২৩৫

পরিচ্ছেদঃ ৭. জুম'আ দিবসের (দু’আ কবুলিয়তের) মুহূর্তটির বর্ণনা

রেওয়ায়ত ১৬. আবু সালমা ইবন আবদির রহমান (রহঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন- তিনি বলিয়াছেনঃ আমি (সিনাই) পর্বতের দিকে গমন করিলাম, সেখানে কা’ব আহবার (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাত করিলাম এবং তাহার সাথে বসিলাম। তারপর তিনি তাওরাত হইতে আমার নিকট বর্ণনা করিলেন, আমি তাহাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস বর্ণনা করিলাম। আমি তাহার নিকট যাহা বর্ণনা করিলাম তাহাতে ইহাও ছিল যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেন- দিবসগুলির (মধ্যে যাহাতে সূর্যের উদয় হয়) জুম’আর দিনই সর্বোত্তম। সেইদিনই আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হইয়াছে, সেইদিনই তাঁহাকে (জান্নাত হইতে) বাহির করা হইয়াছে, সেই দিবসেই তাহার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হইয়াছে, সেই দিবসেই তিনি মৃত্যুবরণ করিয়াছেন এবং সেই (জুম’আর) দিনেই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হইবে। এমন কোন প্রাণী নাই, যে প্রাণী জুম’আর দিন ভোরবেলা হইতে সূর্যোদয় পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার ভয়ে চিৎকার না করে। সেই দিবসে একটি মুহূর্ত রহিয়াছে কোন মুসলিম বান্দা সেই মুহূর্তটিতে নামায পড়া অবস্থায় আল্লাহর নিকট কোন বস্তুর প্রার্থনা করিলে অবশ্যই তিনি তাহাকে উহা প্রদান করিবেন। কাব বলিলেনঃ ইহা প্রতি বৎসরে একদিন। তখন আমি বলিলামঃ বরং প্রতি জুম’আয়। অতঃপর কাব তাওরাত পাঠ করিলেন এবং বলিলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঠিক বলিয়াছেন।

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলিলেনঃ আমি অতঃপর বসরায় ইবন আবি বাসরা গিফারীর সাথে সাক্ষাৎ করিলাম। তিনি বলিলেনঃ কোথা হইতে আগমন করিলে? (উত্তরে) আমি বলিলামঃ তুর’ হইতে। তারপর তিনি বলিলেনঃ সেখানে গমনের পূর্বে যদি আমি তোমাকে পাইতাম, তবে তোমার যাওয়াই হইত না। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনটি মসজিদ ব্যতীত (অন্য কোন স্থানের জন্য) সওয়ারীর আয়োজন করা যায় না- (১) মসজিদুল হারাম, কাবাগৃহ, (২) আমার এই মসজিদ ও (৩) মসজিদ ইলিয়া বা বায়তুল মুকাদ্দাস। বর্ণনাকারী সংশয় প্রকাশ করিয়াছেন- (অর্থাৎ তৃতীয়টি) তিনি ইলিয়ার মসজিদ অথবা বায়তুল মুকাদ্দাস বলিয়াছেনঃ (ইলিয়া শহরেই বায়তুল মুকাদ্দাস অবস্থিত)।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলিয়াছেনঃ অতঃপর আমি আবদুল্লাহ্ ইবন সালাম (রাঃ)-এর সহিত মিলিত হইলাম এবং কা’ব আহবার এর সাথে আমার বৈঠকের কথা বর্ণনা করিলাম, আর জুম’আর দিন সম্পর্কে যে হাদীস তাহার নিকট বর্ণনা করিয়াছি উহাও বলিলাম। (কথা প্রসঙ্গে) আমি বলিলাম, কাব বলিয়াছেন- ইহা (কবুলিয়াতের মুহূর্ত) বৎসরে একদিন। (ইহা শুনিয়া) আবদুল্লাহ্ ইবন সালাম (রাঃ) বলিলেনঃ কা’ব ঠিক বলেন নাই। অতঃপর আমি বলিলামঃ কা’ব (রাঃ) তাওরাত পাঠ করিয়া বলিলেন, হ্যাঁ, উহা প্রতি জুম’আর দিন। আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ) বলিলেনঃ কা’ব (এইবার) সত্য বলিয়াছেন। আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ) জিজ্ঞাসা করিলেনঃ সেই মুহুর্তটি কোন মুহূর্ত তুমি জান কি? আবু হুরায়রা (রাঃ) বলিলেনঃ আমি তাহাকে বলিলামঃ আপনি আমাকে সেই মুহুর্তটির কথা বলিয়া দিন। এই বিষয়ে আপনি কৃপণতা করবেন না। অতঃপর আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ) বললেনঃ ইহা জুম’আর দিনের শেষ সময়। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলিলেনঃ আমি বলিলাম, উহা জুম’আ দিবসের শেষ মুহুর্তে কিরূপে হইতে পারে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, “নামাযের হালতে কোন মুসলিম বান্দা উক্ত মুহুর্তের সাক্ষাৎ লাভ করিলে.....” অথচ দিবসের শেষ মুহূর্তে নামায পড়া যায় না। তারপর আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি (ইহা) বলেন নাই, যে ব্যক্তি কোন স্থানে বসিয়া নামাযের অপেক্ষা করিবে সে যেমন নামাযেই রহিয়াছে, যতক্ষণ সে নামায সমাপ্ত না করে? আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ আমি বলিলাম, হ্যাঁ। তিনি বলিলেনঃ তবে উহা তাহাই।

بَاب مَا جَاءَ فِي السَّاعَةِ الَّتِي فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ خَرَجْتُ إِلَى الطُّورِ فَلَقِيتُ كَعْبَ الْأَحْبَارِ فَجَلَسْتُ مَعَهُ فَحَدَّثَنِي عَنْ التَّوْرَاةِ وَحَدَّثْتُهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَ فِيمَا حَدَّثْتُهُ أَنْ قُلْتُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ أُهْبِطَ مِنْ الْجَنَّةِ وَفِيهِ تِيبَ عَلَيْهِ وَفِيهِ مَاتَ وَفِيهِ تَقُومُ السَّاعَةُ وَمَا مِنْ دَابَّةٍ إِلَّا وَهِيَ مُصِيخَةٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مِنْ حِينِ تُصْبِحُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ شَفَقًا مِنْ السَّاعَةِ إِلَّا الْجِنَّ وَالْإِنْسَ وَفِيهِ سَاعَةٌ لَا يُصَادِفُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ يُصَلِّي يَسْأَلُ اللَّهَ شَيْئًا إِلَّا أَعْطَاهُ إِيَّاهُ قَالَ كَعْبٌ ذَلِكَ فِي كُلِّ سَنَةٍ يَوْمٌ فَقُلْتُ بَلْ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ فَقَرَأَ كَعْبٌ التَّوْرَاةَ فَقَالَ صَدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَلَقِيتُ بَصْرَةَ بْنَ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيَّ فَقَالَ مِنْ أَيْنَ أَقْبَلْتَ فَقُلْتُ مِنْ الطُّورِ فَقَالَ لَوْ أَدْرَكْتُكَ قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ إِلَيْهِ مَا خَرَجْتَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا تُعْمَلُ الْمَطِيُّ إِلَّا إِلَى ثَلَاثَةِ مَسَاجِدَ إِلَى الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِلَى مَسْجِدِي هَذَا وَإِلَى مَسْجِدِ إِيلِيَاءَ أَوْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ يَشُكُّ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ثُمَّ لَقِيتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلَامٍ فَحَدَّثْتُهُ بِمَجْلِسِي مَعَ كَعْبِ الْأَحْبَارِ وَمَا حَدَّثْتُهُ بِهِ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَقُلْتُ قَالَ كَعْبٌ ذَلِكَ فِي كُلِّ سَنَةٍ يَوْمٌ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ كَذَبَ كَعْبٌ فَقُلْتُ ثُمَّ قَرَأَ كَعْبٌ التَّوْرَاةَ فَقَالَ بَلْ هِيَ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ صَدَقَ كَعْبٌ ثُمَّ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ قَدْ عَلِمْتُ أَيَّةَ سَاعَةٍ هِيَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُلْتَ لَهُ أَخْبِرْنِي بِهَا وَلَا تَضَنَّ عَلَيَّ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ هِيَ آخِرُ سَاعَةٍ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ وَكَيْفَ تَكُونُ آخِرَ سَاعَةٍ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُصَادِفُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ يُصَلِّي وَتِلْكَ السَّاعَةُ سَاعَةٌ لَا يُصَلَّى فِيهَا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ جَلَسَ مَجْلِسًا يَنْتَظِرُ الصَّلَاةَ فَهُوَ فِي صَلَاةٍ حَتَّى يُصَلِّيَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ بَلَى قَالَ فَهُوَ ذَلِكَ


Yahya related to me from Malik from Yazid ibn Abdullah ibn al-Had from Muhammad ibn Ibrahim ibn al-Harith at-Taymi from Abu Salama ibn Abd ar-Rahman ibn Awf that Abu Hurayra said, "I went out to at-Tur (Mount Sinai) and met Kab al Ahbar and sat with him. He related to me things from the Tawrah and I related to him things from the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace. Among the things I related to him was that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'The best of days on which the sun rises is the day of jumua. In it Adam was created, and in it he fell from the Garden. In it he was forgiven, and in it he died. In it the Hour occurs, and every moving thing listens from morning till sunset in apprehension of the Hour except jinn and men. In it is a time when Allah gives toa muslim slave standing in prayer whatever he asks for.' Kab said, 'That is one day in every year.' I said, 'No, in every jumua.' Then Kab recited the Tawrah and said, 'The Messenger of Allah has spoken the truth.' " Abu Hurayra continued, "I met Basra ibn Abi Basra al-Ghiffari and he said, 'Where have you come from?' I said, 'From at-Tur.' He said, 'If I had seen you before you left, you would not have gone. I heard the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, say, "Only make a special journey to three mosques: the mosque of the Haram (Makka), this mosque (Madina), and the mosque of Ilya or the Bait al-Maqdis (two names of Jerusalem)." ' " (He was not sure which expression was used.) Abu Hurayra continued, "Then I met Abdullah ibn Salam and I told him that I had sat with Kabal-Ahbar, and I mentioned what I had related to him about the day of jumua, and told him that Kab had said, 'That is one day in every year.' Abdullah ibn Salam said, 'Kab lied,' and I added, 'Kab then recited the Tawrah and said, "No, it is in every jumua.'' ' Abdullah ibn Salam said, 'Kab spoke the truth. 'Then Abdullah ibn Salam said, 'I know what time that is.' " Abu Hurayra continued, "I said to him, 'Let me know it - don't keep it from me.' Abdullah ibn Salam said, 'It is the last period of time in the dayof jumua.' " Abu Hurayra continued, "I said, 'How can it be the last period of time in the day of jumua, when the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "a muslim slave standing in prayer", and that is a time when there is no prayer?' Abdullah ibn Salam replied, 'Didn't the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, say, "Whoever sits waiting for the prayer is in prayer until he prays?" "' Abu Hurayra added, "I said, 'Of course.' He said, 'Then it is that.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ