পরিচ্ছেদঃ ৫১৯. সিজদায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলতে বলতে নত হওয়। নাফি’ (র.) বলেন, ইবন উমর (রা.) সিজদায় যাওয়ার সময় হাঁটু রাখার আগে হাত রাখতেন।
৭৬৭। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আবূ বকর ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) ও আবূ সালামা ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ হুরায়রা (রাঃ) রামযান মাসের সালাত (নামায/নামাজ) বা অন্য কোন সময়ের সালাত ফরয হোক বা অন্য কোন সালাত হোক, দাঁড়িয়ে শুরু করার সময় তাকবীর বলতেন, আবার রুকূ’তে যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন। তারপর (রুকূ’ থেকে উঠার সময়) سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন, সিজদায় যাওয়ার পূর্বে رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলতেন। তারপর সিজদার জন্য অবনত হওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বলতেন। আবার সিজদা থেকে মাথা উঠানোর সময় তাকবীর বলতেন।
এরপর (দ্বিতীয়) সিজদায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন এবং সিজদা থেকে মাথা উঠানোর সময় তাকবীর বলতেন। দু’ রাকাআত আয়ায় করে দাঁড়ানোর সময় আবার তাকবীর বলতেন। সালাত শেষ করা পর্যন্ত প্রতি রাকআতে এইরূপ করতেন। সালাত শেষে তিনি বলতেন, যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! তোমাদের মধ্য থেকে আমার সালাত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাতের সাথে অধিক সা’দৃশ্যপূর্ণ। দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত এরূপই ছিল।
উভয় বর্ণনাকারী [আবূ বকর ইবনু আবদুর রহমান ও আবূ সালামা (রহঃ)] বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রুকূ’ থেকে মাথা উঠাতেন তখন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলতেন। আর কতিপয় লোকের নাম উল্লেখ করে তাঁদের জন্য দু’আ করতেন। দু’আয় তিনি বলতেন, ইয়া আল্লাহ্! ওয়ালীদ ইবনু ওয়ালীদ, সালামা ইবনু হিশাম, আইয়্যাস ইবনু আবূ রাবী’আ (রাঃ) এবং অপরাপর দুর্বল মুসলমাদেরকে রক্ষা করুন। ইয়া আল্লাহ্! মুদার গোত্রের উপর আপনার পাকড়াও কঠোর করুন, ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর যুগে যেমন খাদ্য সংকট ছিল তাদের জন্যও অনুরূপ খাদ্য সংকট সৃষ্টি করে দিন।
(রাবী বলেন) এ যুগে পূর্বাঞ্চলের অধিবাসী মুদার গোত্রের লোকেরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিরোধী ছিল।
باب يَهْوِي بِالتَّكْبِيرِ حِينَ يَسْجُدُ وَقَالَ نَافِعٌ كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَضَعُ يَدَيْهِ قَبْلَ رُكْبَتَيْهِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، كَانَ يُكَبِّرُ فِي كُلِّ صَلاَةٍ مِنَ الْمَكْتُوبَةِ وَغَيْرِهَا فِي رَمَضَانَ وَغَيْرِهِ، فَيُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْكَعُ، ثُمَّ يَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ. ثُمَّ يَقُولُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ. قَبْلَ أَنْ يَسْجُدَ، ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ. حِينَ يَهْوِي سَاجِدًا، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَسْجُدُ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ مِنَ الْجُلُوسِ فِي الاِثْنَتَيْنِ، وَيَفْعَلُ ذَلِكَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ حَتَّى يَفْرُغَ مِنَ الصَّلاَةِ، ثُمَّ يَقُولُ حِينَ يَنْصَرِفُ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَقْرَبُكُمْ شَبَهًا بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنْ كَانَتْ هَذِهِ لَصَلاَتَهُ حَتَّى فَارَقَ الدُّنْيَا.
قَالاَ وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ يَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ. يَدْعُو لِرِجَالٍ فَيُسَمِّيهِمْ بِأَسْمَائِهِمْ فَيَقُولُ " اللَّهُمَّ أَنْجِ الْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ وَسَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ وَعَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ، وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ، وَاجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ ". وَأَهْلُ الْمَشْرِقِ يَوْمَئِذٍ مِنْ مُضَرَ مُخَالِفُونَ لَهُ.
Narrated Abu Bakr bin `Abdur Rahman Ibn Harith bin Hisham and Abu Salama bin `Abdur Rahman:
Abu Huraira used to say Takbir in all the prayers, compulsory and optional -- in the month of Ramadan or other months. He used to say Takbir on standing for prayer and on bowing; then he would say, "Sami`a l-lahu liman hamidah," and before prostrating he would say "Rabbana wa laka lhamd." Then he would say Takbir on prostrating and on raising his head from the prostration, then another Takbir on prostrating (for the second time), and on raising his head from the prostration. He also would say the Takbir on standing from the second rak`a. He used to do the same in every rak`a till he completed the prayer. On completion of the prayer, he would say, "By Him in Whose Hands my soul is! No doubt my prayer is closer to that of Allah's Messenger (s) than yours, and this was His prayer till he left this world."
And Abu Huraira said, "When Allah's Messenger (s) raised his head from (bowing) he used to say "Sami`a l-lahu liman hamidah, Rabbana wa laka l-hamd." He Would invoke Allah for some people by naming them:
"O Allah! Save Al-Walid bin Al-Walid and Salama bin Hisham and `Aiyash bin Abi Rabi`a and the weak and the helpless people among the faithful believers O Allah! Be hard on the tribe of Mudar and let them suffer from famine years like that of the time of Joseph." In those days the Eastern section of the tribe of Mudar was against the Prophet.
পরিচ্ছেদঃ ১২০৫. জুনুবী (অপবিত্র) অবস্থায় সাওম পালনকারীর ভোর হওয়া
১৮০৩। আবদুল্লাহ ইবনু মাসআলা (রহঃ) ... আবূ বকর ইবনু ’আবদুর রাহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এবং আমার পিতা ’আয়িশা (রাঃ) এবং উম্মে সালামা (রাঃ) এর নিকট গেলাম। (অপর বর্ণনায়) আবূল ইয়ামান (রহঃ) মারওয়ান থেকে বর্ণিত যে, ’আয়িশা (রাঃ) এবং উম্মে সালামা (রাঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, নিজ নিজ স্ত্রীর সাথে মিলনজনিত জুনূবী অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফজরের সময় হয়ে যেত। তখন তিনি গোসল করতেন এবং সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করতেন। মারওয়ান (রহঃ) ’আবদুর রাহমান ইবনু হারিস (রহঃ) কে বললেন, আল্লাহর শপথ করে বলছি, এ হাদীস শুনিয়ে তুমি আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে শঙ্কিত করে দিবে। এ সময় মারওয়ান মদিনার গভর্ণর ছিলেন।
আবূ বকর (রহঃ) বলেন মারওয়ান এর কথা ’আবদুর রাহমান (রহঃ) পছন্দ করেন নি। রাবী বলেন, এরপর ভাগ্যক্রমে আমরা যুল-হুলাইফাতে একত্রিত হয়ে যাই। সেখানে আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর একখন্ড জমি ছিল। আবদুর রাহমান (রহঃ) আবূ হুরায়রা কে বললেন, আমি আপনার নিকট একটি কথা বলতে চাই, মারওয়ান যদি এ বিষয়টি আমাকে কসম দিয়ে না বলতেন, তাহলে আমি তা আপনার সঙ্গে আলোচনা করতাম না।
তারপর তিনি ’আয়িশা (রাঃ) ও উম্মে সালামা (রাঃ) এর বর্ণিত উক্তিটি উল্লেখ করলেন, ফাযল ইবনু আব্বাস (রাঃ) অনুরূপ একটি হাদীস আমাকে শুনিয়েছেন এবং এ বিষয়ে তিনি সর্বাধিক অবহিত। হাম্মাম (রহঃ) এবং ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু উমর সূত্রে আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত এরূপ ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওম ত্যাগ করে খাওয়ার হুকুম দিতেন। প্রথমোক্ত হাদীসটি সনদের দিক থেকে বিশুদ্ধ।
باب الصَّائِمِ يُصْبِحُ جُنُبًا
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ كُنْتُ أَنَا وَأَبِي، حِينَ دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ ح. حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَ مَرْوَانَ، أَنَّ عَائِشَةَ، وَأُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُدْرِكُهُ الْفَجْرُ وَهُوَ جُنُبٌ مِنْ أَهْلِهِ، ثُمَّ يَغْتَسِلُ وَيَصُومُ. وَقَالَ مَرْوَانُ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ أُقْسِمُ بِاللَّهِ لَتُقَرِّعَنَّ بِهَا أَبَا هُرَيْرَةَ. وَمَرْوَانُ يَوْمَئِذٍ عَلَى الْمَدِينَةِ. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَكَرِهَ ذَلِكَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، ثُمَّ قُدِّرَ لَنَا أَنْ نَجْتَمِعَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ، وَكَانَتْ لأَبِي هُرَيْرَةَ هُنَالِكَ أَرْضٌ، فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لأَبِي هُرَيْرَةَ إِنِّي ذَاكِرٌ لَكَ أَمْرًا، وَلَوْلاَ مَرْوَانُ أَقْسَمَ عَلَىَّ فِيهِ لَمْ أَذْكُرْهُ لَكَ. فَذَكَرَ قَوْلَ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ. فَقَالَ كَذَلِكَ حَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ، وَهُنَّ أَعْلَمُ، وَقَالَ هَمَّامٌ وَابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُ بِالْفِطْرِ. وَالأَوَّلُ أَسْنَدُ.
Narrated `Aisha and Um Salama:
At times Allah's Messenger (ﷺ) used to get up in the morning in the state of Janaba after having sexual relations with his wives. He would then take a bath and fast.
পরিচ্ছেদঃ ১২০৮. সাওম পালনকারীর গোসল করা
১৮০৮। ইসমা’ঈল (রহঃ) ... আবূ বকর ইবনু ’আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সঙ্গে রওয়ানা হয়ে ’আয়িশা (রাঃ) এর নিকট পৌছলাম। তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছি, তিনি ইহতিলাম ছাড়া স্ত্রী সহবাসের কারণে জুনুবী অবস্থায় সকাল পর্যন্ত থেকেছেন এবং এরপর সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করেছেন। তারপর আমরা উম্মে সালামা (রাঃ) এর নিকট গেলাম। তিনিও অনুরূপ কথাই বললেন। আবূ জা’ফর বলেন, ’আবদুল্লাহ (রহঃ) কে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কোন ব্যাক্তি সাওম ভঙ্গ করলে সে কি স্ত্রী সহবাসকারীর মত কাফফারা আদায় করবে? তিনি বললেন, না; তুমি কি সে হাদীসগুলো সম্পর্কে জানো না যাতে বর্ণিত আছে যে, যুগ যুগ ধরে সাওম পালন করলেও তার কাযা আদায় হবে না?
باب اغْتِسَالِ الصَّائِمِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، كُنْتُ أَنَا وَأَبِي،، فَذَهَبْتُ مَعَهُ، حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ أَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنْ كَانَ لَيُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلاَمٍ، ثُمَّ يَصُومُهُ.
ثُمَّ دَخَلْنَا عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ، فَقَالَتْ مِثْلَ ذَلِكَ.
Narrated Abu Bakr bin `Abdur-Rahman:
My father and I went to `Aisha and she said, "I testify that Allah's Messenger (ﷺ) at times used to get up in the morning in a state of Janaba from sexual intercourse, not from a wet dream and then he would fast that day." Then he went to Um Salama and she also narrated a similar thing.
পরিচ্ছেদঃ ১৩. জানাবাত অবস্থায় কারো প্রভাত হলে তার সাওম শুদ্ধ হবে
২৪৬০। মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ... আবূ বকর (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) কে ওয়ায করতে শুনলাম, তিনি তাঁর ওয়াযে বললেন, জানাবাত অবস্থায় কারো ভোর হলে তার সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) হবে না। এরপর এ কথাটি আমি আবদুর রহমান ইবনু হারিস (রাঃ) এর নিকট বর্ণনা করলাম। কিন্তু তিনি তা অস্বীকার করলেন। তাঁরপর আবদুর রহমান চললেন। আমিও তাঁর সাথে সাথে চললাম। আমরা আয়িশা (রাঃ) এবং উম্মু সালামা (রাঃ) এর নিকট গেলাম। এরপর আবদুর রহমান তাঁদের উভয়কে এ সমন্ধে জিজ্ঞাসা করলেন। তারা বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাবাতের অবস্থায়-- যা স্বপ্নদোষের কারণে হত না--- ভোর করতেন এবং সাওম পালন করতেন।
তারপর আমরা মারওয়ানের নিকট আসলাম এবং আবদুর রহমান তার সাথে এ নিয়ে আলোচনা করলেন। এরপর মারওয়ান বললেন আমি তোমাকে কসম দিয়ে বলছি, তুমি আবূ হুরায়রার নিকট যাও এবং তার কথাটি রদ করে দাও। এরপর আমি আবূ হুরায়রার নিকট গেলাম। এ সময় আবূ বকর আবদুর রহমানের সাথে ছিলেন। আবদুর রহমান এ নিয়ে আবূ হুরায়রার সঙ্গে আলোচনা করলেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেন, তোমার নিকট তাঁরা উভয়েই কি এ কথা বলেছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ, তাঁরা উভয়েই এ কথা বলেছেন। তখন আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেন, বস্তুত তাঁরাই সর্বাধিক অবগত।
তারপর আবূ হুরায়রা (রাঃ) তাঁর এ কথাটিকে ফযল ইবনু আব্বাসের প্রতি সম্পর্কিত করে বললেন আমি এ কথাটি ফযলের (ইবনু আব্বাস) থেকে শুনেছিলাম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনিনি। রাবী বলেন এরপর আবূ হুরায়রা (রাঃ) এ বিষয়ে তাঁর মত পরিবর্তন করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আবদুল মালিককে জিজ্জাসা করলাম। তারা রমযানের কথা বলেছে কি? তিনি বললেন হ্যাঁ, অনুরূপই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাবাত অবস্থায় ভোর করতেন যা স্বপ্নদোষের কারণে হত না (বরং স্ত্রীমিলনের কারণে হত) এরপর সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করতেন।
باب صِحَّةِ صَوْمِ مَنْ طَلَعَ عَلَيْهِ الْفَجْرُ وَهُوَ جُنُبٌ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ، بْنُ رَافِعٍ - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ بْنُ هَمَّامٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ، بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، - رضى الله عنه - يَقُصُّ يَقُولُ فِي قَصَصِهِ مَنْ أَدْرَكَهُ الْفَجْرُ جُنُبًا فَلاَ يَصُمْ . فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ - لأَبِيهِ - فَأَنْكَرَ ذَلِكَ . فَانْطَلَقَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَانْطَلَقْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ - رضى الله عنهما - فَسَأَلَهُمَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ عَنْ ذَلِكَ - قَالَ - فَكِلْتَاهُمَا قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ غَيْرِ حُلُمٍ ثُمَّ يَصُومُ - قَالَ - فَانْطَلَقْنَا حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى مَرْوَانَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ . فَقَالَ مَرْوَانُ عَزَمْتُ عَلَيْكَ إِلاَّ مَا ذَهَبْتَ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فَرَدَدْتَ عَلَيْهِ مَا يَقُولُ - قَالَ - فَجِئْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ وَأَبُو بَكْرٍ حَاضِرُ ذَلِكَ كُلِّهِ - قَالَ - فَذَكَرَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَهُمَا قَالَتَاهُ لَكَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ هُمَا أَعْلَمُ . ثُمَّ رَدَّ أَبُو هُرَيْرَةَ مَا كَانَ يَقُولُ فِي ذَلِكَ إِلَى الْفَضْلِ بْنِ الْعَبَّاسِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ سَمِعْتُ ذَلِكَ مِنَ الْفَضْلِ وَلَمْ أَسْمَعْهُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ فَرَجَعَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَمَّا كَانَ يَقُولُ فِي ذَلِكَ . قُلْتُ لِعَبْدِ الْمَلِكِ أَقَالَتَا فِي رَمَضَانَ قَالَ كَذَلِكَ كَانَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ غَيْرِ حُلُمٍ ثُمَّ يَصُومُ .
Abu Bakr (he is Abu Bakr b. Abd al-Rahman b. Harith) reported:
I heard Abu Huraira (Allah be pleased with him) narrating that he who is overtaken by dawn in a state of seminal emission should not observe fast. I made a mention of it to 'Abd al-Rahman b. Harith (i. e. to his father) but he denied it. 'Abd al-Rahman went and I also went along with him till we came to'A'isha and Umm Salama (Allah be pleased with both of them) and Abd al-Rahman asked them about it. Both of them said: (At times it so happened) that the Messenger of Allah (ﷺ) woke up in the morning in a state of junub (but without seminal emission in a dream) and observed fast He (the narrator) said: We then proceeded till we went to Marwan and Abd al-Rahman made a mention of it to him. Upon this Marwan said: I stress upon you (with an oath) that you better go to Abu Huraira and refer to him what is said about it. So we came to Abu Huraira and Abu Bakr had been with us throughout and 'Abd al-Rahman made a mention of it to him, whereupon Abu Huraira said: Did they (the two wives of the Holy Prophet) tell you this? He replied: Yes Upon this (Abu Huraira) said: They have better knowledge. Abu Huraira then attributed that what was said about it to Fadl b. 'Abbas and said: I heard it from Fadl and not from the Messenger of Allah (ﷺ). Abu Huraira then retracted from what he used to say about it. Ibn Juraij (one of the narrators) reported: I asked 'Abd al-Malik, if they (the two wives) said (made the statement) in regard to Ramadan, whereupon he said: It was so, and he (the Holy Prophet) (woke up in the) morning in a state of junub which was not due to the wet dream and then observed fast.
পরিচ্ছেদঃ ১৩. জানাবাত অবস্থায় কারো প্রভাত হলে তার সাওম শুদ্ধ হবে
২৪৬২। হারূন ইবনু সাঈদ আয়লী (রহঃ) ... আবূ বকর (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা মারওয়ান তাকে উম্মু সালামা (রাঃ) এর-নিকট পাঠালেন ঐ ব্যাক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য যার জানাবাতের অবস্থায় ভোর হলো, সে সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করতে পারবে কি? তিনি বললেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জানাবাত অবস্থায় ভোর হত যা স্ত্রী সহবাসের কারণে হত, স্বপ্নদোষের কারণে নয়। এরপর তিনি রোযা ভাঙতেন না এবং সাওমের কাযাও করতেন না।
باب صِحَّةِ صَوْمِ مَنْ طَلَعَ عَلَيْهِ الْفَجْرُ وَهُوَ جُنُبٌ
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، - وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ - عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبٍ الْحِمْيَرِيِّ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ مَرْوَانَ أَرْسَلَهُ إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ - رضى الله عنها - يَسْأَلُ عَنِ الرَّجُلِ يُصْبِحُ جُنُبًا أَيَصُومُ فَقَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ لاَ مِنْ حُلُمٍ ثُمَّ لاَ يُفْطِرُ وَلاَ يَقْضِي .
Abu Bakr reported that Marwan sent him to Umm Salama to ask whether a person should observe fast who is in a state of junub and the dawn breaks upon him, whereupon she said that the Messenger of Allah (ﷺ) (was at times) junbi on account of intercourse and not due to sexual dream, and the dawn broke upon him, but he neither broke the fast nor recompensed.
পরিচ্ছেদঃ ৪. পূর্বে অবিবাহিতা ও বিবাহিতা স্ত্রী বাসর ঘর উদযাপনের পর স্বামীর সাথে থাকার ব্যাপারে কি পরিমাণ সময় লাভের অধিকারিণী হবে
৩৪৯১। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবূ বকর ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উম্মু সালামা (রাঃ) কে বিয়ে করলেন এবং তিনি (উম্মু সালামা) (বাসর রাত যাপনের পরে) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট থাকা অবস্থায় যখন সকাল হল তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তোমার প্রতি তোমার স্বামীর কোন অনাদর অনাগ্রহ নেই। তুমি চাইলে তোমার কাছে সাত দিন (একাধারে) অবস্থান করব এবং তুমি চাইলে তিনদিন করব, কিন্তু এরপর (পালা করে) পরিক্রমা করব। উম্মু সালামা (রাঃ) বললেন, তিন দিন (অবস্থান) করুন।
باب قَدْرِ مَا تَسْتَحِقُّهُ الْبِكْرُ وَالثَّيِّبُ مِنْ إِقَامَةِ الزَّوْجِ عِنْدَهَا عَقِبَ الزِّفَافِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ، الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ( عَنْ أَبِيهِ، ) أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ تَزَوَّجَ أَمَّ سَلَمَةَ وَأَصْبَحَتْ عِنْدَهُ قَالَ لَهَا " لَيْسَ بِكِ عَلَى أَهْلِكِ هَوَانٌ إِنْ شِئْتِ سَبَّعْتُ عِنْدَكِ وَإِنْ شِئْتِ ثَلَّثْتُ ثُمَّ دُرْتُ " . قَالَتْ ثَلِّثْ .
Ibn Abu Bakr b. Abd al-Rahman reported that when Allah's Messenger (ﷺ) married Umm Salama and she stayed with him (during the night), and it was dawn, he (the Holy Prophet) said to her:
There is no lack of estimation for you on the part of your husband. So if you desire I can spend a week with you, and if you like I may spend three (nights). and then I will visit you in turn. She said: Spend three (nights).
পরিচ্ছেদঃ ৪. পূর্বে অবিবাহিতা ও বিবাহিতা স্ত্রী বাসর ঘর উদযাপনের পর স্বামীর সাথে থাকার ব্যাপারে কি পরিমাণ সময় লাভের অধিকারিণী হবে
৩৪৯২। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা কানবী (রহঃ) ... আবূ বকর ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উম্মু সালামা (রাঃ) কে বিয়ে করলেন এবং তাঁর সঙ্গে বাসর যাপনের পর বের হয়ে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন, তখন উম্মু সালামা (রাঃ) তাঁর কাপড় টেনে ধরলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি চাইলে তোমার এখানে (অবস্থানের মেয়াদ) বাড়িয়ে দিব এবং তোমার নামে তা হিসাবে ধরব। (নিয়ম হল নব বিবাহিতা) কুমারীর জন্য সাত দিন ও বিধবার জন্য তিন দিন (প্রাথমিক অধিকার)।
باب قَدْرِ مَا تَسْتَحِقُّهُ الْبِكْرُ وَالثَّيِّبُ مِنْ إِقَامَةِ الزَّوْجِ عِنْدَهَا عَقِبَ الزِّفَافِ
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ عَبْدِ، الرَّحْمَنِ بْنِ حُمَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ تَزَوَّجَ أُمَّ سَلَمَةَ فَدَخَلَ عَلَيْهَا فَأَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ أَخَذَتْ بِثَوْبِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنْ شِئْتِ زِدْتُكِ وَحَاسَبْتُكِ بِهِ لِلْبِكْرِ سَبْعٌ وَلِلثَّيِّبِ ثَلاَثٌ" .
Abu Bakr b. 'Abd al-Rahman reported that when Allah's Messenger (ﷺ) married Umm Salama and he visited her, and when he intended to come out, she caught hold of his cloth. whereupon Allah's Messenger (ﷺ) said:
If you so desire, I can extend the time (of my stay) with you, but then I shall have to calculate the time (that I stay with you and shall have to spend the same time with other wives). For the virgin woman, (her husband has to stay with her) for a week, and for the woman previously married it is three days.
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/ উঠার সময় তাকবীর বলা।
১১৫৯। নাসর ইবনু আলী ও সাওয়ার ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু সাওয়ার (রহঃ) ... আর বকর ইবনু আব্দুর রহমান এবং আবূ সালমা ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর পেছনে সালাত আদায় করেন। যখন তিনি রুকু করলেন তখন তাকবীর বললেন। যখন মাথা উঠালেন তখন বললেন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ তারপর সিজদা দিতে তাকবীর বললেন এবং যখন তাঁর মাথা উঠালেন তখনও তাকবীর বললেন। এরপর এক রাকআতের পর যখন দাঁড়ালেন তখন তাকবীর বললেন। পরে বললেন, যার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ! আমি তোমাদের মধ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে অধিক সামঞ্জস্যশীল। পৃথিবী ত্যাগ করা পর্যন্ত তার সালাত এরূপই ছিল।
أَخْبَرَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَسَوَّارُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَوَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَعَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُمَا صَلَّيَا خَلْفَ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضى الله عنه - فَلَمَّا رَكَعَ كَبَّرَ فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ثُمَّ سَجَدَ وَكَبَّرَ وَرَفَعَ رَأْسَهُ وَكَبَّرَ ثُمَّ كَبَّرَ حِينَ قَامَ مِنَ الرَّكْعَةِ ثُمَّ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَقْرَبُكُمْ شَبَهًا بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا زَالَتْ هَذِهِ صَلاَتُهُ حَتَّى فَارَقَ الدُّنْيَا . وَاللَّفْظُ لِسَوَّارٍ .
It was narrated from Abu Bakr bin 'Abdur-Rahman and from Abu Salamah bin 'Abdur-Rahman that:
They prayed behind Abu Hurairah, may Allah (SWT) be pleased with him, and he when he bowed, he said the Takbir, when he raised his head he said: 'Sami Allahu liman hamidah, Rabbana wa lakal-hamd. Then he prostrated and said the takbir, then he raised his head and said the takbir, then he said the takbir when he stood up following that Rak'ah. Then he said: 'By the One in Whose Hand is my soul, I am the one among you whose prayer most closely resembles that of the Messenger of Allah (ﷺ). And this is how he continued to pray until he left this world."
পরিচ্ছেদঃ ১০/১২৮. সিজদা্য় যাওয়ার সময় তাকবীর বলতে বলতে নত হওয়া।
وَقَالَ نَافِعٌ كَانَ ابْنُ عُمَرَ يَضَعُ يَدَيْهِ قَبْلَ رُكْبَتَيْهِ.
নাফি‘ (রহ.) বলেন, ইবনু ‘উমার (রাযি.) সিজদায় যাওয়ার সময় হাঁটু রাখার পূর্বে হাত রাখতেন।*
৮০৩. আবূ বকর ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহ.) ও আবূ সালামাহ ইবনু ‘আবদুর রহমান (রহ.) হতে বর্ণিত যে, আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) রমাযান মাসের সালাত বা অন্য কোন সময়ের সালাত ফরজ হোক বা অন্য কোন সালাত হোক, দাঁড়িয়ে শুরু করার সময় তাকবীর বলতেন, আবার রুকূ‘তে যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন। অতঃপর (রুকূ‘ হতে উঠার সময়) سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলতেন, সিজদা্য় যাওয়ার পূর্বে رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলতেন। অতঃপর সিজদার জন্য অবনত হবার সময় আল্লাহু আকবার বলতেন। আবার সিজদা্ হতে মাথা উঠানোর সময় তাকবীর বলতেন। অতঃপর (দ্বিতীয়) সিজদায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন এবং সিজদা্ হতে মাথা উঠানোর সময় তাকবীর বলতেন। দু’ রাক‘আত আদায় করে দাঁড়ানোর সময় আবার তাকবীর বলতেন। সালাত শেষ করা পর্যন্ত প্রতি রাক‘আতে এরূপ করতেন। সালাত শেষে তিনি বলতেন, যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! তোমাদের মধ্য হতে আমার সালাত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাতের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। দুনিয়া হতে বিদায় নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাত এ রকমই ছিল। (৭৮৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৬৭)
জেনে রাখুন উটের হাঁটুর পূর্বে হাত রাখার বিষয়ে ব্যতিক্রম হওয়ার কারণ হচ্ছে এই যে, সে সর্ব প্রথম হাঁটু রাখে এবং তার হাঁটু হাতের মধ্যে হয়ে থাকে। দেখুন ‘লিসানুল আরব’ ও অন্যান্য অভিধান গ্রন্থ, ত্বাহাবি ‘মুশকিলুল আ-ছা-র’ ও ‘শারহু মা’য়ানিল আ-ছার’ গ্রন্থে এরূপ কথাই উল্লেখ করছেন। ইমাম ক্বাসিম সরক্বসত্বী রাহিমাহুল্লাহ-ও ‘গরীবুল হাদিছে’ (২/৭০/১-২) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে সহিহ সনদে বর্ণনা করেছেন যে, আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের কেউ পলাতক উটের ন্যায় যেন অবতরণ না করে ।” ইমাম ক্বাসিম বলেনঃ এটা সিজদার ব্যাপারে বলা হচ্ছে যে, পূর্ণ ধীরতা ও পরযায়ক্রমতা বজায় না রেখে বিচলিত উটের ন্যায় নিজেকে নিক্ষেপ না করে এবং ধীরস্থিরতার সাথে অবতরণ করে। প্রথমে হস্তদ্বয় রাখবে অতঃপর হাঁটুদ্বয় রাখবে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা সম্বলিত একটি হাদিছও বর্ণিত হয়েছে। অতঃপর উপরোল্লিখিত হাদীছ উল্লেখ করেন। ইব্নুল কাইয়িম এমন এক মন্তব্য করেছেনঃ যেটা বিবেক সম্মত নয় এবং ভাষাবিদগণও এই ব্যাখ্যার সাথে পরিচিত নন। কিন্তু আমি যেসব প্রমানপঞ্জির দিকে ইঙ্গিত করেছি তা এর প্রতিবাদ করে এবং এছাড়াও আরো অনেক প্রমাণপঞ্জি আছে । (দেখুনঃ নাসিরুদ্দিন আলবানি কৃত নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর “ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি” বঙ্গানুবাদ ও সম্পাদনায়– আকরামুজ্জামান বিন আবদুস সালাম ও আবূ রাশাদ আজমল বিন আবদুন নূর)
بَاب يَهْوِي بِالتَّكْبِيرِ حِينَ يَسْجُدُ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، كَانَ يُكَبِّرُ فِي كُلِّ صَلاَةٍ مِنَ الْمَكْتُوبَةِ وَغَيْرِهَا فِي رَمَضَانَ وَغَيْرِهِ، فَيُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْكَعُ، ثُمَّ يَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ. ثُمَّ يَقُولُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ. قَبْلَ أَنْ يَسْجُدَ، ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ. حِينَ يَهْوِي سَاجِدًا، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَسْجُدُ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ مِنَ الْجُلُوسِ فِي الاِثْنَتَيْنِ، وَيَفْعَلُ ذَلِكَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ حَتَّى يَفْرُغَ مِنَ الصَّلاَةِ، ثُمَّ يَقُولُ حِينَ يَنْصَرِفُ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَقْرَبُكُمْ شَبَهًا بِصَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنْ كَانَتْ هَذِهِ لَصَلاَتَهُ حَتَّى فَارَقَ الدُّنْيَا.
Narrated Abu Bakr bin `Abdur Rahman Ibn Harith bin Hisham and Abu Salama bin `Abdur Rahman:
Abu Huraira used to say Takbir in all the prayers, compulsory and optional -- in the month of Ramadan or other months. He used to say Takbir on standing for prayer and on bowing; then he would say, "Sami`a l-lahu liman hamidah," and before prostrating he would say "Rabbana wa laka lhamd." Then he would say Takbir on prostrating and on raising his head from the prostration, then another Takbir on prostrating (for the second time), and on raising his head from the prostration. He also would say the Takbir on standing from the second rak`a. He used to do the same in every rak`a till he completed the prayer. On completion of the prayer, he would say, "By Him in Whose Hands my soul is! No doubt my prayer is closer to that of Allah's Messenger (ﷺ) than yours, and this was His prayer till he left this world."
পরিচ্ছেদঃ ৩০/২২. নাপাক অবস্থায় সওম পালনকারীর সকাল হওয়া।
১৯২৫-১৯২৬. আবূ বকর ইবনু ‘আবদুর রাহমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং আমার পিতা ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) এবং উম্মু সালামাহ (রাযি.)-এর নিকট গেলাম। (অপর বর্ণনায়) আবুল ইয়ামান (রহ.)...মারওয়ান (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) এবং উম্মু সালামাহ (রাযি.) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, নিজ স্ত্রীর সাথে মিলনজনিত জুনূবী অবস্থায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফজরের সময় হয়ে যেত। তখন তিনি গোসল করতেন এবং সওম পালন করতেন। মারওয়ান (রহ.) ‘আবদুর রাহমান ইবনু হারিস (রহ.)-কে বললেন, আল্লাহর শপথ করে বলছি, এ হাদীস শুনিয়ে তুমি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-কে শঙ্কিত করে দিবে। এ সময় মারওয়ান (রহ.) মাদ্বীনার গভর্নর ছিলেন। আবূ বকর (রহ.) বলেন, মারওয়ান এর কথা ‘আবদুর রাহমান (রহ.) পছন্দ করেননি। রাবী বলেন, এরপর ভাগ্যক্রমে আমরা যুল-হুলাইফাতে একত্রিত হই। সেখানে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর একখন্ড জমি ছিল। ‘আবদুর রাহমান (রহ.) আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-কে বললেন, আমি আপনার নিকট একটি কথা বলতে চাই, মারওয়ান যদি এ বিষয়টি আমাকে কসম দিয়ে না বলতেন, তা হলে আমি তা আপনার সঙ্গে আলোচনা করতাম না। অতঃপর তিনি ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) ও উম্মু সালামাহ (রাযি.)-এর বর্ণিত উক্তিটি উল্লেখ করলেন। ফায্ল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) অনুরূপ একটি হাদীস আমাকে শুনিয়েছেন এবং এ বিষয়ে তিনি সর্বাধিক অবগত। হাম্মাম (রহ.) এবং ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার সূত্রে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, এরূপ ক্ষেত্রে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওম পরিত্যাগ করে খাওয়ার হুকুম দিতেন। প্রথমোক্ত হাদীসটি সনদের দিক হতে বিশুদ্ধ। (১৯২৫-১৯৩০, ১৯৩১) (১৯২৬-১৯৩২, মুসলিম ১৩/১৩, হাঃ ১১০৯, আহমাদ ২৬৬৯২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ১৮০০ )
بَاب الصَّائِمِ يُصْبِحُ جُنُبًا
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بنِ الحَارِثِ بْنِ هِشَامِ بْنِ المُغِيرَةِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ قَالَ كُنْتُ أَنَا وَأَبِي حِينَ دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ ح و حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ الرَّحْمٰنِ أَخْبَرَ مَرْوَانَ أَنَّ عَائِشَةَ وَأُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُدْرِكُهُ الْفَجْرُ وَهُوَ جُنُبٌ مِنْ أَهْلِهِ ثُمَّ يَغْتَسِلُ وَيَصُومُ وَقَالَ مَرْوَانُ لِعَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ الْحَارِثِ أُقْسِمُ بِاللهِ لَتُقَرِّعَنَّ بِهَا أَبَا هُرَيْرَةَ وَمَرْوَانُ يَوْمَئِذٍ عَلَى الْمَدِينَةِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَكَرِهَ ذَلِكَ عَبْدُ الرَّحْمٰنِ ثُمَّ قُدِّرَ لَنَا أَنْ نَجْتَمِعَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ وَكَانَتْ لأَبِي هُرَيْرَةَ هُنَالِكَ أَرْضٌ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمٰنِ لأَبِي هُرَيْرَةَ إِنِّي ذَاكِرٌ لَكَ أَمْرًا وَلَوْلاَ مَرْوَانُ أَقْسَمَ عَلَيَّ فِيهِ لَمْ أَذْكُرْهُ لَكَ فَذَكَرَ قَوْلَ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَ كَذَلِكَ حَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ وَهُنَّ أَعْلَمُ وَقَالَ هَمَّامٌ وَابْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ كَانَ النَّبِيُّ يَأْمُرُ بِالْفِطْرِ وَالأَوَّلُ أَسْنَدُ
Narrated `Aisha and Um Salama:
At times Allah's Messenger (ﷺ) used to get up in the morning in the state of Janaba after having sexual relations with his wives. He would then take a bath and fast.
পরিচ্ছেদঃ ৩০/২২. নাপাক অবস্থায় সওম পালনকারীর সকাল হওয়া।
১৯২৫-১৯২৬. আবূ বকর ইবনু ‘আবদুর রাহমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং আমার পিতা ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) এবং উম্মু সালামাহ (রাযি.)-এর নিকট গেলাম। (অপর বর্ণনায়) আবুল ইয়ামান (রহ.)...মারওয়ান (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) এবং উম্মু সালামাহ (রাযি.) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, নিজ স্ত্রীর সাথে মিলনজনিত জুনূবী অবস্থায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ফজরের সময় হয়ে যেত। তখন তিনি গোসল করতেন এবং সওম পালন করতেন। মারওয়ান (রহ.) ‘আবদুর রাহমান ইবনু হারিস (রহ.)-কে বললেন, আল্লাহর শপথ করে বলছি, এ হাদীস শুনিয়ে তুমি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-কে শঙ্কিত করে দিবে। এ সময় মারওয়ান (রহ.) মাদ্বীনার গভর্নর ছিলেন। আবূ বকর (রহ.) বলেন, মারওয়ান এর কথা ‘আবদুর রাহমান (রহ.) পছন্দ করেননি। রাবী বলেন, এরপর ভাগ্যক্রমে আমরা যুল-হুলাইফাতে একত্রিত হই। সেখানে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর একখন্ড জমি ছিল। ‘আবদুর রাহমান (রহ.) আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-কে বললেন, আমি আপনার নিকট একটি কথা বলতে চাই, মারওয়ান যদি এ বিষয়টি আমাকে কসম দিয়ে না বলতেন, তা হলে আমি তা আপনার সঙ্গে আলোচনা করতাম না। অতঃপর তিনি ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) ও উম্মু সালামাহ (রাযি.)-এর বর্ণিত উক্তিটি উল্লেখ করলেন। ফায্ল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) অনুরূপ একটি হাদীস আমাকে শুনিয়েছেন এবং এ বিষয়ে তিনি সর্বাধিক অবগত। হাম্মাম (রহ.) এবং ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার সূত্রে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, এরূপ ক্ষেত্রে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওম পরিত্যাগ করে খাওয়ার হুকুম দিতেন। প্রথমোক্ত হাদীসটি সনদের দিক হতে বিশুদ্ধ। (১৯২৫=১৯৩০, ১৯৩১) (১৯২৬=১৯৩২, মুসলিম ১৩/১৩, হাঃ ১১০৯, আহমাদ ২৬৬৯২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ১৮০০ )
بَاب الصَّائِمِ يُصْبِحُ جُنُبًا
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بنِ الحَارِثِ بْنِ هِشَامِ بْنِ المُغِيرَةِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ قَالَ كُنْتُ أَنَا وَأَبِي حِينَ دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ ح و حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ الرَّحْمٰنِ أَخْبَرَ مَرْوَانَ أَنَّ عَائِشَةَ وَأُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُدْرِكُهُ الْفَجْرُ وَهُوَ جُنُبٌ مِنْ أَهْلِهِ ثُمَّ يَغْتَسِلُ وَيَصُومُ وَقَالَ مَرْوَانُ لِعَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ الْحَارِثِ أُقْسِمُ بِاللهِ لَتُقَرِّعَنَّ بِهَا أَبَا هُرَيْرَةَ وَمَرْوَانُ يَوْمَئِذٍ عَلَى الْمَدِينَةِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَكَرِهَ ذَلِكَ عَبْدُ الرَّحْمٰنِ ثُمَّ قُدِّرَ لَنَا أَنْ نَجْتَمِعَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ وَكَانَتْ لأَبِي هُرَيْرَةَ هُنَالِكَ أَرْضٌ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمٰنِ لأَبِي هُرَيْرَةَ إِنِّي ذَاكِرٌ لَكَ أَمْرًا وَلَوْلاَ مَرْوَانُ أَقْسَمَ عَلَيَّ فِيهِ لَمْ أَذْكُرْهُ لَكَ فَذَكَرَ قَوْلَ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَ كَذَلِكَ حَدَّثَنِي الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ وَهُنَّ أَعْلَمُ وَقَالَ هَمَّامٌ وَابْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ كَانَ النَّبِيُّ يَأْمُرُ بِالْفِطْرِ وَالأَوَّلُ أَسْنَدُ
Narrated `Aisha and Um Salama:
At times Allah's Messenger (ﷺ) used to get up in the morning in the state of Janaba after having sexual relations with his wives. He would then take a bath and fast.
পরিচ্ছেদঃ ৩০/২৫. সায়িমের গোসল করা।
১৯৩১. আবূ বকর ইবনু ‘আবদুর রহমান হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সঙ্গে রওয়ানা হয়ে ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর নিকট পৌঁছলাম। তিনি বললেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছি, তিনি ইহতিলাম ব্যতীত স্ত্রী সহবাসের কারণে জুনুবী অবস্থায় সকাল পর্যন্ত থেকেছেন এবং এরপর সওম পালন করেছেন। (১৯২৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮০৫)
بَاب اغْتِسَالِ الصَّائِمِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بنِ الحَارِثِ بْنِ هِشَامِ بْنِ المُغِيرَةِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ كُنْتُ أَنَا وَأَبِي فَذَهَبْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ قَالَتْ أَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنْ كَانَ لَيُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلاَمٍ
Narrated Abu Bakr bin `Abdur-Rahman:
My father and I went to `Aisha and she said, "I testify that Allah's Messenger (ﷺ) at times used to get up in the morning in a state of Janaba from sexual intercourse, not from a wet dream and then he would fast that day."
পরিচ্ছেদঃ ৩০/২৫. সায়িমের গোসল করা।
১৯৩২. অতঃপর আমরা উম্মু সালামাহ (রাযি.)-এর নিকট গেলাম। তিনিও অনুরূপ কথাই বললেন। (১৯২৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮০৫ শেষাংশ)
بَاب اغْتِسَالِ الصَّائِمِ
ثُمَّ يَصُومُهُ ثُمَّ دَخَلْنَا عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَتْ مِثْلَ ذَلِكَ
Then he went to Um Salama and she also narrated a similar thing.
পরিচ্ছেদঃ ১৩/১৩. যে ব্যক্তি জুনুবী অবস্থায় ফজর করল তার সওমের কোন ক্ষতি হবে না।
৬৭৭. আবু বাকর ইবনু ’আবদুর রাহমান হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং আমার পিতা ’আয়িশাহ্ (রাঃ) এবং উম্মে সালামাহ (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। (অপর বর্ণনায়) আবুল ইয়ামান (রহ.) ... মারওয়ান (রহ.) হতে বর্ণিত। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) এবং উম্মু সালামাহ (রাঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, নিজ স্ত্রীর সাথে মিলনজনিত জুনূবী অবস্থায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ফজরের সময় হয়ে যেত। তখন তিনি গোসল করতেন এবং সওম পালন করতেন।
মারওয়ান (রহঃ) আবদুর রাহমান ইবনু হারিস (রহ.)-কে বললেন, আল্লাহর শপথ করে বলছি, এ হাদীস শুনিয়ে তুমি আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) শঙ্কিত করে দিবে। এ সময় মারওয়ান (রহ.) মদীনার গভর্নর ছিলেন। আবু বাকর (রহ.) বলেন, মারওয়ান (রহ.)-এর কথা ’আবদুর রাহমান (রহ.) পছন্দ করেননি। রাবী বলেন, এরপর ভাগ্যক্রমে আমরা যুল-হুলাইফাতে একত্রিত হই। সেখানে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-এর একখণ্ড জমি ছিল। ’আবদুর রাহমান (রহ.) আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ)-কে বললেন, আমি আপনার নিকট একটি কথা বলতে চাই, মারওয়ান যদি এ বিষয়টি আমাকে কসম দিয়ে না বলতেন, তা হলে আমি তা আপনার সঙ্গে আলোচনা করতাম না। অতঃপর তিনি ’আয়িশাহ্ (রাঃ) ও উম্মু সালামাহ (রাঃ)-এর বর্ণিত উক্তিটি উল্লেখ করলেন। ফাযল ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) অনুরূপ একটি হাদীস আমাকে শুনিয়েছেন এবং এ বিষয়ে তিনি সর্বাধিক অবগত।
حديث عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمنِ بْنِ الْحرِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ الرَّحْمنِ أَخْبَرَ مَرْوَانَ أَنَّ عَائِشَةَ وَأُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُدْرِكُهُ الْفَجْرُ وَهُوَ جُنُبٌ مِنْ أَهْلِهِ، ثُمَّ يَغْتَسِلُ وَيَصُوم
فَقَالَ مَرْوَانُ لِعَبْدِ الرَّحمنِ بْنِ الْحرِثِ: أُقْسِمُ بِاللهِ لَتُقَرِّ عَنَّ بِهَا أَبَا هُرَيْرَةَ، وَمَرْوَان يَوْمَئِذٍ عَلَى الْمَدِينَةِ؛ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: فَكَرِهَ ذلِكَ عَبْدُ الرَّحْمنِ ثُمَّ قُدِّرَ لَنَا أَنْ نَجْتَمِعَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ، وَكَانَتْ لأَبِي هُرَيْرَةَ هُنَالِكَ أَرْضٌ، فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمنِ لأَبِي هرَيْرَةَ إِنِّي ذَاكِرٌ لَكَ أَمْرًا، وَلَوْلاَ مَرْوَانُ أَقْسَمَ عَلَيَّ فِيهِ لَمْ أَذْكرْهُ لَكَ فَذَكَرَ قَوْلَ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ؛ فَقَالَ: كَذلِكَ حَدَّثَنِي الْفَضْلُ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَهُوَ أَعْلَمُ
পরিচ্ছেদঃ ৪০. প্রত্যেক বার ঝুঁকে যাওয়া ও উঠার হওয়ার সময় তাকবীর বলা
১২৮০. আবী বাকর ইবনু আব্দুর রহমান ও আবী সালামাহ রাহি. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তারা দু’জন আবী হুরাইরা রা: এর পিছনে সালাত আদায় করলেন। তিনি রুকু’ করার সময় তাকবীর বললেন, আবার যখন (রুকু’ হতে) মাথা উঠালেন তখন ’সামি’আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বললেন, অতঃপর ’রব্বানা লাকাল হামদ’ বললেন। তারপর তিনি সাজদা করার সময় তাকবীর বললেন, এরপর (সিজদাহ হতে) মাথা উঠানোর সময়ও তাকবীর বললেন। আবার যখন দ্বিতীয় রাকা’আত (শেষে) উঠে দাঁড়ালেন, তখনও তাকবীর বললেন। (এভাবে সালাত শেষ করে) তারপর তিনি বললেন, সেই মহান সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! তোমাদের চেয়ে আমার (সালাত) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের (সালাতের) সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণের আগ পর্যন্ত তাঁর সালাত এরূপই ছিল।[1]
তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৭৮৫; সহীহ মুসলিম ৩৯২; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৯৪৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭৬৬, ১৭৬৭, ১৭৯৭।
بَاب التَّكْبِيرِ عِنْدَ كُلِّ خَفْضٍ وَرَفْعٍ
أَخْبَرَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَعَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُمَا صَلَّيَا خَلْفَ أَبِي هُرَيْرَةَ فَلَمَّا رَكَعَ كَبَّرَ فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ثُمَّ قَالَ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ثُمَّ سَجَدَ وَكَبَّرَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَكَبَّرَ ثُمَّ كَبَّرَ حِينَ قَامَ مِنْ الرَّكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لَأَقْرَبُكُمْ شَبَهًا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا زَالَ هَذِهِ صَلَاتُهُ حَتَّى فَارَقَ الدُّنْيَا
পরিচ্ছেদঃ ১০. সালাতের মধ্যে ঝুঁকে পড়ার সময় এবং সোজা হয়ে উঠার সময় 'আল্লাহু আকবার’ বলতে হবে, কিন্তু রুকু থেকে উঠার সময় “সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলতে হবে
৭৫৪-(২৮/...) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ (রহঃ) ..... আবূ বকর ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সালাতে দাঁড়াতেন ’আল্লাহু আকবার’ বলে সালাত শুরু করতেন। তিনি তাকবীর বলে রুকু’তে যেতেন। তিনি রুকু থেকে পিঠ সোজা করে দাঁড়ানাের সময় سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ (যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করেন আল্লাহ তার কথা শুনে থাকেন) বলতেন। অতঃপর দাঁড়ানো অবস্থায় رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ (হে আল্লাহ! তোমার জন্য সমস্ত প্রশংসা) বলতেন। তিনি তাকবীর সিজদা থেকে মাথা তোলার সময়ও তাকবীর বলতেন। প্রত্যেক রাক’আতে সালাত শেষ করা পর্যন্ত তিনি এরূপই করতেন। দ্বিতীয় রাকাআতে বসার পর ওঠার সময়ও তিনি তাকবীর বলতেন। অতঃপর আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) বললেন, আমি তোমাদের সবার তুলনায় অধিক পরিমাণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুরূপ সালাত আদায় করতে পারি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৫২, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৬৫)
باب إِثْبَاتِ التَّكْبِيرِ فِي كُلِّ خَفْضٍ وَرَفْعٍ فِي الصَّلاَةِ إِلاَّ رَفْعَهُ مِنَ الرُّكُوعِ فَيَقُولُ فِيهِ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُولُ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . حِينَ يَرْفَعُ صُلْبَهُ مِنَ الرُّكُوعِ ثُمَّ يَقُولُ وَهُوَ قَائِمٌ " رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَهْوِي سَاجِدًا ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَسْجُدُ ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْفَعُ رَأْسَهُ ثُمَّ يَفْعَلُ مِثْلَ ذَلِكَ فِي الصَّلاَةِ كُلِّهَا حَتَّى يَقْضِيَهَا وَيُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ مِنَ الْمَثْنَى بَعْدَ الْجُلُوسِ ثُمَّ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ إِنِّي لأَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
Abu Huraira reported:
When the Messenger of Allah (ﷺ) got up for prayer, he would say the takbir (Allah-o-Akbar) when standing, then say the takbir when bowing. then say:" Allah listened to him who praised him," when coming to the erect position after bowing, then say while standing:" To Thee, our Lord, be the praise", then recite the takbir when getting down for prostration, then say the takbir on raising his head, then say the takbir on prostrating himself, then say the takbir on raising his head. He would do that throughout the whole prayer till he would complete it, and he would say the takbir when he would get up at the end of two rak'as after adopting the sitting posture. Abu Huraira said: My prayer has the best resemblance amongst you with the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ৪০. লায়লাতুল ক্বদর-এর ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক সময়
২৪৭৯-(৭৫/১১০৯) মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ..... আবূ বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) তার আলোচনায় বললেন, জানাবাত অবস্থায় কারো ভোর হলে তার সওম হবে না। এরপর এ কথাটি আমি আবদুর রহমান ইবনু হারিস (রাযিঃ) এর নিকট বর্ণনা করলাম। কিন্তু তিনি তা অস্বীকার করলেন। তারপর আবদুর রহমান চললেন। আমিও তার সাথে সাথে চললাম। আমরা আয়িশাহ এবং উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) এর নিকট গেলাম। এরপর আবদুর রহমান তাদের উভয়কে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলেন। তারা বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহতিলাম ব্যতিরেকে ও জানাবাতের অবস্থায় ভোর করতেন এবং সওম পালন করতেন। তারপর আমরা মারওয়ানের নিকট আসলাম এবং আবদুর রহমান তার সাথে এ নিয়ে আলোচনা করলেন। এরপর মারওয়ান বললেন, আমি তোমাকে কসম দিয়ে বলছি, তুমি আবূ হুরায়রার নিকট যাও এবং তার কথাটি রদ করে দাও। এরপর আমি আবূ হুরায়রার নিকট গেলাম। এ সময় আবূ বকর (রাযিঃ) ’আবদুর রহমানের সাথে ছিলেন।
আবদুর রহমান এ নিয়ে আবূ হুরায়রার সঙ্গে আলোচনা করলেন। আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) বললেন, তোমার নিকট তারা উভয়েই কি এ কথা বলেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তারা উভয়েই এ কথা বলেছেন। তখন আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) বললেন, বস্তুত তারাই সর্বাধিক অবগত। তারপর আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) তার এ কথাটিকে ফাযল ইবনু আব্বাসের প্রতি সম্পর্কিত করে বললেন, আমি এ কথাটি ফাযলের (ইবনু আব্বাস) থেকে শুনেছিলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনিনি। রাবী বলেন, এরপর আবূ হুরায়রাহ্ (রাযিঃ) এ বিষয়ে তার মত পরিবর্তন করেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আবদুল মালিককে জিজ্ঞেস করলাম, তারা রমযানের কথা বলেছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ অনুরূপই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহতিলাম ব্যতিরেকেও জানাবাত অবস্থায় ভোর করতেন। এরপর সওম পালন করতেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৫৬, ইসলামীক সেন্টার ২৪৫৫)
باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ، بْنُ رَافِعٍ - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ بْنُ هَمَّامٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ، بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، - رضى الله عنه - يَقُصُّ يَقُولُ فِي قَصَصِهِ مَنْ أَدْرَكَهُ الْفَجْرُ جُنُبًا فَلاَ يَصُمْ . فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ - لأَبِيهِ - فَأَنْكَرَ ذَلِكَ . فَانْطَلَقَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَانْطَلَقْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ - رضى الله عنهما - فَسَأَلَهُمَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ عَنْ ذَلِكَ - قَالَ - فَكِلْتَاهُمَا قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ غَيْرِ حُلُمٍ ثُمَّ يَصُومُ - قَالَ - فَانْطَلَقْنَا حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى مَرْوَانَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ . فَقَالَ مَرْوَانُ عَزَمْتُ عَلَيْكَ إِلاَّ مَا ذَهَبْتَ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فَرَدَدْتَ عَلَيْهِ مَا يَقُولُ - قَالَ - فَجِئْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ وَأَبُو بَكْرٍ حَاضِرُ ذَلِكَ كُلِّهِ - قَالَ - فَذَكَرَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَهُمَا قَالَتَاهُ لَكَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ هُمَا أَعْلَمُ . ثُمَّ رَدَّ أَبُو هُرَيْرَةَ مَا كَانَ يَقُولُ فِي ذَلِكَ إِلَى الْفَضْلِ بْنِ الْعَبَّاسِ فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ سَمِعْتُ ذَلِكَ مِنَ الْفَضْلِ وَلَمْ أَسْمَعْهُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ فَرَجَعَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَمَّا كَانَ يَقُولُ فِي ذَلِكَ . قُلْتُ لِعَبْدِ الْمَلِكِ أَقَالَتَا فِي رَمَضَانَ قَالَ كَذَلِكَ كَانَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ غَيْرِ حُلُمٍ ثُمَّ يَصُومُ .
Abu Bakr (he is Abu Bakr b. Abd al-Rahman b. Harith) reported:
I heard Abu Huraira (Allah be pleased with him) narrating that he who is overtaken by dawn in a state of seminal emission should not observe fast. I made a mention of it to 'Abd al-Rahman b. Harith (i. e. to his father) but he denied it. 'Abd al-Rahman went and I also went along with him till we came to'A'isha and Umm Salama (Allah be pleased with both of them) and Abd al-Rahman asked them about it. Both of them said: (At times it so happened) that the Messenger of Allah (ﷺ) woke up in the morning in a state of junub (but without seminal emission in a dream) and observed fast He (the narrator) said: We then proceeded till we went to Marwan and Abd al-Rahman made a mention of it to him. Upon this Marwan said: I stress upon you (with an oath) that you better go to Abu Huraira and refer to him what is said about it. So we came to Abu Huraira and Abu Bakr had been with us throughout and 'Abd al-Rahman made a mention of it to him, whereupon Abu Huraira said: Did they (the two wives of the Holy Prophet) tell you this? He replied: Yes Upon this (Abu Huraira) said: They have better knowledge. Abu Huraira then attributed that what was said about it to Fadl b. 'Abbas and said: I heard it from Fadl and not from the Messenger of Allah (ﷺ). Abu Huraira then retracted from what he used to say about it. Ibn Juraij (one of the narrators) reported: I asked 'Abd al-Malik, if they (the two wives) said (made the statement) in regard to Ramadan, whereupon he said: It was so, and he (the Holy Prophet) (woke up in the) morning in a state of junub which was not due to the wet dream and then observed fast.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. ইহরামের প্রকারভেদ, ইফরাদ, কিরান ও তামাত্তু হাজের জন্য ইহরাম বাধা জায়িয, একত্রে উমরাহ ও হাজের ইহরাম বাধাও জায়িয এবং কিরান হাজ পালনকারী কখন ইহরামমুক্ত হবে
২৮২৬-(১৩৫/১২১২) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলেন আয়িশাহ (রাযিঃ) কে (বাহনে) তার পিছনে বসিয়ে তান’ঈম নিয়ে যাবার জন্য— যাতে তিনি তাকে (তানঈম থেকে) উমরাহ করান। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ২৮০৩, ইসলামীক সেন্টার ২৮০১)
باب بَيَانِ وُجُوهِ الإِحْرَامِ وَأَنَّهُ يَجُوزُ إِفْرَادُ الْحَجِّ وَالتَّمَتُّعِ وَالْقِرَانِ وَجَوَازِ إِدْخَالِ الْحَجِّ عَلَى الْعُمْرَةِ وَمَتَى يَحِلُّ الْقَارِنُ مِنْ نُسُكِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، أَخْبَرَهُ عَمْرُو بْنُ أَوْسٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ أَنْ يُرْدِفَ عَائِشَةَ فَيُعْمِرَهَا مِنَ التَّنْعِيمِ .
Abd al-Rahman b. Abu Bakr reported that the Messenger of Allah (ﷺ) ordered him to mount A'isha behind him and enable her to (enter into the state of Ihram for 'Umra) at Tan'im.
পরিচ্ছেদঃ ১২. বাসর ঘর উদযাপনের পর স্ত্রী বাকিরা বা সায়্যিবা হলে স্বামীর সাথে থাকার ব্যাপারে কী পরিমাণ সময় লাভের অধিকারিণী
৩৫১৪-(৪২/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আবূ বকর ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) কে বিয়ে করলেন এবং তিনি (উম্মু সালামাহ) (রাত যাপনের পরে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট থাকা অবস্থায় যখন সকাল হল তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তোমার প্রতি তোমার স্বামীর কোন অনাদর অনাগ্রহ নেই। তুমি চাইলে তোমার কাছে সাতদিন (একাধারে) অবস্থান করব এবং তুমি চাইলে তিনদিন করব, এরপর (পালা করে) পরিক্রমা করব। উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) বললেন, তিনদিন (অবস্থান) করুন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৪৮৭, ইসলামীক সেন্টার ৩৪৮৬)
باب قَدْرِ مَا تَسْتَحِقُّهُ الْبِكْرُ وَالثَّيِّبُ مِنْ إِقَامَةِ الزَّوْجِ عِنْدَهَا عَقِبَ الزِّفَافِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ، الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ( عَنْ أَبِيهِ، ) أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ تَزَوَّجَ أَمَّ سَلَمَةَ وَأَصْبَحَتْ عِنْدَهُ قَالَ لَهَا " لَيْسَ بِكِ عَلَى أَهْلِكِ هَوَانٌ إِنْ شِئْتِ سَبَّعْتُ عِنْدَكِ وَإِنْ شِئْتِ ثَلَّثْتُ ثُمَّ دُرْتُ " . قَالَتْ ثَلِّثْ .
Ibn Abu Bakr b. Abd al-Rahman reported that when Allah's Messenger (ﷺ) married Umm Salama and she stayed with him (during the night), and it was dawn, he (the Holy Prophet) said to her:
There is no lack of estimation for you on the part of your husband. So if you desire I can spend a week with you, and if you like I may spend three (nights). and then I will visit you in turn. She said: Spend three (nights).
পরিচ্ছেদঃ ১২. বাসর ঘর উদযাপনের পর স্ত্রী বাকিরা বা সায়্যিবা হলে স্বামীর সাথে থাকার ব্যাপারে কী পরিমাণ সময় লাভের অধিকারিণী
৩৫১৫-(.../...) আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামাহ আল কা’নবী (রহঃ) ..... আবূ বকর ইবনু আবদুর রহমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) কে বিয়ে করলেন এবং তার সঙ্গে বাসর যাপনের পর বের হয়ে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন, তখন উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) তার কাপড় টেনে ধরলেন। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি চাইলে তোমার এখানে (অবস্থানের মেয়াদ) বাড়িয়ে দিব এবং তোমার নামে তা হিসাবে ধরব। (নিয়ম হল নব বিবাহিতা) কুমারীর জন্য সাতদিন ও বিধবার জন্য তিনদিন (প্রাথমিক অধিকার)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৪৮৮, ইসলামীক সেন্টার ৩৪৮৭)
باب قَدْرِ مَا تَسْتَحِقُّهُ الْبِكْرُ وَالثَّيِّبُ مِنْ إِقَامَةِ الزَّوْجِ عِنْدَهَا عَقِبَ الزِّفَافِ
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ عَبْدِ، الرَّحْمَنِ بْنِ حُمَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ تَزَوَّجَ أُمَّ سَلَمَةَ فَدَخَلَ عَلَيْهَا فَأَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ أَخَذَتْ بِثَوْبِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنْ شِئْتِ زِدْتُكِ وَحَاسَبْتُكِ بِهِ لِلْبِكْرِ سَبْعٌ وَلِلثَّيِّبِ ثَلاَثٌ" .
Abu Bakr b. 'Abd al-Rahman reported that when Allah's Messenger (ﷺ) married Umm Salama and he visited her, and when he intended to come out, she caught hold of his cloth. whereupon Allah's Messenger (ﷺ) said:
If you so desire, I can extend the time (of my stay) with you, but then I shall have to calculate the time (that I stay with you and shall have to spend the same time with other wives). For the virgin woman, (her husband has to stay with her) for a week, and for the woman previously married it is three days.