পরিচ্ছেদঃ ৮/১. যাকাত পরিশোধ করা ফরয্।
১/১৭৮৩। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-কে ইয়ামনে পাঠাবার প্রাক্কালে বলেনঃ নিশ্চয়ই তুমি এমন একটি সম্প্রদায়ের কাছে যাচ্ছো যারা আহলে কিতাব। তুমি সর্বপ্রথম তাদেরকে ’’আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই এবং আমি আল্লাহর রসূল’’ এ কথার সাক্ষ্য দেয়ার আহবান জানাবে। তারা তা মেনে নিলে তুমি তাদের জানিয়ে দিবে যে, আল্লাহ্ তাদের উপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তারা যদি এ কথাও মেনে নেয়, তবে তাদের আরও জানিয়ে দিবে যে, আল্লাহ্ তাদের সম্পদের উপর যাকাত ফরয করেছেন, যা তাদের ধনীদের নিকট থেকে আদায় করা হবে এবং তাদের গরীবদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। তারা যদিও এটিও মেনে নেয় তবে তাদের উত্তম সম্পদ (গ্রহণ) থেকে নিজেদের বিরত রাখবে। তুমি মযলুমের বদদোয়াকে ভয় করো। কেননা মযলুমের আহাজারি ও আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা (প্রতিবন্ধক) নেই।
بَاب فَرْضِ الزَّكَاةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ إِسْحَقَ الْمَكِّيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ صَيْفِيٍّ عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ إِنَّكَ تَأْتِي قَوْمًا أَهْلَ كِتَابٍ فَادْعُهُمْ إِلَى شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لِذَلِكَ فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ اللهَ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لِذَلِكَ فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ اللهَ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً فِي أَمْوَالِهِمْ تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ فَتُرَدُّ فِي فُقَرَائِهِمْ فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لِذَلِكَ فَإِيَّاكَ وَكَرَائِمَ أَمْوَالِهِمْ وَاتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهَا لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللهِ حِجَابٌ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
'Ibn Abbas(RAH) narrated that:
the Prophet send Muadh to Yemen, and said: “You are going to some people among the People of the Book. Call them to bear witness that none has the right to be worshipped but Allah, and that I am the messenger of Allah. If they obey that, then tell them that Allah has enjoined upon them five prayers every day and night. If they obey that, then tell them that Allah has enjoined upon them charity (Zakat) from their wealth, to be taken from the rich and given to their poor. If they obey that, then beware of (taking) the best of their wealth. And beware of the supplication of the oppressed, for there is no barrier between and Allah.”
পরিচ্ছেদঃ ৮/২. যাকাত পরিশোধ না করার পরিণতি।
১/১৭৮৪। ’আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি তার মালের যাকাত আদায় করে না, তার মালকে কিয়ামতের দিন বিষধর সাপে পরিণত করা হবে, এমনকি তা তার গলায় পেচিয়ে দেয়া হবে। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সমর্থনে আল্লাহর কিতাবের নিম্নোক্ত আয়াত আমাদের তিলাওয়াত করে শুনান (অনুবাদ) ’’আর আল্লাহ্ নিজ অনুগ্রহে যা তোমাদের দিয়েছেন, এতে যারা কৃপণতা করে, তাদের জন্য তা মঙ্গলজনক একথা যেন তারা মনে না করে...’’ (৩ঃ ১৮০)।
بَاب مَا جَاءَ فِي مَنْعِ الزَّكَاةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْعَدَنِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَعْيَنَ وَجَامِعِ بْنِ أَبِي رَاشِدٍ سَمِعَا شَقِيقَ بْنَ سَلَمَةَ يُخْبِرُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا مِنْ أَحَدٍ لَا يُؤَدِّي زَكَاةَ مَالِهِ إِلَّا مُثِّلَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَقْرَعَ حَتَّى يُطَوِّقَ عُنُقَهُ ثُمَّ قَرَأَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِصْدَاقَهُ مِنْ كِتَابِ اللهِ تَعَالَى (وَلَا يَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَا آتَاهُمْ اللهُ مِنْ فَضْلِهِ) الْآيَةَ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
'Abdullah bin Masud (RAH) narrated that:
the Messenger of Allah said: “There is no one who does not pay Zakat on his wealth but a bald headed snake will be made to appear to him on the Day of Resurrection, until it encircles his neck.” Then the messenger of Allah recited the following Verse from the Book of Allah the Most High: “And let not those who covetously withhold of that which Allah had bestowed on them of His Bounty(wealth) think that is good for them”
পরিচ্ছেদঃ ৮/২. যাকাত পরিশোধ না করার পরিণতি।
২/১৭৮৫। আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন উট, ছাগল ও গরুর মালিক যদি এর যাকাত আদায় না করে, তবে এগুলো কিয়ামতের দিন বিরাটকায় ও মোটাতাজা হয়ে উপস্থিত হবে এবং মালিককে এদের শিং ও ক্ষুর দিয়ে আঘাত করতে থাকবে। শেষটির পালা শেষ হলে আবার প্রথমটি থেকে শুরু হবে এবং এভাবেই চলতে থাকবে, যে পর্যন্ত না বিচারকার্য শেষ হয়।
بَاب مَا جَاءَ فِي مَنْعِ الزَّكَاةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا مِنْ صَاحِبِ إِبِلٍ وَلَا غَنَمٍ وَلَا بَقَرٍ لَا يُؤَدِّي زَكَاتَهَا إِلَّا جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْظَمَ مَا كَانَتْ وَأَسْمَنَهُ تَنْطَحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا كُلَّمَا نَفِدَتْ أُخْرَاهَا عَادَتْ عَلَيْهِ أُولَاهَا حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
Abu Dharr narrated that:
the Messenger of Allah said: “There is no now owner of camels, sheeps or cattle who does not pay Zakat on them, but they will come on the Day of Resurrection as big and as fat as they ever were, butting him with their horns and trampling him with their hooves. Every time the of them has passed, the first of them will come back to him, until judgment is passed upon the people.”
পরিচ্ছেদঃ ৮/২. যাকাত পরিশোধ না করার পরিণতি।
৩/১৭৮৬। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে উটের যাকাত দেয়া হয়নি, তা কিয়ামতের দিন তার মালিককে তার ক্ষুর দিয়ে মাড়াতে থাকবে। তদ্রূপ গরু ও ছাগল এসে এদের ক্ষুর ও শিং দিয়ে এদের মালিককে আঘাত করতে থাকবে। তার সঞ্চিত সম্পদও বিষধর সাপে পরিণত হয়ে তার মালিকের সামনে হাযির হবে। মালিক দু’বার তা দেখে পালাবে, কিন্তু সে আবার মালিকের সামনে এসে দাঁড়াবে। তখন মালিক পালাতে চেষ্টা করবে এবং বলবে, তোমার সাথে আমার কী সম্পর্ক? সে বলবে, আমি তোমার গচ্ছিত সম্পদ, আমি তোমার রক্ষিত ধন। মালিক তার হাত দিয়ে সাপ থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে সে তার হাতটি গিলে ফেলবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي مَنْعِ الزَّكَاةِ
حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ تَأْتِي الْإِبِلُ الَّتِي لَمْ تُعْطِ الْحَقَّ مِنْهَا تَطَأُ صَاحِبَهَا بِأَخْفَافِهَا وَتَأْتِي الْبَقَرُ وَالْغَنَمُ تَطَأُ صَاحِبَهَا بِأَظْلَافِهَا وَتَنْطَحُهُ بِقُرُونِهَا وَيَأْتِي الْكَنْزُ شُجَاعًا أَقْرَعَ فَيَلْقَى صَاحِبَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَفِرُّ مِنْهُ صَاحِبُهُ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ يَسْتَقْبِلُهُ فَيَفِرُّ فَيَقُولُ مَا لِي وَلَكَ فَيَقُولُ أَنَا كَنْزُكَ أَنَا كَنْزُكَ فَيَتَقِيهِ بِيَدِهِ فَيَلْقَمُهَا
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু মারওয়ান মুহাম্মাদ বিন উসমান আল-উসমানী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম বুখারী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৫৪, ২৬/৮১ নং পৃষ্ঠা) ২. আলা বিন আব্দুর রহমান সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ তার খারাপি সম্পর্কে কারো থেকে কিছু শুনিনি। ইমাম তিরমিযি বলেন, হাদিস বিশারদদের নিকট তিনি সিকাহ। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, আমি কোন সমস্যা দেখি না। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৫৭৭, ২২/৫২০ নং পৃষ্ঠা)
'Abu Hurairah narrated that:
the Messenger of Allah said: “The camels on which the dues (i.e. Zakat) were not paid will come, trampling their owners with their hooves. And cattle and sheep will come and trample at their owners with their hooves and butt them with their horns, And hoarded treasure will come in the form of a bald-headed snale, and will meet its owner on the Day of Resurrection. Its owner will flee from it two time, then it will come to him and he will flee again, and will say: 'What do I have to do with you?' and it will say: 'I am your hoarded treasure, I am your hoarded treasure.' He will try to shield himself with this hand and it will devour it.”
পরিচ্ছেদঃ ৮/৩. যে মালের যাকাত আদায় করা হয় তা পুঞ্জীভূত সম্পদ নয়।
১/১৭৮৭। ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর মুক্তদাস খালিদ ইবনু আসলাম (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর সাথে বের হলাম। এক বেদুঈন এসে তাঁকে আল্লাহর বাণী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলোঃ ’’যারা সোনা-রূপা পুঞ্জীভূত করে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না...’’ (সূরা তওবাঃ ৩৪)।
ইবনু ’উমার (রাঃ) তাকে বলেন, যে ব্যক্তি সোনা-রূপা পুঞ্জীভূত করে রাখে, অথচ এর যাকাত আদায় করে না, তার জন্য ধ্বংস অনিবার্য। এ অবস্থা ছিল যাকাতের বিধান নাযিল হওয়ার আগের। পরবর্তীতে যাকাতের বিধান নাযিল হলে যাকাতকেই আল্লাহ মালের পবিত্রতাকারী সাব্যস্ত করেন। অতঃপর ইবনু ’উমার (রাঃ) লোকটির দিকে তাকিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে আমার পরোয়া নেই যে, উহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনাও যদি আমার হাতে আসে, তবে আমি তার পরিমাণ নিরূপণ করে এর যাকাত পরিশোধ করবো এবং মহান আল্লাহর হুকুম পালনে তা ব্যয় করবো।
بَاب مَا أُدِّيَ زَكَاتُهُ فَلَيْسَ بِكَنْزٍ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ الْمِصْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ عَنْ ابْنِ لَهِيعَةَ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ أَسْلَمَ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ خَرَجْتُ مَعَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ فَلَحِقَهُ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ لَهُ قَوْلُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ (وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللهِ).
قَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ مَنْ كَنَزَهَا فَلَمْ يُؤَدِّ زَكَاتَهَا فَوَيْلٌ لَهُ إِنَّمَا كَانَ هَذَا قَبْلَ أَنْ تُنْزَلَ الزَّكَاةُ فَلَمَّا أُنْزِلَتْ جَعَلَهَا اللهُ طَهُورًا لِلْأَمْوَالِ ثُمَّ الْتَفَتَ فَقَالَ مَا أُبَالِي لَوْ كَانَ لِي أُحُدٌ ذَهَبًا أَعْلَمُ عَدَدَهُ وَأُزَكِّيهِ وَأَعْمَلُ فِيهِ بِطَاعَةِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ.
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার থেকে যে ব্যাক্তি অনেক পূর্বে হাদিস গ্রহন করেছেন তার হাদিস সহিহ। আমর বিন আল-ফাল্লাস বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাফস উমার বিন শাহীন বলেন, তিনি সিকাহ। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি দুর্বল, তিনি সিকাহ নন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা)
Khalid bin Aslam, the freed slave of Umar bin Khattab, said:
“I went out with Abdullah bin Umar, and a Bedouin met him and recited to him the words of Allah: 'And those who hoard up gold and silver (the money, the Zakah of which has not been paid) and spend them not in the way of Allah.' Ibn Umar Said to him: 'The one who hoards it and does not pay Zakat due on it, woe to him. But this was before the (ruling on) Zakat was revealed. When it was revealed, Allah made it a purification of wealth.' Then he turned away and said: 'I do not mind if I have the (the equivalent of) Uhud in gold, provided that I know how much it is and I pay Zakat on it, and I use it in obedience of Allah, the Mighty and Sublime'”
পরিচ্ছেদঃ ৮/৩. যে মালের যাকাত আদায় করা হয় তা পুঞ্জীভূত সম্পদ নয়।
২/১৭৮৮। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যখন তুমি তোমার মালের যাকাত আদায় করলে, তখন তুমি তোমার দায়িত্ব সম্পন্ন করে ফেললে।
بَاب مَا أُدِّيَ زَكَاتُهُ فَلَيْسَ بِكَنْزٍ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَعْيَنَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنْ دَرَّاجٍ أَبِي السَّمْحِ عَنْ ابْنِ حُجَيْرَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا أَدَّيْتَ زَكَاةَ مَالِكَ فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী দাররাজ আবুস সামহ সম্পর্কে আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু আবুল হায়সাম থেকে হাদিস বর্ণনায় তার দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল তাকে মুনকার বলেছেন। আবু বিশর আদ-দাওলানী বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কোন কওলী বা আমলী ফিসক এর সাথে জড়িত। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইমাম দারাকুতনী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৭৯৭, ৮/৪৭৭ নং পৃষ্ঠা)
Abu Hurairah narrated that:
the Messenger of Allah said: “When you pay Zakat on your wealth, then you have done what is required to you.”
পরিচ্ছেদঃ ৮/৩. যে মালের যাকাত আদায় করা হয় তা পুঞ্জীভূত সম্পদ নয়।
৩/১৭৮৯। ফাতেমাহ বিনত কায়েস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ যাকাত ব্যতীত সম্পদের উপর অন্য কোন দাবি নেই।
بَاب مَا أُدِّيَ زَكَاتُهُ فَلَيْسَ بِكَنْزٍ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ عَنْ شَرِيكٍ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ أَنْهَا سَمِعَتْهُ تَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَيْسَ فِي الْمَالِ حَقٌّ سِوَى الزَّكَاةِ
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ মুনকার। উক্ত হাদিসের রাবী আবু হামযাহ (মায়মুন) সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্যও নয় আবার দলীলযোগ্যও নয়। ইমাম বুখারী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম তিরমিযি বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি সিকাহ নন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৩৪৬, ২৬/২৩৭ নং পৃষ্ঠা)
Fatima bint Qais narrated that:
she heard him, meaning the Prophet say: “There is nothing due on wealth other then Zakat.”
পরিচ্ছেদঃ ৮/৪. সোনা-রূপার যাকাত।
১/১৭৯০। ’আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি ঘোড়া ও গোলামের যাকাত থেকে তোমাদের নিষ্কৃতি দিলাম। তবে তোমরা প্রতি চল্লিশ দিরহামে এক দিরহাম (যাকাত) দিবে।
بَاب زَكَاةِ الْوَرِقِ وَالذَّهَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنِّي قَدْ عَفَوْتُ لَكُمْ عَنْ صَدَقَةِ الْخَيْلِ وَالرَّقِيقِ وَلَكِنْ هَاتُوا رُبُعَ الْعُشْرِ مِنْ كُلِّ أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا دِرْهَمًا
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী হারিস বিন (আবদুল্লাহ) সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আহমাদ বিন সালিহ আল-মিসরী বলেন, তিনি সিকাহ। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহনযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১০২৪, ৫/২৩৯ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু হারিস বিন (আবদুল্লাহ) এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৩৭০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ১ টি জাল, ১৩ টি অধিক দুর্বল, ২০৩ টি দুর্বল, ১২২ টি হাসান, ২৫ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৪৬৩, ১৪৬৪, মুসলিম ৯৮৩, ৯৮৪, তিরমিযি ৬২০, ৬২৮, আবু দাউদ ১৫৭৪, ১৫৯৪, ১৫৯৫, দারিমী ১৬৩২, আহমাদ ৭১৩, ৯১৫, ৯৮৭, ১১০০, ১২৩৭, ১২৪৭, ১২৭০, ১২৭২, ৭২৫৩, ৭৩৪৯, ৭৪০৫, ৭৬৯৯, ৯০২৮, ৯০৫৯, ৯১৫৯, ৯২৯৫, দারাকুতনী ১৯০৭, ২০০৩, ২০০৪, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৭ ইত্যাদি।
Ali narrated that:
the Messenger of Allah said: “I have exempted you from having to pay Zakat on horses and slaves, bring one quarter of one-tenth of every forty Dirhan: one Dirham.”
পরিচ্ছেদঃ ৮/৪. সোনা-রূপার যাকাত।
২/১৭৯১। ইবনু ’উমার ও ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বিশ দিনার বা তার চেয়ে কিছু বেশি হলে অর্ধ দিনার এবং চল্লিশ দিনারে এক দিনার (যাকাত) গ্রহণ করতেন।
بَاب زَكَاةِ الْوَرِقِ وَالذَّهَ
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَا حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْخُذُ مِنْ كُلِّ عِشْرِينَ دِينَارًا فَصَاعِدًا نِصْفَ دِينَارٍ وَمِنْ الْأَرْبَعِينَ دِينَارًا دِينَارًا
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ইবরাহীম বিন ইসমাঈল সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন,তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। ইমাম নাসাঈ তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু আদী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ নন বরং হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৪৮, ২/৪৫ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু ইবরাহীম বিন ইসমাঈল এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ১২ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১ টি দুর্বল, ৬ টি হাসান, ৫ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ দারাকুতনী ১৮৭৯, ১৮৯২ ইত্যাদি।
Ibn 'Umar and 'Aishah narrated that:
that from every twenty Dinar or more. The Prophet used to take half a Dinar and from forty Dinar, one Dinar.
পরিচ্ছেদঃ ৮/৫. কেউ বছরের মাঝখানে কোন সম্পদের মালিক হলে।
১/১৭৯২। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোন মালের যাকাত নেই।
بَاب مَنْ اسْتَفَادَ مَالًا
َدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ حَدَّثَنَا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا حَارِثَةُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَا زَكَاةَ فِي مَالٍ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. শুজা ইবনুল ওয়ালীদ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৭০২, ১২/৩৮২ নং পৃষ্ঠা) ২. হারিসাহ বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল দুর্বল বলেছেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় মুনকার ও দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১০৫৭, ৫/৩১৩ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু শুজা ইবনুল ওয়ালী ও হারিসাহ বিন মুহাম্মাদ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২০ টি শাহিদ রয়েছে, তন্মধ্যে ৩ টি জাল, ৬ টি অধিক দুর্বল, ৬ টি দুর্বল, ৫ টি হাসান হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ দারাকুতনী ১৮৭০, ১৮৭২, ১৮৭৪ ইত্যাদি।
It was narrated that :
Aishah said: “I heard the Messenger of Allah(ﷺ) say: 'There is not Zakat on wealth until Hawl (one year) has passed.' ”
পরিচ্ছেদঃ ৮/৬. যেসব মালের উপর যাকাত ধার্য হয়।
১/১৭৯৩। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ পাঁচ ’ওয়াসাক’-এর কম পরিমাণ খেজুরে, পাঁচ ’উকিয়া’-এর কম পরিমাণ মুদ্রায় এবং পাঁচের কম সংখ্যক উটে যাকাত নেই।
بَاب مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ مِنْ الْأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ وَعَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لَا صَدَقَةَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسَاقٍ مِنْ التَّمْرِ وَلَا فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ وَلَا فِيمَا دُونَ خَمْسٍ مِنْ الْإِبِلِ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
Abu Sa'eed Al-Khudri narrated that :
he heard the Prophet say: ”There is no sadaqah on anything less than five Awsaq of dates, five Awaq of silver and five camels.”
পরিচ্ছেদঃ ৮/৬. যেসব মালের উপর যাকাত ধার্য হয়।
২/১৭৯৪। জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উটের সংখ্যা পাঁচের কম হলে তাতে যাকাত নেই, পাঁচ ’উকিয়া’-এর কম মুদ্রায় যাকাত নেই এবং পাঁচ ওয়াসাক-এর কম ফসলে যাকাত নেই।
بَاب مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ مِنْ الْأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ ذَوْدٍ صَدَقَةٌ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ صَدَقَةٌ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسَاقٍ صَدَقَةٌ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন মুসলিম সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি সালিহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি প্রত্যেক অবস্থায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে মুখস্ত হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৬০৪, ২৬/৪১২ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Jabir bin 'Abdullah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"There is no Sadaqah on less than five camels; there is no Sadaqah on less than five Awaq; and there is no Sadaqah on less than five Awsaq."
পরিচ্ছেদঃ ৮/৭. বর্ষপূর্তির পূর্বে দ্রুত যাকাত আদায় করা।
১/১৭৯৫। ’আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। ’আব্বাস (রাঃ) তার মালের বর্ষপূর্তির পূর্বে যাকাত প্রদানের ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি তাকে এ ব্যাপারে অনুমতি দেন।
بَاب تَعْجِيلِ الزَّكَاةِ قَبْلَ مَحِلِّهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّا عَنْ حَجَّاجِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ حُجَيَّةَ بْنِ عَدِيٍّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّ الْعَبَّاسَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي تَعْجِيلِ صَدَقَتِهِ قَبْلَ أَنْ تَحِلَّ فَرَخَّصَ لَهُ فِي ذَلِكَ
তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ইসমাইল বিন যাকারিয়্যা সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু খিরাশ তাকে সত্যবাদী বলেছেন। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় কিছু ভুক করেন করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৪৫, ৩/৯২ নং পৃষ্ঠা) ২. হুজায়্যাহ বিন আদী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস থেকে দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম যাহাবী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১১৪১, ৫/৪৮৫ নং পৃষ্ঠা)
Ali bin Abu Talib narrated that :
Abbas asked the Prophet about paying his Sadaqah before it is due, and he granted him permission to do that.
পরিচ্ছেদঃ ৮/৮. যাকাত আদায় করার সময় যে দু‘আ পড়বে।
১/১৭৯৬। ’আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার মালের যাকাত নিয়ে উপস্থিত হলে তিনি তার জন্য দু’আ করতেন। আমি আমার মালের যাকাত নিয়ে তাঁর নিকট উপস্থিত হলে তিনি দু’আ করলেনঃ ’’হে আল্লাহ্! আপনি আবূ আওফার পরিবারের প্রতি দয়া করুন’’।
بَاب مَا يُقَالُ عِنْدَ إِخْرَاجِ الزَّكَاةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَاهُ الرَّجُلُ بِصَدَقَةِ مَالِهِ صَلَّى عَلَيْهِ فَأَتَيْتُهُ بِصَدَقَةِ مَالِي فَقَالَ اللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَى آلِ أَبِي أَوْفَى
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
Abdullah bin Abu Awfa said:
“Whenever a man brought Sadaqah to the Messenger of Allah, he would bless him. I brought him the Sadaqah of my wealth and he said: 'Allhumma, salli ala ali abi awfa(O Allah! Send blessing upon the family of Abu Awfa).' ”
পরিচ্ছেদঃ ৮/৮. যাকাত আদায় করার সময় যে দু‘আ পড়বে।
২/১৭৯৭। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা যখন যাকাত দিবে তখন তার সওয়াবের কথা ভুলে যেও না এবং এ দু’আ করোঃ ’’হে আল্লাহ্! আপনি এই যাকাতকে তওবা কবুলের উসীলা বানিয়ে দিন এবং একে ঋণ পরিশোধের (বা জরিমানার) পর্যায়ভুক্ত না করুন’’।
بَاب مَا يُقَالُ عِنْدَ إِخْرَاجِ الزَّكَاةِ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ الْبَخْتَرِيِّ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَعْطَيْتُمْ الزَّكَاةَ فَلَا تَنْسَوْا ثَوَابَهَا أَنْ تَقُولُوا اللّٰهُمَّ اجْعَلْهَا مَغْنَمًا وَلَا تَجْعَلْهَا مَغْرَمًا
তাহকীক আলবানীঃ বানোয়াট। উক্ত হাদিসের রাবী বাখতারী বিন উবায়দ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইয়াকুব বিন শায়বাহ তাকে অপরিচিত বলেছেন। ইবনু আদী তাকে মুনকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। দারাকুতনী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হিব্বান বলেন, তার নুসখায় তিনি আশ্চর্য আশ্চর্য হাদিস বর্ণনা করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৪৪, ৪/২৪ নং পৃষ্ঠা) ২. উবায়দ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী, ইবনু হাজার আল-আসকালানী ও ইমাম দারাকুতনী তারা সকলে বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭১৯, ১৯/২১১ নং পৃষ্ঠা)
Abu Hurairah narrated that :
the Messenger of Allah(ﷺ) said: “When you give Zakat, do not forget its reward, and say 'Allahummaj-'alha maghnaman wa la taj-'alha maghrama (O Allah! Make it a gain and do not make it a loss).' ”
পরিচ্ছেদঃ ৮/৯. উটের যাকাত।
১/১৭৯৮। ’আবদুল্লাহ্ বিন ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনু শিহাব (রহ.) বলেন, সালেম (রহ.) আমাকে একটি পত্র পড়ে শোনান, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ইনতিকালের পূর্বে যাকাত সম্পর্কে লিখেছিলেন। আমি তাতে যে তথ্য পাই তা হলোঃ পাঁচ উটের যাকাত একটি বকরি, দশ উটে দু’টি বকরি, পনের উটে তিনটি বকরি, বিশ উটে চারটি বকরি এবং পচিশ থেকে পঁয়ত্রিশ উটে একটি ’’বিনতে মাখাদ’’ (পূর্ণ এক বছর বয়সের উষ্ট্রী), আর ’’বিনতে মাখাদ না পাওয়া গেলে একটি ইবনু লাবূন (পূর্ণ দু’ বছর বয়সের উট)।
উটের সংখ্যা পঁয়ত্রিশ থেকে একটি বেশি হলে পঁয়তাল্লিশ সংখ্যক পর্যন্ত একটি ’বিনতে লাবূন’। উটের সংখ্যা পঁয়তাল্লিশ-এর একটি বেশি হলে ষাট সংখ্যক পর্যন্ত একটি ’হিক্কাহ’ (পূর্ণ তিন বছর বয়সের উষ্ট্রী)। উটের সংখ্যা ষাট-এর একটি বেশি হলে পঁচাত্তর সংখ্যক পর্যন্ত একটি ’’জাযাআহ’’ (পূর্ণ চার বছর বয়সের উষ্ট্রি)। উটের সংখ্যা পঁচাত্তরের চেয়ে একটি বেশি হলে, নব্বই সংখ্যক পর্যন্ত দু’টি ’’বিনতে লাবূন’’। উটের সংখ্যা নব্বই থেকে একটি বেশি হলে এক শত বিশ সংখ্যক পর্যন্ত দু’টি হিক্কাহ্ যাকাত স্বরূপ দিতে হবে। এক শত বিশের অধিক প্রতি পঞ্চশ উটে একটি হিক্কাহ এবং প্রতি চল্লিশ উটে একটি ’বিনতে লাবূন’’।
بَاب صَدَقَةِ الْإِبِلِ
حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَقْرَأَنِي سَالِمٌ كِتَابًا كَتَبَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّدَقَاتِ قَبْلَ أَنْ يَتَوَفَّاهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فَوَجَدْتُ فِيهِ فِي خَمْسٍ مِنْ الْإِبِلِ شَاةٌ وَفِي عَشْرٍ شَاتَانِ وَفِي خَمْسَ عَشْرَةَ ثَلَاثُ شِيَاهٍ وَفِي عِشْرِينَ أَرْبَعُ شِيَاهٍ وَفِي خَمْسٍ وَعِشْرِينَ بِنْتُ مَخَاضٍ إِلَى خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ فَإِنْ لَمْ تُوجَدْ بِنْتُ مَخَاضٍ فَابْنُ لَبُونٍ ذَكَرٌ فَإِنْ زَادَتْ عَلَى خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ وَاحِدَةً فَفِيهَا بِنْتُ لَبُونٍ إِلَى خَمْسَةٍ وَأَرْبَعِينَ فَإِنْ زَادَتْ عَلَى خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ وَاحِدَةً فَفِيهَا حِقَّةٌ إِلَى سِتِّينَ فَإِنْ زَادَتْ عَلَى سِتِّينَ وَاحِدَةً فَفِيهَا جَذَعَةٌ إِلَى خَمْسٍ وَسَبْعِينَ فَإِنْ زَادَتْ عَلَى خَمْسٍ وَسَبْعِينَ وَاحِدَةً فَفِيهَا ابْنَتَا لَبُونٍ إِلَى تِسْعِينَ فَإِنْ زَادَتْ عَلَى تِسْعِينَ وَاحِدَةً فَفِيهَا حِقَّتَانِ إِلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ فَإِذَا كَثُرَتْ فَفِي كُلِّ خَمْسِينَ حِقَّةٌ وَفِي كُلِّ أَرْبَعِينَ بِنْتُ لَبُونٍ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
Ibn Shihab narrated from Salim bin Abdullah, from his father, from the Prophet(ﷺ):
Ibn Shihab said: “Salim read to me a letter that the Messenger of Allah had written concerning Sadaqat, before Allah caused him to pass away, in which it was said: 'For five camels one sheep; for ten, two sheep; for twenty, four sheep. For twenty five, a Bint Makhad(a one year old she-camel), up to thirty-five; if there is no Bint Makhad, then a Bin Labun ( a two-year-old male camel). If there are more than thirty-five even one, then a Bint Labun ( a two-year-old she-camel) must be given up to forty-five. If there are more than forty-five, even one, then a Hiqqah (a three-year-old she-camel), up to sixty camels. If there are more than sixty, even one more, then a Jadha'ah ( a four-year-old she-camel) must be given, up to seventy-five. If there are more than seventy-five, even one more, then two Bint Labun must be given, upto ninety. If there are more than ninety, even one more, then two Hiqqah must be given, up to one hundred and twenty. If there are many camels, then for each fifty, one Hiqqah must be given and for each forty a Bint Labun' ”
পরিচ্ছেদঃ ৮/৯. উটের যাকাত।
২/১৭৯৯। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উটের সংখ্যা পাঁচ-এর কম হলে কোন যাকাত নাই। পাঁচ থেকে নয় পর্যন্ত উটে একটি বকরি, দশ থেকে চৌদ্দ পর্যন্ত উটে দু’টি বকরি, পনের থেকে উনিশ পর্যন্ত উটে তিনটি বকরি, বিশ থেকে চবিবশ পর্যন্ত উটে চারটি বকরি, পঁচিশ থেকে পঁয়ত্রিশ পর্যন্ত উটে একটি বিনতে মাখাদ। যদি বিনতে মাখাদ না পাওয়া যায়, তবে একটি ইবনু লাবূন আদায় করতে হবে। উটের সংখ্যা বেড়ে পঁয়তাল্লিশ পর্যন্ত পৌঁছলে এতে একটি বিনতে লাবূন। উটের সংখ্যা বেড়ে পঁচাত্তর পৌঁছলে এতে দু’টি বিনতে লাবূন। উটের সংখ্যা বেড়ে এক শত বিশ পর্যন্ত পৌঁছলে এতে দু’টি হিক্কাহ। উটের সংখ্যা বেড়ে একশত বিশের অধিক হলে প্রতি পঞ্চাশ উটে একটি হিক্কাহ এবং প্রতি চল্লিশ উটে একটি বিনতে লাবূন আদায় করতে হবে।
بَاب صَدَقَةِ الْإِبِلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَقِيلِ بْنِ خُوَيْلِدٍ النَّيْسَابُورِيُّ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عَبْدِ اللهِ السُّلَمِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسٍ مِنْ الْإِبِلِ صَدَقَةٌ وَلَا فِي الْأَرْبَعِ شَيْءٌ فَإِذَا بَلَغَتْ خَمْسًا فَفِيهَا شَاةٌ إِلَى أَنْ تَبْلُغَ تِسْعًا فَإِذَا بَلَغَتْ عَشْرًا فَفِيهَا شَاتَانِ إِلَى أَنْ تَبْلُغَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ فَإِذَا بَلَغَتْ خَمْسَ عَشْرَةَ فَفِيهَا ثَلَاثُ شِيَاهٍ إِلَى أَنْ تَبْلُغَ تِسْعَ عَشْرَةَ فَإِذَا بَلَغَتْ عِشْرِينَ فَفِيهَا أَرْبَعُ شِيَاهٍ إِلَى أَنْ تَبْلُغَ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ فَإِذَا بَلَغَتْ خَمْسًا وَعِشْرِينَ فَفِيهَا بِنْتُ مَخَاضٍ إِلَى خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ فَإِذَا لَمْ تَكُنْ بِنْتُ مَخَاضٍ فَابْنُ لَبُونٍ ذَكَرٌ فَإِنْ زَادَتْ بَعِيرًا فَفِيهَا بِنْت لَبُونٍ إِلَى أَنْ تَبْلُغَ خَمْسًا وَأَرْبَعِينَ فَإِنْ زَادَتْ بَعِيرًا فَفِيهَا حِقَّةٌ إِلَى أَنْ تَبْلُغَ سِتِّينَ فَإِنْ زَادَتْ بَعِيرًا فَفِيهَا جَذَعَةٌ إِلَى أَنْ تَبْلُغَ خَمْسًا وَسَبْعِينَ فَإِنْ زَادَتْ بَعِيرًا فَفِيهَا بِنْتَا لَبُونٍ إِلَى أَنْ تَبْلُغَ تِسْعِينَ فَإِنْ زَادَتْ بَعِيرًا فَفِيهَا حِقَّتَانِ إِلَى أَنْ تَبْلُغَ عِشْرِينَ وَمِائَةً ثُمَّ فِي كُلِّ خَمْسِينَ حِقَّةٌ وَفِي كُلِّ أَرْبَعِينَ بِنْتُ لَبُونٍ
তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন আকীল বিন খুওয়ায়লীদ আন-নায়সাবুরী সম্পর্কে আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ। আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি হাফস বিন আবদুল্লাহ থেকে দুটি হাদিস বর্ণনা করেছেন যার অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তিনি তার হিফয থেকে একাধিক হাদিস বর্ণনা করেছেন যা মাঝে তিনি ভুল করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৭৩, ২৬/১২৮ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated that:
that Abu Sa'eed Al-Khudri said: “The Messenger of Allah said: 'There is no Sadaqah on any less then five camels, or for four. If the number of camels reaches five then one sheep must be given, up to nine. If the number reaches ten, then two sheep must be given, up to fourteen. If the number reaches fifteen, then three sheep must be given, up to nineteen. If the number reaches twenty, then four sheep must be given, up to twenty-four. If the number reaches twenty-five, then a Bint Makhad (a one year old she-camel), must be given up to thirty-five; if there is not Bint Makhad, then a Bin Labun (a two-year-old male camel). If there are more camels then a Bint Labun (a two-year-old she-camel) up to forty-five. If there are more camels then a Hiqqah (a three-year-old she-camel) must be given up to sixty. If there are more camels then a Jadha'ah (a five-year-old she-camel) must be given up to seventy-five. If there are more camels, then two Bint Labun must be given, up to ninety. If there are more camels, then two Hiqqah must be given, up to one hundred and twenty. The for each fifty, one Hiqqah, and for each forty, a Bint Labun.' ”
পরিচ্ছেদঃ ৮/১০. যাকাত আদায়কারী কম বয়সী অথবা বেশি বয়সী পশু গ্রহণ করলে। [আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর পত্র]।
১/১৮০০। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ বকর (রাঃ) তাকে লিখে পাঠানঃ বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম। এটি যাকাতের বিধান, যা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নির্দেশে মুসলিমদের জন্য ফরয করেছেন। উটের যত সংখ্যকে (যাকাত বাবদ) বকরি প্রদান করতে হয়, তারপর থেকে তার নিকট একটি জাযাআহ যাকাত বাবদ প্রদানের সম-সংখ্যক উট আছে, কিন্তু জাযাআহ নাই, তবে হিক্কাহ্ আছে, তার নিকট থেকে হিক্কাহ্ গ্রহণ করা হবে, উপরন্তু সহজলভ্য হলে তার থেকে দু’টি বকরি অথবা বিশ দিরহাম নেয়া হবে। যার উটের সংখ্যা একটি হিক্কাহ্ প্রদানের পর্যায়ে পৌঁছেছে, কিন্তু তার নিকট হিক্কাহ্ নাই, তবে বিনতে লাবূন আছে, তার নিকট থেকে (যাকাত স্বরূপ) বিনতে লাবূন গ্রহণ করা হবে, উপরন্তু তার থেকে সহজলভ্য হলে দু’টি বকরী অথবা বিশ দিরহাম আদায় করা হবে।
যার উটের সংখ্যা একটি বিনতে লাবূন প্রদানের পর্যায়ে পৌঁছেছে, কিন্তু তার নিকট বিনতে লাবূন নাই, তবে হিক্কাহ্ আছে, তার নিকট থেকে হিক্কাহ্ গ্রহণ করা হবে এবং যাকাত উসূলকারী তাকে দু’টি বকরি অথবা বিশ দিরহাম প্রদান করবে। যার যাকাত বিনতে লাবূন প্রদানের পর্যায়ে পৌঁছেছে কিন্তু তার নিকট বিনতে লাবূন নাই, তবে বিনতে মাখাদ আছে, তার থেকে বিনতে মাখাদ গ্রহণ করা হবে, উপরন্তু তার থেকে দু’টি বকরি অথবা বিশ দিরহাম উসূল করা হবে। যার যাকাত বিনতে মাখাদ প্রদানের পর্যায়ে পৌঁছেছে, কিন্তু তার নিকট বিনতে মাখাদ নাই, তবে বিনতে লাবূন আছে, তার থেকে বিনতে লাবূন গ্রহণ করা হবে এবং যাকাত উসূলকারী তাকে দু’টি বকরি অথবা বিশ দিরহাম ফেরত দিবে। বিনতে মাখাদ ফরয হওয়ার ক্ষেত্রে তা না থাকলে এবং বিনতে লাবূন থাকলে তাই গ্রহণ করা হবে এবং যাকাতদাতাকে অতিরিক্ত কিছু দিতে হবে না।
بَاب إِذَا أَخَذَ الْمُصَدِّقُ سِنًّا دُونَ سِنٍّ أَوْ فَوْقَ سِنٍّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى وَمُحَمَّدُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْمُثَنَّى حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ ثُمَامَةَ حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ «أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ كَتَبَ لَهُ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذِهِ فَرِيضَةُ الصَّدَقَةِ الَّتِي فَرَضَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمُسْلِمِينَ الَّتِي أَمَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ مِنْ أَسْنَانِ الْإِبِلِ فِي فَرَائِضِ الْغَنَمِ مَنْ بَلَغَتْ عِنْدَهُ مِنْ الْإِبِلِ صَدَقَةُ الْجَذَعَةِ وَلَيْسَ عِنْدَهُ جَذَعَةٌ وَعِنْدَهُ حِقَّةٌ فَإِنَّهَا تُقْبَلُ مِنْهُ الْحِقَّةُ وَيَجْعَلُ مَكَانَهَا شَاتَيْنِ إِنْ اسْتَيْسَرَتَا أَوْ عِشْرِينَ دِرْهَمًا وَمَنْ بَلَغَتْ عِنْدَهُ صَدَقَةُ الْحِقَّةِ وَلَيْسَتْ عِنْدَهُ إِلَّا بِنْتُ لَبُونٍ فَإِنَّهَا تُقْبَلُ مِنْهُ بِنْتُ لَبُونٍ وَيُعْطِي مَعَهَا شَاتَيْنِ أَوْ عِشْرِينَ دِرْهَمًا وَمَنْ بَلَغَتْ صَدَقَتُهُ بِنْتَ لَبُونٍ وَلَيْسَتْ عِنْدَهُ وَعِنْدَهُ حِقَّةٌ فَإِنَّهَا تُقْبَلُ مِنْهُ الْحِقَّةُ وَيُعْطِيهِ الْمُصَدِّقُ عِشْرِينَ دِرْهَمًا أَوْ شَاتَيْنِ وَمَنْ بَلَغَتْ صَدَقَتُهُ بِنْتَ لَبُونٍ وَلَيْسَتْ عِنْدَهُ وَعِنْدَهُ بِنْتُ مَخَاضٍ فَإِنَّهَا تُقْبَلُ مِنْهُ ابْنَةُ مَخَاضٍ وَيُعْطِي مَعَهَا عِشْرِينَ دِرْهَمًا أَوْ شَاتَيْنِ وَمَنْ بَلَغَتْ صَدَقَتُهُ بِنْتَ مَخَاضٍ وَلَيْسَتْ عِنْدَهُ وَعِنْدَهُ ابْنَةُ لَبُونٍ فَإِنَّهَا تُقْبَلُ مِنْهُ بِنْتُ لَبُونٍ وَيُعْطِيهِ الْمُصَدِّقُ عِشْرِينَ دِرْهَمًا أَوْ شَاتَيْنِ فَمَنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ ابْنَةُ مَخَاضٍ عَلَى وَجْهِهَا وَعِنْدَهُ ابْنُ لَبُونٍ ذَكَرٌ فَإِنَّهُ يُقْبَلُ مِنْهُ وَلَيْسَ مَعَهُ شَيْءٌ».
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন মুহাম্মাদ বিন মারযুক সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী তাকে সিকাহ বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৮৬, ২৬/২৩৭ নং পৃষ্ঠা)
Anas bin Malik narrated that:
Abu Bakr Siddiq wrote to him: “In the name of Allah, the Most Gracious, the Most Merciful. This is the obligation of Sadaqah which the Messenger of Allah enjoined upon the Muslims, as Allah commanded the Messenger of Allah. The ages of camels to be given (in Zakat) may be made up in sheep. So if a man has camels on which the Sadaqah is a Jadha'ah (a four-year-old she-camel) and he does not have a Jadha'ah but he has a Hiqqah (a three year old she-camel), then the Hiqqah should be accepted from him, and two sheep should be given (in addition), if they are readily available, or twenty Dirham. If a man has camels on which the Sadaqah is a Hiqqah, and he only has a Bin Labun( a two-year-old she-camel), then the Bint Labun should be accepted from him, along with two sheep or twenty Dirhams.If a man has camels on which the sadaqah is a Bint Labun, and he does not have one, but he has a Hiqqah, then it should be accepted from him, and the Zakat collector should give him back twenty Dirham or two sheep. If a man has camels on which Sadaqah is a Bint Labun, and he does not have one, but he has a Bint Makhad(a one-year-old she-camel), then the Bint Makhad should be accepted from him, along with twenty Dirham or two sheep. If a man has camels on which the Sadaqah is a Bint Makhad, and he does not have one, but he has a Bint Labun, then the Bint Labun should be accepted from him, and the Zakat collector should give him back twenty Dirhams or two sheep. Whoever does not have a Bint Makhad, but he has a Bint Labun (a two-year-old male camel), then it should be accepted from him and nothing else should be given along with it.' ”
পরিচ্ছেদঃ ৮/১১. যাকাত আদায়কারী যে ধরনের উট গ্রহণ করবে।
১/১৮০১। সুয়াইদ ইবনু গাফালা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। যাকাত আদায়কারী কর্মচারি আমাদের নিকট আসলে আমি তার হাত ধরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই নির্দেশ পাঠ করে শুনালামঃ ’’যাকাতের ভয়ে বিচ্ছিন্ন মালকেক একত্র করা এবং একত্রিত মালকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না’’। ইতোমধ্যে এক ব্যক্তি তার একটি বিরাট ও মোটাতাজা উষ্ট্রী নিয়ে আসলে তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। এরপর লোকটি আগেরটির চাইতে কম হৃষ্টপুষ্ট উট নিয়ে আসলে তিনি তা গ্রহণ করেন এবং বলেনঃ কোন্ মাটি আমাকে বহন করবে এবং কোন্ আকাশ আমাকে ছায়া দান করবে, যখন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কোন মুসলিম ব্যক্তির উৎকৃষ্ট উট নিয়ে হাজির হবো।
بَاب مَا يَأْخُذُ الْمُصَدِّقُ مِنْ الْإِبِلِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ عُثْمَانَ الثَّقَفِيِّ عَنْ أَبِي لَيْلَى الْكِنْدِيِّ عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ قَالَ جَاءَنَا مُصَدِّقُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَخَذْتُ بِيَدِهِ وَقَرَأْتُ فِي عَهْدِهِ لَا يُجْمَعُ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ وَلَا يُفَرَّقُ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ فَأَتَاهُ رَجُلٌ بِنَاقَةٍ عَظِيمَةٍ مُلَمْلَمَةٍ فَأَبَى أَنْ يَأْخُذَهَا فَأَتَاهُ بِأُخْرَى دُونَهَا فَأَخَذَهَا وَقَالَ أَيُّ أَرْضٍ تُقِلُّنِي وَأَيُّ سَمَاءٍ تُظِلُّنِي إِذَا أَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ أَخَذْتُ خِيَارَ إِبِلِ رَجُلٍ مُسْلِمٍ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated that:
Suwaid bin Ghafalah said: ”The Zakah collector of the Prophet came to us, and I took him by the hand and read in his order: 'Do not gather separate herds and do not separate herd for fear of Sadaqah'. A man brought him a huge, fat she-camel, but he refused to accept it. So he brought him another of lower quality and he accepted it. He said: 'What land would shelter me, if I came to the Messenger of Allah having taken the nest of a Muslim man's camels?' ”
পরিচ্ছেদঃ ৮/১১. যাকাত আদায়কারী যে ধরনের উট গ্রহণ করবে।
২/১৮০২। জারীর ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যাকাত আদায়কারী যেন সন্তুষ্ট চিত্তে ফিরে আসে।
بَاب مَا يَأْخُذُ الْمُصَدِّقُ مِنْ الْإِبِلِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ جَابِرٍ عَنْ عَامِرٍ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا يَرْجِعُ الْمُصَدِّقُ إِلَّا عَنْ رِضًا
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী জাবির (বিন ইয়াযীদ) সম্পর্কে শু'বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সত্যবাদী। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি মিথ্যা কথা বলেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও জাওযুজানী তাকে মিথ্যুক বলেছেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৮৭৯, ৪/৪৬৫ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ। হাদিসটির ৭০ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১ টি অধিক দুর্বল, ১৪ টি দুর্বল, ২৪ টি হাসান, ৩১ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মুসলিম, ৯৪, ১০৮০, তিরমিযি ৬৪৭, আবু দাউদ ১৫৮৯, দারিমী ১৬৭০, আহমাদ ১৮৭০৪, ১৮৭১৫, ১৮৭২৪, ১৮৭২৪, ১৮৭৪৫, ১৮৭৬০, মু'জামুল আওসাত ৫৮০৭, শারহুস সুন্নাহ ১৫৬৪ ইত্যাদি।
Jarir bin Abdullah narrated that:
the Messenger of Allah said: “The Zakat collector should not come back unless the people are pleased with him.”