হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৫২৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. বদল-এ কিতাবাত (বিনিময় মূল্য) হইতে (কিতা'আ) কর্তন করা

রেওয়ায়ত ৫. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী উম্মে সালমা (রাঃ) স্বর্ণ এবং রৌপ্যের বিনিময়ে তাহার মুকাতাবদের সঙ্গে মুকাতা’আ (مقاطعة কমানোর চুক্তি) করিতেন।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হইল এই– যেই মুকাতাব দুই শরীকের মালিকানাতে রহিয়াছে, অপর শরীকের অনুমতি ছাড়া এক শরীকের জন্য তাহার হিস্সাতে মুকাতা’আ করা বৈধ নহে। ইহা এইজন্য যে, ক্রীতদাস এবং তাহার মাল উভয়ের মধ্যে মিলিত, কাজেই তাহাদের একজনের জন্য উহার মাল হইতে কিছু অংশ গ্রহণ করা জায়েয নহে, কিন্তু অপর শরীক যদি অনুমতি দেয় (তবে বৈধ হইবে)। আর যদি উহাদের একজন মুকাতাবের সহিত মুকাতা’আ (বদল-এ কিতাবাত হইতে কমাইবার চুক্তি) করিয়াছে অপর শরীক ছাড়া, অতঃপর উহা সে গ্রহণ করিয়াছে। তারপর মুকাতাবের মৃত্যু হইয়াছে এবং উহার নিকট মাল রহিয়াছে অথবা সে (অর্থ আদায়ে) অক্ষম হইয়া গিয়াছে, তবে যে (শরীক) মুকাতা’আ করিয়াছে সে মুকাতাবের মাল হইতে কিছুই পাইবে না। আর বিনিময়ে অর্থের যে অংশ সে মুকাতা’আ করিয়াছে অর্থাৎ কমাইয়া দিয়া সে উহা ফেরত দিয়া মুকাতাবের রাকাবা (গদান অর্থাৎ দাসত্বের অধিকারী হওয়া)-তে তাহার (সাবেক) হকের দিকে রুজু করার ইখতিয়ারও তাহার থাকিবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তাহার শরীকের অনুমতি লইয়া মুকাতাবের সহিত মুকাতা’আ করিয়াছে, অতঃপর মুকাতাব অপারক হইয়াছে, তবে যে মুকাতা’আঃ (কমাইবার চুক্তি) করিয়াছে সে মুকাতা’আঃ অনুযায়ী যে অর্থ মুকাতাব হইতে গ্রহণ করিয়াছে সে অর্থ ফেরত দিয়া পুনরায় মুকাতাবের মধ্যে তাহার অংশের অধিকারী হইতে পছন্দ করিলে ইহা তাহার জন্য বৈধ হইবে। আর যদি মুকাতাব মাল রাখিয়া মারা যায় তবে যাহার কিতাবাত অবশিষ্ট রহিয়াছে (অর্থাৎ যে মুকাতা’আ করে নাই সে) মুকাতাব-এর উপর তাহার যে হক রহিয়াছে তাহা মুকাতাবের মাল হইতে পূর্ণভাবে উশুল করবে। অতঃপর মুকাতাবের যে মাল অবশিষ্ট থাকে উহা যে মুকাতা’আ করিয়াছে তাহার এবং তাহার অপর শরীকের মধ্যে বন্টন করা হইবে মুকাতাবের উভয়ের মধ্যে হিসসা অনুযায়ী। আর যদি দুই জনের এক জন মুকাতাবের সহিত মুকাতা’আ করিয়াছে, অন্য শরীক তাহার সাথী কিতাবাতের উপর স্থির করিয়াছে, অতঃপর মুকাতাব অর্থ আদায়ে অপারক হইয়াছে, তবে যে মুকাতা’আ করিয়াছে তাহাকে বলা হইবে যে, আপনি ইচ্ছা করিলে যাহা আপনি গ্রহণ করিয়াছেন উহার অর্ধেক আপনার সাথীকে দিয়া দিতে পারেন, গোলাম আপনাদের উভয়ের মধ্যে থাকিবে অর্ধেক অর্ধেক। আর যদি আপনি ইহা অস্বীকার করেন তবে গোলাম সম্পূর্ণ সেই শরীকের হইবে, যে শরীক মুকাতা’আ না করিয়া মুকাতাবকে যেমন ছিল তেমনি রাখিয়া দিয়াছে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে মুকাতাব দুই ব্যক্তির শরীকানাতে রহিয়াছে, তাহাদের একজন তাহার সাথীর (শরীক) অনুমতি লইয়া মুকাতাবের সহিত মুকাতা’আ করিয়াছে, অতঃপর যে শরীক দাস রাখিয়া দিয়াছে সে গ্রহণ করিল (মুকাতাব হইতে) ততটুকু যতটুকুর উপর তাহার সাথী শরীক মুকাতা’আ করিয়াছে অথবা ততোধিক। তারপর মুকাতাব অক্ষম হইল, মালিক (রহঃ) বলেনঃ গোলাম তাহাদের উভয়ের মধ্যে থাকিবে। কারণ সে মুকাতাবের উপর তাহার যে হক রহিয়াছে উহা গ্রহণ করিয়াছে, [কাজেই মুকাতা’আ যে করে নাই সে, মুকাতা’আ যে করিয়াছে তাহার নিকট হইতে কিছুই পাইবে না]। আর যে মুকাতা’আ করে নাই সে যদি মুকাতা’আকারী অপেক্ষা কম গ্রহণ করিয়া থাকে, অতঃপর মুকাতাব অপারক হইয়া পড়ে, আর যে মুকাতা’আ করিয়াছে সে যাহা অতিরিক্ত পাইয়াছে উহা হইতে তাহার সাথী (শরীক)-কে অর্ধেক ফিরাইয়া দেওয়াকে পছন্দ করে, ইহাতে গোলাম উভয়ের মধ্যে হইবে অর্ধেক অর্ধেক। তবে তাহার জন্য ইহার ইখতিয়ার রহিয়াছে, আর সে যদি ইহা অস্বীকার করে তবে মুকাতা’আঃ যে (শরীক) করে নাই গোলাম সম্পূর্ণ সে শরীকের জন্য হইবে। আর যদি মুকাতাবের মৃত্যু হয় এবং সে মাল রাখিয়া যায় এবং যে (শরীক) মুকাতা’আঃ করিয়াছে সে যাহা বেশি পাইয়াছে ইহা হইতে তাহার সাথী (শরীক)-কে অর্ধেক ফিরাইয়া দিতে পছন্দ করে তবে মীরাস তাহদের উভয়ের মধ্যে মুশতারাক বা মিলিত হইবে, তবে ইহা করিবার ইখতিয়ার রহিয়াছে। আর যে মুকাতা’আঃ করে নাই কিতাবাতকে বহাল রাখিয়াছে সে যদি তাহার শরীক মুকাতা’আকারী যতটুকুর উপর মুকাতা’আ করিয়াছে ততটুকু গ্রহণ করে বা তাহার চাইতে বেশি। তবে মীরাস তাহাদের উভয়ের মধ্যে বন্টন করা হইবে। কারণ সে তাহার প্রাপ্য গ্রহণ করিয়াছে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে মুকাতাব দুই ব্যক্তির মধ্যে (মিলিত মালিকানায়) রহিয়াছে। অতঃপর তাহাদের একজন তাহার অর্ধেক হকের উপর তাহার সাথীর অনুমতি লইয়া মুকাতা’আ করিয়াছে। অতঃপর যে শরীক দাসত্ব বহাল রাখার উপর অটল রহিয়াছে সে তাহার সাথী যতটুকুর উপর মুকাতা’আ করিয়াছে ততটুকু হইতে কম (অর্থ) গ্রহণ করিয়াছে। তারপর গোলাম হইয়াছে অপারক।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে শরীক গোলামের সহিত মুকাতা’আ করিয়াছে সে যাহা অতিরিক্ত লইয়াছে উহার অর্ধেক যদি তাহার সাথী (শরীক)-কে ফিরাইয়া দেওয়া ভাল মনে করে তবে গোলাম তাহদের উভয়ের মধ্যে সমভাবে বহাল থাকিবে। আর যদি ফিরাইয়া দিতে অস্বীকার করে তবে মুকাতাবের সহিত তাহার যে সাথী (শরীক) মুকাতা’আত করিয়াছে তাহার হিসসা পাইবে দাসত্বকে যে বহাল রাখিয়াছে সে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহার ব্যাখ্যা হইতেছে এই, (দৃষ্টান্তস্বরূপ) ক্রীতদাস দুই কর্তার মালিকানায় রহিয়াছে অর্ধেক অর্ধেক ভাগে। তাহারা উভয়ে উহার সহিত মুকাতা’আ করিয়াছে। অতঃপর তাহাদের একজন তাহার হকের অর্ধেকের উপর মুকাতাবের সহিত মুকাতা’আঃ করিয়াছে সাথীর অনুমতি লইয়া আর এই অংশ হইতেছে ক্রীতদাসের পূর্ণ মূল্যের এক-চতুর্থাংশ।

অতঃপর মুকাতাব অপারক হইলে (এই অবস্থায়) মুকাতা’আকারী শরীককে বলা হইবে, তুমি যদি ইচ্ছা কর যাহা তুমি অতিরিক্ত গ্রহণ করিয়াছ মুকাতা’আ দ্বারা উহার অর্ধেক তোমার সাথীকে ফিরাইয়া দাও, গোলাম তোমাদের উভয়ের মধ্যে থাকিবে দুই ভাগে (অর্ধেক অর্ধেক)। আর সে ইহা না মানিলে তবে যে শরীক কিতাবাতকে ধারণ করিয়া রাখিয়াছে (অর্থাৎ কিতাবাত চুক্তির উপর বহাল রহিয়াছে, মুকাতা’আ করে নাই) সে তাহার সাথীর যেই অংশের উপর মুকাতা’আ করে নাই, সে তাহার সাথীর যেই অংশের উপর মুকাতাবের সঙ্গে মুকাতা’আ করিয়াছে উহার এক-চতুর্থাংশ পাইবে, (পূর্বে) তাহার (মালিকানায়) ছিল গোলামের অর্ধেকাংশ, এইরূপে তাহার (মালিকানায়) আসিয়া যাইবে তিন-চতুর্থাংশ, আর মুকাতা’আকারী শরীকের থাকিবে গোলামের এক-চতুর্থাংশ। কারণ সে, যেই চতুর্থাংশের উপর মুকাতা’আ করিয়াছিল উহার মূল্য ফেরত দিতে অস্বীকার করিয়াছে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে মুকাতাবের সহিত তাহার কর্তা মুকাতা’আ করিয়াছে এবং উহাকে আযাদ করিয়া দিয়াছে এবং কিতা’আ বাবদ অবশিষ্ট যাহা অনাদায়ী রহিয়াছে উহা ক্রীতদাসের উপর ঋণ স্বরূপ লিখিয়া দিয়াছে, তারপর মুকাতাবের মৃত্যু হইয়াছে এবং তাহার উপর আরও লোকের ঋণ রহিয়াছে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ ক্রীতদাসের উপর কিতা’আত বাবদ কর্তা যাহা পাইবে উহার জন্য তাহার কর্তা অন্যান্য ঋণদাতাদের সঙ্গে শরীক হইয়া অংশ ভাগ করিতে পারবে না, বরং ঋণদাতাগণ আগে তাহাদের হক উশুল করিয়া লইবে সেই অধিকার তাহাদের রহিয়াছে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুকাতাবের উপর লোকের ঋণ থাকিলে তাহার জন্য কর্তার সহিত মুকাতা’আ করা ঠিক নহে, (এইরূপ করিলে) সে আযাদ হইয়া যাইবে, অথচ তাহার কোন মাল নাই। (কারণ তাহার যাবতীয় মাল ঋণদাতাদের প্রাপ্য হইয়াছে)। কারণ ঋণদাতাগণ তাহার কর্তা অপেক্ষা তাহার মালের বেশি হকদার, তাই এইরূপ করা মুকাতাবের জন্য জায়েয নহে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা এই, যে ব্যক্তি গোলামের সহিত মুকাতাবাত করিয়াছে, অতঃপর স্বর্ণের বিনিময়ে উহার সহিত মুকাতা’আ করিল এবং ক্রীতদাসের জিম্মায় যে "বদল-এ কিতাবাত" (আদায়যোগ্য অর্থ) রহিয়াছে তাহা মাফ করিয়া দিল এই শর্তে যে, যে স্বর্ণের উপর মুকাতা’আ হইয়াছে উহা সে কর্তাকে নগদ পরিশোধ করিবে এইরূপ করাতে কোন দোষ নাই। ইহাকে যিনি মাকরূহ বলিয়াছেন, তিনি এই জন্য মাকরূহ বলিয়াছেন যে, তিনি ইহাকে ঋণের মতো গণ্য করিয়াছেন। এক ব্যক্তির উপর অন্য ব্যক্তির নির্দিষ্ট সময়ে আদায়যোগ্য ঋণ রহিয়াছে, ঋণদাতা ঋণের কিছু অংশ মাফ করিয়া দিল নগদ অর্থ লইয়া (ইহা জায়েয নহে, কাজেই মুকাতা’আতেও নগদ অর্থের শর্তে কিছু মাফ করিয়া দিলে উহা জায়েয হইবে না)।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহা ঋণের মতো নহে, কারণ কর্তার সহিত মুকাতাবের কিতা’আত করার উদ্দেশ্য হইতেছে, কর্তাকে কিছু মাল সে দিবে যেন সে আযাদী ত্বরান্বিত করে। ফলে তাহার জন্য মীরাস এবং সাক্ষ্যদান ও হুদূদের অধিকার ওয়াজিব হইবে এবং সাব্যস্ত হইবে তাহার জন্য আযাদী ও সম্মান। সে কোন দিরহামের বিনিময়ে দিরহাম বা স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ খরিদ করে নাই। ইহার দৃষ্টান্ত এইরূপ-যেমন এক ব্যক্তি তাহার গোলামকে বলিল-তুমি এত দীনার যদি নিয়া আস, তবে তুমি আযাদ, তারপর ইহা হইতে কিছু কমাইয়া দিল এবং বলিল, আমার নিকট নির্ধারিত অর্থ হইতে কিছু কম উপস্থিত করিলেও তুমি আযাদ।

ইহা গোলামের জিম্মায় জরুরী হইয়াছে এমন কোন ঋণ নহে, যদি উহা (মুকাতা’আ অর্থ) ঋণ হইত তবে মুকাতাব মারা গেলে অথবা মুফসিল (রিক্ত হস্ত) হইলে কর্তা অন্যান্য ঋণদাতার সহিত মিলিত হইয়া তাহার অংশ আদায় করিত এবং উহাদের সহিত “বদল-এ কিতাবাত” আদায়ের ব্যাপারে শামিল হইয়া যাইত।

باب الْقِطَاعَةِ فِي الْكِتَابَةِ

حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ تُقَاطِعُ مُكَاتَبِيهَا بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الْمُكَاتَبِ يَكُونُ بَيْنَ الشَّرِيكَيْنِ فَإِنَّهُ لَا يَجُوزُ لِأَحَدِهِمَا أَنْ يُقَاطِعَهُ عَلَى حِصَّتِهِ إِلَّا بِإِذْنِ شَرِيكِهِ وَذَلِكَ أَنَّ الْعَبْدَ وَمَالَهُ بَيْنَهُمَا فَلَا يَجُوزُ لِأَحَدِهِمَا أَنْ يَأْخُذَ شَيْئًا مِنْ مَالِهِ إِلَّا بِإِذْنِ شَرِيكِهِ وَلَوْ قَاطَعَهُ أَحَدُهُمَا دُونَ صَاحِبِهِ ثُمَّ حَازَ ذَلِكَ ثُمَّ مَاتَ الْمُكَاتَبُ وَلَهُ مَالٌ أَوْ عَجَزَ لَمْ يَكُنْ لِمَنْ قَاطَعَهُ شَيْءٌ مِنْ مَالِهِ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ أَنْ يَرُدَّ مَا قَاطَعَهُ عَلَيْهِ وَيَرْجِعَ حَقَّهُ فِي رَقَبَتِهِ وَلَكِنْ مَنْ قَاطَعَ مُكَاتَبًا بِإِذْنِ شَرِيكِهِ ثُمَّ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ فَإِنْ أَحَبَّ الَّذِي قَاطَعَهُ أَنْ يَرُدَّ الَّذِي أَخَذَ مِنْهُ مِنْ الْقِطَاعَةِ وَيَكُونُ عَلَى نَصِيبِهِ مِنْ رَقَبَةِ الْمُكَاتَبِ كَانَ ذَلِكَ لَهُ وَإِنْ مَاتَ الْمُكَاتَبُ وَتَرَكَ مَالًا اسْتَوْفَى الَّذِي بَقِيَتْ لَهُ الْكِتَابَةُ حَقَّهُ الَّذِي بَقِيَ لَهُ عَلَى الْمُكَاتَبِ مِنْ مَالِهِ ثُمَّ كَانَ مَا بَقِيَ مِنْ مَالِ الْمُكَاتَبِ بَيْنَ الَّذِي قَاطَعَهُ وَبَيْنَ شَرِيكِهِ عَلَى قَدْرِ حِصَصِهِمَا فِي الْمُكَاتَبِ وَإِنْ كَانَ أَحَدُهُمَا قَاطَعَهُ وَتَمَاسَكَ صَاحِبُهُ بِالْكِتَابَةِ ثُمَّ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ قِيلَ لِلَّذِي قَاطَعَهُ إِنْ شِئْتَ أَنْ تَرُدَّ عَلَى صَاحِبِكَ نِصْفَ الَّذِي أَخَذْتَ وَيَكُونُ الْعَبْدُ بَيْنَكُمَا شَطْرَيْنِ وَإِنْ أَبَيْتَ فَجَمِيعُ الْعَبْدِ لِلَّذِي تَمَسَّكَ بِالرِّقِّ خَالِصًا قَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يَكُونُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ فَيُقَاطِعُهُ أَحَدُهُمَا بِإِذْنِ صَاحِبِهِ ثُمَّ يَقْتَضِي الَّذِي تَمَسَّكَ بِالرِّقِّ مِثْلَ مَا قَاطَعَ عَلَيْهِ صَاحِبُهُ أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ ثُمَّ يَعْجِزُ الْمُكَاتَبُ قَالَ مَالِك فَهُوَ بَيْنَهُمَا لِأَنَّهُ إِنَّمَا اقْتَضَى الَّذِي لَهُ عَلَيْهِ وَإِنْ اقْتَضَى أَقَلَّ مِمَّا أَخَذَ الَّذِي قَاطَعَهُ ثُمَّ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ فَأَحَبَّ الَّذِي قَاطَعَهُ أَنْ يَرُدَّ عَلَى صَاحِبِهِ نِصْفَ مَا تَفَضَّلَهُ بِهِ وَيَكُونُ الْعَبْدُ بَيْنَهُمَا نِصْفَيْنِ فَذَلِكَ لَهُ وَإِنْ أَبَى فَجَمِيعُ الْعَبْدِ لِلَّذِي لَمْ يُقَاطِعْهُ وَإِنْ مَاتَ الْمُكَاتَبُ وَتَرَكَ مَالًا فَأَحَبَّ الَّذِي قَاطَعَهُ أَنْ يَرُدَّ عَلَى صَاحِبِهِ نِصْفَ مَا تَفَضَّلَهُ بِهِ وَيَكُونُ الْمِيرَاثُ بَيْنَهُمَا فَذَلِكَ لَهُ وَإِنْ كَانَ الَّذِي تَمَسَّكَ بِالْكِتَابَةِ قَدْ أَخَذَ مِثْلَ مَا قَاطَعَ عَلَيْهِ شَرِيكُهُ أَوْ أَفْضَلَ فَالْمِيرَاثُ بَيْنَهُمَا بِقَدْرِ مِلْكِهِمَا لِأَنَّهُ إِنَّمَا أَخَذَ حَقَّهُ قَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يَكُونُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ فَيُقَاطِعُ أَحَدُهُمَا عَلَى نِصْفِ حَقِّهِ بِإِذْنِ صَاحِبِهِ ثُمَّ يَقْبِضُ الَّذِي تَمَسَّكَ بِالرِّقِّ أَقَلَّ مِمَّا قَاطَعَ عَلَيْهِ صَاحِبُهُ ثُمَّ يَعْجِزُ الْمُكَاتَبُ قَالَ مَالِك إِنْ أَحَبَّ الَّذِي قَاطَعَ الْعَبْدَ أَنْ يُرَدَّ عَلَى صَاحِبِهِ نِصْفَ مَا تَفَضَّلَهُ بِهِ كَانَ الْعَبْدُ بَيْنَهُمَا شَطْرَيْنِ وَإِنْ أَبَى أَنْ يَرُدَّ فَلِلَّذِي تَمَسَّكَ بِالرِّقِّ حِصَّةُ صَاحِبِهِ الَّذِي كَانَ قَاطَعَ عَلَيْهِ الْمُكَاتَبَ قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنَّ الْعَبْدَ يَكُونُ بَيْنَهُمَا شَطْرَيْنِ فَيُكَاتِبَانِهِ جَمِيعًا ثُمَّ يُقَاطِعُ أَحَدُهُمَا الْمُكَاتَبَ عَلَى نِصْفِ حَقِّهِ بِإِذْنِ صَاحِبِهِ وَذَلِكَ الرُّبُعُ مِنْ جَمِيعِ الْعَبْدِ ثُمَّ يَعْجِزُ الْمُكَاتَبُ فَيُقَالُ لِلَّذِي قَاطَعَهُ إِنْ شِئْتَ فَارْدُدْ عَلَى صَاحِبِكَ نِصْفَ مَا فَضَلْتَهُ بِهِ وَيَكُونُ الْعَبْدُ بَيْنَكُمَا شَطْرَيْنِ وَإِنْ أَبَى كَانَ لِلَّذِي تَمَسَّكَ بِالْكِتَابَةِ رُبُعُ صَاحِبِهِ الَّذِي قَاطَعَ الْمُكَاتَبَ عَلَيْهِ خَالِصًا وَكَانَ لَهُ نِصْفُ الْعَبْدِ فَذَلِكَ ثَلَاثَةُ أَرْبَاعِ الْعَبْدِ وَكَانَ لِلَّذِي قَاطَعَ رُبُعُ الْعَبْدِ لِأَنَّهُ أَبَى أَنْ يَرُدَّ ثَمَنَ رُبُعِهِ الَّذِي قَاطَعَ عَلَيْهِ قَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يُقَاطِعُهُ سَيِّدُهُ فَيَعْتِقُ وَيَكْتُبُ عَلَيْهِ مَا بَقِيَ مِنْ قَطَاعَتِهِ دَيْنًا عَلَيْهِ ثُمَّ يَمُوتُ الْمُكَاتَبُ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ لِلنَّاسِ قَالَ مَالِك فَإِنَّ سَيِّدَهُ لَا يُحَاصُّ غُرَمَاءَهُ بِالَّذِي عَلَيْهِ مِنْ قَطَاعَتِهِ وَلِغُرَمَائِهِ أَنْ يُبَدَّءُوا عَلَيْهِ قَالَ مَالِك لَيْسَ لِلْمُكَاتَبِ أَنْ يُقَاطِعَ سَيِّدَهُ إِذَا كَانَ عَلَيْهِ دَيْنٌ لِلنَّاسِ فَيَعْتِقُ وَيَصِيرُ لَا شَيْءَ لَهُ لِأَنَّ أَهْلَ الدَّيْنِ أَحَقُّ بِمَالِهِ مِنْ سَيِّدِهِ فَلَيْسَ ذَلِكَ بِجَائِزٍ لَهُ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي الرَّجُلِ يُكَاتِبُ عَبْدَهُ ثُمَّ يُقَاطِعُهُ بِالذَّهَبِ فَيَضَعُ عَنْهُ مِمَّا عَلَيْهِ مِنْ الْكِتَابَةِ عَلَى أَنْ يُعَجِّلَ لَهُ مَا قَاطَعَهُ عَلَيْهِ أَنَّهُ لَيْسَ بِذَلِكَ بَأْسٌ وَإِنَّمَا كَرِهَ ذَلِكَ مَنْ كَرِهَهُ لِأَنَّهُ أَنْزَلَهُ بِمَنْزِلَةِ الدَّيْنِ يَكُونُ لِلرَّجُلِ عَلَى الرَّجُلِ إِلَى أَجَلٍ فَيَضَعُ عَنْهُ وَيَنْقُدُهُ وَلَيْسَ هَذَا مِثْلَ الدَّيْنِ إِنَّمَا كَانَتْ قَطَاعَةُ الْمُكَاتَبِ سَيِّدَهُ عَلَى أَنْ يُعْطِيَهُ مَالًا فِي أَنْ يَتَعَجَّلَ الْعِتْقَ فَيَجِبُ لَهُ الْمِيرَاثُ وَالشَّهَادَةُ وَالْحُدُودُ وَتَثْبُتُ لَهُ حُرْمَةُ الْعَتَاقَةِ وَلَمْ يَشْتَرِ دَرَاهِمَ بِدَرَاهِمَ وَلَا ذَهَبًا بِذَهَبٍ وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ مَثَلُ رَجُلٍ قَالَ لِغُلَامِهِ ائْتِنِي بِكَذَا وَكَذَا دِينَارًا وَأَنْتَ حُرٌّ فَوَضَعَ عَنْهُ مِنْ ذَلِكَ فَقَالَ إِنْ جِئْتَنِي بِأَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ فَأَنْتَ حُرٌّ فَلَيْسَ هَذَا دَيْنًا ثَابِتًا وَلَوْ كَانَ دَيْنًا ثَابِتًا لَحَاصَّ بِهِ السَّيِّدُ غُرَمَاءَ الْمُكَاتَبِ إِذَا مَاتَ أَوْ أَفْلَسَ فَدَخَلَ مَعَهُمْ فِي مَالِ مُكَاتَبِهِ


Malik related to me that he heard that Umm Salama, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, made a settlement with her mukatab for an agreed amount of gold and silver.

Malik said, "The generally agreed on way of doing things among us in the case of a mukatab who is shared by two partners, is that one of them cannot make a settlement with him for an agreed price according to his portion without the consent of his partner. That is because the slave and his property are owned by both of them, and so one of them is not permitted to take any of the property except with the consent of his partner. If one of them settled with the mukatab and his partner did not, and he took the agreed price, and then the mukatab died while he had property or was unable to pay, the one who settled would not have anything of the mukatab's property and he could not return that for which he made settlement so that his right to the slave's person would return to him. However, when someone settles with a mukatab with the permission of his partner and then the mukatab is unable to pay, it is preferable that the one who broke with him return what he has taken from the mukatab for the severance and he can have back his portion of the mukatab. He can do that. If the mukatab dies and leaves property, the partner who has kept hold of the kitaba is paid in full the amount of the kitaba which remains to him against the mukatab from the mukatab's property. Then what remains of property of the mukatab is between the partner who broke with him and his partner, according to their shares in the mukatab. If one of the partners breaks off with him and the other keeps the kitaba, and the mukatab is unable to pay, it is said to the partner who settled with him, 'If you wish to give your partner half of what you took so the slave is divided between you, then do so. If you refuse, then all of the slave belongs to the one who held on to possession of the slave.' "

Malik spoke about a mukatab who was shared between two men and one of them made a settlement with him with the permission of his partner. Then the one who retained possession of the slave demanded the like of that for which his partner had settled or more than that and the mukatab could not pay it. He said, "The mukatab is shared between them because the man has only demanded what is owed to him. If he demands less than what the one who settled with him took and the mukatab can not manage that, and the one who settled with him prefers to return to his partner half of what he took so the slave is divided in halves between them, he can do that. If he refuses then all of the slave belongs to the one who did not settle with him. If the mukatab dies and leaves property, and the one who settled with him prefers to return to his companion half of what he has taken so the inheritance is divided between them, he can do that. If the one who has kept the kitaba takes the like of what the one who has settled with him took, or more, the inheritance is between them according to their shares in the slave because he is only taking his right."

Malik spoke about a mukatab who was shared between two men and one of them made a settlement with him for half of what was due to him with the permission of his partner, and then the one who retained possession of the slave took less than what his partner settled with him for and the mukatab was unable to pay. He said, "If the one who made a settlement with the slave prefers to return half of what he was awarded to his partner, the slave is divided between them. If he refuses to return it, the one who retained possession has the portion of the share for which his partner made a settlement with the mukatab."

Malik said, "The explanation of that is that the slave is divided in two halves between them. They write him a kitaba together and then one of them makes a settlement with the mukatab for half his due with the permission of his partner. That is a fourth of all the slave. Then the mukatab is unable to continue, so it is said to the one who settled with him, 'If you wish, return to your partner half of what you were awarded and the slave is divided equally between you.' If he refuses, the one who held to the kitaba takes in full the fourth of his partner for which he made settlement with the mukatab. He had half the slave, so that now gives him three-fourths of the slave. The one who broke off has a fourth of the slave because he refused to return the equivalent of the fourth share for which he settled."

Malik spoke about a mukatab whose master made a settlement with him and set him free and what remained of his severance was written against him as debt, then the mukatab died and people had debts against him. He said, "His master does not share with the creditors because of what he is owed from the severance. The creditors begin first."

Malik said, "A mukatab cannot break with his master when he owes debts to people. He would be set free and have nothing because the people who hold the debts are more entitled to his property than his master. That is not permitted for him."

Malik said, "According to the way things are done among us, there is no harm if a man gives a kitaba to his slave and settles with him for gold and reduces what he is owed of the kitaba provided that only the gold is paid immediately. Whoever disapproves of that does so because he puts it in the category of a debt which a man has against another man for a set term. He gives him a reduction and he pays it immediately. This is not like that debt. The breaking of the mukatab with his master is dependent on his giving money to speed up the setting free. Inheritance, testimony and the hudud are obliged for him and the inviolability of being set free is established for him. He is not buying dirhams for dirhams or gold for gold. Rather it is like a man who having said to his slave, 'Bring me such-and-such an amount of dinars and you are free', then reduces that for him, saying, 'If you bring me less than that, you are free.' That is not a fixed debt. Had it been a fixed debt, the master would have shared with the creditors of the mukatab when he died or went bankrupt. His claim on the property of the mukatab would join theirs."