পরিচ্ছেদঃ ১. মাকাতিব-এর ব্যাপারে ফয়সালা
রেওয়ায়ত ১. আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিতেন, কিতাবাত নির্ধারিত অর্থের (বা যাহার উপর কিতাবাত হইয়াছে) কিছু অংশও যতক্ষণ অবশিষ্ট থাকিবে ততক্ষণ মুকাতাব গোলাম থাকিবে।
باب الْقَضَاءِ فِي الْمُكَاتَبِ
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَقُولُ الْمُكَاتَبُ عَبْدٌ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ شَيْءٌ
Malik related to me from Nafi that Abdullah ibn Umar said, "A mukatab is a slave as long as any of his kitaba remains to be paid."
পরিচ্ছেদঃ ১. মাকাতিব-এর ব্যাপারে ফয়সালা
রেওয়ায়ত ২. মালিক (রহঃ) বলেনঃ উরওয়াহ ইবন যুবাইর (রহঃ) সুলায়মান ইবন ইয়াসার (রাঃ) উভয়ে বলিতেন: কিতাবাতের কিছু অংশ যতক্ষণ অবশিষ্ট থাকিবে ততক্ষণ মাকাতিব থাকিয়া যাইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমার মতও তাই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি মাকাতিবের মৃত্যু হয় এবং “বদল-এ কিতাবাত” হইতে যে পরিমাণ (আদায় করা) তাহার জিম্মায় রহিয়াছে ততোধিক মাল যে রাখিয়া যায়, আর তাহার সন্তানাদি থাকে যাহারা কিতাবাত হওয়ার পরও উহার সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পর জনিয়াছে অথবা উহাদেরসহ কিতাবাত অনুষ্ঠিত হইয়াছে তবে কিতাবাতের (নির্ধারিত) মাল শোধ করার পর যাহা অবশিষ্ট থাকিবে উহার উত্তরাধিকারী তাহারা হইবে।
باب الْقَضَاءِ فِي الْمُكَاتَبِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ كَانَا يَقُولَانِ الْمُكَاتَبُ عَبْدٌ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ شَيْءٌ قَالَ مَالِك وَهُوَ رَأْيِي قَالَ مَالِك فَإِنْ هَلَكَ الْمُكَاتَبُ وَتَرَكَ مَالًا أَكْثَرَ مِمَّا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ وَلَهُ وَلَدٌ وُلِدُوا فِي كِتَابَتِهِ أَوْ كَاتَبَ عَلَيْهِمْ وَرِثُوا مَا بَقِيَ مِنْ الْمَالِ بَعْدَ قَضَاءِ كِتَابَتِهِ
Malik related to me that he had heard that Urwa ibn az-Zubayr and Sulayman ibn Yasar said, "The mukatab is a slave as long as any of his kitaba remains to be paid."
Malik said, "This is my opinion as well."
Malik said, "If a mukatab dies and leaves more property than what remains to be paid of his kitaba and he has children who were born during the time of his kitaba or whose kitaba has been written as well, they inherit any property that remains after the kitaba has been paid."
পরিচ্ছেদঃ ১. মাকাতিব-এর ব্যাপারে ফয়সালা
রেওয়ায়ত ৩. হুমায়দ ইবন কায়স মক্কী (রহঃ) হইতে বর্ণিত, ইবনুল মুতাওয়াক্কিল এর একজন মাকাতিব মক্কাতে মারা যায় এবং সে রাখিয়া যায় তাহার বদল-এ কিতাবাত-এর অবশিষ্ট এবং লোকের অনেক ঋণ। আরও রাখিয়া যায় তাহার এক কন্যাকে। মক্কার শাসনকর্তা এই ব্যাপারে ফয়সালা করিতে যাইয়া মুশকিলে পড়েন। (কারণ হুকুম তাহার জানা ছিল না) তাই তিনি এই ব্যাপারে প্রশ্ন করিয়া পত্র লিখিলেন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের নিকট। আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান তাহার নিকট (উত্তরে) লিখিলেন, প্রথমে লোকের ঋণ পরিশোধ কর, তারপর "বদল-এ কিতাবাত"-এর বাকী অংশ পরিশোধ কর। অতঃপর তাহার যাহা অবশিষ্ট রহিল উহা তাহার কন্যা ও কর্তার মধ্যে বন্টন করিয়া দাও।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের মতে ক্রীতদাস কিতাবাতের প্রার্থনা জানাইলে কর্তার জন্য উহার সহিত কিতাবাতের চুক্তি করা জরুরী নহে এবং কোন ইমামকে ইহা জরুরী বলিয়া মত প্রকাশ করিতে আমি শুনি
নাই। কোন কোন আলিমকে যখন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হইল এবং (কিতাবাত জরুরী হওয়ার প্রমাণ স্বরূপ) তাঁহাকে বলা হইল আল্লাহ তা’আলা কুরআনুল করীমে ইরশাদ করিয়াছেনঃ
فَكَاتِبُوهُمْ إِنْ عَلِمْتُمْ فِيهِمْ خَيْرًا
অর্থাৎ তাহাদিগের সহিত চুক্তিতে আবদ্ধ হও, যদি তোমরা জান উহাদিগের মুক্তিদানে কল্যাণ আছে। (সূরা আন-নূর : ৩৩)
আমি শুনিয়াছি তিনি (উত্তরে) তিনি (পরে উল্লেখিত) এই আয়াতদ্বয় তিলাওয়াত করিলেনঃ
وَإِذَا حَلَلْتُمْ فَاصْطَادُوا
অর্থাৎ যখন তোমরা ইহরাম মুক্ত হইবে শিকার করিতে পার। (সূরা মায়িদাঃ ২)
فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلاَةُ فَانْتَشِرُوا فِي الأَرْضِ وَابْتَغُوا مِنْ فَضْلِ اللَّهِ
অর্থাৎ সালাত সমাপ্ত হইলে তোমরা বাহির হইয়া পড়িবে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করিবে। (সূরা জুমু’আঃ ১০)
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহা একটি হুকুম, আল্লাহ তা’আলা লোকদিগকে ইহার অনুমতি দিয়াছেন ইহা তাহাদের জন্য ওয়াজিব নহে।
মালিক (রহঃ) বলেন, কোন কোন আলিম ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তা’আলার বাণী (وَآتُوهُمْ مِنْ مَالِ اللَّهِ الَّذِي آتَاكُمْ) “আল্লাহ তোমাদিগকে যে সম্পদ দিয়াছেন তাহা হইতে তোমরা উহাদিগকে দান করিবে।” (সূরা আন-নূরঃ ৩৩) সম্পর্কে বলিতে আমি শুনিয়াছি, ইহা এই যে, কোন ব্যক্তি গোলামের সহিত কিতাবাত করিয়াছে, কিতাবাতের সময় শেষ হইয়া আসিলে ক্রীতদাস হইতে প্রাপ্য অংশের নির্দিষ্ট কিছু কমাইয়া দেওয়া।
মালিক (রহঃ) বলেন-“আহল ইলম”-এর নিকট হইতে (এই ব্যাপারে) আমি যাহা শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই অতি উত্তম। আমি মদীনার লোকদেরকে এইরূপ আমল করিতে দেখিয়াছি।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) তাহার এক ক্রীতদাসের সহিত পয়ত্রিশ হাজার দিরহামের বিনিময়ে মুকাতাবাত করিয়াছিলেন, অতঃপর কিতাবাতের শেষের দিকে পাঁচ হাজার দিরহাম কমাইয়া দিলেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা এই, মুকাতাব গোলামের সহিত তাহার কর্তা কিতাবাত চুক্তি করিলে গোলামের মাল তাহারই গোলামের থাকিবে। কিন্তু সন্তানগণ তাহার অধিকারে থাকিবে না। যদি কিতাবাত করার সময় সন্তানগণ গোলামের অধিকারে থাকিবে বলিয়া শর্ত করিয়া থাকে তবে অন্য কথা।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে মাকাতিবের সহিত তাহার কর্তা কিতাবাত চুক্তি করিয়াছে চুক্তিকালে তাহার (ক্রীতদাসের) একটি দাসী ছিল, যে দাসী তাহার দ্বারা অন্তঃসত্ত্বা হইয়াছে। অথচ তখন ইহা গোলাম ও তাহার কর্তা কাহারও জানা ছিল না। তবে সে সন্তান ক্রীতদাসের হইবে না। কারণ কিতাবাত চুক্তিতে এই সন্তানের কথা শামিল ছিল না। ফলে এই সন্তান কর্তার অধিকারে থাকিবে। পক্ষান্তরে ক্রীতদাসটি (সন্তানের জননী) গোলামের মালিকানায় থাকিবে। কারণ উহা তাহারই সম্পদ।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি তাহার স্ত্রীর পক্ষ হইতে মীরাস সূত্রে একটি মুকাতাব গোলাম লাভ করিয়াছে, সে এবং তাহারা উভয়ে "বদল-এ কিতাবাত" পরিশোধ করার পূর্বে যদি উহার মৃত্যু হয় তবে তাহারা উভয়ে কুরআনে বর্ণিত মীরাস আইন অনুযায়ী পরস্পর মীরাস বন্টন করিয়া লইবে। আর যদি “বদল-এ কিতাবাত” পরিশাধ করার পর উহার মৃত্যু হয় তবে উহার মীরাস লাভ করিবে (স্ত্রীর) পুত্র, উহার মীরাসে স্বামীর কোন হক থাকিবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে মাকাতিব তাহার ক্রীতদাসের সহিত কিতাবাত চুক্তি করিয়াছে তাহার ব্যাপারে লক্ষ্য করিতে হইবে যে, যদি সে ক্রীতদাসের প্রতি উদারতা ও মমতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে ইহা করিয়া থাকে এবং উহা জানাও যায় এইভাবে যে, সে ক্রীতদাসের কিতাবাত চুক্তির নির্ধারিত অর্থ হইতে কিছু পরিমাণ অর্থ ছাড়িয়া দেয় তবে ইহা বৈধ হইবে না। আর যদি উৎসাহ, অর্থ উপার্জন ও অতিরিক্ত অনুসন্ধান এবং তাহার আযাদীর পথে মদদ লাভের উদ্দেশ্যে স্বীয় এক ক্রীতদাসের সহিত মুকাতাবাত করিয়া থাকে তবে (তাহার জন্য) ইহা বৈধ হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি নিজের মুকাতাব ক্রীতদাসীর সহিত সঙ্গম করিয়াছে, উহাতে যদি সে অন্তঃসত্ত্বা হয়, তবে উহার ইখতিয়ার থাকিবে, ইচ্ছা হইলে (কর্তার) উম্মে-ওয়ালাদ হিসাবে থাকিবে, অথবা ইচ্ছা করিলে (তাহার সাবেক) কিতাবাতের প্রতিশ্রুতি মুতাবিক অগ্রসর হইতে থাকিবে। আর যদি সে অন্তঃসত্ত্বা না হয়, তবে সে কিতাবাতের উপর বহাল থাকিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট যেই সিদ্ধান্তে মতৈক্য স্থাপিত হইয়াছে তাহা এই, যে ক্রীতদাস দুই ব্যক্তির মালিকানাতে থাকে, তাহাদের একজন ক্রীতদাস হইতে নিজের অংশে কিতাবাত চুক্তি করিতে পারিবে না, তাহার অপর শরীক ইহার অনুমতি দিক বা না দিক। তবে যদি তাহারা উভয়ে একত্রে ক্রীতদাসের সহিত কিতাবাত চুক্তি করে (তাহা বৈধ হইবে)। কারণ কিতাবাত হইল ক্রীতদাসের জন্য আযাদ লাভের চুক্তি, যাহার উপর কিতাবাত নির্ধারিত হইয়াছে-ক্রীতদাস যদি উহা পরিশোধ করে তবে ক্রীতদাস আযাদ হইয়া যাইবে। পক্ষান্তরে যে শরীক কিছু অংশের কিতাবাত করিয়াছে তাহার পক্ষে ক্রীতদাসের আযাদী পূর্ণরূপে সম্পন্ন করা জরুরী নহে। ইহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তাহার বিপরীত। (তিনি বলিয়াছেন) যে ব্যক্তি ক্রীতদাসে তাহার যে অংশ রহিয়াছে তাহা আযাদ করিয়া দেয় ন্যায়সঙ্গতভাবে তাহার উপর (অবশিষ্ট অংশের) মূল্য নির্ধারণ করা হইবে (ইহা আযাদীর ব্যাপারে প্রযোজ্য কিন্তু কিতাবাতের ব্যাপারে প্রযোজ্য নহে) ।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি এক অংশীদার কিতাবাত করিয়াছে, উহা সম্পর্কে অন্য অংশীদার জ্ঞাত নহে, মুকাতাব হইতে সে সম্পূর্ণ বদল-এ কিতাবাত (বিনিময়ের মূল্য) আদায় করিয়াছে অথবা বদল-এ কিতাবাত আদায় করে নাই, অথচ অন্য শরীক তখনও ইহা জানে না-এই অবস্থায় সেই শরীক কিতাবাতের অর্থ হইতে যাহা গ্রহণ করিয়াছে উহা ফিরাইয়া দিবে। তারপর সে এবং তাহার শরীক হিসসা মুতাবিক উহা ভাগ করিয়া লইবে এবং তাহার কিতাবাত বাতিল হইয়া যাইবে। ক্রীতদাস প্রথম অবস্থায় যেমন ক্রীতদাস ছিল এখনও উভয়ের ক্রীতদাস থাকিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে মুকাতাব ক্রীতদাস দুই কর্তার মালিকানায় রহিয়াছে। এক কর্তা ক্রীতদাসকে তাহার হকের ব্যাপারে কিছু অবকাশ দিল। অপর কর্তা অবকাশ দিতে অস্বীকার করিল। অতঃপর যে অবকাশ প্রদান করিতে অস্বীকার করিয়াছে সে তাহার কিছু হক (ক্রীতদাস হইতে) আদায় করিয়াছে। তারপর মুকাতাব-এর মৃত্যু হইল। সে যাহা মাল রাখিয়া গিয়াছে উহাতে "বদল-এক কিতাবাত" পূর্ণ হওয়ার নহে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহারা (দুই শরীক) উভয়ে ভাগ করিবে তাহদের উভয়ের হিসসা মুতাবিক। (অর্থাৎ) তাহাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ অংশ পরিমাণ গ্রহণ করিবে, আর যদি মুকাতাব “বদল-এ কিতাবাত” হইতে অতিরিক্ত মাল রাখিয়া যায়, তবে তাহদের প্রত্যেকে বদল-এ কিতাবাত-এর স্ব-স্ব হিসসা গ্রহণ করিবে, অবশিষ্ট যাহা থাকে উহা উভয়ের মধ্যে সমভাবে বন্টন করিয়া লইবে। আর যদি মুকাতাব অপারক হয়, (অপর দিকে) সেই অংশীদার অবকাশ দেয় নাই সে তাহার অপর অংশীদার অপেক্ষা অধিক (অর্থ) গ্রহণ করিয়াছে, তবে তাহাদের উভয়ের মধ্যে ক্রীতদাসের অংশ থাকিবে অর্ধেক অর্ধেক। যে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করিয়াছে সে তাহার অংশীদারকে উহা ফেরত দিবে না। কারণ সে অংশীদারের অনুমতি লইয়া তাহার প্রাপ্য হক গ্রহণ করিয়াছে। আর যদি এক অংশীদার তার প্রাপ্য অংশ মাফ করিয়া দেয় অতঃপর তাহার অপর অংশীদার ক্রীতদাস হইতে (তাহার প্রাপ্য হইতে) কিছু অংশ গ্রহণ করিয়াছে। তারপর মুকাতাব গোলাম অপারক হইয়াছে। তবে গোলাম উভয়ের মধ্যে (সমান সমান) হইবে। আর যে শরীকদার কিছু অর্থ গ্রহণ করিয়াছে সে আপন অংশীদারকে কিছুই ফেরত দিবে না। কারণ সে ক্রীতদাসের উপর তাহার যাহা প্রাপ্য ছিল উহা গ্রহণ করিয়াছে। ইহার দৃষ্টান্ত এইরূপ, দুই ব্যক্তির এক ব্যক্তির উপর ঋণ রহিয়াছে একই সূত্রে, তাহাদের একজন (খাতককে) অবকাশ দিল, অপর ব্যক্তি কৃপণতা করিল এবং তাহার কিছু প্রাপ্য উশুল করিল, তারপর (غريم) খাতক (مفلس) রিক্ত হস্ত হইয়া গেল। (এই অবস্থাতে) যে ব্যক্তি তাহার হক গ্রহণ করিয়াছে তাহাকে যাহা গ্রহণ করিয়াছে উহা হইতে (অপর ঋণ তাহার জন্য) কিছু ফিরাইয়া দিতে হইবে না।
باب الْقَضَاءِ فِي الْمُكَاتَبِ
وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ حُمَيْدِ بْنِ قَيْسٍ الْمَكِّيِّ أَنَّ مُكَاتَبًا كَانَ لِابْنِ الْمُتَوَكِّلِ هَلَكَ بِمَكَّةَ وَتَرَكَ عَلَيْهِ بَقِيَّةً مِنْ كِتَابَتِهِ وَدُيُونًا لِلنَّاسِ وَتَرَكَ ابْنَتَهُ فَأَشْكَلَ عَلَى عَامِلِ مَكَّةَ الْقَضَاءُ فِيهِ فَكَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ يَسْأَلُهُ عَنْ ذَلِكَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ عَبْدُ الْمَلِكِ أَنْ ابْدَأْ بِدُيُونِ النَّاسِ ثُمَّ اقْضِ مَا بَقِيَ مِنْ كِتَابَتِهِ ثُمَّ اقْسِمْ مَا بَقِيَ مِنْ مَالِهِ بَيْنَ ابْنَتِهِ وَمَوْلَاهُ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَيْسَ عَلَى سَيِّدِ الْعَبْدِ أَنْ يُكَاتِبَهُ إِذَا سَأَلَهُ ذَلِكَ وَلَمْ أَسْمَعْ أَنَّ أَحَدًا مِنْ الْأَئِمَّةِ أَكْرَهَ رَجُلًا عَلَى أَنْ يُكَاتِبَ عَبْدَهُ وَقَدْ سَمِعْتُ بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا سُئِلَ عَنْ ذَلِكَ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ فَكَاتِبُوهُمْ إِنْ عَلِمْتُمْ فِيهِمْ خَيْرًا يَتْلُو هَاتَيْنِ الْآيَتَيْنِ وَإِذَا حَلَلْتُمْ فَاصْطَادُوا فَإِذَا قُضِيَتْ الصَّلَاةُ فَانْتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِنْ فَضْلِ اللَّهِ قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا ذَلِكَ أَمْرٌ أَذِنَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيهِ لِلنَّاسِ وَلَيْسَ بِوَاجِبٍ عَلَيْهِمْ قَالَ مَالِك وَسَمِعْت بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُ فِي قَوْلِ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَآتُوهُمْ مِنْ مَالِ اللَّهِ الَّذِي آتَاكُمْ إِنَّ ذَلِكَ أَنْ يُكَاتِبَ الرَّجُلُ غُلَامَهُ ثُمَّ يَضَعُ عَنْهُ مِنْ آخِرِ كِتَابَتِهِ شَيْئًا مُسَمًّى قَالَ مَالِك فَهَذَا الَّذِي سَمِعْتُ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ وَأَدْرَكْتُ عَمَلَ النَّاسِ عَلَى ذَلِكَ عِنْدَنَا قَالَ مَالِك وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَاتَبَ غُلَامًا لَهُ عَلَى خَمْسَةٍ وَثَلَاثِينَ أَلْفَ دِرْهَمٍ ثُمَّ وَضَعَ عَنْهُ مِنْ آخِرِ كِتَابَتِهِ خَمْسَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا كَاتَبَهُ سَيِّدُهُ تَبِعَهُ مَالُهُ وَلَمْ يَتْبَعْهُ وَلَدُهُ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَهُمْ فِي كِتَابَتِهِ قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِي الْمُكَاتَبِ يُكَاتِبُهُ سَيِّدُهُ وَلَهُ جَارِيَةٌ بِهَا حَبَلٌ مِنْهُ لَمْ يَعْلَمْ بِهِ هُوَ وَلَا سَيِّدُهُ يَوْمَ كِتَابَتِهِ فَإِنَّهُ لَا يَتْبَعُهُ ذَلِكَ الْوَلَدُ لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ دَخَلَ فِي كِتَابَتِهِ وَهُوَ لِسَيِّدِهِ فَأَمَّا الْجَارِيَةُ فَإِنَّهَا لِلْمُكَاتَبِ لِأَنَّهَا مِنْ مَالِهِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ وَرِثَ مُكَاتَبًا مِنْ امْرَأَتِهِ هُوَ وَابْنُهَا إِنَّ الْمُكَاتَبَ إِنْ مَاتَ قَبْلَ أَنْ يَقْضِيَ كِتَابَتَهُ اقْتَسَمَا مِيرَاثَهُ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ وَإِنْ أَدَّى كِتَابَتَهُ ثُمَّ مَاتَ فَمِيرَاثُهُ لِابْنِ الْمَرْأَةِ وَلَيْسَ لِلزَّوْجِ مِنْ مِيرَاثِهِ شَيْءٌ قَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يُكَاتِبُ عَبْدَهُ قَالَ يُنْظَرُ فِي ذَلِكَ فَإِنْ كَانَ إِنَّمَا أَرَادَ الْمُحَابَاةَ لِعَبْدِهِ وَعُرِفَ ذَلِكَ مِنْهُ بِالتَّخْفِيفِ عَنْهُ فَلَا يَجُوزُ ذَلِكَ وَإِنْ كَانَ إِنَّمَا كَاتَبَهُ عَلَى وَجْهِ الرَّغْبَةِ وَطَلَبِ الْمَالِ وَابْتِغَاءِ الْفَضْلِ وَالْعَوْنِ عَلَى كِتَابَتِهِ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَهُ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ وَطِئَ مُكَاتَبَةً لَهُ إِنَّهَا إِنْ حَمَلَتْ فَهِيَ بِالْخِيَارِ إِنْ شَاءَتْ كَانَتْ أُمَّ وَلَدٍ وَإِنْ شَاءَتْ قَرَّتْ عَلَى كِتَابَتِهَا فَإِنْ لَمْ تَحْمِلْ فَهِيَ عَلَى كِتَابَتِهَا قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الْعَبْدِ يَكُونُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ إِنَّ أَحَدَهُمَا لَا يُكَاتِبُ نَصِيبَهُ مِنْهُ أَذِنَ لَهُ بِذَلِكَ صَاحِبُهُ أَوْ لَمْ يَأْذَنْ إِلَّا أَنْ يُكَاتِبَاهُ جَمِيعًا لِأَنَّ ذَلِكَ يَعْقِدُ لَهُ عِتْقًا وَيَصِيرُ إِذَا أَدَّى الْعَبْدُ مَا كُوتِبَ عَلَيْهِ إِلَى أَنْ يَعْتِقَ نِصْفُهُ وَلَا يَكُونُ عَلَى الَّذِي كَاتَبَ بَعْضَهُ أَنْ يَسْتَتِمَّ عِتْقَهُ فَذَلِكَ خِلَافُ مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ قَالَ مَالِك فَإِنْ جَهِلَ ذَلِكَ حَتَّى يُؤَدِّيَ الْمُكَاتَبُ أَوْ قَبْلَ أَنْ يُؤَدِّيَ رَدَّ إِلَيْهِ الَّذِي كَاتَبَهُ مَا قَبَضَ مِنْ الْمُكَاتَبِ فَاقْتَسَمَهُ هُوَ وَشَرِيكُهُ عَلَى قَدْرِ حِصَصِهِمَا وَبَطَلَتْ كِتَابَتُهُ وَكَانَ عَبْدًا لَهُمَا عَلَى حَالِهِ الْأُولَى قَالَ مَالِك فِي مُكَاتَبٍ بَيْنَ رَجُلَيْنِ فَأَنْظَرَهُ أَحَدُهُمَا بِحَقِّهِ الَّذِي عَلَيْهِ وَأَبَى الْآخَرُ أَنْ يُنْظِرَهُ فَاقْتَضَى الَّذِي أَبَى أَنْ يُنْظِرَهُ بَعْضَ حَقِّهِ ثُمَّ مَاتَ الْمُكَاتَبُ وَتَرَكَ مَالًا لَيْسَ فِيهِ وَفَاءٌ مِنْ كِتَابَتِهِ قَالَ مَالِك يَتَحَاصَّانِ مَا تَرَكَ بِقَدْرِ مَا بَقِيَ لَهُمَا عَلَيْهِ يَأْخُذُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا بِقَدْرِ حِصَّتِهِ فَإِنْ تَرَكَ الْمُكَاتَبُ فَضْلًا عَنْ كِتَابَتِهِ أَخَذَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مَا بَقِيَ مِنْ الْكِتَابَةِ وَكَانَ مَا بَقِيَ بَيْنَهُمَا بِالسَّوَاءِ فَإِنْ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ وَقَدْ اقْتَضَى الَّذِي لَمْ يُنْظِرْهُ أَكْثَرَ مِمَّا اقْتَضَى صَاحِبُهُ كَانَ الْعَبْدُ بَيْنَهُمَا نِصْفَيْنِ وَلَا يَرُدُّ عَلَى صَاحِبِهِ فَضْلَ مَا اقْتَضَى لِأَنَّهُ إِنَّمَا اقْتَضَى الَّذِي لَهُ بِإِذْنِ صَاحِبِهِ وَإِنْ وَضَعَ عَنْهُ أَحَدُهُمَا الَّذِي لَهُ ثُمَّ اقْتَضَى صَاحِبُهُ بَعْضَ الَّذِي لَهُ عَلَيْهِ ثُمَّ عَجَزَ فَهُوَ بَيْنَهُمَا وَلَا يَرُدُّ الَّذِي اقْتَضَى عَلَى صَاحِبِهِ شَيْئًا لِأَنَّهُ إِنَّمَا اقْتَضَى الَّذِي لَهُ عَلَيْهِ وَذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ الدَّيْنِ لِلرَّجُلَيْنِ بِكِتَابٍ وَاحِدٍ عَلَى رَجُلٍ وَاحِدٍ فَيُنْظِرُهُ أَحَدُهُمَا وَيَشِحُّ الْآخَرُ فَيَقْتَضِي بَعْضَ حَقِّهِ ثُمَّ يُفْلِسُ الْغَرِيمُ فَلَيْسَ عَلَى الَّذِي اقْتَضَى أَنْ يَرُدَّ شَيْئًا مِمَّا أَخَذَ
Malik related to me from Humayd ibn Qays al-Makki that a son of al-Mutawakkil had a mukatab who died at Makka and left (enough to pay) the rest of his kitaba and he owed some debts to people. He also left a daughter. The governor of Makka was not certain about how to judge in the case, so he wrote to Abd al-Malik ibn Marwan to ask him about it. Abd al-Malik wrote to him, "Begin with the debts owed to people, and then pay what remains of his kitaba. Then divide what remains of the property between the daughter and the master."
Malik said, "What is done among us is that the master of a slave does not have to give his slave a kitaba if he asks for it. I have not heard of any of the Imams forcing a man to give a kitaba to his slave. I heard that one of the people of knowledge, when someone asked about that and mentioned that Allah the Blessed, the Exalted, said, 'Give them their kitaba, if you know some good in them' (Sura 24 ayat 33) recited these two ayats, 'When you are free of the state of ihram, then hunt for game.' (Sura 5 ayat 3) 'When the prayer is finished, scatter in the land and seek Allah's favour.' " (Sura 62 ayat 10)
Malik commented, "It is a way of doing things for which Allah, the Mighty, the Majestic, has given permission to people, and it is not obligatory for them." Malik said, "I heard one of the people of knowledge say about the word of Allah, the Blessed, the Exalted, 'Give them of the wealth which Allah has given you,' that it meant that a man give his slave a kitaba and then reduce the end of his kitaba for him by some specific amount."
Malik said, "This is what I have heard from the people of knowledge and what I see people doing here."
Malik said, "I have heard that Abdullah ibn Umar gave one of his slaves his kitaba for 35,000 dirhams, and then reduced the end of his kitaba by 5,000 dirhams."
Malik said, "What is done among us is that when a master gives a mukatab his kitaba, the mukatab's property goes with him but his children do not go with him unless he stipulates that in his kitaba."
Yahya said, "I heard Malik say that if a mukatab whose master had given him a kitaba had a slave- girl who was pregnant by him, and neither he nor his master knew that on the day he was given his kitaba, the child did not follow him because he was not included in the kitaba. He belonged to the master. As for the slave-girl, she belonged to the mukatab because she was his property."
Malik said that if a man and his wife's son (by another husband) inherited a mukatab from the wife and the mukatab died before he had completed his kitaba, they divided his inheritance between them according to the Book of Allah. If the slave paid his kitaba and then died, his inheritance went to the son of the woman, and the husband had nothing of his inheritance.
Malik said that if a mukatab gave his own slave a kitaba, the situation was looked at. If he wanted to do his slave a favour and it was obvious by his making it easy for him, that was not permitted. If he was giving him a kitaba from desire to find money to pay off his own kitaba, that was permitted for him.
Malik said that if a man had intercourse with a mukataba of his and she became pregnant by him, she had an option. If she liked she could be an umm walad. If she wished, she could confirm her kitaba. If she did not conceive, she still had her kitaba.
Malik said, "The generally agreed on way of doing things among us about a slave who is owned by two men is that one of them does not give a kitaba for his share, whether or not his companion gives him permission to do so, unless they both write the kitaba together, because that alone would effect setting him free. If the slave were to fulfil what he had agreed on to free half of himself, and then the one who had given a kitaba for half of him was not obliged to complete his setting free, that would be in opposition to the words of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace. 'If someone frees his share in a slave and has enough money to cover the full price of the slave, justly evaluated for him, he must give his partners their shares, so the slave is completely free . ' "
Malik said, "If he is not aware of that until the mukatab has met the terms or before he has met them the owner who has written him the kitaba returns what he has taken from the mukatab to him, and then he and his partner divide him according to their original shares and the kitaba is invalid. He is the slave of both of them in his original state."
Malik spoke about a mukatab who was owned by two men and one of them granted him a delay in the payment of the right which he was owed, and the other refused to defer it, and so the one who refused to defer the payment exacted his part of the due. Malik said that if the mukatab then died and left property which did not complete his kitaba, "They divide it according to what they are still owed by him. Each of them takes according to his share. If the mukatab leaves more than his kitaba, each of them takes what remains to them of the kitaba, and what remains after that is divided equally between them. If the mukatab is unable to pay his kitaba fully and the one who did not allow him to defer his payment has exacted more than his associate did, the slave is still divided equally between them, and he does not return to his associates the excess of what he has exacted, because he only exacted his right with the permission of his associate. If one of them remits what is owed to him and then his associate exacts part of what he is owed by him and then the mukatab is unable to pay, he belongs to both of them. And the one who has exacted something does not return anything because he only demanded what he was owed. That is like the debt of two men in one writing against one man. One of them grants him time to pay and the other is greedy and exacts his due. Then the debtor goes bankrupt. The one who exacted his due does not have to return any of what he took."
পরিচ্ছেদঃ ২. ‘বদল-এ কিতাবাত’-এর ব্যাপারে জামিন
রেওয়ায়ত ৪. মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট এই ব্যাপারে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্ত হইল এই—কয়েকজন ক্রীতদাসের সহিত একই চুক্তিতে কিতাবাত করা হইলে তবে তাহাদের একজন অপরজনের জামিন হইবে, তাহাদের মধ্যে একজনের মৃত্যুর কারণে তাহাদের উপর হইতে কিছু কমানো হইবে না। উহাদের একজন যদি বলে, আমি অপারক হইয়াছি এবং হাত ছাড়িয়া দেয়, তবে তাহার সাথীগণের অধিকার থাকিবে তাহাকে সাধ্যমত কাজে লাগানো এবং তাহার দ্বারা তাহারা তাহদের কিতাবাতের (বিনিময় মূল্য পরিশোধ) ব্যাপারে সহযোগিতা করিবে যেন তাহারা আযাদ হইলে সেও আযাদ হইয়া যায়। আর তাহারা গোলাম থাকিয়া গেলে সেও গোলাম থাকিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই ব্যাপারে আমাদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত অভিমত হইল, কর্তা ক্রীতদাসের সহিত কিতাবাত চুক্তি করিলে তবে ক্রীতদাসের কিতাবাতের ব্যাপারে কর্তা অন্য কাহাকেও জামিন করিবে না। এমন কি গোলাম মারা গেলেও অথবা অপারক হইলেও। ইহা মুসলিমদের তরীকা নহে। কারণ যদি কোন ব্যক্তি “বদল-এ কিতাবাতের” ব্যাপারে মুকাতাব-এর পক্ষে কর্তার নিকট জামিন হয়, তারপর মুকাতাব-এর কর্তা সেই মাল জামিনদারের নিকট হইতে আদায় করে তবে এই মাল অন্যায়ভাবে সে গ্রহণ করিল। যেহেতু সে ব্যক্তি মুকাতাবকে খরিদও করে নাই, খরিদ করিলে তাহা মূল্য হইতে গ্রহণ করা হইয়াছে বলিয়া ধরা যাইত। পক্ষান্তরে মুকাতাব আযাদও হয় নাই, তাহা হইলে যাহা জামিনদার হইতে গ্রহণ করা হইয়াছে উহা ক্রীতদাসের আযাদীর বিনিময় হিসাবে ধরা যাইত, মুকাতাব অক্ষম হইলে সে কর্তার দিকে ফিরিবে এবং সে কর্তার মালিকানায় দাস থাকিয়া যাইবে।
ইহা এইজন্য যে, কিতাবাত কোন দরকারী ঋণ নহে যাহার জন্য মুকাতাবের কর্তাকে কিতাবাতের জামানত দেওয়া যায়, বরং কিতাবাত হইতেছে এমন একটি বস্তু মুকাতাব উহা আদায় করিলে আযাদ হইয়া যাইবে। আর যদি মুকাতাব-এর মৃত্যু হয় এবং তাহার জিম্মায় ঋণ থাকে তবে ঋণদাতাগণ মাকাতিব-এর কর্তার জন্য কিতাবাতের কারণে কোন হিসসা বরাদ্দ করিবে না। ঋণদাতাগণ কর্তা অপেক্ষা মাকাতিবের মালের অধিক হকদার, আর যদি মাকাতিব অপারক হয় এবং তাহার উপর লোকের ঋণ রহিয়াছে তবে উহাকে, কর্তার গোলামির দিকে ফিরাইয়া দেওয়া হইবে। লোকদের ঋণসমূহ মুকাতাব-এর জিম্মায় থাকিবে। ঋণদাতাগণ ক্রীতদাসের কর্তার সহিত তাহার মূল্যের মধ্যে অংশীদার হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি (ক্রীতদাসদের) এক দলের সহিত মুকাতাবাত করিয়াছে (সকলের সহিত) একই কিতাবাতের মাধ্যমে এবং উহাদের মধ্যে আত্মীয়তায় কোন বন্ধন নাই, যদ্দরুন উহারা পরস্পর মীরাসের অধিকারী হয়, তবে উহারা একে অপরের জামিন হইবে, একজনকে ছাড়িয়া অন্যজন আযাদ হইবে না, যতক্ষণ না সম্পূর্ণ “বদল-এ কিতাবাত” সকলে পরিশোধ না করে যদি উহাদের মধ্যে কাহারো মৃত্যু হয় এবং সে মাল রাখিয়া যায়, যে মাল উহাদের সকলের জিম্মায় যে “বদল-এ কিতাবাত” রহিয়াছে তাহা হইতেও বেশি। তবে উহাদের জিম্মায় যে অর্থ রহিয়াছে উহা সম্পূর্ণ পরিশোধ করা হইবে, অবশিষ্ট মাল তাহার কর্তা পাইবে। মৃত ব্যক্তির সহিত কিতাবাতে যাহারা শরীক ছিল তাহারা অবশিষ্ট মালের কোন অংশ পাইবে না।
কর্তা তাহাদের নিকট হইতে “বদল-এ কিতাবাতে” উহাদের যে হিসসাসমূহ রহিয়াছে সেই সব উশুল করবে। তাহদের নিকট হইতে যেই সব মাল মৃত (মাকাতিব) ব্যক্তির মাল হইতে শোধ করা হইয়াছিল। কারণ মৃত ব্যক্তি তাহাদের দায়িত্ব উঠাইয়াছে (কিতাবাত এক হওয়ার দরুন) উহাদের দায়িত্ব হইবে উহারা সকলে উহার (মৃত ব্যক্তির) মাল পরিশোধ করিয়া দেওয়া যদ্ধারা তাহারা আযাদী লাভ করিয়াছে। আর যদি মৃত মুকাতাবেরে কোন আযাদ সন্তান থাকে যে কিতাবাতকালীন সময়ে পয়দা হয় নাই এবং উহাকে অন্তর্ভুক্ত করিয়া কিতাবাত করা হয় নাই, তবে এই ছেলে তাহার মৃত পিতার মীরাসের কোন কিছু পাইবে না। কারণ মুকাতাব (তাহার পিতা) মৃত্যুর সময় আযাদী লাভ করে নাই।
باب الْحَمَالَةِ فِي الْكِتَابَةِ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الْعَبِيدَ إِذَا كُوتِبُوا جَمِيعًا كِتَابَةً وَاحِدَةً فَإِنَّ بَعْضَهُمْ حُمَلَاءُ عَنْ بَعْضٍ وَإِنَّهُ لَا يُوضَعُ عَنْهُمْ لِمَوْتِ أَحَدِهِمْ شَيْءٌ وَإِنْ قَالَ أَحَدُهُمْ قَدْ عَجَزْتُ وَأَلْقَى بِيَدَيْهِ فَإِنَّ لِأَصْحَابِهِ أَنْ يَسْتَعْمِلُوهُ فِيمَا يُطِيقُ مِنْ الْعَمَلِ وَيَتَعَاوَنُونَ بِذَلِكَ فِي كِتَابَتِهِمْ حَتَّى يَعْتِقَ بِعِتْقِهِمْ إِنْ عَتَقُوا وَيَرِقَّ بِرِقِّهِمْ إِنْ رَقُّوا قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا كَاتَبَهُ سَيِّدُهُ لَمْ يَنْبَغِ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَتَحَمَّلَ لَهُ بِكِتَابَةِ عَبْدِهِ أَحَدٌ إِنْ مَاتَ الْعَبْدُ أَوْ عَجَزَ وَلَيْسَ هَذَا مِنْ سُنَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَذَلِكَ أَنَّهُ إِنْ تَحَمَّلَ رَجُلٌ لِسَيِّدِ الْمُكَاتَبِ بِمَا عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ ثُمَّ اتَّبَعَ ذَلِكَ سَيِّدُ الْمُكَاتَبِ قِبَلَ الَّذِي تَحَمَّلَ لَهُ أَخَذَ مَالَهُ بَاطِلًا لَا هُوَ ابْتَاعَ الْمُكَاتَبَ فَيَكُونَ مَا أُخِذَ مِنْهُ مِنْ ثَمَنِ شَيْءٍ هُوَ لَهُ وَلَا الْمُكَاتَبُ عَتَقَ فَيَكُونَ فِي ثَمَنِ حُرْمَةٍ ثَبَتَتْ لَهُ فَإِنْ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ رَجَعَ إِلَى سَيِّدِهِ وَكَانَ عَبْدًا مَمْلُوكًا لَهُ وَذَلِكَ أَنَّ الْكِتَابَةَ لَيْسَتْ بِدَيْنٍ ثَابِتٍ يُتَحَمَّلُ لِسَيِّدِ الْمُكَاتَبِ بِهَا إِنَّمَا هِيَ شَيْءٌ إِنْ أَدَّاهُ الْمُكَاتَبُ عَتَقَ وَإِنْ مَاتَ الْمُكَاتَبُ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ لَمْ يُحَاصَّ الْغُرَمَاءَ سَيِّدُهُ بِكِتَابَتِهِ وَكَانَ الْغُرَمَاءُ أَوْلَى بِذَلِكَ مِنْ سَيِّدِهِ وَإِنْ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ لِلنَّاسِ رُدَّ عَبْدًا مَمْلُوكًا لِسَيِّدِهِ وَكَانَتْ دُيُونُ النَّاسِ فِي ذِمَّةِ الْمُكَاتَبِ لَا يَدْخُلُونَ مَعَ سَيِّدِهِ فِي شَيْءٍ مِنْ ثَمَنِ رَقَبَتِهِ قَالَ مَالِك إِذَا كَاتَبَ الْقَوْمُ جَمِيعًا كِتَابَةً وَاحِدَةً وَلَا رَحِمَ بَيْنَهُمْ يَتَوَارَثُونَ بِهَا فَإِنَّ بَعْضَهُمْ حُمَلَاءُ عَنْ بَعْضٍ وَلَا يَعْتِقُ بَعْضُهُمْ دُونَ بَعْضٍ حَتَّى يُؤَدُّوا الْكِتَابَةَ كُلَّهَا فَإِنْ مَاتَ أَحَدٌ مِنْهُمْ وَتَرَكَ مَالًا هُوَ أَكْثَرُ مِنْ جَمِيعِ مَا عَلَيْهِمْ أُدِّيَ عَنْهُمْ جَمِيعُ مَا عَلَيْهِمْ وَكَانَ فَضْلُ الْمَالِ لِسَيِّدِهِ وَلَمْ يَكُنْ لِمَنْ كَاتَبَ مَعَهُ مِنْ فَضْلِ الْمَالِ شَيْءٌ وَيَتْبَعُهُمْ السَّيِّدُ بِحِصَصِهِمْ الَّتِي بَقِيَتْ عَلَيْهِمْ مِنْ الْكِتَابَةِ الَّتِي قُضِيَتْ مِنْ مَالِ الْهَالِكِ لِأَنَّ الْهَالِكَ إِنَّمَا كَانَ تَحَمَّلَ عَنْهُمْ فَعَلَيْهِمْ أَنْ يُؤَدُّوا مَا عَتَقُوا بِهِ مِنْ مَالِهِ وَإِنْ كَانَ لِلْمُكَاتَبِ الْهَالِكِ وَلَدٌ حُرٌّ لَمْ يُولَدْ فِي الْكِتَابَةِ وَلَمْ يُكَاتَبْ عَلَيْهِ لَمْ يَرِثْهُ لِأَنَّ الْمُكَاتَبَ لَمْ يُعْتَقْ حَتَّى مَاتَ
Malik said, "The generally agreed on way of doing things among us is that when slaves write their kitaba together in one kitaba, and some are responsible for others, and they are not reduced anything by the death of one of the responsible ones, and then one of them says, 'I can't do it,' and gives up, his companions can use him in whatever work he can do and they help each other with that in their kitaba until they are freed, if they are freed, or remain slaves if they remain slaves."
Malik said, "The generally agreed on way of doing things among us is that when a master gives a slave his kitaba, it is not permitted for the master to let anyone assume the responsibility for the kitaba of his slave if the slave dies or is incapable. This is not part of the sunna of the muslims. That is because when a man assumes responsibility to the master of a mukatab for what the mukatab owes of his kitaba, and then the master of the mukatab pursues that from the one who assumes the responsibility, he takes his money falsely. It is not as if he is buying the mukatab, so that what he gives is part of the price of something that is his, and neither is the mukatab being freed so that the price established for him buys his inviolability as a free man. If the mukatab is unable to meet the payments he reverts to his master and is his slave. That is because kitaba is not a fixed debt which can be assumed by the master of the mukatab. It is something which, when it is paid by the mukatab, sets him free. If the mukatab dies and has a debt, his master is not one of the creditors for what remains unpaid of the kitaba. The creditors have precedence over the master. If the mukatab cannot meet the payments, and he owes debts to people, he reverts to being a slave owned by his master and the debts to the people are the liability of the mukatab. The creditors do not enter with the master into any share of the price of his person."
Malik said, "When people are written together in one kitaba and there is no kinship between them by which they inherit from each other, and some of them are responsible for others, then none of them are freed before the others until all the kitaba has been paid. If one of them dies and leaves property and it is more than all of what is against them, it pays all that is against them . The excess of the property goes to the master, and none of those who have been written in the kitaba with the deceased have any of the excess. The master's claims are overshadowed by their claims for the portions which remain against them of the kitaba which can be fulfilled from the property of the deceased, because the deceased had assumed their responsibility and they must use his property to pay for their freedom. If the deceased mukatab has a free child not born in kitaba and who was not written in the kitaba, it does not inherit from him because the mukatab was not freed until he died."
পরিচ্ছেদঃ ৩. বদল-এ কিতাবাত (বিনিময় মূল্য) হইতে (কিতা'আ) কর্তন করা
রেওয়ায়ত ৫. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী উম্মে সালমা (রাঃ) স্বর্ণ এবং রৌপ্যের বিনিময়ে তাহার মুকাতাবদের সঙ্গে মুকাতা’আ (مقاطعة কমানোর চুক্তি) করিতেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হইল এই– যেই মুকাতাব দুই শরীকের মালিকানাতে রহিয়াছে, অপর শরীকের অনুমতি ছাড়া এক শরীকের জন্য তাহার হিস্সাতে মুকাতা’আ করা বৈধ নহে। ইহা এইজন্য যে, ক্রীতদাস এবং তাহার মাল উভয়ের মধ্যে মিলিত, কাজেই তাহাদের একজনের জন্য উহার মাল হইতে কিছু অংশ গ্রহণ করা জায়েয নহে, কিন্তু অপর শরীক যদি অনুমতি দেয় (তবে বৈধ হইবে)। আর যদি উহাদের একজন মুকাতাবের সহিত মুকাতা’আ (বদল-এ কিতাবাত হইতে কমাইবার চুক্তি) করিয়াছে অপর শরীক ছাড়া, অতঃপর উহা সে গ্রহণ করিয়াছে। তারপর মুকাতাবের মৃত্যু হইয়াছে এবং উহার নিকট মাল রহিয়াছে অথবা সে (অর্থ আদায়ে) অক্ষম হইয়া গিয়াছে, তবে যে (শরীক) মুকাতা’আ করিয়াছে সে মুকাতাবের মাল হইতে কিছুই পাইবে না। আর বিনিময়ে অর্থের যে অংশ সে মুকাতা’আ করিয়াছে অর্থাৎ কমাইয়া দিয়া সে উহা ফেরত দিয়া মুকাতাবের রাকাবা (গদান অর্থাৎ দাসত্বের অধিকারী হওয়া)-তে তাহার (সাবেক) হকের দিকে রুজু করার ইখতিয়ারও তাহার থাকিবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তাহার শরীকের অনুমতি লইয়া মুকাতাবের সহিত মুকাতা’আ করিয়াছে, অতঃপর মুকাতাব অপারক হইয়াছে, তবে যে মুকাতা’আঃ (কমাইবার চুক্তি) করিয়াছে সে মুকাতা’আঃ অনুযায়ী যে অর্থ মুকাতাব হইতে গ্রহণ করিয়াছে সে অর্থ ফেরত দিয়া পুনরায় মুকাতাবের মধ্যে তাহার অংশের অধিকারী হইতে পছন্দ করিলে ইহা তাহার জন্য বৈধ হইবে। আর যদি মুকাতাব মাল রাখিয়া মারা যায় তবে যাহার কিতাবাত অবশিষ্ট রহিয়াছে (অর্থাৎ যে মুকাতা’আ করে নাই সে) মুকাতাব-এর উপর তাহার যে হক রহিয়াছে তাহা মুকাতাবের মাল হইতে পূর্ণভাবে উশুল করবে। অতঃপর মুকাতাবের যে মাল অবশিষ্ট থাকে উহা যে মুকাতা’আ করিয়াছে তাহার এবং তাহার অপর শরীকের মধ্যে বন্টন করা হইবে মুকাতাবের উভয়ের মধ্যে হিসসা অনুযায়ী। আর যদি দুই জনের এক জন মুকাতাবের সহিত মুকাতা’আ করিয়াছে, অন্য শরীক তাহার সাথী কিতাবাতের উপর স্থির করিয়াছে, অতঃপর মুকাতাব অর্থ আদায়ে অপারক হইয়াছে, তবে যে মুকাতা’আ করিয়াছে তাহাকে বলা হইবে যে, আপনি ইচ্ছা করিলে যাহা আপনি গ্রহণ করিয়াছেন উহার অর্ধেক আপনার সাথীকে দিয়া দিতে পারেন, গোলাম আপনাদের উভয়ের মধ্যে থাকিবে অর্ধেক অর্ধেক। আর যদি আপনি ইহা অস্বীকার করেন তবে গোলাম সম্পূর্ণ সেই শরীকের হইবে, যে শরীক মুকাতা’আ না করিয়া মুকাতাবকে যেমন ছিল তেমনি রাখিয়া দিয়াছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে মুকাতাব দুই ব্যক্তির শরীকানাতে রহিয়াছে, তাহাদের একজন তাহার সাথীর (শরীক) অনুমতি লইয়া মুকাতাবের সহিত মুকাতা’আ করিয়াছে, অতঃপর যে শরীক দাস রাখিয়া দিয়াছে সে গ্রহণ করিল (মুকাতাব হইতে) ততটুকু যতটুকুর উপর তাহার সাথী শরীক মুকাতা’আ করিয়াছে অথবা ততোধিক। তারপর মুকাতাব অক্ষম হইল, মালিক (রহঃ) বলেনঃ গোলাম তাহাদের উভয়ের মধ্যে থাকিবে। কারণ সে মুকাতাবের উপর তাহার যে হক রহিয়াছে উহা গ্রহণ করিয়াছে, [কাজেই মুকাতা’আ যে করে নাই সে, মুকাতা’আ যে করিয়াছে তাহার নিকট হইতে কিছুই পাইবে না]। আর যে মুকাতা’আ করে নাই সে যদি মুকাতা’আকারী অপেক্ষা কম গ্রহণ করিয়া থাকে, অতঃপর মুকাতাব অপারক হইয়া পড়ে, আর যে মুকাতা’আ করিয়াছে সে যাহা অতিরিক্ত পাইয়াছে উহা হইতে তাহার সাথী (শরীক)-কে অর্ধেক ফিরাইয়া দেওয়াকে পছন্দ করে, ইহাতে গোলাম উভয়ের মধ্যে হইবে অর্ধেক অর্ধেক। তবে তাহার জন্য ইহার ইখতিয়ার রহিয়াছে, আর সে যদি ইহা অস্বীকার করে তবে মুকাতা’আঃ যে (শরীক) করে নাই গোলাম সম্পূর্ণ সে শরীকের জন্য হইবে। আর যদি মুকাতাবের মৃত্যু হয় এবং সে মাল রাখিয়া যায় এবং যে (শরীক) মুকাতা’আঃ করিয়াছে সে যাহা বেশি পাইয়াছে ইহা হইতে তাহার সাথী (শরীক)-কে অর্ধেক ফিরাইয়া দিতে পছন্দ করে তবে মীরাস তাহদের উভয়ের মধ্যে মুশতারাক বা মিলিত হইবে, তবে ইহা করিবার ইখতিয়ার রহিয়াছে। আর যে মুকাতা’আঃ করে নাই কিতাবাতকে বহাল রাখিয়াছে সে যদি তাহার শরীক মুকাতা’আকারী যতটুকুর উপর মুকাতা’আ করিয়াছে ততটুকু গ্রহণ করে বা তাহার চাইতে বেশি। তবে মীরাস তাহাদের উভয়ের মধ্যে বন্টন করা হইবে। কারণ সে তাহার প্রাপ্য গ্রহণ করিয়াছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে মুকাতাব দুই ব্যক্তির মধ্যে (মিলিত মালিকানায়) রহিয়াছে। অতঃপর তাহাদের একজন তাহার অর্ধেক হকের উপর তাহার সাথীর অনুমতি লইয়া মুকাতা’আ করিয়াছে। অতঃপর যে শরীক দাসত্ব বহাল রাখার উপর অটল রহিয়াছে সে তাহার সাথী যতটুকুর উপর মুকাতা’আ করিয়াছে ততটুকু হইতে কম (অর্থ) গ্রহণ করিয়াছে। তারপর গোলাম হইয়াছে অপারক।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে শরীক গোলামের সহিত মুকাতা’আ করিয়াছে সে যাহা অতিরিক্ত লইয়াছে উহার অর্ধেক যদি তাহার সাথী (শরীক)-কে ফিরাইয়া দেওয়া ভাল মনে করে তবে গোলাম তাহদের উভয়ের মধ্যে সমভাবে বহাল থাকিবে। আর যদি ফিরাইয়া দিতে অস্বীকার করে তবে মুকাতাবের সহিত তাহার যে সাথী (শরীক) মুকাতা’আত করিয়াছে তাহার হিসসা পাইবে দাসত্বকে যে বহাল রাখিয়াছে সে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহার ব্যাখ্যা হইতেছে এই, (দৃষ্টান্তস্বরূপ) ক্রীতদাস দুই কর্তার মালিকানায় রহিয়াছে অর্ধেক অর্ধেক ভাগে। তাহারা উভয়ে উহার সহিত মুকাতা’আ করিয়াছে। অতঃপর তাহাদের একজন তাহার হকের অর্ধেকের উপর মুকাতাবের সহিত মুকাতা’আঃ করিয়াছে সাথীর অনুমতি লইয়া আর এই অংশ হইতেছে ক্রীতদাসের পূর্ণ মূল্যের এক-চতুর্থাংশ।
অতঃপর মুকাতাব অপারক হইলে (এই অবস্থায়) মুকাতা’আকারী শরীককে বলা হইবে, তুমি যদি ইচ্ছা কর যাহা তুমি অতিরিক্ত গ্রহণ করিয়াছ মুকাতা’আ দ্বারা উহার অর্ধেক তোমার সাথীকে ফিরাইয়া দাও, গোলাম তোমাদের উভয়ের মধ্যে থাকিবে দুই ভাগে (অর্ধেক অর্ধেক)। আর সে ইহা না মানিলে তবে যে শরীক কিতাবাতকে ধারণ করিয়া রাখিয়াছে (অর্থাৎ কিতাবাত চুক্তির উপর বহাল রহিয়াছে, মুকাতা’আ করে নাই) সে তাহার সাথীর যেই অংশের উপর মুকাতা’আ করে নাই, সে তাহার সাথীর যেই অংশের উপর মুকাতাবের সঙ্গে মুকাতা’আ করিয়াছে উহার এক-চতুর্থাংশ পাইবে, (পূর্বে) তাহার (মালিকানায়) ছিল গোলামের অর্ধেকাংশ, এইরূপে তাহার (মালিকানায়) আসিয়া যাইবে তিন-চতুর্থাংশ, আর মুকাতা’আকারী শরীকের থাকিবে গোলামের এক-চতুর্থাংশ। কারণ সে, যেই চতুর্থাংশের উপর মুকাতা’আ করিয়াছিল উহার মূল্য ফেরত দিতে অস্বীকার করিয়াছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে মুকাতাবের সহিত তাহার কর্তা মুকাতা’আ করিয়াছে এবং উহাকে আযাদ করিয়া দিয়াছে এবং কিতা’আ বাবদ অবশিষ্ট যাহা অনাদায়ী রহিয়াছে উহা ক্রীতদাসের উপর ঋণ স্বরূপ লিখিয়া দিয়াছে, তারপর মুকাতাবের মৃত্যু হইয়াছে এবং তাহার উপর আরও লোকের ঋণ রহিয়াছে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ ক্রীতদাসের উপর কিতা’আত বাবদ কর্তা যাহা পাইবে উহার জন্য তাহার কর্তা অন্যান্য ঋণদাতাদের সঙ্গে শরীক হইয়া অংশ ভাগ করিতে পারবে না, বরং ঋণদাতাগণ আগে তাহাদের হক উশুল করিয়া লইবে সেই অধিকার তাহাদের রহিয়াছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুকাতাবের উপর লোকের ঋণ থাকিলে তাহার জন্য কর্তার সহিত মুকাতা’আ করা ঠিক নহে, (এইরূপ করিলে) সে আযাদ হইয়া যাইবে, অথচ তাহার কোন মাল নাই। (কারণ তাহার যাবতীয় মাল ঋণদাতাদের প্রাপ্য হইয়াছে)। কারণ ঋণদাতাগণ তাহার কর্তা অপেক্ষা তাহার মালের বেশি হকদার, তাই এইরূপ করা মুকাতাবের জন্য জায়েয নহে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা এই, যে ব্যক্তি গোলামের সহিত মুকাতাবাত করিয়াছে, অতঃপর স্বর্ণের বিনিময়ে উহার সহিত মুকাতা’আ করিল এবং ক্রীতদাসের জিম্মায় যে "বদল-এ কিতাবাত" (আদায়যোগ্য অর্থ) রহিয়াছে তাহা মাফ করিয়া দিল এই শর্তে যে, যে স্বর্ণের উপর মুকাতা’আ হইয়াছে উহা সে কর্তাকে নগদ পরিশোধ করিবে এইরূপ করাতে কোন দোষ নাই। ইহাকে যিনি মাকরূহ বলিয়াছেন, তিনি এই জন্য মাকরূহ বলিয়াছেন যে, তিনি ইহাকে ঋণের মতো গণ্য করিয়াছেন। এক ব্যক্তির উপর অন্য ব্যক্তির নির্দিষ্ট সময়ে আদায়যোগ্য ঋণ রহিয়াছে, ঋণদাতা ঋণের কিছু অংশ মাফ করিয়া দিল নগদ অর্থ লইয়া (ইহা জায়েয নহে, কাজেই মুকাতা’আতেও নগদ অর্থের শর্তে কিছু মাফ করিয়া দিলে উহা জায়েয হইবে না)।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহা ঋণের মতো নহে, কারণ কর্তার সহিত মুকাতাবের কিতা’আত করার উদ্দেশ্য হইতেছে, কর্তাকে কিছু মাল সে দিবে যেন সে আযাদী ত্বরান্বিত করে। ফলে তাহার জন্য মীরাস এবং সাক্ষ্যদান ও হুদূদের অধিকার ওয়াজিব হইবে এবং সাব্যস্ত হইবে তাহার জন্য আযাদী ও সম্মান। সে কোন দিরহামের বিনিময়ে দিরহাম বা স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ খরিদ করে নাই। ইহার দৃষ্টান্ত এইরূপ-যেমন এক ব্যক্তি তাহার গোলামকে বলিল-তুমি এত দীনার যদি নিয়া আস, তবে তুমি আযাদ, তারপর ইহা হইতে কিছু কমাইয়া দিল এবং বলিল, আমার নিকট নির্ধারিত অর্থ হইতে কিছু কম উপস্থিত করিলেও তুমি আযাদ।
ইহা গোলামের জিম্মায় জরুরী হইয়াছে এমন কোন ঋণ নহে, যদি উহা (মুকাতা’আ অর্থ) ঋণ হইত তবে মুকাতাব মারা গেলে অথবা মুফসিল (রিক্ত হস্ত) হইলে কর্তা অন্যান্য ঋণদাতার সহিত মিলিত হইয়া তাহার অংশ আদায় করিত এবং উহাদের সহিত “বদল-এ কিতাবাত” আদায়ের ব্যাপারে শামিল হইয়া যাইত।
باب الْقِطَاعَةِ فِي الْكِتَابَةِ
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ تُقَاطِعُ مُكَاتَبِيهَا بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الْمُكَاتَبِ يَكُونُ بَيْنَ الشَّرِيكَيْنِ فَإِنَّهُ لَا يَجُوزُ لِأَحَدِهِمَا أَنْ يُقَاطِعَهُ عَلَى حِصَّتِهِ إِلَّا بِإِذْنِ شَرِيكِهِ وَذَلِكَ أَنَّ الْعَبْدَ وَمَالَهُ بَيْنَهُمَا فَلَا يَجُوزُ لِأَحَدِهِمَا أَنْ يَأْخُذَ شَيْئًا مِنْ مَالِهِ إِلَّا بِإِذْنِ شَرِيكِهِ وَلَوْ قَاطَعَهُ أَحَدُهُمَا دُونَ صَاحِبِهِ ثُمَّ حَازَ ذَلِكَ ثُمَّ مَاتَ الْمُكَاتَبُ وَلَهُ مَالٌ أَوْ عَجَزَ لَمْ يَكُنْ لِمَنْ قَاطَعَهُ شَيْءٌ مِنْ مَالِهِ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ أَنْ يَرُدَّ مَا قَاطَعَهُ عَلَيْهِ وَيَرْجِعَ حَقَّهُ فِي رَقَبَتِهِ وَلَكِنْ مَنْ قَاطَعَ مُكَاتَبًا بِإِذْنِ شَرِيكِهِ ثُمَّ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ فَإِنْ أَحَبَّ الَّذِي قَاطَعَهُ أَنْ يَرُدَّ الَّذِي أَخَذَ مِنْهُ مِنْ الْقِطَاعَةِ وَيَكُونُ عَلَى نَصِيبِهِ مِنْ رَقَبَةِ الْمُكَاتَبِ كَانَ ذَلِكَ لَهُ وَإِنْ مَاتَ الْمُكَاتَبُ وَتَرَكَ مَالًا اسْتَوْفَى الَّذِي بَقِيَتْ لَهُ الْكِتَابَةُ حَقَّهُ الَّذِي بَقِيَ لَهُ عَلَى الْمُكَاتَبِ مِنْ مَالِهِ ثُمَّ كَانَ مَا بَقِيَ مِنْ مَالِ الْمُكَاتَبِ بَيْنَ الَّذِي قَاطَعَهُ وَبَيْنَ شَرِيكِهِ عَلَى قَدْرِ حِصَصِهِمَا فِي الْمُكَاتَبِ وَإِنْ كَانَ أَحَدُهُمَا قَاطَعَهُ وَتَمَاسَكَ صَاحِبُهُ بِالْكِتَابَةِ ثُمَّ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ قِيلَ لِلَّذِي قَاطَعَهُ إِنْ شِئْتَ أَنْ تَرُدَّ عَلَى صَاحِبِكَ نِصْفَ الَّذِي أَخَذْتَ وَيَكُونُ الْعَبْدُ بَيْنَكُمَا شَطْرَيْنِ وَإِنْ أَبَيْتَ فَجَمِيعُ الْعَبْدِ لِلَّذِي تَمَسَّكَ بِالرِّقِّ خَالِصًا قَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يَكُونُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ فَيُقَاطِعُهُ أَحَدُهُمَا بِإِذْنِ صَاحِبِهِ ثُمَّ يَقْتَضِي الَّذِي تَمَسَّكَ بِالرِّقِّ مِثْلَ مَا قَاطَعَ عَلَيْهِ صَاحِبُهُ أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ ثُمَّ يَعْجِزُ الْمُكَاتَبُ قَالَ مَالِك فَهُوَ بَيْنَهُمَا لِأَنَّهُ إِنَّمَا اقْتَضَى الَّذِي لَهُ عَلَيْهِ وَإِنْ اقْتَضَى أَقَلَّ مِمَّا أَخَذَ الَّذِي قَاطَعَهُ ثُمَّ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ فَأَحَبَّ الَّذِي قَاطَعَهُ أَنْ يَرُدَّ عَلَى صَاحِبِهِ نِصْفَ مَا تَفَضَّلَهُ بِهِ وَيَكُونُ الْعَبْدُ بَيْنَهُمَا نِصْفَيْنِ فَذَلِكَ لَهُ وَإِنْ أَبَى فَجَمِيعُ الْعَبْدِ لِلَّذِي لَمْ يُقَاطِعْهُ وَإِنْ مَاتَ الْمُكَاتَبُ وَتَرَكَ مَالًا فَأَحَبَّ الَّذِي قَاطَعَهُ أَنْ يَرُدَّ عَلَى صَاحِبِهِ نِصْفَ مَا تَفَضَّلَهُ بِهِ وَيَكُونُ الْمِيرَاثُ بَيْنَهُمَا فَذَلِكَ لَهُ وَإِنْ كَانَ الَّذِي تَمَسَّكَ بِالْكِتَابَةِ قَدْ أَخَذَ مِثْلَ مَا قَاطَعَ عَلَيْهِ شَرِيكُهُ أَوْ أَفْضَلَ فَالْمِيرَاثُ بَيْنَهُمَا بِقَدْرِ مِلْكِهِمَا لِأَنَّهُ إِنَّمَا أَخَذَ حَقَّهُ قَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يَكُونُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ فَيُقَاطِعُ أَحَدُهُمَا عَلَى نِصْفِ حَقِّهِ بِإِذْنِ صَاحِبِهِ ثُمَّ يَقْبِضُ الَّذِي تَمَسَّكَ بِالرِّقِّ أَقَلَّ مِمَّا قَاطَعَ عَلَيْهِ صَاحِبُهُ ثُمَّ يَعْجِزُ الْمُكَاتَبُ قَالَ مَالِك إِنْ أَحَبَّ الَّذِي قَاطَعَ الْعَبْدَ أَنْ يُرَدَّ عَلَى صَاحِبِهِ نِصْفَ مَا تَفَضَّلَهُ بِهِ كَانَ الْعَبْدُ بَيْنَهُمَا شَطْرَيْنِ وَإِنْ أَبَى أَنْ يَرُدَّ فَلِلَّذِي تَمَسَّكَ بِالرِّقِّ حِصَّةُ صَاحِبِهِ الَّذِي كَانَ قَاطَعَ عَلَيْهِ الْمُكَاتَبَ قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنَّ الْعَبْدَ يَكُونُ بَيْنَهُمَا شَطْرَيْنِ فَيُكَاتِبَانِهِ جَمِيعًا ثُمَّ يُقَاطِعُ أَحَدُهُمَا الْمُكَاتَبَ عَلَى نِصْفِ حَقِّهِ بِإِذْنِ صَاحِبِهِ وَذَلِكَ الرُّبُعُ مِنْ جَمِيعِ الْعَبْدِ ثُمَّ يَعْجِزُ الْمُكَاتَبُ فَيُقَالُ لِلَّذِي قَاطَعَهُ إِنْ شِئْتَ فَارْدُدْ عَلَى صَاحِبِكَ نِصْفَ مَا فَضَلْتَهُ بِهِ وَيَكُونُ الْعَبْدُ بَيْنَكُمَا شَطْرَيْنِ وَإِنْ أَبَى كَانَ لِلَّذِي تَمَسَّكَ بِالْكِتَابَةِ رُبُعُ صَاحِبِهِ الَّذِي قَاطَعَ الْمُكَاتَبَ عَلَيْهِ خَالِصًا وَكَانَ لَهُ نِصْفُ الْعَبْدِ فَذَلِكَ ثَلَاثَةُ أَرْبَاعِ الْعَبْدِ وَكَانَ لِلَّذِي قَاطَعَ رُبُعُ الْعَبْدِ لِأَنَّهُ أَبَى أَنْ يَرُدَّ ثَمَنَ رُبُعِهِ الَّذِي قَاطَعَ عَلَيْهِ قَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يُقَاطِعُهُ سَيِّدُهُ فَيَعْتِقُ وَيَكْتُبُ عَلَيْهِ مَا بَقِيَ مِنْ قَطَاعَتِهِ دَيْنًا عَلَيْهِ ثُمَّ يَمُوتُ الْمُكَاتَبُ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ لِلنَّاسِ قَالَ مَالِك فَإِنَّ سَيِّدَهُ لَا يُحَاصُّ غُرَمَاءَهُ بِالَّذِي عَلَيْهِ مِنْ قَطَاعَتِهِ وَلِغُرَمَائِهِ أَنْ يُبَدَّءُوا عَلَيْهِ قَالَ مَالِك لَيْسَ لِلْمُكَاتَبِ أَنْ يُقَاطِعَ سَيِّدَهُ إِذَا كَانَ عَلَيْهِ دَيْنٌ لِلنَّاسِ فَيَعْتِقُ وَيَصِيرُ لَا شَيْءَ لَهُ لِأَنَّ أَهْلَ الدَّيْنِ أَحَقُّ بِمَالِهِ مِنْ سَيِّدِهِ فَلَيْسَ ذَلِكَ بِجَائِزٍ لَهُ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الرَّجُلِ يُكَاتِبُ عَبْدَهُ ثُمَّ يُقَاطِعُهُ بِالذَّهَبِ فَيَضَعُ عَنْهُ مِمَّا عَلَيْهِ مِنْ الْكِتَابَةِ عَلَى أَنْ يُعَجِّلَ لَهُ مَا قَاطَعَهُ عَلَيْهِ أَنَّهُ لَيْسَ بِذَلِكَ بَأْسٌ وَإِنَّمَا كَرِهَ ذَلِكَ مَنْ كَرِهَهُ لِأَنَّهُ أَنْزَلَهُ بِمَنْزِلَةِ الدَّيْنِ يَكُونُ لِلرَّجُلِ عَلَى الرَّجُلِ إِلَى أَجَلٍ فَيَضَعُ عَنْهُ وَيَنْقُدُهُ وَلَيْسَ هَذَا مِثْلَ الدَّيْنِ إِنَّمَا كَانَتْ قَطَاعَةُ الْمُكَاتَبِ سَيِّدَهُ عَلَى أَنْ يُعْطِيَهُ مَالًا فِي أَنْ يَتَعَجَّلَ الْعِتْقَ فَيَجِبُ لَهُ الْمِيرَاثُ وَالشَّهَادَةُ وَالْحُدُودُ وَتَثْبُتُ لَهُ حُرْمَةُ الْعَتَاقَةِ وَلَمْ يَشْتَرِ دَرَاهِمَ بِدَرَاهِمَ وَلَا ذَهَبًا بِذَهَبٍ وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ مَثَلُ رَجُلٍ قَالَ لِغُلَامِهِ ائْتِنِي بِكَذَا وَكَذَا دِينَارًا وَأَنْتَ حُرٌّ فَوَضَعَ عَنْهُ مِنْ ذَلِكَ فَقَالَ إِنْ جِئْتَنِي بِأَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ فَأَنْتَ حُرٌّ فَلَيْسَ هَذَا دَيْنًا ثَابِتًا وَلَوْ كَانَ دَيْنًا ثَابِتًا لَحَاصَّ بِهِ السَّيِّدُ غُرَمَاءَ الْمُكَاتَبِ إِذَا مَاتَ أَوْ أَفْلَسَ فَدَخَلَ مَعَهُمْ فِي مَالِ مُكَاتَبِهِ
Malik related to me that he heard that Umm Salama, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, made a settlement with her mukatab for an agreed amount of gold and silver.
Malik said, "The generally agreed on way of doing things among us in the case of a mukatab who is shared by two partners, is that one of them cannot make a settlement with him for an agreed price according to his portion without the consent of his partner. That is because the slave and his property are owned by both of them, and so one of them is not permitted to take any of the property except with the consent of his partner. If one of them settled with the mukatab and his partner did not, and he took the agreed price, and then the mukatab died while he had property or was unable to pay, the one who settled would not have anything of the mukatab's property and he could not return that for which he made settlement so that his right to the slave's person would return to him. However, when someone settles with a mukatab with the permission of his partner and then the mukatab is unable to pay, it is preferable that the one who broke with him return what he has taken from the mukatab for the severance and he can have back his portion of the mukatab. He can do that. If the mukatab dies and leaves property, the partner who has kept hold of the kitaba is paid in full the amount of the kitaba which remains to him against the mukatab from the mukatab's property. Then what remains of property of the mukatab is between the partner who broke with him and his partner, according to their shares in the mukatab. If one of the partners breaks off with him and the other keeps the kitaba, and the mukatab is unable to pay, it is said to the partner who settled with him, 'If you wish to give your partner half of what you took so the slave is divided between you, then do so. If you refuse, then all of the slave belongs to the one who held on to possession of the slave.' "
Malik spoke about a mukatab who was shared between two men and one of them made a settlement with him with the permission of his partner. Then the one who retained possession of the slave demanded the like of that for which his partner had settled or more than that and the mukatab could not pay it. He said, "The mukatab is shared between them because the man has only demanded what is owed to him. If he demands less than what the one who settled with him took and the mukatab can not manage that, and the one who settled with him prefers to return to his partner half of what he took so the slave is divided in halves between them, he can do that. If he refuses then all of the slave belongs to the one who did not settle with him. If the mukatab dies and leaves property, and the one who settled with him prefers to return to his companion half of what he has taken so the inheritance is divided between them, he can do that. If the one who has kept the kitaba takes the like of what the one who has settled with him took, or more, the inheritance is between them according to their shares in the slave because he is only taking his right."
Malik spoke about a mukatab who was shared between two men and one of them made a settlement with him for half of what was due to him with the permission of his partner, and then the one who retained possession of the slave took less than what his partner settled with him for and the mukatab was unable to pay. He said, "If the one who made a settlement with the slave prefers to return half of what he was awarded to his partner, the slave is divided between them. If he refuses to return it, the one who retained possession has the portion of the share for which his partner made a settlement with the mukatab."
Malik said, "The explanation of that is that the slave is divided in two halves between them. They write him a kitaba together and then one of them makes a settlement with the mukatab for half his due with the permission of his partner. That is a fourth of all the slave. Then the mukatab is unable to continue, so it is said to the one who settled with him, 'If you wish, return to your partner half of what you were awarded and the slave is divided equally between you.' If he refuses, the one who held to the kitaba takes in full the fourth of his partner for which he made settlement with the mukatab. He had half the slave, so that now gives him three-fourths of the slave. The one who broke off has a fourth of the slave because he refused to return the equivalent of the fourth share for which he settled."
Malik spoke about a mukatab whose master made a settlement with him and set him free and what remained of his severance was written against him as debt, then the mukatab died and people had debts against him. He said, "His master does not share with the creditors because of what he is owed from the severance. The creditors begin first."
Malik said, "A mukatab cannot break with his master when he owes debts to people. He would be set free and have nothing because the people who hold the debts are more entitled to his property than his master. That is not permitted for him."
Malik said, "According to the way things are done among us, there is no harm if a man gives a kitaba to his slave and settles with him for gold and reduces what he is owed of the kitaba provided that only the gold is paid immediately. Whoever disapproves of that does so because he puts it in the category of a debt which a man has against another man for a set term. He gives him a reduction and he pays it immediately. This is not like that debt. The breaking of the mukatab with his master is dependent on his giving money to speed up the setting free. Inheritance, testimony and the hudud are obliged for him and the inviolability of being set free is established for him. He is not buying dirhams for dirhams or gold for gold. Rather it is like a man who having said to his slave, 'Bring me such-and-such an amount of dinars and you are free', then reduces that for him, saying, 'If you bring me less than that, you are free.' That is not a fixed debt. Had it been a fixed debt, the master would have shared with the creditors of the mukatab when he died or went bankrupt. His claim on the property of the mukatab would join theirs."
পরিচ্ছেদঃ ৪. মুকাতাব কর্তৃক কাহাকে আঘাত করা
রেওয়ায়ত ৬. মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে অতি উত্তম কথা যাহা শুনিয়াছি তাহা এই যে, মুকাতাব কোন ব্যক্তিকে আঘাত করিয়াছে যাহাতে দীয়্যত (খেসারত) ওয়াজিব। মুকাতাব যদি “বদল-এ কিতাবাত”-সহ এই জখমের ক্ষতিপূরণ দিতে সক্ষম থাকে তবে উহা আদায় করিবে এবং সে কিতাবাতের উপর (বহাল) থাকিবে। আর যদি সে সমর্থ না হয়, তবে সে কিতাবাত হইতে অক্ষম হইল। কারণ কিতাবাতের (অর্থ পরিশোধের) পূর্বে এই আঘাতের দীয়্যত পরিশোধ করা ওয়াজিব। সে যদি আঘাতের দীয়্যত পরিশোধ করিতে অক্ষম হয় তবে তাহার কর্তাকে ইখতিয়ার দেওয়া হইবে, যদি সে পছন্দ করে তবে আঘাতের ক্ষতিপূরণ দিবে এবং গোলামকে আয়ত্তে নেবে। সে (এখন হইতে) তাহার কর্তৃত্বাধীন ক্রীতদাস থাকিবে অথবা সে ইচ্ছা করিলে গোলামকে জখমি ব্যক্তির নিকট সোপর্দ করিবে। আর কর্তার উপর গোলামকে সোপর্দ করিয়া দেওয়া ছাড়া অন্য কোন দায়িত্ব নাই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ক্রীতদাসদের একদল সকলে একত্রে মুকাতাবাত করিয়াছে। তারপর উহাদের একজন কাহাকেও এমন আঘাত করিয়াছে যাহাতে দীয়াত ওয়াজিব হয়। মালিক (রহঃ) বলেনঃ ক্ষতিপূরণ ওয়াজিব হয় এমন আঘাত উহাদের মধ্যে যে ক্রীতদাস করিয়াছে সে ক্রীতদাসকে এবং কিতাবাত চুক্তিতে উহার সহিত আর যাহারা রহিয়াছে উহাদিগকে বলা হইবে, তোমরা সকলে এই আঘাতের ক্ষতিপূরণ দাও, উহারা যদি ক্ষতিপূরণ আদায় করে তবে সকলে কিতাবাতের উপর বহাল থাকিবে। আর তাহারা আদায় না করিলে তবে তাহারা অপারক বলিয়া প্রমাণিত হইল। উহাদের কর্তাকে ইখতিয়ার দেওয়া হইবে। যদি সে ইচ্ছা করে এই আঘাতের ক্ষতিপূরণ দিবে, ক্রীতদাস সকলেই তাহার গোলাম থাকিবে। আর সে যদি ইচ্ছা করে কেবলমাত্র আঘাতকারীকে সোপর্দ করিবে। উহাদের সাথী যে আঘাত করিয়াছিল সেই আঘাতের ক্ষতিপূরণ দিতে তাহারা অক্ষম হওয়ায় তাহদের সকলেই কর্তার ক্রীতদাসরূপে থাকিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে এই বিষয়ে মাসআলাতে আমাদের মধ্যে কোন মতভেদ নাই, তাহা এই : মুকাতাব নিজে যদি এমন কোন আঘাত অন্যের দ্বারা পায় যাহাতে ক্ষতিপূরণ পাইতে পারে। অথবা মুকাতাবের সন্তানদের কেহ এইরূপ আঘাত পায় যাহারা কিতাবাতে মুকাতাবের সহিত শামিল রহিয়াছে। তবে উহাদের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য হইবে ক্রীতদাসের ক্ষতিপূরণ উহাদের মূল্য অনুসারে, আর উহাদের জন্য গৃহীত ক্ষতিপূরণ হইবে তাহাদের কর্তার জন্য যিনি কিতাবাত করিয়াছেন। আর মুকাতাব যে মাল (কর্তাকে) দিয়াছে উহা কিতাবাতের শেষে হিসাব করা হইবে, অতঃপর আঘাতের ক্ষতিপূরণ হইতে কর্তা যাহা গ্রহণ করিয়াছে উহা মুকাতাব হইতে বাদ দেওয়া হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহার ব্যাখ্যা এই যে, কর্তা ক্রীতদাসের সহিত মুকাতাবাত করিয়াছে তিন হাজার দিরহামের বিনিময়ে, আর ক্রীতদাসের আঘাতের খেসারত হইতেছে এক হাজার দিরহাম যাহা তাহার কর্তা গ্রহণ করিয়াছে।
অতঃপর মুকাতাব যদি তাহার কর্তাকে দুই হাজার দিরহাম আদায় করে তবে সে আযাদ হইয়া যাইবে। যাহা গ্রহণ করিয়াছিল উহা ছিল দুই হাজার দিরহাম তবে মুকাতাব আযাদ হইয়া গিয়াছে। কিতাবাত-এর অর্থ পরিশোধ করার পর যাহা অবশিষ্ট থাকিবে তাহা মুকাতাব পাইবে। আর মুকাতাবকে তাহার আঘাতের দীয়্যত হইতে কোন কিছু দেওয়া জায়েয নহে। কারণ সে উহা ব্যয় করিয়া ফেলিবে, বরবাদ করিয়া ফেলিবে; যখন অপারক হইবে তখন তাহার কর্তার দিকে ফিরিবে টেরা চক্ষু, হাত কাটা, ক্ষত দেহ অবস্থায়। কারণ কর্তা তাহার সহিত মুকাতাবাত করিয়াছে তাহার মাল ও উপার্জনের উপর। কর্তা তাহার সহিত এই ব্যাপারে মুকাতাবাত করে নাই, সন্তানের মূল্য গ্রহণ করিবে এবং সে তাহার দেহের আঘাতের যে খেসারত পাইয়াছে ও উহা ব্যয় করিয়াছে এবং বরবাদ করিয়া ফেলিয়াছে উহার উপরও মুকাতাবাত করা হয় নাই। তবে খেসারত দেওয়া হইবে মুকাতাবের জখমের এবং মুকাতাবের সন্তানদের জখমের ও সেই সন্তানদের যাহারা কিতাবাত কার্যকর হওয়াকালীন জন্মগ্রহণ করিয়াছে অথবা যেই সন্তানদের উল্লেখ করিয়া কিতাবাত হইয়াছিল। সেই দীয়্যত কর্তাকে দেওয়া হইবে বটে তবে কিতাবাতের শেষ দিকে উহা হিসাব করা হইবে।
باب جِرَاحِ الْمُكَاتَبِ
قَالَ مَالِك أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي الْمُكَاتَبِ يَجْرَحُ الرَّجُلَ جَرْحًا يَقَعُ فِيهِ الْعَقْلُ عَلَيْهِ أَنَّ الْمُكَاتَبَ إِنْ قَوِيَ عَلَى أَنْ يُؤَدِّيَ عَقْلَ ذَلِكَ الْجَرْحِ مَعَ كِتَابَتِهِ أَدَّاهُ وَكَانَ عَلَى كِتَابَتِهِ فَإِنْ لَمْ يَقْوَ عَلَى ذَلِكَ فَقَدْ عَجَزَ عَنْ كِتَابَتِهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ يَنْبَغِي أَنْ يُؤَدِّيَ عَقْلَ ذَلِكَ الْجَرْحِ قَبْلَ الْكِتَابَةِ فَإِنْ هُوَ عَجَزَ عَنْ أَدَاءِ عَقْلِ ذَلِكَ الْجَرْحِ خُيِّرَ سَيِّدُهُ فَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يُؤَدِّيَ عَقْلَ ذَلِكَ الْجَرْحِ فَعَلَ وَأَمْسَكَ غُلَامَهُ وَصَارَ عَبْدًا مَمْلُوكًا وَإِنْ شَاءَ أَنْ يُسَلِّمَ الْعَبْدَ إِلَى الْمَجْرُوحِ أَسْلَمَهُ وَلَيْسَ عَلَى السَّيِّدِ أَكْثَرُ مِنْ أَنْ يُسَلِّمَ عَبْدَهُ قَالَ مَالِك فِي الْقَوْمِ يُكَاتَبُونَ جَمِيعًا فَيَجْرَحُ أَحَدُهُمْ جَرْحًا فِيهِ عَقْلٌ قَالَ مَالِك مَنْ جَرَحَ مِنْهُمْ جَرْحًا فِيهِ عَقْلٌ قِيلَ لَهُ وَلِلَّذِينَ مَعَهُ فِي الْكِتَابَةِ أَدُّوا جَمِيعًا عَقْلَ ذَلِكَ الْجَرْحِ فَإِنْ أَدَّوْا ثَبَتُوا عَلَى كِتَابَتِهِمْ وَإِنْ لَمْ يُؤَدُّوا فَقَدْ عَجَزُوا وَيُخَيَّرُ سَيِّدُهُمْ فَإِنْ شَاءَ أَدَّى عَقْلَ ذَلِكَ الْجَرْحِ وَرَجَعُوا عَبِيدًا لَهُ جَمِيعًا وَإِنْ شَاءَ أَسْلَمَ الْجَارِحَ وَحْدَهُ وَرَجَعَ الْآخَرُونَ عَبِيدًا لَهُ جَمِيعًا بِعَجْزِهِمْ عَنْ أَدَاءِ عَقْلِ ذَلِكَ الْجَرْحِ الَّذِي جَرَحَ صَاحِبُهُمْ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا أُصِيبَ بِجَرْحٍ يَكُونُ لَهُ فِيهِ عَقْلٌ أَوْ أُصِيبَ أَحَدٌ مِنْ وَلَدِ الْمُكَاتَبِ الَّذِينَ مَعَهُ فِي كِتَابَتِهِ فَإِنَّ عَقْلَهُمْ عَقْلُ الْعَبِيدِ فِي قِيمَتِهِمْ وَأَنَّ مَا أُخِذَ لَهُمْ مِنْ عَقْلِهِمْ يُدْفَعُ إِلَى سَيِّدِهِمْ الَّذِي لَهُ الْكِتَابَةُ وَيُحْسَبُ ذَلِكَ لِلْمُكَاتَبِ فِي آخِرِ كِتَابَتِهِ فَيُوضَعُ عَنْهُ مَا أَخَذَ سَيِّدُهُ مِنْ دِيَةِ جَرْحِهِ قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنَّهُ كَأَنَّهُ كَاتَبَهُ عَلَى ثَلَاثَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ وَكَانَ دِيَةُ جَرْحِهِ الَّذِي أَخَذَهَا سَيِّدُهُ أَلْفَ دِرْهَمٍ فَإِذَا أَدَّى الْمُكَاتَبُ إِلَى سَيِّدِهِ أَلْفَيْ دِرْهَمٍ فَهُوَ حُرٌّ وَإِنْ كَانَ الَّذِي بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ أَلْفَ دِرْهَمٍ وَكَانَ الَّذِي أَخَذَ مِنْ دِيَةِ جَرْحِهِ أَلْفَ دِرْهَمٍ فَقَدْ عَتَقَ وَإِنْ كَانَ عَقْلُ جَرْحِهِ أَكْثَرَ مِمَّا بَقِيَ عَلَى الْمُكَاتَبِ أَخَذَ سَيِّدُ الْمُكَاتَبِ مَا بَقِيَ مِنْ كِتَابَتِهِ وَعَتَقَ وَكَانَ مَا فَضَلَ بَعْدَ أَدَاءِ كِتَابَتِهِ لِلْمُكَاتَبِ وَلَا يَنْبَغِي أَنْ يُدْفَعَ إِلَى الْمُكَاتَبِ شَيْءٌ مِنْ دِيَةِ جَرْحِهِ فَيَأْكُلَهُ وَيَسْتَهْلِكَهُ فَإِنْ عَجَزَ رَجَعَ إِلَى سَيِّدِهِ أَعْوَرَ أَوْ مَقْطُوعَ الْيَدِ أَوْ مَعْضُوبَ الْجَسَدِ وَإِنَّمَا كَاتَبَهُ سَيِّدُهُ عَلَى مَالِهِ وَكَسْبِهِ وَلَمْ يُكَاتِبْهُ عَلَى أَنْ يَأْخُذَ ثَمَنَ وَلَدِهِ وَلَا مَا أُصِيبَ مِنْ عَقْلِ جَسَدِهِ فَيَأْكُلَهُ وَيَسْتَهْلِكَهُ وَلَكِنْ عَقْلُ جِرَاحَاتِ الْمُكَاتَبِ وَوَلَدِهِ الَّذِينَ وُلِدُوا فِي كِتَابَتِهِ أَوْ كَاتَبَ عَلَيْهِمْ يُدْفَعُ إِلَى سَيِّدِهِ وَيُحْسَبُ ذَلِكَ لَهُ فِي آخِرِ كِتَابَتِهِ
Malik said, "The best of what I have heard about a mukatab who injures a man so that blood-money must be paid, is that if the mukatab can pay the blood-money for the injury with his kitaba, he does so, and it is against his kitaba. If he cannot do that, and he cannot pay his kitaba because he must pay the blood-money of that injury before the kitaba, and he cannot pay the blood-money of that injury, then his master has an option. If he prefers to pay the blood-money of that injury, he does so and keeps his slave and he becomes an owned slave. If he wishes to surrender the slave to the injured, he surrenders him. The master does not have to do more than surrender his slave."
Malik spoke about people who were in a general kitaba and one of them caused an injury which entailed blood-money. He said, "If any of them does an injury involving blood-money, he and those who are with him in the kitaba are asked to pay all the blood-money of that injury. If they pay, they are confirmed in their kitaba. If they do not pay, and they are incapable then their master has an option. If he wishes, he can pay all the blood-money of that injury and all the slaves revert to him. If he wishes, he can surrender the one who did the injury alone and all the others revert to being his slaves since they could not pay the blood-money of the injury which their companion caused."
Malik said, "The way of doing things about which there is no dispute among us, is that when a mukatab is injured in some way which entails blood-money or one of the mukatab's children who is written with him in the kitaba is injured, their blood-money is the blood-money of slaves of their value, and what is appointed to them as their blood-money is paid to the master who has the kitaba and he reckons that for the mukatab at the end of his kitaba and there is a reduction for the blood-money that the master has taken for the injury."
Malik said, "The explanation of that is say, for example, he has written his kitaba for three thousand dirhams and the blood-money taken by the master for his injury is one thousand dirhams. When the mukatab has paid his master two thousand dirhams he is free. If what remains of his kitaba is one thousand dirhams and the blood-money for his injury is one thousand dirhams, he is free straightaway. If the blood-money of the injury is more than what remains of the kitaba, the master of the mukatab takes what remains of his kitaba and frees him. What remains after the payment of the kitaba belongs to the mukatab. One must not pay the mukatab any of the blood- money of his injury in case he might consume it and use it up. If he could not pay his kitaba completely he would then return to his master one eyed, with a hand cut off, or crippled in body. His master only wrote his kitaba against his property and earnings, and he did not write his kitaba so that he would take the blood-money for what happened to his child or to himself and use it up and consume it. One pays the blood-money of injuries to a mukatab and his children who are born in his kitaba, or their kitaba is written, to the master and he takes it into account for him at the end of his kitaba."
পরিচ্ছেদঃ ৫. মুকাতাব-এর কিতাবাত বিক্রয় প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ৭. মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে সর্বোত্তম যাহা আমি শুনিয়াছি সেই ব্যক্তি সম্পর্কে-যে কোন লোকের মুকাতাবকে খরিদ করে। সেই মুকাতাব-এর সহিত দিরহাম বা দীনারের পরিবর্তে কিতাবাত করা হইলে তবে উহাকে (দিরহাম বা দীনার ব্যতীত) অন্য কোন পণ্যের বিনিময়ে নগদ বিক্রি করিতে পারবে। কারণ বিক্রি করা হইলে তবে হইবে ঋণের বিনিময়ে বিক্রয় করা। পক্ষান্তরে ঋণের বিনিময়ে ঋণ বিক্রয় করা নিষিদ্ধ। মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুকাতাবের কর্তা যদি উহার সহিত কোন মালের যথা উট, গরু, ছাগল অথবা ক্রীতদাসের উপর মুকাতাবাত করিয়া থাকে, তবে ক্রেতা মুকাতাবকে স্বর্ণ কিংবা রৌপ্য অথবা যে পণ্যের দ্রব্যের বিনিময়ে কর্তা উহার সহিত মুকাতাবাত করিয়াছে সে পণ্যের বিপরীত পণ্যের বিনিময়ে ক্রয় করিতে পরিবে, তবে মূল্য নগদ পরিশোধ করিতে হইবে, বাকী নহে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুকাতাবের ব্যাপারে অতি ভাল অভিমত আমি যাহা শুনিয়াছি তাহা এই— যদি উহাকে বিক্রয় করা হয়, তবে যে উহাকে খরিদ করিয়াছে তাহার অপেক্ষা মুকাতাবই আপন কিতাবাত ক্রয় করার অধিক হকদার, যেই মূল্যে উহাকে তাহার কর্তা বিক্রয় করিয়াছে সেই মূল্য নগদ পরিশোধ করিতে মুকাতাব যদি সক্ষম হয়, কারণ মুকাতাব কর্তৃক তাহার নিজেকে ক্রয় করা আযাদী বটে, (মুকাতাব ক্রয় করিলে সাথে সাথে আযাদ হইয়া যাইবে, অন্য কেহ খরিদ করিলে হয়ত গোলাম বানাইয়া রাখিবে) [আরও এইজন্য যে,] কিতাবাতের সঙ্গে অন্যান্য যেই সব ওসীয়ত থাকে সেই সবের যাহারা কিতাবাত করিয়াছে তাহাদের কোন শরীক যদি নিজের অংশ বিক্রি করে যথা— মুকাতাবের অর্ধেকাংশ অথবা এক-তৃতীয়াংশ অথবা এক-চতুর্থাংশ অথবা মুকাতাবের অংশসমূহ হইতে যেকোন অংশ তবে বিক্রীত অংশে মুকাতাবের জন্য শুফ’আ-এর দাবি করার হক থাকিবে না। কারণ (অংশ বিক্রয় করা) ইহা কিতা’আতের মত। আর মুকাতাবের কিছু অংশে কিতা’আত করা অন্যান্য শরীকদের অনুমতি ব্যতীত জায়েয নহে। আর মুকাতাবের যে অংশ বিক্রি করা হইয়াছে উহার দ্বারা তাহার জন্য সম্পূর্ণ হুরমত আযাদ ব্যক্তির মর্যাদা লাভ প্রতিষ্ঠিত হইবে না। মুকাতাবের মালে তিনি অধিকার বর্জিত। পক্ষান্তরে আংশিক খরিদের পর তাহার অপারক হওয়ার আশংকাও করা যাইতে পারে, যদ্দরুন যে অংশ সে খরিদ করিয়াছিল তাহার অপারক হওয়াতে সেই অর্থও বিফলে যাইতে পারে। ইহা মুকাতাব কর্তৃক নিজেকে সম্পূর্ণ ক্রয় করার মতো (ব্যাপার) নহে। তবে যদি তাহার কিতাবাতে যাহার অংশ অবশিষ্ট রহিয়াছে সে যদি অনুমতি দেয় (তাহা হইলে বৈধ হইবে) শরীকদারগণ যদি তাহার অংশ (যাহা বিক্রয় করা হইবে) খরিদ করার তাহাকে অনুমতি দেয় তবে সে ইহার অধিক হকদার হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুকাতাব-এর কিস্তিসমূহের কোন কিস্তির বিক্রয় জায়েয নহে, কারণ ইহার ধোঁকা আছে। মুকাতাব অপারক হইয়া গেলে উহার জিম্মায় যে অর্থ (বদলে-কিতাবাতের) রহিয়াছে তাহা বাতিল হইয়া যাইবে। আর যদি মুকতাব-এর মৃত্যু হয় অথবা সে মুফলিস (রিক্তহস্ত) হইয়া যায় এবং তাহার উপর লোকের ঋণ থাকে তবে যে কিস্তি খরিদ করিয়াছে তাহার জন্য ঋণদাতাদের সঙ্গে শামিল হইয়া তাহার অংশ আদায় করা জায়েয হইবে না। পক্ষান্তরে যে মুকাতাবের কোন কিস্তি খরিদ করিয়াছে সে মুকাতাবের কর্তার মতো হইবে। মুকাতাবের কর্তা ক্রীতদাসের কিতাবাতের অর্থের জন্য মুকাতাবের ঋণদাতাদের সাথে শামিল বা শরীক হইবে না (তদ্রুপ যে কিস্তি খরিদ করিয়াছে সেও না)। অনুরূপ (কর্তার) খাজনা যাহা গোলামের উপর (অনাদায়ের কারণে) একত্র হইয়াছে এই খাজনা একত্র হওয়ার দরুন মুকাতাবের কর্তা উহার ঋণদাতাদের সঙ্গে শামিল বা শরীক হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি মুকাতাব স্বর্ণমুদ্রা অথবা রৌপ্য মুদ্রার বিনিময়ে নিজের কিতাবাতকে খরিদ করে অথবা পণ্যের বিনিময়ে। আর কিতাবাত যে স্বর্ণ বা রৌপ্য মুদ্রার অথবা পণ্যের বিনিময়ে হইয়াছে, সে মুদ্রা বা পণ্য হইতে ভিন্ন পণ্য দ্বারা অথবা অভিন্ন পণ্য দ্বারা নগদ অথবা বাকী উহা ক্রয় করাতে কোন দোষ নাই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুকাতাবের মৃত্যু হইয়াছে এবং সে রাখিয়া গিয়াছে উম্মে-ওয়ালাদ আর ছোট ছোট সন্তান সেই পক্ষের অথবা উহার ভিন্ন পক্ষের (আযাদ হইবার) চেষ্টা করার সামর্থ উহাদের নাই, ’বদলে-কিতাবাত’ আদায় করিতে উহাদের অপারকতারও আশংকা রহিয়াছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ উহাদের পিতার উম্মে ওয়ালাদকে বিক্রয় করা হইবে, যদি তাহার মূল্য এই পরিমাণ হয় যদ্বারা উহাদের সকলের “বদলে কিতাবাত” পূর্ণরূপে শোধ করা যায়। এই “উম্মে-ওয়ালাদ” উক্ত সন্তানদের হউক অথবা ভিন্ন কেউ হউক (উহাকে বিক্রি করিয়া) সকলের “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করা হইবে এবং উহারা সকলে আযাদ হইয়া যাইবে। কারণ উহাদের পিতা নিজের “বদলে-কিতাবাত” আযাদ করিতে অপারক হইলে উম্মে-ওয়ালাদকে বিক্রি করিতে নিষেধ করিত না। তাই ইহারা “বদলে কিতাবাত” আদায় করিতে যখন তাহাদের অপারকতার আশংকা করা হইবে তখন উহাদের পিতার “উম্মে ওয়ালাদ”-কে বিক্রয় করা হইবে এবং উহাদের (কিতাবাতের) মূল্য পরিশোধ করা হইবে। আর যদি তাহদের পক্ষে “বদলে কিতাবাত” আদায় করা যায় এমন কিছু না থাকে এবং “উম্মে ওয়ালাদ” ও উহারা (সন্তানগণ) পরিশ্রম করিতেও সামর্থ্য না রাখে, তবে উহারা সকলে উহাদের কর্তার দাস হইয়া যাইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের সর্বসম্মত অভিমত এই, যে ব্যক্তি মুকাতাবের কিতাবাতকে খরিদ করে, অতঃপর “বদলে-কিতাবাত” পরিশোধ করার পূর্বে মুকাতাবের মৃত্যু হয়, তবে যে “কিতাবাত” ক্রয় করিয়াছে সে (মৃত) মুকাতাবের মীরাস পাইবে। আর যদি মুকাতাব অক্ষম হয়, তার ক্রেতা উহার মালিক হইবে (অর্থাৎ সে ক্রেতার দাসরূপে থাকিবে)। আর মুকতাব যদি “বদলে কিতাবাত” উহার ক্রেতার নিকট আদায় করিয়াছে এবং ইহাতে সে আযাদ হইয়া গিয়াছে তখন উহার মুকতাব যে আযাদী লাভ করিয়াছে। উত্তরাধিকার কিতাবাত চুক্তি যে করিয়াছিল সে পাইবে। যে কিতাবাত ক্রয় করিয়াছে সে উহার কোন প্রকার উত্তরাধিকার লাভ করবে না।
باب بَيْعِ الْمُكَاتَبِ
قَالَ مَالِك إِنَّ أَحْسَنَ مَا سُمِعَ فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي مُكَاتَبَ الرَّجُلِ أَنَّهُ لَا يَبِيعُهُ إِذَا كَانَ كَاتَبَهُ بِدَنَانِيرَ أَوْ دَرَاهِمَ إِلَّا بِعَرْضٍ مِنْ الْعُرُوضِ يُعَجِّلُهُ وَلَا يُؤَخِّرُهُ لِأَنَّهُ إِذَا أَخَّرَهُ كَانَ دَيْنًا بِدَيْنٍ وَقَدْ نُهِيَ عَنْ الْكَالِئِ بِالْكَالِئِ قَالَ وَإِنْ كَاتَبَ الْمُكَاتَبَ سَيِّدُهُ بِعَرْضٍ مِنْ الْعُرُوضِ مِنْ الْإِبِلِ أَوْ الْبَقَرِ أَوْ الْغَنَمِ أَوْ الرَّقِيقِ فَإِنَّهُ يَصْلُحُ لِلْمُشْتَرِي أَنْ يَشْتَرِيَهُ بِذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ أَوْ عَرْضٍ مُخَالِفٍ لِلْعُرُوضِ الَّتِي كَاتَبَهُ سَيِّدُهُ عَلَيْهَا يُعَجِّلُ ذَلِكَ وَلَا يُؤَخِّرُهُ قَالَ مَالِك أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي الْمُكَاتَبِ أَنَّهُ إِذَا بِيعَ كَانَ أَحَقَّ بِاشْتِرَاءِ كِتَابَتِهِ مِمَّنْ اشْتَرَاهَا إِذَا قَوِيَ أَنْ يُؤَدِّيَ إِلَى سَيِّدِهِ الثَّمَنَ الَّذِي بَاعَهُ بِهِ نَقْدًا وَذَلِكَ أَنَّ اشْتِرَاءَهُ نَفْسَهُ عَتَاقَةٌ وَالْعَتَاقَةُ تُبَدَّأُ عَلَى مَا كَانَ مَعَهَا مِنْ الْوَصَايَا وَإِنْ بَاعَ بَعْضُ مَنْ كَاتَبَ الْمُكَاتَبَ نَصِيبَهُ مِنْهُ فَبَاعَ نِصْفَ الْمُكَاتَبِ أَوْ ثُلُثَهُ أَوْ رُبُعَهُ أَوْ سَهْمًا مِنْ أَسْهُمِ الْمُكَاتَبِ فَلَيْسَ لِلْمُكَاتَبِ فِيمَا بِيعَ مِنْهُ شُفْعَةٌ وَذَلِكَ أَنَّهُ يَصِيرُ بِمَنْزِلَةِ الْقَطَاعَةِ وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُقَاطِعَ بَعْضَ مَنْ كَاتَبَهُ إِلَّا بِإِذْنِ شُرَكَائِهِ وَأَنَّ مَا بِيعَ مِنْهُ لَيْسَتْ لَهُ بِهِ حُرْمَةٌ تَامَّةٌ وَأَنَّ مَالَهُ مَحْجُورٌ عَنْهُ وَأَنَّ اشْتِرَاءَهُ بَعْضَهُ يُخَافُ عَلَيْهِ مِنْهُ الْعَجْزُ لِمَا يَذْهَبُ مِنْ مَالِهِ وَلَيْسَ ذَلِكَ بِمَنْزِلَةِ اشْتِرَاءِ الْمُكَاتَبِ نَفْسَهُ كَامِلًا إِلَّا أَنْ يَأْذَنَ لَهُ مَنْ بَقِيَ لَهُ فِيهِ كِتَابَةٌ فَإِنْ أَذِنُوا لَهُ كَانَ أَحَقَّ بِمَا بِيعَ مِنْهُ قَالَ مَالِك لَا يَحِلُّ بَيْعُ نَجْمٍ مِنْ نُجُومِ الْمُكَاتَبِ وَذَلِكَ أَنَّهُ غَرَرٌ إِنْ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ بَطَلَ مَا عَلَيْهِ وَإِنْ مَاتَ أَوْ أَفْلَسَ وَعَلَيْهِ دُيُونٌ لِلنَّاسِ لَمْ يَأْخُذْ الَّذِي اشْتَرَى نَجْمَهُ بِحِصَّتِهِ مَعَ غُرَمَائِهِ شَيْئًا وَإِنَّمَا الَّذِي يَشْتَرِي نَجْمًا مِنْ نُجُومِ الْمُكَاتَبِ بِمَنْزِلَةِ سَيِّدِ الْمُكَاتَبِ فَسَيِّدُ الْمُكَاتَبِ لَا يُحَاصُّ بِكِتَابَةِ غُلَامِهِ غُرَمَاءَ الْمُكَاتَبِ وَكَذَلِكَ الْخَرَاجُ أَيْضًا يَجْتَمِعُ لَهُ عَلَى غُلَامِهِ فَلَا يُحَاصُّ بِمَا اجْتَمَعَ لَهُ مِنْ الْخَرَاجِ غُرَمَاءَ غُلَامِهِ قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ بِأَنْ يَشْتَرِيَ الْمُكَاتَبُ كِتَابَتَهُ بِعَيْنٍ أَوْ عَرْضٍ مُخَالِفٍ لِمَا كُوتِبَ بِهِ مِنْ الْعَيْنِ أَوْ الْعَرْضِ أَوْ غَيْرِ مُخَالِفٍ مُعَجَّلٍ أَوْ مُؤَخَّرٍ قَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يَهْلِكُ وَيَتْرُكُ أُمَّ وَلَدٍ وَأَوْلَادًا لَهُ صِغَارًا مِنْهَا أَوْ مِنْ غَيْرِهَا فَلَا يَقْوَوْنَ عَلَى السَّعْيِ وَيُخَافُ عَلَيْهِمْ الْعَجْزُ عَنْ كِتَابَتِهِمْ قَالَ تُبَاعُ أُمُّ وَلَدِ أَبِيهِمْ إِذَا كَانَ فِي ثَمَنِهَا مَا يُؤَدَّى بِهِ عَنْهُمْ جَمِيعُ كِتَابَتِهِمْ أُمَّهُمْ كَانَتْ أَوْ غَيْرَ أُمِّهِمْ يُؤَدَّى عَنْهُمْ وَيَعْتِقُونَ لِأَنَّ أَبَاهُمْ كَانَ لَا يَمْنَعُ بَيْعَهَا إِذَا خَافَ الْعَجْزَ عَنْ كِتَابَتِهِ فَهَؤُلَاءِ إِذَا خِيفَ عَلَيْهِمْ الْعَجْزُ بِيعَتْ أُمُّ وَلَدِ أَبِيهِمْ فَيُؤَدَّى عَنْهُمْ ثَمَنُهَا فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِي ثَمَنِهَا مَا يُؤَدَّى عَنْهُمْ وَلَمْ تَقْوَ هِيَ وَلَا هُمْ عَلَى السَّعْيِ رَجَعُوا جَمِيعًا رَقِيقًا لِسَيِّدِهِمْ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الَّذِي يَبْتَاعُ كِتَابَةَ الْمُكَاتَبِ ثُمَّ يَهْلِكُ الْمُكَاتَبُ قَبْلَ أَنْ يُؤَدِّيَ كِتَابَتَهُ أَنَّهُ يَرِثُهُ الَّذِي اشْتَرَى كِتَابَتَهُ وَإِنْ عَجَزَ فَلَهُ رَقَبَتُهُ وَإِنْ أَدَّى الْمُكَاتَبُ كِتَابَتَهُ إِلَى الَّذِي اشْتَرَاهَا وَعَتَقَ فَوَلَاؤُهُ لِلَّذِي عَقَدَ كِتَابَتَهُ لَيْسَ لِلَّذِي اشْتَرَى كِتَابَتَهُ مِنْ وَلَائِهِ شَيْءٌ
Malik said, "The best of what is said about a man who buys the mukatab of a man is that if the man wrote the slave's kitaba for dinars or dirhams, he does not sell him unless it is for merchandise which is paid immediately and not deferred, because if it is deferred, it would be a debt for a debt. A debt for a debt is forbidden."
He said, "If the master gives a mukatab his kitaba for certain merchandise of camels, cattle, sheep, or slaves, it is more correct that the buyer buy him for gold, silver, or different goods than the ones his master wrote the kitaba for, and that must be paid immediately, not deferred."
Malik said, "The best of what I have heard about a mukatab when he is sold is that he is more entitled to buy his kitaba than the one who buys him if he can pay his master the price for which he was sold in cash. That is because his buying himself is his freedom, and freedom has priority over what bequests accompany it. If one of those who have written the kitaba for the mukatab sells his portion of him, so that a half, a third, a fourth, or whatever share of the mukatab is sold, the mukatab does not have the right of pre-emption in what is sold of him. That is because it is like the severance of a partner, and a partner can only make a settlement for a partner of the one who is mukatab with the permission of his partners because what is sold of him does not give him complete rights as a free man and his property is barred from him, and by buying part of himself, it is feared that he will become incapable of completing payment because of what he had to spend. That is not like the mukatab buying himself completely unless whoever has some of the kitaba remaining due to him gives him permission. If they give him permission, he is more entitled to what is sold of him."
Malik said, "Selling one of the instalments of a mukatab is not halal. That is because it Is an uncertain transaction. If the mukatab cannot pay it, what he owes is nullified. If he dies or goes bankrupt and he owes debts to people, then the person who bought his instalment does not take any of his portion with the creditors. The person who buys one of the instalments of the mukatab is in the position of the master of the mukatab. The master of the mukatab does not have a share with the creditors of the mukatab for what he is owed of the kitaba of his slave. It is also like that with the kharaj, (a set amount deducted daily from the slave against his earnings), which accumulates for a master from the earnings of his slave. The creditors of his slave do not allow him a share for what has accumulated for him from those deductions."
Malik said, "There is no harm in a mukatab paying off his kitaba with coin or merchandise other than the merchandise for which he wrote his kitaba if it is identical with it, on time (for the instalment) or delayed. "
Malik said that if a mukatab died and left an umm walad and small children by her or by someone else and they could not work and it was feared that they would be unable to fulfil their kitaba, the umm walad of the father was sold if her price would pay all the kitaba for them, whether or not she was their mother. They were paid for and set free because their father did not forbid her sale if he feared that he would be unable to complete his kitaba. If her price would not pay for them and neither she nor they could work, they all reverted to being slaves of the master.
Malik said, "What is done among us in the case of a person who buys the kitaba of a mukatab, and then the mukatab dies before he has paid his kitaba, is that the person who bought the kitaba inherits from him. If, rather than dying, the mukatab cannot pay, the buyer has his person. If the mukatab pays his kitaba to the person who bought him and he is freed, his wala' goes to the person who wrote the kitaba and the person who bought his kitaba does not have any of it."
পরিচ্ছেদঃ ৬. মুকাতাবের প্রচেষ্টা
রেওয়ায়ত ৮. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, উরওয়াহ ইবন যুবায়র ও সুলায়মান ইবন ইয়াসার তাহাদের উভয়কে প্রশ্ন করা হইল এমন এক ব্যক্তি সম্বন্ধে, যে ব্যক্তি নিজের এবং তাহার ছেলেদের মুক্তির জন্য মুকাতাবাত করিয়াছে। তারপর তাহার মৃত্যু হইয়াছে (এই অবস্থায়) এমতাবস্থায় মুকাতাবের ছেলেরা তাহাদের পিতার কিতাবাত-এর অর্থ আদায় করার জন্য চেষ্টা করিবে কি? না তাহারা ক্রীতদাস থাকিয়া যাইবে? তাহারা (উত্তরে) বলিলেন, তাহারা (মুকাতাবের) (ছেলেরা) তাহাদের পিতার কিতাবাতের অর্থ পরিশোধের জন্য চেষ্টা করিবে। তাহাদের উপর হইতে পিতার মৃত্যু হেতু "বদলে কিতাবাত"-এর পরিমাণ বা মূল্য হইতে কিছু কমান হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ (মৃত) মুকাতাবের সন্তানগণ যদি ছোট বয়সের থাকে যাহারা (“বদলে-কিতাবাত আদায় করার”) চেষ্টা করার সামর্থ্য রাখে না, তবে তাহাদের (বড় হওয়ার) জন্য অপেক্ষা করা হইবে না। তাহারা তাহদের পিতার কর্তার ক্রীতদাস থাকিবে; কিন্তু মুকাতাব যদি এই পরিমাণ মাল রাখিয়া যায় ছেলেরা চেষ্টা করার উপযোগী হওয়া পর্যন্ত সেই পরিমাণ মালের দ্বারা তাহদের (কিতাবাতের) কিস্তি আদায় করা যাইতে পারে। যদি তাহদের পিতা যে মাল রাখিয়া গিয়াছে তাহাতে তাহদের কিস্তি আদায় করা যায়, তবে (তাহাদের ছোট থাকাকালে) তাহাদের কিস্তি আদায় করা হইবে; এবং তাহাদিগকে চেষ্টার উপযোগী বয়সে উপনীত হওয়া পর্যন্ত এইভাবে থাকিতে দেওয়া হইবে। যদি তাহার “বদলে কিতাবাত” আদায় করে তবে সকলেই আযাদ হইয়া যাইবে। আর তাহারা ইহা হইতে অক্ষম হইলে গোলাম থাকিয়া যাইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে মুকাতাবের মৃত্যু হইয়াছে এবং সে রাখিয়া গিয়াছে সন্তান যাহারা তাহার সহিত কিতাবাতে শামিল রহিয়াছে আর (রাখিয়া গিয়াছে) “উম্মে-ওয়ালাদ” আর (সে রাখিয়া গিয়াছে) মাল যাহা “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করার জন্য যথেষ্ট নহে।
“উম্মে ওয়ালাদ” যদি উহাদের আযাদীর নিমিত্ত চেষ্টা চালাইতে ইচ্ছা করে, যদি সে চেষ্টা করার উপযুক্ত হয় এবং নির্ভরযোগ্যও হয়, তবে (মৃত মুকাতাবের) মাল তাহার নিকট সোপর্দ করা হইবে। আর সে যদি চেষ্টা চালাইবার উপযুক্ত না হয় এবং নির্ভরযোগ্যও নহে তবে মালের কিছুই উহার নিকট সোপর্দ করা হইবে না। পক্ষান্তরে সেই মুকাতাবের সন্তানগণ মুকাতাবের কর্তার ক্রীতদাস থাকিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ক্রীতদাসের একদল যদি মুকাতাবাত করে একত্রে একই কিতাবাতের ভিতর তাহাদের মধ্যে পরস্পর আত্মীয়তার সম্বন্ধও নাই, অতঃপর কিছু সংখ্যক অপারক হয়। আর কিছু লোক চেষ্টা চালায়। ফলে সকলেই আযাদ হইয়া যায়। পক্ষান্তরে, যাহারা (আযাদীর জন্য) চেষ্টা করিয়াছে তাহারা প্রত্যাবর্তন করিবে, উহাদের দিকে যাহারা অক্ষম হইয়াছিল সেই অংশ অনুযায়ী যেই অংশ উহাদের তরফ হইতে পরিশোধ করা হইয়াছে। কারণ উহারা এক অপরের জামিন।
باب سَعْيِ الْمُكَاتَبِ
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ وَسُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ سُئِلَا عَنْ رَجُلٍ كَاتَبَ عَلَى نَفْسِهِ وَعَلَى بَنِيهِ ثُمَّ مَاتَ هَلْ يَسْعَى بَنُو الْمُكَاتَبِ فِي كِتَابَةِ أَبِيهِمْ أَمْ هُمْ عَبِيدٌ فَقَالَا بَلْ يَسْعَوْنَ فِي كِتَابَةِ أَبِيهِمْ وَلَا يُوضَعُ عَنْهُمْ لِمَوْتِ أَبِيهِمْ شَيْءٌ قَالَ مَالِك وَإِنْ كَانُوا صِغَارًا لَا يُطِيقُونَ السَّعْيَ لَمْ يُنْتَظَرْ بِهِمْ أَنْ يَكْبَرُوا وَكَانُوا رَقِيقًا لِسَيِّدِ أَبِيهِمْ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الْمُكَاتَبُ تَرَكَ مَا يُؤَدَّى بِهِ عَنْهُمْ نُجُومُهُمْ إِلَى أَنْ يَتَكَلَّفُوا السَّعْيَ فَإِنْ كَانَ فِيمَا تَرَكَ مَا يُؤَدَّى عَنْهُمْ أُدِّيَ ذَلِكَ عَنْهُمْ وَتُرِكُوا عَلَى حَالِهِمْ حَتَّى يَبْلُغُوا السَّعْيَ فَإِنْ أَدَّوْا عَتَقُوا وَإِنْ عَجَزُوا رَقُّوا قَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يَمُوتُ وَيَتْرُكُ مَالًا لَيْسَ فِيهِ وَفَاءُ الْكِتَابَةِ وَيَتْرُكُ وَلَدًا مَعَهُ فِي كِتَابَتِهِ وَأُمَّ وَلَدٍ فَأَرَادَتْ أُمُّ وَلَدِهِ أَنْ تَسْعَى عَلَيْهِمْ إِنَّهُ يُدْفَعُ إِلَيْهَا الْمَالُ إِذَا كَانَتْ مَأْمُونَةً عَلَى ذَلِكَ قَوِيَّةً عَلَى السَّعْيِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ قَوِيَّةً عَلَى السَّعْيِ وَلَا مَأْمُونَةً عَلَى الْمَالِ لَمْ تُعْطَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ وَرَجَعَتْ هِيَ وَوَلَدُ الْمُكَاتَبِ رَقِيقًا لِسَيِّدِ الْمُكَاتَبِ قَالَ مَالِك إِذَا كَاتَبَ الْقَوْمُ جَمِيعًا كِتَابَةً وَاحِدَةً وَلَا رَحِمَ بَيْنَهُمْ فَعَجَزَ بَعْضُهُمْ وَسَعَى بَعْضُهُمْ حَتَّى عَتَقُوا جَمِيعًا فَإِنَّ الَّذِينَ سَعَوْا يَرْجِعُونَ عَلَى الَّذِينَ عَجَزُوا بِحِصَّةِ مَا أَدَّوْا عَنْهُمْ لِأَنَّ بَعْضَهُمْ حُمَلَاءُ عَنْ بَعْضٍ
Malik related to me that he heard that Urwa ibn az-Zubayr and Sulayman ibn Yasar when asked whether the sons of a man, who had a kitaba written for himself and his children and then died, worked for the kitaba of their father or were slaves, said, "They work for the kitaba of their father and they have no reduction at all for the death of their father."
Malik said, "If they are small and unable to work, one does not wait for them to grow up and they are slaves of their father's master unless the mukatab has left what will pay their instalments for them until they can work. If there is enough to pay for them in what he has left, that is paid for on their behalf and they are left in their condition until they can work, and then if they pay, they are free. If they cannot do it, they are slaves."
Malik spoke about a mukatab who died and left property which was not enough to pay his kitaba, and he also left a child with him in his kitaba and an umm walad, and the umm walad wanted to work for them. He said, "The money is paid to her if she is trustworthy with it and strong enough to work. If she is not strong enough to work and not trustworthy with property, she is not given any of it and she and the children of the mukatab revert to being slaves of the master of the mukatab."
Malik said, "If people are written together in one kitaba and there is no kinship between them, and some of them are incapable and others work until they are all set free, those who worked can claim from those who were unable, the portion of what they paid for them because some of them assumed the responsibility for others."
পরিচ্ছেদঃ ৭. মুকাতাবের আযাদী প্রসঙ্গ — যদি সে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করে
রেওয়ায়ত ৯. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি রবী’আ ইবন আবি ’আবদির রহমান এবং আরও কিছু আলিমকে বলিতে শুনিয়াছেন, ফারাফিসা ইবন উমাইর আল হানাফী (রহঃ)-এর একজন মুকাতাব ছিল। সে “বদলে কিতাবাতের” সম্পূর্ণ অর্থ যাহা তাহার জিম্মায় রহিয়াছে, তাহা এক সঙ্গে তাহার নিকট পেশ করিল। ফারাফিসা উহা গ্রহণ করিতে অস্বীকার করিল। মুকাতাব আমীরে মদীনা মারওয়ান ইবন হাকামের নিকট উপস্থিত হইল এবং বিষয়টি তাহাকে জানাইল। মারওয়ান ফারাফিসা ইবন উমাইরকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। তিনি উপস্থিত হইলে তাহাকে উহা গ্রহণ করার কথা বলিলেন, কিন্তু ফারাফিসা অস্বীকার করিল, মারওয়ান সেই মাল মুকাতাব হইতে গ্রহণ করিয়া বায়তুলমালে রাখার নির্দেশ দিলেন; এবং (সাথে সাথে) মুকাতাবকে বলিয়া দিলেন: যাও, তুমি আযাদ হইয়া গিয়াছ। ফারাফিসা ইহা লক্ষ্য করিয়া মাল (নিজে) গ্রহণ করিল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহার মীমাংসা এই — মুকাতাব যদি তাহার জিম্মার সব কিস্তি উহার (নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে) আদায় করিয়া দেয় ইহা তাহার জন্য জায়েয হইবে, তাহার কর্তার পক্ষে ইহা অস্বীকার করিবার অধিকার নাই। ইহা এইজন্য যে, কর্তা ইহার দ্বারা মুকাতাবকে সর্বপ্রকার শর্ত অথবা খেদমত অথবা সফর হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতেছে। কারণ সামান্য দাসত্ব বহাল থাকিলেও কোন ব্যক্তির আযাদী পূর্ণ হয় না এবং (এমতাবস্থায়) উহার ব্যক্তিমর্যাদা পূর্ণতা লাভ করে না, আর উহার সাক্ষ্যও বৈধ হয় না, উহার জন্য মীরাস ওয়াজিব হয় না এবং এই জাতীয় আরও অন্যান্য আহকাম যাহা মুকাতাব সম্পর্কে রহিয়াছে। পক্ষান্তরে (ইহার পর) মুকাতাবের কর্তা কর্তৃক মুকাতাবের উপর কোন শর্ত আরোপ করা এবং আযাদীর পর কোন খেদমত গ্রহণ করা সঙ্গত নহে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে মুকাতাব গুরুতর অসুস্থ হইয়াছে সে তাহার যাবতীয় কিস্তি একত্রে কর্তাকে দিবার ইচ্ছা করিল, যেন তাহার আযাদ উত্তরাধিকারিগণ তাহার মীরাস লাভ করে এবং তাহার কোন সন্তান কিতাবাতে তাহার সঙ্গে শামিল নাই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহা তাহার জন্য জায়েয হইবে। কেননা ইহার দ্বারা তাহার ব্যক্তিমর্যাদা পূর্ণত্ব লাভ করিবে এবং তাহার সাক্ষ্য জায়েয হইবে, আর তাহার উপর লোকের যে সকল ঋণ রহিয়াছে সেই সকল ঋণের স্বীকারোক্তি করাও জায়েয হইবে এবং তাহার পক্ষে ওসীয়ত করাও জায়েয হইবে তাহার কর্তার পক্ষে ইহা অস্বীকার করার অধিকার নাই “যেমন সে ইহা বলে যে, তাহার মাল বাচাইবার প্রচেষ্টা করিয়াছে।”
باب عِتْقِ الْمُكَاتَبِ إِذَا أَدَّى مَا عَلَيْهِ قَبْلَ مَحِلِّهِ
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ رَبِيعَةَ بْنَ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَغَيْرَهُ يَذْكُرُونَ أَنَّ مُكَاتَبًا كَانَ لِلْفُرَافِصَةِ بْنِ عُمَيْرٍ الْحَنَفِيِّ وَأَنَّهُ عَرَضَ عَلَيْهِ أَنْ يَدْفَعَ إِلَيْهِ جَمِيعَ مَا عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ فَأَبَى الْفُرَافِصَةُ فَأَتَى الْمُكَاتَبُ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَدَعَا مَرْوَانُ الْفُرَافِصَةَ فَقَالَ لَهُ ذَلِكَ فَأَبَى فَأَمَرَ مَرْوَانُ بِذَلِكَ الْمَالِ أَنْ يُقْبَضَ مِنْ الْمُكَاتَبِ فَيُوضَعَ فِي بَيْتِ الْمَالِ وَقَالَ لِلْمُكَاتَبِ اذْهَبْ فَقَدْ يُقْرَآنِ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ الْفُرَافِصَةُ قَبَضَ الْمَالَ
قَالَ مَالِك فَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا أَدَّى جَمِيعَ مَا عَلَيْهِ مِنْ نُجُومِهِ قَبْلَ مَحِلِّهَا جَازَ ذَلِكَ لَهُ وَلَمْ يَكُنْ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَأْبَى ذَلِكَ عَلَيْهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ يَضَعُ عَنْ الْمُكَاتَبِ بِذَلِكَ كُلَّ شَرْطٍ أَوْ خِدْمَةٍ أَوْ سَفَرٍ لِأَنَّهُ لَا تَتِمُّ عَتَاقَةُ رَجُلٍ وَعَلَيْهِ بَقِيَّةٌ مِنْ رِقٍّ وَلَا تَتِمُّ حُرْمَتُهُ وَلَا تَجُوزُ شَهَادَتُهُ وَلَا يَجِبُ مِيرَاثُهُ وَلَا أَشْبَاهُ هَذَا مِنْ أَمْرِهِ وَلَا يَنْبَغِي لِسَيِّدِهِ أَنْ يَشْتَرِطَ عَلَيْهِ خِدْمَةً بَعْدَ عَتَاقَتِهِ قَالَ مَالِك فِي مُكَاتَبٍ مَرِضَ مَرَضًا شَدِيدًا فَأَرَادَ أَنْ يَدْفَعَ نُجُومَهُ كُلَّهَا إِلَى سَيِّدِهِ لِأَنْ يَرِثَهُ وَرَثَةٌ لَهُ أَحْرَارٌ وَلَيْسَ مَعَهُ فِي كِتَابَتِهِ وَلَدٌ لَهُ قَالَ مَالِك ذَلِكَ جَائِزٌ لَهُ لِأَنَّهُ تَتِمُّ بِذَلِكَ حُرْمَتُهُ وَتَجُوزُ شَهَادَتُهُ وَيَجُوزُ اعْتِرَافُهُ بِمَا عَلَيْهِ مِنْ دُيُونِ النَّاسِ وَتَجُوزُ وَصِيَّتُهُ وَلَيْسَ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَأْبَى ذَلِكَ عَلَيْهِ بِأَنْ يَقُولَ فَرَّ مِنِّي بِمَالِهِ
Malik related to me that he heard Rabia ibn Abi Abd ar-Rahman and others mention that al-Furafisa ibn Umar al-Hanafi had a mukatab who offered to pay him all of his kitaba that he owed. Al-Furafisa refused to accept it and the mukatab went to Marwan ibn al-Hakam who was the amir of Madina and brought up the matter. Marwan summoned al-Furafisa and told him to accept. He refused. Marwan then ordered that the payment be taken from the mukatab and placed in the treasury. He said to the mukatab "Go, you are free." When al-Furafisa saw that, he took the money.
Malik said, "What is done among us when a mukatab pays all the instalments he owes before their term, is that it is permitted to him. The master cannot refuse him that. That is because payment removes every condition from the mukatab as well as service and travel. The setting free of a man is not complete while he has any remaining slavery, and neither would his inviolability as a free man be complete and his testimony permitted and inheritance obliged and such things in that situation. His master must not make any stipulation of service on him after he has been set free."
Malik said that it was permitted for a mukatab who became extremely ill and wanted to pay his master all his instalments because his heirs who were free would then inherit from him and he had no children with him in his kitaba, to do so, because by that he completed his inviolability as a free man, his testimony was permitted, and his admission of what he owed of debts to people was permitted. His bequest was permitted as well. His master could not refuse him that by saying, "He is escaping from me with his property."
পরিচ্ছেদঃ ৮. মুকাতাবের মীরাস প্রসঙ্গ যদি আযাদী প্রাপ্ত হয়
রেওয়ায়ত ১০. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল জনৈক মুকাতাব সম্বন্ধে, যে (মুকাতাব) দুই ব্যক্তির যুক্ত মালিকানায় রহিয়াছে, অতঃপর এক শরীক তাহার অংশ আযাদ করিয়া দিল। তারপর মুকাতাব মারা গেল এবং সে প্রচুর সম্পদ রাখিয়া গিয়াছে, সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) বলিলেনঃ যেই শরীক কিতাবাতের উপর প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে (অর্থাৎ আযাদ করে নাই) সেই শরীকের অবশিষ্ট অর্থ পরিশোধ করা হইবে। তারপর যাহা থাকিয়া যায় উহা উভয়ে ভাগ করিয়া নিবে সমান সমান।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুকতাব কিতাবাত চুক্তি করিয়াছে। তারপর আযাদ হইয়াছে ও মারা গিয়াছে। যেই কর্তা কিতাবাত করিয়াছে মুকাতাবের মৃত্যুর দিন সেই কর্তার ছেলে অথবা কর্তার পুরুষ আত্মীয়দের মধ্যে ’আসাবার ভিতর আত্মীয়তার দিক দিয়া যে নিকটতম সেই উক্ত মুকাতাবের মীরাস পাইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই হুকুম আরো জারি হইবে সেই সকল ক্রীতদাসের ব্যাপারে যাহাদিগকে আযাদ করা হইয়াছে, উহাদের মীরাস আযাদী দাতার সন্তান অথবা আসাবাদের হইতে পুরুষের মধ্যে আর্যাদী দাতার নিকটতম ব্যক্তি পাইবে। এই আত্মীয়ত নির্ধারিতা হইবে যেই দিন আযাদীপ্রাপ্ত ব্যক্তির মৃত্যু হইয়াছে সেই দিন আযাদী পাওয়ার এবং উত্তরাধিকারসূত্রে মাওরূস হওয়ার পর।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কিতাবাতে শরীক ভাইয়েরা সন্তানের মতো, যদি বলে একই কিতাবাতের মাধ্যমে মুকাতাব করিয়া থাকে, তাহাদের কাহারো কিতাবাতের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সন্তান পয়দা হইয়াছে, এইরূপ সন্তান না থাকিলে অথবা সন্তানকে কিতাবাতের অন্তর্ভুক্ত না করিয়া থাকিলে (তবে উপরিউক্ত হুকুম প্রযোজ্য হইবে) কারণ ভাইয়েরা পরস্পর একে অপরের মীরাস পাইবে।
পক্ষান্তরে যদি তাহাদের কোন একজনের সন্তান থাকে যে সন্তান পয়দা হইয়াছে কিতাবাতের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে অথবা উহাদিগকে কিতাবাতের অন্তর্ভুক্ত করা হইয়াছিল, তারপর তাহার মৃত্যু হইয়াছে এবং মাল রাখিয়া গিয়াছে, তবে (সেই মাল হইতে) সকলের তরফ হইতে কিতাবাতের (অনাদায়ী) অর্থ পরিশোধ করা হইবে। ইহার পর অবশিষ্ট যে মাল থাকিবে সে মাল (মৃত ব্যক্তির) সন্তানেরা পাইবে, ভাইগণ পাইবে না।
باب مِيرَاثِ الْمُكَاتَبِ إِذَا عَتَقَ
حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ سُئِلَ عَنْ مُكَاتَبٍ كَانَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ فَأَعْتَقَ أَحَدُهُمَا نَصِيبَهُ فَمَاتَ الْمُكَاتَبُ وَتَرَكَ مَالًا كَثِيرًا فَقَالَ يُؤَدَّى إِلَى الَّذِي تَمَاسَكَ بِكِتَابَتِهِ الَّذِي بَقِيَ لَهُ ثُمَّ يَقْتَسِمَانِ مَا بَقِيَ بِالسَّوِيَّةِ قَالَ مَالِك إِذَا كَاتَبَ الْمُكَاتَبُ فَعَتَقَ فَإِنَّمَا يَرِثُهُ أَوْلَى النَّاسِ بِمَنْ كَاتَبَهُ مِنْ الرِّجَالِ يَوْمَ تُوُفِّيَ الْمُكَاتَبُ مِنْ وَلَدٍ أَوْ عَصَبَةٍ قَالَ وَهَذَا أَيْضًا فِي كُلِّ مَنْ أُعْتِقَ فَإِنَّمَا مِيرَاثُهُ لِأَقْرَبِ النَّاسِ مِمَّنْ أَعْتَقَهُ مِنْ وَلَدٍ أَوْ عَصَبَةٍ مِنْ الرِّجَالِ يَوْمَ يَمُوتُ الْمُعْتَقُ بَعْدَ أَنْ يَعْتِقَ وَيَصِيرَ مَوْرُوثًا بِالْوَلَاءِ قَالَ مَالِك الْإِخْوَةُ فِي الْكِتَابَةِ بِمَنْزِلَةِ الْوَلَدِ إِذَا كُوتِبُوا جَمِيعًا كِتَابَةً وَاحِدَةً إِذَا لَمْ يَكُنْ لِأَحَدٍ مِنْهُمْ وَلَدٌ كَاتَبَ عَلَيْهِمْ أَوْ وُلِدُوا فِي كِتَابَتِهِ أَوْ كَاتَبَ عَلَيْهِمْ ثُمَّ هَلَكَ أَحَدُهُمْ وَتَرَكَ مَالًا أُدِّيَ عَنْهُمْ جَمِيعُ مَا عَلَيْهِمْ مِنْ كِتَابَتِهِمْ وَعَتَقُوا وَكَانَ فَضْلُ الْمَالِ بَعْدَ ذَلِكَ لِوَلَدِهِ دُونَ إِخْوَتِهِ
Malik related to me that he had heard that Said ibn al-Musayyab was asked about a mukatab who was shared between two men. One of them freed his portion and then the mukatab died and left a lot of money. Said replied, "The one who kept his kitaba is paid what remains due to him, and then they divide what is left between them both equally."
Malik said, "When a mukatab who fulfils his kitaba and becomes free dies, he is inherited from by the people who wrote his kitaba and their children and paternal relations - whoever is most deserving."
He said, "This is also for whoever is set free when he dies after being set free - his inheritance is for the nearest people to him of children or paternal relations who inherit by means of the wala'."
Malik said, "Brothers, written together in the same kitaba, are in the same position as children to each other when none of them have children written in the kitaba or born in the kitaba. When one of them dies and leaves property, he pays for them all that is against them of their kitaba and sets them free. The money left over after that goes to his children rather than his brothers."
পরিচ্ছেদঃ ৯. মুকাতাবের ব্যাপারে শর্ত আরোপ করা
রেওয়ায়ত ১১. মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি স্বর্ণ অথবা রৌপ্যের বিনিময়ে আপন ক্রীতদাসের সহিত মুকাতাবাত করিয়াছে এবং ক্রীতদাসের উপর তাহার কিতাবাতের মধ্যে শর্তারোপ করিয়াছে, সফরের অথবা খেদমতের অথবা কুরবানীর, আর ইহার প্রত্যেকটির নাম নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছে (যাহার শর্ত করিয়াছে কিতাবাতের মধ্যে)। অতঃপর মুকাতাব নির্দিষ্ট সময় আসার পূর্বে তাহার সকল কিস্তি শোধ করিতে সমর্থ হইয়াছে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ যখন উহার সকল কিস্তি শোধ করিয়াছে, উহার উপর এই শর্ত (আরোপিত) রহিয়াছে, সে আযাদ হইয়া যাইবে এবং উহার সম্মান পূর্ণ হইয়াছে। এখন লক্ষ্য করিতে হইবে, উহার উপর যে শর্তারোপ করা হইয়াছে খেদমত অথবা প্রবাস অথবা এই জাতীয় অন্য কিছু যাহা উহাকে নিজেই করিতে হইবে। তবে এই জাতীয় শর্তাদি উহা হইতে পরিহার করা হইবে এবং তাহার কর্তার এই জাতীয় কিছুতে অধিকার থাকিবে না। পক্ষান্তরে যে শর্ত হয় কুরবানী; পোশাক অথবা অন্য কোন কিছুর যাহা আদায় করা হয় (এই জাতীয় শর্ত করিয়া থাকিলে) উহা হইবে দীনার, দিরহামের মতো। মুকাতাবের উপর উহার মূল্য নির্ধারিত করা হইবে। অতঃপর সেই অর্থ কিস্তির মাধ্যমে কর্তাকে পরিশোধ করিবে। যতক্ষণ কিস্তির সহিত ইহা আদায় না করিবে ততক্ষণ সে আযাদ হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত যাহাতে কোন মতভেদ নাই, তাহা এই—মুকাতাব সেই ক্রীতদাসের মতো যাহাকে তাহার কর্তা দশ বৎসর খেদমত করার (শর্তে) পর আযাদ করিয়াছে। অতঃপর তাহার কর্তা যিনি ক্রীতদাসকে আযাদ করিয়াছে (অর্থাৎ আযাদ করার কথা দিয়াছে শর্তাধীনে) কর্তা মৃত্যুবরণ করিয়াছে দশ বৎসর (অতিবাহিত হওয়ার) পূর্বে। তবে যে (কয় বৎসর বা মাসের) খেদমত অবশিষ্ট রহিয়াছে সে খেদমত কর্তার ওয়ারিসগণের প্রাপ্য হইবে; আর (আযাদীর) পর উহার উত্তরাধিকার পাইবে যে আযাদীর চুক্তি করিয়াছিল সে এবং তাহার পুরুষ সন্তানগণ অথবা আসাবাগণ।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি তাহার মুকাতাবের উপর শর্তারোপ করিয়াছে, তুমি প্রবাসে যাইবে না, বিবাহ করিবে না এবং আমার ভূমি (দেশ) হইতে আমার অনুমতি ছাড়া বাহিরে যাইবে না, যদি আমার অনুমতি ছাড়া ইহার কোন একটি কর, তবে তোমার কিতাবাত বাতিল করার ক্ষমতা আমার হাতে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুকাতাবের কিতাবাত বাতিল করার ক্ষমতা সেই ব্যক্তির হাতে নহে। বরং যদি মুকাতাব এই রকম কোন কর্ম করিয়া থাকে তবে উহার কর্তা বিষয়টি বাদশাহ হাকিম-এর নিকট উত্থাপন করিবে। পক্ষাত্তরে শর্ত করুক বা নাই করুক, মুকাতাবের পক্ষে কর্তার অনুমতি ছাড়া বিবাহ করা জায়েয নহে এবং সে প্রবাসে যাইবে না; এবং কর্তার দেশ হইতে বাহিরে যাইবে না কর্তার অনুমতি ব্যতীত। ইহা এইজন্য — এক ব্যক্তি তাহার মুকাতাবের সহিত মুকাতাবাত করিয়াছে একশত দীনারের বিনিময়ে। মুকাতাবের নিকট রহিয়াছে এক হাজার দীনার বা ততোধিক। অতঃপর সে যাইয়া কোন নারীকে বিবাহ করিলে এবং উহাকে মহর দিলে যাহা তাহার মালকে অনেক কমাইয়া দিবে এবং উহাতে “বদলে কিতাবাত” আদায় করিতে যে অপারক হইবে, ফলে তাহার কর্তার দিকে ফিরিবে দাসরূপে। যাহার নিকট কোন মাল নাই, অথবা সে প্রবাসে যাইবে (ইতিমধ্যে) তাহার কিস্তি আদায়ের সময় উপস্থিত হইবে, অথচ সে অনুপস্থিত, এইরূপ করার ইখতিয়ার মুকাতাবের নাই এবং উহার উপর মুকাতাবাত সংঘটিত হয় নাই। এইসব ইখতিয়ার তাহার কর্তার হাতে, সে ইচ্ছা করিলে তাহাকে অনুমতি দিবে এই ব্যাপারে, আর ইচ্ছা করিলে সে ইহা হইতে বারণ করিবে।
باب الشَّرْطِ فِي الْمُكَاتَبِ
حَدَّثَنِي مَالِك فِي رَجُلٍ كَاتَبَ عَبْدَهُ بِذَهَبٍ أَوْ وَرِقٍ وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ فِي كِتَابَتِهِ سَفَرًا أَوْ خِدْمَةً أَوْ ضَحِيَّةً إِنَّ كُلَّ شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ سَمَّى بِاسْمِهِ ثُمَّ قَوِيَ الْمُكَاتَبُ عَلَى أَدَاءِ نُجُومِهِ كُلِّهَا قَبْلَ مَحِلِّهَا قَالَ إِذَا أَدَّى نُجُومَهُ كُلَّهَا وَعَلَيْهِ هَذَا الشَّرْطُ عَتَقَ فَتَمَّتْ حُرْمَتُهُ وَنُظِرَ إِلَى مَا شَرَطَ عَلَيْهِ مِنْ خِدْمَةٍ أَوْ سَفَرٍ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِمَّا يُعَالِجُهُ هُوَ بِنَفْسِهِ فَذَلِكَ مَوْضُوعٌ عَنْهُ لَيْسَ لِسَيِّدِهِ فِيهِ شَيْءٌ وَمَا كَانَ مِنْ ضَحِيَّةٍ أَوْ كِسْوَةٍ أَوْ شَيْءٍ يُؤَدِّيهِ فَإِنَّمَا هُوَ بِمَنْزِلَةِ الدَّنَانِيرِ وَالدَّرَاهِمِ يُقَوَّمُ ذَلِكَ عَلَيْهِ فَيَدْفَعُهُ مَعَ نُجُومِهِ وَلَا يَعْتِقُ حَتَّى يَدْفَعَ ذَلِكَ مَعَ نُجُومِهِ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ أَنَّ الْمُكَاتَبَ بِمَنْزِلَةِ عَبْدٍ أَعْتَقَهُ سَيِّدُهُ بَعْدَ خِدْمَةِ عَشْرِ سِنِينَ فَإِذَا هَلَكَ سَيِّدُهُ الَّذِي أَعْتَقَهُ قَبْلَ عَشْرِ سِنِينَ فَإِنَّ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ خِدْمَتِهِ لِوَرَثَتِهِ وَكَانَ وَلَاؤُهُ لِلَّذِي عَقَدَ عِتْقَهُ وَلِوَلَدِهِ مِنْ الرِّجَالِ أَوْ الْعَصَبَةِ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِطُ عَلَى مُكَاتَبِهِ أَنَّكَ لَا تُسَافِرُ وَلَا تَنْكِحُ وَلَا تَخْرُجُ مِنْ أَرْضِي إِلَّا بِإِذْنِي فَإِنْ فَعَلْتَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ بِغَيْرِ إِذْنِي فَمَحْوُ كِتَابَتِكَ بِيَدِي قَالَ مَالِك لَيْسَ مَحْوُ كِتَابَتِهِ بِيَدِهِ إِنْ فَعَلَ الْمُكَاتَبُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ وَلْيَرْفَعْ سَيِّدُهُ ذَلِكَ إِلَى السُّلْطَانِ وَلَيْسَ لِلْمُكَاتَبِ أَنْ يَنْكِحَ وَلَا يُسَافِرَ وَلَا يَخْرُجَ مِنْ أَرْضِ سَيِّدِهِ إِلَّا بِإِذْنِهِ اشْتَرَطَ ذَلِكَ أَوْ لَمْ يَشْتَرِطْهُ وَذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ يُكَاتِبُ عَبْدَهُ بِمِائَةِ دِينَارٍ وَلَهُ أَلْفُ دِينَارٍ أَوْ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ فَيَنْطَلِقُ فَيَنْكِحُ الْمَرْأَةَ فَيُصْدِقُهَا الصَّدَاقَ الَّذِي يُجْحِفُ بِمَالِهِ وَيَكُونُ فِيهِ عَجْزُهُ فَيَرْجِعُ إِلَى سَيِّدِهِ عَبْدًا لَا مَالَ لَهُ أَوْ يُسَافِرُ فَتَحِلُّ نُجُومُهُ وَهُوَ غَائِبٌ فَلَيْسَ ذَلِكَ لَهُ وَلَا عَلَى ذَلِكَ كَاتَبَهُ وَذَلِكَ بِيَدِ سَيِّدِهِ إِنْ شَاءَ أَذِنَ لَهُ فِي ذَلِكَ وَإِنْ شَاءَ مَنَعَهُ
Malik spoke to me about a man who wrote a kitaba for his slave for gold or silver and stipulated against him in his kitaba a journey, service, sacrifice or similar, which he specified by its name, and then the mukatab was able to pay all his instalments before the end of the term.
He said, "If he pays all his instalments and he is set free and his inviolability as a free man is complete, but he still has this condition to fulfil, the condition is examined, and whatever involves his person in it, like service or a journey etc., is removed from him and his master has nothing in it. Whatever there is of sacrifice, clothing, or anything that he must pay, that is in the position of dinars and dirhams, and is valued and he pays it along with his instalments, and he is not free until he has paid that along with his instalments."
Malik said, "The generally agreed-on way of doing things among us about which there is no dispute, is that a mukatab is in the same position as a slave whom his master will free after a service of ten years. If the master who will free him dies before ten years, what remains of his service goes to his heirs and his wala' goes to the one who contracted to free him and to his male children or paternal relations."
Malik spoke about a man who stipulated against his mukatab that he could not travel, marry, or leave his land without his permission, and that if he did so without his permission it was in his power to cancel the kitaba. He said, "If the mukatab does any of these things it is not in the man's power to cancel the kitaba. Let the master put that before the Sultan. The mukatab, however, should not marry, travel, or leave the land of his master without his permission, whether or not he stipulates that. That is because the man may write a kitaba for his slave for 100 dinars and the slave may have 1000 dinars or more than that. He goes off and marries a woman and pays her bride-price which sweeps away his money and then he cannot pay. He reverts to his master as a slave who has no property. Or else he may travel and his instalments fall due while he is away. He cannot do that and kitaba is not to be based on that. That is in the hand of his master. If he wishes, he gives him permission in that. If he wishes, he refuses it."
পরিচ্ছেদঃ ১০. মুকাতাব-এর উত্তরাধিকার প্রসঙ্গে যদি সে ক্রীতদাসকে আযাদ করে
রেওয়ায়ত ১২. মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুকাতাবের পক্ষে আপন গোলামকে কর্তার অনুমতি ব্যতীত আযাদ করা জায়েয নহে। অতঃপর কর্তা যদি তাহাকে এই কার্যের অনুমতি দান করে তারপর মুকাতাব আযাদ হইয়া যায়, তবে উহার (মুকাতাব কর্তৃক আযাদকৃত গোলামের) উত্তরাধিকারিত্ব হইবে মুকাতাবের জন্য। আর মুকাতাব যদি আযাদী লাভের পূর্বে মারা যায় মু’তাক (معتق যাহাকে কিতাবাত চুক্তির মাধ্যমে আযাদ করা হইয়াছে)-এর স্বত্বাধিকারিত্ব মুকাতাব (প্রথম)-এর কর্তার জন্য হইবে। আর যদি মুকাতাব-এর মৃত্যু হয় (তাহার কর্তা) মুকাতাবের আযাদী লাভের পূর্বে তবে মুকাতাবের কর্তা উহার মীরাস পাইবে। [মুকাতাব পাইবে না। কারণ গোলাম উত্তরাধিকার লাভ করে না।]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ অনুরূপ মুকাতাব তাহার গোলামের সহিত যদি কিতাবাত চুক্তি করে এবং পরবর্তী মুকাতাব উহার সহিত কিতাবাত চুক্তি সম্পাদনকারী কর্তার পূর্বে আযাদী লাভ করে, তবে উহার স্বত্বাধিকার (ولاء) হইবে তাহার মুকাতাবের কর্তার জন্য যাবত প্রথম মুকাতাব যে উহার সহিত কিতাবাত করিয়াছে আযাদী লাভ না করিলে অতঃপর উহার কিতাবাত সম্পাদনকারী যদি আযাদ হইয়া যায় তাহার পূর্বে আযাদী লাভকারী তাহার মুকতাব-এর স্বত্বাধিকার (ولاء) তাহার দিকে রুজু করা হইবে। আর যদি প্রথম মুকাতাবের মৃত্যু হয় "বদলে কিতাবাত" আদায়ের পূর্বে অথবা “বদলে-কিতাবাত” পরিশোধ করিতে অপারক হয় এবং তাহার আযাদ সন্তান রহিয়াছে তবে উহারা তাহদের পিতার মুকাতাবের স্বত্বাধিকার (ولاء) এর অধিকারী হইবে না। কারণ উহাদের পিতার জন্য স্বত্বাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। আর স্বত্বাধিকার লাভ করা হয় না আযাদী লাভ না করা পর্যন্ত।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে মুকাতাব দুই ব্যক্তির মালিকানায় থাকে তাহাদের দুইজনেই একজন মুকাতাবের উপর তাহার যে “বদলে কিতাবাত” প্রাপ্য রহিয়াছে উহা মাফ করিয়া দিল, অপরজন ইহা করিতে কার্পণ্য প্রদর্শন করিল। অতঃপর মুকাতাব-এর মৃত্যু হইল এবং সে সম্পদ রাখিয়া গেল। মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে শরীক তাহার প্রাপ্য “বদলে কিতাবাত” ত্যাগ করে নাই সম্পদ হইতে তাহার প্রাপ্য “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করা হইবে। তারপর ক্রীতদাস অবস্থায় মারা গেলে যেইভাবে উহার সম্পদ উভয়ের মধ্যে বন্টন করা হইত, সেইরূপে উভয়ের মধ্যে অবশিষ্ট সম্পদ বন্টন করা হইবে। কারণ যে শরীক প্রাপ্য ছাড়িয়াছে উহা আযাদ করা নহে, বরং তাহার প্রাপ্য হক মাফ করিয়াছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ উপরিউক্ত মাসআলার বিশদ ব্যাখ্যা এইরূপ : এক ব্যক্তির মৃত্যু হইল। সে রাখিয়া গেল একজন মুকাতাব এবং কয়েকজন ছেলে ও মেয়ে, অতঃপর সন্তানদের একজন মুকাতাবের নিকট (প্রাপ্য) অংশ আযাদ করিয়া দিল, ইহাতে তাহার জন্য উত্তরাধিকার (ولاء) প্রতিষ্ঠিত হইবে না। পক্ষান্তরে উহা যদি আযাদকৃত বলিয়া গণ্য হইত তবে নারী-পুরুষের মধ্যে যে সন্তান মুকাতাবকে আযাদ করিয়াছে সে সন্তানের স্বত্বাধিকারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হইঝে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহার আরেক বর্ণনা এই, উহাদের একজন নিজের অংশ আযাদ করিয়া দিল, তারপর মুকাতাব অপারক হইল তবে মুকাতাবের উপর যে “বদলে-কিতাবাত” অবশিষ্ট রহিয়াছে উহার জন্য যে (মুকাতাবের মধ্য হইতে) তাহার প্রাপ্য অংশ আযাদ করিয়াছে তাহার উপর মূল্য নির্ধারিত করা হইবে না (অংশ আযাদ করিয়া দেওয়ার জন্য)। যদি আযাদী প্রদান বলিয়া গণ্য হইত তবে উহার মূল্য নির্ধারণ করা হইত এবং তাহার মাল হইতে মুকাতাব আযাদ হইয়া যাইত। যেমন বলিয়াছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, যে গোলামের নিকট হইতে তাহার প্রাপ্য অংশ ছাড়িয়া দেয়, ন্যায়সঙ্গতভাবে অবশিষ্ট অংশের মূল্য নির্ধারণ করিয়া তাহার উপর উহা আরোপ করা যাইবে। যদি তাহার মাল না থাকে তবে যতটুকু আযাদ করিয়াছে ততটুকু আযাদ হইয়া যাইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহার অপর ব্যাখ্যা এই, মুসলিমদের সুন্নত (পদ্ধতি) এই যে, যাহাতে কোন দ্বিমত নাই, যে ব্যক্তি মুকাতাব হইতে তাহার অংশ আযাদ কারিয়া দেয়, তবে তাহার মাল হইতে বাকী বদলে কিতাবাত পরিশোধ করিয়া মুকাতাবকে পূর্ণরূপে আযাদী দেওয়া হইবে না, যদি উহার মাল হইতে আযাদ করা হইত তবে উত্তরাধিকার (ولاء) তাহারই প্রাপ্য হইত, তাহার অংশগণের প্রাপ্য হইত না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহার আর এক ব্যাখ্যা এই — মুসলিমদের নিয়ম হইতেছে, উত্তরাধিকার (ولاء) সেই ব্যক্তির জন্য হইবে, যে ব্যক্তি কিতাবাত চুক্তি করিয়াছে। আর স্ত্রীলোকদের মধ্যে যে মহিলা মুকাতাবের কর্তার মীরাসের অধিকারী উহার জন্য মুকাতাবের উত্তরাধিকারের কিছুই হইবে না যদিও সে নিজের অংশ আযাদ করিয়া দেয়। মুকাতাবের উত্তরাধিকার লাভ করিবে মুকাতাবের পুত্র সন্তানগণ কিংবা পুরুষ আসাবা।
باب وَلَاءِ الْمُكَاتَبِ إِذَا أَعْتَقَ
قَالَ مَالِك إِنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا أَعْتَقَ عَبْدَهُ إِنَّ ذَلِكَ غَيْرُ جَائِزٍ لَهُ إِلَّا بِإِذْنِ سَيِّدِهِ فَإِنْ أَجَازَ ذَلِكَ سَيِّدُهُ لَهُ ثُمَّ عَتَقَ الْمُكَاتَبُ كَانَ وَلَاؤُهُ لِلْمُكَاتَبِ وَإِنْ مَاتَ الْمُكَاتَبُ قَبْلَ أَنْ يُعْتَقَ كَانَ وَلَاءُ الْمُعْتَقِ لِسَيِّدِ الْمُكَاتَبِ وَإِنْ مَاتَ الْمُعْتَقُ قَبْلَ أَنْ يُعْتَقَ الْمُكَاتَبُ وَرِثَهُ سَيِّدُ الْمُكَاتَبِ قَالَ مَالِك وَكَذَلِكَ أَيْضًا لَوْ كَاتَبَ الْمُكَاتَبُ عَبْدًا فَعَتَقَ الْمُكَاتَبُ الْآخَرُ قَبْلَ سَيِّدِهِ الَّذِي كَاتَبَهُ فَإِنَّ وَلَاءَهُ لِسَيِّدِ الْمُكَاتَبِ مَا لَمْ يَعْتِقْ الْمُكَاتَبُ الْأَوَّلُ الَّذِي كَاتَبَهُ فَإِنْ عَتَقَ الَّذِي كَاتَبَهُ رَجَعَ إِلَيْهِ وَلَاءُ مُكَاتَبِهِ الَّذِي كَانَ عَتَقَ قَبْلَهُ وَإِنْ مَاتَ الْمُكَاتَبُ الْأَوَّلُ قَبْلَ أَنْ يُؤَدِّيَ أَوْ عَجَزَ عَنْ كِتَابَتِهِ وَلَهُ وَلَدٌ أَحْرَارٌ لَمْ يَرِثُوا وَلَاءَ مُكَاتَبِ أَبِيهِمْ لِأَنَّهُ لَمْ يَثْبُتْ لِأَبِيهِمْ الْوَلَاءُ وَلَا يَكُونُ لَهُ الْوَلَاءُ حَتَّى يَعْتِقَ قَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يَكُونُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ فَيَتْرُكُ أَحَدُهُمَا لِلْمُكَاتَبِ الَّذِي لَهُ عَلَيْهِ وَيَشِحُّ الْآخَرُ ثُمَّ يَمُوتُ الْمُكَاتَبُ وَيَتْرُكُ مَالًا قَالَ مَالِك يَقْضِي الَّذِي لَمْ يَتْرُكْ لَهُ شَيْئًا مَا بَقِيَ لَهُ عَلَيْهِ ثُمَّ يَقْتَسِمَانِ الْمَالَ كَهَيْئَتِهِ لَوْ مَاتَ عَبْدًا لِأَنَّ الَّذِي صَنَعَ لَيْسَ بِعَتَاقَةٍ وَإِنَّمَا تَرَكَ مَا كَانَ لَهُ عَلَيْهِ قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا مَاتَ وَتَرَكَ مُكَاتَبًا وَتَرَكَ بَنِينَ رِجَالًا وَنِسَاءً ثُمَّ أَعْتَقَ أَحَدُ الْبَنِينَ نَصِيبَهُ مِنْ الْمُكَاتَبِ إِنَّ ذَلِكَ لَا يُثْبِتُ لَهُ مِنْ الْوَلَاءِ شَيْئًا وَلَوْ كَانَتْ عَتَاقَةً لَثَبَتَ الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ مِنْهُمْ مِنْ رِجَالِهِمْ وَنِسَائِهِمْ قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّهُمْ إِذَا أَعْتَقَ أَحَدُهُمْ نَصِيبَهُ ثُمَّ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ لَمْ يُقَوَّمْ عَلَى الَّذِي أَعْتَقَ نَصِيبَهُ مَا بَقِيَ مِنْ الْمُكَاتَبِ وَلَوْ كَانَتْ عَتَاقَةً قُوِّمَ عَلَيْهِ حَتَّى يَعْتِقَ فِي مَالِهِ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ قَالَ وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ مِنْ سُنَّةِ الْمُسْلِمِينَ الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا أَنَّ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي مُكَاتَبٍ لَمْ يُعْتَقْ عَلَيْهِ فِي مَالِهِ وَلَوْ عَتَقَ عَلَيْهِ كَانَ الْوَلَاءُ لَهُ دُونَ شُرَكَائِهِ وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ مِنْ سُنَّةِ الْمُسْلِمِينَ أَنَّ الْوَلَاءَ لِمَنْ عَقَدَ الْكِتَابَةَ وَأَنَّهُ لَيْسَ لِمَنْ وَرِثَ سَيِّدَ الْمُكَاتَبِ مِنْ النِّسَاءِ مِنْ وَلَاءِ الْمُكَاتَبِ وَإِنْ أَعْتَقْنَ نَصِيبَهُنَّ شَيْءٌ إِنَّمَا وَلَاؤُهُ لِوَلَدِ سَيِّدِ الْمُكَاتَبِ الذُّكُورِ أَوْ عَصَبَتِهِ مِنْ الرِّجَالِ
Malik said, "When a mukatab sets his own slaves free, it is only permitted for a mukatab to set his own slaves free with the consent of his master. If his master gives his consent and the mukatab sets his slave free, his wala' goes to the mukatab . If the mukatab then dies before he has been set free himself, the wala' of the freed slave goes to the master of the mukatab. If the freed one dies before the mukatab has been set free, the master of the mukatab inherits from him."
Malik said, "It is like that also when a mukatab gives his slave a kitaba and his mukatab is set free before he is himself. The wala' goes to the master of the mukatab as long as he is not free. If this one who wrote the kitaba is set free, then the wala' of his mukatab who was freed before him reverts to him. If the first mukatab dies before he pays, or he cannot pay his kitaba and he has free children, they do not inherit the wala' of their father's mukatab because the wala' has not been established for their father and he does not have the wala' until he is free."
Malik spoke about a mukatab who was shared between two men and one of them forewent what the mukatab owed him and the other insisted on his due. Then the mukatab died and left property.
Malik said, "The one who did not abandon any of what he was owed, is paid in full. Then the property is divided between them both just as if a slave had died because what the first one did was not setting him free. He only abandoned a debt that was owed to him ."
Malik said, "One clarification of that is that when a man dies and leaves a mukatab and he also leaves male and female children and one of the children frees his portion of the mukatab, that does not establish any of the wala' for him. Had it been a true setting free, the wala' would have been established for whichever men and women freed him."
Malik said, "Another clarification of that is that if one of them freed his portion and then the mukatab could not pay, the value of what was left of the mukatab would be altered because of the one who freed his portion. Had it been a true setting-free, his estimated value would have been taken from the property of the one who set free until he had been set completely free as the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Whoever frees his share in a slave and has money to cover the full price of the slave, justly evaluated for him, gives his partners their shares. If not, he frees of him what he frees.' " (See Book 37 hadith 1).
He said, "Another clarification of that is that part of the sunna of the muslims in which there is no dispute, is that whoever frees his share of a mukatab, the mukatab is not set fully free using his property. Had he been truly set free, the wala' would have been his alone rather than his partners. Part of what will clarify that also is that part of the sunna of the muslims is that the wala' belongs to whoever writes the contract of kitaba. The women who inherit from the master of the mukatab do not have any of the wala' of the mukatab. If they free any of their share, the wala' belongs to the male children of the master of the mukatab or his male paternal relations."
পরিচ্ছেদঃ ১১. মুকাতাবের আযাদী প্রদানের যে যে পন্থা বৈধ নহে
রেওয়ায়ত ১৩. মালিক (রহঃ) বলেনঃ ক্রীতদাসদের একদল যদি একই কিতাবাতে সংযুক্ত থাকে, তবে কিতাবাতে শামিল অন্যান্য সাথীর পরামর্শ ও সম্মতি ব্যতীত উহাদের একজনকে কর্তা আযাদী দিতে পারিবে না, আর উহারা যদি অল্প বয়সের হয়, তবে উহাদের পরামর্শ গ্রহণযোগ্য নহে এবং উহাদের পরামর্শ গ্রহণ করা বৈধ নহে। মালিক (রহঃ) বলেন, ইহা এইজন্য যে, কোন ব্যক্তি হয়ত সকলের পক্ষে চেষ্টা বা পরিশ্রম করিতে পারে এবং (চেষ্টা করিয়া) সকলের পক্ষ হইতে “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করিতে পারে, যেন সকলের আযাদী ইহার দ্বারা পূর্ণতা লাভ করে। আর যে ব্যক্তি সকলের পক্ষ হইতে “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করিবে এবং গোলামি হইতে উহাদের মুক্তি পাওয়া যাহার উপর নির্ভরশীল কর্তা সেই ব্যক্তিকে আযাদ করিয়া দিতেছে যেন অন্যান্য ক্রীতদাস অপারক হইয়া পড়ে (ফলে যেন উহারা গোলাম থাকিয়া যায়)। কর্তা এইরূপ করিয়া নিজের জন্য কিছু অতিরিক্ত সুবিধা আদায় করিতে প্রয়াসী। তাই যাহারা অবশিষ্ট রহিয়াছে উহাদের স্বার্থে এইরূপ করা জায়েয হইবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করিয়াছেন, ইসলামে কাহারো ক্ষতি সাধন বৈধ নহে। (এমনকি) প্রতিশোধমূলক কাহারো ক্ষতি সাধনও বৈধ নহে। (অন্যদেরকে ক্রীতদাস রাখার জন্য দলের একজনকে আযাদ করিয়া দেওয়া) ইহাতে অন্যদের উপর জঘন্য ধরনের ক্ষতি করা হইল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কয়েকজন ক্রীতদাস একত্রে কিতাবাত করিয়াছে (উহাদের মধ্য হইতে) অশীতিপর বৃদ্ধ এবং বালককে আযাদ করিয়া দেওয়ার ইখতিয়ার কর্তার রহিয়াছে। যাহারা কিছু দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না এবং উহাদের কিতাবাতের মূল্য আদায়ের ব্যাপারে কোন সহযোগী বা সাহায্যকারীও উহাদের নাই, তবে (এইরূপ ব্যক্তিকে) আযাদ করা কর্তার জন্য জায়েয আছে।
باب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ عِتْقِ الْمُكَاتَبِ
قَالَ مَالِك إِذَا كَانَ الْقَوْمُ جَمِيعًا فِي كِتَابَةٍ وَاحِدَةٍ لَمْ يُعْتِقْ سَيِّدُهُمْ أَحَدًا مِنْهُمْ دُونَ مُؤَامَرَةِ أَصْحَابِهِ الَّذِينَ مَعَهُ فِي الْكِتَابَةِ وَرِضًا مِنْهُمْ وَإِنْ كَانُوا صِغَارًا فَلَيْسَ مُؤَامَرَتُهُمْ بِشَيْءٍ وَلَا يَجُوزُ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ قَالَ وَذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ رُبَّمَا كَانَ يَسْعَى عَلَى جَمِيعِ الْقَوْمِ وَيُؤَدِّي عَنْهُمْ كِتَابَتَهُمْ لِتَتِمَّ بِهِ عَتَاقَتُهُمْ فَيَعْمِدُ السَّيِّدُ إِلَى الَّذِي يُؤَدِّي عَنْهُمْ وَبِهِ نَجَاتُهُمْ مِنْ الرِّقِّ فَيُعْتِقُهُ فَيَكُونُ ذَلِكَ عَجْزًا لِمَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ وَإِنَّمَا أَرَادَ بِذَلِكَ الْفَضْلَ وَالزِّيَادَةَ لِنَفْسِهِ فَلَا يَجُوزُ ذَلِكَ عَلَى مَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا ضَرَرَ وَلَا ضِرَارَ وَهَذَا أَشَدُّ الضَّرَرِ قَالَ مَالِك فِي الْعَبِيدِ يُكَاتَبُونَ جَمِيعًا إِنَّ لِسَيِّدِهِمْ أَنْ يُعْتِقَ مِنْهُمْ الْكَبِيرَ الْفَانِيَ وَالصَّغِيرَ الَّذِي لَا يُؤَدِّي وَاحِدٌ مِنْهُمَا شَيْئًا وَلَيْسَ عِنْدَ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَوْنٌ وَلَا قُوَّةٌ فِي كِتَابَتِهِمْ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَهُ
Malik said, "If people are together in one kitaba, their master cannot free one of them without consulting his companions who are with him in the kitaba and obtaining their consent. If they are young, however, their consultation means nothing and it is not permitted to them. That is because a man might work for all the people and he might pay their kitaba for them to complete their freedom. Their master approaches the one who will pay for them and their rescue from slavery is through him. He frees him and so makes those who remain unable to pay. He does it intending benefit and increase for himself. It is not permitted for him to do that to those of them who remain. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'There must be no harm nor return of harm.' This is the most severe harm."
Malik said about slaves who wrote a kitaba together that it was permitted for their master to free the old and exhausted of them and the young when neither of them could pay anything, and there was no help nor strength to be had from any of them in their kitaba.
পরিচ্ছেদঃ ১২. মুকাতাব এবং উম্মে-ওয়ালাদকে আযাদী প্রদানের বিবিধ প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১৪. মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি নিজের ক্রীতদাসের সহিত মুকাতাব করিয়াছে, অতঃপর মুকাতাবের মৃত্যু হইয়াছে এবং রাখিয়া গিয়াছে তাহার উম্মে-ওয়ালাদ। আর তাহার কিতাবাতের কিছু অবশিষ্ট (অনাদায়ী) রহিয়াছে এবং সে (বদলে কিতাবাতের বাকী কিস্তি) যাহা তাহার জিম্মায় রহিয়াছে উহা পরিশোধ করা যায় এমন মালও রাখিয়া গিয়াছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আযাদী লাভের পূর্বে যখন মুকাতাবের মৃত্যু হইয়াছে এবং সন্তানও রাখিয়া যায় নাই যাহারা “বদলে কিতাবাত”-এর বকেয়া পরিশোধ করিয়া নিজেরাও আযাদী লাভ করিত এবং (সাথে সাথে) তাহাদের পিতার “উম্মে-ওয়ালাদ”ও ইহার ফলে আযাদী লাভ করিত (কাজেই) মুকাতাবের “উম্মে-ওয়ালাদ” ক্রীতদাসী থাকিয়া যাইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ (মুকাতাব তাহার গোলামকে আযাদ করিয়া দিয়াছে অথবা তাহার মালের কিছু অংশ সদকা করিয়া দিয়াছে এবং তাহার কর্তাকে সে উহা জানায় নাই (এই অবস্থাতে) মুকাতাব আযাদী লাভ করিয়াছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহা তাহার পক্ষে কার্যকর করা হইবে, মুকাতাবের জন্য উহা হইতে রুজু করারও ইখতিয়ার থাকিবে না, পক্ষান্তরে যদি মুকাতাবের আযাদী লাভের পূর্বে কর্তা উহা জানিতে পারে এবং (জানার পর) সে উহা রদ করিয়া দেয় উহাকে চালু না করে তবে মুকাতাব আযাদ হইলে পর, মাল ও ক্রীতদাস তাহার হাতে থাকিলে তাহার জন্য গোলাম আযাদ করা অথবা সেই সদৃকা বাহির করা জরুরী নহে, কিন্তু ইহা স্বেচ্ছায় ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে করিতে পারিবে।
باب جَامِعِ مَا جَاءَ فِي عِتْقِ الْمُكَاتَبِ وَأُمِّ وَلَدِهِ
قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يُكَاتِبُ عَبْدَهُ ثُمَّ يَمُوتُ الْمُكَاتَبُ وَيَتْرُكُ أُمَّ وَلَدِهِ وَقَدْ بَقِيَتْ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ بَقِيَّةٌ وَيَتْرُكُ وَفَاءً بِمَا عَلَيْهِ إِنَّ أُمَّ وَلَدِهِ أَمَةٌ مَمْلُوكَةٌ حِينَ لَمْ يُعْتَقْ الْمُكَاتَبُ حَتَّى مَاتَ وَلَمْ يَتْرُكْ وَلَدًا فَيُعْتَقُونَ بِأَدَاءِ مَا بَقِيَ فَتُعْتَقُ أُمُّ وَلَدِ أَبِيهِمْ بِعِتْقِهِمْ قَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يُعْتِقُ عَبْدًا لَهُ أَوْ يَتَصَدَّقُ بِبَعْضِ مَالِهِ وَلَمْ يَعْلَمْ بِذَلِكَ سَيِّدُهُ حَتَّى عَتَقَ الْمُكَاتَبُ قَالَ مَالِك يَنْفُذُ ذَلِكَ عَلَيْهِ وَلَيْسَ لِلْمُكَاتَبِ أَنْ يَرْجِعَ فِيهِ فَإِنْ عَلِمَ سَيِّدُ الْمُكَاتَبِ قَبْلَ أَنْ يَعْتِقَ الْمُكَاتَبُ فَرَدَّ ذَلِكَ وَلَمْ يُجِزْهُ فَإِنَّهُ إِنْ عَتَقَ الْمُكَاتَبُ وَذَلِكَ فِي يَدِهِ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ أَنْ يُعْتِقَ ذَلِكَ الْعَبْدَ وَلَا أَنْ يُخْرِجَ تِلْكَ الصَّدَقَةَ إِلَّا أَنْ يَفْعَلَ ذَلِكَ طَائِعًا مِنْ عِنْدِ نَفْسِهِ
Malik said about a man who had his slave in a kitaba and then the mukatab died and left his umm walad, and there remained for him some of his kitaba to pay and he left what would pay it, "The umm walad is a slave since the mukatab was not freed until he died and he did not leave children that were set free by his paying what remained, so that the umm walad of their father was freed by their being set free."
Malik said about a mukatab who set free a slave of his or gave sadaqa with some of his property and his master did not know that until he had set the mukatab free, "That has been performed by him and the master does not rescind it. If the master of the mukatab knows before he sets the mukatab free, he can reject that and not permit it. If the mukatab is then freed and it becomes in his power to do so, he does not have to free the slave, nor give the sadaqa unless he does it voluntarily from himself."
পরিচ্ছেদঃ ১৩. মুকাতাবের ব্যাপারে ওসীয়াত করা প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ১৫. মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুকাতাবের ব্যাপারে অতি উত্তম কথা যাহা আমি শুনিয়াছি তাহা এই : যে মুকাতাবকে তাহার কর্তা মৃত্যু মুহূর্তে আযাদ করিয়াছে তবে সেই অবস্থাতে (সেই মুহূর্তে) উহার মূল্য যাহা হয় তাহাই ধার্য করা হইবে। অর্থাৎ যদি উহাকে বিক্রি করা হয় তবে কত মূল্য দাঁড়াইবে তাহাই ধার্য মূল্য "বদলে কিতাবাত"-এর যাহা বাকী রহিয়াছে তাহার কম হয়, তবে উহা মৃত ব্যক্তির সম্পদের একতৃতীয়াংশ মুতাবিক ধার্য করা হইবে। মুকাতাবের জিম্মায় যে পরিমাণ দিরহাম অবশিষ্ট রহিয়াছে উহার প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হইবে না। ইহা এইজন্য যে, মুকাতাবকে যদি হত্যা করা হয় তবে হত্যাকারী সেই হত্যার দিনের মূল্যই আদায় করিবে। (অনুরূপ) মুকাতাবকে কেহ জখম করিলে সে জখমের দিনের খেসারতই আঘাতকারী আদায় করিবে। এই সব ব্যাপারে উহার কিতাবাত কত দিরহাম বা কতদিনের উপর হইয়াছে সেদিকে লক্ষ্য করা হয় না। কারণ যতক্ষণ কিতাবাতের কিছু অর্থ অনাদায়ী থাকে ততক্ষণ সে ক্রীতদাস থাকে। আর “বদলে কিতাবাত” যাহা উহার জিম্মায় রহিয়াছে উহা যদি তাহার মূল্য হইতে কম হয় তবে মৃত ব্যক্তির সম্পদের এক তৃতীয়াংশ হইতে “বদলে কিতাবাত”-এর ব্যাপারে উহার জিম্মায় যে বকেয়া রহিয়াছে মাত্র সে পরিমাণই হিসাব করা হইবে। কারণ মৃত ব্যক্তি তাহার জন্য তাহার "বদলে কিতাবাত"-এর বকেয়া পরিমাণই রাখিয়া গিয়াছে। ফলে উহা এমন ওসীয়াতের মতো হইয়াছে, যে ওসীয়্যত সেই (মৃত ব্যক্তি) উহার মুকাতাবের জন্য করিয়াছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহার ব্যাখ্যা এই, যদি মুকাতাবের মূল্য হয় এক হাজার দিরহাম এবং উহার কিতাবাত হইতে বাকী রহিয়াছে মাত্র একশত দিরহাম, এমতাবস্থায় তাহার কর্তা তাহার জন্য একশত দিরহামের ওসীয়্যত করিয়াছে। উহা তাহার কর্তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতে হিসাব করা হইবে। এই ওসীয়্যতের দরুন মুকাতাব আযাদ হইয়া যাইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি তাহার গোলামকে মৃত্যুর সময় মুকাতাব করিল, তবে ক্রীতদাসের মূল্য ধার্য করা হইবে। তারপর কর্তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ যদি ক্রীতদাসের মূল্য পরিশোধের জন্য যথেষ্ট হয় তবে উহা জায়েয হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহার ব্যাখ্যা এই যে, (দৃষ্টান্তস্বরূপ) ক্রীতদাসের মূল্য হইতেছে এক হাজার দীনার, তাহার কর্তা মৃত্যুর সময় তাহার সহিত মুকাতাব করিল দুইশত দীনারের উপর, (অপর দিকে) তাহার কর্তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতেছে এক হাজার দীনার, তবে ইহা বৈধ। ইহা (এক প্রকারের) ওসীয়্যত যাহা তাহার (মুকাতাবের) জন্য (সম্পদের) এক-তৃতীয়াংশ করা হইয়াছে। আর যদি (মুকাতাবের) কর্তা অন্য কোন সম্প্রদায়ের জন্য ভিন্ন ধরনের ওসীয়্যত করিয়া থাকে, (অপরদিকে) এক-তৃতীয়াংশ সম্পদে মুকাতাবের মূল্যের অধিক মাল নাই, তবে মুকাতাবকে অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে। কারণ কিতাবাত হইতেছে আযাদী প্রদান করা। সুতরাং কিতাবাতের ওসীয়াতকে ওসীয়াতসমূহের মধ্যে অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে। অতঃপর অন্য সকল ওসীয়াতকে মুকাতাবের “বদলে কিতাবাত”-এর অন্তর্ভুক্ত করা হইবে। যাহাঁদের জন্য ওসীয়াত করা হইয়াছে তাহারা মুকাতাবের দিকে রুজু করিবে এবং ওসীয়াতকারীর ওয়ারিসগণকে ইখতিয়ার দেওয়া হইবে। তাহারা পছন্দ করিলে যাহাদের জন্য ওসীয়াত করা হইয়াছে উহাদের পক্ষে ওসীয়াত পূর্ণ করিবে এবং মুকাতাবের কিতাবাতের অর্থ তাহাদের প্রাপ্য হইবে। তাহারা চাহিলে এইরূপ করিতে পারিবে। আর তাহারা যদি এইরূপ করিতে অস্বীকার করে এবং মুকাতাব ও মুকাতাবের সম্পদকে ওসীয়াত যাহাদের জন্য করা হইয়াছে উহাদের নিকট সোপর্দ করিয়া দেয়, ইহাও তাহাদের জন্য বৈধ।
কারণ এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ সেই মুকাতাবের মধ্যেই (অর্থাৎ তাহার নিকটই) রহিয়াছে। আর ইহা এই জন্য যে, যে কোন কোন ওসীয়্যত যাহা কোন ব্যক্তি করিয়াছে তাহা সম্পর্কে তাহার ওয়ারিসগণ বলিতে পারে, আমাদের মুরিস’ (কর্তা-ব্যক্তি-পরিবারের প্রধান) যাহা ওসীয়্যত করিয়াছে উহা এক-তৃতীয়াংশের অধিক এই ওসীয়্যতের দ্বারা তিনি তাহার অধিকার বহির্ভূত অতিরিক্ত সম্পদ গ্রহণ করিয়াছেন। মালিক (রহঃ) বলেন-(এই অবস্থাতে) উহার ওয়ারিসগণকে ইখতিয়ার দেওয়া হইবে এবং তাহাদিগকে বলা হইবে, তোমাদের মুরুব্বী বা মুরিস যে ওসীয়্যত করিয়াছে, তোমরা সে বিষয়ে অবগত হইয়াছ, (এখন) তোমরা যদি মৃত ব্যক্তির ওসীয়াতকে যাহার জন্য তিনি ওসীয়াত করিয়াছেন সেই মতে কার্যকর করিতে পছন্দ কর, (তবে ভাল কথা) : নতুবা যাহাদের জন্য ওসীয়াত করা হইয়াছে তাহাদের উদ্দেশ্যে মৃত ব্যক্তির এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ পূর্ণ ছাড়িয়া দাও।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মৃত ব্যক্তির ওয়ারিসগণ ওসীয়াত যাহাদের জন্য করা হইয়াছে তাহাদের নিকট মুকাতাবকে সোপর্দ করিয়া দেয় তবে “বদলে কিতাবাত” তাহদের প্রাপ্য হইবে, মুকাতাব যদি তাহার জিম্মায় কিতাবাতের অর্থ উহাদের নিকট পরিশোধ করে তবে উহারা ওসীয়্যত বাবদ উহাদের অংশ অনুযায়ী বন্টন করিয়া লইবে। আর মুকাতাব যদি অর্থ আদায়ে অপারক হয় তবে সে উহাদের নিকট ক্রীতদাসরূপে থাকিবে, ওয়ারিসগণের নিকট ফিরিয়া যাইবে না। কারণ উহারা তাহাকে ছাড়িয়া দিয়াছে যখন ইখতিয়ার দেওয়া হইয়াছে তখন। আর এইজন্যও যে ওয়ারিসগণ যখন ওসীয়্যত গ্রহীতাদের নিকট মুকাতাবকে সোপর্দ করে তখন ওসীয়াত গ্রহীতারা তাহাকে জামিন হিসাবে গ্রহণ করে। তাই ওসীয়্যত গ্রহীতাদের জন্য মুকাতাবের মৃত্যু হইলে ওয়ারিসগণের কোন দায়িত্ব থাকিবে না। আর যদি মুকাতাবের মৃত্যু হয় কিতাবাতের অর্থ পরিশোধ করার পূর্বে এবং উহার জিম্মায় যে অর্থ রহিয়াছে তাহার অধিক মাল রাখিয়া যায় তবে উহার মাল ওসীয়াত গ্রহীতাদের জন্য হইবে। আর যদি মুকাতাব কিতাবাতের অর্থ পরিশোধ করিয়া থাকে তবে সে আযাদ হইয়া যাইবে এবং তাহার উত্তরাধিকারিত্ব রুজু করিবে মুরিস-এর আসাবা এর দিকে যিনি কিতাবাত সম্পাদন করিয়াছিলেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ জনৈক মুকাতাবের নিকট “বদলে কিতাবাত” বাবদ তাহার কর্তা দশ হাজার দিরহাম পাইবে। সে মৃত্যুর সময় মুকাতাবের জিম্মা হইতে এক হাজার দিরহাম কমাইয়া দিল। মালিক (রহঃ) বলেন, মুকাতাবের মূল্য নির্ধারণ করা হইবে। অতঃপর লক্ষ্য করা হইবে উহার মূল্য কত? যদি উহার মূল্য এক হাজার দিরহাম হয় তবে মুকাতাব হইতে যাহা কমান হইয়াছে উহা “বদলে কিতাবাত”-এর এক দশমাংশ? আর উহা মূল্যের দিক দিয়া একশত দিরহাম এর মতো এবং উহা (একশত দিরহাম) হইতেছে মূল্যের এক দশমাংশ, তাই উহা (মুকাতাব) হইতে এক-দশমাংশ কমান হইল যাহা মূল্যের হইবে এক-দশমাংশ (১/১০) নগদ মূল্যে। ইহা হইতেছে এইরূপ যেমন মুকাতাব হইতে সম্পূর্ণ “বদলে কিতাবাত” মাফ করিয়া দেওয়া হয়, যদি (কর্তা) এইরূপ করে তবে মৃত ব্যক্তির সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতে মুকাতাবের মূল্য এক হাজার দিরহাম ছাড়া আর কিছু হিসাব করা হইবে না। আর যদি মুকাতাব হইতে “বদলে কিতাবাতের” অর্ধেক মাফ করা হয় তবে মৃত ব্যক্তির সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ (মুকাতাবের) মূল্যের অর্ধেক হিসাব করা হইবে। আর ইহা হইতে কম বা অধিক হইলে তবে সেই অনুপাতেই হিসাব করা হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি তাহার মুকাতাবের (বদলে কিতাবাত) দশ হাজার দিরহাম হইতে এক হাজার দিরহাম তাহার মৃত্যুর সময় কমাইয়া দিয়াছে, আর সে ইহা নির্দিষ্ট করে নাই যে, ইহা কিতাবাতের (কিস্তির) প্রথম ভাগে কমান হইবে, কিম্বা শেষের দিকে কমান হইবে। তবে প্রতিটি কিস্তি হইতে “বদলে কিতাবাত”-এর এক-দশমাংশ করিয়া কমাইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি তাহার মৃত্যুকালে তাহার মুকাতাব হইতে এক হাজার দিরহাম কমাইয়া দিল। কিতাবাতের প্রথম ভাগ হইতে কিম্বা শেষের দিক হইতে। আর আসল কিতাবাত অনুষ্ঠিত হইয়াছিল তিন হাজার দিরহামের উপর, তবে নগদ মূল্যে মুকাতাবের মূল্য নির্ধারণ করা হইবে। অতঃপর সেই মূল্যকে (কিস্তিতে) বিভক্ত করা হইবে। তারপর সেই মূল্য হইতে কিতাবাতের প্রারম্ভের এক হাজারের জন্য উহার হিসসা নির্ধারিত হইবে উহার নির্ধারিত সময়ের যতটা নিকটে তাহা এবং উহার মূল্যের পার্থক্য বিবেচনা করিয়া, অতঃপর দ্বিতীয় হাজারের জন্য (হিসসা) (ঠিক করা হইবে) যাহা প্রথম হাজারের সংলগ্ন রহিয়াছে উহার মূল্যের পার্থক্য অনুযায়ী, অতঃপর উহার সংলগ্ন হাজারের জন্য উহার মূল্যের পার্থক্য অনুযায়ী। সব শেষ অংশ প্রদান করা পর্যন্ত মুহুর্তের অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের ব্যাপারকে ত্বরান্বিত বা দেরী করার বিষয়টির বিবেচনায় কিস্তির প্রতি হাজার উহার পরবর্তী হাজারের তুলনায় উত্তম ও শ্রেষ্ঠ বলিয়া সাব্যস্ত হইবে। কারণ পরবর্তী কিস্তির মূল্য মূল্যের দিক দিয়া কম হইবে। অতঃপর (কর্তা কর্তৃক যে এক হাজার দিরহাম কমান হইয়াছে) মূল্য হইতে সেই এক হাজারের পরিমাণ মৃত ব্যক্তির মালের এক-তৃতীয়াংশ হইতে বাদ দেওয়া হইবে। উহার বৃদ্ধি অথবা ঘাটতির প্রতি লক্ষ্য রাখা হইবে। যদি উহা কমে কিম্বা বৃদ্ধি পায় তবে উহা সেই অনুপাতেই হিসাব করা হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তির জন্য তাহার মুকাতাবের এক-চতুর্থাংশের ওসীয়্যত করিয়াছে এবং উহার এক-চতুর্থাংশ আযাদ করিয়াছে। অতঃপর সেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়, তারপর মুকাতাবও মারা যায়। তাহার জিম্মায় যে “বদলে কিতাবাত” বাকী রহিয়াছে, তাহা হইতে অধিক মাল রাখিয়া যায়। মালিক (রহঃ) বলেন, মুকাতাবের উপর ওয়ারিসগণের যাহা প্রাপ্য রহিয়াছে উহা দেওয়া হইবে ওয়ারিসগণকে এবং তাহাকে যাহার জন্য মুকাতাবের এক-চতুর্থাংশের ওসীয়াত করা হইয়াছে। ইহার পর যাহা অবশিষ্ট থাকে তাহা ইহারা ভাগ করিয়া লইবে। এই অনুপাতে যাহার জন্য মুকাতাবের এক-চতুর্থাংশের ওসীয়্যত করা হইয়াছিল সে পাইবে অবশিষ্ট সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ, আর মুকাতাবের কর্তার ওয়ারিসগণের হইবে দুই-তৃতীয়াংশ।
মালিক (রহঃ) বলেন-যে মুকাতাবকে তাহার কর্তা মৃত্যুকালে আযাদ করিয়াছে, যদি মৃত ব্যক্তির এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ উহার জন্য যথেষ্ট না হয় তবে এক-তৃতীয়াংশে যতটুকু সংকুলান হয় ততটুকু মুকাতাব হইতে আযাদ হইয়া যাইবে এবং মুকাতাব-এর “বদলে কিতাবাত” হইতে সেই পরিমাণ কমাইয়া দেওয়া হইবে। যদি মুকাতাবের জিম্মায় থাকে পাঁচ হাজার দিরহাম আর উহার মূল্য হয় দুই হাজার দিরহাম নগদ মূল্যে। মৃত ব্যক্তির সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হয় এক হাজার দিরহাম তবে উহার অর্ধেক আযাদ হইবে এবং উহার কারণে কিতাবাতের অর্থের অর্ধেকও কমাইয়া দেওয়া হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি তাহার ওসীয়্যতে বলিয়াছে আমার অমুক গোলাম আযাদ এবং অমুককে মুকাতাব করিয়া দিও, মালিক (রহঃ) বলেন, আযাদীকে কিতাবাতের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে।
باب الْوَصِيَّةِ فِي الْمُكَاتَبِ
قَالَ مَالِك إِنَّ أَحْسَنَ مَا سَمِعْتُ فِي الْمُكَاتَبِ يُعْتِقُهُ سَيِّدُهُ عِنْدَ الْمَوْتِ أَنَّ الْمُكَاتَبَ يُقَامُ عَلَى هَيْئَتِهِ تِلْكَ الَّتِي لَوْ بِيعَ كَانَ ذَلِكَ الثَّمَنَ الَّذِي يَبْلُغُ فَإِنْ كَانَتْ الْقِيمَةُ أَقَلَّ مِمَّا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ الْكِتَابَةِ وُضِعَ ذَلِكَ فِي ثُلُثِ الْمَيِّتِ وَلَمْ يُنْظَرْ إِلَى عَدَدِ الدَّرَاهِمِ الَّتِي بَقِيَتْ عَلَيْهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَوْ قُتِلَ لَمْ يَغْرَمْ قَاتِلُهُ إِلَّا قِيمَتَهُ يَوْمَ قَتْلِهِ وَلَوْ جُرِحَ لَمْ يَغْرَمْ جَارِحُهُ إِلَّا دِيَةَ جَرْحِهِ يَوْمَ جَرَحَهُ وَلَا يُنْظَرُ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ إِلَى مَا كُوتِبَ عَلَيْهِ مِنْ الدَّنَانِيرِ وَالدَّرَاهِمِ لِأَنَّهُ عَبْدٌ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ شَيْءٌ وَإِنْ كَانَ الَّذِي بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ أَقَلَّ مِنْ قِيمَتِهِ لَمْ يُحْسَبْ فِي ثُلُثِ الْمَيِّتِ إِلَّا مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ إِنَّمَا تَرَكَ الْمَيِّتُ لَهُ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ فَصَارَتْ وَصِيَّةً أَوْصَى بِهَا قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنَّهُ لَوْ كَانَتْ قِيمَةُ الْمُكَاتَبِ أَلْفَ دِرْهَمٍ وَلَمْ يَبْقَ مِنْ كِتَابَتِهِ إِلَّا مِائَةُ دِرْهَمٍ فَأَوْصَى سَيِّدُهُ لَهُ بِالْمِائَةِ دِرْهَمٍ الَّتِي بَقِيَتْ عَلَيْهِ حُسِبَتْ لَهُ فِي ثُلُثِ سَيِّدِهِ فَصَارَ حُرًّا بِهَا قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ كَاتَبَ عَبْدَهُ عِنْدَ مَوْتِهِ إِنَّهُ يُقَوَّمُ عَبْدًا فَإِنْ كَانَ فِي ثُلُثِهِ سَعَةٌ لِثَمَنِ الْعَبْدِ جَازَ لَهُ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنْ تَكُونَ قِيمَةُ الْعَبْدِ أَلْفَ دِينَارٍ فَيُكَاتِبُهُ سَيِّدُهُ عَلَى مِائَتَيْ دِينَارٍ عِنْدَ مَوْتِهِ فَيَكُونُ ثُلُثُ مَالِ سَيِّدِهِ أَلْفَ دِينَارٍ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَهُ وَإِنَّمَا هِيَ وَصِيَّةٌ أَوْصَى لَهُ بِهَا فِي ثُلُثِهِ فَإِنْ كَانَ السَّيِّدُ قَدْ أَوْصَى لِقَوْمٍ بِوَصَايَا وَلَيْسَ فِي الثُّلُثِ فَضْلٌ عَنْ قِيمَةِ الْمُكَاتَبِ بُدِئَ بِالْمُكَاتَبِ لِأَنَّ الْكِتَابَةَ عَتَاقَةٌ وَالْعَتَاقَةُ تُبَدَّأُ عَلَى الْوَصَايَا ثُمَّ تُجْعَلُ تِلْكَ الْوَصَايَا فِي كِتَابَةِ الْمُكَاتَبِ يَتْبَعُونَهُ بِهَا وَيُخَيَّرُ وَرَثَةُ الْمُوصِي فَإِنْ أَحَبُّوا أَنْ يُعْطُوا أَهْلَ الْوَصَايَا وَصَايَاهُمْ كَامِلَةً وَتَكُونُ كِتَابَةُ الْمُكَاتَبِ لَهُمْ فَذَلِكَ لَهُمْ وَإِنْ أَبَوْا وَأَسْلَمُوا الْمُكَاتَبَ وَمَا عَلَيْهِ إِلَى أَهْلِ الْوَصَايَا فَذَلِكَ لَهُمْ لِأَنَّ الثُّلُثَ صَارَ فِي الْمُكَاتَبِ وَلِأَنَّ كُلَّ وَصِيَّةٍ أَوْصَى بِهَا أَحَدٌ فَقَالَ الْوَرَثَةُ الَّذِي أَوْصَى بِهِ صَاحِبُنَا أَكْثَرُ مِنْ ثُلُثِهِ وَقَدْ أَخَذَ مَا لَيْسَ لَهُ قَالَ فَإِنَّ وَرَثَتَهُ يُخَيَّرُونَ فَيُقَالُ لَهُمْ قَدْ أَوْصَى صَاحِبُكُمْ بِمَا قَدْ عَلِمْتُمْ فَإِنْ أَحْبَبْتُمْ أَنْ تُنَفِّذُوا ذَلِكَ لِأَهْلِهِ عَلَى مَا أَوْصَى بِهِ الْمَيِّتُ وَإِلَّا فَأَسْلِمُوا لِأَهْلِ الْوَصَايَا ثُلُثَ مَالِ الْمَيِّتِ كُلِّهِ قَالَ فَإِنْ أَسْلَمَ الْوَرَثَةُ الْمُكَاتَبَ إِلَى أَهْلِ الْوَصَايَا كَانَ لِأَهْلِ الْوَصَايَا مَا عَلَيْهِ مِنْ الْكِتَابَةِ فَإِنْ أَدَّى الْمُكَاتَبُ مَا عَلَيْهِ مِنْ الْكِتَابَةِ أَخَذُوا ذَلِكَ فِي وَصَايَاهُمْ عَلَى قَدْرِ حِصَصِهِمْ وَإِنْ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ كَانَ عَبْدًا لِأَهْلِ الْوَصَايَا لَا يَرْجِعُ إِلَى أَهْلِ الْمِيرَاثِ لِأَنَّهُمْ تَرَكُوهُ حِينَ خُيِّرُوا وَلِأَنَّ أَهْلَ الْوَصَايَا حِينَ أُسْلِمَ إِلَيْهِمْ ضَمِنُوهُ فَلَوْ مَاتَ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ عَلَى الْوَرَثَةِ شَيْءٌ وَإِنْ مَاتَ الْمُكَاتَبُ قَبْلَ أَنْ يُؤَدِّيَ كِتَابَتَهُ وَتَرَكَ مَالًا هُوَ أَكْثَرُ مِمَّا عَلَيْهِ فَمَالُهُ لِأَهْلِ الْوَصَايَا وَإِنْ أَدَّى الْمُكَاتَبُ مَا عَلَيْهِ عَتَقَ وَرَجَعَ وَلَاؤُهُ إِلَى عَصَبَةِ الَّذِي عَقَدَ كِتَابَتَهُ قَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يَكُونُ لِسَيِّدِهِ عَلَيْهِ عَشَرَةُ آلَافِ دِرْهَمٍ فَيَضَعُ عَنْهُ عِنْدَ مَوْتِهِ أَلْفَ دِرْهَمٍ قَالَ مَالِك يُقَوَّمُ الْمُكَاتَبُ فَيُنْظَرُ كَمْ قِيمَتُهُ فَإِنْ كَانَتْ قِيمَتُهُ أَلْفَ دِرْهَمٍ فَالَّذِي وُضِعَ عَنْهُ عُشْرُ الْكِتَابَةِ وَذَلِكَ فِي الْقِيمَةِ مِائَةُ دِرْهَمٍ وَهُوَ عُشْرُ الْقِيمَةِ فَيُوضَعُ عَنْهُ عُشْرُ الْكِتَابَةِ فَيَصِيرُ ذَلِكَ إِلَى عُشْرِ الْقِيمَةِ نَقْدًا وَإِنَّمَا ذَلِكَ كَهَيْئَتِهِ لَوْ وُضِعَ عَنْهُ جَمِيعُ مَا عَلَيْهِ وَلَوْ فَعَلَ ذَلِكَ لَمْ يُحْسَبْ فِي ثُلُثِ مَالِ الْمَيِّتِ إِلَّا قِيمَةُ الْمُكَاتَبِ أَلْفُ دِرْهَمٍ وَإِنْ كَانَ الَّذِي وُضِعَ عَنْهُ نِصْفُ الْكِتَابَةِ حُسِبَ فِي ثُلُثِ مَالِ الْمَيِّتِ نِصْفُ الْقِيمَةِ وَإِنْ كَانَ أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ أَوْ أَكْثَرَ فَهُوَ عَلَى هَذَا الْحِسَابِ قَالَ مَالِك إِذَا وَضَعَ الرَّجُلُ عَنْ مُكَاتَبِهِ عِنْدَ مَوْتِهِ أَلْفَ دِرْهَمٍ مِنْ عَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ وَلَمْ يُسَمِّ أَنَّهَا مِنْ أَوَّلِ كِتَابَتِهِ أَوْ مِنْ آخِرِهَا وُضِعَ عَنْهُ مِنْ كُلِّ نَجْمٍ عُشْرُهُ قَالَ مَالِك وَإِذَا وَضَعَ الرَّجُلُ عَنْ مُكَاتَبِهِ عِنْدَ الْمَوْتِ أَلْفَ دِرْهَمٍ مِنْ أَوَّلِ كِتَابَتِهِ أَوْ مِنْ آخِرِهَا وَكَانَ أَصْلُ الْكِتَابَةِ عَلَى ثَلَاثَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ قُوِّمَ الْمُكَاتَبُ قِيمَةَ النَّقْدِ ثُمَّ قُسِمَتْ تِلْكَ الْقِيمَةُ فَجُعِلَ لِتِلْكَ الْأَلْفِ الَّتِي مِنْ أَوَّلِ الْكِتَابَةِ حِصَّتُهَا مِنْ تِلْكَ الْقِيمَةِ بِقَدْرِ قُرْبِهَا مِنْ الْأَجَلِ وَفَضْلِهَا ثُمَّ الْأَلْفُ الَّتِي تَلِي الْأَلْفَ الْأُولَى بِقَدْرِ فَضْلِهَا أَيْضًا ثُمَّ الْأَلْفُ الَّتِي تَلِيهَا بِقَدْرِ فَضْلِهَا أَيْضًا حَتَّى يُؤْتَى عَلَى آخِرِهَا تَفْضُلُ كُلُّ أَلْفٍ بِقَدْرِ مَوْضِعِهَا فِي تَعْجِيلِ الْأَجَلِ وَتَأْخِيرِهِ لِأَنَّ مَا اسْتَأْخَرَ مِنْ ذَلِكَ كَانَ أَقَلَّ فِي الْقِيمَةِ ثُمَّ يُوضَعُ فِي ثُلُثِ الْمَيِّتِ قَدْرُ مَا أَصَابَ تِلْكَ الْأَلْفَ مِنْ الْقِيمَةِ عَلَى تَفَاضُلِ ذَلِكَ إِنْ قَلَّ أَوْ كَثُرَ فَهُوَ عَلَى هَذَا الْحِسَابِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ أَوْصَى لِرَجُلٍ بِرُبُعِ مُكَاتَبٍ أَوْ أَعْتَقَ رُبُعَهُ فَهَلَكَ الرَّجُلُ ثُمَّ هَلَكَ الْمُكَاتَبُ وَتَرَكَ مَالًا كَثِيرًا أَكْثَرَ مِمَّا بَقِيَ عَلَيْهِ قَالَ مَالِك يُعْطَى وَرَثَةُ السَّيِّدِ وَالَّذِي أَوْصَى لَهُ بِرُبُعِ الْمُكَاتَبِ مَا بَقِيَ لَهُمْ عَلَى الْمُكَاتَبِ ثُمَّ يَقْتَسِمُونَ مَا فَضَلَ فَيَكُونُ لِلْمُوصَى لَهُ بِرُبُعِ الْمُكَاتَبِ ثُلُثُ مَا فَضَلَ بَعْدَ أَدَاءِ الْكِتَابَةِ وَلِوَرَثَةِ سَيِّدِهِ الثُّلُثَانِ وَذَلِكَ أَنَّ الْمُكَاتَبَ عَبْدٌ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ شَيْءٌ فَإِنَّمَا يُورَثُ بِالرِّقِّ قَالَ مَالِك فِي مُكَاتَبٍ أَعْتَقَهُ سَيِّدُهُ عِنْدَ الْمَوْتِ قَالَ إِنْ لَمْ يَحْمِلْهُ ثُلُثُ الْمَيِّتِ عَتَقَ مِنْهُ قَدْرُ مَا حَمَلَ الثُّلُثُ وَيُوضَعُ عَنْهُ مِنْ الْكِتَابَةِ قَدْرُ ذَلِكَ إِنْ كَانَ عَلَى الْمُكَاتَبِ خَمْسَةُ آلَافِ دِرْهَمٍ وَكَانَتْ قِيمَتُهُ أَلْفَيْ دِرْهَمٍ نَقْدًا وَيَكُونُ ثُلُثُ الْمَيِّتِ أَلْفَ دِرْهَمٍ عَتَقَ نِصْفُهُ وَيُوضَعُ عَنْهُ شَطْرُ الْكِتَابَةِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ قَالَ فِي وَصِيَّتِهِ غُلَامِي فُلَانٌ حُرٌّ وَكَاتِبُوا فُلَانًا تُبَدَّأُ الْعَتَاقَةُ عَلَى الْكِتَابَةِ
Malik said, The best of what I have heard about a mukatab whose master frees him at death, is that the mukatab is valued according to what he would fetch if he were sold. If that value is less than what remains against him of his kitaba, his freedom is taken from the third that the deceased can bequeath. One does not look at the number of dirhams which remain against him in his kitaba. That is because had he been killed, his killer would not be in debt for other than his value on the day he killed him. Had he been injured, the one who injured him would not be liable for other than the blood-money of the injury on the day of his injury. One does not look at how much he has paid of dinars and dirhams of the contract he has written because he is a slave as long as any of his kitaba remains. If what remains in his kitaba is less than his value, only whatever of his kitaba remains owing from him is taken into account in the third of the property of the deceased. That is because the deceased left him what remains of his kitaba and so it becomes a bequest which the deceased made."
Malik said, "The illustration of that is that if the price of the mukatab is one thousand dirhams, and only one hundred dirhams remain of his kitaba, his master leaves him the one hundred dirhams which complete it for him. It is taken into account in the third of his master and by it he becomes free."
Malik said that if a man wrote his slave a kitaba at his death, the value of the slave was estimated. If there was enough to cover the price of the slave in one third of his property, that was permitted for him.
Malik said, "The illustration of that is that the price of the slave is one thousand dinars. His master writes him a kitaba for two hundred dinars at his death. The third of the property of his master is one thousand dinars, so that is permitted for him. It is only a bequest which he makes from one third of his property. If the master has left bequests to people, and there is no surplus in the third after the value of the mukatab, one begins with the mukatab because the kitaba is setting free, and setting free has priority over bequests. When those bequests are paid from the kitaba of the mukatab, they follow it. The heirs of the testator have a choice. If they want to give the people with bequests all their bequests and the kitaba of the mukatab is theirs, they have that. If they refuse and hand over the mukatab and what he owes to the people with bequests they can do that, because the third commences with the mukatab and because all the bequests which he makes are as one."
If the heirs then say, "What our fellow bequeathed was more than one third of his property and he has taken what was not his," Malik said, "His heirs choose. It is said to them, 'Your companion has made the bequests you know about and if you would like to give them to those who are to receive them according to the deceased's bequests, then do so. If not, hand over to the people with bequests one third of the total property of the deceased.' "
Malik continued, "If the heirs surrender the mukatab to the people with bequests, the people with bequests have what he owes of his kitaba. If the mukatab pays what he owes of his kitaba, they take that in their bequests according to their shares. If the mukatab cannot pay, he is a slave of the people with bequests and does not return to the heirs because they gave him up when they made their choice, and because when he was surrendered to the people with bequests, they were liable. If he died, they would not have anything against the heirs. If the mukatab dies before he pays his kitaba and he leaves property which is more than what he owes, his property goes to the people with bequests. If the mukatab pays what he owes, he is free and his wala' returns to the paternal relations of the one who wrote the kitaba for him."
Malik spoke about a mukatab who owed his master ten thousand dirhams in his kitaba, and when he died he remitted one thousand dirhams from it. He said, "The mukatab is valued and his value is taken into consideration. If his value is one thousand dirhams and the reduction is a tenth of the kitaba, that portion of the slave's price is one hundred dirhams. It is a tenth of the price. A tenth of the kitaba is therefore reduced for him. That is converted to a tenth of the price in cash. That is as if he had had all of what he owed reduced for him. Had he done that, only the value of the slave - one thousand dirhams - would have been taken into account in the third of the property of the deceased. If that which he had remitted is half of the kitaba, half the price is taken into account in the third of the property of the deceased. If it is more or less than that, it is according to this reckoning."
Malik said, "When a man reduces the kitaba of his mukatab by one thousand dirhams at his death from a kitaba of ten thousand dirhams, and he does not stipulate whether it is from the beginning or the end of his kitaba, each instalment is reduced for him by one tenth."
Malik said, "If a man remits one thousand dirhams from his mukatab at his death from the beginning or end of his kitaba, and the original basis of the kitaba is three thousand dirhams, the mukatab's cash value is estimated. Then that value is divided. That thousand which is from the beginning of the kitaba is converted into its portion of the price according to its proximity to the term and its precedence and then the thousand which follows the first thousand is according to its precedence also until it comes to its end, and every thousand is paid according to its place in advancing and deferring the term because what is deferred of that is less in respect of its price. Then it is placed in the third of the deceased according to whatever of the price befalls that thousand according to the difference in preference of that, whether it is more or less, then it is according to this reckoning."
Malik spoke about a man who willed a man a fourth of a mukatab or freed a fourth, and then the man died and the mukatab died and left a lot of property, more than he owed. He said, "The heirs of the first master and the one who was willed a fourth of the mukatab are given what they are still owed by the mukatab. Then they divide what is left over, and the one willed a fourth has a third of what is left after the kitaba is paid. The heirs of his master gets two-thirds. That is because the mukatab is a slave as long as any of his kitaba remains to be paid. He is inherited from by the possession of his person."
Malik said about a mukatab whose master freed him at death, "If the third of the deceased will not cover him, he is freed from it according to what the third will cover and his kitaba is decreased according to that. If the mukatab owed five thousand dirhams and his value is two thousand dirhams cash, and the third of the deceased is one thousand dirhams, half of him is freed and half of the kitaba has been reduced for him." Malik said about a man who said in his will, "My slave so-and-so is free and write a kitaba for so-and- so", that the setting free had priority over the kitaba.