১৫৩৭

পরিচ্ছেদঃ ১৩. মুকাতাবের ব্যাপারে ওসীয়াত করা প্রসঙ্গে

রেওয়ায়ত ১৫. মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুকাতাবের ব্যাপারে অতি উত্তম কথা যাহা আমি শুনিয়াছি তাহা এই : যে মুকাতাবকে তাহার কর্তা মৃত্যু মুহূর্তে আযাদ করিয়াছে তবে সেই অবস্থাতে (সেই মুহূর্তে) উহার মূল্য যাহা হয় তাহাই ধার্য করা হইবে। অর্থাৎ যদি উহাকে বিক্রি করা হয় তবে কত মূল্য দাঁড়াইবে তাহাই ধার্য মূল্য "বদলে কিতাবাত"-এর যাহা বাকী রহিয়াছে তাহার কম হয়, তবে উহা মৃত ব্যক্তির সম্পদের একতৃতীয়াংশ মুতাবিক ধার্য করা হইবে। মুকাতাবের জিম্মায় যে পরিমাণ দিরহাম অবশিষ্ট রহিয়াছে উহার প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হইবে না। ইহা এইজন্য যে, মুকাতাবকে যদি হত্যা করা হয় তবে হত্যাকারী সেই হত্যার দিনের মূল্যই আদায় করিবে। (অনুরূপ) মুকাতাবকে কেহ জখম করিলে সে জখমের দিনের খেসারতই আঘাতকারী আদায় করিবে। এই সব ব্যাপারে উহার কিতাবাত কত দিরহাম বা কতদিনের উপর হইয়াছে সেদিকে লক্ষ্য করা হয় না। কারণ যতক্ষণ কিতাবাতের কিছু অর্থ অনাদায়ী থাকে ততক্ষণ সে ক্রীতদাস থাকে। আর “বদলে কিতাবাত” যাহা উহার জিম্মায় রহিয়াছে উহা যদি তাহার মূল্য হইতে কম হয় তবে মৃত ব্যক্তির সম্পদের এক তৃতীয়াংশ হইতে “বদলে কিতাবাত”-এর ব্যাপারে উহার জিম্মায় যে বকেয়া রহিয়াছে মাত্র সে পরিমাণই হিসাব করা হইবে। কারণ মৃত ব্যক্তি তাহার জন্য তাহার "বদলে কিতাবাত"-এর বকেয়া পরিমাণই রাখিয়া গিয়াছে। ফলে উহা এমন ওসীয়াতের মতো হইয়াছে, যে ওসীয়্যত সেই (মৃত ব্যক্তি) উহার মুকাতাবের জন্য করিয়াছে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহার ব্যাখ্যা এই, যদি মুকাতাবের মূল্য হয় এক হাজার দিরহাম এবং উহার কিতাবাত হইতে বাকী রহিয়াছে মাত্র একশত দিরহাম, এমতাবস্থায় তাহার কর্তা তাহার জন্য একশত দিরহামের ওসীয়্যত করিয়াছে। উহা তাহার কর্তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতে হিসাব করা হইবে। এই ওসীয়্যতের দরুন মুকাতাব আযাদ হইয়া যাইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি তাহার গোলামকে মৃত্যুর সময় মুকাতাব করিল, তবে ক্রীতদাসের মূল্য ধার্য করা হইবে। তারপর কর্তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ যদি ক্রীতদাসের মূল্য পরিশোধের জন্য যথেষ্ট হয় তবে উহা জায়েয হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহার ব্যাখ্যা এই যে, (দৃষ্টান্তস্বরূপ) ক্রীতদাসের মূল্য হইতেছে এক হাজার দীনার, তাহার কর্তা মৃত্যুর সময় তাহার সহিত মুকাতাব করিল দুইশত দীনারের উপর, (অপর দিকে) তাহার কর্তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতেছে এক হাজার দীনার, তবে ইহা বৈধ। ইহা (এক প্রকারের) ওসীয়্যত যাহা তাহার (মুকাতাবের) জন্য (সম্পদের) এক-তৃতীয়াংশ করা হইয়াছে। আর যদি (মুকাতাবের) কর্তা অন্য কোন সম্প্রদায়ের জন্য ভিন্ন ধরনের ওসীয়্যত করিয়া থাকে, (অপরদিকে) এক-তৃতীয়াংশ সম্পদে মুকাতাবের মূল্যের অধিক মাল নাই, তবে মুকাতাবকে অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে। কারণ কিতাবাত হইতেছে আযাদী প্রদান করা। সুতরাং কিতাবাতের ওসীয়াতকে ওসীয়াতসমূহের মধ্যে অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে। অতঃপর অন্য সকল ওসীয়াতকে মুকাতাবের “বদলে কিতাবাত”-এর অন্তর্ভুক্ত করা হইবে। যাহাঁদের জন্য ওসীয়াত করা হইয়াছে তাহারা মুকাতাবের দিকে রুজু করিবে এবং ওসীয়াতকারীর ওয়ারিসগণকে ইখতিয়ার দেওয়া হইবে। তাহারা পছন্দ করিলে যাহাদের জন্য ওসীয়াত করা হইয়াছে উহাদের পক্ষে ওসীয়াত পূর্ণ করিবে এবং মুকাতাবের কিতাবাতের অর্থ তাহাদের প্রাপ্য হইবে। তাহারা চাহিলে এইরূপ করিতে পারিবে। আর তাহারা যদি এইরূপ করিতে অস্বীকার করে এবং মুকাতাব ও মুকাতাবের সম্পদকে ওসীয়াত যাহাদের জন্য করা হইয়াছে উহাদের নিকট সোপর্দ করিয়া দেয়, ইহাও তাহাদের জন্য বৈধ।

কারণ এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ সেই মুকাতাবের মধ্যেই (অর্থাৎ তাহার নিকটই) রহিয়াছে। আর ইহা এই জন্য যে, যে কোন কোন ওসীয়্যত যাহা কোন ব্যক্তি করিয়াছে তাহা সম্পর্কে তাহার ওয়ারিসগণ বলিতে পারে, আমাদের মুরিস’ (কর্তা-ব্যক্তি-পরিবারের প্রধান) যাহা ওসীয়্যত করিয়াছে উহা এক-তৃতীয়াংশের অধিক এই ওসীয়্যতের দ্বারা তিনি তাহার অধিকার বহির্ভূত অতিরিক্ত সম্পদ গ্রহণ করিয়াছেন। মালিক (রহঃ) বলেন-(এই অবস্থাতে) উহার ওয়ারিসগণকে ইখতিয়ার দেওয়া হইবে এবং তাহাদিগকে বলা হইবে, তোমাদের মুরুব্বী বা মুরিস যে ওসীয়্যত করিয়াছে, তোমরা সে বিষয়ে অবগত হইয়াছ, (এখন) তোমরা যদি মৃত ব্যক্তির ওসীয়াতকে যাহার জন্য তিনি ওসীয়াত করিয়াছেন সেই মতে কার্যকর করিতে পছন্দ কর, (তবে ভাল কথা) : নতুবা যাহাদের জন্য ওসীয়াত করা হইয়াছে তাহাদের উদ্দেশ্যে মৃত ব্যক্তির এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ পূর্ণ ছাড়িয়া দাও।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ মৃত ব্যক্তির ওয়ারিসগণ ওসীয়াত যাহাদের জন্য করা হইয়াছে তাহাদের নিকট মুকাতাবকে সোপর্দ করিয়া দেয় তবে “বদলে কিতাবাত” তাহদের প্রাপ্য হইবে, মুকাতাব যদি তাহার জিম্মায় কিতাবাতের অর্থ উহাদের নিকট পরিশোধ করে তবে উহারা ওসীয়্যত বাবদ উহাদের অংশ অনুযায়ী বন্টন করিয়া লইবে। আর মুকাতাব যদি অর্থ আদায়ে অপারক হয় তবে সে উহাদের নিকট ক্রীতদাসরূপে থাকিবে, ওয়ারিসগণের নিকট ফিরিয়া যাইবে না। কারণ উহারা তাহাকে ছাড়িয়া দিয়াছে যখন ইখতিয়ার দেওয়া হইয়াছে তখন। আর এইজন্যও যে ওয়ারিসগণ যখন ওসীয়্যত গ্রহীতাদের নিকট মুকাতাবকে সোপর্দ করে তখন ওসীয়াত গ্রহীতারা তাহাকে জামিন হিসাবে গ্রহণ করে। তাই ওসীয়্যত গ্রহীতাদের জন্য মুকাতাবের মৃত্যু হইলে ওয়ারিসগণের কোন দায়িত্ব থাকিবে না। আর যদি মুকাতাবের মৃত্যু হয় কিতাবাতের অর্থ পরিশোধ করার পূর্বে এবং উহার জিম্মায় যে অর্থ রহিয়াছে তাহার অধিক মাল রাখিয়া যায় তবে উহার মাল ওসীয়াত গ্রহীতাদের জন্য হইবে। আর যদি মুকাতাব কিতাবাতের অর্থ পরিশোধ করিয়া থাকে তবে সে আযাদ হইয়া যাইবে এবং তাহার উত্তরাধিকারিত্ব রুজু করিবে মুরিস-এর আসাবা এর দিকে যিনি কিতাবাত সম্পাদন করিয়াছিলেন।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ জনৈক মুকাতাবের নিকট “বদলে কিতাবাত” বাবদ তাহার কর্তা দশ হাজার দিরহাম পাইবে। সে মৃত্যুর সময় মুকাতাবের জিম্মা হইতে এক হাজার দিরহাম কমাইয়া দিল। মালিক (রহঃ) বলেন, মুকাতাবের মূল্য নির্ধারণ করা হইবে। অতঃপর লক্ষ্য করা হইবে উহার মূল্য কত? যদি উহার মূল্য এক হাজার দিরহাম হয় তবে মুকাতাব হইতে যাহা কমান হইয়াছে উহা “বদলে কিতাবাত”-এর এক দশমাংশ? আর উহা মূল্যের দিক দিয়া একশত দিরহাম এর মতো এবং উহা (একশত দিরহাম) হইতেছে মূল্যের এক দশমাংশ, তাই উহা (মুকাতাব) হইতে এক-দশমাংশ কমান হইল যাহা মূল্যের হইবে এক-দশমাংশ (১/১০) নগদ মূল্যে। ইহা হইতেছে এইরূপ যেমন মুকাতাব হইতে সম্পূর্ণ “বদলে কিতাবাত” মাফ করিয়া দেওয়া হয়, যদি (কর্তা) এইরূপ করে তবে মৃত ব্যক্তির সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতে মুকাতাবের মূল্য এক হাজার দিরহাম ছাড়া আর কিছু হিসাব করা হইবে না। আর যদি মুকাতাব হইতে “বদলে কিতাবাতের” অর্ধেক মাফ করা হয় তবে মৃত ব্যক্তির সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ (মুকাতাবের) মূল্যের অর্ধেক হিসাব করা হইবে। আর ইহা হইতে কম বা অধিক হইলে তবে সেই অনুপাতেই হিসাব করা হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি তাহার মুকাতাবের (বদলে কিতাবাত) দশ হাজার দিরহাম হইতে এক হাজার দিরহাম তাহার মৃত্যুর সময় কমাইয়া দিয়াছে, আর সে ইহা নির্দিষ্ট করে নাই যে, ইহা কিতাবাতের (কিস্তির) প্রথম ভাগে কমান হইবে, কিম্বা শেষের দিকে কমান হইবে। তবে প্রতিটি কিস্তি হইতে “বদলে কিতাবাত”-এর এক-দশমাংশ করিয়া কমাইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি তাহার মৃত্যুকালে তাহার মুকাতাব হইতে এক হাজার দিরহাম কমাইয়া দিল। কিতাবাতের প্রথম ভাগ হইতে কিম্বা শেষের দিক হইতে। আর আসল কিতাবাত অনুষ্ঠিত হইয়াছিল তিন হাজার দিরহামের উপর, তবে নগদ মূল্যে মুকাতাবের মূল্য নির্ধারণ করা হইবে। অতঃপর সেই মূল্যকে (কিস্তিতে) বিভক্ত করা হইবে। তারপর সেই মূল্য হইতে কিতাবাতের প্রারম্ভের এক হাজারের জন্য উহার হিসসা নির্ধারিত হইবে উহার নির্ধারিত সময়ের যতটা নিকটে তাহা এবং উহার মূল্যের পার্থক্য বিবেচনা করিয়া, অতঃপর দ্বিতীয় হাজারের জন্য (হিসসা) (ঠিক করা হইবে) যাহা প্রথম হাজারের সংলগ্ন রহিয়াছে উহার মূল্যের পার্থক্য অনুযায়ী, অতঃপর উহার সংলগ্ন হাজারের জন্য উহার মূল্যের পার্থক্য অনুযায়ী। সব শেষ অংশ প্রদান করা পর্যন্ত মুহুর্তের অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের ব্যাপারকে ত্বরান্বিত বা দেরী করার বিষয়টির বিবেচনায় কিস্তির প্রতি হাজার উহার পরবর্তী হাজারের তুলনায় উত্তম ও শ্রেষ্ঠ বলিয়া সাব্যস্ত হইবে। কারণ পরবর্তী কিস্তির মূল্য মূল্যের দিক দিয়া কম হইবে। অতঃপর (কর্তা কর্তৃক যে এক হাজার দিরহাম কমান হইয়াছে) মূল্য হইতে সেই এক হাজারের পরিমাণ মৃত ব্যক্তির মালের এক-তৃতীয়াংশ হইতে বাদ দেওয়া হইবে। উহার বৃদ্ধি অথবা ঘাটতির প্রতি লক্ষ্য রাখা হইবে। যদি উহা কমে কিম্বা বৃদ্ধি পায় তবে উহা সেই অনুপাতেই হিসাব করা হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তির জন্য তাহার মুকাতাবের এক-চতুর্থাংশের ওসীয়্যত করিয়াছে এবং উহার এক-চতুর্থাংশ আযাদ করিয়াছে। অতঃপর সেই ব্যক্তির মৃত্যু হয়, তারপর মুকাতাবও মারা যায়। তাহার জিম্মায় যে “বদলে কিতাবাত” বাকী রহিয়াছে, তাহা হইতে অধিক মাল রাখিয়া যায়। মালিক (রহঃ) বলেন, মুকাতাবের উপর ওয়ারিসগণের যাহা প্রাপ্য রহিয়াছে উহা দেওয়া হইবে ওয়ারিসগণকে এবং তাহাকে যাহার জন্য মুকাতাবের এক-চতুর্থাংশের ওসীয়াত করা হইয়াছে। ইহার পর যাহা অবশিষ্ট থাকে তাহা ইহারা ভাগ করিয়া লইবে। এই অনুপাতে যাহার জন্য মুকাতাবের এক-চতুর্থাংশের ওসীয়্যত করা হইয়াছিল সে পাইবে অবশিষ্ট সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ, আর মুকাতাবের কর্তার ওয়ারিসগণের হইবে দুই-তৃতীয়াংশ।

মালিক (রহঃ) বলেন-যে মুকাতাবকে তাহার কর্তা মৃত্যুকালে আযাদ করিয়াছে, যদি মৃত ব্যক্তির এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ উহার জন্য যথেষ্ট না হয় তবে এক-তৃতীয়াংশে যতটুকু সংকুলান হয় ততটুকু মুকাতাব হইতে আযাদ হইয়া যাইবে এবং মুকাতাব-এর “বদলে কিতাবাত” হইতে সেই পরিমাণ কমাইয়া দেওয়া হইবে। যদি মুকাতাবের জিম্মায় থাকে পাঁচ হাজার দিরহাম আর উহার মূল্য হয় দুই হাজার দিরহাম নগদ মূল্যে। মৃত ব্যক্তির সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হয় এক হাজার দিরহাম তবে উহার অর্ধেক আযাদ হইবে এবং উহার কারণে কিতাবাতের অর্থের অর্ধেকও কমাইয়া দেওয়া হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি তাহার ওসীয়্যতে বলিয়াছে আমার অমুক গোলাম আযাদ এবং অমুককে মুকাতাব করিয়া দিও, মালিক (রহঃ) বলেন, আযাদীকে কিতাবাতের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে।

باب الْوَصِيَّةِ فِي الْمُكَاتَبِ

قَالَ مَالِك إِنَّ أَحْسَنَ مَا سَمِعْتُ فِي الْمُكَاتَبِ يُعْتِقُهُ سَيِّدُهُ عِنْدَ الْمَوْتِ أَنَّ الْمُكَاتَبَ يُقَامُ عَلَى هَيْئَتِهِ تِلْكَ الَّتِي لَوْ بِيعَ كَانَ ذَلِكَ الثَّمَنَ الَّذِي يَبْلُغُ فَإِنْ كَانَتْ الْقِيمَةُ أَقَلَّ مِمَّا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ الْكِتَابَةِ وُضِعَ ذَلِكَ فِي ثُلُثِ الْمَيِّتِ وَلَمْ يُنْظَرْ إِلَى عَدَدِ الدَّرَاهِمِ الَّتِي بَقِيَتْ عَلَيْهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَوْ قُتِلَ لَمْ يَغْرَمْ قَاتِلُهُ إِلَّا قِيمَتَهُ يَوْمَ قَتْلِهِ وَلَوْ جُرِحَ لَمْ يَغْرَمْ جَارِحُهُ إِلَّا دِيَةَ جَرْحِهِ يَوْمَ جَرَحَهُ وَلَا يُنْظَرُ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ إِلَى مَا كُوتِبَ عَلَيْهِ مِنْ الدَّنَانِيرِ وَالدَّرَاهِمِ لِأَنَّهُ عَبْدٌ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ شَيْءٌ وَإِنْ كَانَ الَّذِي بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ أَقَلَّ مِنْ قِيمَتِهِ لَمْ يُحْسَبْ فِي ثُلُثِ الْمَيِّتِ إِلَّا مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ إِنَّمَا تَرَكَ الْمَيِّتُ لَهُ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ فَصَارَتْ وَصِيَّةً أَوْصَى بِهَا قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنَّهُ لَوْ كَانَتْ قِيمَةُ الْمُكَاتَبِ أَلْفَ دِرْهَمٍ وَلَمْ يَبْقَ مِنْ كِتَابَتِهِ إِلَّا مِائَةُ دِرْهَمٍ فَأَوْصَى سَيِّدُهُ لَهُ بِالْمِائَةِ دِرْهَمٍ الَّتِي بَقِيَتْ عَلَيْهِ حُسِبَتْ لَهُ فِي ثُلُثِ سَيِّدِهِ فَصَارَ حُرًّا بِهَا قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ كَاتَبَ عَبْدَهُ عِنْدَ مَوْتِهِ إِنَّهُ يُقَوَّمُ عَبْدًا فَإِنْ كَانَ فِي ثُلُثِهِ سَعَةٌ لِثَمَنِ الْعَبْدِ جَازَ لَهُ ذَلِكَ قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنْ تَكُونَ قِيمَةُ الْعَبْدِ أَلْفَ دِينَارٍ فَيُكَاتِبُهُ سَيِّدُهُ عَلَى مِائَتَيْ دِينَارٍ عِنْدَ مَوْتِهِ فَيَكُونُ ثُلُثُ مَالِ سَيِّدِهِ أَلْفَ دِينَارٍ فَذَلِكَ جَائِزٌ لَهُ وَإِنَّمَا هِيَ وَصِيَّةٌ أَوْصَى لَهُ بِهَا فِي ثُلُثِهِ فَإِنْ كَانَ السَّيِّدُ قَدْ أَوْصَى لِقَوْمٍ بِوَصَايَا وَلَيْسَ فِي الثُّلُثِ فَضْلٌ عَنْ قِيمَةِ الْمُكَاتَبِ بُدِئَ بِالْمُكَاتَبِ لِأَنَّ الْكِتَابَةَ عَتَاقَةٌ وَالْعَتَاقَةُ تُبَدَّأُ عَلَى الْوَصَايَا ثُمَّ تُجْعَلُ تِلْكَ الْوَصَايَا فِي كِتَابَةِ الْمُكَاتَبِ يَتْبَعُونَهُ بِهَا وَيُخَيَّرُ وَرَثَةُ الْمُوصِي فَإِنْ أَحَبُّوا أَنْ يُعْطُوا أَهْلَ الْوَصَايَا وَصَايَاهُمْ كَامِلَةً وَتَكُونُ كِتَابَةُ الْمُكَاتَبِ لَهُمْ فَذَلِكَ لَهُمْ وَإِنْ أَبَوْا وَأَسْلَمُوا الْمُكَاتَبَ وَمَا عَلَيْهِ إِلَى أَهْلِ الْوَصَايَا فَذَلِكَ لَهُمْ لِأَنَّ الثُّلُثَ صَارَ فِي الْمُكَاتَبِ وَلِأَنَّ كُلَّ وَصِيَّةٍ أَوْصَى بِهَا أَحَدٌ فَقَالَ الْوَرَثَةُ الَّذِي أَوْصَى بِهِ صَاحِبُنَا أَكْثَرُ مِنْ ثُلُثِهِ وَقَدْ أَخَذَ مَا لَيْسَ لَهُ قَالَ فَإِنَّ وَرَثَتَهُ يُخَيَّرُونَ فَيُقَالُ لَهُمْ قَدْ أَوْصَى صَاحِبُكُمْ بِمَا قَدْ عَلِمْتُمْ فَإِنْ أَحْبَبْتُمْ أَنْ تُنَفِّذُوا ذَلِكَ لِأَهْلِهِ عَلَى مَا أَوْصَى بِهِ الْمَيِّتُ وَإِلَّا فَأَسْلِمُوا لِأَهْلِ الْوَصَايَا ثُلُثَ مَالِ الْمَيِّتِ كُلِّهِ قَالَ فَإِنْ أَسْلَمَ الْوَرَثَةُ الْمُكَاتَبَ إِلَى أَهْلِ الْوَصَايَا كَانَ لِأَهْلِ الْوَصَايَا مَا عَلَيْهِ مِنْ الْكِتَابَةِ فَإِنْ أَدَّى الْمُكَاتَبُ مَا عَلَيْهِ مِنْ الْكِتَابَةِ أَخَذُوا ذَلِكَ فِي وَصَايَاهُمْ عَلَى قَدْرِ حِصَصِهِمْ وَإِنْ عَجَزَ الْمُكَاتَبُ كَانَ عَبْدًا لِأَهْلِ الْوَصَايَا لَا يَرْجِعُ إِلَى أَهْلِ الْمِيرَاثِ لِأَنَّهُمْ تَرَكُوهُ حِينَ خُيِّرُوا وَلِأَنَّ أَهْلَ الْوَصَايَا حِينَ أُسْلِمَ إِلَيْهِمْ ضَمِنُوهُ فَلَوْ مَاتَ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ عَلَى الْوَرَثَةِ شَيْءٌ وَإِنْ مَاتَ الْمُكَاتَبُ قَبْلَ أَنْ يُؤَدِّيَ كِتَابَتَهُ وَتَرَكَ مَالًا هُوَ أَكْثَرُ مِمَّا عَلَيْهِ فَمَالُهُ لِأَهْلِ الْوَصَايَا وَإِنْ أَدَّى الْمُكَاتَبُ مَا عَلَيْهِ عَتَقَ وَرَجَعَ وَلَاؤُهُ إِلَى عَصَبَةِ الَّذِي عَقَدَ كِتَابَتَهُ قَالَ مَالِك فِي الْمُكَاتَبِ يَكُونُ لِسَيِّدِهِ عَلَيْهِ عَشَرَةُ آلَافِ دِرْهَمٍ فَيَضَعُ عَنْهُ عِنْدَ مَوْتِهِ أَلْفَ دِرْهَمٍ قَالَ مَالِك يُقَوَّمُ الْمُكَاتَبُ فَيُنْظَرُ كَمْ قِيمَتُهُ فَإِنْ كَانَتْ قِيمَتُهُ أَلْفَ دِرْهَمٍ فَالَّذِي وُضِعَ عَنْهُ عُشْرُ الْكِتَابَةِ وَذَلِكَ فِي الْقِيمَةِ مِائَةُ دِرْهَمٍ وَهُوَ عُشْرُ الْقِيمَةِ فَيُوضَعُ عَنْهُ عُشْرُ الْكِتَابَةِ فَيَصِيرُ ذَلِكَ إِلَى عُشْرِ الْقِيمَةِ نَقْدًا وَإِنَّمَا ذَلِكَ كَهَيْئَتِهِ لَوْ وُضِعَ عَنْهُ جَمِيعُ مَا عَلَيْهِ وَلَوْ فَعَلَ ذَلِكَ لَمْ يُحْسَبْ فِي ثُلُثِ مَالِ الْمَيِّتِ إِلَّا قِيمَةُ الْمُكَاتَبِ أَلْفُ دِرْهَمٍ وَإِنْ كَانَ الَّذِي وُضِعَ عَنْهُ نِصْفُ الْكِتَابَةِ حُسِبَ فِي ثُلُثِ مَالِ الْمَيِّتِ نِصْفُ الْقِيمَةِ وَإِنْ كَانَ أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ أَوْ أَكْثَرَ فَهُوَ عَلَى هَذَا الْحِسَابِ قَالَ مَالِك إِذَا وَضَعَ الرَّجُلُ عَنْ مُكَاتَبِهِ عِنْدَ مَوْتِهِ أَلْفَ دِرْهَمٍ مِنْ عَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ وَلَمْ يُسَمِّ أَنَّهَا مِنْ أَوَّلِ كِتَابَتِهِ أَوْ مِنْ آخِرِهَا وُضِعَ عَنْهُ مِنْ كُلِّ نَجْمٍ عُشْرُهُ قَالَ مَالِك وَإِذَا وَضَعَ الرَّجُلُ عَنْ مُكَاتَبِهِ عِنْدَ الْمَوْتِ أَلْفَ دِرْهَمٍ مِنْ أَوَّلِ كِتَابَتِهِ أَوْ مِنْ آخِرِهَا وَكَانَ أَصْلُ الْكِتَابَةِ عَلَى ثَلَاثَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ قُوِّمَ الْمُكَاتَبُ قِيمَةَ النَّقْدِ ثُمَّ قُسِمَتْ تِلْكَ الْقِيمَةُ فَجُعِلَ لِتِلْكَ الْأَلْفِ الَّتِي مِنْ أَوَّلِ الْكِتَابَةِ حِصَّتُهَا مِنْ تِلْكَ الْقِيمَةِ بِقَدْرِ قُرْبِهَا مِنْ الْأَجَلِ وَفَضْلِهَا ثُمَّ الْأَلْفُ الَّتِي تَلِي الْأَلْفَ الْأُولَى بِقَدْرِ فَضْلِهَا أَيْضًا ثُمَّ الْأَلْفُ الَّتِي تَلِيهَا بِقَدْرِ فَضْلِهَا أَيْضًا حَتَّى يُؤْتَى عَلَى آخِرِهَا تَفْضُلُ كُلُّ أَلْفٍ بِقَدْرِ مَوْضِعِهَا فِي تَعْجِيلِ الْأَجَلِ وَتَأْخِيرِهِ لِأَنَّ مَا اسْتَأْخَرَ مِنْ ذَلِكَ كَانَ أَقَلَّ فِي الْقِيمَةِ ثُمَّ يُوضَعُ فِي ثُلُثِ الْمَيِّتِ قَدْرُ مَا أَصَابَ تِلْكَ الْأَلْفَ مِنْ الْقِيمَةِ عَلَى تَفَاضُلِ ذَلِكَ إِنْ قَلَّ أَوْ كَثُرَ فَهُوَ عَلَى هَذَا الْحِسَابِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ أَوْصَى لِرَجُلٍ بِرُبُعِ مُكَاتَبٍ أَوْ أَعْتَقَ رُبُعَهُ فَهَلَكَ الرَّجُلُ ثُمَّ هَلَكَ الْمُكَاتَبُ وَتَرَكَ مَالًا كَثِيرًا أَكْثَرَ مِمَّا بَقِيَ عَلَيْهِ قَالَ مَالِك يُعْطَى وَرَثَةُ السَّيِّدِ وَالَّذِي أَوْصَى لَهُ بِرُبُعِ الْمُكَاتَبِ مَا بَقِيَ لَهُمْ عَلَى الْمُكَاتَبِ ثُمَّ يَقْتَسِمُونَ مَا فَضَلَ فَيَكُونُ لِلْمُوصَى لَهُ بِرُبُعِ الْمُكَاتَبِ ثُلُثُ مَا فَضَلَ بَعْدَ أَدَاءِ الْكِتَابَةِ وَلِوَرَثَةِ سَيِّدِهِ الثُّلُثَانِ وَذَلِكَ أَنَّ الْمُكَاتَبَ عَبْدٌ مَا بَقِيَ عَلَيْهِ مِنْ كِتَابَتِهِ شَيْءٌ فَإِنَّمَا يُورَثُ بِالرِّقِّ قَالَ مَالِك فِي مُكَاتَبٍ أَعْتَقَهُ سَيِّدُهُ عِنْدَ الْمَوْتِ قَالَ إِنْ لَمْ يَحْمِلْهُ ثُلُثُ الْمَيِّتِ عَتَقَ مِنْهُ قَدْرُ مَا حَمَلَ الثُّلُثُ وَيُوضَعُ عَنْهُ مِنْ الْكِتَابَةِ قَدْرُ ذَلِكَ إِنْ كَانَ عَلَى الْمُكَاتَبِ خَمْسَةُ آلَافِ دِرْهَمٍ وَكَانَتْ قِيمَتُهُ أَلْفَيْ دِرْهَمٍ نَقْدًا وَيَكُونُ ثُلُثُ الْمَيِّتِ أَلْفَ دِرْهَمٍ عَتَقَ نِصْفُهُ وَيُوضَعُ عَنْهُ شَطْرُ الْكِتَابَةِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ قَالَ فِي وَصِيَّتِهِ غُلَامِي فُلَانٌ حُرٌّ وَكَاتِبُوا فُلَانًا تُبَدَّأُ الْعَتَاقَةُ عَلَى الْكِتَابَةِ


Malik said, The best of what I have heard about a mukatab whose master frees him at death, is that the mukatab is valued according to what he would fetch if he were sold. If that value is less than what remains against him of his kitaba, his freedom is taken from the third that the deceased can bequeath. One does not look at the number of dirhams which remain against him in his kitaba. That is because had he been killed, his killer would not be in debt for other than his value on the day he killed him. Had he been injured, the one who injured him would not be liable for other than the blood-money of the injury on the day of his injury. One does not look at how much he has paid of dinars and dirhams of the contract he has written because he is a slave as long as any of his kitaba remains. If what remains in his kitaba is less than his value, only whatever of his kitaba remains owing from him is taken into account in the third of the property of the deceased. That is because the deceased left him what remains of his kitaba and so it becomes a bequest which the deceased made." Malik said, "The illustration of that is that if the price of the mukatab is one thousand dirhams, and only one hundred dirhams remain of his kitaba, his master leaves him the one hundred dirhams which complete it for him. It is taken into account in the third of his master and by it he becomes free." Malik said that if a man wrote his slave a kitaba at his death, the value of the slave was estimated. If there was enough to cover the price of the slave in one third of his property, that was permitted for him. Malik said, "The illustration of that is that the price of the slave is one thousand dinars. His master writes him a kitaba for two hundred dinars at his death. The third of the property of his master is one thousand dinars, so that is permitted for him. It is only a bequest which he makes from one third of his property. If the master has left bequests to people, and there is no surplus in the third after the value of the mukatab, one begins with the mukatab because the kitaba is setting free, and setting free has priority over bequests. When those bequests are paid from the kitaba of the mukatab, they follow it. The heirs of the testator have a choice. If they want to give the people with bequests all their bequests and the kitaba of the mukatab is theirs, they have that. If they refuse and hand over the mukatab and what he owes to the people with bequests they can do that, because the third commences with the mukatab and because all the bequests which he makes are as one." If the heirs then say, "What our fellow bequeathed was more than one third of his property and he has taken what was not his," Malik said, "His heirs choose. It is said to them, 'Your companion has made the bequests you know about and if you would like to give them to those who are to receive them according to the deceased's bequests, then do so. If not, hand over to the people with bequests one third of the total property of the deceased.' " Malik continued, "If the heirs surrender the mukatab to the people with bequests, the people with bequests have what he owes of his kitaba. If the mukatab pays what he owes of his kitaba, they take that in their bequests according to their shares. If the mukatab cannot pay, he is a slave of the people with bequests and does not return to the heirs because they gave him up when they made their choice, and because when he was surrendered to the people with bequests, they were liable. If he died, they would not have anything against the heirs. If the mukatab dies before he pays his kitaba and he leaves property which is more than what he owes, his property goes to the people with bequests. If the mukatab pays what he owes, he is free and his wala' returns to the paternal relations of the one who wrote the kitaba for him." Malik spoke about a mukatab who owed his master ten thousand dirhams in his kitaba, and when he died he remitted one thousand dirhams from it. He said, "The mukatab is valued and his value is taken into consideration. If his value is one thousand dirhams and the reduction is a tenth of the kitaba, that portion of the slave's price is one hundred dirhams. It is a tenth of the price. A tenth of the kitaba is therefore reduced for him. That is converted to a tenth of the price in cash. That is as if he had had all of what he owed reduced for him. Had he done that, only the value of the slave - one thousand dirhams - would have been taken into account in the third of the property of the deceased. If that which he had remitted is half of the kitaba, half the price is taken into account in the third of the property of the deceased. If it is more or less than that, it is according to this reckoning." Malik said, "When a man reduces the kitaba of his mukatab by one thousand dirhams at his death from a kitaba of ten thousand dirhams, and he does not stipulate whether it is from the beginning or the end of his kitaba, each instalment is reduced for him by one tenth." Malik said, "If a man remits one thousand dirhams from his mukatab at his death from the beginning or end of his kitaba, and the original basis of the kitaba is three thousand dirhams, the mukatab's cash value is estimated. Then that value is divided. That thousand which is from the beginning of the kitaba is converted into its portion of the price according to its proximity to the term and its precedence and then the thousand which follows the first thousand is according to its precedence also until it comes to its end, and every thousand is paid according to its place in advancing and deferring the term because what is deferred of that is less in respect of its price. Then it is placed in the third of the deceased according to whatever of the price befalls that thousand according to the difference in preference of that, whether it is more or less, then it is according to this reckoning." Malik spoke about a man who willed a man a fourth of a mukatab or freed a fourth, and then the man died and the mukatab died and left a lot of property, more than he owed. He said, "The heirs of the first master and the one who was willed a fourth of the mukatab are given what they are still owed by the mukatab. Then they divide what is left over, and the one willed a fourth has a third of what is left after the kitaba is paid. The heirs of his master gets two-thirds. That is because the mukatab is a slave as long as any of his kitaba remains to be paid. He is inherited from by the possession of his person." Malik said about a mukatab whose master freed him at death, "If the third of the deceased will not cover him, he is freed from it according to what the third will cover and his kitaba is decreased according to that. If the mukatab owed five thousand dirhams and his value is two thousand dirhams cash, and the third of the deceased is one thousand dirhams, half of him is freed and half of the kitaba has been reduced for him." Malik said about a man who said in his will, "My slave so-and-so is free and write a kitaba for so-and- so", that the setting free had priority over the kitaba.