পরিচ্ছেদঃ ১: সালাত ফরয হওয়া এবং আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর বর্ণনাকারীদের সনদের মতভেদ প্রসঙ্গে এবং এ ব্যাপারে তাদের শব্দাবলীর ভিন্নতার আলোচনা
৪৪৮. ইয়াকূব ইবনু ইব্রাহীম (রহ.) ..... মালিক ইবনু স’স’আহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেছেন যে, আমি কা’বার নিকট তন্দ্রাচ্ছন্নাবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম যে, তিনজনের একটি দলের মধ্যবর্তী লোকটি এগিয়ে এলো। আমার নিকট হিকমাত ও ঈমানে পরিপূর্ণ একটি স্বর্ণের পাত্র আনা হলো। তারপর ঐ ব্যক্তি আমার সিনার অগ্রভাগ হতে নাভী পর্যন্ত বিদীর্ণ করল। যমযমের পানি দ্বারা ’কলব’ (হৃদপিণ্ড) ধুয়ে নিল। এরপর হিকমাত ও ঈমান দ্বারা তা ভরে দেয়া হলো। পরে আমার নিকট আকারে খচ্চরের চেয়ে ছোট এবং গাধার চেয়ে বড় এমন একটি জন্তু আনা হলো।
আমি জিবরীল ’আলায়হিস সালাম -এর সাথে চলতে থাকি। পরে আমরা দুনিয়ার (নিকটবর্তী) আকাশ পর্যন্ত পৌছাই। তখন বলা হলো, কে? জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, (আমি) জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সাথে কে? জিবরীল আলায়হিস্ বললেন, “মুহাম্মাদ (সা.)"। বলা হলো, তাঁকে নিয়ে আসার জন্যে কি দূত পাঠানো হয়েছে? তার আগমনে খোশ আমদেদ, তাঁর আগমন কতই না কল্যাণময়। এরপর আমি আদম ’আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম, তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) পুত্র ও নবী।
এর পরে আমরা দ্বিতীয় আসমানে এলাম। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, (আমি) জিবরীল। বলা হলো, আপনার সঙ্গে কে? জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, “মুহাম্মাদ (সা.)"। পূর্ববৎ তাকে খোশ আমদেদ জানানো হলো। এরপর আমি ইয়াহ্ইয়া ও ঈসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম এবং তাঁদের উভয়কে সালাম দিলাম। তারা বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী।
তারপর আমরা তৃতীয় আসমানে এলাম। এখানেও প্রশ্ন করা হলো, কে? তিনি বললেন, আমি জিবরীল। বলা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, “মুহাম্মাদ (সা.)"। পূর্ববৎ তাকে অভিবাদন জানানো হলো। এখানে আমি ইউসুফ আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। তিনিও বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী।
এরপর আমরা পঞ্চম আসমানে এলাম। এখানেও পূর্ববৎ প্রশ্নোত্তর হলো ও সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হলো। পরে আমি হারূন আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী।
এরপর আমরা ষষ্ঠ আসমানে পৌছলাম। এখানেও প্রশ্নোত্তর ও সম্বর্ধনার পর আমি মূসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। আমি যখন তাকে অতিক্রম করে যাই তখন তিনি কাঁদতে থাকলেন। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, হে আমার রব! এ যুবক যাকে আপনি আমার পরে নবীরূপে প্রেরণ করেছেন। আমার উম্মত হতে যত সংখ্যক লোক জান্নাতে যাবে তাঁর উম্মত হতে তার চেয়ে বেশি সংখ্যক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তারা মর্যাদায় হবেন শ্রেষ্ঠতর।
তারপর আমরা সপ্তম আসমানে এলাম। এখানেও পূর্বের ন্যায় প্রশ্নোত্তর ও সম্বর্ধনার পর আমি ইব্রাহীম আলায়হিস সালাম-এর সাথে দেখা করলাম। তাকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, খোশ আমদেদ, (হে) পুত্র ও নবী। তারপর আমার সামনে বায়তুল মা’মূর উপস্থিত করা হলো। আমি জিবরীল আলায়হিস সালাম-কে প্রশ্ন করলাম, এটি কোন্ স্থান। তিনি বললেন, এটি বায়তুল মা’মূর। এখানে প্রতিদিন সত্তর হাজার মালাক (ফেরেশতা) সালাত আদায় করে। একদিন যারা এখানে সালাত আদায় করেন, তারা এখানে কোনদিন ফিরবেন না। এ একবারই তাদের জন্যে চূড়ান্ত (সুযোগ)। তারপর আমার সামনে সিদরাতুল মুনতাহা হাজির করা হলো। তার (সিদরাতুল মুনতাহা’র) গাছের ফল আকারে হাজার নামক (স্থানের) কলসীর মতো এবং পাতাগুলো হাতীর কানের মতো এবং দেখলাম যে, তার মূল হতে চারটি নহর প্রবাহমান। দু’টি অপ্রকাশ্য ও দু’টি প্রকাশ্য। আমি জিবরীল আলায়হিস সালাম-কে এগুলো সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, অপ্রকাশ্য নহর দু’টি জান্নাতে প্রবাহমান। আর প্রকাশ্য নহর দুটির একটি ফুরাত ও অন্যটি নীল। তারপর আমার ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হলো।
ফেরার পথে আমি মূসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট আসালাম। তিনি প্রশ্ন করলেন, আপনি কি করে আসলেন? বললাম, আমার ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হয়েছে। তিনি বললেন, আমি মানুষের প্রকৃতি সম্পর্কে আপনার চেয়ে বেশি জানি। আমি বানী ইসরাঈলকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেছি। এ কথা নিশ্চিত যে, আপনার উম্মত এগুলো আদায় করতে পারবে না। আপনি আপনার রবের নিকট ফিরে যান এবং এই নির্দেশ সহজ করে নিয়ে আসুন। আমি আমার রবের নিকট পুনরায় গেলাম এবং এ বিধান সহজ করবার আবেদন করলাম। এতে তিনি তা চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। অতঃপর আমি মূসা আলায়হিস্-এর নিকট ফিরে এলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি করলে? আমি বললাম, তা চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিয়েছেন। তিনি এবারও আমাকে পূর্বের ন্যায় বললেন, আমি আমার মহান রবের নিকট ফিরে গেলাম। তিনি এবার ত্রিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আমি আবার মূসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম এবং তাঁকে জানালাম। তিনি আমাকে পূর্বের মতো বললেন, আমি আবার প্রতিপালকের নিকট হাজির হলাম। তিনি বিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। এরপর দশ ওয়াক্ত এবং তারপর পাঁচ ওয়াক্ত করে দিলেন।
এরপর আমি মূসা আলায়হিস সালাম এর কাছে এলাম। তিনি পূর্বের মতো একই কথা বললেন, আমি বললাম, আমি আবার আল্লাহর কাছে যেতে লজ্জাবোধ করছি। তারপর আল্লাহর পক্ষ হতে ঘোষণা দেয়া হলো, আমি আমার বিধান চূড়ান্ত করে দিয়েছি এবং আমার বান্দাদের জন্যে সহজ করে দিয়েছি। আর আমি একটি নেক কাজের পরিবর্তে দশটি প্রতিদান প্রদান করবো।
فرض الصلاة وذكر اختلاف الناقلين في إسناد حديث أنس بن مالك رضي الله عنه واختلاف ألفاظهم فيه
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قال: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قال: حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، قال: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ، أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: بَيْنَا أَنَا عِنْدَ الْبَيْتِ بَيْنَ النَّائِمِ وَالْيَقْظَانِ، إِذْ أَقْبَلَ أَحَدُ الثَّلَاثَةِ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ، فَأُتِيتُ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مَلْآنَ حِكْمَةً وَإِيمَانًا فَشَقَّ مِنَ النَّحْرِ إِلَى مَرَاقِّ الْبَطْنِ فَغَسَلَ الْقَلْبَ بِمَاءِ زَمْزَمَ ثُمَّ مُلِئَ حِكْمَةً وَإِيمَانًا، ثُمَّ أُتِيتُ بِدَابَّةٍ دُونَ الْبَغْلِ وَفَوْقَ الْحِمَارِ، ثُمَّ انْطَلَقْتُ مَعَ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَام فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الدُّنْيَا، فَقِيلَ: مَنْ هَذَا ؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ، قِيلَ: وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ، مَرْحَبًا بِهِ وَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ، فَأَتَيْتُ عَلَى آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَام فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، قَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنَ ابْنٍ وَنَبِيٍّ، ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الثَّانِيَةَ، قِيلَ: مَنْ هَذَا ؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ، فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَأَتَيْتُ عَلَى يَحْيَى، وَعِيسَى فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِمَا، فَقَالَا: مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الثَّالِثَةَ، قِيلَ: مَنْ هَذَا ؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ، فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَأَتَيْتُ عَلَى يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَام فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، قَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الرَّابِعَةَ، فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَأَتَيْتُ عَلَى إِدْرِيسَ عَلَيْهِ السَّلَام فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الْخَامِسَةَ، فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَأَتَيْتُ عَلَى هَارُونَ عَلَيْهِ السَّلَام فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، قَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ السَّادِسَةَ، فَمِثْلُ ذَلِكَ، ثُمَّ أَتَيْتُ عَلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ، فَلَمَّا جَاوَزْتُهُ بَكَى، قِيلَ: مَا يُبْكِيكَ ؟ قَالَ: يَا رَبِّ، هَذَا الْغُلَامُ الَّذِي بَعَثْتَهُ بَعْدِي يَدْخُلُ مِنْ أُمَّتِهِ الْجَنَّةَ أَكْثَرُ وَأَفْضَلُ مِمَّا يَدْخُلُ مِنْ أُمَّتِي، ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ السَّابِعَةَ، فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَأَتَيْتُ عَلَى إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَام، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: مَرْحَبًا بِكَ مِنَ ابْنٍ وَنَبِيٍّ، ثُمَّ رُفِعَ لِي الْبَيْتُ الْمَعْمُورُ، فَسَأَلْتُ جِبْرِيلَ، فَقَالَ: هَذَا الْبَيْتُ الْمَعْمُورُ يُصَلِّي فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ فَإِذَا خَرَجُوا مِنْهُ لَمْ يَعُودُوا فِيهِ آخِرَ مَا عَلَيْهِمْ، ثُمَّ رُفِعَتْ لِي سِدْرَةُ الْمُنْتَهَى فَإِذَا نَبْقُهَا مِثْلُ قِلَالِ هَجَرٍ وَإِذَا وَرَقُهَا مِثْلُ آذَانِ الْفِيَلَةِ وَإِذَا فِي أَصْلِهَا أَرْبَعَةُ أَنْهَارٍ نَهْرَانِ بَاطِنَانِ وَنَهْرَانِ ظَاهِرَانِ، فَسَأَلْتُ جِبْرِيلَ، فَقَالَ: أَمَّا الْبَاطِنَانِ فَفِي الْجَنَّةِ وَأَمَّا الظَّاهِرَانِ فَالْفُرَاتُ وَالنَّيْل، ثُمَّ فُرِضَتْ عَلَيَّ خَمْسُونَ صَلَاةً فَأَتَيْتُ عَلَى مُوسَى، فَقَالَ: مَا صَنَعْتَ ؟ قُلْتُ: فُرِضَتْ عَلَيَّ خَمْسُونَ صَلَاةً، قَالَ: إِنِّي أَعْلَمُ بِالنَّاسِ مِنْكَ، إِنِّي عَالَجْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَشَدَّ الْمُعَالَجَةِ وَإِنَّ أُمَّتَكَ لَنْ يُطِيقُوا ذَلِكَ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ أَنْ يُخَفِّفَ عَنْكَ، فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي فَسَأَلْتُهُ أَنْ يُخَفِّفَ عَنِّي فَجَعَلَهَا أَرْبَعِينَ، ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام، فَقَالَ: مَا صَنَعْتَ ؟ قُلْتُ: جَعَلَهَا أَرْبَعِينَ، فَقَالَ لِي مِثْلَ مَقَالَتِهِ الْأُولَى، فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَجَعَلَهَا ثَلَاثِينَ، فَأَتَيْتُ عَلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ لِي مِثْلَ مَقَالَتِهِ الْأُولَى، فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي فَجَعَلَهَا عِشْرِينَ ثُمَّ عَشْرَةً ثُمَّ خَمْسَةً، فَأَتَيْتُ عَلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام، فَقَالَ لِي مِثْلَ مَقَالَتِهِ الْأُولَى، فَقُلْتُ: إِنِّي أَسْتَحِي مِنْ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ أَنْ أَرْجِعَ إِلَيْهِ، فَنُودِيَ أَنْ قَدْ أَمْضَيْتُ فَرِيضَتِي وَخَفَّفْتُ عَنْ عِبَادِي وَأَجْزِي بِالْحَسَنَةِ عَشْرَ أَمْثَالِهَا .
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/بدء الخلق ۶ (۳۲۰۷)، أحادیث الأنبیاء ۲۲ (۳۳۹۳)، ۴۲ (۳۴۳۰)، مناقب الأنصار ۴۲ (۳۸۸۷)، صحیح مسلم/الإیمان ۷۴ (۱۶۴)، سنن الترمذی/تفسیر سورة الم نشرح (۳۳۴۶) (مختصراً، وقال: في الحدیث قصة طویلة)، (تحفة الأشراف: ۱۱۲۰۲)، مسند احمد ۲/۲۰۷، ۲۰۸، ۲۱۰ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 449 - صحيح
1. Enjoining As-Salah And Mentioning The Differences Reported By The Narrators In The Chain Of The Hadith Of Anas Bin Malik (May Allah Be Pleased With Him), And The Different Wordings In It
It was narrated from Anas bin Malik, from Malik bin Sa'sa'ah, that the Prophet (ﷺ) said: While I was at the Ka'bah, in a state between sleep and wakefulness, three men came, and one of them who was in the middle came toward me. I was brought a basin of gold, filled with wisdom and faith, and he slit open from the throat to the lower abdomen, and washed the heart with Zamzam water, then - it was filled with wisdom and faith. Then I was brought a riding-beast, smaller than a mule and bigger than a donkey. I set off with Jibril, peace be upon him, and we came to the lowest heaven. It was said: 'Who is with you?' He said: 'Muhammad.' It was said: 'Has (revelation) been sent to him? Welcome to him, what an excellent visit his is.' I came to Adam, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent son and Prophet.' Then we came to the second heaven and it was said: 'Who is this?' He said: 'Jibra'il.' [1] It was said: 'Who is with you?' he said: 'Muhammad.' And the same exchange took place. I came to Yahya and 'Eisa, peace be upon them both, and greeted them, and they said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the third heaven and it was said: 'Who is this?' He said: 'Jibra'il.' It was said: 'Who is with you?' He said: 'Muhammad.' And the same exchange took place. I came to Yusuf, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the fourth heaven and the same exchange took place. I came to Idris, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the fifth heaven and the same exchange took place. I came to Harun, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the sixth heaven and the same exchange took place. I came to Musa, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' What I passed him, he wept, and it was said: 'Why are you weeping?' He said: 'O Lord, this young man whom You have sent after me, more of his Ummah will enter Paradise than from my nation, and they will be more virtuous than them.' Then we came to the seventh heaven and a similar exchange took place. I came to Ibrahim, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent son and Prophet.' Then I was taken up to the Oft-Frequented House (Al-Bait al-Ma'mur) and I asked Jibra'il about it, and he said: 'This is Al-Bait al-Ma'mur in which seventy thousand angels pray everyday, and when they leave it they never come back.' Then I was taken up to Sidrah Al-Muntaha (the Lote-Tree of the Utmost Boundary). Its fruits were like Qilal [2] of Hajar and its leaves were like the ears of elephants. At its base were four rivers: Two hidden rivers and two manifest rivers. I asked Jibril (About them) and he said: 'The two hidden ones are in paradise, and the two manifest ones are the Euphrates and the Nile.' Then fifty prayers were enjoined upon me. I came to Musa and he said: 'What happened?' I said: 'Fifty prayers have been enjoined upon me.' He said: 'I know more about the people than you. I tried hard with the Children of Israel. Your Ummah will never be able to bear that. Go back to your Lord and ask Him to reduce it for you.' So I went back to my Lord and asked Him to reduce it, and He made it forty. Then I went back to Musa, peace be upon him, and he said: 'What happened?' I said: 'He made it forty.' He said to me something similar to what he said the first time, so I went back to my Lord and He made it thirty. I came to Musa, peace be upon him, and told him, and he said to me something similar to what he said the first time, so I went back to my Lord and he made it twenty, then ten, then five. I came to Musa, peace be upon him, and he said to me something like he had said the first time, but I said: 'I feel too shy before my Lord to go back to Him.' Then it was called out: 'I have decreed (the reward for) My obligation, and I have reduced the burden for My slaves and I will give a ten-fold reward for each good deed.' [1] It is like this here, while it is Jibra'il the first time it appears in this narration, and Jibra'il is often used in the Hadith literature. [2] Plural of Qullah
পরিচ্ছেদঃ ১: সালাত ফরয হওয়া এবং আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর বর্ণনাকারীদের সনদের মতভেদ প্রসঙ্গে এবং এ ব্যাপারে তাদের শব্দাবলীর ভিন্নতার আলোচনা
৪৪৯. ইউনুস ইবনু আব্দুল আ’লা (রহ.)… আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) এবং ইবনু হাযম (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: আল্লাহ তা’আলা আমার উম্মতের ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করলেন। আমি ঐ পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত নিয়ে মূসা ’আলায়হিস সালাম-এর নিকট ফিরে এলাম। তখন মূসা আলায়হিস সালাম আমাকে প্রশ্ন করলেন যে, আপনার প্রতিপালক আপনার উম্মতের ওপর কি ফরয করেছেন? তখন আমি বললাম, পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। মূসা আলায়হিস্ আমাকে বললেন যে, আপনি পুনরায় আপনার প্রতিপালকের নিকট যান। কারণ, আপনার উম্মত পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে পারবে না। তারপর আমি আমার প্রতিপালকের নিকট গেলাম। আল্লাহ তা’আলা পঞ্চাশ ওয়াক্ত হতে কিছু কমিয়ে দিলেন। আমি মূসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এসে তাঁকে এ বিষয়ে জানালাম। তিনি বললেন, আপনি আবার যান। কেননা আপনার উম্মত তা আদায় করতে পারবে না। পরে আমি আবার আমার প্রতিপালকের নিকট গেলাম। তখন আল্লাহ তা’আলা বললেন, সালাত পাঁচ ওয়াক্ত (গণনা হিসেবে)। কিন্তু এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাতই পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাতের সমান (প্রতিদান হিসেবে)। এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, আমার সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয় না। তারপর আমি মূসা আলায়হিস্-এর কাছে ফিরে যাই। মূসা আলায়হিস সালাম বললেন, আবার আপনার প্রতিপালকের কাছে যান। তখন আমি বললাম, আমি আমার মহান প্রতিপালকের নিকট এ বিষয় নিয়ে আবার উপস্থিত হতে লজ্জাবোধ করছি।
فرض الصلاة وذكر اختلاف الناقلين في إسناد حديث أنس بن مالك رضي الله عنه واختلاف ألفاظهم فيه
أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قال: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قال: أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قال أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَابْنُ حَزْمٍ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى أُمَّتِي خَمْسِينَ صَلَاةً فَرَجَعْتُ بِذَلِكَ حَتَّى أَمُرَّ بِمُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام، فَقَالَ: مَا فَرَضَ رَبُّكَ عَلَى أُمَّتِكَ ؟ قُلْتُ: فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسِينَ صَلَاةً، قَالَ لِي مُوسَى: فَرَاجِعْ رَبَّكَ عَزَّ وَجَلَّ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيقُ ذَلِكَ، فَرَاجَعْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَوَضَعَ شَطْرَهَا، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: رَاجِعْ رَبَّكَ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيقُ ذَلِكَ، فَرَاجَعْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ، فَقَالَ: هِيَ خَمْسٌ وَهِيَ خَمْسُونَ لَا يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَيَّ، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى، فَقَالَ: رَاجِعْ رَبَّكَ، فَقُلْتُ: قَدِ اسْتَحْيَيْتُ مِنْ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/الصلا ة۱/۳۴۹ وأحادیث الأنبیاء ۵ (۳۳۴۲)، صحیح مسلم/الإیمان ۷۴ (۱۶۳)، سنن ابن ماجہ/إقامة ۱۹۴ (۱۳۹۹)، (تحفة الأشراف: ۱۵۵۶) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 450 - صحيح
1. Enjoining As-Salah And Mentioning The Differences Reported By The Narrators In The Chain Of The Hadith Of Anas Bin Malik (May Allah Be Pleased With Him), And The Different Wordings In It
Anas bin Malik and Ibn Hazm said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Allah, the Mighty and Sublime, enjoined fifty prayers upon my Ummah, and I came back with that until I passed by Musa, peace be upon him, who said: 'What has your Lord enjoined upon your Ummah?' I said: 'He has enjoined fifty prayers on them.' Musa said to me: 'Go back to your Lord, the Mighty and Sublime, for your Ummah will not be able to do that.' So I went back to my Lord, the Mighty and Sublime, and He reduced a portion of it. Then I came back to Musa and told him, and he said: 'Go back to you Lord, for your Ummah will not be able to do that.' So I went back to my Lord, the Mighty and Sublime, and He said: 'They are five (prayers) but they are fifty (in reward), and the Word that comes from Me cannot be changed.' [1] I came back to Musa and he said: 'Go back to your Lord.' I said: 'I feel too shy before my Lord, the Mighty and Sublime.' [1]See Surah Qaf 50:29.
পরিচ্ছেদঃ ১: সালাত ফরয হওয়া এবং আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর বর্ণনাকারীদের সনদের মতভেদ প্রসঙ্গে এবং এ ব্যাপারে তাদের শব্দাবলীর ভিন্নতার আলোচনা
৪৫০. ’আমর ইবনু হিশাম (রহ.) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার সামনে এমন একটি পশু নিয়ে আসা হলো যা আকারে গাধা হতে বড় এবং খচ্চর হতে ছোট এবং যার কদম রাখার দূরত্ব ছিল দৃষ্টিশক্তির শেষ সীমা পর্যন্ত। আমি তার উপর আরোহণ করলাম। জিবরীল আলায়হিস সালাম আমার সঙ্গে ছিলেন। আমরা সফর করলাম (মদীনাহ্ পর্যন্ত)। জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, আপনি নেমে সালাত আদায় করুন। আমি সালাত আদায় করলাম। জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, আপনি কোথায় সালাত আদায় করেছেন তা কি জানেন? আপনি মদীনায় সালাত আদায় করেছেন। এ শহরেই আপনি হিজরত করবেন।
আবার জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, আপনি নেমে সালাত আদায় করুন। আমি তখন নেমে সালাত আদায় করলাম। জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, আপনি কি জানেন কোন্ জায়গায় সালাত আদায় করেছেন? আপনি ’তূরি সায়না’ নামক জায়গায় সালাত আদায় করেছেন। যে পাহাড়ে আল্লাহ তা’আলা মূসা ’আলায়হিস সালাম-এর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তারপর আবার এক জায়গায় গিয়ে জিবরীল আলায়হিস সালাম বললেন, অবতরণ করে সালাত আদায় করুন। আমি তাই করলাম। জিবরীল আলায়হিস্ বললেন, আপনি কি জানেন, আপনি কোথায় সালাত আদায় করেছেন? আপনি ’বায়তি লাহম’ নামক স্থানে সালাত আদায় করেছেন। যেখানে ঈসা আলায়হিস সালাম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তারপর আমি “বায়তুল মাক্বদিস”-এ প্রবেশ করলাম এবং সমস্ত নবীকে আমার নিকট একত্রিত করা হলো এবং জিবরীল আলায়হিস সালাম আমাকে সামনে এগিয়ে দিলেন আমি সকলের ইমামিত করলাম। তারপর আমাকে নিয়ে প্রথম আসমানে উঠলেন। সেখানে আদম ’আলায়হিস সালাম-এর সাক্ষাৎ লাভ করলাম। এরপর আমাকে নিয়ে দ্বিতীয় আসমানে উঠলেন। সেখানে পরপর দুই খালাত ভাই ’ঈসা আলায়হিস সালাম ও ইয়াহইয়া আলায়হিস সালাম-এর সাথে সাক্ষাৎ হলো। তারপর আমাকে নিয়ে তৃতীয় আসমানে উঠলেন, সেখানে ইউসুফ আলায়হিস সালাম-এর সাথে দেখা হলো। এরপর আমাকে নিয়ে চতুর্থ আসমানে উঠলেন এবং সেখানে হারূন আলায়হিস সালাম-এর সাথে দেখা হলো। তারপর আমাকে নিয়ে পঞ্চম আসমানে উঠলেন সেখানে ইদ্রীস ’আলায়হিস সালাম-এর সাথে দেখা হলো। এরপর আমাকে ষষ্ঠ আকাশে উঠালেন, সেখানে মূসা আলায়হিস সালাম আসমানে সাথে দেখা হলো। তারপর আমাকে সপ্তম আসমানে নিয়ে গেলেন এবং সেখানে ইবরাহীম ’আলায়হিস সালাম-এর সাথে সাক্ষাৎ হলো।
এরপর আমাকে নিয়ে সপ্তম আসমানের উপরে উঠলেন। তখন আমরা সিদরাতুল মুনতাহায় পৌছলাম। সেখানে এক খণ্ড মেঘ আমাকে পরিবেষ্টন করে ফেলল- তাই আমি সাজদায় অবনত হলাম। তখন আমাকে বলা হলো- যেদিন আমি এ আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছি সেদিন আপনার ওপর ও আপনার উম্মতের ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছি। আপনি এবং আপনার উম্মত এ সালাত কায়িম করুন। তখন আমি ইবরাহীম আলায়হিস সালাম-এর নিকট প্রত্যাবর্তন করলাম। তিনি আমাকে কিছুই জিজ্ঞেস করলেন না। পরে মূসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে, আপনার এবং আপনার উম্মতের ওপর আল্লাহ কি ফরয করেছেন? আমি বললাম, পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তখন মূসা আলায়হিস বললেন, নিশ্চয় আপনি এবং আপনার উম্মত পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত যথাযথ আদায় করতে পারবেন না। আপনি আপনার প্রতিপালকের নিকট ফিরে যান এবং কমানোর জন্যে নিবেদন করুন। আমি প্রতিপালকের নিকট গেলাম। তিনি সালাত দশ ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন। তারপর আবার মূসা আলায়হিস সালাম-এর নিকট এলাম। তিনি আমাকে পুনরায় ফিরে যেতে বললেন আমি আবার রবের নিকট ফিরে গেলাম। তখন তিনি আরো দশ ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন। তারপর মূসা আলায়হিস সালাম এর নিকট ফিরে আসার পর তিনি আমাকে পুনরায় যেতে বললেন, আমি আবার গেলাম। তিনি দশ ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন। তারপর সর্বশেষ সালাতকে পাঁচ ওয়াক্তে পরিণত করা হলো। মূসা আলায়হিস্ সালাম বললেন, আপনি পুনরায় প্রতিপালকের নিকট যান এবং সালাত আরো কমানোর আবেদন উপস্থাপন করুন। কেননা আল্লাহ বানী ইসরাঈল-এর ওপর শুধু দুই ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছিলেন। তারা এ দুই ওয়াক্তও আদায় করেনি। তখন আমি আবার আল্লাহর নিকট ফিরে গিয়ে সালাত কমিয়ে দেয়ার জন্যে আরয করলাম। তখন তিনি বললেন, নিশ্চয় আমি যেদিন এ আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছি সেদিন আপনার এবং আপনার উম্মতের ওপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছি। আর এ পাঁচ ওয়াক্তই পঞ্চাশ ওয়াক্তের সমান বলে গণ্য হবে। আপনি ও আপনার উম্মত তা আদায় করুন। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে অবশ্য পালনীয়। এরপর আমি মূসা আলায়হিস সালাম-এর কাছে ফিরে এলাম। এবারো তিনি আমাকে পুনরায় ফিরে যেতে বললেন। কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম যে, পাঁচ ওয়াক্ত আল্লাহর পক্ষ হতে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তাই আমি আর আল্লাহর কাছে পুনরায় যাইনি।
فرض الصلاة وذكر اختلاف الناقلين في إسناد حديث أنس بن مالك رضي الله عنه واختلاف ألفاظهم فيه
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ هِشَامٍ، قال: حَدَّثَنَا مَخْلَدٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، قال: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي مَالِكٍ، قال: حَدَّثَنَاأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: أُتِيتُ بِدَابَّةٍ فَوْقَ الْحِمَارِ وَدُونَ الْبَغْلِ خَطْوُهَا عِنْدَ مُنْتَهَى طَرْفِهَا فَرَكِبْتُ وَمَعِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَام فَسِرْتُ، فَقَالَ: انْزِلْ فَصَلِّ، فَفَعَلْتُ، فَقَالَ: أَتَدْرِي أَيْنَ صَلَّيْتَ، صَلَّيْتَ بِطَيْبَةَ وَإِلَيْهَا الْمُهَاجَرُ، ثُمَّ قَالَ: انْزِلْ فَصَلِّ فَصَلَّيْتُ، فَقَالَ: أَتَدْرِي أَيْنَ صَلَّيْتَ، صَلَّيْتَ بِطُورِ سَيْنَاءَ حَيْثُ كَلَّمَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ قَالَ: انْزِلْ فَصَلِّ فَنَزَلْتُ فَصَلَّيْتُ، فَقَالَ: أَتَدْرِي أَيْنَ صَلَّيْتَ، صَلَّيْتَ بِبَيْتِ لَحْمٍ حَيْثُ وُلِدَ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ دَخَلْتُ بَيْتَ الْمَقْدِسِ فَجُمِعَ لِي الْأَنْبِيَاءُ عَلَيْهِمُ السَّلَام، فَقَدَّمَنِي جِبْرِيلُ حَتَّى أَمَمْتُهُمْ، ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَإِذَا فِيهَا آدَمُ عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّانِيَةِ فَإِذَا فِيهَا ابْنَا الْخَالَةِ عِيسَى 56، وَيَحْيَى عَلَيْهِمَا السَّلَام، ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّالِثَةِ فَإِذَا فِيهَا يُوسُفُ عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الرَّابِعَةِ فَإِذَا فِيهَا هَارُونُ عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الْخَامِسَةِ فَإِذَا فِيهَا إِدْرِيسُ عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ السَّادِسَةِ فَإِذَا فِيهَا مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ السَّابِعَةِ فَإِذَا فِيهَا إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَام، ثُمَّ صُعِدَ بِي فَوْقَ سَبْعِ سَمَوَاتٍ فَأَتَيْنَا سِدْرَةَ الْمُنْتَهَى فَغَشِيَتْنِي ضَبَابَةٌ فَخَرَرْتُ سَاجِدًا، فَقِيلَ لِي: إِنِّي يَوْمَ خَلَقْتُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ فَرَضْتُ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمَّتِكَ خَمْسِينَ صَلَاةً فَقُمْ بِهَا أَنْتَ وَأُمَّتُكَ، فَرَجَعْتُ إِلَى إِبْرَاهِيمَ فَلَمْ يَسْأَلْنِي عَنْ شَيْءٍ، ثُمَّ أَتَيْتُ عَلَى مُوسَى، فَقَالَ: كَمْ فَرَضَ اللَّهُ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمَّتِكَ ؟ قُلْتُ: خَمْسِينَ صَلَاةً، قَالَ: فَإِنَّكَ لَا تَسْتَطِيعُ أَنْ تَقُومَ بِهَا أَنْتَ وَلَا أُمَّتُكَ، فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ التَّخْفِيفَ، فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي فَخَفَّفَ عَنِّي عَشْرًا، ثُمَّ أَتَيْتُ مُوسَى فَأَمَرَنِي بِالرُّجُوعِ، فَرَجَعْتُ فَخَفَّفَ عَنِّي عَشْرًا، ثُمَّ رُدَّتْ إِلَى خَمْسِ صَلَوَاتٍ، قَالَ: فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ التَّخْفِيفَ فَإِنَّهُ فَرَضَ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ صَلَاتَيْنِ فَمَا قَامُوا بِهِمَا، فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَسَأَلْتُهُ التَّخْفِيفَ، فَقَالَ: إِنِّي يَوْمَ خَلَقْتُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ فَرَضْتُ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمَّتِكَ خَمْسِينَ صَلَاةً فَخَمْسٌ بِخَمْسِينَ فَقُمْ بِهَا أَنْتَ وَأُمَّتُكَ، فَعَرَفْتُ أَنَّهَا مِنَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى صِرَّى، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَام، فَقَالَ: ارْجِعْ، فَعَرَفْتُ أَنَّهَا مِنَ اللَّهِ صِرَّى أَيْ حَتْمٌ فَلَمْ أَرْجِعْ .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي، (تحفة الأشراف ۱۷۰۱) (منکر) (فریضئہ صلاة پانچ وقت ہو جانے کے بعد پھر اللہ سے رجوع، اور اس کے جواب سے متعلق ٹکڑا صحیح نہیں ہے، صحیح یہی ہے کہ پانچ ہو جانے کے بعد آپ نے شرم سے رجوع ہی نہیں کیا)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 451 - منكر
1. Enjoining As-Salah And Mentioning The Differences Reported By The Narrators In The Chain Of The Hadith Of Anas Bin Malik (May Allah Be Pleased With Him), And The Different Wordings In It
Anas bin Malik narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said: I was brought an animal that was larger than a donkey and smaller than a mule, whose stride could reach as far as it could see. I mounted it, and Jibril was with me, and I set off. Then he said: 'Dismount and pray,' so I did that. He said: 'Do you know where you have prayed? You have prayed in Taibah, which will be the place of the emigration.' Then he said: 'Dismount and pray,' so I prayed. He said: 'Do you know where you have prayed? You have prayed in Mount Sinai, where Allah, the Mighty and Sublime, spoke to Musa, peace be upon him.' So I dismounted and prayed, and he said: 'Do you know where you have prayed? You have prayed in Bethlehem, where 'Eisa, peace be upon him, was born.' Then I entered Bait Al-Maqdis (Jerusalem) where the Prophets, peace be upon them, were assembled for me, and Jibril brought me forward to lead them in prayer. Then I was taken up to the first heaven, where I saw Adam, peace be upon him. Then I was taken up to the second heaven where I saw the maternal cousins 'Eisa and Yahya, peace be upon them. Then I was taken up to the third heaven where I saw Yusuf, peace be upon him. Then I was taken up to the fourth heaven where I saw Harun, peace be upon him. Then I was taken up to the fifth heaven where I saw Idris, peace be upon him. Then I was taken up to the sixth heaven where I saw Musa, peace be upon him. Then I was taken up to the seventh heaven where I saw Ibrahim, peace be upon him. Then I was taken up above seven heavens and we came to Sidrah Al-Muntaha and I was covered with fog. I fell down prostrate and it was said to me: '(Indeed) The day I created the heavens and the Earth, I enjoined upon you and your Ummah fifty prayers, so establish them, you and your Ummah.' I came back to Ibrahim and he did not ask me about anything, then I came to Musa and he said: 'How much did your Lord enjoin upon you and your Ummah?' I said: 'Fifty prayers.' He said: 'You will not be able to establish them, neither you nor your Ummah. Go back to your Lord and ask Him to reduce it.' So I went back to my Lord and He reduced it by ten. Then I came to Musa and he told me to go back, so I went back and He reduced it by ten. Then I came to Musa and he told me to go back, so I went back and He reduced it by ten. Then it was reduced it by ten. Then it was reduced to five prayers. He (Musa) said: 'Go back to you Lord and ask Him to reduce it, for two prayers were enjoined upon the Children of Israel but they did not establish them.' So I went back to my Lord and asked Him to reduce it, but He said: 'The day I created the heavens and the Earth, I enjoined fifty prayers upon you and your Ummah. Five is for fifty, so establish them, you and your Ummah.' I knew that this was what Allah, the Mighty and Sublime, had determined so I went back to Musa, peace be upon him, and he said: 'Go back.' But I knew that it was what Allah had determined, so I did not go back.
পরিচ্ছেদঃ ১: সালাত ফরয হওয়া এবং আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর বর্ণনাকারীদের সনদের মতভেদ প্রসঙ্গে এবং এ ব্যাপারে তাদের শব্দাবলীর ভিন্নতার আলোচনা
৪৫১. আহমাদ ইবনু সুলায়মান (রহ.) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে যখন মিরাজের রাতে ভ্রমণ করানো হয়েছিল তখন তাঁকে সিদরাতুল মুনতাহায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সিদরাতুল মুনতাহা ষষ্ঠ আকাশে অবস্থিত। তার নীচ হতে যেসব জিনিস (নেক ’আমল, আত্মা ইত্যাদি) উর্ধে উঠানো হয় এবং তার ওপর হতে আল্লাহর যে সব নির্দেশাবলী নাযিল হয় সব কিছুই এখানে পৌছে থেমে যায়। তারপর মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) এগুলো নির্দেশ অনুযায়ী যথাস্থানে নিয়ে যান। ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’উদ এ আয়াতটি পাঠ করেন, “যখন বৃক্ষটি, যার দ্বারা আচ্ছাদিত হওয়ার তার দ্বারা আচ্ছাদিত।” (সূরা আন নাজম ৫৩: ১৬)।
’আবদুল্লাহ বলেন, আচ্ছাদিত’ এর অর্থ হলো স্বর্ণের পঙ্গপাল দ্বারা আচ্ছাদিত। মিরাজের রাতে রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে তিনটি পুরস্কার দেয়া হয়েছে। (১) পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, (২) সূরা বাক্বারার শেষ কয়েকটি আয়াত এবং (৩) তার উম্মতের যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কোন কিছুকে অংশী না করে মৃত্যুবরণ করবে তার। গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।”
فرض الصلاة وذكر اختلاف الناقلين في إسناد حديث أنس بن مالك رضي الله عنه واختلاف ألفاظهم فيه
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قال: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قال: حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، عَنْ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قال: لَمَّا أُسْرِيَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْتُهِيَ بِهِ إِلَى سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى وَهِيَ فِي السَّمَاءِ السَّادِسَةِ وَإِلَيْهَا يَنْتَهِي مَا عُرِجَ بِهِ مِنْ تَحْتِهَا وَإِلَيْهَا يَنْتَهِي مَا أُهْبِطَ بِهِ مِنْ فَوْقِهَا حَتَّى يُقْبَضَ مِنْهَا، قَالَ: إِذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى سورة النجم آية 16، قَالَ: فَرَاشٌ مِنْ ذَهَبٍ، فَأُعْطِيَ ثَلَاثًا: الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ وَخَوَاتِيمُ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَيُغْفَرُ لِمَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِهِ لَا يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا الْمُقْحِمَاتُ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح مسلم/الإیمان ۷۶ (۱۷۳)، سنن الترمذی/تفسیر سورة النجم (۳۲۷۶)، (تحفة الأشراف ۹۵۴۸)، مسند احمد ۱/۳۸۷، ۴۲۲) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 452 - صحيح
1. Enjoining As-Salah And Mentioning The Differences Reported By The Narrators In The Chain Of The Hadith Of Anas Bin Malik (May Allah Be Pleased With Him), And The Different Wordings In It
It was narrated that 'Abdullah said: When the Messenger of Allah (ﷺ) was taken on the Night Journey, he came to Sidrah Al-Muntaha, which is in the sixth heaven. That is where everything that comes up from below ends, and where everything that comes down from above, until it is taken from it. Allah says: When what covered the lote-tree did cover it! [1] He said: It was moths of gold. And I was given three things: The five daily prayers, the last verses of Surah Al-Baqarah, and whoever of my Ummah dies without associating anything with Allah will be forgiven for Al-Muqhimat. [2]
[1] An-Najm 53:16.
[2] The sins of the worst magnitude that drag one into the Fire. (An-Nihayah)
পরিচ্ছেদঃ ২: সালাত কোথায় ফরয হয়েছে?
৪৫২. সুলায়মান ইবনু দাউদ (রহ.) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, সালাত মক্কায় ফরয করা হয়েছে। দু’জন মালাক (ফেরেশতা) রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর নিকটে আসেন। মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাদ্বয়) তাঁকে নিয়ে যমযমের কাছে যান। তারা তাঁর পেট বিদীর্ণ করেন এবং তার ভিতরের বস্তু বের করে স্বর্ণের পাত্রে রাখেন ও যমযমের পানি দ্বারা ধুয়ে নেন। অতঃপর তাঁর মধ্যে জ্ঞান ও হিকমাত ভরে দেন।
باب أين فرضت الصلاة
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ ابْنِ وَهْبٍ، قال: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ عَبْدَ رَبِّهِ بْنَ سَعِيدٍ حَدَّثَهُ، أَنَّ الْبُنَانِيَّحَدَّثَهُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ الصَّلَوَاتِ فُرِضَتْ بِمَكَّةَ، وَأَنَّ مَلَكَيْنِ أَتَيَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَهَبَا بِهِ إِلَى زَمْزَمَ فَشَقَّا بَطْنَهُ وَأَخْرَجَا حَشْوَهُ فِي طَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ فَغَسَلَاهُ بِمَاءِ زَمْزَمَ ثُمَّ كَبَسَا جَوْفَهُ حِكْمَةً وَعِلْمًا .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي، (تحفة الأشراف ۴۵۴) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 453 - صحيح
2. Where Was The Salah Made Obligatory?
It was narrated from Anas bin Malik that the prayers were enjoined in Makkah, and that two angels came to the Messenger of Allah (ﷺ) and took him to Zamzam, where they split open his stomach and took out his innards in a basin of gold, and washed them with Zamzam water, then they filled his heart with wisdom and knowledge.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সালাত কেমন করে ফরয হয়েছে?
৪৫৩. ইসহাক ইবনু ইব্রাহীম (রহ.) ..... ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রথমত সালাত দু’ রাক’আত করে ফরয করা হয়েছিল। পরে সফরের সালাত পূর্বের মতো রাখা হয় এবং আবাসের সালাত পূর্ণ করা হয়।
باب كيف فرضت الصلاة
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قال: أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قالت: أَوَّلَ مَا فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ وَأُتِمَّتْ صَلَاةُ الْحَضَرِ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/الصلاة ۱ (۳۵۰)، وتقصیر الصلاة ۵ (۱۰۹۰)، ومناقب الأنصار ۸ (۳۹۳۵)، صحیح مسلم/صلاة المسافرین۱ (۶۸۵)، (تحفة الأشراف: ۱۶۴۳۹)، سنن الدارمی/ الصلاة ۱۷۹ (۱۵۵۰)، وقد أخرجہ: سنن ابی داود/الصلاة ۲۷۰ (۱۱۹۸) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 454 - صحيح
3. How The Salah Was Made Obligatory
It was narrated that 'Aishah said: The first time the Salah was enjoined it was two Rak'ahs, and it remained as such when traveling, but the Salah while resident was made complete.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সালাত কেমন করে ফরয হয়েছে?
৪৫৪. মুহাম্মাদ ইবনু হাশিম আল বা’লাবাকী (রহ.) ..... আবূ ’আমর ও আওযাঈ (রহ.) হতে বর্ণিত যে, তিনি যুহরী (রহ.)-কে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মক্কাহ্ হতে মদীনায় হিজরতের আগের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। জবাবে তিনি বললেন, ’উরওয়াহ্ (রাঃ) আমাকে ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা প্রথমতঃ তাঁর রসূলের উপর দুই দুই রাকআত করে সালাত ফরয করেন। পরে আবাসের সালাত চার রাকআতে পূর্ণ করা হয় এবং সফরে আগের বিধান অনুযায়ী দু’রাকআতই বহাল রাখা হয়।
باب كيف فرضت الصلاة
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هَاشِمٍ الْبَعْلَبَكِّيُّ، قال: أَنْبَأَنَا الْوَلِيدُ، قال: أَخْبَرَنِي أَبُو عَمْرٍو يَعْنِي الْأَوْزَاعِيَّ، أَنَّهُ سَأَلَ الزُّهْرِيَّ عَنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: فَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ الصَّلَاةَ عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَّلَ مَا فَرَضَهَا رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ أُتِمَّتْ فِي الْحَضَرِ أَرْبَعًا، وَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ عَلَى الْفَرِيضَةِ الْأُولَى .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائی، (تحفة الأشراف: ۱۶۵۲۶) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 455 - صحيح
3. How The Salah Was Made Obligatory
Abu 'Amr - meaning, Al-Awza'i - said that he asked Az-Zuhri about the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ) in Makkah before the Hijrah to Al-Madinah. He said: Urwah told me that 'Aishah said: 'Allah enjoined the salah upon the Messenger of Allah (ﷺ), and the first thing that He enjoined was two Rak'ahs at a time, then it was made complete four Rak'ahs while in the state of residence but the prayer when traveling remained two Rak'ahs, as it was first enjoined.'
পরিচ্ছেদঃ ৩: সালাত কেমন করে ফরয হয়েছে?
৪৫৫. কুতায়বাহ্ (রহ.) ..... ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সালাত দু’ দু’ রাকআত করে ফরয করা হয়। পরবর্তীতে সফর অবস্থায় সালাত পূর্বের মতো থাকে এবং আবাস অবস্থায় তা বাড়িয়ে দেয়া হয়।
باب كيف فرضت الصلاة
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قالت: فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/الصلاة ۱ (۳۵۰)، صحیح مسلم/صلاة المسافرین۱ (۶۸۵)، سنن ابی داود/الصلاة ۲۷۰ (۱۱۹۸)، (تحفة الأشراف: ۱۶۳۴۸)، موطا امام مالک/قصر الصلاة ۲ (۸)، مسند احمد ۶/۲۷۲ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 456 - صحيح
3. How The Salah Was Made Obligatory
It was narrated that 'Aishah said: The Salah was enjoined two Rak'ahs at a time, then the Salah when traveling remained like that, but the Salah while resident was increased.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সালাত কেমন করে ফরয হয়েছে?
৪৫৬. ’আমর ইবনু ’আলী (রহ.) ..... ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা.) -এর ওপর আবাসে চার রাকআত ও সফর অবস্থায় দুই রাকআত এবং ভয়কালীন অবস্থায় (ইমামের সঙ্গে) এক রাকআত করে সালাত ফরয করা হয়েছে।
باب كيف فرضت الصلاة
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قال: حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الْأَخْنَسِ، عَنْمُجَاهِدٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قال: فُرِضَتِ الصَّلَاةُ عَلَى لِسَانِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَضَرِ أَرْبَعًا وَفِي السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ وَفِي الْخَوْفِ رَكْعَةً .
تخریج دارالدعوہ: صحیح مسلم/المسافرین حدیث ۶ (۶۸۷)، سنن ابی داود/الصلاة ۲۸۷ (۱۲۴۷)، سنن ابن ماجہ/إقامة ۷۳ (۱۰۶۸)، (تحفة الأشراف: ۶۳۸۰)، بدون الشطر الأخیر، حم۱/۲۳۷، ۲۴۳، ۲۵۴، ۳۵۵، ویأتی عند المؤلف (برقم: ۱۴۴۲، ۱۴۴۳، ۱۵۳۳) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 457 - صحيح
3. How The Salah Was Made Obligatory
It was narrated that Ibn 'Abbas said: The Salah was enjoined on the lips of the Prophet (ﷺ), four Rak'ahs while resident, and two while traveling, and one Rak'ah during times of fear.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সালাত কেমন করে ফরয হয়েছে?
৪৫৭. ইউসুফ ইবনু সাঈদ (রহ.) ..... উমাইয়াহ্ ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু খালিদ ইবনু আসীদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কেমন করে সালাত কসর করেন, আর আল্লাহ তো বলেছেন, “তোমরা যদি (কাফিরদের) ভয়ের আশংকা কর তা হলে সালাত কসর করলে গুনাহ হবে না।” ইবনু উমার (রাঃ) বললেন, ভাতিজা! রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর আবির্ভাব আমাদের মাঝে এমন অবস্থায় হয়েছে যে, তখন আমরা বিপথগামী ছিলাম। অতঃপর তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, আর তাঁর শিক্ষার মধ্যে এটা ছিল যে, আল্লাহ আমাদেরকে সফরে সালাত দুই রাক’আত করে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। শু’আয়সী বলেছেন, ইমাম যুহরী আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বকর (রাঃ) হতে এ হাদীস বর্ণনা করতেন।
باب كيف فرضت الصلاة
أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ سَعِيدٍ، قال: حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قال: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الشُّعَيْثِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدِ بْنِ أَسِيدٍ، أَنَّهُ قَالَ لِابْنِ عُمَرَ: كَيْفَ تَقْصُرُ الصَّلَاةَ، وَإِنَّمَا قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلاةِ إِنْ خِفْتُمْ سورة النساء آية 101 ؟ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: يَا ابْنَ أَخِي، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَانَا وَنَحْنُ ضُلَّالٌ فَعَلَّمَنَا، فَكَانَ فِيمَا عَلَّمَنَا أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَمَرَنَا أَنْ نُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ فِي السَّفَرِ . قَالَ الشُّعَيْثِيُّ: وَكَانَ الزُّهْرِيُّ، يُحَدِّثُ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ.
تخریج دارالدعوہ: سنن ابن ماجہ/إقامة ۷۳ (۱۰۶۶)، مسند احمد ۲/۹۴، ۱۴۸، ویأتي عند المؤلف (برقم: ۱۴۳۵) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 458 - صحيح
3. How The Salah Was Made Obligatory
It was narrated that Umayyah bin 'Abdullah bin Khalid bin Asid said to Ibn 'Umar: How can the Salah be shortened as Allah says: There is no sin on you if you shorten As-Salah (the prayer) if you are in fear? [1] Ibn 'Umar said: O son of my brother! The Messenger of Allah (ﷺ) came to us when we had gone astray and he taught us. One of the things that he taught us was that Allah, the Mighty and Sublime, has commanded us to pray two Rak'ahs when traveling. [1] An-Nisa' 4:101.
পরিচ্ছেদঃ ৪: দিনে ও রাতে কত ওয়াক্ত সালাত ফরয হয়েছে?
৪৫৮. কুতায়বাহ্ (রহ.) ..... ত্বলহাহ্ ইবনু উবায়দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাজদ এলাকার অধিবাসী এক লোক রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর নিকট এলো। তার মাথার চুল ছিল এলোমেলো। আমরা তার গুন গুন আওয়াজ শুনছিলাম কিন্তু সে কি বলছিল তা আমরা বুঝতে পারছিলাম না। সে আরো নিকটবর্তী হল এবং ইসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে শুরু করল। রাসূলুল্লাহ (সা.) তার প্রশ্নের জবাবে বললেন, রাত ও দিনে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত তোমার জন্যে ফরয। সে জিজ্ঞেস করল, এগুলো ছাড়া আমার ওপরে আরো (অতিরিক্ত করণীয়) কিছু আছে কি? তিনি (সা.) বললেন, না, তবে নফল আদায় করতে পার। রাসূলুল্লাহ (সা.) - বললেন, আর রমাযানের এক মাসের সওম (রোযা)। সে জিজ্ঞেস করল, এ এক মাস সাওম (রোযা) ছাড়া আমার ওপরে আরো সওম আছে কি? তিনি (সা.) বললেন, না, তবে নফল রোযা পালন করতে পার। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে যাকাতের কথা বললেন, সে জিজ্ঞেস করল- এ যাকাত ছাড়া আমার ওপরে আরো কোন (দানের হুকুম) আছে কি? তিনি (সা.) বললেন, না, তবে নফল দান করতে পার। তারপর সে ব্যক্তি এ কথা বলতে বলতে চলে গেল- “আল্লাহর শপথ! আমি এ (হুকুম)-গুলোর উপর অতিরিক্ত কিছু করবো না এবং এগুলো হতে কমও করবো না। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, সে সফল হবে যদি তার কথায় সত্যবাদী হয়।
باب كم فرضت في اليوم والليلة
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ طَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ، يَقُولُ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ ثَائِرَ الرَّأْسِ نَسْمَعُ دَوِيَّ صَوْتِهِ وَلَا نَفْهَمُ مَا يَقُولُ حَتَّى دَنَا، فَإِذَا هُوَ يَسْأَلُ عَنْ الْإِسْلَامِ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: خَمْسُ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ ، قَالَ: هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهُنَّ ؟ قَالَ: لَا، إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ ، قَالَ: وَصِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ ، قَالَ: هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهُ ؟ قَالَ: لَا، إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ، وَذَكَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الزَّكَاةَ، قَالَ: هَلْ عَلَيَّ غَيْرُهَا ؟ قَالَ: لَا، إِلَّا أَنْ تَطَّوَّعَ، فَأَدْبَرَ الرَّجُلُ وَهُوَ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَا أَزِيدُ عَلَى هَذَا وَلَا أَنْقُصُ مِنْهُ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/الإیمان ۳۴ (۴۶)، والصوم ۱ (۱۸۹۱)، والشہادات ۲۶ (۲۶۷۸)، والحیل ۳ (۶۹۵۶)، صحیح مسلم/الإیمان ۲ (۱۱)، سنن ابی داود/الصلاة ۱ (۳۹۱، ۳۹۲)، الأیمان والنذور ۵ (۳۲۵۲)، صحیح مسلم/قصر الصلاة ۲۵ (۹۴)، (تحفة الأشراف: ۵۰۰۹)، ویأتي عند المؤلف بأرقام: ۲۰۹۲، ۵۰۳۱، مسند احمد ۱/۱۲۶، سنن الدارمی/الصلاة ۲۰۸ (۱۶۱۹) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 459 - صحيح
4. How Many (Prayers) Are Enjoined Each Day And Night?
It was narrated from Abu Suhail, from his father, that he heard Talhah bin 'Ubaidullah say: A man from the people of Najd came to the Messenger of Allah (ﷺ) with unkempt hair. We could hear him talking loudly but we could not understand what he was saying until he came closer. He was asking about Islam. The Messenger of Allah (ﷺ) said to him: 'Five prayers each day and night.' He said: 'Do I have to do anything else' He said: 'No, unless you do it voluntarily.' He said: 'And fasting the month of Ramadan.' He said: 'Do I have to do anything else?' He said: 'No, unless you do it voluntarily.' And the Messenger of Allah (ﷺ) mentioned Zakah to him, and he said: 'Do I have to do anything else?' He said: 'No, unless you do it voluntarily.' The man left saying: 'By Allah, I will not do any more than this or any less.' The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'He will achieve salvation, if he is speaking the truth.'
পরিচ্ছেদঃ ৪: দিনে ও রাতে কত ওয়াক্ত সালাত ফরয হয়েছে?
৪৫৯. কুতায়বাহ্ (রহ.) ..... আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দার ওপরে কত ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন? তিনি (সা.) উত্তরে বললেন, আল্লাহ তার বান্দার ওপরে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। সে ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল! এগুলোর আগে ও পরে আরো কিছু (করণীয়) আছে কি? তিনি (সা.) বললেন, আল্লাহ তাঁর বান্দার ওপরে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তারপর সে ব্যক্তি কসম করে বলল যে, সে এগুলোর চেয়ে বেশি কিছু করবে না এবং কমও করবে না। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, সে যদি সত্যবাদী হয় তাহলে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
باب كم فرضت في اليوم والليلة
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قال: حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قال: سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَمْ افْتَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى عِبَادِهِ مِنَ الصَّلَوَاتِ ؟ قَالَ: افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَى عِبَادِهِ صَلَوَاتٍ خَمْسًا ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلْ قَبْلَهُنَّ أَوْ بَعْدَهُنَّ شَيْئًا ؟ قَالَ: افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَى عِبَادِهِ صَلَوَاتٍ خَمْسًا ، فَحَلَفَ الرَّجُلُ لَا يَزِيدُ عَلَيْهِ شَيْئًا وَلَا يَنْقُصُ مِنْهُ شَيْئًا، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنْ صَدَقَ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي، (تحفة الأشراف ۱۱۶۶)، وقد أخرجہ: حم۳/۲۶۷، صحیح مسلم/في الإیمان ۳ (۱۲)، سنن الترمذی/في الزکاة ۲ (۶۱۹) والمؤلف في الصوم ۱ (برقم: ۲۰۹۳) من طریق ثابت عن أنس مطولاً (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 460 - صحيح
4. How Many (Prayers) Are Enjoined Each Day And Night?
It was narrated that Anas said: A man asked the Messenger of Allah (ﷺ): 'O Messenger of Allah, how many prayers has Allah enjoined upon His slaves?' He said: 'Allah has enjoined upon His slaves (five) prayers.' He said: 'O Messenger of Allah, is there anything before them or after them?' He said: 'Allah has enjoined upon His salves (five) prayers.' The man swore that he would not do anything more or less than that. The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'If he is speaking the truth he will most certainly enter Paradise.'
পরিচ্ছেদঃ ৫: পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের উপর বায়আত গ্রহণ করা জরুরী
৪৬০. ’আমর ইবনু মানসূর (রহ.) ..... ’আওফ ইবনু মালিক আল আশজা’ঈ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকটে ছিলাম। তিনি বললেন, তোমরা কি আল্লাহর রসূলের কাছে বায়’আত হবে না? এ কথাটি তিনি তিনবার বললেন, আমরা হাত বাড়িয়ে দিলাম এবং তাঁর নিকটে বায়’আত হলাম। তারপর আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা তো পূর্বেই আপনার নিকটে বায়’আত হয়েছি, তবে এ বায়’আত কোন্ বিষয়ের উপর? তিনি (সা.) বললেন, এ বায়’আত হলো এ কথার উপরে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করবে এবং তার সাথে কাউকে শরীক করবে না। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে। তারপর আস্তে করে বললেন, মানুষের কাছে কিছু চাইবে না।
باب البيعة على الصلوات الخمس
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قال: حَدَّثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، قال: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلَانِيِّ، قال: أَخْبَرَنِي الْحَبِيبُ الْأَمِينُ عَوْفُ بْنُ مَالِكٍ الْأَشْجَعِيُّ، قال: كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: أَلَا تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ فَرَدَّدَهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَقَدَّمْنَا أَيْدِيَنَا فَبَايَعْنَاهُ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ بَايَعْنَاكَ، فَعَلَامَ ؟ قَالَ: عَلَى أَنْ تَعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَالصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ، وَأَسَرَّ كَلِمَةً خَفِيَّةً أَنْ لَا تَسْأَلُوا النَّاسَ شَيْئًا .
تخریج دارالدعوہ: صحیح مسلم/الزکاة ۳۵ (۱۰۴۳) مطولاً، سنن ابی داود/الزکاة ۲۷ (۱۶۴۲) مطولاً، سنن ابن ماجہ/الجہاد ۴۱ (۲۸۶۷) مطولاً، (تحفة الأشراف: ۱۰۹۱۹) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 461 - صحيح
5. Making A Pledge To Offer The Five Daily Prayers
Awf bin Malik Al-Ashja'i said: We were with the Messenger of Allah (ﷺ) and he said: 'Will you not pledge to the Messenger of Allah (ﷺ)?' And he repeated it three times. So we stretched forth our hands to give our pledge. We said: 'O Messenger of Allah, we are willing to give you our pledge, but on what?' He said: 'That you will worship Allah and not associate anything with him, and (offer) the five daily prayers.' And he said, very quietly: 'And you will not ask the people for anything.'
পরিচ্ছেদঃ ৬: পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের হিফাযাত করা
৪৬১. কুতায়বাহ (রহ.)…. ইবনু মুহায়রীয (রহ.) হতে বর্ণিত যে, মুখদাজী নামক বানূ কিনানার জনৈক ব্যক্তি আবূ মুহাম্মাদ নামক এক ব্যক্তিকে সিরিয়ায় বলতে শুনলেন যে, বিতরের সালাত ওয়াজিব।
মুখদাজী বলেন, আমি এ কথা শুনে ’উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ)-এর কাছে গেলাম। আমি যখন তার কাছে পৌছাই তখন তিনি মসজিদে যাচ্ছিলেন। তখন আমি তাঁকে আবূ মুহাম্মাদ-এর বক্তব্য শুনালাম। ’উবাদাহ্ (রাঃ) বললেন, আবূ মুহাম্মদ মিথ্যা বলেছেন। আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা’আলা বান্দার ওপরে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। যে ব্যক্তি এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে এবং এগুলোর মধ্যে কোন সালাত অবহেলা করে ছেড়ে দিবে না, তার জন্যে আল্লাহর ওয়াদা হলো- তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। যে ব্যক্তি এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে না, তার জন্যে আল্লাহর কোন ওয়া’দা নেই। ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দিতে পারেন। আবার ইচ্ছা করলে জান্নাতেও প্রবেশ করাতে পারেন।
باب المحافظة على الصلوات الخمس
خْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، أَنَّ رَجُلًا مِنْ بَنِي كِنَانَةَ يُدْعَى الْمُخْدَجِيّ سَمِعَ رَجُلًا بِالشَّامِ يُكْنَى أَبَا مُحَمَّدٍ، يَقُولُ: الْوِتْرُ وَاجِبٌ، قال الْمُخْدَجِيُّ: فَرُحْتُ إِلَى عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ فَاعْتَرَضْتُ لَهُ وَهُوَ رَائِحٌ إِلَى الْمَسْجِدِ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي قال أَبُو مُحَمَّدٍ، فَقَالَ عُبَادَةُ: كَذَبَ أَبُو مُحَمَّدٍ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: خَمْسُ صَلَوَاتٍ كَتَبَهُنَّ اللَّهُ عَلَى الْعِبَادِ، مَنْ جَاءَ بِهِنَّ لَمْ يُضَيِّعْ مِنْهُنَّ شَيْئًا اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهِنَّ كَانَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ، وَمَنْ لَمْ يَأْتِ بِهِنَّ فَلَيْسَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ وَإِنْ شَاءَ أَدْخَلَهُ الْجَنَّةَ .
تخریج دارالدعوہ: سنن ابی داود/الصلاة ۳۳۷ (۱۴۲۰)، سنن ابن ماجہ/إقامة ۱۹۴ (۱۴۰۱)، (تحفة الأشراف: ۵۱۲۲)، موطا امام مالک/صلاة اللیل ۳/۱۴ (۱۴)، مسند احمد ۵/۳۱۵، ۳۱۹، ۳۲۲، سنن الدارمی/الصلاة ۲۰۸ (۱۶۱۸) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 462 - صحيح
6. Observing The Five Daily Prayers
It was narrated from Ibn Muhairiz that a man from Banu Kinanah who was called Al-Mukhdaji heard a man in Ash-Sham, who was known as Abu Muhammad, saying that Witr was obligatory. Al-Mukhdaji said: In the morning I went to 'Ubadah bin As-Samit, and I met him while he was on his way to the Masjid. I told him what Abu Muhammad said, and 'Ubadah said: 'Abu Muhammad is wrong. I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: 'Five prayers are those that Allah has decreed for (His) slaves, whoever does them, and does not neglect any of them out of disregard toward them, will have a promise from Allah that He will admit him to Paradise. And whoever does not to them will have no such promise from Allah; if He wills he will punish him and if He wills He will admit him to Paradise.
পরিচ্ছেদঃ ৭: পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের ফযীলত প্রসঙ্গ
৪৬২. কুতায়বাহ্ (রহ.) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমাদের কারো গৃহ দ্বারে যদি নহর (প্রবাহিত) থাকে এবং সে যদি তাতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে তবে কি তার শরীরে কোন প্রকার ময়লা থাকতে পারে? সাহাবায়ি কিরামগণ বললেন, না, তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে না। তিনি (সা.) বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের উদাহরণ এরূপ। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের দ্বারা আল্লাহ পাপসমূহ মুছে দেন।
فضل الصلوات الخمس
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قال: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهَرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ ، قَالُوا: لَا يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ، قَالَ: فَكَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا .
تخریج دارالدعوہ: صحیح البخاری/مواقیت ۶ (۵۲۸)، صحیح مسلم/المساجد ۵۱ (۶۶۷)، سنن الترمذی/الأمثال ۵ (۲۸۶۸)، (تحفة الأشراف: ۱۴۹۹۸)، مسند احمد ۲/۳۷۹، ۴۲۶، ۴۲۷، ۴۴۱، سنن الدارمی/الصلاة ۱/۱۲۲۱ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 463 - صحيح
7. The Virtue Of The Five Daily Prayers
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said: Do you think that is there was a river by the door of any one of you, and he bathed in it five times each day, would there be any trace of dirt left on him? They said: No trace of dirt would be left on him. He said: That is the likeness of the five daily prayers. By means of them Allah erases sins.
পরিচ্ছেদঃ ৮: সালাত পরিত্যাগকারী সম্পর্কে বিধান
৪৬৩. হুসায়ন ইবনু হরয়স (রহ.) ..... বুরয়দাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমাদের এবং কাফিরদের মধ্যে পার্থক্যকারী ’আমল হলো সালাত। যে সালাত ছেড়ে দিল সে কুফরী করল।
باب الحكم في تارك الصلاة
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قال: أَنْبَأَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قال: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الْعَهْدَ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمُ الصَّلَاةُ، فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ .
تخریج دارالدعوہ: سنن الترمذی/الإیمان ۹ (۲۶۲۱)، سنن ابن ماجہ/إقامة ۷۷ (۱۰۷۹)، (تحفة الأشراف: ۱۹۶۰)، مسند احمد ۵/۳۴۶، ۳۵۵ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 464 - صحيح
8. The Ruling On One Who Does Not Perform Salah
It was narrated from 'Abdullah bin Buraidah that his father said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'The covenant that stands between us and them is the Salah; whoever abandons it, he has committed disbelief.'
পরিচ্ছেদঃ ৮: সালাত পরিত্যাগকারী সম্পর্কে বিধান
৪৬৪. আহমাদ ইবনু হারব (রহ.) ..... জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: সালাত ছেড়ে দেয়া ব্যতীত বান্দা ও কুফরের মাঝে কোন অন্তরায় নেই।
باب الحكم في تارك الصلاة
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قال: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْسَ بَيْنَ الْعَبْدِ وَبَيْنَ الْكُفْرِ إِلَّا تَرْكُ الصَّلَاةِ .
تخریج دارالدعوہ: صحیح مسلم/الإیمان ۳۵ (۸۲)، (تحفة الأشراف: ۲۸۱۷)، وقد أخرجہ: سنن ابی داود/السنة ۱۵ (۴۶۷۸)، سنن الترمذی/الإیمان ۹ (۲۶۲۰)، سنن ابن ماجہ/إقامة ۷۷ (۱۰۷۸)، مسند احمد ۳/۳۷۰، ۸۹ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 465 - صحيح
8. The Ruling On One Who Does Not Perform Salah
It was narrated that Jabir said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'There is nothing between a person and disbelief except abandoning Salah.'
পরিচ্ছেদঃ ৯: সালাতের হিসাব-নিকাশ প্রসঙ্গে
৪৬৫. আবূ দাউদ (রহ.) ..... হুরয়স ইবনু কবীসাহ্ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি মদীনাহ এসে আল্লাহর কাছে দুআ করি, হে আল্লাহ! আপনি আমাকে একজন সৎ সঙ্গী দান করুন। এরপর আমি এসে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর মজলিসে বসলাম এবং তাকে বললাম যে, আমি মহান আল্লাহর কাছে একজন সৎ সঙ্গী পাওয়ার জন্যে দু’আ করেছি। অতএব, আপনি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর নিকট হতে শোনা এমন একটি হাদীস আমাকে বলুন যার দ্বারা আল্লাহ আমাকে উপকৃত করবেন। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম তাঁর বান্দা হতে সালাতের হিসাব নেয়া হবে। সালাত যথাযথভাবে আদায় হয়ে থাকলে সে সফল হবে ও মুক্তি পাবে। সালাত যথাযথ আদায় না হয়ে থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হবে। হাম্মাম বলেন, আমি জানি না- তা কতাদাহ্-এর কথা না হাদীসের অংশ। যদি ফরয সালাত কিছু কম হয়ে থাকে তবে আল্লাহ (ফেরেশতাদের) বলবেন, দেখ আমার বান্দার কোন নফল সালাত আছে কি না? থাকলে তা দ্বারা ফরয পূর্ণ করে দেয়া হবে। এরপর অন্যান্য ’আমালের ব্যাপারেও একই অবস্থা হবে।
باب المحاسبة على الصلاة
خْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قال: حَدَّثَنَا هَارُونُ هُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ الْخَزَّازُ، قال: حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ الْحَسَنِ، عَنْحُرَيْثِ بْنِ قَبِيصَةَ، قال: قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ، قال: قُلْتُ: اللَّهُمَّ يَسِّرْ لِي جَلِيسًا صَالِحًا، فَجَلَسْتُ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قال: فَقُلْتُ: إِنِّي دَعَوْتُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يُيَسِّرَ لِي جَلِيسًا صَالِحًا فَحَدِّثْنِي بِحَدِيثٍ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَنْفَعَنِي بِهِ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ بِصَلَاتِهِ، فَإِنْ صَلَحَتْ فَقَدْ أَفْلَحَ وَأَنْجَحَ، وَإِنْ فَسَدَتْ فَقَدْ خَابَ وَخَسِرَ، قَالَ هَمَّامٌ: لَا أَدْرِي هَذَا مِنْ كَلَامِ قَتَادَةَ أَوْ مِنَ الرِّوَايَةِ، فَإِنِ انْتَقَصَ مِنْ فَرِيضَتِهِ شَيْءٌ، قَالَ: انْظُرُوا، هَلْ لِعَبْدِي مِنْ تَطَوُّعٍ فَيُكَمَّلُ بِهِ مَا نَقَصَ مِنَ الْفَرِيضَةِ ؟ ثُمَّ يَكُونُ سَائِرُ عَمَلِهِ عَلَى نَحْوِ ذَلِكَ . خَالَفَهُ أَبُو الْعَوَّامِ.
تخریج دارالدعوہ: سنن الترمذی/الصلاة ۱۸۹ (۴۱۳)، مسند احمد ۲/۴۲۵، (تحفة الأشراف: ۱۲۲۳۹) وقد أخرجہ: سنن ابن ماجہ/إقامة الصلاة ۲۰۲ (۱۴۲۵) (صحیح) راوی ابوالعوام نے (جو اگلی سند میں ہیں) ہمام کی مخالفت کی ہے ۱؎۔ وضاحت ۱؎: مخالفت اس طرح ہے کہ ہمام نے اسے بطریق قتادہ عن الحسن عن حریث عن ابی ہریرہ، اور ابوالعوام نے بطریق قتادہ عن الحسن عن ابی رافع عن ابی ہریرہ روایت کیا ہے۔
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 466 - صحيح
9. Being Brought To Account For The Salah
It was narrated that Huraith bin Qabisah said: I arrived in Al-Madinah and said: 'O Allah, make it easy for me to find a righteous companion.' Then I sat with Abu Hurairah, may Allah be pleased with him, and said: 'I prayed to Allah to help me find a righteous companion.' So tell me a Hadith that you heard from the Messenger of Allah (ﷺ), so that Allah might benefit me from it. He said: 'I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: The first thing for which a person will be brought to account will be his Salah. If it is sound then he will have succeeded, be salvaged, but if it is not then he will have lost and be doomed. - (One of the narrators) Hammam said: I do not know whether this was the words of Qatadah or part of the report. - If anything is lacking from his obligatory prayers, He will say: 'Look and see whether My slave has any voluntary prayers to make up for what is deficient from his obligatory prayers.' Then all of his deeds will be dealt with in like manner.
পরিচ্ছেদঃ ৯: সালাতের হিসাব-নিকাশ প্রসঙ্গে
৪৬৬. আবূ দাউদ (রহ.) ..... আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেছেন: কিয়ামতের দিন মানুষের ’আমলের মধ্যে সর্বপ্রথম সালাতের হিসাব নেয়া হবে। যদি সালাত পরিপূর্ণরূপে পাওয়া যায় তবে পরিপূর্ণ লেখা হবে। যদি কিছু কম পাওয়া যায় তা হলে আল্লাহ বলবেন, দেখ তার নফল সালাত কিছু আছে কি না? (যদি থাকে) এগুলোর দ্বারা ফরয সালাতের ক্ষতিপূরণ করে দেয়া হবে। তারপর অন্যান্য আমলের ক্ষেত্রেও এরূপ করা হবে।
باب المحاسبة على الصلاة
أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قال: حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ يَعْنِي بْنِ زِيَادِ بْنِ مَيْمُونٍ، قال: كَتَبَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ عَنْهُ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْعَوَّامِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَلَاتُهُ، فَإِنْ وُجِدَتْ تَامَّةً كُتِبَتْ تَامَّةً، وَإِنْ كَانَ انْتُقِصَ مِنْهَا شَيْءٌ، قَالَ: انْظُرُوا، هَلْ تَجِدُونَ لَهُ مِنْ تَطَوُّعٍ يُكَمِّلُ لَهُ مَا ضَيَّعَ مِنْ فَرِيضَةٍ مِنْ تَطَوُّعِهِ ؟ ثُمَّ سَائِرُ الْأَعْمَالِ تَجْرِي عَلَى حَسَبِ ذَلِكَ .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائی، (تحفة الأشراف: ۱۴۶۶۰)، مسند احمد ۴/۱۰۳ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 467 -
9. Being Brought To Account For The Salah
It was narrated from Abu Hurairah that the Prophet (ﷺ) said: The first thing for which a person will be brought to account on the Day of Resurrection will be his Salah. If it is found to be complete then it will be recorded as complete, and if anything is lacking He will say: 'Look and see if you can find any voluntary prayers with which to complete what he neglected of his obligatory prayers.' Then the rest of his deeds will be reckoned in like manner.
পরিচ্ছেদঃ ৯: সালাতের হিসাব-নিকাশ প্রসঙ্গে
৪৬৭. ইসহাক্ব ইবনু ইব্রাহীম (রহ.) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, কিয়ামতের দিন বান্দা হতে সর্বপ্রথম সালাতের হিসাব নেয়া হবে। সালাত পুরোপুরি আদায় করে থাকলে তো ভালো কথা, অন্যথায় আল্লাহ তা’আলা বলবেন, দেখ, আমার বান্দার কোন নফল সালাত আছে কি না? নফল সালাত থাকলে বলবেন, এ নফল সালাত দ্বারা ফরয সালাত পূর্ণ করে দাও।
باب المحاسبة على الصلاة
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قال: حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، قال: أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ الْأَزْرَقِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْيَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: أَوَّلُ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ صَلَاتُهُ، فَإِنْ كَانَ أَكْمَلَهَا، وَإِلَّا قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: انْظُرُوا لِعَبْدِي مِنْ تَطَوُّعٍ، فَإِنْ وُجِدَ لَهُ تَطَوُّعٌ، قَالَ: أَكْمِلُوا بِهِ الْفَرِيضَةَ .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائی، (تحفة الأشراف: ۱۴۸۱۸)، مسند احمد ۴/۱۰۳ (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 468 - صحيح
9. Being Brought To Account For The Salah
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said: The first thing for which a person will be brought to account will be his Salah. If it is complete (all well and good), otherwise Allah will say: 'Look and see if My slave did any voluntary prayer.' If he is found to have done voluntary prayers, his obligatory prayers will be completed therewith.