লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪. যে ব্যক্তির জানাবত (গোসল ফরয হওয়া) অবস্থায় ফজর হয় সেই ব্যক্তির রোযা
রেওয়ায়ত ১১. আবু বকর ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) বলেনঃ আমি ও আমার পিতা মারওয়ানের নিকট ছিলাম, মারওয়ান তখন মদীনার শাসনকর্তা। তাহার নিকট উল্লেখ করা হয় যে, আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন- যে ব্যক্তির জানাবত অবস্থায় ফজর হয়, তাহার সেই দিনের রোযা নষ্ট হইয়াছে। মারওয়ান বলিলেন, হে আবদুর রহমান! আমি তোমাদের কসম দিতেছি যে, তুমি অবশ্যই উম্মুল মুমিনীনদ্বয় আয়েশা (রাঃ) ও উম্মে সালমা (রাঃ)-এর নিকট গমন কর এবং এ বিষয়ে উভয়কে প্রশ্ন কর। অতঃপর আবদুর রহমান গেলেন, আমিও সঙ্গে ছিলাম। আবদুর রহমান তাহাকে সালাম জানাইলেন এবং বলিলেনঃ হে উম্মুল মুমিনীন! আমরা মারওয়ান ইবন হাকামের নিকট ছিলাম, তাহার নিকট আলোচিত হয় যে, আবু হুরায়রা (রাঃ) বলিয়াছেন- যে ব্যক্তির জানাবত অবস্থায় ফজর হইয়াছে সে সেই দিনের রোযা ভঙ্গ করিয়াছে। আয়েশা (রাঃ) বলিলেনঃ আবু হুরায়রা যেমন বলিয়াছেন, (মাসআলা) তেমন নহে। হে আবদুর রহমান! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাহা করিয়াছেন তুমি কি উহা হইতে বিমুখ। হইতে চাও? আবদুর রহমান বলিলেনঃ না, আল্লাহর কসম, (তা হয় না)। আয়েশা (রাঃ) বলিলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ব্যাপারে সাক্ষ্য দিতেছি যে, তিনি স্বপ্লদোষে নহে, সহবাসের কারণে জানাবত অবস্থায় ফজর করিতেন। অতঃপর সেই দিনের রোযা রাখতেন। (রাবী) বলেনঃ তারপর আমরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট হইতে বাহির হইলাম এবং উম্মে সালমা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম এবং এই বিষয়ে তাহাকে প্রশ্ন করিলাম। আয়েশা (রাঃ) যেমন বলিয়াছেন তিনিও তেমন বলিলেন।
অতঃপর আমরা প্রস্থান করিলাম এবং মারওয়ান ইবন হাকামের নিকট উপস্থিত হইলাম। তাহারা উভয়ে যাহা বর্ণনা করিয়াছেন আবদুর রহমান মারওয়ানের নিকট তাহা উল্লেখ করিলেন। অতঃপর মারওয়ান বলিলেনঃ আমি তোমাকে কসম দিতেছি, হে আবু মুহাম্মদ, আমার সওয়ার দরজায় (উপস্থিত) রহিয়াছে, তুমি উহার উপর সওয়ার হইয়া অবশ্যই আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর নিকট গমন কর। তিনি তাহার (নিজস্ব) ভূমিতে আকীক নামক স্থানে অবস্থান করিতেছেন। নিশ্চয়ই এই খবরটি তাহাকে পৌছাইয়া দাও। আবদুর রহমান সওয়ার হইলেন, আমি তাহার সহিত আরোহণ করিলাম।
অতঃপর আমরা আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর নিকট আসিলাম। আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর সহিত আবদুর রহমান কিছুক্ষণ কথা বললেন। তারপর এই বিষয়ে তাহার সহিত আলোচনা করিলেন। ইহার পর আবু হুরায়রা (রাঃ) বলিলেনঃ এই বিষয়ে আমার জানা নাই, আমাকে খবরদাতা খবর দিয়াছেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي صِيَامِ الَّذِي يُصْبِحُ جُنُبًا فِي رَمَضَانَ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ يَقُولُ كُنْتُ أَنَا وَأَبِي عِنْدَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ فَذُكِرَ لَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ مَنْ أَصْبَحَ جُنُبًا أَفْطَرَ ذَلِكَ الْيَوْمَ فَقَالَ مَرْوَانُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ لَتَذْهَبَنَّ إِلَى أُمَّيْ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ فَلْتَسْأَلَنَّهُمَا عَنْ ذَلِكَ فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَذَهَبْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ فَسَلَّمَ عَلَيْهَا ثُمَّ قَالَ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّا كُنَّا عِنْدَ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فَذُكِرَ لَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ مَنْ أَصْبَحَ جُنُبًا أَفْطَرَ ذَلِكَ الْيَوْمَ قَالَتْ عَائِشَةُ لَيْسَ كَمَا قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ أَتَرْغَبُ عَمَّا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لَا وَاللَّهِ قَالَتْ عَائِشَةُ فَأَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلَامٍ ثُمَّ يَصُومُ ذَلِكَ الْيَوْمَ قَالَ ثُمَّ خَرَجْنَا حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَتْ مِثْلَ مَا قَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ فَخَرَجْنَا حَتَّى جِئْنَا مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ فَذَكَرَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ مَا قَالَتَا فَقَالَ مَرْوَانُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ لَتَرْكَبَنَّ دَابَّتِي فَإِنَّهَا بِالْبَابِ فَلْتَذْهَبَنَّ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ فَإِنَّهُ بِأَرْضِهِ بِالْعَقِيقِ فَلْتُخْبِرَنَّهُ ذَلِكَ فَرَكِبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَرَكِبْتُ مَعَهُ حَتَّى أَتَيْنَا أَبَا هُرَيْرَةَ فَتَحَدَّثَ مَعَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ سَاعَةً ثُمَّ ذَكَرَ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ لَهُ أَبُو هُرَيْرَةَ لَا عِلْمَ لِي بِذَاكَ إِنَّمَا أَخْبَرَنِيهِ مُخْبِرٌ
Yahya related to me from Malik from Sumayy, the mawla of Abu Bakr ibn Abd ar-Rahman ibn al-Harith ibn Hisham that he heard Abu Bakr ibn Abd ar-Rahman ibn al-Harith ibn Hisham say, "My father and I were with Marwan ibn al Hakam at the time when he was amir of Madina, and someone mentioned to him that Abu Hurayra used to say, 'If someone begins the morning junub, he has broken the fast for that day.' Marwan said, 'I swear to you, Abdar-Rahman, you must go to the two umm al muminin, A'isha and Umm Salama, and ask them about it.'
''Abd ar-Rahman went to visit A'isha and I accompanied him. He greeted her and then said, 'Umm al-muminin, we were with Marwan ibn al Hakam and someone mentioned to him that Abu Hurayra used to say that if some one had begun the morning junub, he had broken the fast for that day.' A'isha said, 'It is not as Abu Hurayra says Abd ar-Rahman. Do you dislike what the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to do?', and Abd ar-Rahman said, 'No, by Allah.' A'isha said, 'I bear witness that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to get up in the morning junub from intercourse, not a dream, and would then fast for that day.' "
He continued, "Then we went and visited Umm Salama, and Abd ar- Rahman asked her about the same matter and she said the same as A'isha had said. Then we went off until we came to Marwan ibn al-Hakam Abd ar-Rahman told him what they had both said and Marwan said, 'I swear to you, Abu Muhammad, you must use the mount which is at the door, and go to Abu Hurayra, who is on his land at al Aqiq, and tell him this.' So Abd ar-Rahman rode off, and I went with him, until we came to Abu Hurayra. Abd ar-Rahman talked with him for a while, and then mentioned the matter to him, and Abu Hurayra said, 'I don't know anything about it. I was just told that by someone.'"