পরিচ্ছেদঃ ১. জুম'আ দিবসের গোসল
রেওয়ায়ত ১. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি জুম’আর দিন জানাবতের (ফরয) গোসলের মত গোসল করিয়াছে, অতঃপর সূর্য ঢলার পর প্রথম মুহূর্তে (মসজিদের দিকে) চলিয়াছে, সে যেন একটি উট আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে খায়রাত করিয়াছে; আর যে দ্বিতীয় মুহুর্তে একটু পরে চলিয়াছে, সে যেন একটি গাভী খায়রাত করিয়াছে; আর যে তৃতীয় মুহূর্তে আরও পরে চলিয়াছে, সে যেন শিংযুক্ত মেষ খায়রাত করিয়াছে; আর যে চতুর্থ মুহূর্তে অর্থাৎ আরও পরে চলিয়াছে, সে যেন একটি মুরগী খায়রাত করিয়াছে; আর যে পশ্চম মুহূর্তে চলিয়াছে, সে যেন ডিম খায়রাত করিয়াছে। যখন ইমাম বাহির হন তখন ফেরেশতাগণ হাজির হন, যিকর (খুতবা) শোনার জন্য।
كِتَابُ الْجُمُعَةِ بَاب الْعَمَلِ فِي غُسْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ غُسْلَ الْجَنَابَةِ ثُمَّ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الْأُولَى فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَدَنَةً وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الثَّانِيَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَقَرَةً وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الثَّالِثَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ كَبْشًا أَقْرَنَ وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الرَّابِعَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ دَجَاجَةً وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الْخَامِسَةِ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَيْضَةً فَإِذَا خَرَجَ الْإِمَامُ حَضَرَتْ الْمَلَائِكَةُ يَسْتَمِعُونَ الذِّكْرَ
Yahya related to me from Malik from Sumayy, the mawla of Abu Bakr ibn Abd ar-Rahman, from Abu Salih as-Sammani from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "If someone does ghusl for major ritual impurity on the day of jumua and then goes in the first part of the time, it is as if he had offered up a camel. If he goes in the second part of the time, it is as if he had offered up a cow. If he goes in the third part of the time, it is as if he had offered up a horned ram. If he goes in the fourth part of the time, it is as if he had offered up a hen. If he goes in the fifth part of the time, it is as if he had offered up an egg. And when the imam comes out, the angels settle down listening to the dhikr (remembrance of Allah)."
পরিচ্ছেদঃ ১. জুম'আ দিবসের গোসল
রেওয়ায়ত ২. মালিক (রহঃ) সাঈদ ইবন আবি সাঈদ (রহঃ) হইতে, তিনি আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলতেন, জুমআর দিনের গোসল জনাবত (ফরয) গোসলের মত, প্রত্যেক বয়স্ক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব।
كِتَابُ الْجُمُعَةِ بَاب الْعَمَلِ فِي غُسْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ غُسْلُ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ كَغُسْلِ الْجَنَابَةِ .
Yahya related to me from Malik from Said ibn Abi Said al-Maqburi that Abu Hurayra used to say, "Doing ghusl as prescribed for major ritual impurity is incumbent (wajib) on the day of jumua on every male who has reached puberty."
পরিচ্ছেদঃ ১. জুম'আ দিবসের গোসল
রেওয়ায়ত ৩. সালিম ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণের একজন (সাহাবী) জুম’আর দিন মসজিদে প্রবেশ করিলেন, উমর (রাঃ) খুতবা প্রদান করিতেছিলেন। তিনি [উমর (রাঃ)] বলিলেনঃ ইহা কোন সময়? উত্তরে তিনি (প্রবেশকারী সাহাবী) বললেনঃ হে আমিরুল মু’মিনীন, আমি বাজার হইতে ফিরিয়াছি, (ফিরিবার পূর্বেই) আযান শুনিলাম। অতঃপর কেবল ওযু করিয়াছি। (ইহা শুনিয়া) উমর (রাঃ) বলিলেনঃ আপনি শুধু ওযু করিয়াছেন? অথচ অবগত আছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসলের হুকুম করতেন!
كِتَابُ الْجُمُعَةِ بَاب الْعَمَلِ فِي غُسْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ قَالَ دَخَلَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَسْجِدَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَخْطُبُ فَقَالَ عُمَرُ أَيَّةُ سَاعَةٍ هَذِهِ فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ انْقَلَبْتُ مِنَ السُّوقِ فَسَمِعْتُ النِّدَاءَ فَمَا زِدْتُ عَلَى أَنْ تَوَضَّأْتُ . فَقَالَ عُمَرُ وَالْوُضُوءَ أَيْضًا وَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْمُرُ بِالْغُسْلِ .
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Salim ibn Abdullah said, "One of the companions of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, came into the mosque on the day of jumua and Umar ibn al Khattab was already giving the khutba. Umar said, 'What (kind of) time is this (to arrive)?' He said, Amir al- muminin, I returned from the market and heard the call to prayer, so I did no more than do wudu.' Umar said, 'You only did wudu as well? You know that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to tell people to do ghusl.'
পরিচ্ছেদঃ ১. জুম'আ দিবসের গোসল
রেওয়ায়ত ৪. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, জুম’আর দিনের গোসল প্রত্যেক সাবালক ব্যক্তির উপর ওয়াজিব।
كِتَابُ الْجُمُعَةِ بَاب الْعَمَلِ فِي غُسْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ غُسْلُ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ
Yahya related to me from Malik from Safwan ibn Sulaym from Ata ibn Yasar from Abu Said al-Khudri that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Ghusl on the day of jumua is incumbent on every male who has reached puberty."
পরিচ্ছেদঃ ১. জুম'আ দিবসের গোসল
রেওয়ায়ত ৫. আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, তোমাদের কেউ জুম’আর নামাযে আসিতে ইচ্ছা করিলে সে অবশ্য গোসল করিবে।
মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন, জুম’আর দিন যে ব্যক্তি দিনের প্রারম্ভে গোসল করিয়াছে, সে ঐ গোসলে জুম’আর গোসলের নিয়ত করিয়াছে, তাহার জন্য সেই গোসল জুম’আর জন্য যথেষ্ট হইবে না যদি না সে জুম’আয় যাওয়ার জন্য পুনরায় গোসল করে; কারণ ইবন উমর (রাঃ)-এর হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেনঃ তোমাদের কেউ জুম’আয় আসার ইচ্ছা করিলে সে অবশ্যই গোসল করিবে।
মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি জুম’আ দিবসে গোসল করিয়াছে, তাড়াতাড়ি অথবা বিলম্বে, সে এই গোসলের দ্বারা জুম’আর গোসলের নিয়ত করিয়াছে; পরে ওযু যাহাতে ভঙ্গ হয় এমন কিছু ঘটিয়াছে তবে তাহার পূর্বেকার গোসল যথেষ্ট হইরে এবং তাহার উপর কেবলমাত্র ওযু ওয়াজিব হইবে।
كِتَابُ الْجُمُعَةِ بَاب الْعَمَلِ فِي غُسْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ الْجُمُعَةَ فَلْيَغْتَسِلْ
قَالَ مَالِك مَنْ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَوَّلَ نَهَارِهِ وَهُوَ يُرِيدُ بِذَلِكَ غُسْلَ الْجُمُعَةِ فَإِنَّ ذَلِكَ الْغُسْلَ لَا يَجْزِي عَنْهُ حَتَّى يَغْتَسِلَ لِرَوَاحِهِ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ الْجُمُعَةَ فَلْيَغْتَسِلْ قَالَ مَالِك وَمَنْ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مُعَجِّلًا أَوْ مُؤَخِّرًا وَهُوَ يَنْوِي بِذَلِكَ غُسْلَ الْجُمُعَةِ فَأَصَابَهُ مَا يَنْقُضُ وُضُوءَهُ فَلَيْسَ عَلَيْهِ إِلَّا الْوُضُوءُ وَغُسْلُهُ ذَلِكَ مُجْزِئٌ عَنْهُ
Yahya related to me from Malik from Nafi from Ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "When you come to jumua, do ghusl."
Malik said, "It is not enough for someone to do a ghusl on the day of jumua and intend by it the ghusl for jumua unless he does the ghusl and then sets off. That is because the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said in the hadith related by Ibn Umar, 'When you come to jumua, do ghusl .' "
Malik said, "If someone does ghusl on the day of jumua and intends by it the ghusl of the day of jumua and then sets out, whether early or late, and does something which breaks his wudu, he only has to do wudu and his ghusl remains valid for him."
পরিচ্ছেদঃ ২. জুম'আ দিবসে ইমামের খুতবা পাঠ করার সময় চুপ থাকার বিষয়ে যাহা বর্ণিত হইয়াছে
রেওয়ায়ত ৬. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ জুম’আর দিন ইমাম যখন খুতবা প্রদান করেন, তুমি তোমার সথীকে (পার্শ্ববর্তী লোক) যদি বল, চুপ থাকুন, তবে তুমি অলাভজনক কথা বললে।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْإِنْصَاتِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا قُلْتَ لِصَاحِبِكَ أَنْصِتْ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَدْ لَغَوْتَ
Yahya related to me from Malik from Abu'z Zinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Even saying to your companion 'Listen' while the imam is giving the khutba on the day of jumua, is to speak foolishly."
পরিচ্ছেদঃ ২. জুম'আ দিবসে ইমামের খুতবা পাঠ করার সময় চুপ থাকার বিষয়ে যাহা বর্ণিত হইয়াছে
রেওয়ায়ত ৭. ইবন শিহাব (রহঃ) সা’লাবা ইবন আবি মালিক কুরাজী (রহঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি (সা’লাবা) তাহার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর খিলাফতকালে জুম’আর দিন তাহারা উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) আগমন করা পর্যন্ত নামায পড়িতেন। উমর (রাঃ) আগমন করিতেন এবং মিম্বরে বসিতেন এবং মুয়াযযিনগণ আযান দিতেন। সা’লাবা (রহঃ) বলিয়াছেনঃ আমরা তখনও পরস্পর কথাবার্তা বলিতাম, মুয়াযযিনগণ যখন আযান শেষ করিতেন এবং উমর (রাঃ) খুতবা পাঠ করার জন্য দাঁড়াইতেন, তখন আমরা চুপ হইয়া যাইতাম। অতঃপর পরে কেউ কোন কথা বলিত না। ইবন শিহাব (রহঃ) বলিয়াছেনঃ (ইহাতে বোঝা গেল) ইমামের আগমন নামাযকে নিষিদ্ধ করিয়া দেয় এবং তাহার কালাম (খুতবা) কথাবার্তাকে নিষিদ্ধ করিয়া দেয়।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْإِنْصَاتِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ الْقُرَظِيِّ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّهُمْ كَانُوا فِي زَمَانِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يُصَلُّونَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ حَتَّى يَخْرُجَ عُمَرُ فَإِذَا خَرَجَ عُمَرُ وَجَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَأَذَّنَ الْمُؤَذِّنُونَ قَالَ ثَعْلَبَةُ جَلَسْنَا نَتَحَدَّثُ فَإِذَا سَكَتَ الْمُؤَذِّنُونَ وَقَامَ عُمَرُ يَخْطُبُ أَنْصَتْنَا فَلَمْ يَتَكَلَّمْ مِنَّا أَحَدٌ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَخُرُوجُ الْإِمَامِ يَقْطَعُ الصَّلَاةَ وَكَلَامُهُ يَقْطَعُ الْكَلَامَ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Thalaba ibn Abi Malik al Quradhi informed him that in the time of Umar ibn al Khattab they used to pray on the day of jumua until Umar came out, and when Umar came out and sat on the mimbar and the muadhdhins called the adhan, they would sit and talk, and then when the muadhdhins were silent and Umar stood to give the khutba, they would pay attention and no-one would speak .
Ibn Shihab said, "The imam coming out stops prayer and his speaking stops conversation."
পরিচ্ছেদঃ ২. জুম'আ দিবসে ইমামের খুতবা পাঠ করার সময় চুপ থাকার বিষয়ে যাহা বর্ণিত হইয়াছে
রেওয়ায়ত ৮. মালিক ইবন আবি আমীর (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উসমান ইবন আফফান (রাঃ) তাহার খুতবায় বলিতেন এবং তিনি যখনই খুতবা দিতেন, তখন প্রায় ইহা বলিতেনঃ জুম’আর দিন ইমাম খুতবার উদ্দেশ্যে যখন দাঁড়ান, তখন তোমরা মনোযোগী হইয়া শুনিবে এবং নীরব থাকিবে। কেননা খুতবা শুনিতে না পাইয়াও যিনি নীরব রহিয়াছেন তাহার জন্য সওয়াব হইবে শুনিতে পাইয়া নীরবতা অবলম্বনকারীর সমান। অতঃপর যখন নামাযের ইকামত বলা হয়, কাতার বরাবর করিয়া লও এবং কাঁধে কাঁধ মিলাইয়া লও। কেননা কাতার বরাবর করা নামাযের পূর্ণতার অংশবিশেষ। তারপর যতক্ষণ কাতার সোজা করার জন্য নিযুক্ত লোকজন আসিয়া ’সফ’ সোজা হইয়াছে বলিয়া সংবাদ না দিতেন, ততক্ষণ তিনি (নামাযের) তকবীর বলিতেন না।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْإِنْصَاتِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَبِي عَامِرٍ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ كَانَ يَقُولُ فِي خُطْبَتِهِ قَلَّ مَا يَدَعُ ذَلِكَ إِذَا خَطَبَ إِذَا قَامَ الْإِمَامُ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَاسْتَمِعُوا وَأَنْصِتُوا فَإِنَّ لِلْمُنْصِتِ الَّذِي لَا يَسْمَعُ مِنْ الْحَظِّ مِثْلَ مَا لِلْمُنْصِتِ السَّامِعِ فَإِذَا قَامَتْ الصَّلَاةُ فَاعْدِلُوا الصُّفُوفَ وَحَاذُوا بِالْمَنَاكِبِ فَإِنَّ اعْتِدَالَ الصُّفُوفِ مِنْ تَمَامِ الصَّلَاةِ ثُمَّ لَا يُكَبِّرُ حَتَّى يَأْتِيَهُ رِجَالٌ قَدْ وَكَّلَهُمْ بِتَسْوِيَةِ الصُّفُوفِ فَيُخْبِرُونَهُ أَنْ قَدْ اسْتَوَتْ فَيُكَبِّرُ
Yahya related to me from Malik from Abu'n Nadr, the mawla of Umar ibn Ubaydullah, from Malik ibn Abi Amir that Uthman ibn Affan used to say in khutbas, and he would seldom omit it if he was giving the khutba, "When the imam stands delivering the khutba on the day of jumua, listen and pay attention, for there is the same portion for someone who pays attention but cannot hear as for someone who pays attention and hears. And when the iqama of the prayer is called, straighten your rows and make your shoulders adjacent to each other, because the straightening of the rows is part of the completion of the prayer." Then he would not say the takbir until some men who had been entrusted with straightening the rows came and told him that they were straight. Then he would say the takbir.
পরিচ্ছেদঃ ২. জুম'আ দিবসে ইমামের খুতবা পাঠ করার সময় চুপ থাকার বিষয়ে যাহা বর্ণিত হইয়াছে
রেওয়ায়ত ৯. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) দুই ব্যক্তিকে আলাপরত দেখিলেন, তখন জুম’আর দিন এবং ইমাম খুতবা প্রদান করিতেছিলেন। ইহা দেখিয়া তিনি উভয়ের দিকে কাঁকর নিক্ষেপ করিলেন, এই মর্মে— তোমরা চুপ হইয়া যাও।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْإِنْصَاتِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَأَى رَجُلَيْنِ يَتَحَدَّثَانِ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَحَصَبَهُمَا أَنِ اصْمُتَا
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar saw two men talking while the imam was giving the khutba on the day of jumua and he threw pebbles at them to tell them to be quiet.
পরিচ্ছেদঃ ২. জুম'আ দিবসে ইমামের খুতবা পাঠ করার সময় চুপ থাকার বিষয়ে যাহা বর্ণিত হইয়াছে
রেওয়ায়ত ১০. মালিক (রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, (একবার) জুম’আর দিন এক ব্যক্তি হাঁচি দিয়াছে, তখন ইমাম খুতবা পড়িতেছিলেন, তাহার পার্শ্ববর্তী এক ব্যক্তি হাঁচির উত্তরে ’ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলিল, তখন সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। অতঃপর তাহাকে নিষেধ করিলেন এবং ভবিষ্যতে এইরূপ না করার জন্য বলিয়া দিলেন।
মালিক (রহঃ) বলেন, জুম’আর দিন (তাকবীর বলার পূর্বে) যখন ইমাম মিম্বর হইতে অবতরণ করেন, তখন কথা বলা সম্পর্কে তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে প্রশ্ন করিলেন (উত্তরে) ইবন শিহাব (রহঃ) বললেনঃ ইহাতে কোন দোষ নাই।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْإِنْصَاتِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلاً، عَطَسَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالإِمَامُ يَخْطُبُ فَشَمَّتَهُ إِنْسَانٌ إِلَى جَنْبِهِ فَسَأَلَ عَنْ ذَلِكَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ فَنَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ وَقَالَ لاَ تَعُدْ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنِ الْكَلاَمِ، يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذَا نَزَلَ الإِمَامُ عَنِ الْمِنْبَرِ، قَبْلَ أَنْ يُكَبِّرَ، . فَقَالَ ابْنُ شِهَابٍ لاَ بَأْسَ بِذَلِكَ
Yahya related to me from Malik that he had heard that a man sneezed on the day of jumua while the imam was giving the khutba, and a man by his side asked Allah to bless him. Said ibn al Musayyab was asked about it and he forbade the man to do what he had done and said, "Don't do it again."
Yahya related to me from Malik that he asked Ibn Shihab about talking in the jumua after the imam had come down from the mimbar but before he had said the takbir. Ibn Shihab said, "There is no harm in that."
পরিচ্ছেদঃ ৩. যে ব্যক্তি জুম'আর দিনে এক রাক’আত পায় তাহার কি করা কর্তব্য
রেওয়ায়ত ১১. মালিক (রহঃ) হইতে বর্ণিত, ইবন শিহাব (রহঃ) বলিলেনঃ যে ব্যক্তি জুম’আর নামায এক রাকাআত পাইল, সে উক্ত রাকাআতের সহিত আর এক রাকাআত মিলাইয়া লইবে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইবন শিহাব (রহঃ) বলিয়াছেন, এইরূপ করাই সুন্নত।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন, আমি আমাদের শহরের (অর্থাৎ মদীনা) উলামার অভিমতও অনুরূপ পাইয়াছি; তাহা এই- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের এক রাকাআত পাইয়াছে, সে (পূর্ণ) নামায পাইয়াছে।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বর্ণনা করেন, মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি জুম’আর দিন অত্যধিক ভিড়ের সম্মুখীন হয় এবং রুকু করে, অতঃপর ইমাম (সিজদা হইতে) দাঁড়াইবার পর অথবা নামায সমাপ্ত করার পর সিজদা করিতে সক্ষম হয়, তাহার হুকুম হইল- সে যদি সিজদা করিতে সক্ষম হয় তবে সিজদা করার পর মুসল্লিগণ দাঁড়াইয়া গেলে তখন সে সিজদা করিবে, আর যদি ইমাম কর্তৃক নামায শেষ করার পূর্বে সে সিজদা করিতে না পারে, তবে আমার মতে যোহরের চারি রাক’আত আরম্ভ করাই তাহার পক্ষে শ্রেয়।
بَاب مَا جَاءَ فِيمَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ مَنْ أَدْرَكَ مِنْ صَلَاةِ الْجُمُعَةِ رَكْعَةً فَلْيُصَلِّ إِلَيْهَا أُخْرَى قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَهِيَ السُّنَّةُ
قَالَ مَالِك وَعَلَى ذَلِكَ أَدْرَكْتُ أَهْلَ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَدْرَكَ مِنْ الصَّلَاةِ رَكْعَةً فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يُصِيبُهُ زِحَامٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَيَرْكَعُ وَلَا يَقْدِرُ عَلَى أَنْ يَسْجُدَ حَتَّى يَقُومَ الْإِمَامُ أَوْ يَفْرُغَ الْإِمَامُ مِنْ صَلَاتِهِ أَنَّهُ إِنْ قَدَرَ عَلَى أَنْ يَسْجُدَ إِنْ كَانَ قَدْ رَكَعَ فَلْيَسْجُدْ إِذَا قَامَ النَّاسُ وَإِنْ لَمْ يَقْدِرْ عَلَى أَنْ يَسْجُدَ حَتَّى يَفْرُغَ الْإِمَامُ مِنْ صَلَاتِهِ فَإِنَّهُ أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ يَبْتَدِئَ صَلَاتَهُ ظُهْرًا أَرْبَعًا
Yahya related to me from Malik that Ibn Shihab used to say, "Some one who catches a raka of the jumua prayer should pray another one with it." Ibn Shihab said, "That is the sunna."
Malik said, "I saw the people of knowledge in our city doing that. That is because the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Whoever catches a raka of the prayer has caught the prayer.' "
Malik said, concerning some one who was in a crowd on the day of jumua and did the ruku but was not able to go into sajda until the imam had risen or finished his prayer, "If he is able to do the sajda and has already done the ruku then he should do the sajda when the people stand up. If he is unable to do thesajda until after the imam has finished the prayer, then I prefer that he begins the prayeragain and does the four rakas of dhuhr."
পরিচ্ছেদঃ ৪. জুম'আর দিনে যাহার নক্সীর হয় তাহার সম্পর্কে যাহা বর্ণিত হইয়াছে
রেওয়ায়ত ১২. ইয়াহইয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ জুম’আর দিন ইমামের খুতবা প্রদানের সময় যাহার নকসীর হইয়াছে, তারপর সে (মসজিদ হইতে) বাহির হইয়া গিয়াছে এবং সে প্রত্যাগমন করিয়াছে এমন সময় যখন ইমাম নামায সমাপ্ত করিয়াছেন, তবে সে চার রাকাআত পড়িবে।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি জুম’আর দিন ইমামের সহিত এক রাকাআত পড়ে, তারপর তার নকসীর হয়, (সে কারণে) সে বাহির হইয়া যায়, অতঃপর ইমাম কর্তৃক দুই রাকাআত সমাপ্ত করার পর সে ফিরিয়া আসে তবে সেই ব্যক্তি আর এক রাকাআত পড়িয়া নিবে, যদি কোন কথা না বলিয়া থাকে।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন ; যাহার নকসীর হইয়াছে অথবা মসজিদ হইতে বাহির হওয়ার জন্য কোন কারণ উপস্থিত হইয়াছে, তবে তাহাকে বাহির হওয়ার জন্য ইমামের অনুমতি গ্রহণ করিতে হইবে না।
بَاب مَا جَاءَ فِيمَنْ رَعَفَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
قَالَ مَالِك مَنْ رَعَفَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ فَخَرَجَ فَلَمْ يَرْجِعْ حَتَّى فَرَغَ الْإِمَامُ مِنْ صَلَاتِهِ فَإِنَّهُ يُصَلِّي أَرْبَعًا قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يَرْكَعُ رَكْعَةً مَعَ الْإِمَامِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ يَرْعُفُ فَيَخْرُجُ فَيَأْتِي وَقَدْ صَلَّى الْإِمَامُ الرَّكْعَتَيْنِ كِلْتَيْهِمَا أَنَّهُ يَبْنِي بِرَكْعَةٍ أُخْرَى مَا لَمْ يَتَكَلَّمْ قَالَ مَالِك لَيْسَ عَلَى مَنْ رَعَفَ أَوْ أَصَابَهُ أَمْرٌ لَا بُدَّ لَهُ مِنْ الْخُرُوجِ أَنْ يَسْتَأْذِنَ الْإِمَامَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ
Malik said, "Someone who has a nosebleed on the day of jumua while the imam is giving the khutba and he leaves and does not come back until the imam has finished the prayer, should pray four rakas.''
Malik said that someone who prayed a raka with the imam on the day of jumua, then had a nosebleed and left and came back and the imam had prayed both rakas, should complete the prayer with another raka as long as he had not spoken.
Malik said, "If some one has a nosebleed, or something happens to him and he has no alternative but to leave, he does not have to ask permission of the imam if he wants to leave on the day of jumua."
পরিচ্ছেদঃ ৫. জুম'আর দিন সা’ঈ বা চেষ্টা করা সম্পর্কে যাহা বর্ণিত হইয়াছে
রেওয়ায়ত ১৩. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে আল্লাহ্ পাকের এই বাণী সম্পর্কে প্রশ্ন করিয়াছেনঃ[1]
(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ)
ইবন শিহাব (রহঃ) বলিয়াছেনঃ উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) উক্ত আয়াতকে এইরূপ পড়িতেন,
(إِذَا نُودِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَامْضُوا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ)
যখন জুম’আর নামাযের আযান দেওয়া হয় তখন খুতবা ও নামাযের জন্য গমন কর।
ইয়াহুইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ কিতাবুল্লাহতে উল্লিখিত সাঈ’-এর অর্থ হইল আমল ও কাজ (দৃষ্টান্তস্বরূপ তিনি উল্লেখ করিয়াছেন যেমন) আল্লাহ পাক ইরশাদ করিয়াছেনঃ[2] (وَإِذَا تَوَلَّى سَعَى فِي الأَرْضِ) আরও ইরশাদ করা হইয়াছেঃ[3] (وَأَمَّا مَنْ جَاءَكَ يَسْعَى وَهُوَ يَخْشَى) আরও ইরশাদ করিয়াছেনঃ[4] (ثُمَّ أَدْبَرَ يَسْعَى) ইরশাদ করা হইয়াছেঃ[5] (إِنَّ سَعْيَكُمْ لَشَتَّى)
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন, আল্লাহ্ তা’আলা স্বীয় কিতাবে যে সাঈ’-এর কথা উল্লেখ করিয়াছেন তাহা দ্বারা পায়ে দৌড়ান, দ্রুত গমন অথবা হাঁটা উদ্দেশ্য নহে উদ্দেশ্য হইতেছে কাজ ও বাস্তবায়ন ।
بَاب مَا جَاءَ فِي السَّعْيِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ فَقَالَ ابْنُ شِهَابٍ كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَقْرَؤُهَا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَامْضُوا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ
قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا السَّعْيُ فِي كِتَابِ اللَّهِ الْعَمَلُ وَالْفِعْلُ يَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَإِذَا تَوَلَّى سَعَى فِي الْأَرْضِ وَقَالَ تَعَالَى وَأَمَّا مَنْ جَاءَكَ يَسْعَى وَهُوَ يَخْشَى وَقَالَ ثُمَّ أَدْبَرَ يَسْعَى وَقَالَ إِنَّ سَعْيَكُمْ لَشَتَّى قَالَ مَالِك فَلَيْسَ السَّعْيُ الَّذِي ذَكَرَ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ بِالسَّعْيِ عَلَى الْأَقْدَامِ وَلَا الْاشْتِدَادَ وَإِنَّمَا عَنَى الْعَمَلَ وَالْفِعْلَ
[2] যখন সে প্রস্থান করে তখন সে পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টির এবং শস্যক্ষেত্রে ও জীব-জন্তুর বংশ নিপাতের চেষ্টা করে। (বাকারাঃ ২০৫)
[3] অন্যপক্ষে যে তোমার নিকট ছুটিয়া আসে, আর সে সশংকচিত্ত। (সূরা আবাসা ৮, ৯)
[4] অতঃপর সে পশ্চাত ফিরিয়া প্রতিবিধানে সচেষ্ট হইল। (সূরা আন নাযিয়াতঃ ২২)
[5] অবশ্যই তোমাদের কর্ম-প্রচেষ্টা বিভিন্ন প্রকৃতির। (সূরা আল-লাইলঃ ৪)
Yahya related to me from Malik that he had asked Ibn Shihab about the word of Allah, the Majestic, the Mighty, "O you who accept, when the call is made for the prayer on the day of jumua, make haste to the remembrance of Allah."(Sura 62 ayat 9). Ibn Shihab said, ''Umar ibn al-Khattab used to recite, 'When the call is made for the prayer on the day of jumua, go to the remembrance of Allah.' "
Malik said, "Making haste in the Book of Allah is only deed and action. Allah the Blessed, the Exalted, says 'and when he turns away, he acts in the land' (Sura 2 ayat 205), and He, the Exalted, said, 'and as for the one who comes to you acting with fear' (Sura 80 ayat 8), and He said, 'then he turned his back, and acted' (Sura 79 ayat 22),and He said, 'Your deeds are diverse' " (Sura 92 ayat 4). Malik said, "Thus making haste which Allah mentions in His Book is not running on the feet or exertion. It only means deed and actions."
পরিচ্ছেদঃ ৬. জুম'আর দিন প্রবাসে ইমাম কোন গ্রামে পদার্পণ করিলে
রেওয়ায়ত ১৪. ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ ইমাম যদি সফরে এমন কোন লোকালয়ে অবতরণ করেন, যে লোকালয়ের নিবাসীদের উপর জুম’আ ওয়াজিব হয়, তারপর তিনি সেইখানে খুতবা প্রদান করেন এবং লোকালয়ের লোকজনকে লইয়া জুম’আ কায়েম করেন, তবে সেই জনপদের এবং তাহাদের বাহিরের লোকজন সেই ইমামের সহিত জুম’আ’ আদায় করিবে।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন, যদি মুসাফির ইমাম এইরূপ জনপদে জুম’আ কায়েম করেন, যেই জনপদে জুম’আ ওয়াজিব নহে, তবে সেই ইমাম, উক্ত জনপদের বাসিন্দাগণ এবং উহার বাহিরের লোকজন যাহাদের সহিত তিনি জুম’আ পড়িয়াছেন, কাহারও জুম’আ’ আদায় হইবে না। সেই লোকালয়ের লোকজন এবং অন্যান্যের (মুসল্লিদের) মধ্যে যাহারা মুসাফির নহেন তাহারা তাহাদের নামায পুরা পড়িবেন।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন, মুসাফিরের উপর জুম’আ ওয়াজিব নহে।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْإِمَامِ يَنْزِلُ بِقَرْيَةٍ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِي السَّفَرِ
قَالَ مَالِك إِذَا نَزَلَ الْإِمَامُ بِقَرْيَةٍ تَجِبُ فِيهَا الْجُمُعَةُ وَالْإِمَامُ مُسَافِرٌ فَخَطَبَ وَجَمَّعَ بِهِمْ فَإِنَّ أَهْلَ تِلْكَ الْقَرْيَةِ وَغَيْرَهُمْ يُجَمِّعُونَ مَعَهُ قَالَ مَالِك وَإِنْ جَمَّعَ الْإِمَامُ وَهُوَ مُسَافِرٌ بِقَرْيَةٍ لَا تَجِبُ فِيهَا الْجُمُعَةُ فَلَا جُمُعَةَ لَهُ وَلَا لِأَهْلِ تِلْكَ الْقَرْيَةِ وَلَا لِمَنْ جَمَّعَ مَعَهُمْ مِنْ غَيْرِهِمْ وَلْيُتَمِّمْ أَهْلُ تِلْكَ الْقَرْيَةِ وَغَيْرُهُمْ مِمَّنْ لَيْسَ بِمُسَافِرٍ الصَّلَاةَ قَالَ مَالِك وَلَا جُمُعَةَ عَلَى مُسَافِرٍ
Malik said, "If the imam stops off on a journey in a town where jumua is obligatory and he gives a khutba and takes the jumua prayer for them, then the people of the town and any other people present do the jumua prayer with him."
Malik said, "If the imam gathers people for prayer while he is travelling in a town where the jumua prayer is not obligatory, then there is no jumua for him, nor for the people of the town, nor for anyone else who joins them for the prayer in congregation, and the people of the town and anyone else who is not travelling should complete the prayer."
Malik added, "A traveller does not have to do jumua "
পরিচ্ছেদঃ ৭. জুম'আ দিবসের (দু’আ কবুলিয়তের) মুহূর্তটির বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১৫. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুম’আ দিবসের উল্লেখ করলেন, (সেই প্রসঙ্গে) তিনি বলিয়াছেনঃ এই দিবসে এমন এক মুহূর্ত রহিয়াছে কোন মুসলিম বান্দা নামাযে দণ্ডায়মান অবস্থায়, সেই মুহূর্তটির সদ্ব্যবহার করিলে তখন যদি সে আল্লাহ তা’আলা হইতে কোন বস্তুর সওয়াল করে, তবে আল্লাহ তাহাকে সেই বস্তু প্রদান করবেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় হস্ত দ্বারা ইঙ্গিত করিলেন সেই সময়টির স্বল্পতা বুঝাইবার জন্য।
بَاب مَا جَاءَ فِي السَّاعَةِ الَّتِي فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ
حدثني يحيى عن مالك عن أبي الزناد عن الأعرج عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم ذكر يوم الجمعة فقال فيه ساعة لا يوافقها عبد مسلم وهو قائم يصلي يسأل الله شيئا إلا أعطاه إياه وأشار رسول الله صلى الله عليه وسلم بيده يقللها
Yahya related to me from Malik from Abu'z Zinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, mentioned the day of jumua and said, "There is a time in it when Allah gives to a muslim slave standing in prayer whatever he asks for," and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, indicated with his hand how small it was.
পরিচ্ছেদঃ ৭. জুম'আ দিবসের (দু’আ কবুলিয়তের) মুহূর্তটির বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১৬. আবু সালমা ইবন আবদির রহমান (রহঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন- তিনি বলিয়াছেনঃ আমি (সিনাই) পর্বতের দিকে গমন করিলাম, সেখানে কা’ব আহবার (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাত করিলাম এবং তাহার সাথে বসিলাম। তারপর তিনি তাওরাত হইতে আমার নিকট বর্ণনা করিলেন, আমি তাহাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস বর্ণনা করিলাম। আমি তাহার নিকট যাহা বর্ণনা করিলাম তাহাতে ইহাও ছিল যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেন- দিবসগুলির (মধ্যে যাহাতে সূর্যের উদয় হয়) জুম’আর দিনই সর্বোত্তম। সেইদিনই আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হইয়াছে, সেইদিনই তাঁহাকে (জান্নাত হইতে) বাহির করা হইয়াছে, সেই দিবসেই তাহার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হইয়াছে, সেই দিবসেই তিনি মৃত্যুবরণ করিয়াছেন এবং সেই (জুম’আর) দিনেই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হইবে। এমন কোন প্রাণী নাই, যে প্রাণী জুম’আর দিন ভোরবেলা হইতে সূর্যোদয় পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার ভয়ে চিৎকার না করে। সেই দিবসে একটি মুহূর্ত রহিয়াছে কোন মুসলিম বান্দা সেই মুহূর্তটিতে নামায পড়া অবস্থায় আল্লাহর নিকট কোন বস্তুর প্রার্থনা করিলে অবশ্যই তিনি তাহাকে উহা প্রদান করিবেন। কাব বলিলেনঃ ইহা প্রতি বৎসরে একদিন। তখন আমি বলিলামঃ বরং প্রতি জুম’আয়। অতঃপর কাব তাওরাত পাঠ করিলেন এবং বলিলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঠিক বলিয়াছেন।
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলিলেনঃ আমি অতঃপর বসরায় ইবন আবি বাসরা গিফারীর সাথে সাক্ষাৎ করিলাম। তিনি বলিলেনঃ কোথা হইতে আগমন করিলে? (উত্তরে) আমি বলিলামঃ তুর’ হইতে। তারপর তিনি বলিলেনঃ সেখানে গমনের পূর্বে যদি আমি তোমাকে পাইতাম, তবে তোমার যাওয়াই হইত না। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনটি মসজিদ ব্যতীত (অন্য কোন স্থানের জন্য) সওয়ারীর আয়োজন করা যায় না- (১) মসজিদুল হারাম, কাবাগৃহ, (২) আমার এই মসজিদ ও (৩) মসজিদ ইলিয়া বা বায়তুল মুকাদ্দাস। বর্ণনাকারী সংশয় প্রকাশ করিয়াছেন- (অর্থাৎ তৃতীয়টি) তিনি ইলিয়ার মসজিদ অথবা বায়তুল মুকাদ্দাস বলিয়াছেনঃ (ইলিয়া শহরেই বায়তুল মুকাদ্দাস অবস্থিত)।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলিয়াছেনঃ অতঃপর আমি আবদুল্লাহ্ ইবন সালাম (রাঃ)-এর সহিত মিলিত হইলাম এবং কা’ব আহবার এর সাথে আমার বৈঠকের কথা বর্ণনা করিলাম, আর জুম’আর দিন সম্পর্কে যে হাদীস তাহার নিকট বর্ণনা করিয়াছি উহাও বলিলাম। (কথা প্রসঙ্গে) আমি বলিলাম, কাব বলিয়াছেন- ইহা (কবুলিয়াতের মুহূর্ত) বৎসরে একদিন। (ইহা শুনিয়া) আবদুল্লাহ্ ইবন সালাম (রাঃ) বলিলেনঃ কা’ব ঠিক বলেন নাই। অতঃপর আমি বলিলামঃ কা’ব (রাঃ) তাওরাত পাঠ করিয়া বলিলেন, হ্যাঁ, উহা প্রতি জুম’আর দিন। আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ) বলিলেনঃ কা’ব (এইবার) সত্য বলিয়াছেন। আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ) জিজ্ঞাসা করিলেনঃ সেই মুহুর্তটি কোন মুহূর্ত তুমি জান কি? আবু হুরায়রা (রাঃ) বলিলেনঃ আমি তাহাকে বলিলামঃ আপনি আমাকে সেই মুহুর্তটির কথা বলিয়া দিন। এই বিষয়ে আপনি কৃপণতা করবেন না। অতঃপর আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ) বললেনঃ ইহা জুম’আর দিনের শেষ সময়। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলিলেনঃ আমি বলিলাম, উহা জুম’আ দিবসের শেষ মুহুর্তে কিরূপে হইতে পারে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, “নামাযের হালতে কোন মুসলিম বান্দা উক্ত মুহুর্তের সাক্ষাৎ লাভ করিলে.....” অথচ দিবসের শেষ মুহূর্তে নামায পড়া যায় না। তারপর আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি (ইহা) বলেন নাই, যে ব্যক্তি কোন স্থানে বসিয়া নামাযের অপেক্ষা করিবে সে যেমন নামাযেই রহিয়াছে, যতক্ষণ সে নামায সমাপ্ত না করে? আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ আমি বলিলাম, হ্যাঁ। তিনি বলিলেনঃ তবে উহা তাহাই।
بَاب مَا جَاءَ فِي السَّاعَةِ الَّتِي فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ خَرَجْتُ إِلَى الطُّورِ فَلَقِيتُ كَعْبَ الْأَحْبَارِ فَجَلَسْتُ مَعَهُ فَحَدَّثَنِي عَنْ التَّوْرَاةِ وَحَدَّثْتُهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَ فِيمَا حَدَّثْتُهُ أَنْ قُلْتُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ أُهْبِطَ مِنْ الْجَنَّةِ وَفِيهِ تِيبَ عَلَيْهِ وَفِيهِ مَاتَ وَفِيهِ تَقُومُ السَّاعَةُ وَمَا مِنْ دَابَّةٍ إِلَّا وَهِيَ مُصِيخَةٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مِنْ حِينِ تُصْبِحُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ شَفَقًا مِنْ السَّاعَةِ إِلَّا الْجِنَّ وَالْإِنْسَ وَفِيهِ سَاعَةٌ لَا يُصَادِفُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ يُصَلِّي يَسْأَلُ اللَّهَ شَيْئًا إِلَّا أَعْطَاهُ إِيَّاهُ قَالَ كَعْبٌ ذَلِكَ فِي كُلِّ سَنَةٍ يَوْمٌ فَقُلْتُ بَلْ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ فَقَرَأَ كَعْبٌ التَّوْرَاةَ فَقَالَ صَدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَلَقِيتُ بَصْرَةَ بْنَ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيَّ فَقَالَ مِنْ أَيْنَ أَقْبَلْتَ فَقُلْتُ مِنْ الطُّورِ فَقَالَ لَوْ أَدْرَكْتُكَ قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ إِلَيْهِ مَا خَرَجْتَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا تُعْمَلُ الْمَطِيُّ إِلَّا إِلَى ثَلَاثَةِ مَسَاجِدَ إِلَى الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِلَى مَسْجِدِي هَذَا وَإِلَى مَسْجِدِ إِيلِيَاءَ أَوْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ يَشُكُّ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ثُمَّ لَقِيتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلَامٍ فَحَدَّثْتُهُ بِمَجْلِسِي مَعَ كَعْبِ الْأَحْبَارِ وَمَا حَدَّثْتُهُ بِهِ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَقُلْتُ قَالَ كَعْبٌ ذَلِكَ فِي كُلِّ سَنَةٍ يَوْمٌ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ كَذَبَ كَعْبٌ فَقُلْتُ ثُمَّ قَرَأَ كَعْبٌ التَّوْرَاةَ فَقَالَ بَلْ هِيَ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ صَدَقَ كَعْبٌ ثُمَّ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ قَدْ عَلِمْتُ أَيَّةَ سَاعَةٍ هِيَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُلْتَ لَهُ أَخْبِرْنِي بِهَا وَلَا تَضَنَّ عَلَيَّ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ هِيَ آخِرُ سَاعَةٍ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ وَكَيْفَ تَكُونُ آخِرَ سَاعَةٍ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُصَادِفُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ يُصَلِّي وَتِلْكَ السَّاعَةُ سَاعَةٌ لَا يُصَلَّى فِيهَا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ جَلَسَ مَجْلِسًا يَنْتَظِرُ الصَّلَاةَ فَهُوَ فِي صَلَاةٍ حَتَّى يُصَلِّيَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ بَلَى قَالَ فَهُوَ ذَلِكَ
Yahya related to me from Malik from Yazid ibn Abdullah ibn al-Had from Muhammad ibn Ibrahim ibn al-Harith at-Taymi from Abu Salama ibn Abd ar-Rahman ibn Awf that Abu Hurayra said, "I went out to at-Tur (Mount Sinai) and met Kab al Ahbar and sat with him. He related to me things from the Tawrah and I related to him things from the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace. Among the things I related to him was that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'The best of days on which the sun rises is the day of jumua. In it Adam was created, and in it he fell from the Garden. In it he was forgiven, and in it he died. In it the Hour occurs, and every moving thing listens from morning till sunset in apprehension of the Hour except jinn and men. In it is a time when Allah gives toa muslim slave standing in prayer whatever he asks for.' Kab said, 'That is one day in every year.' I said, 'No, in every jumua.' Then Kab recited the Tawrah and said, 'The Messenger of Allah has spoken the truth.' "
Abu Hurayra continued, "I met Basra ibn Abi Basra al-Ghiffari and he said, 'Where have you come from?' I said, 'From at-Tur.' He said, 'If I had seen you before you left, you would not have gone. I heard the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, say, "Only make a special journey to three mosques:
the mosque of the Haram (Makka), this mosque (Madina), and the mosque of Ilya or the Bait al-Maqdis (two names of Jerusalem)." ' " (He was not sure which expression was used.)
Abu Hurayra continued, "Then I met Abdullah ibn Salam and I told him that I had sat with Kabal-Ahbar, and I mentioned what I had related to him about the day of jumua, and told him that Kab had said, 'That is one day in every year.' Abdullah ibn Salam said, 'Kab lied,' and I added, 'Kab then recited the Tawrah and said, "No, it is in every jumua.'' ' Abdullah ibn Salam said, 'Kab spoke the truth. 'Then Abdullah ibn Salam said, 'I know what time that is.' "
Abu Hurayra continued, "I said to him, 'Let me know it - don't keep it from me.' Abdullah ibn Salam said, 'It is the last period of time in the dayof jumua.' "
Abu Hurayra continued, "I said, 'How can it be the last period of time in the day of jumua, when the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "a muslim slave standing in prayer", and that is a time when there is no prayer?' Abdullah ibn Salam replied, 'Didn't the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, say, "Whoever sits waiting for the prayer is in prayer until he prays?" "'
Abu Hurayra added, "I said, 'Of course.' He said, 'Then it is that.' "
পরিচ্ছেদঃ ৮. জুম'আর দিনের পোশাক-পরিচ্ছদ, ঘাড়ের উপর দিয়া যাতায়াত করা, ইমামের দিকে মুখ করিয়া বসা সম্পৰ্কীয় আহকাম
রেওয়ায়ত ১৭. মালিক (রহঃ) ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ তোমাদের কেউ তাহার নিত্যব্যবহার্য কাপড় ব্যতীত জুম’আর জন্য দুইটি কাপড় তৈয়ার করিয়া রাখিলে ইহাতে কোন দোষ নাই।
নাফি (রহঃ) হইতে বর্ণিত, ইহরাম অবস্থায় না থাকিলে আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) তেল ও খুশবু না লাগাইয়া জুম’আয় গমন করিতেন না।
بَاب الْهَيْئَةِ وَتَخَطِّي الرِّقَابِ وَاسْتِقْبَالِ الْإِمَامِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا عَلَى أَحَدِكُمْ لَوْ اتَّخَذَ ثَوْبَيْنِ لِجُمُعَتِهِ سِوَى ثَوْبَيْ مَهْنَتِهِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ لَا يَرُوحُ إِلَى الْجُمُعَةِ إِلَّا ادَّهَنَ وَتَطَيَّبَ إِلَّا أَنْ يَكُونَ حَرَامًا
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that he had heard that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "There is nothing wrong in wearing two garments which are not work-clothes for jumua."
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar would never go to jumua without wearing oil and perfume except when it was forbidden (i.e. when he was muhrim).
পরিচ্ছেদঃ ৮. জুম'আর দিনের পোশাক-পরিচ্ছদ, ঘাড়ের উপর দিয়া যাতায়াত করা, ইমামের দিকে মুখ করিয়া বসা সম্পৰ্কীয় আহকাম
রেওয়ায়ত ১৮. আবদুল্লাহ্ ইবন আবি বকর ইবন হাযম (রহঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণনাকারী জনৈক রাবী হইতে বর্ণনা করেন- তিনি (আবু হুরায়রা) বলতেনঃ তোমাদের কাহারও যাহরুল হাররা তে নামায পড়া ইহা হইতে ভাল যে, সে বসিয়া থাকিবে অর্থাৎ সময় থাকিতে নামাযের জন্য মসজিদে যাইবে না। অতঃপর ইমাম যখন জুম’আর দিন খুতবা দিতে দাঁড়াইবেন তখন (তাড়াহুড়া করিয়া যাওয়ার সময়) সে মানুষের ঘাড়ে পা রাখিয়া যাইবে।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ ইমাম যে সময় খুতবা পাঠ করিতে ইচ্ছা করেন সে সময় লোকজনের ইমামের দিকে মুখ করিয়া বসাটাই আমাদের নিকট সুন্নত, তাহাদের মধ্যে যাহারা কিবলার দিকে মুখ করিয়া আছে অথবা যাহারা কিবলার দিকে মুখ করিয়া বসে নাই, সকলেই ইমামের দিকে মুখ করিবে।
بَاب الْهَيْئَةِ وَتَخَطِّي الرِّقَابِ وَاسْتِقْبَالِ الْإِمَامِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ عَمَّنْ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ لَأَنْ يُصَلِّيَ أَحَدُكُمْ بِظَهْرِ الْحَرَّةِ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَقْعُدَ حَتَّى إِذَا قَامَ الْإِمَامُ يَخْطُبُ جَاءَ يَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ قَالَ مَالِك السُّنَّةُ عِنْدَنَا أَنْ يَسْتَقْبِلَ النَّاسُ الْإِمَامَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَخْطُبَ مَنْ كَانَ مِنْهُمْ يَلِي الْقِبْلَةَ وَغَيْرَهَا
Yahya related to me from Malik from Nafi from Abdullah ibn Abi Bakr ibn Hazm from whoever related it to him that Abu Hurayra used to say, "It is better for a man to pray on the surface of al Harra (a rocky area in Madina) than for him to wait until the imam stands to give the khutba and then come and step over people's necks."
Malik said, "The sunna with us is that the people face the imam on the day of jumua when he intends to give the khutba, whether they are near the qibla or elsewhere.
পরিচ্ছেদঃ ৯. জুম’আর নামাযে কিরা’আত, হাঁটু উঠাইয়া পাছার উপর বসা এবং কোন প্রকার ওযর ব্যতীত জুম’আ না পড়া সম্পর্কীয় আহকাম
রেওয়ায়ত ১৯. যাহহাক ইবন কায়স (রহঃ) নুমান ইবন বশীর (রাঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করিয়াছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুম’আর দিন সূরা জুম’আর পর কোন সূরা তিলাওয়াত করিতেন? তিনি বললেনঃ (هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ) পাঠ করতেন।
بَاب الْقِرَاءَةِ فِي صَلَاةِ الْجُمُعَةِ وَالْاحْتِبَاءِ وَمَنْ تَرَكَهَا مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ سَعِيدٍ الْمَازِنِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ سَأَلَ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ مَاذَا كَانَ يَقْرَأُ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ عَلَى إِثْرِ سُورَةِ الْجُمُعَةِ قَالَ كَانَ يَقْرَأُ هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ
Yahya related to me from Malik from Damra ibn Said al-Mazini from Ubaydullah ibn Abdullah ibn Utba ibn Masud that ad-Dahhak ibn Qays asked an-Numan ibn Bashir, "What did the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, use to recite on the day of jumua after suratal-Jumua (Sura 62)?" He said, "He used to recite al-Ghashiya (Sura 88).
পরিচ্ছেদঃ ৯. জুম’আর নামাযে কিরা’আত, হাঁটু উঠাইয়া পাছার উপর বসা এবং কোন প্রকার ওযর ব্যতীত জুম’আ না পড়া সম্পর্কীয় আহকাম
রেওয়ায়ত ২০. মালিক (রহঃ) সাফওয়ান ইবন সুলায়ম (রহঃ) হইতে বর্ণনা করেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন, সাফওয়ান (রহঃ) ইহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে বর্ণনা করিয়াছেন কিনা তাহা আমার জানা নাই। সাফওয়ান (রহঃ) বলিয়াছেন, কোন প্রকার ওযর অথবা রোগ ছাড়া যে ব্যক্তি তিন দফা জুম’আ পড়ে নাই, আল্লাহ্ তাহার হৃদয়ে মোহর ছাপ মারিয়া দিবেন।
بَاب الْقِرَاءَةِ فِي صَلَاةِ الْجُمُعَةِ وَالْاحْتِبَاءِ وَمَنْ تَرَكَهَا مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ قَالَ مَالِك لَا أَدْرِي أَعَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْ لَا أَنَّهُ قَالَ مَنْ تَرَكَ الْجُمُعَةَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ وَلَا عِلَّةٍ طَبَعَ اللَّهُ عَلَى قَلْبِهِ
Yahya related to me from Malik that Safwan ibn Sulaym said, "If anyone omits jumua three times without reason or illness, Allah will set a seal on his heart." (Malik said, "I don't know if it was from the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, or not.")