পরিচ্ছেদঃ ১৮৬২. নবী (ﷺ) এর পতাকা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে
২৭৬৬। সাঈদ ইবনু আবূ মারিয়ম (রহঃ) ... কায়েস ইবনু সা’দ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আর তিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পতাকা বহনকারী, তিনি হাজ্জের (হজ্জ) সংকল্প করেন, তখন তিনি মাথার চুল আচঁড়িয়ে নিলেন।
باب مَا قِيلَ فِي لِوَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ثَعْلَبَةُ بْنُ أَبِي مَالِكٍ الْقُرَظِيُّ، أَنَّ قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ الأَنْصَارِيّ َ ـ رضى الله عنه ـ وَكَانَ صَاحِبَ لِوَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرَادَ الْحَجَّ فَرَجَّلَ.
Narrated Tha`laba bin Abi Malik Al-Qurazi:
When Qais bin Sa`d Al-Ansari, who used to carry the flag of the Prophet, intended to perform Hajj, he combed his hair.
পরিচ্ছেদঃ ৪৮. জিহাদ অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের অনুদান রূপে কিছু দেয়া যাবে। তাদের জন্য গনীমতের নির্ধারিত অংশ নেই। শত্রুপক্ষের (অযোদ্ধা) শিশুদের হত্যা করা নিষিদ্ধ
৪৫৩৭। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... কায়েস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়াযীদ ইবনু হরমুযকে আমি এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। মুহাম্মদ ইবনু হাতিম ইয়াযীদ ইবনু হরমুয থেকে বর্ণিত। তিনি বলে, নাজদা ইবনু আমির ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে পত্র লিখেন। রাবী বলেন , ইবনু আব্বাস (রাঃ) যখন তাঁর পত্রখানি পাঠ করেন এবং যখন তিনি তার জবাব লিখেন তখন আমি তার (ইবনু আব্বাস) সামনেই উপস্থিত ছিলাম। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, যদি সে (অপকর্মের) দুর্গন্ধে পতিত হবে বলে আশংকা না করতাম তবে আমি তার কাছে জবাব লিখতাম না। তার চোখ কোন দিন না জুড়াক।
রাবী বলেন, তারপর তিনি তাকে লিখলেন, তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছ, আল্লাহ (গনীমতের অংশ সংক্রান্ত আয়াতে) (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর) সে ঘনিষ্ঠজনসম্পর্কে উল্লেখ করেছেন তাহা কারা? আমরা মনে করি, আমরাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেই ঘনিষ্ঠজন। তিনি লোকেরা তা অস্বীকার করে। আর তুমি ইয়াতীম সম্পর্কে প্রশ্ন করেছ যে, কখন তার ইয়াতীমত্বের অবসান ঘটে? যখন সে বিবাহযোগ্য হয়, তার মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনা পরিলক্ষিত হয় এবং তার সস্পদ তার কাছে প্রত্যার্পণ করা হয়, তখন তার ইয়াতীমদের অবসান ঘটে।
আর তুমি প্রশ্ন করেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি মুশরিকদের কোন ছেলে সন্তানকে হত্যা করতেন? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন দিন তাদের ছেলে সন্তানদের কাউকে হত্যা করেননি। সুতরাং তুমিও তাদের কাউকে হত্যা কররে না। অবশ্য যদি তুমি অবগত হও, যা অবগত হয়েছিলেন খিযির (আলাইহিস সালাম) সে বালকটির সম্পর্কে যখন তিনি তাকে হত্যা করেন। আর তুমি প্রশ্ন করেছ, নারী ও গোলাম সম্পর্কে, যখন তারা যুদ্ধে উপস্থিত থাকে, তাদের জন্য নির্ধারিত অংশ নেই। তরে লোকদের গনীমাতের মাল থেকে তারা বখশীশ (অনুদান) পায়।
باب النِّسَاءُ الْغَازِيَاتُ يُرْضَخُ لَهُنَّ وَلاَ يُسْهَمُ وَالنَّهْىُ عَنْ قَتْلِ صِبْيَانِ أَهْلِ الْحَرْبِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ قَيْسًا، يُحَدِّثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، حَدَّثَنِي قَيْسُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، قَالَ كَتَبَ نَجْدَةُ بْنُ عَامِرٍ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ فَشَهِدْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ حِينَ قَرَأَ كِتَابَهُ وَحِينَ كَتَبَ جَوَابَهُ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَاللَّهِ لَوْلاَ أَنْ أَرُدَّهُ عَنْ نَتْنٍ يَقَعُ فِيهِ مَا كَتَبْتُ إِلَيْهِ وَلاَ نُعْمَةَ عَيْنٍ قَالَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ إِنَّكَ سَأَلْتَ عَنْ سَهْمِ ذِي الْقُرْبَى الَّذِي ذَكَرَ اللَّهُ مَنْ هُمْ وَإِنَّا كُنَّا نَرَى أَنَّ قَرَابَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُمْ نَحْنُ فَأَبَى ذَلِكَ عَلَيْنَا قَوْمُنَا وَسَأَلْتَ عَنِ الْيَتِيمِ مَتَى يَنْقَضِي يُتْمُهُ وَإِنَّهُ إِذَا بَلَغَ النِّكَاحَ وَأُونِسَ مِنْهُ رُشْدٌ وَدُفِعَ إِلَيْهِ مَالُهُ فَقَدِ انْقَضَى يُتْمُهُ وَسَأَلْتَ هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْتُلُ مِنْ صِبْيَانِ الْمُشْرِكِينَ أَحَدًا فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَكُنْ يَقْتُلُ مِنْهُمْ أَحَدًا وَأَنْتَ فَلاَ تَقْتُلْ مِنْهُمْ أَحَدًا إِلاَّ أَنْ تَكُونَ تَعْلَمُ مِنْهُمْ مَا عَلِمَ الْخَضِرُ مِنَ الْغُلاَمِ حِينَ قَتَلَهُ وَسَأَلْتَ عَنِ الْمَرْأَةِ وَالْعَبْدِ هَلْ كَانَ لَهُمَا سَهْمٌ مَعْلُومٌ إِذَا حَضَرُوا الْبَأْسَ فَإِنَّهُمْ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ سَهْمٌ مَعْلُومٌ إِلاَّ أَنْ يُحْذَيَا مِنْ غَنَائِمِ الْقَوْمِ.
It has been narrated on the anthority of Yazid b. Hurmuz who said:
Najda wrote to Ibn Abbas. I was sitting in the company of Ibn 'Abbas when he read his letter and wrote its reply. Ibn Abbas said: Were it not for preventing him from falling into wickedness. I would not have replied to his letter, may he never be joyful. He wrote in reply to him referring to the share of the close relatives (of the Holy Prophet) (from the booty) whom God has mentioned. (I have to tell you that) we thought we were the close relatives of the Messenger of Allah (ﷺ), but our people have refused to recognise us as such. You have asked about the orphan as to when his orphanhood comes to an end. (I have to say that) when he reaches the age of marriage, attains maturity of mind, and his property is returned to him, then he is no longer an orphan. You have inquired whether the Messenger of Allah (may peace be upo him) used to kill anyone from the children of the polytheists in the war. (You should know that) the Messenger of Allah (ﷺ) used not to kill any one of their children, and you (too) should not kill any one of them, except when you knew about them what Khadir had known about the boy whom he killed. And you have inquired whether there is a fixed share of the booty for women and slaves when they participate in a battle. (I have to tell you that) there is no fixed share for them except that they will be given some reward from the spoils of war.
পরিচ্ছেদঃ ১৩৫. স্ত্রীর উপর স্বামীর হক (অধিকার)।
২১৩৭. আমর ইবন আওন .... কায়স ইবন সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হিরা শহরে আগমন করে সেখানকার লোকদেরকে মারযুবানকে সিজদা করতে দেখি। আমি (মনে মনে) বলি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই তো সিজদার অধিকতর হকদার। তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বলি, আমি হিরাতে গমন করে সেখানকার লোকদেরকে মারযুবানকে সিজদা করতে দেখেছি। আর হে আল্লাহ্র রাসুল! আপনিতো এর অধিক হকদার যে, আমরা আপনাকে সিজদা করি? তিনি বলেন, তুমি বল, যদি (আমার ইন্তেকালের পর) তুমি আমার কবরের পাশ দিয়ে গমন কর, তবে কি তুমি সেখানে সিজদা করবে? তিনি বলেন, আমি বললাম, না। তিনি বলেন, তোমরা সেরূপ করবে না। আর যদি আমি কাউকে সিজদা করতে বলতাম, তবে আমি স্ত্রীলোকদেরকে তাদের স্বামীদেরকে সিজদা করতে বলতাম। আর তা এইজন্য যে, আল্লাহ্ তা’আলা তাদেরকে (স্বামীকে) তাদের (স্ত্রীদের) উপর হক প্রদান করেছেন।
[সহিহ। তবে কবর সম্পর্কিত ব্যাকটি বাদে।]
باب فِي حَقِّ الزَّوْجِ عَلَى الْمَرْأَةِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَقُلْتُ رَسُولُ اللَّهِ أَحَقُّ أَنْ يُسْجَدَ لَهُ قَالَ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ إِنِّي أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَحَقُّ أَنْ نَسْجُدَ لَكَ . قَالَ " أَرَأَيْتَ لَوْ مَرَرْتَ بِقَبْرِي أَكُنْتَ تَسْجُدُ لَهُ " . قَالَ قُلْتُ لاَ . قَالَ " فَلاَ تَفْعَلُوا لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لأَحَدٍ لأَمَرْتُ النِّسَاءَ أَنْ يَسْجُدْنَ لأَزْوَاجِهِنَّ لِمَا جَعَلَ اللَّهُ لَهُمْ عَلَيْهِنَّ مِنَ الْحَقِّ " .
صحيح دون جملة القبر (الألباني
Narrated Qays ibn Sa'd:
I went to al-Hirah and saw them (the people) prostrating themselves before a satrap of theirs, so I said: The Messenger of Allah (ﷺ) has most right to have prostration made before him. When I came to the Prophet (ﷺ), I said: I went to al-Hirah and saw them prostrating themselves before a satrap of theirs, but you have most right, Messenger of Allah, to have (people) prostrating themselves before you. He said: Tell me , if you were to pass my grave, would you prostrate yourself before it? I said: No. He then said: Do not do so. If I were to command anyone to make prostration before another I would command women to prostrate themselves before their husbands, because of the special right over them given to husbands by Allah.
পরিচ্ছেদঃ ৩৭. ব্যক্তি অনুমতি চাওয়ার সময় ক'বার সালাম করবে?
৫০৯৫. মুহাম্মদ ইবন মুছান্না (রহঃ) .... কায়স ইবন সাআদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখা করার জন্য আমাদের ঘরে আসেন। তিনি বলেনঃ আসসালামু আলায়কুম ওয়া বাহমাতুল্লাহ। তখন সাআদ (রাঃ) আস্তে সালামের জবাব দেন। রাবী কায়স বলেনঃ আমি তাকে বলিঃ আপনি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ভেতরে আসার অনুমতি দেবেন না? তিনি বলেনঃ একটু সবর কর তিনি আমাদের উপর আরো সালাম দিবেন। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আসসালামু আলায়কুম ওয়া-রহমাতুল্লাহ। তখন সাআদ (রাঃ) সালামের জবাব আস্তে দেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার বলেনঃ আসসালামু আলায়্কুম ওয়া-রহমাতুল্লাহ। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে যেতে থাকলে সাআদ (রাঃ) তাঁর পিছে এসে বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনার সালামের শব্দ শুনি এবং আস্তে আস্তে জবাব দেই, যাতে আপনি অধিক বার আমাদের উপর সালাম দেন।
রাবী বলেনঃ এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সা’দের সাথে ফিরে আসে। সাআদ (রাঃ) তাঁর জন্য গোসলের ব্যবস্থা করে রাখেন, যা দিয়ে তিনি গোসল করেন। তারপর সাআদ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যা’ফরান রঙে রঞ্জিত চাদর প্রদান করেন, যা দিয়ে তিনি তাঁর শরীর আচ্ছাদিত করেন। এরপর তিনি দু’হাত তুলে সা’আদের জন্য এরূপ দু’আ করেনঃ ইয়া আল্লাহ্! আপনি সাআদ ইবন উবাদার পরিবারের উপর বরকত ও রহমত নাযিল করুন।
রাবী বলেনঃ তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে আহার করেন। এরপর তিনি যখন ফিরে আসার ইরাদা করেন, তখন সাআদ (রাঃ) তাঁর জন্য একটা গাধার ব্যবস্থা করেন, যার পিঠে একটা চাদর ছিল। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পিঠে আরোহণ করেন। তখন সাআদ (রাঃ) বলেনঃ হে কায়স! তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে যাও। কায়স (রাঃ) বলেনঃ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেনঃ তুমি আরোহণ কর। কিন্তু আমি এতে আপত্তি করলে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হয় তুমি আমার সাথে সওয়ার হও, নয়তো ফিরে যাও। কায়স (রাঃ) বলেনঃ তখন আমি ফিরে আসি।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেনঃ উমার ইবন আবাদুল ওয়াহিদ ও ইবন সুমাআ (রহঃ) আওযাঈ (রহঃ) থেকে মুরসাল হিসাবে এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। এতে কায়স ইবন সাআদ (রাঃ)-এর নাম উল্লেখ নেই।
باب كَمْ مَرَّةٍ يُسَلِّمُ الرَّجُلُ فِي الاِسْتِئْذَانِ
حَدَّثَنَا هِشَامٌ أَبُو مَرْوَانَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، - الْمَعْنَى - قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ أَبِي كَثِيرٍ، يَقُولُ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ زَارَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَنْزِلِنَا فَقَالَ " السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ " . فَرَدَّ سَعْدٌ رَدًّا خَفِيًّا . قَالَ قَيْسٌ فَقُلْتُ أَلاَ تَأْذَنُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ ذَرْهُ يُكْثِرْ عَلَيْنَا مِنَ السَّلاَمِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ " . فَرَدَّ سَعْدٌ رَدًّا خَفِيًّا ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ " . ثُمَّ رَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاتَّبَعَهُ سَعْدٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ أَسْمَعُ تَسْلِيمَكَ وَأَرُدُّ عَلَيْكَ رَدًّا خَفِيًّا لِتُكْثِرَ عَلَيْنَا مِنَ السَّلاَمِ . قَالَ فَانْصَرَفَ مَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَ لَهُ سَعْدٌ بِغِسْلٍ فَاغْتَسَلَ ثُمَّ نَاوَلَهُ مِلْحَفَةً مَصْبُوغَةً بِزَعْفَرَانٍ أَوْ وَرْسٍ فَاشْتَمَلَ بِهَا ثُمَّ رَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ " اللَّهُمَّ اجْعَلْ صَلَوَاتِكَ وَرَحْمَتَكَ عَلَى آلِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ " . قَالَ ثُمَّ أَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الطَّعَامِ فَلَمَّا أَرَادَ الاِنْصِرَافَ قَرَّبَ لَهُ سَعْدٌ حِمَارًا قَدْ وَطَّأَ عَلَيْهِ بِقَطِيفَةٍ فَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ سَعْدٌ يَا قَيْسُ اصْحَبْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ قَيْسٌ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ارْكَبْ " . فَأَبَيْتُ ثُمَّ قَالَ " إِمَّا أَنْ تَرْكَبَ وَإِمَّا أَنْ تَنْصَرِفَ " . قَالَ فَانْصَرَفْتُ . قَالَ هِشَامٌ أَبُو مَرْوَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَسْعَدَ بْنِ زُرَارَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ وَابْنُ سَمَاعَةَ عَنِ الأَوْزَاعِيِّ مُرْسَلاً وَلَمْ يَذْكُرَا قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ .
Narrated Qays ibn Sa'd:
The Messenger of Allah (ﷺ) came to visit us in our house, and said: Peace and Allah's mercy be upon you! Sa'd returned the greeting in a lower tone.
Qays said: I said: Do you not grant permission to the Messenger of Allah (ﷺ) to enter?
He said: Leave him, he will give us many greetings. The Messenger of Allah (ﷺ) then said: Peace and Allah's mercy be upon you! Sa'd again responded in a lower tone. The Messenger of Allah (ﷺ) again said: Peace and Allah's mercy be upon you! So the Messenger of Allah (ﷺ) went away.
Sa'd went after him and said: Messenger of Allah! I heard your greetings and responded in a lower tone so that you might give us many greetings. The Messenger of Allah (ﷺ) returned with him. Sa'd then offered to prepare bath-water for him, and he took a bath. He then gave him a long wrapper dyed with saffron or wars and he wrapped himself in it.
The Messenger of Allah (ﷺ) then raised his hands and said: O Allah, bestow Thy blessings and mercy on the family of Sa'd ibn Ubadah! The Messenger of Allah (ﷺ) then shared their meals.
When he intended to return, Sa'd brought near him an ass which was covered with a blanket. The Messenger of Allah (ﷺ) mounted it.
Sa'd said: O Qays, accompany the Messenger of Allah. Qays said: The Messenger of Allah (ﷺ) said to me: Ride. But I refused. He again said: Either ride or go away. He said: So I went away.
Hisham said: AbuMarwan (transmitted) from Muhammad ibn AbdurRahman ibn As'ad ibn Zurarah.
Abu Dawud said: 'Umar b. 'Abd al-Wahid and Ibn Sama'ah transmitted it from al-Awzai' in mursal form (the ling of the Companion being missing), and they did not mention Qais b. Sa'd.
পরিচ্ছেদঃ ১/৫৯. উযূ ও গোসলের পর রুমাল ব্যবহার করা।
২/৪৬৬। ক্বায়স ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট এলে আমরা তাঁর গোসলের পানি রাখলাম এবং তিনি গোসল করেন। অতঃপর আমি তাঁর জন্য একটি রঙ্গীন চাঁদর নিয়ে এলাম। তিনি তাঁর শরীরে সেটি পেচালেন। আমি যেন তাঁর পেটের উপর ওয়ারস ঘাসের বর্ণের চিহ্ন দেখতে পাচ্ছি।
তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইবনু আবু লায়লা সম্পর্কে আল-আজালী বলেন, তিনি সত্যবাদী। শু'বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, আমি তার চেয়ে অধিক দুর্বল স্মৃতিসম্পন্ন ব্যাক্তি দেখি নি। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান তাকে দুর্বল বলেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার স্মিতিশক্তি দুর্বল। ২. মুহাম্মাদ বিন শুরাহবিল সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত।
بَاب الْمِنْدِيلِ بَعْدَ الْوُضُوءِ وَبَعْدَ الْغُسْلِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي لَيْلَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدِ بْنِ زُرَارَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ أَتَانَا النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَضَعْنَا لَهُ مَاءً فَاغْتَسَلَ ثُمَّ أَتَيْنَاهُ بِمِلْحَفَةٍ وَرْسِيَّةٍ فَاشْتَمَلَ بِهَا فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى أَثَرِ الْوَرْسِ عَلَى عُكَنِهِ .
It was narrated that Qais bin Sa'd said:
"The Prophet came to us and we gave him water to perform a bath." Then we brought him a Warshiyyah cloth, and he wrapped himself in it. It is as if I can see the marks of the Wars on the folds of his stomach."
পরিচ্ছেদঃ ৮/২১. সদাকাতুল ফিতর (ফিতরা)।
৪/১৮২৮। কায়েস ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকাতের বিধান নাযিল হওয়ার পূর্বে আমাদেরকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দেন। পরে যাকাতের হুকুম নাযিল হলে এ ব্যাপারে আমাদেরকে নির্দেশও দেননি এবং নিষেধও করেননি। তবে আমরা পূর্বোক্ত নির্দেশ পালন করে যাচ্ছি।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب صَدَقَةِ الْفِطْرِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُخَيْمِرَةَ عَنْ أَبِي عَمَّارٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِصَدَقَةِ الْفِطْرِ قَبْلَ أَنْ تُنْزَلَ الزَّكَاةُ فَلَمَّا نَزَلَتْ الزَّكَاةُ لَمْ يَأْمُرْنَا وَلَمْ يَنْهَنَا وَنَحْنُ نَفْعَلُهُ
It was narrated that:
Qais bin Sa'ad said: “The Messenger of Allah (ﷺ) enjoined Sadaqatul-Fitr upon is before (the command of) Zakat was revealed. He neither ordered us (to pay) nor forbade us (from paying it), so we did it.”
পরিচ্ছেদঃ ৫৬/১২১. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পতাকা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে।
২৯৭৪. কায়েস ইবনু সা‘দ আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। আর তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পতাকাবাহী, তিনি হজ্জের সংকল্প করেন, তখন তিনি মাথার চুল আঁচড়ে নিলেন। (মুসলিম ৪৪/৪ হাঃ ২৪০৭, আহমাদ ১৬৫৩৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৭৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৭৬৩)
بَابُ مَا قِيْلَ فِيْ لِوَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا سَعِيْدُ بْنُ أَبِيْ مَرْيَمَ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ ثَعْلَبَةُ بْنُ أَبِيْ مَالِكٍ الْقُرَظِيُّ أَنَّ قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ الأَنْصَارِيَّ وَكَانَ صَاحِبَ لِوَاءِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَرَادَ الْحَجَّ فَرَجَّلَ
Narrated Tha`laba bin Abi Malik Al-Qurazi:
When Qais bin Sa`d Al-Ansari, who used to carry the flag of the Prophet, intended to perform Hajj, he combed his hair.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯. (আল্লাহ ব্যতীত) কারো উদ্দেশ্যে সাজদা করা নিষেধ
১৫০১. কাইস ইবনু সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা যখন (পারস্যের) হীরা নামক শহরে গমণ করলাম, সেখানে দেখলাম, তারা তাদের নেতা/ রাজাকে সিজদা করছে। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা কি আপনাকে সাজদা করবো না?তিনি বললেন: “আমি যদি কোনো ব্যক্তিকে (অন্য কারো উদ্দেশ্যে) সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তবে অবশ্যই আমি নারীদেরকে তাদের স্বামীদের উদ্দেশ্যে সাজদা করার নির্দেশ দিতাম। কারণ, আল্লাহ তাদের (স্ত্রীলোকদের) উপর তাদের (স্বামীদের) (অনেক বেশি) হাক্ব (অধিকার) নির্ধারণ করেছেন।”[1]
তাখরীজ: আবু দাউদ (নিকাহ) ২১৪০; হাকিম ১/১৮৭, হাকিম একে সহীহ বলেছেন ও যাহাবী তা সমর্থন করেছেন;বাইহাকী কসম ও নুশুয ৭/২৯১।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী আওফা রা: হতে, যার তাখরীজ আমরা দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৭১, মাওয়ারিদুয যামআন নং ১২৯০ তে, যার সনদ হাসান।
অপর শাহিদ হাদীস বর্ণিত হয়েছে আবী হুরাইরা রা: হতে, যার তাখরীজ আমরা দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৬২, মাওয়ারিদুয যামআন নং ১২৯১ তে, যার সনদও হাসান।
আমি বলি: এসকল সনদগুলির দ্বারা স্পষ্ট হয় যে, হাদীসটি সহীহ। আল্লাহই ভাল জানেন। আরও দেখুন, কাশফুল আসতার নং ২১১৪ ও পরের হাদীসটি।
بَاب النَّهْيِ أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا إِسْحَقُ الْأَزْرَقُ عَنْ شَرِيكٍ عَنْ حُصَيْنٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانَ لَهُمْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا نَسْجُدُ لَكَ فَقَالَ لَوْ أَمَرْتُ أَحَدًا لَأَمَرْتُ النِّسَاءَ أَنْ يَسْجُدْنَ لِأَزْوَاجِهِنَّ لِمَا جَعَلَ اللَّهُ عَلَيْهِنَّ مِنْ حَقِّهِمْ
পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৬৬-[২৯] কায়স ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (ইরাকে অবস্থিত, কূফার সন্নিকটবর্তী) ’হীরা’ শহরে গিয়ে দেখতে পেলাম যে, তারা তাদের নেতাকে সম্মানার্থে সিজদা করছে। এটা দেখে আমি মনে মনে বললাম, নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই সিজদা পাওয়ার সর্বাধিক উপযুক্ত। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললাম, আমি হীরা’র সফরে দেখতে পেলাম যে, সেখানকার অধিবাসীরা তাদের নেতাকে সিজদা করে। আমি স্থির করেছি যে, আপনিই সাজদার অধিক হকদার। এ কথা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, (তবে কি আমার মৃত্যুর পরে) তুমি আমার কবরের সম্মুখ দিয়ে গমনকালে কবরকে সিজদা করবে? উত্তরে আমি বললাম, (নিশ্চয়) না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, না, (কস্মিনকালেও) করো না। কেননা আমি যদি (আল্লাহ ব্যতিরেকে) অপর কাউকে সিজদা করতে বলতাম তবে স্বামীদের জন্য রমণীদেরকে সিজদা করার নির্দেশ করতাম। (আবূ দাঊদ)[1]
عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَقُلْتُ: لَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَحَق أَن يسْجد لَهُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: إِنِّي أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَأَنْتَ أَحَقُّ بِأَنْ يُسْجَدَ لَكَ فَقَالَ لِي: «أَرَأَيْتَ لَوْ مَرَرْتَ بِقَبْرِى أَكُنْتَ تَسْجُدُ لَهُ؟» فَقُلْتُ: لَا فَقَالَ: «لَا تَفْعَلُوا لَو كنت آمُر أحد أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ النِّسَاءَ أَنْ يَسْجُدْنَ لِأَزْوَاجِهِنَّ لِمَا جَعَلَ اللَّهُ لَهُمْ عَلَيْهِنَّ مِنْ حق» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: হীরাত ইরাকের কুফা নগরীর উপকণ্ঠে একটি প্রাচীন শহর। এখানকার লোকের তাদের সমাজের প্রধান ও বড় বড় বীর বাহাদুরকে সিজদা করে সম্মান প্রদর্শন করতো। হাদীসের বর্ণনাকারী কয়স (রহঃ) এগুলো স্বচক্ষে দর্শন করে মনে মনে ভাবেন আমাদের নেতা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এই সিজদা পাওয়ার বেশি হকদার; সুতরাং আমরা মদীনাহ্ পৌঁছে তাকেও সিজদা করবো। সফর থেকে ফিরে এসে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট তার মনের ইচ্ছা ব্যক্ত করে বলেন, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমরা কি আপনাকে সিজদা করবো না?
সিজদা যেহেতু কারো সম্মান ও দাসত্ব প্রকাশের জন্য করা হয়ে থাকে। আর এই দাসত্ব একমাত্র আল্লাহর জন্যই স্বীকৃত অন্যের জন্য নয়, সুতরাং (এই দাসত্ব ও সম্মানের) সিজদা ও আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য স্বীকৃত নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, হে কায়স! আমার মৃত্যুর পর তুমি যদি আমার কবরের পাশ দিয়ে যাও তবে কি ঐ কবরকে বা ঐ কবরবাসীকে সিজদা করবে? সাহাবী উত্তরে বললেন, না তা করবো না, সাহাবীর এই না বলার পরও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, না তোমরা তা কখনো করো না; আমার মৃত্যুর পর যেমন আমার কবরকে সিজদা করবে না ঠিক তেমনি আমার জীবদ্দশায়ও আমাকে সিজদা করবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঐ নিষেধাজ্ঞা ঐ সাহাবীর জন্য যেমন ছিল ঠিক তেমনি সর্বকালের সকল উম্মাতের জন্য প্রযোজ্য। আল্লাহ তা‘আলার বাণী : ‘‘তোমরা সূর্যকে সিজদা করো না, চন্দ্রকেও না, আল্লাহকে সিজদা করো, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি একান্ত তার ‘ইবাদাত করো।’’ (সূরা হা-মীম আস্ সিজদা ৪১ : ৩৭)
এ আয়াতে কারীমার ব্যাখ্যায় ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ ‘‘তোমরা সিজদা করো ঐ সত্বাকে যিনি চিরঞ্জীব, যার মৃত্যু নেই, আর যার রাজত্বের পতন ঘটে না।’’ আজ তোমরা আমার সম্মান ও বড়ত্বের কারণে আমাকে সিজদা দিবে কাল যখন আমি মৃত্যুবরণ করবো এবং কবরে সমাহিত হবো তখন কি করবে? ধ্বংসশীল ও মরণশীল কোনো কিছুকেই সাজদায় দেয়া যাবে না। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নারী জাতির ওপর স্বামীর অধিকার বা হাকের কথা উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহ ছাড়া কাউকে সিজদা দেয়া যদি বৈধ হতো তাহলে নারী জাতিকে নির্দেশ করতাম যে, তারা যেন তাদের স্বামীদেরকে সিজদা করে। আল্লাহ ছাড়া অন্যকে সিজদা বৈধ নয়, তাই নারীকেও তার স্বামীদের সাজদার হুকুম করা হয়নি। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
[পীর বা পীরের কবরে সিজদা দানকারীদের এ হাদীস থেকে শিক্ষাগ্রহণ করা উচিত] (সম্পাদক)
পরিচ্ছেদঃ ৪১. স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
২১৪০। কায়িস ইবনু সা’দ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (কুফার) আল-হীরা শহরে এসে দেখি, সেখানকার লোকেরা তাদের নেতাকে সিজদা্ করছে। আমি ভাবলাম, (তাহলে তো) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই সিজদা অধিক হকদার। অতঃপর আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমতে এসে বলি, আমি আল-হীরা শহরে দেখে এসেছি, সেখানকার লোকরো তাদের নেতাকে সিজদা করে। সুতরাং হে আল্লাহর রাসূল! আপনিই তো এর অধিক হকদার যে, আমরা আপনাকে সিজদা করি? তিনি বললেনঃ যদি (মৃত্যুর পর) তুমি আমার কবরের পাশ দিয়ে যাও তখন কি তুমি সেটাকে সিজদা করবে? আমি বললামঃ না। তিনি বললেনঃ সাবধান! তোমরা এরূপ করবে না। আমি যদি কোনো মানুষকে সিজদা করার অনুমতি দিতাম তবে স্ত্রীদেরকে দিতাম তাদের স্বামীদেরকে সিজদা করতে। কেননা আল্লাহ স্ত্রীদের উপর স্বামীদের অধিকার দিয়েছেন।[1]
সহীহ। তবে কবর সম্পর্কিত বাক্যটি বাদে। যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৪৮৪২), ইরওয়া (১৯৯৮), মিশকাত (৩২৬৬)।
بَابٌ فِي حَقِّ الزَّوْجِ عَلَى الْمَرْأَةِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَقُلْتُ: رَسُولُ اللَّهِ أَحَقُّ أَنْ يُسْجَدَ لَهُ، قَالَ: فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: إِنِّي أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَحَقُّ أَنْ نَسْجُدَ لَكَ، قَالَ: أَرَأَيْتَ لَوْ مَرَرْتَ بِقَبْرِي أَكُنْتَ تَسْجُدُ لَهُ؟ قَالَ: قُلْتُ: لَا، قَالَ: فَلَا تَفْعَلُوا، لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ النِّسَاءَ أَنْ يَسْجُدْنَ لِأَزْوَاجِهِنَّ لِمَا جَعَلَ اللَّهُ لَهُمْ عَلَيْهِنَّ مِنَ الْحَقِّ
صحيح دون جملة القبر // ضعيف الجامع الصغير (٤٨٤٢)، الإرواء (١٩٩٨)، المشكاة (٣٢٦٦)
Narrated Qays ibn Sa'd:
I went to al-Hirah and saw them (the people) prostrating themselves before a satrap of theirs, so I said: The Messenger of Allah (ﷺ) has most right to have prostration made before him. When I came to the Prophet (ﷺ), I said: I went to al-Hirah and saw them prostrating themselves before a satrap of theirs, but you have most right, Messenger of Allah, to have (people) prostrating themselves before you. He said: Tell me , if you were to pass my grave, would you prostrate yourself before it? I said: No. He then said: Do not do so. If I were to command anyone to make prostration before another I would command women to prostrate themselves before their husbands, because of the special right over them given to husbands by Allah.
পরিচ্ছেদঃ স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার
(২৬১১) ক্বাইস বিন সা’দ বলেন, আমি হীরাহ গেলাম। সেখানকার লোকেদেরকে দেখলাম, তারা তাদের সর্দারকে সিজদা করছে। তাই আমি (মনে মনে) বললাম, ’রাসূলুল্লাহ সিজদার বেশি হকদার।’ অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললাম, ’আমি হীরাহ গেলাম। দেখলাম, সেখানকার লোকেরা তাদের সর্দারকে সিজদা করছে। সুতরাং আপনি হে আল্লাহর রসূল! আমাদের সিজদার বেশি হকদার।’ তিনি বললেন, কী রায় তোমার, আমার কবরের পাশ দিয়ে গেলে তুমি কি তা সিজদা করবে? আমি বললাম, ’না।’ তিনি বললেন, ’’তোমরা তা করো না। যদি আমি কাউকে অপরজনকে সিজদা করার আদেশ দিতাম, তাহলে মহিলাদেরকে আদেশ করতাম, তারা যেন তাদের স্বামীকে সিজদা করে। যেহেতু আল্লাহ তাদের উপর (তাদের স্বামীদের বহু) অধিকার রেখেছেন।
عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَقُلْتُ رَسُوْلُ اللهِ أَحَقُّ أَنْ يُسْجَدَ لَهُ قَالَ فَأَتَيْتُ النَّبِىَّ ﷺ فَقُلْتُ إِنِّى أَتَيْتُ الْحِيرَةَ فَرَأَيْتُهُمْ يَسْجُدُونَ لِمَرْزُبَانٍ لَهُمْ فَأَنْتَ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَحَقُّ أَنْ نَسْجُدَ لَكَ قَالَ أَرَأَيْتَ لَوْ مَرَرْتَ بِقَبْرِى أَكُنْتَ تَسْجُدُ لَهُ قَالَ قُلْتُ لَا قَالَ فَلَا تَفْعَلُوا لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لأَحَدٍ لأَمَرْتُ النِّسَاءَ أَنْ يَسْجُدْنَ لأَزْوَاجِهِنَّ لِمَا جَعَلَ اللهُ لَهُمْ عَلَيْهِنَّ مِنَ الْحَقِّ