পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩০৭-(১/২৯৫৬) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুনিয়া মুমিনের জন্য কয়েদখানা [কারাগার] এবং কাফিরের জন্য জান্নাততুল্য। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৪৯, ইসলামিক সেন্টার ৭২০১)
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ " .
Abu Huraira reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
The world is a prison-house for a believer and Paradise for a non-believer.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩০৮-(২/২৯৫৭) আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামাহ্ ইবনু কা’নাব (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আলিয়াহ অঞ্চল থেকে মদীনায় আসার পথে এক বাজার দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। এ সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উভয় পাশে বেশ লোকজন ছিল। যেতে যেতে তিনি ক্ষুদ্র কান বিশিষ্ট একটি মৃত বকরীর বাচ্চার পাশ দিয়ে যেতে তার কাছে গিয়ে এর কান ধরে বললেন, তোমাদের কেউ কি এক দিরহাম দিয়ে এটা ক্রয় করতে আগ্রহী। তখন উপস্থিত লোকেরা বললেন, কোন কিছুর বদৌলতে আমরা এটা নিতে আগ্রহী নই এবং এটি নিয়ে আমরা কি করব? তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বিনা পয়সায় তোমরা কি সেটা নিতে আগ্রহী? তারা বললেন, এ যদি জীবিত হত তবুও তো এটা দোষী। কেননা এর কান হচ্ছে ছোট ছোট। আর এখন তো সেটা মৃত, আমরা কিভাবে তা গ্রহণ করব? অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! এ তোমাদের কাছে যতটা নগণ্য, আল্লাহর কাছে দুনিয়া এর তুলনায় আরও বেশি নগণ্য। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৫০, ইসলামিক সেন্টার ৭২০২)
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِالسُّوقِ دَاخِلاً مِنْ بَعْضِ الْعَالِيَةِ وَالنَّاسُ كَنَفَتَهُ فَمَرَّ بِجَدْىٍ أَسَكَّ مَيِّتٍ فَتَنَاوَلَهُ فَأَخَذَ بِأُذُنِهِ ثُمَّ قَالَ " أَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنَّ هَذَا لَهُ بِدِرْهَمٍ " . فَقَالُوا مَا نُحِبُّ أَنَّهُ لَنَا بِشَىْءٍ وَمَا نَصْنَعُ بِهِ قَالَ " أَتُحِبُّونَ أَنَّهُ لَكُمْ " . قَالُوا وَاللَّهِ لَوْ كَانَ حَيًّا كَانَ عَيْبًا فِيهِ لأَنَّهُ أَسَكُّ فَكَيْفَ وَهُوَ مَيِّتٌ فَقَالَ " فَوَاللَّهِ لَلدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللَّهِ مِنْ هَذَا عَلَيْكُمْ " .
Jabir b. Abdullah reported that Allah's Apostle (ﷺ) happened to walk through the bazar coming from the side of 'Aliya and the people were on both his sides. There he found a dead lamb with very short ears. He took hold of his ear and said:
Who amongst you would like to have this for a dirham? They said: We do not like to have it even for less than that as it is of no use to us. He said: Do you wish to have it (free of any cost)? They said: By Allah, even if it were alive (we would not have liked to possess that), for there is defect in it as its ear is very short; now it is dead also. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: By Allah, this world is more insignificant in the eye of Allah than it (this dead lamb) is in your eye.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩০৯-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না আল আনাযী ও ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আরআরাহ আস্ সামী (রহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অবিকল বর্ণনা করেছেন। তবে আস্ সাকাফীর হাদীসের মধ্যে এ কথা বর্ধিত বর্ণিত রয়েছে যে, এটি যদি জীবিতও হত, তবুও ক্ষুদ্র কান বিশিষ্ট হওয়ায় একটি দোষণীয় ব্যাপার ছিল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৫১, ইসলামিক সেন্টার ৭২০৩)
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَرْعَرَةَ السَّامِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، - يَعْنِيَانِ الثَّقَفِيَّ - عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ الثَّقَفِيِّ فَلَوْ كَانَ حَيًّا كَانَ هَذَا السَّكَكُ بِهِ عَيْبًا .
Jabir reported Allah's Apostle (ﷺ) narrating a hadith like this with a slight variation of wording.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩১০-(৩/২৯৫৮) হাদ্দাব ইবনু খালিদ (রহঃ) ..... মুতাররিফ (রহঃ) এর পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসলাম। তখন তিনি সূরা أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ (আত তাকা-সুর) পাঠ করছিলেন। তিনি বললেন, আদম সন্তানগণ বলে, আমার মাল আমার সম্পদ। বস্তুতঃ হে আদম সন্তান! তোমার সম্পদ সেটা যা তুমি খেয়ে নিঃশেষ করে দিয়েছ, পরিধান করে পুরাতন করে ফেলেছ এবং দান করে খরচ করছো। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৫২, ইসলামিক সেন্টার ৭২০৪)
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَقْرَأُ ( أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ) قَالَ " يَقُولُ ابْنُ آدَمَ مَالِي مَالِي - قَالَ - وَهَلْ لَكَ يَا ابْنَ آدَمَ مِنْ مَالِكَ إِلاَّ مَا أَكَلْتَ فَأَفْنَيْتَ أَوْ لَبِسْتَ فَأَبْلَيْتَ أَوْ تَصَدَّقْتَ فَأَمْضَيْتَ " .
Mutarrif reported on the authority of his father:
I came to Allah's Apostle (ﷺ) as he was reciting:" Abundance diverts you" (cii. 1). He said: The son of Adam claims: My wealth, my wealth. And he (the Holy Prophet) said: O son of Adam. is there anything as your belonging except that which you consumed, which you utilised, or which you wore and then it was worn out or you gave as charity and sent it forward?
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩১১-(.../…) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) মুহাম্মাদ ইবনু জাফার এর সূত্রে এবং ইবনুল মুসান্না (রহঃ) মুআয ইবনু হিশাম এর সূত্রে ..... মুতাররিফ (রহঃ)-এর পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। এরপর তিনি হাম্মাম এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৫৩, ইসলামিক সেন্টার ৭২০৫)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، وَقَالاَ، جَمِيعًا حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبِي كُلُّهُمْ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ انْتَهَيْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . فَذَكَرَ بِمِثْلِ حَدِيثِ هَمَّامٍ .
Mutarrif reported on the authority of his father:
I went to Allah's Apostle (ﷺ). The rest of the hadith is the same.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩১২-(৪/২৯৫৯) সুওয়াইদ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বান্দাগণ বলে, আমার মাল আমার সম্পদ। অথচ তিনটিই হলো তার মাল, যা সে খেয়ে নিঃশেষ করে দিল। অথবা যা সে পরিধান করে পুরাতন করে দিল। কিংবা যা সে দান করল এবং সঞ্চয়* করল (*আখিরাতের প্রতিদান হিসাবে)। এছাড়া অবশিষ্টগুলো তার থেকে চলে যাবে এবং তা মানুষের জন্য রেখে যেতে হবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৫৪, ইসলামিক সেন্টার ৭২০৬)
حَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَقُولُ الْعَبْدُ مَالِي مَالِي إِنَّمَا لَهُ مِنْ مَالِهِ ثَلاَثٌ مَا أَكَلَ فَأَفْنَى أَوْ لَبِسَ فَأَبْلَى أَوْ أَعْطَى فَاقْتَنَى وَمَا سِوَى ذَلِكَ فَهُوَ ذَاهِبٌ وَتَارِكُهُ لِلنَّاسِ " .
Abu Huraira reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
A servant says, My wealth. my wealth, but out of his wealth three things are only his: whatever he eats and makes use of or by means of which he dresses himself and it wears out or he gives as charity, and this is what he stored for himself (as a reward for the Hereafter), and what is beyond this (it is of no use to you) because you are to depart and leave it for other people.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩১৩-(…/...) আবু বকর ইবনু ইসহাক (রহঃ) ..... ’আলা ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে এ সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৫৪, ইসলামিক সেন্টার ৭২০৭)
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
This hadith has been narrated on the authority of al-'Ala' b. 'Abd al-Rahman with the same chain of transmitters.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩১৪-(৫/২৯৬০) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আত তামীমী ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তির সাথীরূপে তার সঙ্গে যায়। অতঃপর দু’টি ফিরে আসে এবং একটি তার সঙ্গে থেকে যায়। সঙ্গে গমন করে পরিবার-পরিজন, ধন সম্পদ এবং তার ’আমল। তার জাতি গোষ্ঠী ও ধন-সম্পদ ফিরে আসে আর কেবল তার ’আমল থেকে যায়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৫৫, ইসলামিক সেন্টার ৭২০৮)
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَتْبَعُ الْمَيِّتَ ثَلاَثَةٌ فَيَرْجِعُ اثْنَانِ وَيَبْقَى وَاحِدٌ يَتْبَعُهُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَعَمَلُهُ فَيَرْجِعُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَيَبْقَى عَمَلُهُ " .
Anas b. Malik reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
Three things follow the bier of a dead man. Two of them come back and one is left with him: the members of his family, wealth and his good deeds. The members of his family and wealth come back and the deeds alone are left with him.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩১৫-(৬/২৯৬১) হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ..... বানু আমির ইবনু লুওয়াই এর চুক্তিবদ্ধ মিত্র ’আমর ইবনু আওফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। যিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বদর যুদ্ধে শারীক হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাযিঃ) কে বাহরাইনে জিযিয়া বা কর আদায় করতে পাঠিয়েছেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহরাইনবাসীদের সাথে সন্ধি করেছিলেন এবং তাদের জন্য আলা ইবনু আল হাযরামী (রাযিঃ) কে শাসনকর্তা নিয়োজিত করেছিলেন। এরপর আবু উবাইদাহ (রাযিঃ) বাহরাইন থেকে ধন-সম্পদ নিয়ে এলে, আনসার সাহাবাগণ তাঁর আগমন সংবাদ শুনল, তারপর তারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ফজরের সালাত আদায় করল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায়ন্তে মুখ ফিরিয়ে বসলে তারা তার কাছে উপস্থিত হলো।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে দেখে মুচকি হেসে বললেন, আমার মনে হচ্ছে আবূ উবাইদাহ বাহরাইন থেকে কিছু নিয়ে এসেছে, এ সংবাদ তোমরা শুনেছ? তারা বললেন, জী হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তিনি বললেন তাহলে তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করে যা তোমাদেরকে খুশী করবে আশা রাখো। আল্লাহর শপথ! তোমাদের উপর দারিদ্র্য ও অভাব-অনটনের আশঙ্কা আমি করি না। আমি তোমাদের ব্যাপারে এ আশঙ্কা করি যে, যেমনভাবে তোমাদের উপর প্রাচুর্য ও ঐশ্বর্য ঢেলে দেয়া হবে, যেমনিভাবে পূর্ববতীদের উপরও প্রাচুর্য ও ঐশ্বর্য ঢেলে দেয়া হয়েছিল। অতঃপর তোমরা তেমনিভাবে প্রতিযোগিতা করবে যেমন করে তারা প্রতিযোগিতা করেছে। পরিশেষে তোমাদেরকেও ধ্বংস করে দিবে যেমনিভাবে তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৫৬, ইসলামিক সেন্টার ৭২০৯)
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ حَرْمَلَةَ بْنِ عِمْرَانَ التُّجِيبِيَّ - أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَوْفٍ وَهُوَ حَلِيفُ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأْتِي بِجِزْيَتِهَا وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ صَالَحَ أَهْلَ الْبَحْرَيْنِ وَأَمَّرَ عَلَيْهِمُ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ فَقَدِمَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ فَسَمِعَتِ الأَنْصَارُ بِقُدُومِ أَبِي عُبَيْدَةَ فَوَافَوْا صَلاَةَ الْفَجْرِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ فَتَعَرَّضُوا لَهُ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ رَآهُمْ ثُمَّ قَالَ " أَظُنُّكُمْ سَمِعْتُمْ أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدِمَ بِشَىْءٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ " . فَقَالُوا أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " " فَأَبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ فَوَاللَّهِ مَا الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ . وَلَكِنِّي أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُبْسَطَ الدُّنْيَا عَلَيْكُمْ كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا وَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ " .
`Amr b. `Auf, who was an ally of Banu `Amir b. Luwayy (and he was one amongst them) who participated in Badr along with Allah's Messenger (ﷺ) reported that, Allah's Messenger (ﷺ) sent Abu `Ubaida b. Al-Jarrah to Bahrain for collecting Jizya and Allah's Messenger (ﷺ) had made a truce with the people of Bahrain and had appointed `Ala' b. Hadrami and Abu `Ubaida (for this purpose). They came with wealth from Bahrain and the Ansar heard about the arrival of Abu `Ubaida and they had observed the dawn prayer along with Allah's Messenger (ﷺ). When Allah's Messenger (ﷺ) had finished the prayer, they (the Ansar) came before him and Allah's Messenger (ﷺ) smiled as he saw them and then said:
I think you have heard about the arrival of Abu `Ubaida with goods from Bahrain. They said: Allah's Messenger, yes, it is so. Thereupon he said: Be happy and be hopeful of that which gives you delight. By Allah, it is not the poverty about which I fear in regard to you but I am afraid in your case that (the worldly) riches way be given to you as were given to those who had gone before you and you begin to vie with one another for them as they vied for them, and these may destroy you as these destroyed them.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩১৬-(…/...) হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী ও আবদ ইবনু হুমায়দ এবং আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান আদ দারিমী (রহঃ) ..... যুহরী (রহঃ) হতে ইউনুস এর সূত্রে অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে সালিহ (রহঃ) এর হাদিসর মধ্যে وَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ স্থানে وَتُلْهِيَكُمْ كَمَا أَلْهَتْهُمْ পরিশেষে তোমাদেরকে তাদের মতোই অমনোযোগী করে দিবে” কথাটি বর্ণিত আছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৫৭, ইসলামিক সেন্টার ৭২১০)
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، بْنِ سَعْدٍ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِ يُونُسَ وَمِثْلِ حَدِيثِهِ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ صَالِحٍ " وَتُلْهِيَكُمْ كَمَا أَلْهَتْهُمْ " .
This hadith has been narrated on the authority of Zuhri as reported by Yunus with a slight variation of wording.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩১৭-(৭/২৯৬২) আমর ইবনু আস্ সাওওয়াদ আল আমিরী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) এর সূত্রে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যখন রোম সাম্রাজ্য ও পারস্য (ইরান) সাম্রাজ্য তোমাদের অধিকারে আসবে তখন তোমরা কিরূপ সম্প্রদায় হবে? উত্তরে আবদুর রহমান ইবনু আওফ (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহ আমাদেরকে যেরূপ আদেশ করেছেন আমরা ঐরূপই বলব। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন অন্য কিছু কি বলবে না? তখন তোমরা পরস্পর ঈর্ষাপরায়ণ হবে, এরপর হিংসা করবে, অতঃপর সম্পর্ক ছিন্ন করবে, এরপর শত্রুতা করবে। কিংবা এরূপ কিছু কথা তিনি বলেছেন। অতঃপর তোমরা নিঃস্ব মুহাজির লোকেদের কাছে যাবে এবং একজনকে অপরের শাসনকর্তা নিযুক্ত করবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৫৮, ইসলামিক সেন্টার ৭২১১)
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ الْعَامِرِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ، الْحَارِثِ أَنَّ بَكْرَ بْنَ سَوَادَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ رَبَاحٍ - هُوَ أَبُو فِرَاسٍ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ - حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " إِذَا فُتِحَتْ عَلَيْكُمْ فَارِسُ وَالرُّومُ أَىُّ قَوْمٍ أَنْتُمْ " . قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ نَقُولُ كَمَا أَمَرَنَا اللَّهُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَوْ غَيْرَ ذَلِكَ تَتَنَافَسُونَ ثُمَّ تَتَحَاسَدُونَ ثُمَّ تَتَدَابَرُونَ ثُمَّ تَتَبَاغَضُونَ أَوْ نَحْوَ ذَلِكَ ثُمَّ تَنْطَلِقُونَ فِي مَسَاكِينِ الْمُهَاجِرِينَ فَتَجْعَلُونَ بَعْضَهُمْ عَلَى رِقَابِ بَعْضٍ " .
`Abdullah b. `Amr b. al-`As reported that Allah's Messenger (ﷺ) said:
How would you be, O people, when Persia and Rome would be conquered for you? `Abd ar-Rahman b `Auf said: We would say as Allah has commanded us and we would express our gratitude to Allah. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: Nothing else besides it? You would (in fact) vie with one another, then you would feel jealous, then your relations would be estranged and then you will bear enmity against one another, or something to the same effect. Then you would go to the poor emigrants and would make some the masters of the others.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩১৮-(৮/২৯৬৩) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ যদি ধন ও সৃষ্টিগত (সুন্দরের) দিক থেকে তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টিপাত করে তবে সে যেন সাথে সাথে তার চেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে, যাদের উপর তাকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৫৯, ইসলামিক সেন্টার ৭২১২)
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا وَقَالَ، يَحْيَى أَخْبَرَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِزَامِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا نَظَرَ أَحَدُكُمْ إِلَى مَنْ فُضِّلَ عَلَيْهِ فِي الْمَالِ وَالْخَلْقِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى مَنْ هُوَ أَسْفَلَ مِنْهُ مِمَّنْ فُضِّلَ عَلَيْهِ " .
Abu Huraira reported that Allah's Messenger (ﷺ) said:
When one of you looks at one who stands at a higher level than you in regard to wealth and physical structure he should also see one who stands at a lower level than you in regard to these things (in which he stands) at a higher level (as compared to him).
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩১৯-(…/...) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) এর সানাদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আবু যিনাদ এর অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৬০, ইসলামিক সেন্টার ৭২১৩)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي الزِّنَادِ سَوَاءً .
This hadith has been narrated on the authority of Abu Huraira through another chain of transmitters.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩২০-(৯/…) যুহায়র ইবনু হারব, আবূ কুরায়ব ও আবু বাকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের চেয়ে নিম্নস্তরের লোকেদের প্রতি দৃষ্টি দাও। তবে তোমাদের চেয়ে উঁচু স্তরের লোকেদের দিকে লক্ষ্য করো না। কেননা আল্লাহর নি’আমাতকে তুচ্ছ না ভাবার এটাই উত্তম পন্থা।
আবু মু’আবিয়ার বর্ণনায় فَوْقَكُمْ এর স্থলে عَلَيْكُمْ শব্দ বর্ধিত বর্ণিত আছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৬১, ইসলামিক সেন্টার ৭২১৪)
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " انْظُرُوا إِلَى مَنْ أَسْفَلَ مِنْكُمْ وَلاَ تَنْظُرُوا إِلَى مَنْ هُوَ فَوْقَكُمْ فَهُوَ أَجْدَرُ أَنْ لاَ تَزْدَرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ " . قَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ " عَلَيْكُمْ " .
Abu Huraira reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
Look at those who stand at a lower level than you but don't look at those who stand at a higher level than you, for this would make the favours (conferred upon you by Allah) insignificant (in your eyes). Abu Mu'awiya said: Upon you.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩২১-(১০/২৯৬৪) শাইবান ইবনু ফাররূখ (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ কথা বলতে শুনেছেন যে, বনী ইসরাঈলের মাঝে তিন লোক ছিল। একজন ছিল কুষ্ঠরোগী, দ্বিতীয়জন টাক মাথা বিশিষ্ট এবং তৃতীয়জন অন্ধ। আল্লাহ তা’আলা এ তিনজনকে পরীক্ষা করার ইচ্ছা করলেন। তাই তিনি তাদের কাছে একজন ফেরেশতা পাঠালেন। ফেরেশতা প্রথমে কুষ্ঠরোগীর নিকট এসে বললেন, তোমার কাছে সবচেয়ে বেশী প্রিয় জিনিস কি? সে বলল, উত্তম (গায়ের) রং, ভালো চামড়া এবং আমার থেকে যেন এ রোগ নিরাময় হয়ে যায়, যার কারণে লোকেরা আমাকে ঘৃণা করে। অতঃপর ফেরেশতা তার শরীরে হাত বুলালেন। এতে তার এ কুৎসিত ব্যাধি ভালো হলো এবং তাকে সুন্দর রং ও সুন্দর চর্ম দান করা হলো। ফেরেশতা আবার তাকে প্রশ্ন করলেন, তোমার কাছে প্রিয় মাল কোনটি? সে বলল, উট বা গাভী। বর্ণনাকারী ইসহাক সন্দেহ পোষণ করেছেন। তবে কুষ্ঠরোগী বা টাক মাথাওয়ালা তাদের একজন বলল, উট আর অপরজন বলল গাভী। অতঃপর তাকে গর্ভবতী উষ্ট্রী প্রদান করা হলো এবং বললেন, আল্লাহ তোমাকে এতে বারাকাত দান করুন।
এরপর ফেরেশতা টাক মাথা লোকের কাছে এসে তাকে প্রশ্ন করলেন, তোমার নিকট সবচেয়ে বেশী প্রিয় জিনিস কি? সে বলল, সুন্দর চুল এবং আমার থেকে যেন এ ব্যাধি নিরাময় হয়ে যায় যার কারণে লোকেরা আমাকে অভক্তি করছে। ফেরেশতা তার শরীরে হাত বুলালে তার ব্যাধি ভালো হয়ে যায়। এরপর তাকে দান করা হয় সুন্দর চুল। পুনরায় ফেরেশতা তাকে প্রশ্ন করলেন যে, কোন মাল তোমার কাছে সবচেয়ে বেশী প্রিয়? সে বলল, গাভী। তারপর তাকে গর্ভবতী একটি গাভী দান করা হলো এবং ফেরেশতা বললেন, আল্লাহ তোমাকে এতে বারাকাত দান করুন।
এরপর ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তি আসলেন এবং বললেন, তোমার নিকট কোন্ জিনিস সবচেয়ে প্রিয়? সে বলল, আল্লাহ তা’আলা আমাকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিক যাতে আমি লোকজন দেখতে পারি। অতঃপর ফেরেশতা তার চোখের উপর হাত বুলালে আল্লাহ তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন। এরপর ফেরেশতা আবার তাকে প্রশ্ন করলেন, কোন সম্পদ তোমার কাছে বেশী প্রিয়? সে বলল, বকরী। তাকে গর্ভবতী বকরী দান করা হলো।
অতঃপর উষ্ট্রী, গাভী এবং বকরী সবই বাচ্চা দিল। ফলে তার এক মাঠ উট, তার এক মাঠ গাভী এবং তার এক মাঠ বকরী হয়ে গেল। অতঃপর ফেরেশতা অনতিকাল পরে তার পূর্ববৎ আকৃতিতে কুষ্ঠরোগীর কাছে এসে বলল, আমি একজন মিসকীন ও নিঃস্ব ব্যক্তি, সফরে আমার সকল অবলম্বন নিঃশেষ হয়ে গেছে। আল্লাহর, অতঃপর তোমার সহযোগিতা ছাড়া বাড়ী পৌছাও আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং যে আল্লাহ তোমাকে উত্তম রং, সুন্দর চামড়া এবং অনেক সম্পদ প্রদান করেছেন তার নামে আমি তোমার কাছে একটি উট সাহায্য চাচ্ছি, যেন এ সফরে আমি তাতে আরোহণ করে বাড়ী পৌছতে পারি। এ কথা শুনে সে বলল, দায়-দায়িত্ব অনেক বেশী, তাই দেয়া সম্ভব নয়। তখন ফেরেশতা বললেন, আমি তোমাকে চিনি বলে মনে হচ্ছে। তুমি কি নিঃস্ব, কুষ্ঠরোগী ছিলে না? এরপর আল্লাহ তোমাকে অনেক সম্পদ প্রদান করেছেন। সে বলল, বাহ আমি তো বাপ-দাদা হতেই বংশপরম্পরায় এ সম্পদের উত্তরাধিকার হয়েছি। অতঃপর ফেরেশতা বললেন, যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও, তবে আল্লাহ তা’আলা যেন তোমাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন।
এবার ফেরেশতা তার আগের আকৃতিতে টাক মাথা লোকের কাছে এসে ঐ লোকের ন্যায় তাকেও বললেন এবং সে-ও প্রথম লোকের মতোই জবাব দিল। অতঃপর তিনি বললেন, যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও তবে যেন আল্লাহ তা’আলা তোমাকে তোমার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন।
এরপর ফেরেশতা তার আগের আকৃতিতে অন্ধ লোকের কাছে এসে বলল, আমি একজন নিঃস্ব, মুসাফির ব্যক্তি। আমার সফরের যাবতীয় সম্বল নিঃশেষ হয়ে গেছে। আল্লাহ তা’আলা এবং পরে তোমার সহযোগিতা ছাড়া আজ বাড়ী পৌছা আমার পক্ষে অসম্ভব। যে আল্লাহ তোমাকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন তার নামে তোমার কাছে আমি একটি বকরী চাই যেন আমি সফর শেষে বাড়ী পৌছতে পারি। এ কথা শুনে লোকটি বলল, হ্যাঁ, আমি অন্ধ ছিলাম, আল্লাহ আমার দৃষ্টিশক্তি আবার ফিরিয়ে দিয়েছেন। আপনার ইচ্ছামত আপনি নিয়ে যান এবং যা মনে চায় রেখে যান। আল্লাহর শপথ! আজ আল্লাহর নামে আপনি যা নিবেন এ বিষয়ে আমি আপনাকে বাধা দিব না। অতঃপর ফেরেশতা বললেন, তুমি তোমার সম্পদ রেখে দাও। তোমাদের তিনজনের পরীক্ষা হলো। আল্লাহ তোমার প্রতি সন্তুষ্ট এবং তোমার অপর দু’ সাথীদ্বয়ের প্রতি অসম্ভষ্ট হয়েছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৬২, ইসলামিক সেন্টার ৭২১৫)
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ ثَلاَثَةً فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ أَبْرَصَ وَأَقْرَعَ وَأَعْمَى فَأَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَبْتَلِيَهُمْ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ مَلَكًا فَأَتَى الأَبْرَصَ فَقَالَ أَىُّ شَىْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ لَوْنٌ حَسَنٌ وَجِلْدٌ حَسَنٌ وَيَذْهَبُ عَنِّي الَّذِي قَدْ قَذِرَنِي النَّاسُ . قَالَ فَمَسَحَهُ فَذَهَبَ عَنْهُ قَذَرُهُ وَأُعْطِيَ لَوْنًا حَسَنًا وَجِلْدًا حَسَنًا قَالَ فَأَىُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ الإِبِلُ - أَوْ قَالَ الْبَقَرُ شَكَّ إِسْحَاقُ - إِلاَّ أَنَّ الأَبْرَصَ أَوِ الأَقْرَعَ قَالَ أَحَدُهُمَا الإِبِلُ وَقَالَ الآخَرُ الْبَقَرُ - قَالَ فَأُعْطِيَ نَاقَةً عُشَرَاءَ فَقَالَ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِيهَا - قَالَ - فَأَتَى الأَقْرَعَ فَقَالَ أَىُّ شَىْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ شَعَرٌ حَسَنٌ وَيَذْهَبُ عَنِّي هَذَا الَّذِي قَذِرَنِي النَّاسُ . قَالَ فَمَسَحَهُ فَذَهَبَ عَنْهُ وَأُعْطِيَ شَعَرًا حَسَنًا - قَالَ - فَأَىُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ الْبَقَرُ . فَأُعْطِيَ بَقَرَةً حَامِلاً فَقَالَ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِيهَا - قَالَ - فَأَتَى الأَعْمَى فَقَالَ أَىُّ شَىْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ أَنْ يَرُدَّ اللَّهُ إِلَىَّ بَصَرِي فَأُبْصِرَ بِهِ النَّاسَ - قَالَ - فَمَسَحَهُ فَرَدَّ اللَّهُ إِلَيْهِ بَصَرَهُ . قَالَ فَأَىُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ الْغَنَمُ . فَأُعْطِيَ شَاةً وَالِدًا فَأُنْتِجَ هَذَانِ وَوَلَّدَ هَذَا - قَالَ - فَكَانَ لِهَذَا وَادٍ مِنَ الإِبِلِ وَلِهَذَا وَادٍ مِنَ الْبَقَرِ وَلِهَذَا وَادٍ مِنَ الْغَنَمِ . قَالَ ثُمَّ إِنَّهُ أَتَى الأَبْرَصَ فِي صُورَتِهِ وَهَيْئَتِهِ فَقَالَ رَجُلٌ مِسْكِينٌ قَدِ انْقَطَعَتْ بِيَ الْحِبَالُ فِي سَفَرِي فَلاَ بَلاَغَ لِيَ الْيَوْمَ إِلاَّ بِاللَّهِ ثُمَّ بِكَ أَسْأَلُكَ بِالَّذِي أَعْطَاكَ اللَّوْنَ الْحَسَنَ وَالْجِلْدَ الْحَسَنَ وَالْمَالَ بَعِيرًا أَتَبَلَّغُ عَلَيْهِ فِي سَفَرِي . فَقَالَ الْحُقُوقُ كَثِيرَةٌ . فَقَالَ لَهُ كَأَنِّي أَعْرِفُكَ أَلَمْ تَكُنْ أَبْرَصَ يَقْذَرُكَ النَّاسُ فَقِيرًا فَأَعْطَاكَ اللَّهُ فَقَالَ إِنَّمَا وَرِثْتُ هَذَا الْمَالَ كَابِرًا عَنْ كَابِرٍ . فَقَالَ إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَصَيَّرَكَ اللَّهُ إِلَى مَا كُنْتَ . قَالَ وَأَتَى الأَقْرَعَ فِي صُورَتِهِ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ مَا قَالَ لِهَذَا وَرَدَّ عَلَيْهِ مِثْلَ مَا رَدَّ عَلَى هَذَا فَقَالَ إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَصَيَّرَكَ اللَّهُ إِلَى مَا كُنْتَ . قَالَ وَأَتَى الأَعْمَى فِي صُورَتِهِ وَهَيْئَتِهِ فَقَالَ رَجُلٌ مِسْكِينٌ وَابْنُ سَبِيلٍ انْقَطَعَتْ بِيَ الْحِبَالُ فِي سَفَرِي فَلاَ بَلاَغَ لِيَ الْيَوْمَ إِلاَّ بِاللَّهِ ثُمَّ بِكَ أَسْأَلُكَ بِالَّذِي رَدَّ عَلَيْكَ بَصَرَكَ شَاةً أَتَبَلَّغُ بِهَا فِي سَفَرِي فَقَالَ قَدْ كُنْتُ أَعْمَى فَرَدَّ اللَّهُ إِلَىَّ بَصَرِي فَخُذْ مَا شِئْتَ وَدَعْ مَا شِئْتَ فَوَاللَّهِ لاَ أَجْهَدُكَ الْيَوْمَ شَيْئًا أَخَذْتَهُ لِلَّهِ فَقَالَ أَمْسِكْ مَالَكَ فَإِنَّمَا ابْتُلِيتُمْ فَقَدْ رُضِيَ عَنْكَ وَسُخِطَ عَلَى صَاحِبَيْكَ .
Abu Huraira, narrated that he heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
There were three persons in Bani Isra'il, one suffering from leprosy, the other bald-headed and the third one blind. Allah decided to test them. So He sent an angel who came to the one who was suffering from leprosy and said: Which thing do you like most? He said: Beautiful colour and fine skin and removal of that which makes me detestable in the eye of people. He wiped him and his illness was no more and he was conferred upon beautiful colour and beautiful skin. He (the angel) again said: Which property do you like most? He said: Camels, or he said: The cow the narrator is, however, doubtful about it, but (out of the persons) suffering from leprosy or baldness one of them definitely said: The camel. And the other one said: Cow. And he (one who demanded camel) was bestowed upon a she-camel, in an advanced stage of pregnancy, and while giving he said: May Allah bless you in this. Then he came to the bald-headed person and said: Which thing do you like most? He said: Beautiful hair and that (this baldness) may be removed from me because of which people hate me. He wiped his body and his illness was removed and he was bestowed upon beautiful hair, and the angel said: Which wealth do you like most? He said: The cow. And he was given a pregnant cow and while handing it over to him he (the angel) said: May Allah bless you in this. Then he came to the blind man and he said: Which thing do you like most? He said: Allah should restore my eyesight so that I should be able to see people with the help of that. He wiped his body and Allah restored to him his eyesight, and he (the angel) also said: Which wealth do you like most? He said: The flock of sheep. And he was given a pregnant goat and that gave birth to young ones and it so happened that one valley abounded in camels and the other one in cows and the third one in sheep. He then came to the one who had suffered from leprosy in his (old) form and shape and he said: I am a poor person and my provision has run short in my journey and there is none to take me to my destination except with the help of Allah and your favour. I beg of you in His name Who gave you fine colour and fine skin, and the camel in the shape of wealth (to confer upon me) a camel which should carry me in my journey. He said: I have many responsibilities to discharge. Thereupon he said: I perceive as if I recognise you. Were you not suffering from leprosy whom people hated and you were a destitute and Allah conferred upon you (wealth)? He said: I have inherited this property from my forefathers. Thereupon he said: If you are a liar may Allah change you to that very position in which you had been. He then came to the one who was bald-headed in his (old) form and said to him the same what he had said to him (one suffering from leprosy) and he gave him the same reply as he had given him and he said: If you are a liar, may Allah turn you to your previous position in which you had been. And then he came to the blind man in his (old) form and shape and he said: I am a destitute person and a wayfarer. My provision have ran short and today there is no way to reach the destination but with the help of Allah and then with your help and I beg of you in the (name) of One Who restored your eyesight and gave you the flock of sheep to give me a sheep by which I should be able to make my provisions for the journey. He said: I was blind and Allah restored to me my eyesight; you take whatever you like and leave whatever you like. By Allah, I shall not stand in your way today for what you take in the name of God. Thereupon, he said: You keep with you what you have (in your possession). The fact is that you three were put to test and Allah is well pleased with you and He is annoyed with your companions.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩২২-(১১/২৯৬৫) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও আব্বাস ইবনু আবদুল আযীম (রহঃ) ..... ’আমির ইবনু সা’দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ ইবনু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) একদা তার উটের পালের মাঝে উপবিষ্ট ছিলেন, এমতাবস্থায় তার পুত্র উমার এসে পৌছলেন। সা’দ (রাযিঃ) তাকে দেখামাত্রই পাঠ করলেন, “আউযু বিল্লা-হি মিন্ শাররি হা-যার র-কিব" অর্থাৎ- আমি এ আরোহীর অনিষ্ট হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। তারপর সে তার আরোহী হতে নেমে বলল, আপনি লোকেদেরকে ছেড়ে দিয়ে উষ্ট্র এবং বকরীর মাঝে এসে বসে আছেন। আর এদিকে কর্তৃত্ব নিয়ে লোকেরা পরস্পর একে অপরের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত। এ কথা শুনে সা’দ (রাযিঃ) তার বুকে আঘাত করে বললেন, চুপ থাকে। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুত্তাকী, আত্মনির্ভরশীল ও লোকালয় হতে নির্জনে বাসকারী বান্দাকে আল্লাহ তা’আলা ভালোবাসেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৬৩, ইসলামিক সেন্টার ৭২১৬)
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، - وَاللَّفْظُ لإِسْحَاقَ - قَالَ عَبَّاسٌ حَدَّثَنَا وَقَالَ، إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا - أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا بُكَيْرُ بْنُ مِسْمَارٍ، حَدَّثَنِي عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ كَانَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ فِي إِبِلِهِ فَجَاءَهُ ابْنُهُ عُمَرُ فَلَمَّا رَآهُ سَعْدٌ قَالَ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شَرِّ هَذَا الرَّاكِبِ فَنَزَلَ فَقَالَ لَهُ أَنَزَلْتَ فِي إِبِلِكَ وَغَنَمِكَ وَتَرَكْتَ النَّاسَ يَتَنَازَعُونَ الْمُلْكَ بَيْنَهُمْ فَضَرَبَ سَعْدٌ فِي صَدْرِهِ فَقَالَ اسْكُتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْعَبْدَ التَّقِيَّ الْغَنِيَّ الْخَفِيَّ " .
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। মানব সমাজের সাথে জীবনযাপন করা অপরিহার্য এবং প্রয়োজনীয় বিষয়; তাই সকল মানুষের উচিত যে, তারা যেন সামাজিকভাবে সমাজের সদস্যদের সাথেই জীবনযাপন করে।
২। মানব সমাজের সাথে জীবনযাপন করা অপরিহার্য এবং প্রয়োজনীয় বিষয়, কিন্তু এই মানব সমাজের সাথে জীবনযাপন করার কারণে যদি আল্লাহর অবাধ্যতা, অমান্যতা অথবা নির্ধারিত সীমালঙ্ঘন করা হয়, তাহলে সামাজিকভাবে সমাজের সদস্যদের সাথে জীবনযাপন ত্যাগ করে সকলকে ছেড়ে দিয়ে একাকী বা একক ভাবে জীবনযাপন করাই হলো উত্তম পন্থা। বিশেষ করে তাদের জন্য এই বিধানটি বেশি উপযোগী বা প্রযোজ্য যারা নিজেকে আল্লাহর অবাধ্যতা কিংবা পাপের কাজ থেকে এবং সন্দেহযুক্ত বিষয় ইত্যাদি থেকে রক্ষা করতে সক্ষম নয়।
৩। প্রকৃত ইসলাম ধর্মে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করা অপরিহার্য কিন্তু এই বন্ধন রক্ষা করার কারণে যদি আল্লাহর অবাধ্যতা, অমান্যতা অথবা আল্লাহর নির্ধারিত সীমালঙ্ঘন করা হয় তাহলে; এই ক্ষেত্রে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা না করাই উত্তম পন্থা; কেননা ইসলাম ধর্মের একটি বিধান রয়েছে:
قاعدة: "درء المفاسد مقدم على جلب المنافع".
অর্থ: “মঙ্গল আনয়নের চেয়ে অমঙ্গল দূরীকরণেরই বেশি দরকার”।
(সুতরাং যে জিনিসে মঙ্গলের চেয়ে অমঙ্গল বেশি আছে, সে জিনিসটি বর্জনীয়। এবং যে জিনিসে অমঙ্গলের চেয়ে মঙ্গল বেশি আছে, সে জিনিসটি গ্রহণীয়।)
৪। এই হাদীসটির ভাবার্থঃ আল্লাহ সেই প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তিকে ভালোবাসেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সঠিক ভক্ত। আল্লাহর সঠিক আত্তাকী বা ভক্ত ব্যক্তি বলা হয় সেই ব্যক্তিকে, যে ব্যক্তি প্রকৃত ইসলাম ধর্মের অপরিহার্য বা করণীয় কাজগুলি সম্পাদন করে এবং বর্জনীয় অবৈধ বস্তুগুলি পরিত্যাগ করে। আর আলগাণী বা সৃষ্টিজগতের অমুখাপেক্ষী ব্যক্তি বলা হয় সেই ব্যক্তিকে, যে ব্যক্তির আত্মা প্রকৃতপক্ষে তৃপ্ত, সেই তৃপ্ত আত্মার মানুষই আল্লাহর কাছে প্রিয়; কেননা সে তো শুধু মাত্র আল্লাহরই মুখাপেক্ষী ব্যক্তি আর অন্য কোনো সৃষ্টি বস্তুর মুখাপেক্ষী নয়। এবং আলখাফী বা আত্মগোপনকারী বলা হয় সেই ব্যক্তিকে, যে ব্যক্তি অনুপস্থিত থাকলে তার বিষয়ে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করে না এবং উপস্থিত থাকলে তাকে কেউ চিনতে পারে না। অথচ সে আল্লাহর কাছে মহামর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তি এবং সে প্রকৃতপক্ষে জান্নাতুল ফেরদাউসের উচ্চ স্থানের অধিকারী ব্যক্তি ।
It is reported on the authority of Amir b. Sa'd that Sa'd b. Abi Waqqas was in the fold of his camels that his son 'Umar came to him. When Sa'd saw him he said:
I seek refuge with Allah from the mischief of this rider. And as he got down he said to him: You are busy with your camels and your sheep and you have abandoned people who are contending with one another for kingdom. Sa'd struck his chest and said: Keep quite. I heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying: Allah loves the servant who is God-conscious and is free from want and is hidden (from the view of people).
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩২৩-(১২/২৯৬৬) ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব আল হারিসী ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ...... সা’দ ইবনু আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ আরবের বাসিন্দাদের মাঝে সর্বপ্রথম আমিই আল্লাহর রাস্তায় তীর ছুড়েছি। আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে যুদ্ধ করতাম। তখন ’হুবলাহ’ এবং ’সামুর’ নামের বৃক্ষের পাতা ছাড়া আমাদের কাছে খাবার উপযোগী কোন খাদ্যই অবশিষ্ট থাকত না। তাই আমাদের এক একজন বকরীর মতো মল ত্যাগ করত। আর এখন বানু আসাদের লোকেরা দীনী বিষয়ে আমাদেরকে ধমক দিচ্ছে, এমনই যদি হয় তবে তো আমি অকৃতকার্য এবং আমার আমল সবই ব্যৰ্থ। ইবনু নুমায়র তার বর্ণনায়إِذًا শব্দটি উল্লেখ করেননি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৬৪, ইসলামিক সেন্টার ৭২১৭)
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَابْنُ، بِشْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ قَيْسٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، يَقُولُ وَاللَّهِ إِنِّي لأَوَّلُ رَجُلٍ مِنَ الْعَرَبِ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَقَدْ كُنَّا نَغْزُو مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَنَا طَعَامٌ نَأْكُلُهُ إِلاَّ وَرَقُ الْحُبْلَةِ وَهَذَا السَّمُرُ حَتَّى إِنَّ أَحَدَنَا لَيَضَعُ كَمَا تَضَعُ الشَّاةُ ثُمَّ أَصْبَحَتْ بَنُو أَسَدٍ تُعَزِّرُنِي عَلَى الدِّينِ لَقَدْ خِبْتُ إِذًا وَضَلَّ عَمَلِي وَلَمْ يَقُلِ ابْنُ نُمَيْرٍ إِذًا .
Sa'd b. Abu Waqqas is reported to have, said:
By Allah, I am the first person amongst the Arabs to throw an arrow in the cause of Allah and we used to go with Allah's Messenger (ﷺ) and there was no food for us to eat but only the leaves of hubla and samur trees (they are wild trees) and as a result thereof one amongst us would relieve himself as does the goat. (How strange it is) that now the people of Banu Asad (the progeny of Zubair) instruct me in religion and try to impose punishment upon me (in regard to it). If it is so (that I am so ignorant of religion), then indeed, I am undone and my deeds have been lost. Ibn Numair, however, did not make a mention of the word (idhan) thus? (in his narration).
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩২৪-(১৩/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... ইসমাঈল ইবনু আবু খালিদ (রহঃ) হতে এ সূত্রে অবিকল বর্ণনা করেছেন। তবে এতে রয়েছে যে, ফলে আমাদের এক একজন বকরীর মতো মল নির্গত করত। যার একাংশ অন্য অন্য অংশের সাথে মিশতো না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৬৫, ইসলামিক সেন্টার ৭২১৮)
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ حَتَّى إِنْ كَانَ أَحَدُنَا لَيَضَعُ كَمَا تَضَعُ الْعَنْزُ مَا يَخْلِطُهُ بِشَىْءٍ .
This hadith has been narrated on the authority of Isma'il b. Khalid with the same chain of transmitters and the words are:
" One amongst us would relieve himself as the goats do without anything mixing with its excrement."
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩২৫–(১৪/২৯৬৭) শাইবান ইবনু ফাররূখ (রহঃ) ..... খালিদ ইবনু উমায়র আল আদাবী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উতবাহ ইবনু গাযওয়ান (রাযিঃ) একদিন আমাদের মাঝে বস্তৃতা দিলেন এবং প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করে বললেন, অতঃপর বলেছেন- পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবার সংবাদ দিয়েছে ও শীঘ্রই বিদায় নিচ্ছে। পৃথিবীর কিয়দংশ অবশিষ্ট রয়েছে, যেমন আহারের পর পাত্রের মধ্যে কিছু খাদ্য অবশিষ্ট থেকে, যা ভক্ষণকারী রেখে দেয়। একদিন এ দুনিয়া পরিত্যাগ করে তোমরা স্থায়ী জগতের দিকে রওয়ানা করবে। অতএব তোমরা ভবিষ্যতের জন্য কিছু পুণ্য নিয়ে রওনা করো। কেননা আমাদের সম্মুখে আলোচনা করা হয়েছে যে, জাহান্নামের এক কোণে একটি পাথর নিক্ষেপ করা হবে, তারপর সেটা সত্তর বছর পর্যন্ত ক্রমাগতভাবে যেতে থাকবে, তথাপিও সেটা তার তলদেশে গিয়ে পৌছতে পারবে না। আল্লাহর কসম জাহান্নাম পূর্ণ হয়ে যাবে। তোমরা কি এতে আশ্চর্যাম্বিত হচ্ছ? এবং আমার নিকট এটাও বর্ণনা করা হয়েছে যে, জান্নাতের এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত চল্লিশ বছরের পথ। শীঘ্রই একদিন এমন আসবে, যখন সেটা মানুষের ভিড়ে পরিপূর্ণতা লাভ করবে।
আমি নিজেকে দেখেছি যে, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গী সাত ব্যক্তির সপ্তমজন ছিলাম। তখন আমাদের কাছে বৃক্ষের পাতা ছাড়া আর কোন খাবারই ছিল না। ফলে আমাদের চোয়ালে ঘা হয়ে গেল। এ সময় আমি একটি চাদর পেয়েছিলাম। অতঃপর আমার ও সা’দ ইবনু মালিক এর জন্য আমি সেটাকে দু’ টুকরো করে নেই। এক টুকরো দিয়ে আমি লুঙ্গি বানিয়েছি এবং আরেক টুকরোটি দিয়ে লুঙ্গি বানিয়েছে সাদ ইবনু মালিক (রাযিঃ)। আজ আমাদের সকলেই কোন না কোন শহরের আমীর। এরপর তিনি বলেন, আমি আমার কাছে বড় এবং আল্লাহর কাছে ছোট হওয়া থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। সকল নবীদের নাবুওয়াতই এক পর্যায়ে শেষ হয়ে যাবে। পরিশেষে সেটা রাজতন্ত্রে রূপ নিবে। আমার পর আগমনকারী আমীর-উমারাদের খবর তোমরা শীঘ্রই পাবে এবং তাদেরকে পরীক্ষা করে নিবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৬৬, ইসলামিক সেন্টার ৭২১৯)
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عُمَيْرٍ الْعَدَوِيِّ، قَالَ خَطَبَنَا عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ الدُّنْيَا قَدْ آذَنَتْ بِصُرْمٍ وَوَلَّتْ حَذَّاءَ وَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا إِلاَّ صُبَابَةٌ كَصُبَابَةِ الإِنَاءِ يَتَصَابُّهَا صَاحِبُهَا وَإِنَّكُمْ مُنْتَقِلُونَ مِنْهَا إِلَى دَارٍ لاَ زَوَالَ لَهَا فَانْتَقِلُوا بِخَيْرِ مَا بِحَضْرَتِكُمْ فَإِنَّهُ قَدْ ذُكِرَ لَنَا أَنَّ الْحَجَرَ يُلْقَى مِنْ شَفَةِ جَهَنَّمَ فَيَهْوِي فِيهَا سَبْعِينَ عَامًا لاَ يُدْرِكُ لَهَا قَعْرًا وَوَاللَّهِ لَتُمْلأَنَّ أَفَعَجِبْتُمْ وَلَقَدْ ذُكِرَ لَنَا أَنَّ مَا بَيْنَ مِصْرَاعَيْنِ مِنْ مَصَارِيعِ الْجَنَّةِ مَسِيرَةُ أَرْبَعِينَ سَنَةً وَلَيَأْتِيَنَّ عَلَيْهَا يَوْمٌ وَهُوَ كَظِيظٌ مِنَ الزِّحَامِ وَلَقَدْ رَأَيْتُنِي سَابِعَ سَبْعَةٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَنَا طَعَامٌ إِلاَّ وَرَقُ الشَّجَرِ حَتَّى قَرِحَتْ أَشْدَاقُنَا فَالْتَقَطْتُ بُرْدَةً فَشَقَقْتُهَا بَيْنِي وَبَيْنَ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ فَاتَّزَرْتُ بِنِصْفِهَا وَاتَّزَرَ سَعْدٌ بِنِصْفِهَا فَمَا أَصْبَحَ الْيَوْمَ مِنَّا أَحَدٌ إِلاَّ أَصْبَحَ أَمِيرًا عَلَى مِصْرٍ مِنَ الأَمْصَارِ وَإِنِّي أَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ أَكُونَ فِي نَفْسِي عَظِيمًا وَعِنْدَ اللَّهِ صَغِيرًا وَإِنَّهَا لَمْ تَكُنْ نُبُوَّةٌ قَطُّ إِلاَّ تَنَاسَخَتْ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَاقِبَتِهَا مُلْكًا فَسَتَخْبُرُونَ وَتُجَرِّبُونَ الأُمَرَاءَ بَعْدَنَا .
'Umair al-'Adawi reported:
'Utba b. Ghazwan delivered us a sermon and he praised Allah and lauded Him, then said: Now coming to the point, verily the world has been given the news of its end and that too quite early. Nothing would be left out of it but only water left in the utensil which its owner leaves, and you are going to shift to an abode which knows no end, and you should shift with the good before you, for we have been told that a stone would be thrown at one side of the Hell and it would go down even for seventy years but would not be able to reach its bottom. By Allah, it would be fully packed. Do you find it something strange, and it has been mentioned that there yawns a distance which one would be able to cover in forty years from one end to another of Paradise, and a day would come when it would be fully packed and you must be knowing that I was the seventh amongst seven who had been with Allah's Messenger (ﷺ) and we had nothing to eat but the leaves of the tree until the corners of the mouth were injured. We found a sheet which we tore in two and divided between myself and Sa'd b. Malik. I made the lower garment with halt of it and so did Sa'd make the lower garment with half of it and today there is none amongst us who has not become the governor of a city from amongst the cities (of the Islamic Commonwealth) and I seek refuge with Allah that I should consider myself great whereas I am insignificant in the eye of Allah. Prophethood does not remain for ever and its impact fades with the result that it changes eventually into kingship, and you would soon come to know and experience those rulers who would come after us and see (how far they are from religion).
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩২৬-(…/...) ইসহাক ইবনু উমার ইবনু সালীত (রহঃ) ..... খালিদ ইবনু উমায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি জাহিলী যুগ পেয়েছিলেন, খালিদ (রহঃ) বলেন, একদিন উতবাহ ইবনু গাযওয়ান (রাযিঃ) ভাষণ দিলেন। তখন তিনি বাসরার শাসনকর্তা ছিলেন। অতঃপর ইসহাক সূত্রে শাইবান এর অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৬৭, ইসলামিক সেন্টার ৭২২০)
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ عُمَرَ بْنِ سَلِيطٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ، هِلاَلٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عُمَيْرٍ، وَقَدْ أَدْرَكَ الْجَاهِلِيَّةَ قَالَ خَطَبَ عُتْبَةُ بْنُ غَزْوَانَ وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى الْبَصْرَةِ . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ شَيْبَانَ .
Khalid b. 'Umair reported and he had seen the pre-Islamic days also, that 'Uqba b. Ghazwan delivered this address and he was the governor of Basra. The rest of the hadith is the same as transmitted by Shaiban.