৩৯২৫

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা

৩৯২৫-[৩৪] সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ খাদেমই হলো সফরের নেতা। সুতরাং যে ব্যক্তি সঙ্গীদের খিদমাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে; আল্লাহর পথে শাহাদাত বরণ ছাড়া অন্য কোনো ’আমল দ্বারা কেউ উক্ত ব্যক্তির সমপর্যায়ের উচ্চ মর্যাদা লাভে সমর্থ হবে না। (বায়হাক্বী- শু’আবুল ঈমান)[1]

وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سَيِّدُ الْقَوْمِ فِي السَّفَرِ خَادِمُهُمْ فَمَنْ سَبَقَهُمْ بِخِدْمَةٍ لَمْ يَسْبِقُوهُ بِعَمَلٍ إِلَّا الشَّهَادَةَ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي «شعب الْإِيمَان»

وعن سهل بن سعد رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «سيد القوم في السفر خادمهم فمن سبقهم بخدمة لم يسبقوه بعمل الا الشهادة» . رواه البيهقي في «شعب الايمان»

ব্যাখ্যা: (سَيِّدُ الْقَوْمِ فِى السَّفَرِ خَادِمُهُمْ) খাদেম হলো সফরের নেতা। ‘আল্লামা ত্বীবী বলেনঃ এর দু’টি অর্থ হতে পারে-

(১) নেতার এরূপই হওয়া উচিত। অর্থাৎ যিনি নেতা হবেন তিনি সফরে তার সঙ্গীদের খাদেম, কেননা তার কর্তব্য হলো তার সঙ্গীদের কল্যাণের দিকে খেয়াল রাখা এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখা।

(২) সফরে যিনি খাদেম তিনিই প্রকৃতপক্ষে নেতা যদিও প্রকাশ্যে তিনি তাদের মধ্যে মর্যাদায় ছোট।

(فَمَنْ سَبَقَهُمْ بِخِدْمَةٍ لَمْ يَسْبِقُوْهُ بِعَمَلٍ إِلَّا الشَّهَادَةَ) অতএব সফরে যে ব্যক্তি খিদমাতে অগ্রগামী হবে কেউই তাকে কোনো কাজের মাধ্যমে অতিক্রম করতে করতে পারবে না শাহাদাত ব্যতীত। অর্থাৎ সাওয়াবে এত বেশী অগ্রগামী হবে যে, একমাত্র আল্লাহর পথে শহীদ হওয়া ছাড়া কেউ তার সাওয়াব অতিক্রম করতে পারবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)