পরিচ্ছেদঃ ৩. বৃষ্টির ন্যায় দুর্যোগ নেমে আসা
৬৯৮৪। আমর নাকিদ, হাসান আল হুলওয়ানি ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... নাওফাল ইবনু মুআবিয়া (রাঃ) থেকে আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর এ হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে (রাবী) আবূ বকর (রহঃ) তার রিওয়ায়াতে অধিক বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, সালাতের মধ্যে এমন এক সালাত যে, যার তা ছুটে গেল তার যেন পরিবার পরিজন এবং সমুদয় ধন-সম্পদ ধ্বংস করে দেয়া হল।
باب نُزُولِ الْفِتَنِ كَمَوَاقِعِ الْقَطْرِ
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَالْحَسَنُ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنِي وَقَالَ، الآخَرَانِ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُطِيعِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، . مِثْلَ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ هَذَا إِلاَّ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، يَزِيدُ " مِنَ الصَّلاَةِ صَلاَةٌ مَنْ فَاتَتْهُ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ " .
This hadith has been transmitted on the authority of Abu Huraira but with this variation of wording that in the hadith transmitted on the authority of Abu Bakr, there is an addition of these words:
" There is a prayer among prayers ('Asr) and one who misses it is as if his family and property have been ruined."
পরিচ্ছেদঃ ১৭/ সফর অবস্থায় আসরের নামাজ প্রসঙ্গে
৪৭৯। সুওয়ায়দ ইবনু নাসর (রহঃ) ... নাওফাল ইবনু মুআবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, যে ব্যাক্তির আসরের সালাত ’ফওত’ হল, তার পরিজন ও ধন-সম্পদ যেন ছিনতাই হয়ে গেল। এ হাদীসের বর্ণনাকারী ইরাক ইবনু মালিক বলেন, আমাকে আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যাক্তির আসরের সালাত কাযা হল, তার পরিজন ও ধন-সম্পদ যেন লুট হয়ে গেল।
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ، أَنَّ عِرَاكَ بْنَ مَالِكٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ نَوْفَلَ بْنَ مُعَاوِيَةَ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ فَاتَتْهُ صَلاَةُ الْعَصْرِ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ " . قَالَ عِرَاكٌ وَأَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ فَاتَتْهُ صَلاَةُ الْعَصْرِ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ " . خَالَفَهُ يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ .
'Irak bin Malik narrated that Nawfal bin Mu'awiyah told him that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) say:
"Whoever misses 'Asr prayer, it is as if he has been robbed of his family and wealth." 'Irak said: 'And 'Abdullah bin 'Umar informed me that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: 'Whosoever misses 'Asr prayer, it is as if he has been robbed of his family and wealth.'" Yazid bin Abi Habib contradicted him. [1]
[1] That is, contradicted Ja'far bin Rabi'ah who narrated it from 'Irik here - and Yazid's narration is next.
পরিচ্ছেদঃ ১৭/ সফর অবস্থায় আসরের নামাজ প্রসঙ্গে
৪৮০। ঈসা ইবনু হাম্মাদ যুগবা (রহঃ) ... নাওফাল ইবনু মুয়াবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, সালাতের মধ্যে এমন সালাত রয়েছে যদি কারো থেকে তা ফওত হয়, তাহলে তার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ যেন লুট হয়ে গেল। আবদুল্লাহ ইবনু উমর বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (এ সম্পর্কে) বলতে শুনেছি, তা হচ্ছে আসরের সালাত।
أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، زُغْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ نَوْفَلَ بْنَ مُعَاوِيَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مِنَ الصَّلاَةِ صَلاَةٌ مَنْ فَاتَتْهُ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ " . قَالَ ابْنُ عُمَرَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " هِيَ صَلاَةُ الْعَصْرِ " . خَالَفَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ .
It was narrated from 'Irak bin Malik that he heard that Nawfal bin Mu'awiyah said:
"I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: 'Among the prayers is a prayer which, if a person misses it, it is as if he has robbed of his family and his wealth." Ibn 'Umar said: "I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: 'It is 'Asr prayer.'" Muhammad bin Ishaq contradicted him. [1]
[1] That is, Muhammad bin Ishaq narrated it from Yazid bin Abi Habib with the following chain and wording, which differs with this narration, reported by Al-Laith from Yazid.
পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে নারীদেরকে বিয়ে করা হারাম
৩১৭৭-[১৮] নাওফাল ইবনু মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করি, তখন আমার ৫ জন স্ত্রী ছিল- এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, একজনকে পৃথক করে দাও এবং ৪ জনকে রাখ (বা রাখতে পার)। অতঃপর আমি অধিককাল (সর্বপ্রথমা) আমার সাহযর্যে ৬০ বছর যাবৎ বন্ধ্যা অবস্থায় কাটিয়েছে, তাকেই বিদায় করার ইচ্ছা করে বিদায় করলাম। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]
وَعَنْ نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ قَالَ: أَسْلَمْتُ وَتَحْتِي خَمْسُ نِسْوَةٍ فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «فَارِقْ وَاحِدَةً وَأَمْسِكْ أَرْبَعًا» فَعَمَدْتُ إِلَى أَقْدَمِهِنَّ صُحْبَةً عِنْدِي: عَاقِرٍ مُنْذُ سِتِّينَ سنة ففارقتها. رَوَاهُ فِي شرح السّنة
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি
৬০০৩-[২৫] আবূ নাওফাল মু’আবিয়াহ্ ইবনু মুসলিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনামুখী মক্কার গিরিপথে আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-কে (অর্থাৎ তাঁর মৃত লাশ) দেখতে পাই। তিনি বলেন, তাঁর কাছ দিয়ে কুরায়শ ও অন্যান্য বহু লোকই অতিক্রম করে যাচ্ছিল, অবশেষে ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) তার পার্শ্ব দিয়ে যাওয়ার বেলায় দাঁড়িয়ে বললেন, ’আস্সালামু আলাইকা ইয়া আবা খুবায়ব, আসসালামু আলাইকা ইয়া আবা খুবায়ব, আসসালামু আলাইকা ইয়া আবা খুবায়ব। অতঃপর বললেন, জেনে রাখ! আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় আমি তোমাকে এমন কাজ হতে নিষেধ করেছিলাম যার ফলে এটা হয়েছে, জেনে রাখ! আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় আমি তোমাকে এমন কাজ হতে নিষেধ করেছিলাম যার ফলে এটা ঘটেছে। জেনে রাখ! আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় আমি তোমাকে এমন কাজ হতে নিষেধ করেছিলাম যার ফলে এটা ঘটেছে। জেনে রাখ! আল্লাহর কসম! আমার জানা মতে তুমি ছিলে অধিক সিয়ামদার, খুব বেশি “ইবাদত ও তাহাজ্জুদগুযার এবং আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি সদ্ব্যবহারকারী। জেনে রাখ! আল্লাহর শপথ! যে দলের ’আক্বীদাহ্ ও ধারণা মন্দ তাদের নিকট প্রকৃতপক্ষে তুমি মন্দ নও। তিনি এটা বলেছিলেন উপহাসস্বরূপ।
অপর এক বর্ণনাতে আছে, হ্যা, তারা খুব চমৎকার একটি গোষ্ঠী। (বর্ণনাকারী বলেন,) এরপর ’আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) তথা হতে চলে গেলেন। অতঃপর ’আবদুল্লাহ-এর উক্ত স্থানে দাঁড়ানো এবং উল্লিখিত কথাগুলো বলার সংবাদটি হাজ্জাজ-এর কাছে পৌছল। অতঃপর সে ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর লাশের কাছে লোক পাঠালেন এবং শূলির কাষ্ঠ হতে লাশটি নামিয়ে ইয়াহুদীদের কবরস্থানে ফেলে দিলো। এরপর হাজ্জাজ তাঁর মাতা আসমা বিনতু আবূ বকর (রাঃ) -কে তার কাছে ডেকে পাঠাল; কিন্তু আসমা’ (রাঃ) তার কাছে আসতে অস্বীকার করলেন। অতঃপর হাজ্জাজ এ কথা বলে আবার লোক পাঠাল যে, তাকে গিয়ে বল! হয়তো তুমি স্বেচ্ছায় আমার কাছে আসবে অথবা আমি তোমার কাছে এমন লোককে পাঠাব, যে তোমার চুলের বেণি চেপে ধরে তোমাকে হেঁচড়িয়ে টেনে নিয়ে আসবে। বর্ণনাকারী বলেন, আসমা (রাঃ) এবারও আসতে অস্বীকার জানিয়ে বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি তোমার কাছে ততক্ষণ অবধি আসব না, যে পর্যন্ত তুমি এমন লোককে আমার কাছে পাঠাবে, যে আমার চুলের বেণি ধরে আমাকে হেঁচড়িয়ে নিয়ে আসবে। বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে হাজ্জাজ বলল, তোমরা আমার জুতা দাও। অতঃপর সে তার জুতা পরিধান করল এবং দ্রুত রওয়ানা হলো এবং আসমা’ (রাঃ)-এর কাছে এসে বলল, আল্লাহর দুশমন আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র -এর সাথে আমি যে আচরণ করেছি। এ ব্যাপারে তুমি আমাকে কেমন পেলে? উত্তরে তিনি বললেন, “আমি দেখেছি, তুমি তার দুনিয়াকে ধ্বংস করেছ, আর সে তোমার আখিরাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমার কাছে এ খবরও পৌছেছে, তুমি নাকি তাকে (উপহাসস্বরূপ) বলেছ, হে দুই ফিতাওয়ালী সন্তান! আল্লাহর শপথ! আমিই সেই দুই ফিতাওয়ালী মহিলা। জেনে রাখ, তার (আমার কোমরে বাঁধবার দো-পাট্টার) একখণ্ড দ্বারা রাসূলুল্লাহ (সা.) ও আবূ বকর (রাঃ) -এর সফরের খাদ্য বেঁধে উপরে ঝুলিয়ে রাখতাম এ আশঙ্কায় যাতে ইঁদুর বা অন্য কোন জীবজন্তু কোন ক্ষতি করতে না পারে এবং অপর খণ্ড ঐ কাজে ব্যবহার করতাম যা হতে কোন নারী অমুখাপেক্ষী থাকতে পারে না। জেনে রাখ, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন, সাকীফ গোত্রে এক চরম মিথ্যাবাদী ও এক মহা অত্যাচারী জন্মগ্রহণ করবে। অতএব সে চরম মিথ্যুক (মুখতার)-কে আমরা এর আগে দেখেছি। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস তুমিই সেই মহা অত্যাচারী যালিম। বর্ণনাকারী বলেন, আসমা’(রাঃ) -এর মুখে উপরিউক্ত কথাগুলো শুনে হাজ্জাজ কোন প্রত্যুত্তর না করে চলে গেল। (মুসলিম)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)
وَعَنْ أَبِي نَوْفَلٍ مُعَاوِيَةَ بْنِ مُسْلِمٍ قَالَ: رَأَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ عَلَى عَقَبَةِ الْمَدِينَةِ قَالَ فَجَعَلَتْ قُرَيْشٌ تَمُرُّ عَلَيْهِ وَالنَّاسُ حَتَّى مَرَّ عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَوقف عَلَيْهِ فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ أَبَا خُبَيْبٍ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَبَا خُبَيْبٍ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَبَا خُبَيْبٍ أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا أَمَا وَاللَّهِ إِنْ كُنْتَ مَا عَلِمْتُ صَوَّامًا قَوَّامًا وَصُولًا لِلرَّحِمِ أَمَا وَاللَّهِ لَأُمَّةٌ أَنْتَ شَرُّهَا لَأُمَّةُ سَوْءٍ - وَفِي رِوَايَةٍ لَأُمَّةُ خَيْرٍ - ثُمَّ نَفَذَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ فَبَلَغَ الْحَجَّاجَ مَوْقِفُ عَبْدِ اللَّهِ وَقَوْلُهُ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَأُنْزِلَ عَنْ جِذْعِهِ فَأُلْقِيَ فِي قُبُورِ الْيَهُودِ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى أُمِّهِ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ فَأَبَتْ أَنْ تَأْتِيَهُ فَأَعَادَ عَلَيْهَا الرَّسُولَ لَتَأْتِيَنِّي أَوْ لَأَبْعَثَنَّ إِلَيْكِ مَنْ يَسْحَبُكِ بِقُرُونِكِ. قَالَ: فَأَبَتْ وَقَالَتْ: وَاللَّهِ لَا آتِيكَ حَتَّى تَبْعَثَ إِلَيَّ من يسحبُني بقروني. قَالَ: فَقَالَ: أَرُونِي سِبْتِيَّ فَأَخَذَ نَعْلَيْهِ ثُمَّ انْطَلَقَ يَتَوَذَّفُ حَتَّى دَخَلَ عَلَيْهَا فَقَالَ: كَيْفَ رَأَيْتِنِي صَنَعْتُ بِعَدُوِّ اللَّهِ؟ قَالَتْ: رَأَيْتُكَ أَفْسَدْتَ عَلَيْهِ دُنْيَاهُ وَأَفْسَدَ عَلَيْكَ آخِرَتَكَ بَلَغَنِي أَنَّكَ تَقُولُ لَهُ: يَا ابْنَ ذَاتِ النِّطَاقَيْنِ أَنَا وَاللَّهِ ذَاتُ النِّطَاقَيْنِ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكُنْتُ أَرْفَعُ بِهِ طَعَامَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَطَعَامَ أَبِي بَكْرٍ مِنَ الدَّوَابِّ وَأَمَّا الْآخَرُ فنطاق المرأةِ الَّتِي لَا تَسْتَغْنِي عَنهُ أما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدثنَا: «أَن فِي ثَقِيف كذابا ومبيرا» . فَأَما الْكَذَّابُ فَرَأَيْنَاهُ وَأَمَّا الْمُبِيرُ فَلَا إِخَالُكَ إِلَّا إِيَّاه. قَالَ فَقَامَ عَنْهَا وَلم يُرَاجِعهَا. رَوَاهُ مُسلم
رواہ مسلم (229 / 2545)، (6496) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (عَقَبَةِ الْمَدِينَةِ) (মদীনার ‘আকাবাহ্) এটি মূলত মক্কায় অবস্থিত। মদীনাবাসী যে পথ দিয়ে মক্কায় আগমন করে সেই পথে এই ‘আকাবাহ্ অবস্থিত। তাই তাদের সাথে সম্পৃক্ত করে “আকাবাতুল মদীনাহ্” বলা হয়েছে। আকাবার পাশেই “হাজুন” নামক স্থানে ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর সমাধি ছিল যা বর্তমানে সেখানে নেই।
বলা হয়েছে, এই ‘আকাবাতেই ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র-কে শূলে চড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি ছাড়া আরো অসংখ্য সাহাবীদের কবর মক্কায় ছিল। রসূলের স্ত্রী খাদীজাহ্ (রাঃ)-এর কবরও ছিল কিন্তু এ সকল কবরের কোন নির্দিষ্ট চিহ্নিত স্থান নেই। বলা হয়ে থাকে যে, মক্কায় যে সকল কবরস্থ স্থাপনা রয়েছে তা কতিপয় পরহেযগার লোকের স্বপ্নের ভিত্তিতে নির্মাণ করা হয়েছিল।
(أَبَا خُبَيْبٍ) “আবূ খুবায়ব” ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর উপনাম ছিল। তাঁর তিনজন ছেলে ছিল। তাদের তিনজনের বড়জনের নাম ছিল খুবায়ব।
ইমাম বুখারী (রহিমাহুল্লাহ) বাকিদের নাম তারীখে উল্লেখ করেছেন। তাদের নাম হলো বাকর এবং বুকায়র।
(السَّلَامُ عَلَيْكَ أَبَا خُبَيْبٍ) উক্ত হাদীসে প্রমাণিত হয়েছে যে, মৃত ব্যক্তিকে কবরে দাফনের আগে এবং পরে উভয় জায়গায় তিনবার সালাম দেয়া ‘মুস্তাহাব।
উক্ত হাদীসে আরো একটি বিষয় সাব্যস্ত হয়েছে তা হলো, মৃত ব্যক্তির ওপরে তার পরিচিত কোন গুণের মাধ্যমে তার প্রশংসা করা যায়।
এ হাদীসে ‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর জনসম্মুখে সত্য বলার সাহসিকতা ফুটে উঠেছে। তিনি হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ-এর ক্ষমতার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেননি। তিনি জানতেন যে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র সম্পর্কে তার মন্তব্য হাজ্জাজ-এর কাছে পৌছে যাবে তবুও তিনি সত্য বলতে দ্বিধাবোধ করেননি। তিনি ইচ্ছা করেই এসব কথা বলেছিলেন যাতে করে হাজ্জাজ ইবনুয যুবায়র-কে মুক্তি দেয়।
আহনুল হকের মতে, ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) মাযলুম ছিলেন আর হাজ্জাজ ও তার সহচররা অত্যাচারী ছিল।
(لَقَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ هَذَا) আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (রাঃ)-কে দীর্ঘদিন যাবৎ চলমান সংঘাত থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
(هَذَ) এর (الْمُشَارُإِلَيْهِ) তথা উদ্দেশ্য হলো (الصلب) বা শূল।
এখানে নিষেধাজ্ঞার অর্থ হল, “আমি তোমাকে যে অবস্থায় দেখেছি সে অবস্থায় পতিত হওয়া থেকে তোমাকে নিষেধ করেছিলাম। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।
(صَوَّامًا) অর্থাৎ দিনের বেলায় অধিক সিয়াম পালনকারী।
(قَوَّامًا) অর্থাৎ রাতের বেলায় অধিক সালাত আদায়কারী।
(وَصُولًا لِلرَّحِمِ) অর্থাৎ আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষাকারী। সহীহ মুসলিমের ব্যাখ্যা গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে, কাযী ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, “আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) সম্পর্কে কতিপয় তথ্য প্রদানকারীর (মনগড়া) কথার চাইতে ‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার-এর এ কথাটিই অধিক সঠিক। তিনি ইবনু যুবায়র-কে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী গুণে গুণান্বিত করেছেন।
‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) (صَوَّامًا قَوَّامًا وَصُولًا لِلرَّحِمِ) এ কথাটি ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র-কে হাজ্জাজ-এর অত্যাচার ও অপবাদ থেকে মুক্ত করার উদ্দেশে বলেছিলেন।
হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর সম্পর্কে বলেছিলেন, তিনি আল্লাহর শত্রু এবং যালিম ইত্যাদি। ইবনু উমার (রাঃ) চেয়েছিলেন যেন লোকেরা জানতে পারে যে, ইবনুয যুবায়র সঠিক পথে ছিলেন আর তাঁকে অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছিল।
(لَأُمَّةٌ أَنْتَ شَرُّهَا لَأُمَّةُ سَوْءٍ) ব্যাখ্যাও মূলত এ রকম ছিল।
(لَأُمَّةٌأَنْتَ أكْثَرُمِنْ وَصَلَ إِلَيْهِ شَرُّالنَّاسِ لَأُمَّةُ سَوْء) অর্থাৎ, উম্মতের মাঝে যে ব্যক্তির নিকট নিকৃষ্ট জাতির মানুষের অনিষ্ট সবচেয়ে বেশি পৌছবে সে ব্যক্তিটি হলো তুমি। এটা হাসি-ঠাট্টার স্বরে বলা হয়েছে। কতিপয় লোক এর সুন্দর একটি উপমা এভাবে দিয়ে থাকেন যে, আবূ ইয়াযীদ আল বুসতামী-কে যখন তার দেশ হতে বের করে দেয়া হয় তখন তিনি বলেন, আবূ ইয়াযীদ-এর দেশের লোকেরা খুব নিকৃষ্ট কিন্তু দেশটি কতই না উত্তম হাসি-ঠাট্টা স্বরূপ।
(قُبُورِ الْيَهُودِ) এখানে ইয়াহুদীদের কবরস্থান দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, সেই জায়গা যেখানে মক্কাবাসী অথবা মক্কার বহিরাগত ইয়াহুদীদের কবর ছিল।
(أَرُونِي سِبْتِيَّ) ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, (سبت) শব্দের অর্থ হলো, (نعل) তথা জুতা (سبت) এমন জুতাকে বলা হয় যার উপর কোন পশম নেই।
অন্য এক সহীহ নুসখাতে শব্দটি এভাবে বর্ণিত হয়েছে, (سِبْتِيَّتَيَّ) তথা “সিবতিয়্যাতাইয়্যা”।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, (السِّبْتُ) হলো দাবাগত বা ঘসামাজার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন পশমহীন চামড়া দ্বারা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে জুতা তৈরি করা হয়।
(السِّبْتُ) তথা সিবত্ব-এর শাব্দিক ক্রিয়াগত অর্থ হলো ন্যাড়া করা বা দূর করা। যেহেতু চামড়া থেকে পশম দূর করে জুতা তৈরি করা হয় সেহেতু এর নাম দেয়া হয়েছে সিবত্ব।
ইমাম আবূ দাউদ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, (السِّبْتُ) দ্বারা ঐ স্থানের দিকে সম্বোধন করা হয়েছে যেই স্থানকে (سُوقُ السِّبْتُ) বা “সিবত্বের বাজার” বলা হয়।
অতএব ইমাম আবূ দাউদ (রহিমাহুল্লাহ)-এর মতে, সিবত্ব একটি জায়গার নাম যার নামানুসারে জুতার নামকরণ করা হয়েছে।
(ثُمَّ انْطَلَقَ يَتَوَذَّفُ) يَتَوَذَّفُ শব্দের ব্যাখ্যা আবূ ‘উবায়দ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এর অর্থ হলো (يُسْرِعُ) - অর্থাৎ সে দ্রুত বেগে চলতে লাগল। আর আবূ উমার (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এর অর্থ হলো, (يَتَبَخْتَرُ) অর্থাৎ, সে অহংকার আর গর্বভরে চলতে লাগল।
(ذَاتِ النِّطَاقَيْنِ) শব্দের পরিচয় (نطاق) শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হলো ফিতা, বেল্ট বা কোমর বন্ধনী।
পরিভাষায় (نطاق) বলা হয় সেই (কাপড়ের তৈরি) ফিতাকে যা দ্বারা একজন মহিলা কর্মব্যস্ততার সময় কাপড় উপরে না উঠার জন্য কোমরে বেঁধে রাখে। (মিরকাতুল মাফাতীহ, শারহুন নাবাবী ১৬ খণ্ড, হা. ২৫৪৪/২২৯)
(ذَاتِ النِّطَاقَيْنِ) একটি উপাধি। এটি রাসূলুল্লাহ (সা.) আবূ বাকর (রাঃ) -এর কন্যা আসমা (রাঃ)' -কে সম্বোধন করে বলেছিলেন। রাসূল (সা.) যখন আবূ বাকর (রাঃ)-কে সাথে নিয়ে হিজরতের সময় পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তখন আসমা' (রাঃ) তাদের জন্য সেখানে খাবার নিয়ে যেতেন। রাস্তা খানিকটা দূর হবার কারণে এবং খাদ্য নিয়ে পাহাড়ে উঠার সহজের জন্য নিজের কোমরের ফিতা দুই ভাগ করে একভাগ কোমরে বাঁধতেন আর অপরটা দিয়ে খাদ্য বাঁধতেন। এজন্য রাসূল (সা.) ও হাসির ছলে তাঁকে (ذَاتِ النِّطَاقَيْنِ) বলেছিলেন, অত্র হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ আসমা’ (রাঃ)-কে কটুক্তি করে নিন্দার জন্য এ কথা বলেছিল। (সম্পাদকীয়)
(فَأَما الْكَذَّابُ فَرَأَيْنَاهُ) এখানে (كذاب) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মুখতার ইবনু ‘আদী। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ফরয নামাযসমূহের প্রতি যত্নবান হওয়ার নির্দেশ এবং তা ত্যাগ করা সম্বন্ধে কঠোর নিষেধ ও চরম হুমকি
(৬২৭) নাওফাল বিন মুআবিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তির কোন নামায ছুটে গেল, সে ব্যক্তির পরিবার ও ধন-সম্পদ যেন লুণ্ঠন হয়ে গেল।
عَن نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ فَاتَتْهُ الصََّلاَةُ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ
পরিচ্ছেদঃ ১৭: সফর অবস্থায় ‘আসরের সালাত প্রসঙ্গে
৪৭৮. সুওয়াইদ ইবনু নাসর (রহ.) ..... নাওফাল ইবনু মু’আবিয়াহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তির ’আসরের সালাত ছুটে গেল তার পরিজন ও ধন-সম্পদ যেন ছিনতাই হয়ে গেল। এ হাদীসের বর্ণনাকারী ইরাক ইবনু মালিক বলেন, আমাকে ’আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তির ’আসরের সালাত ছুটে গেল তার পরিজন ও ধন-সম্পদ যেন লুট হয়ে গেল।
باب صلاة العصر في السفر
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قال: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، قال: أَنْبَأَنَا جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ، أَنَّعِرَاكَ بْنَ مَالِكٍ حَدَّثَهُ، أَنَّ نَوْفَلَ بْنَ مُعَاوِيَةَ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: مَنْ فَاتَتْهُ صَلَاةُ الْعَصْرِ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ . قَالَ عِرَاكٌ: وَأَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: مَنْ فَاتَتْهُ صَلَاةُ الْعَصْرِ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ . خَالَفَهُ يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ.
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائی، تحفة الأشراف: (۱۱۷۱۷)، وحدیث عراک بن مالک عن عبداللہ بن عمر قد تفرد بہ النسائی (أیضاً)، تحفة الأشراف: (۷۳۲۰)، وقد أخرجہ عن طریق مالک عن نافع عن عبداللہ بن عمر: صحیح البخاری/المناقب ۲۵ (۳۶۰۲)، مواقیت ۱۴ (۵۵۲)، صحیح مسلم/المساجد ۳۵ (۶۲۶)، سنن ابی داود/الصلاة ۵ (۴۱۴)، سنن الترمذی/الصلاة ۱۶ (۱۷۵)، سنن ابن ماجہ/الصلاة ۶ (۶۸۵)، طا/وقوت الصلاة ۵ (۲۱)، (تحفة الأشراف: ۸۳۴۵)، مسند احمد ۲/۸، ۱۳، ۲۷، ۴۸، ۵۴، ۶۴، ۷۵، ۷۶، ۱۰۲، ۱۳۴، ۱۴۵، ۱۴۸، سنن الدارمی/الصلاة ۲۷ (۱۲۶۷) (صحیح) یزید نے (آنے والی روایت میں) جعفر کی مخالفت کی ہے ۱؎۔ وضاحت ۱؎: یہ مخالفت سند اور متن دونوں میں ہے، سند میں اس طرح کہ جعفر کی روایت میں ہے کہ نوفل نے عراک سے بیان کی ہے اور یزید کی روایت میں ہے کہ عراک کو یہ بات پہنچی ہے کہ نوفل بن معاویہ نے کہا، دونوں میں فرق واضح ہے پہلی صورت اس بات پر دلالت کرتی ہے کہ عراک نے نوفل بن معاویہ سے خود سنا ہے، اور دوسری صورت سے پتہ چلتا ہے کہ ان دونوں کے بیچ میں واسطہ ہے، متن میں مخالفت اس طرح ہے کہ جعفر کی روایت میں ’’من فاتته صلاة العصر‘‘ کے الفاظ ہیں، اور یزید کے الفاظ اس طرح ہیں ’’من الصلاة صلاة من فاتته‘‘۔
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 479 - صحيح
17. Salat Al-'Asr While Traveling
Irak bin Malik narrated that Nawfal bin Mu'awiyah told him that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: Whoever misses 'Asr prayer, it is as if he has been robbed of his family and wealth. 'Irak said: 'And 'Abdullah bin 'Umar informed me that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: 'Whosoever misses 'Asr prayer, it is as if he has been robbed of his family and wealth.' Yazid bin Abi Habib contradicted him. [1] [1] That is, contradicted Ja'far bin Rabi'ah who narrated it from 'Irik here - and Yazid's narration is next.
পরিচ্ছেদঃ ১৭: সফর অবস্থায় ‘আসরের সালাত প্রসঙ্গে
৪৭৯. ঈসা ইবনু হাম্মাদ (রহ.)… নাওফাল ইবনু মু’আবিয়াহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে, সালাতের মধ্যে এমন সালাত রয়েছে যদি কারো হতে তা ছুটে যায় তা হলে তার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ যেন লুট হয়ে গেল। আবদুল্লাহ ইবনু উমার বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে (এ সম্পর্কে) বলতে শুনেছি, তা হলো ’আসরের সালাত।
باب صلاة العصر في السفر
أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ زُغْبَةُ، قال: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّنَوْفَلَ بْنَ مُعَاوِيَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: مِنَ الصَّلَاةِ صَلَاةٌ مَنْ فَاتَتْهُ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ، قَالَ ابْنُ عُمَرَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: هِيَ صَلَاةُ الْعَصْرِ . خَالَفَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ.
تخریج دارالدعوہ: انظر حدیث رقم: ۴۷۹ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 480 - صحيح
17. Salat Al-'Asr While Traveling
It was narrated from 'Irak bin Malik that he heard that Nawfal bin Mu'awiyah said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: 'Among the prayers is a prayer which, if a person misses it, it is as if he has robbed of his family and his wealth. Ibn 'Umar said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: 'It is 'Asr prayer.' Muhammad bin Ishaq contradicted him. [1]
[1] That is, Muhammad bin Ishaq narrated it from Yazid bin Abi Habib with the following chain and wording, which differs with this narration, reported by Al-Laith from Yazid.
পরিচ্ছেদঃ সালাত আদায়ে নিয়মিত না হওয়ার ব্যাপারে হুশিয়ারী
১৪৬৬. নাওফাল বিন মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যার সালাত ছুটে যায়, তার যেন পরিবার-পরিজন ও সহায়-সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেলো।”[1]
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকুর রাগীব: ১/১৭০।)
ذِكْرُ الزَّجْرِ عَنْ تَرْكِ مُوَاظَبَةِ الْمَرْءِ عَلَى الصلوات
1466 - أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (مَنْ فَاتَتْهُ الصَّلَاةُ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أهله وماله)
الراوي : نَوْفَل بْن مُعَاوِيَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1466 | خلاصة حكم المحدث.صحيح ـ
পরিচ্ছেদঃ ২৬) বিনা ওযরে আসর নামায ছুটে যাওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৮১. (সহীহ্) নওফল বিন মুয়াবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি শুনেছেন রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে একথা বলতেঃ ’’যে ব্যক্তির একটি নামায ছুটে গেল সে যেন তার পরিবার এবং সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল।’’
অন্য বর্ণনাতে রয়েছেঃ নওফল বলেন, এমন একটি নামায রয়েছে যদি কোন ব্যক্তির উহা ছুটে যায় তাহলে সে তার পরিবার ও সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইবনে ওমার বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’নামাযটি হচ্ছে আসরের নামায।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন নাসাঈ ১/২৩৮)
الترهيب من فوات العصر بغير عذر
(صحيح) وَعَنْ نوفل بن معاوية رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنه سمع رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول من فاتته صلاة العصر فكأنما وتر أهله وماله وفي رواية قال نوفل صلاةٌ من فاتته فكأنما وتر أهله وماله قال ابن عمر قال رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : هي العصر. رواه النسائي
পরিচ্ছেদঃ ৪০) ইচ্ছাকৃতভাবে নামায পরিত্যাগ করা ও অলসতা বশতঃ নামাযের সময় পার করে দেয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৫৭৭. (সহীহ্) নওফল বিন মুআ’বিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’যে ব্যক্তির একটি নামায ছুটে গেল, সে যেন নিজ পরিবার ও সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল।’’ (ইবনে হিব্বান ১৪৬৬ হাদীছটি [সহীহ্ গ্রন্থে] বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من ترك الصلاة تعمدا وإخراجها عن وقتها تهاونا
(صحيح) وَعَنْ نَوْفَلَ بْنَ مُعَاوِيَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ النَّبِيَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَنْ فَاتَتْهُ صَلَاةٌ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ ". رواه ابن حبان في صحيحه