রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন) ১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) - The Book of Jihad
১২৯৩

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,

﴿ وَقَاتِلُوا المُشْرِكِينَ كَافَّةً كَمَا يُقَاتِلُونَكُمْ كَافَّةً وَاعْلَمُوا أَنَّ اللهَ مَعَ المُتَّقِينَ ﴾ ( التوبة: ৩৬ )

অর্থাৎ আর অংশী-বাদীদের সকলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যেমন তারা তোমাদের সকলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ মুত্তাকীগণের সাথে রয়েছেন। (সূরা তওবা ৩৬ আয়াত)

তিনি অন্যত্র বলেছেন,

﴿كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَنْ تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَنْ تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ﴾ (البقرة: ٢١٦)

অর্থাৎ তোমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান দেওয়া হল। যদিও এটা তোমাদের কাছে অপছন্দ; কিন্তু তোমরা যা পছন্দ কর না সম্ভবত: তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং তোমরা যা পছন্দ কর সম্ভবত: তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না। (সূরা বাকারাহ ২১৬ আয়াত)

তিনি আরও বলেছেন,

﴿انْفِرُوا خِفَافًا وَثِقَالًا وَجَاهِدُوا بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ ﴾ [التوبة: ٤١]

“দুর্বল হও অথবা সবল সর্বাবস্থাতেই তোমরা বের হও এবং আল্লাহর পথে নিজেদের মাল ও জান দ্বারা জিহাদ কর।” (সূরা তওবা ৪১ আয়াত)

তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন,

﴿إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَىٰ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ ۚ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ ۖ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ ۚ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِ ۚ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُمْ بِهِ ۚ وَذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ﴾ [التوبة: ١١١]

“নিঃসন্দেহে আল্লাহ মুমিনদের নিকট থেকে তাদের প্রাণ ও তাদের ধন-সম্পদসমূহকে জান্নাতের বিনিময়ে ক্রয় করে নিয়েছেন; তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, যাতে তারা হত্যা করে এবং নিহত হয়ে যায়। এ (যুদ্ধে)র দরুন (জান্নাত প্রদানের) সত্য অঙ্গীকার করা হয়েছে তাওরাতে, ইঞ্জিলে এবং কুরআনে; আর নিজের অঙ্গীকার পালনে আল্লাহ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর অন্য কে আছে? অতএব তোমরা আনন্দ করতে থাক তোমাদের এই ক্রয়-বিক্রয়ের উপর যা তোমরা সম্পাদন করেছ। আর এটা হচ্ছে মহা সাফল্য।” (সূরা তওবা ১১১)

তিনি অন্যত্র বলেছেন,

﴿لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ ۚ فَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ عَلَى الْقَاعِدِينَ دَرَجَةً ۚ وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَىٰ ۚ وَفَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ أَجْرًا عَظِيمًا دَرَجَاتٍ مِنْهُ وَمَغْفِرَةً وَرَحْمَةً ۚ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا﴾ (النساء : ٩٥)

অর্থাৎ ঈমানদারদের মধ্যে যারা অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসে থাকে তারা এবং যারা আল্লাহর পথে স্বীয় ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে, তারা সমান নয়। যারা স্বীয় ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে আল্লাহ তাদেরকে যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর মর্যাদা দিয়েছেন; আল্লাহ সকলকেই কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর যারা জিহাদ করে তাদেরকে আল্লাহ মহা পুরস্কার দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। এ তাঁর (আল্লাহর) তরফ হতে মর্যাদা, ক্ষমা ও দয়া। বস্তুতঃ আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা নিসা ৯৫-৯৬ আয়াত)

তিনি আরও বলেছেন,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ هَلۡ أَدُلُّكُمۡ عَلَىٰ تِجَٰرَةٖ تُنجِيكُم مِّنۡ عَذَابٍ أَلِيمٖ ١٠ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَتُجَٰهِدُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمۡوَٰلِكُمۡ وَأَنفُسِكُمۡۚ ذَٰلِكُمۡ خَيۡرٞ لَّكُمۡ إِن كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ١١ يَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡ وَيُدۡخِلۡكُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ وَمَسَٰكِنَ طَيِّبَةٗ فِي جَنَّٰتِ عَدۡنٖۚ ذَٰلِكَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ ١٢ وَأُخۡرَىٰ تُحِبُّونَهَاۖ نَصۡرٞ مِّنَ ٱللَّهِ وَفَتۡحٞ قَرِيبٞۗ وَبَشِّرِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ١٣ ﴾ (الصف: ١٠، ١٣)

অর্থাৎ হে ঈমানদারগণ! আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দিব না, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হতে রক্ষা করবে? (তা এই যে,) তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলে বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা জানতে। আল্লাহ তোমাদের পাপ-রাশিকে ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে; যার নিম্নদেশে নদীমালা প্রবাহিত এবং (প্রবেশ করাবেন) স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহা সাফল্য। আর তিনি তোমাদেরকে দান করবেন বাঞ্ছিত আরও একটি অনুগ্রহ; আল্লাহর সাহায্য ও আসন্ন বিজয়। আর বিশ্ববাসীদেরকে সুসংবাদ দাও। (সূরা সাফ্ ১০-১৩ আয়াত)

এ মর্মে প্রসিদ্ধ বহু আয়াত রয়েছে। আর জিহাদের ফযীলত সংক্রান্ত হাদিসও রয়েছে অগণিত। তন্মধ্যে কতিপয় নিম্নরূপ:-


১/১২৯৩। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা হল, ’সর্বোত্তম কাজ কি?’ তিনি বললেন, “আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।” জিজ্ঞাসা করা হল, ’তারপর কি?’ তিনি বললেন, “আল্লাহর পথে জিহাদ করা।” পুনরায় জিজ্ঞাসা করা হল, ’অতঃপর কি?’ তিনি বললেন, “মাবরূর’ (বিশুদ্ধ বা গৃহীত) হজ্জ।” (বুখারী-মুসলিম) [1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

عن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: سُئِلَ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم: أيُّ العَمل أفْضَلُ ؟ قَالَ: «إيمَانٌ بِاللهِ وَرَسُولِهِ» قيلَ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: «الجهادُ في سَبيلِ اللهِ» قِيلَ: ثُمَّ مَاذَا ؟ قَالَ: «حَجٌّ مَبْرُورٌ». متفقٌ عَلَيْهِ

عن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: سىل رسول الله صلى الله عليه وسلم: اي العمل افضل ؟ قال: «ايمان بالله ورسوله» قيل: ثم ماذا؟ قال: «الجهاد في سبيل الله» قيل: ثم ماذا ؟ قال: «حج مبرور». متفق عليه

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Allah, the Exalted, says:
"And fight against the Mushrikun (polytheists, pagans, idolaters, disbelievers in the Oneness of Allah) collectively as they fight against you collectively. But know that Allah is with those who are Al-Muttaqun (the pious).'' (9:36)

"Jihad (holy fighting in Allah's Cause) is ordained for you (Muslims) though you dislike it, and it may be that you dislike a thing which is good for you and that you like a thing which is bad for you. Allah knows but you do not know.'' (2:216)

"March forth, whether you are light (being healthy, young and wealthy) or heavy (being ill, old and poor), and strive hard with your wealth and your lives in the Cause of Allah'' (9:41)

"Verily, Allah has purchased of the believers their lives and their properties for (the price) that theirs shall be the Jannah. They fight in Allah's Cause, so they kill (others) and are killed. It is a promise in truth which is binding on Him in the Taurat (Torah) and the Injeel (Gospel) and the Qur'an. And who is truer to his covenant than Allah? Then rejoice in the bargain which you have concluded. That is the supreme success.'' (9:111)

"Not equal are those of the believers who sit (at home), except those who are disabled (by injury or are blind or lame), and those who strive hard and fight in the Cause of Allah with their wealth and their lives. Allah has preferred in grades those who strive hard and fight with their wealth and their lives above those who sit (at home). Unto each, Allah has promised good (Jannah), but Allah has preferred those who strive hard and fight, above those who sit (at home) by a huge reward. Degrees of (higher) grades from Him, and forgiveness and mercy. And Allah is Ever Oft-Forgiving, Most Merciful.'' (4:95, 96)

"O you who believe! Shall I guide you to a trade that will save you from a painful torment? That you believe in Allah and His Messenger (Muhammad (PBUH)), and that you strive hard and fight in the Cause of Allah with your wealth and your lives: that will be better for you, if you but know! (If you do so) He will forgive you your sins, and admit you into Gardens under which rivers flow, and pleasant dwellings in `Adn (Eden) Jannah; that is indeed the great success. And also (He will give you) another (blessing) which you love: help from Allah (against your enemies) and a near victory. And give glad tidings (O Muhammad (PBUH)) to the believers.'' (61:10-13)

The Qur'anic Ayat relating to the subject under study are many. The Ahadith are also many; these include the following:
----

Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) was asked, "Which deed is the best?" He (ﷺ) replied, "Faith in Allah and His Messenger." He (ﷺ) was asked, "What is next?" He (ﷺ) replied, "Jihad (holy fighting) in the Cause of Allah." Then he was asked: "What is after that (in goodness)?" He (ﷺ) replied, "Hajj Mabrur (which is accepted by Allah)."

[Al-Bukhari and Muslim].


Commentary: This Hadith has already been mentioned. See Hadith No. 1274. Different acts have been regarded more meritorious in different Ahadith. For this reason, some scholars have performed the justification that the word mun "whoever" is the keynote in such cases. That is, such and such acts come in the category of eminent acts or they have been mentioned with reference to circumstances and time or place. For instance, at certain times or at certain places or for certain persons, performing Salat in the early prescribed hours is more meritorious, or Hajj through representative or Jihad is more meritorious, etc. Some scholars are of the opinion that the eminence of different acts has been stressed keeping the person addressed in view.

Linguistically, the word "Hajj'' means `journey to a place one respects'. Technically, it means `journey to Makkah in order to perform the pilgrimage rites.' The word "Mabrur'' is from "Birr'' meaning obedience, piety, but it signifies here an act which is done sincerely without committing a sin.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১২৯৪

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

২/১২৯৪। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নিবেদন করলাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! মহান আল্লাহর নিকট কোন কাজটি সর্বাধিক প্রিয়?’ তিনি বললেন, “যথা সময়ে নামায আদায় করা।” আমি নিবেদন করলাম, ’তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, “মা-বাপের সাথে সদ্ব্যবহার করা।” আমি আবার নিবেদন করলাম, ’তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, “আল্লাহর পথে জিহাদ করা।” (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَنِ ابنِ مَسعُود رضي الله عنه، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أَيُّ العَمَلِ أَحَبُّ إِلَى اللهِ تَعَالَى ؟ قَالَ: «الصَّلاَةُ عَلَى وَقْتِهَا» قُلْتُ: ثُمَّ أيُّ ؟ قَالَ: «بِرُّ الوَالِدَيْنِ» قُلْتُ: ثُمَّ أَيُّ ؟ قَالَ: «الجِهَادُ فِي سَبيلِ اللهِ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابن مسعود رضي الله عنه، قال: قلت: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، اي العمل احب الى الله تعالى ؟ قال: «الصلاة على وقتها» قلت: ثم اي ؟ قال: «بر الوالدين» قلت: ثم اي ؟ قال: «الجهاد في سبيل الله». متفق عليه

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Ibn Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
I asked the Messenger of Allah (ﷺ): "Which action is dearest to Allah?" He (ﷺ) replied, "Performing As-Salat (the prayer) at its earliest fixed time." I asked, "What is next (in goodness)?" He (ﷺ) said, "Kindness towards parents." I asked, "What is next (in goodness)?" He (ﷺ) said, "To participate in Jihad in the Cause of Allah."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith has already been mentioned. See Commentary on Hadith No. 314. Imam Al-Qurtubi says that the Prophet (PBUH) mentioned these three deeds in particular because they are a sign of other acts of obedience: He who does not perform a Salat at its prescribed time, without a valid reason, and delays it beyond its time fully knowing that it is a light but highly rewarding work, is bound to neglect the other good deeds. One who does not treat his parents nicely, in spite of the fact that he knows that they have the greatest rights over him, is bound to treat others in a less proper manner. One who does not wage Jihad against the infidels, although he is fully aware that they are avowed enemies of Islam, he is bound to give up fighting against people who are guilty of sins and impious acts.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১২৯৫

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

৩/১২৯৫। আবূ জর রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নিবেদন করলাম, ’ইয়া রাসূলুল্লাহ! সর্বোত্তম আমল কি?’ তিনি বললেন, “আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখা ও তাঁর রাস্তায় জিহাদ করা।” (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَنْ أَبي ذَرٍّ رضي الله عنه، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أَيُّ العَمَلِ أَفْضلُ ؟ قَالَ: «الإِيمَانُ بِاللهِ، وَالجِهَادُ في سَبِيلهِ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي ذر رضي الله عنه، قال: قلت: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، اي العمل افضل ؟ قال: «الايمان بالله، والجهاد في سبيله». متفق عليه

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Abu Dharr (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) was asked: "Which deed is the best?" He (ﷺ) replied, "Faith in Allah and Jihad (fighting, struggle) in the Cause of Allah."

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১২৯৬

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

৪/১২৯৬। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহর পথে এক সকাল বা এক সন্ধ্যা অতিক্রান্ত করা, পৃথিবী ও তন্মধ্যস্থিত যাবতীয় বস্তু অপেক্ষা উত্তম।” (বুখারী-মুসলিম) [1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه:أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «لَغَدْوَةٌ فِي سَبِيلِ اللهِ، أَوْ رَوْحَةٌ، خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن انس رضي الله عنه:ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «لغدوة في سبيل الله، او روحة، خير من الدنيا وما فيها». متفق عليه

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Verily! Setting out in the early morning or in the evening in order to fight in Allah's way is better than the world and what it contains."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: The Hadith points out the superiority of fighting in the way of Allah. The moment one fights for Allah's sake, be it in the early morning or the evening, is better than the world and all that is in it. The reason is that the world as well as what it possesses is transitory while the Hereafter is everlasting and eternal. Can anything that is temporary be a match for what is eternal?


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১২৯৭

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

৫/১২৯৭। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একটি লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে এই নিবেদন করল যে, ’সব চাইতে উত্তম ব্যক্তি কে?’ তিনি বললেন, “সেই মুমিন ব্যক্তি, যে নিজ জান-মাল দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে।” সে বলল, ’তারপর কে?’ তিনি বললেন, “সেই মুমিন, যে পার্বত্য ঘাঁটির মধ্যে কোন ঘাটিতে আল্লাহর ইবাদতে প্রবৃত্ত থাকে ও জনগণকে নিজের মন্দ থেকে মুক্ত রাখে।” (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ الخُدرِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: أَتَى رَجُلٌ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: أَيُّ النَّاسِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: «مُؤْمنٌ يُجَاهِدُ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فِي سَبيلِ اللهِ» قَالَ: ثُمَّ مَنْ ؟ قَالَ: «مُؤْمِنٌ فِي شِعبٍ مِنَ الشِّعَابِ يَعْبُدُ اللهَ، وَيَدَعُ النَّاسَ مِنْ شَرِّهِ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه، قال: اتى رجل رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: اي الناس افضل؟ قال: «مومن يجاهد بنفسه وماله في سبيل الله» قال: ثم من ؟ قال: «مومن في شعب من الشعاب يعبد الله، ويدع الناس من شره». متفق عليه

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported:
A man came to the Messenger of Allah (ﷺ) and said, "Who is the best among men?" He (ﷺ) replied, "A believer who strives in the way of Allah with his wealth and life." The man asked again, "Who is next to him (in excellence)?" He (ﷺ) said, "Next to him is a man who is engaged in worshipping his Rubb in a mountain valley, leaving the people secure from his mischief."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith has already been mentioned. See Commentary on Hadith No. 598. It brings into focus the excellence of fighting Jihad with one's wealth and life for the sake of Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১২৯৮

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

৬/১২৯৮। সাহাল ইবনে সায়াদ সায়েদী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহর রাহে একদিন সীমান্ত প্রহরায় রত থাকা, পৃথিবী ও ভূ-পৃষ্ঠের যাবতীয় বস্তু অপেক্ষা উত্তম। আর তোমাদের কারো একটি বেত্র পরিমাণ জান্নাতের স্থান, দুনিয়া তথা তার পৃষ্ঠস্থ যাবতীয় বস্তু অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। আর তোমাদের কোন ব্যক্তির আল্লাহর পথে (জিহাদ কল্পে) এক সকাল অথবা এক সন্ধ্যা গমন করা পৃথিবী ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম।” (বুখারী-মুসলিম) [1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَنْ سَهْلِ بنِ سَعدٍ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «رِبَاطُ يَوْمٍ فِي سَبِيلِ اللهِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا عَلَيْهَا، وَمَوْضِعُ سَوْطِ أَحَدِكُمْ مِنَ الجَنَّةِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا عَلَيْهَا، وَالرَّوْحَةُ يَرُوحُهَا العَبْدُ في سَبِيلِ اللهِ تَعَالَى، أَوِ الغَدْوَةُ، خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا عَلَيْهَا». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن سهل بن سعد رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «رباط يوم في سبيل الله خير من الدنيا وما عليها، وموضع سوط احدكم من الجنة خير من الدنيا وما عليها، والروحة يروحها العبد في سبيل الله تعالى، او الغدوة، خير من الدنيا وما عليها». متفق عليه

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Sahl bin Sa'd (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Observing Ribat (e.g., guarding the Islamic frontier for the sake of Allah) for a single day is far better than the world and all that it contains. A place in Jannah as small as the whip of your horse is far better than the world and all that it contains. An endeavour (fighting) in the Cause of Allah in the evening or in the morning is far better than the world and all that it contains."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith highlights the excellence of observing Ribat and fighting in the way of Allah. It also highlights the insignificance of this world and the great reward in the Hereafter which can be attained through Jihad.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১২৯৯

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

৭/১২৯৯। সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, “একদিন ও একরাত সীমান্ত প্রহরায় রত থাকা, একমাস ধরে (নফল) রোযা পালন তথা (নফল) নামায পড়া অপেক্ষা উত্তম। আর যদি ঐ অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে, তাহলে তাতে ঐ সব কাজের প্রতিদান দেওয়া হবে, যা সে পূর্বে করত এবং তার বিশেষ রুযী চালু করে দেওয়া হবে এবং তাকে (কবরের) ফিতনা ও বিভিন্ন পরীক্ষা হতে মুক্ত রাখা হবে।” (মুসলিম) [1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَنْ سَلمَانَ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُوْلُ: «رِبَاطُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ خَيْرٌ مِنْ صِيَامِ شَهْرٍ وَقِيَامِهِ، وَإنْ مَاتَ جَرَى عَلَيْهِ عَمَلُهُ الَّذِيْ كَانَ يَعْمَلُ، وَأُجْرِيَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ، وَأَمِنَ الفَتَّانَ». رواه مسلم

وعن سلمان رضي الله عنه، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول: «رباط يوم وليلة خير من صيام شهر وقيامه، وان مات جرى عليه عمله الذي كان يعمل، واجري عليه رزقه، وامن الفتان». رواه مسلم

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Salman (May Allah be pleased with him) reported:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) as saying, "Observing Ribat in the way of Allah for a day and a night is far better than observing Saum (fasting) for a whole month and standing in Salat (prayer) in all its nights. If a person dies (while performing this duty), he will go on receiving his reward for his meritorious deeds perpetually, and he will be saved from Al- Fattan."

[Muslim].

Commentary: Good deeds of a Muslim who dies or is martyred on the frontier will perpetuate and will be credited to his account till the Day of Resurrection; and like all other martyrs, sustenance will be provided to him even after his death. As Allah says: `Think not of those as dead who are killed in the way of Allah. Nay, they are alive, with their Rubb, and they have provision.'' (3:169)

"Al-Fattan'' here means the interrogation in the grave which the two angels Munkir and Nakir will conduct. Some religious scholars said that observing Ribat serves the purpose of safeguarding religion and Islamic territories, while fastings benefit only the person who performs it. It is a great trial which everyone has to pass through. But one who is a Mu'min (righteous Muslim) goes through it easily by the Grace of Allah, and he will answer all the questions correctly.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সালমান ফারসী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১৩০০

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

৮/১৩০০। ফাযালা ইবনে উবাইদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “প্রতিটি মৃত্যুগামী ব্যক্তির পরলোকগমনের পর তার কর্মধারা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু আল্লাহর রাস্তায় পাহারা রত ব্যক্তির নয়। কেননা, তার আমল কিয়ামতের দিন পর্যন্ত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করা হবে এবং সে কবরের পরীক্ষা থেকে নিষ্কৃতি পাবে।” (আবূ দাউদ-তিরমিযী হাসান সহীহ) [1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَنْ فَضَالَةَ بنِ عُبَيْدٍ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «كُلُّ مَيِّتٍ يُخْتَمُ عَلَى عَمَلِهِ إِلاَّ المُرَابِطَ فِي سَبيلِ اللهِ، فَإِنَّهُ يُنْمَى لَهُ عَمَلهُ إِلَى يَوْمِ القِيَامَةِ، وَيُؤَمَّنُ فِتْنَةَ القَبْرِ». رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

وعن فضالة بن عبيد رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «كل ميت يختم على عمله الا المرابط في سبيل الله، فانه ينمى له عمله الى يوم القيامة، ويومن فتنة القبر». رواه ابو داود والترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Fadalah bin 'Ubaid (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The actions of every dead person come to a halt with his death except the one who is on the frontier in Allah's way (i.e., observing Ribat). This latter's deeds will be made to go on increasing for him till the Day of Resurrection, and he will be secure from the trials in the grave."

[Abu Dawud and At- Tirmidhi].

Commentary: This Hadith also mentions the merits of Jihad, especially of defending the frontiers (i.e., Ribat), as is mentioned in the preceding Ahadith.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১৩০১

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

৯/১৩০১। উসমান ইবনে আফ্‌ফান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “আল্লাহর পথে একদিন সীমান্তে পাহারা দেওয়া, অন্যত্র হাজার দিন পাহারা দেওয়া অপেক্ষা উত্তম।” (তিরমিযী তিনি বলেন হাদিসটি উত্তম ও বিশুদ্ধ) [1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَن عُثمَانَ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُول اللهِ، يَقُول: «رِبَاطُ يَوْمٍ في سَبيلِ اللهِ، خَيْرٌ مِنْ ألْفِ يَوْمٍ فِيمَا سِوَاهُ مِنَ المَنَازِلِ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

وعن عثمان رضي الله عنه، قال: سمعت رسول الله، يقول: «رباط يوم في سبيل الله، خير من الف يوم فيما سواه من المنازل». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

(234) Chapter: Obligation of Jihad


'Uthman (May Allah be pleased with him) reported:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: "Spending a day on the frontier in Allah's way is better than one thousand days in any other place."

[At-Tirmidhi].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১৩০২

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

১০/১৩০২। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ সে ব্যক্তির (রক্ষণাবেক্ষণের) দায়ভার গ্রহণ করেন, যে ব্যক্তি তাঁর রাস্তায় বের হয়। (আল্লাহ বলেন,) ’আমার পথে জিহাদ করার স্পৃহা, আমার প্রতি বিশ্বাস, আমার পয়গম্বরদেরকে সত্যজ্ঞানই তাকে (স্বগৃহ থেকে) বের করে। আমি তার এই দায়িত্ব নিই যে, হয় তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাব, না হয় তাকে নেকী বা গনিমতের সম্পদ দিয়ে তার সেই বাড়ির দিকে ফিরিয়ে দেব, যে বাড়ি থেকে সে বের হয়েছিল।’ সেই মহান সত্তার শপথ, যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ আছে! আল্লাহর পথে দেহে যে কোন জখম পৌঁছে, কিয়ামতের দিনে তা ঠিক এই অবস্থায় আগমন করবে যে, যেন আজই জখম হয়েছে। (টাটকা জখম ও রক্ত ঝরবে।)

তার রং তো রক্তের রং হবে, কিন্তু তার গন্ধ হবে কস্তুরীর মত। সেই মহান সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মদের জীবন আছে! যদি মুসলিমদের জন্য কষ্টের আশংকা না করতাম, তাহলে আমি কখনো এমন মুজাহিদ বাহিনীর পিছনে বসে থাকতাম না, যারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে। কিন্তু আমার এ সঙ্গতি নেই যে, আমি তাদের সকলকে বাহন দিই এবং তাদেরও (সকলের জিহাদে বের হওয়ার) সঙ্গতি নেই। আর (আমি চলে গেলে) আমার পিছনে থেকে যাওয়া তাদের জন্য কষ্টকর হবে। সেই মহান সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মদের জীবন আছে! আমার আন্তরিক ইচ্ছা যে, আমি আল্লাহর পথে লড়াই করি এবং শহীদ হই। অতঃপর আবার (জীবিত হয়ে) লড়াই করি, পুনরায় শাহাদত বরণ করি। অতঃপর (পুনর্জীবিত হয়ে) যুদ্ধ করি এবং পুনরায় শহীদ হয়ে যাই।” (বুখারী কিদয়ংশ, মুসলিম)[1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «تَضَمَّنَ اللهُ لِمَنْ خَرَجَ فِي سَبِيلِهِ، لاَ يُخْرِجُهُ إِلاَّ جِهَادٌ فِي سَبِيلِي، وَإِيمَانٌ بِي، وَتَصْدِيقٌ بِرُسُلِي، فَهُوَ عَلَيَّ ضَامِنٌ أَنْ أُدْخِلَهُ الجَنَّةَ، أَوْ أُرْجِعَهُ إِلَى مَنْزِلِهِ الَّذِيْ خَرَجَ مِنْهُ بِمَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ، أَوْ غَنِيمَةٍ . وَالَّذِيْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، مَا مِنْ كَلْمٍ يُكْلَمُ فِي سَبِيلِ اللهِ، إِلاَّ جَاءَ يَوْمَ القِيَامَةِ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ كُلِم ؛ لَوْنُهُ لَوْنُ دَمٍ، وَرِيحُهُ رِيحُ مِسْكٍ. وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَوْلاَ أَنْ يَشُقَّ عَلَى المُسْلِمِينَ مَا قَعَدْتُ خِلاَفَ سَرِيَّةٍ تَغْزُو فِي سَبيلِ اللهِ أَبَداً، وَلكِنْ لاَ أَجِدُ سَعَةً فَأَحْمِلُهُمْ وَلاَ يَجِدُونَ سَعَةً، وَيَشُقُّ عَلَيْهِمْ أَنْ يَتَخَلَّفُوا عَنِّي . وَالَّذِي نَفْس مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَوَدِدْتُ أَنْ أَغْزُوَ فِي سَبيلِ اللهِ، فَأُقْتَلَ، ثُمَّ أَغْزُوَ فَأُقْتَلَ، ثُمَّ أَغْزُوَ فَأُقْتَلَ». رواه مسلم، وروى البخاري بعضه

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «تضمن الله لمن خرج في سبيله، لا يخرجه الا جهاد في سبيلي، وايمان بي، وتصديق برسلي، فهو علي ضامن ان ادخله الجنة، او ارجعه الى منزله الذي خرج منه بما نال من اجر، او غنيمة . والذي نفس محمد بيده، ما من كلم يكلم في سبيل الله، الا جاء يوم القيامة كهيىته يوم كلم ؛ لونه لون دم، وريحه ريح مسك. والذي نفس محمد بيده، لولا ان يشق على المسلمين ما قعدت خلاف سرية تغزو في سبيل الله ابدا، ولكن لا اجد سعة فاحملهم ولا يجدون سعة، ويشق عليهم ان يتخلفوا عني . والذي نفس محمد بيده، لوددت ان اغزو في سبيل الله، فاقتل، ثم اغزو فاقتل، ثم اغزو فاقتل». رواه مسلم، وروى البخاري بعضه

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah guarantees that he who goes out to fight in His way believing in Him and affirming the truth of His Messenger, will either be admitted to Jannah or will be brought back to his home (safely) from where he has set out, with whatever reward or share of booty he may have gained. By Him in Whose Hand Muhammad's soul is, if a person is wounded in the way of Allah, he will come on the Day of Resurrection with his wound in the same condition as it was on the day when he received it; its colour will be the colour of blood but its smell will be the smell of musk. By Him in Whose Hand Muhammad's soul is, if it were not to be too hard upon the Muslims, I would not lag behind any expedition to fight in the Cause of Allah, but I have neither abundant means to provide them conveyance (horses) nor all other Muslims have it, and it will be hard on them to remain behind when I go forth (for Jihad). By Him in Whose Hand Muhammad's soul is, I love to fight in the way of Allah and get killed, to fight again and get killed and to fight again and get killed."

[Muslim].


Commentary:
1. Besides the merit of Jihad, this Hadith mentions the distinction of that Mu'min (righteous Muslim) who is wounded on the battlefield. It tells us that he will be so resurrected on the Day of Resurrection as if he was wounded on that day. Blood will be dripping from his body which will be emitting the fragrance of musk. This condition will show the distinction and majesty of the Mujahid (warrior in the way of Allah) on the Day of Judgement.

2. It also mentions the kindness and mercy which the Prophet (PBUH) cherished for his Ummah.

3. It also mentions the Prophet's passion for Jihad which is evident from the repeated expression of his desire for martyrdom - in fact an endless series of life for performing it again and again for the sake of Allah. A similar desire is also made by other martyrs. They pray to Allah that they be restored to life so that they can lay down their life again and again for His sake.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১৩০৩

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

১১/১৩০৩। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কোন ক্ষত আল্লাহর রাহে পৌঁছে, কিয়ামতের দিনে ক্ষতিগ্রস্ত মুজাহিদ এমন অবস্থায় আগমন করবে যে, তার ক্ষত হতে রক্ত ঝরবে। রক্তের রং তো (বাহ্যত:) রক্তের মত হবে, কিন্তু তার গন্ধ হবে কস্তুরীর মত।” (বুখারী, মুসলিম) [1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَنهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَا مِنْ مَكْلُومٍ يُكْلَم فِي سَبيِلِ الله إِلاَّ جَاءَ يَومَ القِيَامةِ، وَكَلْمُهُ يُدْمِي: اللَّوْنُ لَوْنُ دَمٍ، وَالرِّيحُ ريحُ مِسكٍ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «ما من مكلوم يكلم في سبيل الله الا جاء يوم القيامة، وكلمه يدمي: اللون لون دم، والريح ريح مسك». متفق عليه

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Whoever is wounded while fighting in the way of Allah, will come on the Day of Resurrection with blood oozing from his wound having the colour of blood but with the fragrance of musk."

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১৩০৪

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

১২/১৩০৪। মু’আয রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কোন মুসলিম যদি আল্লাহর রাহে এতটুকু সময় যুদ্ধ করে যতটুকু দু’বার উটনী দোহাবার মাঝে হয়, তাহলে তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। আর যে মুজাহিদকে আল্লাহর পথে কোনো ক্ষত বা আঁচড় পৌঁছে, আঁচড় কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উপস্থিত হবে যে, তা হতে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশী রক্তধারা প্রবাহিত হবে। (দৃশ্যত:) তার রং হবে জাফরান, আর তার গন্ধ হবে কস্তুরীর মত।” (আবূ দাউদ, তিরমিযী হাসান সহীহ) [1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَن مُعَاذٍ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَنْ قَاتَلَ فِي سَبِيلِ اللهِ مِن رَجُلٍ مُسْلِمٍ فُوَاقَ نَاقَةٍ، وَجَبَتْ لَهُ الجَنَّةُ، وَمَنْ جُرِحَ جُرْحاً فِي سَبِيلِ اللهِ أَوْ نُكِبَ نَكْبَةً فَإِنَّهَا تَجِيءُ يَوْمَ القِيَامَةِ كَأَغْزَرِ مَا كَانَتْ: لَونُها الزَّعْفَرَانُ، وَرِيحُهَا كَالمِسْكِ». رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن

وعن معاذ رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «من قاتل في سبيل الله من رجل مسلم فواق ناقة، وجبت له الجنة، ومن جرح جرحا في سبيل الله او نكب نكبة فانها تجيء يوم القيامة كاغزر ما كانت: لونها الزعفران، وريحها كالمسك». رواه ابو داود والترمذي، وقال: حديث حسن

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Muadh (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Jannah becomes incumbent for a Muslim who fights for the Cause of Allah for a period as long as the time between two consecutive turns of milking a she-camel. He who receives a wound or a bruise in the Cause of Allah will appear on the Day of Resurrection as fresh as possible, its colour will be the colour of saffron and its fragrance will be that of musk."

[At-Tirmidhi and Abu Dawud].

Commentary: "Fawaq'' is the period that intervenes between two consecutive turns of milking a she-camel. It is a very short interval and is an allusion to a very short period that one may spend in Jihad. Even Jihad for such a short time is so meritorious that his entitlement to Jannah is ensured by it, provided the Mujahid is sincere in his intention and his past conduct is free from major sins and encroachment on the rights of others.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১৩০৫

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

১৩/১৩০৫। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একজন সাহাবী একটি দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী পথ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। সে পথে ছিল একটি ছোট মিষ্টি পানির ঝর্ণা। সুতরাং তা তাঁকে মুগ্ধ করে তুলল। তিনি বললেন, ’আমি যদি লোকদের থেকে পৃথক হয়ে এই পাহাড়ি পথে বসবাস করতাম, (তাহলে ভাল হত)! তবে এ কাজ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুমতি ব্যতীত কখনই করব না।’ সুতরাং তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ কথা উল্লেখ করলেন। তিনি বললেন, “এরূপ করো না। কারণ, আল্লাহর রাস্তায় তোমাদের কোন ব্যক্তির (জিহাদ উপলক্ষে) অবস্থান করা, নিজ ঘরে সত্তর বছর ব্যাপী নামায পড়া অপেক্ষা উত্তম। তোমরা কি চাও না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করান? অতএব আল্লাহর রাহে লড়াই কর। (জেনে রেখো,) যে ব্যক্তি আল্লাহর রাহে দু’বার উটনী দোহানোর মধ্যবর্তী সময় পরিমাণ জিহাদ করবে, তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যাবে।” (তিরমিযী হাসান সূত্রে)[1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: مَرَّ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِشِعبٍ فِيهِ عُيَيْنَةٌ مِنْ مَاءٍ عَذْبَة، فَأَعْجَبَتْهُ، فَقَالَ: لَو اعْتَزَلْتُ النَّاسَ فَأَقَمْتُ فِي هَذَا الشِّعْبِ، وَلَنْ أَفْعَلَ حَتَّى أَسْتَأْذِنَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَذَكَرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: «لاَ تَفعَلْ؛ فَإِنَّ مُقامَ أَحَدِكُمْ في سَبيلِ اللهِ أَفْضَلُ مِنْ صَلاَتِهِ فِي بَيْتِهِ سَبْعِينَ عَاماً، أَلاَ تُحِبُّونَ أَنْ يَغْفِرَ الله لَكُمْ، وَيُدْخِلَكُمُ الجَنَّةَ ؟ أُغْزُوا فِي سَبيلِ اللهِ، مَن قَاتَلَ فِي سَبِيلِ اللهِ فُوَاقَ نَاقَةٍ وَجَبَتْ لَهُ الجَنَّةُ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: مر رجل من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم بشعب فيه عيينة من ماء عذبة، فاعجبته، فقال: لو اعتزلت الناس فاقمت في هذا الشعب، ولن افعل حتى استاذن رسول الله صلى الله عليه وسلم، فذكر ذلك لرسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: «لا تفعل؛ فان مقام احدكم في سبيل الله افضل من صلاته في بيته سبعين عاما، الا تحبون ان يغفر الله لكم، ويدخلكم الجنة ؟ اغزوا في سبيل الله، من قاتل في سبيل الله فواق ناقة وجبت له الجنة». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
One of the Prophet's Companions came upon a valley containing a rivulet of fresh water and was delighted by it. He reflected: 'I wish to withdraw from people and settle in this valley; but I won't do so without the permission of the Messenger of Allah (ﷺ).' This was mentioned to the Messenger of Allah (ﷺ) and he said (to the man), "Do not do that, for when any of you remains in Allah's way, it is better for him than performing Salat (prayer) in his house for seventy years. Do you not wish that Allah should forgive you and admit you to Jannah? Fight in Allah's way, for he who fights in Allah's Cause as long as the time between two consecutive turns of milking a she-camel, will be surely admitted to Jannah."

[At-Tirmidhi].

Commentary: This Hadith brings out two important points:
First, Jihad is far superior than voluntary Salat. This is perfectly true because the benefit of Salat is restricted to the one who performs it while the benefits of Jihad reach a vast number of people because it is to safeguard the religion, raise the flag of Islam high and safeguard the Islamic territories. But it is only possible when there is a general proclamation for Jihad and there is such a severe fight that it is not permissible for anyone to stay behind; that is to say, it becomes obligatory. In the ordinary circumstances, when a general proclamation for Jihad is not made, the voluntary Salat, is the best of all acts of worship. Second, the Companions of the Prophet (PBUH) did not do anything without the permission of the Prophet (PBUH).


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১৩০৬

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

১৪/১৩০৬। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করা হল, ’হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর পথে জিহাদ করার সমতুল্য আমল কি? তিনি বললেন, “তোমরা তা পারবে না।” তারা তাঁকে দু’-তিনবার ঐ একই কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকল, আর তিনি প্রত্যেকবারে বললেন, “তোমরা তার ক্ষমতা রাখ না।” তারপর বললেন, “আল্লাহর পথে জিহাদ-কারীর দৃষ্টান্ত ঠিক সেই রোজাদার ও আল্লাহর আয়াত পাঠ করে নামায আদায়কারীর মত, যে রোযা রাখতে ও নামায পড়তে আদৌ ক্লান্তি-বোধ করে না। (এরূপ ততক্ষণ পর্যন্ত গণ্য হয়) যতক্ষণ না মুজাহিদ জিহাদ থেকে ফিরে আসে।” (বুখারী-মুসলিম, শব্দগুলি মুসলিমের) [1]

বুখারীর এক বর্ণনায় আছে, একটি লোক বলল, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি আমল বাতলে দিন, যা জিহাদের সমতুল্য হবে।’ তিনি বললেন, “আমি এ ধরনের আমল তো পাচ্ছি না।” তারপর তিনি বললেন, “তুমি কি এরূপ করতে পারবে যে, মুজাহিদ যখন বের হয়ে যাবে, তখন থেকে তুমি মসজিদে ঢুকে অ-ক্লান্তভাবে নামাযে নিমগ্ন হবে এবং অবিরাম রোযা রাখবে।” সে বলল, ’ও কাজ কে করতে পারবে?’

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَنهُ، قَالَ: قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، مَا يَعْدِلُ الجِهَادَ فِي سَبِيلِ اللهِ ؟ قَالَ: «لاَ تَسْتَطِيعُونَهُ». فَأَعَادُوا عَلَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثاً كُلُّ ذَلِكَ يَقُولُ: «لاَ تَسْتَطِيعُونَهُ» ! ثُمَّ قَالَ: «مَثَلُ المُجَاهِدِ فِي سَبيلِ اللهِ كَمَثلِ الصَّائِمِ القَائِمِ القَانِتِ بِآيَاتِ اللهِ لاَ يَفْتُرُ مِنْ صِيَامٍ، وَلاَ صَلاَةٍ، حَتَّى يَرْجِعَ المُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللهِ». متفقٌ عَلَيْهِ، وهذا لفظ مسلمٍ .
وفي رواية البخاري: أَنَّ رَجُلاً قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ يَعْدِلُ الجِهَادَ ؟ قَالَ: لاَ أَجِدُهُ» ثُمَّ قَالَ: «هَلْ تَسْتَطِيعُ إِذَا خَرَجَ المُجَاهِدُ أَنْ تَدْخُلَ مَسْجِدَكَ فَتَقُوْمَ وَلاَ تَفْتُرَ، وَتَصُومَ وَلاَ تُفْطِرَ» ؟ فَقَالَ: وَمَنْ يَسْتَطِيعُ ذَلِكَ ؟!

وعنه، قال: قيل: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، ما يعدل الجهاد في سبيل الله ؟ قال: «لا تستطيعونه». فاعادوا عليه مرتين او ثلاثا كل ذلك يقول: «لا تستطيعونه» ! ثم قال: «مثل المجاهد في سبيل الله كمثل الصاىم القاىم القانت بايات الله لا يفتر من صيام، ولا صلاة، حتى يرجع المجاهد في سبيل الله». متفق عليه، وهذا لفظ مسلم . وفي رواية البخاري: ان رجلا قال: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، دلني على عمل يعدل الجهاد ؟ قال: لا اجده» ثم قال: «هل تستطيع اذا خرج المجاهد ان تدخل مسجدك فتقوم ولا تفتر، وتصوم ولا تفطر» ؟ فقال: ومن يستطيع ذلك ؟!

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) was asked: "What other good deed could be an equivalent of Jihad in the way of Allah?" He (ﷺ) replied, "You do not have the strength to do it." (The narrator said:) The question was repeated twice or thrice, but every time he (ﷺ) answered, "You do not have the strength to do it." Then he (ﷺ) said, "One who goes out for Jihad in the Cause of Allah is like a person who observes Saum (fasting), stands in Salat (prayer) constantly, recites the Ayat of the Qur'an and does not exhibit any lassitude in fasting and prayer until the participant of Jihad in the way of Allah returns."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: "Alqanit'' signifies one who makes recitation of the Ayat of the Noble Qur'an with the fear of Allah and humility, or is submissive and obedient to the Commands of Allah. The example cited here means that so long a Mujahid is engaged in Jihad, he is like a person who keeps himself occupied in Salat at night and observes Saum in the day time. The action of such a person can be equal in reward to the conduct of a Mujahid. Thus, in special situations Jihad is the most meritorious act. A worshipper cannot attain that reward for his worship which a Mujahid achieves in Jihad.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১৩০৭

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

১৫/১৩০৭। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহর পথে ঘোড়ার লাগাম ধারক ব্যক্তির জীবন, সমস্ত লোকের জীবন চাইতে উত্তম, যে ব্যক্তি যুদ্ধ-ধ্বনি শোনামাত্র ঘোড়ার পিঠে চড়ে উড়ে চলে অথবা কোন শত্রুর ভয় দেখা মাত্র তার পিঠে চড়ে (দ্রুত বেগে) উড়ে যায় এবং শাহাদত অথবা মৃত্যু তার (সব সব) সম্ভাব্য স্থানে সন্ধান করতে থাকে। কিংবা সেই ব্যক্তির (জীবন সর্বোত্তম) যে তার ছাগলের পাল নিয়ে পর্বত-শিখরে বা কোন উপত্যকার মাঝে অবস্থান করে। যথারীতি নামায আদায় করে, যাকাত দেয় এবং আমরণ স্বীয় প্রভুর উপাসনায় প্রবৃত্ত থাকে। লোকদের মধ্যে এ ব্যক্তি উত্তম অবস্থায় রয়েছে।” (মুসলিম) [1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَنهُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مِنْ خَيْرِ مَعَاشِ النَّاسِ لَهُمْ، رَجُلٌ مُمْسِكٌ عِنَانَ فَرَسِهِ فِي سَبِيلِ اللهِ، يَطِيرُ عَلَى مَتْنِهِ، كُلَّمَا سَمِعَ هَيْعَةً أَوْ فَزْعَةً طَارَ عَلَيْهِ يَبْتَغِي القَتْلَ وَالمَوْتَ مَظَانَّهُ أَوْ رَجُلٌ فِي غُنَيْمَةٍ فِي رَأسِ شَعَفَةٍ مِنْ هَذَا الشَّعَفِ، أَوْ بَطْنِ وَادٍ مِنَ الأَوْدِيَةِ، يُقِيمُ الصَّلاَةَ، وَيُؤتِي الزَّكَاةَ، وَيَعْبُدُ رَبَّهُ حَتَّى يَأتِيَهُ اليَقِينُ، لَيْسَ مِنَ النَّاسِ إِلاَّ في خَيْرٍ». رواه مسلم

وعنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «من خير معاش الناس لهم، رجل ممسك عنان فرسه في سبيل الله، يطير على متنه، كلما سمع هيعة او فزعة طار عليه يبتغي القتل والموت مظانه او رجل في غنيمة في راس شعفة من هذا الشعف، او بطن واد من الاودية، يقيم الصلاة، ويوتي الزكاة، ويعبد ربه حتى ياتيه اليقين، ليس من الناس الا في خير». رواه مسلم

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The best life is that of the man who holds his horse's rein in Allah's way and flies on its back to the places from whence he hears a war cry or the clatter of arms, seeking martyrdom or slaughter on the battlefield; or that of a person who goes to stay on the top of the hill or in a valley, and there he performs Salat (prayer), pays the Zakat and worships his Rubb till death overtakes him. He has no concern with the affairs of anyone except the doing of good."

[Muslim].

Commentary: This Hadith has already been mentioned. See Commentary on Hadith No. 609. Besides highlighting the distinction of the Mujahid, this Hadith mentions the excellence of that person who leaves the cities when they are plagued with mischief and retreats to the valleys or hills and protects his Faith by flock-keeping and devotes himself to the obedience of Allah, adherence to His Commands and His worship. One of his outstanding qualities is that he does what is beneficial to the people and he does nothing which causes harm to anyone.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১৩০৮

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

১৬/১৩০৮। উক্ত বর্ণনাকারী (আবূ হুরাইরা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতের মধ্যে একশ’টি স্তর আছে, যা আল্লাহর রাহে জিহাদ-কারীদের জন্য মহান আল্লাহ প্রস্তুত করে রেখেছেন। দুই স্তরের মাঝখানের ব্যবধান আসমান-জমিনের মধ্যবর্তীর দূরত্ব-সম।” (বুখারী)[1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «إِنَّ فِي الجنَّةِ مِئَةَ دَرَجَةٍ أَعَدَّهَا اللهُ لِلْمُجَاهِدِينَ في سَبِيلِ اللهِ مَا بَيْنَ الدَّرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأرْضِ». رواه البخاري

وعنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «ان في الجنة مىة درجة اعدها الله للمجاهدين في سبيل الله ما بين الدرجتين كما بين السماء والارض». رواه البخاري

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "In Jannah there are a hundred grades which Allah has prepared for those who fight in His Cause; and the distance between any two of those grades is like the distance between the heaven and the earth."

[Al-Bukhari].

Commentary: This Hadith also tells us about the distinction of Mujahid in the Hereafter and their elevation to high position.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১৩০৯

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

১৭/১৩০৯। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহকে রব (প্রতিপালক) বলে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পয়গম্বর-রূপে মেনে নিলো, তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে গেল।” আবূ সাঈদ (বর্ণনাকারী) অনুরূপ উক্তি শুনে নিবেদন করলেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! কথাগুলি আবার বলুন।’ তিনি তাই করলেন। তারপর তিনি বললেন, “আরও একটি পুণ্যের সুসংবাদ, যার বিনিময়ে বান্দার জন্য আল্লাহ তা’আলা জান্নাতের মধ্যে একশ’টি স্তর উঁচু করে দেবেন, প্রতি দুই স্তরের মাঝখানের দূরত্ব হবে, আকাশ-পৃথিবীর মধ্যখানের দূরত্ব সম।” আবূ সাঈদ বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! সেটি কি?’ তিনি বললেন, “আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ।” (মুসলিম) [1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَن أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ رَضِيَ بِاللهِ رَبّاً، وَبِالإِسْلاَمِ ديناً، وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً، وَجَبَتْ لَهُ الجَنَّةُ»، فَعَجِبَ لَهَا أَبُو سَعيدٍ، فَقَالَ: أَعِدْهَا عَلَيَّ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَأَعَادَهَا عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: «وَأُخْرَى يَرْفَعُ اللهُ بِهَا العَبْدَ مِئَةَ دَرَجَةٍ فِي الجَنَّةِ، مَا بَيْنَ كُلِّ دَرَجَتَينِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ» قَالَ: وَمَا هيَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم ؟ قَالَ: «الجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللهِ، الجهَادُ في سَبيلِ اللهِ». رواه مسلم

وعن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «من رضي بالله ربا، وبالاسلام دينا، وبمحمد رسولا، وجبت له الجنة»، فعجب لها ابو سعيد، فقال: اعدها علي يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، فاعادها عليه، ثم قال: «واخرى يرفع الله بها العبد مىة درجة في الجنة، ما بين كل درجتين كما بين السماء والارض» قال: وما هي يا رسول الله صلى الله عليه وسلم ؟ قال: «الجهاد في سبيل الله، الجهاد في سبيل الله». رواه مسلم

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "If anyone is pleased with Allah as his Rubb, with Islam as his religion and with Muhammad (ﷺ) as (Allah's) Messenger, surely, he will be entitled to enter Jannah." Abu Sa'id was delighted with this and requested the Messenger of Allah (ﷺ) to repeat it. He (ﷺ) repeated it again and then said, "There is also another act by which Allah will elevate the position of a (pious believing) slave in Jannah to a grade one hundred degrees higher. And the distance between any two grades is equal to the distance between heaven and earth." He asked the Messenger of Allah (ﷺ) what it was and he ((ﷺ)) replied, "Jihad in the way of Allah; Jihad in the way of Allah."

[Muslim].

Commentary: We learn from this Hadith that the people who will be sent to Jannah will be ranked there differently according to this merits of their deeds. There will be innumerable positions in Jannah and Mujahid will have a hundred of them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১৩১০

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

১৮/১৩১০। আবূ বকর ইবনে আবূ মুসা আশ’আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার পিতা রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে এ কথা বলতে শুনেছি---যখন তিনি শত্রুর সামনে বিদ্যমান ছিলেন---আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিঃসন্দেহে জান্নাতের দ্বারসমূহ তরবারির ছায়াতলে রয়েছে।” এ কথা শুনে রুক্ষ বেশধারী জনৈক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলে উঠল, ’হে আবূ মুসা! আপনি কি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছেন?’ তিনি বললেন, ’হ্যাঁ। অতঃপর সে তার সঙ্গীদের কাছে ফিরে গেল এবং বলল, তোমাদেরকে বিদায়ী সালাম জানাচ্ছি।’ অতঃপর সে তার তরবারির খাপটি ভেঙ্গে দিয়ে (নগ্ন) তরবারিটি নিয়ে শত্রুর দিকে অগ্রসর হল এবং শত্রুকে আঘাত করে অবশেষে সে শহীদ হয়ে গেল। (মুসলিম)[1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَن أَبي بَكْرِ بنِ أَبِي مُوسَى الأَشعَرِي رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي رضي الله عنه، وَهُوَ بَحَضْرَةِ العَدُوِّ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «إِنَّ أَبْوَابَ الجَنَّةِ تَحْتَ ظِلاَلِ السُّيُوفِ» فَقَامَ رَجُلٌ رَثُّ الهَيْئَةِ، فَقَالَ: يَا أَبَا مُوسَى أَأَنْتَ سَمِعْتَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ هَذَا ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَرَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ، فَقَالَ: أَقْرَأُ عَلَيْكُم السَّلاَمَ، ثُمَّ كَسَرَ جَفْنَ سَيْفِهِ فَأَلْقَاهُ، ثُمَّ مَشَى بِسَيْفِهِ إِلَى العَدُوِّ فَضَربَ بِهِ حَتَّى قُتِلَ. رواه مسلم

وعن ابي بكر بن ابي موسى الاشعري رضي الله عنه، قال: سمعت ابي رضي الله عنه، وهو بحضرة العدو، يقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «ان ابواب الجنة تحت ظلال السيوف» فقام رجل رث الهيىة، فقال: يا ابا موسى اانت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يقول هذا ؟ قال: نعم، فرجع الى اصحابه، فقال: اقرا عليكم السلام، ثم كسر جفن سيفه فالقاه، ثم مشى بسيفه الى العدو فضرب به حتى قتل. رواه مسلم

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Abu Bakr bin Abu Musa Al-Ash'ari reported:
I heard my father saying in the presence of the enemy: The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The gates of Jannah are under the shades of the swords." A man with a shaggy appearance got up and said, "O Abu Musa! Did you hear the Messenger of Allah (ﷺ) say that in person?" Abu Musa replied in the affirmative; so he returned to his companions and said: "I tender you farewell greetings." Then he broke the scabbard of his sword and threw it away. He rushed towards the enemy with his sword and fought with it till he was martyred.

[Muslim].

Commentary: Besides highlighting the distinction of Jihad, this Hadith tells us about the Companions' passion for Jihad and ardent love for Allah and His Prophet (PBUH). It also tells about their firm faith in what was ordained by Allah and His Prophet (PBUH). In fact, it was this certitude which inclined them more to the Hereafter rather than this world.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১৩১১

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

১৯/১৩১১। আবূ আব্স আব্দুর রহমান ইবনে জাবর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে বান্দার পদযুগল আল্লাহর পথে ধূলিমলিন হবে, তাকে জাহান্নাম স্পর্শ করবে না।” (বুখারী) [1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَن أَبي عَبْسٍ عَبدِ الرَّحمَانِ بنِ جَبْرٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «مَا اغْبَرَّتْ قَدَمَا عَبْدٍ فِي سَبيلِ اللهِ فَتَمَسَّهُ النَّارُ». رواه البخاري

وعن ابي عبس عبد الرحمان بن جبر رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «ما اغبرت قدما عبد في سبيل الله فتمسه النار». رواه البخاري

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Abu 'Abs 'Abdur-Rahman bin Jabr (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "It will not happen that the feet soiled with dust while (doing Jihad) in the way of Allah, will be touched by the fire (of Hell)."

[Al- Bukhari].

Commentary: "Feet soiled with dust'' means participation in Jihad. That is to say, a person takes part in Jihad and yet goes to Hell is altogether impossible. What it signifies is that Jihad is a means of expiation of sins and that it guarantees the admission into Jannah, provided he is not guilty of major sins. This exception is confirmed by other Ahadith.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
১৩১২

পরিচ্ছেদঃ ২৩৪: জিহাদ ওয়াজিব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

২০/১৩১২। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সেই ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে কাঁদে; যতক্ষণ দুধ স্তনে ফিরে না গেছে। (অর্থাৎ দুধ স্তনে ফিরে যাওয়া যেমন অসম্ভব, তেমনি তার জাহান্নামে প্রবেশ করাও অসম্ভব।) আর একই বান্দার উপর আল্লাহর পথের ধূলা ও জাহান্নামের ধোঁয়া একত্র জমা হবে না।” (তিরমিযী হাসান সহীহ)[1]

(234) بَابُ فَضْلِ الْـجِهَادِ

وَعَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لاَ يَلِجُ النَّارَ رَجُلٌ بَكَى مِنْ خَشْيةِ اللهِ حَتَّى يَعُودَ اللَّبَنُ فِي الضَّرْعِ، وَلاَ يَجْتَمِعُ عَلَى عَبْدٍ غُبَارٌ فِي سَبيلِ اللهِ وَدُخَانُ جَهَنَّمَ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لا يلج النار رجل بكى من خشية الله حتى يعود اللبن في الضرع، ولا يجتمع على عبد غبار في سبيل الله ودخان جهنم». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

(234) Chapter: Obligation of Jihad


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "No one who weeps out of Fear of Allah will enter Hell until milk recedes to the udder, and the dust endured while striving in the Cause of Allah and the smoke of Hell will never subsist together."

[At-Tirmidhi].

Commentary: This Hadith makes use of a metaphor to stress the impossible. One who weeps for Fear of Allah and one who is covered with the dust of the battlefield in the course of Jihad, will in no case enter Hell until the milk drawn from udder goes back to it. The dust of the battlefield of Jihad and the smoke of Hell cannot combine at one place. The mixing of the two is utterly impossible. However, this will apply only if one's `Aqeedah is correct and one's intention is correct (i.e., one participates in Jihad with the intention to please Allah Alone)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ (كتاب الجهاد) The Book of Jihad
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 পরের পাতা »