পরিচ্ছেদঃ ১. রোযার চাঁদ দেখা ও রমযানের রোযা খোলার বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১. আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযার উল্লেখ করিয়া বলিয়াছেনঃ তোমরা চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোযা রাখিও না। আর চাঁদ না দেখিয়া রোযা খুলিও না। যদি তোমাদের উপর (আকাশ) মেঘাচ্ছন্ন হয়, তবে রোযা খোলার জন্য অন্য দিন হিসাব করিয়া নিও।
بَاب مَا جَاءَ فِي رُؤْيَةِ الْهِلَالِ لِلصَّوْمِ وَالْفِطْرِ فِي رَمَضَانَ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ رَمَضَانَ فَقَالَ لَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ
Yahya related to me from Malik from Nafi from Abdullah ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, once mentioned Ramadan and said, "Do not begin the fast until you see the new moon, and do not break the fast (at the end of Ramadan) until you see it. If the new moon is obscured from you, then work out (when it should be)."
পরিচ্ছেদঃ ১. রোযার চাঁদ দেখা ও রমযানের রোযা খোলার বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২. আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ মাস উনত্রিশ দিনেরও হয়, যদি (আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার কারণে) তোমাদের উপর চাঁদ পর্দাবৃত করা হয়, তবে উহার জন্য দিন গণনা করিও।
بَاب مَا جَاءَ فِي رُؤْيَةِ الْهِلَالِ لِلصَّوْمِ وَالْفِطْرِ فِي رَمَضَانَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ فَلَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ
Yahya related to me from Malik from Abdullah ibn Dinar from Abdullah ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "A month has twenty-nine days in it. Do not start the fast or break it until you see the new moon. If the new moon is obscured from you, then work out (when it should be)."
পরিচ্ছেদঃ ১. রোযার চাঁদ দেখা ও রমযানের রোযা খোলার বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৩. আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের উল্লেখ করিলেন। (এই প্রসঙ্গে) তিনি বলিলেনঃ তোমরা চাঁদ না দেখিয়া রোযা রাখিও না এবং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোযা খুলিও না। আর যদি আকাশ তোমাদের উপর মেঘাচ্ছাদিত হয়, তবে সংখ্যা ত্রিশ পূর্ণ করিও।
بَاب مَا جَاءَ فِي رُؤْيَةِ الْهِلَالِ لِلصَّوْمِ وَالْفِطْرِ فِي رَمَضَانَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ الدِّيلِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ رَمَضَانَ فَقَالَ لَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْا الْهِلَالَ وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ ثَلَاثِينَ
Yahya related to me from Malik from Thawr ibn Zayd ad-Dili from Abdullah ibn Abbas that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, once mentioned Ramadan and said, "Do not start the fast or break it until you see the new moon. If the new moon is obscured from you, then complete a full thirty days."
পরিচ্ছেদঃ ১. রোযার চাঁদ দেখা ও রমযানের রোযা খোলার বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৪. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, উসমান ইবনে আফফান (রাঃ)-এর আমলে বিকালে চাঁদ দৃষ্ট হয়। কিন্তু উসমান (রাঃ) সন্ধ্যা হওয়া ও সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত ইফতার করেন নাই।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি রমযানের চাঁদ একাই দেখিয়াছে সে নিজে রোযা রাখিবে, তাহার জন্য রোযা ভঙ্গ করা সমীচীন নহে। কারণ সে জানে যে, উহা রমযান মাস। আর যে শাওয়ালের চাঁদ একা দেখিয়াছে, সে রোযা ভঙ্গ করিবে না, কারণ লোকে (এই বলিয়া) অপবাদ দিবে যে, আমাদের একজন রোযা রাখে নাই। পক্ষাত্তরে যাহারা নির্ভরযোগ্য নহে তেমন ব্যক্তিদের খেয়াল হইলে তবে তাহারা বলিবে, আমরা অবশ্য চাঁদ দেখিয়াছি। আর যে ব্যক্তি দিনে শাওয়ালের চাঁদ দেখিতে পায়, সে রোযা ইফতার করিবে না বরং সেই দিনের রোযা পূর্ণ করিবে, কারণ উহা আগামী রাতের চাঁদ।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ আমি মালিক (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, যদি লোকে ঈদের দিন রোযা রাখে এবং তাহারা উহাকে রোযার দিন বলিয়া মনে করে, তৎপর একজন বিশ্বস্ত লোক আসিয়া তাহাদিগকে বলে, রমযানের চাঁদ তাহাদের রোযার একদিন পূর্বে দেখা গিয়াছে, আর তাহদের এই দিবস হইতেছে একত্রিশের, তবে যেই মুহুর্তে তাহদের নিকট খবর পৌছে সেই মুহুর্তেই তাহারা রোযা ভাঙিয়া ফেলিবে। অবশ্য তাহারা সেই খবর সূর্য হেলিবার পর পাইলে সেই দিন তাহারা ঈদের নামায পড়িবে না।
بَاب مَا جَاءَ فِي رُؤْيَةِ الْهِلَالِ لِلصَّوْمِ وَالْفِطْرِ فِي رَمَضَانَ
وحدثني عن مالك أنه بلغه أن الهلال رئي في زمان عثمان بن عفان بعشي فلم يفطر عثمان حتى أمسى وغابت الشمس قال يحيى سمعت مالك يقول في الذي يرى هلال رمضان وحده أنه يصوم لا ينبغي له أن يفطر وهو يعلم أن ذلك اليوم من رمضان قال ومن رأى هلال شوال وحده فإنه لا يفطر لأن الناس يتهمون على أن يفطر منهم من ليس مأمونا ويقول أولئك إذا ظهر عليهم قد رأينا الهلال ومن رأى هلال شوال نهارا فلا يفطر ويتم صيام يومه ذلك فإنما هو هلال الليلة التي تأتي قال يحيى وسمعت مالك يقول إذا صام الناس يوم الفطر وهم يظنون أنه من رمضان فجاءهم ثبت أن هلال رمضان قد رئي قبل أن يصوموا بيوم وأن يومهم ذلك أحد وثلاثون فإنهم يفطرون في ذلك اليوم أية ساعة جاءهم الخبر غير أنهم لا يصلون صلاة العيد إن كان ذلك جاءهم بعد زوال الشمس
Yahya related to me from Malik that he had heard that once in the time of Uthman ibn Affan the new moon had been seen in the afternoon and Uthman did not break his fast until evening had come and the sun had set.
Yahya said that he had heard Malik say that some one who sees the new moon of Ramadan when he is on his own should start the fast and not break it if he knows that that day is part of Ramadan. He added, "Some one who sees the new moon of Shawwal when he is on his own does not break the fast, because people suspect the reliability of someone among them who breaks the fast. Such people should say, when they sight the new moon, 'We have seen the new moon.' Whoever sees the new moon of Shawwal during the day should not break his fast but should continue fasting for the rest of that day. This is because it is really the new moon of the night that is coming ."
Yahya said that he heard Malik say, "If people are fasting on the day of Fitr thinking that it is still Ramadan and then definite evidence comes to them that the new moon of Ramadan had been seen one day before they began to fast and that they are now into the thirty- first day, then they should break the fast on that day at whatever time the news comes to them. However, they do not pray the id prayer if they hear the news after the sun has begun to decline."
পরিচ্ছেদঃ ২. ফজরের পূর্বে যে রোযার নিয়ত করিয়াছে
রেওয়ায়ত ৫. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত- আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিতেনঃ যে ফজরের পূর্বে নিয়ত করে নাই, সে রোষা রাখিবে না।
ইবন শিহাব (রহঃ) কর্তৃক নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) ও হাফসা (রাঃ) হইতে অনুরূপ (মত) বর্ণনা করা হইয়াছে।
بَاب مَنْ أَجْمَعَ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لَا يَصُومُ إِلَّا مَنْ أَجْمَعَ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَائِشَةَ وَحَفْصَةَ زَوْجَيْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِثْلِ ذَلِكَ
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar used to say, "Only some one who makes the intention to fast before dawn (actually) fasts."
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that A'isha and Hafsa, the wives of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, also said that.
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিলম্ব না করিয়া ইফতার করা
রেওয়ায়ত ৬. সাহল ইবন সা’দ সাঈদী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ সর্বদা লোক মঙ্গলের উপর থাকিবে যতদিন ইফতার সত্বর করিবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي تَعْجِيلِ الْفِطْرِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ
Yahya related to me from Malik from Abu Hazim ibn Dinar from Sahl ibn Sad as Saidi that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "People will remain in good as long as they are quick to break the fast."
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিলম্ব না করিয়া ইফতার করা
রেওয়ায়ত ৭. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ মানুষ সর্বদা মঙ্গলের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকিবে যতদিন ইফতার সত্বর করিবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي تَعْجِيلِ الْفِطْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ الْأَسْلَمِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ
Yahya related to me from Malik from Abd ar-Rahman ibn Harmala al- Aslami from Said ibn al-Musayyab that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "People will remain in good as long as they are quick to break the fast."
পরিচ্ছেদঃ ৩. বিলম্ব না করিয়া ইফতার করা
রেওয়ায়ত ৮. হুমায়দ ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) এবং উসমান ইবন আফফান (রাঃ) উভয়ে মাগরিবের নামায পড়িতেন, এমন সময় তখন তাহারা রাত্রির অন্ধকার দেখিতে পাইতেন। (আর ইহা হইত) ইফতার করার পূর্বে। অতঃপর তাহারা (উভয়ে) ইফতার করিতেন। আর ইহা হইত রমযান মাসে।
بَاب مَا جَاءَ فِي تَعْجِيلِ الْفِطْرِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ وَعُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ كَانَا يُصَلِّيَانِ الْمَغْرِبَ حِينَ يَنْظُرَانِ إِلَى اللَّيْلِ الْأَسْوَدِ قَبْلَ أَنْ يُفْطِرَا ثُمَّ يُفْطِرَانِ بَعْدَ الصَّلَاةِ وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Humayd ibn Abd ar-Rahman that Umar ibn al-Khattab and Uthman ibn Affan would pray maghrib when they saw the night darkening, before they broke their fast, and that was during Ramadan.
পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ব্যক্তির জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় ফজর হয় সেই ব্যক্তির রোযা
রেওয়ায়ত ৯. আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলিলঃ তখন তিনি দরজায় দণ্ডায়মান ছিলেন, আর আমি শুনিতেছিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জানাবত অবস্থায় আমার ফজর হয় অথচ আমি রোযা রাখিতে ইচ্ছা করি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ আমারও জানাবত অবস্থায় ফজর হয়, অথচ আমি রোযা রাখিবার ইচ্ছা করি। তাই আমি গোসল করি এবং রোযা রাখি। তখন লোকটি তাহার নিকট আরয করিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি অবশ্য আমাদের মত নহেন। আল্লাহ্ আপনার অতীত ও ভবিষ্যত ক্রটিসমূহ মার্জনা করিয়াছেন। ইহাতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত হইলেন এবং বলিলেনঃ আল্লাহর কসম, আমি তোমাদের তুলনায় আল্লাহকে অধিক ভয় করি আর আমি তাকওয়ার বিষয়ে তোমাদের অপেক্ষা অধিক জ্ঞাত।
بَاب مَا جَاءَ فِي صِيَامِ الَّذِي يُصْبِحُ جُنُبًا فِي رَمَضَانَ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ أَبِي يُونُسَ مَوْلَى عَائِشَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ وَاقِفٌ عَلَى الْبَابِ وَأَنَا أَسْمَعُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُصْبِحُ جُنُبًا وَأَنَا أُرِيدُ الصِّيَامَ فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أُصْبِحُ جُنُبًا وَأَنَا أُرِيدُ الصِّيَامَ فَأَغْتَسِلُ وَأَصُومُ فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ لَسْتَ مِثْلَنَا قَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ وَاللَّهِ إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَخْشَاكُمْ لِلَّهِ وَأَعْلَمَكُمْ بِمَا أَتَّقِي
Yahya related to me from Malik from Abdullah ibn Abd ar-Rahman ibn Mamar al-Ansari from Abu Yunus, the mawla of A'isha, from A'isha that she overheard a man standing at the door saying to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, "Messenger of Allah, I get up in the morning junub, in a state of major ritual impurity, and want to fast," and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "I too get up in the morning junub and want to fast, so I do ghusl and fast." The man said to him, "You are not the same as us. Allah has forgiven you all your wrong actions that have gone before and those that have come after." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, got angry and said, "By Allah, I hope that I am the most fearful of you with respect to Allah and the most knowledgeable of you in how I have taqwa."
পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ব্যক্তির জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় ফজর হয় সেই ব্যক্তির রোযা
রেওয়ায়ত ১০. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা ও উম্মে সালমা (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্বপ্নদোষে নহে স্ত্রী সহবাসের কারণে রমযানে জানাবত অবস্থায় ফজর হইত, অতঃপর তিনি রোযা রাখিতেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي صِيَامِ الَّذِي يُصْبِحُ جُنُبًا فِي رَمَضَانَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ زَوْجَيْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمَا قَالَتَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلَامٍ فِي رَمَضَانَ ثُمَّ يَصُومُ
Yahya related to me from Malik from Abd Rabbih ibn Said from Abu Bakr ibn Abd ar-Rahman ibn al-Harith ibn Hisham from A'isha and Umm Salama, the wives of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, that the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, used to get up in the morning junub from intercourse, not a dream, in Ramadan, and then he would fast."
পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ব্যক্তির জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় ফজর হয় সেই ব্যক্তির রোযা
রেওয়ায়ত ১১. আবু বকর ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) বলেনঃ আমি ও আমার পিতা মারওয়ানের নিকট ছিলাম, মারওয়ান তখন মদীনার শাসনকর্তা। তাহার নিকট উল্লেখ করা হয় যে, আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন- যে ব্যক্তির জানাবত অবস্থায় ফজর হয়, তাহার সেই দিনের রোযা নষ্ট হইয়াছে। মারওয়ান বলিলেন, হে আবদুর রহমান! আমি তোমাদের কসম দিতেছি যে, তুমি অবশ্যই উম্মুল মুমিনীনদ্বয় আয়েশা (রাঃ) ও উম্মে সালমা (রাঃ)-এর নিকট গমন কর এবং এ বিষয়ে উভয়কে প্রশ্ন কর। অতঃপর আবদুর রহমান গেলেন, আমিও সঙ্গে ছিলাম। আবদুর রহমান তাহাকে সালাম জানাইলেন এবং বলিলেনঃ হে উম্মুল মুমিনীন! আমরা মারওয়ান ইবন হাকামের নিকট ছিলাম, তাহার নিকট আলোচিত হয় যে, আবু হুরায়রা (রাঃ) বলিয়াছেন- যে ব্যক্তির জানাবত অবস্থায় ফজর হইয়াছে সে সেই দিনের রোযা ভঙ্গ করিয়াছে। আয়েশা (রাঃ) বলিলেনঃ আবু হুরায়রা যেমন বলিয়াছেন, (মাসআলা) তেমন নহে। হে আবদুর রহমান! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাহা করিয়াছেন তুমি কি উহা হইতে বিমুখ। হইতে চাও? আবদুর রহমান বলিলেনঃ না, আল্লাহর কসম, (তা হয় না)। আয়েশা (রাঃ) বলিলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ব্যাপারে সাক্ষ্য দিতেছি যে, তিনি স্বপ্লদোষে নহে, সহবাসের কারণে জানাবত অবস্থায় ফজর করিতেন। অতঃপর সেই দিনের রোযা রাখতেন। (রাবী) বলেনঃ তারপর আমরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট হইতে বাহির হইলাম এবং উম্মে সালমা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম এবং এই বিষয়ে তাহাকে প্রশ্ন করিলাম। আয়েশা (রাঃ) যেমন বলিয়াছেন তিনিও তেমন বলিলেন।
অতঃপর আমরা প্রস্থান করিলাম এবং মারওয়ান ইবন হাকামের নিকট উপস্থিত হইলাম। তাহারা উভয়ে যাহা বর্ণনা করিয়াছেন আবদুর রহমান মারওয়ানের নিকট তাহা উল্লেখ করিলেন। অতঃপর মারওয়ান বলিলেনঃ আমি তোমাকে কসম দিতেছি, হে আবু মুহাম্মদ, আমার সওয়ার দরজায় (উপস্থিত) রহিয়াছে, তুমি উহার উপর সওয়ার হইয়া অবশ্যই আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর নিকট গমন কর। তিনি তাহার (নিজস্ব) ভূমিতে আকীক নামক স্থানে অবস্থান করিতেছেন। নিশ্চয়ই এই খবরটি তাহাকে পৌছাইয়া দাও। আবদুর রহমান সওয়ার হইলেন, আমি তাহার সহিত আরোহণ করিলাম।
অতঃপর আমরা আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর নিকট আসিলাম। আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর সহিত আবদুর রহমান কিছুক্ষণ কথা বললেন। তারপর এই বিষয়ে তাহার সহিত আলোচনা করিলেন। ইহার পর আবু হুরায়রা (রাঃ) বলিলেনঃ এই বিষয়ে আমার জানা নাই, আমাকে খবরদাতা খবর দিয়াছেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي صِيَامِ الَّذِي يُصْبِحُ جُنُبًا فِي رَمَضَانَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ يَقُولُ كُنْتُ أَنَا وَأَبِي عِنْدَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ فَذُكِرَ لَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ مَنْ أَصْبَحَ جُنُبًا أَفْطَرَ ذَلِكَ الْيَوْمَ فَقَالَ مَرْوَانُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ لَتَذْهَبَنَّ إِلَى أُمَّيْ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ فَلْتَسْأَلَنَّهُمَا عَنْ ذَلِكَ فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَذَهَبْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ فَسَلَّمَ عَلَيْهَا ثُمَّ قَالَ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّا كُنَّا عِنْدَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فَذُكِرَ لَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ مَنْ أَصْبَحَ جُنُبًا أَفْطَرَ ذَلِكَ الْيَوْمَ قَالَتْ عَائِشَةُ لَيْسَ كَمَا قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ أَتَرْغَبُ عَمَّا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لَا وَاللَّهِ قَالَتْ عَائِشَةُ فَأَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلَامٍ ثُمَّ يَصُومُ ذَلِكَ الْيَوْمَ قَالَ ثُمَّ خَرَجْنَا حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ مِثْلَ مَا قَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ فَخَرَجْنَا حَتَّى جِئْنَا مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ فَذَكَرَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ مَا قَالَتَا فَقَالَ مَرْوَانُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ لَتَرْكَبَنَّ دَابَّتِي فَإِنَّهَا بِالْبَابِ فَلْتَذْهَبَنَّ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فَإِنَّهُ بِأَرْضِهِ بِالْعَقِيقِ فَلْتُخْبِرَنَّهُ ذَلِكَ فَرَكِبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَرَكِبْتُ مَعَهُ حَتَّى أَتَيْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ فَتَحَدَّثَ مَعَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ سَاعَةً ثُمَّ ذَكَرَ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ لَا عِلْمَ لِي بِذَاكَ إِنَّمَا أَخْبَرَنِيهِ مُخْبِرٌ
Yahya related to me from Malik from Sumayy, the mawla of Abu Bakr ibn Abd ar-Rahman ibn al-Harith ibn Hisham that he heard Abu Bakr ibn Abd ar-Rahman ibn al-Harith ibn Hisham say, "My father and I were with Marwan ibn al Hakam at the time when he was amir of Madina, and someone mentioned to him that Abu Hurayra used to say, 'If someone begins the morning junub, he has broken the fast for that day.' Marwan said, 'I swear to you, Abdar-Rahman, you must go to the two umm al muminin, A'isha and Umm Salama, and ask them about it.'
''Abd ar-Rahman went to visit A'isha and I accompanied him. He greeted her and then said, 'Umm al-muminin, we were with Marwan ibn al Hakam and someone mentioned to him that Abu Hurayra used to say that if some one had begun the morning junub, he had broken the fast for that day.' A'isha said, 'It is not as Abu Hurayra says Abd ar-Rahman. Do you dislike what the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to do?', and Abd ar-Rahman said, 'No, by Allah.' A'isha said, 'I bear witness that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to get up in the morning junub from intercourse, not a dream, and would then fast for that day.' "
He continued, "Then we went and visited Umm Salama, and Abd ar- Rahman asked her about the same matter and she said the same as A'isha had said. Then we went off until we came to Marwan ibn al-Hakam Abd ar-Rahman told him what they had both said and Marwan said, 'I swear to you, Abu Muhammad, you must use the mount which is at the door, and go to Abu Hurayra, who is on his land at al Aqiq, and tell him this.' So Abd ar-Rahman rode off, and I went with him, until we came to Abu Hurayra. Abd ar-Rahman talked with him for a while, and then mentioned the matter to him, and Abu Hurayra said, 'I don't know anything about it. I was just told that by someone.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ব্যক্তির জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় ফজর হয় সেই ব্যক্তির রোযা
রেওয়ায়ত ১২. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা ও উম্মে সালমা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্বপ্নদোষ ব্যতীত সহবাসের কারণে জানাবত অবস্থায় ফজর হইত, অতঃপর তিনি রোযা রাখতেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي صِيَامِ الَّذِي يُصْبِحُ جُنُبًا فِي رَمَضَانَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ زَوْجَيْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُمَا قَالَتَا إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلَامٍ ثُمَّ يَصُومُ
Yahya related to me from Malik from Sumayy, the mawla of Abu Bakr, from Abu Bakr ibn Abd ar-Rahman that A'isha and Umm Salama, the wives of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "The Messengerof Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to get up in the morning junub from intercourse, not a dream, and would then fast."
পরিচ্ছেদঃ ৫. রোযাদারের জন্য চুমু খাওয়ার অনুমতি
রেওয়ায়ত ১৩. আতা ইবন ইয়াসার (রহঃ) হইতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রমযান মাসে রোযা অবস্থায় তাহার স্ত্রীকে চুমু খাইলেন এবং ইহাতে খুবই অনুতপ্ত হইলেন। অতঃপর এই বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য তাহার স্ত্রীকে পাঠাইলেন। সে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী উম্মে সালমা (রাঃ)-এর কাছে গমন করিল এবং সেই বিষয় তাহার নিকট উল্লেখ করিল। উম্মে সালমা (রাঃ) তাহাকে বলিলেনঃ রোযা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও চুমা দিয়া থাকেন। সে তাহার স্বামীর নিকট প্রত্যাবর্তন করিয়া এই খবর তাহাকে জানাইল। কিন্তু তাহার পেরেশানী আরো বৃদ্ধি পাইল। তিনি বলিলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মত নহি। আল্লাহ্ তাহার রসূলের জন্য যাহা ইচ্ছা হালাল করেন। তারপর তাহার স্ত্রী পুনরায় উম্মে সালমা (রাঃ)-এর নিকট গমন করিল। (এইবার) উম্মে সালমা (রাঃ)-এর নিকট রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পাইল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ এই স্ত্রীলোকটির ব্যাপার কি? উম্মে সালমা (রাঃ) তাহাকে বিষয়টি জানাইলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ আমিও উহা করি, তুমি এই স্ত্রীলোককে এই খবর দাও নাই কেন? উম্মে সালমা (রাঃ) বলিলেন, আমি তাহাকে এই খবর দিয়াছি। অতঃপর তাহার স্বামীর নিকট গিয়া সেই খবর বলিয়াছে। ইহাতে তাহার চিন্তা আরো বৃদ্ধি পাইয়াছে এবং তিনি বলিয়াছেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মত নহি। আল্লাহ্ তাহার রসূলের জন্য যাহা ইচ্ছা হালাল করেন। ইহা শুনিয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত হইলেন এবং বলিলেনঃ আমি অবশ্য তোমাদের অপেক্ষা আল্লাহকে অধিক ভয় করি এবং তাহার সীমানাসমূহকে তোমাদের অপেক্ষা অধিক জানি।
بَاب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي الْقُبْلَةِ لِلصَّائِمِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَجُلًا قَبَّلَ امْرَأَتَهُ وَهُوَ صَائِمٌ فِي رَمَضَانَ فَوَجَدَ مِنْ ذَلِكَ وَجْدًا شَدِيدًا فَأَرْسَلَ امْرَأَتَهُ تَسْأَلُ لَهُ عَنْ ذَلِكَ فَدَخَلَتْ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهَا فَأَخْبَرَتْهَا أُمُّ سَلَمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُ وَهُوَ صَائِمٌ فَرَجَعَتْ فَأَخْبَرَتْ زَوْجَهَا بِذَلِكَ فَزَادَهُ ذَلِكَ شَرًّا وَقَالَ لَسْنَا مِثْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّهُ يُحِلُّ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا شَاءَ ثُمَّ رَجَعَتْ امْرَأَتُهُ إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَوَجَدَتْ عِنْدَهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لِهَذِهِ الْمَرْأَةِ فَأَخْبَرَتْهُ أُمُّ سَلَمَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَا أَخْبَرْتِيهَا أَنِّي أَفْعَلُ ذَلِكَ فَقَالَتْ قَدْ أَخْبَرْتُهَا فَذَهَبَتْ إِلَى زَوْجِهَا فَأَخْبَرَتْهُ فَزَادَهُ ذَلِكَ شَرًّا وَقَالَ لَسْنَا مِثْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّهُ يُحِلُّ لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا شَاءَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ وَاللَّهِ إِنِّي لَأَتْقَاكُمْ لِلَّهِ وَأَعْلَمُكُمْ بِحُدُودِهِ
Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam from Ata ibn Yasar that a certain man kissed his wife while he was fasting in Ramadan. This made him very anxious, and so he sent his wife to the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, to ask him about that for him. She went in and saw Umm Salama, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, and mentioned the matter to her, and Umm Salama told her that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to kiss while he was fasting. So she went back and told her husband that, but it only made him find fault all the more and he said, "We are not like the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace. Allah makes permissible for the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, whatever He wishes."
His wife then went back to Umm Salama and found the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, with her. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "What's the matter with this woman?", and Umm Salama told him. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Didn't you tell her that I do that myself?" and she said, "I told her, and she went to her husband and told him, but it only made him find fault all the more and say, 'We are not like the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace. Allah makes permissible for His Messenger, may Allah bless him and grant him peace, whatever He wishes.' " The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, got angry and said, "By Allah, I am the one with the most taqwa of Allah of you all, and of you all the one who best knows His limits."
পরিচ্ছেদঃ ৫. রোযাদারের জন্য চুমু খাওয়ার অনুমতি
রেওয়ায়ত ১৪. উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাঃ) বলিয়াছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার কোন এক সহধর্মিণীকে চুমু খাইতেন, অথচ তিনি রোযাদার। তারপর তিনি হাসিতেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي الْقُبْلَةِ لِلصَّائِمِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيُقَبِّلُ بَعْضَ أَزْوَاجِهِ وَهُوَ صَائِمٌ ثُمَّ ضَحِكَتْ
Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa from his father that A'isha, umm al-muminin, may Allah be pleased with her, said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to kiss certain of his wives when fasting," and then she laughed.
পরিচ্ছেদঃ ৫. রোযাদারের জন্য চুমু খাওয়ার অনুমতি
রেওয়ায়ত ১৫. উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর স্ত্রী আতিকা বিনত সাঈদ (রাঃ) উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর মাথায় চুমু খাইতেন, অথচ তিনি রোযাদার। তবুও তিনি তাহাকে নিষেধ করিতেন না।
بَاب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي الْقُبْلَةِ لِلصَّائِمِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ عَاتِكَةَ ابْنَةَ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ امْرَأَةَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ كَانَتْ تُقَبِّلُ رَأْسَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَهُوَ صَائِمٌ فَلَا يَنْهَاهَا
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that Atika bint Zayd ibn Amr ibn Nufayl, the wife of Umar ibn al-Khattab, used to kiss Umar ibn al-Khattab's head while he was fasting, and he did not tell her not to.
পরিচ্ছেদঃ ৫. রোযাদারের জন্য চুমু খাওয়ার অনুমতি
রেওয়ায়ত ১৬. আয়েশা বিনত তালহা (রহঃ) বলেন- তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ছিলেন। সেখানে তাহার স্বামী প্রবেশ করিলেন। তিনি হইলেন আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান ইবন আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)। তিনি রোযাদার ছিলেন। আয়েশা (রাঃ) তাহাকে বলিলেন, তোমাকে তোমার পরিবারের নিকট যাইতে এবং তাহাকে চুমু খাইতে ও তাহার সহিত খেল-তামাশা করিতে কিসে বাধা দিয়াছে? তিনি বলিলেন, আমি তাহাকে চুমু খাই কিরূপে, আমি যে রোযাদার। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] বলেন, হ্যাঁ (রোযাদার হইয়াও তাহা করিতে পার)।
بَاب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي الْقُبْلَةِ لِلصَّائِمِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ أَنَّ عَائِشَةَ بِنْتَ طَلْحَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا كَانَتْ عِنْدَ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ عَلَيْهَا زَوْجُهَا هُنَالِكَ وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَهُوَ صَائِمٌ فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَدْنُوَ مِنْ أَهْلِكَ فَتُقَبِّلَهَا وَتُلَاعِبَهَا فَقَالَ أُقَبِّلُهَا وَأَنَا صَائِمٌ قَالَتْ نَعَمْ
Yahya related to me from Malik from Abu'n-Nadr, the mawla of Umar ibn Ubaydullah that A'isha bint Talha told him that she was once with A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, and her husband, who was fasting, came and visited her there. (He was Abdullah ibn Abd ar-Rahman ibn Abi Bakras-Siddiq.) A'isha said to him, "What's stopping you from coming close to your wife and kissing her and joking with her?" He said, "Can I kiss her when I am fasting?" She said, "Yes."
পরিচ্ছেদঃ ৫. রোযাদারের জন্য চুমু খাওয়ার অনুমতি
রেওয়ায়ত ১৭. আবু হুরায়রা ও সা’দ ইবন আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) রোযাদারের জন্য চুমু খাওয়ার অনুমতি দিতেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي الْقُبْلَةِ لِلصَّائِمِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ وَسَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ كَانَا يُرَخِّصَانِ فِي الْقُبْلَةِ لِلصَّائِمِ
Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam that Abu Hurayra and Sad ibn Abi Waqqas used to say that someone who was fasting was allowed to kiss.
পরিচ্ছেদঃ ৬. রোযাদারের চুমু খাওয়ার ব্যাপারে কঠোরতা
রেওয়ায়ত ১৮. মালিক (রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) যখন উল্লেখ করিতেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুমু খাইতেন, তখন [তিনি আয়েশা (রাঃ)] বলিতেন, তোমাদের চাইতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিক ক্ষমতা রাখেন নিজের নফসের উপর।
উরওয়াহ ইবন যুবায়র (রহঃ) বলেনঃ রোযাদারের জন্য চুমু খাওয়া কোন মঙ্গলের দিকে আহবান করে বলিয়া আমি মনে করি না।
بَاب مَا جَاءَ فِي التَّشْدِيدِ فِي الْقُبْلَةِ لِلصَّائِمِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ إِذَا ذَكَرَتْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُ وَهُوَ صَائِمٌ تَقُولُ وَأَيُّكُمْ أَمْلَكُ لِنَفْسِهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك قَالَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ قَالَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ لَمْ أَرَ الْقُبْلَةَ لِلصَّائِمِ تَدْعُو إِلَى خَيْرٍ
Yahya related to me from Malik that he had heard that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, would say, when she mentioned that the Messenger of Allah, used to kiss while fasting, "And who among you is more able to control himself than the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace?"
Yahya said that Malik said that Hisham ibn Urwa ibn az-Zubayr had said, "I do not think that kissing invites to good for people who are fasting."
পরিচ্ছেদঃ ৬. রোযাদারের চুমু খাওয়ার ব্যাপারে কঠোরতা
রেওয়ায়ত ১৯. আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ)-কে রোযাদারের চুমু খাওয়ার বিষয় প্রশ্ন করা হয়। তিনি বৃদ্ধের জন্য অনুমতি দেন। আর যুবকের জন্য মাকরূহ বলেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي التَّشْدِيدِ فِي الْقُبْلَةِ لِلصَّائِمِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ سُئِلَ عَنْ الْقُبْلَةِ لِلصَّائِمِ فَأَرْخَصَ فِيهَا لِلشَّيْخِ وَكَرِهَهَا لِلشَّابِّ
Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam from Ata ibn Yasar that Abdullah ibn Abbas was asked about people kissing while fasting and he said that he allowed it for old men but disapproved of it for young men.
পরিচ্ছেদঃ ৬. রোযাদারের চুমু খাওয়ার ব্যাপারে কঠোরতা
রেওয়ায়ত ২০. আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) রোযাদারের জন্য চুমু খাওয়া এবং স্ত্রীর সহিত মিলিত হওয়াকে নিষেধ করিতেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي التَّشْدِيدِ فِي الْقُبْلَةِ لِلصَّائِمِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ يَنْهَى عَنْ الْقُبْلَةِ وَالْمُبَاشَرَةِ لِلصَّائِمِ
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar used to forbid kissing and fondling for people who were fasting .