পরিচ্ছেদঃ ১৩৯। একবার মাথা মসেহ করা
১৯১। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... ইয়াহইয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমি একবার ’আমার ইবনু আবূ হাসান (রাঃ) এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তিনি ’আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উযূ (ওজু/অজু/অযু) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তারপর তিনি পানির একটি পাত্র আনালেন এবং উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে তাঁদের দেখালেন। তিনি পাত্রটি কাত করে উভয় হাতের উপর পানি ঢেলে তিনবার তা ধুয়ে ফেলেন। তারপর পাত্রের মধ্যে হাত ঢুকালেন এবং তিন আঁজলা পানি দিয়ে তিনবার করে কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিয়ে তা ঝেড়ে ফেললেন। তারপর আবার পাত্রের মধ্যে হাত ঢুকালেন (এবং পানি দিয়ে) তিনবার মুখমণ্ডল ধুইলেন। তারপর আবার পাত্রের মধ্যে হাত ঢুকালেন এবং উভয় হাত কনুই পর্যন্ত দু’-দু’বার ধুইলেন। তারপর আবার পাত্রের মধ্যে হাত ঢুকালেন। তাঁর মাথা হাত দিয়ে সামনে এবং পেছনে মাসেহ করলেন। তারপর আবার পাত্রের মধ্যে তাঁর হাত ঢুকালেন এবং উভয় পা ধুইলেন।
باب مَسْحِ الرَّأْسِ مَرَّةً
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ شَهِدْتُ عَمْرَو بْنَ أَبِي حَسَنٍ سَأَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زَيْدٍ عَنْ وُضُوءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، صلى الله عليه وسلم فَدَعَا بِتَوْرٍ مِنْ مَاءٍ، فَتَوَضَّأَ لَهُمْ، فَكَفَأَ عَلَى يَدَيْهِ فَغَسَلَهُمَا ثَلاَثًا، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ، فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ، وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثًا بِثَلاَثِ غَرَفَاتٍ مِنْ مَاءٍ، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ، فَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ، فَمَسَحَ بِرَأْسِهِ فَأَقْبَلَ بِيَدَيْهِ وَأَدْبَرَ بِهِمَا، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ.
The passing of wet hands over the head once only (while performing ablution)
Narrated `Amr bin Yahya: My father said, "I saw `Amr bin Abi Hasan asking `Abdullah bin Zaid about the ablution of the Prophet. `Abdullah bin Zaid asked for an earthenware pot containing water and performed ablution in front of them. He poured water over his hands and washed them thrice. Then he put his (right) hand in the pot and rinsed his mouth and washed his nose by putting water in it and then blowing it out thrice with three handfuls of water Again he put his hand in the water and washed his face thrice. After that he put his hand in the pot and washed his forearms up to the elbows twice and then again put his hand in the water and passed wet hands over his head by bringing them to the front and then to the back and once more he put his hand in the pot and washed his feet (up to the ankles.)"
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৬২৯। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, আমি মালিককে বললাম, আপনার কাছে নাফি’ (রহঃ) ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি শরীক (যৌথ মালিকানাধীন) ক্রীত-দাসের বেলায় তার নিজ অংশ মুক্ত করে দেয় এবং তার (মুক্তিদাতার) কাছে এই পরিমাণ ধন-সম্পদ থাকে যা উক্ত ক্রীতদাসের মূল্য পরিমাণ পৌছে যায় তবে ন্যায় সঙ্গতভাবে মূল্য নিরুপণ করতে হবে। অতঃপর অন্যান্য অংশীদারদের হিস্যার মূল্যও তাকে পরিশোধ করতে হবে। আর ক্রীতদাসটি পুরোপুরিভাবে তার পক্ষ থেকেই মুক্ত হয়ে যাবে। তবে যদি সে (পুরো অংশের মূল্য পরিশোধে) সক্ষম না হয় তাহলে সে যতটুকু অংশ মুক্ত করেছে ততটুকু মুক্ত হয়ে যাবে।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قُلْتُ لِمَالِكٍ حَدَّثَكَ نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ فَكَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ فَأُعْطِيَ شُرَكَاؤُهُ حِصَصَهُمْ وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ وَإِلاَّ فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ" .
Ibn Umar (Allah be pleased with them) reported Allah's Messenger may peace be upon him) as saying:
If anyone emancipates his share ina slave and has enough money to pay the full price for him, a fair price for the slave should be fixed, his partners given their shares, and the slave be thus emancipated, otherwise he is emancipated only to the extent of the first man's share.
পরিচ্ছেদঃ ১৩. ফল ব্যবহারোপযোগী হওয়ার পূর্বে কর্তন না করার শর্তে বিক্রি করা নিষেধ
৩৭২৩। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু আবূ উমর (রহঃ) ... ইয়াহইয়া (রহঃ) থেকে উক্ত সনদে বর্ণনা করেন, যতক্ষন না তা উপযোগী হয়। এর পরবর্তী অংশ তিনি উল্লেখ করেন নি।
باب النَّهْىِ عَنْ بَيْعِ الثِّمَارِ، قَبْلَ بُدُوِّ صَلاَحِهَا بِغَيْرِ شَرْطِ الْقَطْعِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ يَحْيَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ لَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ
This hadith is reported or the authority of Yahya with the same chain of transmitters up to" until its good condition becomes clear," but lie did not mention what follows (these words).
পরিচ্ছেদঃ ৫১. নামাযের ইকামাত হওয়ার পরও ইমামের আসার অপেক্ষায় বসে থাকা।
৫৪০. ইব্রাহীম ইবনু মূসা ..... ইয়াহ্ইয়া (রহঃ)-এর সনদ সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীছ বর্ণিত হয়েছ। তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তোমরা যে পর্যন্ত আমাকে বের হতে না দেখ ততক্ষণ দাঁড়িওনা।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, রাবী মা’মার ব্যতীত অন্য কোন রাবী “আমি বের হই” শব্দটির উল্লেখ করেননি। ইবনু উয়ায়না (রহঃ)-ও মা’মারের সূত্রে এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তাতেও “আমি বের হই” শব্দের উল্লেখ নাই।
باب فِي الصَّلاَةِ تُقَامُ وَلَمْ يَأْتِ الإِمَامُ يَنْتَظِرُونَهُ قُعُودًا
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عِيسَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ يَحْيَى، بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ " حَتَّى تَرَوْنِي قَدْ خَرَجْتُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَذْكُرْ " قَدْ خَرَجْتُ " . إِلاَّ مَعْمَرٌ . وَرَوَاهُ ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ مَعْمَرٍ لَمْ يَقُلْ فِيهِ " قَدْ خَرَجْتُ " .
This tradition has also been reported through a different chain of narrators in a similar way. This version says:
“Until you see me that I have come out”.
Abu dawud said: No one except Ma’mar has narrated the words “that I have come out”. And the version transmitted by Ibn ‘Uyainah from Ma’mar does not mention the words “that I have come out”.
পরিচ্ছেদঃ ২২১. রোযাদার ব্যক্তির শিংগা লাগানো।
২৩৬০. আহমদ ইবন হাম্বল ...... ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ কিলাবা হতে, তিনি শাদ্দাদ ইবন আওস হতে যিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে চলাকালে ইহা শ্রবণ করেন। এরপর তিনি পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب فِي الصَّائِمِ يَحْتَجِمُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو قِلاَبَةَ الْجَرْمِيُّ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ شَدَّادَ بْنَ أَوْسٍ بَيْنَمَا هُوَ يَمْشِي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
Narrated Shaddad ibn Aws:
The tradition mentioned above (No. 2361) has also been transmitted by Shaddad ibn Aws through a different chain of narrators.
This version adds: While Shaddad ibn Aws was walking along with the Prophet (ﷺ)....The narrator then transmitted the rest of the tradition to the same effect.
পরিচ্ছেদঃ ৩৪৪. খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল দেওয়া নিষিদ্ধ।
৩৪১৭. হাসান ইবন সাব্বাহ (রহঃ) .... ইয়াহইয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সুফইয়ান এরূপ ব্যাখ্যা অপছন্দ করতেন যে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়, বরং সে আমাদের মত নয়।
باب فِي النَّهْىِ عَنِ الْغِشِّ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنْ يَحْيَى، قَالَ كَانَ سُفْيَانُ يَكْرَهُ هَذَا التَّفْسِيرَ لَيْسَ مِنَّا لَيْسَ مِثْلَنَا .
Yahya said:
Sufyan disapproved of the interpretation of the phrase "has nothing to do with us" as "not like us".
পরিচ্ছেদঃ ১/৫১. মাথা মাসহ করা।
১/৪৩৪। ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) কে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতেন তা আপনি আমাকে দেখাতে পারেন কি? আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ বলেন, হ্যাঁ। তিনি উযূর পানি নিয়ে ডাকলেন এবং তিনি তার হাতে পানি ঢেলে উভয় হাত দুবার ধৌত করলেন, অতঃপর তিনবার কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন, অতঃপর মুখমণ্ডল তিনবার ধৌত করলেন, অতঃপর দু হাত কনুইসহ দুবার করে ধৌত করলেন। অতঃপর তিনি উভয় হাত দিয়ে সামনের দিক থেকে পেছনের দিক পর্যন্ত তার মাথা মাসহ(মাসেহ) করলেন। তিনি তাঁর মাথার সামনের দিক থেকে শুরু করলেন এবং দু হাত ঘাড় পর্যন্ত নিলেন, অতঃপর পেছন দিক থেকে দু হাত যেখান থেকে মাসহ(মাসেহ) শুরু করেন সেখানে নিয়ে আসেন, অতঃপর তার দু পা ধৌত করেন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ১০৯।
بَاب مَا جَاءَ فِي مَسْحِ الرَّأْسِ
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيُّ، قَالَ أَنْبَأَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ - وَهُوَ جَدُّ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى - هَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تُرِيَنِي، كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَتَوَضَّأُ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ نَعَمْ . فَدَعَا بِوَضُوءٍ فَأَفْرَغَ عَلَى يَدَيْهِ فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثًا ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا ثُمَّ غَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ فَأَقْبَلَ بِهِمَا وَأَدْبَرَ بَدَأَ بِمُقَدَّمِ رَأْسِهِ ثُمَّ ذَهَبَ بِهِمَا إِلَى قَفَاهُ ثُمَّ رَدَّهُمَا حَتَّى رَجَعَ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي بَدَأَ مِنْهُ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ .
'Amr bin Yahya narrated that his father said to 'Abdullah bin Zaid who was the grandfather of 'Amr bin Yahya:
"Can you show me how the Messenger of Allah used to perform ablution?" 'Abdullah bin Zaid said: "Yes," So he called for water, poured it over his hands and washed his hands twice. Then he raised his mouth and sniffed water up into his nostrils three times. Then he washed his face three times and his arms up to his elbows twice. Then he wiped his head with his hands, from front to back. He started at the front of his head, then went with them to the nape of his neck, then he brought them back, returning them to the place he started, then he washed his feet."
পরিচ্ছেদঃ ৪/৪২. একবার মাথা মাসেহ করা।
১৯২. ইয়াহইয়া (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ‘আমি একদা ‘আমর ইবনু আবূ হাসান (রাযি.)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাযি.)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উযূ সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। অতঃপর তিনি পানির একটি পাত্র এনে তাঁদের উযূ করে দেখালেন। তিনি পাত্রটি কাত করে উভয় হাতের উপর পানি ঢেলে তিনবার তা ধুয়ে ফেলেন। তারপর পাত্রের মধ্যে হাত ঢুকালেন এবং তিন খাবল পানি দিয়ে তিনবার করে কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিয়ে তা ঝাড়লেন। অতঃপর পুনরায় পাত্রের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে তিনবার মুখমণ্ডল ধুলেন। অতঃপর পুনরায় পাত্রের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে উভয় হাত কনুই পর্যন্ত দু’-দু’বার ধুলেন। অতঃপর পুনরায় পাত্রের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে তাঁর মাথা হাত দিয়ে সামনে এবং পেছনে মাসেহ করলেন। তারপর আবার পাত্রের মধ্যে তাঁর হাত ঢুকিয়ে দুই পা ধুলেন।* (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৯১)
উহায়ব (রহ.) সূত্রে মূসা (রহ.) বর্ণনা করেন, মাথা একবার মাসেহ করেন। (১৮৫) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৯২)
ওযূর সুন্নাত
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
ওযূর ফরয বা আবশ্যক বিষয়গুলো ছাড়াও বেশ কিছু সুন্নাত বা মুস্তাহাব বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে অত্র হাদীসে। আমরা সেগুলোকে ওযূর সুন্নাত বলতে পারি। বিভিন্ন হাদীস থেকে ওযূর নিম্নলিখিত সুন্নাতসমূহ সাব্যস্ত হচ্ছে- (১) মিসওয়াক করা। (২) হাত কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করা। (৩) কুলি ও নাকে পানি দেয়া। (৪) ঘন দাড়ি ও হাত-পায়ের আঙ্গুল খিলাল করা। (৫) ডান দিক থেকে শুরু করা। (৬) দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার ধৌত করা। (৭) কান ধোয়ার জন্য নতুন পানি গ্রহণ করা। (৮) ওযূর পরে দো'আ পড়া। (৯) ওযূর পরে দু' রাক'আত সালাত আদায় করা।
হাদীসের শিক্ষা
১. কুলি ও নাকে পানি তিন তিনবার করে হবে, ভিন্ন ভিন্ন তিন অঞ্জলীর মাধ্যমে তা সম্পন্ন হবে।
২. পূর্ববর্তী হাদীসে এসেছে, হাত ধুতে হবে তিনবার করে, এ হাদীসে দেখা যাচ্ছে দু'বার করে। বুঝা গেল যে, এটাও সুন্নাত।
৩. এ হাদীসে এসেছে যে, "তারপর তিনি তাঁর হাতটি প্রবেশ করালেন, অতঃপর তা দিয়ে তাঁর চেহারা তিনবার ধৌত করলেন।" ইমাম নাওয়াওয়ী বলেন, এর দ্বারা বুঝা যায় যে, এক হাত দিয়ে মুখ ধোয়াই সুন্নাত। তবে অধিকাংশ মানুষ মনে করে যে, দু' হাতে পানি নেয়া মুস্তাহাব; যাতে করে তা দিয়ে মুখ পরিপূর্ণভাবে ধোয়া সহজ হয়।
৪. এ হাদীসে মাথা মাসাহ পূর্ণ মাথায় হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। কারণ বলা হয়েছে যে, “মাথার সম্মুখ দিক হতে শুরু করে দু' হাত পিছনের দিকে দিলেন, দু'হাতকে পুনরায় ফিরালেন সম্মুখের দিকে, এমন কি পৌঁছালেন যেখান থেকে শুরু করেছিলেন সেখানে।” সুতরাং বুঝা গেল যে, মাথা মাসাহ সম্পূর্ণ মাথার উপর হতে হবে।
৫. এ হাদীস ও পূর্বের হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, কুলি ও নাকে পানির জন্য এক হাত ব্যবহার করা হবে।
৬. এ হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, মাথা মাসাহ একবারই হবে। এটিই অধিকাংশ ফকীহের মত।
৭. এ হাদীসে পা ধোয়ার কথা বলা হয়নি। কারণ বর্ণনাকারী তা স্বতঃসিদ্ধ হিসেবে নিয়েছেন, ফলে বর্ণনা করা জরুরী মনে করেননি। কিন্তু কুরআন ও অন্যান্য হাদীস থেকে পা ধোয়ার বিষয়টি অকাট্যভাবে প্রমাণিত। এর বিপরীত শিয়াদের বক্তব্য ভ্রূক্ষেপযোগ্য নয়।
৮. এ হাদীস দ্বারা আরো বুঝা গেল যে, তিনবার ধৌত করা পরিপূর্ণ সুন্নাত হলেও এর চেয়ে কম বার ধৌত করলেও সেটার হক আদায় হয়ে যাবে।
৯. হাদীস থেকে আরো বুঝা যায় যে, মাথা মাসাহ সামনের দিক থেকে পিছনে যাবে, আবার পিছনের দিক থেকে সামনে আসবে। যদিও কোনো কোনো ফকীহ মনে করেন পিছন দিক থেকে মাথা মাসাহ শুরু করে সামনে আনা হবে আবার সামনের দিক থেকে শুরু করে পিছনে নেয়া হবে। কিন্তু বিশুদ্ধ পদ্ধতি হচ্ছে, হাতকে মাথার সামনের দিক থেকে শুরু করে পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়া, তারপর আবার সামনে নিয়ে আসা।
بَاب مَسْحِ الرَّأْسِ مَرَّةً.
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ شَهِدْتُ عَمْرَو بْنَ أَبِي حَسَنٍ سَأَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زَيْدٍ عَنْ وُضُوءِ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم فَدَعَا بِتَوْرٍ مِنْ مَاءٍ، فَتَوَضَّأَ لَهُمْ، فَكَفَأَ عَلَى يَدَيْهِ فَغَسَلَهُمَا ثَلاَثًا، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ، فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ، وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثًا بِثَلاَثِ غَرَفَاتٍ مِنْ مَاءٍ، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ، فَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ، فَمَسَحَ بِرَأْسِهِ فَأَقْبَلَ بِيَدَيْهِ وَأَدْبَرَ بِهِمَا، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي الإِنَاءِ فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ. وَحَدَّثَنَا مُوسَى قَالَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ قَالَ مَسَحَ رَأْسَهُ مَرَّةً.
Narrated `Amr bin Yahya, My father said, "I saw `Amr bin Abi Hasan asking `Abdullah bin Zaid about the ablution of the Prophet. `Abdullah bin Zaid asked for an earthenware pot containing water and performed ablution in front of them. He poured water over his hands and washed them thrice. Then he put his (right) hand in the pot and rinsed his mouth and washed his nose by putting water in it and then blowing it out thrice with three handfuls of water Again he put his hand in the water and washed his face thrice. After that he put his hand in the pot and washed his forearms up to the elbows twice and then again put his hand in the water and passed wet hands over his head by bringing them to the front and then to the back and once more he put his hand in the pot and washed his feet (up to the ankles.)" Narrated Wuhaib: That he (the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) in narration 191 above) had passed his wet hands on the head once only.
পরিচ্ছেদঃ ৪/৪৬. গামলা হতে উযূ করা।
১৯৯. ইয়াহ্ইয়া (রহ.) বলেনঃ আমার চাচা উযূর পানি অধিক খরচ করতেন। একদা তিনি ‘আব্দুল্লাহ্ ইবনু যায়দ (রাযি.)-কে বললেনঃ ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কীভাবে উযূ করতেন আপনি কি তা দেখেছেন?’ তিনি এক গামলা পানি আনালেন। সেটি উভয় হাতে কাত করে (তা থেকে পানি ঢেলে) হাত দু’টি তিনবার ধুলেন, অতঃপর তার হাত গামলায় ঢুকালেন। অতঃপর এক খাবল (করে) পানি দিয়ে তিনবার কুলি করলেন এবং নাক ঝাড়লেন। তারপর পানিতে তাঁর হাত ঢুকালেন। উভয় হাতে এক খাবল (করে) পানি নিয়ে মুখমণ্ডল তিনবার ধুলেন। অতঃপর উভয় হাত কনুই পর্যন্ত দু’বার করে ধুলেন। অতঃপর উভয় হাতে পানি নিয়ে মাথার সামনে এবং পেছনে মাসেহ করলেন এবং দু’ পা ধুলেন। তারপর বললেনঃ ‘আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে এভাবেই উযূ করতে দেখেছি।’ (১৮৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৯৯)
بَاب الْوُضُوءِ مِنْ التَّوْرِ
حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، قَالَ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ عَمِّي يُكْثِرُ مِنَ الْوُضُوءِ، قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ أَخْبِرْنِي كَيْفَ رَأَيْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ فَدَعَا بِتَوْرٍ مِنْ مَاءٍ، فَكَفَأَ عَلَى يَدَيْهِ فَغَسَلَهُمَا ثَلاَثَ مِرَارٍ، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي التَّوْرِ، فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْثَرَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ مِنْ غَرْفَةٍ وَاحِدَةٍ، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فَاغْتَرَفَ بِهَا فَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ غَسَلَ يَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ، ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِهِ مَاءً، فَمَسَحَ رَأْسَهُ، فَأَدْبَرَ بِيَدَيْهِ وَأَقْبَلَ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ، فَقَالَ هَكَذَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ.
Narrated `Amr bin Yahya, (on the authority of his father) My uncle used to perform ablution extravagantly and once he asked `Abdullah bin Zaid to tell him how he had seen the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) performing ablution. He asked for an earthenware pot containing water, and poured water from it on his hands and washed them thrice, and then put his hand in the earthenware pot and rinsed his mouth and washed his nose by putting water in it and then blowing it out thrice with one handful of water; he again put his hand in the water and took a handful of water and washed his face thrice, then washed his hands up to the elbows twice, and took water with his hand, and passed it over his head from front to back and then from back to front, and then washed his feet (up to the ankles) and said, "I saw the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) performing ablution in that way."
পরিচ্ছেদঃ ১০/৭ মুআযযিনের আযান শুনলে যা বলতে হয়।
৬১৩. ইয়াহ্ইয়া (রহ.) হতে এমনই বর্ণিত আছে। ইয়াহ্ইয়া (রহ.) বলেছেন, আমার কোনো ভাই আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, মুআয্যিন যখন حَيَّ عَلَى الصَّلاَةِ বলল, তখন তিনি (মু’আবিয়াহ (রাযি.) لاَحَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِবললেন। অতঃপর তিনি বললেন, তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমরা এরূপ বলতে শুনেছি। (৬১২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫৮৬)
بَاب مَا يَقُولُ إِذَا سَمِعَ الْمُنَادِي
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ، قَالَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، نَحْوَهُ. قَالَ يَحْيَى وَحَدَّثَنِي بَعْضُ، إِخْوَانِنَا أَنَّهُ قَالَ لَمَّا قَالَ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ. قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ. وَقَالَ هَكَذَا سَمِعْنَا نَبِيَّكُمْ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ.
Narrated Yahya :
"Some of my companions told me that Hisham had said, "When the Mu'adh-dhin said, "Haiyi `alassala (come for the prayer)." Muawiya said, "La hawla wala quwata illa billah (There is neither might nor any power except with Allah)" and added, "We heard your Prophet saying the same."
পরিচ্ছেদঃ ৮৫. যিনি বলেন, (ইসতিহাযাগ্রস্ত মহিলা) যুহর হতে (পরদিন) যুহর পর্যন্ত (একবার) গোসল করবে, স্বামীর সাথে মিলিত হবে এবং সিয়াম পালন করবে
৮৩৩. ইয়াহইয়া বর্ণনা করেন: আবু বকর ইবনু আব্দুর রহমান ইবনুল হারিস ইবনু হিশাম এর দাস সুমাইয়্যি তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, কা’কা’আ ইবনু হাকীম ও যাইদ ইবনু আসলাম তাকে সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যিব রাহি.-এর নিকট ’ইসতিহাযাগ্রস্ত মহিলা কিভাবে গোসল করবে’- সেই সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করতে পাঠালেন। তখন সাঈদ বললেন: সে আজকের যুহর হতে আগামীকাল যুহর পর্যন্ত (একবার) গোসল করবে। ইসতিহাযার সময় অধিক পরিমাণে রক্তস্রাব হলে কাপড় দ্বারা (স্ত্রীঅংগে) মজবুতভাবে পট্টি বেঁধে নেবে। আর প্রত্যেক সালাতের জন্য ওযু করবে এবং সালাত আদায় করবে।[1]
তাখরীজ: আবু দাউদ ৩০১ সহীহ সনদে; মালিক ১০৯; ইবনু আবী শাইবা ১/১২৭; আব্দুর রাযযাক নং ১১৬৯; এটি ৮৩৫ (অনুবাদের ক্রমিক ৮৩১) নং এ গত হয়েছে।
আবু দাউদ বলেন: এটি ইবনু উমার, আনাস ইবনু মালিক ... ও আয়িশা রা; হতে বর্ণিত হয়েছে।... আর এটি সালিম ইবনু আব্দুল্লাহ, হাসান ও আতা’র মত।
بَابُ مَنْ قَالَ تَغْتَسِلُ مِنَ الظُّهْرِ إِلَى الظُّهْرِ، وَتُجَامِعُ وَتَصُومُ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا يَحْيَى أَنَّ سُمَيًّا مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ الْقَعْقَاعَ بْنَ حَكِيمٍ وَزَيْدَ بْنَ أَسْلَمَ أَرْسَلَاهُ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ يَسْأَلُهُ كَيْفَ تَغْتَسِلُ الْمُسْتَحَاضَةُ فَقَالَ سَعِيدٌ تَغْتَسِلُ مِنْ الظُّهْرِ إِلَى مِثْلِهَا مِنْ الْغَدِ لِصَلَاةِ الظُّهْرِ فَإِنْ غَلَبَهَا الدَّمُ اسْتَثْفَرَتْ وَتَوَضَّأَتْ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَصَلَّتْ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৭৩. রাসূলুল্লাহ -এর প্রতি ওয়াহীর সূচনা।
২৯৮-(২৫৭/...) যুহরর ইবনু হারব (রহঃ) ... ইয়াহইয়া (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সালামাহকে জিজ্ঞেস করলাম, কুরআনের কোন আয়াতটি সর্বপ্রথম অবতীর্ণ হয়েছে? তিনি বললেন, يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ (সূরাহ্ আল মুদ্দাসসির ৭৪ঃ ১-৫)। আমি বললাম اقْرَأْ (সূরাহ আল ’আলাক ৯৬ঃ ১-৫)। তিনি বললেন, আমিও জাবির ইবনু আবদুল্লাহকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কুরআনের কোন আয়াতটি প্রথম অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বলেছেন, আমি বললাম, জাবির (রাযিঃ) বললেন, আমি তোমাদেরই তা-ই বর্ণনা করছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের যা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি একমাস হিরা গুহায় অবস্থান করি। অবস্থান শেষে আমি নিচে নেমে এলাম। উপত্যকার মাঝখানে যখন পৌছলাম তখন আমাকে ডাকা হলো। আমি সামনে-পেছনে, ডানে-বায়ে তাকালাম, কাউকে দেখলাম না।
তারপর আমাকে ডাকা হলো, তখনো কাউকে দেখতে পেলাম না। পুনঃ আমাকে ডাকা হলো। আমি তাকালাম, দেখি সে ফেরেশতা অর্থাৎ জিবরীল (আঃ) শূন্যে একটি কুরসীর উপর উপবিষ্ট। আমার প্রবল কম্পন শুরু হলো। অনন্তর খাদীজার নিকট আসলাম। বললাম, তোমরা আমার গায়ে কম্বল জড়িয়ে দাও, তোমরা আমার গায়ে কম্বল জড়িয়ে দাও। তারা আমাকে চাঁদর দিয়ে ঢেকে দিল। আমার উপর পানি ঢাললো। অনন্তর আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ "হে কম্বল জড়ানো ব্যক্তি! উঠুন সতর্কবাণী প্রচার করুন, আপনার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন, আপনার পরিচ্ছেদ পবিত্র রাখুন"- (সূরাহ আল মুদ্দাসসির ৭৪ঃ ১-৪) (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ৩১৭)
باب بَدْءِ الْوَحْىِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى، يَقُولُ سَأَلْتُ أَبَا سَلَمَةَ أَىُّ الْقُرْآنِ أُنْزِلَ قَبْلُ قَالَ يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ . فَقُلْتُ أَوِ اقْرَأْ . فَقَالَ سَأَلْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ أَىُّ الْقُرْآنِ أُنْزِلَ قَبْلُ قَالَ يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ . فَقُلْتُ أَوِ اقْرَأْ قَالَ جَابِرٌ أُحَدِّثُكُمْ مَا حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " جَاوَرْتُ بِحِرَاءٍ شَهْرًا فَلَمَّا قَضَيْتُ جِوَارِي نَزَلْتُ فَاسْتَبْطَنْتُ بَطْنَ الْوَادِي فَنُودِيتُ فَنَظَرْتُ أَمَامِي وَخَلْفِي وَعَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمَالِي فَلَمْ أَرَ أَحَدًا ثُمَّ نُودِيتُ فَنَظَرْتُ فَلَمْ أَرَ أَحَدًا ثُمَّ نُودِيتُ فَرَفَعْتُ رَأْسِي فَإِذَا هُوَ عَلَى الْعَرْشِ فِي الْهَوَاءِ - يَعْنِي جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ - فَأَخَذَتْنِي رَجْفَةٌ شَدِيدَةٌ فَأَتَيْتُ خَدِيجَةَ فَقُلْتُ دَثِّرُونِي . فَدَثَّرُونِي فَصَبُّوا عَلَىَّ مَاءً فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ * قُمْ فَأَنْذِرْ * وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ * وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ) " .
Chapter: The beginning of the revelation to the messenger of Allah (saws)
Yahya reported: I asked Abu Salama what was revealed first from the Qur'an. He said:" 0, the shrouded one." I said: Or" Recite." Jabir said: I am narrating to you what was narrated to us by the Messenger of Allah (ﷺ). He said: I stayed in Hira' for one month and when my stay was completed, I come down and went into the heart of the valley. Somebody called me aloud. I looked in front of me, behind me, on the right of my side and on my left, but I did not see any body. I was again called and I looked about but saw nothing. I was called again and raised my head, and there on the Throne in the open atmosphere he, i. e. Gabriel (peace be upon him) was sitting. I began to tremble on account of fear. I came to Khadija and said: Wrap me up. They wrapped me up and threw water on me and Allah, the Exalted and Glorious, sent down this: you who are shrouded! arise and deliver warning, your Lord magnify, your clothes cleanse."
পরিচ্ছেদঃ ১৩. ফল পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে বিক্রি করা নিষেধ
৩৭৫৮-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু আবূ উমার (রহঃ) ..... ইয়াহইয়া (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে বর্ণনা করেন, যতক্ষণ না তা পরিপক্ক হয়। এর পরবর্তী অংশ তিনি উল্লেখ করেননি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৭২৩, ইসলামিক সেন্টার ৩৭২৩)
باب النَّهْىِ عَنْ بَيْعِ الثِّمَارِ، قَبْلَ بُدُوِّ صَلاَحِهَا
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ يَحْيَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ حَتَّى يَبْدُوَ صَلاَحُهُ لَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ
This hadith is reported or the authority of Yahya with the same chain of transmitters up to" until its good condition becomes clear," but lie did not mention what follows (these words).
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. আল্লাহর রাহের মুজাহিদগণকে বাহন ও অন্য কিছু দিয়ে সাহায্য করা এবং তাদের পরিবারবর্গের দেখা-শুনা করার ফযীলত
৪৮০০-(…/...) ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) ..... ইয়াহইয়া (রহঃ) হতে এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৭৫৩, ইসলামিক সেন্টার ৪৭৫৪)
باب فَضْلِ إِعَانَةِ الْغَازِي فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِمَرْكُوبٍ وَغَيْرِهِ وَخِلاَفَتِهِ فِي أَهْلِهِ بِخَيْرٍ
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ مُوسَى - عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ يَحْيَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
The above tradition has also been narrated from Yahya
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. সালাতের ইক্বামাত হওয়ার পরও ইমামের আগমনের অপেক্ষায় বসে থাকা
৫৪০। ইয়াহ্ইয়াহ (রহঃ) একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছেঃ যতক্ষণ না তোমরা দেখবে, আমি বের হয়েছি। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি বের হয়েছি, শব্দগুলো মা’মার ব্যতীত অন্য কেউ বর্ণনা করেননি। ইবনু ’উয়াইনাহও মা’মার সূত্রে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাতেও ’আমি বের হয়েছি’ কথাটি উল্লেখ নেই।[1]
সহীহ : মুসলিম।
باب فِي الصَّلَاةِ تُقَامُ وَلَمْ يَأْتِ الإِمَامُ يَنْتَظِرُونَهُ قُعُودًا
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عِيسَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ يَحْيَى، بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ " حَتَّى تَرَوْنِي قَدْ خَرَجْتُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَذْكُرْ " قَدْ خَرَجْتُ " . إِلَّا مَعْمَرٌ . وَرَوَاهُ ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ مَعْمَرٍ لَمْ يَقُلْ فِيهِ " قَدْ خَرَجْتُ " .
- صحيح : م
This tradition has also been reported through a different chain of narrators in a similar way. This version says:
“Until you see me that I have come out”.
Abu dawud said: No one except Ma’mar has narrated the words “that I have come out”. And the version transmitted by Ibn ‘Uyainah from Ma’mar does not mention the words “that I have come out”.
পরিচ্ছেদঃ ১৮০. তাশাহহুদের বৈঠকে বসার নিয়ম
৯৬০। ইয়াহইয়া (রহঃ) হতে এই সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে।[1]
باب كَيْفَ الْجُلُوسُ فِي التَّشَهُّدِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ يَحْيَى، بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ يَحْيَى، أَيْضًا مِنَ السُّنَّةِ كَمَا قَالَ جَرِير
(There is another chain) from Yahya with his chain and similar (to the previous hadith). Abu Dawud said:
Hammad bin Zaid also said (the wording): "From the Sunnah" (narrating) from Yahya just as Jarir did.
পরিচ্ছেদঃ ৫২. ভেজাল দেয়া নিষেধ
৩৪৫৩। ইয়াহইয়া (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুফিয়ান সাওরী (রাঃ) ’লাইসা মিন্না’-এর ব্যাখ্যা ’আমাদের মতো নয়’ করাকে অপছন্দ করতেন।[1]
بَابُ النَّهْيِ عَنِ الْغِشِّ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنْ يَحْيَى، قَالَ: كَانَ سُفْيَانُ، يَكْرَهُ هَذَا التَّفْسِيرَ لَيْسَ مِنَّا لَيْسَ مِثْلَنَا
صحيح الإسناد مقطوع
Yahya said:
Sufyan disapproved of the interpretation of the phrase "has nothing to do with us" as "not like us".
পরিচ্ছেদঃ ২৩. রজম সম্পর্কে
৪৪১৬। ইয়াহইয়াহ সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণিত। এতে রয়েছেঃ তাদের শাস্তি হলো একশো বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، قَالَا: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْحَسَنِ، بِإِسْنَادِ يَحْيَى وَمَعْنَاهُ، قَالَ: جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ
صحيح
A similar tradition has been transmitted by al-Hasan through a chain of Yahya and to the same effect. This version adds:
They shall receive a hundred lashes and toned to death.
পরিচ্ছেদঃ ৪. জুম'আর দিনে যাহার নক্সীর হয় তাহার সম্পর্কে যাহা বর্ণিত হইয়াছে
রেওয়ায়ত ১২. ইয়াহইয়া (রহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ জুম’আর দিন ইমামের খুতবা প্রদানের সময় যাহার নকসীর হইয়াছে, তারপর সে (মসজিদ হইতে) বাহির হইয়া গিয়াছে এবং সে প্রত্যাগমন করিয়াছে এমন সময় যখন ইমাম নামায সমাপ্ত করিয়াছেন, তবে সে চার রাকাআত পড়িবে।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি জুম’আর দিন ইমামের সহিত এক রাকাআত পড়ে, তারপর তার নকসীর হয়, (সে কারণে) সে বাহির হইয়া যায়, অতঃপর ইমাম কর্তৃক দুই রাকাআত সমাপ্ত করার পর সে ফিরিয়া আসে তবে সেই ব্যক্তি আর এক রাকাআত পড়িয়া নিবে, যদি কোন কথা না বলিয়া থাকে।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন ; যাহার নকসীর হইয়াছে অথবা মসজিদ হইতে বাহির হওয়ার জন্য কোন কারণ উপস্থিত হইয়াছে, তবে তাহাকে বাহির হওয়ার জন্য ইমামের অনুমতি গ্রহণ করিতে হইবে না।
بَاب مَا جَاءَ فِيمَنْ رَعَفَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
قَالَ مَالِك مَنْ رَعَفَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ فَخَرَجَ فَلَمْ يَرْجِعْ حَتَّى فَرَغَ الْإِمَامُ مِنْ صَلَاتِهِ فَإِنَّهُ يُصَلِّي أَرْبَعًا قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يَرْكَعُ رَكْعَةً مَعَ الْإِمَامِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ يَرْعُفُ فَيَخْرُجُ فَيَأْتِي وَقَدْ صَلَّى الْإِمَامُ الرَّكْعَتَيْنِ كِلْتَيْهِمَا أَنَّهُ يَبْنِي بِرَكْعَةٍ أُخْرَى مَا لَمْ يَتَكَلَّمْ قَالَ مَالِك لَيْسَ عَلَى مَنْ رَعَفَ أَوْ أَصَابَهُ أَمْرٌ لَا بُدَّ لَهُ مِنْ الْخُرُوجِ أَنْ يَسْتَأْذِنَ الْإِمَامَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ
Malik said, "Someone who has a nosebleed on the day of jumua while the imam is giving the khutba and he leaves and does not come back until the imam has finished the prayer, should pray four rakas.''
Malik said that someone who prayed a raka with the imam on the day of jumua, then had a nosebleed and left and came back and the imam had prayed both rakas, should complete the prayer with another raka as long as he had not spoken.
Malik said, "If some one has a nosebleed, or something happens to him and he has no alternative but to leave, he does not have to ask permission of the imam if he wants to leave on the day of jumua."
পরিচ্ছেদঃ ৬. জুম'আর দিন প্রবাসে ইমাম কোন গ্রামে পদার্পণ করিলে
রেওয়ায়ত ১৪. ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ ইমাম যদি সফরে এমন কোন লোকালয়ে অবতরণ করেন, যে লোকালয়ের নিবাসীদের উপর জুম’আ ওয়াজিব হয়, তারপর তিনি সেইখানে খুতবা প্রদান করেন এবং লোকালয়ের লোকজনকে লইয়া জুম’আ কায়েম করেন, তবে সেই জনপদের এবং তাহাদের বাহিরের লোকজন সেই ইমামের সহিত জুম’আ’ আদায় করিবে।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন, যদি মুসাফির ইমাম এইরূপ জনপদে জুম’আ কায়েম করেন, যেই জনপদে জুম’আ ওয়াজিব নহে, তবে সেই ইমাম, উক্ত জনপদের বাসিন্দাগণ এবং উহার বাহিরের লোকজন যাহাদের সহিত তিনি জুম’আ পড়িয়াছেন, কাহারও জুম’আ’ আদায় হইবে না। সেই লোকালয়ের লোকজন এবং অন্যান্যের (মুসল্লিদের) মধ্যে যাহারা মুসাফির নহেন তাহারা তাহাদের নামায পুরা পড়িবেন।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ) বলিয়াছেন, মুসাফিরের উপর জুম’আ ওয়াজিব নহে।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْإِمَامِ يَنْزِلُ بِقَرْيَةٍ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِي السَّفَرِ
قَالَ مَالِك إِذَا نَزَلَ الْإِمَامُ بِقَرْيَةٍ تَجِبُ فِيهَا الْجُمُعَةُ وَالْإِمَامُ مُسَافِرٌ فَخَطَبَ وَجَمَّعَ بِهِمْ فَإِنَّ أَهْلَ تِلْكَ الْقَرْيَةِ وَغَيْرَهُمْ يُجَمِّعُونَ مَعَهُ قَالَ مَالِك وَإِنْ جَمَّعَ الْإِمَامُ وَهُوَ مُسَافِرٌ بِقَرْيَةٍ لَا تَجِبُ فِيهَا الْجُمُعَةُ فَلَا جُمُعَةَ لَهُ وَلَا لِأَهْلِ تِلْكَ الْقَرْيَةِ وَلَا لِمَنْ جَمَّعَ مَعَهُمْ مِنْ غَيْرِهِمْ وَلْيُتَمِّمْ أَهْلُ تِلْكَ الْقَرْيَةِ وَغَيْرُهُمْ مِمَّنْ لَيْسَ بِمُسَافِرٍ الصَّلَاةَ قَالَ مَالِك وَلَا جُمُعَةَ عَلَى مُسَافِرٍ
Malik said, "If the imam stops off on a journey in a town where jumua is obligatory and he gives a khutba and takes the jumua prayer for them, then the people of the town and any other people present do the jumua prayer with him."
Malik said, "If the imam gathers people for prayer while he is travelling in a town where the jumua prayer is not obligatory, then there is no jumua for him, nor for the people of the town, nor for anyone else who joins them for the prayer in congregation, and the people of the town and anyone else who is not travelling should complete the prayer."
Malik added, "A traveller does not have to do jumua "