক রাক’আতে দু’ দু’ সূরাহ্ করে।

قراءة سورتين في ركعة

أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍيَقُولُ:‏‏‏‏ قال رَجُلٌ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ:‏‏‏‏ قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ لَقَدْ عَرَفْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرُنُ بَيْنَهُنَّ فَذَكَرَ عِشْرِينَ سُورَةً مِنَ الْمُفَصَّلِ سُورَتَيْنِ سُورَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ .

تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/الأذان ۱۰۶ (۷۷۵)، صحیح مسلم/المسافرین ۴۹ (۸۲۲)، مسند احمد ۱/۴۳۶، (تحفة الأشراف: ۹۲۸۸) (صحیح)

صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1006 - صحيح

75. Reciting Two Surahs In One Rak'ah


It was narrated that 'Amr bin Murrah said: I heard Abu Wa'il say: A man said in the presence of Abdullah: 'I recited Al-Mufassal in one rak'ah.' He said: 'That is like reciting poetry. I know the similar surahs that the Messenger of Allah (ﷺ) used to recite together.' And he mentioned twenty surahs from Al-Mufassal, two by two in each rak'ah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »