পরিচ্ছেদঃ ১৮/১. আল্লাহর পথে জিহাদ করার ফযীলাত
১/২৭৫৩। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় বের হয়, আমার রাস্তায় জিহাদ, আমার উপর ঈমান এবং আমার রাসূলগণকে সত্যবাদী বলে মেনে নেয়াই তাকে এ পথে বের করে, তার জন্য আমার যিম্মাদারি এই যে, আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবো অথবা তাকে তার বের হওয়ার স্থান অর্থাৎ তার আবাসে তাকে সওয়াব ও গনীমাতসহ ফিরিয়ে আনবো।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! আমি মুসলিমদের জন্য কষ্টসাধ্য মনে না করলে তারা আল্লাহর রাস্তায় যে যুদ্ধেই যায় আমি পিছনে থেকে যেতাম না। কিন্তু আমার এতোটুকু সঙ্গতি নাই যে, আমি তাদের প্রত্যেকের সওয়ারীর ব্যবস্থা করে দিবো এবং তাদেরও সঙ্গতি নাই যে, প্রতিটি যুদ্ধে তারা আমার সাথে যাবে। আমি তাদেরকে আমার সাথে না নিয়ে গেলে তাদেরও দুশ্চিন্তা হবে।
সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! আমার ইচ্ছে হয় যে, আমি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে শহীদ হই, তারপর আবার জিহাদ করে শহীদ হই, তারপর আবার জিহাদ করে শহীদ হই।
بَاب فَضْلِ الْجِهَادِ فِي سَبِيلِ اللهِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَعَدَّ اللَّهُ لِمَنْ خَرَجَ فِي سَبِيلِهِ لاَ يُخْرِجُهُ إِلاَّ جِهَادٌ فِي سَبِيلِي وَإِيمَانٌ بِي وَتَصْدِيقٌ بِرُسُلِي فَهُوَ عَلَىَّ ضَامِنٌ أَنْ أُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ أَوْ أَرْجِعَهُ إِلَى مَسْكَنِهِ الَّذِي خَرَجَ مِنْهُ نَائِلاً مَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ أَوْ غَنِيمَةٍ " . ثُمَّ قَالَ " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى الْمُسْلِمِينَ مَا قَعَدْتُ خِلاَفَ سَرِيَّةٍ تَخْرُجُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَبَدًا وَلَكِنْ لاَ أَجِدُ سَعَةً فَأَحْمِلَهُمْ وَلاَ يَجِدُونَ سَعَةً فَيَتَّبِعُونِي وَلاَ تَطِيبُ أَنْفُسُهُمْ فَيَتَخَلَّفُونَ بَعْدِي وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوَدِدْتُ أَنْ أَغْزُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأُقْتَلَ ثُمَّ أَغْزُوَ فَأُقْتَلَ ثُمَّ أَغْزُوَ فَأُقْتَلَ " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Allah has prepared (reward) for those who go out (to fight) in His cause: ‘And do not go out except (to fight) for Jihad in My cause, out of faith in Me and belief in My Messengers, but he has a guarantee from Me that I will admit him to Paradise, or I will return him to his dwelling from which he set out, with the reward that he attained, or the spoils that he acquired.’ Then he said: ‘By the One in Whose Hand is my soul, were it not that it would be too difficult for the Muslims, I would never have stayed behind from any expedition that went out in the cause of Allah. But I could not find the resources to give them mounts and they could not find the resources to follow me, nor would they be pleased to stay behind if I went. By the One in Whose Hand is the soul of Muhammad, I wish I could fight in the cause of Allah and be killed, then fight and be killed, then fight and be killed.’”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/১. আল্লাহর পথে জিহাদ করার ফযীলাত
২/২৭৫৪। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তাঁর রাস্তায় জিহাদকারীর যিম্মাদার। হয় তিনি তাকে তার ক্ষমা ও রহমতে ধন্য করে উঠিয়ে নিবেন অথবা তাকে সওয়াব ও গনীমাতসহ ফিরিয়ে আনবেন। আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী সেই ব্যক্তির ন্যায় যে অক্লান্তভাবে (দিনভর) রোযা রাখে এবং (রাতভর) নামায পড়ে জিহা থেকে ফিরে না আসা পর্যন্ত।
بَاب فَضْلِ الْجِهَادِ فِي سَبِيلِ اللهِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَضْمُونٌ عَلَى اللَّهِ إِمَّا أَنْ يَكْفِتَهُ إِلَى مَغْفِرَتِهِ وَرَحْمَتِهِ وَإِمَّا أَنْ يَرْجِعَهُ بِأَجْرٍ وَغَنِيمَةٍ وَمَثَلُ الْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَمَثَلِ الصَّائِمِ الْقَائِمِ الَّذِي لاَ يَفْتُرُ حَتَّى يَرْجِعَ " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ফিরাস (বিন ইয়াহইয়া) সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল ও আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৭১২, ২৩/১৫২ নং পৃষ্ঠা) ২. আতিয়্যাহ সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল, তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ইমাম যাহাবী ও ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৯৫৬, ২০/১৪৫ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Abu Sa’eed Al-Khudri that the Prophet (ﷺ) said:
“The one who fights in the cause of Allah has a guarantee from Allah. Either He will raise him to His forgiveness and mercy, or He will send him back with reward and spoils of war. The likeness of the one who fights in the cause of Allah is that of one who fasts and prays at night without ceasing, until he returns.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/২. মহান আল্লাহর রাস্তায় একটি সকাল বা একটি বিকাল অতিবাহিত করার ফযীলত
১/২৭৫৫। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর রাস্তায় একটি সকাল অথবা একটি বিকাল অতিবাহিত করা দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছু থেকে উত্তম।
بَاب فَضْلِ الْغَدْوَةِ وَالرَّوْحَةِ فِي سَبِيلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " غَدْوَةٌ أَوْ رَوْحَةٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Going out in the morning in the cause of Allah, or in the evening, is more virtuous than the world and what is in it.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/২. মহান আল্লাহর রাস্তায় একটি সকাল বা একটি বিকাল অতিবাহিত করার ফযীলত
২/২৭৫৬। সাহল ইবনে সাদ আস-সাইদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর রাস্তায় একটি সকাল বা একটি বিকাল অতিবাহিত করা দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছু থেকে কল্যাণকর।
بَاب فَضْلِ الْغَدْوَةِ وَالرَّوْحَةِ فِي سَبِيلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ مَنْظُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " غَدْوَةٌ أَوْ رَوْحَةٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী যাকারিয়্যা বিন মানসুর সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু আহমাদ আল-আসকারী বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু বিশর আদ-দাওলাবী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৯৯৬, ৯/৩৬৯ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু যাকারিয়্যা বিন মানসুর এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২৩৫ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ২৭৯২, ২৭৯৪, ২৭৯৬, ২৮৯২, ৬৫৬৮, মুসলিম ১৮৮৩-১৮৮৬, তিরমিযি ১৬৪৮, ১৬৪৯, ১৬৫১, দারিমী ২৩৯৮, আহমাদ ২৭৭৭৬, ১০৫০২, ১০৫১৯, ১২০২৮, ১২১৪৬, ১২৭৪৯, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৯৫৪৩, ৯৫৪৯।
It was narrated from Sahl bin Sa’d As-Sa’idi that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Going out in the morning in the cause of Allah, or in the evening, is better than the world and what is in it.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/২. মহান আল্লাহর রাস্তায় একটি সকাল বা একটি বিকাল অতিবাহিত করার ফযীলত
৩/২৭৫৭। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর রাস্তায় একটি সকাল অথবা একটি বিকাল ব্যয় করা দুনিয়া ও তার মধ্যকার সবকিছু থেকে কল্যাণকর।
بَاب فَضْلِ الْغَدْوَةِ وَالرَّوْحَةِ فِي سَبِيلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَغَدْوَةٌ أَوْ رَوْحَةٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from Anas bin Malik that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Going out in the morning in the cause of Allah, or in the evening, is better than the world and what is in it.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৩. যে ব্যক্তি কোন যোদ্ধাকে জিহাদের সরঞ্জাম যোগাড় করে দেয়
১/২৭৫৮। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি কোন গাযীকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের সরঞ্জামের ব্যবস্থা করে দেয় যাতে সে যুদ্ধ করতে সক্ষম হয়, এতে তার সেই যোদ্ধার অনুরূপ সওয়াব হতে থাকে যতক্ষণ না সে মৃত্যুবরণ করে (বা নিহত হয়) অথবা ফিরে আসে।
بَاب مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي الْوَلِيدِ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُرَاقَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى يَسْتَقِلَّ كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ حَتَّى يَمُوتَ أَوْ يَرْجِعَ " .
তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আল ওয়ালীদ বিন আবুল ওয়ালীদ সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি কিছু হাদিসের ব্যাপারে সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার মাঝে ভালোগুন রয়েছে। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৭৪৫, ৩১/১০৭ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated that ‘Umar bin Khattab said:
“I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: ‘Whoever equips a warrior in the cause of Allah until he is fully equipped, he will have a reward like his, until he dies or returns.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৩. যে ব্যক্তি কোন যোদ্ধাকে জিহাদের সরঞ্জাম যোগাড় করে দেয়
২/২৭৫৯। যায়েদ ইবনে খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় কোন গাযীকে (যুদ্ধের) সরঞ্জাম সংগ্রহ করে দেয়, তার সেই গাযীর সমপরিমাণ সওয়াব হয় এবং এতে গাযীর সওয়াব থেকে মোটেও কমানো হয় না।
بَاب مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أَجْرِ الْغَازِي شَيْئًا " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from Zaid bin Khalid Al-Juhani that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever equips a warrior in the cause of Allah, he will have a reward like his, without that detracting from the warrior’s reward in the slightest.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৪. মহান আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার ফযীলাত
১/২৭৬০। সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকে যে দীনারগুলো (অর্থ-সম্পদ) খরচ করে তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম দীনার হলো- যা সে তার পরিবার-পরিজনের জন্য ব্যয় করে, যা সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের ঘোড়া প্রতিপালনে ব্যয় করে এবং যা সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী তার সহ-যোদ্ধাদের জন্য খরচ করে।
بَاب فَضْلِ النَّفَقَةِ فِي سَبِيلِ اللهِ تَعَالَى
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى اللَّيْثِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَفْضَلُ دِينَارٍ يُنْفِقُهُ الرَّجُلُ دِينَارٌ يُنْفِقُهُ عَلَى عِيَالِهِ وَدِينَارٌ يُنْفِقُهُ عَلَى فَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَدِينَارٌ يُنْفِقُهُ الرَّجُلُ عَلَى أَصْحَابِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from Thawban that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The best Dinar that a man can spend is a Dinar that he spends on his family, a Dinar that he spends on a horse in the cause of Allah, and a Dinar that a man spends on his companions in the cause of Allah.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৪. মহান আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার ফযীলাত
২/২৭৬১। ’আলী ইবনে আবূ তালিব, আবূ দারদা, আবূ হুরায়রা, আবূ উমামা আল-বাহিলী, ’আবদুল্লাহ ইবনে ’উমার, আবদুল্লাহ ইবনে ’আমর, জাবির ইবনে আবদুল্লাহ ও ইমরান ইবনুল হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তারা সকলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের খরচ বহন করে এবং সে নিজ আবাসে থেকে যায়, সে তার প্রতিটি দিরহামের বিনিময়ে সাত শত দিরহামের সওয়াব লাভ করে। আর যে ব্যক্তি সশরীরে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে এবং এর খরচ বহন করে, তার প্রতিটি দিরহামের বিনিময়ে সে সাত লাখ দিরহামের সওয়াব পায়। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) ’’আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বহু গুণে বৃদ্ধি করে দেন ’’ (সূরা বাকারাঃ ২৬১)।
بَاب فَضْلِ النَّفَقَةِ فِي سَبِيلِ اللهِ تَعَالَى
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَمَّالُ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الْخَلِيلِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَأَبِي الدَّرْدَاءِ، وَأَبِي، هُرَيْرَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَعِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ كُلُّهُمْ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ أَرْسَلَ بِنَفَقَةٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَأَقَامَ فِي بَيْتِهِ فَلَهُ بِكُلِّ دِرْهَمٍ سَبْعُمِائَةِ دِرْهَمٍ وَمَنْ غَزَا بِنَفْسِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَأَنْفَقَ فِي وَجْهِ ذَلِكَ فَلَهُ بِكُلِّ دِرْهَمٍ سَبْعُمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ " . ثُمَّ تَلاَ هَذِهِ الآيَةَ (وَاللَّهُ يُضَاعِفُ لِمَنْ يَشَاءُ) .
তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আল-খালীল বিন আবদুল্লাহ সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী ও ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইবনু আবদুল হাদী ও ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৭২৯, ৮/৩৩৮ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from ‘Ali bin Abu Talib, Abu Darda’, Abu Hurairah, Abu Umamah Al-Bahili, ‘Abdullah bin ‘Umar, ‘Abdullah bin ‘Amr, Jabir bin ‘Abdullah and ‘Imran bin Husain, all of them narrating that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever sends financial support in the cause of Allah and stays at home, for every Dirham he will have (the reward of) seven hundred Dirham. Whoever fights himself in the cause of Allah, and spends on that, for every Dirham he will have (the reward of) seven hundred thousand Dirham.” Then he recited the Verse: “Allah gives manifold increase to whom He wills.”[2:261]
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৫. জিহাদ ত্যাগ করার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্কবাণী
১/২৭৬২। আবূ উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি জিহাদ করে না বা জিহাদকারীর সরঞ্জাম প্রস্তুত করে দেয় না অথবা জিহাদকারী (যুদ্ধে) যাওয়ার পর তার পরিবার-পরিজনের উত্তমরূপে খোঁজ-খবর নেয় না, মহান আল্লাহ তাকে কিয়ামতের পূর্বে ভীষণ বিপদে নিক্ষেপ করবেন।
بَاب التَّغْلِيظِ فِي تَرْكِ الْجِهَادِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْحَارِثِ الذِّمَارِيُّ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ لَمْ يَغْزُ أَوْ يُجَهِّزْ غَازِيًا أَوْ يَخْلُفْ غَازِيًا فِي أَهْلِهِ بِخَيْرٍ أَصَابَهُ اللَّهُ سُبْحَانَهُ بِقَارِعَةٍ قَبْلَ يَوْمِ الْقِيَامَةِ " .
তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী কাসিম (বিন আবদুর রহমান) সম্পর্কে আল-আজালী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি সিকাহ নন। ইমাম তিরমিযি তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে অপরিচিত। মুফাদদাল বিন গাসসান বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমলীগত ফিসক এর সাথে জড়িত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৮০০, ২৩/৩৮৩ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Abu Umamah that the Prophet (ﷺ) said:
“Whoever does not fight, or equip a fighter, or stay behind to look after a fighter’s family, Allah will strike him with a calamity before the Day of Resurrection.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৫. জিহাদ ত্যাগ করার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্কবাণী
২/২৭৬৩। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে এমতাবস্থায় সাক্ষাত করবে যে, তার মধ্যে আল্লাহর রাস্তায় (জিহাদের) কোন চিহ্ন নাই সে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে।
بَاب التَّغْلِيظِ فِي تَرْكِ الْجِهَادِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا أَبُو رَافِعٍ، - هُوَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ رَافِعٍ - عَنْ سُمَىٍّ، - مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ - عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ لَقِيَ اللَّهَ وَلَيْسَ لَهُ أَثَرٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ لَقِيَ اللَّهَ وَفِيهِ ثُلْمَةٌ " .
তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু রাফি (ইসমাইল বিন রাফি) সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবুল আরব আল-কিরওয়ানী ও আবু জা'ফার আল-উকায়লী তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে জড়িত। যাকারিয়্যা বিন ইয়াহইয়া আস-সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার হিফয শক্তি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৪২, ৩/৮৫ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever meets Allah with no mark on him (as a result of fighting) in His cause, he will meet Him with a deficiency.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৬. যে ব্যক্তি ওজরবশত জিহাদ থেকে বিরত থাকে
১/২৭৬৪। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুকের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করে মদীনার নিকটবর্তী হয়ে বলেনঃ মদীনায় এমন কতক লোক আছে যে, তোমরা যেখানেই গিয়েছো এবং যে উপত্যকাই অতিক্রম করেছো, তারা তোমাদের সাথেই ছিল। সাহাবাগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তারা মদীনায় থেকেও (আমাদের সাথে ছিলেন)! তিনি বলেনঃ তারা মদীনায় থেকেও, তাদের অক্ষমতা তাদের প্রতিরোধ করে রেখেছে।
بَاب مَنْ حَبَسَهُ الْعُذْرُ عَنْ الْجِهَادِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ فَدَنَا مِنَ الْمَدِينَةِ قَالَ " إِنَّ بِالْمَدِينَةِ لَقَوْمًا مَا سِرْتُمْ مِنْ مَسِيرٍ وَلاَ قَطَعْتُمْ وَادِيًا إِلاَّ كَانُوا مَعَكُمْ فِيهِ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَهُمْ بِالْمَدِينَةِ قَالَ " وَهُمْ بِالْمَدِينَةِ حَبَسَهُمُ الْعُذْرُ " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated that Anas bin Malik said:
“When the Messenger of Allah (ﷺ) was returning from the campaign of Tabuk, and had drawn close to Al-Madinah, he said: ‘In Al-Madinah there are people who, as you traveled and crossed valleys, were with you.’ They said: ‘O Messenger of Allah, even though they are in Al-Madinah?’ He said: ‘Even though they were in Al-Madinah. They were kept behind by (legitimate) excuses.’”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৬. যে ব্যক্তি ওজরবশত জিহাদ থেকে বিরত থাকে
২/২৭৬৫। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মদীনায় এমন কতক লোক আছে যে, তোমরা যে উপত্যকাই অতিক্রম করেছো এবং যে পথই চলেছো তারা সওয়াবে তোমাদের সাথে শরীক আছে, প্রতিবন্ধকতা তাদেরকে আটকে রেখেছে। আবূ আবদুল্লাহ ইবনে মাজা (রহঃ) বলেন, আহমাদ ইবনে সিনান অনুরূপ কিছু বলেছেন। আমি তার মূল পাঠ লিখে নিয়েছি।
بَاب مَنْ حَبَسَهُ الْعُذْرُ عَنْ الْجِهَادِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ بِالْمَدِينَةِ رِجَالاً مَا قَطَعْتُمْ وَادِيًا وَلاَ سَلَكْتُمْ طَرِيقًا إِلاَّ شَرِكُوكُمْ فِي الأَجْرِ حَبَسَهُمُ الْعُذْرُ " . قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ مَاجَهْ أَوْ كَمَا قَالَ كَتَبْتُهُ لَفْظًا .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from Jabir that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“in Al-Madinah there are men who, every time you crossed a valley or travelled a road, they shared with you in the reward. They were kept behind by (legitimate) excuses.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৭. আল্লাহর রাস্তায় পাহারা দেয়ার ফযীলাত
১/২৭৬৬। আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) লোকেদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বলেন, হে জনগণ! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একটি হাদীস শুনেছি। সেটি তোমাদের নিকট বর্ণনা করা থেকে আমাকে বিরত রেখেছে তোমাদের সাহচর্যের প্রতি আমার কৃপণতা। অতএব কেউ চাইলে তা নিজের জন্য গ্রহণ করতে পারে অথবা পরিহারও করতে পারে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার রাস্তায় এক রাত সীমান্ত অঞ্চলে পাহারা দেয়, তা এক হাজার দিন রোযা রাখা এবং এক হাজার রাত জেগে নামায পড়ার সমতুল্য।
بَاب فَضْلِ الرِّبَاطِ فِي سَبِيلِ اللهِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ خَطَبَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ النَّاسَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي سَمِعْتُ حَدِيثًا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أُحَدِّثَكُمْ بِهِ إِلاَّ الضِّنُّ بِكُمْ وَبِصَحَابَتِكُمْ فَلْيَخْتَرْ مُخْتَارٌ لِنَفْسِهِ أَوْ لِيَدَعْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَابَطَ لَيْلَةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ سُبْحَانَهُ كَانَتْ كَأَلْفِ لَيْلَةٍ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুর রহমান বিন যায়দ বিন আসলাম সম্পর্কে আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী বলেন, তার দুর্বলতার ব্যাপারে সকলে একমত। আবুল কাসিম বিন বিশকাওয়াল বলেন, তার ভাই তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়, তিনি দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী ও ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮২০, ১৭/১১৪ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আবদুর রহমান বিন যায়দ বিন আসলাম এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ১৭২ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১১ টি জাল, ৪৭ টি খুবই দুর্বল, ৫৭ টি দুর্বল, ২২ টি হাসান, ৩৫ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মুসলিম ১৯১৬, তিরমিযি ১৬৬৫, ১৬৬৭, দারিমী ২৪২৪, আহমাদ ৪৪৪, ৪৭২, ৪৭৯, ৫৫৯, ৬৬১৫, ৮৯৯১, ২৩২১৪, ২৩২১৫, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৯৬১৭, ৯৬১৮, ৯৬১৯, মু'জামুল আওসাত ৩১২৩, ৪০৪৯, ৪৮২১, ৪৮২৫, ৫৬৭২, ৮০৫৯।
It was narrated that ‘Abdullah bin Zubair said:
“Uthman bin ‘Affan addressed the people and said: ‘O people! I heard a Hadith from the Messenger of Allah (ﷺ) and nothing kept me from narrating it to you except for the fact that I did not want to lose you and your companionship. So it is up to you. I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: “Whoever spends a night guarding the frontier in the cause of Allah, it will be like a thousand nights spent in fasting and prayer.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৭. আল্লাহর রাস্তায় পাহারা দেয়ার ফযীলাত
২/২৭৬৭। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় সীমান্ত অঞ্চল পাহারাদানরত অবস্থায় মারা গেলে আল্লাহ তার জন্য সেইসব নেক আমলের সওয়াব প্রদান অব্যাহত রাখবেন যা সে করতো, জান্নাতে তাকে রিযিক দান করবেন, কবরের বিপর্যয়কর অবস্থা থেকে নিরাপদ রাখবেন এবং কিয়ামতের ভয়ভীতি থেকে মুক্ত অবস্থায় উঠাবেন।
بَاب فَضْلِ الرِّبَاطِ فِي سَبِيلِ اللهِ
حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ، عَنْ زُهْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ مَاتَ مُرَابِطًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَجْرَى عَلَيْهِ أَجْرَ عَمَلِهِ الصَّالِحِ الَّذِي كَانَ يَعْمَلُ وَأَجْرَى عَلَيْهِ رِزْقَهُ وَأَمِنَ مِنَ الْفَتَّانِ وَبَعَثَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ آمِنًا مِنَ الْفَزَعِ " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever dies being prepared in the cause of Allah, will be given continuously the reward for the good deeds that he used to do, and he will be rewarded with provision, and he will be kept safe from Fattan,* and Allah will raise him on the Day of Resurrection free of fright.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৭. আল্লাহর রাস্তায় পাহারা দেয়ার ফযীলাত
৩/২৭৬৮। উবাই ইবনে কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমযান মাস ব্যতীত অন্য মাসে সওয়াবের আশায় মুসলিমদের জন্য আল্লাহর রাস্তায় সীমান্ত চৌকিতে এক দিন পাহারা দেয়া একশত বছরের ইবাদত, রোযা ও (নফল) নামায অপেক্ষা অধিক সওয়াবের কাজ। আর রমযান মাসে সওয়াবের আশায় আল্লাহর রাস্তায় মুসলিমদের নিরাপত্তার জন্য এক দিন পাহারা দেয়া আল্লাহর নিকট এক হাজার বছরের ইবাদত, রোযা ও নামায অপেক্ষা অধিক সওয়াবের কাজ। আল্লাহ যদি তাকে নিরাপদে তার পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরিয়ে আনেন তবে এক হাজার বছর পর্যন্ত তার কোন গুনাহ লেখা হবে না, তার জন্য নেকী লেখা হবে এবং কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্য সীমান্ত চৌকিতে পাহারাদানের সওয়াব অব্যাহতভাবে লিপিবদ্ধ হতে থাকবে।
بَاب فَضْلِ الرِّبَاطِ فِي سَبِيلِ اللهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَمُرَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَعْلَى السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ صُبْحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَرِبَاطُ يَوْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مِنْ وَرَاءِ عَوْرَةِ الْمُسْلِمِينَ مُحْتَسِبًا مِنْ غَيْرِ شَهْرِ رَمَضَانَ أَعْظَمُ أَجْرًا مِنْ عِبَادَةِ مِائَةِ سَنَةٍ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا وَرِبَاطُ يَوْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ مِنْ وَرَاءِ عَوْرَةِ الْمُسْلِمِينَ مُحْتَسِبًا مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ أَفْضَلُ عِنْدَ اللَّهِ وَأَعْظَمُ أَجْرًا - أُرَاهُ قَالَ - مِنْ عِبَادَةِ أَلْفِ سَنَةٍ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا فَإِنْ رَدَّهُ اللَّهُ إِلَى أَهْلِهِ سَالِمًا لَمْ تُكْتَبْ عَلَيْهِ سَيِّئَةٌ أَلْفَ سَنَةٍ وَتُكْتَبُ لَهُ الْحَسَنَاتُ وَيُجْرَى لَهُ أَجْرُ الرِّبَاطِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةَ " .
তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইয়া'লা আস-সুলামী সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি মিথ্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭১৩, ২৭/৪৫ নং পৃষ্ঠা) ২. উমার বিন সুবহ সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ নয়। ইসহাক বিন রাহওয়ায় তাকে মিথ্যুক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪২৫৯, ২১/৩৯৬ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated that Ubayy bin Ka’b said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘For guarding the frontier for a day in the cause of Allah, defending the Muslims, seeking reward, apart from in the month of Ramadan, there is a reward granted greater than worshipping for a hundred years, fasting and praying. Guarding the frontier for a day in the cause of Allah, defending the Muslims, seeking reward, in the month of Ramadan, is better before Allah and brings a greater reward” – I think he said – “than worshipping for a thousand years, fasting and praying. If Allah returns him to his family safe and sound, no bad deed will be recorded for him for a thousand years, but his good deeds will be recorded, and the reward for guarding the frontier will come to him until the Day of Resurrection.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৮. আল্লাহর রাস্তায় পাহারাদান ও তাকবীর ধ্বনির ফযীলাত
১/২৭৬৯। উকবা ইবনে আমের আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা নিরাপত্তামূলক পাহারাদানকারীদের উপর রহমত বর্ষণ করুন।
بَاب فَضْلِ الْحَرَسِ وَالتَّكْبِيرِ فِي سَبِيلِ اللهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زَائِدَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " رَحِمَ اللَّهُ حَارِسَ الْحَرَسِ " .
তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী সালিহ বিন মুহাম্মাদ বিন যায়িদাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তার হাদিস নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী ও আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য ছিলেন না। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৮৩৫, ১৩/৮৪ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from ‘Uqbah bin ‘Amir Al-Juhani that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“May Allah have mercy on the one who keeps watch over the troops.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৮. আল্লাহর রাস্তায় পাহারাদান ও তাকবীর ধ্বনির ফযীলাত
২/২৭৭০। আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহর রাস্তায় একরাত পাহারা দেয়া কোন লোকের নিজ পরিবারে অবস্থানরত থেকে এক হাজার বছর রোযা রাকা ও নামায পড়ার চেয়ে অধিক উত্তম। এক বছর হলো তিন শত ষাট দিনে, যার প্রতিটি দিন এক হাজার বছরের সমান।
بَاب فَضْلِ الْحَرَسِ وَالتَّكْبِيرِ فِي سَبِيلِ اللهِ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ شَابُورَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ خَالِدِ بْنِ أَبِي الطَّوِيلِ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " حَرْسُ لَيْلَةٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَفْضَلُ مِنْ صِيَامِ رَجُلٍ وَقِيَامِهِ فِي أَهْلِهِ أَلْفَ سَنَةٍ السَّنَةُ ثَلاَثُمِائَةٍ وَسِتُّونَ يَوْمًا وَالْيَوْمُ كَأَلْفِ سَنَةٍ " .
তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ঈসা বিন ইউনুস আর-রামলী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইমাম যাহাবী তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৬৭২, ২৩/৬০ নং পৃষ্ঠা) ২. সাঈদ বিন খালিদ বিন আবুত-তাবীল সম্পর্কে আবু জাফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমলীগত ফিসক এর সাথে জড়িত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২২৫৭, ১০/৪০২ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated that Sa’eed bin Khalid bin Abu Tuwail said:
I heard Anas bin Malik saying: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: “Standing guard one night in the cause of Allah is better than a man fasting and praying, among his family, for a thousand years. The year is three hundred and sixty days and a day is like a thousand years.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৮. আল্লাহর রাস্তায় পাহারাদান ও তাকবীর ধ্বনির ফযীলাত
৩/২৭৭১। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে বলেনঃ আল্লাহভীতি অবলম্বনের এবং প্রতিটি উচুঁ স্থানে আরোহণকালে তাকবীর ধ্বনি করার জন্য আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি।
بَاب فَضْلِ الْحَرَسِ وَالتَّكْبِيرِ فِي سَبِيلِ اللهِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِرَجُلٍ " أُوصِيكَ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالتَّكْبِيرِ عَلَى كُلِّ شَرَفٍ " .
তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী উসামাহ বিন যায়দ সম্পর্কে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ উল্লেখ করে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আল-আজালী তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে দলীল হিসেবে নয়। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩১৭, ২/৩৪৭ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said to a man:
“I advise you to fear Allah and to say the Takbir (Allahu Akbar) in every high place.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৯. সামরিক বাহিনীর সাথে যুদ্ধে রওয়ানা হওয়া
১/২৭৭২। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন, তিনি ছিলেন মানুষের মধ্যে সর্বাধিক সুন্দর, সর্বাধিক দানশীল এবং সর্বাধিক সাহসী বীর পুরুষ। এক রাতে মদীনাবাসী সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লো। তারা একটি বিকট শব্দ শুনে সেদিকে ছুটলো। পথিমধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সাথে মিলিত হলেন। অবশ্য তিনি তাদের আগেই সেই বিকট শব্দের কারণ অনুসন্ধানে গিয়েছিলেন। তিনি আবূ তাল্হা (রাঃ) এর ঘোড়ার গদিহীন খালি পিঠে সওয়ার ছিলেন।
তাঁর ঘাড়ে তরবারি ঝুলানো ছিল। তিনি বলছিলেনঃ হে জনগণ! তোমরা সন্ত্রস্ত হয়ো না। এই বলে তিনি তাদের ফিরিয়ে আনছিলেন। অতঃপর তিনি ঘোড়া সম্পর্কে মন্তব্য করেনঃ আমি এটিকে সমুদ্রের ন্যায় পেয়েছি অথবা এটি যেন একটি সমুদ্র। রাবী হাম্মাদ (রহঃ) বলেন, সাবিত (রহঃ) বা অপর কেউ আমাকে বলেছেন যে, আবূ তালহা (রাঃ) এর ঘোড়াটি ছিল মন্থর গতিসম্পন্ন। কিন্তু এ দিনের পর থেকে কোন ঘোড়াই দৌড় প্রতিযোগিতায় একে অতিক্রম করতে পারেনি।
بَاب الْخُرُوجِ فِي النَّفِيرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ ذُكِرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَانَ أَحْسَنَ النَّاسِ وَكَانَ أَجْوَدَ النَّاسِ وَكَانَ أَشْجَعَ النَّاسِ وَلَقَدْ فَزِعَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ لَيْلَةً فَانْطَلَقُوا قِبَلَ الصَّوْتِ فَتَلَقَّاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ سَبَقَهُمْ إِلَى الصَّوْتِ وَهُوَ عَلَى فَرَسٍ لأَبِي طَلْحَةَ عُرْىٍ مَا عَلَيْهِ سَرْجٌ فِي عُنُقِهِ السَّيْفُ وَهُوَ يَقُولُ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ لَنْ تُرَاعُوا " . يَرُدُّهُمْ ثُمَّ قَالَ لِلْفَرَسِ " وَجَدْنَاهُ بَحْرًا " . أَوْ " إِنَّهُ لَبَحْرٌ " . قَالَ حَمَّادٌ وَحَدَّثَنِي ثَابِتٌ أَوْ غَيْرُهُ قَالَ كَانَ فَرَسًا لأَبِي طَلْحَةَ يُبَطَّأُ فَمَا سُبِقَ بَعْدَ ذَلِكَ الْيَوْمِ .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from Hammad bin Zaid from Thabit, that the Prophet (ﷺ) was mentioned before Anas bin Malik and he said:
“He was the best of people, the most generous of people, the most courageous of people. The people of Al-Madinah became alarmed one night, and he was the first of them to investigate the noise and din. He was riding a horse belonging to Abu Talhah, bareback, with no saddle. His sword was hanging from his neck and he was saying: ‘O people, do not be afraid,’ sending them back to their houses. Then he said of the horse, ‘We found it like a sea,’ or, ‘It is a sea.’”