পরিচ্ছেদঃ ১. বায়নার বিক্রয় প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ১. আমর ইবন শু’আইব তাহার পিতা হইতে, তিনি তাহার[1], দাদা হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম উরবান (বায়না) বিক্রয় হইতে নিষেধ করিয়াছেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের মতে (আল্লাহ সর্বজ্ঞাত) ইহা (বায়না) এই কোন ব্যক্তি ক্রীতদাস অথবা ক্রীতদাসী ক্রয় করিল অথবা কোন পশু কেরায়া লইল। অতঃপর ক্রেতা অথবা যাহার নিকট হইতে কেরায়া লইল তাহাকে বলিল, আমি আপনাকে এক দীনার অথবা এক দিরহাম কিংবা উহার চাইতে কম বা বেশি, এই শর্তে দিলাম যে, যদি আমি (ক্রীত) দ্রব্য গ্রহণ করি, কিংবা আপনার নিকট হইতে কেরায়া নেওয়া পশুর উপর আরোহণ করি, তবে যাহা আমি আপনাকে দিলাম, তাহা দ্রব্যের মূল্য অথবা পশুর কেরায়া হইতে কর্তন করা হইবে। আর যদি আমি দ্রব্য ক্রয় না করি কিংবা কেরায়ায়ত লওয়া পশুটি ব্যবহার না করিয়া ফিরাইয়া দেই অর্থাৎ কেরায়া না লই, তবে যাহা আমি আপনাকে দিয়াছি তাহা কোন বিনিময় ছাড়া আপনার হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট হুকুম এই, ব্যবসায়ী ও শুদ্ধভাষী গোলামকে হাবশী কয়েকজন গোলাম অথবা বিভিন্নজাত হইতে অন্য কোন জাতের গোলামের বিনিময়ে যাহারা বাকপটুতায় ব্যবসায় কার্য সম্পাদনে এবং অভিজ্ঞতায় ইহার তুল্য নহে এইরূপ গোলামের বিনিময়ে বিক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। একজন গোলামকে দুইজনের অথবা কয়েকজন গোলামের বিনিময়ে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত (বাকী) ক্রয় করাতে কোন দোষ নাই। যদি উভয় প্রকার গোলামের মধ্যে পার্থক্য থাকে এবং সেই পার্থক্য হয় স্পষ্ট, আর যদি উহাদের মধ্যে এক গোলাম অপর গোলামের সদৃশ হয় (এমন কি একে অপরের) কাছাকাছি হয় তবে উহা হইতে এক গোলামের বিনিময়ে দুই গোলাম বাকী গ্রহণ করিবে না, যদিও বা উহাদের জাত ভিন্ন ভিন্ন হয়।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ তুমি উহা হইতে যাহা ক্রয় করিয়াছ তাহা কজা করার পূর্বে বিক্রয় করাতে কোন বাধা নাই যদি মূল্য নগদ আদায় কর এবং যাহার নিকট হইতে উহাকে ক্রয় করিয়াছ তাহাকে ছাড়া ভিন্ন লোকের নিকট বিক্রয় কর।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ [অন্তঃসত্ত্বা ক্রীতদাসীর] পেটের বাচ্চাকে বাদ দিয়া[2] মাকে বিক্রয় করা বৈধ নহে, ইহা ধোঁকা হইবে, কারণ জানা নাই বাচ্চা ছেলে না মেয়ে, সুশ্রী না কুশ্রী, সম্পূর্ণ না অসম্পূর্ণ, জীবিত না মৃত। উপরিউক্ত গুণাবলির পার্থক্যের দ্বারা মূল্যের তারতম্য হইয়া থাকে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি দাসী অথবা দাসকে বিক্রয় করিল একশত দীনারে নির্ধারিত সময়ে আদায় করার বিনিময়ে, অতঃপর বিক্রেতা লজ্জিত হইল এবং ক্রেতাকে অনুরোধ করিল দশ দীনার গ্রহণ করিয়া, যাহা বিক্রেতা ক্রেতাকে দিবে নগদ অথবা নির্ধারিত সময়ে বিক্রিত বস্তু ফেরত দিতে। তাহার নিকট বিক্রেতা (গোলামের মূল্য বাবদ) যে একশত দীনার পাইবে উহা সে আর গ্রহণ করিল না। মালিক (রহঃ) বলেন, এইরূপ করিতে কোন দোষ নাই। যদি ক্রেতা লজ্জিত হয় এবং সে দাস-দাসীকে ফেরত নেওয়ার জন্য বিক্রেতার নিকট অনুরোধ করে এবং যেই নির্ধারিত সময়ে সে মূল্য পরিশোধ করিবে বলিয়া ধার্য করিয়া গোলাম বা বাঁদী ক্রয় করিয়াছিল সেই সময়ের অধিক সময়ে পরিশোধ করিবে বলিয়া সময় নির্ধারিত করিয়া অথবা নগদ দশ দীনার বিক্রেতাকে বর্ধিত করিয়া দেয়; তবে ইহা বৈধ নহে। ইহা এইজন্য মাকরূহ যে, বিক্রেতা যেন ক্রেতার নিকট এক বৎসর মেয়াদে একশত দীনার বিক্রয় করিল ক্রীতদাসী ফেরত লওয়ার পূর্বে এবং দশ দীনার নগদ অথবা বাকী এক বৎসর হইতে দূরবর্তী মেয়াদে লাভ করিবে এই শর্তে। এইভাবে ইহা স্বর্ণের বিনিময়ে স্বর্ণ [নির্ধারিত সময়ে আদায় করার বিনিময়ে] ধারে বিক্রয় করার মতো হইল। [যাহা বৈধ নহে, কাজেই ইহাও বৈধ হইবে না।]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি নির্দিষ্ট মেয়াদে একশত দীনার আদায়ের বিনিময়ে অন্য ব্যক্তির নিকট নিজ ক্রীতদাসী বিক্রয় করিল, অতঃপর যে মেয়াদে বিক্রয় করিয়াছিল তার চাইতে দূরবতী মেয়াদে এবং উহার নিকট যেই মূল্যে বিক্রয় করিয়াছিল সেই মূল্য হইতে অধিক মূল্যে সেই ক্রীতদাসীকে উহা হইতে খরিদ করিল।ইহা বৈধ নহে, ইহা মাকরূহ হওয়ার ব্যাখ্যা হইতেছে এই, এক ব্যক্তি নিজের দাসীকে বিক্রয় করিল নির্দিষ্ট মেয়াদে [অর্থ আদায় করিবে বলিয়া ধার্য করিয়া] অতঃপর উহাকে এই মেয়াদ হইতে লম্বা মেয়াদে খরিদ করিল। বিক্রয় করিয়াছিল এক মাস মেয়াদে ত্রিশ দীনারের বিনিময়ে, অতঃপর ক্রয় করিল এক বৎসর মেয়াদে অথবা অর্ধ বৎসর মেয়াদে ষাট দীনার মূল্যে। ইহা এইরূপ হইল যেন তাহার পণ্যদ্রব্য অবিকল তাহার দিকে প্রত্যাবর্তন করিল এবং সে (ক্রেতা) বিক্রেতাকে দিল ত্রিশ দীনার এক মাসের মেয়াদে। অতঃপর ষাট দীনারের বিনিময়ে ক্রেতা উহাকে পুনরায় গ্রহণ করিল এক বৎসরে অথবা অর্ধ বৎসর মেয়াদে। ইহা বৈধ নহে।
بَاب مَا جَاءَ فِي بَيْعِ الْعُرْبَانِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ الثِّقَةِ عِنْدَهُ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الْعُرْبَانِ قَالَ مَالِك وَذَلِكَ فِيمَا نُرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّجُلُ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ أَوْ يَتَكَارَى الدَّابَّةَ ثُمَّ يَقُولُ لِلَّذِي اشْتَرَى مِنْهُ أَوْ تَكَارَى مِنْهُ أُعْطِيكَ دِينَارًا أَوْ دِرْهَمًا أَوْ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ أَوْ أَقَلَّ عَلَى أَنِّي إِنْ أَخَذْتُ السِّلْعَةَ أَوْ رَكِبْتُ مَا تَكَارَيْتُ مِنْكَ فَالَّذِي أَعْطَيْتُكَ هُوَ مِنْ ثَمَنِ السِّلْعَةِ أَوْ مِنْ كِرَاءِ الدَّابَّةِ وَإِنْ تَرَكْتُ ابْتِيَاعَ السِّلْعَةِ أَوْ كِرَاءَ الدَّابَّةِ فَمَا أَعْطَيْتُكَ لَكَ بَاطِلٌ بِغَيْرِ شَيْءٍ قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِأَنْ يَبْتَاعَ الْعَبْدَ التَّاجِرَ الْفَصِيحَ بِالْأَعْبُدِ مِنْ الْحَبَشَةِ أَوْ مِنْ جِنْسٍ مِنْ الْأَجْنَاسِ لَيْسُوا مِثْلَهُ فِي الْفَصَاحَةِ وَلَا فِي التِّجَارَةِ وَالنَّفَاذِ وَالْمَعْرِفَةِ لَا بَأْسَ بِهَذَا أَنْ تَشْتَرِيَ مِنْهُ الْعَبْدَ بِالْعَبْدَيْنِ أَوْ بِالْأَعْبُدِ إِلَى أَجَلٍ مَعْلُومٍ إِذَا اخْتَلَفَ فَبَانَ اخْتِلَافُهُ فَإِنْ أَشْبَهَ بَعْضُ ذَلِكَ بَعْضًا حَتَّى يَتَقَارَبَ فَلَا يَأْخُذْ مِنْهُ اثْنَيْنِ بِوَاحِدٍ إِلَى أَجَلٍ وَإِنْ اخْتَلَفَتْ أَجْنَاسُهُمْ قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِأَنْ تَبِيعَ مَا اشْتَرَيْتَ مِنْ ذَلِكَ قَبْلَ أَنْ تَسْتَوْفِيَهُ إِذَا انْتَقَدْتَ ثَمَنَهُ مِنْ غَيْرِ صَاحِبِهِ الَّذِي اشْتَرَيْتَهُ مِنْهُ قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي أَنْ يُسْتَثْنَى جَنِينٌ فِي بَطْنِ أُمِّهِ إِذَا بِيعَتْ لِأَنَّ ذَلِكَ غَرَرٌ لَا يُدْرَى أَذَكَرٌ هُوَ أَمْ أُنْثَى أَحَسَنٌ أَمْ قَبِيحٌ أَوْ نَاقِصٌ أَوْ تَامٌّ أَوْ حَيٌّ أَوْ مَيْتٌ وَذَلِكَ يَضَعُ مِنْ ثَمَنِهَا قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَبْتَاعُ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ بِمِائَةِ دِينَارٍ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ يَنْدَمُ الْبَائِعُ فَيَسْأَلُ الْمُبْتَاعَ أَنْ يُقِيلَهُ بِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ يَدْفَعُهَا إِلَيْهِ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ وَيَمْحُو عَنْهُ الْمِائَةَ دِينَارٍ الَّتِي لَهُ قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ بِذَلِكَ وَإِنْ نَدِمَ الْمُبْتَاعُ فَسَأَلَ الْبَائِعَ أَنْ يُقِيلَهُ فِي الْجَارِيَةِ أَوْ الْعَبْدِ وَيَزِيدَهُ عَشَرَةَ دَنَانِيرَ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ أَبْعَدَ مِنْ الْأَجَلِ الَّذِي اشْتَرَى إِلَيْهِ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ فَإِنَّ ذَلِكَ لَا يَنْبَغِي وَإِنَّمَا كَرِهَ ذَلِكَ لِأَنَّ الْبَائِعَ كَأَنَّهُ بَاعَ مِنْهُ مِائَةَ دِينَارٍ لَهُ إِلَى سَنَةٍ قَبْلَ أَنْ تَحِلَّ بِجَارِيَةٍ وَبِعَشَرَةِ دَنَانِيرَ نَقْدًا أَوْ إِلَى أَجَلٍ أَبْعَدَ مِنْ السَّنَةٍ فَدَخَلَ فِي ذَلِكَ بَيْعُ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ إِلَى أَجَلٍ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَبِيعُ مِنْ الرَّجُلِ الْجَارِيَةَ بِمِائَةِ دِينَارٍ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ يَشْتَرِيهَا بِأَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ الثَّمَنِ الَّذِي بَاعَهَا بِهِ إِلَى أَبْعَدَ مِنْ ذَلِكَ الْأَجَلِ الَّذِي بَاعَهَا إِلَيْهِ إِنَّ ذَلِكَ لَا يَصْلُحُ وَتَفْسِيرُ مَا كَرِهَ مِنْ ذَلِكَ أَنْ يَبِيعَ الرَّجُلُ الْجَارِيَةَ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ يَبْتَاعُهَا إِلَى أَجَلٍ أَبْعَدَ مِنْهُ يَبِيعُهَا بِثَلَاثِينَ دِينَارًا إِلَى شَهْرٍ ثُمَّ يَبْتَاعُهَا بِسِتِّينَ دِينَارًا إِلَى سَنَةٍ أَوْ إِلَى نِصْفِ سَنَةٍ فَصَارَ إِنْ رَجَعَتْ إِلَيْهِ سِلْعَتُهُ بِعَيْنِهَا وَأَعْطَاهُ صَاحِبُهُ ثَلَاثِينَ دِينَارًا إِلَى شَهْرٍ بِسِتِّينَ دِينَارًا إِلَى سَنَةٍ أَوْ إِلَى نِصْفِ سَنَةٍ فَهَذَا لَا يَنْبَغِي
[2] অর্থাৎ সন্তান যখন ভূমিষ্ঠ হইবে তখন উহাকে পৃথকভাবে বিক্রি করার জন্য রাখিয়া দেওয়া।
Yahya related to me from Malik from a reliable source from Amr ibn Shuayb from his father from his father's father that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, forbade transactions in which nonrefundable deposits were paid.
Malik said, "That is, in our opinion, but Allah knows best, that for instance, a man buys a slave or slave-girl or rents an animal and then says to the person from whom he bought the slave or leased the animal, 'I will give you a dinar or a dirham or whatever on the condition that if I actually take the goods or ride what I have rented from you, then what I have given you already goes towards payment of the goods or hire of the animal. If I do not purchase the goods or hire the animal, then what I have given you is yours without liability on your part.' "
Malik said, "According to the way of doing things with us there is nothing wrong in bartering an arabic speaking merchant slave for abyssinian slaves or any other type that are not his equal in eloquence, trading, shrewdness, and know-how. There is nothing wrong in bartering one slave like this for two or more other slaves with a stated delay in the terms if he is clearly different. If there is no appreciable difference between the slaves, two should not be bartered for one with a stated delay in the terms even if their racial type is different."
Malik said, "There is nothing wrong in selling what has been bought in such a transaction before taking possession of all of it as long as you receive the price for it from some one other than the original owner."
Malik said, "An addition to the price must not be made for a foetus in the womb of its mother when she is sold because that is gharar (an uncertain transaction). It is not known whether the child will be male or female, good-looking or ugly, normal or handicapped, alive or dead. All these things will affect the price."
Malik said that in a transaction where a slave or slave-girl was bought for one hundred dinars with a stated credit period that if the seller regretted the sale there was nothing wrong in him asking the buyer to revoke it for ten dinars which he would pay him immediately or after a period and he would forgo his right to the hundred dinars which he was owed.
Malik said, "However, if the buyer regrets and asks the seller to revoke the sale of a slave or slave-girl in consideration of which he will pay an extra ten dinars immediately or on credit terms, extended beyond the original term, that should not be done. It is disapproved of because it is as if, for instance, the seller is buying the one hundred dinars which is not yet due on a year's credit term before the year expires for a slave-girl and ten dinars to be paid immediately or on credit term longer than the year. This falls into the category of selling gold for gold when delayed terms enter into it."
Malik said that it was not proper for a man to sell a slave-girl to another man for one hundred dinars on credit and then to buy her back for more than the original price or on a credit term longer than the original term for which he sold her. To understand why that was disapproved of in that case, the example of a man who sold a slave-girl on credit and then bought her back on a credit term longer than the original term was looked at. He might have sold her for thirty dinars with a month to pay and then buy her back for sixty dinars with a year or half a year to pay. The outcome would only be that his goods would have returned to him just like they were and the other party would have given him thirty dinars on a month's credit against sixty dinars on a year or half a year's credit. That was not to be done.
পরিচ্ছেদঃ ২. দাসের মাল প্রসঙ্গে যখন উহাকে বিক্রয় করা হয়
রেওয়ারত ২. ’আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি দাসকে বিক্রয় করিয়াছে, আর দাসের রহিয়াছে সম্পদ, তবে উহার সম্পদ বিক্রেতার জন্য হইবে। কিন্তু যদি ক্রেতা উহা শর্ত করিয়া থাকে [তবে স্বতন্ত্র কথা-মাল ক্রেতা পাইবে।]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই, ক্রেতা যদি গোলামের মালের (নিজের জন্য) শর্ত করিয়া থাকে তবে মাল তাহার হইবে, মাল নগদ অর্থ হউক বা ঋণ হউক কিংবা সামগ্ৰী হউক, জ্ঞাত হউক বা অজ্ঞাত, যদি তাহাকে যে মূল্যে খরিদ করিয়াছে উহার চাইতে বেশি মালও হয়, তাহার মূল্য নগদ আদায় করা হউক বা ধারে বিক্রয় অথবা আসবাবপত্রের বিনিময়ে। সর্বাবস্থায় একই প্রকার হুকুম অর্থাৎ শর্ত করিলে মাল ক্রেতা পাইবে। ইহা এইজন্য যে, দাসের মালের জন্য কর্তার উপর যাকাত ওয়াজিব হয় না। আর যদি গোলামের কোন ক্রীতদাসী থাকে যাহার সহিত সঙ্গম করিয়াছে, উহার মালিক হওয়ার দরুন। আর যদি দাস কর্তৃক কোন গোলাম আযাদ করা হইয়া থাকে অথবা কোন গোলামকে মুকাতব করা হইয়া থাকে তবে উহার মাল তাহার জন্য থাকিবে। আর যদি গোলাম কাঙ্গাল হইয়া যায় তবে ঋণদাতাগণ তাহার মাল কজা করিবে, তাহার ঋণের জন্য কর্তাকে দায়ী করিবে না।
بَاب مَا جَاءَ فِي مَالِ الْمَمْلُوكِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ مَنْ بَاعَ عَبْدًا وَلَهُ مَالٌ فَمَالُهُ لِلْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَهُ الْمُبْتَاعُ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الْمُبْتَاعَ إِنْ اشْتَرَطَ مَالَ الْعَبْدِ فَهُوَ لَهُ نَقْدًا كَانَ أَوْ دَيْنًا أَوْ عَرْضًا يُعْلَمُ أَوْ لَا يُعْلَمُ وَإِنْ كَانَ لِلْعَبْدِ مِنْ الْمَالِ أَكْثَرُ مِمَّا اشْتَرَى بِهِ كَانَ ثَمَنُهُ نَقْدًا أَوْ دَيْنًا أَوْ عَرْضًا وَذَلِكَ أَنَّ مَالَ الْعَبْدِ لَيْسَ عَلَى سَيِّدِهِ فِيهِ زَكَاةٌ وَإِنْ كَانَتْ لِلْعَبْدِ جَارِيَةٌ اسْتَحَلَّ فَرْجَهَا بِمِلْكِهِ إِيَّاهَا وَإِنْ عَتَقَ الْعَبْدُ أَوْ كَاتَبَ تَبِعَهُ مَالُهُ وَإِنْ أَفْلَسَ أَخَذَ الْغُرَمَاءُ مَالَهُ وَلَمْ يُتَّبَعْ سَيِّدُهُ بِشَيْءٍ مِنْ دَيْنِهِ
Yahya related to me from Malik from Nafi from Abdullah ibn Umar that Umar ibn al-Khattab said, "If a slave who has wealth is sold, that wealth belongs to the seller unless the buyer stipulates its inclusion."
Malik said, "The generally agreed upon way of doing things among us is that if the buyer stipulates the inclusion of the slave's property whether it be cash, debts, or goods of known or unknown value, then they belong to the buyer, even if the slave possesses more than that for which he was purchased, whether he was bought for cash, as payment for a debt, or in exchange for goods. This is possible because a master is not asked to pay zakat on his slave's property. If a slave has a slave-girl, it is halal for him to have intercourse with her by his right of possession. If a slave is freed or put under contract (kitaba) to purchase his freedom, then his property goes with him. If he becomes bankrupt, his creditors take his property and his master is not liable for any of his debts."
পরিচ্ছেদঃ ৩. গোলামের ব্যাপারে দায়িত্ব
রেওয়ায়ত ৩. আবান ইবন উসমান (রহঃ) ও হিশাম ইবন ইসমাঈল (রহঃ) তাহারা উভয়ে খুতবাতে উল্লেখ করিতেন দাস বা দাসীকে ক্রয় করার সময় হইতে তিন দিনের দায়িত্বের কথা। তাহারা স্মরণ করাইয়া দিতেন এক বৎসরের দায়িত্বের কথা।[1]
মালিক (রহঃ) বলেনঃ দাস বা দাসীকে ক্রয় করার সময় হইতে তিন দিনের ভিতরে দাস বা দাসীর মধ্যে কোন দোষ পাওয়া গেলে উহা বিক্রেতার দায়িত্বের মধ্যে গণ্য হইবে। আর এক বৎসর কালের দায়িত্ব (যেমন) উন্মাদনা, কুষ্ঠরোগ, ধবলকুষ্ঠ, ইত্যাদি জটিল রোগ-এর ব্যাপারে এক বৎসর অতিবাহিত হইয়া গেলে পর বিক্রেতা সম্পূর্ণ দায়িত্বমুক্ত হইয়া যাইবে।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন দাস বা দাসীকে বিক্রয় করিল, বিক্রেতা উত্তরাধিকারী হউক বা অন্য কেউ। বিক্রয়ের সময় দাস-দাসীর দোষের ব্যাপারে দায়িত্বমুক্ত হওয়ার কথা বিক্রেতা কর্তৃক উল্লেখ করিলে তবে বিক্রেতা দাস-দাসীর যাবতীয় দোষের দায়িত্ব হইতে মুক্ত থাকিবে। পক্ষান্তরে বিক্রেতা কর্তৃক বিক্রয়ের সময় যদি দাস-দাসীর কোন দোষের কথা জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও গোপন করে তবে বিক্রয়ের সময় দায়িত্বমুক্ত হওয়ার শর্ত করিলেও এই শর্ত তাহার উপকারে আসিবে না। এই বিক্রয় বাতিল হইয়া যাইবে। আর আমাদের নিকট একমাত্র দাস-দাসীর মধ্যেই বিক্রেতার দায়িত্ব থাকিবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْعُهْدَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنَّ أَبَانَ بْنَ عُثْمَانَ وَهِشَامَ بْنَ إِسْمَعِيلَ كَانَا يَذْكُرَانِ فِي خُطْبَتِهِمَا عُهْدَةَ الرَّقِيقِ فِي الْأَيَّامِ الثَّلَاثَةِ مِنْ حِينِ يُشْتَرَى الْعَبْدُ أَوْ الْوَلِيدَةُ وَعُهْدَةَ السَّنَةِ
قَالَ مَالِك مَا أَصَابَ الْعَبْدُ أَوْ الْوَلِيدَةُ فِي الْأَيَّامِ الثَّلَاثَةِ مِنْ حِينِ يُشْتَرَيَانِ حَتَّى تَنْقَضِيَ الْأَيَّامُ الثَّلَاثَةُ فَهُوَ مِنْ الْبَائِعِ وَإِنَّ عُهْدَةَ السَّنَةِ مِنْ الْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَالْبَرَصِ فَإِذَا مَضَتْ السَّنَةُ فَقَدْ بَرِئَ الْبَائِعُ مِنْ الْعُهْدَةِ كُلِّهَا قَالَ مَالِك وَمَنْ بَاعَ عَبْدًا أَوْ وَلِيدَةً مِنْ أَهْلِ الْمِيرَاثِ أَوْ غَيْرِهِمْ بِالْبَرَاءَةِ فَقَدْ بَرِئَ مِنْ كُلِّ عَيْبٍ وَلَا عُهْدَةَ عَلَيْهِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ عَلِمَ عَيْبًا فَكَتَمَهُ فَإِنْ كَانَ عَلِمَ عَيْبًا فَكَتَمَهُ لَمْ تَنْفَعْهُ الْبَرَاءَةُ وَكَانَ ذَلِكَ الْبَيْعُ مَرْدُودًا وَلَا عُهْدَةَ عِنْدَنَا إِلَّا فِي الرَّقِيقِ
Yahya related to me from Malik from Abdullah ibn Abi Bakr ibn Muhammad ibn Amr ibn Hazm that Aban ibn Uthman and Hisham ibn Ismail used to mention in their khutbas built-in liability agreements in the sale of slaves, to cover both a three day period and a similar clause covering a year. Malik explained, "The defects a lave or slave-girl are found to have from the time they are bought until the end of the three days are the responsibility of the seller. The year agreement is to cover insanity, leprosy, and loss of limbs due to disease. After a year, the seller is free from any liability."
Malik said,"An inheritor or someone else who sells a slave or slave-girl without any such built-in guarantee is not responsible for any fault in the slave and there is no liability agreement held against him unless he was aware of a fault and concealed it. If he was aware of a fault, the lack of guarantee does not protect him. The purchase is returned. In our view, built-in liability agreements only apply to the purchase of slaves."
পরিচ্ছেদঃ ৪. ক্রীতদাসের খুঁত
রেওয়ায়ত ৪. আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) তাহার এক দাস বিক্রয় করিলেন বারাআত এর শর্তে আটশত দিরহাম মূল্যে। অতঃপর ক্রেতা বলিলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-এর গোলামের মধ্যে একটি রোগ রহিয়াছে, আপনি আমার নিকট উহা চিহ্নিত করেন নাই। তারপর তাহারা উভয়ের বিবাদ লইয়া উপস্থিত হইলেন উসমান ইবন আফফান (রাঃ)-এর নিকট। ক্রেতা ব্যক্তি বলিলেন, তিনি আমার নিকট গোলাম বিক্রয় করিলেন অথচ উহার রহিয়াছে একটি রোগ যাহার কথা তিনি আমার নিকট বলেন নাই। আবদুল্লাহু বলিলেনঃ আমি গোলাম বিক্রয় করিয়াছি বারাআত (দায়িত্বমুক্ত থাকা)-এর শর্তে। উসমান (রাঃ) ফয়সালা দিলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) শপথ করিয়া বলিবে-ক্রেতার নিকট তিনি যে গোলাম বিক্রয় করিয়াছেন উহার মধ্যে কোন রোগ আছে বলিয়া তিনি জানিতেন না। আবদুল্লাহ্ (রাঃ) এইরূপ শপথ করিতে অস্বীকৃতি জানাইলেন এবং গোলাম তিনি ফেরত গ্রহণ করিলেন। অতঃপর উক্ত গোলাম সুস্থ হইয়া গেল। তারপর আবদুল্লাহ্ (রাঃ) উহাকে দেড় হাজার দিরহাম মূল্যে বিক্রয় করিলেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত ফয়সালা হইল এই, যে ব্যক্তি কোন দাসী ক্রয় করিল এবং তাহার দ্বারা উহা অন্তঃসত্ত্বা হইল, অথবা দাস ক্রয় কলিয়া উহাকে আযাদ করিল এবং এই জাতীয় যে কোন প্রকার ক্ষমতা পরিচালনা বা কার্য সম্পাদন করে যাহাতে সেই দাসী বা দাসকে আর ফেরত দেওয়া চলে না। অতঃপর (এই মর্মে) প্রমাণ উপস্থিত হইয়াছে যে, বিক্রেতার কাছে থাকা কালে উহার মধ্যে খুঁত ছিল অথবা খুঁত প্রকাশিত হইয়াছে বিক্রেতার স্বীকারোক্তির দ্বারা কিংবা অন্য কোন উপায়ে, [এইরূপ হইয়া থাকিলে] তবে খুঁতসহ বিক্রয়ের দিন সেই দাস অথবা দাসীর কত মূল্য হইতে পারে তাহা নির্ণয় করা হইবে, তারপর ক্রটি মুক্তাবস্থায় উহার যাহা মূল্য হইবে এবং খুঁত অবস্থায় যাহা উহার মূল্য হইতে পারে এভদুভয়ের মধ্যবর্তী ব্যবধানিক মূল্যের অর্থটি ক্রেতাকে ফেরত দিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের কাছে সর্বসম্মত ফয়সালা এই, সেই ব্যক্তি সম্বন্ধে যে ব্যক্তি কোন ক্রীতদাস ক্রয় করিয়াছে। অতঃপর উহা হইতে এমন কোন খুঁত প্রকাশ পাইয়াছে, যে খুঁত প্রকাশ পাওয়ার দরুন যাহাতে উহাকে বিক্রেতার নিকট ফেরত দেওয়া যাইতে পারে।
কিন্তু ক্রেতার নিকট (থাকাবস্থায়) অন্য নূতন খুঁত সৃষ্টি হইয়াছে। যদি নব্যসৃষ্ট খুঁত যাহা ক্রেতার নিকট পয়দা হইয়াছে উহা নষ্টকারী হয় যেমন (কোন অংশ) কর্তন করা কিংবা কানা হওয়া অথবা এই জাতীয় নষ্টকারক খুঁতসমূহ হইতে অন্য কোন খুঁত। তবে দুই বিষয়ের যে কোন উত্তম বিষয়কে গ্রহণ করার ইখতিয়ার ক্রেতার থাকিবে। যদি দাসের ক্রটিসহ যেই দিন উহাকে ক্রয় করিয়াছে সেই দিন যাহা মূল্য হইতে পারে এবং নিখুঁতাবস্থায় উহার যাহা মূল্য হয় উভয়ের মধ্যবর্তী ব্যবধানিক মূল্য তাহা হইতে বাদ দেওয়াকে তিনি পছন্দ করেন তবে (যেই পরিমাণ) অর্থ উহা হইতে বাদ দেওয়া হইবে অথবা সে যদি পছন্দ করে তবে ক্রীতদাসের যেই পরিমাণ ক্ষতি তাহার কাছে থাকিতে হইয়াছে উহার খেসারত প্রদান করিবে, অতঃপর গোলাম ফেরত দেওয়া হইবে (তিনি ইচ্ছা করিলে এইরূপ করা যাইবে)। আর যদি ক্রীতদাস ক্রেতার নিকট মারা যায় তবে ক্রয়ের দিন দোষ মুক্তাবস্থায় উহার মূল্য একশত দীনার থাকে, আর দোষসহ উহার মূল্য ক্রয়ের দিন আশি দীনার হয়, তবে ক্রেতার উপর হইতে উভয় মূল্যের মধ্যে ব্যবধানিক মূল্য বাদ দেওয়া হইবে। মূল্য ধার্য করা হইবে ক্রয়ের দিনেরই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন দাসীকে উহাতে খুঁত পাওয়ার কারণে ফেরত দেয় (অথচ) সে উহার সহিত সহবাস করিয়াছে। তবে দাসী যদি কুমারী হয় তবে (সহবাস করাতে) যতটুকু উহার মূল্য হইতে কমিয়াছে ততটুকু মূল্য তাহাকে আদায় করিতে হইবে আর যদি দাসী কুমারী না হয়, তবে উহার সহিত সঙ্গম করাতে ক্রেতাকে কিছু দিতে হইবে না, কারণ সে উহার জামিনস্বরূপ ছিল।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত যে, যে ব্যক্তি কোন দাস বা দাসীকে অথবা কোন প্রাণীকে বিক্রয় করিয়াছে বারাআতের শর্তে সে আহলে-মীরাস হউক বা আহিলে-মীরাস স্ব্যতীত অন্য কেহ হউক, তবে সে বিক্রীত বস্তুতে যেকোন প্রকার দোষ পাওয়া যায় উহার দায়-দায়িত্ব হইতে মুক্ত হইয়া গিয়াছে। কিন্তু যদি কোন দোষ জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও গোপন করিয়া থাকে তবে তাহার দায়িত্ব মুক্তির শর্ত করা কোন কাজে লাগিবে না এবং তাহার বিক্রীত বস্তু তাহার দিকে ফিরাইয়া দেওয়া হইবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যেই দাসীকে দুইজন দাসীর বিনিময়ে বিক্রয় করা হইয়াছে, অতঃপর দাসীদ্বয়ের একজনের মধ্যে এমন দোষ পাওয়া গিয়াছে যাহাসহ মালিকের নিকট ফেরত দেওয়া চলে। তবে সেই দাসীর মূল্য নির্ণয় করা হইবে যেই ক্রীতদাসীকে দুই দাসীর বিনিময়ে বিক্রয় করা হইয়াছিল। তারপর দেখিতে হইবে উহার মূল্য কত। অতঃপর দাসীদ্বয়ের মূল্য নির্ণয় করিতে হইবে যাহাদের একজনের মধ্যে দোষ পাওয়া গিয়াছে। উভয়ে সুস্থ ও নিখুঁত থাকিলে কি মূল্য দাসীদ্বয়ের হইতে পারে তাহা নির্ণন করিবে। অতঃপর যেই দাসীকে এতদুভয়ের বিনিময়ে বিক্রি করা হইয়াছিল উহার মূল্যকে উভয দাসীর মধ্যে উহাদের মূল্য অনুযায়ী বন্টন করিয়া দিবে, যেন দাসীদ্বয়ের প্রত্যেকের উপর স্ব স্ব হিসসা বর্তিত হয়। নিখুঁত ও উত্তমার অংশে উহার মূল্য এবং অপর ক্রটিযুক্ত অংশে তাহার মূল্য বর্তিত হইবে। তারপর লক্ষ্য করা হইবে ক্রটিযুক্ত দাসীর দিকে এবং যেই পরিমাণ মূল্য উহার অংশে নির্ধারিত হইল তাহা বিক্রেতা কর্তৃক ক্রেতাকে ফেরত দিতে হইবে। যেই দিন ক্রেতা দাসীদ্বয়কে নিজ দখলে আনিয়াছে উভয়ের সেই দিনের মূল্য নির্ণয় করিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি দাস ক্রয় করিল অতঃপর উহাকে ইজারাতে কাজে লাগাইল, বড় ইজারাতে কিংবা কর মারফতে। তারপর সেই দাসে খুঁত পাওয়া গেল, যে খুঁতের কারণে উহাকে বিক্রেতার নিকট ফেরত দেওয়া যায়। (এইরূপ অবস্থা হইলে) তবে সেই দাসকে খুঁতসহ ফেরত দিবে, ইজারা (লব্ধ অর্থ) ও কর (মারফত আদায়কৃত বস্তু) তাহার (ক্রেতার) প্রাপ্য হইবে। অনুরূপ মতই পোষণ করিতেন আমাদের (পবিত্র) শহরের (মদীনার) উলামা সম্প্রদায়। ইহা এইজন্য যে, (যেমন) এক ব্যক্তি একটি দাস খরিদ করিল। সে দাস তাহার (ক্রেতার) উদ্দেশ্যে একটি গৃহ নিৰ্মাণ করিল। যে গৃহের নির্মাণ খরচ গোলামের মূল্য অপেক্ষা কয়েক গুণ বেশি হইবে, অতঃপর সেই দাসের কোন দোষ পাওয়া গেল যে দোষের কারণে উহাকে বিক্রেতার নিকট ফেরত দেওয়া চলে। (এইরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হইলে) তবে উহাকে (বিক্রেতার নিকট) ফেরত দিবে এবং গোলামের শ্রমের কারণে ক্রেতার উপর কোন মজুরী হিসাব করা হইবে না।
অনুরূপ দাসের ইজারালব্ধ অর্থ ক্রেতা পাইবে যদি অন্যের নিকট উহাকে ইজারা দিয়া থাকে কারণ ক্রেতাই উহার জামিন। মালিক (রহঃ) বলেন, ইহাই আমাদের সিদ্ধান্ত।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা এই, এক ব্যক্তি এক দফাতে একসঙ্গে কয়েক জন দাসকে বিক্রয় করিয়াছে। অতঃপর সেইসব দাসের মধ্যে একজন পাওয়া গিয়াছে চোরাইকৃত দাস কিংবা উহাদের এক জনের মধ্যে খুঁত পাওয়া গিয়াছে। মালিক (রহঃ) বলেন, এমতাবস্থায় দেখিতে হইবে- চোরাইকৃত দাস কিংবা যাহার মধ্যে খুঁত পাওয়া গিয়াছে সেই দাস যদি বিক্রীত দাসের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয় অথবা অধিক মূল্যের হয় এবং ক্রেতা উহার প্রতি আকৃষ্ট হইয়া সবাইকে ক্রয় করিয়াছে, উহাতে রহিয়াছে শ্রেষ্ঠত্ব ও গুণ, সাধারণ লোকের ধারণায়, তবে এইরূপ বিক্রয় সম্পূর্ণ রদ করিয়া দেওয়া হইবে। মালিক (রহঃ) বলেন, চোরাইকৃত গোলাম কিংবা যাহার মধ্যে দোষ পাওয়া গিয়াছে মামুলী ধরনের (বড় রকমের কোন দোষ নহে), আর দাসত্বের মধ্যে সেই গোলাম অতি শ্ৰেষ্ঠও নহে এবং উহার উদ্দেশ্যে সবাইকে ক্রয়ও করা হয় নাই। আর লোক-দৃষ্টিতে উহার বিশেষ কোন গুণও নাই। তবে ক্ৰটিযুক্ত কিংবা চোরাইকৃত সেই ক্রীতদাসকেই বিক্রেতার নিকট ফেরত দেওয়া হইবে; ক্রীতদাসদিগকে যেই মূল্যে খরিদ করা হইয়াছে, হারাহারিভাবে এই দাসের যাহা মূল্য হইবে সেই মূল্য অনুপাতে (অর্থ বাদ দিয়া)।
بَاب الْعَيْبِ فِي الرَّقِيقِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ بَاعَ غُلَامًا لَهُ بِثَمَانِ مِائَةِ دِرْهَمٍ وَبَاعَهُ بِالْبَرَاءَةِ فَقَالَ الَّذِي ابْتَاعَهُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بِالْغُلَامِ دَاءٌ لَمْ تُسَمِّهِ لِي فَاخْتَصَمَا إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَقَالَ الرَّجُلُ بَاعَنِي عَبْدًا وَبِهِ دَاءٌ لَمْ يُسَمِّهِ وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بِعْتُهُ بِالْبَرَاءَةِ فَقَضَى عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنْ يَحْلِفَ لَهُ لَقَدْ بَاعَهُ الْعَبْدَ وَمَا بِهِ دَاءٌ يَعْلَمُهُ فَأَبَى عَبْدُ اللَّهِ أَنْ يَحْلِفَ وَارْتَجَعَ الْعَبْدَ فَصَحَّ عِنْدَهُ فَبَاعَهُ عَبْدُ اللَّهِ بَعْدَ ذَلِكَ بِأَلْفٍ وَخَمْسِ مِائَةِ دِرْهَمٍ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ كُلَّ مَنْ ابْتَاعَ وَلِيدَةً فَحَمَلَتْ أَوْ عَبْدًا فَأَعْتَقَهُ وَكُلَّ أَمْرٍ دَخَلَهُ الْفَوْتُ حَتَّى لَا يُسْتَطَاعَ رَدُّهُ فَقَامَتْ الْبَيِّنَةُ إِنَّهُ قَدْ كَانَ بِهِ عَيْبٌ عِنْدَ الَّذِي بَاعَهُ أَوْ عُلِمَ ذَلِكَ بِاعْتِرَافٍ مِنْ الْبَائِعِ أَوْ غَيْرِهِ فَإِنَّ الْعَبْدَ أَوْ الْوَلِيدَةَ يُقَوَّمُ وَبِهِ الْعَيْبُ الَّذِي كَانَ بِهِ يَوْمَ اشْتَرَاهُ فَيُرَدُّ مِنْ الثَّمَنِ قَدْرُ مَا بَيْنَ قِيمَتِهِ صَحِيحًا وَقِيمَتِهِ وَبِهِ ذَلِكَ الْعَيْبُ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي الْعَبْدَ ثُمَّ يَظْهَرُ مِنْهُ عَلَى عَيْبٍ يَرُدُّهُ مِنْهُ وَقَدْ حَدَثَ بِهِ عِنْدَ الْمُشْتَرِي عَيْبٌ آخَرُ إِنَّهُ إِذَا كَانَ الْعَيْبُ الَّذِي حَدَثَ بِهِ مُفْسِدًا مِثْلُ الْقَطْعِ أَوْ الْعَوَرِ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْعُيُوبِ الْمُفْسِدَةِ فَإِنَّ الَّذِي اشْتَرَى الْعَبْدَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ إِنْ أَحَبَّ أَنْ يُوضَعَ عَنْهُ مِنْ ثَمَنِ الْعَبْدِ بِقَدْرِ الْعَيْبِ الَّذِي كَانَ بِالْعَبْدِ يَوْمَ اشْتَرَاهُ وُضِعَ عَنْهُ وَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يَغْرَمَ قَدْرَ مَا أَصَابَ الْعَبْدَ مِنْ الْعَيْبِ عِنْدَهُ ثُمَّ يَرُدُّ الْعَبْدَ فَذَلِكَ لَهُ وَإِنْ مَاتَ الْعَبْدُ عِنْدَ الَّذِي اشْتَرَاهُ أُقِيمَ الْعَبْدُ وَبِهِ الْعَيْبُ الَّذِي كَانَ بِهِ يَوْمَ اشْتَرَاهُ فَيُنْظَرُ كَمْ ثَمَنُهُ فَإِنْ كَانَتْ قِيمَةُ الْعَبْدِ يَوْمَ اشْتَرَاهُ بِغَيْرِ عَيْبٍ مِائَةَ دِينَارٍ وَقِيمَتُهُ يَوْمَ اشْتَرَاهُ وَبِهِ الْعَيْبُ ثَمَانُونَ دِينَارًا وُضِعَ عَنْ الْمُشْتَرِي مَا بَيْنَ الْقِيمَتَيْنِ وَإِنَّمَا تَكُونُ الْقِيمَةُ يَوْمَ اشْتُرِيَ الْعَبْدُ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ مَنْ رَدَّ وَلِيدَةً مِنْ عَيْبٍ وَجَدَهُ بِهَا وَكَانَ قَدْ أَصَابَهَا أَنَّهَا إِنْ كَانَتْ بِكْرًا فَعَلَيْهِ مَا نَقَصَ مِنْ ثَمَنِهَا وَإِنْ كَانَتْ ثَيِّبًا فَلَيْسَ عَلَيْهِ فِي إِصَابَتِهِ إِيَّاهَا شَيْءٌ لِأَنَّهُ كَانَ ضَامِنًا لَهَا قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِيمَنْ بَاعَ عَبْدًا أَوْ وَلِيدَةً أَوْ حَيَوَانًا بِالْبَرَاءَةِ مِنْ أَهْلِ الْمِيرَاثِ أَوْ غَيْرِهِمْ فَقَدْ بَرِئَ مِنْ كُلِّ عَيْبٍ فِيمَا بَاعَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ عَلِمَ فِي ذَلِكَ عَيْبًا فَكَتَمَهُ فَإِنْ كَانَ عَلِمَ عَيْبًا فَكَتَمَهُ لَمْ تَنْفَعْهُ تَبْرِئَتُهُ وَكَانَ مَا بَاعَ مَرْدُودًا عَلَيْهِ قَالَ مَالِك فِي الْجَارِيَةِ تُبَاعُ بِالْجَارِيتَيْنِ ثُمَّ يُوجَدُ بِإِحْدَى الْجَارِيَتَيْنِ عَيْبٌ تُرَدُّ مِنْهُ قَالَ تُقَامُ الْجَارِيَةُ الَّتِي كَانَتْ قِيمَةَ الْجَارِيَتَيْنِ فَيُنْظَرُ كَمْ ثَمَنُهَا ثُمَّ تُقَامُ الْجَارِيتَانِ بِغَيْرِ الْعَيْبِ الَّذِي وُجِدَ بِإِحْدَاهُمَا تُقَامَانِ صَحِيحَتَيْنِ سَالِمَتَيْنِ ثُمَّ يُقْسَمُ ثَمَنُ الْجَارِيَةِ الَّتِي بِيعَتْ بِالْجَارِيتَيْنِ عَلَيْهِمَا بِقَدْرِ ثَمَنِهِمَا حَتَّى يَقَعَ عَلَى كُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا حِصَّتُهَا مِنْ ذَلِكَ عَلَى الْمُرْتَفِعَةِ بِقَدْرِ ارْتِفَاعِهَا وَعَلَى الْأُخْرَى بِقَدْرِهَا ثُمَّ يُنْظَرُ إِلَى الَّتِي بِهَا الْعَيْبُ فَيُرَدُّ بِقَدْرِ الَّذِي وَقَعَ عَلَيْهَا مِنْ تِلْكَ الْحِصَّةِ إِنْ كَانَتْ كَثِيرَةً أَوْ قَلِيلَةً وَإِنَّمَا تَكُونُ قِيمَةُ الْجَارِيَتَيْنِ عَلَيْهِ يَوْمَ قَبْضِهِمَا قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَشْتَرِي الْعَبْدَ فَيُؤَاجِرُهُ بِالْإِجَارَةِ الْعَظِيمَةِ أَوْ الْغَلَّةِ الْقَلِيلَةِ ثُمَّ يَجِدُ بِهِ عَيْبًا يُرَدُّ مِنْهُ إِنَّهُ يَرُدُّهُ بِذَلِكَ الْعَيْبِ وَتَكُونُ لَهُ إِجَارَتُهُ وَغَلَّتُهُ وَهَذَا الْأَمْرُ الَّذِي كَانَتْ عَلَيْهِ الْجَمَاعَةُ بِبَلَدِنَا وَذَلِكَ لَوْ أَنَّ رَجُلًا ابْتَاعَ عَبْدًا فَبَنَى لَهُ دَارًا قِيمَةُ بِنَائِهَا ثَمَنُ الْعَبْدِ أَضْعَافًا ثُمَّ وَجَدَ بِهِ عَيْبًا يُرَدُّ مِنْهُ رَدَّهُ وَلَا يُحْسَبُ لِلْعَبْدِ عَلَيْهِ إِجَارَةٌ فِيمَا عَمِلَ لَهُ فَكَذَلِكَ تَكُونُ لَهُ إِجَارَتُهُ إِذَا آجَرَهُ مِنْ غَيْرِهِ لِأَنَّهُ ضَامِنٌ لَهُ وَهَذَا الْأَمْرُ عِنْدَنَا قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا فِيمَنْ ابْتَاعَ رَقِيقًا فِي صَفْقَةٍ وَاحِدَةٍ فَوَجَدَ فِي ذَلِكَ الرَّقِيقِ عَبْدًا مَسْرُوقًا أَوْ وَجَدَ بِعَبْدٍ مِنْهُمْ عَيْبًا إِنَّهُ يُنْظَرُ فِيمَا وُجِدَ مَسْرُوقًا أَوْ وَجَدَ بِهِ عَيْبًا فَإِنْ كَانَ هُوَ وَجْهَ ذَلِكَ الرَّقِيقِ أَوْ أَكْثَرَهُ ثَمَنًا أَوْ مِنْ أَجْلِهِ اشْتَرَى وَهُوَ الَّذِي فِيهِ الْفَضْلُ فِيمَا يَرَى النَّاسُ كَانَ ذَلِكَ الْبَيْعُ مَرْدُودًا كُلُّهُ وَإِنْ كَانَ الَّذِي وُجِدَ مَسْرُوقًا أَوْ وُجِدَ بِهِ الْعَيْبُ مِنْ ذَلِكَ الرَّقِيقِ فِي الشَّيْءِ الْيَسِيرِ مِنْهُ لَيْسَ هُوَ وَجْهَ ذَلِكَ الرَّقِيقِ وَلَا مِنْ أَجْلِهِ اشْتُرِيَ وَلَا فِيهِ الْفَضْلُ فِيمَا يَرَى النَّاسُ رُدَّ ذَلِكَ الَّذِي وُجِدَ بِهِ الْعَيْبُ أَوْ وُجِدَ مَسْرُوقًا بِعَيْنِهِ بِقَدْرِ قِيمَتِهِ مِنْ الثَّمَنِ الَّذِي اشْتَرَى بِهِ أُولَئِكَ الرَّقِيقَ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said from Salim ibn Abdullah that Abdullah ibn Umar sold one of his slaves for eight hundred dirhams with the stipulation that he was not responsible for defects. The person who bought the slave complained to Abdullah ibn Umar that the slave had a disease which he had not told him about. They argued and went to Uthman ibn Affan for a decision . The man said, "He sold me a slave with a disease which he did not tell me about." Abdullah said, "I sold to him with the stipulation that I was not responsible." Uthman ibn Affan decided that Abdullah ibn Umar should take an oath that he had sold the slave without knowing that he had any disease. Abdullah ibn Umar refused to take the oath, so the slave was returned to him and recovered his health in his possession. Abdullah sold him afterwards for 1500 dirhams.
Malik said, "The generally agreed upon way of doing things among us about a man who buys a female slave and she becomes pregnant, or who buys a slave and then frees him, or if there is any other such matter which has already happened so that he cannot return his purchase, and a clear proof is established that there was a fault in that purchase when it was in the hands of the seller or the fault is admitted by the seller or someone else, is that the slave or slave-girl is assessed for its value with the fault it is found to have had on the day of purchase and the buyer is refunded,from what he paid,the difference between the price of a slave who is sound and a slave with such a defect.
Malik said, "The generally agreed upon way of doing things among us regarding a man who buys a slave and then finds out that the slave has a defect for which he can be returned and meanwhile another defect has happened to the slave whilst in his possession, is that if the defect which occurred to the slave in his possession has harmed him, like loss of a limb, loss of an eye, or something similar, then he has a choice. If he wants, he can have the price of the slave reduced commensurate with the defect (he bought him with ) according to the prices on the day he bought him, or if he likes, he can pay compensation for the defect which the slave has suffered in his possession and return him. The choice is up to him. If the slave dies in his possession, the slave is valued with the defect which he had on the day of his purchase. It is seen what his price would really have been. If the price of the slave on the day of purchase without fault was 100 dinars, and his price on the day of purchase with fault would have been 80 dinars, the price is reduced by the difference. These prices are assessed according to the market value on the day the slave was purchased . "
Malik said, "The generally agreed upon way of doing things among us is that if a man returns a slave girl in whom he has found a defect and he has already had intercourse with her, he must pay what he has reduced of her price if she was a virgin. If she was not a virgin, there is nothing against his having had intercourse with her because he had charge of her."
Malik said, "The generally agreed upon way of doing things among us regarding a person, whether he is an inheritor or not, who sells a slave, slave-girl, or animal without a liability agreement is that he is not responsible for any defect in what he sold unless he knew about the fault and concealed it. If he knew that there was a fault and concealed it, his declaration that he was free of responsibility does not absolve him, and what he sold is returned to him."
Malik spoke about a situation where a slave-girl was bartered for two other slave-girls and then one of the slave-girls was found to have a defect for which she could be returned. He said, "The slave-girl worth two other slave- girls is valued for her price. Then the other two slave-girls are valued, ignoring the defect which the one of them has. Then the price of the slave-girl sold for two slave-girls is divided between them according to their prices so that the proportion of each of them in her price is arrived at - to the higher priced one according to her higher price, and to the other according to her value. Then one looks at the one with the defect, and the buyer is refunded according to the amount her share is affected by the defect, be it little or great. The price of the two slave-girls is based on their market value on the day that they were bought."
Malik spoke about a man who bought a slave and hired him out on a long-term or short-term basis and then found out that the slave had a defect which necessitated his return. He said that if the man returned the slave because of the defect, he kept the hire and revenue. "This is the way in which things are done in our city. That is because, had the man bought a slave who then built a house for him, and the value of the house was many times the price of the slave, and he then found that the slave had a defect for which he could be returned, and he was returned, he would not have to make payment for the work the slave had done for him. Similarly, he would keep any revenue from hiring him out, because he had charge of him. This is the way of doing things among us."
Malik said, "The way of doing things among us when someone buys several slaves in one lot and then finds that one of them has been stolen, or has a defect, is that he looks at the one he finds has been stolen or the one in which he finds a defect. If he is the pick of those slaves, or the most expensive, or it was for his sake that he bought them, or he is the one in whom people see the most excellence, then the whole sale is returned. If the one who is found to be stolen or to have a defect is not the pick of the slaves, and he did not buy them for his sake, and there is no special virtue which people see in him, the one who is found to have a defect or to have been stolen is returned as he is, and the buyer is refunded his portion of the total price."
পরিচ্ছেদঃ ৫. ক্রীতদাসীকে বিক্রয় করা হইলে এবং উহাতে শর্তরোপ করিলে কি করা হইবে?
রেওয়ায়ত ৫. ইবন শিহাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উবায়দুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবন উতবা ইবন মাসউদ (রহঃ) তাহার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) তদীয় স্ত্রী যয়নাব সকাফিয়ার নিকট হইতে একটি দাসী ক্রয় করিলেন এবং সে (যয়নাব) তাহার উপর শর্তারোপ করিয়াছে যে, যদি তিনি উহাকে বিক্রয় করেন, তবে যেই মূল্যে বিক্রয় করা হইবে সেই মূল্যে উহা তাহার (যয়নাবের) প্রাপ্য হইবে। আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) এই বিষয়ে উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করিলেন। তিনি (উত্তর) বলিলন, তুমি উহার নিকটে যাইও না (অর্থাৎ উহার সহিত সঙ্গম করিও না) যাহাতে কাহারো পথে শর্তারোপ করা হইয়াছে।
بَاب مَا يُفْعَلُ فِي الْوَلِيدَةِ إِذَا بِيعَتْ وَالشَّرْطُ فِيهَا
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعَودٍ ابْتَاعَ جَارِيَةً مِنْ امْرَأَتِهِ زَيْنَبَ الثَّقَفِيَّةِ وَاشْتَرَطَتْ عَلَيْهِ أَنَّكَ إِنْ بِعْتَهَا فَهِيَ لِي بِالثَّمَنِ الَّذِي تَبِيعُهَا بِهِ فَسَأَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ عَنْ ذَلِكَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لَا تَقْرَبْهَا وَفِيهَا شَرْطٌ لِأَحَدٍ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Ubaydullah ibn Abdullah ibn Utba ibn Masud told him that Abdullah ibn Masud bought a slave-girl from his wife, Zaynab Ath Thaqafiyya. She made a condition to him, that if he bought her, she could always buy her back for the price that he paid. Abdullah ibn Masud asked Umar ibn al- Khattab about that and Umar ibn al-Khattab said, "Do not go near her while anyone has a condition concerning her over you."
পরিচ্ছেদঃ ৫. ক্রীতদাসীকে বিক্রয় করা হইলে এবং উহাতে শর্তরোপ করিলে কি করা হইবে?
রেওয়ায়ত ৬. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিতেন, যেই দাসীকে ইচ্ছা করিলে বিক্রয় করিতে পারে কিংবা ইচ্ছা করিলে দান করা যায় অথবা ইচ্ছা হইলে নিজের কাছে রাখা যায় এবং উহার সহিত যাহা ইচ্ছা তাহা করা যায় সেইরূপ দাসী ব্যতীত অন্য কোন দাসীর সহিত কোন ব্যক্তি সঙ্গম করিবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন দাসীকে এই শর্তে ক্রয় করিয়াছে যে, উহাকে বিক্রয় করিবে না এবং উহাকে দান করিবে না কিংবা এই রকম অন্য কোন শর্তে, তবে সেই ক্রেতার জন্য উহার সহিত সঙ্গম করা জায়েয হইবে না। কারণ তাহার জন্য উহাকে বিক্রয় করা এবং দান করা জায়েয নহে। যখন সে ইহা বিক্রয় ও দান-এর মালিক নহে তবে সে উহার পূর্ণ কতৃত্ব লাভ করে নাই। কেননা (শর্তারোপ করিয়া) ক্রেতার নিকট হইতে উহার কর্তৃত্বকে বাদ দেওয়া হইয়াছে, যে কর্তৃত্ব রহিয়াছে অন্যের হস্তে। যখন (ক্ষমতা খর্ব করার) এই শর্তারোপ করা হইল তবে ইহার বিক্রয় জায়েয হইবে না। এই ধরনের বিক্রয় মাকরুহ হইবে।
بَاب مَا يُفْعَلُ فِي الْوَلِيدَةِ إِذَا بِيعَتْ وَالشَّرْطُ فِيهَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لَا يَطَأُ الرَّجُلُ وَلِيدَةً إِلَّا وَلِيدَةً إِنْ شَاءَ بَاعَهَا وَإِنْ شَاءَ وَهَبَهَا وَإِنْ شَاءَ أَمْسَكَهَا وَإِنْ شَاءَ صَنَعَ بِهَا مَا شَاءَ
قَالَ مَالِك فِيمَنْ اشْتَرَى جَارِيَةً عَلَى شَرْطِ أَنْ لَا يَبِيعَهَا وَلَا يَهَبَهَا أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الشُّرُوطِ فَإِنَّهُ لَا يَنْبَغِي لِلْمُشْتَرِي أَنْ يَطَأَهَا وَذَلِكَ أَنَّهُ لَا يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَبِيعَهَا وَلَا أَنْ يَهَبَهَا فَإِنْ كَانَ لَا يَمْلِكُ ذَلِكَ مِنْهَا فَلَمْ يَمْلِكْهَا مِلْكًا تَامًّا لِأَنَّهُ قَدْ اسْتُثْنِيَ عَلَيْهِ فِيهَا مَا مَلَكَهُ بِيَدِ غَيْرِهِ فَإِذَا دَخَلَ هَذَا الشَّرْطُ لَمْ يَصْلُحْ وَكَانَ بَيْعًا مَكْرُوهًا
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar would say, "A man should not have intercourse with a slave girl except one whom, if he wished, he could sell, if he wished, he could give away, if he wished, he could keep, if he wished, he could do with her what he wanted ."
Malik said that a man who bought a slave- girl on condition that he did not sell her, give her away, or do something of that nature, was not to have intercourse with her. That was because he was not permitted to sell her or to give her away, so if he did not own that from her, he did not have complete ownership of her because an exception had been made concerning her by the hand of someone else. If that sort of condition entered into it, it was a messy situation, and the sale was not recommended.
পরিচ্ছেদঃ ৬. য়ে ক্রীতদাসীর স্বামী রহিয়াছে সে ক্রীতদাসীর সহিত অন্য লোকের সঙ্গম নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৭. ইবন শিহাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন আমির (রাঃ) একটি দাসী হাদিয়া স্বরূপ উসমান ইবন আফফান (রাঃ)-এর উদ্দেশ্যে প্রেরণ করিলেন; সেই দাসীর স্বামী (বর্তমান) ছিল, তিনি উহাকে বসরাতে ক্রয় করিয়াছিলেন। উসমান (রাঃ) বলিলেনঃ উহার স্বামী উহাকে ত্যাগ না করা পর্যন্ত আমি ইহার কাছে সঙ্গম উদ্দেশ্যে গমন করিব না। অতঃপর ইবন আমির তাহার স্বামীকে সম্মত করাইলেন, তাহার স্বামী তাহাকে ত্যাগ করিল।
بَاب النَّهْيِ عَنْ أَنْ يَطَأَ الرَّجُلُ وَلِيدَةً وَلَهَا زَوْجٌ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرٍ أَهْدَى لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ جَارِيَةً وَلَهَا زَوْجٌ ابْتَاعَهَا بِالْبَصْرَةِ فَقَالَ عُثْمَانُ لَا أَقْرَبُهَا حَتَّى يُفَارِقَهَا زَوْجُهَا فَأَرْضَى ابْنُ عَامِرٍ زَوْجَهَا فَفَارَقَهَا
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Abdullah ibn Amir gave Uthman ibn Affan a slave-girl who had a husband whom he had purchased at Basra. Uthman said, "I will not go near her until her husband separates from her." Ibn Amir compensated the husband and he separated from her.
পরিচ্ছেদঃ ৬. য়ে ক্রীতদাসীর স্বামী রহিয়াছে সে ক্রীতদাসীর সহিত অন্য লোকের সঙ্গম নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৮. আবদুর রহমান ইবন আওফ (রাঃ) জনৈক ক্রীতদাসীকে খরিদ করিলেন, পরে জানা গেল যে, উহার স্বামী রহিয়াছে। তাই তিনি উহাকে ফেরত দিলেন।
بَاب النَّهْيِ عَنْ أَنْ يَطَأَ الرَّجُلُ وَلِيدَةً وَلَهَا زَوْجٌ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ ابْتَاعَ وَلِيدَةً فَوَجَدَهَا ذَاتَ زَوْجٍ فَرَدَّهَا
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Abu Salama ibn Abd ar-Rahman ibn Awf that Abd ar-Rahman ibn Awf bought a slave- girl and found that she had a husband, so he returned her.
পরিচ্ছেদঃ ৭. খেজুর বৃক্ষের ফল প্রসঙ্গ, যাহার মূল বিক্রয় করা হইয়াছে
রেওয়ায়ত ৯. আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলয়হি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি তা’বীর[1] করা খেজুরের গাছ বিক্রয় করিয়াছে, উহার ফল বিক্রেতা পাইবে, কিন্তু ক্রেতা যদি শর্ত করিয়া থাকে (তবে ফল ক্রেতার জন্য হইবে)।
بَاب مَا جَاءَ فِي ثَمَرِ الْمَالِ يُبَاعُ أَصْلُهُ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ بَاعَ نَخْلًا قَدْ أُبِّرَتْ فَثَمَرُهَا لِلْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُبْتَاعُ
Yahya related to me from Malik from Nafi from Abdullah ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "If palm trees are sold after they have been pollinated, the fruit belongs to the seller unless the buyer makes a stipulation about its inclusion."
পরিচ্ছেদঃ ৮. পরিপুষ্ট হওয়ার পূর্বে ফল বিক্রয় নিষিদ্ধ
রেওয়ায়ত ১০. ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিক্রেতা, ক্রেতা উভয়কে পরিপুষ্ট হওয়ার পূর্বে ফল বিক্রয় করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
بَاب النَّهْيِ عَنْ بَيْعِ الثِّمَارِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلَاحُهَا
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الثِّمَارِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلَاحُهَا نَهَى الْبَائِعَ وَالْمُشْتَرِيَ
Yahya related to me from Malik from Nafi from Ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, forbade selling fruit until it had started to ripen. He forbade the transaction to both buyer and seller.
পরিচ্ছেদঃ ৮. পরিপুষ্ট হওয়ার পূর্বে ফল বিক্রয় নিষিদ্ধ
রেওয়ায়ত ১১. আনাস ইবন মালিক (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রঙীন হওয়ার পূর্বে ফল বিক্রয় করিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলায়হি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন। সাহাবীগণ (রাঃ) প্রশ্ন করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রঙীন হওয়ার অর্থ কি? (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলায়হি ওয়া সাল্লাম) বলিলেন, লাল কিংবা হলুদ রং-এর হওয়া। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, লক্ষ্য করুন। যদি আল্লাহ (গাছে) ফল পয়দা না করেন, তবে তোমাদের কেহ আপন ভাইয়ের মাল কিসের বিনিময়ে গ্রহণ করিবে?
بَاب النَّهْيِ عَنْ بَيْعِ الثِّمَارِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلَاحُهَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الثِّمَارِ حَتَّى تُزْهِيَ فَقِيلَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا تُزْهِيَ فَقَالَ حِينَ تَحْمَرُّ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَأَيْتَ إِذَا مَنَعَ اللَّهُ الثَّمَرَةَ فَبِمَ يَأْخُذُ أَحَدُكُمْ مَالَ أَخِيهِ
Yahya related to me from Malik from Humayd at-Tawil from Anas ibn Malik that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, forbade selling fruit until it had become mellow. He was asked, "Messenger ofAllah! What do you mean by become mellow?" He said, "When it becomes rosy."
The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, added, "Allah may prevent the fruit from maturing, so how can you take payment from your brother for it."
পরিচ্ছেদঃ ৮. পরিপুষ্ট হওয়ার পূর্বে ফল বিক্রয় নিষিদ্ধ
রেওয়ায়ত ১২. আমর বিনত আবদির রহমান (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলয়হি ওয়া সাল্লাম বিপদমুক্ত হওয়ার পূর্বে ফল বিক্রয় করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন, বিপদমুক্তির পূর্বে ফল বিক্রয় করা ধোকার বিক্রয়ের অন্তর্ভুক্ত।
بَاب النَّهْيِ عَنْ بَيْعِ الثِّمَارِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلَاحُهَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الرِّجَالِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَارِثَةَ عَنْ أُمِّهِ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الثِّمَارِ حَتَّى تَنْجُوَ مِنْ الْعَاهَةِ
قَالَ مَالِك وَبَيْعُ الثِّمَارِ قَبْلَ أَنْ يَبْدُوَ صَلَاحُهَا مِنْ بَيْعِ الْغَرَرِ
Yahya related to me from Malik from Abu'r-Rijal Muhammad ibn Abd ar-Rahman ibn Haritha from his mother, Amra bint Abd ar-Rahman that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, forbade selling fruit until it was clear of blight. Malik said, "Selling fruit before it has begun to ripen is an uncertain transaction (gharar) ."
পরিচ্ছেদঃ ৮. পরিপুষ্ট হওয়ার পূর্বে ফল বিক্রয় নিষিদ্ধ
রেওয়ায়ত ১৩ যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি সপ্তর্ষীমণ্ডলস্থ নক্ষত্র (সুরাইয়া) উদিত হওয়ার পূর্বে ফল বিক্রয় করিতেন না।[1]
মালিক (রহঃ) বলেন, তরবুজ, ক্ষিরাই, খরবুজ এবং গাজর বিক্রয়ের বিষয়ে আমাদের নিকট মাসআলা এইঃ পরিপুষ্ট হওয়ার পর এই সবের বিক্রয় হালাল ও বৈধ, তারপর যাহা উৎপাদিত হইবে (উৎপাদনকাল হইতে ফসল তোলা) শেষ হওয়া পর্যন্ত উহা ক্রেতার জন্য হইবে। ইহার জন্য কোন নির্ধারিত সময় নাই। কারণ উহার সময় লোকের নিকট পরিচিত। (তাহারা জানেন) কোন সময় এই সবের মধ্যে আপদ প্রবেশ করে। তাই সেই সময়ের পূর্বে উহার ফল কাটিয়া ফেলা হয়। যদি দুর্যোগের কারণে এইসবের মধ্যে কোন আপদ উপস্থিত হয় যাহার পরিমাণ পৌছে এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কিংবা উহার অধিক তবে বিক্রেতার নিকট হইতে সেই পরিমাণ কমান হইবে তারপর উহা ক্রেতাকে দেওয়া হইবে।
بَاب النَّهْيِ عَنْ بَيْعِ الثِّمَارِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلَاحُهَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّهُ كَانَ لَا يَبِيعُ ثِمَارَهُ حَتَّى تَطْلُعَ الثُّرَيَّا
قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ عِنْدَنَا فِي بَيْعِ الْبِطِّيخِ وَالْقِثَّاءِ وَالْخِرْبِزِ وَالْجَزَرِ إِنَّ بَيْعَهُ إِذَا بَدَا صَلَاحُهُ حَلَالٌ جَائِزٌ ثُمَّ يَكُونُ لِلْمُشْتَرِي مَا يَنْبُتُ حَتَّى يَنْقَطِعَ ثَمَرُهُ وَيَهْلِكَ وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ وَقْتٌ يُؤَقَّتُ وَذَلِكَ أَنَّ وَقْتَهُ مَعْرُوفٌ عِنْدَ النَّاسِ وَرُبَّمَا دَخَلَتْهُ الْعَاهَةُ فَقَطَعَتْ ثَمَرَتَهُ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَ ذَلِكَ الْوَقْتُ فَإِذَا دَخَلَتْهُ الْعَاهَةُ بِجَائِحَةٍ تَبْلُغُ الثُّلُثَ فَصَاعِدًا كَانَ ذَلِكَ مَوْضُوعًا عَنْ الَّذِي ابْتَاعَهُ
Yahya related to me from Malik from Abu'z-Zinad from Kharija ibn Zayd ibn Thabit that Zayd ibn Thabit did not sell fruit until the Pleiades were visible, at the end of May.
Malik said, "The way of doing things among us about selling melons, cucumbers, water- melons, and carrots is that it is halal to sell them when it is clear that they have begun to ripen. Then the buyer has what grows until the season is over. There is no specific timing laid down for that because the time is well known with people, and it may happen that the crop will be affected by blight and put a premature end to the season. If blight strikes and a third or more of the crop is damaged, an allowance for that is deducted from the price of purchase."
পরিচ্ছেদঃ ৯. আরিয়্যা বিক্রয়
রেওয়ায়ত ১৪. যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরিয়্যা[1] করিয়াছেন এমন ব্যক্তির জন্য উহাকে অনুমান করিয়া বিক্রয় করার অনুমতি দিয়াছেন।
আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরিয়্যা স্বরূপ দেওয়া হইয়াছে এরূপ বৃক্ষের খেজুর অনুমান করিয়া বিক্রয়ের অনুমতি দিয়াছেন পাঁচ ওয়াসকের[2] কম কিংবা (পূর্ণ) পাঁচ ওয়াসকের মধ্যে। দাউদ (রাবী) সন্দেহ প্রকাশ করিয়াছেন; (তাহার শায়খ আবু সুফিয়ান) পাঁচ ওয়াসক বলিয়াছেন না পাঁচ ওয়াসকের কম বলিয়াছেন।মালিক (রহঃ) বলেনঃ আরিয়্যা পন্থায় প্রদত্ত বৃক্ষসমূহের ফল খেজুরের বিনিময়ে আন্দাজ করিয়া বিক্রয় করা যায়। চিন্তা-ভাবনা করিয়া উহার পরিমাণ নির্ধারণ করা হইবে এবং গাছে থাকিতে উহার আন্দাজ করা হইবে। উহার জন্য ওজন করার প্রয়োজন নাই। এইরূপ করার অনুমতি এই জন্য দেওয়া হইয়াছে যে, ইহা খরিদ দামে বিক্রয়, খরিদ বাতিলকরণ এবং খরিদকৃত বস্তুতে অন্যকে শরীক নেওয়ার মতো। ইহা যদি অন্যান্য বিক্রয়ের মতো হইত তবে খাদ্যদ্রব্যে অধিকার প্রাপ্ত হওয়ার পূর্বে কাহাকেও শরীক করা জায়েয হইত না এবং অধিকার প্রাপ্ত হওয়ার পূর্বে খরিদ বাতিলকরণও জায়েয হইত না এবং অধিকারে আসার পূর্বে খরিদমূল্যে ক্রয় করাও জায়েয হইত না।
بَاب مَا جَاءَ فِي بَيْعِ الْعَرِيَّةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْخَصَ لِصَاحِبِ الْعَرِيَّةِ أَنْ يَبِيعَهَا بِخَرْصِهَا
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ دَاوُدَ بْنِ الْحُصَيْنِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْخَصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا بِخَرْصِهَا فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ أَوْ فِي خَمْسَةِ أَوْسُقٍ يَشُكُّ دَاوُدُ قَالَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ أَوْ دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ
قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا تُبَاعُ الْعَرَايَا بِخَرْصِهَا مِنْ التَّمْرِ يُتَحَرَّى ذَلِكَ وَيُخْرَصُ فِي رُءُوسِ النَّخْلِ وَإِنَّمَا أُرْخِصَ فِيهِ لِأَنَّهُ أُنْزِلَ بِمَنْزِلَةِ التَّوْلِيَةِ وَالْإِقَالَةِ وَالشِّرْكِ وَلَوْ كَانَ بِمَنْزِلَةِ غَيْرِهِ مِنْ الْبُيُوعِ مَا أَشْرَكَ أَحَدٌ أَحَدًا فِي طَعَامِهِ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ وَلَا أَقَالَهُ مِنْهُ وَلَا وَلَّاهُ أَحَدًا حَتَّى يَقْبِضَهُ الْمُبْتَاعُ
[2] ষাট (صاع) সা’তে এক ওরাসক (وسق) হয়।
Yahya related to me from Malik from Nafi from Abdullah ibn Umar from Zayd ibn Thabit that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, allowed the holder of an ariya to barter the dates on the palm for the amount of dried dates it was estimated that the palms would produce.
Yahya related to me from Malik from Da'ud ibn al-Husayn from Abu Sufyan, the mawla of Ibn Abi Ahmad, from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, allowed the produce of an ariya to be bartered for an estimation of what the produce would be when the crop was less than five awsuq or equal to five awsuq. Da'ud wasn't sure whether he said five awsuq or less than five.
Malik said, ''Ariyas can be sold for an estimation of what amount of dried dates will be produced. The crop is examined and estimated while still on the palm. This is allowed because it comes into the category of delegation of responsibility, handing over rights, and involving a partner. Had it been like a form of sale, no one would have made someone else a partner in the produce until it was ready nor would he have renounced his right to any of it or put someone in charge of it until the buyer had taken possession."
পরিচ্ছেদঃ ১০. শস্য ও ফলাদির বিক্রয়ে বিপদাপদ উপস্থিত হওয়া প্রসঙ্গে বিধান
রেওয়ায়ত ১৫. মুহাম্মদ ইবন আবদির রহমান (রহঃ) তাহার মাতা আ’মরা বিনত ’আবদির রহমান (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের যুগে এক ব্যক্তি এক বাগানের ফল ক্রয় করিলেন, তিনি উহাতে মেহনত করিলেন এবং বাগানের সংস্কার সাধনে ব্ৰতী হইলেন। (ইহাতে) তাহার লোকসান প্রকাশ পাইল, তারপর তিনি বাগান মালিকের নিকট বাগানের দাম কমাইবার অথবা বিক্রয় বাতিল করিবার আবেদন জানাইলেন। কিন্তু বাগানের মালিক এইরূপ না করার শপথ করিলেন। তারপর ক্রেতার মাতা উপস্থিত হইলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের খেদমতে। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট ঘটনা বর্ণনা করিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করিলেন, সে পুণ্য কাজ না করার কসম খাইয়াছে কি? বাগানের মালিক ইহা শুনিলেন, তারপর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট হাজির হইয়া বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (ক্রেতা যাহা চাহিয়াছেন) তাহার জন্য উহা।
بَاب الْجَائِحَةِ فِي بَيْعِ الثِّمَارِ وَالزَّرْعِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الرِّجَالِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أُمِّهِ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ سَمِعَهَا تَقُولُ ابْتَاعَ رَجُلٌ ثَمَرَ حَائِطٍ فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَالَجَهُ وَقَامَ فِيهِ حَتَّى تَبَيَّنَ لَهُ النُّقْصَانُ فَسَأَلَ رَبَّ الْحَائِطِ أَنْ يَضَعَ لَهُ أَوْ أَنْ يُقِيلَهُ فَحَلَفَ أَنْ لَا يَفْعَلَ فَذَهَبَتْ أُمُّ الْمُشْتَرِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَأَلَّى أَنْ لَا يَفْعَلَ خَيْرًا فَسَمِعَ بِذَلِكَ رَبُّ الْحَائِطِ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هُوَ لَهُ
Yahya related to me from Malik that Abu'r-Rijal Muhammad ibn Abd ar-Rahman heard his mother, Amra bint Abd ar-Rahman say, "A man bought the fruit of an enclosed orchard in the time of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and he tended it while staying on the land. It became clear to him that there was going to be some loss. He asked the owner of the orchard to reduce the price for him or to revoke the sale, but the owner made an oath not to do so. The mother of the buyer went to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and told him about it. The Messengerof Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'By this oath, he has sworn not to do good.' The owner of the orchard heard about it and went to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and said, 'Messenger of Allah, the choice is his.' "
পরিচ্ছেদঃ ১০. শস্য ও ফলাদির বিক্রয়ে বিপদাপদ উপস্থিত হওয়া প্রসঙ্গে বিধান
রেওয়ায়ত ১৬. মালিক (রহঃ) বলেনঃ উমর ইবন আবদিল আযীয (রহঃ) দুর্যোগ ঘটিলে মূল্য লাঘব করার ফয়সালা দিয়াছেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকটও মাসআলা অনুরূপ।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ দুর্যোগঘটিত কারণে, এক-তৃতীয়াংশ কিংবা ততোধিক ফসলের লোকসান হইলেই, তবে ক্রেতা হইতে মূল্য লাঘব করা হয়। ইহার কম হইলে লোকসান হইয়াছে বলিয়া গণ্য করা হয় না।
بَاب الْجَائِحَةِ فِي بَيْعِ الثِّمَارِ وَالزَّرْعِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَضَى بِوَضْعِ الْجَائِحَةِ قَالَ مَالِك وَعَلَى ذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا قَالَ مَالِك وَالْجَائِحَةُ الَّتِي تُوضَعُ عَنْ الْمُشْتَرِي الثُّلُثُ فَصَاعِدًا وَلَا يَكُونُ مَا دُونَ ذَلِكَ جَائِحَةً
Yahya related to me from Malik that he had heard that Umar ibn Abd al-Aziz decided in a case to make a reduction for crop damage.
Malik said, "That is what we do in the situation."
Malik added, "Crop damage is whatever causes loss of a third or more for the purchaser. Anything less is not counted as crop damage."
পরিচ্ছেদঃ ১১. কিছু ফল বা ফল-বৃক্ষের কিছু শাখা বিক্রয় হইতে বাদ দিয়া দেওয়া জায়েয হওয়া প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১৭. কাসিম ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) তাহার বাগানের ফল বিক্রয় করিতেন এবং উহা হইতে কিছু বৃক্ষ শাখা বাদ রাখিয়া দিতেন।
بَاب مَا يَجُوزُ فِي اسْتِثْنَاءِ الثَّمَرِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ كَانَ يَبِيعُ ثَمَرَ حَائِطِهِ وَيَسْتَثْنِي مِنْهُ
Yahya related to me from Malik from Rabia ibn Abd ar-Rahman that al-Qasim ibn Muhammad would sell produce from his orchard and keep some of it aside.
পরিচ্ছেদঃ ১১. কিছু ফল বা ফল-বৃক্ষের কিছু শাখা বিক্রয় হইতে বাদ দিয়া দেওয়া জায়েয হওয়া প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১৮. আবদুল্লাহ্ ইবন আবি বকর (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তাহার দাদা মুহাম্মদ ইবন আমর হাযম (রহঃ) আফবাক নামক তাহার এক বাগানের ফল চারি হাজার দিরহাম মূল্যে বিক্রয় করিলেন এবং উহা হইতে আট শত দিরহাম মূল্যের ফলের কিছু শাখা রাখিয়া দিলেন (নিজের জন্য)।
بَاب مَا يَجُوزُ فِي اسْتِثْنَاءِ الثَّمَرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ جَدَّهُ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ بَاعَ ثَمَرَ حَائِطٍ لَهُ يُقَالُ لَهُ الْأَفْرَقُ بِأَرْبَعَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ وَاسْتَثْنَى مِنْهُ بِثَمَانِ مِائَةِ دِرْهَمٍ تَمْرًا
Yahya related to me from Malik from Abdullah ibn Abi Bakr that his grandfather, Muhammad ibn Amr ibn Hazm sold the fruit of an orchard of his called al-Afraq, for 4,000 dirhams, and he kept aside 800 dirhams' worth of dry dates.
পরিচ্ছেদঃ ১১. কিছু ফল বা ফল-বৃক্ষের কিছু শাখা বিক্রয় হইতে বাদ দিয়া দেওয়া জায়েয হওয়া প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১৯. মুহাম্মদ ইবন আবদির রহমান ইবন হারেছ (রহঃ) বলেন, তাহার মাতা আমরা বিনত আবদির রহমান (রহঃ) তাহার মালিকানার ফল বিক্রয় করিতেন এবং উহা হইতে ফলের কিছু শাখা নিজের জন্য রাখিয়া দিতেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট সর্বসম্মত মাসআলা এই, কোন ব্যক্তি বাগানের ফল বিক্রয় করিলে তবে সেই বাগানের ফল হইতে তৃতীয়াংশ পরিমাণ (নিজের জন্য) রাখা তাহার জন্য জায়েয আছে। উহার সীমা ছাড়াইয়া না যাওয়া চাই, এক-তৃতীয়াংশের কম হইলে তাহাতে ক্ষতি নাই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি তাহার বাগানের ফল বিক্রয় করিল এবং উহা হইতে নিজরে পছন্দসই এক বা একাধিক গাছের ফল অবিক্রিত রাখিল, উহার সংখ্যাও উল্লেখ করিল। আমি এইরূপ করাতে কোন দোষ মনে করি না। বাগানের মালিক নিজ বাগান হইতে কিছু সংখ্যক বৃক্ষের ফল নিজের জন্য রাখিল। আর ইহা হইতেছে এমন যেন কেহ নিজ বাগানের কিছু বৃক্ষ নিজের জন্য নির্ধারিত রাখিল, উহাকে বিক্রয় না করিয়া অবশিষ্ট বৃক্ষ বিক্রয় করিয়া দিল।
بَاب مَا يَجُوزُ فِي اسْتِثْنَاءِ الثَّمَرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الرِّجَالِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَارِثَةَ أَنَّ أُمَّهُ عَمْرَةَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَانَتْ تَبِيعُ ثِمَارَهَا وَتَسْتَثْنِي مِنْهَا
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا بَاعَ ثَمَرَ حَائِطِهِ أَنَّ لَهُ أَنْ يَسْتَثْنِيَ مِنْ ثَمَرِ حَائِطِهِ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ ثُلُثِ الثَّمَرِ لَا يُجَاوِزُ ذَلِكَ وَمَا كَانَ دُونَ الثُّلُثِ فَلَا بَأْسَ بِذَلِكَ قَالَ مَالِك فَأَمَّا الرَّجُلُ يَبِيعُ ثَمَرَ حَائِطِهِ وَيَسْتَثْنِي مِنْ ثَمَرِ حَائِطِهِ ثَمَرَ نَخْلَةٍ أَوْ نَخَلَاتٍ يَخْتَارُهَا وَيُسَمِّي عَدَدَهَا فَلَا أَرَى بِذَلِكَ بَأْسًا لِأَنَّ رَبَّ الْحَائِطِ إِنَّمَا اسْتَثْنَى شَيْئًا مِنْ ثَمَرِ حَائِطِ نَفْسِهِ وَإِنَّمَا ذَلِكَ شَيْءٌ احْتَبَسَهُ مِنْ حَائِطِهِ وَأَمْسَكَهُ لَمْ يَبِعْهُ وَبَاعَ مِنْ حَائِطِهِ مَا سِوَى ذَلِكَ
Yahya related to me from Malik from Abu'r-Rijal, Muhammad ibn Abdar-Rahman ibn Haritha that his mother, Amra bint Abd ar-Rahman used to sell her fruit and keep some of it aside.
Malik said, "The generally agreed upon way of doing things among us is that when a man sells the fruit of his orchard, he can keep aside up to a third of the fruit, but that is not to be exceeded. There is no harm in what is less than a third."
Malik added that he thought there was no harm for a man to sell the fruit of his orchard and keep aside only the fruit of a certain palm-tree or palm-trees which he had chosen and whose number he had specified, because the owner was only keeping aside certain fruit of his own orchard and everything else he sold.
পরিচ্ছেদঃ ১২. ফলের যে বিক্রয় মকরূহ তাহার মাসআলা
রেওয়ায়ত ২০. আতা ইবন ইয়াসার (রহঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করিয়াছেন, খর্জুরের বিনিময়ে খর্জুর বিক্রয় করিলে সমান সমান (হইতে হইবে)। তাহার নিকট আরজ করা হইল, খায়বরে নিযুক্ত আপনার আমিল (কার্য সম্পাদক বা কালেকটর) দুই সা’-এর বিনিময়ে এক সা’ গ্রহণ করিয়া থাকেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ইহা শুনিয়া) বলিলেন, তাহাকে আমার কাছে ডাকিয়া আন। তাহারা ডাকিয়া আনিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ তুমি কি দুই সা’-এর বিনিময়ে এক সা’ গ্রহণ কর? উত্তরে তিনি বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! উহারা নিকৃষ্ট খেজুরের বিনিময়ে বিশুদ্ধ খেজুর আমার নিকট এক সা’র বিনিময়ে এক সা’ বিক্রয় করে না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহা শুনিয়া বলিলেন, অপ্রকৃষ্ট বা মিশ্রিত খেজুর দিরহামের বিনিময়ে বিক্রয় কর, অতঃপর দিরহামের বিনিময়ে বিশুদ্ধ খেজুর ক্রয় করিয়া লও।
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ بَيْعِ التَّمْرِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ التَّمْرُ بِالتَّمْرِ مِثْلًا بِمِثْلٍ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ عَامِلَكَ عَلَى خَيْبَرَ يَأْخُذُ الصَّاعَ بِالصَّاعَيْنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ادْعُوهُ لِي فَدُعِيَ لَهُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَأْخُذُ الصَّاعَ بِالصَّاعَيْنِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَا يَبِيعُونَنِي الْجَنِيبَ بِالْجَمْعِ صَاعًا بِصَاعٍ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعْ الْجَمْعَ بِالدَّرَاهِمِ ثُمَّ ابْتَعْ بِالدَّرَاهِمِ جَنِيبًا
Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam that Ata ibn Yasar said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Dried dates for dried dates is like for like.' It was said to him, 'Your agent in Khaybar takes one sa for two.' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'all him to me.' So he was called for. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, asked, 'Do you take one sa for two?' He replied, 'Messengerof Allah! Why should they sell me good dates for assorted low quality dates, sa for sa!' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Sell the assorted ones for dirhams, and then buy the good ones with those dirhams.' "