লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১১. মুকাতাবের আযাদী প্রদানের যে যে পন্থা বৈধ নহে
রেওয়ায়ত ১৩. মালিক (রহঃ) বলেনঃ ক্রীতদাসদের একদল যদি একই কিতাবাতে সংযুক্ত থাকে, তবে কিতাবাতে শামিল অন্যান্য সাথীর পরামর্শ ও সম্মতি ব্যতীত উহাদের একজনকে কর্তা আযাদী দিতে পারিবে না, আর উহারা যদি অল্প বয়সের হয়, তবে উহাদের পরামর্শ গ্রহণযোগ্য নহে এবং উহাদের পরামর্শ গ্রহণ করা বৈধ নহে। মালিক (রহঃ) বলেন, ইহা এইজন্য যে, কোন ব্যক্তি হয়ত সকলের পক্ষে চেষ্টা বা পরিশ্রম করিতে পারে এবং (চেষ্টা করিয়া) সকলের পক্ষ হইতে “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করিতে পারে, যেন সকলের আযাদী ইহার দ্বারা পূর্ণতা লাভ করে। আর যে ব্যক্তি সকলের পক্ষ হইতে “বদলে কিতাবাত” পরিশোধ করিবে এবং গোলামি হইতে উহাদের মুক্তি পাওয়া যাহার উপর নির্ভরশীল কর্তা সেই ব্যক্তিকে আযাদ করিয়া দিতেছে যেন অন্যান্য ক্রীতদাস অপারক হইয়া পড়ে (ফলে যেন উহারা গোলাম থাকিয়া যায়)। কর্তা এইরূপ করিয়া নিজের জন্য কিছু অতিরিক্ত সুবিধা আদায় করিতে প্রয়াসী। তাই যাহারা অবশিষ্ট রহিয়াছে উহাদের স্বার্থে এইরূপ করা জায়েয হইবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করিয়াছেন, ইসলামে কাহারো ক্ষতি সাধন বৈধ নহে। (এমনকি) প্রতিশোধমূলক কাহারো ক্ষতি সাধনও বৈধ নহে। (অন্যদেরকে ক্রীতদাস রাখার জন্য দলের একজনকে আযাদ করিয়া দেওয়া) ইহাতে অন্যদের উপর জঘন্য ধরনের ক্ষতি করা হইল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কয়েকজন ক্রীতদাস একত্রে কিতাবাত করিয়াছে (উহাদের মধ্য হইতে) অশীতিপর বৃদ্ধ এবং বালককে আযাদ করিয়া দেওয়ার ইখতিয়ার কর্তার রহিয়াছে। যাহারা কিছু দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না এবং উহাদের কিতাবাতের মূল্য আদায়ের ব্যাপারে কোন সহযোগী বা সাহায্যকারীও উহাদের নাই, তবে (এইরূপ ব্যক্তিকে) আযাদ করা কর্তার জন্য জায়েয আছে।
باب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ عِتْقِ الْمُكَاتَبِ
قَالَ مَالِك إِذَا كَانَ الْقَوْمُ جَمِيعًا فِي كِتَابَةٍ وَاحِدَةٍ لَمْ يُعْتِقْ سَيِّدُهُمْ أَحَدًا مِنْهُمْ دُونَ مُؤَامَرَةِ أَصْحَابِهِ الَّذِينَ مَعَهُ فِي الْكِتَابَةِ وَرِضًا مِنْهُمْ وَإِنْ كَانُوا صِغَارًا فَلَيْسَ مُؤَامَرَتُهُمْ بِشَيْءٍ وَلَا يَجُوزُ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ قَالَ وَذَلِكَ أَنَّ الرَّجُلَ رُبَّمَا كَانَ يَسْعَى عَلَى جَمِيعِ الْقَوْمِ وَيُؤَدِّي عَنْهُمْ كِتَابَتَهُمْ لِتَتِمَّ بِهِ عَتَاقَتُهُمْ فَيَعْمِدُ السَّيِّدُ إِلَى الَّذِي يُؤَدِّي عَنْهُمْ وَبِهِ نَجَاتُهُمْ مِنْ الرِّقِّ فَيُعْتِقُهُ فَيَكُونُ ذَلِكَ عَجْزًا لِمَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ وَإِنَّمَا أَرَادَ بِذَلِكَ الْفَضْلَ وَالزِّيَادَةَ لِنَفْسِهِ فَلَا يَجُوزُ ذَلِكَ عَلَى مَنْ بَقِيَ مِنْهُمْ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا ضَرَرَ وَلَا ضِرَارَ وَهَذَا أَشَدُّ الضَّرَرِ قَالَ مَالِك فِي الْعَبِيدِ يُكَاتَبُونَ جَمِيعًا إِنَّ لِسَيِّدِهِمْ أَنْ يُعْتِقَ مِنْهُمْ الْكَبِيرَ الْفَانِيَ وَالصَّغِيرَ الَّذِي لَا يُؤَدِّي وَاحِدٌ مِنْهُمَا شَيْئًا وَلَيْسَ عِنْدَ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَوْنٌ وَلَا قُوَّةٌ فِي كِتَابَتِهِمْ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَهُ
Malik said, "If people are together in one kitaba, their master cannot free one of them without consulting his companions who are with him in the kitaba and obtaining their consent. If they are young, however, their consultation means nothing and it is not permitted to them. That is because a man might work for all the people and he might pay their kitaba for them to complete their freedom. Their master approaches the one who will pay for them and their rescue from slavery is through him. He frees him and so makes those who remain unable to pay. He does it intending benefit and increase for himself. It is not permitted for him to do that to those of them who remain. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'There must be no harm nor return of harm.' This is the most severe harm."
Malik said about slaves who wrote a kitaba together that it was permitted for their master to free the old and exhausted of them and the young when neither of them could pay anything, and there was no help nor strength to be had from any of them in their kitaba.