পরিচ্ছেদঃ ২১৫৫. নাবী (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীদের মদিনায় শুভাগমন
৩৬৪৫। মূসা ইবনু ইসমা’ঈল (রহঃ) ... খারিজা ইবনু যায়েদ ইবনু সাবিত (রহঃ) বলেন, উম্মুল ’আলা’ (রাঃ) নামক জনৈক আনসারী মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে বায়’আত করেন। তিনি বর্ণনা করেন, যখন মুহাজিরদের অবস্থানের ব্যাপারে আনসারদের মধ্যে লটারী অনুষ্ঠিত হল তখন উসমান ইবনু মায’উনের বসবাস আমাদের ভাগে পড়ল। উম্মুল ’আলা’ (রাঃ) বলেন, এরপর তিনি আমাদের এখানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমি তার সেবা শুশ্রূষা করলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর ওফাত হয়ে গেল। আমরা কাফনের কাফড় পরিয়ে দিলাম। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এখানে তশরীফ আনলেন। ঐ সময় আমি ’উসমান (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে বলছিলাম। হে আবূ সায়িব! তোমার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। তোমার ব্যাপারে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ নিশ্চয়ই তোমাকে সম্মানিত করেছেন।
তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কেমন করে জানলে যে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেছেন? আমি বললাম, আমার মাতা-পিতা আপনার উপর কুরবান হোক। ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি তো জানিনা। (তবে তাকে যদি সম্মানিত করা না হয়) তবে কাকে আল্লাহ সম্মানিত করবেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর কসম! ’উসমানের মৃত্যু হয়ে গেছে। আল্লাহর কসম! আমি তার সম্বন্ধে কল্যাণের আশা পোষণ করছি। আল্লাহর কসম, আমি আল্লাহর রাসূল হওয়া সত্তেও জানিনা আল্লাহ তাঁর সাথে কি ব্যাবহার করবেন।
উম্মুল ’আলা’ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, আমি এ কথা শোনার পর আর কাউকে (দৃঢ়তার সহিত) পূত-পবিত্র বলব না। উম্মুল ’আলা’ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এ কথা আমাকে চিন্তিত করল। এরপর আমি স্বপ্নে দেখতে পেলাম যে, ’উসমান ইবনু মায’উন (রাঃ) এর জন্য একটি নহর প্রবাহিত রয়েছে। আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে আমার স্বপ্নটি ব্যক্ত করলে তিনি বললেন, এ হচ্ছে তার (নেক) আমল।
باب مَقْدَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ الْمَدِينَةَ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ أُمَّ الْعَلاَءِ ـ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِمْ بَايَعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ـ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ مَظْعُونٍ طَارَ لَهُمْ فِي السُّكْنَى حِينَ اقْتَرَعَتِ الأَنْصَارُ عَلَى سُكْنَى الْمُهَاجِرِينَ، قَالَتْ أُمُّ الْعَلاَءِ فَاشْتَكَى عُثْمَانُ عِنْدَنَا، فَمَرَّضْتُهُ حَتَّى تُوُفِّيَ، وَجَعَلْنَاهُ فِي أَثْوَابِهِ، فَدَخَلَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْكَ أَبَا السَّائِبِ، شَهَادَتِي عَلَيْكَ لَقَدْ أَكْرَمَكَ اللَّهُ. فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَمَا يُدْرِيكِ أَنَّ اللَّهَ أَكْرَمَهُ ". قَالَتْ قُلْتُ لاَ أَدْرِي بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَنْ قَالَ " أَمَّا هُوَ فَقَدْ جَاءَهُ وَاللَّهِ الْيَقِينُ، وَاللَّهِ إِنِّي لأَرْجُو لَهُ الْخَيْرَ، وَمَا أَدْرِي وَاللَّهِ وَأَنَا رَسُولُ اللَّهِ مَا يُفْعَلُ بِي ". قَالَتْ فَوَاللَّهِ لاَ أُزَكِّي أَحَدًا بَعْدَهُ قَالَتْ فَأَحْزَنَنِي ذَلِكَ فَنِمْتُ فَأُرِيتُ لِعُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ عَيْنًا تَجْرِي، فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ. فَقَالَ " ذَلِكَ عَمَلُهُ ".
Narrated 'Um Al-`Ala:
An Ansari woman who gave the pledge of allegiance to the Prophet (ﷺ) that the Ansar drew lots concerning the dwelling of the Emigrants. `Uthman bin Maz'un was decided to dwell with them (i.e. Um Al-`Ala's family), `Uthman fell ill and I nursed him till he died, and we covered him with his clothes. Then the Prophet (ﷺ) came to us and I (addressing the dead body) said, "O Abu As-Sa'ib, may Allah's Mercy be on you! I bear witness that Allah has honored you." On that the Prophet (ﷺ) said, "How do you know that Allah has honored him?" I replied, "I do not know. May my father and my mother be sacrificed for you, O Allah's Messenger (ﷺ)! But who else is worthy of it (if not `Uthman)?" He said, "As to him, by Allah, death has overtaken him, and I hope the best for him. By Allah, though I am the Apostle of Allah, yet I do not know what Allah will do to me," By Allah, I will never assert the piety of anyone after him. That made me sad, and when I slept I saw in a dream a flowing stream for `Uthman bin Maz'un. I went to Allah's Messenger (ﷺ) and told him of it. He remarked, "That symbolizes his (good) deeds."
পরিচ্ছেদঃ ২৯৪১. মহিলাদের স্বপ্ন
৬৫৩১। সাঈদ ইবনু উফায়র (রহঃ) ... খারিজা ইবনু যায়িদ ইবনু সাবিত (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উম্মুল আলা নাম্নী জনৈকা আনসারী মহিলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বায়আত গ্রহণ করেন। তিনি তাঁকে জানান যে, আনসারগণ লটারির মাধ্যমে মুহাজিরগণকে ভাগ করে নিয়েছিল। আমাদের ভাগে আসলেন উসমান ইবনু মাযউন (রাঃ)। আমরা তাকে আমাদের ঘরের মেহমান বানিয়ে নিলাম। এরপর তিনি এমন এক ব্যথায় আক্রান্ত হলেন যে, সে ব্যথায় তার মৃত্যু হল। মারা যাবার পর তাঁকে গোসল দেওয়া হল। তার কাপড় দিয়েই তাকে কাফন পরানো হল। ইত্যবসরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন।
উম্মুল আলা (রাঃ) বলেনঃ আমি বললাম, তোমার ওপর আল্লাহর রহমত হোক, হে আবূ সাইব! আমার সাক্ষ্য তোমার বেলায় এটাই যে আল্লাহ তোমাকে সম্মানিত করেছেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কি করে জানলে যে আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেছেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার প্রতি আমার পিতা কুরবান হোক! তাহলে কাকে আল্লাহ সম্মানিত করবেন? তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহর কসম! তার ব্যাপার তো হল, তার মৃত্যু হয়ে গেছে। আল্লাহর কসম! তার জন্য আমি কল্যাণেরই আশাবাদী। আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহর রাসুল হওয়া সত্ত্বেও জানিনা, আমার সাথে কি ব্যবহার করা হবে? তখন উম্মুল আলা (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি আগামীতে কখনো কারো বিশুদ্ধতার প্রত্যয়ন করব না।
باب رُؤْيَا النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ أُمَّ الْعَلاَءِ ـ امْرَأَةً مِنَ الأَنْصَارِ بَايَعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ـ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهُمُ اقْتَسَمُوا الْمُهَاجِرِينَ قُرْعَةً. قَالَتْ فَطَارَ لَنَا عُثْمَانُ بْنُ مَظْعُونٍ، وَأَنْزَلْنَاهُ فِي أَبْيَاتِنَا، فَوَجِعَ وَجَعَهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ غُسِّلَ وَكُفِّنَ فِي أَثْوَابِهِ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْكَ أَبَا السَّائِبِ، فَشَهَادَتِي عَلَيْكَ لَقَدْ أَكْرَمَكَ اللَّهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَمَا يُدْرِيكِ أَنَّ اللَّهَ أَكْرَمَهُ ". فَقُلْتُ بِأَبِي أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَنْ يُكْرِمُهُ اللَّهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَّا هُوَ فَوَاللَّهِ لَقَدْ جَاءَهُ الْيَقِينُ، وَاللَّهِ إِنِّي لأَرْجُو لَهُ الْخَيْرَ، وَوَاللَّهِ مَا أَدْرِي وَأَنَا رَسُولُ اللَّهِ مَاذَا يُفْعَلُ بِي ". فَقَالَتْ وَاللَّهِ لاَ أُزَكِّي بَعْدَهُ أَحَدًا أَبَدًا.
Narrated Kharija bin Zaid bin Thabit:
Um Al-`Ala an Ansari woman who had given a pledge of allegiance to Allah's Messenger (ﷺ) told me:, "The Muhajirln (emigrants) were distributed amongst us by drawing lots, and we got `Uthman bin Maz'un in our share. We made him stay with us in our house. Then he suffered from a disease which proved fatal. When he died and was given a bath and was shrouded in his clothes. Allah's Messenger (ﷺ) came, I said, (addressing the dead body), 'O Aba As-Sa'ib! May Allah be Merciful to you! I testify that Allah has honored you.' Allah's Messenger (ﷺ) said, 'How do you know that Allah has honored him?" I replied, 'Let my father be sacrificed for you, O Allah's Messenger (ﷺ)! On whom else shall Allah bestow. His honor?' Allah's Messenger (ﷺ) said, 'As for him, by Allah, death has come to him. By Allah, I wish him all good (from Allah). By Allah, in spite of the fact that I am Allah's Messenger (ﷺ), I do not know what Allah will do to me.", Um Al-`Ala added, "By Allah, I will never attest the righteousness of anybody after that."
পরিচ্ছেদঃ ৩৩৫. ছোট ছোট সুরার (মুফাসসালের) মধ্যে সিজদা না থাকা সম্পর্কে।
১৪০৫. ইবনুস সারহ (রহঃ) ..... খারিজাহ ইবন যায়েদ ইবন ছাবিত (রহঃ) তাঁর পিতা হতে, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে উপরোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ইমাম আবু দাউদ বলেনঃ যায়েদ ইবন ছাবিত (রাঃ) ইমাম ছিলেন এবং তিনি সিজদা করেন নাই। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ)।
باب مَنْ لَمْ يَرَ السُّجُودَ فِي الْمُفَصَّلِ
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو صَخْرٍ، عَنِ ابْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَانَ زَيْدٌ الإِمَامَ فَلَمْ يَسْجُدْ فِيهَا .
This tradition has also been transmitted by Zaid b. Thabit through a different chain of narrators to the same effect.
Abu Dawud said:
Zaid was imam (in a prayer) and he did not make prostration.
পরিচ্ছেদঃ ৬. মু'মিন ব্যাক্তিকে হত্যা করা জঘন্য অপরাধ।
৪২২৩. মুসলিম ইব্ন ইবরাহীম (রহঃ) ..... খারিজা ইব্ন যায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যায়দ ইব্ন সাবিত (রাঃ)-কে এ স্থানে বলতে শুনেছি। তিনি বলেনঃ এ আয়াতঃ وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمঅর্থাৎ “যে ব্যক্তি কোন মু’মিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করবে, তার শান্তি হলো জাহান্নাম যেখানে সে চিরস্থায়ী হবে”, সূরা ফুরকানের এ আয়াতঃ
وَالَّذِينَ لاَ يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلاَ يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ
অর্থাৎ “যারা আল্লাহর সাথে অন্য কিছুর শরীক করে না এবং আল্লাহ যাদের হত্যা করতে নিষেধ করেছেন, তাদের হত্যা করে না- তবে হক ব্যতীত”- এর ছয় মাস পর নাযিল হয়।
باب فِي تَعْظِيمِ قَتْلِ الْمُؤْمِنِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ مُجَالِدِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّ خَارِجَةَ بْنَ زَيْدٍ، قَالَ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ، فِي هَذَا الْمَكَانِ يَقُولُ أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ( وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا ) بَعْدَ الَّتِي فِي الْفُرْقَانِ ( وَالَّذِينَ لاَ يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلاَ يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ ) بِسِتَّةِ أَشْهُرٍ .
Narrated Zayd ibn Thabit:
The verse "If a man kills a believer intentionally, his recompense is Hell to abide therein for ever" was revealed six months after the verse "And those who invoke not with Allah any other god, nor slay such life as Allah has made sacred, except for just cause in Surat al-Furqan.
পরিচ্ছেদঃ ১৮/২৩. যুদ্ধ ক্ষেত্রে ক্রয়-বিক্রয় করা
১/২৮২৩। খারিজা ইবনে যায়েদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দেখলাম এক ব্যক্তি আমার পিতার নিকট এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছেন, যে যুদ্ধে যোগদান করে যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রয়-বিক্রয় করছে। আমার পিতা তাকে বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে তাবুকে অবস্থানকালে ক্রয়-বিক্রয় করতাম। তিনি আমাদের দেখতেন কিন্তু নিষেধ করতেন না।
তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী সুনায়দ বিন দাউদ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৬০০, ১২/১৬১ নং পৃষ্ঠা) ২. খালিদ বিন হায়্যান আর-রাক্কী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় শিথিল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৬০১, ৮/৪২ নং পৃষ্ঠা) ৩. আলী বিন উরওয়াহ আল-বারিকী সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে না। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত। ইবনু আসিম বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে জানা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪১০৮, ২১/৬৯ নং পৃষ্ঠা)
بَاب الشِّرَاءِ وَالْبَيْعِ فِي الْغَزْوِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ، حَدَّثَنَا سُنَيْدُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ خَالِدِ بْنِ حَيَّانَ الرَّقِّيِّ، أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ عُرْوَةَ الْبَارِقِيُّ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَجُلاً سَأَلَ أَبِي عَنِ الرَّجُلِ، يَغْزُو فَيَشْتَرِي وَيَبِيعُ وَيَتَّجِرُ فِي غَزْوِهِ فَقَالَ لَهُ أَبِي كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِتَبُوكَ نَشْتَرِي وَنَبِيعُ وَهُوَ يَرَانَا وَلاَ يَنْهَانَا .
It was narrated that Kharijah bin Zaid said:
“I saw a man asking my father about a man who goes out to fight and buys and sells and trades during his campaign. My father said to him: ‘We were with the Messenger of Allah (ﷺ) in Tabuk, and we bought and sold, and he saw us and did not forbid us (to do that).’”
পরিচ্ছেদঃ ৬৩/৪৬. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীবর্গের মদীনাহ উপস্থিতি।
৩৯২৯. খারিজাহ ইবনু যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) বলেন, উম্মুল ‘আলা’ (রাঃ) নাম্নী এক আনসারী মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে বায়‘আত করেন। তিনি বর্ণনা করেন, যখন মুহাজিরদের বাসস্থানের ব্যাপারে আনসারদের মধ্যে লটারী হয় তখন ‘উসমান ইবনু মায‘উনের বসবাস আমাদের অংশে পড়ল। উম্মুল ‘আলা (রাঃ) বলেন, এরপর তিনি আমাদের এখানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমি তার সেবা শুশ্রূষা করলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হয়ে গেল। আমরা কাফনের কাপড় পরিয়ে দিলাম। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এখানে আসলেন। ঐ সময় আমি ‘উসমান (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে বলছিলাম। হে আবূ সায়িব! তোমার উপর আল্লাহর রহমত হোক। তোমার সম্পর্কে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ নিশ্চয়ই তোমাকে সম্মানিত করেছেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কেমন করে জানলে যে, আল্লাহ্ তাকে সম্মানিত করেছেন? আমি বললাম, আমার মাতা-পিতা আপনার উপর কুরবান হোক। হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো জানি না। তবে কাকে আল্লাহ্ সম্মানিত করবেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর শপথ! ‘উসমানের মৃত্যু হয়ে গেছে। আল্লাহর কসম! আমি তার সম্পর্কে কল্যাণের আশা পোষণ করছি। আল্লাহর কসম, আমি আল্লাহর রাসূল হওয়া সত্ত্বেও জানিনা আল্লাহ আমার সাথে কী ব্যবহার করবেন। উম্মুল ‘আলা’ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ, আমি এ কথা শুনার পর আর কাউকে পূত-পবিত্র বলব না। উম্মুল ‘আলা’ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ কথা আমাকে চিন্তিত করল। এরপর আমি স্বপ্নে দেখতে পেলাম যে, ‘‘উসমান ইবনু মায‘উন (রাঃ)-এর জন্য একটি নহর জারি রয়েছে। আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে আমার স্বপ্নটি বললে তিনি বললেন, এ হচ্ছে তার সৎ ‘আমল’’। (১২৪৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬৪২)
بَابُ مَقْدَمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ الْمَدِيْنَةَ
حَدَّثَنَا مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ سَعْدٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ أُمَّ الْعَلَاءِ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِمْ بَايَعَتْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ مَظْعُونٍ طَارَ لَهُمْ فِي السُّكْنَى حِيْنَ اقْتَرَعَتْ الأَنْصَارُ عَلَى سُكْنَى الْمُهَاجِرِيْنَ قَالَتْ أُمُّ الْعَلَاءِ فَاشْتَكَى عُثْمَانُ عِنْدَنَا فَمَرَّضْتُهُ حَتَّى تُوُفِّيَ وَجَعَلْنَاهُ فِيْ أَثْوَابِهِ فَدَخَلَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْكَ أَبَا السَّائِبِ شَهَادَتِيْ عَلَيْكَ لَقَدْ أَكْرَمَكَ اللهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَمَا يُدْرِيكِ أَنَّ اللهَ أَكْرَمَهُ قَالَتْ قُلْتُ لَا أَدْرِيْ بِأَبِيْ أَنْتَ وَأُمِّيْ يَا رَسُوْلَ اللهِ فَمَنْ قَالَ أَمَّا هُوَ فَقَدْ جَاءَهُ وَاللهِ الْيَقِيْنُ وَاللهِ إِنِّيْ لَارْجُوْ لَهُ الْخَيْرَ وَمَا أَدْرِيْ وَاللهِ وَأَنَا رَسُوْلُ اللَّه مَا يُفْعَلُ بِيْ قَالَتْ فَوَاللهِ لَا أُزَكِّيْ أَحَدًا بَعْدَهُ قَالَتْ فَأَحْزَنَنِيْ ذَلِكَ فَنِمْتُ فَرِيْتُ لِعُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ عَيْنًا تَجْرِيْ فَجِئْتُ رَسُوْلَ اللهِ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ ذَلِكِ عَمَلُهُ
Narrated 'Um Al-`Ala:
An Ansari woman who gave the pledge of allegiance to the Prophet (ﷺ) that the Ansar drew lots concerning the dwelling of the Emigrants. `Uthman bin Maz'un was decided to dwell with them (i.e. Um Al-`Ala's family), `Uthman fell ill and I nursed him till he died, and we covered him with his clothes. Then the Prophet (ﷺ) came to us and I (addressing the dead body) said, "O Abu As-Sa'ib, may Allah's Mercy be on you! I bear witness that Allah has honored you." On that the Prophet (ﷺ) said, "How do you know that Allah has honored him?" I replied, "I do not know. May my father and my mother be sacrificed for you, O Allah's Messenger (ﷺ)! But who else is worthy of it (if not `Uthman)?" He said, "As to him, by Allah, death has overtaken him, and I hope the best for him. By Allah, though I am the Apostle of Allah, yet I do not know what Allah will do to me," By Allah, I will never assert the piety of anyone after him. That made me sad, and when I slept I saw in a dream a flowing stream for `Uthman bin Maz'un. I went to Allah's Messenger (ﷺ) and told him of it. He remarked, "That symbolizes his (good) deeds."
পরিচ্ছেদঃ ৯১/১৩. নারীদের স্বপ্ন
৭০০৩. খারিজাহ ইবনু যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, উম্মুল আলা নামক এক আনসারী মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বাই’আত গ্রহণ করেন। তিনি তাঁকে জানান যে, আনসারগণ লটারির সাহায্যে মুহাজিরগণকে ভাগ করে নিয়েছিল। আমাদের ভাগে আসলেন ’উসমান ইবনু মাযউন (রাঃ)। আমরা তাকে আমাদের ঘরের মেহমান করে নিলাম। এরপর তিনি এমন এক ব্যথায় আক্রান্ত হলেন যে, সে ব্যথায় তার মৃত্যু হল। মৃত্যুর পর তাঁকে গোসল দেয়া হল। তাঁর কাপড় দিয়েই তাঁকে কাফন পরানো হল। এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন। উম্মুল আলা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, তোমার ওপর আল্লাহর রহমত হোক, হে আবূ সাইব! আমার সাক্ষ্য তোমার বেলায় এটাই যে আল্লাহ্ তোমাকে সম্মানিত করেছেন।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কী করে জানলে যে আল্লাহ্ তাকে সম্মানিত করেছেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার প্রতি আমার পিতা কুরবান হোক! তাহলে কাকে আল্লাহ্ সম্মানিত করবেন? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন ঃ আল্লাহর কসম! তাঁর ব্যাপার তো হল, তার মৃত্যু হয়ে গেছে। আল্লাহর কসম! তার জন্য আমি কল্যাণই আশা করি। আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহর রাসূল হওয়া সত্ত্বেও জানি না, আমার সঙ্গে কী ব্যবহার করা হবে? তখন উম্মুল আলা (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি আগামীতে কখনো কারো পবিত্র হওয়ার সাক্ষ্য দেব না। [১২৪৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৩১)
بَاب رُؤْيَا النِّسَاءِ
سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ أُمَّ الْعَلاَءِ امْرَأَةً مِنْ الأَنْصَارِ بَايَعَتْ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهُمْ اقْتَسَمُوا الْمُهَاجِرِينَ قُرْعَةً قَالَتْ فَطَارَ لَنَا عُثْمَانُ بْنُ مَظْعُونٍ وَأَنْزَلْنَاهُ فِي أَبْيَاتِنَا فَوَجِعَ وَجَعَهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ فَلَمَّا تُوُفِّيَ غُسِّلَ وَكُفِّنَ فِي أَثْوَابِهِ دَخَلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْكَ أَبَا السَّائِبِ فَشَهَادَتِي عَلَيْكَ لَقَدْ أَكْرَمَكَ اللهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمَا يُدْرِيكِ أَنَّ اللهَ أَكْرَمَهُ فَقُلْتُ بِأَبِي أَنْتَ يَا رَسُولَ اللهِ فَمَنْ يُكْرِمُهُ اللهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَمَّا هُوَ فَوَاللهِ لَقَدْ جَاءَهُ الْيَقِينُ وَاللهِ إِنِّي لأرْجُو لَهُ الْخَيْرَ وَ وَاللهِ مَا أَدْرِيْ وَأَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَاذَا يُفْعَلُ بِي فَقَالَتْ وَاللهِ لاَ أُزَكِّي بَعْدَهُ أَحَدًا أَبَدًا.
Narrated Kharija bin Zaid bin Thabit:
Um Al-`Ala an Ansari woman who had given a pledge of allegiance to Allah's Messenger (ﷺ) told me:, "The Muhajirln (emigrants) were distributed amongst us by drawing lots, and we got `Uthman bin Maz'un in our share. We made him stay with us in our house. Then he suffered from a disease which proved fatal. When he died and was given a bath and was shrouded in his clothes. Allah's Messenger (ﷺ) came, I said, (addressing the dead body), 'O Aba As-Sa'ib! May Allah be Merciful to you! I testify that Allah has honored you.' Allah's Messenger (ﷺ) said, 'How do you know that Allah has honored him?" I replied, 'Let my father be sacrificed for you, O Allah's Messenger (ﷺ)! On whom else shall Allah bestow. His honor?' Allah's Messenger (ﷺ) said, 'As for him, by Allah, death has come to him. By Allah, I wish him all good (from Allah). By Allah, in spite of the fact that I am Allah's Messenger (ﷺ), I do not know what Allah will do to me.", Um Al-`Ala added, "By Allah, I will never attest the righteousness of anybody after that."
পরিচ্ছেদঃ ২৩. রদ্দ বা প্রতার্পণ সম্পর্কে আলী, আব্দুল্লাহ ও যাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম এর মতামত
২৯৮৮. খারিজাহ বিনতে যাইদ (রহঃ) হতে বর্ণিত, যাইদ ইবনু ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট কন্যা অথবা বোন সম্পর্কে প্রশ্ন এলে তিনি তাকে (বোন বা কন্যাকে) অর্ধেক দিলেন এবং অবশিষ্ট সম্পদ বায়তুল মাল (রাষ্ট্রীয় কোষাগার)-এ জমা করলেন।[1] [অপর সুত্রে খারিজা হতে এটি বর্ণিত[2]]
তাথরীজ: আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১৯১৩২; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ১১৪; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৪৪। অপর সহীহ সনদে সাঈদ ইবনু মানসূর নং ১১৩; আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১৯১৩১।
[2] সাঈদ ইবনু মানসূর নং ১১৪; আগের টীকাটিও দেখুন।
باب قَوْلِ عَلِيٍّ وَعَبْدِ اللَّهِ وَزَيْدٍ فِي الرَّدِّ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَالِمٍ عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّهُ أُتِيَ فِي ابْنَةٍ أَوْ أُخْتٍ فَأَعْطَاهَا النِّصْفَ وَجَعَلَ مَا بَقِيَ فِي بَيْتِ الْمَالِ وَقَالَ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَالِمٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ خَارِجَةَ
পরিচ্ছেদঃ ৩৭. ডুবে মরা ব্যক্তির মীরাছ সম্পর্কে
৩০৮৩. খারিজাহ ইবনু যাইদ হতে বর্ণিত, যাইদ ইবনু ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, প্রত্যেক লোকই (ফারাইযের নিয়ামানুযায়ী) পরস্পরের ওয়ারিস হয়, তবে কূপে পড়ে বা ডুবে যাদের মৃত্যু হয়, যার (মৃত্যু পরম্পরা) অজ্ঞাত থেকে যায়, তবে তারা পরস্পরের ওয়ারিস হবে না। বরং তারা জীবিত (আত্মীয়-স্বজনদের)-ই তাদের ওয়ারিস হবে।[1]
তাখরীজ: সাঈদ ইবনু মানসূর নং ৪৪১; দারুকুতনী ৪/১১৯; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২২২; আব্দুর রাযযাক ১৯১৬০, ১৯১৬৬।
باب مِيرَاثِ الْغَرْقَى
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ كُلُّ قَوْمٍ مُتَوَارِثِينَ عَمِيَ مَوْتُهُمْ فِي هَدْمٍ أَوْ غَرَقٍ فَإِنَّهُمْ لَا يَتَوَارَثُونَ يَرِثُهُمْ الْأَحْيَاءُ
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮২৩-[২৩] খারিজাহ্ ইবনু যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন কতিপয় লোক যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ)-এর কাছে এসে বলল, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কিছু সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করুন। তিনি বললেন, আমি ছিলাম তার প্রতিবেশী, যখন তার ওপরে ওয়াহী অবতীর্ণ হত, তখন তিনি লোক পাঠিয়ে আমাকে ডেকে আনতেন, আমি তাকে তা লিখে দিতাম। রাসূল (সা.) -এর সাধারণ অভ্যাস ছিল, যখন আমরা দুনিয়ার ব্যাপারে কোন আলোচনা করতাম, তিনিও আমাদের সাথে সেই আলোচনায় শামিল হতেন। আর আমরা যখন পরকাল সম্পর্ক কথাবার্তা বলতাম, তখন তিনিও আমাদের সাথে সেই আলোচনায় অংশ নিতেন এবং যখন আমরা খানাপিনার কথা বলতাম, তখন তিনিও আমাদের সাথে সেই আলোচনায় শামিল হতেন। মোটকথা, উল্লিখিত সকল বিষয়গুলো আমি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করছি। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)
وَعَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ: دَخَلَ نَفَرٌ عَلَى زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فَقَالُوا لَهُ: حَدِّثْنَا أَحَادِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كُنْتُ جَارَهُ فَكَانَ إِذَا نزل الْوَحْيُ بَعَثَ إِلَيَّ فَكَتَبْتُهُ لَهُ فَكَانَ إِذَا ذَكَرْنَا الدُّنْيَا ذَكَرَهَا مَعَنَا وَإِذَا ذَكَرْنَا الْآخِرَةَ ذَكَرَهَا مَعَنَا وَإِذَا ذَكَرْنَا الطَّعَامَ ذَكَرَهُ مَعَنَا فَكُلُّ هَذَا أُحَدِّثُكُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (فی الشمائل : 342) و البغوی فی شرح السنۃ (13 / 245 ح 3679)] * فیہ سلیمان بن خارجۃ : مجھول الحال ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: (دَخَلَ نَفَرٌ) অর্থাৎ তাবিঈদের একটি দল। বলা হয়ে থাকে যে, ‘নাফার’ বলা হয় যেখানে তিন থেকে দশজন সদস্য হয়ে থাকে।
(إِذَا ذَكَرْنَا الدُّنْيَا) অর্থাৎ দুনিয়া আখিরাতের শস্যক্ষেত্র হিসেবে তিনি প্রশংসা ও নিন্দা করার জন্য আমাদের সাথে আলোচনায় শামিল হতেন।
(وَإِذَا ذَكَرْنَا الْآخِرَةَ ذَكَرَهَا مَعَنَا) অর্থাৎ তিনি (সা.) আমাদের সাথে শামিল থাকতেন যাতে বেশি কল্যাণ লাভ হয় ও তাক্বওয়ার কাজে সহযোগিতা হয়।
(وَإِذَا ذَكَرْنَا الطَّعَامَ ذَكَرَهُ مَعَنَا) অর্থাৎ তিনি (সা.) এখানে ইঙ্গিত করেছেন তার উপকারিতার প্রতি, তার হিকমাতের প্রতি, সূক্ষ্ম বিষয়ের প্রতি ও তার আদবের প্রতি।
মোটকথা তিনি (সা.) কথায় নমনীয়তা প্রকাশ করতেন যাতে কোন ধরনের ক্ষতি না হয়। তাকে যেভাবে শারী'আতের বিধি-বিধান প্রচারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেভাবে তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ৩২৯. যার ধারণা, ‘মুফাস্সল’ সূরাহগুলোতে সিজদা্ নেই
১৪০৫। খারিজাহ ইবনু যায়িদ ইবনু সাবিত (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, যায়িদ (রাঃ) ইমাম হওয়া সত্ত্বেও সিজদা্ করেননি।[1]
باب مَنْ لَمْ يَرَ السُّجُودَ فِي الْمُفَصَّلِ
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو صَخْرٍ، عَنِ ابْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ : كَانَ زَيْدٌ الإِمَامَ فَلَمْ يَسْجُدْ فِيهَا
This tradition has also been transmitted by Zaid b. Thabit through a different chain of narrators to the same effect.
Abu Dawud said:
Zaid was imam (in a prayer) and he did not make prostration.
পরিচ্ছেদঃ ২০. ‘আরিয়া (গাছের ফল পেড়ে) বিক্রয় সম্পর্কে
৩৩৬২। খারিজাহ ইবনু যায়িদ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আরিয়া পদ্ধতিতে খুরমা ও খেজুর ক্রয়-বিক্রয়ের অনুমতি দিয়েছেন।[1]
بَابٌ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَخَّصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا بِالتَّمْرِ وَالرُّطَبِ
صحيح
Narrated Zaid b. Thabit:
The Prophet (ﷺ) gave license for the sale of 'araya for dried dates and fresh dates.
পরিচ্ছেদঃ কুরআনের কিরআত ও পাঠের নিয়ম
৩৯৭৫। খারিজাহ ইবনু যায়িদ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনের এই আয়াত এভাবে (পেশ দিয়ে) পড়তেনঃغَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ।[1]
হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، ح وحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ وَهُوَ أَشْبَعُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْرَأُ (غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ) [النساء: ٩٥] وَلَمْ يَقُلْ سَعِيدٌ كَانَ يَقْرَأُ
حسن صحيح
Narrated Zayd ibn Thabit:
The Prophet (ﷺ) used to read: "Not equal are those believers who sit (at home) and receive no hurt (ghayru ulid-darari) but the narrator Sa'id did not say the words "used to read"
পরিচ্ছেদঃ ৬৮. মুশরিকদের পাত্রের পানি দিয়ে উযু করা এবং তা দ্বারা তাইয়াম্মুম করা
৭৫২(৬). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... খারিজা ইবনে যায়েদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়েদ ইবনে সাবেত (রাঃ) বহুমুত্র রোগে আক্রান্ত ছিলেন। পেশাব প্রবল হলে তিনি তা জানতেন এবং পেশাব প্রবল হলে তিনি তা ছেড়ে দিতেন (আটক করে রাখতেন না)। তিনি নামায পড়তেন আর তখন পেশাব বের হতে থাকতো।
بَابُ الْوُضُوءِ وَالتَّيَمُّمِ مِنْ آنِيَةِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي سَعْدٍ ، نَا عَبَّادُ بْنُ مُوسَى ، نَا طَلْحَةُ بْنُ يَحْيَى ، حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ ، قَالَ : " كَانَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ قَدْ سَلِسَ مِنْهُ الْبَوْلُ ، فَكَانَ يُدَارِي مَا غَلَبَهُ مِنْهُ ، فَلَمَّا غَلَبَهُ أَرْسَلَهُ ، وَكَانَ يُصَلِّي وَهُوَ يَخْرُجُ مِنْهُ
পরিচ্ছেদঃ ৬৮. মুশরিকদের পাত্রের পানি দিয়ে উযু করা এবং তা দ্বারা তাইয়াম্মুম করা
৭৫৩(৭). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... খারিজা ইবনে যায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়েদ ইবনে সাবেত (রাঃ) বার্ধক্যে উপনীত হলে বহুমুত্র রোগে আক্রান্ত হন। তিনি যথাসাধ্য তা (পেশাব) নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতেন। যখন তার পেশাবের প্রবল বেগ হতো তখন তিনি উযু করতেন এবং নামায পড়তেন।
بَابُ الْوُضُوءِ وَالتَّيَمُّمِ مِنْ آنِيَةِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، نَا أَحْمَدُ بْنُ مَنْصُورٍ ، نَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ ، أَنَا مَعْمَرٌ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ ، قَالَ : " كَبِرَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ حَتَّى سَلِسَ مِنْهُ الْبَوْلُ ، فَكَانَ يُدَارِيهِ مَا اسْتَطَاعَ ، فَإِذَا غَلَبَ عَلَيْهِ تَوَضَّأَ وَصَلَّى
পরিচ্ছেদঃ ৭৪. আল-কুরআনের সিজদাসমূহ
১৪৯৭(১৫). আবু বাকর ইবনে আবু দাউদ (রহঃ) ... খারিজা ইবনে যায়েদ ইবনে সাবেত (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট সূরা আন-নাজম পেশ করা (পড়া) হলো, কিন্তু আমাদের কেউ সিজদা করেননি। আর সাখর (রহঃ) বলেন, আমি উমার ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) ও আবু বাকর ইবনে হাযম (রহঃ)-এর পিছনে নামায পড়েছি, কিন্তু তারা দু’জনও সিজদা করেননি।
بَابُ سُجُودِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي دَاوُدَ ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي أَبُو صَخْرٍ حُمَيْدُ بْنُ زِيَادٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ قُسَيْطٍ عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ : عَرَضْتُ النَّجْمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَلَمْ يَسْجُدْ مِنَّا أَحَدٌ . قَالَ أَبُو صَخْرٍ : وَصَلَّيْتُ وَرَاءَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَأَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ فَلَمْ يَسْجُدَا