পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭১৬৬। শায়বান ইবনু ফররুখ (রহঃ) ... খালিদ ইবনু উমায়র আদাবী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উকবা ইবনু গাযওয়ান (রাঃ) একদা আমাদের মাঝে ভাষণ দিলেন এবং প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও গুনকীর্তন করে বললেন, আম্মা বাদ! দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবার সংবাদ দিয়েছে। দুনিয়ার সামান্য কিছু বাকী রয়েছে, যেমন খানার পর বরতনে কিছু খাদ্য উচ্ছিষ্ট থকে, যা ভক্ষণকারী রেখে দেয়। একদিন এ দুনিয়া ছেড়ে তোমরা অবিনশ্বর জগতের দিকে রওয়ানা করবে। সুতরাং তোমরা ভবিষ্যতের জন্য কিছু নেকী নিয়ে রওয়ানা কর। কেননা আমাকে বলা হয়েছে যে, জাহান্নামের এক কোণে একটি পাথর নিক্ষেপ করা হবে, অতঃপর তা সত্তর বছর পর্যন্ত ক্রমাগতভাবে যেতে থাকবে, তথাপিও উহা তার তলদেশে পৌছতে পারবে না। আল্লাহর শপথ! জাহান্নাম পূর্ণ হয়ে যাবে। তোমরা কি এতে বিস্ময় বোধ করছ? এবং আমার নিকট এও বর্ণনা করা হয়েছে যে, জান্নাতের দুই পাল্লার মাঝে চল্লিশ বছরের সফরের পথ।
অচিরেই একদিন এমন আসবে, যখন উহা মানুষের ভীড়ে পরিপূর্ণ থাকবে। আমি আমার প্রতি লক্ষ্য করেছি যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথী সাত ব্যক্তির সপ্তম জন ছিলাম। তখন আমাদের নিকট গাছের পাতা ব্যতীত আর কোন খাদ্যই ছিল না। ফলে আমাদের চোয়ালে ঘা হয়ে গেল। এ সময় আমি একটি চাঁদর পেয়েছিলাম। অতঃপর আমার ও সা’দ ইবনু মালিকের জন্য আমি তাকে দু’টুকরা করে নেই। এক টুকরা দিয়ে আমি লুঙ্গি বানিয়েছি এবং অপর টুকরা দিয়ে লুঙ্গি বানিয়েছে সা’দ ইবনু মালিক (রাঃ)।
আজ আমাদের সকলেই কোন না কোন শহরের আমীর। অতঃপর তিনি বলেন, আমি আমার নিকট বড় এবং আল্লাহর নিকট ছোট হওয়া থেকে আল্লাহর পানাহ চাই। সমস্ত পয়গাম্বরের নবুয়্যাতই এক পর্যায়ে নির্বাপিত হয়ে পড়েছে। অবশেষে উহা বাদশাহীর রূপ পরিগ্রহ করেছে। আমাদের পর আগমনকারী আমীর-উমারাদের সংবাদ তোমরা অচিরেই পাবে এবং তাদেরকে যাচাই করতে পারবে।
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عُمَيْرٍ الْعَدَوِيِّ، قَالَ خَطَبَنَا عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ الدُّنْيَا قَدْ آذَنَتْ بِصُرْمٍ وَوَلَّتْ حَذَّاءَ وَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا إِلاَّ صُبَابَةٌ كَصُبَابَةِ الإِنَاءِ يَتَصَابُّهَا صَاحِبُهَا وَإِنَّكُمْ مُنْتَقِلُونَ مِنْهَا إِلَى دَارٍ لاَ زَوَالَ لَهَا فَانْتَقِلُوا بِخَيْرِ مَا بِحَضْرَتِكُمْ فَإِنَّهُ قَدْ ذُكِرَ لَنَا أَنَّ الْحَجَرَ يُلْقَى مِنْ شَفَةِ جَهَنَّمَ فَيَهْوِي فِيهَا سَبْعِينَ عَامًا لاَ يُدْرِكُ لَهَا قَعْرًا وَوَاللَّهِ لَتُمْلأَنَّ أَفَعَجِبْتُمْ وَلَقَدْ ذُكِرَ لَنَا أَنَّ مَا بَيْنَ مِصْرَاعَيْنِ مِنْ مَصَارِيعِ الْجَنَّةِ مَسِيرَةُ أَرْبَعِينَ سَنَةً وَلَيَأْتِيَنَّ عَلَيْهَا يَوْمٌ وَهُوَ كَظِيظٌ مِنَ الزِّحَامِ وَلَقَدْ رَأَيْتُنِي سَابِعَ سَبْعَةٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَنَا طَعَامٌ إِلاَّ وَرَقُ الشَّجَرِ حَتَّى قَرِحَتْ أَشْدَاقُنَا فَالْتَقَطْتُ بُرْدَةً فَشَقَقْتُهَا بَيْنِي وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ فَاتَّزَرْتُ بِنِصْفِهَا وَاتَّزَرَ سَعْدٌ بِنِصْفِهَا فَمَا أَصْبَحَ الْيَوْمَ مِنَّا أَحَدٌ إِلاَّ أَصْبَحَ أَمِيرًا عَلَى مِصْرٍ مِنَ الأَمْصَارِ وَإِنِّي أَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ أَكُونَ فِي نَفْسِي عَظِيمًا وَعِنْدَ اللَّهِ صَغِيرًا وَإِنَّهَا لَمْ تَكُنْ نُبُوَّةٌ قَطُّ إِلاَّ تَنَاسَخَتْ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَاقِبَتِهَا مُلْكًا فَسَتَخْبُرُونَ وَتُجَرِّبُونَ الأُمَرَاءَ بَعْدَنَا .
'Umair al-'Adawi reported:
'Utba b. Ghazwan delivered us a sermon and he praised Allah and lauded Him, then said: Now coming to the point, verily the world has been given the news of its end and that too quite early. Nothing would be left out of it but only water left in the utensil which its owner leaves, and you are going to shift to an abode which knows no end, and you should shift with the good before you, for we have been told that a stone would be thrown at one side of the Hell and it would go down even for seventy years but would not be able to reach its bottom. By Allah, it would be fully packed. Do you find it something strange, and it has been mentioned that there yawns a distance which one would be able to cover in forty years from one end to another of Paradise, and a day would come when it would be fully packed and you must be knowing that I was the seventh amongst seven who had been with Allah's Messenger (ﷺ) and we had nothing to eat but the leaves of the tree until the corners of the mouth were injured. We found a sheet which we tore in two and divided between myself and Sa'd b. Malik. I made the lower garment with halt of it and so did Sa'd make the lower garment with half of it and today there is none amongst us who has not become the governor of a city from amongst the cities (of the Islamic Commonwealth) and I seek refuge with Allah that I should consider myself great whereas I am insignificant in the eye of Allah. Prophethood does not remain for ever and its impact fades with the result that it changes eventually into kingship, and you would soon come to know and experience those rulers who would come after us and see (how far they are from religion).
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭১৬৭। ইসহাক ইবনু উমার ইবনু সালীত (রহঃ) ... খালিদ ইবনু উমায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি জাহেলী যুগ পেয়েছিলেন, খালিদ (রহঃ) বলেন, (একদা) উতবা ইবনু গাযওয়ান (রাঃ) বক্তৃতা দিলেন। তখন তিনি বসরার আমীর ছিলেন। অতঃপর ইসহাক সুত্রে শায়বানের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ عُمَرَ بْنِ سَلِيطٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ، هِلاَلٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عُمَيْرٍ، وَقَدْ أَدْرَكَ الْجَاهِلِيَّةَ قَالَ خَطَبَ عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى الْبَصْرَةِ . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ شَيْبَانَ .
Khalid b. 'Umair reported and he had seen the pre-Islamic days also, that 'Uqba b. Ghazwan delivered this address and he was the governor of Basra. The rest of the hadith is the same as transmitted by Shaiban.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭১৬৮। আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল আলা (রহঃ) ... খালিদ ইবনু উমায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উতবা ইবনু গাযওয়ান (রাঃ) কে একথা বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন, এক সময় আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথী সাতজনের সপ্তম ব্যক্তি রূপে দেখেছি, তখন হুবলা বৃক্ষের পাতা ব্যতীত আমাদের কোন খাদ্য ছিল না। পাতা খেতে খেতে অবশেষে আমাদের চোয়ালে ঘা হয়ে যায়।
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ قُرَّةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ حُمَيْدِ، بْنِ هِلاَلٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُتْبَةَ بْنَ غَزْوَانَ، يَقُولُ لَقَدْ رَأَيْتُنِي سَابِعَ سَبْعَةٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا طَعَامُنَا إِلاَّ وَرَقُ الْحُبْلَةِ حَتَّى قَرِحَتْ أَشْدَاقُنَا .
Khalid b. Umair reported:
I heard Uqba b. Ghazwan as saving: I found myself as the seventh amongst the seven who had been along with Allah's Messenger (ﷺ). We had nothing to eat but the leaves of hubla (a wild tree) until the corners of our mouths were injured.
পরিচ্ছেদঃ ৫৬: উপবাস, রুক্ষ ও নীরস জীবন যাপন করা, পানাহার ও পোশাক ইত্যাদি মনোরঞ্জনমূলক বস্তুতে অল্পে তুষ্ট হওয়া এবং প্রবৃত্তির দাসত্ব বর্জন করার মাহাত্ম্য
৮/৫০৩। খালেদ ইবনে উমাইর আদাবী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, একদা বাসরার গভর্নর উতবাহ ইবনে গাযওয়ান খুতবাহ দিলেন। তিনি (খুতবায় সর্বপ্রথমে) আল্লাহর প্রশংসা করলেন, অতঃপর বললেন, ’আম্মা বাদ! নিশ্চয় দুনিয়া তার ধ্বংসের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে এবং সে মুখ ফিরিয়ে দ্রুতগতিতে পলায়নমান আছে। এখন তার (বয়স) পাত্রের তলায় অবশিষ্ট পানীয়ের মত বাকী রয়ে গেছে, যা পাত্রের মালিক (সবশেষে) পান করে। (আর তোমরা এ দুনিয়া থেকে এমন (আখেরাতের) গৃহের দিকে প্রত্যাবর্তন করছ যার ক্ষয় নেই, সুতরাং তোমরা তোমাদের সামনের উত্তম জিনিস নিয়ে প্রত্যাবর্তন কর।
কারণ, আমাদেরকে জানানো হয়েছে যে, জাহান্নামের উপর কিনারা থেকে একটি পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে, তা ওর মধ্যে সত্তর বছর পর্যন্ত পড়তে থাকবে, তবুও তা তার গভীরতায় (শেষ প্রান্তে) পৌঁছতে পারবে না। আল্লাহর কসম! জাহান্নামকে (মানুষ দিয়ে) পরিপূর্ণ করে দেওয়া হবে। তোমরা এটা আশ্চর্য মনে করছ? আর আমাদেরকে এও জানানো হয়েছে যে, জান্নাতের দুয়ারের দু’টি চৌকাঠের মধ্যভাগের দূরত্ব চল্লিশ বছরের পথ। তার উপর এমন এক দিন আসবে যে, তাতে লোকের ভিড়ে পরিপূর্ণ থাকবে।
আমি (ইসলাম প্রচারের শুরুতে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সাত জনের মধ্যে একজন ছিলাম। (তখন আমাদের এ অবস্থা ছিল যে,) গাছের পাতা ছাড়া আমাদের অন্য কিছুই খাবার ছিল না। এমনকি (তা খেয়ে) আমাদের কশে ঘা হয়ে গেল। (সে সময়) আমি একখানি চাদর কুড়িয়ে পেলাম, অতঃপর তা আমি দু’টুকরো করে আমার এবং সা’দ ইবনে খালেদের মধ্যে ভাগ করে নিলাম। তারপর আমি তার অর্ধেকটাকে লুঙ্গী বানিয়ে পরলাম এবং সা’দও অর্ধেক লুঙ্গী বানিয়ে পরলেন। কিন্তু আজ আমাদের মধ্যে প্রত্যেকেই কোন না কোন শহরের শাসনকর্তা হয়ে আছে। আর আমি নিজের কাছে বড় এবং আল্লাহর কাছে ছোট হওয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (মুসলিম) [1]
بَابُ فَضْلِ الْجُوْعِ وَخُشُوْنَةِ الْعَيْشِ وَالْاِقْتِصَارِ عَلَى الْقَلِيْلِ مِنَ الْمَأْكُوْلِ وَالْمَشْرُوْبِ وَالْمَلْبُوْسِ وَغَيْرِهَا مِنْ حُظُوْظِ النَّفْسِ وَتَرْكِ الشَّهَوَاتِ - (56)
وَعَن خَالِدِ بنِ عُمَيْرٍ العَدَوِيِّ، قَالَ: خَطَبَنَا عُتْبَةُ بنُ غَزْوَانَ، وَكَانَ أمِيراً عَلَى البَصْرَةِ، فَحَمِدَ الله وَأثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ الدُّنْيَا قَدْ آذَنَتْ بِصُرْمٍ، وَوَلَّتْ حَذَّاءَ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا إِلاَّ صُبَابَةٌ كَصُبَابَةِ الإنَاءِ يَتَصَابُّهَا صَاحِبُهَا، وَإِنَّكُمْ مُنْتَقِلُونَ مِنْهَا إِلَى دَارٍ لاَ زَوَالَ لَهَا، فَانْتَقِلُوا بِخَيرِ مَا بِحَضْرَتِكُمْ، فَإِنَّهُ قَدْ ذُكِرَ لَنَا أنَّ الحَجَرَ يُلْقَى مِنْ شَفِيرِ جَهَنَّمَ فَيَهْوِي فِيهَا سَبْعِينَ عَاماً، لاَ يُدْرِكُ لَهَا قَعْراً، وَاللهِ لَتُمْلأَنَّ أَفَعَجِبْتُمْ ؟! وَلَقدْ ذُكِرَ لَنَا أنَّ مَا بَيْنَ مِصْرَاعَيْنِ مِنْ مَصَارِيعِ الْجَنَّةِ مَسيرَةُ أرْبَعِينَ عَاماً، وَليَأتِيَنَّ عَلَيْهَا يَوْمٌ وَهُوَ كَظِيظٌ مِنَ الزِّحَامِ، وَلَقَدْ رَأيْتُنِي سَابعَ سَبْعَةٍ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، مَا لَنَا طَعَامٌ إِلاَّ وَرَقُ الشَّجَرِ، حَتَّى قَرِحَتْ أشْدَاقُنَا، فَالتَقَطْتُ بُرْدَةً فَشَقَقْتُهَا بَيْنِي وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ، فاتَّزَرْتُ بِنِصْفِهَا، وَاتَّزَرَ سَعْدٌ بِنِصْفِهَا، فَمَا أصْبَحَ اليَوْمَ مِنَّا أحَدٌ إِلاَّ أَصْبَحَ أمِيراً عَلَى مِصرٍ مِنَ الأَمْصَارِ، وَإنِّي أعُوذُ بِاللهِ أنْ أكُونَ فِي نَفْسِي عَظِيماً، وَعِنْدَ اللهِ صَغِيراً . رواه مسلم
(56) Chapter: Excellence of Simple Living and being Content with Little
Khalid bin 'Umar Al-'Adawi reported:
'Utbah bin Ghazwan, the governor of Basrah, delivered a Khutbah. He praised Allah, glorified Him, then said: "Amma b'adu, verily, the world has been given the news of its end and is running to meet its end swiftly. Nothing is left out of it but a very little amount. Similar to the remainder in a dish whose owner is collecting it to drink; and you are going to move to an abode which knows no end, and you should proceed there with the good before you, for we have been informed (by the Prophet (ﷺ)) that a stone would be thrown at one side of the Hell and it would travel down for seventy years but would not reach its bottom. By Allah, it will be filled (with men and jinn). Do you find it strange? We have been informed (i.e., by the Prophet (ﷺ)) that the distance between two shutters of the gate of Jannah is forty years (distance). And a day would come when it would be fully packed; I was the seventh amongst the seven who had been with Messenger of Allah (ﷺ), and we had nothing to eat but the leaves of the tree until the sides of our mouth were injured. We found a sheet which we tore into two and divided between myself and Sa'd bin Malik. I made the lower garment with half of it and so did Sa'd. Today, there is none amongst us who has not become the governor of a city, and I seek refuge with Allah that I should consider myself great while I am insignificant to Allah."
[Muslim].
Commentary: This Hadith brings the following points into prominence:
1. Remembrance of Al-akhirah (the Hereafter) and the torment of Hell.
2. Description of the fast decline of the world and its trend towards destruction.
3. Description of the vastness of Jannah and Hell.
4. Reference to the affluence of the Companions of the Prophet (PBUH) which they had at a subsequent stage. It was in fact fulfillment of the Promise of Allah that He will bestow upon them power and majesty in this world.
5. The description of the graceful conduct of the Companions of the Prophet (PBUH). In spite of having power and authority, they had neither arrogance nor pride. Goodwill and humility were special traits of their character and they always sought refuge with Allah against vanity and pride.
6. The Companions of the Prophet (PBUH) had sought to gain the pleasure of Allah rather than that of the people.
7. Humbleness of the Companions of the Prophet (PBUH), as well as their good conduct and uprightness despite being in a position of authority.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩২৫–(১৪/২৯৬৭) শাইবান ইবনু ফাররূখ (রহঃ) ..... খালিদ ইবনু উমায়র আল আদাবী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উতবাহ ইবনু গাযওয়ান (রাযিঃ) একদিন আমাদের মাঝে বস্তৃতা দিলেন এবং প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করে বললেন, অতঃপর বলেছেন- পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবার সংবাদ দিয়েছে ও শীঘ্রই বিদায় নিচ্ছে। পৃথিবীর কিয়দংশ অবশিষ্ট রয়েছে, যেমন আহারের পর পাত্রের মধ্যে কিছু খাদ্য অবশিষ্ট থেকে, যা ভক্ষণকারী রেখে দেয়। একদিন এ দুনিয়া পরিত্যাগ করে তোমরা স্থায়ী জগতের দিকে রওয়ানা করবে। অতএব তোমরা ভবিষ্যতের জন্য কিছু পুণ্য নিয়ে রওনা করো। কেননা আমাদের সম্মুখে আলোচনা করা হয়েছে যে, জাহান্নামের এক কোণে একটি পাথর নিক্ষেপ করা হবে, তারপর সেটা সত্তর বছর পর্যন্ত ক্রমাগতভাবে যেতে থাকবে, তথাপিও সেটা তার তলদেশে গিয়ে পৌছতে পারবে না। আল্লাহর কসম জাহান্নাম পূর্ণ হয়ে যাবে। তোমরা কি এতে আশ্চর্যাম্বিত হচ্ছ? এবং আমার নিকট এটাও বর্ণনা করা হয়েছে যে, জান্নাতের এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত চল্লিশ বছরের পথ। শীঘ্রই একদিন এমন আসবে, যখন সেটা মানুষের ভিড়ে পরিপূর্ণতা লাভ করবে।
আমি নিজেকে দেখেছি যে, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গী সাত ব্যক্তির সপ্তমজন ছিলাম। তখন আমাদের কাছে বৃক্ষের পাতা ছাড়া আর কোন খাবারই ছিল না। ফলে আমাদের চোয়ালে ঘা হয়ে গেল। এ সময় আমি একটি চাদর পেয়েছিলাম। অতঃপর আমার ও সা’দ ইবনু মালিক এর জন্য আমি সেটাকে দু’ টুকরো করে নেই। এক টুকরো দিয়ে আমি লুঙ্গি বানিয়েছি এবং আরেক টুকরোটি দিয়ে লুঙ্গি বানিয়েছে সাদ ইবনু মালিক (রাযিঃ)। আজ আমাদের সকলেই কোন না কোন শহরের আমীর। এরপর তিনি বলেন, আমি আমার কাছে বড় এবং আল্লাহর কাছে ছোট হওয়া থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। সকল নবীদের নাবুওয়াতই এক পর্যায়ে শেষ হয়ে যাবে। পরিশেষে সেটা রাজতন্ত্রে রূপ নিবে। আমার পর আগমনকারী আমীর-উমারাদের খবর তোমরা শীঘ্রই পাবে এবং তাদেরকে পরীক্ষা করে নিবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৬৬, ইসলামিক সেন্টার ৭২১৯)
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عُمَيْرٍ الْعَدَوِيِّ، قَالَ خَطَبَنَا عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ الدُّنْيَا قَدْ آذَنَتْ بِصُرْمٍ وَوَلَّتْ حَذَّاءَ وَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا إِلاَّ صُبَابَةٌ كَصُبَابَةِ الإِنَاءِ يَتَصَابُّهَا صَاحِبُهَا وَإِنَّكُمْ مُنْتَقِلُونَ مِنْهَا إِلَى دَارٍ لاَ زَوَالَ لَهَا فَانْتَقِلُوا بِخَيْرِ مَا بِحَضْرَتِكُمْ فَإِنَّهُ قَدْ ذُكِرَ لَنَا أَنَّ الْحَجَرَ يُلْقَى مِنْ شَفَةِ جَهَنَّمَ فَيَهْوِي فِيهَا سَبْعِينَ عَامًا لاَ يُدْرِكُ لَهَا قَعْرًا وَوَاللَّهِ لَتُمْلأَنَّ أَفَعَجِبْتُمْ وَلَقَدْ ذُكِرَ لَنَا أَنَّ مَا بَيْنَ مِصْرَاعَيْنِ مِنْ مَصَارِيعِ الْجَنَّةِ مَسِيرَةُ أَرْبَعِينَ سَنَةً وَلَيَأْتِيَنَّ عَلَيْهَا يَوْمٌ وَهُوَ كَظِيظٌ مِنَ الزِّحَامِ وَلَقَدْ رَأَيْتُنِي سَابِعَ سَبْعَةٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَنَا طَعَامٌ إِلاَّ وَرَقُ الشَّجَرِ حَتَّى قَرِحَتْ أَشْدَاقُنَا فَالْتَقَطْتُ بُرْدَةً فَشَقَقْتُهَا بَيْنِي وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ فَاتَّزَرْتُ بِنِصْفِهَا وَاتَّزَرَ سَعْدٌ بِنِصْفِهَا فَمَا أَصْبَحَ الْيَوْمَ مِنَّا أَحَدٌ إِلاَّ أَصْبَحَ أَمِيرًا عَلَى مِصْرٍ مِنَ الأَمْصَارِ وَإِنِّي أَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ أَكُونَ فِي نَفْسِي عَظِيمًا وَعِنْدَ اللَّهِ صَغِيرًا وَإِنَّهَا لَمْ تَكُنْ نُبُوَّةٌ قَطُّ إِلاَّ تَنَاسَخَتْ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَاقِبَتِهَا مُلْكًا فَسَتَخْبُرُونَ وَتُجَرِّبُونَ الأُمَرَاءَ بَعْدَنَا .
'Umair al-'Adawi reported:
'Utba b. Ghazwan delivered us a sermon and he praised Allah and lauded Him, then said: Now coming to the point, verily the world has been given the news of its end and that too quite early. Nothing would be left out of it but only water left in the utensil which its owner leaves, and you are going to shift to an abode which knows no end, and you should shift with the good before you, for we have been told that a stone would be thrown at one side of the Hell and it would go down even for seventy years but would not be able to reach its bottom. By Allah, it would be fully packed. Do you find it something strange, and it has been mentioned that there yawns a distance which one would be able to cover in forty years from one end to another of Paradise, and a day would come when it would be fully packed and you must be knowing that I was the seventh amongst seven who had been with Allah's Messenger (ﷺ) and we had nothing to eat but the leaves of the tree until the corners of the mouth were injured. We found a sheet which we tore in two and divided between myself and Sa'd b. Malik. I made the lower garment with halt of it and so did Sa'd make the lower garment with half of it and today there is none amongst us who has not become the governor of a city from amongst the cities (of the Islamic Commonwealth) and I seek refuge with Allah that I should consider myself great whereas I am insignificant in the eye of Allah. Prophethood does not remain for ever and its impact fades with the result that it changes eventually into kingship, and you would soon come to know and experience those rulers who would come after us and see (how far they are from religion).
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩২৬-(…/...) ইসহাক ইবনু উমার ইবনু সালীত (রহঃ) ..... খালিদ ইবনু উমায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি জাহিলী যুগ পেয়েছিলেন, খালিদ (রহঃ) বলেন, একদিন উতবাহ ইবনু গাযওয়ান (রাযিঃ) ভাষণ দিলেন। তখন তিনি বাসরার শাসনকর্তা ছিলেন। অতঃপর ইসহাক সূত্রে শাইবান এর অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৬৭, ইসলামিক সেন্টার ৭২২০)
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ عُمَرَ بْنِ سَلِيطٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ، هِلاَلٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عُمَيْرٍ، وَقَدْ أَدْرَكَ الْجَاهِلِيَّةَ قَالَ خَطَبَ عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى الْبَصْرَةِ . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ شَيْبَانَ .
Khalid b. 'Umair reported and he had seen the pre-Islamic days also, that 'Uqba b. Ghazwan delivered this address and he was the governor of Basra. The rest of the hadith is the same as transmitted by Shaiban.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩২৭-(১৫/...) আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল ’আলী (রহঃ) ..... খালিদ ইবনু উমায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উতবাহ ইবনু গাযওয়ান (রাযিঃ) কে এ কথা বলতে শুনলাম যে, তিনি বলেন, এক সময় আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গী সাতজনের সপ্তম ব্যক্তি ছিলাম, তখন হুবলাহ গাছের পাতা ছাড়া আমাদের কোন খাবার ছিল না। পাতা খেতে খেতে অবশেষে আমাদের মুখে ঘা হয়ে যায়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৬৮, ইসলামিক সেন্টার ৭২২১)
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ قُرَّةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ حُمَيْدِ، بْنِ هِلاَلٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُتْبَةَ بْنَ غَزْوَانَ، يَقُولُ لَقَدْ رَأَيْتُنِي سَابِعَ سَبْعَةٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا طَعَامُنَا إِلاَّ وَرَقُ الْحُبْلَةِ حَتَّى قَرِحَتْ أَشْدَاقُنَا .
Khalid b. Umair reported:
I heard Uqba b. Ghazwan as saving: I found myself as the seventh amongst the seven who had been along with Allah's Messenger (ﷺ). We had nothing to eat but the leaves of hubla (a wild tree) until the corners of our mouths were injured.
পরিচ্ছেদঃ উপবাস, রুক্ষ ও নীরস জীবন যাপন করা, পানাহার ও পোশাক ইত্যাদি মনোরঞ্জনমূলক বস্ত্ততে অল্পে তুষ্ট হওয়া এবং প্রবৃত্তির দাসত্ব বর্জন করার মাহাত্ম্য
(৩৩৫) খালেদ ইবনে উমাইর আদাবী (রাঃ) বলেন, একদা বাসরার গভর্নর উতবাহ ইবনে গাযওয়ান খুতবাহ দিলেন। তিনি (খুতবায় সর্বপ্রথমে) আল্লাহর প্রশংসা করলেন, অতঃপর বললেন, ’আম্মা বাদ! নিশ্চয় দুনিয়া তার ধ্বংসের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে এবং সে মুখ ফিরিয়ে দ্রুতগতিতে পলায়মান আছে। এখন তার (বয়স) পাত্রের তলায় অবশিষ্ট পানীয়র মত বাকী রয়ে গেছে, যা পাত্রের মালিক (সবশেষে) পান করে। (আর তোমরা এ দুনিয়া থেকে এমন (পরকালের) গৃহের দিকে প্রত্যাবর্তন করছ যার ক্ষয় নেই, সুতরাং তোমরা তোমাদের সামনের উত্তম জিনিস নিয়ে প্রত্যাবর্তন কর।
কারণ, আমাদেরকে জানানো হয়েছে যে, জাহান্নামের উপর কিনারা থেকে একটি পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে, তা ওর মধ্যে সত্তর বছর পর্যন্ত পড়তে থাকবে, তবুও তা তার গভীরতায় (শেষ প্রান্তে) পৌঁছতে পারবে না। আল্লাহর কসম! জাহান্নামকে (মানুষ দিয়ে) পরিপূর্ণ করে দেওয়া হবে। তোমরা এটা আশ্চর্য মনে করছ? আর আমাদেরকে এও জানানো হয়েছে যে, জান্নাতের দুয়ারের দু’টি চৌকাঠের মধ্যভাগের দূরত্ব চল্লিশ বছরের পথ। তার উপর এমন এক দিন আসবে যে, তাতে লোকের ভিড়ে পরিপূর্ণ থাকবে।
আমি (ইসলাম প্রচারের শুরুতে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সাত জনের মধ্যে একজন ছিলাম। (তখন আমাদের এ অবস্থা ছিল যে,) গাছের পাতা ছাড়া আমাদের অন্য কিছুই খাবার ছিল না। এমনকি (তা খেয়ে) আমাদের কশে ঘা হয়ে গেল। (সে সময়) আমি একখানি চাদর কুড়িয়ে পেলাম, অতঃপর তা আমি দু’টুকরো করে আমার এবং সা’দ ইবনে খালেদের মধ্যে ভাগ করে নিলাম। তারপর আমি তার অর্ধেকটাকে লুঙ্গী বানিয়ে পরলাম এবং সা’দও অর্ধেক লুঙ্গী বানিয়ে পরলেন। কিন্তু আজ আমাদের মধ্যে প্রত্যেকেই কোন না কোন শহরের শাসনকর্তা হয়ে আছে। আর আমি নিজের কাছে বড় এবং আল্লাহর কাছে ছোট হওয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
وَعَن خَالِدِ بنِ عُمَيْرٍ العَدَوِيِّ قَالَ: خَطَبَنَا عُتْبَةُ بنُ غَزْوَانَ وَكَانَ أمِيراً عَلَى البَصْرَةِ فَحَمِدَ الله وَأثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ الدُّنْيَا قَدْ آذَنَتْ بِصُرْمٍ وَوَلَّتْ حَذَّاءَ وَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا إِلاَّ صُبَابَةٌ كَصُبَابَةِ الإنَاءِ يَتَصَابُّهَا صَاحِبُهَا وَإِنَّكُمْ مُنْتَقِلُونَ مِنْهَا إِلَى دَارٍ لاَ زَوَالَ لَهَا فَانْتَقِلُوا بِخَيرِ مَا بِحَضْرَتِكُمْ فَإِنَّهُ قَدْ ذُكِرَ لَنَا أنَّ الحَجَرَ يُلْقَى مِنْ شَفِيرِ جَهَنَّمَ فَيَهْوِي فِيهَا سَبْعِينَ عَاماً لاَ يُدْرِكُ لَهَا قَعْراً وَاللهِ لَتُمْلأَنَّ أَفَعَجِبْتُمْ وَلَقدْ ذُكِرَ لَنَا أنَّ مَا بَيْنَ مِصْرَاعَيْنِ مِنْ مَصَارِيعِ الْجَنَّةِ مَسيرَةُ أرْبَعِينَ عَاماً وَليَأتِيَنَّ عَلَيْهَا يَوْمٌ وَهُوَ كَظِيظٌ مِنَ الزِّحَامِ وَلَقَدْ رَأيْتُنِي سَابعَ سَبْعَةٍ مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ مَا لَنَا طَعَامٌ إِلاَّ وَرَقُ الشَّجَرِ حَتَّى قَرِحَتْ أشْدَاقُنَا فَالتَقَطْتُ بُرْدَةً فَشَقَقْتُهَا بَيْنِي وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ فاتَّزَرْتُ بِنِصْفِهَا وَاتَّزَرَ سَعْدٌ بِنِصْفِهَا فَمَا أصْبَحَ اليَوْمَ مِنَّا أحَدٌ إِلاَّ أَصْبَحَ أمِيراً عَلَى مِصرٍ مِنَ الأَمْصَارِ وَإنِّي أعُوذُ بِاللهِ أنْ أكُونَ فِي نَفْسِي عَظِيماً وَعَندَ اللهِ صَغِيراً رواه مسلم