পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা
৩৯২৪-[৩৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে সফরের সাথে চিতাবাঘের চামড়া থাকে, তাদের সাথে রহমতের মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) থাকে না।’ (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَصْحَبُ الْمَلَائِكَةُ رُفْقَةً فِيهَا جِلْدُ نَمِرٍ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
ব্যাখ্যা: (لَا تَصْحَبُ الْمَلَائِكَةُ رُفْقَةً فِيْهَا جِلْدُ نَمِرٍ) যে সফরকারী দলের সাথে চিতা বাঘের চামড়া থাকে ঐ দলের সাথ রহমাতের মালাক (ফেরেশতা) সঙ্গী হয় না। চিতা বাঘের চামড়া ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। কেননা এতে অহংকার ও সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা প্রকাশ পায়। অনুরূপ এটা অহংকারকারী বাদশাদের পোষাক। কারো মতেই বাঘের চামড়া দাবাগাত দ্বারা পবিত্র হয় না। সম্ভবত এর কারণ এই যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রের বাঘের চামড়া মৃত বাঘ থেকেই সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। কেননা তা শিকার করা কঠিন বিষয়। মোট কথা তা অপবিত্র। তাই যারা বাঘের চামড়া দ্বারা কোনো ধরনের পোষাক তৈরি করে বা তা ব্যবহার করে তাদের সাথে রহমাতের মালাক থাকে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
অত্র হাদীসের শিক্ষা: বাঘের চামড়া ব্যবহার করা মাকরূহ তথা নাজায়িয। বাড়ীতে বাঘের চামড়া রাখা নিন্দনীয়। কেননা বাঘের চামড়া ব্যবহারকারী মুসাফিরদের সাথে রহমাতের মালাক থাকে না এটা প্রমাণ করে যে, ঘরেও যদি তা পাওয়া যায় তাহলে মালাক ঐ ঘরে প্রবেশ করবে না। আর এটা এজন্য যে, তা ব্যবহার করা জায়িয নয়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪১২৬)